Tag: bangla news

bangla news

  • Shivaji Maharaj: শিবাজির সিংহাসনে বসার ৩৫০ বছর, সাড়ম্বরে পালন করবে আরএসএস

    Shivaji Maharaj: শিবাজির সিংহাসনে বসার ৩৫০ বছর, সাড়ম্বরে পালন করবে আরএসএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (India) অন্যতম মহান ব্যক্তিত্ব হলেন ছত্রপতি শিবাজি (Shivaji Maharaj)। সমাজকে দাসত্বের মানসিকতা থেকে মুক্ত করেছিলেন তিনি। জনমানসে আত্মবিশ্বাস ও আত্মশ্রদ্ধার বোধ জাগিয়েছিলেন। সিংহাসনে বসার পর জৈষ্ঠ্য শুদ্ধ ত্রয়োদশীতে তিনি গঠন করেছিলেন হিন্দাভি স্বরাজ। এ বছর তারই ৩৫০ বছর পূর্তি। এই উপলক্ষে মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি দেশজুড়ে হবে বিভিন্ন অনুষ্ঠান। দিনটি মর্যাদার সঙ্গে পালন করবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘও (RSS)। নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনটি পালনের আবেদন করা হয়েছে সমাজের সর্বস্তরের মানুষদের পাশাপাশি স্বয়ংসেবকদেরও।

    ছত্রপতি শিবাজি (Shivaji Maharaj)…

    ছত্রপতি শিবাজি (Shivaji Maharaj) ছিলেন নির্ভীক, ক্ষুরধার বুদ্ধির অধিকারী, দক্ষ প্রশাসক, যুদ্ধবিশারদ। মহিলাদের সম্মান করতেন তিনি। শিবাজি ছিলেন মনেপ্রাণে হিন্দুত্ববাদী। বিভিন্ন ঘটনা থেকে পরিচয় মেলে ঈশ্বরের প্রতি তাঁর অগাধ বিশ্বাসের। লক্ষ্যে অবিচল থাকতেন তিনি। বাবা-মা ও শিক্ষকদের শ্রদ্ধা করতেন। আনন্দ ও দুঃখে তিনি সর্বদা পাশে থাকতেন স্বদেশবাসীর। সমাজের সর্বস্তরের মানুষের পাশেও দাঁড়াতেন। শৈশব থেকেই তিনি স্বদেশবাসীকে স্বরাজ প্রতিষ্ঠার জন্য উৎসাহিত করতেন। তাঁর এই শিক্ষা পরবর্তীকালে দেশপ্রেমিকদের কাছে প্রেরণার মন্ত্র হয়ে উঠেছিল। এমনকী তাঁর মৃত্যুর পরে কয়েক দশক ধরে তাঁর সমাজ সমস্ত রকম আক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষা করেছিল। এটি ইতিহাসের একটি মৌলিক উদাহরণ।

    আরও পড়ুুন: সীমান্তে বাড়ছে চিনা ফৌজের দাপাদাপি! মোকাবিলায় প্রস্তুত ভারতও, বললেন সেনা প্রধান

    ছোট থেকে তিনি (Shivaji Maharaj) যে স্বরাজের স্বপ্ন দেখতেন, তা কেবল ক্ষমতা দখল করতে নয়, ধর্ম ও সংস্কৃতি রক্ষার জন্য একটা সমাজ গড়তে চেয়েছিলেন, যে সমাজের ‘অহং’ বোধ থাকবে। তিনি বিশ্বাস করতেন এই রাজ্য প্রতিষ্ঠা হয়েছে ভগবানের ইচ্ছায়। স্বরাজ প্রতিষ্ঠার সময় আস্থা প্রধান মণ্ডল, রাজ্য ব্যবহার কোষ সৃষ্টি করেছিলেন তিনি। সুচারুভাবে শাসনকার্য পরিচালনার জন্য স্থানীয় ভাষা ব্যবহার করতেন। শিবশক পঞ্জিকা চালু করেছিলেন। রাজভাষা হিসেবে মর্যাদা দিয়েছিলেন সংস্কৃতকে। ধর্মস্থাপনের জন্য তিনি স্বরাজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বর্তমান ভারতও জাতি গঠনের পথেই হাঁটছে। সমাজে জাগাতে চাইছে অহং বোধ। ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের সেই জীবনবোধ আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক এবং প্রেরণা জোগায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Interrogation: শান্তনুর স্ত্রী ও কুন্তলের পার্টনারশিপ সংস্থার হদিশ পেল ইডি

    Interrogation: শান্তনুর স্ত্রী ও কুন্তলের পার্টনারশিপ সংস্থার হদিশ পেল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেক্স: তৃণমূলের (TMC) বহিষ্কৃত নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী প্রিয়ঙ্কা ও আর এক বহিষ্কৃত নেতা কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) পার্টনারশিপ সংস্থার হদিশ পেল ইডি (ED)। অন্তত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার (Interrogation) দাবি তেমনই। ইডি সূত্রে খবর, কুন্তলকে জেরা করে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গিয়েছে। প্রিয়ঙ্কাদের ওই সংস্থায় আরও দুজন পার্টনার ছিলেন। এবার তাঁদেরও জেরা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তদন্তকারীরা। প্রিয়ঙ্কাদের ওই সংস্থার মাধ্যমে কী ধরনের লেনদেন হয়েছে, নিয়োগ কেলেঙ্কারির টাকা এই সংস্থায় বিনিয়োগ করা হয়েছে কিনা, সেসবই খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। ইডির দাবি, কুন্তলের দুটি অ্যাকাউন্টে লেনদেন হয়েছে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা। টাকা গিয়েছে টালিগঞ্জের একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রীর অ্যাকাউন্টেও।

    ইডির দাবি…

    এদিন ইডির আইনজীবীর (Interrogation) দাবি, দুটো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে, যেখানে সাড়ে ৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। টালিগঞ্জের কয়েকজনের সঙ্গেও যোগসূত্র রয়েছে। শর্ট ফিল্ম তৈরির জন্য পার্টনারশিপ ফার্ম তৈরি করেছেন কুন্তল। এই টাকার একটা বড় অংশ শর্ট ফিল্ম বানানোর জন্য টালিগঞ্জের স্টারদের কাছে গিয়েছে। একজনকে গাড়ি কিনে দিয়েছিল। যাঁর নাম বনি সেনগুপ্ত। তিনি স্বীকার করেন যে, গাড়ি কেনার জন্য ৪৪ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। সেই টাকা বনি ফেরত দিয়েছেন। টাকা নিয়েছিলেন সোমা চক্রবর্তীও। তিনিও ৫৫ লক্ষ টাকা ফেরত দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, সেই সময় তাঁরা জানতেন যে এটা নিয়োগ দুর্নীতির টাকা। জানতে পেরে টাকা ফেরত দিয়েছন।

    আরও পড়ুুন: স্কুল ইউনিফর্মের বরাতে নেওয়া হয়েছে কাটমানি? বোমা ফাটালেন শুভেন্দু

    এদিকে, শান্তনুকে (Interrogation) নির্দোষ বলে দাবি করেছেন তাঁর স্ত্রী প্রিয়ঙ্কা। একটি সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, তাঁর স্বামী পুরোপুরি নির্দোষ। তবে কেউ ষড়যন্ত্র করেছেন কি না, তা অবশ্য জোর দিয়ে বলতে পারেননি তিনি। শনিবার সকাল থেকে শান্তনুর বাড়ি, গেস্ট হাউস, ঘনিষ্ঠের বাড়িতে গিয়েছে ইডি। যদিও প্রিয়ঙ্কা বলেন, শান্তনু কোনও দুর্নীতির সঙ্গে একেবারেই যুক্ত নন। তদন্ত চলছে সবটাই দেখতে পাবেন। সবটাই তদন্তসাপেক্ষ। তিনি বলেন, এত টাকার সম্পত্তি রয়েছে, আমার জানা নেই। থাকলে আমি জানতাম। কুন্তল তাঁদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন বলেও জানান প্রিয়ঙ্কা। তিনি বলেন, কুন্তল ঘোষকে চিনতাম, ঠিক যেমন পাড়ার ছেলেদের চেনে। আমাদের বাড়িতেও এসেছে। বাড়িতে কোনও অনুষ্ঠান হলে নিমন্ত্রণ করা হত, তখন আসত। প্রিয়ঙ্কার দাবি, তাঁর স্বামীর যা কিছু সবটাই নিজে থেকে করেছেন। ধাবা, গেস্ট হাউস, বাড়ি সবই সৎপথের রোজগারে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: স্কুল ইউনিফর্মের বরাতে নেওয়া হয়েছে কাটমানি? বোমা ফাটালেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: স্কুল ইউনিফর্মের বরাতে নেওয়া হয়েছে কাটমানি? বোমা ফাটালেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর দুয়েক আগে একবার তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগে সরগরম হয়েছিল বাংলা। এবার কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ খোদ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। সেবার অভিযোগ তুলেছিলেন বঙ্গবাসী। এবার অভিযোগ তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর বক্তব্য, স্বনির্ভরগোষ্ঠীর সদস্যদের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে স্কুলে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের পোশাকের মাপ নিতে। আর পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন্দ্রীয়ভাবে নিজের পছন্দের কোনও সংস্থার মাধ্যমে (যার নির্বাচন নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন রয়ে যাচ্ছে) আগে থেকে ঠিক করা নিম্নমানের পূর্ব নির্ধারিত গড় মাপের কাপড় (কাটমানির বিনিময়ে) সরবরাহ করার পরিকল্পনা করে বসে রয়েছে।

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ…

    ট্যুইটে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) আরও লেখেন, সেলফ হেল্প গ্রুপের সদস্যরা গত বছরের সেলাই কাজের জন্য সম্পূর্ণ টাকা পায়নি। এখন যদি তারা পরিমাপ করে এবং স্ট্যান্ডার্ড আকারের ইউনিফর্ম ছাত্রদের সঙ্গে মানানসই না হয়, তাহলে স্থানীয়স্তরে তাদের দায়ী করা হবে। আমি এসএইচজি বোনদের অনুরোধ করছি, এই ধরনের আদেশ অনুসরণ করার আগে বিচক্ষণতা প্রয়োগ করতে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, স্বনির্ভরগোষ্ঠীর সদস্যরা যে মাপ নিতে যাবেন, সেটা একেবারেই আইওয়াশ।

    তাঁর ব্যাখ্যা, ইতিমধ্যেই সেই সব ইউনিফর্ম তৈরি হয়ে রয়েছে। এখন বলা হচ্ছে, মাপ নিতে যাবেন স্বনির্ভরগোষ্ঠীর সদস্যরা। এরপর যখন পোশাকের মাপ ছোট-বড় হবে, তখন পুরো দায় ঠেলা হবে স্বনির্ভরগোষ্ঠীর সদস্যদের ওপর।

    আরও পড়ুুন: দাম শুনলে চোখ কপালে উঠবে! মণীশের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ইউনিফর্ম তৈরি হয়েছে গড় মাপে। এই মাপ নেওয়া লোক দেখানো। তাঁর দাবি, গত বছরের সেলাইয়ের কাজের পুরো পাওনা এখনও স্বনির্ভরগোষ্ঠীর সদস্যদের মেটানো হয়নি। তার ওপর নতুন ঝামেলার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে তাদের। শিক্ষাক্ষেত্রে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগে জেরবার রাজ্য। সেই তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে নিয়োগ কেলেঙ্কারি। সম্প্রতি এই তালিকায় যোগ হয়েছে সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের ইউনিফর্মে দুর্নীতির অভিযোগ। এর সঙ্গেই যুক্ত হয়েছে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগও।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Imran Khan: দুর্ঘটনার করলে ইমরানের কনভয়, বাড়ির দখল নিল পাক পুলিশ

    Imran Khan: দুর্ঘটনার করলে ইমরানের কনভয়, বাড়ির দখল নিল পাক পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসলামাবাদ (Pakistan) যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার মুখে প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট ইমরান খানের (Imran Khan) কনভয়। কনভয়ে একটি গাড়ি উল্টে যায়। শনিবার তোষাখানা মামলার শুনানিতে হাজিরা দিতে ইসলামাবাদ কোর্টে যাচ্ছিলেন ইমরান। সেই সময়ই ঘটে দুর্ঘটনাটি। দুর্ঘটনায় পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (PTI) সুপ্রিমোর কোনও ক্ষতি হয়নি বলেই সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর।

    ইমরান খানের (Imran Khan) বিরুদ্ধে অভিযোগ…

    প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বিদেশ থেকে যেসব মূল্যবান উপহার ইমরান পেয়েছিলেন, পরে সেগুলি কম দামে তিনি কিনে নেন বলে অভিযোগ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে এর পেছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রই দেখছেন ইমরান। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লেখেন, সব মামলায় জামিন পাওয়ার পরেও পিডিএম সরকার আমাকে গ্রেফতার করতে চায়। আমি তাদের দুরভিসন্ধি জানার পরেও ইসলামাবাদে যাচ্ছি। কারণ আমি আইনের শাসনে বিশ্বাস করি। তবে ওদের দুরভিসন্ধি সকলের বোঝা উচিত। এর পরেই ইসলামাবাদের উদ্দেশে রওনা দেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী। পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তাঁর কনভয়ের একটি গাড়ি। একটি ভিডিও ট্যুইটে ইমরান বলেন, আমি ইসলামাবাদ আদালতের দিকে যাচ্ছি। তবে দুর্ভাগ্যবশত দুর্ঘটনার কারণে আমার একটু দেরি হয়ে গিয়েছে। তাঁরা আমাকে গ্রেফতারের সব তোড়জোড় করেই রেখেছিলেন।

    আরও পড়ুুন: সীমান্তে বাড়ছে চিনা ফৌজের দাপাদাপি! মোকাবিলায় প্রস্তুত ভারতও, বললেন সেনা প্রধান

    এদিন ইমরানের (Imran Khan) হাজিরা উপলক্ষে কোর্ট চত্বরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোর্টে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ইসলামাবাদে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। গত নভেম্বরে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। একটি জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময়ই এই ঘটনা ঘটে। গুলি লাগে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর পায়ে। সেই ঘটনার কথা মাথায় রেখে এদিন আদালত চত্বরে ব্যবস্থা করা হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার।

    এদিকে, এদিন সকালে ইমরান ইসলামাবাদের উদ্দেশে রওনা দিতেই তাঁর বাড়িতে ঢুকে পড়ে পুলিশ। বাড়ি চত্বরেই তৈরি হয়েছিল দলীয় কর্মীদের শিবির। জানা গিয়েছে, সেই শিবির উচ্ছেদ করতেই পুলিশ ঢোকে। ইমরানের বাড়ির বাইরে ব্যাপক ধরপাকড় হয়। চলে গুলিও। বাসভবনের সামনেই খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে পিটিআই কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের। পিটিআই কর্মীদের পুলিশ লাঠিপেটা করেছে। শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, এদিন ইমরানের (Imran Khan) বাড়ির দখল নিয়েছে পুলিশ। সে খবর পেয়ে ফের একটি ট্যুইট করেন ইমরান। লেখেন, এরই মধ্যে পঞ্জাব পুলিশ জামান পার্কে আমার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। সেখানে আমার স্ত্রী বুশরা বিবি একা রয়েছেন। কোন আইনে তারা এটা করছে? এটি লন্ডন পরিকল্পনার একটি অংশ। সেই পরিকল্পনায় পলাতক নওয়াজ শরিফকে একটি নিয়োগে সম্মত হওয়ার বিনিময়ে ক্ষমতায় আনার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manish Kothari: দাম শুনলে চোখ কপালে উঠবে! মণীশের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ

    Manish Kothari: দাম শুনলে চোখ কপালে উঠবে! মণীশের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি ছিলেন তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) হিসাবরক্ষক। তৃণমূলের এই নেতার সংস্পর্শে এসে তিনিও বাড়িয়ে নিয়েছেন তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ। যা দেখে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় ইডির তদন্তকারীদের। গরু পাচারের টাকায় ওই সব সম্পত্তি মণীশ কোঠারি (Manish Kothari) কিনে থাকতে পারেন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। শান্তিনিকেতন থানার রূপপুরের বিভিন্ন এলাকায় মণীশের নামে ১৫ বিঘে জমির খোঁজ মিলেছে। ওই পরিমাণ জমির বাজারমূল্য প্রায় ১৫ কোটি টাকা। ইডির দাবি, অনুব্রতর গরু পাচারের কালো টাকা এভাবেই সাদা করা হয়েছে। ২০১৬ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে জমিগুলি কেনা হয়েছে।

    ইডির তলব…

    গরু পাচার মামলায় অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পর ইডি তলব করে তাঁর ঘনিষ্ঠদের। সেভাবেই ডেকে পাঠানো হয়েছিল মণীশকে। মঙ্গলবার টানা প্রায় ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, বেশ কিছু বিষয়ে অনুব্রতর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন মণীশ। জানিয়েছেন অনেক তথ্য।

    অনুব্রতর হিসাবরক্ষকের কাজ করার পাশাপাশি তাঁকে বুদ্ধিও জোগাতেন মণীশ (Manish Kothari)। কোন সম্পত্তিতে কীভাবে টাকা বিনিয়োগ করলে, কালো টাকা সাদা হয়ে যাবে, সেসব পরামর্শ অনুব্রতকে দিতেন মণীশই। এই মণীশেরই পরামর্শে মেয়ের নামে একাধিক ভুয়ো সংস্থা বানিয়েছেন অনুব্রত। ইডির দাবি, রূপপুর, গোপালনগর, কঙ্কালীতলা, দ্বারকানাথপুর, সুরুল সহ বোলপুরের প্রায় সব মৌজাতেই মণীশের জমি রয়েছে। রূপপুরের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, স্থানীয় আদিবাসীদের কাছ থেকে জোর করে ওই সব জমি দখল করেছেন মণীশ। এক্ষেত্রেও কাজে লাগানো হয়েছে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতির প্রভাব। ইডির দাবি, গরু পাচারের প্রোটেকশন মানি হিসেবে অনুব্রত যে কোটি কোটি টাকা পেয়েছেন, সেই টাকাই মণীশের নামে জমি কেনায় কাজে লাগানো হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে শান্তনুর বিপুল সম্পত্তির হদিশ! শনিবার হুগলির বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি ইডির

    এদিকে, গত বুধবার দিল্লিতে ইডির অফিসে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের। আরও কিছুদিন সময় চেয়ে নিয়েছেন তিনি। আগামী ২০ মার্চের মধ্যে তাঁকে ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে। অনুব্রত, মণীশ (Manish Kothari) এবং সুকন্যাকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA: ডিএ আন্দোলনকারীদের ডিজিটাল নন কো-অপারেশন শুরু, মঞ্চে নৌশাদও

    DA: ডিএ আন্দোলনকারীদের ডিজিটাল নন কো-অপারেশন শুরু, মঞ্চে নৌশাদও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বকেয়া ডিএ-র (DA) দাবি চলছে আন্দোলন। শহিদ মিনার চত্বরে গত ৫১ দিন ধরে ধর্না-অবস্থান করছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা (State Government Employees)। তাঁদের অনশন আন্দোলন চলছে ৩৭ দিন ধরে। আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও তীব্র করতে এবার ডিজিটাল নন কো-অপারেশনের (Digital Non Cooperation) পথে হাঁটলেন আন্দোলনকারীরা। তাঁরা জানান, বিভাগীয় দফতরের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আসা কোনও নির্দেশ পালন করবেন না তাঁরা। ব্যক্তিগত মোবাইল, ল্যাপটপেও ডেটা খরচ করে আর কোনও কাজ করা হবে না। কোনও নির্দেশ দেওয়ার প্রয়োজন হলে তা অফিসিয়ার মেইল মারফত জানাতে হবে। অফিসের নির্ধারিত সময়ের বাইরে কোনও কাজও তাঁরা করবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন।

    ডিএ (DA) আন্দোলনকারীদের বক্তব্য…

    সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত কাজের সময়। এই আবহে অফিসের বাইরে অনলাইন মিটিং করবেন না আন্দোলনকারীরা। মিড-ডে মিলের খতিয়ান জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাড়ি বসে কাজ করতে হয় শিক্ষকদের। আজ, শনিবার থেকে সে সবও বন্ধ। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের (DA) তরফে জানানো হয়েছে, অফিস টাইম শেষ হয়ে গেলেও, পরীক্ষা শেষে খাতা স্কুল থেকে পাঠিয়ে দেওয়ার কাজ করবেন শিক্ষকরা।

    এদিকে, আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার বার্তা দিতে এদিন শহিদ মিনার চত্বরে ধর্নামঞ্চে অনশনে বসেন ভাঙড়ের বিধায়ক আইএসএফের নৌশাদ সিদ্দিকি। ৪২ দিন পর জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন নৌশাদ। তখনই তিনি ডিএ আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন। এদিন ধর্নামঞ্চে গিয়ে তিনি বলেন, এখন শুধু কলকাতায় এই আন্দোলন চলছে। আগামিদিনে বাংলার গ্রামাঞ্চলেও এই আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে হবে।

    আরও পড়ুুন: যত মত তত পথ! ‘‘উপাসনার অনেক পদ্ধতি, লক্ষ্য একটাই’’, বললেন মোহন ভাগবত

    প্রসঙ্গত, বকেয়া ডিএর (DA) দাবিতে ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি টানা দু দিন সরকারি দফতরে কর্মবিরতি পালন করেছিলেন আন্দোলনকারী সরকারি কর্মীরা। ১০ মার্চ রাজ্যজুড়ে ধর্মঘট পালন করেন। তার পরেও ডিএ-র দাবি মেনে নেওয়া হয়নি সরকারের তরফে। বকেয়া ডিএ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, কত চাই? কত দিলে সন্তুষ্ট হবেন? দয়া করে আমার মুণ্ডটা কেটে নিন, তাহলে যদি আপনারা সন্তুষ্ট হন। আমাকে যদি পছন্দ না হয়, তাহলে আমার মুণ্ডটা কেটে নিন। কিন্তু এর থেকে বেশি আমার থেকে আর পাবেন না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • TMC: শিয়রে পঞ্চায়েত-লোকসভা ভোট! তাই কি সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে মরিয়া তৃণমূল?

    TMC: শিয়রে পঞ্চায়েত-লোকসভা ভোট! তাই কি সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে মরিয়া তৃণমূল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  শুক্রবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) দাবি করেছেন, এখনও সুরক্ষিত আছে সংখ্যালঘু ভোট। কিন্তু, সদ্য সমাপ্ত সাগরদিঘি বিধানসভা উপ-নির্বাচনের ফল কিন্তু অন্য ইঙ্গিত দিচ্ছে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে কি থাবা বসিয়েছেন বিরোধীরা? মুসলিম ভোটাররা সরে যাচ্ছেন তৃণমূলের (TMC) পাশ থেকে? দলীয় সূত্রে খবর, বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত খোদ তৃণমূল সুপ্রিমোও। আর এই পরাজয়ের জেরেই ব্যাপক রদবদল ঘটানো হয়েছে তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলে।

    সংখ্যালঘু ভোট সুরক্ষিত?

    শুক্রবার, কালীঘাটে (Kalighat) বসেছিল দলের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বৈঠকে যোগ দেননি উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের বর্ষীয়ান তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। যদিও, এর পরেও সংখ্যালঘু ভোট সুরক্ষিত বলে বৈঠকে দাবি করেন মমতা। বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘সংখ্যালঘুরা আমাদের সঙ্গে আছে, সংখ্যালঘু ভোট কমেনি।’’ তবে দলীয় সূত্রের খবর, মুখে যাই বলুন না কেন তৃণমূলনেত্রী, মুসলিম ভোটের একাংশ যে শাসক দলের থেকে দূরে সরে গিয়েছে, তা ভালই টের পেয়েছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। প্রমাণ স্বরূপ, সাগরদিঘি উপ-নির্বাচনে গতবারের তুলনায় অনেকটাই ভোট কমেছে তৃণমূলের (TMC)। ২ বছরে ভোটপ্রাপ্তির হার ৫০.৯৫ থেকে ৩৪.৯৩ শতাংশে নেমে এসেছে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৫০,২০৬ ভোটে তৃণমূল জিতেছিল সাগরদিঘিতে। সেখানে তারা এ বার হেরেছে ২২ হাজারেরও বেশি ভোটে।

    সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি বদল

    সাগরদিঘি উপ-নির্বাচনে হার যে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে অস্বস্তি ও উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছিল, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে দলের সিদ্ধান্তে। উপ-নির্বাচনের পরেই, সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক নিশ্চিত করতে একের পর এক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ফল প্রকাশের পরে হারের কারণ জানতে পাঁচজনের কমিটি তৈরি করেন তৃণমূলনেত্রী। পাশাপাশি, ফুরফুরা শরিফের দায়িত্ব ফিরহাদ হাকিমের থেকে নিয়ে বিধায়ক তপন দাশগুপ্তকে দেন। আর শুক্রবারের বৈঠকে একাধিক বদলের ঘোষণা করেন মমতা। দলে সংখ্যালঘু মুখদের গুরুত্ব বাড়ানো হয়েছে। যেমন, দলের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি বদলে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এত দিন এই পদে ছিলেন হাড়োয়ার বিধায়ক হাজি নুরুল ইসলাম। তাঁর জায়গায় মমতা নিয়ে এলেন দলের যুব নেতা তথা ইটাহারের বিধায়ক মোশারফ হোসেনকে। মোশারফ উত্তর দিনাজপুর জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতিও। হাজি নুরুলকে সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ওই সেলের চেয়ারম্যান পদের। সেই পদে এত দিন ছিলেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। 

    আরও পড়ুুন: ‘রাহুল গান্ধী দেশ-বিরোধী টুলকিটে পরিণত হয়েছেন’, কংগ্রেসকে নিশানা নাড্ডার

    তবে, গুরুত্ব বাড়ানো হয়েছে গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লারও। তাঁকে মুর্শিদাবাদ ও মালদহ জেলার সংগঠন দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সিদ্দিকুল্লাকে সহযোগিতা করতে দলের আরও দুই সংখ্যালঘু নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এঁরা হলেন মোথাবাড়ির বিধায়ক তথা রাজ্যের সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন এবং রাজ্যসভার সাংসদ নাদিমুল হক। হাজি নুরুলকে সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি থেকে চেয়ারম্যান করার পাশাপাশি বসিরহাট জেলার তৃণমূলের (TMC) চেয়ারম্যানের পদে রাখা হয়েছে।

    মমতার শুক্রবারের ঘোষণাগুলো কার্যত প্রমাণ করে যে, সাগরদিঘির উপ-নির্বাচনের ফলে শাসক শিবির থরহরিকম্পমান। তাই এখন আসন্ন পঞ্চায়েত ও ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক ফেরাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে শাসক দল। এখন দেখার, এই রদবদলের কী প্রভাব পড়ে বা আদৌ কোনও প্রভাব পড়ে কি না!

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • JP Nadda: ‘রাহুল গান্ধী দেশ-বিরোধী টুলকিটে পরিণত হয়েছেন’, কংগ্রেসকে নিশানা নাড্ডার

    JP Nadda: ‘রাহুল গান্ধী দেশ-বিরোধী টুলকিটে পরিণত হয়েছেন’, কংগ্রেসকে নিশানা নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক কংগ্রেস দলটা দেশবিরোধী কাজে জড়িয়ে পড়ছে। দেশবাসীর দ্বারা বারবার প্রত্যাখাত হয়ে রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) এখন দেশবিরোধী টুলকিটের স্থায়ী অংশে পরিণত হয়েছেন। শুক্রবার এই ভাষায়ই কংগ্রেস (Congress) সাংসদ রাহুল গান্ধীকে নিশানা করলেন বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। লন্ডনে রাহুলের সাম্প্রতিক মন্তব্যের তীব্র সমালোচনাও করেন তিনি। রাহুলের এহেন মন্তব্যের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার দাবিও জানান নাড্ডা।

    রাহুলের বক্তব্য…

    প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে ব্রিটেনে গিয়ে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন রাহুল। সেখানে তিনি ভারতের গণতন্ত্র নিয়ে বলতে গিয়ে বলেন, সকলে জানে ভারতের গণতন্ত্র আক্রমণের মুখে পড়ে কীভাবে বিপন্ন। আমি দেশের বিরোধী নেতা, কিন্তু বিরোধী পরসর খুঁজতে হাতড়ে বেড়াতে হচ্ছে। এর পরেই রাহুলের বিরুদ্ধে সুর চড়ায় বিজেপি। রাহুলের এই মন্তব্যের জেরে গত কয়েক দিন ধরে উত্তাল হয়েছে সংসদও। টুলকিট হল এমন একটি মাধ্যম যেখানে নিজের মতামত বা পরিকল্পনাকে লিখিত ও ভিডিও-র মাধ্যমে সহজে শেয়ার করা যায়। যা এক ধরনের মাইক্রো ওয়েবসাইট যেখানে কোনও একটি বিষয়ে ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক বক্তব্য বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।

    বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি (JP Nadda) বলেন, রাহুলের মন্তব্য দেশের নির্বাচিত সরকার ও ১৩০ কোটি দেশবাসীকে অপমান করেছে। তাঁর প্রশ্ন, রাহুলের মন্তব্য দেশদ্রোহীদের হাত শক্ত করেনি? বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে রাহুল গান্ধী বলছেন ভারতে গণতন্ত্র শেষ হয়ে গিয়েছে। এবং দেশে গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধারে ইউরোপ ও আমেরিকার সাহায্যও চেয়েছেন তিনি। এর থেকে লজ্জার আর কী হতে পারে! ভারত যে ক্রমেই শক্তিশালী একটি রাষ্ট্র হিসেবে নিজেকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছে, এদিন সেকথা মনে করিয়ে দিয়ে নাড্ডা (JP Nadda) বলেন, ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। জি-২০-র বৈঠক হচ্ছে এ দেশে। আর রাহুল গান্ধী বিদেশের মাটিতে গিয়ে দেশ ও সংসদের অপমান করছেন। পাকিস্তান ও গান্ধী পরিবার কেন এক সুরে কথা বলছে, এদিন সে প্রশ্নও তোলেন নাড্ডা। জর্জ সোরেস (মার্কিন ধনকুবের) এবং রাহুল গান্ধী কেন একই ভাষায় কথা বলেন? প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি।

    আরও পড়ুুন: যত মত তত পথ! ‘‘উপাসনার অনেক পদ্ধতি, লক্ষ্য একটাই’’, বললেন মোহন ভাগবত

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

      

  • Smuggling: বিশ্ববাংলা লোগো দেওয়া কুপন নিয়ে বালি পাচার! কোথায় জানেন?

    Smuggling: বিশ্ববাংলা লোগো দেওয়া কুপন নিয়ে বালি পাচার! কোথায় জানেন?

     মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ কিছুদিন আগেই তৃণমূলের পতাকা গাড়িতে রেখে গরু পাচার (Smuggling) করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায়। সোদপুরে বিটি রোডে ট্রাফিক মোড়ের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই ট্রাকে বিশ্ব বাংলা লোগোর কুপন  ব্যবহার করে দেদার বালি পাচার (Smuggling)  করছে বালি মাফিয়ারা। বিরোধীদের বক্তব্য, গরু পাচারকারী, বালি মাফিয়ারা বুঝে গিয়েছে, তৃণমূলের পতাকা, বিশ্ব বাংলা লোগো ব্যবহার করলে পুলিশ তাদের ছুঁতে পারবে না। কিন্তু, পরিবহণ দপ্তরের পক্ষ থেকে একটি বালি বোঝাই গাড়়ি আটকাতেই আধিকারিকদের চক্ষু চড়কগাছ। বালি গাড়ির চালকের কাছে থেকে বিশ্ব বাংলা লোগো দেওয়া কুপন উদ্ধার হয়। তাতে লেখা রয়েছে, ওয়েষ্ট বেঙ্গল পরিবহণ ডিপার্টমেন্ট সুরক্ষা কমিটি পরিষেবা’। খোঁজখবর নিয়ে দেখা যায় গোটাটাই ভুয়ো। এমন কোনও কুপন সরকার চালু করেনি।

    কীভাবে এই জালিয়াতি ধরল প্রশাসন? Smuggling

     গত কয়েকদিন ধরে ওভারলোড গাড়িতে বালি পাচার (Smuggling)  রুখতে সক্রিয় পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। পরিবহণ দপ্তরের আধিকারিকরা ওভারলোড আটকাতে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে। রাস্তায় অভিযান চালানোর সময় সন্দেহ হওয়ায়  শক্তিগড়ে একটি  বালি ভর্তি ওভারলোড ট্রাককে আটকানো হয়। তাতে গাড়ির চালক আধিকারিকদের সামনে রীতিমতো মেজাজ দেখায় বলে অভিযোগ। তার কাছে সরকারি অনুমতি আছে বলে সে দাবি করে। কারণ, বিশ্ব বাংলা লোগো দেওয়া কুপন থাকলে কেউ ধরবে না, তা আগেই জানত ওই চালক। তাই, সে প্রশাসনের আধিকারিকদের কিছুটা মেজাজও দেখিয়ে বিশ্ব বাংলা লোগো দেওয়া ওই কুপন দেখায়।  আধিকারিকরা বুঝতে পারে, সমস্ত বিষয়টি ভুয়ো। গাড়িটি তারা আটক করে। আর বালি বোঝাই ট্রাকটি বীরভূমের ইলামবাজার হয়ে কলকাতা যাচ্ছিল। ফলে, আশপাশের জেলাকেও এই বিষয়ে সতর্ক করা হয়। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তদন্তে নামে পুলিশ। পরিবহণ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ভুয়ো বিশ্ববাংলা লোগো বসানো প্যাড বানানোর মূল পান্ডাকে মুম্বাই থেকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ আরও জানতে পারে, বসিরহাটের এক ব্যক্তি এই ভুয়ো প্যাড তৈরি করেছিল। সে ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে তা এক বালি মাফিয়ার হাতে তুলে দেয়। সেই ব্যক্তি বালি মাফিয়াকে জানায়, যে এই  বিশ্ব বাংলা লোগো দেওয়া কুপন দেখালে কোন জায়গায় পরিবহণ দপ্তর বা পুলিশ তাদের গাড়ি আটকাবে না।

    এই বিষয়টি জানাজানি হতেই রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। জেলা কংগ্রেসের নেতা গৌরব সমাদ্দার বলেন, এ রাজ্যে দুর্নীতি নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।  পিসি ভাইপোর রাজত্বে এমনটা হয়েই চলেছে।  বিজেপির জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা বলেন, জেলায় বালি কয়লা সব পাচারেই (Smuggling)  তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ স্পষ্ট হচ্ছে। শাসকদলের মদতেই বালিপাচারের এই দুর্নীতির এই চক্র চলছে। অন্যদিকে, রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র  দেবু টুডু বলেন, সরকার এ ধরণের কুপন ছাপায় না। সরকারের বদনাম করার জন্য একাজ করা হয়েছে।  বিজেপি নেতারাই এই কারবারে যুক্ত। পুলিশ তদন্তে নেমেছে। সব স্পষ্ট হয়ে যাবে। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধারা বলেন, এ জেলা থেকেই সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়। এই কুপনের ব্যাপারে যা যা করার করা হবে। এ জিনিস চলতে দেওয়া যাবে না। প্রশাসনিক স্তরে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nabanna: বিজেপির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগ শুভেন্দুর, নবান্নের রিপোর্ট তলব কেন্দ্রের

    Nabanna: বিজেপির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগ শুভেন্দুর, নবান্নের রিপোর্ট তলব কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি মিথ্যা মামলা। এ নিয়ে কিছু দিন আগে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) চিঠি লিখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi)। তাতে তিনি লিখেছিলেন, রাজ্যে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সরকার ভুয়ো মামলা করছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার সেই চিঠির প্রেক্ষিতে এবার নবান্নে (Nabanna) মুখ্যসচিবের কাছে চিঠি পাঠাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। অভিযোগ খতিয়ে দেখে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে দ্রুত রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নে পাঠানো ওই চিঠিতে।

    নবান্নের (Nabanna) রিপোর্ট তলব…

    রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের এই রিপোর্ট তলব যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ। এর আগেও রাজ্যের বিরুদ্ধে নানা বিষয়ে কেন্দ্রের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। মিড-ডে মিলে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। তা নিয়ে কেন্দ্রকে চিঠিও লিখেছিলেন। তার জেরে রাজ্যে জয়েন্ট রিভিউ মিশন পাঠিয়ে পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। এবারও শুভেন্দুর চিঠির প্রেক্ষিতে নবান্নকে (Nabanna) চিঠি দিল কেন্দ্র।

    কেবল শুভেন্দুর বিরুদ্ধেই গুচ্ছ মামলা দায়ের করেছে রাজ্য পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশের কত মামলা, তার একটি তালিকা গত ডিসেম্বরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে দিয়েছিলেন শুভেন্দু স্বয়ং। সংসদ ভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: ২০১৮ সালে বিজেপি প্রার্থীর ‘কপালে পিস্তল ঠেকিয়ে’ মনোনয়ন প্রত্যাহার করিয়েছিলেন শান্তনু!

    তাঁর বিরুদ্ধে হয়ে চলা একের পর এক এফআইআরের বিরুদ্ধে হাইকোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আদালতের কাছে তাঁর আবেদন ছিল, হয় এফআইআরগুলি খারিজ করে দেওয়া হোক, নয়তো অভিযোগের তদন্ত করুক সিবিআই। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার পর্যবেক্ষণ, শুভেন্দু রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি মানুষের ভোটে নির্বাচিত। পুলিশ (Nabanna) নিজে অথবা অন্য কারও নির্দেশে তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ এনে জনগণের প্রতি বিরোধী দলনেতার কর্তব্য স্তব্ধ করার চেষ্টা করছে। বস্তুত, শুভেন্দুকে রক্ষাকবচ দিয়েছিল হাইকোর্ট। তার পরেও কীভাবে এত এফআইআর তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হয়, সে বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share