Tag: bangla news

bangla news

  • Thyroid Disease: বাড়ছে থাইরয়েডের সমস্যা, কারণ কি জিনগত না জীবন যাপনের ধরণ?

    Thyroid Disease: বাড়ছে থাইরয়েডের সমস্যা, কারণ কি জিনগত না জীবন যাপনের ধরণ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

     

    দেশ জুড়ে বাড়ছে থাইরয়েড সমস্যা (Thyroid Disease)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, এ দেশের ৪২ কোটি মানুষ থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগছেন। পুরুষের তুলনায় মহিলাদের এই সমস্যা বেশি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দিন দিন আরও জটিল হচ্ছে থাইরয়েড সমস্যা। আর তার ফলেই নানান শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। ভারতীয়দের মধ্যে এ নিয়ে সচেতনতা (Thyroid Treatment) না বাড়লে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে।

    থাইরয়েড সমস্যা (Thyroid Disease) কী?

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, মানুষের শরীরে থাইরয়েড গ্রন্থি থাকে। গলার মাঝে, স্বরযন্ত্রের ঠিক নীচে এই গ্রন্থি থাকে। এই গ্রন্থি থেকেই থাইরয়েড হরমোন বের হয়। যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা হরমোন। কিন্তু এই হরমোন‌ অতিরিক্ত নিঃসরণ হতে শুরু হলেই, তা বিপজ্জনক। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে খুব কম বয়স থেকেই বিশেষত মহিলাদের ভারসাম্যহীন ভাবে থাইরয়েড হরমোন নিঃসরণ হচ্ছে। এর ফলে ফুসফুস, শ্বাসনালী, ত্বক এবং মহিলাদের জরায়ুর উপরেও প্রবল প্রভাব পড়ছে।

    কেন ভারতে থাইরয়েডের সমস্যা বাড়ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে থাইরয়েড সংক্রান্ত সমস্যা বেশি দেখা যাচ্ছে। তবে তাঁরা জানাচ্ছেন, থাইরয়েড যে কোনও বয়সের মানুষের হতেই পারে। তবে মহিলাদের থাইরয়েড সমস্যা (Thyroid Disease) বেশি হওয়ার অন্যতম কারণ আয়রন এবং আয়োডিনের অভাব। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, থাইরয়েড প্রয়োজনের তুলনায় কম নিঃসরণ আবার প্রয়োজনের তুলনায় বেশি নিঃসরণ, দুটোই বিপজ্জনক। দেখা যাচ্ছে, শরীরে আয়রন এবং আয়োডিন, এই দুই উপাদানের ভারসাম্য নষ্ট‌ হলেই এই ধরনের থাইরয়েড ঘটিত সমস্যা তৈরি হয়।

    আবার, ডায়বেটিস থাকলে থাইরয়েডের সমস্যা হতে পারে বলেই জানাচ্ছেন‌ চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন রক্তে শর্করার মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত থাকলে থাইরয়েড ঘটিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভারতে কম বয়সিদের মধ্যে ডায়াবেটিসের প্রকোপ বাড়ছে। অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের জেরে খুব কম বয়স থেকেই অনেকে ডায়বেটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন। ‌এর ফলে থাইরয়েড সংক্রান্ত সমস্যা বাড়ছে।

    এর পাশাপাশি, জিনগত বিষয়টিও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, পরিবারের কেউ থাইরয়েডের সমস্যায় (Thyroid Disease) আক্রান্ত থাকলে পরবর্তী প্রজন্মের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই থাইরয়েড একটি বংশানুক্রমিক রোগ বলা যেতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    অনিয়ন্ত্রিত থাইরয়েড মানেই কি ক্যান্সারের ঝুঁকি?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, থাইরয়েড অনিয়ন্ত্রিত হলেই তা ক্যান্সার হবে এমন নয়। তবে দীর্ঘদিন থাইরয়েড ঘটিত সমস্যা থাকলে থাইরয়েড ক্যান্সারের ঝুঁকি অবশ্যই বেড়ে‌ যায়।

    কীভাবে রোগ চিহ্নিত করবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কয়েকটি লক্ষণ থেকেই থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্য না থাকার বিষয়টি স্পষ্ট হয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, দেহে থাইরয়েডের ভারসাম্য না থাকলে মানসিক চাপ তৈরি হয়। ফলে অকারণেই মেজাজ খিটখিটে থাকে। কোনও কাজেই বেশি সময় মনোযোগ থাকে না।‌ আবার থাইরয়েড ঘটিত সমস্যা (Thyroid Disease) থাকলে ত্বক রুক্ষভাব থাকে। চুল পড়ার সমস্যা হয়। মহিলাদের ঋতুস্রাব নিয়মিত হয় না।‌ ক্লান্তি বোধ বেড়ে যায়। ফলে দিনভর ঘুম ভাব থাকে। অনেক সময়ে গলার স্বরে পরিবর্তন হয়। গলার স্বর কর্কশ হয়ে যায়। এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ মতো স্বাস্থ্য পরীক্ষা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন‌ বিশেষজ্ঞ মহল।

    থাইরয়েডের সমস্যা প্রতিরোধ (Thyroid Treatment) করতে কী করবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, থাইরয়েডের সমস্যা এড়াতে খাবারে নজরদারি জরুরি।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, ডায়বেটিস থাকলে থাইরয়েডের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই খাওয়ার সময় সচেতন হওয়া জরুরি।‌ অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া একেবারেই যাবে না।‌ আবার প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রক্রিয়াজাত খাবারে নানান রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়। এর ফলে দেহের একাধিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এর ফলে থাইরয়েড গ্রন্থির উপরেও প্রভাব পড়ে।

    থাইরয়েডের সমস্যা (Thyroid Disease) এড়াতে ধূমপান বন্ধ করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তামাক শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। ধুমপান করলে থাইরয়েড গ্রন্থির উপরে প্রভাব পড়ে। হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট‌ হয়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Kailashahar Airport: লালমনিরহাটে বেজিং-ঢাকার যুদ্ধ ঘাঁটি! পাল্টা ত্রিপুরার কৈলাশহর বিমানবন্দরকে সাজাচ্ছে দিল্লি

    Kailashahar Airport: লালমনিরহাটে বেজিং-ঢাকার যুদ্ধ ঘাঁটি! পাল্টা ত্রিপুরার কৈলাশহর বিমানবন্দরকে সাজাচ্ছে দিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের লালমনিরহাটে বিমানঘাঁটি গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছে চিন। সূত্রের খবর, এই আবহে এলাকা তদারকিও করেন চিনা আধিকারিকরা। যার পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ত্রিপুরার পরিত্যক্ত বিমানঘাঁটি কৈলাশহরকে (Kailashahar Airport) নতুনভাবে সাজাতে শুরু করেছে ভারত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের লালমনিরহাটে একটি বিমানঘাঁটি ছিল। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পরে পাকিস্তানি বায়ুসেনা এবং একাত্তরের স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ বিমানবাহিনী সেটি ব্যবহার করত বলে জানা যায়। পরে সম্প্রতি, ২০১৯ সালে বাংলাদেশ এ্যারোস্পেস এবং এভিয়েশন ইউনিভার্সিটিকে ক্যাম্পাস গড়তে জমি দেওয়া হয়। এখন সেখানেই নতুন বিমানঘাঁটি গড়ে তুলতে চাইছে ইউনূস সরকার। পাশে রয়েছে চিন।

    চিকেন নেক থেকে কুড়ি কিমির মধ্যে লালমনিরহাট

    জানা যাচ্ছে, লালমনিরহাটের যে বিমানঘাঁটি বেজিং ব্যবহার করতে চায় তা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে কুড়ি কিলোমিটারেরও কম দূরে অবস্থিত। এই অংশ সামরিক ও কূটনৈতিক (Kailashahar Airport) দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উত্তরবঙ্গের এই অংশ শিলিগুড়ি করিডর বা চিকেন নামে পরিচিত। এখান থেকেই অনতিদূরে গড়ে তোলা হচ্ছে লালমনিরহাট বিমানবন্দর। প্রসঙ্গত, দেশের এই অংশকে উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বারও বলা হয়। তাই কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হল চিকেন নেক। জানা যায়, লালমনিরহাট বিমানঘাঁটি তৈরি হয় ১৯৩১ সালে। মায়ানমারে (তৎকালীন বর্মা) সামরিক অভিযানের সময় এই বিমানঘাঁটি ব্যবহার করে ব্রিটিশ সেনা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই বিমানঘাঁটির তাৎপর্য কমতে শুরু করে। একসময় অসামারিক বিমান পরিবহণের কথাও ভাবা হয়েছিল অতীতে। সেই মতো ১৯৫৮ সালে অসামরিক বিমান চলাচল শুরু করে পাকিস্তান। তবে তা দীর্ঘমেয়াদী হয়নি। এরপর ধীরে ধীরে প্রাসঙ্গিকতা হারায় লালমনিরহাট।

    ত্রিপুরার উনাকোটি জেলায় অবস্থিত কৈলাশহর বিমানবন্দর (Kailashahar Airport)

    লালমনিরহাটে চিন-বাংলাদেশের পরিকল্পনার পাল্টা পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে নয়াদিল্লিও। জানা গিয়েছে, ত্রিপুরার পুরনো বিমানবন্দর কৈলাশহর, এটিকে ফের একবার নতুনভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে। এই বিমানবন্দরের অবস্থান কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হল কৈলাশহর। আবার শিলিগুড়ি করিডর থেকেও খুব বেশি দূরে নয়। এই বিমানবন্দরটি ত্রিপুরার উনাকোটি জেলায় অবস্থিত। ইতিমধ্যে ভারতের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, এটিকে নতুনভাবে গড়ার কাজে হাত লাগিয়েছে।

    ২৬ মে বিমানবন্দর পরিদর্শন করেন এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার আধিকারিকরা

    গত ২৬ মে এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার উত্তরপূর্ব আঞ্চলিকের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এম রাজু কিশোর, আগরতলার বিমানবন্দরের ডিরেক্টর কেসি মিনাকে সঙ্গে নিয়ে কৈলাশহর বিমানবন্দরটি পরিদর্শন করেন। একইসঙ্গে কেসি মিনা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, রাজ্য সরকারের অনুরোধ এবং অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের নির্দেশেই এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার উত্তরপূর্বের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর কৈলাশহর বিমানবন্দর পরিদর্শন করেন। সেখানে তাঁরা পরিকাঠামো, জমি, বিমানবন্দরের দৃশ্যমানতা- এই সমস্ত কিছুই খতিয়ে দেখেন।

    একাত্তরের যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল কৈলাশহর বিমানবন্দর

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, ত্রিপুরার উনাকোটি জেলায় অবস্থিত কৈলাশহর বিমানবন্দরটি (Kailashahar Airport) প্রায় ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে অচল হয়ে পড়ে রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় ভারতীয় বিমানবাহিনীর অভিযান এবং নজরদারি পরিকল্পনা করার সময় এই বিমানবন্দরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। তবে তারপরে এটি বন্ধ হয়ে যায়। পরিণত হয় পরিত্যক্ত বিমানবন্দরে। জানা যায়, একাত্তরের যুদ্ধের সময় (1971 War Base), এই বিমানবন্দর থেকেই ভারতীয় বিমান বাহিনী অপারেশনাল কমান্ডের অধীনে বাংলাদেশ বা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে অভিযান চালিয়েছিল।

    দিল্লির বার্তা বেজিং ও ঢাকাকে

    কৈলাশহর বিমানবন্দর নতুনভাবে গড়ে তোলা হলে উত্তর পূর্ব ভারতের পরিবহণ ক্ষমতাও বাড়বে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এর পাশাপাশি, যে কোনও ধরনের রসদের যোগানও খুব দ্রুত হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, ত্রিপুরাতে শুধুমাত্র একটি প্রধান বিমানবন্দর রয়েছে সেটি আগরতলা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কৈলাশহর বিমানবন্দর (1971 War Base) গড়ে উঠলে আগরতলার সঙ্গেও দ্রুত সংযোগ তৈরি হবে। প্রসঙ্গত, লালমনিরহাট বিমানবন্দর ভারতীয় ভূখণ্ডের খুব কাছাকাছি হওয়ায় বিশেষজ্ঞ মনে করছেন পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে কৈলাশহরকে সাজাতে শুরু করেছে নয়া দিল্লি। এখানে ঢাকা এবং বেজিং-কে বার্তা দেওয়া হল যে লালমনিরহাটে তাদের কার্যকলাপের ওপর ভারত শুধু পর্যবেক্ষণ করছে না বরং তার পাল্টা হিসেবে পদক্ষেপও করতে শুরু করেছে।

  • Daily Horoscope 28 May 2025: ব্যবসায় ক্ষতি হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 28 May 2025: ব্যবসায় ক্ষতি হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

     

     

    মেষ

    ১) কোনও ভয় আপনাকে হতবুদ্ধি করে ফেলতে পারে।

    ২) আবেগের বশে কাজ করলে বিপদ হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) প্রেমে মাত্রাছাড়া আবেগ ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে জটিলতা কাটতে পারে।

    ৩) সতর্ক থাকবেন সব বিষয়ে।

    মিথুন

    ১) বিপদের আশঙ্কা রয়েছে।

    ২) প্রেমের ক্ষেত্রে দিনটি শুভ।

    ৩) বাণীতে সংযম জরুরি।

    কর্কট

    ১) অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতার যোগ।

    ২) মাত্রাছাড়া রাগ আপনার ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ৩) সবাইকে ভালোভাবে কথা বলুন।

    সিংহ

    ১) ভ্রমণের পক্ষে দিনটি শুভ নয়।

    ২) মা-বাবার সঙ্গে বিরোধে মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে।

    ৩) প্রতিকূল কাটবে দিনটি।

    কন্যা

    ১) কুটিরশিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের অগ্রগতি হতে পারে।

    ২) আপনার রসিকতা অপরের বিপদ ডেকে আনতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    তুলা

    ১) দুপুর নাগাদ ব্যবসা ভালো হবে।

    ২) ইচ্ছাপূরণ হওয়ার দিন।

    ৩) দিনটি মোটামুটি কাটবে।

    বৃশ্চিক

    ১) ব্যবসায় ক্ষতি হতে পারে।

    ২) বাড়তি খরচের জন্য সংসারে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) আশাপূরণ।

    ধনু

    ১) চাকরিতে সুখবর আসতে পারে।

    ২) রক্তচাপ নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    মকর

    ১) শরীর খারাপ থাকায় কর্মে ক্ষতির আশঙ্কা।

    ২) আপনার সহিষ্ণু স্বভাবের জন্য সংসারে শান্তি রক্ষা পাবে।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কুম্ভ

    ১) কাজের চাপে সংসারে সময় না দেওয়ায় বিবাদ হতে পারে।

    ২) ব্যবসায় কিছু পাওনা আদায় হতে পারে।

    ৩) আশা পূরণ।

    মীন

    ১) সন্তান-স্থান শুভ।

    ২) আজ কোনও সুসংবাদ পাওয়ার জন্য মন ব্যাকুল থাকবে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ramakrishna 364: ঘটি রোজ মাজতে হয়, তা না হলে কলঙ্ক পড়বে, সাধুসঙ্গ সর্বদাই দরকার

    Ramakrishna 364: ঘটি রোজ মাজতে হয়, তা না হলে কলঙ্ক পড়বে, সাধুসঙ্গ সর্বদাই দরকার

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্ত সঙ্গে সুরেন্দ্রর প্রতি উপদেশ- গৃহস্থ ও দানধর্ম-মনোযোগ ও কর্মযোগ

    ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণ আবার ছোট খাটটিতে আসিয়া বসে আছেন। ভক্তেরা এখনও মেঝেতে বসিয়া আছেন। সুরেন্দ্র তাঁহার কাছে বসে আছেন। ঠাকুর তাঁহার দিকে সস্নেহের দৃষ্টিপাত করিতেছেন। কথাচ্ছলে তাঁহাকে নানা উপদেশ দিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সুরেন্দ্রের প্রতি)- মাঝে মাঝে এসো। ন্যাংটা বলত, ঘটি রোজ মাজতে হয়, তা না হলে কলঙ্ক পড়বে। সাধুসঙ্গ সর্বদাই দরকার।

    সন্ন্যাসীর পক্ষে কামিনী কাঞ্চন ত্যাগ। তোমাদের পক্ষে তা নয়। তোমরা মাঝে মাঝে নির্জনে যাবে। আর তাঁকে ব্যাকুল হয়ে ডাকবে। তোমরা মনে মনে ত্যাগ করবে। বীরভক্ত না হলে দু দিক রাখতে পারেনা। জনক রাজা সাধন ভজনের পর সিদ্ধ হয়ে সংসারে ছিল। সে দুখানা তলোয়ার ঘোরাত জ্ঞান আর কর্ম।

    এই বলিয়া ঠাকুর গান গাহিতেছেন-

    এই সংসার মজার কুটি।
    আমি খাই দাই আর মজা লুটি।।
    জনক রাজা মহাতেযা, তার কিসে ছিল ত্রুটি।
    সে যে এদিক ওদিক দুদিক রেখে খেয়েছিল দুধের বাটি।।

    তোমাদের পক্ষে চৈতন্যদেব যা বলেছিলেন, জীবে দয়া, ভক্তসেবা আর নাম সংকীর্তন। তোমায় বলছি কেন? তোমার হাউসের কাজ আর অনেক কাজ করতে হয়, তাই বলছি। তুমি অফিসে মিথ্যা কথা কও। তবে তোমার জিনিস খাই কেন? তোমার যে দান ধ্যান আছে। তোমার যা আয় হয়, তার চেয়ে বেশি দান করো। বার হাত কাঁকুড়ের তের হাত বিচি।

    কৃপণের জিনিস খাই না। তাদের ধন এই কয় রকমই উড়ে যায়। প্রথম মামলা মোকদ্দমায়, দ্বিতীয় চোর ডাকাতে, তৃতীয় ডাক্তার খরচে, চতুর্থ আবার বদ ছেলেরা- সেইসব টাকা উড়িয়ে দেয়।

  • Shamik Bhattacharya: “বাংলাদেশকে লঞ্চপ্যাড হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে পাকিস্তান,” ফ্রান্সে বললেন শমীক

    Shamik Bhattacharya: “বাংলাদেশকে লঞ্চপ্যাড হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে পাকিস্তান,” ফ্রান্সে বললেন শমীক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পাকিস্তান (Pakistan) মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে বাংলাদেশকে তাদের লঞ্চপ্যাড হিসেবে ব্যবহার করতে। সন্ত্রাসের জন্য, সন্ত্রাসবাদী হামলার জন্য।” ফ্রান্সে গিয়ে এমনই অভিযোগ করলেন বিজেপি নেতা তথা সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya)।

    বাংলাদেশকে লঞ্চপ্যাড হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে পাকিস্তান (Shamik Bhattacharya)

    বিশ্ব সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর হিসেবে বিশ্বের দরবারে পাকিস্তানের ভূমিকা এবং অপারেশন সিঁদুরে ভারতের সাফল্যের কথা আন্তর্জাতিক মহলকে জানাতে সাতটি বহুদলীয় প্রতিনিধিদলকে বিদেশে পাঠিয়েছে নয়াদিল্লি। পদ্ম সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদের নেতৃত্বে যে প্রতিনিধি দলটি ইউরোপে গিয়েছে, বঙ্গ বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক সেই দলের সদস্য। ফ্রান্সে সরকারি প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি মঙ্গলবার প্যারিসের ভারতীয় দূতাবাসে প্রবাসী ভারতীয়দের জমায়েতেও পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেছে প্রতিনিধি দলটি। সেখানেই ভাষণ দেওয়ার সময় বাংলাদেশের প্রসঙ্গ টানেন শমীক। তিনি বলেন, “আপনারা জানেন যে, আমাদের (ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে)২ হাজার ২০০ কিলোমিটারের বেশি আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে। সীমান্তের অনেক জায়গায় কাঁটাতার না থাকার সুযোগ নিয়ে ভারতে নাশকতা চালানোর চেষ্টা হচ্ছে।” এর পরেই তিনি বলেন, “পাকিস্তান মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে বাংলাদেশকে তাদের লঞ্চপ্যাড হিসেবে ব্যবহার করতে। সন্ত্রাসের জন্য, সন্ত্রাসবাদী হামলার জন্য।”

    এটা রাজনীতি করার মঞ্চ নয়

    প্রবাসী ভারতীয়দের নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় শমীককে। সে সব প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়ে বিজেপির এই নেতা বলেন, “মতভেদ থাকা সত্ত্বেও আমরা ভারতের সব রাজনৈতিক শক্তি একত্রিত হয়ে এখানে এসেছি একটাই বার্তা দিতে। তা হল, পাকিস্তানকে কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করতে হবে, পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র ঘোষণা করতে হবে।” তিনি (Shamik Bhattacharya) বলেন, “এটা রাজনীতি করার মঞ্চ নয়। আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে কথা বলতে আমরা এখানে আসিনি। তাই আমি কিছু প্রসঙ্গে মন্তব্য এড়িয়ে গিয়েছি।”

    শমীক বলেন, “পাকিস্তান এমন একটা দেশ, যারা কোনওদিনই শুধরাবে না। আমরা দাবি করছি, পাকিস্তানকে কূটনৈতিকভাবে এক ঘরে করতে হবে।” তিনি বলেন, “কোন পরিস্থিতিতে ভারত অপারেশন সিঁদুর চালিয়েছিল, তা বিশ্বকে জানানো আমাদের কর্তব্য। পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসবাদকে লালনপালন করেছে (Pakistan)। ভারতের বিরুদ্ধে জঙ্গিদের লেলিয়ে দিয়েছে (Shamik Bhattacharya)।”

  • Bangladesh: ক্ষমতার লোভে পদ ছাড়তে চাইছেন না ইউনূস! সরানোর উদ্যোগ শুরু বাংলাদেশের সেনার?

    Bangladesh: ক্ষমতার লোভে পদ ছাড়তে চাইছেন না ইউনূস! সরানোর উদ্যোগ শুরু বাংলাদেশের সেনার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নানা ছুতোয় দেশে সাধারণ নির্বাচন না করিয়ে দিব্যি ক্ষমতায় বসে রয়েছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)! সূত্রের খবর, তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরাতে সম্ভাব্য সব বিকল্প পথের সন্ধান করছেন বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর প্রধান ওয়াকার-উজ-জামান। ইউনূসের অনুগামীরা জানিয়েছেন, দেশে সাধারণ নির্বাচন হবে আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে। তবে ততদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে রাজি নন সেনাপ্রধান। তিনি চান, নির্বাচন সম্পন্ন হোক চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই। সূত্রের খবর, সেনা প্রধান বিভিন্ন বিকল্পের সন্ধান করছেন, যাতে সংবিধানের ফোকর গলে চ্যালেঞ্জ করা যায় ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে।

    বাংলাদেশের সংবিধান (Bangladesh)

    বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, কোনও সরকার ভেঙে যাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া বাধ্যতামূলক। সূত্রের খবর, সেনাপ্রধান পরিকল্পনা করেছেন শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার দলগুলিকে একত্রিত করে নির্বাচন হোক। দেশের এই দুই বড় রাজনৈতিক দলের মধ্যে থেকে একটিকে বেছে নিক বাংলাদেশবাসী। ইউনূসের কাছ থেকে ক্ষমতার রশি হস্তান্তর নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হলে সাময়িকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তিনি একটি ‘সফট টেকওভার’ করতে পারেন। সূত্রের খবর, বাংলাদেশের সেনাবাহিনী মনে করে নির্বাচনে দেরি করার অর্থ সাংবিধানিক রীতিনীতি লঙ্ঘন। এজন্য রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবউদ্দিনকে দেশে জরুরি অবস্থা জারির জন্য চাপ দেওয়া হতে পারে।

    অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাতিল!

    এই জরুরি অবস্থায় রাষ্ট্রপতির ওপর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাতিল করে দ্রুত নির্বাচন করার জন্য চাপ সৃষ্টিও করা হতে পারে। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের (Bangladesh) সংবিধানের ৫৮ নম্বর অনুচ্ছেদ রাষ্ট্রপতিকে জরুরি ক্ষমতা গ্রহণের অধিকার দেয় তখনই, যখন দেশে সাংবিধানিক কার্যক্রম ভেঙে পড়ে। জানা গিয়েছে, সেনাবাহিনী ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতিকে এই ধারা প্রয়োগ করে ইউনূসের কর্তৃত্ব উপেক্ষা করার জন্য চাপ দিচ্ছে। সেনাপ্রধান এখন সামরিক ঐক্য রক্ষা ও জাতীয় সার্বভৌমত্ব বজায় রাখার দিকে মনোনিবেশ করছেন। তিনি ইতিমধ্যেই নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর প্রধানদের সমর্থন আদায় করে তার প্রভাব দেখিয়ে দিয়েছেন। তিনি ইউনূসের বিরুদ্ধে (Muhammad Yunus) জনমত গড়ে তুলছেন এবং শীঘ্রই নির্বাচনের ডাক দিতে পারেন (Bangladesh)।

  • Murshidabad Riot: গণবিক্ষোভের ছদ্মবেশে মুর্শিদাবাদে দাঙ্গা হলেও, নেপথ্যে ছিল এক গভীর ষড়যন্ত্র!

    Murshidabad Riot: গণবিক্ষোভের ছদ্মবেশে মুর্শিদাবাদে দাঙ্গা হলেও, নেপথ্যে ছিল এক গভীর ষড়যন্ত্র!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছর এপ্রিলে মুর্শিদাবাদে যে হিংসার (Murshidabad Riot) ঘটনা ঘটেছিল, তা কোনও আকস্মিক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছিল না, ছিল সুপরিকল্পিত একটি হিংসার ঘটনা (Radical NGOs)। গণবিক্ষোভের ছদ্মবেশে এই হিংসা সংঘটিত হলেও, এর নেপথ্যে ছিল এক গভীর ষড়যন্ত্র– চরমপন্থী উসকানি, রাজনৈতিক মদত এবং প্রশাসনিক ব্যর্থতার এক জটিল মিশ্রণ। সংবাদ মাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘অপারেশন মুর্শিদাবাদ’ নামক অনুসন্ধান এক বিরাট গোপন চরমপন্থী নেটওয়ার্কের পর্দা ফাঁস করেছে, যেখানে নিষিদ্ধ সংগঠন, ছায়া এনজিও এবং প্ররোচিত যুব বাহিনীকে সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি এবং সামাজিক ঐক্য বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে কাজে লাগানো হয়েছে।

    এটি একটি পরিকল্পিত দাঙ্গা (Murshidabad Riot)

    জানা গিয়েছে, এটি একটি পরিকল্পিত দাঙ্গা, যেখানে ধর্মীয় নেতারা ছিলেন মতাদর্শগত কারখানার ভূমিকায় আর পুলিশ-প্রশাসন ছিল হয় সহযোগী, নয় ঠুঁটো। এই সব কিছুর কেন্দ্রে ছিল কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, যারা সব কিছু পরিচালনা করেছে। ঘটনার সূত্রপাত ১০ এপ্রিল। এদিন শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত এসএসসি রায়ের বিরুদ্ধে অসন্তোষের ছদ্মবেশে একটি পরিকল্পিত বিক্ষোভ প্রদর্শন হয়। দ্রুত সেটাই মোড় নেয় ওয়াকফ আইন সংক্রান্ত ইস্যুর দিকে। ১১ এপ্রিল এটিই ধারণ করে দাঙ্গার রূপ। বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ থেকে দেখা গিয়েছে, একই যুবক দল যারা হাতে লাঠি এবং প্রচারপত্র নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, তারা দুই আন্দোলনেই উপস্থিত ছিল। ১১ এপ্রিল পুলিশের অনুমতি ছাড়াই হয়েছিল জমায়েত। এই জমায়েতের মাঝে ছিল একটি ব্যানার, যাতে লেখা, ‘সমস্ত এনজিও একজোট’। কিন্তু আদতে পুরো ফ্রন্টটি পরিচালিত হচ্ছিল মূলত দুটি সংগঠনের মাধ্যমে – ‘সময়ের আলোর বাতি’ এবং ‘গোল্ডেন স্টার গ্রুপ’। এই সংগঠনগুলি নিজেদের গোষ্ঠী কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাবি করলেও, সেগুলির বিরুদ্ধে উগ্র মতাদর্শ প্রচার এবং সংঘবদ্ধ আন্দোলনের অভিযোগ উঠেছে।

    ঘুরে বেড়াচ্ছে ‘পলাতক’

    এই হিংসার মূল চাঁই হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে তিনজনকে। এরা হল কাওসার, মোস্তাকিন এবং রাজেশ শেখ। পুলিশের খাতায় তাদের পলাতক দেখানো হলেও, স্থানীয়দের দাবি (Murshidabad Riot), দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে। রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংযোগ এবং স্থানীয় প্রশাসনের উদাসীনতায় তারা ‘পলাতক’ (Radical NGOs)। জানা গিয়েছে, রাজেশ শেখ তৃণমূল যুব ব্লক কমিটির পরিচিত সদস্য। পিএফআই (PFI) এবং এসডিপিআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে তাঁর। ২০১৮ সালে এক এসডিপিআই প্রার্থীর পক্ষে তিনি প্রচারও করেছিলেন বলে অভিযোগ। বশির শেখ, যিনি এক সময় সিমির (SIMI) সদস্য ছিলেন, তাঁকেও এই বিক্ষোভের প্রধান সংগঠক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

    ওরা সাম্প্রদায়িক উসকানিতে জড়িত

    স্থানীয় ডিআইবির ইনসপেক্টর রাজীব গোপন ক্যামেরায় তাঁদের ভূমিকার কথা স্বীকার করে বলেন, “হ্যাঁ, ওরা সাম্প্রদায়িক উসকানিতে জড়িত (Murshidabad Riot)। তবে ওরা পলাতক।” এই হিংসায় জুতে দেওয়া হয়েছিল নাবালকদেরও। একাধিক নাবালকের দাবি, কাওসার ও মোস্তাকিন তাদের ডেকে পাঠাত এবং প্রতিবাদের আহ্বান জানিয়ে লিফলেট দিত। ‘ওয়াকফ’ শব্দের অর্থ না জানলেও, তাদের বলা হত ঘরে আগুন লাগাতে এবং পাথর ছুড়তে। তাদের বোঝানো হত, তাদের ধর্ম বিপন্ন। তাদের মধ্যে একজন বলে, “ওরা বলেছিল হিন্দুরা আমাদের ধর্মকে গালাগালি দিচ্ছে। সবাই যাচ্ছিল, তাই আমিও গেলাম।” ছেলেটির দাবি, তারা যখন হিন্দু-অধ্যুষিত ঘোষ পাড়ার ভিতর দিয়ে যাচ্ছিল এবং হেনস্থার শিকার হয়েছিল, তখন স্থানীয় পুলিশই তাদের পাল্টা জবাব দিতে বলেছিল (Murshidabad Riot)।

    বেআইনি এনজিওর রমরমা

    সরকারি খাতা অনুযায়ী, শামসেরগঞ্জে মাত্র ১৮টি এনজিও রয়েছে (Radical NGOs)। যদিও বাস্তব চিত্র হল এলাকায় রয়েছে কয়েক ডজন এনজিও। তদন্তকারীদের আশঙ্কা, এই সংগঠনগুলি মূলত চরমপন্থী চিন্তার উর্বর ক্ষেত্র হিসেবে কাজ করছে, কোনওরকম নজরদারি ছাড়াই অর্থ আসছে এবং সর্বোপরি, সমাজকল্যাণের দোহাই দিয়ে এড়িয়ে যাচ্ছে সরকারি নজরদারি। স্থানীয় দুই ইমাম স্বীকার করেছেন, অজ্ঞাত পরিচয় কিছু লোক তাদের কাছে এসে মসজিদের মাইকে ওয়াকফ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের আহ্বান জানাতে বলেছিল। শুক্রবারের নমাজের ঠিক আগেই এটা করতে বলেছিল। উদ্দেশ্য ছিল, সর্বোচ্চ জমায়েত।

    বাংলাদেশি ইসলামি বক্তার ভাষণে ইন্ধন!

    মুর্শিদাবাদে যেদিন দাঙ্গা হয়, তার ঠিক পাঁচ দিন আগে বাংলাদেশি এক ইসলামি বক্তা শামসেরগঞ্জে একটি জলসায় ভাষণ দেন। তার পর থেকেই স্থানীয় হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুক গ্রুপগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে সাম্প্রদায়িক কনটেন্ট (Murshidabad Riot)। একটি ভিডিওতে মুসলমানদের হাতে ‘বন্দুক তুলে নিতে’ বলা হয়। আর একটি পোস্টে বলা হয় ‘শিশুদের সামনে পাঠাও’। এসডিপিআই, জমিয়তে ইসলামি হিন্দ এবং জামাত-এ-আহলে হাদিসের সাহিত্য এবং বক্তব্যও ছড়িয়ে পড়ে, যা ওয়াকফ সংক্রান্ত বর্ণনাকে কেন্দ্র করে জ্বলা ক্ষোভের আগুনে ঘি ঢেলে দেয়। রাজীব স্বীকার করেন, “এখানে স্লিপার সেল সক্রিয় আছে। মাদ্রাসার ভিতরে উগ্রপন্থা ছড়ানো হচ্ছে। তবে জলসায় কী হয়, তা আমরা জানি না (Radical NGOs)।”

    জেলা কর্মকর্তারা গোপনে সংবাদ মাধ্যমের কাছে স্বীকার করেন, রাজেশের মতো কয়েকজন উগ্রপন্থী রাজনৈতিক রক্ষাকবচ ধারণ করেন। এক প্রবীণ তদন্তকারী বলেন, “এখানে নথিভুক্ত নয় এমন এনজিওগুলি তো কেবল নীচুস্তরের মুখপাত্র। আসল খেলুড়েরা বসে থাকেন ক্ষমতার আসনে, থাকেন ধরা-ছোঁয়ার বাইরে (Murshidabad Riot)।”

  • Modi Govt: মোদি সরকারের ১১ বছর পূর্তি, দেখে নিন গুরুত্বপূর্ণ কাজের খতিয়ান

    Modi Govt: মোদি সরকারের ১১ বছর পূর্তি, দেখে নিন গুরুত্বপূর্ণ কাজের খতিয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৪ সালের ২৬ মে প্রথমবারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। তার পর ২০১৯ ও ২০২৪ সালেও তিনিই রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী পদে। সোমবার হল মোদি সরকারের (Modi Govt) ১১ বর্ষ পূর্তি। এদিনই মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরল বিজেপি (BJP)। পদ্ম শিবিরের দাবি, সুসংহত শাসনব্যবস্থার মাধ্যমে গত ১১ বছরে মোদি সরকার একগুচ্ছ সাহসী ও সুদূরপ্রসারী সংস্কারের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের গতি পরিবর্তন করেছে। বিজেপির তরফে ১১টি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের কথা তুলে ধরা হয়েছে, যা ভারতের উন্নয়নের পথে স্থায়ী প্রভাব ফেলেছে।

    ২০১৪ সালে শুরু হওয়া ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের লক্ষ্য ছিল ভারতকে একটি বৈশ্বিক উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা। সরকারের এই কর্মসূচি বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ আকর্ষণ, স্বদেশি উৎপাদনকে উৎসাহিত করা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের শিল্পক্ষেত্রে নয়া গতি এনেছে। এটি বিধিনিষেধ সহজতর করেছে, উদ্ভাবনকে উৎসাহ দিয়েছে এবং ভারতকে বিশ্বের দ্বিতীয় সব চেয়ে আকর্ষণীয় উৎপাদন গন্তব্যে পরিণত করেছে। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ থেকে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’য় রূপান্তর আত্মনির্ভরতা ও বৈশ্বিক শিল্পক্ষেত্রে ভারতের আস্থা বৃদ্ধির প্রতীক।

    প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা (Modi Govt)

    ২০১৫ সালে চালু হওয়া প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা ক্ষুদ্র ও ছোট উদ্যোগগুলিকে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জামানত মুক্ত ঋণ দেয়।২০২৫ সালের শুরু পর্যন্ত এই যোজনার মাধ্যমে প্রায় ৩২.৪ লাখ কোটি টাকার ঋণ বিলি করা হয়েছে। সুবিধাপ্রাপ্তদের মধ্যে ৬৮ শতাংশ নারী, এবং প্রায় অর্ধেক ঋণ দেওয়া হয়েছে তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির লোকজনকে। সর্বোচ্চ ঋণ বিলি করা হয়েছে তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ ও কর্নাটকে (BJP)।

    বিমুদ্রাকরণ

    ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর কালো টাকা সাদা করতে, জাল নোটের রমরমা ঠেকাতে, সন্ত্রাসে অর্থায়ন বন্ধ করতে (Modi Govt) এবং ডিজিটাল লেনদেনে দেশবাসীকে উৎসাহিত করতে ভারত সরকার ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করে। এর ফলে আয়কর রিটার্ন দাখিল বেড়েছে ২৪.৭ শতাংশ এবং অগ্রিম কর সংগ্রহের পরিমাণ বেড়েছে ৪১.৮ শতাংশ। ‘অপারেশন ক্লিন মানি’র মাধ্যমে ১৮ লাখ সন্দেহজনক অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে, যার ফলে ১৭,৫২৬ কোটি টাকার অবৈধ আয়ের সন্ধান মিলেছে। সরকারের এই পদক্ষেপে ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে।

    জিএসটি

    ২০১৭ সালের ১ জুলাই চালু হওয়া জিএসটি বিভিন্ন পরোক্ষ করের পরিবর্তে একটি একক কর ব্যবস্থা চালু করে। এটি করের বাধা দূর করেছে, ইনপুট ক্রেডিটের সুবিধা এনেছে এবং আন্তঃরাজ্য বাণিজ্যকে উন্নত করেছে। ২০২৩–২৪ অর্থবর্ষে দেশে জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ পৌঁছেছে ২০.১৮ লাখ কোটি টাকায়, যা তার আগের অর্থবর্ষের তুলনায় ১১.৭ শতাংশ বেশি। এই সংস্কার কর দেওয়া সহজ করেছে, স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করেছে এবং অর্থনৈতিক কাঠামোকে মজবুত করেছে।

    ডিজিটাল ইন্ডিয়া এবং ইউপিআই

    বিএইচআইএম, আধার এবং ইউপিআইয়ের মতো উদ্যোগগুলি ভারতের পেমেন্ট ব্যবস্থায় বিপ্লব এনেছে। ২০২৪–২৫ অর্থবর্ষে ইউপিআই মাসে ১৭৩.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লেনদেন করেছে, যার আর্থিক মূল্য ২২ লাখ কোটি টাকারও বেশি। ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে ১৬.৯৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লেনদেনের মাধ্যমে রেকর্ড গড়ে। ২০১৯ সালে ডিজিটাল পেমেন্টে ইউপিআইয়ের অংশ ছিল ৩৪ শতাংশ। ২০২৪ সালে এটাই বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৩ শতাংশে। মোদি সরকারের এই ব্যবস্থা ডিজিটাল ফিনান্সে ভারতকে বিশ্বনেতা হিসেবে গড়ে তুলেছে (BJP)।

    আয়ুষ্মান ভারত

    ২০১৮ সালে শুরু (Modi Govt) হওয়া আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা (PM-JAY) প্রতি পরিবারে সেকেন্ডারি ও তৃতীয় স্তরের চিকিৎসার জন্য ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্য কভারেজ প্রদান করে। ২০২৫ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ৩৬.৯ কোটিরও বেশি আয়ুষ্মান কার্ড ইস্যু করা হয়েছে। যার ফলে প্রায় ১.২৫ লক্ষ কোটি টাকার বেশি সঞ্চয় হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় এখন ৭০ বছর বা তার বেশি বয়সী সব নাগরিক এবং ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার্সরাও অন্তর্ভুক্ত।

    ৩৭০ অনুচ্ছেদের বিলোপ

    ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ করা হয়। এর ফলে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল হয়ে যায় এবং এটি সম্পূর্ণভাবে ভারতীয় ইউনিয়নের সঙ্গে একীভূত হয়। এই অনুচ্ছেদ বাতিল হওয়ায় সমান নাগরিকত্বের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, শাসনব্যবস্থা শক্তিশালী হয়েছে এবং জাতীয় ঐক্য মজবুত হয়েছে।

    উরি, বালাকোট, অপারেশন সিঁদুর ও ব্ল্যাক ফরেস্ট  

    ২০১৬ সালে উরির হামলার পর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে ভারত। ২০১৯ সালে পুলওয়ামার প্রতিক্রিয়ায় বালাকোটে এয়ারস্ট্রাইক চালায় মোদি সরকার। ২০২৫ সালে হয় অপারেশন সিঁদুর। পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করেছিল পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার পরেই অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় ভারত। এই অভিযানে দেশীয় সামরিক সক্ষমতা ও মহিলা অফিসারদের নেতৃত্বের ভূমিকাও তুলে ধরা হয়, যা আদতে আত্মনির্ভরতা ও নারীর ক্ষমতায়নের প্রতীক। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে শুরু হয় অপারেশন ব্ল্যাক ফরেস্ট (BJP)। ২১ দিন ধরে ভারতের কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী ও রাজ্য পুলিশের ১০,০০০-এর বেশি কর্মী অংশ নেন ছত্তিশগড়-তেলঙ্গানা সীমান্তের কারেগুট্টালু পাহাড়ে মাওবাদী ঘাঁটি ও তাদের নেতৃত্ব কাঠামো ধ্বংস করতে। অভিযানে ৩১ জন মাওবাদী নিকেশ হয়, যাদের মধ্যে ছিল সিপিআই (মাওবাদী)-এর সাধারণ সম্পাদক নামবালা কেশব রাও (বাসবরাজু)-এর মতো শীর্ষ নেতাও (Modi Govt)।

    আত্মনির্ভর ভারত

    কোভিড অতিমারী-উত্তর পর্বে শুরু হওয়া আত্মনির্ভর ভারত উদ্যোগের লক্ষ্য হল আমদানির ওপর নির্ভরতা কমানো এবং বিশেষ করে এমএসএমইদের জন্য দেশীয় উৎপাদন বাড়ানো। মোদি সরকারের এই উদ্যোগ ব্যাপক সাফল্য পায়। উদাহরণস্বরূপ, প্রতিরক্ষা রফতানি ২০১৩–১৪ অর্থবর্ষে ৬৮৬ কোটি টাকা থেকে ২০২৩–২৪ অর্থবর্ষে ২১,০৮৩ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। বৃদ্ধির পরিমাণ ৩০ গুণ। ২০১৪ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রতিরক্ষা রফতানি ৪,৩১২ কোটি টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৮,৩১৯ কোটি টাকায়।

    অগ্নিপথ স্কিম

    ২০২২ সালের জুনে চালু হওয়া অগ্নিপথ স্কিম অনুযায়ী ১৭.৫ থেকে ২১ বছর বয়সি যুবকদের চার বছরের জন্য ‘অগ্নিবীর’ হিসেবে নিয়োগ করা হয়, যাদের মধ্যে ২৫ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে স্থায়ীভাবে রাখা হয়। এই স্কিমটি শৃঙ্খলা গড়ে তোলে এবং বার্ষিক ৪.৭৬ লক্ষ টাকা বেতন, ১১.৭১ লক্ষ টাকা ‘সেবা নিধি’ এক্সিট প্যাকেজ এবং ৪৮ লক্ষ টাকার জীবন বীমা দেয়। প্রতিরক্ষা সেবার বাইরেও এটি যুবকদের ভবিষ্যতের (BJP) কেরিয়ারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা অর্জনেও সহায়তা করে। অপারেশন সিঁদুরে এই অগ্নিবীরদের অনেকেই নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন (Modi Govt)।

    সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণ

    কিছু যুগান্তকারী প্রকল্পের মাধ্যমে মোদি সরকার ভারতের আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যকে পুনরুজ্জীবিত করেছে। ২০২৪ সালে অযোধ্যার রাম মন্দিরের প্রতিষ্ঠা বহু প্রতীক্ষিত একটি সাংস্কৃতিক আকাঙ্ক্ষা পূরণ করেছে। কাশী বিশ্বনাথ ধাম প্রকল্প বারাণসীর মন্দির চত্বরে এক নতুন রূপ এনে দিয়েছে, আর মহাকাল লোক করিডর উজ্জয়নের মহাকালেশ্বর মন্দিরকে পুনরুজ্জীবিত করেছে। এই সমস্ত উদ্যোগই ঐতিহ্য ও আধুনিক পরিকাঠামোর এক অসাধারণ সমন্বয়, যা ধর্মীয় পর্যটন ও সভ্যতাগত গর্বকে উৎসাহিত করছে। এই যুগান্তকারী কীর্তিগুলির পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও এবং বৈদেশিক নীতিতেও নিজস্ব ছাপ রেখেছে। এমনই একটি সাফল্য হল ভারতে (BJP) সফলভাবে জি-২০ সম্মেলনের আয়োজন। এছাড়াও, নানা সময় বিভিন্ন দেশের পাশে দাঁড়িয়ে ভারত মানবিক সাহায্য দিয়েছে। যার ফলে ভারত অর্জন করেছে বিশ্বনেতার সম্মান (Modi Govt)।

  • Jyoti Malhotra: ভিআইপি সুবিধা, স্পেশাল ভিসা, পাকিস্তানে জ্যোতির নিরাপত্তায় একে-৪৭ হাতে ‘রক্ষীরা’! কেন? তদন্তে গোয়েন্দারা

    Jyoti Malhotra: ভিআইপি সুবিধা, স্পেশাল ভিসা, পাকিস্তানে জ্যোতির নিরাপত্তায় একে-৪৭ হাতে ‘রক্ষীরা’! কেন? তদন্তে গোয়েন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আটক ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রার (Jyoti Malhotra) কাছ থেকে ১২ টেরাবাইট ডিজিটাল তথ্য আদায় করেছে হরিয়ানার হিসার পুলিশ। এই তথ্যভাণ্ডারে রয়েছে চ্যাট রেকর্ড, কল লগ, ভিডিও ফুটেজ, আর্থিক লেনদেন এবং অন্যান্য ফরেন্সিক প্রমাণ—যা পাকিস্তানভিত্তিক চার ব্যক্তির সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের কথা স্পষ্ট করেছে। সাম্প্রতিক কালে যুদ্ধ শুধু গোলাগুলিতে হয় না। সমাজে নিজেদের মতামত স্পষ্ট করতে, মানুষকে বোকা বানাতে ব্যবহৃত সোশ্যাল মিডিয়া। এর মধ্য দিয়েই চলে ব্রেন ওয়াশ, বা মগজ ধোলাই। তদন্তে যে সমস্ত বিস্ফোরক তথ্যপ্রমাণ উঠে এসেছে, তার ভিত্তিতে ইতিমধ্যে জ্যোতিকে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই (ISI)- এর ‘অ্যাসেট’-ও বলছেন তদন্তকারীদের একাংশ। হয়তো এই জন্যই লাহোরের আনারকলি বাজারে যখন ঘুরে বেড়াচ্ছিল জ্যোতি মালহোত্রা, তখন তার সঙ্গে ছিল অন্তত ছ’জন বন্দুকধারী। যাদের হাতে ছিল একে-৪৭। সম্প্রতি স্কটল্যান্ডের এক ইউটিউবারের ভিডিওয় দেখা গিয়েছে এই চিত্র। ওই ভাইরাল ভিডিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

    জ্যোতিকে ঘিরে বন্দুকধারী কেন?

    বিদেশি ইউটিউবের এক ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, লাহোরের আনারকলি বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছে জ্যোতি। আর তাকে নিরাপত্তা দিতে হাতে অত্যাধুনিক রাইফেল একে-৪৭ নিয়ে হাজির বেশ কয়েকজন রক্ষী। একজন ইউটিউবার, ভ্লগারের জন্য এত উচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা? স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে অনেক। একজন ইউটিউবারের জন্য নিরাপত্তায় কেন এত কড়াকড়ি? বিস্মিত খোদ জ্যোতির ভিডিও করা স্কটিশ ইউটিউবারও। একজন ভারতীয় ইউটিউবার পাকিস্তানের রাস্তায় হাঁটছে। ভিডিও শ্যুট করছে। আর তাকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে রেখেছে সশস্ত্র বাহিনী। অতএব পাকিস্তানের সঙ্গে জ্যোতির যোগাযোগ যে ছিল তা স্পষ্ট। ওই স্কটিশ ইউটিউবার প্রশ্ন তুলেছিলেন, কেন ওই বন্দুকধারীদের সঙ্গে রাখার প্রয়োজন হয়েছিল জ্যোতির। ওই সশস্ত্র ব্যক্তিরা রক্ষী ছিল, না কি অন্য কেউ, সেই প্রশ্নও রয়েছে। সূত্রের খবর, এই প্রশ্নগুলি ভাবাচ্ছে হরিয়ানা পুলিশকেও।

    নিরাপত্তা হুমকি ও ‘ন্যারেটিভ পুশ’

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানি আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল জ্যোতির। নয়াদিল্লিতে পাকিস্তানি আধিকারিক দানিশের সঙ্গে তার ‘ঘনিষ্ঠতা’ ছিল বলে অভিযোগ। দানিশকে আগেই ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করেছে ভারত। অভিযোগ, দানিশের মাধ্যমে পাকিস্তানের আরও আধিকারিক, এমনকি গুপ্তচরদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল জ্যোতির। তিনি পাক চরদের কী তথ্য দিয়েছে, তা এখন খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ডিজিটাল ফরেন্সিক তদন্তে উঠে এসেছে, কীভাবে একটি সুপরিকল্পিত ‘ন্যারেটিভ পুশ’ বা মতপ্রচার কৌশলের অংশ হিসেবে জ্যোতিকে ব্যবহার করা হচ্ছিল। রাষ্ট্রবিরোধী এই প্রচার কৌশলের লক্ষ্য ছিল সমাজকে বিভাজিত করা, ভুয়ো তথ্য ছড়ানো এবং গণতান্ত্রিক কাঠামোকে দুর্বল করা। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মতে, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এমন সোশ্যাল মিডিয়া প্রভাবশালীদের কাজে লাগিয়ে ভারতের আভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নষ্ট করার কৌশলে লিপ্ত।

    চার পাকিস্তান বংশোদ্ভূত ব্যক্তির সঙ্গে সরাসরি যোগ

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত চার জন প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে সরাসরি এবং ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল জ্যোতির। তাদের সঙ্গে জ্যোতির চ্যাটে কোনও গ্রুপ বা মধ্যস্থতাকারীর উপস্থিতি ছিল না, যা থেকে বোঝা যায়, এই কথোপকথন ছিল পুরোপুরি গোপনীয়। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানি এই চার প্রভাবশালী ব্যক্তিদের পরিচয় এবং গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে সচেতন ছিল জ্যোতি। তার পাকিস্তান সফরের পরপরই তার সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলে ফলোয়ার ও ভিউয়ারশিপ হঠাৎ করেই বেড়ে যায়। তদন্তকারীদের মতে, এটি শুধুমাত্র স্বাভাবিক জনপ্রিয়তা নয়, বরং পরিকল্পিত প্রচার অভিযানের অংশ, যেখানে তার পোস্ট ও ভিডিও বিশেষভাবে ‘ন্যারেটিভ পুশ’ কৌশল অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছিল। পুলিশের দাবি, জ্যোতি সচেতনভাবেই এই গোয়েন্দা জালে পা দিয়েছিল এবং সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার জন্য নিজে থেকেই সহযোগিতা করেছিল।

    বিশেষ ভিসা ও নিরাপত্তা কভার

    প্রথম পাকিস্তান সফরের পর জ্যোতি মালহোত্রাকে স্পেশাল ভিসা ও নিরাপত্তা কভার দেওয়া হয়েছিল। যা সাধারণ বিদেশি সাংবাদিকদের জন্য অত্যন্ত বিরল। তদন্তকারীদের ধারণা, আইএসআই তাকে ‘অ্যাসেট’ হিসেবে গড়ে তুলেছিল এবং বিশেষ এই সুবিধাগুলি তার সক্রিয় সহযোগিতার পুরস্কার ছিল। স্কটল্যান্ডের ওই ইউটিউবারের ভিডিওতে দেখা যায় জ্যোতিকে যারা পাহাড়া দিচ্ছিল, তাদের গায়ে যে জ্যাকেট ছিল, তাতে লেখা ‘ভয় নেই’। ভিডিওতে স্কটিশ ইউটিউবার একবার জ্যোতিকে জিজ্ঞাসা করেছেন পাকিস্তানের আতিথেয়তা প্রসঙ্গে। স্পষ্ট ভাষায় জ্যোতি জানিয়েছে পাকিস্তানের আতিথেয়তা দারুণ। তার মুখভঙ্গিই বুঝিয়ে দিয়েছে যে সে কতটা খুশি পাকিস্তানের আতিথেয়তায়। আপাতত জ্যোতির মোবাইল এবং ল্যাপটপ, আর সেখানে পাওয়া ছবি, ভিডিও খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী আধিকারিকরা। পাকিস্তানের সঙ্গে জ্যোতির যোগাযোগ কতটা দৃঢ়, কী কী তথ্য তার মাধ্যমে পাচার হয়ে গিয়েছে তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। আর কে কে এই গুপ্তচরবৃত্তির সঙ্গে যুক্ত, তাদের খোঁজও চলছে।

    শক্তিশালী ডিজিটাল প্রমাণ, হতে পারে সাজা

    পুলিশ সূত্রে খবর, জ্যোতির কাছ থেকে পাওয়া ডিজিটাল প্রমাণ এতটাই শক্তিশালী যে, এর ভিত্তিতে আদালতে সহজে দোষ স্বীকার করানো সম্ভব হতে পারে। যদিও এখনও কোনও সংবেদনশীল তথ্য ফাঁসের প্রমাণ মেলেনি, তবুও তার কাজকর্ম সাধারণ সাংবাদিকতার সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে মত তদন্তকারীদের। জ্যোতির কাছ থেকে প্রাপ্ত ডেটা বিশ্লেষণে বেশ কিছু আর্থিক লেনদেনের তথ্য উঠে এসেছে। এই ঘটনা আবারও তুলে ধরছে কীভাবে প্রতিপক্ষ রাষ্ট্রগুলো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ভারতের অভ্যন্তরে প্রভাব বিস্তার করছে এবং ভেতর থেকে দুর্বল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

  • Iran: পাত্তা দিল না ইরান! সব সমস্যার সমাধানে ভারতের সঙ্গে আলোচনা চান শেহবাজ

    Iran: পাত্তা দিল না ইরান! সব সমস্যার সমাধানে ভারতের সঙ্গে আলোচনা চান শেহবাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীর, সন্ত্রাসবাদ, জলবণ্টন, বাণিজ্য-সহ দ্বিপাক্ষিক সমস্ত সমস্যার সমাধানের জন্য ভারতের সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত পাকিস্তান। সোমবার ইরান (Iran) সফরে গিয়ে এ কথা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। চাপের মুখে রয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। ভারত বিরোধিতা করে মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে সাহায্য পাওয়ার আশায় ইরান সফরে গিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু সেখানে পাত্তা পাননি তিনি। তাই ফের একবার ভারতের সঙ্গে সমঝোতার কথা বললেন শাহবাজ।

    ভারতের সঙ্গে কথা বলতে প্রস্তুত

    পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পরে পাকিস্তানের জঙ্গি ডেরায় ভারতীয় সেনার ‘অপারেশন সিঁদুর’ এবং তার প্রতিক্রিয়ায় সংঘাতের পর সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা করেছে দুই দেশ। এই আবহে চারটি ‘বন্ধু’ দেশে সফর করছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। রবিবার তিনি গিয়েছিলেন তুরস্কে। সেখানকার প্রেসিডেন্ট রিচেপ তায়িপ এর্দোগানের সঙ্গে আলোচনা হয় তাঁর। এর পরে ইরানের গিয়ে সোমবার সে দেশের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজসকিয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সেই দেশের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সৈয়দ আলি খামেনির সঙ্গেও বৈঠক করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। তেহরানে, ওই বৈঠক করার পরেই শেহবাজ শরিফ জানান, তাঁরা ভারতের সঙ্গে থাকা সব সমস্যার সমাধান করতে চান। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘সব সমস্যার সমাধানের জন্য প্রতিবেশীর সঙ্গে শান্তি আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য আমরা উন্মুখ। আমরা আলোচনার মাধ্যমে কাশ্মীর সমস্যা এবং জল সমস্যা-সহ সকল বিরোধের সমাধান করতে চাই। বাণিজ্য এবং সন্ত্রাসবাদ দমনের বিষয়ে আমাদের প্রতিবেশীর (ভারতের) সঙ্গে কথা বলতেও আমরা প্রস্তুত।’’

    সন্ত্রাস বন্ধ ছাড়া কথা নয়

    ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের সঙ্গে কী শর্তে কথা হতে পারে তা জানিয়ে দিয়েছে ভারত। নয়াদিল্লি জানিয়েছে, পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা কেবলমাত্র পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের প্রত্যাবর্তন এবং সীমান্ত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থানের ভিত্তিতেই হতে পারে। এ প্রসঙ্গে শাহবাজ শরিফ বলেন, “যদি ভারত শান্তির পথ বেছে নেয়, তাহলে আমরা আন্তরিকতা ও দায়িত্বের সঙ্গে শান্তির বার্তা দেব। কিন্তু যদি তারা আগ্রাসনের পথে থাকে, তাহলে আমরা নিজেদের ভূখণ্ড রক্ষা করব, যেমন কিছুদিন আগেও করেছি।” ইরানের নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি, এই নিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করেননি। তিনি সমাজ মাধ্যমে শুধু লেখেন, ইরান আশা করে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধের সমাধান হবে। পাকিস্তান এবং ভারতের মধ্যে বিরোধের অবসানে ইরান আনন্দিত।

LinkedIn
Share