Tag: bangla news

bangla news

  • Pakistan Army: ভুল তথ্য দিচ্ছে পাক-সেনা, ২১৪ পণবন্দি হত, দাবি বালোচ বিদ্রোহীদের

    Pakistan Army: ভুল তথ্য দিচ্ছে পাক-সেনা, ২১৪ পণবন্দি হত, দাবি বালোচ বিদ্রোহীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত মঙ্গলবারই ৪০০ জনেরও বেশি যাত্রীবাহি একটি ট্রেন হাইজ্যাক করে বালোচ বিদ্রোহীরা (Balochistan Liberation Army)। এরপরেই পাকিস্তান সরকারের তরফ থেকে দাবি করা হয় যে ৩৩ জন বালোচ বিদ্রোহীকে তারা হত্যা করতে পেরেছে। যদিও পাকিস্তানের (Pakistan Army) এই দাবিকে সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছে বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি। তারা জানিয়েছে, এমন বিবৃতি সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা। গত বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ১৩ মার্চ এই মর্মে বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, পাকিস্তানি সেনার সঙ্গে তাদের তীব্র লড়াই অব্যাহত রয়েছে। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখেও পড়তে হয়েছে বলে দাবি বিদ্রোহীদের। তাদের এও দাবি যে ২১৪ জন পণবন্দি পাক সেনাকে হত্যা করেছে তারা। এই পণবন্দিদের হত্যার দায় তারা চাপিয়েছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর ওপরে।

    আলোচনায় না বসে পণবন্দিদের মৃত্যুকে নিশ্চিত করেছে পাক সেনা, তোপ বালোচ বিদ্রোহীদের

    এক্ষেত্রে বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি বলছে যে পাকিস্তান (Pakistan Army) সেনাবাহিনী তাদের সঙ্গে কখনও আলোচনায় বসতে চায়নি, যদি তারা আলোচনায় বসত, তাহলে এমনটা হত না। অর্থাৎ পণবন্দিদের মৃত্যুর দায় একেবারে পাকিস্তানের সেনার ওপরেই চাপাচ্ছে বালোচ বিদ্রোহীরা। প্রসঙ্গত, বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মির মুখপাত্র হলেন জিয়ান বালোচ। তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘‘পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকে আমরা যে ৪৮ ঘণ্টা সময়সীমা দিয়েছিলাম। তারা সেটাকে উপেক্ষা করেছে। এই কারণেই এর ফল ভুগতে হয়েছে ওই রেল যাত্রীদের অর্থাৎ পণবন্দিদের। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর এমন উপেক্ষার কারণেই মৃত্যু হয়েছে ওই পণবন্দিদের।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘৪৮ ঘণ্টার সময় সীমার মধ্যে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী তাদের দেশের নাগরিকদেরকে বাঁচাতে পারত। কিন্তু তারা সেটা করেনি।’’ একইসঙ্গে পাকিস্তান (Pakistan Army) সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে বিএলএ মুখপাত্র জিয়ান বালোচ আরও বলেন, ‘‘পাকিস্তান প্রথম থেকেই একগুঁয়ে মনোভাব ঔদ্ধত্য ও স্পর্ধা দেখিয়ে গিয়েছে। যেমনটা তারা চিরকাল করে এসেছে। তারা এড়িয়ে গিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনাগুলি। তাদের এই ধরনের কার্যকলাপের কারণেই তারা বাস্তবতাকে বুঝতে পারেনি। আর এটা না বোঝার কারণে ২১৪ জন পনবন্দিকে তারা মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে।’’

    শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে শহিদ হওয়া বালোচ বিদ্রোহীদের উদ্দেশে

    একই সঙ্গে বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি পাকিস্তানি (Pakistan Army) সেনার সঙ্গে যুদ্ধে তাদের যে সমস্ত সদস্যরা নিহত হয়েছেন, তাঁদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। বিএলএ-এর মুখপাত্র এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানিয়েছেন যে তাঁদের বারো জন মুক্তিযোদ্ধার প্রতি তাঁরা শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর (Pakistan Army) সঙ্গে যুদ্ধে শহিদ হওয়া ১২ জন মুক্তিযোদ্ধার প্রতি আমরা শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। যাঁরা শত্রুর বিরুদ্ধে এক অসাধারণ যুদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছে। এই অবিস্মরণীয় যুদ্ধের কারণেই তাঁদের প্রতি আমরা শ্রদ্ধা জানাই। বুধবার রাতে তিনজন মুক্তিযোদ্ধা শহিদ হন। বৃহস্পতিবার রাতে আরও চারজন যোদ্ধা প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়াও মাজিদ ব্রিগেডের পাঁচ জন আত্মঘাতী বাহিনীর সদস্য প্রাণ উৎসর্গ করেছেন। তাঁরা শত্রুপক্ষকে উচিত জবাবও দিতে পেরেছেন। যার কারণে ইতিহাস তাঁদের সর্বদা মনে রাখবে।’’ বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মির তরফ থেকে আরও দাবি করা হয়েছে যে তারা আন্তর্জাতিক আইন সীমার মধ্যেই কাজ করছেন।

    ভুল তথ্য দিচ্ছে পাক সেনা!

    গত মঙ্গলবার, গুদালার এবং পিরু কুনরির কাছে মাশকাফ টানেলের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেস। এই ট্রেন অপহরণ করে বিএলএ। জানা গিয়েছে, ট্রেনটি বালোচিস্তানের রাজধানী কোয়েটা থেকে আসছিল। গত বুধবার অর্থাৎ ১২ মার্চ পাকিস্তানি সেনাবাহিনী হাইজ্যাক করা জাফর এক্সপ্রেস থেকে সমস্ত পণবন্দিদের উদ্ধার অভিযান শেষ হয়েছে বলে ঘোষণা করে। বিবৃতিতে বলা হয় অভিযানের সময় ৩৩ জন বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন এবং ২১ জন যাত্রী এবং ৪ জন পাকিস্তানি সেনা সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন। ট্রেনটিতে মোট ৪৪০ জন ছিলেন বলে জানায় পাক সেনা। কিন্তু পাক সেনার দাবি কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উড়িয়ে দেয় বিএলএ। তাদের বক্তব্য ছিল, জাফর এক্সপ্রেস অভিযানে পাক সেনা চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছে। নিজেদের সম্মান রক্ষার্থে তাই তারা বাস্তবকে অস্বীকার করছে এবং ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে পাক সেনা। জানা গিয়েছে, বালোচ বিদ্রোহীরা সাধারণ যাত্রীদের মানবঢাল হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন। বিস্ফোরক ভর্তি জ্যাকেট পরে যাত্রীদের মধ্যে মিশে গিয়েছিলেন বেশ কিছু বালোচ বিদ্রোহী। তার ফলে পাক বাহিনীকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় ওই অভিযানে। উদ্ধারকাজ নিয়ে তৈরি হয় জটিলতা। তবে পাক নিরাপত্তা বাহিনী (Pakistan Army) পরে জানায়, স্নাইপার বাহিনীকে কাজে লাগিয়ে বিদ্রোহীদের কৌশলকে ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে। পরে অবশ্য জাফর এক্সপ্রেস অপহরণের নেপথ্যে আফগানিস্তানের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু সেখানকার তালিবান সরকার সাফ জানিয়ে দেয়, এই ঘটনায় তাদের আদৌ কোনও যোগ নেই।

  • Birbhum News: দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের জের, সাঁইথিয়ার পাঁচ গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৭ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ ইন্টারনেট

    Birbhum News: দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের জের, সাঁইথিয়ার পাঁচ গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৭ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ ইন্টারনেট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত বীরভূমের সাঁইথিয়া (Birbhum News)। এরই জেরে এলাকায় বন্ধ করে দেওয়া হল ইন্টারনেট পরিষেবা। রাজ্য সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১৭ মার্চ পর্যন্ত এই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে। এই নির্দেশ রাজ্য সরকারের স্বরাষ্ট্র এবং পার্বত্য বিষয়ক বিভাগের প্রধান সচিবের তরফ থেকে জারি করা হয়েছে। রাজ্যের প্রশাসনিক আধিকারিকরা ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, মূলত গুজব ছড়ানো এবং অবৈধ কার্যকলাপকে রুখতেই গতকাল অর্থাৎ ১৪ মার্চ থেকে এই ব্যবস্থা কার্যকর হয়েছে। বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী গতকাল দোলের দিন এই অশান্তি শুরু হয়। এখনও পর্যন্ত প্রশাসন এই ঘটনার জেরে ২০ জনকে আটক করেছে বলেছে জানা গিয়েছে।

    কী বলা হল সরকারি নির্দেশিকায় (Birbhum News)

    সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, টেলিযোগাযোগ আইন ২০২৩-এর অধীনে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। মূলত দোলের দিন পাথর ছোড়াকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে বীরভূমের সাঁইথিয়ার (Sainthia) একাধিক এলাকা। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে এমন সংঘর্ষের কারণে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয় ওই অঞ্চলগুলিতে। বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। এরপরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় প্রচুর পুলিশ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওই এলাকাগুলিতে প্রচুর পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

    কোন কোন গ্রাম পঞ্চায়েত থাকছে এর আওতায়?

    পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে, যেকোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এবং গুজব যাতে না ছড়ায় সেই উদ্দেশে এমন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। নির্দেশিকায় (Birbhum News) স্পষ্ট বলা হয়েছে, ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকলেও ভয়েস কল এবং এসএমএস পরিষেবাগুলি স্বাভাবিক থাকবে। অর্থাৎ সাধারণ ফোন কল বা এসএমএস করতে পারবেন ওই অঞ্চলের মানুষজন। জানা গিয়েছে, সাঁইথিয়ার (Birbhum News) হাটোরা গ্রাম পঞ্চায়েত, মঠ পালসা গ্রাম পঞ্চায়েত, হরিসারা গ্রাম পঞ্চায়েত, দারিয়াপুর গ্রাম পঞ্চায়েত, এবং ফুলুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে।

  • Pakistan Train Hijack: বালোচ আন্দোলনের জন্য দায়ী জিন্নার বিশ্বাসঘাতকতা!

    Pakistan Train Hijack: বালোচ আন্দোলনের জন্য দায়ী জিন্নার বিশ্বাসঘাতকতা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন তিনেক আগে পাকিস্তানের বালোচিস্তানে হাইজ্যাক (Pakistan Train Hijack) করা হয়েছিল জাফর এক্সপ্রেস। পণবন্দি করা হয়েছিল বহু যাত্রীকে। পাকিস্তানের অভিযোগ, জাফর এক্সপ্রেস অপহরণের ছক কষা হয়েছে আফগানিস্তান থেকে (Baloch Movement)। ট্রেন অপহরণের পর থেকেই এমনই অভিযোগ ও দাবি তুলেছে পাকিস্তান। ইসলামাবাদের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যে বলে পাল্টা দাবি তালিবানের।

    বালোচিস্তান (Pakistan Train Hijack)

    পাকিস্তানের চারটি প্রদেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় ও কম জনবহুল এলাকা বালুচিস্তান। ১১ মার্চ এখান থেকেই জাফর এক্সপ্রেস ছিনতাই করেছিল বালোচ বিদ্রোহীরা। পণবন্দি করা হয়েছিল নিরাপত্তা কর্মী-সহ ১০০ জন যাত্রীকে। এই বিদ্রোহের মূল কারণ বালোচবাসীর সঙ্গে পাকিস্তানের জনক মহম্মদ আলি জিন্নার বিশ্বাঘাতকতা। ১৯৪৭ সালের ১৪ অগাস্ট জন্ম হয় পাকিস্তানের। তার ঠিক পরের বছর থেকেই সদ্যোজাত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হাতে অস্ত্র তুলে নেন বালোচ জাতীয়তাবাদীরা। তারপর থেকে অশান্তি লেগেই রয়েছে পাকিস্তানের এই অংশে। ব্যাপক হিংসার ঘটনা ঘটেছে ১৯৫৮-৫৯, ১৯৬২-৬৩, ১৯৭৩-৭৭ সালে। ২০০৩ সাল থেকে প্রায়ই ঘটছে হিংসার ঘটনা।

    হাইজ্যাক আস্ত এক্সপ্রেস ট্রেন

    চমকে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটল গত ১১ মার্চ। এদিন বালুচ বিদ্রোহীরা হাইজ্যাক করে আস্ত একটা এক্সপ্রেস ট্রেন। পণবন্দি করা হয় যাত্রীদের। বালুচিস্তান একটি শুষ্ক এলাকা (Pakistan Train Hijack)। খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ। ঐতিহাসিকভাবে পাকিস্তানের পাঞ্জাব-প্রভাবিত রাজনীতির দ্বারা উপেক্ষিত এলাকা। বালুচবাসী অর্থনৈতিকভাবে নিপীড়িত। তাদের খনিজ সম্পদ আহরণ করে কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থায়নে ব্যবহার করা হয়েছে। অভিজ্ঞ মহলের মতে, বালুচবাসীর অসন্তোষের অন্যতম কারণ এটাই। বালুচবাসীর অসন্তোষের অন্যতম লক্ষ্য হল গওদর বন্দর। চিনের সহায়তায় এই বন্দরের উন্নয়ন করছে পাকিস্তান। বালুচ বিদ্রোহীরা চিনা কর্মীদর ওপর আক্রমণ চালিয়েছে। প্রসঙ্গত, গওদর বন্দরটি চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের একটা অংশ।

    রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের সাক্ষী

    ‘দ্য ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স রিভিউ’য়ে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “বালোচ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের নেতৃত্ব বিভক্ত। ফলস্বরূপ, বালোচ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন তার লক্ষ্য বা কৌশলের ক্ষেত্রে একক নয়।” সশস্ত্র বিদ্রোহের সর্বশেষ পর্বটি শুরু হয় ২০০৪ সালে। ২০০৬ সালে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে প্রভাবশালী বালোচ নেতা আকবর খান বুগতি নিহত হওয়ার পর এটি আরও তীব্রতা পায় (Baloch Movement)। বুগতি বেশি স্বায়ত্তশাসন, সম্পদের নিয়ন্ত্রণ এবং বালুচিস্তানের প্রাকৃতিক গ্যাস আয় থেকে ন্যায্য ভাগ দাবি করছিলেন। প্রসঙ্গত, এর আগে সাতের দশকে বালোচবাসী বিদ্রোহের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের সাক্ষী হয়েছিলেন (Pakistan Train Hijack)।

    রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের সাক্ষী

    ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার দাবিতে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে। ওই বছরই স্বাধীনতা লাভ করে বাংলাদেশ। তার পরেই অক্সিজেন পান বালোচবাসী। বালোচিস্তানে ন্যাশনাল আওয়ামি পার্টির নেতারা স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে উদ্দীপিত হয়েছিলেন। একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, মারি, মেঙ্গল এবং বুগতি গোত্রপ্রধানদের নেতৃত্বে প্রায় ৫৫ হাজার বালোচ যোদ্ধা ৮০ হাজার পাকিস্তানি সেনার বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল। পাকিস্তান বিমান বাহিনী বালোচিস্তানের বিভিন্ন গ্রামে বোমা বর্ষণ করে। তার ফলে নিহত হন হাজার হাজার সাধারণ বালোচবাসী। একাত্তরের সংঘর্ষ এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল যে ইরান আশঙ্কা করেছিল বালোচ জাতীয়তাবাদের প্রভাব তাদের এলাকায় হয়ত ছড়িয়ে পড়বে। সেই আশঙ্কায়, পাকিস্তানকে সামরিক সহায়তা দিয়েছিল তারা।

    বালোচ বিদ্রোহীদের জন্য মজুত করা অস্ত্র উদ্ধার

    ১৯৭৭ সালে জেনারেল জিয়াউল হক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ভুট্টোকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেন। পরে উপজাতিদের ক্ষমা ঘোষণা করা হয়। বালোচিস্তান থেকে প্রত্যাহার করা হয় সেনা। তার পরেই বালোচিস্তানে অবসান ঘটে সশস্ত্র সংগ্রামের। প্রথমে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলি ভুট্টো এই দাবিগুলো প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। তার জেরেই ঢেউ ওঠে প্রতিবাদের (Baloch Movement)। ১৯৭৩ সালে ভুট্টো বালুচিস্তানের প্রাদেশিক সরকার প্রধান আকবর খান বুগতিকে বরখাস্ত করেন। তিনি দাবি করেন, ইরাকি দূতাবাস থেকে বালোচ বিদ্রোহীদের জন্য মজুত করা অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এই অজুহাতে তিনি জানিয়ে দেন, বালুচিস্তানে হবে ব্যাপক সামরিক অভিযান। এরই ফলে একটি পূর্ণাঙ্গ সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু হয়। এই সংগ্রাম চলেছিল ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত, টানা চার বছর ধরে। এই ঘটনা চতুর্থ বালুচিস্তান সংঘাত নামে পরিচিত (Pakistan Train Hijack)।

    “ওয়ান ইউনিট” পরিকল্পনা

    ১৯৫৪ সালে পাকিস্তান চালু করে “ওয়ান ইউনিট” পরিকল্পনা। এর মাধ্যমে দেশটির প্রদেশগুলি পুনর্গঠিত করা হয়। এই পরিকল্পনায় বালোচিস্তানকে অন্যান্য প্রদেশের সঙ্গে একীভূত করা হয়। তার জেরে স্বায়ত্তশাসন খর্ব হয় বালোচিস্তানের। এতেই খেপে যান বালোচ নেতারা। ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয় নেতাদের মধ্যে। কালাতের খান, নওরোজ খান ১৯৫৮ সালে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। শুরু করেন পাকিস্তান বাহিনীর বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ। ১৯৫৯ সালে পাকিস্তান নওরোজ খানকে আত্মসমর্পণে রাজি করায়। সেজন্য পাক সরকার তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করে বলে অভিযোগ। তাঁকে ক্ষমা করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। যদিও আত্মসমর্পণ করার পর রুদ্রমূর্তি ধারণ করে তৎকালীন পাক সরকার। প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে তাঁকে ও তাঁর ছেলেদের গ্রেফতার করা হয়। মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় তাঁর পাঁচ আত্মীয়কে।

    ক্ষোভের আগুন উসকে দেয়

    পাক সরকারের এই বিশ্বাসঘাতকতা বালোচবাসীদের মধ্যে ক্ষোভের আগুন আরও উসকে দেয়। যার জেরে আরও জোরালো হয় স্বাধীনতাকামী আন্দোলন। তবে বালোচিস্তান বিদ্রোহ শুরুর বীজ অঙ্কুরিত হয় ১৯৪৭ সালে, পাকিস্তান যখন বিচ্ছিন্ন হয় ভারতের থেকে। বালোচিস্তান অঞ্চলটি আগে চারটি দেশীয় রাজ্য হিসেবে ছিল—কালাত, খারান, লাস বেলা এবং মাকরান। সেই সময় তাদের সামনে তিনটি বিকল্প ছিল—ভারতের সঙ্গে যোগদান, পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হওয়া, আর না হয় স্বাধীনতা বজায় রাখা। জিন্নার প্রভাবে তিনটি রাজ্য পাকিস্তানের সঙ্গে মিশে যায় (Pakistan Train Hijack)। কালাতের শাসক খান মীর আহমেদ ইয়ার খান, যিনি খান অব কালাত নামেও পরিচিত, তিনিই বেছে নেন স্বাধীনতা।

    জিন্নাকে তার আইনি উপদেষ্টা

    ১৯৪৬ সালে খান অব কালাত জিন্নাকে তার আইনি উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত করেন। তিনি যাতে ব্রিটিশ ক্রাউনের সামনে তাঁর মামলা উপস্থাপন করতে পারেন, তাই এই ব্যবস্থা। ১৯৪৭ সালের ৪ অগাস্ট দিল্লিতে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে বালোচবাসীর স্বাধীনতার সিদ্ধান্ত সমর্থিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন লর্ড মাউন্টব্যাটেন, খান অব কালাত এবং জওহরলাল নেহরু। ছিলেন জিন্না স্বয়ংও। জিন্নার জোরালো দাবির ফলে খারান ও লাস বেলাকে কালাতের সঙ্গে একীভূত করে একটি সম্পূর্ণ বালুচিস্তান গঠনের পরিকল্পনা করা হয় (Baloch Movement)। প্রসঙ্গত, বালোচরা কখনওই “ওয়ান ইউনিট” নীতিকে মেনে নেয়নি। পাঁচ বছরের মধ্যেই, ১৯৬৩ সালে বালুচিস্তানে তৃতীয় বালোচ বিদ্রোহ দেখা দেয়।

    বিদ্রোহের লক্ষ্য

    শের মুহাম্মদ বিজরানি মারির নেতৃত্বে, এই বিদ্রোহের লক্ষ্য ছিল বালোচিস্তানের গ্যাস সম্পদের রাজস্ব ভাগাভাগির জন্য পাকিস্তানের ওপর চাপ সৃষ্টি করা, “ওয়ান ইউনিট” পরিকল্পনার বিলুপ্তি এবং বালোচ বিদ্রোহীদের মুক্তি। এই বিদ্রোহ শেষ হয় ১৯৬৯ সালে সাধারণ ক্ষমার মাধ্যমে। বন্দি বালোচ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মুক্তি দেওয়া হয়। ১৯৭০ সালে “ওয়ান ইউনিট” নীতি বাতিল করার পর বালোচিস্তানকে পাকিস্তানের চারটি প্রদেশের একটি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। পরে অবশ্য স্বাধীনতা লাভ করে বালোচিস্তান। তবে সেটা মাত্র ২২৬ দিনের জন্য। পরে বালুচবাসীর ইচ্ছায় নয়, বরং জিন্নার বিশ্বাসঘাতকতা ও ইসলামাবাদের সামরিক শক্তির মাধ্যমে পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত হয়। ৭৫ বছর আগের এই বিশ্বাসঘাতকতা ও অঞ্চল (Baloch Movement) এবং জনগণের শোষণ আজও বালুচ জনগণের সশস্ত্র প্রতিরোধের মূল কারণ হিসেবে রয়ে গেছে (Pakistan Train Hijack)।

  • Railway Minister: ট্রেনে খাবারের মেনু ও মূল্য তালিকা দেখানো হবে যাত্রীদের, জানালেন রেলমন্ত্রী

    Railway Minister: ট্রেনে খাবারের মেনু ও মূল্য তালিকা দেখানো হবে যাত্রীদের, জানালেন রেলমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেলযাত্রীদের স্বচ্ছ ও মানসম্মত পরিষেবা অনেক ক্ষেত্রেই বহু ক্ষেত্রে প্রশংসিত। আবার কিছুক্ষেত্রে যাত্রীরা সমালোচনাও করেন। রেলের খাবার এবং তার নির্দিষ্ট দাম থাকে না বলে অনেকেই অভিযোগ করেন। তবে এবার থেকে আর তেমনটা হবে। উদ্যোগ নিল রেল। ট্রেনে পরিবেশিত খাবারের মেনু ও মূল্য তালিকা স্পষ্টভাবে প্রদর্শন করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে বলে জানিয়ছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Railway Minister)। লোকসভায় দেওয়া এক লিখিত উত্তরে রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, যাত্রীদের সুবিধার্থে আইআরসিটিসি ওয়েবসাইট ও এসএমএস-এর মাধ্যমে মেনু ও মূল্য তালিকা জানানো হচ্ছে। এছাড়াও, ট্রেনের ওয়েটারদের কাছে প্রিন্টেড মেনু কার্ড থাকবে। যাত্রীরা চাইলে তা দেখতে পারবেন। ট্রেনের প্যান্ট্রি কারেও এই মূল্য তালিকা দেখানো থাকবে।

    খাবারের মান হবে উন্নত (Railway Minister)

    পাশাপাশি, খাবারের মান নিশ্চিত করতেও নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। রেলমন্ত্রী (Railway Minister) বলেন, ‘‘নির্ধারিত বেস কিচেন থেকে খাবার সরবরাহ করা, আধুনিক বেস কিচেন চালু করা ও রান্নার প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণের জন্য সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।’’ খাবারের মানোন্নয়নে নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের কাঁচামাল ব্যবহারেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। যেমন- নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের তেল, চাল, আটা, ডাল, মশলা, দুধ ও পনির ইত্যাদি। এ ছাড়াও, প্রতিটি বেস কিচেনে খাদ্য নিরাপত্তা তদারকি করতে ফুড সেফটি সুপারভাইজারদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে খবর। যাঁরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যবিধি পর্যবেক্ষণ করবেন।

    বেস কিচেন ও প্যান্ট্রি কারগুলো নিয়মিত পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে

    রেলমন্ত্রী (Railway Minister) আরও জানিয়েছেন, ট্রেনে আইআরসিটিসি সুপারভাইজাররা দায়িত্ব পালন করবেন। খাবারের প্যাকেটে দেওয়া হবে কিউআর কোড। এটা স্ক্যান করে যাত্রীরা জানতে পারবেন খাবার কোথায় প্রস্তুত হয়েছে ও কখন প্যাকেজিং করা হয়েছে। খাবারের গুণগত মান বজায় রাখতেও নেওয়া হয়েছে একাধিক উদ্যোগ। বেস কিচেন ও প্যান্ট্রি কারগুলোতে নিয়মিত গভীর পরিচ্ছন্নতা ও কীটনাশক প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে খবর। একইসঙ্গে প্রতিটি ক্যাটারিং ইউনিটের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা ও মান নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (FSSAI) সার্টিফিকেশন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। একইসঙ্গে ভালো মানের খাবার নিশ্চিত করতে নিরপেক্ষ তৃতীয় পক্ষকে দিয়ে সমীক্ষা চালানো হচ্ছে বলে খবর। একইসঙ্গে যাত্রীদের মতামতও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান রেলমন্ত্রী।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘কোনও অনুমতি নেবেন না, রামনবমীতে পথে নামবে ১ কোটি হিন্দু’’, হুঙ্কার শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘কোনও অনুমতি নেবেন না, রামনবমীতে পথে নামবে ১ কোটি হিন্দু’’, হুঙ্কার শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীকে (Ram Navamai) কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে চড়ছে পারদ। বিগত কয়েক বছর ধরেই রামনবমীকে কেন্দ্র করে রাজ্যজুড়ে ব্যাপক উন্মাদনা দেখা গিয়েছে। লাখে লাখে রামভক্তরা নেমেছেন রাজপথে। এই আবহে চলতি বছরের রামনবমীতে ১ কোটি হিন্দু রাস্তায় থাকবেন বলে হুঙ্কার দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিরোধী দলনেতা এদিন সাফ বললেন, ‘‘রামনবমীতে ২০০০ মিছিল হবে। ১ কোটি হিন্দু রাস্তায় থাকবেন। কোনও অনুমতি নেবেন না।’’  ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, রাজ্যে রামনবমীকে কেন্দ্র করেই জনজাগরণ করতে চাইছে বিজেপি।

    হুঙ্কার শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari), পথে থাকবে ১ কোটি হিন্দু

    এদিন কার্যত হুঙ্কারের সুরেই শুভেন্দু বলেন, ‘‘ভালো করে রাম নবমী করবেন। আমিও থাকব মাঠে। গতবার ৫০ লক্ষ হিন্দু নেমেছিল, একহাজার মিছিল হয়েছিল। এবার ২ হাজার মিছিল হবে, ১ কোটি হিন্দু রাস্তায় থাকবে। কোনও অনুমতি নেবেন না। কোনও অনুমতির প্রয়োজন নেই।’’

    গতকালই বিরোধী দলনেতা হাজির ছিলেন শহিদ দিবসে

    গতকাল শুক্রবার নন্দীগ্রামে শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে রাম মন্দির তৈরির এমনই ঘোষণা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আগামী ৬ এপ্রিল রাম নবমীর (Ram Navamai) দিন নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ায় মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হবে বলে শুক্রবার ঘোষণা করলেন তিনি। একইসঙ্গে শুক্রবার সোনাচূড়া গ্রামে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির শহিদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপণও করেন তিনি।

    সাড়ে তিন বিঘা জমির ওপর নির্মাণ হবে রাম মন্দির

    জানা গিয়েছে, নন্দীগ্রামের সোনাচূড়া গ্রামে প্রায় সাড়ে তিন বিঘা জমির ওপর রাম মন্দির তৈরি হতে চলেছে। এক বছরের মধ্যে সেই নির্মাণ শেষ হবে জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নন্দীগ্রামে শহিদদের শ্রদ্ধা জানানোর মঞ্চ থেকে সেই কথা ঘোষণা করলেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘রাম নবমীর দিন মন্দির নির্মাণ শুরু হবে। নন্দীগ্রামের দক্ষিণপ্রান্তে সোনাচূড়াতে মন্দিরের নির্মাণ শুরু হবে। এখানে অয্যোধার রাম মন্দিরের আদলে মন্দির তৈরি হবে।’’

  • ISIS: ইরাকের বাহিনীর অভিযানে সিরিয়াতে খতম আইসিস প্রধান আবু খাদিজা

    ISIS: ইরাকের বাহিনীর অভিযানে সিরিয়াতে খতম আইসিস প্রধান আবু খাদিজা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খতম বিশ্বের কুখ্যাত জঙ্গি আবদাল্লা মাকি মোসলেহ আল-রিয়াফি ওরফে আবু খাদিজা। ইসলামিক স্টেট (ISIS) জঙ্গি সংগঠনের প্রধান ছিলেন তিনি। ইসলামিক স্টেট-এর প্রধানের নিকেশের খবরটি ইতিমধ্যে নিশ্চিত করেছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ শিয়া আল-সুদানি। জানা গিয়েছে, পশ্চিম ইরাকে (Iraq) আনবার প্রদেশের ওপর আকাশ পথে অভিযান চালানো হয়েছিল। গত বৃহস্পতিবার রাতে এই অভিযান হয়। আবু খাদিজা’র মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয় শুক্রবার।

    কী বললেন ইরাকের (Iraq) প্রধানমন্ত্রী?

    শুক্রবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘অন্ধকার ও সন্ত্রাবাদের শক্তিকে পরাজিত করে লাগাতার জয়ী হয়ে চলেছে ইরাক৷’’ একইসঙ্গে নিজের পোস্টে আইএস (ISIS) জঙ্গি সংগঠনের নেতা আবদাল্লা মাকি মোসলেহ আল-রিয়াফিকে ইরাক ও বিশ্বের অন্যতম ভয়ঙ্কর জঙ্গি হিসাবে উল্লেখ করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ শিয়া আল-সুদানি তাঁর পোস্টে ইরাকের গোয়েন্দা সংস্থার কর্মীদের প্রশংসা করে লেখেন, ‘‘ইরাকি ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসের হিরোদের সঙ্গে জয়েন্ট অপারেশনস কমান্ড এবং ইন্টারন্যাশনাল কোয়ালিশন ফোর্সেস একসঙ্গে কাজ করে। সকলের সক্রিয় সহযোগিতায় জঙ্গি (ISIS) আবদাল্লা মাকি মোসলেহ আল-রিয়াফি ওরফে আবু খাদিজাকে নিকেশ করা সম্ভব হয়েছে। তিনি তথাকথিত ডেপুটি কালিফ ছিল। ইরাক ও সিরিয়ার তথাকথিত গভর্নরের পদে ছিল।’’ আবু খাদিজাকে ইরাক ও বিশ্বের অন্যতম নৃশংস জঙ্গি বলে অভিহিত করেছেন তিনি।

    কী বললেন ইরাকের বিদেশমন্ত্রী?

    অন্যদিকে, ইরাকের বিদেশমন্ত্রী ফৌয়াদ হুসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘সিরিয়া ও ইরাক একই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। বিশেষত আইএস জঙ্গিদের বিষয়ে।’’ ইরাকের বিদেশমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘জঙ্গি মোকাবিলায় জর্ডনের রাজধানী আম্মানে একটি বৈঠক করেছে সিরিয়া, ইরাক, তুরস্ক, জর্ডন এবং লেবানন। এই দেশগুলি একসঙ্গে একটি অভিযান চালানোর কথা ভাবনাচিন্তা করেছে। খুব শীঘ্রই তারা কাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।’’ ঘটনাচক্রে শুক্রবারই সিরিয়ার শীর্ষস্তরীয় এক কূটনীতিক ইরাক সফরে আসেন। দু’দেশ জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর বিরুদ্ধে একসঙ্গে কাজ করার সংকল্প গ্রহণ করে। তখনই ইরাক-সিরিয়ার আইএস প্রধান আবদাল্লা মাকি মোসলেহ আল-রিয়াফির মৃত্যুর খবরটিও প্রকাশ্যে আনা হয়।

  • Ramakrishna 297: “ঠাকুর অধরের বাড়ি প্রতিমাদর্শন করিবেন ও আনন্দময়ীর আনন্দোৎসবে যোগদান করিবেন”

    Ramakrishna 297: “ঠাকুর অধরের বাড়ি প্রতিমাদর্শন করিবেন ও আনন্দময়ীর আনন্দোৎসবে যোগদান করিবেন”

    সাধারণ ব্রাহ্ম সমাজে শ্রীরামকৃষ্ণ— দুর্গাপূজা দিবসে

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ২৬শে সেপ্টেম্বর

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ সাধারণ ব্রাহ্মসমাজমন্দিরে

    মাস্টার, হাজরা, বিজয়, শিবনাথ, কেদার 

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) কলিকাতা নগরীতে আগমন করিয়াছেন। সপ্তমীপূজা, শুক্রবার, ২৬শে সেপ্টেম্বর, ১৮৮৪ খ্রীষ্টাব্দ। ঠাকুরের অনেকগুলি কাজ। শারদীয় মহোৎসব — রাজধানীমধ্যে হিন্দুর প্রায় ঘরে ঘরে আজ মায়ের সপ্তমী পূজা আরম্ভ। ঠাকুর অধরের বাড়ি প্রতিমাদর্শন করিবেন ও আনন্দময়ীর আনন্দোৎসবে যোগদান করিবেন। আর একটি সাধ, শ্রীযুক্ত শিবনাথকে দর্শন (Kathamrita) করিবেন।

    বেলা আন্দাজ দুই প্রহর হইতে সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের ফুটপাথের উপর একটি ছাতি হাতে করিয়া মাস্টার পাদচারণ করিতেছেন। একটা বাজিল, দুইটা বাজিল, ঠাকুর আসিলেন না। শ্রীযুক্ত মহলানবিশের ডিস্পেনসারির ধাপে মাঝে মাঝে বসিতেছেন; দুর্গাপূজা (Ramakrishna)  উপলক্ষে ছেলেদের আনন্দ ও আবালবৃদ্ধ সকলের ব্যস্তভাব দেখিতেছেন।

    বেলা তিনটা বাজিল। কিয়ৎক্ষণ পরে ঠাকুরের গাড়ি আসিয়া উপস্থিত। গাড়ি হইতে অবতরণ করিয়াই সমাজমন্দির দৃষ্টে ঠাকুর করজোড়ে প্রণাম করিলেন। সঙ্গে হাজরা ও আর দুই-একটি ভক্ত। মাস্টার ঠাকুরের দর্শন লাভ করিয়া তাঁহার চরণবন্দনা করিলেন। ঠাকুর বলিলেন, “আমি শিবনাথের বাড়ি যাইব।” ঠাকুরের আগমনবার্তা শুনিয়া দেখিতে দেখিতে কয়েকটি ব্রাহ্মভক্ত আসিয়া জুটিলেন। তাঁহারা ঠাকুরকে সঙ্গে করিয়া ব্রাহ্মপাড়ার মধ্যে শিবনাথের বাড়ির দ্বারদেশে তাঁহাকে লইয়া গেলেন। শিবনাথ বাড়িতে নাই। কি হইবে? দেখিতে দেখিতে শ্রীযুক্ত বিজয় (গোস্বামী), শ্রীযুক্ত মহলানবিশ ইত্যাদি ব্রাহ্মসমাজের কর্তৃপক্ষেরা উপস্থিত হইলেন ও ঠাকুরকে অভ্যর্থনা করিয়া সমাজমন্দিরমধ্যে লইয়া গেলেন। ঠাকুর একটু বসুন—ইতিমধ্যে শিবনাথ আসিয়া (Kathamrita) পড়িলেও পড়িতে পারেন।

    ঠাকুর (Ramakrishna) আনন্দময়, সহাস্যবদনে আসন গ্রহণ করিলেন। বেদীর নিচে যে স্থানে সংকীর্তন হয়ে সেই স্থানে বসিবার আসন করিয়া দেওয়া হইল। বিজয়াদি অনেকগুলি ব্রাহ্মভক্ত সম্মুখে বসিলেন।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

  • Daily Horoscope 14 March 2025: ব্যবসা নিয়ে চিন্তা থাকবে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 14 March 2025: ব্যবসা নিয়ে চিন্তা থাকবে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) নম্র স্বভাবের জন্য কর্মস্থলে পদোন্নতি।

    ২) বাসস্থান পরিবর্তন নিয়ে খরচ বৃদ্ধি।

    ৩) পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে।

    বৃষ

    ১) কোনও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ না করাই ভালো হবে।

    ২) ভ্রমণে সমস্যা বাড়তে পারে, একটু সাবধান থাকুন।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    মিথুন

    ১) অতিরিক্ত বিলাসিতার জন্য খরচ বাড়তে পারে।

    ২) গুরুজনদের সদুপদেশে কর্মে উন্নতি।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    কর্কট

    ১) ব্যবসায় দারুণ অর্থপ্রাপ্তির যোগ রয়েছে।

    ২) নিজের ভুল সংশোধন করার ফলে ব্যবসায় উন্নতি।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    সিংহ

    ১) কাজের চাপ বাড়তে পারে।

    ২) বন্ধুদের সহায়তায় ব্যবসায় উন্নতি।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কন্যা

    ১) সহকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করায় মানসিক চাপ বাড়বে।

    ২) প্রেমে কষ্ট বাড়তে পারে।

    ৩) দুশ্চিন্তা বাড়বে।

    তুলা

    ১) সব কাজেই সুনাম পেতে পারেন।

    ২) ব্যবসায় সহকর্মীর দ্বারা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    বৃশ্চিক

    ১) দাম্পত্য সমস্যার কারণে মন চঞ্চল হতে পারে।

    ২) কোনও ঝুঁকিপ্রবণ কাজ করতে হতে পরে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    ধনু

    ১) প্রিয়জনের সঙ্গে বিবাদ নিয়ে চিন্তা হতে পারে।

    ২) গরিব মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা করুন।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    মকর

    ১) শত্রুভয় কাটিয়ে উঠতে পারবেন।

    ২) ব্যবসা নিয়ে চিন্তা থাকবে।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করুন।

    কুম্ভ

    ১) কর্মক্ষেত্রে প্রচুর চিন্তা থাকবে।

    ২) ব্যবসার ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকুন, বুদ্ধিভ্রংশ হতে পারে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    মীন

    ১) বাড়িতে অশান্তির  সম্ভাবনা ও সেই কারণে মানহানি হতে পারে।

    ২) আপনার বক্তব্য সকলের মন জয় করতে সক্ষম হবে।

    ৩) ভেবেচিন্তে কথা বলুন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Holi: দোল পূর্ণিমায় এই দেবতাদের পুজোয় জীবনে আসে সাফল্য

    Holi: দোল পূর্ণিমায় এই দেবতাদের পুজোয় জীবনে আসে সাফল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্মে যেকোনও অনুষ্ঠানে তিথি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়। দোলের তিথি দেখেই বাঙালি গৃহস্থ বাড়িতে বিশেষ পূজার আয়োজন করা হয়। দোল পূর্ণিমা হিন্দুদের কাছে এক অত্যন্ত পবিত্র তিথি হওয়াতে, শাস্ত্র মতে এই তিথিতে বিশেষ কিছু নিয়ম-কার্য পালন করলে মানুষের আর্থিক, পরমাত্মিক এবং সাংসারিক শ্রীবৃদ্ধি লাভ সম্ভব হয়। বহু বাড়িতেই দোলের দিন শ্রীরাধাগোবিন্দের পুজো হয়। আবার শালগ্রাম শিলার পুজোও দেখা যায় এই দিন। পূর্ণিমার পুজো সকাল থেকেই চলে বাঙালি হিন্দু বাড়িতে। এই বিশেষ তিথিতে সমস্ত নিয়মকানুন মেনে গোপাল পূজা করলে ঈশ্বরের বিশেষ কৃপা লাভ করা যায়। নিম্নে গোপাল পুজোর নিয়ম কারণ সম্পর্কে জানানো হল। এছাড়া আপনারা নিজেদের আরাধ্য দেবতাদেরও পূজা করতে পারেন এই দিন।

    দোল পূর্ণিমার দিন গোপাল পুজোর রীতি (Dol Purnima)

    শাস্ত্রমতে, মনে করা হয় এই তিথিতে বিশেষ কিছু নিয়ম পালন করলে সংসারের সার্বিক সমৃদ্ধি ফিরিয়ে আনা সম্ভব। এই দিনে বিশেষ কিছু নিয়ম পেলে গোপালের পুজো করলে ঈশ্বরের কৃপাদৃষ্টি বজায় থাকে। শাস্ত্র অনুযায়ী, এই দিনেই ভগবান শ্রীকৃষ্ণ গোপীদের সঙ্গে আবির খেলায় মেতে উঠেছিলেন। হিন্দু শাস্ত্র মতে, এই তিথি অত্যন্ত পবিত্র একটি তিথি। তাই এই দিনে কিছু নিয়ম মেনে চললে ঈশ্বরের কৃপা দৃষ্টি সর্বদা বজায় থাকবে আপনার উপর। একই সঙ্গে বৃদ্ধি পাবে সংসারের সমৃদ্ধিও।

    জেনে নেওয়া যাক আজ ঠিক কোন নিয়মে পুজো সারবেন

    পণ্ডিতরা বলছেন, আগের দিনেই বাড়ি-ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে নিন। রান্না ঘরে মজুত রাখা খাবারের কৌট বা জায়গা কখনও একদম ফাঁকা করে রাখবেন না। কিছু না কিছু ভরে রাখবেন। এই দিনে সকালে স্নান সেরে নিন। রাতে শুতে যাওয়ার আগে বাড়ির প্রধান দরজার সামনে এক বালতি জল রেখে দিন, সকালে ঘুম থেকে উঠেই দরজার সামনে সেই জল ঢেলে ধুয়ে দিন। স্নানের জলে একটা বা দুটো তুলসী পাতা দিয়ে স্নান করুন। স্নানের পর ইষ্ট দেবতার স্মরণ করে পুজো সেরে নিন। গোপাল পুজো আপনি যেভাবে করেন সেই ভাবেই সারুন সঙ্গে শুধু উল্লিখিত নিয়মগুলো মেনে চলুন। এরপর ঠাকুরের পায়ে আবির দিয়ে প্রণাম সেরে নিন। ফুল মিষ্টি দিয়ে পুজো সেরে নিন। এই দিনে খাদ্য শষ্য দান অত্যন্ত পুণ্যের বলে মনে করা হয়। দুঃস্থকে খাদ্য এবং বস্ত্র বা সামর্থ অনুযায়ী এই দিনে দান করলে সমস্ত পাপ বিনষ্ট হয়। সেই সঙ্গে মনের ইচ্ছাও পূরণ হয়।

  • Holi 2025: সাত ভারত বিখ্যাত মন্দির, এখানে ধুমধাম করে পালিত হয় হোলি

    Holi 2025: সাত ভারত বিখ্যাত মন্দির, এখানে ধুমধাম করে পালিত হয় হোলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হোলি (Holi 2025) ভারতের এক প্রাণবন্ত উৎসব। পাড়ায় পাড়ায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা যেন এই উৎসবে মেতে ওঠেন তেমনই অনেক মন্দির এই উৎসবকে আধ্যাত্মিক রীতিনীতি, ভজন ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে উদযাপন করে থাকে। মথুরা হল ভগবান শ্রী কৃষ্ণের জন্মস্থান। এর পাশাপাশি পুরীর জগন্নাথ মন্দিরেও (Indian Temples) ধুমধাম করে পালিত হয় হোলি। জেনে নেওয়া যাক, ভারত বিখ্যাত কতগুলি মন্দিরের হোলি উদযাপনের কথা।

    ১. শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি মন্দির, মথুরা (Holi 2025)

    ভগবান কৃষ্ণের জন্মস্থান মথুরাতে ধুমধাম করে হোলি উৎসব পালন করা হয়। কৃষ্ণ মন্দিরে ভক্তিমূলক ভজন, ধর্মীয় রীতি এবং বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়, যা সমগ্র নগরকে মাতিয়ে রাখে এই সময়ে।

    ২. দ্বারকা ইস্কন মন্দির, দিল্লি (Holi 2025)

    দিল্লির অন্যতম বিখ্যাত মন্দির হিসেবে পরিচয় রয়েছে দ্বারকা ইস্কনের। ভক্তি ও আধ্যাত্মিক উচ্ছ্বাসের সঙ্গে এখানে হোলি উদযাপন করা হয়। এই উৎসব গুলি হল- ভগবান কৃষ্ণের উদ্দেশে ভজন ও কীর্তন। আরতি এবং হোলির তাৎপর্য নিয়ে ধর্মী আলোচনাও হয় এখানে। এছাড়া, মন্দির প্রাঙ্গণে আবির খেলাও হয়।

    ৩. দ্বারকাধীশ মন্দির, দ্বারকা

    দ্বারকার রাজা হিসেবে পরিচিত রয়েছেন হিন্দু ধর্মের ভগবান শ্রী কৃষ্ণ। তাঁর প্রতি উৎসর্গীকৃত এই মন্দিরে ভজন, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং একটি বিশাল আরতির মাধ্যমে ঐতিহ্যবাহী হোলি উদযাপন করা হয়।প্রতি বছরই চলে এই উৎসব। ভক্তরা কীর্তন করেন। একইসঙ্গে শ্রী কৃষ্ণের ঐশ্বরিক লীলার মাহাত্ম্যকে স্মরণ করেন।

    ৪. রাধা রমণ মন্দির, বৃন্দাবন

    বৃন্দাবনের এই মন্দির ভারত বিখ্যাত (Holi 2025)। কৃষ্ণ মূর্তির জন্য বিখ্যাত এই মন্দির। এখানে হোলি উদযাপন করা হয় ভক্তি ও শান্তির সঙ্গে। রঙ খেলার পরিবর্তে ভক্তরা ফুলের হোলি খেলেন এখানে, সুমধুর কীর্তন এবং কৃষ্ণ লীলায় অংশগ্রহণ করেন প্রত্যেকে। শান্তিপূর্ণ হলেও উৎসব মুখরিত করে রাখে চারপাশ।

    ৫. গোবিন্দ দেব জি মন্দির, জয়পুর

    রাজস্থানের জয়পুরের এই বৃহৎ মন্দিরটি ঐতিহ্যবাহী রাজস্থানি আড়ম্বরের সঙ্গে হোলি (Holi 2025) উদযাপন করে। মন্দিরকে রঙিনভাবে সাজানো হয়। শ্রী কৃষ্ণের জীবনের উপর ভিত্তি করে লোকনাট্য পরিবেশন করেন ভক্তরা। একইসঙ্গে ভক্তিমূলক গান ও ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে আবির খেলা হয়।

    ৬. শ্রীনাথজি মন্দির, নাথদ্বারা

    শ্রীনাথজি মন্দিরের হোলি (Holi 2025) উদযাপন অত্যন্ত ধুমধাম করে হয়। রাধারমণ মন্দিরের মতো এখানেও রঙের পরিবর্তে ফুল দিয়ে হোলি খেলা হয়। এর পাশপাশি ছাড়ি হোলি, যেখানে পুরোহিতরা সুন্দরভাবে সজ্জিত লাঠি ব্যবহার করে রীতি পালন করেন। হোলির দিনে অন্নকূট উৎসব পালিত হয়, যা হোলির অংশ হিসেবে ভগবান কৃষ্ণকে নিবেদিত একটি বৃহৎ ভোজ।

    ৭. জগন্নাথ মন্দির, পুরী

    ওড়িশায় হোলি বাংলার মতোই দোল পূর্ণিমা হিসেবে পালিত হয়। এদিন জগন্নাথ মন্দিরে দেবতাদের সুন্দরভাবে সজ্জিত রথে স্থাপন করা হয়। হিন্দু ধর্মের মানুষজন রঙ দিয়ে হোলি খেলেন ও ভজন গেয়ে ভক্তি প্রদর্শন করেন।

LinkedIn
Share