Tag: bangla news

bangla news

  • Calcutta High Court: অভিষেক-কুন্তলকে কেন ৫০ লক্ষ টাকার জরিমানা করল হাইকোর্ট? এই হল আসল কারণ

    Calcutta High Court: অভিষেক-কুন্তলকে কেন ৫০ লক্ষ টাকার জরিমানা করল হাইকোর্ট? এই হল আসল কারণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত অন্য একটি মামলায় জুড়ে গিয়েছে তৃণমূল (TMC) নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানিতে অভিষেক এবং প্রাক্তন তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের মোট ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহা। দুজনকেই দিতে হবে ২৫ লক্ষ করে টাকা। অভিষেকদের ওই টাকা জমা দিতে হবে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে।

    কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জরিমানা কেন?

    প্রশ্ন হল, কী কারণে জরিমানা গুণতে হবে অভিষেক এবং কুন্তলকে? কলকাতা হাইকোর্ট সূত্রে খবর, আদালতের মূল্যবান সময় নষ্ট করার জন্যই গুণাগার দিতে হবে অভিষেক ও কুন্তলকে। বৃহস্পতিবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার রায়ে বলা হয়েছে, আদালতের নির্দেশ পুনর্বিবেচনা বা প্রত্যাহারের যে আবেদন অভিষেক করেছিলেন, তার কোনও সারপত্তা খুঁজে পাওয়া যায়নি। সেই কারণেই জরিমানা। 

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। গ্রেফতার হওয়ার পরেই তাঁকে বহিষ্কার করে তৃণমূল। পরে তিনি দাবি করেন, তদন্তকারীরা তাঁর মুখ দিয়ে অভিষেকের নাম বলানোর জন্য চাপ দিচ্ছেন। অভিযোগ জানিয়ে নিম্ন আদালতের পাশাপাশি হেস্টিংস থানায়ও চিঠি দিয়েছিলেন কুন্তল। ওই চিঠি প্রসঙ্গে বিচারপতি (Calcutta High Court) অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ ছিল, ইডি কিংবা সিবিআই প্রয়োজনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করতে পারে। হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক। পরে অন্য একটি ঘটনার জেরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এ সংক্রান্ত মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে সরিয়ে পাঠানো হয় বিচারপতি সিনহার বেঞ্চে। বিচারপতি সিনহাও জানিয়ে দেন, ইডি-সিবিআই চাইলে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে অভিষেককে।

    আরও পড়ুুন: হাইকোর্টে ধাক্কা অভিষেকের! জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে সিবিআই-ইডি, সঙ্গে বিপুল জরিমানা

    মামলার সারবত্তা না থাকলে জরিমানা করা হয় আদালতে। জরিমানা দিতে হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। নন্দীগ্রাম বিধানসভার রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন মমতা। মামলাটি উঠেছিল বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে। মুখ্যমন্ত্রী এজলাস বদলের আর্জি জানান। তাঁর সেই অনুরোধ রাখেন বিচারপতি চন্দ। তবে এজলাসে আস্থা না রাখার জন্য ৫ লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয়।

    সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন অভিষেক?

    এদিকে, কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের (Calcutta High Court) প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছেন অভিষেক। এদিন বিচারপতি সিনহা নির্দেশ দেন, কুন্তল ঘোষের চিঠি মামলায় তৃণমূল নেতা অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে ইডি এবং সিবিআই। তার প্রেক্ষিতেই দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন অভিষেক। বর্তমানে দলীয় কর্মসূচি উপলক্ষে আসানসোলে রয়েছেন অভিষেক। সেখান থেকেই কথা বলেন আইনজীবীদের সঙ্গে। ঠিক হয়, রায়ের প্রতিলিপি হাতে পাওয়ার পর তা খতিয়ে দেখা হবে। তার পরেই আবেদন জানানো হবে সুপ্রিম কোর্টে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Kali Mandir: বাংলাদেশে ফের কালী মন্দিরে আগুন, পুড়ে ছাই প্রতিমা, দুষ্কৃতীরা অধরা

    Kali Mandir: বাংলাদেশে ফের কালী মন্দিরে আগুন, পুড়ে ছাই প্রতিমা, দুষ্কৃতীরা অধরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুষ্কৃতীদের রোষের আগুন হিন্দু (Hindu) মন্দিরে (Kali Mandir)। পুড়ে ছাই কালীপ্রতিমা। ঘটনাস্থল এবারও সেই বাংলাদেশ (Bangladesh)। নওগাঁর ঘটনায় চাঞ্চল্য। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন চলছেই। যার জেরে দেশটিতে ক্রমেই কমছে হিন্দুদের সংখ্যা। নওগাঁ এলাকার বাসিন্দারা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে তাঁরা দেখেন রাতের অন্ধকারে কে বা কারা আগুন লাগিয়ে দিয়েছে মন্দিরে। মন্দিরের গর্ভগৃহে থাকা প্রতিমাও পুড়ে ছাই। এলাকাবাসীর দাবি, ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে কোনও কট্টরপন্থী মুসলিম সংগঠন।

    কালী মন্দিরে (Kali Mandir) আগুন দুষ্কৃতীদের

    নওদার সরকারপাড়ার ন’হাটা মোড়ে রয়েছে ওই কালী মন্দির। এলাকাটি মহাদেবপুর থানার অধীন। মন্দিরে আগুন লাগানোর ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত যান পুলিশ আধিকারিকরা। শুরু হয়েছে তদন্ত। দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন স্থানীয়রা। দিন দশেক আগেও একবার হিন্দু মন্দিরে (Kali Mandir) ভাঙচুর চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। রংপুরের মিঠাপুকুর এলাকার ওই মন্দিরে ছিল মা কালী, শীতলা এবং মহাদেবের মূর্তি। ওই ঘটনায় জনৈক আমিনুর রহমানের স্ত্রী কোহিনুর বেগমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মিঠাপুকুর থানার ওসি মুস্তাফিজুর রহমানের দাবি, ঘটনার কথা কবুল করেছেন কোহিনুর বেগম। 

    আগেও কালী মন্দিরে ভাঙচুর হয়েছে

    গত বছর কালীপুজোর দিনও দিনাজপুরের একটি কালী মন্দিরে ভাঙচুর করে দুষ্কৃতীরা। এর ঠিক আগের দিনই সিরাজগঞ্জ জেলার কালাচাঁদ মন্দিরে হামলা চালায় মৌলবাদীরা। মন্দিরে থাকা সরস্বতীর প্রতিমা ভেঙে দেওয়া হয়। কালী মন্দির ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল রাশেদ, বেলাল, রকি এবং তুষারকে। ঘটনার প্রতিবাদে দিনাজপুর-রংপুর সড়ক অবরোধ করে দেশের বিভিন্ন হিন্দু সংগঠন।

    গত বছর অক্টোবরেও ব্রিটিশ আমলের একটি কালী মন্দিরেও (Kali Mandir) হামলা চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। মন্দিরটি পশ্চিম বাংলাদেশের ঝিনাইদহ এলাকায়। সেখানে প্রতিমার মাথা ভেঙে রাস্তার ধারে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। ২০২১ সালে দুর্গোৎসবের সময় বাংলাদেশেরই কুমিল্লায় একটি পুজো মণ্ডপে হামলা চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। প্যান্ডেল ভাঙচুরের পাশাপাশি ভাঙা হয় প্রতিমা। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় মণ্ডপে। ঘটনার জেরে ফিকে হয়ে গিয়েছিল উৎসবের আমেজ। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে শেষতক বিজিবি মোতায়েন করতে হয় হাসিনা সরকারকে।

    আরও পড়ুুন: হাইকোর্টে ধাক্কা অভিষেকের! জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে সিবিআই-ইডি, সঙ্গে বিপুল জরিমানা

    চলতি বছরের মার্চ মাসেও বাংলাদেশের পঞ্চগড়ের একটি মন্দিরে (Kali Mandir) হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। ভেঙে দেওয়া হয় মন্দিরে থাকা কালী প্রতিমার মূর্তি। শবেবরাতের রাতে মৌলবাদীরা ওই কাণ্ড ঘটিয়েছিল বলে অভিযোগ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Piyali Basak: পিয়ালির মাকালু শৃঙ্গ জয়ে উচ্ছ্বাস চন্দননগরে, অভিনন্দনে ভাসছে পরিবার

    Piyali Basak: পিয়ালির মাকালু শৃঙ্গ জয়ে উচ্ছ্বাস চন্দননগরে, অভিনন্দনে ভাসছে পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবার হুগলি জেলার মুখ উজ্জ্বল করলেন বিশিষ্ট পর্বতারোহী পিয়ালি বসাক (Piyali Basak)। চন্দননগরের এই পাহাড়ি কন্যা পিয়ালি বসাকের মাথায় উঠল আরেকটি মুকুট। বুধবার সকালে তিনি বিশ্বের পঞ্চম উচ্চতম শৃঙ্গ মাকালু জয় করলেন। নেপালের সংস্থা পাইওনিয়ার অ্যাডভেঞ্চার সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, মাকালুকে বিশ্বের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং পর্বত আরোহণ বলে মনে করা হয়। এই নিয়ে ৬ টি আটহাজারী শৃঙ্গ জয় করলেন পিয়ালি। এর আগে এভারেস্ট, লোৎসে, মানাসুলু, ধৌলাগিরি এবং অন্নপূর্ণা জয় করেছেন তিনি। এর আগেও একবার মাকালু অভিযানে যেতে গিয়ে অসুস্থ বাবার জন্য তা স্থগিত রেখে বাড়ি ফিরে এসেছিলেন পিয়ালি।

    রওনা হয়েছিলেন ৯ মার্চ

    এবারে গত ৯ মার্চ অন্নপূর্ণা এবং মাকালু শৃঙ্গ জয় করার লক্ষ্যে চন্দননগরের বাড়ি থেকে রওনা হন পিয়ালি (Piyali Basak)। ১৭ এপ্রিল বিশ্বের দশম উচ্চতম শৃঙ্গ অন্নপূর্ণা জয় করেছিলেন। নেপালের সংস্থা পাইওনিয়ার অ্যাডভেঞ্চার সূত্রে জানা যায়, এই মাকালু শৃঙ্গ জয় মোটেই সহজ ব্যাপার নয়। এই পর্বতের চার ধারালো জায়গা উলম্বভাবে প্রায় ২৭৭৬৫ ফুট শিখরের দিকে দাঁড়িয়ে, যা অভিজ্ঞ পর্বতারোহী ছাড়া আরোহণ করা অসম্ভব। বিশ্বের পঞ্চম সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ এই মাকালু পর্বতচূড়ায় উঠতে পর্বতারোহীদের সর্বোচ্চ পর্যায়ের দক্ষতা, দৃঢ়তা ও অধ্যাবশায়ের প্রয়োজন হয় বলে জানা গেছে।

    খবর মিলতেই বাড়িতে ভিড়

    এদিন এই খবর পাওয়ার পর চন্দননগর পুরনিগমের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাঁটাপুকুরে পুরনো জীর্ণ দোতলা বাড়িটায় ভিড় লেগে যায়। পিয়ালির (Piyali Basak) বাড়ি এটাই। পাড়াপড়শি থেকে বিভিন্ন মাধ্যম ভিড় করে অভিনন্দন জানিয়ে যায় পিয়ালির পরিবারকে। চন্দননগরের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা বছর বত্রিশের পিয়ালির ছোট থেকেই উৎসাহ পাহাড় নিয়ে। বাবা তপন বসাক বর্তমানে অসুস্থ। কোনও কিছুই মনে করতে পারেন না। তবে একসময় দুই মেয়েকে প্রচুর উৎসাহ দিয়েছেন। তাদের ছোটবেলায় পাহাড়ে পাহাড়ে বেড়াতে নিয়ে গেছেন। সেখান থেকেই শুরু। কথা হচ্ছিল এদিন পিয়ালির মা স্বপ্না বসাকের সঙ্গে। বলেন, খুব গর্বিত হয়েছি খবরটা শুনে। এমনিতেই খুব উৎকণ্ঠায় ছিলাম। কারণ, শুনেছি ওই শৃঙ্গজয় মোটেই সহজ নয়। আমি তৃপ্ত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: হাইকোর্টে ধাক্কা অভিষেকের! জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে সিবিআই-ইডি, সঙ্গে বিপুল জরিমানা

    Calcutta High Court: হাইকোর্টে ধাক্কা অভিষেকের! জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে সিবিআই-ইডি, সঙ্গে বিপুল জরিমানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহু চেষ্টা করেও ইডি-সিবিআইয়ের নাগাল এড়াতে পারলেন না তৃণমূলের (TMC) সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)! কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হার নির্দেশ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে ইডি-সিবিআই। বস্তত, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পূর্ববর্তী নির্দেশই বহাল রইল বিচারপতি সিন্‌হার এজলাসে। যার জেরে খারিজ হয়ে গেল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রাক্তন তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের আবেদন। একই সঙ্গে দুজনকে অবিলম্বে ২৫ লক্ষ টাকা করে জরিমানা দিতে হবে। স্বাভাবিকভাবেই এবার আর অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদের কোনও বাধা রইল না ইডি-সিবিআইয়ের।

    বিচারপতি (Calcutta High Court) অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ কী?

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। গ্রেফতার হওয়ার পরেই তাঁকে বহিষ্কার করে তৃণমূল। পরে তিনি দাবি করেন, তদন্তকারীরা তাঁর মুখ দিয়ে অভিষেকের নাম বলানোর জন্য চাপ দিচ্ছেন। অভিযোগ জানিয়ে নিম্ন আদালতের পাশাপাশি হেস্টিংস থানায়ও চিঠি দিয়েছিলেন কুন্তল। ওই চিঠি প্রসঙ্গে বিচারপতি (Calcutta High Court) অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ ছিল, ইডি কিংবা সিবিআই প্রয়োজনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করতে পারে। হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক। সেখান থেকে আবার হাইকোর্টে ফেরে মামলাটি। পরে অন্য একটি ঘটনার জেরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এ সংক্রান্ত মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে সরিয়ে পাঠানো হয় বিচারপতি সিন্‌হার বেঞ্চে। বিচারপতি সিন্‌হাও জানিয়ে দেন, ইডি-সিবিআই চাইলে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে অভিষেককে।

    অভিষেককে কেন রক্ষাকবচ দেয়নি আদালত?

    গত শুক্রবারও কুন্তলের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) রক্ষাকবচ দেয়নি অভিষেককে। অবশ্য ওই দিন শুনানিতে অভিষেকের আইনজীবী হাইকোর্টের পুরানো নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানান। অভিষেককে অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ দেওয়ার আর্জিও জানানো হয়। এই সময়ের মধ্যে ইডি কিংবা সিবিআই যাতে চরম পদক্ষেপ নিতে না পারে, সেই আবেদনও করেছিলেন অভিষেকের আইনজীবী। এ প্রসঙ্গে বিচারপতি সিন্‌হা বলেন, আদালতের দরজা ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। প্রয়োজন মনে করলে যখন খুশি আসবেন। কিন্তু কোনও রক্ষাকবচ নয়। বিচারপতি সিন্‌হার নির্দেশ, কুন্তল ও অভিষেককে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে ইডি-সিবিআই। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে সোমবার।

    আরও পড়ুুন: ‘‘আরএসএস দ্বেষ নয়, দেশপ্রেম শেখায়’’, মত সুনীল আম্বেকরের

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Egra: এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ভানুসহ গ্রেফতার ৩, কোথা থেকে জানেন?

    Egra: এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ভানুসহ গ্রেফতার ৩, কোথা থেকে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এগরায় (Egra) বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পর সপরিবারে ওড়িশায় দিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিলেন কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানু। ঘটনার পর পরই সিআইডি তদন্তভার গ্রহণ করলেও ভানুর নাগাল পায়নি কেউ। মোবাইল ট্র্যাক করে তাকে ধরার চেষ্টা করে সিআইডি। ঘটনার তিনদিন পর বৃহস্পতিবার সকালে ভানুসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। কটক থেকে তাদের ধরা হয়। গ্রেফতারের তালিকায় ছেলে পৃথ্বীজিৎ বাগ এবং ভাইপোকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    ভানু গ্রেফতার হতেই কী বললেন নিহত পরিবারের লোকজন?

    ভানু একসময় এগরার (Egra) খাদিকুলের বাড়িতে বাজি তৈরি করত। বছর পাঁচেক আগে সেখানে বিস্ফোরণ হয়। তাতে ভানুর ভাই ও তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হয়। ভানু জেলও খাটে। তবে, জেল থেকে বেরিয়ে কিছুদিন চুপচাপ থাকার পর সে ফের স্বমহিময় ফেরে। শাসক দলের নেতা ও পুলিশকে ম্যানেজ করে মাঠের মধ্যে মাটি ভরাট করে বাজি কারখানা গড়ে তোলা হয়। সেখানে যাওয়ার জন্য নতুন করে রাস্তা তৈরি করা হয়েছিল। সেই কারখানায় গড়ে ৩০ জন কাজ করতেন। তবে, ঘটনার দিন সংখ্যাটা কম ছিল। তবে, কতজন কাজ করছিলেন তা কেউ স্পষ্ট করে বলতে পারেননি। আর বিস্ফোরণের সময় পাশের ঘরেই ভানু ছিলেন। ফলে, বিস্ফোরণে সে গুরুতর চোট পান। তারপরও তিনি বসে না থেকে পরিবারের সকলকে নিয়ে কারখানার পিছনে মাঠ ধরে এলাকা ছেড়ে ছিলেন। তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য ভানু গ্রেফতার হওয়ার খবর এদিন খাদিকুল গ্রামে পৌঁছাতেই নিহত পরিবারের লোকজন কিছুটা হলেও স্বস্তিতে রয়েছেন। এক নিহত পরিবারের সদস্য গৌরাঙ্গ মাইতি বলেন, আমার ১৯ বছরের ছেলে কাজ করত। আমি চাই, ভানুকে গুলি করে মেরে দেওয়া হোক। নাহলে অন্তত তাকে সারা জীবন যেন জেলে রেখে দেওয়া হয়। ও গ্রামে না ফিরলে আর বাজি কারখানা হবে না। এভাবে আমাদের কোল খালি হবে না।

    কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দা?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ভানু এলাকায় রীতিমতো মাতব্বর ছিল। সে তৃণমূলের নেতাদের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কথা বলার কারও সাহস ছিল না। এর আগেও ওর কারখানায় বিস্ফোরণ হয়েছিল। জেলও খেটেছে সে। তারপরও বাড়ি ফিরে পুলিশ আর তৃণমূল নেতাদের ম্যানেজ করে রমরমিয়ে এই কারবার চালাত। তাই, অভিযুক্ত ভানু বাগের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। ও যাতে গ্রামে আর ফিরতে না পারে তারজন্য প্রশাসনকে সবরকম উদ্যোগ নিতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP West Bengal: ‘পদ্ম-বার্তা’ পৌঁছে দিতে পথে বিজেপি, যুব পঞ্চায়েত পদযাত্রা গেরুয়া শিবিরের

    BJP West Bengal: ‘পদ্ম-বার্তা’ পৌঁছে দিতে পথে বিজেপি, যুব পঞ্চায়েত পদযাত্রা গেরুয়া শিবিরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাস দুয়েকের মধ্যেই হতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayet Polls)। দলের গোষ্ঠীকোন্দল সামাল দিতে ময়দানে নেমে পড়েছেন তৃণমূলের (TMC) সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘নবজোয়ার যাত্রা’ নাম দিয়ে আক্ষরিক অর্থেই প্রমোদ ভ্রমণে বেরিয়েছেন তৃণমূলের যুবরাজ। এদিকে, নির্বাচনের আগে আমজনতার অভাব অভিযোগের কথা শুনতে পদযাত্রা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিজেপি (BJP West Bengal) যুব মোর্চা। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, প্রথম পর্যায়ে ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার গ্রাম সম্পর্কিত অভিযান সুসম্পন্ন হয়েছে। এরপর ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রথম পর্বে নতুন অভিযান শুরু করবে।

    বিজেপির (BJP West Bengal) ‘যুব পঞ্চায়েত পদযাত্রা’… 

    এই অভিযান শুরু হবে জলপাইগুড়ি থেকে। জুন মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ হবে এই পদযাত্রা কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায়ও। এই পর্বে ৫০টি বিধানসভা কেন্দ্রের ৫০০টি গ্রামে পৌঁছবে যুব মোর্চা। পদ্ম শিবির সূত্রে খবর, সব মিলিয়ে মোট ৫ হাজার কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করবে এই পদযাত্রা। ২০০টি গ্রামীণ বিধানসভা কেন্দ্রের হাজারটি গ্রাম পঞ্চায়েতে ও পাঁচ হাজার গ্রামে ঘুরবেন যুব মোর্চার নেতারা। শুনবেন মানুষের অভাব-অভিযোগের কথা। ‘যুব পঞ্চায়েত পদযাত্রা’ নামের এই কর্মসূচির নেতৃত্ব দেবেন যুব (BJP West Bengal) মোর্চার রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ। যোগ দেওয়ার কথা যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্যেরও। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর পাশাপাশি রাজ্যের সমস্ত বিধায়ক, সাংসদ এবং নেতাও যোগ দেবেন ওই কর্মসূচিতে। কর্মসূচি যাতে সফল হয়, সেজন্য রাজ্যের ৪২টি লোকসভা এলাকার জন্য ৪২টি কমিটিও তৈরি করে ফেলেছে যুব মোর্চা।

    আরও পড়ুুন: মধ্যপ্রদেশে প্রকাশ্যে এল ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র বাস্তব গল্প! কী হয়েছে জানেন?

    গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, রাজ্যের প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তত ২৫ কিলোমিটার রাস্তা দিয়ে যাবে বিজেপির (BJP West Bengal) ‘যুব পঞ্চায়েত পদযাত্রা’। পদযাত্রা চলবে ২১ দিন ধরে। এই কর্মসূচি পালনের সময় বড় ধরনের কোনও সভা হবে না। যেহেতু পদযাত্রার মূল লক্ষ্য আমজনতার অভাব-অভিযোগের কথা শোনা, তাই হবে পঞ্চায়েত সভা কিংবা হাট সভা। কর্মসূচি চলাকালীন বিজেপির সমর্থনে লেখা হবে দেওয়ালও। বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দেওয়া হবে ‘পদ্ম-বার্তা’। ২০১৪ সালের ২৬ মে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই কারণে এই মাসের শেষের দিক থেকে দেশজুড়ে ৫১টি বড় জনসভা করবে বিজেপি (BJP West Bengal)। সেই জনসভার মূল লক্ষ্য, গত ৯ বছরে মোদি সরকারের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরা। তার সঙ্গে অবশ্য ‘যুব পঞ্চায়েত পদযাত্রা’র কোনও সম্পর্কই নেই। তবে দুই কর্মসূচিই শুরু হচ্ছে মে মাসে। কী অদ্ভুত সমাপতন! 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bengali Sweets: বাংলার সবজির মোরব্বাও কম সুস্বাদু নয়! এর উৎপত্তির ইতিহাসও চমকপ্রদ

    Bengali Sweets: বাংলার সবজির মোরব্বাও কম সুস্বাদু নয়! এর উৎপত্তির ইতিহাসও চমকপ্রদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালির শেষ পাতে মিষ্টি না হলে বোধহয় চলে না! তাই তো রকমারি মিষ্টির (Bengali Sweets) বাহার আমাদের বাংলাতে। রসগোল্লা থেকে শুরু করে সন্দেশ, পান্তুয়া-কোনওটাই বাদ যায় না তালিকা থেকে। কিছু মিষ্টি আছে, যেগুলি স্বাদে ও আকারে অন্যান্য সাধারণ মিষ্টির থেকে অনেকটাই ভিন্ন। সেরকমই একটি মিষ্টি মোরব্বা। বীরভূমের সিউড়ি শহরের নাম মাথায় এলে মোরব্বা নামটা একবার উচ্চারণ করতেই হয়। সিউড়ির বিখ্যাত মিষ্টি হল মোরব্বা। বর্ধমানের যেমন মিহিদানা-সীতাভোগ, শক্তিগড়ের ল্যাংচা, কলকাতার রসগোল্লা, তেমনই বীরভূমের এই মোরব্বা। অনেকেই পছন্দ করেন এই মোরব্বা। কিন্তু এই মিষ্টির উৎপত্তি নিয়ে অনেক ইতিহাস আছে। আসলে এই মিষ্টি বাংলায় তৈরি না বিদেশে, তা নিয়েও আছে অনেক গল্প।

    কী এই মোরব্বা?

    ‘মোরব্বা’ শব্দটি এসেছে আরবি শব্দ ‘মুরাব্বা’ থেকে, যার অর্থ সংরক্ষিত ফল। মোরব্বা হল একটি মিষ্টি যা ভারতের অনেক জায়গাতেই পাওয়া যায়। কিন্তু মোরব্বা (Bengali Sweets) বিখ্যাত আমাদের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার সিউড়ি শহরে। দক্ষিণ ককেশাস, মধ্য এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া এবং মধ্য প্রাচ্যের অনেক অঞ্চলে জনপ্রিয় মিষ্টি এটি। সাধারণত মিষ্টি ফল যেমন আপেল, খেজুর, এমনকী পটল, চালকুমড়া, পেঁপে, বেল প্রভৃতিকে গাঢ় মিষ্টির রসে ডুবিয়ে রেখে বিভিন্ন মশলা সহযোগে তৈরি করা হয় এই মোরব্বা, যা অনেকদিন পর্যন্ত মিষ্টির রসে সংরক্ষণ করে রাখা যেতে পারে।

    মোরব্বার (Bengali Sweets) উৎপত্তি হল কীভাবে?

    আসলে এই মিষ্টির উৎপত্তি পর্তুগিজদের হাত ধরে। জানা যায়, প্রাচীন ভারতে ছানা খাওয়া অপবিত্র ছিল। তাই ছানা সহযোগে আগে ভারতে কোনওরকম মিষ্টি তৈরি হত না। কিন্তু পর্তুগিজরা ভারতে আসার পর ছানার ব্যাবহার শুরু করে। আর এই ছানা দিয়ে নানারকম মিষ্টিও তারা বানায়। এই সব মিষ্টির সঙ্গে তারা আরও এক ধরনের মিষ্টি তৈরি করে, যা মোরব্বা নামে পরিচিত। এই মিষ্টি তৈরিতে কোনও রকম ছানা লাগত না। বিভিন্ন ফলকে গাঢ় রসে ডুবিয়ে সেই ফলগুলিকে সংরক্ষণ করা হত, যা মিষ্টির আকার নিত। এই মোরব্বা প্রথম পর্তুগিজদের হাত ধরেই ভারতে প্রবেশ করে। আজ এই মোরব্বা গোটা বিশ্বে বিখ্যাত। লোক মুখে শোনা যায়, এই মোরব্বা প্রথম তৈরি হয় বীরভূমের রাজনগরে।    
    আবার বিভিন্ন বই-এর লেখা থেকে জানা যায়, পর্তুগিজ বণিকদের হাত ধরেই প্রবেশ করে এই মোরব্বা। সিউড়ির স্থানীয় লোকদের কাছ থেকে জানা যায়, ১৮ শতকের মাঝামাঝি সময়ে বীরভূমের বিখ্যাত মিষ্টি ব্যবসায়ী হরিপ্রসাদ দে একবার দিল্লি ঘুরতে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি একরকম মিষ্টির সন্ধান পান, যেটি পেঠা নামে পরিচিত ছিল। সেই মিষ্টিটি তিনি খেয়ে দেখেন ও তার স্বাদ খুবই পছন্দ হয়। সেখান থেকেই এই মিষ্টি তৈরির প্রণালী শিখে আসেন এবং নিজের শহরে ফিরে এসে এই ধরনের মিষ্টি (Bengali Sweets) বানানোর সিদ্ধান্ত নেন, যা মোরব্বা নামে পরিচিত। বিভিন্ন ফল দিয়ে তিনি এই মিষ্টি বানাতে শুরু করেন। তাঁর বংশধর নন্দদুলাল দে এই ইতিহাস সত্যি বলেই দাবি করেন। আস্তে আস্তে এই মিষ্টি গোটা ভারত জুড়ে বিখ্যাত হতে শুরু করে। এটি হয়ে ওঠে বীরভূমের সিউড়ির বিখ্যাত মিষ্টান্ন। অনেক বড় বড় মানুষ এই মোরব্বার সন্ধানে সিউড়িতে এসেছেন।
    বর্তমানে ফল ছাড়া আরও বিভিন্ন সবজি দিয়েও এই মোরব্বা বানানো হয়। তার মধ্যে পটল, চালকুমড়া, শতমূলের মোরব্বা বিখ্যাত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: পরকীয়া সন্দেহে এলোপাথারি কুপিয়ে খুন স্ত্রীকে, অভিযুক্ত স্বামী গ্রেফতার

    Nadia: পরকীয়া সন্দেহে এলোপাথারি কুপিয়ে খুন স্ত্রীকে, অভিযুক্ত স্বামী গ্রেফতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে এলোপাথারি কুপিয়ে খুন করল স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার (Nadia) ভীমপুর থানার এলাঙ্গি মাঝেরপাড়া এলাকায়। পুলিশ অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে।

    কী কারণে খুন?

    মৃত ওই গৃহবধুর নাম অঞ্জলি বিশ্বাস। বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর। সূত্রের খবর, পরকীয়া সন্দেহে মাঝেরপাড়া এলাকার বাসিন্দা শৈলেন বিশ্বাসের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তাঁর স্ত্রী অঞ্জলি বিশ্বাসের অশান্তি লেগেই থাকতো। পরিবার সূত্রে জানা যায়, স্বামী-স্ত্রী দুজনে মাঝেমধ্যেই ঝগড়া করত। আত্মীয়রা জানান, অঞ্জলি বিশ্বাস সেভাবে কিছু না বললেও তাঁর স্বামী শৈলেন বিশ্বাস মাঝেমধ্যেই স্ত্রীর উপর চড়াও হত এবং মারধর করত। ঘটনার দিন সকাল থেকেই প্রায় দিনের মতো বাক-বিতণ্ডা চলছিল স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। বিকেল নাগাদ শৈলেন হঠাৎ একটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে আচমকা কোপাতে শুরু করে স্ত্রীকে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে অঞ্জলি বিশ্বাস। চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু হলে এলাকার লোকজন এসে উদ্ধার করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ভীমপুর (Nadia) থানার পুলিশ। অভিযুক্ত শৈলেন বিশ্বাস পালানোর চেষ্টা করলেও স্থানীয় মানুষ তাঁকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে ভীমপুর থানার পুলিশ। আজ তাঁকে আদালতে তোলা হবে।

    মৃতার দিদির বক্তব্য

    মৃত অঞ্জলি বিশ্বাসের দিদি সন্ধ্যা মণ্ডল বলেন, এর আগেও একাধিকবার পরকীয়ায় অভিযুক্ত শৈলেন বিশ্বাস আমার বোনকে মারধর করে। গতকাল আমার বোনকে কুপিয়ে (Nadia) মেরে ফেলল শৈলেন। আমি চাই সারা জীবন যেন ও জেলবন্দি থাকে। ওর মতো বোনাই আমার প্রয়োজন নেই। আমি ওর মুখ দেখতে চাই না।

    সন্তানের বক্তব্য

    খুনে অভিযুক্ত শৈলেন বিশ্বাসের ছেলে বিশ্বজিৎ বিশ্বাস বলেন, মাকে পরকীয়া নিয়ে সন্দেহ করতো বাবা। কিন্তু শুধু আমি কেন, গ্রামের (Nadia) কেউই বিশ্বাস করবে না এই বয়সে মা এরকম কাজ করতে পারে। সেই কারণে বাবাকে আমি অনেক সময় বোঝানোর চেষ্টা করতাম, মাকেও চুপ করে থাকতে বলতাম। ইদানীং বাবা আরও বেশি সন্দেহ করতে শুরু করে মাকে। কাজও ঠিকমতো করত না বাবা। আমি নিজেও বাবাকে বলেছি, কাজ করার প্রয়োজন নেই। বাড়িতে তুমি রেস্ট নাও। গতকাল অন্যান্য দিনের মতোই ছোটখাট ঝামেলা লেগেছিল। কিন্তু বিকেলের পর আমি কাজে বেরিয়ে যাই। এরপর শুনি, বাবা এরকম ঘটনা ঘটিয়েছে। পাশাপাশি বিশ্বজিৎ আরও বলেন, আমিও চাই, যে ঘটনা ঘটেছে তার উপযুক্ত শাস্তি পাক বাবা। তবে এই ঘটনায় অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কারণ জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। এই ঘটনার পিছনে শুধুমাত্র কি পরকীয়া সন্দেহ নাকি অন্য কারণ আছে, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘আপনার দলকে বোমা সাপ্লাই দিত ভানু’! এগরাকাণ্ডে মমতার পদত্যাগ দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘আপনার দলকে বোমা সাপ্লাই দিত ভানু’! এগরাকাণ্ডে মমতার পদত্যাগ দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণকাণ্ডের জন্য পুলিশমন্ত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বুধবার তিনি এগরার খাদিকুল গ্রামে যান। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। তাঁদের পাশে থাকার তিনি আশ্বাস দেন। খাদিকুলে বিস্ফোরণস্থল ঘুরে দেখে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘বগটুই থেকে এখনও পর্যন্ত যে সব ঘটনা ঘটেছে তারজন্য রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী দায়ী। তাই, পুলিশমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছি। আর এই ঘটনার এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছি। দু-তিনদিনের মধ্যেই এই দাবিতেই এগরায় ২৫ হাজার কর্মী নিয়ে মহা-মিছিল করা হবে।’’ শুভেন্দু আরও বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীকে বলি, শুধু বাজি কারখানাই নয়, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে আপনার পার্টিকে বোমা সাপ্লাই (সরবরাহ) করার জন্য এই কারখানা তৈরি হয়েছিল। আর আপনার পুলিশ প্রতি মাসে এখান থেকে ৫০ হাজার টাকা করে নিয়ে যেতেন।’’

    পুলিশকে মাসোহারা নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘বাজি কারখানার মালিক কৃষ্ণপদ বাগ তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য। তাঁর বউমাকে ২০১৮ সালে ভোটে দাঁড় করিয়েছিলেন। এই বাজি কারখানার মালিক প্রতিমাসে এগরা আইসি-কে ৫০ হাজার টাকা করে পাঠাতেন। বিশ্বজিৎ নামে এক এএসআই এই টাকা নিয়ে যেতেন। সব হিসেব হবে। তোলাবাজ পুলিশের ওপর আমাদের কোনও আস্থা নেই। পুলিশ দিয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হলে সমস্ত তথ্য তারা লোপাট করে দেবে। তাই, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে ন্যাশনাল ফরেনসিক টিম দিয়ে তদন্ত করতে হবে।’’

    ক্ষতিপূরণ নেওয়া নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের কী বললেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)?

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার আড়াই লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে, সেটা ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের টাকা। প্রত্যেক নিহত ব্যক্তিদের ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।’’ এদিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: এগরায় বিস্ফোরণ হওয়া সেই বাজি কারখানার মালিক তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য

    এনআইএ-র দাবিতে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) মামলা হাইকোর্টে

    এগরায় বোমা বিস্ফোরণ কাণ্ডের ঘটনায় আগাগোড়াই এনআইএ তদন্তের দাবিতে সরব বিজেপি নেতারা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিয়ে ইতিমধ্যেই সেই দাবির কথা জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এবার ওই একই দাবিতে হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতি পি এস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে মামলা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ফলে সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার মতো এগরা কাণ্ডের জলও গড়ালো আদালতে। শুভেন্দুর আর্জি আদালতে গৃহীত হয়েছে। খুব সম্ভবত বৃহস্পতিবারই এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে হাইকোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, বেকায়দায় পড়ে ইতিমধ্যেই এনআইএ-র দাবিতে সহমত পোষণ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kaliaganj: সন্তানের মৃতদেহ বহনকারী বাবার পাশে জয়কৃষ্ণ

    Kaliaganj: সন্তানের মৃতদেহ বহনকারী বাবার পাশে জয়কৃষ্ণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাকার অভাবে অ্যাম্বুল্যান্স না মেলায় সন্তানের মৃতদেহ ব্যাগে ভরে বাড়ি (Kaliaganj) ফেরার ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যে। অমানবিক ঘটনার নিন্দা সর্বত্র। এই পরিস্থিতিতে মৃত শিশুর বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এলেন জলপাইগুড়ির সমাজসেবী অঙ্কুর দাস ও স্ত্রীর মৃতদেহ কাঁধে বহনকারী জয়কৃষ্ণ দেওয়ান।

    কী পরিচয় এই সমাজকর্মীদের?

    অনেকেরই হয়তো মনে আছে, কিছুদিন আগে অ্যাম্বুল্যান্সের ভাড়ার টাকা না থাকায় মৃত স্ত্রীর দেহ কাঁধে নিয়ে বাড়ির (Kaliaganj) পথে হাঁটা দেওয়া জলপাইগুড়ির সেই জয়কৃষ্ণ দেওয়ানের কথা। সেদিন অসহায় দেওয়ান পরিবারকে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা দিয়ে সাহায্য করে হাজতবাস করেছিলেন জলপাইগুড়ির এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অঙ্কুর দাস। সেই ঘটনার পর আবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এবার উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অসুস্থ শিশুপুত্রের মৃত্যুর পর টাকার অভাবে অ্যাম্বুল্যান্স না পেয়ে জামাকাপড়ের ব্যাগে সন্তানের মৃতদেহ ভরে বাড়ি নিয়ে আসেন কালিয়াগঞ্জের মুস্তাফানগরের বাসিন্দা অসীম দেবশর্মা। টিভির পর্দায় মর্মান্তিক ও অমানবিক এই ঘটনা দেখতে পেয়ে শোকার্ত পরিবারকে সমবেদনা জানাতে মঙ্গলবার কালিয়াগঞ্জে অসীম দেবশর্মার বাড়িতে ছুটে এলেন জয়কৃষ্ণ দেওয়ান ও অঙ্কুর দাস। ছেলে হারানোর যন্ত্রণায় শোকার্ত অসীম দেবশর্মা ও তাঁর স্ত্রীকে সমবেদনা জানান তাঁরা। পাশাপাশি অসীমবাবুর কাছে সমস্ত ঘটনা শোনেন দুজনেই।

    স্ত্রীর মৃতদেহ বহনকারী জয়কৃষ্ণ দেওয়ানের বক্তব্য

    জয়কৃষ্ণবাবু মানবিক হয়েই অসীমবাবুর বাড়িতে মর্মান্তিক কথা শুনতে আসেন। তিনি বলেন, আমি দেখেছি বাড়ির (Kaliaganj) অবস্থা! অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য ৮০০০ টাকা দেওয়ার ক্ষমতা নেই। আরও বলেন, আগামী দিনে আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিশেষ দাবি নিয়ে যাবো। পশ্চিমবঙ্গের সকল সরকারি হাসপাতাল থেকে গরীব মৃত মানুষের দেহগুলিকে বিনা খরচায় বাড়িতে পোঁছানোর পরিষেবা চালু করতে হবে বলে মত প্রকাশ করেন তিনি। আর যদি দাবি না মানা হয়, তাহলে আমি আমার নগরডাঙ্গাতে অনশনে বসব বলে ঘোষণা করেন।

    কী বললেন সমাজসেবী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক?

    জলপাইগুড়ির স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অঙ্কুর দাস বলেন, ৫ই জানুয়ারি জলপাইগুড়িতে একইভাবে মৃতদেহ নিয়ে আসার জন্য সাহায্য পাননি জয়কৃষ্ণবাবু। আমি সহযোগিতা করতে গেলে আমাকেও জেলে যেতে হয়। জেলাশাসক থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী সকলকে আমরা চিঠি দিয়ে জানিয়েছি, গরীব মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য সরকার বিনামূল্যে অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করুক। জলপাইগুড়ির মতো মৃতদেহ বহন করার ঘটনা আরও ঘটবে বলে সতর্ক করেছিলাম, প্রশাসন শোনেনি। আর তাই ঘটেছে কালিয়াগঞ্জে (Kaliaganj)। কিছু দিন চুপচাপ থাকলেও এরপর আবার অ্যাম্বুল্যান্স অ্যাসোসিয়েশনের দাদাগিরি শুরু হয়ে যায়। কিন্তু তাতেও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি প্রশাসন। আগামী দিনে আমরা গরীব মানুষের জন্য বিনা পয়সায় অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবার জন্য প্রথমে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হব। আর না মানলে অরাজনৈতিকভাবে বৃহৎ আন্দোলন করব। আরও বলেন, জয়কৃষ্ণবাবু এবং অসীমবাবুকে নিয়ে আমরা এই সামাজিক আন্দোলন করব।

    প্রশাসনের (Kaliaganj) ভূমিকা

    এদিকে এই ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রশাসন। কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj) ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে গাড়ি পাঠিয়ে অসীম দেবশর্মা সহ পরিবারের লোকেদের নিয়ে গিয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ভুক্ত করা হয়। এ বিষয়ে রায়গঞ্জের মহকুমা শাসক কিংশুক মাইতি ফোনে জানিয়েছেন, এদিন ওই পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ডেকে আনা হয়েছিল। পরবর্তীকালে তাঁদের জবকার্ডও করে দেওয়া হবে। এখন বিনামূল্যে সরকারি হাসপাতালে কবে থেকে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা চালু হয়, সেটাই দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share