Tag: bangla news

bangla news

  • JP Nadda: ‘‘২০২৫ সালেই ভারত থেকে যক্ষ্মাকে নির্মূল করা সম্ভব’’, লক্ষ্যপূরণে প্রত্যয়ী জেপি নাড্ডা

    JP Nadda: ‘‘২০২৫ সালেই ভারত থেকে যক্ষ্মাকে নির্মূল করা সম্ভব’’, লক্ষ্যপূরণে প্রত্যয়ী জেপি নাড্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরেই ভারতবর্ষ থেকে যক্ষ্মা নির্মূল করা হবে। এই ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী (Union Health Minister) জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। শুক্রবার, জেপি নাড্ডা হাজির ছিলেন নবম জাতীয় সম্মেলন সামিট অন গুড অ্যান্ড রেপ্লিকেবল প্র্যাকটিস অ্যান্ড ইনোভেশন-এ। সেখানেই তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, নির্ধারিত সময়সীমার পাঁচ বছর আগেই যক্ষ্মামুক্ত ভারত গড়া সম্ভব।

    যক্ষ্মামুক্ত ভারত ২০২৫ সালেই

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা বলেন, ‘‘Sustainable development goals-এর কর্মসূচি অনুযায়ী, ভারতবর্ষকে যক্ষ্মামুক্ত করার কথা ২০৩০ সালের মধ্যে। কিন্তু আমরা মনে করছি, সেই লক্ষ্যমাত্রা ২০২৫ সালের মধ্যেই আমরা পূরণ করে নেব।’’ জেপি নাড্ডা (JP Nadda) যদি নিজের বক্তব্যে সম্পূর্ণ তথ্য ও পরিসংখ্যান দিয়ে বলেন, ‘‘২০১৫ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ভারতবর্ষে ১৭.৭ শতাংশ টিবি বা যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা কমেছে। প্রসঙ্গত, এই সময়ের মধ্যে বিশ্বজুড়ে যক্ষ্মা রোগের সংখ্যা কমেছে ৮.৩ শতাংশ।’’ একথা জানিয়ে জেপি নাড্ডা বলেন, ‘‘পৃথিবীর যে গড় তার চেয়ে দ্বিগুণ হারে আমরা যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা কমাতে পেরেছি। একথা উল্লেখ্য, ২০১৪ সালেই ক্ষমতায় আসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকার। তারপর থেকেই এই উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। নিজের বক্তব্যে জেপি নাড্ডা আরও বলেন, ‘‘করোনা কালে সারা ভারত যখন লকডাউন আক্রান্ত ছিল, তখনও আমাদের যক্ষ্মা রোগীর নির্মূলের কর্মসূচি চলেছিল।’’

    ১০০ দিনে পাঁচ লাখেরও বেশি যক্ষ্মা রোগী চিহ্নিত

    নিজের বক্তব্যে জেপি নাড্ডা (JP Nadda) বলেন, ‘‘বিগত ১০০ দিনে আমরা এখনও পর্যন্ত পাঁচ লাখেরও বেশি যক্ষ্মা রোগীকে চিহ্নিত করেছি। তাঁদের যথাযোগ্য চিকিৎসা চলছে। এর পাশাপাশি যক্ষ্মা মুক্ত ভারতের প্রচার অভিযানও চলছে। ৪৫৫টি জেলাতে যক্ষ্মা মুক্ত ভারতের প্রচার অভিযান চলছে। আমরা ব্লক স্তর পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছি এবং সেখানেও টিবি মুক্ত ভারতের প্রচার অভিযান চলছে। ২০২৫ সালের মধ্যেই যক্ষ্মা মুক্ত ভারত নির্মাণে আমরা সংকল্পবদ্ধ।’’ প্রসঙ্গত, এই সম্মেলন দুদিন ধরেই চলবে এবং আয়োজন করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক। এই সম্মেলনে হাজির ছিলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাজি ও ওড়িশার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডক্টর মুকেশ মাহালিং। এর পাশাপাশি হাজির ছিলেন বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র যিনি পুরী লোকসভার সাংসদ।

    কমেছে ম্যালেরিয়াও

    এই সম্মেলনে বিভিন্ন গবেষকরা নিজেদের প্রদর্শনী দেখান এবং যক্ষ্মা মুক্ত ভারত নির্মাণ করতে তাঁরা কী কী উদ্যোগ নিয়েছেন, সেই সমস্ত নথিও তাঁরা দেখান। নিজের বক্তব্যে জেপি নাড্ডা (JP Nadda) তুলে ধরেন মোদি জমানায় ভারতবর্ষের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনগুলিকে। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিজের বক্তব্যে আরও তুলে ধরেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট। তিনি জানান যে বিশ্ব সংস্থা স্বাস্থ্য সংস্থা ২০২৪ সালে ম্যালেরিয়া সংক্রান্ত যে রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে সেখানেও ভারতবর্ষে উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখা গিয়েছে। এদেশে কমেছে ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা। মোদি জমানায় ২০১৪ সাল থেকে ভারত স্বাস্থ্যক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি লাভ করছে বলেও জানান কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন জাতীয় স্বাস্থ্য নীতি ২০১৭ সালের কথা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৭-র নীতি অনুযায়ী আমরা প্রিভেন্টিভ প্রোমোটিভ ও কম্প্রিহেনসিভ পদ্ধতিতে দেশের মানুষের স্বাস্থ্য উন্নত করার চেষ্টা করছি।

    আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দিরের কথাও উঠে আসে নাড্ডার বক্তব্যে

    জেপি নাড্ডা (JP Nadda) নিজের বক্তব্য বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার সর্বদাই দায়বদ্ধ হয়ে রয়েছে সারা দেশ জুড়ে সকলকে একটি ভালো স্বাস্থ্যপরিষেবা দেওয়ার জন্য।’’ এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দিরের কথা। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের এই প্রকল্পের মাধ্যমে কীভাবে দেশবাসীর প্রাথমিক স্বাস্থ্যের উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে, সে কথাও নিজের বক্তব্যে তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, ‘‘ভারতবর্ষে শিশু মৃত্যুর ঘটনা কমেছে মোদি জমানায়।’’ এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসে আশা কর্মীদের কথা এবং একেবারে নিচুস্তরে যাঁরা স্বাস্থ্য কর্মী আছেন তাঁদের কথা তুলে ধরেন তিনি। জেপি নাড্ডা বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতি রাজ ব্যবস্থার মাধ্যমে গ্রামীণ ভারতের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরও মজবুত করা হবে। যে রোগগুলি সংক্রামিত নয় সেগুলি সম্পর্কে বলতে গিয়ে জেপি নাড্ডা বলেন, ‘‘এক্ষেত্রে আমাদেরকে জীবনশৈলীর বদল করতে হবে।’’ এ প্রসঙ্গে জেপি নাড্ডা উল্লেখ করেন যে কীভাবে তাঁরা ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন ও তিন ধরনের ক্যান্সার এর মোকাবিলা করছেন। জেপি নাড্ডা আরও বলেন, ‘‘এদেশের প্রতিটি জেলাতে একটি করে ক্যান্সার সেন্টার গড়ে তোলা হবে আগামী তিন বছরের মধ্যে। আমরা লক্ষ্যমাত্রারে রেখেছি যে ২০০ জেলাকে এর আওতায় আনব।’’

  • Trump-Zelenskyy Meet: হল না খনিজ চুক্তি! ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠকে তুমুল বচসা, বাতিল যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন

    Trump-Zelenskyy Meet: হল না খনিজ চুক্তি! ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠকে তুমুল বচসা, বাতিল যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নজিরবিহীন! বিশ্ব রাজনীতির অলিন্দে কান পাতলে এমন ঘটনা খুব কমই শোনা যায়। রুদ্ধদ্বার বৈঠক বেরিয়ে এল ঘরের বাইরে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শুক্রবার হোয়াইট হাউসে বৈঠকে বসেছিলেন (Trump-Zelenskyy Meet)। কিন্তু মাঝপথে রেগেমেগে বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট। ফলে দু’জনের মধ্যে পূর্ব ঘোষণা মতো চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়। বাতিল হয় যৌথ সাংবাদিক বৈঠকও। এই ঘটনার জন্য ট্রাম্প এবং জেলেনস্কি পরস্পরকে দায়ী করেছেন।

    আপস করতে হবে ইউক্রেনকে

    ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই ইউক্রেন প্রেসিডেন্টকে আক্রমণ করছিলেন। বরফ গলে ইউক্রেনের (Trump-Zelenskyy Meet) খনিজ সম্পদের উপর মার্কিন নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরে জেলেনস্কি রাজি হওয়ার পর। শুক্রবার দুই প্রেসিডেন্ট বৈঠকে বসেন। সেই বৈঠকে একদিকে যেমন রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা নিয়ে কথা হয়েছে, তেমনই ইউক্রেন-আমেরিকার খনিজ চুক্তি নিয়েও আলোচনা হয়। ট্রাম্প জেলেনস্কিকে জানিয়েছেন, তিনি নিরপেক্ষ থেকে দুদেশের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে চান। রাশিয়া বা ইউক্রেন কারও দিকেই তিনি ঝুঁকে নেই। তবে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করতে হলে খানিকটা আপস করতে হবে ইউক্রেনকে। ট্রাম্পের বক্তব্য, ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে শান্তি ফেরানোর উদ্যোগে এগিয়ে আসতে হবে ন্যাটোকেও। ক্রমে বাক্যালাপ গড়ায় উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে।

    উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়

    ট্রাম্প রাশিয়া-ইউক্রেন (Trump-Zelenskyy Meet) যুদ্ধের জন্য জেলেনস্কিকে দায়ী করেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘আপনি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ চাপিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু জেনে যান এই যুদ্ধ আপনি হেরে গিয়েছেন। আপনার সৈন্য কমে গিয়েছে। অস্ত্র কমে গিয়েছে। আপনি কিছুতেই জিততে পারেন না। কারণ আমরা আপনার পাশে নেই। আপনার উচিত কৃতজ্ঞ থাকা। আমরা অনেক কিছুই দিয়েছি আপনাদের।’’ পাল্টা জবাব দেন জেলেনস্কি। তাঁর কথায়, ‘‘আমেরিকার ভুল নীতির জন্য পুতিনের মতো খুনি মান্যতা পেয়ে যাচ্ছে। রাশিয়াই ইউক্রেন আক্রমণ করেছে। যেখানে তাঁদের দেশে মানুষ মারা যাচ্ছেন, আগুনে জ্বলছে শহরগুলি, সেখানে আপসের কথা আসছে কোথা থেকে।’’ জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘‘কিন্তু আপনাদের তো এই মুহূর্তে কিছুই করার নেই।’’ ইউক্রেনকে বাস্তববাদী হওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি। শেষপর্যন্ত জেলেনস্কির সঙ্গে কথা কাটাকাটি হতে থাকে ট্রাম্পের। বর্ষীয়ান রিপাবলিকান নেতার স্পষ্ট দাবি, জেলেনস্কির জায়গায় তিনি থাকলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হতেই দিতেন না। এহেন পরিস্থিতিতে হোয়ইট হাউজ থেকে বেরিয়ে আসেন জেলেনস্কি। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ইউক্রেনের মানুষের জীবন নিয়ে জুয়া খেলছেন বলেও তোপ দাগেন ট্রাম্প। দেন একাই লড়ার হুঁশিয়ারি।

    কেন বাদানুবাদ

    ঠিক কী নিয়ে দু’জনের আলোচনা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে তা জানা যায়নি। কূটনৈতিক মহলের অনুমান, খনিজ চুক্তি নিয়ে শেষ মুহূর্তে ইউক্রেনের উপর কিছু শর্ত চাপাতে চান ট্রাম্প (Trump-Zelenskyy Meet)। তাতেই বেঁকে বসেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ড। অতীতে আমেরিকার জো বাইডেনের সরকার ইউক্রেনের পাশে ছিল। জেলেনস্কির দেশকে অর্থ ও অস্ত্র সহায়তা করেছে আমেরিকা। রাশিয়ার বিরুদ্ধে সেই সব অস্ত্র ব্যবহার করেছে ইউক্রেন। ট্রাম্প এসেই সেই সব সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছেন। মার্কিন সহায়তা চালু রাখতেই ট্রাম্পের চাপের কাছে নতিস্বীকার করে ইউক্রেনের খনিজ পদার্থ নিয়ে চুক্তি করতে এবং হোয়াইট হাউস সফরে রাজি হন জেলেনস্কি।

    ক্ষমা চাইবেন না জেলেনস্কি

    হোয়াইট হাউস (White House Meeting) সূত্রে খবর, ট্রাম্প কোনও চুক্তির সম্ভাবনাকে এখনও উড়িয়ে দিচ্ছেন না। তবে তাঁর শর্ত হল ইউক্রেনকে গঠনমূলক কথাবার্তা চালাতে হবে। অন্যথায় খনিজ চুক্তি হওয়া সম্ভব নয়। বল এখন ইউক্রেনের কোর্টে। ওভাল অফিসে (Oval Office) যা হয়েছে, তা যে দুই দেশের সম্পর্কের পক্ষে ভাল নয়, মেনে নিয়েছেন জেলেনস্কিও (Trump-Zelenskyy Meet)। তাঁর কথায়, ‘‘এই ধরনের বাদানুবাদ উভয় পক্ষের জন্যই খারাপ। ট্রাম্প যদি ইউক্রেনকে সাহায্য না-করেন, তবে রাশিয়ার আক্রমণ ঠেকানো আমাদের পক্ষে মুশকিল হয়ে দাঁড়াবে। তবে আমি নিশ্চিত, এই সম্পর্ক মেরামত করা সম্ভব। কারণ, এটা শুধু দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে সম্পর্কের বিষয় নয়। এটা দুই দেশের মধ্যেকার ঐতিহাসিক সম্পর্ক। আমি সবসময় আমাদের দেশের মানুষের পক্ষ থেকে আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। তবে এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চাওয়ার কোনও প্রশ্ন উঠছে না।’’

    জেলেনস্কির পাশে ইউরোপ

    এই বৈঠকের পর ইউরোপের একাধিক দেশের রাষ্ট্রনেতা মুখ খুলেছেন। তাঁরা জেলেনস্কি এবং ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। আমেরিকার সঙ্গে ইউরোপের যে সমস্ত দেশের বন্ধুত্ব রয়েছে, মূলত তাঁরাই জেলেনস্কিকে সমর্থন করেছেন। ট্রাম্প আমেরিকার কুর্সিতে বসার পর থেকে এই মিত্র দেশগুলি আতঙ্কিত। তাদের ধারণা, জেলেনস্কিকে চাপে রেখে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকেই জয়ী ঘোষণা করার পরিকল্পনা রয়েছে ট্রাম্পের। তাই একযোগে ইউরোপের রাষ্ট্রনেতারা মুখ খুলেছেন। জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ স্কলজ বলেন, ‘‘ইউক্রেনের মানুষ শান্তি চান।’’ ফান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁ বলেন, ‘‘রাশিয়া আগ্রাসী, ইউক্রেনের মানুষ সেই আগ্রাসনের শিকার। আমরা ইউক্রেনের পাশে রয়েছি।’’ ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বলেন, ‘‘ভেদাভেদ নয়, একজোট হতে হবে।’’

  • Daily Horoscope 01 March 2025: উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশযাত্রার সুযোগ আসতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 01 March 2025: উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশযাত্রার সুযোগ আসতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) মায়ের তরফ থেকে কষ্ট পেতে পারেন।

    ২) কাজের চাপ বাড়তে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) সম্পত্তির অধিকার নিয়ে বিবাদ হতে পারে।

    ২) কপালে অপমান জুটতে পারে।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    মিথুন

    ১) অধিক খরচের জন্য চিন্তা বাড়বে।

    ২) প্রেমের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হতে পারে।

    ৩) সখপূরণ হবে।

    কর্কট

    ১) শেয়ারে লগ্নি নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ২) পেটের কষ্ট বাড়তে পারে।

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না।

    সিংহ

    ১) সকাল থেকে শরীরে জড়তা বাড়তে পারে।

    ২) মাথার যন্ত্রণা বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কন্যা

    ১) প্রেমের ব্যাপারে মনঃকষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) বাড়তি আয় করতে গিয়ে বিপদ ঘটতে পারে।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    তুলা

    ১) রাজনীতির লোকেদের একটু চিন্তার কারণ দেখা দিতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশযাত্রার সুযোগ আসতে পারে।

    ৩) পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান।

    বৃশ্চিক

    ১) প্রেমের অশান্তি মিটে যেতে পারে।

    ২) কোনও কারণে মনে ভীষণ সংশয় বা ভয় কাজ করবে।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    ধনু

    ১) কাউকে কোনও ব্যাপারে কথা দেবেন না।

    ২) আধ্যাত্মিক বিষয়ে বিশেষ মনোযোগী হয়ে উঠবেন।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    মকর

    ১) গবেষণার কাজে সাফল্য লাভ।

    ২) খুব নিকট কোনও মানুষের জন্য দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হতে পারে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    কুম্ভ

    ১) সখ মেটাতে বাড়তি খরচ হতে পারে।

    ২) কোনও বন্ধুর জন্য বিপদ থেকে উদ্ধার লাভ।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    মীন

    ১) মহিলাদের জন্য নতুন কিছু শুরু করার ভালো সময়।

    ২) কল্যাণকর কাজে কিছু অর্থ ব্যয় হতে পারে।

    ৩) ভালোই কাটবে দিনটি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ramakrishna 282: “দুর্যোধনেরা গন্ধর্বের কাছে বন্দী হলে যুধিষ্ঠিরই উদ্ধার করলেন”

    Ramakrishna 282: “দুর্যোধনেরা গন্ধর্বের কাছে বন্দী হলে যুধিষ্ঠিরই উদ্ধার করলেন”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    সপ্তদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ১৯শে সেপ্টেম্বর

    পূর্বকথা—শম্ভু মল্লিকের অনাশক্তি—মহাপুরুষের আশ্রয়

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মুখুজ্জে প্রভৃতিকে)—কাপ্তেনের ঠিক সাধকের অবস্থা (Kathamrita)।

    “ঐশ্বর্য (Ramakrishna) থাকলেই যে তাতে আসক্ত হতেই হবে, এমন কিছু নয়। শম্ভু (মল্লিক) বলত, ‘হৃদু, পোঁটলা বেঁধে বসে আছি!’ আমি বলতাম কি অলক্ষণে কথা কও! —

    “তখন শম্ভু বলে, ‘না,— বলো, এ-এব ফেলে যেন তাঁর কাছে যাই!’

    “তাঁর ভক্তের ভয় নাই। ভক্ত তাঁর আত্মীয়। তিনি তাদের টেনে নেবেন। দুর্যোধনেরা গন্ধর্বের কাছে বন্দী হলে যুধিষ্ঠিরই উদ্ধার করলেন। বললেন, আত্মীয়দের ওরূপ অবস্থা হলে আমাদেরই কলঙ্ক (Kathamrita)।”

    ঠাকুরবাড়ির ব্রাহ্মণ ও পরিচারকগণ মধ্যে ভক্তিদান 

    প্রায় নয়টা রাত্রি হইল। মুখুজ্জে ভ্রাতৃদ্বয় কলিকাতা ফিরিবার জন্য প্রস্তুত হইতেছেন। ঠাকুর একটু উঠিয়া ঘরে ও বারান্দায় পাদচারণ করিতে করিতে বিষ্ণুঘরে উচ্চ সংকীর্তন হইতেছে শুনিতে পাইলেন। তিনি জিজ্ঞাসা করাতে একজন ভক্ত (Ramakrishna) বলিলেন, তাহাদের সঙ্গে লাটু ও হরিশ জুটিয়াছে। ঠাকুর বলিলেন, ও তাই!

    ঠাকুর বিষ্ণুঘরে আসিলেন। সঙ্গে সঙ্গে ভক্তেরাও আসিলেন। তিনি শ্রীশ্রীরাধাকান্তকে ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিলেন।

    ঠাকুর দেখিলেন যে, ঠাকুরবাড়ির ব্রাহ্মণেরা—যারা ভোগ রাঁধে, নৈবেদ্য করে দেয়, অতিথিদের পরিবেশন করে এবং পরিচারকেরা, অনেকে একত্র মিলিত হইয়া নাম সংকীর্তন করিতেছে। ঠাকুর একটু দাঁড়াইয়া তাহাদের উৎসাহ বর্ধন করিলেন।

    উঠানের মধ্য দিয়া ফিরিয়া আসিবার সময় ভক্তদের বলিতেছেন(Kathamrita) —

    “দেখো, এরা সব কেউ বেশ্যার বাড়ি যায়, কেউ বাসন মাজে!”

    ঘরে আসিয়া ঠাকুর (Ramakrishna) নিজ আসনে আবার বসিয়াছেন। যাঁহারা সংকীর্তন করিতেছিলেন, তাঁহারা আসিয়া ঠাকুরকে প্রণাম করিলেন।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

  • Maha kumbh 2025: শুরু হল নাসিক কুম্ভ ২০২৭-এর প্রস্তুতি, মহাকুম্ভস্থল পরিদর্শন বিশেষ প্রতিনিধি দলের

    Maha kumbh 2025: শুরু হল নাসিক কুম্ভ ২০২৭-এর প্রস্তুতি, মহাকুম্ভস্থল পরিদর্শন বিশেষ প্রতিনিধি দলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র ২ বছর পরেই ফের কুম্ভমেলার (Maha kumbh 2025) আয়োজন করা হবে দেশে। ২০২৭ সালেই আবার কুম্ভমেলা হবে। এবার আয়োজক শহর মহারাষ্ট্রের নাসিক। দেশের চার শহরে কুম্ভমেলা হয়— প্রয়াগরাজ, হরিদ্বার, নাসিক এবং উজ্জয়িনী। প্রতিটি শহরে কুম্ভমেলা আয়োজনের পৃথক হিসাব রয়েছে। সেই হিসাব অনুযায়ী নাসিকে পরবর্তী কুম্ভের বছর ২০২৭।

    কেন মাত্র দু’বছরের মধ্যেই পরবর্তী কুম্ভমেলা

    নাসিক এবং উজ্জয়িনীতে কুম্ভমেলার আয়োজন করা হয় ১২ বছর অন্তর। এই মেলাকে পূর্ণ কুম্ভমেলা বলা হয়ে থাকে। এর আগে গোদাবরী নদীর তীরে নাসিকে পূর্ণ কুম্ভমেলা হয়েছিল ২০১৫ সালে। সেই হিসাব অনুযায়ী, ১২ বছর সম্পূর্ণ হচ্ছে ২০২৭-এ। ওই বছর ১৭ জুলাই থেকে ১৭ অগাস্ট পর্যন্ত কুম্ভমেলা চলবে। শিপ্রা নদীর ধারে উজ্জয়িনীতে শেষ বার কুম্ভমেলা হয়েছিল ২০১৬ সালে। ১২ বছরের হিসাব অনুযায়ী, সেখানে আবার পূর্ণকুম্ভ আয়োজিত হবে ২০২৮ সালে। অর্থাৎ, পর পর দু’বছর মহারাষ্ট্রে এবং মধ্যপ্রদেশে দু’টি পূর্ণ কুম্ভমেলা হওয়ার কথা।

    হরিদ্বারেও কুম্ভমেলা ২০২৭-এ

    নাসিকে কুম্ভমেলার সময় জুলাই-অগাস্ট। প্রয়াগরাজ এবং হরিদ্বারের ক্ষেত্রে কুম্ভমেলার হিসাব কিছুটা আলাদা। এই দুই শহরে ১২ বছর অন্তর পূর্ণকুম্ভের পাশাপাশি ছ’বছর অন্তর একটি করে অর্ধ কুম্ভমেলারও আয়োজন করা হয়ে থাকে। সুতরাং, প্রয়াগরাজে পরবর্তী কুম্ভমেলাটি হবে আরও ছ’বছর পরে ২০৩১ সালে। হরিদ্বারে শেষ বার কুম্ভমেলা হয়েছিল ২০২১ সালে। সেটি ছিল পূর্ণকুম্ভ। নিয়ম অনুযায়ী, হরিদ্বারেও ২০২৭ সালে একটি অর্ধ কুম্ভমেলার আয়োজন হওয়ার কথা। ২০২৭ সালে একই বছরে পর পর দু’টি কুম্ভমেলার আয়োজন করা হবে। যদিও এই দুই মেলা আয়োজনের সময় ভিন্ন। হরিদ্বারে সাধারণত এপ্রিল মাসে কুম্ভমেলার আয়োজন করা হয়।

    নাসিক কুম্ভের প্রস্তুতি

    সম্প্রতি নাসিক কুম্ভ ২০২৭-র প্রস্তুতি ঠিকভাবে করার জন্য প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ পরিদর্শন (Maha kumbh 2025) করে এক প্রতিনিধি দল। তারা বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মহাকুম্ভের গৃহীত ব্যাপক প্রস্তুতি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেন। নাসিক থেকে আসা ২০ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার ডঃ প্রবীণ গেদাম এবং বিভিন্ন বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, যেমন স্পেশ্যাল ইন্সপেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ দত্তাত্রয় করালে, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জলজ শর্মা, পৌর কমিশনার মনীষা খাত্রি এবং নাসিক মেট্রোপলিটন রিজিওন ডেভেলপমেন্ট অথরিটির সিইও মানিক গুরসাল। ডঃ প্রবীণ গেদাম বলেন, ‘‘আমরা ২০২৭ সালের নাসিকের কুম্ভমেলাকে ২০২৫ সালের মহাকুম্ভের মতোই জাঁকজমকপূর্ণ করে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটি অর্জনের জন্য, আমরা এখানকার ব্যবস্থাগুলো অধ্যয়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের দল এই বিশাল অনুষ্ঠানের জন্য বাস্তবায়িত ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখবে। স্নানঘাট ও আখড়া সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো পরিদর্শন করেছি আমরা। এটি নাসিক কুম্ভের জন্য আমাদের প্রস্তুতি আরও উন্নত করতে সহায়তা করবে।’’

  • Bangladesh: ইউনূসে বিরক্ত ছাত্ররা! নয়া দলের আত্মপ্রকাশ বাংলাদেশে! ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের কী ইঙ্গিত?

    Bangladesh: ইউনূসে বিরক্ত ছাত্ররা! নয়া দলের আত্মপ্রকাশ বাংলাদেশে! ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের কী ইঙ্গিত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) আত্মপ্রকাশ করল নতুন রাজনৈতিক দল। ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে আত্মপ্রকাশ করে এই নয়া দল। ছাত্রদের এই নতুন রাজনৈতিক দলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’ (Jatiyo Nagarik Party)। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারাই তৈরি করেছেন এই নয়া দল। বাংলাদেশে একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন দলের আহ্বায়ক বা নেতা হয়েছেন নাহিদ ইসলাম। দলের সদস্যসচিব হয়েছেন আখতার হোসেন। জানা গিয়েছে, তিনি জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। নতুন দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক পদে এসেছেন সামান্তা শারমিন ও আরিফুল ইসলাম আদীব। সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব পদে নিযুক্ত হয়েছেন তাসনিম জারা ও নাহিদা সারওয়ার (নিভা)। অন্যদিকে দলের প্রধান সমন্বয়কারী পদে থাকছেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। যুগ্ম সমন্বয়ক পদে এসেছেন আবদুল হান্নান মাসউদ। হাসনাত আবদুল্লাকে মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) ও সারজিস আলমকে মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) পদে চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে খবর। নতুন রাজনৈতিক দলের হয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন।

    কেন ইউনূসে বিরক্ত ছাত্ররা (Bangladesh)

    প্রসঙ্গত গত অগাস্ট মাসেই শুরু হয় বাংলাদেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। একটা সময় দেখা যায় এই আন্দোলন হিংসাত্মক রূপ নেয়। পরে তা সাম্প্রদায়িক হিংসাতেও পরিণত হয়। নিজের বোনকে নিয়ে দেশ ছাড়েন হাসিনা। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী আশ্রয় নেন ভারতে। এরপরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা মহম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান করেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ভেবেছিলেন যে অর্থনীতিতে নোবেল পাওয়া ইউনূস বাংলাদেশকে উন্নতি শিখরে নিয়ে যেতে সক্ষম হবেন। কিন্তু ইউনূস জামানায় বাংলাদেশের অর্থনীতি শুধু নয়, ভেঙে পড়েছে গোটা শাসন ব্যবস্থাও। দেশ জুড়ে চলছে বিশৃঙ্খলার রাজত্ব। শান্তি ও ঐক্যের বাংলাদেশ গঠনে বারবার তাঁর কাছে আবেদন জানিয়েছে নাগরিক সমাজ। প্রতি পদক্ষেপেই মুখ থুবড়ে পড়েছে ইউনূস সরকার। সত্যি কথা বলতে তা জামাত ও বিএনপির হাতের পুতুলই হয়ে গিয়েছে। ইউনূসের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। তার মধ্যে সবথেকে ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপরে হামলা। সেই হামলা বন্ধ করতে ইউনূস সরকার যেমন ব্যর্থ হয়েছে, তেমনই বাংলাদেশের পুলিশ প্রশাসনও হিন্দুদের বিপক্ষে কাজ করছে। একাধিক সাধু সন্ন্যাসীকে পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, ইউনূস সরকারের ওপর সেদেশের জনগণের ক্ষোভ যে বাড়ছে তা ক্রমে অনুধাবন করতে শুরু করেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। অবস্থা খুবই খারাপ কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধিও হচ্ছে না, বেসরকারি সংস্থাগুলিতে কর্ম ছাঁটাই চলছে। বিশেষত পোশাকশিল্পে এবং আইটি সেক্টরে। সারা দেশ জুড়ে এক হতাশার পরিবেশ তৈরি হয়।

    এবার ইউনূসের কী হবে (Bangladesh)

    সব জায়গা থেকেই বর্তমানে একটি বড় প্রশ্ন উঠছে যে এবার ইউনূসের কী হবে? নতুন রাজনৈতিক দল তো ঘোষণা করে দিল বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। একই সঙ্গে তারা ঘোষণা করে দিল যে তাদের কোনও যোগাযোগ নেই জামাত-ই-ইসলামী অথবা তার ছাত্র সংগঠন ইসলামিক ছাত্র শিবিরের সঙ্গে। কিন্তু ইউনূসও এই দুই মৌলবাদী সংগঠনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ। এই জামাতের সঙ্গে বৈঠকের পরেই পাকিস্তানিদের তিনি দেশে ডেকে এনেছেন। পাক কূটনীতিকদের সঙ্গে বারবার বৈঠক করেছেন। এই অবস্থাতে পাকিস্তানের ভিসা ফ্রি হয়েছে বাংলাদেশে (Bangladesh)। শুধুমাত্র জামাত এবং তার ছাত্র সংগঠনের চাপে পড়েই আনসার বাংলা টিমের একাধিক নেতাকেও ছেড়ে দিয়েছে ইউনূস সরকার। আনসার বাংলা টিম সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে পরিচিত এবং তারা আল-কায়েদার হয়ে কাজ চালায় বলেই সবাই জানে। বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক দলের নেতা কোনওভাবেই ইউনূস হচ্ছেন না। অনেকে তাই মনে করছেন, এবার হয়তো ইউনূস সামাজিক কাজেই ফিরে যাবেন।

    আওয়ামি লিগ-বিএনপির কী হবে

    এই আবহে আওয়ামি লিগ এবং বিএনপি’র কি হবে? এই প্রশ্ন উঠছে। প্রসঙ্গত বর্তমানে দেশ ছাড়ার পরেও বাংলাদেশে (Bangladesh) বেশ প্রাসঙ্গিকই আছেন শেখ হাসিনা। নিয়মিতভাবে ভার্চুয়ালি তিনি দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। আওয়ামি লিগের ফেসবুক পেজ থেকে তিনি লাইভও আসেন। তিনি তাঁর সমর্থকদের ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন খুব তাড়াতাড়ি তিনি দেশে ফিরবেন এবং যেভাবে অচলাবস্থা চলছে তা তিনি সামাল দেবেন। এই আবহে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে শেখ হাসিনা আসলে অপেক্ষা করছেন বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন ঘোষণার দিকে তাকিয়ে। কিন্তু কেউ কেউ মনে করছেন তাঁর অনুপস্থিতিতে আওয়ামি লিগের পক্ষে নির্বাচন লড়া কঠিন হয়ে যাবে। অন্যদিকে, হাসিনার বিরুদ্ধে রয়েছে শতাধিক মামলা। তাই নির্বাচনের আগে দেশে ফিরলে তাঁকে গ্রেফতারও করা হতে পারে। অন্যদিকে, ইউনূসের কাজকর্মে বিএনপি নেতারাও ব্যাপক হতাশ হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে আওয়ামি লিগ এবং বিএনপি নেতারা একে অপরের বিরুদ্ধে লড়া বন্ধ করেছেন। তাঁরা প্রত্যেকেই চাইছেন যে ইউনূস সেদেশের নির্বাচনকে ঘোষণা করুন। আওয়ামি লিগ ও বিএনপির সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনৈতিক মানচিত্রে জুড়ল আর এক নয়া দল।

    ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের কী ইঙ্গিত

    নতুন রাজনৈতিক দল গঠনে ভারতের বিদেশ নীতি কি প্রভাবিত হবে? এমন চর্চাও শুরু হয়েছে। গত অগাস্ট মাসের পর থেকে বাংলাদেশের (Bangladesh) সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। বাংলাদেশের প্রতি হতাশার কথাও অভিব্যক্ত করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয় শংকর। প্রসঙ্গত, নতুন যে রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করেছে, তারা স্পষ্ট ঘোষণা করেছে তাদের বিদেশ নীতি নীতির ক্ষেত্রে ফোকাস করা হবে মূলত অর্থনীতিকেই। একইসঙ্গে, স্বচ্ছতা ও পারস্পরিক বিশ্বাসের মাধ্যমেই তাঁরা বিদেশে নীতি তৈরি করবেন বলে জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের (Bangladesh) সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক বরাবর ভালো। তবে, শেখ হাসিনা সরকারের পতন ও ভারতে তাঁর আশ্রয় নেওয়ার পর সেই সম্পর্কে খানিক পরিবর্তন এসেছে, তা বলাই যায়। এই আবহে ছাত্রদের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশে বাংলাদেশের রাজনীতিতে বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। আর এর প্রভাব পড়বে ভারতের সঙ্গে সে দেশের বাণিজ্য, দ্বি-পাক্ষিক এবং নিরাপত্তার সম্পর্কে। এই আবহে বাংলাদেশের ওপর কড়া নজর রেখে চলেছে ভারত।

  • Modi-Ursula Meeting: চিনকে রুখতে ভরসা ‘বিশ্বস্ত বন্ধু’ ভারত, মোদির সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকে ইউরোপীয় কমিশনের

    Modi-Ursula Meeting: চিনকে রুখতে ভরসা ‘বিশ্বস্ত বন্ধু’ ভারত, মোদির সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকে ইউরোপীয় কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের বাণিজ্যিক মানচিত্রে বড় বদল আনবে ভারত-পশ্চিম এশিয়া-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডর। দু’দিনের ভারত সফরে এসে এমনই অভিমত ব্যক্ত করলেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লিয়েন (Modi-Ursula Meeting)। চিনের আগ্রাসী অর্থনীতি ও একচেটিয়া উৎপাদননীতিকে ঠেকাতেই দিল্লির সঙ্গে বৈঠকে ইউরোপীয় কমিশনের। শুক্রবার দু’দিনের ভারত সফরের দ্বিতীয় দিনে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করলেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা।

    মোদি-উরসুলা বৈঠক

    মোদির সঙ্গে বৈঠকের পরে উরসুলা বলেন, ‘‘আমরা ভারত-ইউরোপীয় ইউনিয়ন সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই।’’ ইইউ-র কাছে ভারত সেই বিশ্বস্ত বন্ধু এবং কৌশলগত অংশীদার (Modi-Ursula Meeting) বলে জানিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘ভারত-পশ্চিম এশিয়া-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডর (আইএনইসি) নির্মাণ প্রকল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ করা হবে।’’ ওই করিডর নির্মিত হলে বিশ্বের বাণিজ্যিক মানচিত্রে বড় বদল হবে বলেও দাবি করেন তিনি। মোদির সঙ্গে বৈঠকের পর উরসুলা জানান, চলতি বছরের শেষেই দ্বিপাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সই হতে পারে। অন্য দিকে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘‘দু’পক্ষই বিনিয়োগ সুরক্ষা চুক্তির পাশাপাশি ভৌগোলিক বাণিজ্যের মানচিত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য আলোচনার অগ্রগতির দিকে তাকিয়ে রয়েছে।’’

    ইউরোপীয় কমিশনের প্রতিনিধি দল

    এই প্রতিনিধি দলে ইউরোপীয় কমিশনের (EC) প্রেসিডেন্ট উরসুলা সহ ২২ জন কমিশনার রয়েছেন। এটি হল ২০১৯ সালে গঠিত ইউরোপীয় কমিশনের প্রথম বাইরের সফর এবং প্রথমবারের মতো একসঙ্গে ভারত সফর করছেন ইউরোপীয় কমিশনাররা। ভারত এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের কৌশলগত অংশীদারিত্বের তৃতীয় দশকে পদার্পণ করেছে। এই আবহে কমিশনারদের এই সফর ভারত-ইউরোপ সম্পর্কে নতুন এক যুগের সূচনা করবে, বলে অভিমত কূটনৈতিক মহলের।

    চিন নির্ভরতা কমানো লক্ষ্য

    বর্তমানে জোগানের শৃঙ্খলে চিন-নির্ভরতা উদ্বেগের কারণ পশ্চিমের দেশগুলির। তাদের সেই উদ্বেগকে কাজে লাগাতে চাইছে নয়াদিল্লি। ১০-১৪ মার্চ ব্রাসেলসে হবে ভারত-ইইউ-এর বাণিজ্য বৈঠক হবে। তার আগে গাড়ি, ওয়াইন-সহ বিভিন্ন পণ্যে আমদানি শুল্ক কমাতে দিল্লিকে অনুরোধ করবে ইউরোপীয় কমিশন। ভারতও চাইছে নিজ শর্তে ইউরোপের সদস্য দেশগুলিতে পণ্য রফতানি বৃদ্ধির সুযোগ বাড়াতে।

    বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠ

    বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গেও বৈঠক করেন উরসুলা। তাঁদের মধ্যে বাণিজ্য ও শুল্ক সম্পর্কিত আলোচনার পাশাপাশি কথা হয় প্রতিরক্ষাক্ষেত্রে সমন্বয় এবং রাশিয়া-ইউক্রেন নিয়েও। নয়াদিল্লি পৌঁছে উরসুলা তাঁর সমাজমাধ্যমের হ্যান্ডলে পোস্ট করেছিলেন, ‘আমার প্রতিনিধিদের (কমিশনার) নিয়ে দিল্লির মাটি ছুঁলাম। সংঘাত এবং প্রবল প্রতিযোগিতার এই কালখণ্ডে প্রয়োজন হয় বিশ্বস্ত বন্ধুর। ইউরোপের ক্ষেত্রে ভারত সেই বিশ্বস্ত বন্ধু এবং কৌশলগত অংশীদার। এই অংশীদারি কীভাবে পরবর্তী ধাপে এগিয়ে নেওয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনা হবে আমাদের।’

    সম্পর্কের গভীরতা

    ভারত ১৯৬২ সালে ইউরোপীয় অর্থনৈতিক কমিউনিটির (যা পরবর্তীতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন) সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে। ১৯৯৩ সালে এক যৌথ রাজনৈতিক ঘোষণা এবং ১৯৯৪ সালের সহযোগিতা চুক্তি ভারত-ইউরোপ সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করে। এখনও পর্যন্ত ১৫টি ভারত-ইউরোপীয় শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে, প্রথম সম্মেলনটি ২০০০ সালে লিসবনে হয়েছিল। ২০০৪ সালে হেগে অনুষ্ঠিত পঞ্চম সম্মেলনে ভারত এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের সম্পর্ককে কৌশলগত অংশীদারিত্বে পরিণত করে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলাও একাধিকবার বৈঠক করেছেন। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে প্রেসিডেন্ট ভন ডার লায়েন ভারত সফর করেন এবং রাইসিনা সংলাপে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেন।

    বৈঠক ও উদ্যোগ

    ২০২০ সালের জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ ভারত-ইউরোপীয় শীর্ষ সম্মেলনে “ভারত-ইউরোপীয় কৌশলগত অংশীদারিত্ব: ২০২৫ এর রোডম্যাপ” গৃহীত হয়। ২০২১ সালের মে মাসে অনুষ্ঠিত শীর্ষ বৈঠকে একটি মুক্ত বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ চুক্তি নিয়ে আলোচনা পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেখানেই ভারত ও ইউরোপের দেশগুলি এক সম্মতিতে পৌঁছেছে, যা পরবর্তী কয়েক বছরের মধ্যে স্বাক্ষরিত হতে পারে। ভারত-ইউরোপীয় বাণিজ্য ও প্রযুক্তি কাউন্সিল (TTC) ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়, যা বাণিজ্য, নির্ভরযোগ্য প্রযুক্তি এবং নিরাপত্তা সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কৌশলগত সমন্বয়ের এক গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হিসেবে কাজ করবে। টিটিসি-এর প্রথম মন্ত্রিপরিষদ বৈঠক ২০২৩ সালের মে মাসে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, এবং দ্বিতীয় বৈঠক দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে।

    বাণিজ্য ও বিনিয়োগ

    ভারত ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (India-Europe Partnership) প্রায় ১৫ বছর ধরে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভারতকে সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার হিসাবে গড়ে তুলেছে। ২০২৩-২৪ সালে ভারত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ছিল ১৩৫ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে ভারতীয় রফতানি ছিল ৭৬ বিলিয়ন ডলার এবং আমদানি ৫৯ বিলিয়ন ডলার।

    প্রযুক্তি সহযোগিতা

    চিন প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দ্রুত উন্নতি করছে, সেই প্রেক্ষাপটে ভারত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রযুক্তি সহযোগিতা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ২০০৭ সালে সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কোঅপারেশন চুক্তির আওতায় এই সহযোগিতা চলছে। ২০২২ সালে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটিং (HPC) এবং ২০২৩ সালে সেমিকন্ডাক্টর গবেষণায় সহযোগিতা নিয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

    সবুজ শক্তির সমাধান

    ভারত-ইউরোপীয় (India-Europe Partnership) সবুজ হাইড্রোজেন সহযোগিতা উদ্যোগের আওতায়, ভারত ২০২৪ সালের নভেম্বরে ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় হাইড্রোজেন সপ্তাহে একমাত্র অংশীদার দেশ ছিল। ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংক ভারতীয় হাইড্রোজেন প্রকল্পে ১ বিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

    জনগণ ও জনগণের সম্পর্ক

    ভারত-ইউরোপীয় সম্পর্কের একটি শক্তিশালী ভিত্তি হল জনগণের সম্পর্ক। ইউরোপে ভারতীয় মহল সম্প্রসারিত হচ্ছে, যার মধ্যে ছাত্র, গবেষক এবং দক্ষ পেশাজীবী রয়েছে। ২০২৩-২৪ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ব্লু কার্ডের শীর্ষ প্রাপক ছিল ভারতীয় পেশাজীবীরা।

    প্রতিরক্ষা ও মহাকাশ

    ভারত এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (India-Europe Partnership) তাদের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা শক্তিশালী করছে, বিশেষ করে সমুদ্র নিরাপত্তা এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে প্রথম যৌথ নৌযান মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। মহাকাশ গবেষণায় ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO) এবং ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা (ESA) একসাথে কাজ করছে, যেমন চন্দ্রযান-৩ এবং আদিত্য-এল-ওয়ান মিশনে।

    কী বলছে কমিশন

    কমিশনের সফররত এক কর্তা বলেন, ‘‘ভারত বৃহৎ উদীয়মান অর্থনীতি। সেখানে ছোট-বড় কৃষিজীবী মানুষ ও উদ্যোগ রয়েছে। এটি আমাদের চুক্তিতে প্রতিফলিত হবে। কৃষিপণ্য আমদানির ক্ষেত্রে আমাদের সদস্য রাষ্ট্রগুলি আগ্রহী। তবে চুক্তি যা-ই হোক, ভারসাম্য থাকা জরুরি। যেমন গাড়ি, ওয়াইন এবং স্পিরিটের মতো পণ্যের উপর ভারতের শুল্ক অনেক বেশি। ইইউ এই শুল্ক শূন্যে নামিয়ে আনার চেষ্টা করবে।’’ সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, রাষ্ট্রগোষ্ঠী হিসেবে ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্য সহযোগী ইইউ। গত বছর দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য হয়েছে ১২,৬০০ কোটি ডলার। এক দশকে বেড়েছে ৯০%।

  • Uttarakhand: উত্তরাখণ্ডে তুষারধস, বরফের নিচে আটকে ৪৭ নির্মাণকর্মী, চলছে উদ্ধারকাজ

    Uttarakhand: উত্তরাখণ্ডে তুষারধস, বরফের নিচে আটকে ৪৭ নির্মাণকর্মী, চলছে উদ্ধারকাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) চামোলি জেলায় ব্যাপক তুষারধস (Avalanche)। এর ফলেই সীমান্ত সড়ক সংস্থার (বিআরও) ৪৭ নির্মাণকর্মী বরফের নিচে আটকে পড়েছেন বলে খবর মিলেছে। শুক্রবারই ঘটে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। জানা গিয়েছে, শ্রমিকরা যখন মানা গ্রামের সীমান্ত এলাকায় কাজ করছিলেন, তখনই ঘটে এই বিপত্তি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, উদ্ধারকাজে ইতিমধ্যে ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ (আইটিবিপি) এবং সেনাবাহিনীর কর্মীদের নামানো হয়েছে। উত্তরাখণ্ড পুলিশের আইজি নিলেশ আনন্দ ভর্নে জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ১০ জন শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের মানা গ্রামের নিকটবর্তী সেনা শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেই জানা যাচ্ছে।

    কী জানালেন উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) মুখ্যমন্ত্রী?

    ইতিমধ্যে সামনে এসেছে উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির বিবৃতি। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, আইটিবিপি, বিআরও এবং সেনাবাহিনী যৌথভাবে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরেই আটকে পড়া সকল শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য প্রার্থনা করেছেন তিনি। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘মানা গ্রামের কাছে বিআরও পরিচালিত নির্মাণকাজের সময় একটি তুষারধসের ফলে বহু শ্রমিক আটকে পড়েছেন। আমরা তাঁদের নিরাপদে উদ্ধারের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছি।’’

    আবহাওয়া খারাপ, কঠিন হচ্ছে উদ্ধারকাজ

    বিআরও-র ইঞ্জিনিয়ার সিআর মীনা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ভারী তুষারপাতের কারণে উদ্ধার কাজ কঠিন হয়ে পড়ছে। তিন থেকে চারটি অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে, তবে দুর্গম আবহাওয়ার কারণে দলে পৌঁছানোতে দেরি হচ্ছে। এদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবারই লাহুল ও স্পিতি পুলিশ ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ওই অঞ্চলে তুষারধসের সতর্কতা জারি করেছে। এই সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, মাঝারি আকারের তুষারধসের সম্ভাবনা রয়েছে এবং সবাইকে নির্দিষ্ট নিরাপদ রাস্তায় চলাচলের (Uttarakhand) পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।এই আবহে দিল্লির মৌসম ভবন উত্তরাখণ্ড-সহ বেশ কয়েকটি পাহাড়ি অঞ্চলের জন্য কমলা সতর্কতাও জারি করেছে। তারা জানিয়েছে, শুক্রবার রাত পর্যন্ত এই অঞ্চলগুলিতে খুব ভারী বৃষ্টিপাতের (২০ সেমি পর্যন্ত) সম্ভাবনা রয়েছে৷ হাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, হরিয়ানা ও পশ্চিম উত্তর প্রদেশ-এ বজ্রপাত, শিলাবৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

  • Suvendu Adhikari: মমতার মন্তব্যে ‘ক্ষুণ্ণ হয়েছে কমিশনের ভাবমূর্তি’, জ্ঞানেশ কুমারকে চিঠি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: মমতার মন্তব্যে ‘ক্ষুণ্ণ হয়েছে কমিশনের ভাবমূর্তি’, জ্ঞানেশ কুমারকে চিঠি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই বঙ্গে ভোট। এই আবহে গতকাল বৃহস্পতিবারই নির্বাচন কমিশনকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনের আশীর্বাদেই নাকি কারচুপি চলছে ভোটার তালিকায়। একইসঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘‘অমিত শাহের দফতরের প্রধান সচিবকেই করা হয়েছে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার।’’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন মন্তব্যের জেরে এবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে চিঠি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, মমতার মন্তব্যে ক্ষুণ্ণ হয়েছে নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি।

    চিঠিতে কী লিখলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    চিঠিতে জ্ঞানেশ কুমারের উদ্দেশে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী আপনার নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। উনি বলতে চান, সাংবিধানিক প্রক্রিয়াকে নাকি বিজেপি প্রভাবিত করছে। তৃণমূলের অভিযোগ, মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের পদে বিজেপি নিজেদের লোককে বসাচ্ছে। উনি ভালো করেই জানেন, আপনার নিয়োগ ২০২৩ সালের নতুন আইনের মাধ্যমে হয়েছে। নতুন এই আইন অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা এবং প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত এক জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের প্যানেলে থাকেন। নিরপেক্ষ এই পদ্ধতিতেই আপনার নিয়োগ হয়েছে। এর আগে নিয়ম ছিল, বয়োজ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের পদটি পাবেন। সেই নিয়ম অনুযায়ীও এই পদ আপনারই পাওয়ার কথা ছিল। কারণ, রাজীব কুমারের পর আপনিই নির্বাচন কমিশনার হিসাবে বয়োজ্যেষ্ঠ।’’

    সমস্ত সীমা ছাড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী

    অমিত শাহের মন্ত্রকের লোককে করা হয়েছে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, ‘‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রকে আপনার কাজের সময়টিকে তুলে ধরেছেন মমতা। কিন্তু উনি এটা উল্লেখ করতে ভুলে গিয়েছেন যে, মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব যিনি পান, কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের সচিব পদে তাঁর কাজের অভিজ্ঞতা থাকা বাধ্যতামূলক। নির্বাচন কমিশন একটি সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান, যা দেশের ভোটপ্রক্রিয়া নিরপেক্ষ ভাবে পরিচালনা করে। ভারতের সংবিধান কমিশনকে এই অধিকার দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সেই কমিশনকে আক্রমণ করে সব সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছেন। এই নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলার এক্তিয়ারই ওঁর নেই। ভোটার তালিকা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ভিত্তিহীন অভিযোগ সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করবে। প্রকাশ্যে মিথ্যে অভিযোগ করে ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা হচ্ছে।’’

    গতকালের সমাবেশ নিয়ে শুভেন্দুর প্রতিক্রিয়া (Suvendu Adhikari)

    গতকালের সমাবেশ নিয়ে আগেই চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী জোরে জোরে খেলা হবে বলেছেন, সরাসরি হুঙ্কার দিচ্ছেন। নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক বডি। আর আপনি বলছেন অমিত শাহের দফতরের সচিবকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার করে দিয়েছে। আপনি চ্যালেঞ্জ করে কেন সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন না? আসলে আপনি ভয় পেয়েছেন।’’

  • Indian Navy: নৌসেনার নতুন ‘মেঘনাদ’! রাশিয়া থেকে ভারতে আসছে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রবাহী স্টেলথ ফ্রিগেট ‘তমাল’

    Indian Navy: নৌসেনার নতুন ‘মেঘনাদ’! রাশিয়া থেকে ভারতে আসছে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রবাহী স্টেলথ ফ্রিগেট ‘তমাল’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীঘ্রই বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত মাল্টি-রোল স্টেলথ গাইডেড মিসাইল ফ্রিগেট ‘তমাল’ পেতে চলেছে ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy)। এই যুদ্ধজাহাজটি তৈরি করেছে রাশিয়া। বলা হচ্ছে বিদেশ থেকে ভারতে আসা এটাই হবে শেষ ফ্রিগেট (Stealth Frigate Tamal)। রাবণ-পুত্র মেঘনাদের (ইন্দ্রজিৎ) মতোই আড়ালে থেকে শত্রুর উপর প্রাণঘাতী আঘাত হানতে দক্ষ তমাল। ভারত এবং রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে ইয়নটার শিপইয়ার্ডে নির্মিত বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত ‘স্টেলথ গাইডেড মিসাইল ফ্রিগেট’গুলির অন্যতম তমাল।

    রাশিয়ার প্রযুক্তিগত সহায়তা

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, চলতি বছরের জুন মাসেই আনুষ্ঠানিক ভাবে নৌসেনায় (Indian Navy) যোগ দিয়ে সমুদ্রযুদ্ধের মহড়ায় যোগ দেবে আইএনএস তমাল। প্রসঙ্গত, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের মোকাবিলার জন্য নৌসেনাকে আধুনিক যুদ্ধের উপযোগী করে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে মোদি সরকার। ২০১৬ সালের সমঝোতা এবং ২০১৮ সালে সই হওয়া চূড়ান্ত চুক্তি অনুযায়ী আইএনএস তলোয়ার শ্রেণির চারটি স্টেলথ ফ্রিগেট (Stealth Frigate Tamal) বানাচ্ছে রাশিয়া। চুক্তির মোট অঙ্ক ২৫০ কোটি ডলার (প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা)। এই তালিকার প্রথমটি, আইএনএস তুষিল ইতিমধ্যেই ভারতীয় নৌসেনায় যোগ দিয়েছে। এ বার পালা আইএনএস তমালের। অত্যাধুনিক এই যুদ্ধজাহাজ পরিচালনা এবং যুদ্ধকৌশলের প্রশিক্ষণে যোগ দিতে এখন রাশিয়ায় রয়েছেন ভারতীয় নৌসেনার ২০০ জন অফিসার এবং কর্মী।

    কী কী অস্ত্রে সমৃদ্ধ তমাল

    ৩০ ‘নট’ গতিবেগ সম্পন্ন তমাল একটানা ৩ হাজার কিলোমিটার দূরত্ব পথ অতিক্রম করতে সক্ষম। ব্রহ্মস সুপারসনিক (শব্দের চেয়ে বেশি গতিবেগ সম্পন্ন) ক্ষেপণাস্ত্র ছাড়াও আইএনএস তমালে (Stealth Frigate Tamal) থাকছে বিমানবিধ্বংসী কামান। পাশাপাশি থাকছে সাবমেরিন ধ্বংসকারী টর্পিডো। এ ছাড়া দু’টি রুশ কামোভ-২৮ এবং কামোভ-৩১ হেলিকপ্টার থাকছে, যা শত্রুর অবস্থান পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি হামলার কাজেও ব্যবহার করা যাবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, রাশিয়ায় এখন যুদ্ধজাহাজ তমালের ট্রায়াল চলছে। বিশেষ করে এর জন্য ২০০ জন ভারতীয় নৌসেনা সেন্ট পিটার্সবার্গে পৌঁছেছেন। এই ট্রায়াল চলবে প্রায় ৬ সপ্তাহ। এটি সফলভাবে সম্পন্ন হলে, তমালকে ভারতে আনার জন্য প্রস্তুত করা হবে।

LinkedIn
Share