Tag: bangla news

bangla news

  • Sukanta Majumdar: মমতার ‘মৃত্যুকুম্ভ’ মন্তব্য, শুভেন্দুদের সাসপেন্ড ইস্যুতে রাজ্যপালকে চিঠি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: মমতার ‘মৃত্যুকুম্ভ’ মন্তব্য, শুভেন্দুদের সাসপেন্ড ইস্যুতে রাজ্যপালকে চিঠি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘মৃত্যুকুম্ভ’ মন্তব্যে প্রতিবাদ জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। চিঠি দিলেন রাজ্যপালকে। এই চিঠিতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (CV Ananda Bose) হস্তক্ষেপ দাবি করেন তিনি। সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) অভিযোগ, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য সারা ভারত এবং তার বাইরেও ছড়িয়ে থাকা লক্ষ লক্ষ হিন্দুর ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর মতো প্রশাসনিক আসনে আসীন কোনও ব্যক্তির কাছ থেকে এমন আচরণ একেবারেই অনভিপ্রেত।’’ একইসঙ্গে শুভেন্দু সহ চার বিধায়ককে সাসপেন্ড করার প্রসঙ্গ নিয়ে অন্য আরেকটি চিঠি লিখেছেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। দলের বিধায়কদের সাসপেন্ড করা নিয়ে রাজ্যপালকে চিঠিতে সুকান্ত লিখেছেন, ‘‘অধিবেশনের শালীনতা বজায় রাখা দরকার বলে আমি মনে করি। কিন্তু, এটা উদ্বেগের যে যেসব বিধায়ক বাংলার মানুষের কথা তুলে ধরেন, তাঁদেরই বারবার সাসপেন্ড করেন স্পিকার।’’

    সাসপেন্ড প্রত্যাহারের আবেদন

    শুভেন্দুদের ওপর থেকে সাসপেনশন প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়ে সুকান্ত লেখেন, ‘‘রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য পরামর্শ দিতে আপনাকে অনুরোধ করছি। বিরোধী দলনেতা-সহ বাকিদের উপর থেকে দ্রুত সাসপেনশন প্রত্যাহারের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।’’

    মহাকুম্ভ মেলা হিন্দুদের পবিত্র জমায়েত (Sukanta Majumdar)

    মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে সুকান্ত তাঁর পাঠানো চিঠিতে রাজ্যপালকে লিখেছেন, ‘‘মহাকুম্ভ মেলা হিন্দু ঐতিহ্যের অন্যতম পবিত্র জমায়েত। যা আস্থা, উৎসর্গ এবং আধ্যাত্মিক উন্মেষের প্রতীক। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারা এই আয়োজনকে মৃত্যুকুম্ভ বলার অর্থ হল, তা আসলে সেই কোটি কোটি ভক্তের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন, যাঁরা মহাকুম্ভে অংশগ্রহণ করেছেন।’’ বিজেপির রাজ্য সভাপতির আশঙ্কা, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য ‘শুধুমাত্র ধর্মীয় ঐতিহ্যের প্রতি অসম্মান প্রদর্শনই নয়, সেইসঙ্গে এর ফলে সমাজে অপ্রয়োজনীয়ভাবে বিভাজনও সৃষ্টি হবে।’’

    রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি

    নিজের চিঠিতে সব শেষে এই ঘটনায় রাজ্যপাল সিভি বোসের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) । তিনি এও আবেদন জানিয়েছেন, বিধানসভার রেকর্ড থেকে যেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতার অংশটুকু বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে তাঁর এই মন্তব্যের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন, রাজ্যপালকে সেই বিষয়টিও দেখতে আর্জি জানিয়েছেন সুকান্ত।

  • Ramakrishna 275: “মন ধোপাঘরের কাপড়, লালে ছোপাও লাল—নীলে ছোপাও নীল, যে রঙে ছোপাবে সেই রঙ হয়ে যাবে”

    Ramakrishna 275: “মন ধোপাঘরের কাপড়, লালে ছোপাও লাল—নীলে ছোপাও নীল, যে রঙে ছোপাবে সেই রঙ হয়ে যাবে”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ১৯শে সেপ্টেম্বর

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ও শ্রীযুক্ত রাধিকা গোস্বামী

    পূর্বকথা—কেশব সেনের বাটীতে নিরাকারের ভাব—বিজয় গোস্বামীর সঙ্গে এঁড়েদর গদাধরের
    পাঠবাড়িদর্শন—বিজয়ের চরিত্র

    “মনেই বদ্ধ মুক্ত। দুই বন্ধু—একজন বেশ্যালয়ে গেল, একজন ভাগবত শুনছে। প্রথমটি ভাবছে —ধিক্‌ আমাকে—বন্ধু হরিকথা শুনছে আর আমি কোথা পড়ে রয়েছি। আর-একজন ভাবছে, ধিক্‌ আমাকে, বন্ধু কেমন আমোদ-আহ্লাদ করছে, আর আমি শালা কি বোকা! দেখো প্রথমটিকে বিষ্ণুদূতে নিয়ে গেল— বৈকুণ্ঠে (Kathamrita)। আর দ্বিতীয়টিকে যমদূতে নিয়ে গেল”।

    প্রিয়—মন যে আমার বশ নয়।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—সে কি! অভ্যাস যোগ। অভ্যাস কর, দেখবে মনকে যেদিকে নিয়ে যাবে, সেইদিকেই যাবে।

    “মন ধোপাঘরের কাপড়। তারপর লালে ছোপাও লাল—নীলে ছোপাও নীল। যে রঙে ছোপাবে সেই রঙ হয়ে যাবে।

    (গোস্বামীর প্রতি)—“আপনাদের কিছু কথা আছে?”

    গোস্বামী (অতি বিনীতভাবে)—আজ্ঞে না,—দর্শন হল। আর কথা তো সব শুনছি।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—ঠাকুরদের দর্শন করুন।

    গোস্বামী (অতি বিনীতভাবে)—একটু মহাপ্রভুর গুণানুকীর্তন —

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) গোস্বামীকে গান শুনাইতেছেন:

    গান   —   আমার অঙ্গ কেন গৌর হলো!

    গান   —   গোরা চাহে বৃন্দাবনপানে, আর ধারা বহে দুনয়নে ॥
    ভাব হবে বইকি রে!) (ভাবনিধি শ্রীগৌরাঙ্গের)
    (যার অন্তঃ কৃষ্ণ বহিঃ গৌর) (ভাবে হাসে কাঁদে নাচে গায়)
    (বন দেখে বৃন্দাবন ভাবে) (সমুদ্র দেখে শ্রীযমুনা ভাবে)
    (গোরা আপনার পা আপনি ধরে)

    শ্রীযুক্ত রাধিকা গোস্বামীকে সর্বধর্ম-সমন্বয় উপদেশ

    গান সমাপ্ত হইল — ঠাকুর কথা (Kathamrita) কহিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (গোস্বামীর প্রতি)—এ তো আপনাদের (বৈষ্ণবদের) হল। আর যদি কেউ শাক্ত, কি ঘোষপাড়ার মত আসে, তখন কি বলব!

    “তাই এখানে সব ভাবই আছে—এখানে সবরকম লোক আসবে বলে; বৈষ্ণব, শাক্ত, কর্তাভজা, বেদান্তবাদী; আবার ইদানীং ব্রহ্মজ্ঞানী।

    “তাঁরই ইচ্ছায় নানা ধর্ম নানা মত (Kathamrita) হয়েছে।

    “তবে তিনি যার যা পেটে সয় তাকে সেইটি দিয়েছেন। মা সকলকে মাছের পোলোয়া দেয় না। সকলের পেটে সয় না। তাই কাউকে মাছের ঝোল করে দেন।

    “যার যা প্রকৃতি, যার যা ভাব, সে সেই ভাবটি নিয়ে থাকে।

    “বারোয়ারিতে নানা মূর্তি করে,—আর নানা মতের লোক যায়। রাধা-কৃষ্ণ, হর-পার্বতী, সীতা-রাম; ভিন্ন ভিন্ন স্থানে ভিন্ন ভিন্ন মূর্তি রয়েছে, আর প্রত্যেক মূর্তির কাছে লোকের ভিড় হয়েছে। যারা বৈষ্ণব তারা বেশি রাধা-কৃষ্ণের কাছে দাঁড়িয়ে দেখছে। যারা শাক্ত তারা হর-পার্বতীর কাছে। যারা রামভক্ত তারা সীতা-রাম মূর্তির (Ramakrishna) কাছে।

    “তবে যাদের কোন ঠাকুরের দিকে মন নাই তাদের আলাদা কথা। বেশ্যা উপপতিকে ঝাঁটা মারছে,—বারোয়ারিতে এমন মূর্তিও করে। ও-সব লোক সেইখানে দাঁড়িয়ে হাঁ করে দেখে, আর চিৎকার করে বন্ধুদের বলে, ‘আরে ও-সব কি দেখছিস, এদিকে আয়! এদিকে আয়!”

    সকলে হাসিতেছেন। গোস্বামী প্রণাম করিয়া বিদায় গ্রহণ করিলেন।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

  • Rekha Gupta: দিল্লির পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির রেখা গুপ্ত, উপমুখ্যমন্ত্রী পারবেশ

    Rekha Gupta: দিল্লির পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির রেখা গুপ্ত, উপমুখ্যমন্ত্রী পারবেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির রেখা গুপ্ত (Rekha Gupta)। উপমুখ্যমন্ত্রী পারবেশ বর্মা। বুধবার সন্ধ্যায় বিজেপির বৈঠকে বেছে নেওয়া হয় রেখা এবং পারবেশকে (Delhi CM)। প্রায় ২৭ বছর পরে দিল্লির কুর্সিতে ফিরছে বিজেপি। আপ দুর্গে ধস নামিয়ে দিল্লির ক্ষমতায় এসেছে পদ্ম শিবির। তার পরেই জল্পনা শুরু হয় দিল্লির কুর্সিতে কে বসবেন বিজেপির। এদিন বৈঠক শেষে বিজেপির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় রেখার নাম।

    জয়ী পদ্ম পার্টি (Rekha Gupta)

    ৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হয় দিল্লি বিধানসভার। ৭০ আসনের বিধানসভায় ৪৮টি কেন্দ্রে জয়ী হয়েছে পদ্ম পার্টি। রাজ্যের শাসক দল আপ পেয়েছে মাত্র ২২টি আসন। খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে কংগ্রেসকে। গোহারা হেরে গিয়েছেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। বৃহস্পতিবার দিল্লির রামলীলা ময়দানে হবে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে রামলীলা ময়দান সাজানোর কাজ (Rekha Gupta)। এখানেই দুপুর ১২টায় হবে শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠান।

    শপথের প্রস্তুতি

    সরকারি এক আধিকারিক বলেন, “শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে রামলীলা ময়দান। ২৫ হাজারেরও বেশি নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হবে।” তিনি বলেন, “২৫ হাজারেরও বেশি পুলিশ কর্মী ও ১৫ কোম্পানিরও বেশি আধা সামরিক বাহিনী কড়া প্রহরায় নিযুক্ত থাকবে। শুধু রামলীলা ময়দানের চারদিকে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে ৫ হাজারেরও বেশি পুলিশ কর্মী। তাদের সঙ্গে থাকবে আধা সামরিক বাহিনীও।” তিনি বলেন, “আমরা ২ হাজার ৫০০টিরও বেশি কৌশলী পয়েন্ট চিহ্নিত করেছি। সেখানে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা থাকবে।”

    বিজেপির সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেবা বলেন, “অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। থাকবেন বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে শুরু করে অটোরিক্সা চালক এবং শ্রমিকরাও। নাগরিক সমাজের (Delhi CM) কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বও উপস্থিত থাকবেন এদিনের (Rekha Gupta) অনুষ্ঠানে।”

  • ICC Champions Trophy 2025: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ ঘিরে চড়ছে পারদ, কে এগিয়ে?

    ICC Champions Trophy 2025: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ ঘিরে চড়ছে পারদ, কে এগিয়ে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বার বার ২২ গজের লড়াইয়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে রাজনীতি। বুধবার থেকে শুরু হওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও তার ব্যতিক্রম নয়। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে তো বরাবর রাজনীতির রঙ লাগে। এবার নয়া সংস্করণ ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ। কারণ বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (ICC Champions Trophy 2025) বৃহস্পতিবার দুই দেশ মুখোমুখি হবে। রবিবারের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের থেকেও এই ম্যাচ নিয়ে উন্মাদনা বেশি।

    পরিবর্তিত পরিস্থিতি

    বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেট সম্পর্ক একটা সময় পর্যন্ত ছিল দাদা-ভাইয়ের মত। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রাক্তন সভাপতি জগমোহন ডালমিয়ার উদ্যোগে ২০০০ সালে টেস্ট খেলার মর্যাদা পায় বাংলাদেশ। তার পরও বিভিন্ন সময় বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নতিতে পাশে থেকেছে বিসিসিআই। গত কয়েক দশক ভারত-বাংলাদেশ ক্রিকেট আবহে মৈত্রী, সৌজন্যের অভাব হয়নি। পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছে কিছু দিন ধরে, গত অগাস্টে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর থেকে। সাধারণ মানুষের বিদ্রোহের মুখে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। আশ্রয় পেয়েছেন ভারতে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির আঁচ সীমান্ত পেরিয়ে এ দেশে এসেছে। হাসিনাকে ভারত রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের মানুষের একাংশ ক্ষুব্ধ। বাইশ গজে রোহিতদের হারিয়ে তার জবাব দিতে চাইছে তারা।

    এগিয়ে ভারত

    যশপ্রীত বুমরাহ-র অনুপস্থিতি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতকে ভোগাবে বলেই মনে করেন অনেকে। তবে সম্প্রতি হর্ষিত রানার পারফরম্যান্স দলকে ভরসা জুগিয়েছে। গত এমার্জিং এশিয়া কাপের ম্যাচে বাংলাদেশের সৌম্যর সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছিলেন হর্ষিত রানা। আম্পায়ারদের হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। তাঁরা দু’জনেই রয়েছেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy 2025) দলে। ভারত-বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের বাগ্‌যুদ্ধ নতুন নয়। ২০০৭ সালে এক দিনের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে হেরে ছিটকে গিয়েছিল ভারত। তাই সতর্ক রোহিতরাও। তবে, ২০১৭ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে উঠেছিল। কিন্তু, শেষ চারের লড়াইয়ে তারা ভারতের কাছে ৯ উইকেটে হেরে গিয়েছিল। ভারত-বাংলাদেশ ওডিআই দ্বৈরথে ৪১টি ম্যাচের ৩২টিতেই জিতেছে ভারত। ৮টিতে বাংলাদেশ, একটি পরিত্যক্ত। দুই দলের দ্বৈরথে সর্বাধিক দলগত স্কোর ভারতের। ২০২২ সালে চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারত তুলেছিল ৮ উইকেটে ৪০৯।

  • KIIT Suicide: কলিঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীমৃত্যুর ঘটনায় নেপালি পড়ুয়াদের পাশে এবিভিপি

    KIIT Suicide: কলিঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীমৃত্যুর ঘটনায় নেপালি পড়ুয়াদের পাশে এবিভিপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-নেপাল কূটনৈতিক বিবাদের সূত্রপাত ঘটতে যাচ্ছিল ওড়িশায় নেপালি ছাত্রীর আত্মহত্যাকে কেন্দ্র করে। তবে তার আগেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ভারত সরকার। এই ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় ওড়িশা বিজেপি ও অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)। নেপালি ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়ায় এবিভিপি। নেপাল দূতাবাসের ভারতীয় শাখা দুই কর্মকর্তাকে পাঠানোর আগে, এবিভিপি ও তাদের ওড়িশা শাখা তিনটি দিকনির্দেশনা দেয়: শিক্ষার্থীদের সাহায্য করা, অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং অবিলম্বে বিক্ষোভ শুরু করা। এবিভিপি সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্দেশনা ছিল স্পষ্ট  “ওডিশায় নেপালি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়া এবং বৃহত্তর পরিপ্রেক্ষিতে সঠিক জায়গায় থাকার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা।”

    কী ঘটেছিল কলিঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে

    গত রবিবার ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি(KIIT) বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে মেয়েদের হস্টেলের ঘর থেকে এক নেপালি ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছে, তিনি বি টেক তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন। হস্টেলের ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের পর নেপালি পড়ুয়ারা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ দেখান। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নেপালি পড়ুয়াদের ক্যাম্পাস খালি করার নির্দেশ দেয়। ২০ বছর বয়সী নেপালি ছাত্রী প্রাকৃতী লামসালের আত্মহত্যা দুই দেশের সম্পর্কেও চিড় ধরাতে শুরু করে। যদিও ভারতে নেপালি ছাত্রদের পাশে দাঁড়ায় এবিভিপি।

    নেপালি পড়ুয়াদের পাশে থাকার বার্তা

    ভুবনেশ্বরে কেআইআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে নেপালি ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের পর নেপালে ফিরে যাচ্ছেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের নেপালি পড়ুয়ারা। আর নিজের দেশে ফিরে যাওয়ার পথে যাতে খাবার কিংবা অন্য কোনও অসুবিধায় তাঁদের না পড়তে হয়, সেজন্য এগিয়ে যায় অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ। বিভিন্ন স্টেশনে খাবার, জল-সহ নানা সামগ্রী নিয়ে পৌঁছে যান এবিভিপির সদস্যরা। নেপালি পড়ুয়াদের দিকে সবরকম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন। উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের গোরখপুর, রাক্সৌল, মুজফ্ফরপুর, পটনা-সহ বিভিন্ন স্টেশনে পৌঁছে যান এবিভিপি সদস্যরা। এছাড়াও এই দুই রাজ্যের সঙ্গে অন্য রাজ্যে একাধিক ট্রানজিট পয়েন্টে উপস্থিত ছিলেন তাঁরা। নেপালি পড়ুয়াদের সুরক্ষা ও ভারতে তাঁদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তা নিশ্চিত করার ছিল এবিভিপি-র কাজ।

    কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব এড়ানোর চেষ্টা

    ভুবনেশ্বর কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি (কেআইআইটি)-তে নেপালি ছাত্রীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় বিতর্কের ঝড় উঠেছে নানা মহলে। বিক্ষোভরত নেপালি ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশে ‘জাতিবিদ্বেষী’ এবং ‘অপমানজনক’ মন্তব্য করার অভিযোগও উঠেছে। এদিকে, নেপালি পড়ুয়াদের এভাবে ক্যাম্পাস ছাড়ার নির্দেশ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছে এবিভিপি। ওড়িশার এবিভিপি ইউনিট এক্স হ্যান্ডলে এই নির্দেশের নিন্দা করে। এদিকে, ক্যাম্পাসে ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ওড়িশা সরকার। এমনকি, নেপালি পড়ুয়াদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবিভিপি তিনটি মোবাইল নম্বর প্রকাশ করে, যার মাধ্যমে নেপালি শিক্ষার্থীরা তাদের সাহায্য নিতে পারেন।

    ওড়িশা বিজেপির প্রয়াস

    নির্যাতিত শিক্ষার্থীদের সহায়তার জন্য, এবিভিপি বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ শুরু করে, কেআইআইটির ক্যাম্পাসের বাইরে এবং ভুবনেশ্বরে বাইক র‍্যালি আয়োজন করে। এবিভিপি নেতা, বীরেন্দ্র সোলাঙ্কি, শিক্ষামন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। এদিকে, রাজ্য বিজেপি শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে, বিধায়ক বাবু সিং, কেআইআইটি প্রতিষ্ঠাতা অচ্যুত সমন্তাকে গ্রেফতারের দাবি তোলেন। ওডিশার উচ্চ শিক্ষা মন্ত্রী সূর্যবানশী সুরাজও জানতে চান, “নেপালি শিক্ষার্থীদের কটক রেলওয়ে স্টেশনে কেন নামানো হয়েছিল? কেন কেআইআইটি কর্তৃপক্ষ সরকারকে এ বিষয়ে জানায়নি?”

  • PM Modi: দিল্লি জয় অতীত, এবার ভোটমুখী বিহার, তামিলনাড়ুতে নজর মোদির, জনসভা চলতি মাসেই

    PM Modi: দিল্লি জয় অতীত, এবার ভোটমুখী বিহার, তামিলনাড়ুতে নজর মোদির, জনসভা চলতি মাসেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি বিজয় হয়েছে। বিজেপির (BJP) দাবি, তাঁর মিস্টার ক্লিন ইমেজ এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দক্ষতার জেরে আপ দুর্গে বিজেপির ধস নামানো হয়েছে অনায়াস। এ সবই হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) কল্যাণে। সেই কারণেই ফের প্রধানমন্ত্রীকেই নির্বাচনী প্রচারে চাইছেন চলতি বছর যে দুই রাজ্যে বিধানসভার নির্বাচন হবে, সেখানকার নেতা-কর্মীরা। এ বছর বিধানসভা নির্বাচন হবে বিহার এবং তামিলনাড়ুতে। এই দুই রাজ্যেই চলতি মাসেই দুটি নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী বছর ভোট রয়েছে অসমে। সেখানেও একটি জনসভায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

    ভাগলপুরে জনসভা (PM Modi)

    ২৪ ফেব্রুয়ারি বিহারের পূর্বাঞ্চলের ভাগলপুরে জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। এদিনই তাঁর অসম সফরেরও প্রস্তুতি নিচ্ছে পদ্ম শিবির। বিহারে চলতি বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর অসমে ভোট হবে এক বছর পরে। সম্ভবত ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী তামিলনাড়ুর রামেশ্বরম সফরে যাবেন। যেখানে তিনি উদ্বোধন করবেন নতুন পামবান সেতুর। এই সেতু রামেশ্বরম দ্বীপ শহরকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করবে।

    ভিড় টানতে শুরু সলতে পাকানোর কাজ

    গত এক দশক ধরে অসমের ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। আর বিহারে নীতীশ কুমারের সঙ্গে জোট বেঁধে ক্ষমতায় রয়েছে তারা। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, নীতীশ মাঝেমধ্যেই শিবির বদলে বিপাকে ফেলে গেরুয়া শিবিরকে। তাই বিজেপি একাই সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসতে চাইছে সে রাজ্যে। জানা গিয়েছে, ২৪ ফেব্রুয়ারি ভাগলপুরে নির্বাচনী জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঞ্চে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী এবং বিজেপির শীর্ষ নেতারা। অসমেও জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও সে রাজ্যে নির্বাচন হবে আগামী বছর, তবুও এখন থেকেই সলতে পাকানোর কাজ শুরু করেছেন অসমের বিজেপি নেতারা। প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) জনসভায় রেকর্ড সংখ্যক ভিড় টানতে জোর কদমে প্রচারে নেমে পড়েছেন এই দুই রাজ্যের বিজেপি নেতারাই।

    প্রধানমন্ত্রী ভাগলপুর থেকে প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধির পরবর্তী কিস্তি প্রদান করবেন। তিনি এদিন কিছু কৃষককে সম্মানিতও করবেন। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন ভাগলপুরে একটি নতুন কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের। ভাগলপুর থেকে প্রধানমন্ত্রী রওনা দেবেন অসমের উদ্দেশে। দুদিনের সফরে অসম যাবেন তিনি। সেখানে তিনি ‘অ্যাডভান্টেজ অসম ২.০’ বিনিয়োগ সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন (BJP)। সারুসজাই স্টেডিয়ামে এক জনসভায় ভাষণও দেবেন। এই অনুষ্ঠানে ৮ হাজারেরও বেশি শিল্পীর অংশগ্রহণে একটি বিশাল ঝুমুর নৃত্য পরিবেশিত হবে (PM Modi)।

  • Golwalkar: আজ আরএসএসের ‘গুরুজি’র জন্মদিন, চিনে নিন এই মহান দেশপ্রেমিককে

    Golwalkar: আজ আরএসএসের ‘গুরুজি’র জন্মদিন, চিনে নিন এই মহান দেশপ্রেমিককে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি। শ্রী মাধব সদাশিব গোলওয়ালকরের (Golwalkar) জন্মদিন। যাঁরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) সঙ্গে যুক্ত তাঁদের কাছে ‘গুরুজি’ মানে শুধুই তিনি। তিনি ডক্টর কেশব বালিরাম হেডগেওয়ারের পর দ্বিতীয় সরসঙ্ঘচালক। তাঁর ৩৩ বছরের কার্যকালে, বিশেষ করে স্বাধীনতার পরে সংঘকে বিশাল প্রাতিষ্ঠানিক শক্তিতে পরিণত করেছিলেন তিনিই। আজ তাঁর ১১৯তম জন্মদিন।

    “গুরুজি” (Golwalkar)

    ১৯০৬ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি নাগপুরের কাছে রামটেক নামে একটি ছোট্ট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন গুরুজি। তিনি ছিলেন পরিবারের নয় সন্তানের মধ্যে একমাত্র জীবিত সন্তান। তিনি বারাণসী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় (BHU) থেকে এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেছিলেন। সেখানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা, মহান জাতীয়তাবাদী নেতা শ্রী মদন মোহন মালব্যের দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন। ওই বিশ্ববিদ্যালয়েই তিনি প্রাণীবিদ্যা পড়াতে শুরু করেন। তাঁর ছাত্ররা তাঁকে অত্যন্ত ভালোবাসতেন। স্নেহভরে তাঁকে “গুরুজি” নামে ডাকতে শুরু করেন তাঁরা। সেই থেকে তিনি গুরুজি নামেই পরিচিত।

    সংঘচালক

    ১৯৩২ সালে হেডগেওয়ার গুরুজিকে বিএইচইউয়ের সংঘচালক হিসেবে নিয়োগ করেন। ১৯৩৬ সালে গুরুজি আধ্যাত্মিকতার সন্ধানে বাংলার সারগাছিতে যান। সেখানে রামকৃষ্ণ মঠের স্বামী অখণ্ডানন্দের সেবা করেন দুবছর ধরে। ১৯৪০ সালে হেডগেওয়ারের মৃত্যু হলে মাত্র ৩৪ বছর বয়সে গুরুজি (RSS) সংঘের সরসংঘচালক (Golwalkar) পদ গ্রহণ করেন। গুরুজির ওপর ছিল গুরু দায়িত্ব। প্রথমত, তাঁকে আরএসএসকে একটি শক্তিশালী ক্যাডার-ভিত্তিক সংগঠনে পরিণত করতে হয়েছে। দ্বিতীয়ত, তাঁকে নিজেকেও এমন একটি সংগঠন পরিচালনার জন্য প্রস্তুত করতে হয়েছে। অনেকেই তাঁর নিয়োগের বিরোধিতা করেছিলেন। কারণ তিনি তুলনামূলকভাবে নতুন সদস্য ছিলেন। তবে গুরুজি তাঁর দৃঢ় সংকল্প, কঠোর পরিশ্রম এবং অধ্যবসায়ের মাধ্যমে একজন দক্ষ নেতা হিসেবে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেছিলেন।

    জম্মু-কাশ্মীর সমস্যা

    দেশ ভাগের সময় সমস্যা শুরু হয় জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে। পাকিস্তান কাশ্মীরকে তাদের মুকুটের রত্ন হিসেবে দেখেছিল। কারণ আক্ষরিক অর্থেই কাশ্মীর “ভূস্বর্গ”। ভারতের তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, “লৌহপুরুষ” সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল ও তাঁর সচিব ভি.পি. মেননের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় ৫০০-রও বেশি দেশীয় রাজ্যকে ভারতে একীভূত করা হয়েছিল। জওহরলাল নেহরু কাশ্মীরের বিষয়টি নিজে সামলাতে চেয়েছিলেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, সমস্যার সমাধান করার পরিবর্তে তিনি তা (Golwalkar) আরও জটিল করে তুলেছিলেন।

    হরি সিংকে রাজি করালেন গুরুজি

    দেশ যখন স্বাধীন হয়, তখন কাশ্মীরের রাজা হরি সিং। মুসলিম অধ্যুষিত এলাকার হিন্দু রাজা তিনি। মহম্মদ আলি জিন্না জম্মু ও কাশ্মীরের মহারাজাকে পাকিস্তানের সঙ্গে অন্তর্ভুক্তির চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য চাপ সৃষ্টি করছিলেন। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল শেখ আবদুল্লার চাপ। তিনি নেহরুর সমর্থন পাচ্ছিলেন। তখনই কাশ্মীরে পাকিস্তানপন্থী আন্দোলন তীব্র হয়ে ওঠে। বিদ্রোহের প্রস্তুতির জন্য রাজ্যে ব্যাপকভাবে অস্ত্র পাচার করা হয়। লর্ড মাউন্টব্যাটেন স্বয়ং কাশ্মীরে গিয়ে হরি সিংকে পাকিস্তানে যোগ দেওয়ার অনুরোধ করেন। তবে, সেই সময় কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী আরসি কাক হরি সিংকে স্বাধীন থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন। এই সব কিছু মহারাজা হরি সিংকে বিভ্রান্ত করে তোলে। তিনি এক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে যান। তাঁর সামনে তখন মাত্র তিনটি বিকল্প পথ খোলা ছিল। এক, হয় তাঁকে পাকিস্তানে যোগ দিতে হবে, দুই, নয় তাঁকে ভারতের সঙ্গে যুক্ত হতে হবে এবং তিন, তা না হলে তাঁকে স্বাধীন থাকতে হবে। হরি সিং পাকিস্তানে যোগ দেওয়ার পক্ষে ছিলেন না। তিনি ভারতের সঙ্গেও যুক্ত হতে চাননি। কারণ তিনি নেহরুর মনোভাব নিয়ে সন্দিহান ছিলেন। নেহরু শেখ আবদুল্লাকে সমর্থন করতেন। হরি সিং স্বাধীনও থাকতে পারেননি। কারণ (RSS) তিনি পাকিস্তানের আগ্রাসনের আশঙ্কা করেছিলেন। তাঁর কাছে যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ছিল (Golwalkar) না।

    কাশ্মীরের ভারতভুক্তি

    সমস্ত নেতার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও হরি সিংকে যখন রাজি করানো গেল না, তখন সর্দার প্যাটেল গুরুজিকে জরুরি বার্তা পাঠিয়ে তাঁকে হরি সিংকে রাজি করাতে অনুরোধ করেন। গুরুজি তখনই তাঁর সমস্ত কাজ ফেলে শ্রীনগরের উদ্দেশে রওনা দেন। গুরুজিই হরি সিংকে ভারতভুক্তিতে সম্মত করান। এই বৈঠকের পর, হরি সিং দিল্লিতে সংযুক্তির প্রস্তাব পাঠান। কিন্তু, গুরুজি বুঝতে পারলেন যে এই সংযুক্তি সহজ হবে না। তাই, তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের সকল আরএসএস কর্মীদের নির্দেশ দেন যে তাঁরা যেন কাশ্মীরের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়াই করেন। আরএসএসের কর্মীরা গুরুজির আদেশ পালন করতে প্রস্তুত হয়েছিলেন।

    পরবর্তীকালে গুরুজি বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং ভারতীয় মজদুর সংঘ প্রতিষ্ঠা করেন। এটা সংঘ পরিবারকে আরও বিস্তৃত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করে তোলে। তিনি নিশ্চিত করেছিলেন এই বলে যে, এই সমস্ত সংগঠনের মূল আদর্শ সব সময় একই থাকবে। সেটি হল আমাদের মাতৃভূমির প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা। গুরুজি (RSS) সর্বকালের অন্যতম প্রভাবশালী সরসংঘচালক। তিনি তাঁর চিন্তা, নেতৃত্ব ও অসাধারণ ব্যবস্থাপনা দক্ষতার মাধ্যমে বহু প্রজন্মের স্বয়ংসেবকদের অনুপ্রাণিত করেছিলেন (Golwalkar)।

  • Mamata’s ‘Mrityu-Kumbh’: ‘‘ক্ষমা চান’’, মুখ্যমন্ত্রী মমতার ‘মৃত্যুকুম্ভ’ মন্তব্যে ক্ষুব্ধ সাধু-সমাজ

    Mamata’s ‘Mrityu-Kumbh’: ‘‘ক্ষমা চান’’, মুখ্যমন্ত্রী মমতার ‘মৃত্যুকুম্ভ’ মন্তব্যে ক্ষুব্ধ সাধু-সমাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকুম্ভকে ‘‘মৃত্যুকুম্ভে’’র সঙ্গে তুলনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যে বিজেপির পাশাপাশি সাধু সম্প্রদায়ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও জোরালো হচ্ছে। বিধানসভায় মহাকুম্ভ সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সাধু সম্প্রদায় বলেছে যে মমতার বক্তব্য সনাতন ধর্মের অপমান। তাঁর মন্তব্য সনাতন ধর্মের এবং মহাকুম্ভের পবিত্রতার প্রতি অবমাননা। সাধু-সন্তদের মতে, মহাকুম্ভ শুধুমাত্র একটি অনুষ্ঠান নয়, বরং সনাতন সংস্কৃতির আত্মা, যা কোটি কোটি ভক্তের কাছে গভীর আধ্যাত্মিক এবং সাংস্কৃতিক গুরুত্ব বহন করে।

    মহাকুম্ভের মহিমা দেখেছে বিশ্ব

    শ্রী পঞ্চায়েতি আখড়া মহাননির্বাণীর জাতীয় সম্পাদক মহন্ত যমুনা পুরী বলেছেন যে, দায়িত্বশীল পদে থেকেও এই ধরনের বক্তব্য দেওয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শোভা পায় না। তিনি বলেন, ‘‘প্রয়াগরাজ মহাকুম্ভ হল অমৃত পর্ব, যার দেবত্ব এবং মহিমা সমগ্র বিশ্ব দেখেছে। মহাকুম্ভের নামের সাথে এই ধরনের অবমাননাকর শব্দ ব্যবহার করা উচিত নয়।’’ এবং এই মন্তব্যের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও জানানো হয়েছে। পঞ্চ দশনাম আবাহন আখড়ার আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী অরুণ গিরি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ হিন্দু সনাতনীদের জন্য ‘মৃত্যুর রাজ্য’ হয়ে উঠছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘তাঁর উচিত উত্তরপ্রদেশের নয়, নিজের রাজ্যের কথা চিন্তা করা।’ যোগী আদিত্যনাথ মহাকুম্ভের জন্য বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি পেয়েছেন এবং তিনি এই মহৎ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একটি নতুন ইতিহাস তৈরি করেছেন।’’

    সনাতন ধর্মের ওপর আক্রমণ

    নির্মোহী আনি আখাড়ার মহান্ত রাজেন্দ্র দাস মমতার মন্তব্যকে সনাতন ধর্মের ওপর আক্রমণ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘প্রয়াগরাজ মহাকুম্ভ সনাতন ধর্মকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে। মমতা এর গুরুত্ব বুঝতে পারেন না কারণ তিনি সবসময় সনাতন মূল্যবোধ এবং ঐতিহ্যকে অবমাননা করেছেন।’’ তিনি মন্তব্য করেন। মহামণ্ডলেশ্বর ঈশ্বর দাস মহারাজ মমতার মন্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, ‘‘এটা তাঁর সনাতন বিরোধী মনোভাবের প্রতিফলন। তিনি সনাতন ধর্মের বিরুদ্ধে ছিলেন এবং তিনি পশ্চিমবঙ্গকে আরেকটি বাংলাদেশে পরিণত করতে চান।’’

    প্রয়াগরাজে আসুন মমতা

    অযোধ্যা হনুমান গড়ী মন্দিরের মহান্ত রাজু দাস মমতার মন্তব্যকে ‘‘অলভনীয়’’ বলে অভিহিত করেছেন এবং তাঁর কাছে ক্ষমা চাওয়ার আবেদন জানান। একইভাবে, স্বামী জিতেন্দ্রনন্দ সরস্বতী এই মন্তব্যের নিন্দা করে বলেন, ‘‘মহাকুম্ভ সনাতন সংস্কৃতি ও বিশ্বাসের প্রতীক। সন্ন্যাসী সম্প্রদায় মমতার কথার নিন্দা করেছে।’’ গোবর্ধন মঠ পুরী’র স্বামী অঢোকশজনন্দ দেব তীর্থ মমতাকে প্রয়াগরাজ মহাকুম্ভে আসার পরামর্শ দিয়েছেন, যাতে তিনি এর আধ্যাত্মিক মহিমা উপলব্ধি করতে পারেন। তিনি বলেন, ‘‘৫০ কোটিরও বেশি সনাতনিরা এই ‘অমৃত কুম্ভ’ থেকে দৈবিক অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন। একে ‘মৃত্যু কুম্ভ’ বলা অত্যন্ত নিন্দনীয়। রাজনীতিকদের ধর্মীয় বিষয় নিয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকা উচিত।’’

  • Rani Rashmoni: আজ রানি রাসমণির জন্মতিথি, অহল্যাবাঈয়ের সঙ্গে তাঁর মিল কোথায় জানেন?

    Rani Rashmoni: আজ রানি রাসমণির জন্মতিথি, অহল্যাবাঈয়ের সঙ্গে তাঁর মিল কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি, রানি রাসমণির (Rani Rashmoni) জন্মতিথি। হিন্দু ধর্ম সংরক্ষণ, সামাজিক সংস্কারের পক্ষে সওয়াল করা এবং ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ (Ahilyabai Holkar) গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখেছিলেন তিনি। তিনিই বাংলার অহল্যাবাঈ হোলকর নামে পরিচিত। সনাতন ধর্মের প্রতি তাঁর অবিচল শ্রদ্ধা এবং সমাজ ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে তাঁর ছিল গভীর অন্তর্দৃষ্টি।

    অহল্যাবাঈ হোলকর (Rani Rashmoni)

    এ বছর অহল্যাবাঈ হোলকরের ত্রিশততম জন্মবার্ষিকী। তাঁর সঙ্গে বহু বিষয়ে সাদৃশ্য রয়েছে রানি রাসমণির। এই দুই মহিয়সী নারীই হিন্দু ঐতিহ্যের রক্ষক, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নের পথিকৃৎ ও প্রাতিষ্ঠানিক দানশীলতার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন। ১৭৯৩ সালে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার কোণা গ্রামে জন্ম রাসমণির। তিনি ছিলেন প্রভাবশালী জমিদার, দক্ষ উদ্যোক্তা ও দূরদর্শী সমাজ সংস্কারক। তিনি ছিলেন দেবী কালীর ভক্ত। ১৮৫৫ সালে দক্ষিণেশ্বরে কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। হুগলি নদীর পূর্ব তীরে অবস্থিত এই মন্দির নিছকই একটি উপাসনাস্থল নয়, এটি ধীরে ধীরে পরিণত হয় আধ্যাত্মিক ও বৌদ্ধিক জাগরণের কেন্দ্রবিন্দুতে।

    রাসমণির প্রতিষ্ঠিত মন্দির

    রাসমণির প্রতিষ্ঠিত দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরের দেবীর নাম ভবতারিণী। এই মন্দিরের প্রধান পুরোহিত ছিলেন শ্রী রামকৃষ্ণ। তাঁরই শিষ্য স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মূলত তাঁরই প্রচেষ্টায় গঠিত হয় রামকৃষ্ণ মিশন। এই রামকৃষ্ণ মিশনের গভীর প্রভাব আজও বিদ্যমান। এই মিশন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মতো ব্যক্তিত্বদের আজও অনুপ্রাণিত করে চলেছে। এ থেকে এটাই প্রমাণিত হয় যে রাসমণির উত্তরাধিকার আজও আলোচনা ক্ষেত্রে সমান প্রাসঙ্গিক। রাসমণির কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা কেবল ভগবৎ ভক্তির প্রকাশ ছিল না, ছিল ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক প্রভাবের বিরুদ্ধে হিন্দু পরিচয়ের এক সুপরিকল্পিত ঘোষণা। এই মন্দির পরবর্তীকালে উদীয়মান জাতীয়তাবাদী চেতনার কেন্দ্রস্থল হয়ে ওঠে। এখানে ধর্মীয় পরিচয় আত্মশাসনের চেতনার সঙ্গে যুক্ত হয়। এটি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের আদর্শ পূর্বসূরি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

    রাসমণির অবদান

    রাসমণির অবদানগুলির (Rani Rashmoni) সঙ্গে মালবার মহিমান্বিত রানি পুণ্যশ্লোক অহল্যাবাঈ হোলকরের চেষ্টার বিষয়ে একটি সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়। অহল্যাবাঈয়ের স্থাপত্য পৃষ্ঠপোষকতার ফলে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির পুনর্নির্মাণ, চার ধাম, জ্যোতির্লিঙ্গ ও শক্তিপীঠগুলোর সংস্কার এবং অসংখ্য মন্দির ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সৃষ্টি হয়েছিল। একইভাবে, রানি রাসমণি গঙ্গার তীরে বাবুঘাট, আহিরীটোলা ঘাট ও নিমতলা ঘাট নির্মাণে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। তিনি মেদিনীপুর থেকে পুরী পর্যন্ত এক বিস্তৃত তীর্থযাত্রার পথ নির্মাণে অর্থায়ন করেছিলেন (Ahilyabai Holkar)।

    দৃঢ়চেতা নারী

    এই দুই দৃঢ়চেতা নারীই বহিরাগত শাসকদের চাপিয়ে দেওয়া দমনমূলক নীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধের অসাধারণ ক্ষমতা প্রদর্শন করেছিলেন। রানি রাসমণি সাহসিকতার সঙ্গে ব্রিটিশ শাসনের বাণিজ্যিক কার্যকলাপে বাধা সৃষ্টি করেন। ফলে ব্রিটিশ প্রশাসন বাধ্য হয় জেলেদের ওপর ধার্য করা কর প্রত্যাহার করতে। ব্রিটিশরা হিন্দুদের ধর্মীয় শোভাযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। তীব্র প্রতিবাদ করেছিলেন রাসমণি। তার জেরে ব্রিটিশরা বাধ্য হয়েছিল হিন্দু ধর্মীয় শোভাযাত্রার অনুমতি দিতে। প্রায় একই ভূমিকা পালন করেছিলেন অহল্যাবাঈও। তিনিও অনুরূপ প্রতিরোধমূলক ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি তাঁর শাসনব্যবস্থায় স্বদেশি শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলিতে অর্থায়নের মাধ্যমে হিন্দু সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেছিলেন। তা সত্ত্বেও সাম্রাজ্যবাদী শক্তির সঙ্গে আপোস করেননি তিনি।

    অহল্যাবাঈয়ের স্থাপত্য

    অহল্যাবাঈয়ের স্থাপত্য পৃষ্ঠপোষকতার ফলে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের পুনর্নির্মাণ হয়েছিল। চার ধাম, জ্যোতির্লিঙ্গ এবং শক্তিপীঠের সংস্কারও করেছিলেন তিনি। দুই নারীই অসম সাহসী। ব্রিটিশদের আরোপিত শাসনকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন তাঁরা। অহল্যাবাঈ তাঁর প্রশাসনে আদিবাসী শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। হিন্দু সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির সঙ্গে জোট বাঁধার পরিবর্তে সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেছিলেন তাঁরা।

    ধর্মীয় অবদান

    ধর্মীয় অবদানের পাশাপাশি (Rani Rashmoni) রাসমণি প্রগতিশীল সমাজ সংস্কারের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। তবে তার শিকড় ছিল গভীরভাবে প্রথাগত মূল্যবোধের মধ্যে প্রোথিত। তিনি বিধবা বিবাহ প্রচারের জন্য ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে সক্রিয়ভাবে সমর্থন করেছিলেন। বহুবিবাহ প্রথার বিরোধিতায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে একটি আবেদনপত্রও পাঠিয়েছিলেন। তাঁর দানশীলতা শিক্ষা ও জনকল্যাণ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। তিনি ইম্পেরিয়াল লাইব্রেরি (বর্তমানে জাতীয় গ্রন্থাগার) এবং হিন্দু কলেজ (Ahilyabai Holkar) (বর্তমানে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়)-এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন। এই দুই প্রতিষ্ঠানই বাংলার বুদ্ধিবৃত্তিক নবজাগরণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। তাঁর অর্থনৈতিক দক্ষতা, তাঁর বিশাল জমিদারি পরিচালনার ক্ষমতার মাধ্যমেও প্রতিফলিত হয়েছিল। তিনি ঔপনিবেশিক প্রশাসনের দ্বারা সৃষ্ট আইনি ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলা করেছিলেন দক্ষতার সঙ্গে। এসবই তিনি করেছিলেন যাতে তাঁর সম্পদ জনগণের কল্যাণে ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় স্থাপনার জন্য জমি দান করে, তিনি সূক্ষ্মভাবে ব্রিটিশদের বাংলার হিন্দু ঐতিহ্য ক্ষুণ্ণ করার প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন।

    রাসমণির প্রভাব

    রানি রাসমণির প্রভাব তাঁর জীবদ্দশার অনেক পরে পর্যন্তও স্থায়ী ছিল। জানবাজারে তাঁর বার্ষিক দুর্গাপূজা উদযাপন ঐতিহ্যবাহী উৎসবের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল। এটিও পরোক্ষে ঔপনিবেশিক প্রভাবের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। সেখানে হিন্দু সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তিকে দুর্বল করার চেষ্টা হয়েছিল। তিনি সচেতনভাবে দেশীয় বিনোদনের রূপ, যেমন যাত্রা মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে পৃষ্ঠপোষকতা করতেন। তিনি তৎকালীন অনেক জমিদারের মতো পাশ্চাত্যধর্মী উৎসবকে উৎসাহিত করেননি। এই সাংস্কৃতিক সার্বভৌমত্বের দাবি তাঁকে ঔপনিবেশিক বাংলার হিন্দু ঐতিহ্যের অন্যতম প্রধান রক্ষক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল।

    রাসমণির উত্তরাধিকার

    রাসমণির উত্তরাধিকারের প্রতিধ্বনি সরকারিভাবে স্বীকৃতি পায় ১৯৯৪ সালে। যখন ভারত সরকার তাঁর সম্মানে একটি ডাকটিকিট প্রকাশ করে। তবে এই ধরনের প্রতীকী স্বীকৃতির পরেও, গত কয়েক দশকে বাংলার বৃহত্তর ধর্মীয় পরিচয় গভীর সংকটের মুখে পড়েছে। যে অঞ্চল একসময় শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু, রামকৃষ্ণ পরমহংস এবং বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতো মহাপুরুষদের লালন করেছিল, সেখানেই (Rani Rashmoni) ধীরে ধীরে তার আধ্যাত্মিক ও জাতীয়তাবাদী চেতনার ক্ষয় পরিলক্ষিত হয়।

    অহল্যাবাঈ হোলকর ও রানি রাসমণি

    অহল্যাবাঈ হোলকর ও রানি রাসমণির ঐতিহাসিক বর্ণনাগুলি ধর্মীয় ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও উন্নয়নে নারীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রতিফলন ঘটায়। তাঁদের দৃঢ়তা, ভক্তি এবং রাজনৈতিক প্রজ্ঞা আধুনিক সমাজে প্রচলিত সেই ভুল ধারণাগুলিকে চ্যালেঞ্জ করে, যা হিন্দু রানি ও নারী নেতৃবৃন্দের প্রভাবকে উপেক্ষা করে। আধুনিকতার স্রোতে আমরা এগিয়ে চললেও, এমন অনন্য ব্যক্তিত্বদের জীবন থেকে অনুপ্রেরণা গ্রহণ করা আমাদের প্রয়োজন (Ahilyabai Holkar)। কারণ এঁরাই আধ্যাত্মিকতা, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং শাসনব্যবস্থাকে দক্ষতার সঙ্গে একীভূত করেছিলেন।

    অহল্যাবাঈ হোলকরের ত্রিশততম জন্মবার্ষিকী উদযাপন রানি রাসমণির স্থায়ী উত্তরাধিকার পুনর্মূল্যায়নের এক উপযুক্ত সুযোগ এনে দেয়। পশ্চিমবঙ্গের ধর্মীয় গৌরব পুনরুদ্ধারের প্রতি আমাদের সচেতন করে তোলে। সাংস্কৃতিক গর্ব পুনরুদ্ধার, ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করা এবং এই অঞ্চলের হিন্দু ঐতিহ্যকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। রানি রাসমণির অবিচল (Ahilyabai Holkar) মনোবল আমাদের পথ দেখায়। তাঁর দেখানো পথে হাঁটলে বাংলা আবার তার ধর্মীয় শিকড়ে ফিরে গিয়ে আধ্যাত্মিক ও বৌদ্ধিক দুর্গ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে বলেও ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের মতে (Rani Rashmoni)।

  • ICC Champions Trophy: ভুল সংশোধনে বাধ্য হল পাকিস্তান, করাচির স্টেডিয়ামে উড়ল ভারতের পতাকা

    ICC Champions Trophy: ভুল সংশোধনে বাধ্য হল পাকিস্তান, করাচির স্টেডিয়ামে উড়ল ভারতের পতাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুল শুধরে নিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ছবি ঘুরছে, তাতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য দেশের সঙ্গে রয়েছে ভারতের পতাকাও। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy) মাঠে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের (India vs Pakistan) মহারণ। তার আগে বিসিসিআই-এর দাবি মেনে নিতে বাধ্য হল পিসিবি।

    ভুল স্বীকার পিসিবির

    আইসিসির (ICC Champions Trophy) নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি আয়োজক দেশকে তাদের মাটিতে খেলা প্রতিটি দলের পতাকা ওড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম দু’দিন পাকিস্তানের করাচি স্টেডিয়ামে ভারতের পতাকা দেখা যায়নি। এই ঘটনা নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় পিসিবির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেন। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এই পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে বলেছিল যে দলের খেলোয়াড়রা পাকিস্তানে খেলবেন, শুধুমাত্র তাদের পতাকা উড়বে। তবে ভারতের ক্ষেত্রে যেহেতু তারা দুবাইয়ে খেলা চালিয়ে যাবে, তাই পাকিস্তানের স্টেডিয়ামে ভারতীয় পতাকা রাখা হয়নি। কিন্তু পিসিবির এই যুক্তি শেষমেশ বাস্তবে কার্যকর হয়নি। বিসিআই-এর দাবি মেনে তড়িঘড়ি উদ্যোগ নিয়ে সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে বাধ্য হয় পিসিবি। এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ছবি শেয়ার করা হয়েছে, তাতে ভারত সহ আট দেশের পতাকাই রয়েছে।

    পাকভূমে উড়ল ভারতের পতাকা

    বিসিসিআইয়ের ভাইস-চেয়ারম্যান রাজীব শুক্লা বিষয়টি নিয়ে সরাসরি হস্তক্ষেপ করেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে নিশ্চিত করতে হবে, যাতে অন্যান্য দেশের পতাকার সঙ্গে ভারতের তেরঙ্গাও ওড়ে। রাজীব শুক্লার এই ‘হুঙ্কারে’ পিসিবি বাধ্য হয় সিদ্ধান্ত বদলাতে। মঙ্গলবার রাতেই সেই ‘ফয়সালা’ আসে এবং টুর্নামেন্ট শুরুর দিন পাকিস্তানে ভারতের পতাকা ওড়ানো হয়। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে ভারতের সঙ্গে টেক্কা নিতে গিয়ে বারবারই মুখ থুবড়ে পড়ছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। টুর্নামেন্ট শুরুর দিনও একইভাবে নিজের ভুল শুধরে নিতে বাধ্য হল পিসিবি। পাকভূমে ভারতীয় পতাকা না রাখার যে ‘স্পর্ধা’ তারা দেখিয়েছিল, হাজারো বিতর্কের পর সেই ইস্যুতে নতিস্বীকার করে নিলেন নাকভিরা। বুধবার অন্যান্য দেশের পতাকার পাশাপাশি বাবর আজমদের দেশে উড়ল তেরঙ্গাও। এবার লড়াই বাইশ গজে। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি, রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় পাকিস্তানকে টেক্কা দেওয়ার পালা বিরাট-রোহিতদের।

LinkedIn
Share