Tag: bangla news

bangla news

  • Shravan 2023: ৩০ নয়, এবছর শ্রাবণ মাস ৫৯ দিনের! ১৯ বছর পর ফিরে এলো বিরল যোগ

    Shravan 2023: ৩০ নয়, এবছর শ্রাবণ মাস ৫৯ দিনের! ১৯ বছর পর ফিরে এলো বিরল যোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রাবণ মাস (Shravan 2023) শিবভক্তদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র। দেশ জুড়ে দেবাদিদেবের বিশেষ আরাধনা সম্পন্ন হয় এই মাসে। মাইলের পর মাইল হেঁটে কাঁধে জল নিয়ে শিবভক্তরা দেবাদিদেবের মন্দিরের উদ্দেশে যান। এ বড়ো চেনা দৃশ্য। আমাদের বাংলায় তারকেশ্বরে এসময় তিল ধারণের জায়গা থাকে না। শ্রাবণ মাসের বৃষ্টিকে ভগবান শিবের আশীর্বাদ বলে মানেন ভক্তরা।

    হিন্দু শাস্ত্রে চাতুর্মাসের তাৎপর্য

    শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সময়ের বৃষ্টি হল জীবনের পুনর্নবীকরণের প্রতীক। আবার পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, চাতুর্মাসের সময় ভগবান বিষ্ণু ক্ষীরসাগরে শয়ন করেন। চলতি বছরের হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী শ্রাবণ মাস (Shravan Mass) বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এবছরে শ্রাবণ মাস শুরু হবে ৪ জুলাই থেকে এবং শেষ হবে ৩১ অগাস্ট। অর্থাৎ শ্রাবণ মাস ৩০ দিনের পরিবর্তে ৫৯ দিনের হবে। এই কারণে এ বছর ৪টির পরিবর্তে ৮টি শ্রাবণ সোমবার পড়তে চলেছে। শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা বলছেন এমনটা শেষবার হয়েছিল ২০০৪ সালে (Adhimas 2023)। অর্থাৎ ১৯ বছর আগে। 

    কেন এই বছরের শ্রাবণ (Shravan 2023) বিশেষ?

    হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, প্রায় ১৯ বছর পর বিক্রম সংবত ২০৮০ অর্থাৎ ২০২৩ সালে শ্রাবণ হবে অধীমাস। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, এই বছরটি ১২ নয়, ১৩ মাসের হতে চলেছে। আগামী ৪ জুলাই থেকে শ্রাবণ মাস শুরু হবে। ৩১ অগাস্ট শ্রাবণের দুই মাস পূর্ণ হবে। অধিমাস শুরু হবে ১৮ জুলাই থেকে যা চলবে ১৬ অগাস্ট পর্যন্ত চলবে। হিন্দু ধর্ম অনুসারে, অধিমাসে কোনও শুভকাজ করা যায়না। এই অশুভ সময়ে বাড়ি নির্মাণ, গৃহ প্রবেশ, অন্নপ্রাশন, দেবতা স্থাপন, কূপ খনন ইত্যাদি সব কিছুই বন্ধ রাখা উচিত। শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শ্রাবণ অধিমাসের (Adhimas 2023) কাকতালীয় ঘটনা ঘটেছিল বিক্রম সংবত ১৯৪৭, ১৯৬৬, ১৯৮৫, ২০০৪ সালে। এবার এই গুরুত্বপূর্ণ মাস শুরু হবে এই বছরেও। শুধু ২০২৩ সালেই নয়, পরবর্তী ২০৪২ ও ২০৬১ সালেও পালিত হবে শ্রাবণ অধিমাস। অর্থাৎ প্রতি ১৯ বছর পরে হবে অধিমাস (Adhimas 2023)। এ বছর তাই চাতুর্মাস হবে পাঁচ মাস। 

    ভক্তরা ৮টি সোমবার পাবেন শিবের মাথায় জল ঢালতে

    শ্রাবণ মাসে (Shravan 2023) বিশেষভাবে ভক্তরা মন্দিরে ভগবান মহাদেবের মূর্তি বা শিবলিঙ্গে দুধ, জল এবং বেল পাতা দিয়ে পুজো করে। শিব মন্দিরে ভগবানকে দুধ, দই, মধু, ঘি এবং পবিত্র জল দিয়ে স্নান করিয়ে রুদ্রাভিষেক করা হয়। শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবছরে শিবলিঙ্গকে উত্তর দিকে মুখ করে রেখে উপাসনা করতে, এতে ফল মিলবে। এর সঙ্গে সঙ্গে প্রার্থনা এবং মন্ত্র উচ্চারণ করতে হবে।

    আরও পড়ুন: গোত্রের উদ্ভব হল কী করে? কী এর গুরুত্ব?

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Coronavirus: “কোভিড আসলে চিনের তৈরি জৈব অস্ত্র”! বিস্ফোরক দাবি চিনা গবেষকের

    Coronavirus: “কোভিড আসলে চিনের তৈরি জৈব অস্ত্র”! বিস্ফোরক দাবি চিনা গবেষকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কোভিড (Coronavirus) আসলে চিনের (China) তৈরি জৈব অস্ত্র। ইচ্ছে করেই সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাস ছড়িয়েছিল চিন।” এমনই দাবি করলেন ইউহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির গবেষক চাও শাও। তাঁর মতে, কোভিড ১৯ জৈবিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল। যাতে মানুষ সংক্রমিত হয়, বিপদে পড়ে। এভাবেই সারা বিশ্বের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করেছিল চিন। ওই গবেষক জানান, করোনা ভাইরাসের চারটি স্ট্রেন দেওয়া হয়েছিল তাঁর সহকর্মীদের। কোন স্ট্রেনটি কত দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে, তা খুঁজে বের করতেও বলা হয়েছিল।

    চাওয়ের দাবি

    আন্তর্জাতিক প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য জেনিফার ঝেংকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওই দাবি করেন চাও। তাঁর দাবি, তাঁকে ও তাঁর সহযোগীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সব চেয়ে কার্যকরী স্ট্রেন খুঁজে বের করতে। সেটি বিভিন্ন প্রাণী ও মানুষের ওপর প্রয়োগ করে বের করতে বলা হয়। ২০২১ সালে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে ওই চিনা গবেষক জানান, ২০১৯ সাল থেকে তাঁর অনেক সঙ্গী নিখোঁজ রয়েছেন। পরে তাঁর এক সতীর্থ জানান, তাঁকে যে হোটেলে পাঠানো হয়েছিল সেখানে তখন ছিলেন উহানে আয়োজিত মিলিটারি ওয়ার্ল্ড গেমসে যোগ দিতে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ক্রীড়াবিদরাও। যাতে তাঁদের স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতার প্রতি খেয়াল রাখা হয়। ভাইরোলজিস্টরা স্বাস্থ্যবিধি পরীক্ষা করেন না। এটা তাঁদের কাজ নয়।

    ভাইরাস ছড়াতেই হোটেলে?

    ওই গবেষকের সন্দেহ, ভাইরাস (Coronavirus) ছড়াতেই ওই হোটেলে পাঠানো হয়েছিল তাঁর সতীর্থদের। করোনা কালেই একবার চাওকে পাঠানো হয়েছিল জেলবন্দিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য। ওই গবেষকের প্রশ্ন, ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করা বিজ্ঞানীদের কাজ। স্বাস্থ্য পরীক্ষাও কী? তিনি মনে করেন, ভাইরাস ছড়াচ্ছে কিনা, তা দেখার জন্যই তাঁকে পাঠানো হয়েছিল জেলবন্দিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে। চাওয়ের দাবি, চিন বাস্তবে কী করছে আর কী বলছে, তা বড় ধাঁধার একটি ছোট অংশ মাত্র। এই অতিমারি তামাম বিশ্বে ৭ মিলিয়নেরও বেশি লোককে হত্যা করেছিল।

    আরও পড়ুুন: ‘‘পশ্চিমবঙ্গকে এই রাহু থেকে উদ্ধার করুন’’! প্রভু জগন্নাথের কাছে প্রার্থনা সুকান্তর

    আশ্চর্যের বিষয় হল, এই বিষয়ে এখনও তদন্ত চলছে। সংক্রমণ প্রতিরোধে ওষুধ ও প্রতিষেধক খুঁজছেন বিজ্ঞানীরা। যদিও ইউএস ডিরেক্টর অফ ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের তরফে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাস (Coronavirus) কোনও জৈব অস্ত্র নয়। এটি যে জৈব অস্ত্র, এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি বলেও দাবি করা হয়েছে বিভিন্ন রিপোর্টে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Sukanta Majumdar : ‘‘পশ্চিমবঙ্গকে এই রাহু থেকে উদ্ধার করুন’’! প্রভু জগন্নাথের কাছে প্রার্থনা সুকান্তর

    Sukanta Majumdar : ‘‘পশ্চিমবঙ্গকে এই রাহু থেকে উদ্ধার করুন’’! প্রভু জগন্নাথের কাছে প্রার্থনা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার উল্টোরথ থেকেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে নামল বিজেপি। এদিন বরানগরের নোয়াপাড়ায় রথযাত্রার অনুষ্ঠানে এসে পরোক্ষে তৃণমূল কংগ্রেসকে ‘রাহু’ বলে কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন মহামণ্ডলেশ্বর আশ্রমের উল্টো রথ যাত্রায় অংশ নেন তিনি। 

    তৃণমূলকে আক্রমণ

    উল্টো রথের দিন নিজের হাতে আরতি করা থেকে নিষ্ঠা ভরে জগন্নাথ দেবের আরাধনা করেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে সাংবিদকরদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনের নামে প্রহসন হচ্ছে। বিরোধীদের আটকানো হচ্ছে, কোথাও কোথাও শোনা যাচ্ছে ফেক ব্যালট পেপার তৈরি করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মাইক্রোস্কোপ দিয়েও খুঁজে পাচ্ছি না। আপনারা দেখলে আমাদের জানাবেন। এই পরিস্থিতির মধ্যে ভোট হচ্ছে। ভোট হবে না ঘোঁট হবে সেটা ভোটের দিন বোঝা যাবে।’

    রাহু-মুক্তির প্রার্থনা

    শীতলকুচিতে ফের হিংসার ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে যাবেন সেখানেই গুলি চলবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওখানে গিয়ে ইনস্টিগেট করে এসেছেন ভায়োলেন্স। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাওয়া মানেই ওখানে অশান্তি হবে।’ সব শেষে জগন্নাথের কাছে কি প্রার্থনা করলেন সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রভু জগন্নাথ পশ্চিমবঙ্গকে এই রাহু থেকে উদ্ধার করুন, মুক্তি দিন।’

    আরও পড়ুন: অনুমোদন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় গবেষণা সংস্থা

    প্রধানমন্ত্রীর কথা প্রসঙ্গে

    রাজ্যে দুর্নীতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আক্রমণ, প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কোনও মিথ্যে কথা বলেননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এত বড় বড় কথা বলছেন। কই বিজেপি-র তো কোনও মন্ত্রী জেলে নেই। তার প্রাক্তন মন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রী, শিল্প মন্ত্রী জেলে। অথচ মুখ্যমন্ত্রীর লজ্জা লাগে না, লজ্জা পান না। পার্থ নামটা মুখে একবারও আনেন না। তার নামটা নিয়ে এসে বলুন, পার্থ খুব ভালো ছেলে ছিল।’

    রাজ্যপাল সংবিধানের কাস্টডিয়ান

    রাজ্যপালকে বারবার আক্রমণ করছে তৃণমূল। সে প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘ভালো কাজ যিনি করবেন তাঁকেই তৃণমূল আক্রমণ করবে। রাজ্যপাল যেখানে যেতে চান সেখানে যাবেন। রাজ্যপালের পদক্ষেপ সংবিধানসম্মত, উনি সংবিধানের কাস্টডিয়ান। সংবিধান আমাদের সকলকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অংশগ্রহণ করার অধিকার দিয়েছে। সেই অধিকার রক্ষা করার জন্য কারোর যদি প্রাণ যায়, কেউ যদি আহত হন, তাঁকে দেখতে রাজ্যপাল যেতে পারেন। তিনি উচিত কাজই করছেন বলে আমাদের মনে হয়।’ 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Titan Submarine: আটলান্টিকের গভীর তলদেশ থেকে উদ্ধার হল ‘টাইটান’-এর ধ্বংসাবশেষ

    Titan Submarine: আটলান্টিকের গভীর তলদেশ থেকে উদ্ধার হল ‘টাইটান’-এর ধ্বংসাবশেষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আটলান্টিকের গভীর তলদেশ উদ্ধার হল সাবমেরিন ‘টাইটান’-এর (Titan Submarine) ধ্বংসাবশেষ। মহাসাগরের তলদেশে বিস্ফোরণের প্রায় দু’সপ্তাহে পরে তা উদ্ধার করল কানাডার উপকূলরক্ষী বাহিনী। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে এই ধ্বংসাবশেষের খুব গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ভেঙেচুরে তালগোল পাকিয়ে যাওয়া এই সাবমেরিনের ফরেন্সিক পরীক্ষা হবে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, ওই ধ্বংসাবশেষের ছবি প্রকাশ্যে আসতেই তা মুহূর্তে ভাইরাল হয় বিশ্বজুড়ে।

    কোথায় পাওয়া গেল ওশেনগেটের এই ডুবোযানকে? 

    আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাগুলি জানিয়েছে,  বুধবার কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ডের সেন্ট জন বন্দরের কাছে ডুবোযান ‘টাইটান’-র (Titan Submarine) ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়। ‘হরাইজন আর্টিক’ নামের নজরদারি ভেসেল হদিশ পায় ওই ধ্বংসাবশেষের। তারপর তা উদ্ধার করে কানাডার কোস্ট গার্ড। যে ছবি প্রকাশ্যে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া একতাল ধাতব পদার্থকে সমুদ্রের গভীর থেকে তোলা হচ্ছে।

    কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ধ্বংসাবশেষের ফরেন্সিক পরীক্ষায় বোঝা দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ। উত্তর মিলবে একাধিক প্রশ্নের। যেমন, জলে ডুব দেওয়ার কতক্ষণের মধ্যে ডুবোযান ‘টাইটান’-এ সর্বনাশা বিস্ফোরণ হয়? ওই সময় জলের কতটা গভীরে ছিল ডুবোযানটি? আটলান্টিকের ওই অংশের জলের চাপই বা কতটা ছিল? 

    কী বলছে কানাডার উপকূল রক্ষী বাহিনী?

    ‘টাইটান’-র ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারের পর বুধবারই বিবৃতি সামনে এসেছে কানাডার উপকূলরক্ষী বাহিনীর। সেখানে বলা হয়েছে, ‘‘উদ্ধার কাজ প্রায় শেষ। সমুদ্রের নীচ থেকে টাইটানের (Titan Submarine) অধিকাংশ ধ্বংসাবশেষই তুলে নেওয়া হয়েছে। আরও কিছু অংশ পড়ে রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

    ১৮ জুন নিঁখোজ হয় টাইটান (Titan Submarine)

    ১৯১২ সালে উত্তর আটলান্টিকে বিরাট একটি হিমশৈলে ধাক্কা লেগে ডুবে যায় ‘RMS টাইটানিক’। এই টাইটানিক নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই সাধারণ মানুষ থেকে ফিল্ম নির্মাতাদের। এনিয়ে তৈরি হয় হলিউডে ছবি। ১১১ বছর আগের মর্মান্তিক সেই দুর্ঘটনায় ক্রু ও যাত্রী মিলিয়ে প্রাণ হারান প্রায় দেড় হাজার জন। সমুদ্রের গভীরে পড়ে থাকা সেই ‘টাইটানিক’-র ধ্বংসাবশেষ আজও রয়েছে।  মার্কিন বেসরকারি সংস্থা ‘ওশেনগেট এক্সপিডিশন’ এখানে ট্যুর করে। প্রতি যাত্রী পিছু খরচ প্রায় আড়াই কোটি। সাবমেরিনে চড়িয়ে দেখানো হয় টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ। এই উদ্দেশ্যে গত ১৮ জুন নিউফাউন্ডল্যান্ড থেকে যাত্রা শুরু করে ‘টাইটান’। কিন্তু আটলান্টিকের জলে ডুব দেওয়ার পৌনে দু’ঘণ্টার মধ্যেই দিক নির্দেশকারী জাহাজ বা কমান্ড শিপের সঙ্গে ডুবোযানটির সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। চারদিনের মাথায় ‘টাইটানিক’-র থেকে ১৬০০ মিটার দূরে ‘টাইটান’-র ধ্বংসাবশেষের হদিশ পায় কোস্ট গার্ডের রোবট ডুবুরি। মৃত্যু হয় ৫ পর্যটকের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: মোদির বাসভবনে মধ্যরাত পর্যন্ত বৈঠক বিজেপির, কী নিয়ে আলোচনা হল জানেন?

    PM Modi: মোদির বাসভবনে মধ্যরাত পর্যন্ত বৈঠক বিজেপির, কী নিয়ে আলোচনা হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার পর বছর ঘুরলেই মহারণ, লোকসভা নির্বাচন। এই জোড়া নির্বাচন জয়ের রণকৌশল স্থির করতে বুধবার রাতে বিজেপির (BJP) শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে আয়োজিত ওই বৈঠক চলে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সভাপতি জেপি নাড্ডা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিএল সন্তোষ সহ দলের হেভিওয়েট নেতানেত্রীরা।

    দোরগোড়ায় নির্বাচন

    বৈঠকে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগড়, রাজস্থান, তেলঙ্গানা এবং মিজোরামের বিধানসভা নির্বাচন এবং লোকসভা নির্বাচনের কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মাস দুয়েক আগে কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনে হার হয়েছে দলের। তাই আগেভাগেই কোমর কষে নামতে উদ্যোগী হয়েছে নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহের দল। পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন এবং আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি বৈঠকে উঠে এসেছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি সংক্রান্ত বিল পেশ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার (PM Modi) সম্ভাব্য রদবদলের বিষয়টিও।

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধি

    লোকসভা নির্বাচনের আগেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু করতে কেন্দ্র যে উদ্যোগী হবে, তা জানাই ছিল। কারণ কেন্দ্র নিযুক্ত আইন কমিশনের তরফে ইতিমধ্যেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর বিষয়ে বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন ও সাধারণ মানুষের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। তাছাড়া দিন কয়েক আগে ভোপালের এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) প্রশ্ন তোলেন, “কোনও পরিবারে যদি প্রত্যেক সদস্যের জন্য আলাদা আলাদা আইন থাকে, তাহলে কি সেই সংসার চালানো যায়?”

    আরও পড়ুুন: উত্তর প্রদেশে গুলিবিদ্ধ ভীম আর্মি প্রধান ‘রাবণ’, দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি

    তিনি এও বলেন, “দেশের এক একটি সম্প্রদায়ের জন্য যদি এক এক রকম আইন থাকে, তাহলে দেশ এগোতে পারে না। সংবিধানেও সকলের জন্য সমান আইনের কথা বলা আছে। সুপ্রিম কোর্টও অভিন্ন দেওয়ানি বিধির কথা বলেছে।” লোকসভা নির্বাচনের আগে রদবদল হবে মন্ত্রিসভায়ও। কাকে কোনও মন্ত্রকে নিয়ে আসা হবে, কাকেই বা বাদ দেওয়া হবে, সেসব নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয় এদিনের বৈঠকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ

  • ODI World Cup 2023: বিশ্বকাপে ভারত ভ্রমণ!  ৯ শহরে ৯ ম্যাচ, ৮৪০০ কিলোমিটার ঘুরবে টিম ইন্ডিয়া

    ODI World Cup 2023: বিশ্বকাপে ভারত ভ্রমণ! ৯ শহরে ৯ ম্যাচ, ৮৪০০ কিলোমিটার ঘুরবে টিম ইন্ডিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকাপের (ODI World Cup 2023) গ্রুপ পর্বে ন’টি শহরে ন’টি ম্যাচ খেলবে ভারত (Team India)। প্রিয় দলের খেলা দেখতে, বিরাট-রোহিতদের হয়ে গলা ফাটাতে পারবেন দেশের সব প্রান্তের মানুষই। অক্টোবরের ৫ তারিখ শুরু হবে ওডিআই ক্রিকেট বিশ্বকাপ। ফাইনাল ১৯ নভেম্বর। সব মিলিয়ে ১০টি ভেনুতে হবে বিশ্বকাপের ম্যাচ। এই ম্যাচগুলি খেলতে প্রায় ৮,৪০০ কিলোমিটার ঘুরতে হবে ভারতীয় দলকে। সেটাও ৩৪ দিনের মধ্যে। ভারত যদি ফাইনালে ওঠে তা হলে ৪২ দিনে ১১টি ম্যাচে ৯,৭০০ কিলোমিটার ঘুরতে হবে কোহলিদের।

    কোথায় কোথায় খেলবে ভারত

    ভারতীয় দলের (ODI World Cup 2023) অভিযান শুরু হবে ৮ অক্টোবর। চেন্নাইতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলবে ভারত (Team India)। দ্বিতীয় ম্যাচ দিল্লিতে। চেন্নাই থেকে দিল্লির দূরত্ব ১,৭৬১ কিলোমিটার। পরের ম্যাচ খেলতে আমেদাবাদে যেতে হবে কোহলিদের। দিল্লি থেকে আমেদাবাদের দূরত্ব ৭৭৫ কিলোমিটার। এই ভাবে পরের ম্যাচগুলির জন্য আমেদাবাদ থেকে পুণে (৫১৬ কিলোমিটার), পুণে থেকে ধর্মশালা (১,৯৩৬ কিলোমিটার), ধর্মশালা থেকে লখনউ (৭৮৪ কিলোমিটার), লখনউ থেকে মুম্বই (১,১৯০ কিলোমিটার), মুম্বই থেকে কলকাতা (১,৬৫২ কিলোমিটার) এবং কলকাতা থেকে বেঙ্গালুরু (১,৫৪৪ কিলোমিটার) যেতে হবে রোহিত, কোহলিদের। টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি ট্র্যাভেল করতে হবে ভারতীয় দলকেই।

    আরও পড়ুন: উৎসবের দিনে বিশ্বকাপ! সমস্যা হবে না, দাবি সিএবি কর্তাদের

    দেশের সেরা তারকাদের দেখার আশা

    বিসিসিআই সূত্রে খবর, ভারতের ম্যাচ পাওয়ার আবেদন করেছিল সব রাজ্য সংস্থা। তাই কোনও কেন্দ্রেই একটির বেশি খেলা দেওয়া হয়নি। বোর্ডের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ (ODI World Cup 2023)। প্রতিটা রাজ্য সংস্থা ভারতের ম্যাচ আয়োজন করতে চেয়ে অনুরোধ করেছিল। সবাই দেশের সেরা তারকাদের দেখতে চায়। সেই কারণেই প্রতিটা মাঠে আলাদা আলাদা ম্যাচ রাখা হয়েছে। বিষয়টা জটিল হলেও এমনটাই হওয়ার ছিল। আশা করছি ক্রিকেটারদের কোনও সমস্যা হবে না।’’বিশ্বকাপে ভারত একমাত্র দল যারা লিগের ৯টি ম্যাচই ভিন্ন শহরে খেলবে। বাকি বেশির ভাগ দলই অন্তত এক শহরে দুটি ম্যাচ খেলবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • National Research Foundation Bill: অনুমোদন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় গবেষণা সংস্থা

    National Research Foundation Bill: অনুমোদন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় গবেষণা সংস্থা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে জাতীয় গবেষণা ফাউন্ডেশন (National Research Foundation Bill) তৈরির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল সরকার। জাতীয় শিক্ষা নীতি অনুযায়ী দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির গবেষণায় নতুন দিশা-নির্দেশ করতে বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন বিল (NRF), ২০২৩ সংসদে পেশে অনুমোদন দিয়েছে। সংসদের আসন্ন বাদল অধিবেশনে এই বিল পেশ করা হবে।

    জাতীয় গবেষণা ফাউন্ডেশন বিল কী

    এই বিলটি (National Research Foundation Bill) সংসদে অনুমোদনের পর এনআরএফ প্রতিষ্ঠিত হবে, জাতীয় শিক্ষা নীতি (NEP)–এর সুপারিশ অনুসারে একটি নিয়ামক সংস্থা দেশে বৈজ্ঞানিক গবেষণার উচ্চস্তরীয় কৌশলগত দিক নির্দেশ করবে। এর জন্য ৫ বছরে (২০২৩-২০২৮) আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকা। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, সমাজবিজ্ঞানের কোন ক্ষেত্রে, কোন বিষয়ের গবেষণায় কেন্দ্র কত টাকা ঢালবে, তা ঠিক করবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এই সংস্থাই। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার তরফে জানানো হয়েছে, পাঁচ বছরে গবেষণায় ৫০ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হবে। এর মধ্যে ৩৬ হাজার কোটি টাকা আসবে বেসরকারি ক্ষেত্র, রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প সংস্থা, অনুদান সংস্থার তরফ থেকে। ফলে দেশের, বিশেষত অর্থনীতির অগ্রগতির প্রয়োজন মাফিক গবেষণায় উৎসাহ দেওয়া হবে। যে সব গবেষণায় সমাজের তেমন ‘লাভ নেই’, সেখানে অর্থ অপচয় বন্ধ হবে। 

    আরও পড়ুন: নিউমোনিয়ার প্রকোপ থেকে বাঁচতে শিশুদের মতো বয়স্কদেরও কি টিকা জরুরি?

    প্রযুক্তি ও শিল্প ক্ষেত্রের বিষয়ে গবেষণা

    তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর জানান, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও শিল্প ক্ষেত্রের উপযোগী বিষয়ে গবেষণায় জোর দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী পরিচালন বোর্ডের প্রধান হবেন। তাঁর সঙ্গে ১৫ থেকে ২৫ জন বিশিষ্ট গবেষক, শিক্ষাবিদ, পেশাদার থাকবেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টার নেতৃত্বে সংস্থার কার্যকরী পরিষদ কাজ করবে। তাঁরাই গবেষণার দিশানির্দেশে সিদ্ধান্ত নেবেন। বিজ্ঞান-প্রযুক্তি মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহের বক্তব্য, এখন আইআইটি, আইআইএসসি-র মতো সংস্থাই গবেষণার সিংহভাগ অর্থ পায়। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি পায় মাত্র ১০%। নতুন ব্যবস্থায় (National Research Foundation Bill) সেই ছবি বদলাবে বলে তাঁর দাবি। তদিন গবেষণা সংক্রান্ত বিষয়ে নির্ধারণ করত সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ বোর্ড। ২০০৮ সালে তৈরি এই সংস্থাও এবার মিশে যাবে ন্যাশানাল রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Rath: বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রথে আগুন ত্রিপুরায়, ঝলসে মৃত ৭, সাহায্য ঘোষণা মোদির

    Rath: বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রথে আগুন ত্রিপুরায়, ঝলসে মৃত ৭, সাহায্য ঘোষণা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাসির বাড়ি থেকে উল্টোরথের (Rath) দিন ফেরেন প্রভু জগন্নাথ। সেই আনন্দে মেতেছেন দেশ-বিদেশের ভক্তরা। উল্টোরথ ঘিরে ত্রিপুরায় ঘটে গেল এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। রথে আগুন লাগায় প্রাণ হারালেন ৭ জন।

    ঠিক কী হয়েছিল?

    উল্টোরথ (Rath) উপলক্ষে এদিন বিকাল থেকেই ত্রিপুরার উনাকোটি জেলার কুমারঘাটে ভিড় করেছিলেন ভক্তরা। জানা গিয়েছে, ফি বছর এই রথের মেলায় তিল ধারণের জায়গা থাকে না, এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এরই মধ্যে আচমকা রথে ধরে যায় ভয়াবহ আগুন। মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে লেলিহান শিখা। ঝলসে মৃত্যু হয় ৭ জনের। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। ঘটনার জেরে শোকের ছায়া গোটা রাজ্যে।

    কীভাবে আগুন লাগে?

    রথে (Rath) আগুন লাগার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ত্রিপুরায় উনাকোটি জেলায়। খবর যায় দমকলেও। সূত্রের খবর, রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় আচমকা ১৩৩ কিলো-ভোল্টের হাই-টেনশন লাইনের সংস্পর্শে এসে যায় রথটি। মুহূর্তেই আগুন ধরে যায়। আগুনের করাল গ্রাস থেকে বাঁচতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় সমবেত জনতার মধ্যে। পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন বিকাল সাড়ে ৪টে নাগাদ ঘটনাটি ঘটে কুমারঘাটে। পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কীভাবে ওই ওভারহেড তারের সংস্পর্শে এল রথটি, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রথযাত্রার জন্য আগে থেকেই যেখানে বিদ্যুতের তার উঁচু করে দেওয়া হয় এবং রথের উচ্চতাও স্থির করে দেওয়া হয়, সেখানে কীভাবে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।

    শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

    মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা ও গুরুতর আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।

    শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহারত

    ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। তিনি এদিন ঘোষণা করেন, নিহতদের সন্তানদের ৪ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। ষাট শতাংশের বেশি পুড়ে গেছে যাঁদের শরীর তাঁরা পাবেন আড়াই লাখ টাকা। অন্যদিকে ৪০-৬০ শতাংশ শরীর পুড়েছে যাঁদের, তাঁরা পাবেন ৭৪ হাজার টাকা। মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা এই দুর্ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশও দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, উনাকোটির জেলা শাসকের নেতৃত্বে চলবে এই তদন্ত।

    নিজের ট্যুইটারে তিনি লিখেছেন, “কুমারঘাটে একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় উল্টো রথ টানার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বেশ কয়েকজন  প্রাণ হারিয়েছেন। আরও অনেকে আহতও হয়েছেন। এই ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত। স্বজনহারা পরিবারগুলির প্রতি আমার গভীর সমবেদনা রইল। যাঁরা আহত হয়েছেন তাঁরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন, এটাই চাই। এই কঠিন সময়ে রাজ্য সরকার তাঁদের পাশে আছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ

  • Bhim Army: উত্তর প্রদেশে গুলিবিদ্ধ ভীম আর্মি প্রধান ‘রাবণ’, দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি

    Bhim Army: উত্তর প্রদেশে গুলিবিদ্ধ ভীম আর্মি প্রধান ‘রাবণ’, দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুলিবিদ্ধ ভীম আর্মি (Bhim Army) প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ (Chandrashekhar Azad) ওরফে রাবণ। বুধবার বিকেলে উত্তর প্রদেশের সাহারানপুরে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন ভীম আর্ম প্রধান। এদিন বিকেলে সাহারানপুরে উত্তর প্রদেশের এই দলিত নেতার কনভয় লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। একটি সাদা গাড়িতে করে দুষ্কৃতীরা এসেছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। তারা তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে মোট চার রাউন্ড গুলি চালায়। একটি গুলি লাগে তাঁর পিঠে। সাহারানপুর জেলা পুলিশের সিনিয়র সুপার বিপিন টডা বলেন, দুষ্কৃতীদের খোঁজ চলছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। 

    গুলি লাগে আজাদের পিঠে

    জানা গিয়েছে, এদিন সাহারানপরে এক সমর্থকের বাড়ির একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন ভীম আর্মি (Bhim Army) প্রধান চন্দ্রশেখর। অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, দুর্বৃত্তরা হরিয়ানার নম্বর প্লেট লাগানো একটি গাড়িতে করে এসেছিল। বিপিন বলেন, চন্দ্রশেখর আজাদের কনভয় লক্ষ্য করে গুলি চালায় কয়েকজন দুষ্কৃতী। একটি গুলি লাগে তাঁর গায়ে। তাঁর চিকিৎসা চলছে। ভীম আর্মি প্রধান গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে খবর ছড়িয়ে পড়তেই কয়েক হাজার ভীম আর্মি এবং আজাদ সমাজ পার্টির কর্মী-সমর্থকরা ভিড় করেন হাসপাতাল চত্বরে। পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে চলে না যায়, তাই হাসপাতাল চত্বরে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল বাহিনী।

    আজাদ সমাজ পার্টির প্রতিষ্ঠা

    ২০২০ সালের মার্চ মাসে আজাদ সমাজ পার্টি গড়েছিলেন চন্দ্রশেখর (Bhim Army)। বাইশের উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থীও হয়েছিলেন তিনি। গোরক্ষপুর (শহর) কেন্দ্রে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন চন্দ্রশেখর। যদিও হেরে যান। চন্দ্রশেখরের গড়া ভীম আর্মি একটি সামাজিক সংগঠন।

    এই সংগঠনের ব্যানারে গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন রাজ্যে দলিত ও অনগ্রসরদের অধিকার রক্ষার জন্য লড়াই করছে ভীম আর্মি। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিরোধী আন্দোলনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন ভীম সেনা প্রধান।

    আরও পড়ুুন: ‘৩ মাসের মধ্যে বিদায় দেব চোরেদের সরকারকে’, ভোটপ্রচারে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    চন্দ্রশেখর গুলিবিদ্ধ হওয়ায় কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদব। তিনি বলেন, ভীম আর্মি (Bhim Army) প্রধান ভাই চন্দ্রশেখর আজাদের ওপর গুলি চালনার ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ। বহুজন মিশন আন্দোলন বন্ধ করতেই তাঁকে গুলি করা হয়েছে। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারির দাবি জানাচ্ছি। তাঁর নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবিও জানাচ্ছি। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে জঙ্গলরাজের সঙ্গে তুলনা করেন অখিলেশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ

  • Calcutta High Court: সংরক্ষিত আসনে টেটে পাশ মার্ক নিয়ে ভিন্ন মত ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতির  

    Calcutta High Court: সংরক্ষিত আসনে টেটে পাশ মার্ক নিয়ে ভিন্ন মত ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতির  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেটের (TET) সংরক্ষিত প্রার্থীদের পাশ নম্বর নিয়ে ভিন্ন মত কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতি। তাই মামলাটি গেল প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে। সেখান থেকে যাবে তৃতীয় বেঞ্চে। সেখানেই নির্ধারিত হবে সংরক্ষিত প্রার্থীদের পাশ নম্বর কত।

    এনসিটিই-র নিয়ম

    সংরক্ষিত প্রার্থীদের টেট পাশের জন্য পেতে হবে ন্যূনতম ৫৫ শতাংশ নম্বর। যার অর্থ, ১৫০ নম্বরের পরীক্ষায় পেতে হবে ৮২.৫। এনসিটিই-র নিয়ম অনুযায়ী, পরীক্ষার্থীরা ৮২ নম্বর পেলেই পাশ বলে ধরা হবে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের যুক্তি, ১৫০-র মধ্যে ৮২ নম্বর পাওয়া মানে ৫৪.৬৭ শতাংশ নম্বর। অর্থাৎ ৫৫ শতাংশ নম্বর হচ্ছে না। ১ নম্বর বেশি হলে তবেই তা শতাংশের বিচারে হত ৫৫.৩৪। কেবল সেক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হত ৫৫ শতাংশের নিয়ম। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় অবশ্য ৮২ নম্বর পাওয়া টেট প্রার্থীদের মান্যতা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। রায়দানকালে এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশ এবং এনসিটিই-র রিপোর্টেরও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। সিঙ্গল বেঞ্চের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিলেন কয়েকজন প্রার্থী।

    ডিভিশন বেঞ্চে ভিন্ন মত

    বুধবার সেই মামলা ওঠে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানেই ভিন্ন মত পোষণ করেন দুই বিচারপতি। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে সঠিক বলে মত দেন। কিন্তু বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের দাবি, ৮২.৫ নম্বর পেলেই উত্তীর্ণ বলে ধরা হবে। সেক্ষেত্রে তা ৮৩-ও হতে পারে। নম্বরের ক্ষেত্রে পিছিয়ে যেতে রাজি নন তিনি। ডিভিশন বেঞ্চের (Calcutta High Court) দুই বিচারপতি ভিন্ন মত পোষণ করায় মামলাটি গিয়েছে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের এজলাসে। তিনি সেটি পাঠাবেন তৃতীয় বেঞ্চে। সেখানেই নির্ধারিত হবে উত্তীর্ণ মান কত – ৮২ না ৮৩?

    আরও পড়ুুন: ‘‘এমন পদক্ষেপ করুন যাতে মানুষ ভরসা পায়’’, কমিশনকে হাইকোর্ট

    প্রসঙ্গত, সারা দেশেই ৮২ নম্বরকেই উত্তীর্ণ মান ধরা হয়। এই বিষয়টি নজরে রেখেই যাতে সিঙ্গল বেঞ্চ নম্বরের বিষয়টি বিবেচনা করে, এমনই আবেদন করেছিলেন আবেদনকারীরা। ৮২ নম্বরকেই পাশ মার্ক হিসেবে মান্যতা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তার পরেই মামলা যায় ডিভিশন বেঞ্চে (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share