Tag: bangla news

bangla news

  • Abhijit Gangopadhyay: ‘‘দালালের মাধ্যমে শিক্ষকের চাকরি বিক্রি করেছেন পার্থ-মানিক’’! রায়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    Abhijit Gangopadhyay: ‘‘দালালের মাধ্যমে শিক্ষকের চাকরি বিক্রি করেছেন পার্থ-মানিক’’! রায়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেক্স: দালালের মাধ্যমে শিক্ষকের চাকরি বিক্রি করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। শুক্রবার ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশে এমনই পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Gangopadhyay)। রায়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় লিখেছেন, ২০১৬ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি সহ আধিকারিকদের কাজ অনেকটা স্থানীয় ক্লাবের মতো। আর ইডির তদন্তে উঠে এসেছে, যাঁদের টাকা ছিল প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি তাঁদের বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Gangopadhyay) রায়…

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর রায়ে জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে, তা পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসে নজিরবিহীন। তিনি (Abhijit Gangopadhyay) জানান, অপ্রশিক্ষিত শিক্ষকদের যত্রতত্র অনিয়মের ছাপ রয়েছে। ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় অযোগ্য চাকরি প্রার্থীদের নম্বর বাড়িয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় লিখেছেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় কম নম্বর পেয়েছেন এমন চাকরিপ্রার্থীদেরও সংশ্লিষ্ট বিভাগে ১০ নম্বরের মধ্যে সাড়ে ৯ নম্বর দিয়ে দেওয়া হয়েছে। অ্যাপটিটিউড টেস্টও নেওয়া হয়নি। পর্যবেক্ষণে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, চাকরিপ্রার্থীদের অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়ার ভার যাঁদের ওপর দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের অনেকেই জানতেন না অ্যাপটিটিউড টেস্ট আসলে কী।

    যাঁরা বোর্ডের পরীক্ষায় কম নম্বর পেয়েছেন, লিখিত পরীক্ষায় কম স্কোর করেছেন, তাঁদের ইন্টারভিউয়ে বেশি করে নম্বর দিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে। আর এই পুরো দুর্নীতিতে সব চেয়ে বেশি দায় মানিকেরই। রায়ের শেষাংশে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় লিখেছেন, এই পুরো অস্বচ্ছতা ও দুর্নীতি হয়েছে পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতির জন্য। তিনি সব নিয়ম জানতেন। তা সত্ত্বেও সেই সব নিয়ম ভেঙেছেন। তাই রাজ্য সরকার যদি মনে করে, নতুন নিয়োগের পুরো ব্যয়ভার নিতে পারে প্রাক্তন সভাপতির কাছ থেকে।

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে উঠে এল আরও এক তৃণমূল নেতার নাম, চিনুন তাঁকে

    এক ঐতিহাসিক রায়ে শুক্রবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay) বাতিল করে দেন ৩৬ হাজার প্রশিক্ষণহীন শিক্ষকের চাকরি। ২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে ২০১৬ সালে নিয়োগ করা হয় ৪২ হাজার শিক্ষক। তাঁদের মধ্যে যাঁদের প্রশিক্ষণ নেই, এমন ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল করে দেয় আদালত। আপাতত চার মাস এঁরা যেসব স্কুলে পড়াচ্ছিলেন, সেখানেই পড়াবেন। তবে বেতন পাবেন পার্শ্বশিক্ষকের মতো। আগামী তিন মাসের মধ্যে শূন্যপদ পূরণ করতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Salboni: মন্ত্রীর বাড়ির কাছে সাত বছর ধরে বন্ধ তফশিলি জাতি ও উপজাতি ছাত্রাবাস

    Salboni: মন্ত্রীর বাড়ির কাছে সাত বছর ধরে বন্ধ তফশিলি জাতি ও উপজাতি ছাত্রাবাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিছিয়ে থাকা জাতি ও উপজাতিদের শিক্ষার প্রসারে বারবার নানা প্রকল্পের কথাও শোনা যায় শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীদের গলায়। কিন্তু  তফশিলি জাতি ও উপজাতি ছাত্রাবাসের (Salboni) উল্টো দিকেই রাজ্যের মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতোর বাড়ি আর তাঁর বাড়ির সামনেই গত সাতবছর ধরে বন্ধ ছাত্রাবাস। তবে প্রত্যন্ত জঙ্গলমহলে চিত্রটা ঠিক কি তাই উঠে এলো সাধারণ মানুষের কণ্ঠে।

    বর্তমান ছাত্রাবাসের অবস্থা

    ১৯৮০ সালে তৈরি হয়েছিল শালবনি উচ্চ বিদ্যালয়ের  তফশিলি জাতি ও উপজাতি সমাজের পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ ছাত্রাবাস। কিন্তু যে উদ্দেশ্য নিয়ে তৈরি হয়েছিল তা বাস্তবায়িত হচ্ছেনা বলে অভিযোগ উঠছে। এলাকার মানুষ অভিযোগ করছেন দীর্ঘ সাত বছর ধরে অত্যন্ত জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে এই ছাত্রাবাসটি। প্রত্যন্ত প্রান্তিক এলাকায় আদিবাসী সমাজের পড়ুয়ারা থেকে-খেয়ে পড়াশুনা করবেন এই উদ্দেশ্যেই তৈরি হয়েছিল এই ছাত্রাবাস। আদিবাসী সমাজের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করে প্রান্তিক এলাকায় শিক্ষার আলো পৌঁছানোর একটা বিশেষ মাধ্যম ছিল এই শালবনীর ছাত্রাবাস (Salboni)। স্কুলের গায়েই এই ছাত্রাবাস। পরিকাঠামো থাকলেও কোন সমন্বয় নেই বলে অভিযোগ করছে এলাকাবাসী।

    কেন বন্ধ ছাত্রাবাস?

    বর্তমানে সরকার এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের বিশেষ গাফিলতি রয়েছে এই বন্ধের পিছনে। পড়ুয়া না থাকায় সচল নেই, তাই ছাত্রাবাসে যত্রতত্র গজিয়ে উঠেছে আগাছা ঝোপজঙ্গল। বন্ধ ছাত্রাবাসে অসামাজিক কাজকর্ম চলে রাত হলেই, তাই যত্রতত্র পড়ে রয়েছে মদের বোতল। স্থানীয় সুমন মাহাতো বলেন, ছাত্রাবাস (Salboni) বন্ধের জন্য শুধু শিক্ষা দফতরের গাফিলতি নয় রাজ্য সরকারও সঠিক ভূমিকা পালন করছেন না। স্থানীয় কুড়মি সমাজের জেলা সম্পাদক অনিমেষ মাহাতো বলেন, সবটাই ঘটছে রাজ্য সরকারের মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতোর গাফিলতির জন্য। মন্ত্রী হয়েও তফশিলি জাতি-উপজাতিদের বিষয় নিয়ে কিছু করছেন না বলে বিশেষ অভিযোগও করেন। প্রত্যন্ত অঞ্চলে একটা ভালো স্কুলে তফশিলি সমাজের পড়ুয়ারা যাতে থেকে পড়াশুনা করবেন এটাই এলাকার মানুষ চান কিন্তু আজ সেই উদ্দেশ্য ব্যর্থ।

    স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনের ভূমিকা

    ক্যামেরার সামনে প্রতিক্রিয়া দিতে নারাজ স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুধাংশু শেখর বাগ জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই আবাসিকদের অভাবে ধুঁকছিল ছাত্রাবাসটি (Salboni)। এই নিয়ে একাধিক সময় স্কুল শিক্ষা দফতরকে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে স্কুলের তরফে। অবশেষে তারা বাধ্য হয়েই বন্ধ করে দিয়েছেন ছাত্রাবাসটি। জেলাশাসক খুরশিদ আলী কাদেরী গোটা বিষয় নিয়ে বলেছেন, ছাত্রাবাস নিয়ে বিডিও সাহেবকে তথ্য ও রিপোর্ট দিতে বলেছি। তথ্য পেলে কেন বন্ধ জানাতে পারবেন বলে জানিয়েছেন জেলা শাসক। বর্তমানে দীর্ঘদিন ধরেই ছাত্রাবাস বন্ধ হওয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকার  তফশিলি জাতি-উপজাতির মানুষেরা। কবে এখন এই ছাত্রাবাস আবার খোলা হয় তাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে উঠে এল আরও এক তৃণমূল নেতার নাম, চিনুন তাঁকে

    Recruitment Scam: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে উঠে এল আরও এক তৃণমূল নেতার নাম, চিনুন তাঁকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলায় উঠে এল আরও এক তৃণমূল নেতার নাম। ওই কেলেঙ্কারিতে ধৃত প্রাক্তন তৃণমূল নেতা তাপস মণ্ডলের মুখেই শোনা গেল সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম। তাপসের দাবি, সন্তু প্রাক্তন তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের শাগরেদ। তিনি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়েরও ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, চাকরি দেওয়ার নামে বিভিন্ন এজেন্টের কাছ থেকে ৪৫ কোটি টাকা তুলেছিলেন প্রোমোটার অয়ন শীল।

    নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (Recruitment Scam) জড়াল সন্তুর নামও…

    এই প্রোমোটার নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ধৃত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। শান্তনু এবং তাপস দুজনেই ছিলেন তৃণমূলের নেতা। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (Recruitment Scam) ধরা পড়ার পর কলঙ্ক মুছতে রাতারাতি তাঁদের বহিষ্কার করা হয় দল থেকে। যদিও নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেলে থাকা সত্ত্বেও বহিষ্কার করা হয়নি পার্থ চট্টোপাধ্যায় কিংবা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে। শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়ন জেরায় স্বীকার করেছেন, তিনি যে ৪৫ কোটি টাকা তুলেছিলেন, তার মধ্যে ১৮ কোটি টাকা নিজে রেখেছিলেন। বাকি ২৬ কোটি টাকা দিয়েছেন সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়কে। সন্তুকে যে টাকা দেওয়া হয়েছিল, সেই নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা কুন্তল। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে পার্থ ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী তথা তৃণমূল নেতা সন্তুর মহেশতলার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই।

    আরও পড়ুুন: ‘‘ভারতবর্ষ গণতন্ত্রের পীঠস্থান, পশ্চিমবঙ্গকে বধ্যভূমি করেছেন মমতা’’, মত জেপি নাড্ডার

    এদিন আলিপুর আদালতে ঢোকার সময় তাপসের মুখে শোনা গেল তৃণমূল নেতা সন্তুরই নাম। সন্তু যে তাঁদের অচেনা নন, তা স্পষ্ট কুন্তলের কথায়ও। তিনি জানিয়েছেন, সন্তুকে তিনি চেনেন। এই তাপসের মুখেই প্রথম শোনা গিয়েছিল ‘কালীঘাটের কাকু’র কথা। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রই যে কালীঘাটের কাকু, পরে তা প্রকাশ্যে আসে। সুজয়কৃষ্ণ জানিয়েছিলেন (Recruitment Scam) তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে চাকরি করেন। এই অভিষেক তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। এদিকে তাপসের দাবি, কুন্তল ঘোষ দু নম্বর প্রতারক। তিনি বলেন, “চার্লস শোভরাজকে চেনেন? বিশ্বের এক নম্বর প্রতারক। কুন্তল ঘোষ দু নম্বর প্রতারক।” আগামী ২৬ মে পর্যন্ত কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল ও নিলাদ্রী দাসের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর আদালত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Wife: স্ত্রীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাল স্বামী, কারণ জানলে চমকে উঠবেন

    Wife: স্ত্রীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাল স্বামী, কারণ জানলে চমকে উঠবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্বশুরবাড়িতে এসে স্ত্রীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর বিধানসভার ভূপতিনগরের পাঁউশী গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, জখম স্ত্রীর নাম যমুনা দলপতি। আর অভিযুক্ত স্বামীর নাম দীপঙ্কর দলপতি। গুরুতর জখম ওই বধূকে প্রথমে ভূপতিনগর-মুগবেড়িয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে, তমলুক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, রোগীর অবস্থা স্থিতিশীল। ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত স্বামী পলাতক। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    কেন স্ত্রীকে গুলি করল স্বামী?

    অভিযুক্ত দীপঙ্কর কর্মসূত্রে বাইরেই থাকে। কখনও সে ট্রলারে মাছ ধরতে চলে যায় গভীর সমুদ্রে, কখনো বা কাজের জন্য ভিন রাজ্যে পাড়ি দেয়। তবে, বাড়ি ফিরে এসেই স্ত্রীর ওপর অকথ্য অত্যাচার চালাত বলে অভিযোগ। এই নিয়ে একাধিকবার সালিশি সভা বসে। তাতে কোনও লাভ হয়নি। দীপঙ্করের অত্যাচার তাতে কমেনি বলেই অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত স্বামীর বাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়িতে এসে আশ্রয় নেন যমুনাদেবী। স্ত্রীকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য শ্বশুরবাড়িতে বহুবার গিয়েছে দীপঙ্কর। কখনও বাড়িতে আসার জন্য অনুরোধ করেছে। কখনও আবার ভয় দেখিয়েছে। কিন্তু, কোনও কিছুতেই কাজ হচ্ছিল না। তাই শেষ পর্যন্ত ১১ মে সে শ্বশুরবাড়িতে আসে। স্ত্রীকে বাড়ি যাওয়ার কথা সে বলে। স্ত্রী তার প্রস্তাবে রাজি হয়নি। এরপরই স্ত্রীকে লক্ষ্য করে সে দু রাউন্ড গুলি চালায় বলে অভিযোগ। একটি গুলি লাগে ডান হাতে। গুলির শব্দে আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। স্থানীয় মানুষজন জড়ো হতেই সে এলাকা ছেড়ে পালায়। হাসপাতালে ওই বধূকে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে এক্স রে করে দেখা যায়, ওই বধূর ডান হাতের কনুই এর কাছে ঢুকে রয়েছে একটি গুলি।

    কী বললেন আক্রান্ত বধূ ও তাঁর পরিবারের লোকজন?

    হাসপাতালের বেডে শুয়ে যমুনাদেবী বলেন, “অন্যবারের মতো শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার জন্য ও বলে। কিন্তু, ওর অত্যাচারের কথা ভেবে আমি শ্বশুরবাড়ি যেতে রাজি হইনি। ও এভাবে গুলি করে দেবে তা ভাবতে পারিনি।” যমুনার বাবা সুধাংশু মিদ্যার অভিযোগ, “এর আগে মেয়েকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে, নাক ফাটিয়ে দিয়েছে জামাই। আমরা অবিলম্বে তার শাস্তির দাবি করছি।” রাজনৈতিক সংঘর্ষে বারবার উঠে এসেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুরের পাঁউশী এলাকার নাম। সেই এলাকায় স্বামী-স্ত্রীর গণ্ডগোলে গুলি চালানোর ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। এইসব আগ্নেয়াস্ত্র আসছে কোথা থেকে? সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আমজনতা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Governor of West bengal: ‘‘আগুন নিয়ে খেলা নয়’’, রাজ্যকে ‘পরামর্শ’ রাজ্যপালের

    Governor of West bengal: ‘‘আগুন নিয়ে খেলা নয়’’, রাজ্যকে ‘পরামর্শ’ রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আগুন নিয়ে খেলা নয়।” রাজ্য সরকারকে এমনই জানিয়ে দিলেন রাজ্যপাল (Governor of West bengal) সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। অগ্নি সুরক্ষা মোকাবিলায় শুক্রবার পাঁচ পাতার বিবৃতি দিয়েছে রাজভবন। সেই বিবৃতিরই এক জায়গায় লেখা রয়েছে আগুন নিয়ে না খেলার ‘পরামর্শ’। রাজভবনের এই বিবৃতিতে শোরগোল প্রশাসনের অন্দরে। দিন কয়েক আগে রাজভবনের কাছে শরাফ হাউসে আগুন লাগে। জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় শ্যামসুন্দর সাহা নামে এক প্রৌঢ়ের। এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল। রাজভবনের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “শরাফ হাউসের আগুন লাগার ঘটনায় যাদের ত্রুটি রয়েছে এবং একটি মূল্যবান প্রাণহানির জন্য নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের পদক্ষেপ করা উচিত।”

    রাজ্যপালের (Governor of West bengal) মতে আগুন লাগার কারণ…

    শরাফ হাউসে আগুন লাগার সম্ভাব্য ১০টি কারণের উল্লেখ করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Governor of West bengal)। এই কারণগুলির মধ্যে চতুর্থ কারণটি হল, “ইচ্ছে করেও আগুন লাগাতে পারেন কেউ। নেপথ্যে অনেক কারণ থাকতে পারে। এমনকী বীমা পাওয়ার জন্যও এমন করতে পারেন কেউ”। আবার না জেনে ভুল করে আগুন লাগানো তো একটি কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে।

    কেবল তাই নয়, আগুন থেকে কীভাবে সাবধান হওয়া যায়, সেই পরামর্শও দেওয়া হয়েছে রাজভবনের তরফে জারি করা ওই বিবৃতিতে। পরামর্শগুলিকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিরোধ, প্রতিক্রিয়া এবং প্রতিকার। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সমাধানের চেয়ে সাবধানতা ভাল।’ ‘ভয় পাবেন না, শান্ত থাকুন।’ ‘ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে সতর্ক হতে হবে।’

    আরও পড়ুুন: উরি সেক্টরে পাক ড্রোন হামলা, রুখল সেনা! কাশ্মীরে জি২০ সম্মেলনে বাড়ল নিরাপত্তা

    বুধবার সকাল ১০টা নাগাদ রাজভবনের (Governor of West bengal) কাছে বিবাদী বাগ চত্বরের শরাফ হাউসের ওপরের তলায় আগুন লাগে। দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আগুন। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় আকাশ। দুপুর দেড়টা নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। যদিও বিল্ডিংটির একটি অংশের আগুন তখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। বৃহস্পতিবার ওই জায়গাটি ঠান্ডা করতে গিয়েই শ্যামসুন্দরের অর্ধদগ্ধ দেহ দেখতে পান দমকলকর্মীরা। শ্যামসুন্দর উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা ছিলেন। দেহের পাশ থেকে পুড়ে যাওয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখে শনাক্ত করা হয় তাঁকে।

    ওই দিন আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত রাজভবন ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন রাজ্যপাল। ঘণ্টা দুয়েক দাঁড়িয়ে আগুন নেভানোর কাজের তদারকি করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তার পরেই এই ‘উপদেশাবলী’।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: চোর তাড়াও, গ্রাম বাঁচাও! তৃণমূলের বিরুদ্ধে পোস্টারে ছয়লাপ এলাকা, কারা দিল?

    TMC: চোর তাড়াও, গ্রাম বাঁচাও! তৃণমূলের বিরুদ্ধে পোস্টারে ছয়লাপ এলাকা, কারা দিল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রামের অলিতেগলিতে পোস্টারে পোস্টারে ছয়লাপ করল বিজেপি। সেই পোস্টারে লেখা রয়েছে চোর তাড়াও, গ্রাম বাঁচাও। এমনই ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল ব্লকের মনোহরপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মনোহরপুর ও হরিসিংপুর গ্রামে। একইসঙ্গে সিপিএমও গ্রামজুড়ে পোস্টার দিয়েছে। এই পঞ্চায়েতে দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূল (TMC) ক্ষমতায় রয়েছে। পোস্টারে কোনও দলের নাম নেই। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তাই ভোটের আগে তৃণমূলকে (TMC) টার্গেট করে এই পোস্টার দিয়েছে বিরোধীরা। যা নিয়ে জেলাজুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    পোস্টার দেওয়া নিয়ে বিরোধীদের কী বক্তব্য?

    পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে, তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে আক্রমণ আরও জোরদার করছে বিরোধীরা। বিজেপি নেতা বিশ্বজিৎ জানা বলেন, রাজ্যজুড়ে সর্বস্তরে তৃণমূল (TMC) দুর্নীতি করেছে। দুর্নীতির দায়ে একাধিক বিধায়ক, মন্ত্রী সব জেলে রয়েছে। আমাদের এই পঞ্চায়েতে তৃণমূল নেতারা সব দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। গ্রাম ভাল রাখতে এই দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। তাই, আমরা পাড়ায় পাড়ায় এই পোস্টার দিয়েছি। এতে মানুষকে অনেকটাই সচেতন করা যাবে। সিপিএম নেতা সমীর হাজরা বলেন, ১০০ দিনের কাজ থেকে শুরু করে আবাস যোজনার বাড়ি, এলাকার সাধারণ মানুষকে না দিয়ে সমস্ত কিছুর সুবিধা নিয়েছে তৃণমূলের (TMC) নেতা কর্মীরা। তারা সকলেই চোর। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আমাদের মূল স্লোগান চোর তাড়াও, গ্রাম বাঁচাও।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    পোস্টার নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষ করেছে তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব। তৃণমূলের ঘাটাল ব্লকের সভাপতি দিলীপ মাঝি বলেন, বিজেপি-সিপিএম যে এক তা এই ঘটনায় প্রমাণ হয়ে গেল। তৃণমূল (TMC) যা উন্নয়ন করেছে সেই নিরিখে মানুষ আমাদের ভোট দেবে। আর এসব দেখে বিরোধীরা ভয় পেয়ে গিয়েছে। তাই, পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসবে, বাম-রাম সব এক হয়ে যাবে। তবে, এসব পোস্টার দিয়ে লাভ নেই। বরং, এসব করার জন্য এলাকার মানুষ ওদের সহজেই চিনতে পারছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Buxa Tiger Reserve: বক্সার জঙ্গলে এবার কি দেখা মিলবে বাঘের? জেলাজুড়ে শোরগোল

    Buxa Tiger Reserve: বক্সার জঙ্গলে এবার কি দেখা মিলবে বাঘের? জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পর্যটকদের জন্য খুশির খবর। বক্সার জঙ্গলে এবার বাঘের দেখা মিলতে পারে! জঙ্গলে বাঘেদের বসবাসের উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে এসেছিল কেন্দ্রীয় দল। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জীব বৈচিত্র্য ও পরিকাঠামো দেখে খুশি বাঘ সংরক্ষণ ও বাঘ সংরক্ষণের নীতি নির্ধারণের সর্বোচ্চ কর্তারা। জানা গিয়েছে, বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের (Buxa Tiger Reserve) জঙ্গলে আসেন ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথরিটি( এন টি সি এ) ও গ্লোবাল টাইগার ফোরাম( জি টি এফ) সহ মোট তিন প্রতিনিধি দল। এদের সঙ্গে রাজ্য বন দফতরের প্রধান মুখ্য বনপাল দেবল রায় ও রাজ্য বন প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্তা হেড অফ ফরেস্ট সৌমিত্র দাশগুপ্ত ছিলেন। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জীব বৈচিত্র ও পরিকাঠামো দেখে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা খুশি হয়েছেন। ফলে, এবার থেকে এই জঙ্গলে বাঘের দেখা মিলবে কি না তা নিয়ে জেলাজুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    কী বললেন বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের (Buxa Tiger Reserve) অধিকর্তা?

    রাজ্যের একমাত্র বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের (Buxa Tiger Reserve) বনাঞ্চল দেখতেই এই প্রতিনিধি দল এই রাজ্যে এসেছিল বলে জানা গিয়েছে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের অধিকর্তা অপূর্ব সেন বলেন, “আগামীদিনে এই জঙ্গলে বাঘ থাকার উপযুক্ত পরিকাঠামো রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এসেছিল। এই দল বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জীব বৈচিত্র্য ও পরিকাঠামো দেখে খুশি। জঙ্গলের বিভিন্ন কাজ নিয়ে আমাদের কিছু নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন। সেই নির্দেশ অনুযায়ী আমরা কাজ করবো।” জানা গিয়েছে, ১৯৮২ সালের বক্সা টাইগার রিজার্ভ ফরেস্ট ব্যাঘ্র প্রকল্পের মর্যাদা পায়। ৭৬০ বর্গকিলোমিটার বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বনাঞ্চলের ৪০০ বর্গকিলোমিটার এলাকার সংরক্ষিত বনাঞ্চল। বাকি ৩৬০ বর্গকিলোমিটার বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প (Buxa Tiger Reserve) বাফার এলাকায়। আটের দশকেও এই বনাঞ্চলে বাঘেদের সক্রিয় উপস্থিতির নজির পাওয়া গিয়েছিল। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বনাঞ্চল লাগোয়া বিভিন্ন বন বস্তির প্রবীণ নাগরিকরা অনেকে সেই সময় বাঘেদের গর্জনের আওয়াজ পেয়েছিলেন। 

    আটের দশকের পর থেকে এই বনাঞ্চলে বাঘেদের অস্তিত্বের তেমন কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন সময় বাঘের পায়ের ছাপ, মল ও আচরের প্রমাণ মিললেও সরাসরি ক্যামেরায় ছবি ধরা পড়েনি। কিন্তু হাল ছাড়তে নারাজ ছিল বন দফতর। অসম থেকে ছয়টি বাঘ এনে এই বনাঞ্চলে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর সেই কারণে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বনাঞ্চলে কয়েক দফায় সাতশোর বেশি হরিণ ছাড়া হয়। এক কথায় বক্সাকে বাঘেদের জন্য প্রস্তুতের কাজ চলছিল। আর এরই মধ্যে ২০২১ সালের ১১ ডিসেম্বর একেবারে ডোরাকাটার ছবি ক্যামেরা বন্দি হয় বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের (Buxa Tiger Reserve) জঙ্গলে। ২৩ বছর পর বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে সরাসরি বাঘ থাকার প্রমাণ মেলে। এবার সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বাঘ বিষয়ে সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটি পা রাখল বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের (Buxa Tiger Reserve) জঙ্গলে। এই পরিদর্শনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজ্যের বন কর্তারা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Air India: বান্ধবীকে নিয়ে ককপিটে, পাইলট সাসপেন্ড, জরিমানা এয়ার ইন্ডিয়ার

    Air India: বান্ধবীকে নিয়ে ককপিটে, পাইলট সাসপেন্ড, জরিমানা এয়ার ইন্ডিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়ম ভেঙে বান্ধবীকে নিয়ে গিয়েছিলেন বিমানের ককপিটে। অন্তত এমনই অভিযোগ এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) এক পাইলটের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত পাইলটকে সাসপেন্ড করা হয় দু মাসের জন্য। জরিমানা করা হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়াকেও। ওই সংস্থাকে জরিমানা বাবদ দিতে হবে ৩০ লক্ষ টাকা। এমনই নির্দেশ ডিরেক্টর জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশনের (DGCA)।

    এয়ার ইন্ডিয়া (Air India)…

    চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমানের এক পাইলট তাঁর বান্ধবীকে ককপিটে ডেকে নিয়ে যান বলে অভিযোগ। এক বিমানকর্মীর অভিযোগ, নিয়ম অনুযায়ী ককপিটে যাত্রীরা কেউ ঢুকতে পারেন না। কিন্তু সেই নিয়ম ভঙ্গ করে ওই পাইলট তাঁর বান্ধবীকে সেখানে ঢোকার অনুমতি দেন। কেবল তাই নয়, ওই পাইলটের বান্ধবীর জন্য ককপিটে সব রকম ব্যবস্থা করতে বলা হয়। ককপিটেই মদ এবং খাবার দেওয়ার নির্দেশও ওই পাইলট বিমানকর্মীদের দেন।

    ওই বিমানকর্মীর অভিযোগ, ককপিটে বান্ধবীর জন্য বালিশের ব্যবস্থাও করতে বলা হয়। ওই বিমানকর্মী বলেন, আমাকে যখন মহিলার জন্য পানীয় এবং খাবার আনতে বলা হয়, তখন ক্যাপ্টেনকে বলেছিলাম, ককপিটে (Air India) আমি মদ পরিবেশন করতে পারব না। এ কথা শুনেই তিনি একটু চটে যান। তিনি বলেন, তার পর থেকেই পাইলট আমার সঙ্গে পরিচারকের মতো ব্যবহার করতে শুরু করেন।

    আরও পড়ুুন: ‘দ্য কেরালা স্টোরি’তে নিষেধাজ্ঞা কেন? রাজ্যের জবাব তলব সুপ্রিম কোর্টের

    জানা গিয়েছে, ঘণ্টাখানেকেরও বেশি সময় ধরে ওই পাইলট ও তাঁর বান্ধবী ছিলেন ককপিটে। এর পরেই ডিরেক্টর জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন এয়ার ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে, সঠিক সময়ে তারা ঘটনার কথা জানায়নি। বিষয়টি যতটা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা উচিত ছিল, এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) পক্ষে তাতেও ঘাটতি ছিল বলে মনে করছে ডিরেক্টর জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন। সেই কারণেই এয়ার ইন্ডিয়াকে জরিমানা করা হয় ৩০ লক্ষ টাকা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপী মসজিদের ‘শিবলিঙ্গে’র কার্বন ডেটিংয়ের নির্দেশ এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপী মসজিদের ‘শিবলিঙ্গে’র কার্বন ডেটিংয়ের নির্দেশ এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi Mosque) নিয়ে বড়সড় নির্দেশ এলাহাবাদ হাইকোর্টের (Allahabad High Court)। মসজিদের ওজুখানার জলাধারে শিবলিঙ্গ রয়েছে বলে দাবি করে হিন্দুত্ববাদী কয়েকটি সংগঠন। সেই শিবলিঙ্গের কার্বন ডেটিং সহ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সমীক্ষা করার নির্দেশ ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণকে। শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছেন এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি অরবিন্দ কুমার মিশ্র। কার্বন ডেটিং করতে গিয়ে কাঠামোর যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, সেদিকেও লক্ষ্য রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণকে।

    জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi Mosque)…

    জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Mosque)  অজুখানায় শিবলিঙ্গ রয়েছে দাবি করে সেখানে পুজো করার আবেদন জানিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল বারাণসী আদালতে। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সেই দাবি খারিজ করে পাল্টা মামলার আবেদন জানানো হয়েছিল। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলা ফিরে আসে বারাণসী আদালতে। বারাণসী দায়রা আদলতের বিচারক একে বিশ্বাসের একক বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের আবেদনের প্রেক্ষিতে মমলা এগোবে। মুসলিম পক্ষ অঞ্জুমানে ইন্তেজামিয়া কমিটির আবেদন খারিজ করেন বিচারক।

    জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলায় বারাণসী জেলা আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে যায় আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি। সেই সময়ই কার্বন ডেটিংয়ের দাবি জানিয়েছিল হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। বারাণসী আদালত কার্বন ডেটিংয়ের আবেদন খারিজ করে রায় দেয়, যদি কার্বন ডেটিং বা গ্রাউন্ড পেনিট্রেটিং রাডারের অনুমতি দেওয়া হয় এবং যদি ‘শিবলিঙ্গে’র কোনও ক্ষতি হয়, তবে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ লঙ্ঘিত হবে এবং এটি সাধারণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতেও আঘাত করতে পারে। পরে এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আবেদনকারীরা।

    আরও পড়ুুন: ‘দ্য কেরালা স্টোরি’তে নিষেধাজ্ঞা কেন? রাজ্যের জবাব তলব সুপ্রিম কোর্টের

    শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি মিশ্র ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের কাছে জানতে চান, কোনও রকম ক্ষতি ছাড়া শিবলিঙ্গের (Gyanvapi Mosque)  কার্বন ডেটিং সম্ভব কিনা। পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের তরফে আইনজীবী মনোজ কুমার জানান, কাঠামোর ক্ষতি না করেই কার্বন ডেটিং করা সম্ভব। এর পরেই কার্বন ডেটিংয়ের নির্দেশ দেন বিচারপতি। কাঠামোর যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, সেদিকেও নজর রাখতে বলেন বিচারপতি। প্রসঙ্গত, মসজিদ কমিটির দাবি, ওজুখানার ওই কাঠামো একটি পুরানো ফোয়ারা। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি, সেটি শিবলিঙ্গ। এই ‘শিবলিঙ্গ’টি কত বছরের পুরানো, তা জানতেই কার্বন ডেটিংয়ের নির্দেশ আদালতের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “আদালত সবাইকে ডেকে ডেকে বিধি শেখাতে যাবে না”, কেন বললেন বিচারপতি মান্থা?

    Calcutta High Court: “আদালত সবাইকে ডেকে ডেকে বিধি শেখাতে যাবে না”, কেন বললেন বিচারপতি মান্থা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আদালত সবাইকে ডেকে ডেকে বিধি শেখাতে যাবে না”। শুক্রবার এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha)। উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় বিচারপতি মান্থার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূলের (TMC) মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সেই প্রসঙ্গেই এদিন বিচারপতি বলেন, “নিজেরাই যদি নিজেদের সম্মান নষ্ট করেন, তাহলে কোর্ট কী করবে? আদালতকে বার বার অসম্মান করতে গিয়ে নিজেদের যে অসম্মান হচ্ছে, তা তাঁরা বুঝছেন না। বা বুঝেও সেটাই করে চলেছেন ইচ্ছাকৃতভাবে।” এর পরেই তিনি বলেন, “আদালত সবাইকে ডেকে ডেকে বিধি শেখাতে যাবে না।”

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ…

    বৃহস্পতিবার কালিয়াগঞ্জের ঘটনায় সিট গঠনের নির্দেশ দেন বিচারপতি মান্থা। তাঁর পর্যবেক্ষণ ছিল, পুলিশ স্বচ্ছভাবে তদন্ত করতে পারছে না। চাপের মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে তাদের। এর পরেই সিট গঠনের নির্দেশ দেন বিচারপতি মান্থা। সিটে রয়েছেন বর্তমান আইপিএস দময়ন্তী সেন এবং দুই প্রাক্তন আইপিএস উপেন বিশ্বাস এবং পঙ্কজ দত্ত। এর পরেই তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, “টিভি চ্যানেলে বিষোদ্গার করাটাই কি আসল? রাজ্যে আইপিএস অফিসার কি কম পড়েছিল?” পরে কুণাল বলেন, “এঁরা প্রত্যেকেই যোগ্য ও স্বীকৃত। সবই ঠিক আছে। দময়ন্তী সেনকে নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। কিন্তু বাকিরা তো চ্যানেলে বসে বিষোদ্গার করেন। সেই কারণেই কি তাঁদের সিটের সদস্য করা হয়েছে?”

    আরও পড়ুুন:‘‘ঢাকি সমেত বিসর্জন’’! ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    এ নিয়ে বিচারপতি (Calcutta High Court) মান্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আর এক আইনজীবী। তাঁর বক্তব্য, ওই নেতার বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলা করা উচিত। এর পরেই শিষ্টাচার পালনের পরামর্শ দেন বিচারপতি মান্থা। তিনি ওই আইনজীবীকে জানান, এ নিয়ে যদি কিছু করতে চান, তা হলে আলাদাভাবে মামলা দায়ের করুন। আদালত বিবেচনা করবে। প্রসঙ্গত, বিচারপতি (Calcutta High Court) মান্থার একাধিক নির্দেশ ও পর্যবেক্ষণ নিয়ে এর আগেও প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূলের কুণাল। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশ নিয়েও বিস্তর সমালোচনা করেছেন তৃণমূলের এই মুখপাত্র।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share