Tag: bangla news

bangla news

  • Cow Smuggling Case: কেষ্টর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গলের আরও কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পেল সিবিআই

    Cow Smuggling Case: কেষ্টর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গলের আরও কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পেল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি ছিলেন নিছকই এক তৃণমূল (TMC) নেতার দেহরক্ষী। কতই বা আর মাইনে! তবে তৃণমূল জমানায় ঘাসফুল শিবিরের ওই নেতার সঙ্গে সঙ্গে ফুলে ফেঁপে উঠেছেন ওই দেহরক্ষীও (Cow Smuggling Case)। ফের একবার প্রমাণ মিলল তার। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের আরও প্রায় ১ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে সিবিআই। শুক্রবার এই মর্মে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে নথিও পেশ করা হয়েছে আসানসোলের সিবিআই আদালতে। আদালতে সিবিআই জানিয়েছে, জমা দেওয়া চার্জশিটে সায়গলের নামে যে সম্পত্তি দেখানো হয়েছিল, এখন যে কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ মিলেছে, সেটা তার বাইরে। 

    তিহাড়ে সায়গল

    গরু পাচার কেলেঙ্কারি (Cow Smuggling Case) মামলায় ফেঁসে গিয়ে প্রথমে সিবিআই ও পরে ইডির মামলায় গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে দিল্লির তিহাড় জেলে রয়েছেন সায়গল। ওই জেলের গরাদেই বিষণ্ণ দিন গুজরান করছেন সায়গল যাঁর দেহরক্ষী ছিলেন, সেই অনুব্রতও। অনুব্রত ও সায়গলের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ আগেই পেয়েছিলেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। আদালতে তা পেশও করা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, অনুব্রত ও তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যদের নামে থাকা প্রায় ৪৫টি জমির দলিলের পাশাপাশি সায়গলের নামেও ডিড রয়েছে সাতটি জমির লিজের।

    আরও সম্পত্তির হদিশ

    সেই খতিয়ানও জমা দেওয়া হয়েছে আদালতে। সায়গলের বাড়ি ও বিভিন্ন ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে নগদ টাকা, গয়না সহ বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির দলিলও উদ্ধার করা হয়েছে। সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখে সিবিআই দাবি করেছিল, অনুব্রত ও সায়গলের সম্পত্তির পরিমাণ গরু পাচার মামলায় মূল অভিযুক্ত এনামুল হকের বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তিকে ছাপিয়ে যেতে পারে। এদিন আদালতে সিবিআই (Cow Smuggling Case) জানায়, সায়গলের কাছ থেকে তারা আরও ৮টি জমির হদিশ পেয়েছে। এর বাজারদর অন্তত ৬০ লক্ষ টাকা। জমিগুলি রয়েছে বীরভূমের সিউড়ি ও মুর্শিদাবাদের ডোমকল এলাকায়।

    আরও পড়ুুন: বাদল অধিবেশনেই সংসদে পেশ অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিল! ভাবনা মোদি সরকারের

    জমিগুলি রয়েছে সায়গলের মা ও স্ত্রীর নামে। তাঁদের নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেরও সন্ধান পেয়েছেন গোয়েন্দারা। অ্যাকাউন্টগুলিতে রয়েছে প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, গরু পাচারের কালো টাকা প্রথমে একটি শেল কোম্পানিতে জমা করে সাদা করা হয়েছে। পরে গচ্ছিত রাখা হয়েছে ওই অ্যাকাউন্টগুলিতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ODI World Cup 2023: খোঁজখবর শুরু! ক্রিকেট বিশ্বকাপের টিকিট পাওয়া যাবে কবে থেকে?

    ODI World Cup 2023: খোঁজখবর শুরু! ক্রিকেট বিশ্বকাপের টিকিট পাওয়া যাবে কবে থেকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকাপের (ODI World Cup 2023) ক্রীড়াসূচি প্রকাশ হতেই টিকিটের খোঁজখবর শুরু করে দিয়েছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। ভারতের মোট দশটি ভেন্যুতে হবে ৪৮টি ম্যাচ। আগামী ৫ অক্টোবর আমেদাবাদে গতবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া উদ্বোধনী ম্যাচে খেলবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। ভারত নামবে ৮ অক্টোবর। চেন্নাইয়ে রোহিত শর্মাদের প্রতিপক্ষও অস্ট্রেলিয়া। 

    ভারত-পাকিস্তান মহারণ

    এক একটি দল খেলবে ন’টি করে ম্যাচ। তবে সবারই আগ্রহ ভারত-পাকিস্তান (India vs Pakistan) মহারণ ঘিরে। যা হবে ১৫ অক্টোবর আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে। বাইশগজে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের লড়াই দেখার জন্য মুখিয়ে গোটা ক্রিকেট বিশ্ব (ODI World Cup 2023)। বাড়ছে টিকিটের চাহিদাও। তবে ঠিক কবে থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হবে বা কত কত দামের টিকিট থাকবে, সে ব্যাপারে সরকারিভাবে এখনও কিছু জানায়নি আইসিসি। তবে বিসিসিআই (BCCI) সূত্রের খবর, জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহেই অন লাইনে টিকিট বিক্রি শুরু হতে পারে। তবে এক সঙ্গে সব ভেন্যুর টিকিট যেমন পাওয়া যাবে না, তেমনি ম্যাচের গুরুত্ব অনুযায়ী টিকিটের দাম ধার্য হতে পারে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। আইসিসির নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে যেমন টিকিট বুক করা যাবে, তেমনি ব্যবহার করা হবে অন্য প্ল্যাটফর্মও।

    সাজছে ইডেন

    কলকতায় হবে বিশ্বকাপের (ODI World Cup 2023) পাঁচটি ম্যাচ। তার মধ্যে রয়েছে ভারত-দক্ষিণ গ্রুপ লিগের লড়াইও। একটি সেমি-ফাইনালও হবে ইডেনে। তাছাড়া পাকিস্তান, বাংলাদেশও খেলবে কলকাতায়। তাই উৎসবের মরশুমে বাংলার ক্রিকেট প্রেমীদের জন্য বাড়তি আনন্দ বয়ে আনছে বিশ্বকাপ। ইডেনে চলছে সংস্কারের কাজ। রংয়ের নতুন পোচ পড়ছে ড্রেসিংরুমে। সেজে উঠছে ক্লাব হাউস। নতুন মোড়কে কোহলি, রোহিতদের স্বাগত জানাতে তৈরি ক্রিকেটের নন্দনকানন। সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, সাধারণের কথা মাথায় রেখে টিকিটের দাম করা হবে। সেই মতোই প্রস্তুতি চলছে সিএবিতে। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কেও বিশ্বকাপের মহাযজ্ঞ আয়োজনে কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বঙ্গীয় ক্রকেটের নিয়ামক সংস্থা। 

    আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে ভারত ভ্রমণ! ৯ শহরে ৯ ম্যাচ, ৮৪০০ কিলোমিটার ঘুরবে টিম ইন্ডিয়া

    সূত্রের খবর, ইডেনে বিশ্বকাপের (ODI World Cup 2023) ম্যাচে টিকিটের দাম ৭৫০, ১২০০, ২০০০ টাকা হতে পারে। বেশি দামেরও টিকিট থাকবে। সেক্ষেত্রে পাওয়া যাবে অন্য সুবিধাও। তবে সবার আগ্রহ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ঘিরে। এই ম্যাচের টিকিটের চাহিদা যে সবচেয়ে বেশি হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে এক লক্ষের বেশি দর্শকাসন। তাই অনেকে মাঠে বসে খেলা দেখতে পাবেন। ফাইনালও হবে আমেদাবাদেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Railway: ১০ ঘণ্টায় কলকাতা থেকে আগরতলা! বাংলাদেশ হয়ে উত্তর-পূর্বে পৌঁছবে ভারতীয় রেল?

    Indian Railway: ১০ ঘণ্টায় কলকাতা থেকে আগরতলা! বাংলাদেশ হয়ে উত্তর-পূর্বে পৌঁছবে ভারতীয় রেল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাতৃভাষা বাংলা এমন দুটি অঙ্গরাজ্য রয়েছে আমাদের দেশে। একটি পশ্চিমবঙ্গ, অপরটি ত্রিপুরা। অথচ কলকাতা থেকে আগরতলা ট্রেনপথে যেতে সময় লাগে ৩১ ঘণ্টা অর্থাৎ ১ দিনেরও বেশি। কারণ, বর্তমান ত্রিপুরা সহ উত্তর-পূর্বগামী সব ট্রেনকে উত্তরবঙ্গ হয়ে, অসম হয়ে যেতে হয়। তবে, অদূর ভবিষ্যতে এই চিত্র পাল্টাতে চলেছে। ভারতীয় রেলের উদ্যোগে, শীঘ্রই কলকাতা ও আগরতলার রেলযাত্রার সময় ১০ ঘণ্টায় নেমে আসতে চলেছে। হ্যাঁ, মাত্র ১০-ঘণ্টায় কলকাতা থেকে সরাসরি আগরতলা যাওয়া সম্ভব। কারণ, এবার নতুন উদ্যোগ অনুযায়ী, ভারতীয় রেলপথ সোজা বাংলাদেশ হয়ে সোজা পৌঁছে যাবে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে। 

    কোন রুটে চলবে এই ট্রেন?

    কোন রুটে এই ট্রেন চলাচল করবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে, রেল সূত্রে জানা যাচ্ছে, বর্তমান কলকাতা-ঢাকা রুটকেই বাড়িয়ে আখাউড়া করিডর হয়ে ত্রিপুরায় ট্রেন প্রবেশ করবে। বর্তমানে কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস রয়েছে। সূত্রের খবর, কলকাতা-আগরতলা রুটও ভায়া ঢাকা হবে। অর্থাৎ, কলকাতা থেকে শুরু হয়ে ঢাকা। সেখান থেকে সীমান্তের আখাউড়া হয়ে আগরতলা। জানা গিয়েছে, চলতি বছরেই বা আগামী বছরের শুরুতে ত্রিপুরার নিশ্চিন্তপুরের ইন্টারন্যাশনাল ইমিগ্রেশন স্টেশন থেকে বাংলাদেশের আখাউড়া জংশন পর্যন্ত ট্রেন চালাতে চাইছে রেল। এই কারণে ত্রিপুরা থেকে আখাউড়া পর্যন্ত রেল লাইনের কাজ দ্রুত শেষ করতে আরও টাকা বরাদ্দ করল রেল (Indian Railway)। রেলসূত্রে খবর, এই প্রকল্পে ১৫৩.৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। 

    এই প্রকল্প অনুমোদন পায় ২০০৩ সালে

    জানা গিয়েছে, দুই দেশের মধ্য রেলপথ নির্মাণের এই প্রকল্প অনুমোদন পায় ২০০৩ সালে। ১৫ কিমি এই রেল প্রকল্পে দুই দেশ স্বাক্ষর করে ২০১৩ সালে। প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হয় ২০১৬ সালে। এই বিশেষ প্রকল্পের ১৫ কিমি সংযোগের মধ্যে ৫.০৫ কিমি ভারতে ও বাকি ১০.০১৪ কিমি বাংলাদেশে রয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, প্রকল্পটি ২০২০ সালের মধ্যেই শেষ হওয়ার কথা ছিল কিন্তু করোনার কারণে কাজ পিছিয়ে যায়। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে যে এই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে ভারতীয় অংশের ৮৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। অপরদিকে, বাংলাদেশের দিকে প্রায় ৭৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্পটি ভারতের “অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি” এর অংশ বলে জানা গিয়েছে। এই অ্যাক্ট ইস্ট পলিসির লক্ষ্য হল অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলির সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তোলা। উত্তর-পূর্ব ভারত এক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

    কী বলছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা?

    ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বলেন, ‘‘এই কাজ শেষ হলে এবং ওই রুটে ট্রেন (Indian Railway) চলাচল শুরু হলে বাণিজ্য ক্ষেত্রে উন্নয়ন হবে। ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে যোগাযোগ আরও দৃঢ় হবে। একই সঙ্গে উত্তরপূর্ব ভারতের পর্যটন ক্ষেত্রে আরও গতি আসবে।’’ এই আন্তর্জাতিক স্টেশনটি যাত্রী ও পণ্য বিনিময় উভয়ের জন্য একটি ডুয়েল গেজ স্টেশন হিসাবে কাজ করবে।

    কী বলছেন রেলের আধিকারিকরা?

    রেলের আধিকারিকরা বলেন, ‘‘এই রেলপথের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে জিনিসপত্র আমদানি এবং রফতানি আরও সহজ হবে। ফলে সেখানের এবং বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরাও লাভবান হবেন। রেল মন্ত্রক জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী উত্তর পূর্ব ভারতের উন্নয়নের দিকে জোর দিয়েছেন।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uniform Civil Code: বাদল অধিবেশনেই সংসদে পেশ অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিল! ভাবনা মোদি সরকারের

    Uniform Civil Code: বাদল অধিবেশনেই সংসদে পেশ অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিল! ভাবনা মোদি সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদের বাদল অধিবেশনেই পেশ হতে পারে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) বিল। গত বেশ কয়েকদিন ধরে দেশজুড়ে চলছে এমনই জল্পনা। সম্প্রতি সেই জল্পনা গতি পেয়েছে। কারণ সংসদের স্থায়ী কমিটির (Parliamentary Panel) তরফে এ বিষয়ে মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় আইন কমিশন ও আইন মন্ত্রকের। ৩ জুলাই, সোমবার বিজেপির সাংসদ সুশীল মোদির নেতৃত্বে সংসদীয় কমিটি অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বিষয়ে আইন বিভাগ, সংসদীয় বিভাগ এবং অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বিষয়ে গঠিত আইন কমিশনের কর্তাদের মতামত শুনবে। ব্যক্তিগত আইনগুলির পর্যালোচনাও করবে সংসদীয় কমিটি।

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধি

    বর্তমানে দেশে বিবাহ, বিচ্ছেদ এবং দত্তক গ্রহণের মতো ব্যক্তিগত বিষয়গুলির জন্য বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নিজস্ব ব্যক্তিগত আইন রয়েছে। যেমন মুসলিম ল’, হিন্দু পার্সোনাল ল’। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) লাগু হয়ে গেলে অবসান ঘটবে এই সব ব্যক্তিগত আইনের। গত ১৪ জুন কেন্দ্র নিযুক্ত আইন কমিশনের তরফে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর বিষয়ে বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন ও সাধারণ মানুষের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার পর্যন্ত এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সাড়ে ৮ লক্ষ ব্যক্তি ও সংগঠন।

    উদাহরণ গোয়া

    সংবিধানের ৪৪ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, দেশে অভিন্ন দেওয়ানি (Uniform Civil Code) বিধি চালু করতে উদ্যোগী হতে হবে রাষ্ট্রকে। সুপ্রিম কোর্টও অভিন্ন দেওয়ানি বিধি প্রণয়নে চাপ দেয় বলে দাবি কেন্দ্রের। সম্প্রতি গোয়ার এক সম্পত্তির উত্তরাধিকার সংক্রান্ত মামলায় অভিন্ন দেওয়ানি বিধির প্রসঙ্গ টেনেছিল শীর্ষ আদালত। গোয়াকে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির আদর্শ উদাহরণ বলে অভিহিত করেছিল আদালতও। এহেন আবহে আসন্ন অধিবেশনেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিল আনা হতে পারে সংসদে। এমন ইঙ্গিত মিলেছিল মঙ্গলবারও।

    আরও পড়ুুন: ‘শ্রীলঙ্কার মাটিতে দাঁড়িয়ে ভারতকে হুমকি দেওয়া যাবে না’, চিনকে সাফ জানালেন বিক্রমসিংহে

    সেদিন মধ্যপ্রদেশের ভোপালের এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, “কোনও পরিবারে যদি প্রত্যেক সদস্যের জন্য আলাদা আলাদা আইন থাকে, তাহলে কি সেই সংসার চালানো যায়?” তিনি বলেন, “দেশের এক একটি সম্প্রদায়ের জন্য যদি এক এক রকম আইন থাকে, তাহলে দেশ এগোতে পারে না। সংবিধানেও সকলের জন্য সমান আইনের (Uniform Civil Code) কথা বলা আছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Sri Lanka: ‘শ্রীলঙ্কার মাটিতে দাঁড়িয়ে ভারতকে হুমকি দেওয়া যাবে না’, চিনকে সাফ জানালেন বিক্রমসিংহে

    Sri Lanka: ‘শ্রীলঙ্কার মাটিতে দাঁড়িয়ে ভারতকে হুমকি দেওয়া যাবে না’, চিনকে সাফ জানালেন বিক্রমসিংহে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বন্ধু তোমার পথের সাথীকে চিনে নিও।” জনপ্রিয় এই বাংলা গানটি বোধহয় শোনেননি শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহে। চিনা ঋণের ফাঁদে পড়ে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। সেই সময় আপাদমস্তক ঋণে ডুবে যাওয়া দেশটিকে বাঁচাতে পাশে দাঁড়ায় মোদির ভারত। সর্বস্বান্ত হওয়ার পর সম্বিত ফিরেছে দ্বীপরাষ্ট্রের। ভারত যে বিপদের বন্ধু, তার বিরুদ্ধে সংঘাতে না যাওয়াই ভাল বলে মনে করছে বিক্রমসিংহের সরকার। তাই শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহে চিনের জিন পিং সরকারকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ভারতের বিরুদ্ধে হুমকির কারণ হতে পারে এমন কোনও কাজ শ্রীলঙ্কাকে ভিত্তি করে করা যাবে না। 

    শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের সাফ কথা

    শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমরা নিরপেক্ষ দেশ। কিন্তু এটাও স্পষ্ট করে দিতে যাই যে শ্রীলঙ্কাকে ভিত্তি করে ভারতকে কোনও হুঁশিয়ারি দেওয়া যাবে না।” দ্বীপ রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, চিনের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার কোনও সামরিক চুক্তি হয়নি। তিনি বলেন, “আমাদের মধ্যে কোনও সামরিক চুক্তি হয়নি। আমি মনে করি না চিন এরকম কোনও চুক্তি আমাদের সঙ্গে করবে।” বিক্রমসিংহে এও জানান, শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) হাম্বানটোটা বন্দর চিনকে লিজ দেওয়া হয়েছে ৯৯ বছরের জন্য। তবে সেই বন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে চিন নয়, রয়েছে শ্রীলঙ্কাই। 

    হাম্বানটোটা বন্দরকাণ্ড

    গত বছর শ্রীলঙ্কার এই বন্দরেই ভিড়েছিল চিনের গুপ্তচর রণতরী ইউয়ান ওয়াং-৫। জাহাজটি ব্যালিস্টিক মিসাইল ও স্যাটেলাইট চিহ্নিতকরণের কাজে ব্যবহৃত হয়। চিনের ওই যুদ্ধজাহাজটি যেদিন শ্রীলঙ্কার বন্দরে ভিড়েছিল, তার পরে পরেই ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কথা ছিল। সেই সময় চিনা ওই গোয়েন্দা জাহাজ শ্রীলঙ্কার বন্দরে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করে ভারত। শ্রীলঙ্কাকে (Sri Lanka) সে কথা জানিয়েও দেওয়া হয়। যদিও চিনের দাবি, ইউয়ান ওয়াং ৫ গোয়েন্দাগিরির জন্য ব্যবহৃত হয় না, কাজে লাগে বৈজ্ঞানিক গবেষণায়। মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর অবশ্য স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, চিনের ওই জাহাজটি নিয়ন্ত্রণ করে পিএলএ নেভি। স্যাটেলাইট এবং মিসাইল ট্র্যাকিং করতে সমর্থ। 

    আরও পড়ুুন: কিউআর কোডে শিবরাজের ছবি! বিতর্কিত পোস্টার নিয়ে কংগ্রেসকে হুঁশিয়ারি ফোন পে-র

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PhonePe CM: কিউআর কোডে শিবরাজের ছবি! বিতর্কিত পোস্টার নিয়ে কংগ্রেসকে হুঁশিয়ারি ফোন পে-র

    PhonePe CM: কিউআর কোডে শিবরাজের ছবি! বিতর্কিত পোস্টার নিয়ে কংগ্রেসকে হুঁশিয়ারি ফোন পে-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফোন পে-র (PhonePe CM) পোস্টারে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের (Shivraj Singh Chouhan) ছবি! গোয়ালিয়র রেল স্টেশনের ওই ঘটনায় শোরগোল দেশজুড়ে। ফোন পে-র পোস্টারে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি পোস্ট করে কংগ্রেস চক্রান্ত করছে বলে অভিযোগ বিজেপির। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে অভিযোগও। এই ঘটনায় কংগ্রেসকে তাদের নাম ও লোগো ব্যবহারে আপত্তি জানিয়েছেন ফোন পে কর্তৃপক্ষ। কংগ্রেসকে দ্রুত পোস্টারগুলি সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধও জানানো হয়েছে সংস্থার তরফে। তা না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ফোন পে কর্তৃপক্ষ।

    কংগ্রেসের (অপ) প্রচার!

    দোরগোড়ায় মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন। রাজ্যের ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। পদ্মকে হটিয়ে ক্ষমতায় আসতে মরিয়া কংগ্রেস। অথচ রাজ্যে সেভাবে মজবুত নয় সংগঠন। রয়েছে উপদলীয় কোন্দলও। অভিযোগ, সেই কারণেই বিজেপিকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে কংগ্রেস। জানা গিয়েছে, গ্বালিয়র রেল স্টেশনের কাছে কয়েকটি পোস্টারে মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের মুখের সঙ্গে একটি কিউআর কোড (PhonePe CM) রয়েছে। তাতে লেখা হয়েছে, ‘আপনার কাজ করার জন্য ৫০ শতাংশ কমিশন দিন’। এই পোস্টারগুলির ছবি এবং ভিডিও নিজেদের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্ব।

    ‘নোংরা রাজনীতির উদাহরণ’ 

    গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, কেবল গ্বালিয়র রেল স্টেশনই নয়, ভোপাল, ইন্দোর, বুধনি, উজ্জ্বয়িনী এবং সেহোরের মতো একাধিক শহরে এই পোস্টার সাঁটিয়েছে কংগ্রেস। মনে রাখতে হবে, এই বুধনি বিধানসভা কেন্দ্রেরই বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান। ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন সে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র। তাঁর কটাক্ষ, এটি নোংরা রাজনীতির উদাহরণ।

    কংগ্রেসের এহেন প্রচারে ক্ষুব্ধ ফোন পে (PhonePe CM) কর্তৃপক্ষও। তাঁদের তরফে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক কিংবা অরাজনৈতিক অথবা অন্য কোনও তৃতীয় পক্ষ অনুমতি ছাড়া তাঁদের ব্র্যান্ডের লোগো ব্যবহার করতে পারে না। পোস্টারগুলি অবিলম্বে সরানো না হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে কংগ্রেসকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।

    আরও পড়ুুন: সৌদি আরবে থেকেও মনোনয়ন পেশ! তৃণমূলের সেই নেতার প্রার্থীপদ খারিজ

    প্রসঙ্গত, কর্নাটকে বিজেপির নেতৃত্বাধীন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের বিরুদ্ধেও এমন নঞর্থক প্রচার করেছিল কংগ্রেস। তাঁর সরকারকে ‘৪০ পারসেন্ট সরকার’ বলে ব্যাপক প্রচার করেছিল সোনিয়া গান্ধীর দল। তার জেরে কর্নাটকে পতন হয়েছিল বিজেপি সরকারের। এবার ক্ষমতায় ফিরতে মধ্যপ্রদেশেও কংগ্রেস একই খেলা খেলছে বলে অভিযোগ বিজেপির।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ZSI: পরিবেশ রক্ষার বার্তা দিতে সক্রিয় শতাব্দী প্রাচীন জেডএসআই, আসছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী 

    ZSI: পরিবেশ রক্ষার বার্তা দিতে সক্রিয় শতাব্দী প্রাচীন জেডএসআই, আসছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পালিত হতে চলেছে শতাব্দী প্রাচীন জুলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার (ZSI) ১০৮ তম প্রতিষ্ঠা দিবস। এই উপলক্ষে আগামিকাল ১ জুলাই, সল্টলেকের নিক্কো পার্ক সংলগ্ন ইস্ট প্যাভিলিয়নে এই বিশেষ দিনের সূচনা করবেন কেন্দ্রীয় বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন দফতরের মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব। এই অনুষ্ঠানকে স্মরণে রেখে তিনি ‘অ্যানিম্যাল ট্যাক্সোনোমি সামিট ২০২৩’ শীর্ষক এক সম্মেলনেরও সূচনা করবেন। কলকাতা প্রেস ক্লাবে সম্প্রতি এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানান জেডএসআই-এর নির্দেশক ডক্টর ধৃতী বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এই অনুষ্ঠানে কেন্দ্র সরকারের ‘মিশন লাইফ’ (লাইফস্টাইল ফর এনভায়রনমেন্ট) ভাবনাকে নিয়েই জেডএসআই-এর কর্মকাণ্ডের উপস্থাপন করা হবে। পরিবেশ রক্ষার বার্তা দিতে এক বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হবে।

    প্রকাশিত হবে পুস্তক (ZSI)

    অনুষ্ঠানে (ZSI) মন্ত্রী ‘অ্যানিম্যাল ডিসকভারিজ ২০২২’ শীর্ষক একটি পুস্তক প্রকাশ করবেন, যেখানে দেশ জুড়ে আবিষ্কৃত ৬০০ নতুন প্রজাতির সন্ধান থাকবে। তাছাড়া স্বাধীনতার ৭৫ বছরকে স্মরণ করতে ও আজাদি কি অমৃত মহোৎসবের অঙ্গ হিসেবে ‘৭৫ ওয়েটল্যান্ড ফনা অফ ইন্ডিয়া’ এবং ‘৭৫ এন্ডেমিক বার্ডস অফ ইন্ডিয়া’ শীর্ষক দু’টি প্রামাণ্য পুস্তক প্রকাশিত হবে। অনুষ্ঠানে দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী অশ্বিণী কুমার চৌবে এবং বন দফতরের ডিরেক্টর জেনারেল তথা দফতরের বিশেষ সচিব চন্দ্রপ্রকাশ গোয়েল উপস্থিত থাকবেন।

    যোগদান করবেন চার শতাধিক প্রাণীবিদ্যা বিশেষজ্ঞ (ZSI)

    ১০৮ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অ্যানিম্যাল ট্যাক্সোনমি সামিট ২০২৩-এ দেশ-বিদেশের চার শতাধিক প্রাণীবিদ্যা বিশেষজ্ঞ যোগদান করবেন। লন্ডনের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন। এই সম্মেলনে (ZSI) ১২ জন খ্যাতনামা বিশেষজ্ঞ পশু শ্রেণিকরণ, বায়োজিওগ্রাফি সহ বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য রাখবেন। এই সম্মেলনে উপস্থাপিত গবেষণাপত্র সমূহ শতাব্দী প্রাচীন ‘ইন্ডিয়ান জুলজি’ পত্রিকাতেও পরবর্তীতে প্রকাশিত হবে। জেডএসআই-এর প্রথম মহিলা নির্দেশক ধৃতী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সংস্থা ভুটান সরকারের সঙ্গে কয়েকটি মউ চুক্তিও স্বাক্ষর করবে। ভবিষ্যত গবেষণার আদান-প্রদানের লক্ষ্যেই এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। অ্যানিম্যাল ট্যাক্সোনোমি সামিট চলবে ৩ রা জুলাই পর্যন্ত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Saayoni Ghosh: সব সম্পত্তির হিসেব চায় ইডি! সিজিও-তে হাজিরা দিলেন সায়নী

    Saayoni Ghosh: সব সম্পত্তির হিসেব চায় ইডি! সিজিও-তে হাজিরা দিলেন সায়নী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’দিন ধরে জল্পনা চলছিল। ছিল বিস্তর কৌতুহলও। বঙ্গ রাজনীতির অলিন্দে একটাই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছিল। ইডি তলবে কি হাজিরা দেবেন তৃণমূলের যুবনেত্রী তথা অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)? অবশেষে আজ, শুক্রবার নির্ধারিত সময়ের কিছু পরেই সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হলেন সায়নী। শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। এদিন ১১টা ২০ মিনিট নাগাদ সিজিও-তে আসেন অভিনেত্রী। 

    ঠিক কী কারণে সায়নীকে তলব?

    নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে আজ তৃণমূল যুব নেত্রী তথা অভিনেত্রী সায়নি ঘোষকে (Saayoni Ghosh) তলব করেছিল ইডি। এই মর্মে বুধবার তাঁকে নোটিশ পাঠিয়েছিল ইডি। সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ধৃত কুন্তল ঘোষের সম্পত্তি সংক্রান্ত তদন্তে উঠে আসে সায়নী ঘোষের নাম। এই সম্পত্তি কেনাবেচাতেও নাম জড়িয়েছে সায়নীর। সম্পত্তি কেনাবেচার সূত্রে আর্থিক লেনদেনের হদিশ পেয়েছেন গোয়েন্দারা। এই সংক্রান্ত নথি চাওয়া হয় অভিনেত্রীর কাছে। ইডি সূত্রে খবর, শুক্রবার অভিনেত্রীকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সহ আর্থিক লেনদেনের যাবতীয় নথি নিয়ে হাজির হতে বলা হয়েছিল। 

    গত ৪৮-ঘণ্টা কোথায় ছিলেন?

    কিন্তু কোথায় ছিলেন সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)? ইডি নোটিস পাওয়ার পর থেকেই যোগাযোগ-বিচ্ছিন্ন হন সায়নী। দলীয় কর্মসূচি তো দূরের কথা, বাড়িতেও দেখা পাওয়া যাচ্ছিল না তাঁর। বুধবার নোটিস পাওয়ার পর থেকে দলীয় কর্মসূচিতে দেখা যায়নি তাঁকে। জানা যায়, বুধবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ তিনি বাড়ি থেকে বের হন। তার পর রাতে ফেরেননি। বৃহস্পতিবার গোটা দিনও তাঁর কোনও খোঁজ ছিল না। এমনকি, তিনি কোথায়, সেই উত্তর দিতে পারেননি তাঁর দলের নেতারাও। তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি। হোয়াটস অ্যাপেও সক্রিয় ছিলেন না তিনি। এসব নিয়েই বুধবার থেকে রাজ্য রাজনীতিতে তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছিল, যা তুঙ্গে ওঠে বৃহস্পতিবার। 

    প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন সায়নী!

    কুন্তল ঘোষ গ্রেফতার হওয়ার পর সায়নী (Saayoni Ghosh) বলেছিলেন, ‘ইডি ডাকলে যাব।’ কিন্তু ইডি ডাকার পর সায়নী কার্যত বেপাত্তা হয়ে গিয়েছিলেন। সায়নীর তরফে কোনও আইনজীবীও ইডি-র সঙ্গে যোগাযোগ করেনি বলেই সূত্রের খবর। ভোটের কাজে ব্যস্ত থাকার কারণ দেখিয়ে সম্প্রতি হাজিরা এড়িয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মলয় ঘটকরা। সায়নীও কি সেই পথেই হাঁটতে চলেছেন? এমনও প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছিল। তাই তিনি আদৌ হাজিরা দেবেন কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল ধোঁয়াশা। অবশেষে জল্পনা, সব ধোঁয়াশার অবসান ঘটিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে ‘উদয়’ হলেন সায়নী। এসেই বললেন, ‘‘আমি প্রচারের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। আমাকে ৪৮ ঘণ্টার নোটিসে ইডি ডেকেছে। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়েছি। আমি তদন্তে ১০০ শতাংশ সহযোগিতা করব।’’

    আরও পড়ুন: ২০ জন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর মৃত বিজেপি কর্মীর স্ত্রী-র

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • UN List: ‘শিশুদের ওপর সশস্ত্র সংঘাতের প্রভাব’ রিপোর্টে নেই ভারতের নাম, কেন জানেন?

    UN List: ‘শিশুদের ওপর সশস্ত্র সংঘাতের প্রভাব’ রিপোর্টে নেই ভারতের নাম, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘শিশুদের ওপর সশস্ত্র সংঘাতের প্রভাব’ (Children Armed Conflict) সংক্রান্ত রিপোর্ট থেকে বাদ গেল ভারতের (India) নাম। তবে ওই রিপোর্টে (UN List) রয়ে গিয়েছে ভারতের পড়শি দেশ পাকিস্তানের নাম। সম্প্রতি রিপোর্টটি প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘ। তাতেই দেখা গিয়েছে তালিকায় নেই ভারতের নাম। ২০১০ সাল থেকে ওই তালিকায় নাম ছিল ভারত এবং পাকিস্তানের। প্রায় এক যুগ পর বাদ পড়ল ভারতের নাম। রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুয়েতেরেস বলেন, ভারত বহু দিন ধরেই এই পরিস্থিতি নিয়ে কাজ করছে। শিশুদের নিরাপত্তা দিতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে ভারত সরকার। সেই নিরিখেই তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে ভারত। তবে রয়ে গিয়েছে পাকিস্তান।

    রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট

    ফি বছর ‘শিশুদের ওপর সশস্ত্র সংঘাতের প্রভাব’ সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করে রাষ্ট্রসংঘ (UN List)। রিপোর্টটি তৈরি করেন রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সেক্রেটারি জেনারেল। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বিভিন্ন দেশ এবং যেসব দেশে সীমান্ত সংক্রান্ত বিবাদ রয়েছে, সেই সব দেশের শিশুদের ওপর সশস্ত্র সংঘাতের প্রভাব কী, তা জেনেই তৈরি হয় রিপোর্ট। পরে তা প্রকাশও করা হয়। ২০২৩ সালে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশের সময় রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব বলেন, ‘‘শিশুদের সুরক্ষার জন্য ভারত সরকারের গৃহীত ব্যবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে, ২০২৩ সালে রিপোর্ট থেকে ভারতকে বাদ দেওয়া হয়েছে।’’

    মহাসচিবের বক্তব্য

    রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব লিখেছেন, বিশেষ প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁর আলোচনার পর এ সংক্রান্ত ক্ষেত্রে আর কী কী পদক্ষেপ করতে হবে, তা জানানো হয়েছে ভারতকে। তার পরেই আসে রিপোর্ট। যেসব দিকের কথা শুধরে নিতে বলা হয়েছিল, তার মধ্যে ছিল কোনওভাবেই যেন শিশুরা সশস্ত্র (UN List) বাহিনীতে অংশ না নেয়। প্রাণঘাতী কোনও কাজে শিশুদের অংশগ্রহণ করা চলবে না। শিশুদের হাতে যেন পেলেট গান না ওঠে। যদি কোনও অপরাধে শিশুদের সশস্ত্র সংঘাতের পরিস্থিতিতে আটক করতে হয়, তা যেন সর্ব শেষ পদক্ষেপ হয়। আটক করা শিশুদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা চলবে না। ভারতীয় আইনে থাকা জুভেনাইল জাস্টিস সংক্রান্ত আইনও অক্ষরে অক্ষরে মানতে হবে বলেও বার্তা দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুুন: “কোরান নিয়ে যদি এমন ভুল দেখান,” ‘আদিপুরুষ’ মামলায় আদালতের ভর্ৎসনা নির্মাতাদের

    প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে শিশুদের ওপর সশস্ত্র (UN List) সংঘাতের প্রভাব সংক্রান্ত রিপোর্টে নাম ছিল ভারতের। এই তালিকায় ছিল পাকিস্তান, ক্যামেরন, নাইজেরিয়া, ফিলিপিন্স সহ বেশ কয়েকটি দেশের নামও। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, জম্মু-কাশ্মীরে শিশুদের সশস্ত্র সংঘাতে অংশ নিতে বাধ্য করা হচ্ছে। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী এমন বহু শিশুকে আটকও করেছে। সেই কারণেই রয়ে গিয়েছে পাকিস্তানের নাম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: সৌদি আরবে থেকেও মনোনয়ন পেশ! তৃণমূলের সেই নেতার প্রার্থীপদ খারিজ

    Panchayat Election 2023: সৌদি আরবে থেকেও মনোনয়ন পেশ! তৃণমূলের সেই নেতার প্রার্থীপদ খারিজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনোনয়নপত্র (Panchayat Election 2023) পেশ-পর্ব শুরুর চারদিন আগেই তিনি চলে গিয়েছিলেন মক্কা। হজ করতে। সেখান থেকেই তিনি নাকি মিনাখাঁর প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। এনিয়ে সরব হন বিরোধীরা। আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁরা। কীভাবে মক্কা থেকেই মনোনয়ন, স্ক্রুটিনি? ওঠে প্রশ্ন। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও ওঠে প্রশ্ন। শেষ পর্যন্ত বাতিল হয়ে গেল তৃণমূলের (TMC) ওই প্রার্থীর প্রার্থীপদ।

    মইনউদ্দিনের কীর্তি!

    জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁ ব্লকের কুমারজুলি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রভাবশালী নেতা মইনউদ্দিন গাজি। তৃণমূলের ওই নেতা ৪ জুন দেশের বাইরে চলে যান। মনোনয়নপত্র পেশ-পর্ব শুরু হয় তারও চারদিন পরে। অথচ দেখা যায়, কুমারজুলি গ্রাম পঞ্চায়েতে ঘাসফুলের প্রতীকে মনোনয়নপত্র (Panchayat Election 2023) পেশ করেছেন তিনি। তার পরেই তাঁর মনোনয়নকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। 

    আদালতে বিরোধীরা

    বিমান সংক্রান্ত তথ্যের উল্লেখ করে আবেদনকারী আদালতে জানান, পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগেই দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছেন মইনউদ্দিন। তাই তাঁর পক্ষে সশরীরে গিয়ে মনোনয়নপত্র পেশ করা সম্ভব নয়। যদিও আশ্চর্যজনকভাবে দেখা যায়, বিডিও অফিসে মনোনয়নপত্র পেশ করেছেন তিনি। তাঁর মনোনয়নপত্র গৃহীতও হয়েছে। আবেদনকারীর বক্তব্য ছিল, মনোনয়নপত্র পেশ পর্বে কোথাও অনিয়ম হয়েছে। মামলার (Panchayat Election 2023) দ্রুত শুনানির পাশাপাশি আদালতে ওই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিলের আবেদনও করেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: তৃণমূলের সমবায়ে কোটি কোটি টাকা তছরুপ! গ্ৰেফতার ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ার

    এর আগে ওই মামলার শুনানিতে বিস্ময় প্রকাশ করে আদালত বলে, যেখানে প্রার্থীরা সশরীরে গিয়েও মনোনয়ন জমা দিতে পারছেন না, তাঁদের ওপর আক্রমণ নেমে আসছে বলে অভিযোগ উঠছে, সেখানে একজন প্রার্থী বিদেশে থেকে কীভাবে মনোনয়ন জমা দিলেন? এটা কীভাবে সম্ভব? রাজ্যের আইনজীবী অবশ্য যুক্তি দিয়েছিলেন, আইন মেনে ওই প্রার্থীর প্রস্তাবক মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। প্রশ্ন ওঠে, ওই ব্যক্তি যখন বিদেশ রয়েছেন, তখন তাঁর সই কে করলেন? এসব বিষয় কমিশনকে জানানোর নির্দেশ দেয় আদালত। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছেও ওই ব্যক্তির বিদেশে থাকা সংক্রান্ত রিপোর্ট তলব করা হয়। শুক্রবারও কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে শুনানি হওয়ার কথা ওই মামলার। তার আগেই এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশন খারিজ করে দেয় মইনউদ্দিনের প্রার্থীপদ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

LinkedIn
Share