Tag: bangla news

bangla news

  • NIA: দাড়িভিটে এনআইএ তদন্তে প্রকৃত সত্য উদঘাটন হবে, ফের বেসুরো আব্দুল করিম চৌধুরী

    NIA: দাড়িভিটে এনআইএ তদন্তে প্রকৃত সত্য উদঘাটন হবে, ফের বেসুরো আব্দুল করিম চৌধুরী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে দলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। মান, অভিমান ভুলে একসঙ্গে কাজ করার কথা বলেও ছিলেন করিমসাহেব। কিন্তু, মনের মধ্যে দলের একাংশের প্রতি তাঁর রাগ যে কোনও অংশে কমেনি তা আবারও প্রমাণিত হল তাঁর ফের বেসুরো মন্তব্যে। এনআইএ (NIA) তদন্তের তিনি প্রশংসা করেছেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল বিধায়ক?

    উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে নবজোয়ার কর্মসূচি পালিত হলেও করিমসাহেবকে সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এমনকী অভিষেকের বাড়িতে তাঁর আসার কথা থাকলেও তিনি যাননি। দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সামনে বারে বারে এভাবে অপমান আর তিনি মেনে নিতে না পেরে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন। দলের বিরুদ্ধে তাঁর অবস্থান তিনি স্পষ্ট করেছিলেন। এমনকী অভিষেকের ডাকা বৈঠকে তিনি যোগ দেননি। পরে, অভিষেকের নির্দেশে দলের জেলা সভাপতির সঙ্গে বৈঠকের পর দুদিন চুপচাপ থেকে ফের বেসুরো করিমসাহেব। তিনি দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে বলেন, নেতাদের উপস্থিত বুদ্ধির অভাবে দাড়িভিট হাইস্কুলের প্রাক্তন দুই ছাত্রের অকাল মৃত্যু হয়েছে। এন আই এ (NIA) তদন্ত হলে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন হবে। প্রবীণ তৃণমূল বিধায়কের মুখে এই ধরনের মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ইসলামপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ১১ বারের বিধায়ক তিনি। ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে তিনি কংগ্রেস প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়ালের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে কানাইয়ালাল আগরওয়াল কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর কানাইয়ালাল আগরওয়ালকে রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করেছিল দল। লোকসভা প্রার্থী হওয়ায় কানাইয়ালাল আগরওয়াল বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। এই সামান্য কয়েকটা বছর তিনি ইসলামপুরের বিধায়ক ছিলেন না। সেই সময়েই দাড়িভিট হাইস্কুলে আন্দোলনরত দুই ছাত্রের গুলিবিদ্ধ হয়ে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমি বিধায়ক থাকলে হয়তো এমন ঘটনা ঘটত না। সরকার সি আই ডি তদন্ত দিল, মৃতের পরিবার সেই তদন্তে রাজি হননি। হাইকোর্ট এন আই এ (NIA) র হাতে তদন্তভার তুলে দিয়েছে। তারাই প্রকৃত ঘটনা সামনে আনবে বলে তিনি দাবি করেন।

    কী বললেন মন্ত্রী?

    রাজ্যের মন্ত্রী তথা গোয়ালপোখরের বিধায়ক গোলাম রব্বানি বলেন, আমি তৎকালীন ইসলামপুরের বিধায়ক কানাইয়ালাল আগরওয়ালকে নিয়ে গিয়ে এলাকার স্বজনহারা পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। তাদের ক্ষতিপূরনসহ চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই প্রস্তাব তারা মেনে নেয়নি। তবে হারা এম এল এ ওই এলাকায় যাননি বলে নাম না করে করিম চৌধুরীকে তিনি খোঁচা দেন। সি আই ডি এই মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে। এন আই এ (NIA) তদন্ত নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birth and Death Registration: ‘কেন্দ্রীয় পদ্ধতি অনুসরণ করে জন্ম-মৃত্যু নথিবদ্ধ করুন’, রাজ্যকে চিঠি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

    Birth and Death Registration: ‘কেন্দ্রীয় পদ্ধতি অনুসরণ করে জন্ম-মৃত্যু নথিবদ্ধ করুন’, রাজ্যকে চিঠি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে ফের একবার উসকে উঠল এনআরসি (NRC) চর্চা। কারণ সম্প্রতি রাজ্যকে জন্ম-মৃত্যু নথিবদ্ধ (Birth and Death Registration) করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় পদ্ধতি অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এতদিন নিজের মতো করে এই তথ্য সংরক্ষণ করত রাজ্য। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এই পরামর্শের জেরে ফের একবার সংঘাত হতে পারে কেন্দ্র-রাজ্য। দিন কয়েক আগে মালদা-মুর্শিদাবাদের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, এনআরসি নিয়ে আবার চিঠি পাঠিয়েছে। নির্বাচন এলেই মনে পড়ে। আমি কথা দিচ্ছি, করব না এবং করতেও দেব না। তিনি বলেন, ওই চিঠিতে স্পষ্ট লেখা রয়েছে, যাদের সব কিছু পাওয়া যাবে না, তাদের বিদেশি ঘোষণা করবে। যাতে তাদের তাড়িয়ে দেওয়া যায়। তাই ভোটার তালিকায় নাম তুলবেন। আধার কার্ডগুলি আবার করতে বলছে ১০ বছর পরে। সেটা শুরু হলে করে নেবেন।

    জন্ম-মৃত্যু নথিবদ্ধ (Birth and Death Registration) করতে পোর্টাল…

    জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসেই নরেন্দ্র মোদির সরকার জন্ম-মৃত্যু নথিভুক্ত (Birth and Death Registration) করার জন্য অনলাইন পোর্টাল চালু করে। সেখানে এখনও পর্যন্ত ২৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল যুক্ত হয়েছে। বাংলা সেখানে নিজেদের যুক্ত করেনি। তাই সেই তালিকায় পশ্চিমবঙ্গের নাম নেই। সূত্রের খবর, এবার এই পদ্ধতি অনুসরণ করতেই রাজ্যকে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। চিঠিতে এই অনলাইন পোর্টালে জন্ম-মৃত্যু নথিভুক্ত করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই পদ্ধতির ব্যবহারে রাজ্যগুলিকে কোনও খরচ দিতে হয় না।

    আরও পড়ুুন: চাকরি বাতিলের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের, ‘অযোগ্য’দের বাঁচাতে আদালতে যাচ্ছে পর্ষদ!

    প্রবীণ কর্তাদের একাংশের মতে, বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে ভুয়ো উপভোক্তার নাম যাতে নথিবদ্ধ হয়ে না যায়, তাই অদূর ভবিষ্যতে ওই পোর্টালের পূর্ণ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে পারে কেন্দ্র। তাই রাজ্য যদি এখনই না ওই পোর্টালে যুক্ত হয়, তাহলে সৃষ্টি হতে পারে নানা জটিলতা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, আধার-নির্ভর জন্ম এবং মৃত্যু নথিবদ্ধ করার পদ্ধতি চালু করার প্রস্তাব অনেক আগেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে দিয়েছিল কেন্দ্র। তা নিয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত এখনও নেয়নি রাজ্য সরকার। এমতাবস্থায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জন্ম-মৃত্যু নথিবদ্ধ (Birth and Death Registration) করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রের অভিন্ন পোর্টাল ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছে রাজ্যকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shantipur: শাসকদলের সঙ্গে যুক্ত হলেই মিলছে ভাতা! শান্তিপুরের ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্প ধ্বংসের পথে

    Shantipur: শাসকদলের সঙ্গে যুক্ত হলেই মিলছে ভাতা! শান্তিপুরের ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্প ধ্বংসের পথে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেই সঠিক মজুরি, নেই কোনও সরকারি পদক্ষেপ। শান্তিপুরের (Shantipur) ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্প এখন ধ্বংসের পথে। এভাবে চলতে থাকলে কোনও তাঁতিকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না, এমনই আক্ষেপ তাঁতশিল্পীদের একাংশের।

    তাঁত শিল্পের সমস্যা

    নদিয়ার শান্তিপুর (Shantipur) এলাকার লক্ষ লক্ষ শ্রমিকের ভরসা ছিল তাঁতশিল্প। মূলত তাঁতের ওপর ভরসা করে চলত সংসার। দিন দিন পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার ফলে আজ হাতে গোনা কয়েকজন শিল্পীই তাঁত বুনছেন। তাও কদিন আর তাঁত বুনে সংসার চালাবেন, সেটাও বুঝে উঠতে পারছেন না শিল্পীরা। তাঁতশিল্পীদের বক্তব্য, নতুন করে কেউ আর এই শিল্পের দিকে এগিয়ে আসছেন না। স্থানীয় তাঁতশিল্পীরা এর জন্য মূলত সরকারের উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন।

    স্থানীয় তাঁতশিল্পীর অভিযোগ

    শান্তিপুরের (Shantipur) তাঁতশিল্পী অশোক প্রামাণিক প্রায় ৩৫ বছর ধরে তাঁত বুনছেন। তিনি বলেন, আগের মতো তাঁতশিল্পে আর সেভাবে মজুরি নেই। একশ্রেণির মহাজন তাঁদের মুনাফা বাড়ানোর জন্য তাঁতিদের মজুরি কমিয়ে দিয়েছে। অন্যদিকে বাইরের রাজ্য থেকে যে সমস্ত মেশিনে তৈরি কাপড় আসছে, তাতে হস্তচালিত তাঁত-কাপড়ের চাহিদা অনেকটাই কমেছে।

    সরকারের উদাসীনতা ও স্বজনপোষণ

    তাঁতশিল্পকে (Shantipur) বাঁচিয়ে রাখার জন্য সরকার উদাসীন। যথার্থ পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্য তাঁতশিল্পের আরও সর্বনাশ এনে দিয়েছে। অভিযোগ করেন স্থানীয় তাঁতশিল্পের সঙ্গে যুক্তরা। তাঁদের আরও অভিযোগ, যারা কেবলমাত্র রাজনৈতিকভাবে শাসকদলের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদেরকেই বেছে বেছে শিল্পীর ভাতা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। সরকার স্পষ্ট স্বজনপোষণ করছে। শিল্পীদের দাবি, এখন তাঁত বুনে দিনে মাত্র ৫০ টাকা আয় হয়। সেই কারণেই সংসার চালাতে কার্যত নাজেহাল হচ্ছেন তাঁতশিল্পীরা। শিল্পীরা স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে বলেন, আমরা কখনও তাঁতশিল্পী হিসাবে সেভাবে কোনও ভাতাই পাইনি। আরেক বর্ষীয়ান তাঁতশিল্পী শ্যামল বসাক বলেন, মূলত মহাজনদের অতিরিক্ত মুনাফা লাভের কারণে দিন দিন তাঁতশিল্প ধ্বংসের পথে। অন্যদিকে রাজ্য সরকারের নেই কোনও পদক্ষেপ। কয়েক দশক আগে যাওবা তাঁতশিল্পীদের জন্য ছোট ছোট পদক্ষেপ নিত সরকার, এখন তাও দেখাই যায় না। পদক্ষেপ সব বন্ধ হয়ে গেছে। এত কম রোজগার করে কীভাবে সংসার চলে, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।

    বিধায়কের আশ্বাস

    সমস্যার বিষয়ে শান্তিপুরের (Shantipur) বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এর আগেও একাধিকবার চেষ্টা করা হয়েছে তাঁতশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য। মূলত তাঁতিরা যাতে এই শিল্পের উপর নির্ভর করে সংসার চালাতে পারে, সেই দিকটা নজর রাখা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের এজেন্ডা ছিল মূলত তাঁতশিল্পকে বাঁচানো নিয়ে। যেহেতু কেন্দ্র সরকার এই তাঁতশিল্প নিয়ে মূল ভূমিকা পালন করে থাকে, তাই সেদিক থেকে আমরা রাজ্যের জন্য নতুনভাবে কোনও ভাল পদক্ষেপ কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে পাইনি। তবে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে রাজনৈতিক টানাপোড়নের মধ্যে শান্তিপুরের ঐতিহ্যবাহী তাঁত শিল্প কি অগ্রাধিকার পাবে ? নাকি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে, সেটাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: পুলিশি বাধায় নবজোয়ারে ভোট দিতে পারলেন না বহু তৃণমূল কর্মী, কোন্দল প্রকাশ্যে

    Abhishek Banerjee: পুলিশি বাধায় নবজোয়ারে ভোট দিতে পারলেন না বহু তৃণমূল কর্মী, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবজোয়ার কর্মসূচিতে ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। পঞ্চায়েতে যোগ্য প্রার্থী ঠিক করার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নির্দেশে নবজোয়ার কর্মসূচিতে ভোট দিতে এসেছিলেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। কিন্তু, তৃণমূলের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর নির্দেশে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে বহু ভোটার ভোট দিতে পারলেন না। রবিবার এই ঘটনার সাক্ষী থাকল পূর্ব বর্ধমান জেলার রায়না-২ ব্লকের গোতান এলাকার মানুষ। এর আগে এই জেলার জামালপুরেই ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। মন্তেশ্বর ব্লকেও একই ঘটনা ঘটেছিল। এবার রায়না-২ ব্লকে পুলিশকে দিয়ে ভোটদানে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল ফের প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    অভিষেকের (Abhishek Banerjee) নবজোয়ার কর্মসূচিতে রায়না-২ ব্লকে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য ভোটগ্রহণের ব্যবস্থা করা হয়। এই ব্লকের গোতান সহ একাধিক অঞ্চলের হাজার হাজার তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক ভোট দিতে আসেন। অভিযোগ, যারা প্রকৃত ভোটার, যাদের তালিকায় নাম নথিভুক্ত আছে তারা ভোট প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারছে না। পুলিশ দিয়ে তাদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূলের অন্য গোষ্ঠীর লোকজন বেআইনিভাবে প্রকৃত ভোটারদের জায়গায় ভোট দিয়ে দিচ্ছেন। পরিস্থিতি আঁচ করে বঞ্চিতরা যাতে ফোনে ভোট দিতে পারেন তারজন্য একটি নম্বর দিয়েছেন অভিষেক। সেখানে তৃণমূল কর্মীরা নিজেদের মতামত জানাতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

    কী বললেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতারা?

    বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য, অভিষেকের (Abhishek Banerjee) নির্দেশ মতো আমরা প্রায় আড়াই হাজার কর্মী-সমর্থক ভোট দিতে এসেছিলাম। কিন্তু, আমরা ভোট দিতে পারিনি। তৃণমূলের পদাধিকারীদের নির্দেশে পুলিশ আমাদের ভোট দিতে বাধা দেয়। সাহেব আলি খান নামে এক বিক্ষুব্ধ কর্মী বলেন, স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্যই প্রতিটি বুথ থেকে দেড়শো জন করে কর্মী এখানে এসেছিল। কাউকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক (Abhishek Banerjee) একটি ফোন নম্বর দিয়েছেন, সেই নম্বরে যোগাযোগ করে এখন ভোট দেব। তবে, কর্মীরা এসে ভোট দিতে না পেরে হতাশ হয়েছেন।

    কী বললেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব?

    তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি অসিত মাল বলেন, দলের নির্দেশ মত এবং দলের নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী ভোট প্রক্রিয়া চলছে। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে। পুলিশ কী বাধা দিয়েছে তা জানা নেই। জেলা তৃণমূলের সম্পাদক সৈয়দ কলিমুদ্দিন বলেন, সামান্য একটু গণ্ডগোল হয়েছিল। এখন তা মিটে গিয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে কে কী বলল তা আমাদের জানা নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Himanta Biswa Sarma: “৬০০ বন্ধ করেছি, আরও ৩০০ মাদ্রাসা বন্ধ করব”, বললেন হিমন্ত  

    Himanta Biswa Sarma: “৬০০ বন্ধ করেছি, আরও ৩০০ মাদ্রাসা বন্ধ করব”, বললেন হিমন্ত  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “গত দু বছরে ৬০০ মাদ্রাসা বন্ধ করে দিয়েছি। আগামী এক বছরের মধ্যে আরও ৩০০ মাদ্রাসা বন্ধ করে দেব।” রবিবার কথাগুলি বললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির (BJP) হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। এদিন তেলঙ্গনায় হিন্দু একতা যাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন হিমন্ত। এআইএমআইএমের (AIMIM) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসির উদ্দেশে অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি ওয়াইসিকে বলতে চাই, চলতি বছর আমি আরও ৩০০ মাদ্রাসা বন্ধ করব।”

    হিমন্ত বিশ্বশর্মার (Himanta Biswa Sarma) দাবি… 

    তিনি বলেন, “অসমে লাভ জেহাদি বন্ধে আমরা কাজ করছি। মাদ্রাসা বন্ধেও কাজ করছি। আমি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর অসমে ৬০০ মাদ্রাসা বন্ধ করেছি। এর পরেই তিনি বলেন, আমি ওয়াইসিকে বলতে চাই, চলতি বছর আরও ৩০০ মাদ্রাসা বন্ধ করব অসমে।” ভারতে বহু বিবাহ প্রথাও যে বন্ধের মুখে, এদিন তাও জানিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী (Himanta Biswa Sarma)। তিনি বলেন, “ভারতে কিছু লোক বাস করেন, তাঁরা ভাবেন, তাঁরা চারটি বিয়ে করতে পারেন। এটা তাঁদের চিন্তাভাবনা। কিন্তু আমি বলি, আপনারা আর চারটি বিয়ে করতে পারবেন না। সেই দিনের শেষ হতে চলেছে।”

    হিমন্ত বলেন, “ভারতে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু হচ্ছে। তার পরেই দেশ হবে ধর্মনিরপেক্ষ।” এদিন তেলঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআরকেও নিশানা করেন হিমন্ত (Himanta Biswa Sarma)। বলেন, “এ রাজ্যে রাজার শাসন রয়েছে আর মাত্র পাঁচ মাস। আমরা তেলঙ্গানায় রামরাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এটাই আমাদের লক্ষ্য। হিন্দু সভ্যতার ওপর ভিত্তি করে আমরা তেলঙ্গানায় রামরাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে চাই।”

    আরও পড়ুুন: চাকরি বাতিলের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের, ‘অযোগ্য’দের বাঁচাতে আদালতে যাচ্ছে পর্ষদ!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Gangarampur: ট্যাপকলের কাদামাখা জলেই স্নান, বাসনমাজা! ক্ষোভের পারদ চড়ছে আদিবাসী গ্রামে

    Gangarampur: ট্যাপকলের কাদামাখা জলেই স্নান, বাসনমাজা! ক্ষোভের পারদ চড়ছে আদিবাসী গ্রামে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদিবাসী গ্রামে জলের জন্য হাহাকার। এ দৃশ্য গঙ্গারামপুরের (Gangarampur) রামচণ্ডীপুরের। ফুটো পাইপ থেকে কাদাগোলা জল বেরচ্ছে। সেই জল সংগ্রহের জন্যও হুড়োহুড়ি গ্রামের মা-কাকিমাদের। সঙ্গে রয়েছে খুদেরাও। তবে এই জল পান করেন না অনেকেই। গেরস্থালির কাজে ব্যবহার করে থাকেন। পানীয় জলের ট্যাপকলের পাইপের ফুটো দিয়ে নোংরা, কাদা মিশছে। তবে বাধ্য হয়ে এই অস্বাস্থ্যকর জল পান করেই অসুস্থ হচ্ছেন কেউ কেউ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, তীব্র সঙ্কটে দমদমা পঞ্চায়েতের রামচন্দ্রপুরের ৬০-৭০টি আদিবাসী পরিবারের দিকে নজর নেই কোনও কর্তার।

    মূল সমস্যা কী?

    দীর্ঘদিন ধরে রামচণ্ডীপুর এলাকায় (Gangarampur) চার-চারটি নলকূপ অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। টাইমকল রয়েছে। তবে সেই কলের পাইপ ফুটো হয়ে গিয়েছে। ফলে ফুটো পাইপ দিয়ে নোংরা ও মাটি ঢুকে কলের জলে মিশছে। অথচ অপরিশ্রুত ওই জল দিয়েই দৈনন্দিন কাজকর্ম চালাতে হচ্ছে গ্রামের বাসিন্দাদের। নোংরা জল পান করার ফলে অনেকে অসুস্থও হয়ে পড়ছেন। এমন অবস্থায় প্রশাসনের কাছে পানীয় জলের সঙ্কট দূর করতে সরকারি নলকূপ সংস্কারের দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কালদিঘি রামচন্দ্রপুরের একাংশে জলকষ্ট এমন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে যে, স্থানীয় বাসিন্দারা টাইমকলের পাইপের ফুটো অংশ থেকে নির্গত হওয়া কাদামাখা জলই নিরুপায় হয়ে সংগ্রহ করছেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, টাইমকলে প্রতিদিন ঠিকমতো জল আসে না। যদিও বা জল পাওয়া যায়, তাও এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে পর্যাপ্ত নয়। তীব্র গরমের মধ্যে জল নিতে হুড়োহুড়ি পড়ছে। এই কাদা জলে চলছে স্নান করা, বাসন মাজার মতো দৈনন্দিন কাজকর্ম। তাই সঙ্কট বেশ তীব্র এলাকায়।

    স্থানীয় মানুষের অভিযোগ

    স্থানীয় এক গৃহবধূর বক্তব্য, রামচন্দ্রপুর এলাকায় (Gangarampur) চারটি নলকূপ দীর্ঘদিন ধরে খারাপ হয়ে পড়ে আছে। প্রশাসন, গ্রাম পঞ্চায়েতে বিষয়টি জানালেও নলকূপ সংস্কারের কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। টাইমকলের উপর নির্ভর করেই আমাদের চলতে হচ্ছে। কিন্তু সেখানেও নিয়মিত জল আসে না। চরম দুর্বিসহ অবস্থায় দিন কাটছে আমাদের। আমরা এই পানীয় জলের সমস্যা থেকে মুক্তি চাই। স্থানীয় গৃহবধূ পূর্ণিমা দেবনাথের বক্তব্য, ‘নলকূপ দীর্ঘদিন ধরে খারাপ রয়েছে। আমাদের এলাকার অধিকাংশ মানুষের নলকূপ বসানোর মতো সামর্থ্য নেই। এলাকা থেকে বহু দূরে টাইমকল অবস্থিত হওয়ায় জল আনতে খুব সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তাতেও ঠিকমতো জল পাওয়া যায় না। তাই বাধ্য হয়ে ট্যাপকলের কাদামাখা জল আমাদের সংগ্রহ করতে হচ্ছে। এই কাদামাখা জলে স্নান, বাসন মাজা সহ অন্যান্য দৈনন্দিন কাজ করছি। আশপাশে কোনও জলাশয় না থাকায় সঙ্কট আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। এবিষয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতকে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। স্থানীয় মানুষ বলেন, ভোটের সময় সকলে আসেন। তারপর আর সঙ্কটের সময় কাউকে দেখা যায় না।

    প্রশাসনের বক্তব্য

    এবিষয়ে গঙ্গারামপুরের (Gangarampur) বিডিও দাওয়া শেরপা জানান, ভূগর্ভস্থ জলস্তর নীচে নেমে যাওয়ার কারণে বিভিন্ন জায়গায় জলের সমস্যা হচ্ছে। তবে সরকারি নলকূপ সংস্কারের জন্য লোক যাচ্ছে। আশা করছি, খুব দ্রুত ওই এলাকায় নলকূপ সংস্কার করে সমস্যার সমাধান করা হবে। প্রশাসনের আশ্বাস মিললেও কবে সমস্যার সমাধান হবে, তাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Gangopadhyay: চাকরি বাতিলের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের, ‘অযোগ্য’দের বাঁচাতে আদালতে যাচ্ছে পর্ষদ!

    Abhijit Gangopadhyay: চাকরি বাতিলের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের, ‘অযোগ্য’দের বাঁচাতে আদালতে যাচ্ছে পর্ষদ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকের ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। এঁরা সবাই নিযুক্ত হয়েছিলেন ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার মাধ্যমে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টেরই ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। মামলা করা হয়েছে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে।

    অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Gangopadhyay) নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ…

    পর্ষদ যে আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছে, সে ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। তিনি জানিয়েছিলেন, এই নির্দেশকে আইনিভাবে চ্যালেঞ্জ করা যায় কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন। তার পর এদিনই করা হল মামলা। আদালত সূত্রে খবর, মঙ্গলবারই এই চাকরি বাতিল সংক্রান্ত মামলার শুনানি হতে পারে। পর্ষদের পাশাপাশি ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হতে চলেছেন চাকরি খোয়ানো শিক্ষকরাও।

    ১২ মে ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তিন মাসের মধ্যে শূন্য পদে নিয়োগের নির্দেশও দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। তিনি এও জানিয়েছিলেন, আপাতত ওই শিক্ষকরা যেসব স্কুলে পড়াচ্ছিলেন, আগামী চার মাস তাঁরা সেখানেই পড়াতে পারবেন। তবে এই সময় তাঁরা বেতন পাবেন পার্শ্বশিক্ষকের। মামলার শুনানিতে বিচারপতি এও বলেছিলেন, যাঁদের চাকরি বাতিল করা হয়েছে, তাঁদের যখন নিয়োগ করা হয়, তখন তাঁরা প্রশিক্ষিত ছিলেন না।

    আরও পড়ুুন: পঞ্চায়েত থেকে রাজ্যে পরিবর্তনের ডাক দিলেন শুভেন্দু

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ওই রায়ের পরে পরেই পর্ষদের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দেওয়া হয়, এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও ত্রুটি ছিল না। নিয়ম মেনেই হয়েছিল নিয়োগ। এই ৩৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগের সময় অপ্রশিক্ষিত হলেও, এখন আর নন। এনসিটিই-র নিয়ম মেনে তাঁদের জন্য দু বছরের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছিল পর্ষদই।

    ২০১৬ সালের প্রাথমিকের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেই মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। ওই বছর নিয়োগ করা হয়েছিল ৪২ হাজার ৫০০ শিক্ষককে। এঁদের মধ্যে ৩৬ হাজার শিক্ষকের নিয়োগ নিয়ম মেনে হয়নি বলেই অভিযোগ। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Gangopadhyay) নির্দেশেই এই মামলার তদন্ত শুরু করে সিবিআই। এখনও চলছে তদন্ত। তার মধ্যেই ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • ATM: এটিএম প্রতারণাকাণ্ডে মূল অভিযুক্তসহ গ্রেফতার পাঁচজন, উদ্ধার কোটি টাকা

    ATM: এটিএম প্রতারণাকাণ্ডে মূল অভিযুক্তসহ গ্রেফতার পাঁচজন, উদ্ধার কোটি টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিনব কায়দায় এটিএমে (ATM) প্রতারণা করে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছিল হুগলির চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের শ্রীরামপুর থানা এলাকায়। তদন্তে নেমে আগেই পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছিল। এবার এই কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত দীপঙ্কর মোদককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। একইসঙ্গে এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শিবশঙ্কর ঠাকুর নামে এক আইনজীবীকে সোনারপুর থেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

    ঠিক কীভাবে এটিএম (ATM) থেকে টাকা হাতিয়েছিল অভিযুক্তরা?

    একদিনে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট এলাকার শ্রীরামপুর, রিষড়া, উত্তরপাড়াসহ একাধিক জায়গায় ২২টি এটিএমে কয়েক কোটি টাকা ভরার কথা ছিল। একটি সংস্থাকে এই কাজের বরাত দেওয়া হয়েছিল। এই সংস্থার কর্মী হিসেবে দীপঙ্কর মোদক, সঞ্জীব পাত্ররা এটিএমে (ATM) টাকা ভরার কাজ করছিল। নিয়ম মেনে তারা ১১টি এটিএমে টাকা ভরেছিল। বাকি ১১টি এটিএমে তারা আর টাকা ভরেনি বলে অভিযোগ। এমনকী এটিএমে টাকা ভরার জন্য যে টাকা বরাদ্দ ছিল সবটাই তারা হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, টাকার পরিমাণ প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ হিসেব মেলাতে গিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকার তারা হদিশ পাচ্ছিল না। ২ মে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের বিষয়টি নজরে আসে। দীপঙ্করের মাধ্যমেই এটিএমগুলিতে টাকা ভরার কথা ছিল। ফলে, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে দীপঙ্করের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। জানা যায়, ৩ মে থেকে দীপঙ্কর রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ। পরিবারের লোকজনও তাঁর খোঁজ দিতে পারেনি। পরিবারের পক্ষ থেকেও থানায় মিসিং ডায়েরি করা হয়। তবে, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের দীপঙ্করের রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় সন্দেহ হয়। দীপঙ্করসহ কয়েকজনের নামে ৫ মে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম সন্তু দত্ত, সঞ্জিত সরকার এবং সঞ্জিত পাত্র। এদের মধ্যে সঞ্জিত পাত্র এটিএম (ATM) এ টাকা ভরার সংস্থায় কাজ করত। বাকিরা তার বন্ধু। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে মূল অভিযুক্ত দীপঙ্করকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনায় এক আইনজীবী জড়িত থাকার তথ্য পুলিশের হাতে আসে। ওই আইনজীবীর সঙ্গে ধৃতরা পরিকল্পনা করেই এই প্রতারণা করেছে।

    কী বললেন চন্দননগরের পুলিশ কমিশনারেটের এক কর্তা?

    চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (শ্রীরামপুর) অরবিন্দ আনন্দ বলেন, এটিএমে (ATM) টাকা ভরার পরিবর্তে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করার ঘটনায় প্রথমে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাদের কাছে থেকে ৬০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার হওয়ার পর সবমিলিয়ে ১ কোটি ১২ লক্ষ ৩৪ হাজার ৮০০ টাকা উদ্ধার হয়েছে। ধৃত আইনজীবীর বাড়ি থেকে ২৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে। বাকী টাকার খোঁজে তল্লাশি চলছে। এই ঘটনায় আর কে জড়িত রয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: জামুরিয়ায় বিজেপি বুথ এজেন্টের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: জামুরিয়ায় বিজেপি বুথ এজেন্টের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জামুরিয়ার বিজয়নগর জঙ্গলের কাছে ছাইগাদায় এলাকার বিজেপি (BJP) বুথ এজেন্টের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম অশোক চক্রবর্তী। তাঁর বয়স ৩০ বছর। বাড়ি হিজলগড়া গ্রামের সূত্রধরপাড়া। দেহ উদ্ধার করে কেন্দা ফাঁড়ির পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। গত এপ্রিল মাসেই জামুরিয়ার রাস্তার ওপরেই বিজেপি (BJP) ওয়ার্ড কনভেনার রাজেন্দ্র সাউয়ের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হয়েছিল। এক মাসের মধ্যেই রবিবার সেই জামুরিয়া এলাকায় বুথ এজেন্ট খুন হওয়ার ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    শনিবার সন্ধ্যায় অশোকবাবু বাড়ি থেকে বের হন। রাত ১১ টা পর্যন্ত এলাকার লোকজন তাঁকে শেষবার দেখতে পেয়েছিলেন। তারপর থেকে তাঁর আর হদিশ ছিল না। তিনি গত লোকসভা উপ নির্বাচনে বিজেপির (BJP) বুথ এজেন্ট ছিলেন। অশোকের দাদা ধনঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, ছাইগাদা এলাকায় মৃতদেহ পড়ে রয়েছে শুনে আমি সেখানে যাই। গিয়ে দেখি, ভাইয়ের ক্ষতবিক্ষত দেহ পড়ে রয়েছে। আমাদের আশঙ্কা, ভাইকে খুন করা হয়েছে। তবে, অশোককে কে এই এলাকায় নিয়ে এসে খুন করল তার সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন পরিবারের লোকজন।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপি-র জেলা সভাপতি দিলীপ দে সহ একাধিক নেতা অশোকবাবুর বাড়ি যান। পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দেন। পরিবারের লোকজনও বিজেপি (BJP) নেতৃত্বের কাছে সিবিআই তদন্তের দাবি করেন। দিলীপবাবু বলেন, অশোক আমাদের দলের সক্রিয় কর্মী। নির্বাচনে তিনি বুথ এজেন্ট ছিলেন। তাঁকে খুন করা হয়েছে। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। আমরা খুনের ঘটনার প্রকৃত তদন্ত দাবি করছি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূল সন্ত্রাস করতেই এই কাজ করেছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমান জেলার সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, তৃণমূল কোনওভাবেই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। আমরা ঘটনার প্রকৃত তদন্ত করছি। পুলিশ প্রশাসন বিষয়টি দেখছে। প্রয়োজনে আমি নিজে ওই যুবকের বাড়ি যাব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: পঞ্চায়েত থেকে রাজ্যে পরিবর্তনের ডাক দিলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: পঞ্চায়েত থেকে রাজ্যে পরিবর্তনের ডাক দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত থেকে রাজ্যে পরিবর্তনের ডাক দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রবিবার বিকেলে পটাশপুরের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, বাংলায় পরিবর্তন হবে তো? কর্মী-সমর্থকরা সকলেই তাঁর সঙ্গে সহমত পোষণ করেন। এরপরই বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, পঞ্চায়েত থেকেই পরিবর্তন শুরু করতে হবে। জোরদার লড়াই করতে হবে। আমরা এই রাজ্যে নরেন্দ্র মোদির আশীর্বাদধন্য রাষ্ট্রবাদী সরকার গঠন করব।

    মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, কর্ণাটক নির্বাচনের ফল দেখে স্লোগান ধার করে মমতা বলছেন, নো ভোট টু বিজেপি। আমরা আগেই বলেছি, আবারও বলছি নো ভোট টু মমতা। তৃণমূল মানেই চোর। এরপর তিনি কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে স্লোগান দিয়ে বলেন, চোর ধরো জেলে ভরো।

    রাজ্য পুলিশকে কী বললেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)?

    কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি নিয়েই এদিন পটাশপুরের সভা হয়। সেই সভা থেকে পুলিশকে হুঁশিয়ারি দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। এদিন পটাশপুরের সভা থেকে বিরোধী দলনেতা বলেন, মমতা পুলিশ তৃণমূলকে বাঁচাতে পারবে না। পশ্চিমবঙ্গে পুলিশ তৃণমূলের ক্যাডারে পরিণত হয়েছে। আমি অনেক মাতব্বরকে সাইজ করেছি। এখানকার চুনোপুঁটিদের কী ওষুধ দিতে হবে তা আমার জানা আছে। পটাশপুরের একটা ওসি আছে কি নাম তার যেন রাজু কুণ্ডু না হুন্ডু, এর তো বাচ্চা বয়স এখনও কাটেনি। একেও আমি টাইট করে দিয়েছি। এর পুলিশ বাবা অমরনাথও ওঁকে বাচাঁতে পারবে না। আবারও আমি পটাশপুরের সিংদাতে সভা করবো। আপনারা ভয় পাবেন না। আমি রাস্তায় আছি। মিথ্যে মামলা দিয়ে, ভয় দেখিয়ে কোনও লাভ হবে না। আমি নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছি। আপনারা প্রস্তুত থাকুন পঞ্চায়েতও আমরা জিতব। পূর্ব ঘোষণা মতো পটাশপুরে বিশাল পদযাত্রা করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। সেই পদযাত্রায় প্রায় হাজার দশেক বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা পা মেলান।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share