Tag: bangla news

bangla news

  • FIEO: ভারতের পণ্য রফতানি পৌঁছতে পারে ৮৮.৫ লাখ কোটি টাকায়!

    FIEO: ভারতের পণ্য রফতানি পৌঁছতে পারে ৮৮.৫ লাখ কোটি টাকায়!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নরেন্দ্র মোদির জমানায় চড়চড়িয়ে উঠছে অর্থনীতির পারা। বিশ্ববাণিজ্যের প্রতিকূল পরিবেশ সত্ত্বেও ভারতের পণ্য ও পরিষেবা রফতানি (Export) ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে পৌঁছতে পারে ৮৮.৫ লক্ষ কোটি টাকায়। অন্তত এমনই অনুমান রফতানিকারীদের শীর্ষ সংস্থার (FIEO)। বিশ্ববাণিজ্যে প্রতিকূল পরিস্থিতি সত্ত্বেও, ভারতের অগ্রগতি অক্ষুণ্ণ থাকতে পারে বলে অনুমান।

    এফআইইওর বক্তব্য

    রফতানিকারীদের শীর্ষ সংস্থা ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনের  (FIEO) সভাপতি এসসি রালহান বলেন, “আমরা বর্তমান অর্থবর্ষ শেষে প্রায় ৮৮.৫ লাখ কোটি টাকা রফতানি টার্গেট করছি, যেখানে পণ্য রফতানি ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৫২৫-৫৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং পরিষেবা রফতানি ২০ শতাংশ বেড়ে ৪৬৫-৪৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছবে।

    ভারতের মোট রফতানি  (FIEO)

    ২০২৪-’২৫ অর্থবর্ষে ভারতের মোট রফতানি পৌঁছেছে ৭০,৪২,৫৪৮ কোটি টাকায়। তার আগের বছর এর পরিমাণ ছিল প্রায় ৬৪,৭৬,৮৮৬ কোটি টাকা। শতাংশের হিসেবে বৃদ্ধির হার ৬.০১। এই বৃদ্ধির প্রধান চালিকা শক্তি ছিল পরিষেবা রফতানি, যা ১৩.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে পৌঁছেছে প্রায় ৩০ লক্ষ কোটি টাকায়। এর নেপথ্যে রয়েছে আইটি, ব্যবসা, অর্থনীতি ও ভ্রমণ সংক্রান্ত পরিষেবার শক্তিশালী পারফরম্যান্সের ভূমিকা। পণ্য রফতানি হয়েছে প্রায় ৩৬ লক্ষ ৬৯ হাজার কোটি ৮৮ লক্ষ টাকার। পেট্রোলিয়াম ছাড়া অন্যান্য পণ্য রফতানি হয়েছে প্রায় ৩০,৬৭২ কোটি টাকার। গত বছরের তুলনায় বৃদ্ধির হার ৬ শতাংশ বেশি।

    এফআইইওর মতে, উদীয়মান বাজারে সম্প্রসারণ এবং বাণিজ্য অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করা একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতার কারণে সৃষ্ট ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। কাঁচামালের (FIEO) পরিবর্তে ভ্যালু-অ্যাডেড পণ্যের দিকে বেশি করে মনোযোগ দিলে রফতানি আয় বৃদ্ধি পাবে এবং বৈশ্বিক পণ্যমূল্যের ওঠানামা থেকে সৃষ্ট ঝুঁকি কমবে। এছাড়াও, গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (FTA) বাস্তবায়ন করলে বিদেশি বাজারে প্রবেশ অনায়াস হবে এবং বাণিজ্য বাধা কমবে। উন্নত পরিকাঠামোয় বিনিয়োগ, পরিবহণ (Export) খরচ কমানো এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রাখা — এই সব উদ্যোগ ভারতের রফতানির প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান উন্নত করবে (FIEO)।

  • Ramakrishna 365: যাদের টাকা আছে তাদের দান করা উচিত, কৃপণের ধন উড়ে যায়, দাতার ধন রক্ষা হয়

    Ramakrishna 365: যাদের টাকা আছে তাদের দান করা উচিত, কৃপণের ধন উড়ে যায়, দাতার ধন রক্ষা হয়

    সুরেন্দ্রর প্রতি উপদেশ

    শ্রীরামকৃষ্ণ- তুমি যে দান ধ্যান করো খুব ভালো। যাদের টাকা আছে তাদের দান করা উচিত। কৃপণের ধন উড়ে যায়। দাতার ধন রক্ষা হয়। সৎ কাজে যায়। ও দেশে চাষারা খানা কেটে খেতে জল আনে। কখনও কখনও জলের এত তোড় হয় যে ক্ষেতের আল ভেঙে যায়। আর জল বেরিয়ে যায় ও ফসল নষ্ট হয়। তাই চাষারা আলের মাঝে মাঝে ছেদা করে রাখে। তাকে ঘোগ বলা হয়। জল ঘোগ দিয়ে একটু বেরিয়ে যায়। তখন জলের তোড়ে আর আল ভাঙ্গে না। আর ক্ষেতের উপর পলি পড়ে। আর সেই পলিতে খেত উর্বর হয়। আর খুব ফসল হয়। যে দান ধ্যান করে (Ramakrishna 364) সে অনেক ফল লাভ করে। চতুর বর্গ ফল।

    ভক্তেরা সকলে ঠাকুরের শ্রী মুখ হইতে এই দান ধর্ম কথা এক মনে শুনিতেছেন

    সুরেন্দ্র- আমার ধ্যান ভালো হয় না। মাঝে মাঝে মা মা বলি (Kathamrita)। আর শোবার সময় মা মা বলতে বলতে ঘুমিয়ে পড়ি।

    শ্রীরামকৃষ্ণ- তাহলেই হবে স্মরণ মনন তো আছে (Ramakrishna 364)।

    মনোযোগ ও কর্মযোগ, পূজা, তীর্থ, জীব সেবা ইত্যাদি গুরুর উপদেশে কর্মকরার নাম কর্মযোগ। জনকাদি যা কর্ম করতেন, তার নামও কর্মযোগ। যোগিরা যা স্মরণ মনন করেন তার নাম মনোযোগ (Ramakrishna 364)।

    আবার ভাবি কালীঘরে গিয়ে, মা মন তো তুমি। তাই শুদ্ধ মন, শুদ্ধ বুদ্ধি, শুদ্ধ আত্মা একই জিনিস।

    সন্ধ্যা আগত প্রায়। ভক্তেরা অনেকেই ঠাকুরকে প্রণাম করিয়া বাটি প্রত্যাগমন করিতেছেন। ঠাকুর (Ramakrishna 364) পশ্চিমের বারান্দায় গিয়েছেন। ভবনাথ ও মাস্টার সঙ্গে আছেন।

  • Shashi Tharoor: মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ শশী থারুর, কী বলছে কংগ্রেস?

    Shashi Tharoor: মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ শশী থারুর, কী বলছে কংগ্রেস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অপারেশন সিঁদুরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ কংগ্রেস নেতা শশী থারুর (Shashi Tharoor)। অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বলতে গিয়ে তাঁর কথায় মোদি সরকারের প্রশস্তি শোনা গিয়েছে। এর পরেই কংগ্রেসের অন্দরে শুরু হয়েছে কোন্দল। শশীকে ‘বিজেপির সুপার মুখপাত্র’ বলে দেগে দিয়েছে সোনিয়া গান্ধীর দল (Operation Sindoor)।

    বিশ্বমঞ্চে ভারতের প্রতিনিধি দল (Shashi Tharoor)

    সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দিতে এবং অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিতে বিভিন্ন দেশে সাতটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে ভারত। তারই একটিতে রয়েছেন কংগ্রেসের শশী। বর্তমানে পানামা সিটিতে রয়েছেন শশী ও তাঁর প্রতিনিধি দলের বাকি সদস্যরা। সেখানেই তাঁর গলায় শোনা যায় মোদি সরকারের গুণগান। তিনি বলেন, “চার দশক ধরে একের পর এক হামলা সয়েছি আমরা। শোক, যন্ত্রণা, আঘাত, ক্ষয়ক্ষতি আর সহ্য করা যাচ্ছে না। কাঁহাতক আর আন্তর্জাতিক মহলের কাছে দরবার করা যায়, কাঁহাতকই বা সাহায্য চাওয়া যায়!” ২০০৮ সালে ২৬/১১ মুম্বই হামলার প্রসঙ্গ টেনে কংগ্রেসের এই নেতা বলেন, “সব প্রমাণ ছিল আমাদের কাছে। এক জঙ্গিকে আমরা জীবিতও ধরে ফেলি। আজমল কাসভকে ধরতে গিয়ে আত্মবলি দেন এক পুলিশকর্মী। ওর পরিচয়, বাড়ি, ঠিকানা, পাকিস্তানের গ্রামের নাম পর্যন্ত বেরিয়ে এসেছিল। পাকিস্তান থেকে হ্যান্ডলার প্রতি মিনিটে যে নির্দেশ দিচ্ছিল, তার রেকর্ডিং ছিল (Operation Sindoor) পশ্চিমি সংস্থাগুলির কাছেও।” তিনি বলেন, “কিন্তু শেষ পর্যন্ত কী হল? একজনকেও কি দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি দেওয়া গিয়েছে? পাকিস্তান সন্ত্রাসে মদত জোগানোর রাস্তাই বেছে নিয়েছে।”

    শশীর গলায় মোদি-স্তুতি

    শশী বলেন, “সম্প্রতি পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। জঙ্গিরা বুঝতে পেরেছে, তাদের মূল্য চোকাতে হবে। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে উরি হামলার পর প্রথমবার পাকিস্তানে ঢুকে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালায় ভারত, যা আগে কখনও করিনি আমরা। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে বালাকোটে জঙ্গিদের আঘাত করি। আর এবার একেবারে পাকিস্তানের বুকে আঘাত হেনেছি। ন’জায়গায় জঙ্গিঘাঁটি, প্রশিক্ষণ শিবির, জঙ্গিদের সদর দফতর গুঁড়িয়ে দিয়েছি।” কংগ্রেসের এই সাংসদ বলেন, “আমাদের প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন। অপারেশন (Shashi Tharoor) সিঁদুর চালাতেই হত। ২৬ জন মহিলার কপালের সিঁদুর মুছে দিয়েছিল, তাঁদের স্বামীদের ছিনিয়ে নিয়েছিল জঙ্গিরা। আমরা ওঁদের কান্না শুনেছি। আর তাই আমাদের মেয়েদের মাথার সিঁদুরের (Operation Sindoor) লাল রংয়ের সঙ্গে হত্যাকারী, হামলাকারীদের রক্তের লাল রং মিলিয়ে দেওয়ার সঙ্কল্প নিই (Shashi Tharoor)।”

  • Operation Sindoor: দু’-দু’বার ভারতের কাছে সংঘর্ষ বিরতির আহ্বান জানিয়েছিল পাকিস্তান

    Operation Sindoor: দু’-দু’বার ভারতের কাছে সংঘর্ষ বিরতির আহ্বান জানিয়েছিল পাকিস্তান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একবার নয়, দু’-দু’বার ভারতের কাছে সংঘর্ষ বিরতির আহ্বান জানিয়েছিল পাকিস্তান। প্রথম অনুরোধটি এসেছিল ৭ মে সন্ধ্যায়। সেদিন পাকিস্তানের (Pakistan) ডিজিএমও আনুষ্ঠানিকভাবে বার্তা পাঠিয়েছিলেন ভারতের কাছে। পাকিস্তানের এই অনুরোধ আসে অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) অধীন যখন পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারত। পাকিস্তানের এই অনুরোধে সাড়া দেয়নি নয়াদিল্লি। কারণ ইসলামাবাদের আন্তরিকতা নিয়ে সন্দেহ ছিল নয়াদিল্লির। এরও কারণ রয়েছে। সেটি হল, শান্তির আহ্বানের পাশাপাশি ভারতীয় সামরিক পরিকাঠোমাগুলির ওপর নতুন করে হামলা চালিয়ে যাচ্ছিল পাকিস্তান।

    সংঘর্ষ বিরতির প্রস্তাব (Operation Sindoor)

    এর পরে দুই দেশের সংঘর্ষ চলে আরও তিনদিন। ১০ মে ফের বিকেল ৩টে ৩৫ মিনিটে যুযুধান দুই দেশের ডিজিএমও স্তরের একটি ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। সেখানেই সমঝোতায় পৌঁছয় দুই দেশ। উদ্দেশ্য ছিল পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তজনা কমানো। এর আগে, ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেছিলেন, পাকিস্তানের ডিজিএমও তার ভারতীয় সমকক্ষের সঙ্গে আলোচনার অনুরোধ জানান। কারণ ভারতীয় বায়ুসেনা পাকিস্তানি ঘাঁটিগুলির ওপর নির্ভুল আঘাত হেনেছিল।

    অপারেশন সিঁদুর

    এদিকে, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। সূত্রের খবর, এই অপারেশনে নিহত হয়েছেন ১৬০ জনেরও বেশি। এর মধ্যে যেমন জঙ্গিরা রয়েছে, তেমনি রয়েছে তাদের সহযোগী এবং পাক সেনাকর্মীরাও। এর মধ্যে ২০ জনেরও বেশি মারা গিয়েছে বাহাওয়ালপুরে (Operation Sindoor)। এটি জইশ-ই-মহম্মদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। বাহাওয়ালপুরে নিহতদের অনেকেই জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের আত্মীয় বলে জানা গিয়েছে।

    পাক সশস্ত্র বাহিনীরও বড়সড় ক্ষতি হয়েছে। অনুমান, ৩৫ থেকে ৪০ জন সেনা সদস্য নিহত হয়েছে। যদিও পাকিস্তান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে মাত্র ১১ জন সেনা নিহত ও ৭৮ জন জখম হওয়ার কথা কবুল করেছে। ১০ মে প্রতিশোধমূলক বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে পাকিস্তানের বড় ধরনের ক্ষতি করেছে ভারত। এই হামলায় পাকিস্তানের (Pakistan) একাধিক বিমানঘাঁটিতেও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে (Operation Sindoor)।

  • Unified Command: এবার থেকে একই কমান্ডারের নেতৃত্বে এক সঙ্গে কাজ করবে স্থল, নৌ এবং বিমান বাহিনী

    Unified Command: এবার থেকে একই কমান্ডারের নেতৃত্বে এক সঙ্গে কাজ করবে স্থল, নৌ এবং বিমান বাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাক দ্বন্দ্বের আবহে ভারতীয় সেনার কাজের ধরন বদল করে দিল নরেন্দ্র মোদির সরকার। এত দিন সীমান্তে সংঘাতের আবহে আলাদা ভাবেই কাজ করত ভারতীয় সেনার তিন বাহিনী – স্থল, নৌ এবং বিমান। এবার থেকে (India Pakistan Tensions) তারা একই কমান্ডারের নেতৃত্বে (Unified Command) এক সঙ্গে কাজ করবে। রীতিমতো বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিল কেন্দ্র। ২৭ মে থেকে এই নিয়ম কার্যকর হয়েছে। ২০২৩ সালের বাদল অধিবেশনে এ সংক্রান্ত ইন্টার সার্ভিসেস অর্গানাইজেশন বিল পাশ হয়েছিল সংসদের দুই কক্ষেই। পরে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু স্বাক্ষর করলে বিলটি পরিণত হয় আইনে। আইন কার্যকর হয় চলতি বছরের ১০ মে। এবার জারি হল বিজ্ঞপ্তি।

    জারি বিজ্ঞপ্তি (Unified Command)

    বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, ভারতীয় সেনার তিন বাহিনী যাতে যৌথভাবে দ্রুত কাজ করতে পারে, তাই এই নয়া নিয়ম। বিজ্ঞপ্তিতে এও জানানো হয়েছে, সীমান্তে তিন বাহিনী এক সঙ্গে কাজ করলেও, তারা যে ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম মেনে চলে, তাতে কোনও বদল হবে না। জানা গিয়েছে, এতদিন সীমান্তে জরুরি পরিস্থিতিতে তিন বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় সাধন হত অত্যন্ত ধীর গতিতে। নয়া নিয়মে তেমন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ তিন বাহিনীই একই কমান্ডারের অধীনে কাজ করবে। এতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হবে। সিদ্ধান্ত যা নেওয়ার, তা নেবেন নেতৃত্বে থাকা কমান্ডারই। যৌথ অপারেশনেও কোনও দ্বন্দ্ব বা বিভ্রান্তির জায়গা থাকবে না (Unified Command)।

    ডিফেন্স স্টাফের প্রধানের বক্তব্য

    এদিকে, ডিফেন্স স্টাফের প্রধান জেনারেল অনিল চৌহান রবিবার অপারেশন সিঁদুরের পর ভারতীয় সেনাবাহিনীর উত্তর ও পশ্চিম সমরাঙ্গণে যুদ্ধ প্রস্তুতির কৌশলগত পর্যবেক্ষণ করেন। অপারেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী এই দুই কমান্ডের আলাদা আলাদা সফর করেন। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সময়মতো দায়িত্ব পালনের জন্য তাঁদের সামগ্রিক সমন্বয় ও দক্ষতার প্রশংসা করেন জেনারেল চৌহান। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “অপারেশন সিঁদুর চলাকালে কর্তব্য পালন করতে গিয়ে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারকারী বীর যোদ্ধাদের স্মরণ করেন জেনারেল অনিল চৌহান। তিনি সকল স্তরের জওয়ানদের সাহস, দৃঢ়সংকল্প, নিখুঁততা ও শৃঙ্খলার প্রশংসা করেন (Unified Command)।”

    অপারেশন সিঁদুর

    জেনারেল চৌহান জম্মু ও কাশ্মীর এবং পাঞ্জাবের উত্তর ও পশ্চিম সীমান্তের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ফিল্ড ফরমেশনগুলিকে “অপারেশনাল শ্রেষ্ঠত্বের” স্বীকৃতি দিয়েছেন। অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে ৭ মে সকালের দিকে ন’টি জঙ্গি পরিকাঠামোর ওপর নিখুঁতভাবে আঘাত হানা হয় ভারতের তরফে। পরবর্তী কালে পাকিস্তানি হামলার চেষ্টাগুলিকেও জবাব দেওয়া হয় কঠোরভাবে (India Pakistan Tensions)। ১০ মে তারিখে সামরিক অভিযান বন্ধ করার বিষয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছানো হয় বলে জানান বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “উধমপুরে, প্রতিরক্ষা প্রধানকে উত্তরাঞ্চলীয় সেনাবাহিনীর সাফল্য সম্পর্কে অবহিত করা হয় – যেখানে জঙ্গি নেটওয়ার্ক, শত্রুর জঙ্গি-সমর্থিত সম্পদ ধ্বংস করা এবং অপারেশন সিঁদুরের সময় নিজেদের সামরিক কাঠামো ও অসামরিক জনগণকে সুরক্ষিত রাখার জন্য গৃহীত পদক্ষেপের কথা জানানো হয়।”

    এতদিন কী হত জানেন?

    প্রসঙ্গত, এতদিন সীমান্তে কোনও সংঘর্ষ হলে আলাদা আলাদাভাবে কাজ করত তিন বাহিনী। এতে সিদ্ধান্ত নিতে সময় লাগত। নয়া নিয়ম চালু হওয়ায় এখন একই কমান্ডারের নেতৃত্বে অপারেশন হলে, অপারেশনের গতি অনেকটাই বাড়বে। এতে অপারেশনের সময় তিন বাহিনীর দ্বন্দ্ব এড়ানো যাবে। এড়ানো যাবে বিভ্রান্তিও (Unified Command)। জানা গিয়েছে, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে দ্বন্দ্বের আবহে সব চেয়ে সক্রিয় ছিল ভারতীয় সেনার পশ্চিম ও উত্তর কমান্ড। সূত্রের খবর, শুরুতে জম্মু-কাশ্মীরের পশ্চিম এবং উত্তর কমান্ডে এই ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। পরে ধাপে ধাপে এটি দেশের অন্যান্য সীমান্তেও কার্যকর করা হবে।

    অপারেশন সিঁদুর

    গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পক্ষকাল পরে ভারত পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে চালায় অপারেশন সিঁদুর। তাতে ওই এলাকায় থাকা বেশ কয়েকটি জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ভারতের অপারেশন সিঁদুরের পর সংঘাতে জড়ায় নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদ। ভারতের ওপর পাল্টা হামলার চেষ্টা করে শাহবাজ শরিফের দেশ। ভারতীয় সেনা জানিয়েছে, তারা পাক সেনার ওই হামলা প্রতিহত করেছে। পাল্টা জবাবও দিয়েছে। দিন তিনেকের ওই সংঘাতের পর সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয় দুই দেশ। যদিও সংঘর্ষবিরতির প্রস্তাব ভারতকে আগে দেয় পাকিস্তানই (India Pakistan Tensions)। এখনও সংঘর্ষ বহাল রয়েছে। সেই আবহে ভারতীয় সেনার নয়া নিয়মকে রণকৌশল হিসেবেই দেখছেন সমর বিশেষজ্ঞদের একাংশ (Unified Command)।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘মমতার ঘোষণায় বিভ্রান্ত যোগ্যরা’’! মুখ্যমন্ত্রীকে তিন প্রশ্ন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘মমতার ঘোষণায় বিভ্রান্ত যোগ্যরা’’! মুখ্যমন্ত্রীকে তিন প্রশ্ন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবারই নবান্নে এসএসসি ইস্যুতে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) সুপ্রিম কোর্টের রায়কে মান্যতা দিয়ে ফের পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার কথা ঘোষণা করেন তিনি। আর এরপরই এই ইস্যুতে মমতাকে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মমতার এমন ঘোষণায় চাকরিহারা যোগ্যরা বিভ্রান্ত বলেও তোপ দাগেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এর পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে তিনি তিনটি প্রশ্নও রেখেছেন।

    সমাজমাধ্যমের পাতায় কী লিখলেন শুভেন্দু?

    নিজের এক্স হ্যান্ডলে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লেখেন, ‘‘মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়া, আপনি বিগত কয়েক মাস ধরে চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের নানা রকম আশ্বাস, অভয় দিয়েছেন। কখনও বলেছেন স্কুলে ফিরে যান, কখনও বলেছেন স্কুলে পড়াতে তো কোনও বারণ নেই (তা সে বেতন ছাড়াই হোক না কেন), কখনও বলেছেন সরকার পাশে আছে, ভরসা রাখুন চাকরি যাবে না, ইত্যাদি ইত্যাদি। আপনার নাকি প্ল্যান এ, বি, সি, ডি তৈরি আছে। আজ যখন পরীক্ষার সূচি ঘোষণা করলেন (যেটা সম্পূর্ণ এসএসসি-র এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে, আপনার কোনও ভূমিকা হওয়া উচিত নয়), তখন উল্লেখ করলেন না কেন যে, এই ঘোষণা আপনার কত নম্বর প্ল্যানের অংশ।’’

    আর কত দিন ঠকাবেন এই যোগ্য নিরপরাধ চাকরিহারাদের

    প্রসঙ্গত মঙ্গলবারই সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমাদের এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হচ্ছে আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে পরীক্ষা নিতেই হবে, তাই পরীক্ষা নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। আমরা চাই, পরে যেন আদালত আমাদের দোষ না দেয়।’’ আর এরপরই রাজ্যের হাজার হাজার যোগ্য চাকরিহারা আন্দোলনকারীদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগ আনেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নিজের সমাজমাধ্যমের পাতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, ‘‘আপনি আজও চেষ্টা করেছেন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের বিভ্রান্ত করতে, তবে আর কত দিন ঠকাবেন এই যোগ্য নিরপরাধ চাকরিহারাদের? আজ তারা আপনার এই ঘোষণাকে মৃত্যুপরোয়ানা বলে উল্লেখ করেছে।’’

    বিরোধী দলনেতা মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনটি প্রশ্নও রেখেছেন

    শুভেন্দুর প্রথম প্রশ্ন

    প্রথম প্রশ্নে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছেন, ‘‘যদি আদালতে পুনর্বিবেচনার আর্জির ফলাফল চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের পুনর্বহাল করার পক্ষে না যায়, তবে আর কোন আইনি পথে এদের সাহায্য করা সম্ভব হবে? কারণ যোগ্যদের তালিকা আদালতে জমা না দিয়ে আপনি নিজে এদের আইনি সম্ভাবনার সমস্ত দরজার শিকলে তালা দিয়েছেন।’’

    শুভেন্দুর দ্বিতীয় প্রশ্ন

    মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে দ্বিতীয় প্রশ্নে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জানতে চেয়েছেন, ‘‘পুনরায় পরীক্ষায় বসতে বলে যে উপদেশ আপনি দিচ্ছেন, কি গ্যারান্টি আছে, যে যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকারা চাকরি হারিয়েছেন আপনার সরকারের শিক্ষামন্ত্রী, আপনার দলের নেতাদের ও তৎকালীন এসএসসি কর্তাদের দুর্নীতির ফলে, তারাই আবার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চাকরি ফিরে পাবেন? হয়তো সম্পূর্ণ নতুন ব্যক্তিরা চাকরি পেলেন। আপনি দায়িত্ব নিয়ে, ১০০% সুনিশ্চিত ভাবে এক জন কারও নাম বলতে পারবেন যে চাকরি ফিরে পাবেই পাবে? হয়তো কিছু জন পাবে, বেশি বা কম, সে তো ফলাফল বেরোলে বোঝা যাবে।’’

    শুভেন্দুর তৃতীয় প্রশ্ন

    মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তৃতীয় প্রশ্নে শুভেন্দু লিখেছেন, ‘‘যে রিভিউ পিটিশন নিয়ে আপনি এত আশাবাদী, এবং চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের ভরসা জোগানোর আপনার এক মাত্র সম্বল, সেই রিভিউ পিটিশন দাখিল করার সময়ে কি যোগ্যদের তালিকা জমা দিয়েছেন সঙ্গে?’’

    ফের চাকরি বিক্রির সুযোগ পাবে নেতারা, তৃণমূলকে খোঁচা শুভেন্দুর

    এর পাশাপাশি তৃণমূল নেতাদের খোঁচা দিতেও ছাড়েননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি লিখেছেন, ‘‘যে বিজ্ঞপ্তি জারি করার ঘোষণা আজ করলেন এবং যার ফলে পরীক্ষা দিয়ে শিক্ষকতার চাকরির শূন্যপদে আবার নিয়োগ হবে, এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার ব্যাপারে সব থেকে খুশি হয়েছে আপনার দলের নেতারা, কারণ তারা আবার লক্ষ লক্ষ টাকায় চাকরি বিক্রি করার সুযোগের সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছে।’’ প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে ৩০ মে। তারপর ১৬ জুন পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করা যাবে। নতুন প্যানেল প্রকাশ হবে ১৫ নভেম্বর। কাউন্সেলিং ২০ নভেম্বর। মমতা সরকারের এমন ঘোষণার তীব্র বিরোধ করতে দেখা গিয়েছে চাকরিহারা যোগ্য আন্দোলনকারীদের।

  • PM Modi: লক্ষ্য ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত ভারত গঠন, দেশীয় পণ্য কেনার আহ্বান জানালেন মোদি

    PM Modi: লক্ষ্য ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত ভারত গঠন, দেশীয় পণ্য কেনার আহ্বান জানালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আত্মনির্ভর ভারত গঠনের লক্ষ্যে ফের একবার দেশীয় পণ্য কেনার আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, ‘‘২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে একটি উন্নত দেশ এবং বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত করতে হলে এমনটা আমাদের করতেই হবে।’’ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী হাজির ছিলেন গুজরাটের গান্ধীনগরে। সেখানে একটি সভাতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ‘‘সেনাবাহিনীর শক্তি প্রতিফলিত হয়েছে অপারেশন সিঁদুরে। এখন সময় এসেছে আত্মনির্ভর ভারত গঠনের মাধ্যমে দেশকে শক্তিশালী করার।’’ প্রতিটি নাগরিককে জাতির উন্নয়নে অংশীদার হতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘আমরা যদি ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারত গড়ে তুলতে চাই এবং আমাদের অর্থনীতিকে বিশ্বের চতুর্থ থেকে তৃতীয় স্থানে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই, তাহলে বিদেশি পণ্যের ওপর আমরা নির্ভর করব না।’’ প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘‘এভাবেই গ্রামের ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করতে হবে যে তাঁরা যেন বিদেশি পণ্য বিক্রি না করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমাদের গণেশ মূর্তিও বিদেশ থেকে আসে। হোলির রং-ও আমাদের বাইরে থেকে আসে।’’ এদিন তিনি আরও বলেন, ‘‘একজন নাগরিক হিসেবে আপনারা তালিকা তৈরি করুন। নিজেদের বাড়িতে যান এবং ২৪ ঘণ্টায় আপনি কতগুলি বিদেশি পণ্য ব্যবহার করেন, তার একটি তালিকা তৈরি করুন। আপনি নিজেও বুঝতে পারবেন যে চুলের কাঁটা থেকে চিরুনি সবটাই বিদেশে তৈরি।’’

    এটা ১৪০ কোটি নাগরিকের কর্তব্য (Indian Made Goods)

    তিনি (PM Modi) আরও বলেন, ‘‘আমরা যদি ভারতকে আত্মনির্ভরভাবে গড়ে তুলতে চাই, ভারতকে উন্নত করতে চাই, তাহলে এটা কেবল অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীর দায়িত্ব নয়। এটা ১৪০ কোটি নাগরিকের কর্তব্য।’’ তিনি আরও বলেন,‘‘ওয়ান ডিসট্রিক্ট ওয়ান প্রোডাক্ট, ভোকাল ফর লোকাল-এই সরকারি কর্মসূচিগুলো দেশীয় পণ্যের ব্যবহারকেও বৃদ্ধি করবে। প্রধানমন্ত্রীর মতে, মেড ইন ইন্ডিয়া ব্র্যান্ডের জন্য আমাদের প্রত্যেকেরই গর্ব হওয়া উচিত।’’

  • Vinayak Damodar Savarkar: দিয়েছিলেন ‘হিন্দু’ শব্দের সংজ্ঞা, জন্মদিনে জানুন সাভারকরের জীবনী

    Vinayak Damodar Savarkar: দিয়েছিলেন ‘হিন্দু’ শব্দের সংজ্ঞা, জন্মদিনে জানুন সাভারকরের জীবনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রথম সারির অন্যতম যোদ্ধা হিসেবে উঠে আসে বিনায়ক দামোদর সাভরকরের (Vinayak Damodar Savarkar) নাম। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে তাঁকে জীবনের ১১ বছর কাটাতে হয়েছিল দ্বীপান্তরে। সকলের থেকে আলাদা করে সাভারকরকে রাখা হয়েছিল কালাপানির সেলুলার জেলে।

    জন্ম ও বংশ পরিচয়

    ১৮৮৩ সালের ২৮ মে মহারাষ্ট্রের নাসিকের ভগুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বিনায়ক দামোদর সাভরকর। তাঁর মা ছিলেন রাধাবাই সাভারকর এবং পিতা ছিলেন দামোদর পন্ত সাভারকর (Freedom Fighter)। রাধাবাই এবং দামোদর পন্ত সাভারকরের চার সন্তান ছিল, তিন ছেলে এবং এক মেয়ে। বিনায়ক দামোদর সাভারকর (Vinayak Damodar Savarkar) প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন নাসিকের শিবাজি স্কুলে। তিনি শৈশব থেকেই ব্রিটিশ-বিরোধী আন্দোলনে লিপ্ত হন। ১১ বছর বয়সে মাঙ্কি আর্মি গঠন করেন তিনি। পরে স্বদেশি আন্দোলনে যোগ দেন তিনি।

    হিন্দু শব্দের সংজ্ঞা দিয়েছিলেন সাভারকর

    আন্দামানের কুখ্যাত সেলুলার জেলে নিজের কুঠুরিতে বন্দি বিনায়ক দামোদর সাভারকর কারাগারেই রচনা করেছিলেন ‘হিন্দু’ শব্দের সংজ্ঞা। এর ফলে ‘হিন্দু’ কে? যুক্তিসম্মত, প্রাসঙ্গিক ব্যাখ্যা পেয়েছিল দেশবাসী। সাভারকরের ভাষায়,

    ‘‘আ সিন্ধু, সিন্ধু পর্যন্তা যস্য ভারত ভূমিকা
    পিতৃভূ, পূণ্যভূশ্চৈব সবৈ হিন্দু রিতি স্মৃত’’

    অর্থাৎ, সিন্ধু নদ থেকে ভারত মহাসাগর পর্যন্ত এই বিশাল ভূখণ্ডকে যিনি পূণ্যভূমি ও পিতৃভূমি বলে মনে করেন, তিনি আস্তিক হতে পারেন, নাস্তিক হতে পারেন, প্রতিমাপূজক অথবা নিরাকারবাদীও হতে পারেন, তিনিই হিন্দু। কোনও ব্যক্তি যদি ভারতীয় পরম্পরা, ঐতিহ্য, কৃষ্টিকে মেনে চলেন তিনিই হিন্দু। হিন্দু শব্দের ব্যাপকতা তাই ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। ভারত-ভূমির সংস্কৃতি এবং জাতীয়তাবোধের নামই হিন্দুত্ব।

    লোকমান্য তিলকের দর্শন তাঁকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছিল

    সাভারকর ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী (Freedom Fighter), রাজনীতিবিদ, আইনজীবী এবং লেখক ও দার্শনিক। ‘হিন্দু মহাসভা’-তেও সাভারকর ছিলেন একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব। হাইস্কুলের ছাত্র থাকাকালীনই সাভারকর স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণ শুরু করেন বলে জানা যায়। পুণের ফার্গুসন কলেজে পড়াশোনা করতেন তিনি। লোকমান্য তিলকের দর্শন তাঁকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছিল। ব্রিটেনে আইন পড়তে যান তিনি। সেখানে পড়াশোনা করার সময় ইন্ডিয়া হাউস এবং ফ্রি ইন্ডিয়া সোসাইটির মত স্বাধীনতাকামী দলগুলির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন।

    ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন (Vinayak Damodar Savarkar)

    ১৯০৫ সালে দশেরার দিনে বিদেশ থেকে নিয়ে আসা সমস্ত জিনিসপত্র এবং কাপড় পোড়ানো শুরু করেন সাভারকর। এরপর আইন নিয়ে পড়তে লন্ডন পাড়ি দেন সাভারকর (Vinayak Damodar Savarkar)। কিন্তু ব্রিটিশদের ঘরে থেকে তাঁদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কৌশল রপ্ত করতে থাকেন তিনি। গঠন করেন অভিনব ভারত সোসাইটি, ফ্রি ইন্ডিয়া সোসাইটি নামে দুই সংগঠন। ১৯১০ সালে তাঁকে লন্ডনে গ্রেফতার করা হয়। নাসিকের জেলা কালেক্টর জ্যাকসনকে হত্যার জন্য নাসিক ষড়যন্ত্র মামলার অভিযোগে ১৯১১ সালের ৭ এপ্রিল কালাপানির সাজা দেওয়া হয় বিনায়ককে। ১৯১১ সালের ৪ জুলাই থেকে ১৯২১ সালের ২১ মে পর্যন্ত পোর্ট ব্লেয়ার জেলে ছিলেন তিনি।

    স্বাধীনতার জন্য সমুদ্রে ঝাঁপ (Vinayak Damodar Savarkar)

    সাভারকরকে (Vinayak Damodar Savarkar) যখন লন্ডন থেকে ভারতে আনা হচ্ছিল তখন তিনি ব্রিটিশদের হাত থেকে পালানোর জন্য এসএএস মোরিয়া জাহাজের শৌচালয়ের জানলা দিয়ে ভূমধ্যসাগরের ঠান্ডা জলে ঝাঁপ দেন। মৃত্যুভয় তাঁর ছিল না। শুধু স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে যে কোনও উপায়ে তিনি মুক্তির চিন্তা করেছিলেন। ভূমধ্যসাগরের দীর্ঘ জলপথ সাঁতরে তিনি ফরাসি উপকূলে পৌঁছেছিলেন। চেয়েছিলেন আশ্রয়। কিন্তু ব্রিটিশ বিরোধিতায় রাজি হয়নি ফ্রান্স। তাঁরা সাভারকরকে ইংরেজদের হাতে তুলে দেয়। এরপর তাঁর ঠিকানা হয় আন্দামানের সেলুলার জেল। যেখানে অন্ধকারে চলে নির্যাতন। কিন্তু জেল থেকেও স্বাধীনতার জন্য কবিতা-প্রবন্ধ লিখতে থাকেন তিনি। স্বাধীনতার জন্য চলে তাঁর নিরলস সংগ্রাম।

  • Operation Push Back: ‘অপারেশন পুশ-ব্যাকে’ ব্যাপক সাফল্য, ফেরানো হল ৭৪২ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে

    Operation Push Back: ‘অপারেশন পুশ-ব্যাকে’ ব্যাপক সাফল্য, ফেরানো হল ৭৪২ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন পুশ-ব্যাকে (Operation Push Back) ব্যাপক সাফল্য মিলল শনিবার। এদিন রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত মোট ১৭২ জন অবৈধ বাংলাদেশি (Bangladesh) অনুপ্রবেশকারীকে নিজের দেশে ফেরত পাঠাল ভারত। এটি অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে ভারতের করা অপারেশন পুশ-ব্যাকের অংশ। এই পুশ-ব্যাক অপারেশন করা হয়েছে বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত সিলেট, মেহেরপুর এবং মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে। রবিবার সকালে ভারতের পক্ষ থেকে মেহেরপুর সীমান্ত দিয়ে মোট ১৯ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে ফেরত পাঠানো হয়। পরে তাদের বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) একটি অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যায়। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢুকে পড়া এই অনুপ্রবেশকারীরা হরিয়ানায় বসবাস করছিল।

    অপারেশন পুশ-ব্যাক (Operation Push Back)

    আটক করার পর এই ১৯ জন অনুপ্রবেশকারীকে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে নিয়ে আসা হয়। পরে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয় বাংলাদেশে। জানা গিয়েছে, মোট ১৫৩ জন অবৈধ অভিবাসীকে বিএসএফ শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছে। সিলেট সীমান্ত দিয়ে পাঠানো হয়েছে ৩২ জন এবং মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে পাঠানো হয়েছে ১২১ জনকে। এরা সবাই বাংলাদেশের কুড়িগ্রামের বাসিন্দা। গত কয়েক বছর ধরে ভারতে কাজ করছিল তারা। বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদি হাসান বলেন, “শনিবার কানাইঘাট সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের পর আমরা সীমান্তে নজরদারি বাড়াই। তবে বিএসএফ রাত ২টো থেকে সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে সীমান্তের পাঁচটি পয়েন্ট দিয়ে মোট ১৫৩ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে।”

    বিজিবির বক্তব্য

    তিনি বলেন, “বিএসএফ তাদের সীমান্তের অংশে থাকা আলো বন্ধ করে দেয় এবং এই মানুষগুলিকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়ে দেয়। আমরা তাদের আটক করার পর তাদের জাতীয়তা নিশ্চিত করি। জানতে পারি, বাংলাদেশি। মানবিক বিবেচনায় আমরা তাদের আটক করে পরে পুলিশের হাতে তুলে দিই।” বিজিবির তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, এই অবৈধ অভিবাসীরা ভারতের বিভিন্ন পাথর খনি এবং ইটভাটায় কাজ করছিল। এর আগেও বিএসএফ ২০২৫ সালের ১৪ মে ১৬ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছিল। বিজিবি জানিয়েছে, ভারত এখন পর্যন্ত একইভাবে বাংলাদেশের ১১টি জেলার সীমান্ত দিয়ে মোট ৬৬৪ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে ফেরত পাঠিয়েছে। এই জেলাগুলির মধ্যে রয়েছে, খাগড়াছড়ি, কুড়িগ্রাম, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, কুমিল্লা, ফেনি এবং ঝিনাইদহ। অপারেশন পুশ-ব্যাকের আওতায় এখনও পর্যন্ত ফেরত পাঠানো হয়েছে মোট ৭৪২ জন অভিবাসীকে।

    প্রোটোকলে সমস্যা

    প্রসঙ্গত, দশকের (Operation Push Back) পর দশক ধরে ভারত প্রোটোকল অনুসরণ করে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী এবং রোহিঙ্গাদের নিজের দেশে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করে আসছে। এতে ব্যয় হচ্ছিল প্রচুর সময়। ফলে পুশ-ব্যাক করতে সময় লাগছিল। কারণ বাংলাদেশ সরকার ও বিজিবি প্রায়ই তাদের দেশের নাগরিকদের স্বীকৃতি দিত না। ফলে ক্রমশই পরিস্থিতি জটিল হতে শুরু করে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ফোকর দিয়ে এজেন্ট ও দালালদের সাহায্যে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঘটেই চলেছে। যদিও তাদের ফেরত পাঠাতে গেলেই দেখা দিত যত সমস্যা।

    ভারতে ২ কোটিরও বেশি অবৈধ বাংলাদেশি

    ২০১৬ সালের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে ২ কোটিরও বেশি বাংলাদেশি অবৈধভাবে বসবাস করছে। শেখ হাসিনার গণতান্ত্রিকভাবে অপসারণ এবং ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের শত্রুভাবাপন্ন মনোভাবের ফলে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে অনুপ্রবেশকারীদের বাংলাদেশে (Bangladesh) ফেরানো কঠিন হয়ে পড়ে। একপ্রকার বাধ্য হয়েই এখন এক অঘোষিত পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত সরকার (Operation Push Back)। লোকমুখে এটাই হল অপারেশন পুশব্যাক। এই অপারেশনের মাধ্যমে দেশের পূর্ব সীমান্তে হাতেনাতে ধরা পড়া বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ও দীর্ঘদিন ধরে ভারতে অবৈধভাবে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদেরও দেশছাড়া করা হচ্ছে। অপারেশন পুশ-ব্যাকের মাধ্যমে নিরাপত্তা বাহিনী অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে সীমান্তের ওপারে ঠেলে দিচ্ছে। চলতি বছরের এপ্রিলে চালু হয়েছে অপারেশন পুশ-ব্যাক।

    অসমের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য

    অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, “অনুপ্রবেশ একটি বড় সমস্যা। এখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমরা আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাব না। আগে আমাদের সিদ্ধান্ত (Operation Push Back) ছিল, কাউকে গ্রেফতার করে তাকে ভারতীয় আইনি ব্যবস্থার আওতায় আনা হবে। আগেও আমরা প্রতি বছর ১,০০০ থেকে ১,৫০০ বিদেশিকে গ্রেফতার করতাম। তাদের জেলে পাঠানো হত এবং পরে আদালতে পেশ করা হত। এখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তাদের দেশের ভেতরে আনা হবে না, বরং ঠেলে (push back) দেওয়া হবে। এই ‘পুশব্যাক’ একটি নতুন ধারা। প্রতি বছর প্রায় ৫,০০০ মানুষ ভারতে ঢোকে। এই পুশব্যাক পদ্ধতির কারণে এখন সেই সংখ্যা অনেকটাই কমবে।” জানা গিয়েছে, অনুপ্রবেশকারীদের (Bangladesh) বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের ফলে এতটাই সাফল্য এসেছে যে এখন অনেক বাংলাদেশিই স্বেচ্ছায় নিজের দেশে ফিরে যাচ্ছে (Operation Push Back)।

  • Murid Air Base: অপারেশন সিঁদুর! নয়া উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়ল পাকিস্তানের মুরিদ বিমানঘাঁটির ধ্বংসের ছবি

    Murid Air Base: অপারেশন সিঁদুর! নয়া উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়ল পাকিস্তানের মুরিদ বিমানঘাঁটির ধ্বংসের ছবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরে পাক-ভূমে ভারতীয় বায়ুসেনার তাণ্ডবের নতুন চিত্র সামনে এসেছে। কৃত্রিম উপগ্রহের পাঠানো সেই চিত্রগুলিতে দেখা যাচ্ছে, পাকিস্থানের মুরিদ বিমান ঘাঁটির (Murid Air Base) ব্যাপক ধ্বংসাবশেষের ছবি। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে। এই কৃত্রিম উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে প্রায় তিন মিটার একটি গভীর গর্ত। অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পূর্ব এবং পরবর্তী উপগ্রহ চিত্র এভাবেই সামনে এসেছে। দেখা যাচ্ছে, যেখানে আঘাত হানা হয়েছে তা পাকিস্তানের একটি ভূগর্ভস্থ গোপন অবকাঠামো থেকে মাত্র ৩০ মিটার দূরে অবস্থিত।

    মুরিদ বিমান ঘাঁটির ছাদ পুরোপুরি ধ্বংস (Murid Air Base)

    অপারেশন সিঁদুরের পরেই দেখা যাচ্ছে, ওই বিমান ঘাঁটির ছাদ পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। বিমানঘাঁটির (Operation Sindoor) দেওয়ালগুলির ধ্বংসাবশের ছবি সামনে এসেছে। এখানেই বোঝা যাচ্ছে যে হামলা ঠিক কতটা তীব্র ছিল! প্রসঙ্গত এই মুরিদ বিমান ঘাঁটি পাকিস্তানের চাকওয়ালে অবস্থিত (Murid Air Base)। জম্মু-কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে ১৫০ কিমি দূরে অবস্থিত। এখানেই অপারেশন সিঁদুরে বিমান হামলা চালায় ভারতীয় সেনাবাহিনী।

    ১০ জায়গায় হামলা ভারতের (Murid Air Base)

    প্রসঙ্গত, ভারত পাকিস্তানের দশটি বিমান ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে সারগোধা (মুশাফ), ভোলারি, জাকোবাবাদ, সুক্কুর এবং রহিম ইয়ার খান বিমান ঘাঁটি। জাকোবাবাদের বিমানঘাঁটিতে উপগ্রহ চিত্রে ব্যাপক ধ্বংসাবশেষ সামনে এসেছে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি ভোলারিতে ধ্বংসের ছবি দেখা যাচ্ছে। সিন্ধুতে অবস্থিত সুক্কুর বিমান ঘাঁটিতেও একই ছবি দেখা গিয়েছে। এর পাশে ঝলসানো গাছপালাও দেখা যাচ্ছে। বিস্ফোরণের পরেই এই ছবি সামনে এসেছে। দক্ষিণ পাঞ্জাবের রহিম ইয়ার খানের বিমানঘাঁটির রানওয়েতেও ব্যাপক ক্ষতি হয়। প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলা হয়। বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তারপরেই ৭ মে অপারেশন সিঁদুর লঞ্চ করে ভারতীয় সেনা। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের গুরুত্বপূর্ণ জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে গুঁড়িয়ে দেয় ভারত।

LinkedIn
Share