Tag: bangla news

bangla news

  • Madhavi Latha: চেনাব সেতু নির্মাণের নেপথ্যে থাকা মাধবী লতাকে চেনেন?

    Madhavi Latha: চেনাব সেতু নির্মাণের নেপথ্যে থাকা মাধবী লতাকে চেনেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ১৭ বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন বেঙ্গালুরু-ভিত্তিক প্রযুক্তিবিদ অধ্যাপক মাধবী লতা (Madhavi Latha)। তাঁর সেই অধ্যাবসায়ের ফল হল বিশ্বের উচ্চতম রেল সেতু চেনাব সেতু। বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়র হলেন মাধবী লতা।

    চেনাব সেতু, একটি চ্যালেঞ্জিং স্বপ্ন (Madhavi Latha)

    কাশ্মীরের চেনাব সেতু (Chenab Bridge) প্রকল্পের সঙ্গে মাধবী লতা যুক্ত হয়েছিলেন সেই ২০০০ সালে, যখন এই সেতুটি ছিল স্রেফ একটি চ্যালেঞ্জিং স্বপ্ন। নেপথ্যে থেকে কাজ করলেও, সেতু তৈরিতে তাঁর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একজন জিওটেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার হিসেবে প্রায় দুদশক ধরে ধারাবাহিকভাবে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে এসেছেন মাধবী লতা। চেনাব সেতুটি তৈরি হয়েছে বিশ্বের অন্যতম ভূতাত্ত্বিকভাবে দুর্বল ভূখণ্ডে। এই সময় তিনি প্রযুক্তিবিদদের সাহায্য করেছেন জটিল ঢাল স্থিতিশীলতা কৌশল এবং সাব-স্ট্রাকচার নিরাপত্তা নকশা নিয়ে কাজ করতে। কেবল পরামর্শ দেওয়াই নয়, মাধবী লতা বারবার সাইট পরিদর্শন করেছেন, করেছেন তথ্য বিশ্লেষণও, কাঠামোগত মূল্যায়নও করেছেন, যেগুলি মাটির পরিবর্তনশীল আচরণ, উচ্চ ভূমিকম্পপ্রবণতা এবং অপ্রত্যাশিত আবহাওয়ার কারণে বারবার নতুন করে ক্যালিব্রেট করতে হয়েছে।

    মাধবী লতার অ্যাকাডেমিক কোয়ালিফিকেশন

    মাধবী লতার অ্যাকাডেমিক কোয়ালিফিকেশন চোখ ধাঁধানো। ১৯৯২ সালে তিনি জওহরলাল নেহরু টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বি টেক করেন। এরপর এনআইটি ওয়ারাঙ্গাল থেকে জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে এম টেক করেন। অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য স্বর্ণপদকও লাভ করেন তিনি। ২০০০ সালে মাদ্রাজ আইআইটি থেকে জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি করেন। বছরের পর বছর ধরে তিনি দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় জিওটেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তাঁর কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বহু জাতীয় সম্মান অর্জন করেন তিনি (Madhavi Latha)।

    সেরা মহিলা জিওটেকনিক্যাল গবেষক পুরস্কার

    ২০২১ সালে তিনি ইন্ডিয়ান জিওটেকনিক্যাল সোসাইটি থেকে “সেরা মহিলা জিওটেকনিক্যাল গবেষক পুরস্কার” পান। পরের বছর তিনি ভারতের শীর্ষ ৭৫ জন এসটিইএম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত) ক্ষেত্রের নারীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন। এটি বিজ্ঞানে ও প্রযুক্তিতে তাঁর অবদানের এক উজ্জ্বল স্বীকৃতি (Chenab Bridge)। বর্তমানে তিনি আইআইএসসিতে এইচএজি গ্রেডের অধ্যাপক। নয়া প্রজন্মের টেকনিক্যাল পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন তিনি। চেনাব সেতুটি চেনাব নদীর ওপর ৩৫৯ মিটার উচ্চতায় নির্মিত হয়েছে। এটি আইফেল টাওয়ারের চেয়েও উঁচু। সেতুটির দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৩১৫ মিটার, যা একে শুধু একটি প্রযুক্তিগত কৃতিত্ব নয়, বরং একটি লজিস্টিক ও ভূতাত্ত্বিক ধাঁধায় পরিণত করেছে। এই অঞ্চলের ভূপ্রকৃতি খাড়া, ঢালু এবং গভীর খাত দিয়ে গঠিত। দুর্বল শিলা দিয়ে গঠিত ভূমি। তাই ধসের আশঙ্কা প্রতি পদে।

    লতার কাজ

    অধ্যাপক লতা ছিলেন এই ঢালগুলির চরিত্র বিশ্লেষণ এবং এমন স্থিতিশীলকরণ পদ্ধতি নির্ধারণের দায়িত্বে, যা চরম আবহাওয়া ও ভূতাত্ত্বিক চাপও সহ্য করতে পারে (Chenab Bridge)। তাঁর অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ ছিল টিমের জন্য এমন গভীর ভিত্তি এবং বিশাল আর্চ সমর্থন ডিজাইন করতে সহায়তা করা, যা ঘণ্টায় ২২০ কিমি পর্যন্ত বায়ু প্রবাহ সহ্য করতে পারে এবং এই ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলের কম্পনেও অনড় থাকতে পারে। এক বিবৃতিতে লতা বলেন, “এত জটিল ভূপ্রকৃতিতে ভিত্তি ডিজাইন করার অর্থ ছিল একাধিক ভাঙনের সম্ভাব্যতা বিবেচনা করা। সেতুটি এমন একটি জায়গায় অবস্থিত, যা কল্পনাতীতভাবে কঠিন। নিরাপত্তার জন্য প্রতিটি কাঠামোগত সিদ্ধান্ত তিনবার করে যাচাই করা হয়েছে (Madhavi Latha)।”

    ভূগর্ভস্থ দুর্ঘটনা রুখতে পদক্ষেপ

    প্রধান নির্মাণ সংস্থা আফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচারের সঙ্গে কাজ করার সময় মাধবী লতা ভূ-প্রযুক্তিগত সমীক্ষা থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়মিতভাবে পর্যালোচনা করতেন। ঢালের চরিত্র পর্যবেক্ষণ করতেন। অপ্রত্যাশিত কোনও ভূগর্ভস্থ দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে, তাই প্রায়ই তিনি কাঠামোগত নকশায় পরিবর্তনের সুপারিশ করতেন (Chenab Bridge)। এই ধরনের বৃহৎ প্রকল্পে সাধারণত রাজনৈতিক নেতৃত্ব বা প্রাতিষ্ঠানিক সাফল্যের ওপর বেশি ফোকাস পড়ে। কিন্তু অধ্যাপক মাধবী লতার মতো প্রযুক্তিবিদরা দেশকে মনে করিয়ে দেন যে, বৈজ্ঞানিক পরিশ্রম, কারিগরি দক্ষতা এবং গভীর প্রতিশ্রুতিই একমাত্র দর্শনকে বাস্তবে রূপ দেয় (Madhavi Latha)।

    ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রযুক্তিগত প্রকল্পের ইতিহাসে মাধবী লতার নাম চিরস্থায়ীভাবে খোদাই করা হয়ে গিয়েছে। লতা কেবল একজন অধ্যাপক নন, তিনি নিজেই এই সেতুর এক স্তম্ভ — দৃঢ়, স্থিতিশীল এবং অপরিহার্য। প্রসঙ্গত, জম্মু-কাশ্মীরের রেসি জেলার বাক্কাল ও কুরির মধ্যে একটি ইস্পাত ও কংক্রিট খিলান যুক্ত রেল সেতুই হল চেনাব সেতু (Chenab Bridge)। সেতুটি চেনাব নদীর তলদেশ থেকে ৩৫৯ মিটার উঁচু। বিশ্বের সর্বোচ্চ রেল সেতু এটি (Madhavi Latha)।

  • RSS: ‘‘স্বয়ংসেবকদের জীবনযাপন সাধারণ কিন্তু চিন্তাভাবনা উচ্চস্তরের’’, বললেন মোহন ভাগবত

    RSS: ‘‘স্বয়ংসেবকদের জীবনযাপন সাধারণ কিন্তু চিন্তাভাবনা উচ্চস্তরের’’, বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)-এর স্বয়ংসেবকেরা (RSS) অত্যন্ত সাধারণ জীবনযাপন করেন, কিন্তু তাঁদের কাজ ও চিন্তাভাবনা থাকে অত্যন্ত উচ্চস্তরের। সমাজের বিকাশ এবং উন্নতির লক্ষ্যে এই কাজ করেন তাঁরা।’’ — এমন কথাই উঠে এল আরএসএস-এর সরসংঘচালক ড. মোহন ভাগবতের (Mohan Bhagwat) বক্তব্যে।

    সংঘ জীবন নামের একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে এই কথাগুলি বলেন ভাগবত

    নাগপুরের শৈক্ষিক সহকারী ব্যাঙ্ক অডিটোরিয়ামে সংঘ জীবন নামক একটি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এই বক্তব্য রাখেন। বইটি লিখেছেন রামচন্দ্র দেবদরে এবং এটি প্রকাশ করেছে নচিকেত প্রকাশন। আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘সংঘের স্বয়ংসেবকরা (RSS) সর্বদা সমাজের জন্য ভালো কাজ করে চলেছেন এবং সেই কাজ তারা করে থাকেন নিঃস্বার্থভাবে ও ধারাবাহিকভাবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আরএসএস সামুহিক সিদ্ধান্তের ওপরেই জোর দেয় সর্বদা। সংঘের প্রতিটি কর্মসূচি ও কার্যকলাপের মধ্যেই এর চেতনা প্রতিফলিত হয়।’’

    প্রচারের আড়ালে কাজ করেন স্বয়ংসেবকরা (RSS)

    তিনি আরও বলেন, ‘‘নেতৃত্বকে আমরা সাধারণভাবে চোখে দেখতে পাই, কিন্তু সেই উৎসর্গীকৃত মানসিকতা সম্পন্ন এবং প্রচারের আড়ালে থাকা অসংখ্য কর্মী যাঁরা নিঃস্বার্থভাবে সমাজকে সংগঠিত করতে কাজ করে চলেছেন, তাঁদের চোখে দেখা যায় না, কিন্তু তাঁদের অবদান অনস্বীকার্য।’’ ড. ভাগবত আরও বলেন, ‘‘ভারত ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করেছে সামুহিক সংঘর্ষের মাধ্যমেই, কিন্তু সেই সংগ্রামের পেছনে ছিল একটি গভীর চেতনা ও আত্মত্যাগের ইতিহাস।’’

    বই সম্পর্কে কী বললেন আরএসএস প্রধান (RSS)

    এই বই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘‘রামচন্দ্র দেবদরের অভিজ্ঞতাই এই গ্রন্থে প্রতিফলিত হয়েছে তিনি তা অত্যন্ত সরল ও হৃদয়গ্রাহী ভাষায় লিপিবদ্ধ করেছেন এই বই যা পাঠকদের সহজেই বোধগম্য হবে।’’ তিনি আরও উল্লেখ করেন, এই বইয়ের মাধ্যমে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হয়েছে সেই সকল স্বয়ংসেবকদের (RSS) প্রতি, যাঁরা নিরন্তর ও নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে চলেছেন সমাজের জন্য।

  • Morocco: এবছরের কোরবানিতে মরক্কোয় পশু হত্যা নিষিদ্ধ করেন রাজা ষষ্ঠ মহম্মদ, কেন জানেন?

    Morocco: এবছরের কোরবানিতে মরক্কোয় পশু হত্যা নিষিদ্ধ করেন রাজা ষষ্ঠ মহম্মদ, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আফ্রিকার ছোট্ট দেশ মরক্কো (Morocco), যেখানে ৯৯ শতাংশ মুসলিম জনসংখ্যা বসবাস করে। সেখানে এ বছরের ঈদ-উল-আযহা বা বকরিদ (Bakrid) উপলক্ষে পশু জবাই নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মরক্কোর রাজা ষষ্ঠ মহম্মদ দেশের চলমান অর্থনৈতিক সংকট এবং তীব্র খরার কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

    কোরবানির পশু বিক্রিও নিষিদ্ধ করা হয়েছে (Morocco)

    সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী, কোরবানির পশু বিক্রিও নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং দেশের বিভিন্ন পশুর হাট ও বাজার সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মরক্কোর প্রশাসনের মতে, দেশে পশু জবাইয়ের কারণে গবাদি পশুর সংখ্যা বিপজ্জনকভাবে কমে যাচ্ছে তাই এমন সিদ্ধান্ত। সেদেশের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলিতে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের বিভিন্ন প্রদেশে সাপ্তাহিক ভেড়ার হাট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকি, পশু বিক্রি সংক্রান্ত যেকোনো অস্থায়ী বা স্থায়ী বাজারও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মরক্কোর নিরাপত্তা বাহিনী বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে গবাদি পশুগুলিকেও নিয়ে এসেছে। যাতে ঈদে সেগুলো হত্যা না করা হয়। একইসঙ্গে, কিছু এলাকার কসাইখানা সাময়িকভাবে (Morocco) বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পশু জবাইয়ের জন্য ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম বিক্রির ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

    মরোক্কোতে ভেড়ার সংখ্যা ৩৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে (Morocco)

    উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতেই রাজা ষষ্ঠ মহম্মদ দেশের নাগরিকদের আর্থিক চাপ কমাতে এবং গবাদি পশু সংরক্ষণের জন্য কোরবানি থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। তিনি জানান, দেশের সমস্ত নাগরিকদের পক্ষ থেকে তিনিই একমাত্র পশু জবাই করবেন কোরবানিতে। বিগত ছয় বছর ধরে মরক্কো তীব্র খরার সঙ্গে লড়াই করছে। এর ফলে দেশে ভেড়ার সংখ্যা ৩৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এছাড়াও, মরোক্কোতে (Morocco) ৫০ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে, যার ফলে পশুখাদ্যের তীব্র ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে পশু জবাই বন্ধ করে সংরক্ষণের দিকেই গুরুত্ব দিচ্ছে মরক্কো সরকার (Bakrid)।

  • Bangladeshi Hindus: ‘বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু’! মে মাসে ওপার বাংলায় হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাপ্রবাহ – পর্ব ২

    Bangladeshi Hindus: ‘বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু’! মে মাসে ওপার বাংলায় হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাপ্রবাহ – পর্ব ২

    (বাংলাদেশে লাগাতার চলছে হিন্দু নির্যাতন। ডাকাতি, খুন, ধর্ষণ, জমি দখল, মন্দির ভাঙচুর নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিগত মে মাসে ইউনূস জমানার বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর আক্রমণের একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। এগুলি প্রকাশিত হয়েছে বাংলাদেশের প্রথম সারির সংবাদপত্রগুলিতেও। মে মাসে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলা নিয়েই আমাদের এই সিরিজ ‘বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু’)

    পর্ব-২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৯ মে বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো-তে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ঢাকা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় মাসুম হোসেন নামের এক ব্যক্তি। তার বিরুদ্ধে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে খুনের হুমকি ও ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে। ঘটনাটি ঘটে ঢাকার কামরনগিরছা এলাকায়।
    ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ৩৬ বছর বয়সি মাসুম হোসেন খুনের হুমকি দিয়ে ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীর দোকানে লুটপাট চালায়। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যেও চরম আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। স্বর্ণ ব্যবসায়ীর নাম রাজবংশী। যাঁকে ৫০ হাজার টাকা দিতে বাধ্য করা হয়।
    জানা গেছে, মাসুম হোসেনের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক খুন ও ডাকাতির মামলা রয়েছে (Bangladeshi Hindus)। পুলিশ তাকে চান্দ মসজিদ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।

    ঘরে ঢুকে কিশোরীকে যৌন নির্যাতনের চেষ্টা (Bangladeshi Hindus)

    ১২ মে প্রথম আলো-তে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, চট্টগ্রামে যুবদলের নেতা আবুল কাশেম কিশোরীকে যৌন নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
    কাশেম ‘জল খাওয়ার’ অজুহাতে ওই কিশোরীর বাড়িতে ঢুকে তাকে যৌন নির্যাতন করে। স্থানীয়রা ঘটনা জানতে পেরে গেলে কাশেম মোটরসাইকেলে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় একটি গোষ্ঠী নির্যাতিতার পরিবারকে পুলিশে অভিযোগ না করতে চাপ দেয় এবং কাশেমের সঙ্গে মীমাংসার কথা বলে। তবে নির্যাতিতার মা অভিযোগ দায়ের করেন এবং জানান, তাঁর মেয়েকে নিজের বাড়িতে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে।
    আবুল কাশেম বর্তমানে যুবদলের একজন সক্রিয় নেতা এবং কমিটিতে রয়েছে। ঘটনার পর স্থানীয় যুবদল নেতৃত্ব কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছে।

    আদিবাসী পরিবারের ওপর হামলা (Bangladeshi Hindus)

    ৯ মে ইবি নিউজ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ৮ মে রংপুরের রামনাথপুর ইউনিয়নের বদরগঞ্জ এলাকায় যুবদল নেতা জোবায়দুল ও তার সহযোগীরা একটি আদিবাসী পরিবারের ওপর হামলা চালায় ও লুটপাট করে।
    ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন একটি শিশু লিচু গাছ থেকে পড়ে যায় এবং জোবায়দুল অপর একটি শিশু অর্জুন রাউতকে একারণে দায়ী করে। এরপর জোবায়দুল ও তার সঙ্গীরা অর্জুনের বাড়িতে ভাঙচুর করে নগদ টাকা ও স্বর্ণ অলঙ্কার লুট করে। পরবর্তীতে অর্জুনের পরিবারের পক্ষ থেকে ছয়জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়।

    রংপুরে সোনার দোকানে চুরি (Bangladeshi Hindus)

    ১৪ মে সমকাল-এ প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, রংপুর শহরের লক্ষ্মী জুয়েলারি থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পাঁচজন মহিলা একটি সোনার বাক্স চুরি করে।
    বাক্সটিতে ১০০ ভরি সোনা ছিল, যার বাজারমূল্য দেড় কোটি টাকা। তারা দোকানে ঢুকে কর্মচারীদের বিভ্রান্ত করে এবং একজন মহিলা ক্যাশ কাউন্টার থেকে বাক্সটি নিয়ে পালিয়ে যায়। বিকেল ৩টার দিকে দোকানের মালিক সিসিটিভি ফুটেজে বিষয়টি শনাক্ত করেন এবং রংপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

    শিব মন্দিরে মাইক বাজানো নিয়ে সংঘর্ষ

    ১৪ মে আজকের পত্রিকা-তে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, নাটোরের লালপুর উপজেলার হালদারপাড়ায় একটি শিব মন্দিরে গান বাজানো নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষ ঘটে।
    ধুপাইল এলাকার এই ঘটনায় দুইজন আহত হন। পুলিশ জানায়, স্থানীয় বাসিন্দা পিন্টু আলি এই ঝামেলার সূত্রপাত করে। ২১ বছর বয়সি অলিউল ইসলামকে সেনাবাহিনী আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

    খুলনায় প্রধান শিক্ষক গুলিবিদ্ধ

    ১৫ মে প্রথম আলো-তে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, খুলনার আড়ংঘাটা এলাকার টেলিগাতী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিলীপ কুমার সরকারের ওপর দুষ্কৃতীরা গুলি চালায়।
    সকাল ১০টার দিকে সরদারপাড়া জামে মসজিদের কাছে এই হামলার ঘটনা ঘটে। গুলি তাঁর বাঁ পায়ে লাগে। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ও পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
    পুলিশ জানায়, জমি সংক্রান্ত বিরোধ ও তোলাবাজির টাকা না দেওয়ায় এই হামলা হয়েছে। দিলীপ কুমার সরকার (Hindus Under Attack) সম্প্রতি দুষ্কৃতীদের চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানান।

    তানোরে আদিবাসী নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা (Bangladeshi Hindus)

    ১৫ মে জনকণ্ঠ-এ প্রকাশিত খবরে জানা যায়, রাজশাহীর তানোরে খায়রুল ইসলাম (বয়স ৪৫), একজন আদিবাসী নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
    খায়রুলের দাদা স্থানীয় বিএনপি নেতা। দীর্ঘদিন ধরেই সে ওই মহিলাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন।
    ১৪ মে রাতে, মহিলার বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে সে জোর করে ঢুকে পড়ে এবং ধর্ষণের চেষ্টা করে। প্রতিবেশীদের (Hindus Under Attack) হস্তক্ষেপে তাকে উদ্ধার করা হয়। পরে তানোর থানায় অভিযোগ দায়ের হলে পুলিশ খায়রুলকে গ্রেফতার করে।

     

  • INS Arnala: অগভীর জলেও চলতে পারদর্শী, নৌসেনায় যোগ দিচ্ছে সাবমেরিন-ঘাতক ‘আইএনএস অর্নালা’

    INS Arnala: অগভীর জলেও চলতে পারদর্শী, নৌসেনায় যোগ দিচ্ছে সাবমেরিন-ঘাতক ‘আইএনএস অর্নালা’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৮ জুন বিশাখাপত্তনমে অ্যান্টি-সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার শ্যালো ওয়াটার ক্র্যাফট (ASW-SWC) সিরিজের প্রথম যুদ্ধজাহাজ ‘আইএনএস অর্নালা’ (INS Arnala) ভারতীয় নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে। উল্লেখ্য, গত ৮ মে এই যুদ্ধজাহাজটি নৌবাহিনীর হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেওয়া হয়েছিল।

    ৮৮ শতাংশেরও বেশি উপকরণ দেশীয়ভাবে প্রস্তুত

    এই যুদ্ধজাহাজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হল, এর ৮৮ শতাংশেরও বেশি উপকরণ দেশীয়ভাবে প্রস্তুত। আত্মনির্ভর ভারতের স্পষ্ট ছাপ রয়েছে। জানা গিয়েছে, ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড, এলঅ্যান্ডটি, মহীন্দ্রা ডিফেন্স সহ একাধিক শীর্ষস্থানীয় দেশীয় প্রতিরক্ষা সংস্থার সহযোগিতায় তৈরি হয়েছে এই যুদ্ধজাহাজ। ‘অর্নলা’র (INS Arnala) যাত্রায় উপস্থিত থাকবেন দেশের প্রতিরক্ষা প্রধান জেনারেল অনিল চৌহান।

    গার্ডেন রিচ শিপ বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড তৈরি করেছে

    জানা গিয়েছে, এই জাহাজ (INS Arnala) তৈরি করেছে গার্ডেন রিচ শিপ বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড (জিআরএসই)। সাবমেরিন বা ডুবোজাহাজের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশের নৌবাহিনীকে (Anti Submarine Warfare) সহায়তা করবে এই জাহাজ। জাহাজটি ৭৭.৬ মিটার লম্বা এবং ১০.৫ মিটার চওড়া। ‘অর্নালা’র যাত্রা শুরুর দিনে দেশের প্রতিরক্ষা প্রধান জেনারেল অনিল চৌহান ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন পূর্বাঞ্চলীয় নৌ কমান্ডের ফ্ল্যাগ অফিসার কমান্ডিং ইন চিফ ভাইস অ্যাডমিরাল রাজেশ পেনধারকর। একই সঙ্গে এই জাহাজের নির্মাণ শ্রমিকরাও অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন।

    দেশের যুদ্ধ জাহাজ নির্মাণের ইতিহাসে এমন ঘটনা

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য়, বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে যৌথভাবে এই জাহাজটি তৈরি করা হয়েছে। দেশের যুদ্ধ জাহাজ নির্মাণের (INS Arnala) ইতিহাসে এমন ঘটনা প্রথম। জানা যাচ্ছে, এই প্রকল্পের অধীনে তৈরি করা হচ্ছে মোট ১৬টি যুদ্ধজাহাজ। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আয়তনে ছোট হলেও এই জাহাজ যথেষ্ট কার্যকরী। সমুদ্রে তুলনায় অগভীর এলাকাগুলিতে এই জাহাজ কাজে লাগানো হবে। হাল্কা ওজনের টর্পিডো, সাবমেরিন বা ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী রকেটে সমৃদ্ধ হবে এই রণতরী। এই জাহাজকে শক্তি জোগাবে এক জোড়া ডিজেল ইঞ্জিন এবং ‘ওয়াটার জেট প্রোপালসান’ সিস্টেম। বহুক্ষেত্রে শত্রুর সাবমেরিন সেই সব অগভীর সমুদ্রাঞ্চল বা খাঁড়িতে মোতায়েন থাকে বা ঘাপটি মেরে বসে থাকে যেখানে বড় জাহাজ ঢুকতে পারে না। সেখানে অতি সহজেই ঢুকে যাবে ‘আইএনএস অর্নালা’।

    কেন যুদ্ধজাহাজটির নাম ‘অর্নালা’?

    যুদ্ধজাহাজটির নাম ‘অর্নালা’ কেন রাখা হল, তা নিয়ে অনেকের কৌতূহল থাকতেই পারে। এই নামটির পেছনে রয়েছে এক ঐতিহাসিক গুরুত্ব। আসলে, ‘অর্নালা’ নামটি এসেছে মহারাষ্ট্রের এক উপকূলীয় দুর্গ থেকে থেকে। সেটিরও নাম ছিল ‘অর্নালা’ । ১৭৩৭ সালে মারাঠা নেতা চিমাজি আপ্পা-র নেতৃত্বে এই দুর্গটি নির্মাণ করা হয়। সে সময় বইতোরনা নদীর মুখ এবং উত্তর কোঙ্কন উপকূলকে শত্রু আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য এই দুর্গ ছিল গড়ে তোলা হয়েছিল। এই দুর্গ উপকূল রক্ষার প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত ছিল।

  • Brain Tumor: মানসিক চাপেই বাড়ছে বিপদ! ব্রেন টিউমারের নেপথ্যে কি স্ট্রেস?

    Brain Tumor: মানসিক চাপেই বাড়ছে বিপদ! ব্রেন টিউমারের নেপথ্যে কি স্ট্রেস?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    স্ট্রেস বা মানসিক চাপ মনের পাশাপাশি শরীরের উপরেও গভীর ছাপ ফেলে! মানসিক চাপ থেকে শুরু করে ডিপ্রেসন বা অবসাদ মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে বিপজ্জনক! শরীরের একাধিক রোগের কারণ! এমনকি মস্তিষ্কের টিউমারের (Brain Tumor) কারণ ও হতে পারে মানসিক চাপ। সম্প্রতি চিকিৎসকদের এক আন্তর্জাতিক আলোচনা চক্রে এমন তথ্যই প্রকাশিত হল। তবে, প্রথম থেকেই সতর্ক হলে বড় বিপদ মোকাবিলা সহজ হয়ে যায়। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে চিকিৎসার সুযোগ হারিয়ে যায়। তারপরে শুরু হয় রোগ নির্ণয়। এটাই মস্তিষ্কের টিউমারের চিকিৎসায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আজ, ৮ মে ওয়ার্ল্ড ব্রেন টিউমার ডে (World Brain Tumor Day)। সেই উপলক্ষে একটি সর্বভারতীয় কর্মশালায় এমনটাই জানালেন দেশের বিভিন্ন শহরের শল্য চিকিৎসকদের একাংশ। বিশ্ব জুড়ে লাগাতার মস্তিষ্কের টিউমার ও তার চিকিৎসা নিয়ে গবেষণা চলছে। গবেষণায় নতুন দিক উঠে আসছে। তবে আধুনিক এই চিকিৎসার প্রথম শর্ত হল দ্রুত রোগ নির্ণয়। ভারতে মস্তিষ্কের টিউমার (Brain Tumor) চিকিৎসার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সচেতনতার অভাব। তাই রোগ নির্ণয় করতেই অনেকটা সময় চলে যায়‌।

    ভারতে ব্রেন টিউমারে ভুক্তভোগীদের সংখ্যা কি বাড়ছে?

    ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর ভারতে নতুন করে ব্রেন টিউমারে আক্রান্তের তালিকা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতিবছর প্রায় তিরিশ হাজার মানুষ এ দেশে নতুন করে ব্রেন টিউমারের সমস্যার শিকার হন। যা যথেষ্ট উদ্বেগের। এই রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি জটিল এবং দীর্ঘমেয়াদি হওয়ায় রোগীর বাড়তি ভোগান্তি হয় বলেও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কেন ব্রেন টিউমার (Brain Tumor) হয়?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কোনও একটি নির্দিষ্ট কারণকে ব্রেন টিউমারের জন্য দায়ী করা যায় না। তবে কিছু কারণে ব্রেন টিউমারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। সেগুলো এড়িয়ে চললে রোগের ঝুঁকিও কমতে পারে। মানসিক চাপ ব্রেন টিউমারের অন্যতম কারণ বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, দেশে ব্রেন টিউমারে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ, মানসিক অসুস্থতা! আধুনিক জীবন যাপনে অধিকাংশ মানুষ নানান কারণে মানসিক সমস্যায় ভুগছেন‌। বদলে যাচ্ছে ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক সম্পর্ক। এমনকি কর্মজীবনে ও নানান পরিবর্তন আসছে। আর এই সবকিছুই মানুষের মনে গভীর প্রভাব ফেলছে। বহু মানুষ নানান কারণে মানসিক চাপের শিকার হচ্ছেন। এর ফলে মস্তিষ্কে অদ্ভুত প্রতিক্রিয়া তৈরি হচ্ছে। মানসিক চাপ থাকলে শরীরে অতিরিক্ত স্ট্রেস হরমোন ক্ষরণ হয়। মস্তিষ্কে এর গভীর প্রভাব পড়ে। এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব হিসাবে টিউমার (Brain Tumor) হতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    স্ট্রেস ফ্যাক্টরের পাশপাশি আরও কিছু কারণ মস্তিষ্কের টিউমারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। নিয়মিত রেডিয়েশন, এক্স রে শরীরে প্রবেশ করলে ব্রেন টিউমারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই দেখা যায়, অন্য কোনও রোগের জেরে দীর্ঘদিন রেডিয়েশন থেরাপি নেওয়ার জেরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসাবে ব্রেন টিউমার (Brain Tumor) হয়েছে। আবার বংশানুক্রমিক সমস্যার জেরেও এই রোগ হতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পরিবারে ক্যান্সারে আক্রান্ত কেউ থাকলে বা আগে কেউ অন্য কোনও টিউমারে আক্রান্ত থাকলে পরবর্তী প্রজন্মের মস্তিষ্কের টিউমারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। স্থুলতা মস্তিষ্কের টিউমারের অন্যতম কারণ হতে পারে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, দেহের ওজন অতিরিক্ত বেড়ে গেলে মস্তিষ্কে চাপ‌ পড়ে। সেটা টিউমারের অন্যতম কারণ হতে পারে।

    কীভাবে উপসর্গ চিনবেন?

    চিকিৎসকদের মতে, প্রথম পর্বেই রোগ নির্ণয় হয়ে গেলে রোগের‌ মোকাবিলা সম্ভব। কিছু উপসর্গ সম্পর্কে সজাগ হলেই রোগ নির্ণয় দ্রুত সম্ভব বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত মাথার তীব্র যন্ত্রণা, মাঝেমধ্যেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলা, স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলা, কাজ করার ইচ্ছে না থাকা, বমি হওয়া, মল-মূত্রত্যাগে নিয়ন্ত্রণ হারানোর মতো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। নির্দিষ্ট পরীক্ষার (Brain Tumor) মাধ্যমে রোগ নির্ণয় সম্ভব।‌

    চিকিৎসার পরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা সম্ভব?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ব্রেন টিউমারের (World Brain Tumor Day) আক্রান্ত মানেই জীবন শেষ, এমন ভাবনা একেবারেই ঠিক নয়। টিউমারের চিকিৎসা সম্ভব। আর টিউমার হলেই ক্যান্সার বা অন্য কোনও জটিল রোগ হবে এমন ভাবাও অপ্রয়োজনীয়। নানান নেতিবাচক ভাবনা বাদ দিয়ে ঠিকমতো চিকিৎসা সম্পূর্ণ করলে আবার সুস্থ জীবনে ফিরে আসা যায়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Ramakrishna 374: যে বাটিতে রসুন গুলেছে, সে বাটি হাজার ধোও রসুনের গন্ধ যায় না

    Ramakrishna 374: যে বাটিতে রসুন গুলেছে, সে বাটি হাজার ধোও রসুনের গন্ধ যায় না

    সন্ধ্যা সমাগমে ঠাকুরের প্রার্থনা- তেজচন্দ্র

    সন্ধ্যা হইল ঘরে বাতি জ্বালা হইয়াছে (Ramakrishna)। শ্রী রামকৃষ্ণ ঠাকুরদের নাম করিতেছেন। গান গাহিতেছেন ও প্রার্থনা করিতেছেন। বলিতেছেন, হরিবোল, হরিবোল, হরিবোল। আবার রাম, রাম, রাম, আবার নিত্যলীলা। ওমা উপায় বল মা। শরণাগত, শরণাগত, শরণাগত।

    গিরিশকে ব্যস্ত দেখিয়া ঠাকুর একটু চুপ করিলেন। তেজচন্দ্রকে বলিতেছেন, তুই একটু কাছে এসে বোস (Kathamrita)। তেজচন্দ্র কাছে বসলেন। কিয়তক্ষণ পরে মাস্টারকে ফিসফিস করিয়া বলিতেছেন, আমায় যেতে হবে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ- আমি ওদের অত টানি কেন? ওরা নির্মল, আঁধার বিষয়বুদ্ধি ঢোকেনি। থাকলে উপদেশ ধারণ করতে পারেনা (Ramakrishna)। নতুন হাঁড়িতে দুধ রাখা হয়, দই পাতা হাঁড়িতে দুধ রাখলে দুধ নষ্ট হয়।

    যে বাটিতে রসুন গুলেছে, সে বাটি হাজার ধোও রসুনের গন্ধ যায় না।

    শ্রী রামকৃষ্ণ (Ramakrishna) (স্টার থিয়েটারে)

    বৃষকেতু অভিনয় দর্শনে, নরেন্দ্র প্রভৃতি সঙ্গে

    ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণ বৃষকেতু অভিনয় দর্শন করিবেন। বিডন স্ট্রিটে যেখানে পরে মনমোহন থিয়েটার হয়। পূর্বে সেইমঞ্চে স্টার থিয়েটার অভিনয় হইত। থিয়েটারে আসিয়া বক্সে দক্ষিণাস্য হইয়া বসিয়া আছেন।

    ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণ- (মাস্টারের প্রতি) নরেন্দ্র এসেছে?

    মাস্টার- আজ্ঞে হ্যাঁ (Ramakrishna)

    অভিনয় হইতেছে। কর্ণ ও পদ্মাবতী করাত দুই দিকে দুইজনে ধরিয়া বৃষকেতুকে বলিদান করিলেন। পদ্মাবতী কাঁদিতে কাঁদিতে মাংস রন্ধন করিলেন। বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ অতি আনন্দ করিতে করিতে কর্ণকে বলিতেছেন এইবার এসো আমরা একসঙ্গে বসে রান্না মাংস খাই। কর্ণ বলিতেছেন, তা আমি পারব না পুত্রের মাংস খেতে পারব না।

  • Daily Horoscope 08 June 2025: বুকের সমস্যা বৃদ্ধি পাবে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 08 June 2025: বুকের সমস্যা বৃদ্ধি পাবে এই রাশির জাতকদের

    মেষ

    ১) ব্যবসায় অশান্তি বাধার আশঙ্কা।

    ২) বুকের সমস্যা বৃদ্ধি।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    বৃষ

    ১) বুদ্ধির ভুলে কোনও ক্ষতি হতে পারে, একটু সাবধান থাকা দরকার।

    ২) ভালো কাজে নিরাশ হয়ে ফিরে আসতে হবে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মিথুন

    ১) প্রেমের ব্যাপারে মানসিক অবসাদ দেখা দেবে।

    ২) ব্যবসায় লাভ বৃদ্ধি, তবে খরচও বাড়বে।

    ৩) পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান।

    কর্কট

    ১) কোনও সন্দেহজনক ব্যক্তি থেকে সাবধান।

    ২) নতুন কাজের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    সিংহ

    ১) দিনটি ভালো-খারাপ মিশিয়ে কাটবে।

    ২) বাড়ির কাছে ভ্রমণের ব্যাপারে আলোচনা।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে মনের কথা বলুন।

    কন্যা

    ১) পুরনো রোগ থেকে মুক্তিলাভ।

    ২) ব্যবসায় মন্দা দেখা দিতে পারে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    তুলা

    ১) শিক্ষাগত যোগ্যতার কারণে ভালো কাজ হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে।

    ২) সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়ে সমস্যা হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃশ্চিক

    ১) উচ্চাভিলাষী কোনও ব্যক্তির পাল্লায় পড়ে অর্থব্যয়।

    ২) মধুর ভাষণের দ্বারা শ্রোতাদের মন জয় করতে পারবেন।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    ধনু

    ১) সকালের দিকে কাজের ব্যাপারে শুভ যোগাযোগ আসতে পারে।

    ২) কর্মস্থানে গুপ্তশত্রু হতে পারে।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    মকর

    ১) অন্যের জিনিসের উপর লোভ সামলাতে না পারলে বিপদে পড়তে পারেন।

    ২) সংসারে মনঃকষ্ট।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    কুম্ভ

    ১) বাড়িতে গুরুজনদের স্বাস্থ্যের উন্নতি হতে পারে।

    ২) অতিরিক্ত বিশ্বাসের খেসারত দিতে হতে পারে।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    মীন

    ১) চাকরির জায়গায় বিরোধী ব্যক্তির সঙ্গে মিত্রতা হয়ে যেতে পারে।

    ২) প্রতিবেশীদের চিকিৎসার জন্য সময় ব্যয়।

    ৩) সমাজ সেবামূলক কাজে যশ বৃদ্ধি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Extreme Poverty Rate: ভারতে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে চরম দারিদ্র্য

    Extreme Poverty Rate: ভারতে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে চরম দারিদ্র্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার বিশ্বব্যাংকের মুখে শোনা গেল মোদি-স্তুতি। কারণ কী জানেন? কারণ মোদি জমানায় ভারতে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে চরম দারিদ্র্য। তামাম বিশ্বের মতো করোনা অতিমারির ধাক্কা লেগেছিল ভারতেও। সেই অভিঘাত কাটিয়ে দারিদ্র্য দূরীকরণে (Extreme Poverty Rate) ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে ভারত। বিশ্বব্যাংকের (World Bank) সাম্প্রতিক রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, সামগ্রিকভাবেও গত এক দশকে ভারতে চরম দারিদ্র্য কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। ২০১১-১২ সালে যেখানে চরম দারিদ্র্যের হার ছিল ২৭.১ শতাংশ, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তা কমে হয়েছে ৫.৩ শতাংশ। বলা বাহুল্য, এই পুরো সময়টাই দেশ চালাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    চরম দারিদ্র্য থেকে মুক্ত (Extreme Poverty Rate)

    বিশ্বব্যাংকের দেওয়া তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, ওই এক দশকে ২৬ কোটি ৯০ লাখের কিছু বেশি মানুষকে চরম দারিদ্র্য থেকে মুক্ত করেছে ভারত। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের নিরিখে একে উল্লেখযোগ্য সাফল্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের করোনা অতিমারি পর্বে ভারতে অন্তত ৫.৬ কোটি মানুষ নতুন করে দারিদ্র্যসীমার নীচে চলে গিয়েছিলেন বলে ২০২২ সালে বিশ্বব্যাংকের পভার্টি অ্যান্ড শেয়ার্ড প্রসপারিটি শীর্ষক রিপোর্টে বলা হয়েছিল।

    অতিমারি পর্বের ধাক্কা

    অতিমারি পর্বের সেই ধাক্কা সামলে মোদি জমানায় অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে দারিদ্র্য দূরীকরণ কর্মসূচি। ২০১১-১২ সালে ভারতে চরম দরিদ্র্য জনসংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে ৩৪ কোটি। ২০২২-২৩ সালে তা নেমে এসেছে সাড়ে সাত কোটিতে। ওই রিপোর্ট থেকেই জানা যাচ্ছে, ২০১১-২৩ সালের মধ্যে নিম্ন-মধ্য আয়ের দারিদ্র্যও ৫৭.৭ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ২৩.৯ শতাংশে। বিশ্বব্যাংক দারিদ্র্যের সংজ্ঞা নির্ধারণের ক্ষেত্রে আগে দৈনিক ২.১৫ মার্কিন ডলার খরচের ক্ষমতাসীমা মেনে চলত। ২০২১ সালে তা বাড়িয়ে করা হয় ৩ মার্কিন ডলার। তার পরেও ভারতে কমেছে দরিদ্র্যের সংখ্যা।

    বিশ্বব্যাংকের রিপোর্ট

    বিশ্বব্যাংকের রিপোর্ট অনুসারে, গ্রামীণ ও শহুরে উভয় ক্ষেত্রেই দারিদ্র্য হ্রাসে ভারত অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। গ্রামীণ এলাকায় চরম দারিদ্র্য ২০১১-১২ সালে ১৮.৪ শতাংশ থেকে ২০২২-২৩ সালে ২.৮ শতাংশে নেমেছে। শহুরে এলাকায় এই হার ১০.৭ শতাংশ থেকে ১.১ শতাংশে কমেছে। গ্রামীণ ও শহুরে দারিদ্র্যের ব্যবধানও ৭.৭ শতাংশ পয়েন্ট থেকে মাত্র ১.৭ শতাংশ পয়েন্টে নেমে এসেছে, যা বার্ষিক ১৬ হ্রাসের ইঙ্গিত দেয় (Extreme Poverty Rate)। আয়ের পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, স্যানিটেশন, পানীয় জল এবং বিদ্যুৎ অ্যাক্সেসের মতো ক্ষেত্রগুলি বিবেচনা করে বিশ্বব্যাঙ্কের বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচক অনুসারে, ভারতের অ-আর্থিক দারিদ্র্যও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। ২০০৫-’০৬ সালে এই সূচক ছিল ৫৩.৮ শতাংশ, যা ২০১৯-২১ সালে ১৬.৪ শতাংশ এবং ২০২২-২৩ সালে আরও কমে দাঁড়িয়েছে ১৫.৫ শতাংশে। এই অগ্রগতি শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং মৌলিক পরিষেবাগুলিতে অ্যাক্সেস বৃদ্ধির ফল।

    চরম দরিদ্র্য জনসংখ্যা

    উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও মধ্যপ্রদেশের মতো পাঁচটি রাজ্য ২০১১-১২ সালে ভারতের চরম দরিদ্র্য জনসংখ্যার ৬৫ শতাংশ নিয়ে গঠিত ছিল। এই রাজ্যগুলি ২০২২-২৩ সালের মধ্যে দারিদ্র্য হ্রাসে দুই-তৃতীয়াংশ অবদান রেখেছে (World Bank)। তবে এই রাজ্যগুলি এখনও ২০২২-’২৩ সালে দেশের চরম দরিদ্র্য জনসংখ্যার ৫৪ শতাংশ এবং ২০১৯-’২১ সালে বহুমাত্রিক দরিদ্র জনসংখ্যার ৫১ শতাংশ নিয়ে গঠিত (Extreme Poverty Rate)।

    মোদির ক্রেডিট

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারের বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্প এই সাফল্যের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আয়ুষ্মান ভারত, জন ধন যোজনা, প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা এবং পিএম সূর্য ঘর মুফত বিজলি যোজনার মতো প্রকল্পগুলি মৌলিক পরিষেবাগুলিতে অ্যাক্সেস বাড়িয়েছে এবং দারিদ্র্য কমাতে সাহায্য করেছে। সরকারি বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, এই প্রকল্পগুলির কার্যকর করায় প্রায় ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

    দারিদ্র্যের মানদণ্ড

    এই অগ্রগতি নিঃসন্দেহে উল্লেখযোগ্য। তবে বিশ্বব্যাংক এবং অর্থনীতিবিদদের একাংশের মতে, দারিদ্র্যের মানদণ্ড খুবই কম হতে পারে। ২.১৫ মার্কিন ডলার প্রতিদিনের সীমা মাসিক ৫ হাজার ২০০ টাকার কম খরচের সমতুল, যা বাস্তব জীবনে পর্যাপ্ত নাও হতে পারে। এছাড়া, আয়ের বৈষম্য এখনও একটি চ্যালেঞ্জ। বিশ্ব বৈষম্য ডেটাবেস অনুসারে, ২০২৩ সালে ভারতের আয়ের গিনি সূচক ৫২ থেকে ৬২-তে উন্নীত হয়েছে এবং শীর্ষ ১০ শতাংশ জনগোষ্ঠী নিম্ন ১০ শতাংশের তুলনায় ১৩ গুণ বেশি আয় করে (Extreme Poverty Rate)। ওই রিপোর্টে দারিদ্র্য হ্রাসের ভিত পোক্ত করতে বিশ্বব্যাংক শিক্ষা, স্যানিটেশন এবং আনুষ্ঠানিক কর্মসংস্থানে আরও উন্নতির ওপর জোর দিয়েছে (World Bank)।

    প্রসঙ্গত, মোদি জমানায় যে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পারদ চড়চড়িয়ে বাড়ছে, তার প্রমাণ মিলেছে আগেও। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় পঞ্চম স্থানে থাকা ভারত বর্তমানে উঠে এসেছে চতুর্থ স্থানে (Extreme Poverty Rate)।

  • G7 Summit: জি৭ সামিটে ভারতকে কেন আমন্ত্রণ? কারণ ব্যাখ্যা করলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী কার্নি

    G7 Summit: জি৭ সামিটে ভারতকে কেন আমন্ত্রণ? কারণ ব্যাখ্যা করলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী কার্নি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জি৭ সামিটে (G7 Summit) আমন্ত্রণ পেলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ অতিথি দেশ হিসেবে অংশ নেবে ভারত। ১৫ থেকে ১৭ জুন কানাডার আলবার্টার কানানাসকিসে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ওই সম্মেলন। যদিও ভারত জি৭-এর সদস্য নয়, তবুও বৈশ্বিক ক্ষেত্রে ভারতের ক্রমবর্ধমান (Canada PM) প্রভাবের কারণে এবারের জি৭ সভাপতির দায়িত্বে থাকা কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এই সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

    কার্নির বক্তব্য (G7 Summit)

    ভারতকে আমন্ত্রণ জানানোর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কার্নি বলেন, ‘‘কিছু দেশ আছে যাদের এই আলোচনার টেবিলে থাকা উচিত। ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি, সর্বাধিক জনবহুল দেশ এবং একাধিক বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলের কেন্দ্রবিন্দু।’’ তাঁর এই মন্তব্য ভারতকে বৈশ্বিক বাণিজ্য, জ্বালানি রূপান্তর এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো উদীয়মান প্রযুক্তির ক্ষেত্রে একটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে তুলে ধরে। জানা গিয়েছে, শীর্ষ সম্মেলনের অ্যাজেন্ডায় গুরুত্ব দেওয়া হবে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদ সুরক্ষিত করা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরিচালনার অগ্রগতি সাধন এবং বিশ্বসেরা অর্থনীতি ও গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারদের মধ্যে জ্বালানি সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর। প্রধানমন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, উদ্দীপনাপূর্ণ গণতন্ত্র হিসেবে, যাদের মধ্যে গভীর জনসম্পর্ক রয়েছে, ভারত ও কানাডা পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও অভিন্ন স্বার্থের ভিত্তিতে নতুন উদ্যমে এক সঙ্গে কাজ করবে।

    শিখ অধিকার সংগঠন

    ভারতকে আমন্ত্রণ জানানোয় কার্নির ওপর বেজায় খাপ্পা কানাডার শিখ অধিকার বিভিন্ন সংগঠন। তারা কার্নির এই পদক্ষেপের ব্যাপক সমালোচনা করেছে। তারা ২০২৩ সালে হরদীপ সিং নিজ্জর নামে এক খালিস্তানপন্থীর হত্যার তদন্তের উল্লেখ করেছে। কার্নি বলেন, “এই বিষয়ে একটি আইনগত প্রক্রিয়া কানাডায় চলছে এবং অনেকটাই এগিয়ে গেছে… এই ধরনের আইনগত প্রক্রিয়া চলাকালে মন্তব্য করা কখনোই উপযুক্ত নয়।” জানা গিয়েছে, চারজন ভারতীয় নাগরিককে নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। উত্তেজনা সত্ত্বেও দ্বিপাক্ষিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কথাবার্তা ফের শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত (Canada PM), ভারত এখনও কানাডার দশম বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার।

    ভারতের গুরুত্ব

    কার্নি বলেন, ‘‘এই ধরনের (G7 Summit) আলোচনার জন্য কিছু নির্দিষ্ট দেশকে অবশ্যই আলোচনার টেবিলে থাকতে হবে, জি৭-এর চেয়ার হিসেবে আমি এই পরামর্শ দিচ্ছি। তিনি বলেন, ভারত বর্তমানে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি কার্যত বিশ্বের সর্বাধিক জনসংখ্যার দেশ এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ শৃঙ্খলের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করছে। তাই এর অংশগ্রহণ পুরোপুরি যুক্তিসঙ্গত। এর পাশাপাশি, দ্বিপাক্ষিকভাবে আমরা এখন নিয়মিত আইন প্রয়োগ সংক্রান্ত সংলাপ চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছি, যা একটি অগ্রগতি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এই প্রেক্ষাপটে আমি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম এবং তিনি তা গ্রহণও করেছেন।’’

    মোদির প্রতিক্রিয়া

    কার্নির ফোন পেয়ে যারপরনাই আপ্লুত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি বলেন, ‘‘কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক জে কার্নির ফোনকল পেয়ে আনন্দিত। সাম্প্রতিক নির্বাচনে বিজয়ের জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানালাম এবং এই মাসের শেষের দিকে কানানাসকিসে অনুষ্ঠিতব্য জি৭ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানালাম (G7 Summit)। প্রাণবন্ত গণতন্ত্র হিসেবে, যাদের মধ্যে গভীর জনসংযোগ রয়েছে, ভারত ও কানাডা পারস্পরিক সম্মান এবং অভিন্ন স্বার্থকে পথনির্দেশ করে নয়া উদ্যমে এক সঙ্গে কাজ করবে। সম্মেলনে আমাদের সাক্ষাতের (Canada PM) অপেক্ষায় রইলাম।’’ এবার জি৭-এর আয়োজক দেশ কানাডা। তাই কানাডাই আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারতকে। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, ইউক্রেন এবং মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট।

    জি৭ সম্মেলন

    আগামী ১৫ থেকে ১৭ জুন কানাডায় হবে ৫১তম জি৭ সম্মেলন। রীতি অনুযায়ী, আয়োজক দেশ জি৭-এর বাইরে থাকা কিছু দেশকেও বৈঠকে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানায়। কিন্তু এতদিন ভারতের কাছে কানাডার তরফে এমন কোনও আমন্ত্রণ না আসায় জল্পনা তৈরি হয়েছিল। বিদেশমন্ত্রকের বক্তব্যের জন্য অপেক্ষা না করেই কংগ্রেস দাবি করেছে জি৭ সম্মেলনে মোদিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এটি ভারতের আরও একটি কূটনৈতিক ব্যর্থতা বলে দাবি করে সোনিয়া গান্ধীর দল। তার পরে পরেই আসে কার্নির আমন্ত্রণ। মুখ পোড়ে কংগ্রেসের (G7 Summit)।

    প্রসঙ্গত, জি৭ হল বিশ্বের উন্নত অর্থনীতির দেশগুলির একটি গোষ্ঠী। এর সদস্য দেশগুলি হল ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, ব্রিটেন, জাপান, আমেরিকা এবং কানাডা। এই বৈঠকে ভারতের (Canada PM) প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি আমন্ত্রিত ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আইএমএফ, বিশ্বব্যাঙ্ক এবং রাষ্ট্রসংঘও (G7 Summit)।

LinkedIn
Share