Tag: bangla news

bangla news

  • Sukanta Majumdar: অনুব্রতর গড়ে কাজল-কেরিমকে কড়া বার্তা দিলেন সুকান্ত! কী বললেন?

    Sukanta Majumdar: অনুব্রতর গড়ে কাজল-কেরিমকে কড়া বার্তা দিলেন সুকান্ত! কী বললেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  “পঞ্চায়েত ভোটে কোন কর্মীর গায়ে যদি হাত পরে, সেই হাতের ব্যবস্থা হবে।”  বুধবার বীরভূমের লাভপুরের সভা থেকে হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। মূলত অনুব্রতহীন প্রথম পঞ্চায়েত ভোট হতে চলেছে এই রাজ্যে। কেষ্টর জেলযাত্রার পর এখন কাজল শেখের ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়েছে। তাঁকে তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য করা হয়েছে। কেরিম খানও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এমনই অভিযোগ বিরোধীদের। এই সব নেতা পঞ্চায়েত ভোটে সন্ত্রাস করতে পারে। তাই, এদিনের সভা মঞ্চ থেকে তৃণমূলের দাপুটে নেতা কাজল শেখ ও জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল কেরিম খানের নাম করে হুঁশিয়ারি দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) । তিনি বলেন,”যদি ইট মারেন পাথর কিন্তু খেতে হবে। পঞ্চায়েত ভোটে আমাদের কোন কর্মীর গায়ে যদি হাত পরে সেই হাতের ব্যবস্থা ভারতীয় জনতা পার্টি করবে, সুকান্ত মজুমদার করবে।  কাজল শেখ ও কেরিম খানই হোক, তার ব্যবস্থা করা হবে। ভয় পাবেন না।”

    মিড ডে মিলের দুর্নীতি নিয়ে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    মিড ডে মিলের দুর্নীতি নিয়েও বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) সরব হন। তিনি বলেন, ১০০ কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে। আর সেই টাকা তৃণমূল নেতাদের পকেটে ঢুকেছে। কেন্দ্রীয় সরকার পড়ুয়া পিছু ৬ টাকা করে বরাদ্দ করে। এই রাজ্যেও সেই টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। তাতে দেখা যাচ্ছে কয়েক কোটি পড়ুয়ার নাম বেশি করে দেখানো হয়েছে। রাজ্যের পাঠানো সেই ভুয়ো তালিকা পিছু পড়ুয়াদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে টাকা পাঠানো হয়েছে। কিন্তু, সেই টাকা স্কুলে যায়নি। তৃণমূল নেতাদের পকেটে ঢুকেছে। আর কেন্দ্রীয় টিম রাজ্যে আসার পরও এই দুর্নীতির বিষয়টি সামনে এসেছে।

    লাভপুর থানার ওসিকে কি বললেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)?

    এদিন লাভপুরে সতীর একান্ন পীঠের অন্যতম ফুল্লরাতলা মন্দিরের সামনে থেকে মিছিল করেন সুকান্ত মজুমদার। মিছিলে কর্মী সমর্থকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। পরে, লাভপুর বাসস্ট্যান্ডে সভায় তিনি বক্তব্য রাখেন। ব্যাঙ্গ করে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “আগে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্য লোকে শান্তিনিকেতন দেখতে আসতেন। এখন পর্যটক বেড়ে গিয়েছে। অপা দেখতে পর্যটকেরা আসে। তৃণমূল নেতাদের কচি কচি গার্লফ্রেন্ড। বুড়ো বুড়ো নেতা কচি কচি গার্লফ্রেন্ড। সেই নেতারা গার্লফ্রেন্ডদের জন্য বাগান বাড়ি বানিয়ে রেখেছে।”এরপরেই লাভপুর থানার ওসিকে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। তিনি বলেন, “ওসি তৃণমূল নেতায় পরিণত হয়েছে। বালির টাকা খাচ্ছে। প্যান কার্ডের নম্বরটা যদি ইনকাম ট্যাক্সকে দিই, হিসাব দিতে পারবেন তো।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nil Sasthi: আজ নীল ষষ্ঠী, কেন এই ব্রত পালন করা হয়? জানুন এর মাহাত্ম্য

    Nil Sasthi: আজ নীল ষষ্ঠী, কেন এই ব্রত পালন করা হয়? জানুন এর মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফি বছর চৈত্র সংক্রান্তির আগের দিন পালিত হয় নীল ষষ্ঠী (Nil Sasthi)। এদিন অবশ্য ষষ্ঠী তিথি নয়। পুজো হয় না মা ষষ্ঠীরও। তা সত্ত্বেও পালিত হয় নীল ষষ্ঠী। পুজো হয় দেবাদিদেব মহাদেবের (Lord Shiva)। মা ষষ্ঠী মা দুর্গারই এক রূপ। বছরভর নানাভাবে তাঁকে আমরা পুজো করি। মূলত সন্তানের মঙ্গল কামনায় পুজিত হন দেবী ষষ্ঠী। দুর্গাপুজোর ষষ্ঠী, জামাই ষষ্ঠী, অশোক ষষ্ঠী এই সব দিনে পুজো হয় মা ষষ্ঠীর। এক মাত্র নীল ষষ্ঠীর দিন পুজো হয় মহাদেবের।

    নীল ষষ্ঠী (Nil Sasthi) ব্রত…

    পুরাণ অনুসারে, এই দিনেই মহাদেবের সঙ্গে বিয়ে হয় নীল চণ্ডিকার। মহাদেবের আর এক নাম নীলকণ্ঠ। সব মিলিয়ে এই দিনটি নীল ষষ্ঠী নামেই খ্যাত। এদিন মহাদেবের পাশাপাশি দেবী দুর্গারও পুজো হয়ে থাকে। সন্তান লাভের আশায় এবং সন্তানের মঙ্গল কামনায় অনেকেই নীল ষষ্ঠীর ব্রত করেন। ধন-সম্পদের পাশাপাশি সাংসারিক সুখের আশায়ও অনেকে এই ব্রত (Nil Sasthi) করেন। ব্রতের আগের দিন নিরামিষ খাবার খান ব্রতীরা। পরের দিন সকাল থেকে শুরু হয় নির্জলা উপোস। রাতে শিবের মাথায় জল ঢেলে, পুজো শেষে প্রসাদ গ্রহণ করেন ব্রতীরা। তার পরেই ভঙ্গ হয় ব্রত।

    এ বছর নীল ষষ্ঠী পুজো হবে ১৩ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার। শিবরাত্রিতে যেমন এক রাতে চারবার পুজো হয় মহাদেবের, নীল ষষ্ঠীর দিন তা নয়। এদিন পুজো হবে একবারই। এদিন শিবের সঙ্গে সঙ্গে পুজো হয় দেবী দুর্গারও। যাঁরা মৃতবৎসা তাঁরাও সন্তান কামনায় এদিন ভক্তি ভরে ব্রত করেন নীল ষষ্ঠীর।

    শিবের প্রিয় ফুল ধুতরা, আকন্দ, কলকে এবং অপরাজিতা। এই ফুলগুলির সঙ্গে অবশ্যই দিতে হবে বেলপাতা। শিবের আর এক নাম পঞ্চানন। তাঁর পাঁচটি মুখ। সেই কারণে শিবলিঙ্গের মাথায় যে ফল অর্পণ করা হয়, তা প্রসাদ হিসেবে ভক্ষণ করতে নেই। লোকবিশ্বাস, এই মুখেই গরল পান করে নীলকণ্ঠ হয়েছিলেন দেবাদিদেব (Nil Sasthi)। তবে থালায় যেসব ফলমূল শিবকে নিবেদন করা হয়, সেই প্রসাদ ভক্ষণ করা হয়। এদিন শিবের মাথায় দুধ, গঙ্গাজল ঢালা হয়। কেউ কেউ অবশ্য মধু দিয়েও স্নান করান শিবকে।

     

  • Sukanya Mondal: পেটে ব্যথা! ফের ইডির তলব এড়ালেন কেষ্ট-কন্যা, কী প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর?

    Sukanya Mondal: পেটে ব্যথা! ফের ইডির তলব এড়ালেন কেষ্ট-কন্যা, কী প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ইডির (ED) তলব এড়ালেন তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল (Sukanya Mondal)। বুধবার দিল্লিতে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল কেষ্ট-কন্যাকে। তবে গত দুবারের মতো এবারও হাজিরা এড়ালেন সুকন্যা। কারণ হিসেবে তিনি পেটে ব্যথার কথা বলেছেন। প্রসঙ্গত, এ নিয়ে তিন-তিনবার ইডির ডাক এড়ালেন সুকন্যা। গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত। বর্তমানে তিহাড় জেলে রয়েছেন এই তৃণমূল নেতা। অনুব্রতর সম্পত্তি সংক্রান্ত খোঁজখবর নিতে সুকন্যাকেও দিল্লিতে তলব করে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, পিতা-পুত্রীকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে। তাই তলব করা হয়েছিল কেষ্ট-কন্যাকে।

    সুকন্যা মণ্ডল (Sukanya Mondal)…

    প্রথমবার তলব করা হলে আইনজীবী মারফত চিঠি দিয়ে সুকন্যা (Sukanya Mondal) কিছু দিন সময় চেয়েছিলেন। ফের তাঁকে ডেকে পাঠানো হয় মার্চ মাসে। সেবারও হাজিরা এড়ান সুকন্যা। বুধবারও দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা এড়ালেন কেষ্ট-কন্যা। যদিও বর্তমানে বীরভূমের নিচুপট্টির বাড়িতেই রয়েছেন সুকন্যা। অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের দাবি, পেটের ব্যথায় ভুগছেন সুকন্যা। সুকন্যা ইডির তলব এড়ালেও অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী সুব্রত হাজরা ওরফে ডালিম বুধবার দিল্লি পৌঁছে গিয়েছেন। তাঁকেও তলব করেছিল ইডি। তদন্তকারীদের অনুমান, গরু পাচারের টাকা লগ্নি করা হয়েছে পেশায় প্রোমোটার ডালিমের নির্মাণ শিল্পেও। সেই কারণেই ডাকা হয়েছে ডালিমকে।

    আরও পড়ুুন: রোজগার মেলায় ফের ৭১ হাজার নিয়োগপত্র বিলি করবেন প্রধানমন্ত্রী

    এদিকে, সুকন্যা (Sukanya Mondal) ইডির তলব এড়ানোয় তাঁকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, উনি বাবার সঙ্গে থাকতে চান, তাই এ সব করছেন। বুধবার উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের জনসভায় যোগ দিতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। বাগডোগরা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, আইন আইনের পথে চলবে। হাজিরা এড়ালে তদন্তকারী সংস্থা যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে। আমার মনে হচ্ছে, বাবার সঙ্গে এক সঙ্গে থাকতে চান। তাই এসব করছেন।

    প্রসঙ্গত, গত বছর অগাস্ট মাসে গ্রেফতার হন অনুব্রত। তার পরে পরেই মণ্ডল পরিবারের সম্পত্তি সংক্রান্ত খোঁজখবর নিতে সুকন্যাকে (Sukanya Mondal) দিল্লিতে ডেকে জেরা করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থার দাবি, মণ্ডল পরিবারের বিপুল সম্পত্তি সম্পর্কে সুকন্যার কাছে প্রশ্ন করা হলে তিনি সদুত্তর দেননি। তিনি জানিয়েছিলেন, ওই সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন তাঁরা বাবা ও হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Police: ধৃত কলকাতা পুলিশের সেই এসিপি-র কাছ থেকে মিলল আবাসন দফতরের একাধিক জাল নিয়োগপত্র

    Kolkata Police: ধৃত কলকাতা পুলিশের সেই এসিপি-র কাছ থেকে মিলল আবাসন দফতরের একাধিক জাল নিয়োগপত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারের জাল লাইসেন্স দেওয়ার অভিযোগ ছিল ধৃত কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অফ পুলিশ (এসিপি) সোমনাথ ভটাচার্যের বিরুদ্ধে। এবার তাঁর হেফাজত থেকে মিলল আবাসন দফতরে গ্রুপ সি পদে একাধিক জাল নিয়োগপত্র। যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তাদের। লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করার অভিযোগে ধৃত ওই পুলিশ অফিসারকে (Kolkata Police) জিজ্ঞাসাবাদ করে যে সব তথ্য পুলিশের হাতে এসেছে তা দেখে হতবাক বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারা।

    জাল নিয়োগপত্র উদ্ধার নিয়ে কী বললেন বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারা?

    এতদিন সোমনাথবাবু (Kolkata Police) পুলিশ হেফাজতে ছিলেন। বুধবারই তাঁকে ফের আদালতে তোলার কথা ছিল। কিন্তু, তাঁর আগে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। মঙ্গলবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে। এতদিন এই পুলিশ অফিসারের (Kolkata Police) বিরুদ্ধে বারের লাইসেন্স, কলকাতা পুরসভায় চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা তোলার অভিযোগ ছিল। বারের জাল লাইসেন্স তৈরি করার অভিযোগও পুলিশ পেয়েছে। তবে, আবাসন দফতরের বিষয়টি একেবারেই আড়ালে ছিল। পুলিশ অফিসারের (Kolkata Police) বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে এই জাল নথিগুলি পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। এই সব জাল নথি তৈরি করার পিছনেও টাকার লেনদেন হয়েছে। ফলে, আবাসন দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করেও তিনি অনেক টাকা তুলেছেন বলে কমিশনারেটের কর্তারা মনে করছেন। কাদের কাছে থেকে সেই টাকা তুলেছেন তা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। আর আবাসন দফতরের জাল নিয়োগপত্র কী করে তৈরি করলেন তা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ আধিকারিকরা জানার চেষ্টা করছে। তবে, এই সব কর্মকাণ্ডের পিছনে আরও অনেকে রয়েছে বলে পুলিশ কর্তাদের সন্দেহ। ইতিমধ্যেই সোমনাথবাবুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাগুইআটির একজনের নাম পুলিশ জানতে পেরেছে। এই সব লেনদেনে তার কী ভূমিকা ছিল তা পুলিশ জানার চেষ্টা করছে। আর আবাসন দফতরের কোনও আধিকারিক যুক্ত রয়েছে কি না তা পুলিশ যাচাই করছে। এমনিতেই ওই পুলিশ অফিসারের ফোনও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। তার কললিস্টে কাদের সঙ্গে নিয়মিত কথা হত তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, আবাসন দফতর ছাড়াও আর কোন কোন দফতরে জালিয়াতি করেছেন তা জানার চেষ্টা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ মিলে লোকসভায় দেড় লক্ষ বেশি ভোট পাব’, দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ মিলে লোকসভায় দেড় লক্ষ বেশি ভোট পাব’, দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ মিলে লোকসভায় দেড় লক্ষ বেশি ভোট পাব। বুধবার উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের জনসভায় এমনই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দু বলেন, রায়গঞ্জ কোনওদিন তৃণমূলের ছিল না, আগেও ছিল না, এবারও থাকবে না। এর পরেই তিনি বলেন, রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ মিলে লোকসভায় দেড় লক্ষ বেশি ভোট পাব। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, বিজেপি ১৮টি লোকসভা আসন জেতার পরে তৃণমূলের (TMC) দোকান বন্ধ হয়েছিল। আমি বেরনোর পরে তৃণমূলের দোকান খুলেছিল। এজন্য ক্ষমা চাইছি। সম্প্রতি জাতীয় দলের মর্যাদা খুইয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল।

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন…

    এদিনের জনসভায় শুভেন্দু বলেন, পয়লা বৈশাখের আগে বাংলায়ই সীমাবদ্ধ হয়ে গিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্র, তোষণের রাজনীতির তোপও দেগেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, পরিবারতন্ত্র, তোষণের রাজনীতি আর দুর্নীতিমুক্ত বাংলা গড়বে বিজেপি। এনআরসি নিয়ে তৃণমূল যে কেবল রাজনীতি করেছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তৃণমূলকে আক্রমণ শানিয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, এনআরসি নিয়ে আর ধাপ্পাবাজিতে যাবেন না। রামনবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে অশান্ত হয়ে উঠেছিল হাওড়ার কাজিপাড়া, শিবপুর, হুগলির রিষড়া। কোথাও শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের লক্ষ্য করে ছোড়া হয় বোমা। কোথাও আবার অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। রিষড়ায় রেললাইনে ব্যাপক বোমাবাজি করা হয়। যার জেরে রাতে ঘণ্টা তিনেক ওই রুটে বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল।

    আরও পড়ুুন: ‘অতিচালাকি বরদাস্ত করা যাবে না’, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে কুন্তলের চিঠি নিয়ে মন্তব্য বিচারপতির

    ওই ঘটনার পর রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেছিলেন, একটা বিশেষ সম্প্রদায়কে তৃণমূল কংগ্রেস ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাল করে জানেন এই সম্প্রদায়ের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন তিনি করতে পারেননি। তাই ২০২১ সালে এনআরসির মিথ্যে ভয় দেখিয়ে তাঁদের ব্যাপক ভোট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। এদিনের জনসভায় রামনবমীর শোভাযাত্রাকে ঘিরে অশান্তির প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দু বলেন, বাংলায় কেন এই অবস্থা? দায়ী কে? পরক্ষণেই তিনি বলেন, সাফ করতে হবে।

    গত বিধানসভা নির্বাচনে গণনাকেন্দ্রে ভোট লুঠ হয়েছে বলেও অভিযোগ শুভেন্দুর। তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, এখানে মনোনয়ন হয়েছিল আশি ভাগ জায়গায়। গণনাকেন্দ্রে লুঠ হয়েছে। এই জেলায় জেলা পরিষদের ২৬টার মধ্যে আপনাদেরকে ২টো দেওয়া হয়েছে মাত্র। অথচ আপনারা জিতেছেন ৮-১০টায়। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, পদ্মফুলের বান্ডিলকে জোড়াফুল দেখিয়ে এই জেলার গণতন্ত্র ধ্বংস করেছেন আগের জেলাশাসক আয়েশা রানি। আর এখন তৃণমূলকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন এই জেলার জেলাশাসক অরবিন্দ মিনা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Halisahar: পদত্যাগ করলেন চিটফান্ডকাণ্ডে অভিযুক্ত রাজু সাহানি! হালিশহর পুরসভার নতুন চেয়ারম্যান কে?

    Halisahar: পদত্যাগ করলেন চিটফান্ডকাণ্ডে অভিযুক্ত রাজু সাহানি! হালিশহর পুরসভার নতুন চেয়ারম্যান কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ হালিশহর (Halisahar) পুরসভার চেয়ারম্যান থাকাকালীন রাজু সাহানির বাড়িতে সিবিআই হানা হয়। বাড়ির ভিতর থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়। বিদেশে অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া যায়। আর একটি চিটফান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ফলে, তৃণমূলের পুরসভার চেয়ারম্যান চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ায় শাসক দলের মুখ পুড়েছিল। জেলে থাকার সময় দলীয় নেতৃত্ব তাঁর সঙ্গে দুরত্ব তৈরি করতে শুরু করে। তবে, তাঁকে পদ থেকে সরানো হয়নি। এমনকী জামিনে মুক্ত হওয়ার পরও তাঁকে পুরসভার চেয়ারম্যান পদে দল বসতে দেয়নি। অবশেষে দলের নির্দেশ মেনে তিনি বুধবার পুরসভায় গিয়ে পদত্যাগ করেন।

    কে হলেন হালিশহর পুরসভার (Halisahar) নতুন চেয়ারম্যান?

    রাজু সাহানি জেলে যাওয়ার পর থেকে ভাইস চেয়ারম্যান শুভঙ্কর ঘোষ পুরসভা (Halisahar) পরিচালনা করছিলেন। দলের পক্ষ থেকে তাঁর ওপর আস্থা রাখা হয়। মূলত উপস্থিত সমস্ত কাউন্সিলারদের উপস্থিতিতে শুভঙ্কর ঘোষকে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। আর ভাইস চেয়ারম্যান করা হল হিমানিশ ভট্টাচার্যকে। তিনি বোর্ডের সিআইসি সদস্য ছিলেন।

    কী বললেন প্রাক্তন চেয়ারম্যান রাজু সাহানি?

    পদত্যাগ করার পর প্রাক্তন চেয়ারম্যান রাজু সাহানি বলেন, আমাকে পদ থেকে সরিয়ে দেয়নি। আমি নিজেই পদত্যাগ করেছি। দলের পক্ষ থেকে যা সিদ্ধান্ত নেবে তা মেনে নেব। আর কাউন্সিলার হিসেবে নতুন এই চেয়ারম্যানকে আমি সবরকমভাবে সহযোগিতা করব।

    কী বললেন তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব ?

    এদিন হালিশহর পুরসভায় তৃণমূলের বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস রায়, মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, বিধায়ক সুবোধ অধিকারীসহ জেলা নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি পুরসভার ২৩ জন কাউন্সিলারের মধ্যে অধিকাংশ বৈঠকে হাজির ছিলেন। সেখানেই চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যান নিয়ে আলোচনা হয়। নতুন চেয়ারম্যান করা প্রসঙ্গে বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস রায় বলেন, আমরা দলের পক্ষ থেকে চেয়ারম্যানকে সরাইনি। তিনি নিজে এসে পদত্যাগ করেছেন। তাই, নতুন চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যান ঠিক করা হয়েছে। পুরসভার নির্বাচিত অন্যান্য কাউন্সিলাররা মিলে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।

    কী বললেন হালিশহর (Halisahar) পুরসভার নতুন চেয়ারম্যান?

    চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পর শুভঙ্কর ঘোষ বলেন, দলের সিদ্ধান্ত মেনে গত ৬ মাস ধরে আমি পুরসভা চালাচ্ছিলাম। তবে, ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে সেই কাজ করছিলাম। এবার দল এই সন্মান দেওয়ায় আমি কৃতজ্ঞ। আমি আগের মতো নিষ্ঠার সঙ্গে পুরসভা এলাকার উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Ganguly: ‘অতিচালাকি বরদাস্ত করা যাবে না’, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে কুন্তলের চিঠি নিয়ে মন্তব্য বিচারপতির

    Justice Abhijit Ganguly: ‘অতিচালাকি বরদাস্ত করা যাবে না’, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে কুন্তলের চিঠি নিয়ে মন্তব্য বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এটা মারাত্মক প্রবণতা। তদন্তকারী আধিকারিকদের হুমকি দেওয়া ও তদন্তের গতি স্তব্ধ করার জন্য এসব করা হচ্ছে। ন্যায় বিচারের স্বার্থে এ সব বন্ধ করতে হবে। এই অতিচালাকি বরদাস্ত করা যাবে না। বুধবার কথাগুলি বললেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে (Recruitment Scam) পত্রবোমা ফাটিয়েছেন তৃণমূলের বহিষ্কৃত নেতা কুন্তল ঘোষ। দিন কয়েক ধরে আদালতে আসা-যাওয়ার পথে সংবাদ মাধ্যমের সামনে বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন তিনি। কুন্তলের দাবি, তাঁর মুখ দিয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নাম বলানোর জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি চিঠি দিয়ে আদালতকেও জানিয়েছেন বলে দাবি ওই প্রাক্তন তৃণমূল নেতার। সেই প্রসঙ্গেই এদিন ওই মন্তব্য করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) নির্দেশ…

    এদিন অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) জানান, বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতার অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপই করতে পারবে না পুলিশ। নিম্ন আদালতও এ বিষয়ে কিছু করতে পারবে না। তাঁর নির্দেশ, বুধবারের মধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা বিচারককে হাইকোর্টে পেশ করতে হবে কুন্তলের অভিযোগপত্র। তাছাড়া প্রেসিডেন্সি জেল সুপারের মাধ্যমে হেস্টিংস থানায় কুন্তলের যে অভিযোগপত্র গিয়েছে, সেটা খোদ কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে পেশ করতে হবে আদালতে। এদিনই দুপুর তিনটের মধ্যে তা পেশ করতে হবে।

    আরও পড়ুুন: রোজগার মেলায় ফের ৭১ হাজার নিয়োগপত্র বিলি করবেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় হুগলি জেলার প্রাক্তন তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষকে গ্রেফতার করে ইডি। বর্তমানে তিনি রয়েছেন জেল হেফাজতে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়ে কলকাতা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কুন্তল। এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করেছেন নিম্ন আদালতের বিচারকের কাছেও। সেই অভিযোগপত্র দেখতে চেয়েই এদিন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ইডি। এদিন এ ব্যাপারে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ইডির আইনজীবী। তদন্তকারীদের বিরুদ্ধে কুন্তল কী অভিযোগ এনেছেন, তা জানতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আদালতকে জানায়, প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারের মাধ্যমে হেস্টিংস থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন কুন্তল। তাই কুন্তলের সেই চিঠির বিষয়বস্তু জানতে চায় তারা।

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার হওয়া কুন্তল নানা সময় বিভিন্ন অভিযোগ করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, গোপাল দলপতির দ্বিতীয় স্ত্রী হৈমন্তীর বিরুদ্ধে। যদিও হৈমন্তী সংবাদ মাধ্যমে দাবি করেছিলেন তাঁর সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার কোনও যোগ নেই। একই দাবি করেছিলেন হৈমন্তীর স্বামী গোপাল দলপতিও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP Demonstration: ‘তীব্র গরমে পানীয় জলের জন্য হাহাকার’, আসানসোলে অগ্নিমিত্রার নেতৃত্বে বিক্ষোভে বিজেপির যুব মোর্চা

    BJP Demonstration: ‘তীব্র গরমে পানীয় জলের জন্য হাহাকার’, আসানসোলে অগ্নিমিত্রার নেতৃত্বে বিক্ষোভে বিজেপির যুব মোর্চা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তীব্র দাবদাহে রাজ্যজুড়ে মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। রাজ্যবাসী চাতক পাখির মতো অপেক্ষায়, কখন বৃষ্টি নামবে। ঠিক এরকমই একটা প্রতিকূল পরিস্থিতিতে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়ে গিয়েছে পানীয় জলের তীব্র সংকট। প্রচণ্ড গরমে একটু পানীয় জলের জন্য মাথা খুঁড়ে মরলেও তা মিলছে না। এমনই করুণ অবস্থা চলছে আসানসোলের বার্নপুরের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে। এলাকাবাসীর অভিযোগ এমনই। তাঁদের আরও অভিযোগ, এই সমস্যার কথা পুর কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানো হলেও তারা কর্ণপাত করছে না। ফলে প্রচণ্ড গরমে অশেষ দুর্ভোগের মধ্য দিয়েই তাঁদের দিন কাটাতে হচ্ছে। এরই প্রতিবাদে বুধবার বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি (BJP Demonstration)। 

    আন্দোলনে বিজেপি, নেতৃত্বে অগ্নিমিত্রা পল

    পানীয় জল সহ একাধিক দাবি নিয়ে বিজেপির যুব মোর্চার পক্ষ থেকে বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পলের নেতৃত্বে বুধবার ঘেরাও করা হল (BJP Demonstration) আসানসোল পৌর নিগমের ৭ নম্বর বরো অফিস। বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা মিছিল করে আসেন ৭ নম্বর বরো অফিসের সামনে। পুলিশ সেই সময় ব্যারিকেড তৈরি করে তাদের আটকানোর চেষ্টা করে। যদিও পুলিশের সেই ব্যারিকেড ভেঙে বরো অফিস চত্বরে ঢুকে পড়েন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। পুলিশের পক্ষ থেকে এমনই অভিযোগ করা হয়েছে।

    কী বললেন অগ্নিমিত্রা পল?

    এদিনের এই ঘেরাও কর্মসূচিতে আসানসোল দক্ষিণের বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পল বলেন, বার্নপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় পানীয় জলের সংকট রয়েছে। ওই সমস্যা মেটাচ্ছে না পৌরসভা। পাশাপাশি এদিন পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে বরো অফিসের সামনে চলে আসার ঘটনাটিও অস্বীকার করেন তিনি। তিনি বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি কখনও নিয়ম ভাঙে না। বিজেপি নেত্রী বলেন, মানুষ জল পাচ্ছে না। হাহাকার পড়ে গিয়েছে। বাড়ি থেকে কিলোমিটারের পর কিলোমিটার দূরে গিয়ে জল আনতে হচ্ছে। সারাদিনে একবার হয়ত জল আসে। অনেক সময় তাও আসে না। মানুষ কেন জল পাচ্ছে না, তার জবাব প্রশাসনকে দিতে হবে। প্রশাসনের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা চুরি করছেন, দুর্নীতি করছেন, জায়গায় জায়গায় কেন্দ্রীয় সরকারের জমি বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। আর সাধারণ মানুষ সামান্য জলটুকুও পাচ্ছে না। এসবের জবাব চাইতেই আমরা এসেছি (BJP Demonstration)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tribal People: দণ্ডিকাণ্ডে নির্যাতিতাদের গ্রামে গেলেন তৃণমূলের আদিবাসী সেলের রাজ্য সভাপতি, সরব বিজেপি

    Tribal People: দণ্ডিকাণ্ডে নির্যাতিতাদের গ্রামে গেলেন তৃণমূলের আদিবাসী সেলের রাজ্য সভাপতি, সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ দণ্ডিকাণ্ডে কার্যত ব্যাকফুটে তৃণমূল। পঞ্চায়েত ভোটের আগে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ যাতে মুখ ফিরিয়ে না নেয়, তারজন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে শাসক দল। বুধবার দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন ব্লকের গোফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাদ সনকইর এলাকার মিশনপাড়া গ্রামে দণ্ডি কাণ্ডের তিন আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গে দেখা করতে যান তৃণমূলের আদিবাসী (Tribal People) সেলের রাজ্য সভাপতি দেব টুডু। সঙ্গে ছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি তথা তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর ললিতা টিগ্গা, জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা সন্তোষ হাঁসদা, বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কল্পনা কিস্কু এবং তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের জেলা সভাপতি স্নেহলতা হেমব্রম। দণ্ডিকাণ্ডে নির্যাতিতা মহিলাদের বাড়িতে গিয়ে তাঁরা দেখা করেন।

    কী বললেন দণ্ডিকাণ্ডে নির্যাতিতা মহিলা?

    বিজেপি করার অপরাধে কয়েকদিন আগে তিন আদিবাসী (Tribal People) মহিলাকে বালুরঘাটে ডেকে দণ্ডিকাটার নিদান দিয়েছিলেন তত্কালীন মহিলা তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তী। আর বিষয়টি জানাজানি হতেই আদিবাসী (Tribal People) সমাজ কার্যত বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। তাঁরা নির্যাতিতাদের পাশে থাকার পাশাপাশি রাস্তায় নেমে আন্দোলন করে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ঘটনা জানাজানি হওয়ার একদিনের মধ্যেই প্রদীপ্তাকে পদ থেকে সরিয়ে স্নেহলতা হেমব্রম নামে এক আদিবাসী (Tribal People) মহিলাকে মহিলা তৃণমূলের জেলা সভানেত্রীর পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়। বুধবার দণ্ডিকাণ্ডে এক নির্যাতিতা বলেন, তৃণমূলের পক্ষ থেকে পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়ায় আমি খুশি। আর ওই নেত্রীকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ায় ভাল লাগছে।

    কী বললেন তৃণমূলের আদিবাসী (Tribal People) সেলের রাজ্য সভাপতি?

    দণ্ডিকাণ্ডের বিষয়টি জানাজানি হতেই জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব নির্যাতিতাদের বাড়িতে যান। অভিযুক্ত নেত্রীকে পদ থেকে সরিয়ে দেন। তাতেও আদিবাসী (Tribal People) সমাজের বরফ গলেনি। মঙ্গলবারও সংগঠনের পক্ষ থেকে আন্দোলন করা হয়। বিষয়টি টের পেয়ে এবার আদিবাসী (Tribal People) নেতাদের গ্রামে পাঠিয়ে মন জয়ের চেষ্টা করলেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। তৃণমূলের আদিবাসী (Tribal People) সেলের রাজ্য সভাপতি দেবু টুডু বলেন, আদিবাসী যে মহিলাদের সঙ্গে অন্যায় হয়েছিল, তাদের সঙ্গে দেখা করলাম। তাঁদের সবসময় পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছি। দোষীদের শাস্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অভিযুক্ত নেত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তৃণমূল সুপ্রিমো তাকে পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে। এখন বিজেপি ঘোলা জলে মাছ ধরতে চাইছে। এসব করে কোনও লাভ হবে না। আদিবাসীরা (Tribal People) সকলেই তৃণমূলের সঙ্গে রয়েছে।

    কী বলল বিজেপি নেতৃত্ব?

    ঘটনাটি জানাজানি হতেই বিজেপি নেতৃত্ব আন্দোলন শুরু করেন। জেলা জুড়ে প্রতিটি থানায় বিক্ষোভ দেখান। জেলা প্রশাসনিক অফিস ঘেরাও করে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার প্রতিবাদ সভা করেন। ফলে, বিজেপির লাগাতার আন্দোলনে তৃণমূল কোণঠাসা হয়ে পড়ে। বিজেপি-র জেলার সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, আদিবাসী (Tribal People) মহিলাদের সঙ্গে গুরুতর অন্যায়ের বিষয়টি ধামাচাপা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে তৃণমূল। এসব করে কোনও লাভ হবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Myanmar: মায়ানমারে নিরীহ মানুষের জমায়েতে বিমান হানা, নিহত শতাধিক, কাঠগড়ায় জুন্টা সরকার

    Myanmar: মায়ানমারে নিরীহ মানুষের জমায়েতে বিমান হানা, নিহত শতাধিক, কাঠগড়ায় জুন্টা সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মায়ানমারের (Myanmar) গ্রামে বিমানহানা জুন্টা সরকারের। মঙ্গলবারের ওই ঘটনায় শিশু ও নারী সহ নিহত হয়েছেন অন্ততঃ ১০০ জন। এদিন সকালে সাগাইং এলাকার কানবালু টাউনশিপের পাজিগাই এলাকায় জড়ো হয়েছিলেন শতাধিক মানুষ। বিরোধী আন্দোলনের স্থানীয় দফতরের উদ্বোধন উপলক্ষে জড়ো হয়েছিলেন তাঁরা। শ’ দেড়েক মানুষের ওই জমায়েতে প্রায় ৩০টি শিশু ছিল। ছিলেন বেশ কয়েকজন অন্তঃসত্ত্বাও। আচমকাই জুন্টা সরকারের যুদ্ধ বিমান থেকে শুরু হয় বোমা বর্ষণ। আর্ত চিৎকারে কেঁপে ওঠে এলাকা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ১০০ জনের। ঘটনায় নিহত হয়েছেন বিরোধী আন্দোলনের স্থানীয় নেতৃত্বও। বিমানবাহিনীর এই হামলার কথা স্বীকার করে নিয়েছে মায়ানমার সেনা।

    মায়ানমারে (Myanmar) হত্যালীলা…

    স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন সকাল আটটা নাগাদ অনুষ্ঠানের সময় আকাশে প্রথমে চক্কর দিয়ে যায় একটি হেলিকপ্টার (Myanmar)। আধঘণ্টা পরে জমায়েতের ওপর বোমা ফেলে যায় ফাইবার জেট। এলাকায় সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। তাই মৃতের সংখ্যা ঠিক কত, তা স্পষ্ট নয়। স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, প্রথমবার বোমাবর্ষণ পর্ব শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই ফের চক্কর দিতে দেখা যায় একটি হেলিকপ্টারকে। সেখান থেকেও গুলি বর্ষণ হয়। তাতেও অনেকের মৃত্যু হয়েছে। শিশু-মহিলা এবং অন্তঃসত্ত্বা মিলিয়ে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সেনা সরকারের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ওই এলাকায় পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের একটি কার্যালয় উদ্বোধনের অনুষ্ঠান চলছিল। সেখানেই হামলা করা হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: রোজগার মেলায় ফের ৭১ হাজার নিয়োগপত্র বিলি করবেন প্রধানমন্ত্রী

    মায়ানমারের (Myanmar) সেনার তরফে বলা হয়েছে, ওই এলাকায় আমরাই হামলা চালিয়েছি। এদিন ওই গ্রামে সকাল আটটা নাগাদ একটি পার্টি অফিস খোলার কথা ছিল। ওখানে কাজ করছে দেশের সরকার বিরোধী সংগঠন ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্মেন্ট। তাদের সশস্ত্র সংগঠন পিপলস ডিফেন্স ফোর্স এদিন একটি সভা করছিল। ওখানে অনেকেই সাধারণ মানুষের পোশাক পরে ছিল। জুন্টা সরকারের ওই বিমানহানার তীব্র নিন্দা করেছে রাষ্ট্রসংঘ। সাধারণ মানুষের ওপর এমন হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন রাষ্ট্রসংঘের প্রেসিডেন্ট অ্যান্টনিও গুতেরেস। ঘটনাটিকে নারকীয় বলে দেগে দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
     
LinkedIn
Share