Tag: bangla news

bangla news

  • Environment: লক্ষ্য পরিবেশ বাঁচানো, টানা ৫২ দিন হেঁটে দিল্লিতে রাষ্ট্রপতির দরবারে দুর্গাপুরের দম্পতি

    Environment: লক্ষ্য পরিবেশ বাঁচানো, টানা ৫২ দিন হেঁটে দিল্লিতে রাষ্ট্রপতির দরবারে দুর্গাপুরের দম্পতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদল মানুষ যখন পরিবেশ (Environment) ও প্রকৃতিকে ধ্বংস করার খেলায় মত্ত, ঠিক তখনই দুর্গাপুরের এক দম্পতি নজির সৃষ্টি করলেন। দেশ ও দশের জন্য তাঁদের উদ্বেগ এবং উৎকণ্ঠা দেখে অনেকেই মুগ্ধ। পরিবেশ রক্ষার আর্জি সরাসরি দেশের রাষ্ট্রপতির কাছে পৌঁছে দিতে তাঁদের উদ্যোগও প্রশংসনীয় বলে অনেকে মনে করছেন।

    কী উদ্যোগ নিলেন দুর্গাপুরের ওই দম্পতি?  

    দুর্গাপুর জবরপল্লির বাসিন্দা শ্রী পৃথ্বীরাজ সঞ্জয় চক্রবর্তী এবং তাঁর স্ত্রী শ্রীমতি রমা চক্রবর্তী বিগত ৫২ দিন ধরে পায়ে হেঁটে প্রায় ১৫০০ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করে দুর্গাপুর থেকে দিল্লি পৌঁছেছেন। রাষ্ট্রপতি শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে একবার দেখা করে তাঁদের আর্জি সরাসরি তাঁর কাছে পৌঁছে দেবেন, একমাত্র উদ্দেশ্য এটাই। যে মহৎ উদ্দেশে এতদূর পথ পায়ে হেঁটে তাঁরা রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছেছেন, তা হল, আমাদের এই ধরিত্রীকে (Environment) রক্ষা করা এবং তার জন্য কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করার অনুরোধ। 
    দুর্গাপুর থেকে তাঁরা যাত্রা শুরু করেছিলেন চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি। রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া চিঠিতেই তাঁরা জানিয়েছেন, টানা ৫২ দিনে অতিক্রম করেছেন ১৫০০ কিলোমিটার পথ। 

    রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে কী কী আর্জি তাঁরা জানালেন?

    ছোট্ট চিঠিতে খুবই সংক্ষেপে তাঁরা যেসব আর্জি জানিয়েছেন, সেগুলি হল: “সেভ রিভার গঙ্গা”, ভারতবর্ষের লাইফলাইন এবং পবিত্রতম নদী মা গঙ্গাকে বাঁচানো। পরিবেশকে (Environment) বাঁচাতে প্রতিটি বাড়িতে, স্কুলে, রাস্তার পাশে গাছ লাগানো। মাটিকে শুদ্ধ রাখার তাগিদে বজ্র্য পদার্থকে প্রকৃত ব্যবস্থাপনা করা। বৃষ্টির জল ধরে রেখে তার সঠিক ব্যাবহারের অভ্যাস বাড়ানো। সৌরবিদ্যুৎ চালিত আলো রাস্তায় এবং ঘরে ব্যাবহারের অভ্যাস বাড়ানো। মহিলা স্বশক্তিকরণের উদ্দেশে আরও বেশি করে পদক্ষেপ গ্রহণ করা। থ্যালাসেমিয়া মুক্ত সমাজ গড়ার উদ্দেশে পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং যে কোনও কৃষকের মৃত্যু হলে তাঁর হাসপাতালের বিল মুকুব করা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Karnataka Election: রোজগার মেলায় ফের ৭১ হাজার নিয়োগপত্র বিলি করবেন প্রধানমন্ত্রী

    Karnataka Election: রোজগার মেলায় ফের ৭১ হাজার নিয়োগপত্র বিলি করবেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোজগার মেলায় (Karnataka Election) প্রায় ৭১ হাজার জনকে নিয়োগপত্র দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ১৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চাকরি প্রাপকদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেবেন তিনি। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর অফিসের তরফে এ খবর জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে বিভিন্ন পদে ওই দিন নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হবে। দেশের যুবক-যুবতীদের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র এর আগেও তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এবারও তা দেবেন। শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের ব্যাপারে বরাবরই জোর দিয়ে এসেছেন মোদি। তাঁদের উৎসাহিত করতেই রোজগার মেলার আয়োজন।

    দোরগোড়ায় কর্নাটক নির্বাচন (Karnataka Election)…

    প্রধানমন্ত্রীর অফিসের তরফে (Karnataka Election) জানানো হয়েছে, এই যে ৭১ হাজার চাকরি পাচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছে ট্রেন ম্যানেজার, স্টেশন ম্যানেজার, সিনিয়র কমার্শিয়াল কাম টিকিট ক্লার্ক, ইনস্পেক্টর, সাব ইনস্পেক্টর, কনস্টেবল, স্টেনোগ্রাফার, জুনিয়র অ্যাকাউন্টট্যান্ট, পোস্টাল অ্যাসিস্ট্যান্ট, ইনকাম ট্যাক্স ইনস্পেক্টর, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়র, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর, টিচার, লাইব্রেরিয়ান, নার্স, প্রবেশনারি অফিসার, পার্সোনেল অ্যাস্টিস্ট্যান্ট। এছাড়াও বিভিন্ন পদে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, এদিন তাঁদের হাতেই নিয়োগপত্র তুলে দেবেন মোদি। কর্মযোগী প্রারম্ভের মাধ্যমে এঁদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে।

    আরও পড়ুুন: ফের অশান্ত পাঞ্জাব! ভোর রাতে ভাটিন্ডার সেনা ছাউনিতে পরপর গুলি, নিহত ৪ জওয়ান

    ১০ মে কর্নাটক বিধানসভার নির্বাচন। এ বছরই হবে ছত্তিসগড়, মিজোরাম, তেলঙ্গানা, মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। আগমী বছর হবে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে কর্মসংস্থানে আরও জোর দিল মোদি সরকার। দিল্লির কুর্সিতে (Karnataka Election) এলে বছরে দু কোটি চাকরির ব্যবস্থা করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মোদি। তবে ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর মোদি সরকার সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে নানা সময় সরব হয়েছে কংগ্রেস, তৃণমূল সহ বিজেপি বিরোধী একাধিক দল।

    বিরোধীদের মুখের মতো জবাব দিতে রোজগার মেলার আয়োজন করছে মোদি সরকার। এর আগে অক্টোবর মাসে ৭৫ হাজার চাকরি প্রাপকের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। নভেম্বর মাসে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছিলেন আরও ৭১ হাজার জনের হাতে। তার পর চার মাস যেতে না যেতেই ফের ১৩ এপ্রিল ৭১ হাজার জনের হাতে তুলে দেওয়া হবে চাকরির নিয়োগপত্র।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ECL: ইসিএলের রাস্তা দখল করে পাঁচিল তুলল তৃণমূল কাউন্সিলার! ভাঙলেন এলাকাবাসী, কেন?

    ECL: ইসিএলের রাস্তা দখল করে পাঁচিল তুলল তৃণমূল কাউন্সিলার! ভাঙলেন এলাকাবাসী, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বাজারে যাওয়ার রাস্তা। সকলেই ইসিএলের (ECL) জমি হিসেবেই জানেন। বাজারে যাওয়ার জন্য এই রাস্তা এলাকার মানুষ ব্যবহার করেন। এবার সেই রাস্তা দখল করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার কুলটি ডিসেরগড়ের সাঁকতোড়িয়া বাজার এলাকায়। আর রাস্তা দখল করে আসানসোল পুরসভার ১০৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অঞ্জন মণ্ডল রাতারাতি পাঁচিল দিয়েছেন বলে অভিযোগ। যা নিয়ে এলাকায় শোড়গোল পড়ে গিয়েছে।

    রাস্তা ঘিরে পাঁচিল তৈরি করায় কী করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    সাঁকতোড়িয়া বাজারের ছোট-বড় প্রায় শ’খানেক দোকান রয়েছে। এই বাজারে আসতে এলাকার বাসিন্দারা ইসিএলের (ECL) রাস্তা ব্যবহার করেন। সেই রাস্তা দখল করে পাঁচিল দেওয়ার বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকাবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়েন। সকলেই জোটবদ্ধ হয়ে পাঁচিল ভেঙে দেন। কাউন্সিলারের লোকজন এসে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু, কোনও লাভ হয়নি। পরে, পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেন।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সাঁকতোড়িয়া বাজার প্রায় একশো বছরের পুরানো। এই বাজারের জমির মালিক ইসিএল (ECL)। সকলেই এই জমি রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করেন। সেই জমি কী করে কাউন্সিলার দখল করে নেয়। কারণ, এটা সম্পূর্ণ বেআইনি। নিজের ক্ষমতাকে ব্যবহার করে ওরা এসব করেছে। ভুয়ো কাগজপত্র দেখিয়ে বলছে, ইসিএলের (ECL) জমির মালিক এখন কাউন্সিলর। আমরা তা মেনে নিইনি। এদিন আমরা সকলেই এসে রাস্তার উপর তৈরি হওয়া পাঁচিল ভেঙে দিয়েছি। পুলিশ প্রশাসন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেছে। ঘটনার পর পরই স্থানীয় তৃণমূল নেতা চন্দন আচার্য ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, এটা তো রাস্তা। সেই রাস্তা দখল করে পাঁচিল তোলা চলবে না। আমরা মেনে নেব না। তাই, এলাকার মানুষ বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। আমরা তাঁদের সঙ্গে রয়েছি।

    কী বললেন অভিযুক্ত কাউন্সিলার?

    দলের নেতাই কাউন্সিলারের এই অপকর্ম নিয়ে সরব হয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। পাঁচিল ভাঙা প্রসঙ্গে কাউন্সিলার অঞ্জন মণ্ডল বলেন, কাউন্সিলর হয়ে আমি কোনও বেআইনি কাজ করিনি। আমি আমার জমিতে পাঁচিল দিয়েছি। সেটা ওরা ভেঙে দিয়েছে। সকলের নামে আদালতে মামলা করব।

    রাস্তা দখল করা নিয়ে কী বললেন বিজেপি নেতা?

    এই বিষয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতা অভিজিৎ আচার্য বলেন, এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলার জমি দখল করছে, দলেরই আরেক নেতা এই অভিযোগ করছেন। এতে বোঝাই যাচ্ছে তৃণমূল নেতাদের পরিস্থিতি। সব জায়গাতেই তারা দুর্নীতিতে লিপ্ত। ইসিএলের (ECL) জমিও ওরা নিজের বলছে। এর আগে ইসিএলের বহু জমি ওই তৃণমূল নেতা বিক্রি করে দিয়েছে। এবারও সেই চেষ্টা করেছিল। এলাকার মানুষের বাধাতে আর সেটা করতে পারেনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Buxa Tiger Reserve: বক্সার জঙ্গলে দাপিয়ে বেড়াবে ৩০ টি হাইস্পিড মোটরবাইক, কেন এই সিদ্ধান্ত?

    Buxa Tiger Reserve: বক্সার জঙ্গলে দাপিয়ে বেড়াবে ৩০ টি হাইস্পিড মোটরবাইক, কেন এই সিদ্ধান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকালয়ে আসা হাতিদের তাড়ানোর বিষয়টি তো আছেই। এমনকী বক্সার জঙ্গলে (Buxa Tiger Reserve) কাঠের চোরাশিকারিদের হদিশ পেলেই ছুটে যাবে হাইস্পিড মোটরবাইক। রাজ্যের বন দফতর বক্সার (Buxa Tiger Reserve) ৭৬০ বর্গকিলোমিটার বনাঞ্চলে নজরদারির জন্য সম্প্রতি ৩০ টি হাইস্পিড মোটরবাইক পাঠিয়েছে। দক্ষ বনকর্মীদের ওইসব মোটরবাইকে বিভিন্ন অপারেশনের কাজে পাঠানো হবে বলে বন দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে। 

    পরিকাঠামোর অভাবে লেজেগোবরে অবস্থা

    পর্যাপ্ত কর্মীর অভাবে বক্সায় (Buxa Tiger Reserve) এমনিতেই বন দফতরের নজরদারির একটা অভাব ছিল। পাশাপাশি আধুনিক অস্ত্র, এমনকী বনকর্মীদের যাতায়াতের জন্য আধুনিক যানবাহনও ছিল না। বন দফতরের নিজস্ব মাত্র তিনটি গাড়ি ও ১৬ টি ভাড়ার গাড়ি দিয়েই কাজ চলত। একদিকে চোরাশিকারি এবং কাঠপাচারচক্রের সঙ্গে বনকর্মীদের চোর-পুলিশ খেলা তো চলতই, উটকো ঝামেলা হয়ে গিয়েছিল চাবাগান এবং বনবস্তি এলাকায় হাতি সহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণীদের তাণ্ডবের ঘটনা। সব মিলিয়ে মূলত যানবাহনের অভাবেই কর্মীদের লেজেগোবরে অবস্থা হত। অনেক সময়ই দেখা যায়, এলাকায় হাতি ঢুকে পড়েছে। অথচ বন দফতরে ফোন করা হলেও গাড়ি না থাকায় তারা আসতে পারছেন না। ফলে হাতি তাণ্ডব চালিয়ে, ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে দিয়ে চলে যায়। পরে যখন বন দফতরের কর্মীরা যান, তাঁদের ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। এখন সেই সমস্যা কমবে বলেই অনেকে আশাবাদী। 

    কী বলছেন বন দফতরের কর্তারা

    তবে সম্প্রতি হাইস্পিড মোটরবাইক বন দফতরের হাতে চলে আসায় চোরাশিকার, কাঠপাচার এবং হাতির মতো বন্যপ্রাণীদের তাড়ানোর কাজ অনেকটাই সহজ হবে বলে মনে করছেন বন দফতরের কর্তারা। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের এফডি অপূর্ব সেন বলেন, ৩০ টি মোটর বাইক খুব শীঘ্রই বিভিন্ন বিট অফিসে (Buxa Tiger Reserve) পৌঁছে দেওয়া হবে। সেখান থেকেই বনকর্মীরা ওইসব বাইক বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত চালাতে পারবে ইডি, ‘সুপ্রিম’ রায়ে বিপাকে অভিষেক ঘনিষ্ঠ আইনজীবী

    Supreme Court: সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত চালাতে পারবে ইডি, ‘সুপ্রিম’ রায়ে বিপাকে অভিষেক ঘনিষ্ঠ আইনজীবী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিটফান্ড মামলায় নাম জড়িয়েছিল রাজ্য সরকারের আইনজীবী সঞ্জয় বসুর। কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) রক্ষাকবচ দিয়েছিল তাঁকে। মঙ্গলবার হাইকোর্টের দেওয়া সেই রক্ষাকবচ খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। হাইকোর্ট এও জানিয়েছিল, সঞ্জয়কে জেরা করা যাবে না। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ইডি (ED)। এদিন সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্য সরকারের আইনজীবী সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবেন ইডির আধিকারিকরা। প্রয়োজনে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করা যাবে। তবে বারংবার ডেকে পাঠিয়ে জেরা করা যাবে না তাঁকে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ভি রামসুব্রহ্মণ্যম ও বিচারপতি পঙ্কজ মিত্তলের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, ইডির তদন্তে সঞ্জয়কে কোনওরকম হেনস্থা করা যাবে না। তাঁর ঠিকানায় তল্লাশিও চালানো যাবে না। করা যাবে না বাজেয়াপ্তও।

    সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ইডি…

    পিনকন ও টাওয়ার গোষ্ঠী নামের ভুয়ো দুই অর্থলগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে ইডি তল্লাশি চালিয়েছিল সঞ্জয়ের বাড়িতে। সঞ্জয় তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। তদন্তকারীরা দীর্ঘক্ষণ জেরাও করেছিলেন তাঁকে। ইডির তল্লাশির পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, সঞ্জয় তাঁর ও রাজ্যের আইনজীবী বলেই তাঁর বাড়িতে তল্লাশি হয়েছে। গ্রেফতারির আশঙ্কায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সঞ্জয়। হাইকোর্ট সঞ্জয়কে রক্ষাকবচ দেয়। তার পরেই সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) যায় ইডি।

    আরও পড়ুুন: আজ লাভপুরে সভা! ‘কাক কখনও ময়ূর হতে পারে না…’ তৃণমূলকে কটাক্ষ সুকান্তর

    ইডির তরফে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এস ভি রাজু বলেন, গ্রেফতারের প্রয়োজন নেই। ইডি হেনস্থা করবে না। ইডির প্রধান অভিযোগ ছিল, ওই দুই ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থা থেকে টাকা নিয়েছিলেন সঞ্জয়। এদিন সঞ্জয়ের তরফে আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, এই অর্থ পেশাদার ফি হিসেবে নেওয়া হয়েছিল। পরিষেবা না দেওয়ায় তা ফেরতও দেওয়া হয়েছিল। প্রসঙ্গত, ওই দুই ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থার একাধিক মামলায় আইনজীবী ছিলেন সঞ্জয়। সেই সূত্র ধরেই ইডির স্ক্যানারে চলে আসেন অভিষেক ঘনিষ্ঠ এই আইনজীবী। ১ মার্চ তাঁর বাড়ি গিয়ে দিনভর বসিয়ে জেরা করেন ইডির আধিকারিকরা। প্রায় ২৩ ঘণ্টা তল্লাশি চালানো হয় তাঁর বাড়িতে। তারপর ফের ১০ মার্চ সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে (Supreme Court) তলব করা হয়েছিল সঞ্জয়কে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: দুর্গাপুর পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরব সুকান্ত! মলয় ঘটককে নিয়ে কী বললেন?

    Sukanta Majumdar: দুর্গাপুর পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরব সুকান্ত! মলয় ঘটককে নিয়ে কী বললেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুর পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরব হলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। পুরসভায় নির্বাচনের দাবিতে মঙ্গলবার বিকেলে দুর্গাপুর শহরে মিছিল করে বিজেপি। পরে, পথসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, “ছয়মাস পার হয়ে গেলেও দুর্গাপুর পুরসভায় নির্বাচন হয়নি। এক কাউন্সিলরের পদ চলে যাওয়ার পর সে নিজে গিয়ে পুরসভায় চাকরি নিয়েছেন।” দুর্গাপুর পুরসভায় চাকরিতে নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। পুরসভা থেকে ভ্যাকসিন চুরি নিয়ে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “কুকুরের ভ্যাকসিন চুরি করে খাচ্ছে চোরেরা। রাস্তায় তৃণমূল নেতারা ঘুরলে আর কুকুরে কামড়ে দিলে কুকুরের কোনও দোষ থাকবে না। তৃণমূল নেতাদের দোষ থাকবে। আসলে এরা জানে আজ না হয় কাল কুকুর কামড়াবে, তাই আগে থেকেই ভ্যাকসিন লুকিয়ে রাখছে।”

    মন্ত্রী মলয় ঘটককে নিয়ে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    দলীয় সভা থেকে তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, কয়লা পাচার কাণ্ডে সিবিআইয়ের খাতায় ইতিমধ্যেই মলয় ঘটকের নাম উঠে গিয়েছে। “কয়লা ঘটক নামে এই জেলাকে এখন চেনা হয়। সিবিআইয়ের ডাক পেয়েছে, ঘটক বলছে যাব না। দিল্লিতে আজ না হয় কাল কয়লা ঘটককে যেতেই হবে।”

    রাজু ঝা-কে নিয়ে কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)?

    ইতিমধ্যেই রাজু ঝা-কে খুন করার ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। কীভাবে তাঁকে দুষ্কৃতীরা পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে খুন করেছে তা ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে। সেই ভিডিও পুলিশের হাতে এসেছে, তারপরও দুষ্কৃতীরা অধরা। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “বড় মাথার হাত আছে। রাজু ঝায়ের হাতে থাকা তথ্য সিবিআইয়ের কাছে গেলে অনেক রাঘব বোয়াল ধরা পড়ত। আন্দাজ করছি, ঘটনায় বড়সড় চক্রান্ত আছে।”

    তৃণমূলের জাতীয় দল হারানো প্রসঙ্গে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    এদিন তিনি তৃণমূলের জাতীয়দলের তকমা হারানো প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “কাক পেখম লাগালেই ময়ূর হয় না। তৃণমূল জাতীয় দল হলে, কাঁঠালের আমসত্ত্ব হবে। সোনার পাথরবাটি হবে। তৃণমূল কখনই জাতীয় দল ছিল না, জাতীয় দল সেজে ছিল। কাঁঠালের আমসত্ব হবে না। সোনার পাথর বাটি সম্ভব নয়। তৃণমূল জাতীয় দল হবে না।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Police Officer: সরিয়ে দেওয়া হল ইসলামপুরের পুলিশ সুপারকে! হাওড়ার দুটি থানার আইসি-কে বদল, কেন?

    Police Officer: সরিয়ে দেওয়া হল ইসলামপুরের পুলিশ সুপারকে! হাওড়ার দুটি থানার আইসি-কে বদল, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বার বার উত্তপ্ত হয়ে উঠছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর মহকুমা। আইন শৃঙ্খলা ফেরাতে পুলিশের কালঘাম ছুটছে। তারই জেরে কি ইসলামপুর জেলার পুলিশ সুপার (Police Officer) বিশপ সরকারকে বদল করে বিধাননগর কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার যশপ্রীত সিং- কে আনা হয়েছে, নাকি এর পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক কোনও কারণ? তা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে জেলা জুড়ে। পাশাপাশি রামনবমীর মিছিল এবং হামলার ঘটনা নিয়ে সরগরম হয়ে উঠেছিল রাজ্য–রাজনীতি। আর তা নিয়ে হাওড়ার একাধিক এলাকায় অশান্তি ছড়ানোর ঘটনা ঘটেছিল। তার পরই এবার হাওড়া ও শিবপুর থানার আইসি-কে সরিয়ে দেওয়া হল। সোমবার রাতে হাওড়ার এই দুই থানা এলাকাতেই পুলিশে রদবদল করল রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে, হাওড়া থানার আইসি (Police Officer) দীপঙ্কর দাসকে পাঠানো হয়েছে ঝাড়গ্রামের কোর্ট ইনসপেক্টর করে। আর চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের আইবি থেকে সন্দীপ পাখিরাকে এনে হাওড়া থানার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ঝাড়গ্রাম থেকে শিবপুর থানার দায়িত্বে আনা হয়েছে অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে। শিবপুরের দায়িত্বে ছিলেন অনুপ কুমার রায়। তাঁকে রাজ্য পুলিশের আইবিতে পাঠানো হয়েছে বলে খবর।

    আইনশৃঙ্খলার অবনতির জন্যই কী ইসলামপুরের এসপি (Police Officer) বদল?

    সোমবার বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে জখম হন এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে ইসলামপুর থানার আগডিমটি খুন্তি গ্রাম পঞ্চায়েতের বানিয়াভিটা গ্রামে। ঘটনাস্থল থেকে ১২ টি তাজা বোমা ও বোমা বানানোর সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে ইসলামপুর থানার পুলিশ। গত ৩০শে মার্চ দলের প্রার্থী বাছাইকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় দুইজনের। ঘটনাটি ঘটে চোপড়া থানার চুটিয়াখোর গ্রাম পঞ্চায়েতের দীঘাবানা এলাকায়। ১০ ই মার্চ চোপড়ায় গুলিবিদ্ধ হন চোপড়া ব্লকের ঘিরনিগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের যুগ্ম অঞ্চল সভাপতি। ৮ই মার্চ বাড়িতে ঢুকে দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া বোমার আঘাতে সিভিক ভলান্টিয়ারের মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় ইসলামপুরের দক্ষিন মাটিকুন্ডা গ্রামে। মৃতের নাম সাকিব আখতার। অভিযোগ ওঠে ইসলামপুর ব্লকের মাটিকুন্ডা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে। ঘটনায় প্রধান সহ ১২ জন গ্রেফতার হয়। তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই এই ঘটনা বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী প্রকাশ্যে পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। এমনকী তাঁর দল বদল নিয়ে জেলা জুড়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ফোন করে কথাও বলেছিলেন। আর তারপরই পুলিশ সুপার (Police Officer) বদল নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে।

    হাওড়া–শিবপুরে আইসি (Police Officer) বদলের কারণ কী?‌

    এই দুই জায়গায় রামনবমীর মিছিলে যে অশান্তি হয়েছিল তার জন্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘‌যখন প্রচুর লোক ঢুকে গিয়েছে, তখন পুলিশ গুলি চালালে যে কারও মাথায় লাগতে পারত। ফলে কিল খেয়ে কিল হজম করতে হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় আমরা আটকাতে পেরেছি। এখানে হল না। এই জায়গায় অবশ্যই পুলিশের ব্যর্থতা আছে, স্বীকার করছি। যা পদক্ষেপ করার করব।’‌ এবার পদক্ষেপ করা হল হাওড়া–শিবপুরের ক্ষেত্রে। তবে রিষড়ার ক্ষেত্রে পৃথক সার্কেল তৈরি করা হয়েছে। রিষড়া থানাকে কেন্দ্র করে ওই সার্কেলের দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রবীর দত্তকে। আগে তিনি রিষড়া থানার ওসি ছিলেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tribal Movement: দণ্ডি-কাটা ইস্যুতে আদিবাসীদের আটটি সংগঠনের যৌথমঞ্চের বিক্ষোভ-মিছিল

    Tribal Movement: দণ্ডি-কাটা ইস্যুতে আদিবাসীদের আটটি সংগঠনের যৌথমঞ্চের বিক্ষোভ-মিছিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদিবাসী মহিলাদের দণ্ডি কেটে তৃণমূলে যোগদানের ঘটনায় মঙ্গলবার আদিবাসীদের আটটি সংগঠনের যৌথমঞ্চের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ-মিছিল (Tribal Movement) করা হল। আদিবাসী যৌথমঞ্চের পক্ষ থেকে এদিন বিকেলে বালুরঘাট হাইস্কুল ময়দান থেকে ওই মিছিল বের করা হয়। এই মিছিল পরিক্রমা করে সারা শহর। পরে জেলাশাসকের দফতরের সামনে সংগঠনের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। 

    ন্যক্কারজনক ঘটনা আদিবাসী সমাজ মেনে নেবে না, ঘোষণা সংগঠনের

    সংগঠনের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়, এই ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা আদিবাসী সমাজ মেনে নেবে না। তারই প্রতিবাদে এদিন জেলাশাসকের দফতরের সামনে বিক্ষোভ (Tribal Movement) দেখানো হচ্ছে। তাদের দাবি, পুলিশের খাতায় যেভাবে অজ্ঞাত দুষ্কৃতী লেখা হয়েছে, তা অন্যায়। কারণ, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে প্রধান সংবাদমাধ্যম, সব জায়গাতেই এটা পরিষ্কার দেখানো হয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কে। এমনকী তৃণমূল দল মেনে নিয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে প্রদীপ্তা চক্রবর্তী যুক্ত আছেন এবং সেই কারণেই তাকে দলের সমস্ত দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপরেও পুলিশ কেন বিষয়টি বুঝতে পারছে না, তা অজানা।

    বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

    আগামী দিনে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের (Tribal Movement) হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে। পাশাপাশি এই বিষয়টি নিয়ে পুলিশ-প্রশাসন আইনি প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে বলে জানান জেলার পুলিশ সুপার রাহুল দে। সংগঠনের পক্ষ থেকে বিক্ষোভকারীরা বালুরঘাট থানার সামনে এসে প্রায় এক ঘন্টা পথ অবরোধ করেন। এরপর আদিবাসী যৌথমঞ্চের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধিদল জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে। অবিলম্বে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানানো হয়। এদিন পুলিশ-প্রশাসনের পক্ষ থেকে তপন ব্লকের গোফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাতশংকর এলাকার পুলিশ ক্যাম্প বসানো হয়েছে।

    উল্লেখ্য, দণ্ডি কাটিয়ে সংগঠনে যোগদানের ঘটনাকে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল সমর্থন করেনি। এমনকী সংগঠনের সমস্ত পদ থেকে প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে সরানো হয়েছে। রাজ্য পার্টির নির্দেশে জেলা মহিলা তৃণমূলের নতুন সভাপতি হিসাবে একজন আদিবাসী মহিলাকে তুলে এনেছে দল। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলার আদিবাসী সমাজের কাছে ভুল বার্তা যাতে না যায়, সেজন্যই এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে মনে করছে জেলার রাজনৈতিক মহল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Police: লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বারের জাল লাইসেন্স দিয়েছিলেন ধৃত কলকাতা পুলিশের এসিপি!

    Kolkata Police: লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বারের জাল লাইসেন্স দিয়েছিলেন ধৃত কলকাতা পুলিশের এসিপি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার হওয়ায় ধৃত সোমনাথ ভট্টাচার্যের কথা অনেকেই বিশ্বাস করতেন। নিজের পদকে ব্যবহার করেই বারের লাইসেন্স বা চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতেন। জানা গিয়েছে, সঞ্জয় বসু নামে উত্তরপাড়ার বাসিন্দা বারের লাইসেন্সের জন্য ৩০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। অন্য একজনের কাছে ৩৬ লক্ষ টাকা নিয়েছিল। সঞ্জয়বাবুকে বারের লাইসেন্সও পাইয়ে দিয়েছিলেন সোমনাথবাবু। আবগারি দফতরের স্ট্যাম্পসহ সব কিছুই ওই লাইসেন্সে ছিল। সঞ্জয়বাবু দোকান খোলার জন্য উদ্যোগও নিয়েছিলেন। পরে, আবগারি দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেই জানতে পারে, সমস্ত কাগজপত্র জাল। এরপরই তিনি বরাহনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অন্য একজনও প্রতারিত হয়ে পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, পুরসভার বিভিন্ন পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে বহু লোকজনের কাছে তিনি চার-পাঁচ লক্ষ টাকা করে তুলেছেন। সব মিলিয়ে তিনি প্রায় কোটি টাকার কাছাকাছি তুলেছিলেন বলেই পুলিশ জানতে পেরেছে। তবে, জাল নথি তিনি কী করে তৈরি করলেন তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত রয়েছে তা জানার চেষ্টা করছে।

    পুলিশ অফিসারের (kolkata Policeলক্ষ লক্ষ টাকা নেওয়ারও নিয়ম ছিল, কী সেটা জানেন?

    পুলিশের চোখে ধূলো দিতেই কারও কাছ থেকে চেক বা অ্যাকাউন্টে কোনও টাকা নিতেন না। সমস্ত টাকা নগদে নিতেন কলকাতার (Kolkata Police) এসিপি সোমনাথ ভট্টাচার্য। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বারাকপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দারা এই তথ্য জানতে পেরেছেন। মূলত বরাহনগরে বনহুগলির বাড়িতে বসেই সে এই কারবার চালাত। অফিসে কারও সামনে এসব বিষয়ে কথা পর্যন্ত বলত না। বাড়িতে বসেই এই সব বিষয়ে কথাবার্তা এবং লেনদেনও হত সেখানে। ইতিমধ্যেই তার বাড়িতে হানা দিয়ে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকা এবং বেশ কিছু কাগজপত্র পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। তবে, বাকি টাকার খোঁজে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে। আর ওই পুলিশ অফিসারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একসঙ্গে নগদ এত টাকা নিয়ে তিনি কোথায় রাখতেন তা পুলিশ আধিকারিকরা জানার চেষ্টা করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Scam: চাকরি দুর্নীতিতে নাম জড়াল তৃণমূল বিধায়ক অভিনেতা চিরঞ্জিতের! ঠিক কী অভিযোগ?

    Scam: চাকরি দুর্নীতিতে নাম জড়াল তৃণমূল বিধায়ক অভিনেতা চিরঞ্জিতের! ঠিক কী অভিযোগ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক : এবার চাকরি দুর্নীতিতে (Scam) নাম জড়াল তৃণমূলের তারকা বিধায়ক তথা অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। যোগ্য প্রার্থীকে বঞ্চিত করে বাঁকা পথে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে তৃণমূল বিধায়কের নিরাপত্তারক্ষীর মেয়েকে। অভিযোগ, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও চাকরি বিক্রির নামে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীর পরিবারকে। বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীর এই অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সদর বারাসতে। যদিও সমস্ত অভিযোগ তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী অস্বীকার করেছেন।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    ২০১৪-১৫ সালে গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি কর্মী নিয়োগের জন্য বারাসত পুরসভায় বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। নিয়ম মেনে তাতে আবেদন করেছিলেন বারাসতের উত্তর কাজিপাড়ার বাসিন্দা কাজী আজিজ হোসেন হায়দার। পুরসভা সূত্রে খবর, এই চাকরির জন্য সাতশো-র বেশি আবেদনপত্র জমা পড়েছিল। ২০১৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর পরীক্ষার দিনক্ষণও ধার্য করা হয়েছিল। লিখিত পরীক্ষার পর ইন্টারভিউও হয়। ইন্টারভিউয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন কাজী আজিজ হোসেন হায়দার। তাঁর দাবি, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত ওই প্রার্থীর কপালে জোটেনি পুরসভার স্থায়ী কর্মী পদের চাকরি। অভিযোগ, তাঁর পরিবর্তে চাকরি পেয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর নিরপত্তারক্ষীর মেয়ে পায়েল ইন্দু (মণ্ডল)। আর এই নিয়োগে দুর্নীতি (Scam) হয়েছে বলে বঞ্চিত প্রার্থীর দাবি। এরপরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, কীভাবে একজন যোগ্য প্রার্থীকে বঞ্চিত করে সেই চাকরি পাইয়ে দেওয়া হল তৃণমূল বিধায়কের নিরাপত্তারক্ষীর মেয়েকে! তাহলে কি কোথাও বিধায়কের প্রভাব কাজ করেছে এক্ষেত্রে? যোগ‍্যতার মাপকাঠি বিচার না করেই পুরসভার চেয়ারম্যান ঘুরপথে চাকরি দিয়েছেন।

    কী বললেন বঞ্চিত চাকরি প্রার্থী?

    বঞ্চিত চাকরি প্রার্থী কাজী আজিজ হোসেন হায়দার বলেন, “ওই নিয়োগ পরীক্ষায় মেরিট লিস্টে আমার নাম ছিল তিন নম্বরে। এরপর ইন্টারভিউয়ে সবকিছু ঠিকঠাক ভাবেই উত্তর দিয়েছিলাম। কিন্তু, পরে শুনলাম সেই চাকরি পেয়েছেন বিধায়কের নিরাপত্তারক্ষীর মেয়ে। আমার বিষয়টি দেখার জন্য চেয়ারম্যানের কাছে বার বার অনুরোধ করেছিলাম। যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও আমাকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি ।”

    কী বললেন পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বর্তমান কাউন্সিলর?

    বিতর্কিত এই নিয়োগের সময় বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন সুনীল মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এই অভিযোগ ঠিক নয়। সমস্ত নিয়োগ স্বচ্ছতার সঙ্গে হয়েছিল। আসলে যে অভিযোগ করছে তিনি ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন।

    নিয়োগ নিয়ে কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

    তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী বলেন, আমি কোনও দুর্নীতি (Scam) করিনি। আর কারও জন্য সুপারিশ করেছি বলে মনে নেই। আর এই ধরনের অভিযোগ করা হলে প্রমাণ দিতে হবে। আমার বিরুদ্ধে আঙুল তুললে হবে না। কারণ, আমি জানি এই ধরনের কোনও কাজ আমি করিনি। এই বিষয়ে আমি স্বচ্ছ রয়েছি।

    নিয়োগ নিয়ে কী বললেন পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান?

    পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায় বলেন, আমার কাছে এই ধরনের কোনও অভিযোগ হয়নি। এটুকু বলতে পারি, আগে বোর্ডে যা নিয়োগ হয়েছে কোথাও কোনও দুর্নীতি (Scam) হয়নি। স্বচ্ছতার সঙ্গে হয়েছে। আর নিয়োগ নিয়ে কোনও দুর্নীতির (Scam) অভিযোগ আসলে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share