Tag: bangla news

bangla news

  • Bangladesh Crisis: ‘‘সুপরিকল্পিত জাতিগত নির্মূল অভিযান’’! বাংলাদেশে হিন্দু-নিপীড়ন প্রসঙ্গে মত বিশেষজ্ঞদের

    Bangladesh Crisis: ‘‘সুপরিকল্পিত জাতিগত নির্মূল অভিযান’’! বাংলাদেশে হিন্দু-নিপীড়ন প্রসঙ্গে মত বিশেষজ্ঞদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিবেকানন্দ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন (VIF) “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের (Hindus) ওপর অন্তহীন নিপীড়ন” শীর্ষক (Bangladesh Crisis) একটি প্রদর্শনী ও প্যানেল আলোচনা আয়োজন করেছিল। এখানে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর যে নিষ্ঠুর ও সুসংগঠিত আক্রমণ হয়েছিল, সে কথা তুলে ধরা হয়। নয়াদিল্লির ভিআইএফ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অমুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে চলা ব্যাপক জাতি হিংসা, ভূমি দখল এবং জোরপূর্বক ধর্মান্তরণের ঘটনাগুলি উন্মোচিত হয়।

    গণহত্যার ভয়াবহ দৃশ্য (Bangladesh Crisis)

    ফাউন্ডেশন এগেইনস্ট কন্টিনিউয়িং টেররিজম (FACT)-এর দ্বারা আয়োজিত এই প্রদর্শনীতে বাংলাদেশে চলতে থাকা গণহত্যার ভয়াবহ দৃশ্যমান ও তথ্যপ্রমাণ তুলে ধরা হয়। এদিনের প্রদর্শনীতে দেখা গিয়েছে হিন্দু গ্রামগুলির পোড়া অবশেষ এবং পবিত্র মন্দিরগুলি ছন্নছাড়া দশা, যেগুলি উগ্র ইসলামপন্থীদের টার্গেট হয়েছে। বেঁচে থাকা ভুক্তভোগীদের ব্যক্তিগত সাক্ষ্যও রয়েছে প্রতিবেদনে। এখানে যৌন হিংসা ও জোরপূর্বক ধর্মান্তরের বিবরণও রয়েছে। সংগঠিত জমি দখলের অভিযানের ছবিও রয়েছে। এটাই হিন্দুদের নির্বাসনে যেতে বাধ্য করছে বলে স্থানীয়দের অভিমত।

    কমছে হিন্দু জনসংখ্যা

    পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে, ১৯৪৭ সালে (এখন যেটা বাংলাদেশ) হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ২৯.৭ শতাংশ। বর্তমানে সেটাই নেমে এসেছে ৭.৯ শতাংশেরও নীচে। প্রবীণ সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী ফ্রাঁসোয়া গোতিয়ে বলেন, “এটি বিচ্ছিন্ন কোনও হিংসা নয়, এটি একটি সুপরিকল্পিত জাতিগত নির্মূল অভিযান। বিশ্ব একে উপেক্ষা করছে। কারণ এটি তাদের পছন্দসই বর্ণনার সঙ্গে মেলে না।”

    প্যানেল আলোচনা

    এদিনের প্যানেল আলোচনায় বিশেষজ্ঞরা তীব্র সংকটের (Bangladesh Crisis) আশঙ্কা প্রকাশ করেন। এই প্যানেলে অংশ নিয়েছিলেন কূটনীতিক, সাংবাদিক এবং নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের এই ক্রমবর্ধমান সংকট নিয়ে বিশ্লেষণ করেন। প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন ভারতের প্রাক্তন উপ-জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং ভিআইএফের সহ সভাপতি সতীশ চন্দ্র, বাংলাদেশের প্রাক্তন হাই কমিশনার বীণা সিক্রি, ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় রিসার্চ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এবং ট্রাস্টি ড. অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। ছিলেন সাংবাদিক ফ্রাঁসোয়া গোতিয়ে। প্যানেল আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন ভিআইএফের পরিচালক অরবিন্দ গুপ্ত। আলোচনায় বিশেষজ্ঞরা জানান, বাংলাদেশের শাসকগোষ্ঠী (Bangladesh Crisis) ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলিকে শক্তিশালী করে তুলেছে। এটি দেশের অমুসলিম জনগোষ্ঠীর জন্য ক্রমশ শত্রুভাবাপন্ন পরিবেশ সৃষ্টি করছে (Hindus)।

    অজিত ডোভাল

    এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। এর থেকে স্পষ্ট বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতির বিষয়ে নয়াদিল্লি যথেষ্ট উদ্বেগে রয়েছে। আলোচনায় অংশ নিয়ে আঞ্চলিক নিরাপত্তার বিষয়টির উল্লেখ করেন ডোভাল। তিনি জানান, বাংলাদেশে অবাধে কর্মরত চরমপন্থী ইসলামি গোষ্ঠীগুলি গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করছে।

    বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন

    গত জুলাই মাসের শেষের দিকে বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) মাথা তোলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আন্দোলন এতই তীব্র আকার ধারণ করে যে গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। হাসিনা দেশ ছাড়তেই বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয় মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। অভিযোগ, ক্ষমতায় টিকে থাকতে তারা নির্বাচন বিলম্বিত করছে। এর পাশাপাশি চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলিকে শক্তি সঞ্চয় করার সুযোগ দিচ্ছে বলেও অভিযোগ। হাসিনার অনুপস্থিতিতে, বিদেশি প্রভাব দ্বারা সমর্থিত চরমপন্থী দলগুলি হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নতুন করে সন্ত্রাসের স্টিম রোলার চালিয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গণহত্যা, হিন্দু মহিলাদের অপহরণ এবং হিন্দু মন্দির ধ্বংসের মতো ঘটনাগুলি ১৯৭১ সালের আগের পরিস্থিতির ভয়াবহ প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।

    ঢাকা সফরে জয়শঙ্কর

    ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের উন্নতি করতে ঢাকা সফরে গিয়েছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ভারত-বিরোধী উপাদান সম্পর্কে সতর্কবার্তার জবাবে ঢাকার (Bangladesh Crisis) বিদেশ বিষয়ক উপদেষ্টা মোঃ তৌহিদ হোসেন বলেছিলেন, “আমাদের একটি স্পষ্ট সিদ্ধান্ত আছে যে আমরা পারস্পরিক সম্মান এবং পারস্পরিক স্বার্থের ভিত্তিতে ভারতের সঙ্গে ভালো কর্ম-সম্পর্ক চাই। এ বিষয়ে আমাদের কোনও দ্বিধা নেই (Hindus)।” তবে, ইসলামি উপাদানকে আশ্রয় দেওয়ার ঐতিহাসিক ভূমিকার কারণে, বাংলাদেশের বিষয়ে ভারতীয় নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা সন্দিহান। ভারতের অন্যতম প্রধান কৌশলগত থিংক ট্যাঙ্ক ভিআইএফের সুপারিশগুলি হল, বাংলাদেশের সরকারে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা। যতক্ষণ না সংখ্যালঘুদের অধিকার পুনরুদ্ধার হয়, ততক্ষণ। রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপ, যাতে জাতিগত নিধনযজ্ঞের তদন্ত করা হয় এবং বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনকে মানবাধিকার সংকট হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়া।

    গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “যদি বিশ্ব ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হয়, তাহলে আগামী দুদশকের মধ্যে বাংলাদেশের হিন্দু জনসংখ্যা সম্পূর্ণরূপে অদৃশ্য হয়ে যাবে।” বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন কেবল একটি স্থানীয় বিষয় নয় – এটি একটি মানবিক সংকট, যা অবিলম্বে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ দাবি করে। এই ক্রমবর্ধমান গণহত্যার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া গঠনে আঞ্চলিক (Hindus) শক্তি হিসেবে ভারতের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ (Bangladesh Crisis)।

  • Jammu and Kashmir: রাজৌরিতে সেনার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি! জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি জম্মুতে

    Jammu and Kashmir: রাজৌরিতে সেনার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি! জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি জম্মুতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলওয়ামার মতো ফের ভারতীয় সেনাবাহিনীর ট্রাকে হামলা চালাল জঙ্গিরা (Terror Attack)। বুধবার দুপুরে জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) রাজৌরি জেলায় একটি সেনা ট্রাককে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তারা। পাল্টা জবাব দেয় সেনাও। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত হতাহতের খবর মেলেনি। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, সেনার একটি ট্রাক জম্মুর রাজৌরি জেলায় সুন্দেরবানি এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় একদল দুষ্কৃতী গুলি চালায়। সঙ্গে সঙ্গে সেনাবাহিনী পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে। জঙ্গল এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

    প্যাট্রলিং-এর সময় গুলি

    গত কয়েক মাস ধরে জম্মু-কাশ্মীরে একের পর এক জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটছে। কখনও সেনার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি-বোমা চলে, আবার কখনও গ্রামে প্রবেশ করে বাড়িতে বাড়িতে হামলা চালায়। জঙ্গিদের খোঁজে জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir)  বিভিন্ন জায়গায় মাঝেমধ্যেই তল্লাশি অভিযান করে সেনা। সুন্দেরবানি মাল্লা রোড সংলগ্ন জঙ্গলে ঘেরা এলাকাগুলিতে প্রচুর জঙ্গি গা ঢাকা দিয়ে থাকে। বুধবার সেই এলাকাতেই টহল দিচ্ছিল সেনা। দুপুর একটা নাগাদ একটি জলাশয়ের ধারে পৌঁছয় টহলদারি বাহিনী। সেই সময়েই জঙ্গলের ভিতর থেকে গুলিবৃষ্টি শুরু হয়। জানা গিয়েছে, ৯ জেএকে ইউনিটের গাড়ি লক্ষ্য করে এক বা দুই রাউন্ড গুলি চালানো হয়। সঙ্গে সঙ্গে পালটা গুলি চালায় সেনাও।

    টহলদারির খবর পেয়েই গুলি

    প্রাথমিকভাবে সেনার অনুমান, টহলদারির খবর ছিল জঙ্গিদের কাছে। সেই কথা জেনেই তারা গুলি চালিয়েছে সেনার গাড়িতে। তবে হামলার পরে আরও বেশি সতর্ক হয়েছে সেনা। সূত্রের খবর, পালটা গুলি চালানো হয়েছে সেনার তরফে। এছাড়াও ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত বাহিনী এবং অস্ত্র পাঠানো হয়েছে। ঘিরে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা। লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের খোঁজে আরও জোরদার তল্লাশি শুরু হয়েছে হামলার পর। দিন কয়েক আগেই জম্মু ও কাশ্মীরের সোপোরের জালোরা গুজ্জরপতি এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াইয়ে এক জওয়ানের মৃত্যু হয়। সম্প্রতি গুলমার্গেও সেনার গাড়িতে হামলা চলেছিল। তাতে দু’জন জওয়ান এবং বাহিনীর দুই মালবাহকের মৃত্যু হয়েছিল। তবে বুধবারের হামলাও এখনও কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। কারা হামলা চালিয়েছে, সেই তথ্যও অজানা। গুলি চালানোর দায়ও কেউ স্বীকার করেনি এখনও। এর আগে ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় সেনাবাহিনীর কনভয়ে হামলা করে জঙ্গিরা। ওই হামলায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল।

  • Make in India: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া মেড ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’! ভারত থেকে অত্যাধুনিক কামান কিনবে ট্রাম্পের আমেরিকা

    Make in India: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া মেড ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’! ভারত থেকে অত্যাধুনিক কামান কিনবে ট্রাম্পের আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিরক্ষা খাতে ভারতের বিরাট সাফল্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া (Make in India) প্রকল্পের সফল রূপায়ণ ঘটছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। প্রতিরক্ষাতেও সেই ছবি ধরা পড়েছে। শুধু দেশীয় উৎপাদন নয়, ভারতের সমরাস্ত্রের চাহিদা এখন বিশ্ববাজারেও হু হু করে বাড়ছে। আর্মেনিয়া থেকে ফিলিপাইন্স, ফ্রান্স থেকে ভিয়েতনাম— সকলেই ভারত থেকে অস্ত্র কিনছে ও কেনার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে। বিগত কয়েক বছরে ভারতের প্রতিরক্ষা রফতানি বিপুল হারে বেড়েছে। যা মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া, মেড ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’ (Make in India Made For The World) নীতির পালে হাওয়া দিয়েছে। এবার সেই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও। জানা গিয়েছে, ভারত থেকে উন্নত আর্টিলারি গান বা কামান কিনতে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশীয় সংস্থা ভারত ফোর্জের সহযোগী প্রতিষ্ঠান কল্যাণী স্ট্র্যাটেজিক সিস্টেমস লিমিটেড (KSSL) এবং এএম জেনারেলের সঙ্গে চুক্তি করেছে ট্রাম্পের আমেরিকা। আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা প্রদর্শনী আইডিএক্স ২০২৫ (IDEX 2025) এ আবু ধাবিতে একটি ইচ্ছাপত্র (Letter of Intent) স্বাক্ষরিত হয়েছে।

    মোদি-ট্রাম্প সাক্ষাতের পর চুক্তি!

    প্রতিরক্ষা খাতে মেক-ইন-ইন্ডিয়া উদ্যোগে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। প্রথমবার ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আর্টিলারি গান সরবরাহ করবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরের পরেই এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের মধ্যে সম্প্রতি একটি দ্বিপাক্ষীয় বৈঠকে ইউএস প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে সুরক্ষা সহযোগিতার অঙ্গীকার করা হয়। দু’দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত আলোচনায় বেশ কয়েকটি বিষয় উঠে এসেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট গত জানুয়ারিতেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে বড় কিছু পদক্ষেপ করতে চলেছেন তিনি। একই সঙ্গে এটাও জানিয়েছিলেন যে, ভারতকে তাঁর দেশ আরও বেশি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিক্রি করতে প্রস্তুত। অন্য দিকে, প্রধানমন্ত্রী মোদি জানিয়েছিলেন, ভারতের প্রতিরক্ষাকে আরও মজবুত করতে আমেরিকা ‘গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা’ নিতে চলেছে। এই আবহেই ভারত থেকে আমেরিকার কামান কেনার কথা সামনে এল।

    চুক্তি থেকে আশা

    কল্যাণী স্ট্র্যাটেজিক সিস্টেমস লিমিটেড সম্প্রতি এএম জেনারেলের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে, যার মাধ্যমে তারা আগামী প্রজন্মের আর্টিলারি সমাধানগুলি, যেমন মাউন্টেড, টোড এবং অতিক্ষুদ্র গানের সিস্টেমগুলি ১০৫ মিমি এবং ১৫৫ মিমি ক্যালিবারে তৈরি করবে। এএম জেনারেল যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য উন্নত আর্টিলারি সমাধান খুঁজে বের করতে কাজ করছে। কেএসএসএল এক ঘোষণায় জানিয়েছে, “এই ইচ্ছাপত্রে স্বাক্ষর আমাদের কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্প্রসারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কেএসএসএল-এর প্রমাণিত আর্টিলারি সক্ষমতা এবং আমাদের প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনকে একত্রিত করে, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য উন্নত আর্টিলারি সমাধান নিয়ে আসার বিশাল সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি।”

  • Maha Shivratri 2025: আজ মহা শিবরাত্রি, স্বপ্নে শিব দর্শন করলে কী লাভ হয় জানেন?

    Maha Shivratri 2025: আজ মহা শিবরাত্রি, স্বপ্নে শিব দর্শন করলে কী লাভ হয় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দুদের অন্যতম পবিত্র উৎসব হল মহা শিবরাত্রি (Maha Shivratri 2025)। শোনা যায়, এই দিনে ভগবান শিব (Lord Shiva) ও দেবী পার্বতীর মিলন হয়েছিল। তাই বিশ্বাস করা হয় যে, এই রাতে ভগবান শিবের শক্তি তার সর্বোচ্চ শিখরে থাকে। যে কারণে এই রাত্রি আধ্যাত্মিক উন্নতি ও স্বর্গীয় আশীর্বাদ লাভের জন্য অনন্য। প্রশ্ন হল, এই বিশেষ রাত্রিতে যদি মহাদেব স্বপ্নে আপনার সামনে উপস্থিত হন? হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, এমন স্বপ্নের গভীর তাৎপর্য রয়েছে। এটি আপনার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ইঙ্গিত হতে পারে।

    মহা শিবরাত্রি (Maha Shivratri 2025)

    হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, মহা শিবরাত্রি ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে পালিত হয়। এ বছর উৎসবটি পালিত হবে আজ ২৬শে ফেব্রুয়ারি। এদিন ভক্তরা দিনভর উপোস করেন। সন্ধেয় মন্দিরে ভগবান শিবের জলাভিষেক করেন। দেবাদিদেব মহাদেবের আশীর্বাদ লাভের জন্য সারা রাত ধরে চার প্রহরের পূজা করেন। স্বপ্নকে প্রায়ই ঐশ্বরিক বার্তা হিসেবে দেখা হয়। মহা শিবরাত্রিতে যদি আপনি স্বপ্নে ভগবান শিবকে দেখেন, তাহলে এটি একটি বিরল ও অত্যন্ত শুভ ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হয়। বিভিন্ন দর্শনের অর্থ কী হতে পারে তা নিয়েই আজকের আলোচনা।

    স্বপ্নে ভগবান শিবকে হাসিমুখে দেখা

    মহা শিবরাত্রিতে (Maha Shivratri 2025) যদি আপনি স্বপ্নে মহাদেবকে আনন্দিত বা হাসিমুখে দেখেন, তাহলে এটি অত্যন্ত শুভ লক্ষণ। এই স্বপ্ন ইঙ্গিত করে যে ভগবান শিবের আশীর্বাদ আপনার ওপর রয়েছে এবং শীঘ্রই আপনার জীবনে সুখবর ও সমৃদ্ধি আসতে চলেছে। স্বপ্নে যদি আপনি একটি শিব মন্দির দেখতে পান, তাহলে এটি বিবেচিত হয় আধ্যাত্মিক জাগরণ ও ঈশ্বরীয় সুরক্ষার প্রতীক হিসেবে। এটি নির্দেশ করে যে মহাদেব আপনার প্রতি প্রসন্ন হয়েছেন। আপনার জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে চলেছে।

    স্বপ্নে যদি আপনি শিবলিঙ্গের দর্শন পান কিংবা দেবী পার্বতীর সঙ্গে শিবকে দেখেন, তা অত্যন্ত শক্তিশালী ও শুভ লক্ষণ। স্বপ্ন শাস্ত্র অনুযায়ী, এই ধরনের দর্শন ইঙ্গিত দেয় যে সামনে কোনও বড় ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে চলেছে। এটি আপনার জীবনে সুখ, সাফল্য ও পরিপূর্ণতা বয়ে আনতে পারে।

    স্বপ্নে ভগবান শিবের পূজা করা

    স্বপ্নে যদি আপনি নিজেকে ভগবান শিবের কাছে প্রার্থনা করতে বা পুজো করতে দেখেন, তবে এটি অত্যন্ত বিরল ও দৈবী দর্শন বলে মনে করা হয়। এটি ইঙ্গিত দেয় যে মহাদেবের বিশেষ আশীর্বাদ আপনার ওপর বর্ষিত হচ্ছে। এটি আপনার জীবনের সমস্ত বাধা দূর করে (Maha Shivratri 2025) শান্তি, সমৃদ্ধি ও সুখের পথ খুলে দেবে (Lord Shiva)।

  • PM Modi: রাশিয়ার বিজয় দিবসে অংশ নেবেন মোদি! কবে মস্কো যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী?

    PM Modi: রাশিয়ার বিজয় দিবসে অংশ নেবেন মোদি! কবে মস্কো যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রাশিয়া সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আগামী ৯ মে মস্কোর রেড স্কোয়ারে অনুষ্ঠিত হবে ‘গ্রেট প্যাট্রিয়টিক ওয়ার’ বা মহান দেশপ্রেমিক যুদ্ধের ৮০তম বিজয় দিবস (Victory Day Parade)। সেই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নিতে রাশিয়ায় যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।

    তাসের প্রতিবেদন (PM Modi)

    বুধবার রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা তাসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাশিয়া সফরের ভীষণ সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৯ মে রেড স্কোয়ারে অনুষ্ঠিত প্যারেডে অংশগ্রহণ করার পরিকল্পনা করছেন। এটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময়, এবং এটি হবে বলেই মনে হচ্ছে।” সূত্রের খবর, ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি সান্ধ্য সামরিক দলও এই প্যারেডে অংশ নেবে। এই দলটি অন্তত এক মাস আগে মস্কো পৌঁছে যাবে। সেখানেই চলবে প্যারেডের জন্য প্রস্তুতি।

    মস্কোর অনুষ্ঠানে ভারতের সেনা

    জানা গিয়েছে, ভারতের সেনা কর্মীদের রাশিয়ায় পাঠানোর বিষয়টি নিয়ে বর্তমানে আলোচনা চলছে। ভারতের সামরিক প্রতিনিধিরা রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের অংশগ্রহণের বিষয়টি চূড়ান্ত করছেন। এর আগে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ জানিয়েছেন যে, বেশ কিছু দেশ ইতিমধ্যেই মস্কোর অনুষ্ঠানে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে।

    রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাংবাদিক সম্মেলনে (PM Modi) দিমিত্রি পেসকভ বলেন, “সিআইএস (কমনওয়েলথ অব ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্টেটস)-এর বাইরে অন্য দেশগুলোকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে।” তিনি আরও বলেন, “যাঁরা বিজয় দিবসের গুরুত্ব উপলব্ধি করেন, রাশিয়া তাঁদের সবাইকে মস্কোয় স্বাগত জানাবে।”

    মোদির এই সফর কেন গুরুত্বপূর্ণ?

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই সফর বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে। কারণ তিনি যে সময় রাশিয়ায় যাচ্ছেন, সেই সময় ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের জন্য রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে আলোচনা চলছে। সম্প্রতি সৌদি আরবে প্রথম দফার আলোচনায় অংশ নেন রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা। সেখানেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শান্তির পক্ষে জোরালো অবস্থান নেন। রাশিয়া সফরের সময় তিনি প্রেসিডেন্ট পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি উভয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন (Victory Day Parade)। তিনি যে যুদ্ধ নয়, শান্তির পক্ষেই, সেই অবস্থানও স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন (PM Modi)।

  • Veer Savarkar: ‘জাতি কখনওই ভুলতে পারবে না তাঁর অবদান’, সাভারকরের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রীর

    Veer Savarkar: ‘জাতি কখনওই ভুলতে পারবে না তাঁর অবদান’, সাভারকরের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী বিনায়ক দামোদর সাভারকরের (Veer Savarkar) মৃত্যুবার্ষিকীতে জাতির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আজ, ২৬ ফেব্রুয়ারি, বুধবার প্রধানমন্ত্রী মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীর মৃত্যুবার্ষিকীতে জাতির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা আন্দোলনে তাঁর অমূল্য অবদানের কথা জাতি কখনওই ভুলতে পারবে না। তিনি লেখেন, “সমস্ত দেশবাসীর পক্ষ থেকে বীর সাভারকরজিকে তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি। তপস্যা, ত্যাগ, সাহস ও সংগ্রামে ভরা স্বাধীনতা আন্দোলনে তাঁর অমূল্য অবদান কৃতজ্ঞ জাতি কখনও ভুলতে পারবে না।”

    বীর সাভারকর (PM Modi)

    ১৮৮৩ সালে ২৮ মে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বীর সাভারকর (Veer Savarkar)। খুব অল্প বয়সেই তিনি শুরু করেছিলেন তাঁর রাজনৈতিক যাত্রা। তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন যে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে স্বদেশি ভাবনা ও বিদেশি পণ্যের বর্জন, শিক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং বিপ্লবী চেতনার বিকাশ অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব সাভারকর ছিলেন একজন আইনজীবী, লেখক ও সমাজকর্মী। তিনি বহু গ্রন্থ রচনা করেছেন। তাঁর লেখা ‘হিন্দুত্ব: হু ইজ আ হিন্দু?’ বইটির জন্য তিনি বিশেষ খ্যাতি লাভ করেন।

    কারাদণ্ড ভোগ

    মর্লে-মিন্টো সংস্কারের বিরোধিতা করায় সাভারকরকে (Veer Savarkar) ১৯১১ সালে আন্দামানের সেলুলার জেলে ৫০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তবে ১৯২৪ সালে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর,  তিনি রত্নগিরিতে অস্পৃশ্যতা দূর করার লক্ষ্যে কাজ করেন। পরে সাভারকর হন হিন্দু মহাসভার সভাপতি। ১৯৪২ সালে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের বিরোধিতা করেন তিনি। ভারতের (PM Modi) বিভাজন মেনে নেওয়ার জন্য ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসেরও সমালোচনা করেছিলেন এই দেশপ্রেমিক।

    সাভারকরকে (Veer Savarkar) শ্রদ্ধা জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, তিনি ছিলেন একজন গতিশীল চিন্তক, জাতীয়তাবাদী ভাবনার ধারক এবং মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “… সাভারকরজি তাঁর জীবনের মাধ্যমে দেখিয়েছিলেন কীভাবে মাতৃভূমি, নিজের সংস্কৃতি এবং জাতির জন্য ত্যাগ ও নিবেদনের শিখরে পৌঁছানো যায়। জাতীয় ঐক্যের দৃঢ় ভিত্তি স্থাপন করে সমাজকে জাত-পাতের বেড়াজাল থেকে মুক্ত করেছিলেন যে সাভারকরজি (Veer Savarkar), তাঁর জীবনগাথা মাতৃভূমির সেবার পথে ধ্রুবতারার মতো অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যাবে (PM Modi)।”

  • Maha Kumbh 2025: মহা শিবরাত্রিতে মহাকুম্ভে শেষ অমৃত স্নান! উপচে পড়ল ভিড়, কন্ট্রোল রুমে বসে যোগী

    Maha Kumbh 2025: মহা শিবরাত্রিতে মহাকুম্ভে শেষ অমৃত স্নান! উপচে পড়ল ভিড়, কন্ট্রোল রুমে বসে যোগী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহা শিবরাত্রির (Maha Shivratri) উপলক্ষে মহা কুম্ভের শেষ অমৃত ‘স্নান’ (Last Amrit Snan)। মহা কুম্ভের (Maha Kumbh 2025) শেষ দিনে পবিত্র স্নান করার জন্য ত্রিবেণী সঙ্গমে (Prayagraj Sangam) বিপুল ভক্ত সমাগম। কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তৎপর উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। গোটা পরিস্থিতির ওপর নিজের অফিস থেকে নজরদারি চালাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) স্বয়ং। জানা গিয়েছে, গোরক্ষনাথ মন্দিরে একটি কন্ট্রোল রুম খুলেছেন যোগী। সেখান থেকেই অনবরত নজরদারি চালাচ্ছেন তিনি। উত্তরপ্রদেশ সরকারের হিসেব জানাচ্ছে, এদিন সকাল ১১টা পর্যন্ত প্রায় ৮২ লক্ষ মানুষ পুণ্যডুব দিয়েছেন। এদিন সকালে এক্স হ্যান্ডলে যোগী আদিত্যনাথ জানান, কুম্ভে ৬৩.৬৩ কোটি মানুষ স্নান করেছেন। মেলা শেষে সেই সংখ্যা আরও বাড়বে, তা নিশ্চিত।

    লাখ লাখ পূণ্যার্থী প্রয়াগরাজে

    গত ১৩ জানুয়ারি মহাকুম্ভের (Maha Kumbh 2025) সূচনা ঘটেছিল। ৬ সপ্তাহ ধরে চলেছে এই ধর্মীয় ‘মহামিলন’। এর মধ্যে মোট ৬ দিন ‘শাহি স্নানের যোগ’ ছিল- ১৩ জানুয়ারি (পৌষ পূর্ণিমা), ১৪ জানুয়ারি (মকর সংক্রান্তি), ২৯ জানুয়ারি (মৌনী অমাবস্যা), ৩ ফেব্রুয়ারি (বসন্ত পঞ্চমী), ১২ ফেব্রুয়ারি (মাঘী পূর্ণিমা), ২৬ ফেব্রুয়ারি (মহা শিবরাত্রি)। মহাকুম্ভের শেষ শাহি স্নানের সময় সঙ্গমে ডুব দিতে ভোররাত থেকেই ঘাটে ঘাটে ভিড় জমিয়েছেন লক্ষাধিক পূণ্যার্থী। মহা শিবরাত্রি (Maha Shivratri) উপলক্ষে মহাকুম্ভে ডুব দিয়ে পুণ্য অর্জনের ‘শেষ সুযোগ’ যাতে হাতছাড়া না হয়ে যায়, তার জন্যে লাখ লাখ পুণ্যার্থী প্রয়াগরাজে ভিড় জমিয়েছেন।

    কুম্ভে কড়া নিরাপত্তা

    শেষ অমৃত স্নান (Last Amrit Snan) উপলক্ষে গোটা কুম্ভ এলাকায় গাড়ি চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এদিকে আজ কোনও ভিআইপি-র জন্যে বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হবে না কুম্ভে। এদিকে পুণ্যার্থীদের উদ্দেশে একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। নিকটবর্তী ঘাটেই স্নান করতে বলা হয়েছে পুণ্যার্থীদের। এদিকে উত্তরপ্রদেশ পুলিশে ডিআইজি (কুম্ভ) বৈভব কৃষ্ণ দাবি করেছেন, শিবরাত্রিতে ‘জোড়া পরিস্থিতি’ সামাল দেওয়ার মতো প্রস্তুতি করেছে পুলিশ বাহিনী। ৩৭ হাজার পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে, ১৪ হাজার হোমগার্ড মোতায়েন করা হয়েছে। ২৭৫০টি এআই ভিত্তিক সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। ৩টি জল পুলিশ স্টেশন বসানো হয়েছে। এছাড়াও ১৮টি জল কন্ট্রোল রুম বসানো হয়েছে। এরই সঙ্গে ৫০টি ওয়াচটাওয়ার বসানো হয়েছে। এর পাশাপাশি ২৪ ঘণ্টা ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরারি চালানো হচ্ছে যাতে কোনও ভুয়ো খবর না ছড়ানো হয়। ভারতীয় রেলওয়েও মহা শিবরাত্রির (Maha Shivratri) জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, ২৬ ফেব্রুয়ারি মহা কুম্ভ ২০২৫-এর (Maha Kumbh 2025) চূড়ান্ত অমৃত স্নানের (Last Amrit Snan) পর তীর্থযাত্রীদের ফিরে যাওয়ার সুবিধার্থে প্রয়াগরাজ থেকে ৩৫০ টিরও বেশি অতিরিক্ত ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।

  • Trump’s Gold Card: মার্কিন নাগরিকত্ব পেতে গুনতে হবে ৪৩ কোটি টাকা! ‘গোল্ড কার্ড’ চালুর ঘোষণা ট্রাম্পের

    Trump’s Gold Card: মার্কিন নাগরিকত্ব পেতে গুনতে হবে ৪৩ কোটি টাকা! ‘গোল্ড কার্ড’ চালুর ঘোষণা ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিবাসন নীতিতে বড় পরিবর্তন আনছে আমেরিকা। মার্কিন মুলুকে অভিবাসীদের নাগরিকত্ব পেতে এত দিন চালু ছিল ‘গ্রিন কার্ড’। এ বার চালু হতে চলেছে ‘গোল্ড কার্ড’। ‘গ্রিন কার্ড’-এর নতুন সংস্করণ এটি। মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন নীতির কথা ঘোষণা করেন। এবার আমেরিকার নাগরিকত্ব পেতে হলে গুনতে হবে পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ৪৩ কোটি টাকা। ওই পরিমাণ টাকা দিলেই মিলবে ‘গোল্ড কার্ড’, যা আমেরিকায় নাগরিকত্বের প্রমাণ।

    কী বলছেন ট্রাম্প

    ট্রাম্পের কথায়, ‘‘আমরা আমেরিকায় গোল্ড কার্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করেছি। এতে গ্রিন কার্ডের সুবিধাও মিলবে, যা আমেরিকায় নাগরিকত্বের নতুন পথ খুলে দেবে। ধনী ব্যক্তিরা এই কার্ড কিনে আমাদের দেশে আসতে পারবেন। এখানে এসে তাঁরা প্রচুর অর্থ ব্যয় করবেন, কর দেবেন, সেই সঙ্গে কর্মসংস্থানও তৈরি করবেন। এ দেশে এসে তাঁরা সফল হবেন।’’ তাঁর আশা ১০ লক্ষ কার্ড বিক্রি হবেই। আর সেই বিপুল অর্থ দিয়ে আমেরিকার যত ঋণ রয়েছে সব শোধ করা যাবে। কিন্তু যদি স্রেফ অর্থ দিয়েই নাগরিকত্ব ‘কেনা’ যায়, তাহলে তো রুশরাও আমেরিকায় এসে নাগরিক হয়ে যেতে পারে? সাংবাদিকদের এহেন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্পকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘হ্যাঁ, আসতেই পারে। আমি তো কয়েকজন রুশ ধনকুবেরকে চিনি, যাঁরা খুবই সজ্জন ব্যক্তি।’’

    কবে থেকে ‘গোল্ড কার্ড’ চালু

    ট্রাম্প জানান, আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যেই নতুন প্রক্রিয়া চালু হয়ে যাবে। এর জন্য আমেরিকান কংগ্রেসের অনুমোদনের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন না ট্রাম্প। তবে কী ভাবে ‘গোল্ড কার্ড’ পাওয়া যাবে বা প্রক্রিয়া বাস্তবায়িত হবে, সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনও ধারণা দেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। উল্লেখ্য, আমেরিকায় বিদ্যমান ‘ইবি-৫ প্রোগাম’কে প্রতিস্থাপন করতে চলছে এই ‘গোল্ড কার্ড’ সিস্টেম। নতুন এই সিস্টেম চালু করা হলে ‘ইবি-৫ প্রোগাম’ আর থাকবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। দ্বিতীয় বার আমেরিকায় ক্ষমতায় এসেই একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প। আমেরিকা থেকে অবৈধ অভিবাসীদের নিজ নিজ দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

  • Increasing Pain: ঘুম থেকে উঠেই ক্লান্তি, বাড়ছে যন্ত্রণা! কেন হচ্ছে এই সমস্যা?

    Increasing Pain: ঘুম থেকে উঠেই ক্লান্তি, বাড়ছে যন্ত্রণা! কেন হচ্ছে এই সমস্যা?

    মাধ্যম ডেস্কঃ ঘুম ভাঙার পরেই ক্লান্তি বোধ কিংবা একটা অবসন্নতা গ্রাস করে নিচ্ছে। অথবা ঘুম ভেঙেই শরীরে তীব্র যন্ত্রণা (Increasing Pain), মাথার ভিতরে অস্বস্তি (Tired)! কোনও কাজেই মনোযোগ দেওয়া যাচ্ছে না, কিংবা হাত-পায়ের জোর পাওয়া যাচ্ছে না।‌ তাই কাজ করার ইচ্ছেও তৈরি হচ্ছে না। ঘুম থেকে উঠে অনেকেই এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সকালে উঠে বহু মানুষ একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন। আর এই ভুক্তভোগীদের মধ্যে তরুণ প্রজন্মের সংখ্যা বেশি। ক্লান্তি বোধ কিংবা কাজ করার মতো প্রয়োজনীয় শক্তির অভাব যে দেখা দিচ্ছে, তার রেশ থাকছে দিনভর। এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়ছে। তবে চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কয়েকটি বিষয়ে নজর দিলেই এই ধরনের সমস্যা কমতে পারে। কেন‌ বাড়ছে এই সমস্যা?

    রাতে পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব (Increasing Pain)!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাতে পর্যাপ্ত ঘুম না হলে নানান শারীরিক জটিলতা তৈরি হতে পারে। আর তার জেরেই বাড়তে পারে ক্লান্তি। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রাপ্তবয়স্কদের রাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে এখন ঘুমের জন্য বরাদ্দের সময়  কমছে। কম বয়সিদের রাত জাগার প্রবণতা বাড়ছে। এর ফলে রাতের জন্য ঘুমের বরাদ্দ সময় কম হচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাতে অপর্যাপ্ত ঘুম শরীরে হরমোনের ভারসাম্যের অভাব (Tired) ঘটায়। পাশাপাশি মস্তিষ্কের ক্লান্তি (Increasing Pain) বাড়ায়। রাতে ঠিকমতো ঘুম না হলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে। এর জেরে শরীরে ক্লান্তি বাড়ে।

    অনিয়মিত ঘুমের রুটিন!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশের ঘুমের নির্ধারিত সময় নেই। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, একেক দিন ঘুমের জন্য একেক সময় বরাদ্দ। এর ফলে বায়োলজিক্যাল ক্লক ঠিকমতো মানিয়ে নিতে পারছে না। শরীরের স্নায়ু ও পেশির আরামের সময় ঠিক থাকছে না। এর ফলেই শরীরে যন্ত্রণা দেখা দিচ্ছে। স্নায়ু ও পেশি দিনভর সক্রিয় থাকার জন্য নির্দিষ্ট সময়ে পর্যাপ্ত বিশ্রাম জরুরি। সেটা না থাকার জেরেই ঘুম থেকে উঠেও ক্লান্তিবোধ ও দূর্বলতা (Tired) গ্রাস করছে।

    দিনের অধিকাংশ সময়ে বসে থাকা!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ অধিকাংশ সময়ে ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটারে কাজ করেন। এর ফলে তাদের একভাবেই বসে থাকতে হয়। এই অভ্যাস অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর (Increasing Pain)। তাঁরা জানাচ্ছেন, একনাগাড়ে বসে থাকার জেরে শরীরের বিভিন্ন পেশির কার্যকারিতা ঠিকমতো হয় না। অনেক সময়েই এর জেরে রাতে ঘুম হয় না। তাই তাঁদের পরামর্শ, ক্যালোরি বার্ন হয় এমন কিছু কাজ নিয়মিত করা জরুরি।

    শরীরে জলের ঘাটতি!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, জল পর্যাপ্ত না খেলে ঘুম থেকে উঠে একাধিক শারীরিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। শরীরে জলের অভাব থাকলে হজমের গোলমাল হতে পারে, স্নায়ু দূর্বল হতে পারে, অন্ত্রের নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই শরীরে জলের অভাব হলেও ঘুম থেকে উঠে নানান সমস্যা হতে পারে।

    কীভাবে এই সমস্যার মোকাবিলা সম্ভব?

    চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, নিয়মিত দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় যোগাভ্যাসের জন্য বরাদ্দ প্রয়োজন। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয়। হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। পাশপাশি শারীরিক কসরত করলে পেশি ও সক্রিয় থাকে। এর ফলে শরীরের একাধিক সমস্যা কমবে আবার ঘুমও ভালো হবে।

    রাতে নির্দিষ্ট সময় ঘুমের জন্য বরাদ্দ করতে হবে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমের অভ্যাস করতে হবে। এতে শরীর ভালো থাকবে। বিশেষত মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বজায় রাখতে এই অভ্যাস খুবই জরুরি।

    মশলাদার খাবার খাওয়া চলবে না

    বেশি রাতে অতিরিক্ত মশলাদার খাবার খাওয়া চলবে না বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সকালে নানান শারীরিক সমস্যা কমাতে বিশেষত ঘুম থেকে উঠে বমিভাব বা পেটের সমস্যার মতো জটিলতা এড়াতে হলে রাতে হালকা খাবার খাওয়ায় অভ্যস্ত হতে হবে। এতে পাকস্থলী, লিভার ও অন্ত্র ও সুস্থ (Tired) থাকবে।

    দিনভর পর্যাপ্ত জল খেতে হবে। যাতে রাতে ঘুমের মধ্যে শরীরে জলের ঘাটতি না দেখা দেয়। রাতের ঘুম অন্তত সাত ঘণ্টা হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। না হলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্যের অভাব (Increasing Pain) হবে। নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Mahakumbh: আজ মহাশিবরাত্রিতে মহাকুম্ভে চলছে শেষ পুণ্যস্নান, এর আধ্যাত্মিক মাহাত্ম্য জানুন

    Mahakumbh: আজ মহাশিবরাত্রিতে মহাকুম্ভে চলছে শেষ পুণ্যস্নান, এর আধ্যাত্মিক মাহাত্ম্য জানুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বুধবার মহাশিবরাত্রি। মহাকুম্ভে (Mahakumbh) চলছে শেষ পুণ্যস্নান। গতকালই উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের তরফ থেকে যে রিপোর্ট সামনে এসেছে সেখানে দেখা যাচ্ছে ইতিমধ্যে ৬৪ কোটি ভক্ত পবিত্র স্নান সেরেছেন প্রয়াগরাজে। আজকের মহাশিবরাত্রির স্নানের রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব। এমনটাই জানাচ্ছেন শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা। এই প্রতিবেদনে আমরা মহাশিবরাত্রিতে (Maha Shivratri) কুম্ভ স্নানের গুরুত্ব নিয়েই আলোচনা করব।

    মহা শিবরাত্রিতে ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নানের গুরুত্ব

    চলতি বছরে মহাশিবরাত্রি (Maha Shivratri) উপলক্ষে সূর্য, চন্দ্র এবং শনির একটি বিশেষ ত্রিগ্রহী যোগ তৈরি হচ্ছে। এই যোগকে সমৃদ্ধি এবং সাফল্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করছেন জ্যোতিষীরা। আরও জানা যাচ্ছে, এই দিনে শিব যোগ এবং সিদ্ধ যোগের সংমিশ্রণ রয়েছে। অনেকের মতে, মহা শিবরাত্রিতে অমৃত সিদ্ধি যোগও তৈরি হচ্ছে। হিন্দুদের ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, এই সময়ে ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান করলে একজন ব্যক্তির ওপর ভগবান শিবের বিশেষ কৃপা লাভ হয় বলেও জানাচ্ছেন অনেকে।

    মহা শিবরাত্রিতে মহাকুম্ভের (Mahakumbh) স্নান

    মহা শিবরাত্রি উপলক্ষে মহাকুম্ভে (Mahakumbh) স্নানের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। যাঁরা মহাকুম্ভে রয়েছেন তাঁরা এই দিনে, ব্রহ্ম মুহূর্তে পবিত্র সঙ্গমে স্নান করতে পারেন। যদি এটি সম্ভব না হয়, তা হলে স্নানের জলে গঙ্গাজল মিশিয়ে বাড়িতে স্নান করতেও পারেন। এর পর রাখতে হবে উপবাস। শাস্ত্রকাররা বলছেন, বালি বা কাদামাটি দিয়ে একটি শিবলিঙ্গ তৈরি করে তাতে গঙ্গা জল দিয়ে জলাভিষেক করুতে পারেন। একইসঙ্গে শিবলিঙ্গে পঞ্চামৃত নিবেদন করুতে পারেন। মহাকুম্ভস্থলেও করতে পারেন এমন মাটির শিবলিঙ্গ। এর পাশপাশি সঙ্গমস্থলে পূর্বপুরুষদের নামে তর্পণ করলে পুণ্য মেলে। মহাকুম্ভের (Mahakumbh) পবিত্র স্থানে জাফরান মিশ্রিত ক্ষীর উৎসর্গ করুতে পারেন। এর পাশাপাশি রাতে ঘি-এর প্রদীপ জ্বালিয়ে চারবার পূজো করতে পারেন। নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী এদিন দানও করতে পারেন। সারা রাত জেগে কাটিয়ে দিতে পারেন।

    মহাশিবরাত্রিতে মহাকুম্ভে (Mahakumbh) স্নান করলে কী কী ফল মেলে

    মহাশিবরাত্রি উৎসবে মহাকুম্ভ স্নান করার বিশেষ কিছু ফল রয়েছে, যা ভক্তদের মন, আত্মা এবং শরীরের পবিত্র করে বলেই জানা যায়। মহাশিবরাত্রি হিন্দু ধর্মের এক অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব, যা সারা দেশে ব্যাপক উৎসাহের সঙ্গে পালন করতে দেখা যায়। সারা দেশের লক্ষ লক্ষ ভক্ত শিবের আশীর্বাদ লাভের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন পুণ্যস্থানে ভ্রমণ করে থাকেন। তবে চলতি বছরের শিবরাত্রি বিশেষ। কারণ ২০২৫ সালের মহাশিবরাত্রি বিশেষ। কারণ এটি মহাকুম্ভ মেলার শেষ দিনে পড়েছে। মোক্ষ লাভ করতে আজকের স্নান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা।

    দেহ ও আত্মার পবিত্রতা: মহাশিবরাত্রিতে মহাকুম্ভ স্নান শরীর এবং আত্মা দুইই পবিত্র করে। এটি ভক্তদের পুরনো পাপ থেকে মুক্তি দেয় এবং তাঁদের আত্মিক উন্নতি সাধনে সাহায্য করে।

    মোক্ষের প্রাপ্তি: মহাশিবরাত্রিতে প্রয়াগে স্নান মোক্ষ বা মুক্তি লাভের অন্যতম উপায় হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি মানব জীবনের দুর্দশা এবং পুনর্জন্মের চক্কর থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

    পূর্বজন্মের পাপ থেকে মুক্তি: মহাকুম্ভের শিবরাত্রি তিথির অমৃত স্নান জীবনে নিয়ে আসে আত্মবিশ্বাস। মেলে অপার শান্তি। শাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের মতে, এই স্নানটি বহু জন্মের পাপ থেকে মুক্তি দেয়।

    আধ্যাত্মিক উন্নতি: মহাশিবরাত্রির রাতটি শিবের শক্তির উচ্চতম পর্যায়ে থাকে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এই সময়ে মহাকুম্ভে অমৃত স্নান করলে এটি ভক্তদের আধ্যাত্মিক জাগরণের দিকে নিয়ে যায়। দেহ, মন এবং আত্মা একত্রিত হয়ে তা দিব্য শক্তির সঙ্গে সংযুক্ত হয়।

    শিবের আশীর্বাদ মেলে: মহাকুম্ভ স্নান করার সময় শিব নিজে ভক্তদের আশীর্বাদ প্রদান করেন বলে ভক্তদের বিশ্বাস। যাঁরা এই দিনে পবিত্র স্নান করেন, তাঁদের জন্য শিবের করুণা বিশেষভাবে মেলে।

    শান্তি ও মানসিক স্বস্তি: আরও জানা যাচ্ছে, এই পবিত্র স্নান ভক্তদের মানসিক দুশ্চিন্তা, হতাশা এবং নেতিবাচক চিন্তা থেকে মুক্তি দেয়। অনেক ভক্ত এই স্নানের পর অভ্যন্তরীণ শান্তি এবং মানসিক পরিচ্ছন্নতা অনুভব করেন।

    শিবরাত্রি (Maha Shivratri) তিথিতে মহাকুম্ভ স্নানে আসে পবিত্রতা

    প্রসঙ্গত, বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক, আধ্যাত্মিক মিলনমেলা হল মহাকুম্ভ। প্রতি ১২ বছরে একবার ভারতের চারটি পবিত্র নদী তীরের শহরে অনুষ্ঠিত হয়—হরিদ্বার, প্রয়াগরাজ, নাসিক, এবং উজ্জয়নী। প্রতি ১২টি কুম্ভে অনুষ্ঠিত হয় একটি মহাকুম্ভ। যা চলতি বছরে সম্পন্ন হল। আজ মহাশিবরাত্রির সঙ্গে কুম্ভ মেলা। এরফলে অমৃত স্নানের আধ্যাত্মিক গুরুত্ব আরও বেড়ে গিয়েছে। শাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের মতে, মহাশিবরাত্রির রাতটি একমাত্র সময়, যখন শিবের আধ্যাত্মিক শক্তি এবং পবিত্র নদীর স্নানের আধ্যাত্মিক শক্তি একত্রিত হয়। অনেকেই বলছেন, এই অমৃত স্নান ভক্তদের জন্য একটি বিশেষ সুযোগ, যা তাদের আধ্যাত্মিক উন্নতি এবং দেহ ও মনকে পবিত্র করার জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে।

LinkedIn
Share