Tag: bangla news

bangla news

  • Odisha Train Derailment: আহতদের দেখতে বালাসোরে সুকান্ত! শুভেন্দু পাঠালেন ১৫ অ্যাম্বুল্যান্স

    Odisha Train Derailment: আহতদের দেখতে বালাসোরে সুকান্ত! শুভেন্দু পাঠালেন ১৫ অ্যাম্বুল্যান্স

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালাসোরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় (Odisha Train Derailment) শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৩৩ পৌঁছেছে। আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৯০০। তাঁদের চিকিৎসা চলছে স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে। শুক্রবার ভোররাতেই ফকির মোহন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির ২ সাধারণ সম্পাদক জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো এবং জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে আহতেদের সঙ্গে কথাও বলেন বালুরঘাটের সাংসদ। অন্যদিকে এই বিপর্যয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ১৫টি অ্যাম্বুলেন্স পাঠালেন দুর্ঘটনাস্থলে। নিজের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে একথা জানান শুভেন্দু।

    আরও পড়ুন: রেল দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করলেন রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী

    নিজের স্যোশাল মিডিয়াতে শুভেন্দু লেখেন, ‘‘করমন্ডল এক্সপ্রেস এর দুর্ঘটনার (Odisha Train Derailment) খবরে আমি উদ্বিগ্ন। রেল দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। সমস্ত রকমের ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস তাঁরা দিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের কুড়িজনের মেডিকেল টিম দুর্ঘটনা স্থলে সাহায্যের জন্য রয়েছেন।’’ প্রথমে তিনি ১০টি অ্যাম্বুল্যান্স পাঠান পরে আরও ৫টি।

    বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের বিবৃতি

    শুক্রবার ভোররাতেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে বালাসোরে হাসপাতালে পৌঁছান রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে জগন্নাথ লেখেন, ‘‘করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার (Odisha Train Derailment) খবর পেয়ে মাঝরাতে কলকাতা থেকে রওনা দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শ্রী সুকান্ত মজুমদার। সঙ্গী হই আমরাও। ভোরবেলা আমরা পৌঁছায় বালাসোর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। হৃদয়বিদারক পরিস্থিতি। করমণ্ডল ছিল অ্যাম্বুলেন্স এক্সপ্রেস। বালেশ্বর হাসপাতালে হাত-পা ভাঙা, মাথায় চোট, থেঁতলে যাওয়া রোগীদের অধিকাংশই বাংলার বিভিন্ন জেলা থেকে দক্ষিণ ভারতে গায়ে গতরে খাটার কাজ করতে যাচ্ছিলেন। বেশিরভাগই সংখ্যালঘু। হতভাগ্য আমরা। অ্যাম্বুলেন্স এক্সপ্রেস এখন পরিযায়ী এক্সপ্রেসে পরিণত হয়েছে। মর্গের কথা আর বলছি না। কাজের খোঁজে গিয়ে বেঘোরে প্রাণ হারানো স্বজনদের জন্য কিছু বলার ভাষা নেই। ভগবান তাঁদের সহায় হোন।’’

    রেলের হেল্পলাইন নম্বর

    হাওড়া স্টেশনের জন্য:০৩৩-২৬৩৮২২১৭
    খড়গপুর স্টেশনের জন্য: ৮৯৭২০৭৩৯২৫,৯৩৩২৩৯২৩৩৯
    বালাসোর স্টেশনের জন্য: ৮২৪৯৫৯১৫৫৯,৭৯৭৮৪১৮৩২২
    শালিমার স্টেশনের জন্য: ৯৯০৩৩৭০৭৪৬

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Odisha Train Derailment: ‘‘গোড়ায় গিয়ে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান, সর্বোত্তম স্বাস্থ্য সেবা’’, বালাসোরে রেলমন্ত্রী

    Odisha Train Derailment: ‘‘গোড়ায় গিয়ে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান, সর্বোত্তম স্বাস্থ্য সেবা’’, বালাসোরে রেলমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালাসোরে ট্রেন দুর্ঘটনাস্থলে (Odisha Train Derailment) পৌঁছে গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন অশ্বিনী বৈষ্ণব। শনিবার সকালেই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান রেলমন্ত্রী। তারও আগে পৌঁছে গিয়েছিলেন রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান অনিলকুমার লাহোটি। তাঁর থেকে পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন। দুর্ঘটনার এলাকা ঘুরে দেখেন। পাশাপাশি, তিনি নিজে প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেন।

    সর্বোত্তম স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের আশ্বাস

    সাংবাদিকদের অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, ‘‘এটা একটা ভয়ঙ্কর মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। রেল, এনডিআরএফ, এসডিআরএফ এবং রাজ্য সরকার একযোগে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। সর্বোত্তম স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হবে।’’ তিনি যোগ করেন, ‘‘আপাতত উদ্ধারকাজেই জোর দেওয়া হচ্ছে। আমাদের প্রাথমিক এবং একমাত্র লক্ষ্য আহতদের যত দ্রুত সম্ভব উদ্ধার করা এবং উপযুক্ত চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা।’’

    ক্ষতিপূরণ ঘোষণা রেলের

    করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় (Odisha Train Derailment) মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩৩ হয়েছে। গতকাল রাতেই, দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার এবং আহতদের জন্য ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে রেল। শুক্রবার রাতে টুইটে এ কথা জানান রেলমন্ত্রী বৈষ্ণব। তিনি লেখেন, ‘‘ওড়িশায় মর্মান্তিক এই রেল দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার পিছু ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে। গুরুতর আহতদের ২ লক্ষ এবং কম আঘাত পেয়েছেন যাঁরা, তাঁদের ৫০ হাজার টাকা করে সাহায্য দেওয়া হবে।’’

    গোড়ায় গিয়ে কারণ অনুসন্ধান (Odisha Train Derailment)

    দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে এদিন কিছু বলেননি রেলমন্ত্রী। তবে, দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে গতকাল রাতেই উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয় রেলের তরফে। পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এদিন তিনি বলেন, ‘‘একেবারে গোড়ায় গিয়ে এই দুর্ঘটনার কারণ (Odisha Train Derailment) অনুসন্ধান করবে রেল। রেলওয়ে সেফটি কমিশনার (দক্ষিণ-পূর্ব সার্কল) স্বতন্ত্র ভাবে তদন্ত করবেন। কিন্তু প্রাথমিক ভাবে আমাদের অগ্রাধিকার অন্য।’’ এদিকে জানা গিয়েছে, আজ দুর্ঘটনাস্থলে যাবেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। বালাসোরের ফকির মোহন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

    রেলের হেল্পলাইন নম্বর

    হাওড়া: ০৩৩-২৬৩৮২২১৭
    খড়্গপুর: ৮৯৭২০৭৩৯২৫, ৯৩৩২৩৯২৩৩৯
    বালাসোর: ৮২৪৯৫৯১৫৫৯, ৭৯৭৮৪১৮৩২২
    শালিমার: ৯৯০৩৩৭০৭৪৬

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Odisha Train Accident: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃত্যু বেড়ে ২৩৩, আহত ৯০০-র বেশি

    Odisha Train Accident: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃত্যু বেড়ে ২৩৩, আহত ৯০০-র বেশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় (Odisha Train Accident) লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। শনিবার সকাল পর্যন্ত এই, ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২৩৩ জনের। এমনটাই জানিয়েছেন ওড়িশার মুখ্যসচিব প্রদীপ জানা। আহতের সংখ্যা ৯০০ ছাড়িয়েছে। রাতভর উদ্ধার অভিযান চলার পর একাধিক কামরা থেকে উদ্ধার হয়েছে মৃতদেহ। অনেককেই উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ফলে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    ২৩টির মধ্যে করমণ্ডলের ১৫টি কামরা লাইনচ্যুত

    দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যে ছ’টা নাগাদ ওড়িশার বালাসোর স্টেশন ছাড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। এর কিছুটা দূরেই বাহানগা বাজার রেল স্টেশন। সেখানেই ১২৮৪১ আপ শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেসের একাধিক বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায় (Odisha Train Accident)। ২৩টি কামরার মধ্যে ১৫টি কামরা লাইন থেকে ছিটকে পড়ে পাশের ডাউন লাইনে। ট্রেনের বি২, বি৩, বি৪, বি৫, বি৬, বি৭, বি৮, বি৯, এ১ এবং এ২ কামরা উলটে যায়। এছাড়া ট্রেনের ইঞ্জিন এবং বি১ কামরাটি লাইন থেকে ছিটকে যায়। এর তীব্রতা এতটাই জোরালো ছিল যে পাশের লাইনে থাকা বেঙ্গালুরু-হাওড়া ডাউন যশবন্তপুর হামসফর এক্সপ্রেসেরও ৩-৪টি কামরা লাইনচ্যুত হয়। দুর্ঘটনার অভিঘাত এতটাই বড় ছিল যে, করমণ্ডলের কয়েকটি কামরা কার্যত ছিটকে গিয়ে পড়ে পাশের নয়ানজুলিতে।

    শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

    ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ। দুর্ঘটনায় (Odisha Train Accident) নিহতদের ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ, গুরুতর আহতদের ২ লক্ষ টাকা এবং অল্প আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আজ রাজ্যজুড়ে শোকপালনের কথা ঘোষণা করেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পটনায়েক। আজ দুর্ঘটনাস্থলে যাবেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। গতকালই তিনি উচ্চপর্যায়েত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। রেলের তরফে ইতিমধ্য়েই দুর্ঘটনাগ্রস্থ কামরাগুলিকে সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। আহতদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: কেষ্টর কোথায় কষ্ট! ‘বাঘ’-কে দেখতে তিহাড়ে ২ তৃণমূল সাংসদ, লক্ষ্য পঞ্চায়েত?

    Anubrata Mondal: কেষ্টর কোথায় কষ্ট! ‘বাঘ’-কে দেখতে তিহাড়ে ২ তৃণমূল সাংসদ, লক্ষ্য পঞ্চায়েত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ও তাঁর কন্যার সঙ্গে দেখা করতে তিহাড়ে পৌঁছে গেল তৃণমূলের ২ সাংসদ। শুক্রবার, তৃণমূলের ২ প্রতিনিধি— দলের রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন এবং বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল জেলবন্দি অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করেন।

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আরও অনেক আগে থেকে কলকাতায় জেলে বন্দি রয়েছেন দলের একদা মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এখনও পর্যন্ত, তাঁকে দেখতে দলের তরফে কাউকে জেলে পাঠানো হয়নি। অথচ, অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করতে একেবারে তিহাড়ে পৌঁছে গেল ২ জন সাংসদ! রাজনৈতিক মহলের কাছে এই বিষয়টির অন্য তাৎপর্যপূর্ণ রয়েছে।

    পার্থ বনাম অনুব্রত

    রাজনৈতিক মহলের মতে, দুই দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি দুই হেভিওয়েট নেতার ক্ষেত্রে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের দুরকম আচরণ দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। শিক্ষা দুর্নীতি মামলায় পার্থ গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁর উপর থেকে কার্যত ‘হাত তুলে নেয়’ তৃণমূল। প্রথমে পার্থকে মন্ত্রিত্ব থেকে সাসপেন্ড করা হয়। তারপর দল থেকেও তাঁকে বরখাস্ত করা হয়।

    উল্টোদিকে, গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রতর (Anubrata Mondal) ক্ষেত্রে তেমনটা ঘটেনি। এখনও তিনি তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি পদে বহাল। তাঁকে সাংগঠনিক পদ থেকেও সরায়নি তৃণমূল। দল থেকে তো বরখাস্তের প্রশ্নই নেই। এমনকি, একাধিক সমাবেশে ‘কেষ্ট’-র ওপর আস্থা রাখতেই শোনা গিয়েছে তৃণমূলনেত্রীর গলায়। দল যে অনুব্রতর পাশে রয়েছে, তা নিজ মুখে ঘোষণা করেছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    কেষ্ট-সাক্ষাতের নেপথ্যে কোন রসায়ণ?

    এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কেন এখন অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করতে গেল তৃণমূল প্রতিনিধিদল? রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, শিয়রে পঞ্চায়েত ভোট। বীরভূম জেলাকে নিজের হাতের তালুর মতো চেনেন কেষ্ট। দলে তো তাঁকে ‘বীরভূমের বাঘ’ বলেও উল্লেখ করা হয়। এখন গরু পাচারকাণ্ডে সেই ‘বাঘ’ এখন তিহাড়ের ‘খাঁচায়’ বন্দি। গতকালই, অনুব্রতর (Anubrata Mondal) শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে। আগামী একমাস শুনানি হবে কি না, তার নিশ্চিয়তা নেই। ফলত, গোটা জুন মাসটাই হয়ত, জেলেই থাকতে হবে কেষ্টকে। 

    আরও পড়ুন: বাবার শুনানি স্থগিত, মেয়ের জামিন খারিজ! আপাতত তিহাড়েই কেষ্ট-সুকন্যা

    নজের পঞ্চায়েত ভোট? 

    দলে ‘দক্ষ সংগঠক’ হিসাবে পরিচিত অনুব্রত (Anubrata Mondal)। পঞ্চায়েত হোক বা বিধানসভা, অতীতে একাধিক ভোট বৈতরণী পার করিয়েছেন কেষ্ট। সব ভোটে কেষ্ট-ফ্যাক্টর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে, তা নিয়ে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের মনে কোনও সন্দেহ নেই। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে, কেষ্টর থাকা আর না থাকার মধ্যে ফারাকটা বিলক্ষণ জানে দল। তাই তাঁর সঙ্গে দেখা করাটা দরকার ছিল। পঞ্চায়েত ভোটের জন্য বীরভূম জেলায় তৃণমূল নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে দলের নেতৃত্বের জন্য অনুব্রতর কোনও বার্তা থেকে থাকলে, তা আদান-প্রদান হবে।

    পাশে থাকার বার্তা?

    রাজনৈতিক মহলের আরেকটা অংশ মনে করছে, নিজের থেকেও কেষ্টর বেশি উদ্বেগ তাঁর মেয়েকে নিয়ে। একই মামলায় মেয়ে সুকন্যাও তিহাড়ে বন্দি। ফলে, মেয়ের স্বার্থে যদি কেষ্টর মুখ খুলে যায়, তাহলে তৃণমূলের মাথাদের জন্য আরও বিপদ বাড়বে। শিক্ষা দুর্নীতি মামলায় কয়েকজনকে রাজসাক্ষী করা হতে পারে বলে বৃহস্পতিবারই আদালতে জানিয়েছে সিবিআই। এবার গরু পাচার মামলায় যদি অনুব্রত (Anubrata Mondal) মুখ খোলেন, তাহলে কী হতে পারে, তা আগাম আঁচ করে হয়ত ভয় পাচ্ছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। যে কারণে, দল যে তাঁর পাশে আছে, সেই বার্তা অনুব্রতকে দেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছিল।

    সব মিলিয়ে কেষ্টকে দেখতে তৃণমূল প্রতিনিধিদলের তিহাড় যাত্রাকে ঘিরে বঙ্গ রাজনীতিতে তুমুল আলোড়ন!

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jammu Kashmir: রাজৌরিতে সেনা অভিযানে খতম এক সন্ত্রাসবাদী, বারামুল্লায় ধৃত ২ লস্কর জঙ্গি

    Jammu Kashmir: রাজৌরিতে সেনা অভিযানে খতম এক সন্ত্রাসবাদী, বারামুল্লায় ধৃত ২ লস্কর জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) রাজৌরিতে সেনা এনকাউন্টারে খতম এক জঙ্গি। এর আগে গতকাল বারামুল্লায় ২ লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।

    দসাল জঙ্গলে অভিযান

    রাজৌরির (Jammu Kashmir) দসাল অঞ্চলে কয়েকজন জঙ্গি আত্মগোপন করে আছে বলে বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর আসে পুলিশের কাছে। সঙ্গে সঙ্গে জঙ্গিদমন অভিযানে নামে যৌথ বাহিনী। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে শুরু হয় তল্লাশি। অন্ধকারের মধ্যেই জঙ্গল থেকে বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ধেয়ে আসে। পাল্টা জবাব দেয় বাহিনীও। বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে দুপক্ষের গুলি বিনিময়। এরপর শুক্রবার সকালে এক জঙ্গির দেহ উদ্ধার হয়। আর কোনও জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে গোটা জঙ্গল ও তার সংলগ্ন এলাকায় চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে যৌথ বাহিনী। 

    বারামুল্লায় গ্রেফতার ২ লস্কর জঙ্গি

    এর আগে, গতকাল বারামুল্লা থেকে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার দুই সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের কাছে থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। জম্মু কাশ্মীর (Jammu Kashmir) পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর আসে বারামুল্লার ফেস্টিয়ার খেরি গ্রামের কাছে কিছু জঙ্গি ঘোরাফেরা করছে। এরপরই নিরাপত্তা বাহিনীর তরফে ফেস্টিয়ার ওয়ারিপোরা ক্রসিং এলাকায় একটি মোবাইল চেকিং চেকপয়েন্ট মোতায়েন করা হয়। আর তাতেই মেলে সাফল্য। জঙ্গিরা প্রথমে চেকপয়েন্ট দেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি। ফেস্টিয়ার খেরি গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের নাম সুহালি গুলজার এবং ওয়াসিম আহমেদ পাটা। 

    আরও পড়ুন: ভারত সফরে প্রচণ্ড, মোদির সঙ্গে স্থল বন্দর উদ্বোধন নেপালের প্রধানমন্ত্রীর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Junior Asia Hockey 2023: ছোটদের বড় রেকর্ড! পাকিস্তানকে হারিয়ে জুনিয়র এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন ভারত

    Junior Asia Hockey 2023: ছোটদের বড় রেকর্ড! পাকিস্তানকে হারিয়ে জুনিয়র এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হকিতে ফের এশিয়া সেরা হল ভারতের ছোটরা। চির-প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হল ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দল (Junior Asia Hockey 2023)। সেইসঙ্গে ছিনিয়ে নিল এতদিন পাকিস্তানের ধরে রাখা সর্বাধিক জয়ের রেকর্ডও। এই নিয়ে চতুর্থ বার এশীয় সেরা হল ভারতীয় দল।

    বৃহস্পতিবার ওমানের সালালাহে আয়োজিত জুনিয়র এশিয়া কাপের (Junior Asia Hockey 2023) ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দেশ। প্রথম থেকেই আগ্রাসী মেজাজে শুরু করেছিল ভারতীয় দল। বিরতিতে ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল উত্তম সিংয়ের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল। তৃতীয় কোয়ার্টারে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় পাকিস্তান। দ্বিতীয়ার্ধে কঠিন লড়াই চালায় পাকিস্তান। এই সময় পাকিস্তানের হয়ে ব্যবধান কমান বাশারত আলি। যদিও শেষমেশ ম্যাচে সমতা ফেরানো সম্ভব হয়নি পাকিস্তানের পক্ষে।

    এই নিয়ে সব থেকে বেশি চারবার ছেলেদের জুনিয়র হকি এশিয়া চ্যাম্পিয়ন (Junior Asia Hockey 2023) হল ভারত। এই জয়ে উচ্ছ্বসিত হকি ইন্ডিয়া। তারা খেলোয়াড় ও সাপোর্ট স্টাফদের জন্য আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করেছে। প্রত্যেক খেলোয়াড় পাবে ২ লক্ষ টাকা। প্রত্যেক সাপোর্ট স্টাফ পাবেন ১ লক্ষ করে। এর আগে সব থেকে বেশিবার এই টুর্নামেন্ট জয়ের রেকর্ড ছিল পাকিস্তানের। তারা ৩ বার ছেলেদের বিভাগে হকির জুনিয়র এশিয়া কাপ জিতেছে। এর আগে, ভারত জুনিয়র এশিয়া কাপ শিরোপা জেতে ২০০৪, ২০০৮ ও ২০১৫ সালে। চারবারের মধ্যে তিনবার পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারতের ছোটরা।

    আরও পড়ুন: পাখির চোখ প্যারিস অলিম্পিক! জ্যাভলিনে বিশ্বের ১ নম্বর নীরজ

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata-Sukanya: বাবার শুনানি স্থগিত, মেয়ের জামিন খারিজ! আপাতত তিহাড়েই কেষ্ট-সুকন্যা

    Anubrata-Sukanya: বাবার শুনানি স্থগিত, মেয়ের জামিন খারিজ! আপাতত তিহাড়েই কেষ্ট-সুকন্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় দিল্লির আদালতে জোড়া ধাক্কা খেলেন বীরভূমের দাপুটে মণ্ডল-পরিবারের দুই জেলবন্দি সদস্য (Anubrata-Sukanya)। একদিকে, যেমন কেষ্ট মণ্ডলের শুনানি স্থগিত হয়ে গেল, তেমন অন্যদিকে ওই আদালতেই খারিজ হয়েছে মেয়ে সুকন্যার জামিনের আর্জি। ফলে, এখন বাপ-বেটিকে আপাতত দিল্লির তিহাড় জেলেই থাকতে হবে। 

    শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত। বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি দীনেশ কুমার শর্মা গরহাজির থাকায় অনুব্রতর জামিনের আবেদনের শুনানি হয়নি। ওদিকে সুকন্যার জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় রাউস অ্যাভিনিউ আদালত (Anubrata-Sukanya)।

    সুকন্যার শুনানিতে মণীশের বয়ান হাতিয়ার ইডি-র

    শুনানিতে সুকন্যার আইনজীবী আদালতে সওয়াল করেন, সুকন্যার বয়স কম। তিনি এই দুর্নীতিতে যুক্ত নন। তিনি সব রকম ভাবে ইডিকে সহযোগিতা করেছেন। ফলে, তাঁকে জামিন দেওয়া হোক। পাল্টা ইডি জানায়, বাবার কারবারে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন সুকন্যা। তিনিই গরু পাচারের টাকা বিনিয়োগের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতেন। এ ব্যাপারে এই মামলায় জেলবন্দি অনুব্রতর হিসেবরক্ষক মণীশ কোঠারির বয়ানকে হাতিয়ার করে তদন্তকারী সংস্থা। ইডি-র আইনজীবী জানান, অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি জানিয়েছেন, সুকন্যা ব্যবসার দেখাশোনা করতেন এবং তাঁকেও নির্দেশ দিতেন। উভয় পক্ষের সওয়াল শুনে জামিন খারিজ করেন বিচারক।

    আরও পড়ুন: গ্রেফতারের আগে ‘কালীঘাটের কাকু’-র ওপর ৭ মাস নজর রাখেন গোয়েন্দারা!

    গোটা জুন মাস তিহাড়েই কাটবে কেষ্ট-সুকন্যার? (Anubrata-Sukanya)?

    প্রসঙ্গত, গত ২৬ এপ্রিল দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে সুকন্যাকে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়। ৩১ বছরের সুকন্যাকে তিন দিন নিজেদের হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। তার পর থেকে সুকন্যা তিহাড় জেলে। সোমবার থেকে আদালতে গরমের ছুটি পড়ে যাওয়ায় আগামী এক মাসে আর এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই মনে করা হচ্ছে, গোটা জুন মাস তিহাড় জেলেই কাটাতে হবে অনুব্রত এবং সুকন্যাকে (Anubrata-Sukanya)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nepal PM in India: ভারত সফরে প্রচণ্ড, মোদির সঙ্গে স্থল বন্দর উদ্বোধন নেপালের প্রধানমন্ত্রীর

    Nepal PM in India: ভারত সফরে প্রচণ্ড, মোদির সঙ্গে স্থল বন্দর উদ্বোধন নেপালের প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কুমার দহল (Nepal PM in India) ওরফে প্রচণ্ড-কে পাশে নিয়ে উত্তরপ্রদেশের প্রথম স্থল বন্দরের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। 

    ভারত সফরে প্রচণ্ড

    চারদিনের সফরে বুধবার ভারতে এসেছেন প্রচণ্ড (Pushpa Kumar Dahal)। গত বছরের শেষে তিনি প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার নেপালের প্রধানমন্ত্রী (Nepal PM in India) নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এটাই তাঁর প্রথম ভারত সফর। বৃহস্পতিবার দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী। এর পর সকাল সাড়ে এগারোটায় নয়াদিল্লি থেকে ভার্চুয়ালি ‘রূপাইডিহা ল্যান্ড পোর্ট’-এর উদ্বোধন করেন দুই প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: সীমান্ত সমস্যা মেটাতে ফের আলোচনার টেবিলে ভারত-চিন, কী কথা হল?

    কী এই স্থল বন্দর?

    রূপাইডিহা স্থল বন্দরটি ভারত-নেপাল সীমান্ত লাগোয়া উত্তরপ্রদেশের বারাইচে অবস্থিত। ল্যান্ড পোর্ট হল আন্তর্জাতিক সীমান্তের এক অংশ, যেখান দিয়ে যাত্রীবাহী যানবাহন ও পণ্যবাহী পরিবহন নিয়ন্ত্রণ করা হয়। রূপাইডিহা স্থলবন্দরটি তৈরি করা হয়েছে ১১৫ একর জমির উপর, খরচ হয়েছে প্রায় ২০০ কোটি টাকা। ভারত-নেপাল আন্তর্জাতিক সীমান্তের দুই পাশেই বেশ কয়েকটি চেক পোস্ট গড়ে তোলা হয়েছে। সীমান্তের দুই পাশের এই চেকপয়েন্টগুলোতে এক ছাদের নিচে দুই দেশের শুল্ক, অভিবাসন ও অন্যান্য পরিষেবা বিভাগগুলোকে আনা হয়েছে। এর ফলে আন্তঃসীমান্ত পরিবহনের ক্ষেত্রে পণ্যবাহী ট্রাকগুলির সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে জোর

    এর আগে, হায়দরাবাদ হাউসে দুই শীর্ষ নেতার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়। তাতে দুই দেশের সম্পর্ক আরও নিবিড় করার ক্ষেত্রে জোর দেওয়ার পাশাপাশি শিল্প, বাণিজ্য সহ একাধিক বিষয় স্থান পেয়েছে। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্ক প্রসারিত করার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানা গেছে। সেই সঙ্গে অর্থনীতি, শক্তি এবং পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও মজবুত করার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার সকালে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ইন্দোরে যাবেন পুষ্প কুমার দহল (Nepal PM in India)। শনিবার কাঠমান্ডুর উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India China Border: সীমান্ত সমস্যা মেটাতে ফের আলোচনার টেবিলে ভারত-চিন, কী কথা হল?

    India China Border: সীমান্ত সমস্যা মেটাতে ফের আলোচনার টেবিলে ভারত-চিন, কী কথা হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্ত (India China Border) জটিলতার সমাধানসূত্র খোঁজার চেষ্টায় ফের একবার আলোচনার টেবিলে বসল ভারত ও চিন। বুধবার নয়াদিল্লিতে বসেছিল ভারত-চিন কূটনীতি পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। ‘ওয়ার্কিং মেকানিজম ফর কনসালটেশন অ্যান্ড কো অর্ডিনেশন’-এর (WMCC) ২৭তম আলোচনায় অংশ নেন দু’দেশের বিদেশ মন্ত্রকের কর্তারা।

    বিদেশমন্ত্রক পর্যায়ের বৈঠক

    সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, আলোচনা হয়েছে খোলামেলা ও ইতিবাচক পরিবেশে। ভারতের তরফে এই বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করেন বিদেশ মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব (পূর্ব এশিয়া)। অন্যদিকে, চিনের তরফে এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চিনের বিদেশ মন্ত্রকের সীমান্ত ও সমুদ্র বিষয়ক দফতরের ডিজি। বৈঠকে পূর্ব লাদাখে (India China Border) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC) বরাবর যে সংঘাতের জায়গাগুলি চিহ্নিত হয়ে রয়েছে, সেখানে অস্ত্র নিবারনের মাধ্যমে উত্তেজনা প্রশমন ও শান্তি স্থাপনের জন্য একাধিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বুধবারের আলোচনায় বারবার উঠে এসেছে শান্তি স্থাপনের ইস্যুটি। বৈঠকে বলা হয়েছে, একমাত্র সীমান্ত শান্তি ও স্থিতাবস্থার মাধ্যমেই দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত হওয়া সম্ভব। জানা গিয়েছে, সীমান্ত সমস্যার (India China Border) সমাধানে দ্রুত সামরিক কমান্ডার পর্যায়ের ১৯ তম বৈঠকে বসার জন্য উভয় পক্ষই সম্মত হয়েছে। এর আগের বৈঠকটি গত ২২ ফেব্রুয়ারি হয়েছিল বেজিংয়ে। 

    আরও পড়ুন: জি৭-এর মঞ্চ থেকেই চিন, পাকিস্তানকে কড়া বার্তা মোদির

    সীমান্ত সমস্যা দীর্ঘদিনের

    প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই সীমান্তে উত্তেজনা কমানোর জন্য দুপক্ষই আলোচনার টেবিলে একাধিকবার বসেছে। যদিও, সমাধান সূত্র অধরাই থেকে গিয়েছে। কারণ একটাই, চিনের দ্বিচারিতা। বেজিং মুখে একরকম কথা বলে, কাজ করে উল্টো। গত তিন বছর ধরে পূর্ব লাদাখের কয়েকটি জায়গায় (India China Border) ভারত ও চিনা সেনার মধ্যে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সাম্প্রতিককালে, একাধিকবার ভারতের ভূমিতে আগ্রাসনের চেষ্টা করেছে চিনা পিএলএ। প্রতিবার ভারতীয় জওয়ানরা তা প্রতিহত করেছেন। গালওয়ানে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। দুদেশের সেনার মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাঁধে।

    দু-মুখো নীতি বেজিংয়ের

    চিনের দু-মুখো নীতি সম্পর্কে ভারত যথেষ্ট অবগত। এখনও একদিকে উত্তেজনা প্রশমনে আলোচনায় বসলেও, সীমান্ত লাগোয়া অঞ্চলগুলোতে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে সামরিক পরিকাঠামো উন্নয়ন করে চলেছে বেজিং। যা দেখে স্পষ্ট, মুখে সীমান্তে অস্থিরতা কমানোর কথা যত বলুক না কেন, চিন কিন্তু আদতে তার বিপরীত কাজ করছে। কয়েকদিন আগেই একটি উপগ্রহ চিত্র প্রকাশিত হয়েছে সংবাদমাধ্যমে। তাতে দেখা যাচ্ছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (Line of Actual Control) খুব কাছেই বায়ুসেনা ঘাঁটি বানিয়ে চলেছে (India China Border)। এই আবহে আকাশে চিনা বায়ুসেনার শক্তি ক্রমেই বেড়েছে এই অঞ্চলে। শুধু এয়ারফিল্ড নয়, লাদাখের আশেপাশে হেলিপ্যাড, রেললাইন, মিসাইল বেস, সড়ক, সেতু নির্মাণ করে চলেছে চিন। যার স্পষ্ট ইঙ্গিত, সেনা মোতায়েনের জন্যই এসব নির্মাণকাজ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Brij Bhushan: ব্রিজভূষণ ইস্যুতে প্রথমবার বিবৃতি দিল কেন্দ্র, কী বললেন ক্রীড়ামন্ত্রী?

    Brij Bhushan: ব্রিজভূষণ ইস্যুতে প্রথমবার বিবৃতি দিল কেন্দ্র, কী বললেন ক্রীড়ামন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি সাংসদ এবং ভারতের কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংকে (Brij Bhushan) গ্রেফতার করার মতো পর্যাপ্ত প্রমাণ তাদের কাছে নেই। এমনটাই জানাল দিল্লি পুলিশ। প্রসঙ্গত, ব্রিজভূষণ (Brij Bhushan) শরণ সিংকে গ্রেফতারের দাবিতে দিল্লিতে ধর্না দিচ্ছে কুস্তিগীরদের একাংশ। মুখে তারা অরাজনৈতিক বললেও ধর্না মঞ্চে ভিড় দেখা যাচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের। যা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন তুলেছেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। ক্রীড়ামন্ত্রীর মতে, ‘‘আন্দোলনকারীদের এমন কিছু করা উচিত নয়, যা খেলা এবং অ্যাথলেটিকদের ক্ষতি করে। দিল্লি পুলিশ ইতিমধ্যে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে এবং এফআইআরও করেছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি অ্যাথলেটিকদের বলব, দিল্লি পুলিশের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।’’ সামনে এশিয়ান গেমস রয়েছে, সেদিকে অ্যাথলেটিকদের মনোনিবেশও করতে বলেন তিনি।

    কী বলছে দিল্লি পুলিশ?

    দিল্লি পুলিশ এনিয়ে জানাচ্ছে, তাদের কাছে এমন কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই যা দিয়ে তাঁকে (ব্রিজভূষণ) গ্রেফতার করা যেতে পারে। ১৫ দিনের মধ্যে দিল্লি পুলিশ আদালতে রিপোর্ট দাখিল করতে চলেছে বলেও জানা গেছে। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, পস্কো আইনের যে ধারাগুলো এফআইআর-এ রয়েছে, তাতে ৭ বছরের কম কারাদণ্ড হয়। কাজেই তদন্তকারী অফিসার গ্রেফতার করতে পারেন না। ব্রিজভূষণ (Brij Bhushan) শরণের বিরুদ্ধে সাক্ষীদের প্রভাবিত করার অভিযোগও নেই।

    কী বলছেন ব্রিজভূষণ (Brij Bhushan)?

    এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন তিনি। প্রসঙ্গত, ব্রিজভূষণ ৬ বারের সাংসদ। এদিন কুস্তিগীরদের একাংশ গঙ্গায় পদক বিসর্জন দেওয়ার কর্মসূচি নেয়। কিন্তু শেষমেশ কৃষক আন্দোলনের নেতা নরেশ টিকাইত হরিদ্বারে এসে তাঁদের আটকান। এ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি ব্রিজভূষণ। তিনি বলেন, ‘‘আজ ওরা গঙ্গায় পদক ভাসাতে গিয়েছিল। পরে সেসব টিকাইতের হাতে তুলে দেয়। এটা ওদের অবস্থান। আমরা কী করতে পারি?’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমার বিষয়টি নিয়ে দিল্লি পুলিশ তদন্ত করছে। অভিযোগের যদি কোনও সত্যতা থাকে, তাহলে গ্রেফতার করুক।’’

    আরও পড়ুন: বন্ধ হয়েছে তিন তালাক, মোদি সরকারের আমলে মহিলাদের জন্য অজস্র প্রকল্প

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share