Tag: bangla news

bangla news

  • Communist: ‘‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসে খুন বাসবরাজু’’! কমিউনিস্ট দলগুলির বিবৃতিতে ফের দেশদ্রোহিতার প্রতিফলন

    Communist: ‘‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসে খুন বাসবরাজু’’! কমিউনিস্ট দলগুলির বিবৃতিতে ফের দেশদ্রোহিতার প্রতিফলন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ে মাওবাদী দমন অভিযানে মিলেছে বড়সড় সাফল্য। খতম হয়েছে তাদের শীর্ষ নেতা বাসবরাজু। দেশের ভিতরে উগ্র বামপন্থাকে (Communist) এমন যোগ্য জবাব দেওয়ার পরে সেনা জওয়ানরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। সামনে এসেছে সেই ভিডিও। এমন পরিস্থিতিতে দেশের বামপন্থী দলগুলির অবস্থান তা একবার ফের তাদের দেশদ্রোহিতার মুখোশকেই উন্মোচন করল। সিপিআই ও সিপিএমের মতো দলগুলির বিবৃতিতেই স্পষ্ট যে তার ভারতের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা এবং একটি শান্তিপূর্ণ জাতীয় জীবনের বিরোধী।

    সিপিআই এবং সিপিআইএম এই দুই দলই ঐতিহাসিকভাবে চিনপন্থী

    সিপিআই এবং সিপিআইএম এই দুই দলই ঐতিহাসিকভাবে চিনপন্থী। মাওবাদী দমন অভিযানের পরেও তাদের বিবৃতিতেও স্পষ্ট হয়ে উঠল যে তারা এখনও পর্যন্ত ভারতীয় হয়ে উঠতে পারেনি। এভাবেই তারা নিন্দা জানাল বাহিনীর গুলিতে খতম হওয়া নিষিদ্ধ মাওবাদী সংগঠনের নেতা নাম্বালা কেশব রাও ওরফে বাসবরাজুর। প্রসঙ্গত, বাসবরাজু ছিলেন মাওবাদী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক (Communist)। ভারত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। সাধারণ মানুষদের হত্যা, সেনা জওয়ানদের হত্যা একাধিক অভিযোগ তার বিরুদ্ধে ছিল। এই ভারত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল, সেই সিপিআই (মাওবাদী) নেতাকে যখন খতম করা হল, তখন তারই সমর্থনে এগিয়ে এল এবং নিন্দা জানাল সিপিআই ও সিপিএম।

    কমিউনিস্ট পার্টির বিবৃতিতে জাতীয়তা-বিরোধিতার ছায়া (Communist)

    এদের মধ্যে সিপিএম তাদের নিজেদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, অমানবিক নীতি গ্রহণ করেই এই হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে। সিপিআই এটাকে ‘বিচার বহির্ভূত’ পদক্ষেপ বলে ঘোষণা করেছে। ‘‘ঠান্ডা মাথায় বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড’’ বলে উল্লেখ করেছে তারা। কমিউনিস্ট পার্টির সর্বদাই অধিকারের কথা বলে। খুব সত্যি কথা বলতে তারা এ নিয়ে ভন্ডামি করে। কমিউনিস্ট পার্টি অধিকারের কথা মাওবাদীদের জন্য বলে কিন্তু মাওবাদী হামলায় মৃতদের জন্য অধিকারের কথা বলে না। প্রসঙ্গত, বামপন্থীদের এমন বিবৃতি শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক বিবৃতি নয়। এর মাধ্যমে অপমান করা হয়েছে সেই শত শত জওয়ানদেরকে। যাঁরা তাঁদের নিজেদের উৎসর্গ করেন দেশের জন্য!

    ২০১০ সালে দান্তেরওয়াড়াতে ৭৬ জন জওয়ান শহিদ হন, বাসবরাজু ছিল হামলার মূলচক্রী

    একথা বলা দরকার, বাসবরাজু (Basavaraju) শুধুমাত্র একজন নেতা নয়, সে ছিল অপারেশনাল হেড এবং মাস্টারমাইন্ড। ২০১০ সালে দান্তেরওয়াড়াতে ৭৬ জন শহিদ হন। বাসবরাজু ছিল এই মাওবাদী হামলার মূলচক্রী। বাসবরাজুর নেতৃত্বে ২০১৩ সালে ছত্তিশগড়ের ঝিরানকাটে গণহত্যা ঘটানো হয়। সেখানেও অজস্র রাজনৈতিক নেতাকে খুন করা হয়। যদি কমিউনিস্ট নেতারা মনে করেন, বাসবরাজুকে খতম করার ঘটনা বিচার বহির্ভূত, তাহলে তারা মাওবাদী গণহত্যাকে কোন চোখে দেখেন? প্রসঙ্গত, দেশের বামপন্থী দলগুলি ভারতীয় সেনাকে লেঠেল বলেও সম্বোধন করে। কমিউনিস্ট পার্টি (Communist) কখনও ভারতীয় সেনা জওয়ানদের আত্মত্যাগকে মর্যাদাও দেয় না। এভাবেই ভারতীয় সেনা জওয়ানদের মর্যাদার ওপরে আঘাত করে তারা। দেশের সেনাবাহিনী সম্পর্কে কমিউনিস্টরা প্রশ্ন তুলছে। যাঁরা আমাদের গণতন্ত্রকে রক্ষা করছেন, দেশের ঐক্যকে রক্ষা করছেন, অখণ্ডতাকে রক্ষা করছেন।

    নাগরিক হত্যার সময় চুপ থাকে বামপন্থী দলগুলি (Communist)

    এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক যে যেই রাজনৈতিক দলগুলি সংবিধানের আওতায় থেকে কাজ করছে। কিন্তু তারা সেই ধরনের কথাই বলছে যা সংবিধানের বিরুদ্ধে যাচ্ছে। কারণ দেশের সংবিধানের কথা কমিউনিস্ট দলগুলির (Communist) তখনই মনে পড়ে যখন তারা নিজেদের অ্যাজেন্ডাকে বাস্তবায়িত করতে পারে। নিরীহ নাগরিকদের ওপর গণহত্যা চালায়। যখন নাগরিকদেরকে হত্যা করা হয় তখন সংবিধানের কথা এই বামপন্থী দলগুলোর মনে পড়ে না। কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া এবং কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া (মার্কসবাদ-লেনিনবাদ) তারা সরাসরি এই অপারেশনকে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বলে অভিহিত করেছে। প্রসঙ্গত, মাওবাদীদের উপস্থিতি ভারতবর্ষের অনুন্নয়নের একটি বড় কারণ।

    অনুন্নয়নকে কাজে লাগায় মাওবাদীরা

    দেখা যাচ্ছে, সড়কের অভাব, রেল যোগাযোগের অভাব, অনুন্নয়ন- এইগুলোই বেকারত্ব বাড়ায় যা মাওবাদীরা ব্যবহার করে। এভাবেই নিজেদের অ্যাজেন্ডাকে কাজে লাগায় তারা। মোদি জমানায় উন্নত হচ্ছে মাওবাদী প্রাভাবিত অঞ্চলগুলি। সেখানে পায়ের তলায় জমি হারাচ্ছে তাই মাওবাদীরা। বাসবরাজুর মতো গুরুত্বপূর্ণ মাওবাদী নেতাকে খতম করা জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে অনেক বড় মাইলস্টোন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। অপারেশন ব্ল্যাক ফরেস্টে ২৭ জন মাওবাদীকে খতম করা গিয়েছে। সন্ত্রাসমুক্ত দেশ গড়তে মোদি সরকারের এমন পদক্ষেপকে স্বাগত জানাচ্ছেন সকলেই।

  • Illegal Bangladeshi: ভারতে থাকা অবৈধ বাংলাদেশিদের ফেরত নিতে ঢাকাকে ফের বলল দিল্লি

    Illegal Bangladeshi: ভারতে থাকা অবৈধ বাংলাদেশিদের ফেরত নিতে ঢাকাকে ফের বলল দিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে যে বিপুলসংখ্যক অবৈধ বাংলাদেশি (Illegal Bangladeshi) রয়েছে, তাদের ফেরত পাঠানোর সুবিধার্থে নাগরিকত্বের পরিচয় যাচাই প্রক্রিয়া যেন দ্রুত শুরু করা হয়। বৃহস্পতিবার ঢাকাকে এই কথা জানিয়েছে নয়াদিল্লি। সাংবাদিক সম্মেলনে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণদীপ জয়সওয়াল বলেন, ‘‘যে সমস্ত ব্যক্তি অবৈধভাবে ভারতে বসবাস করছে, তারা বাংলাদেশি নাগরিক হোক বা অন্য কোনও দেশের, আইন অনুসারে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ভারতে প্রচুর সংখ্যক বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছে, যাদের ফেরত পাঠানো প্রয়োজন। আমরা বাংলাদেশের সরকারকে ইতিমধ্যে তাদের জাতীয় নাগরিকত্ব যাচাই করতে বলেছি।’’ রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, বর্তমানে ভারতের কাছে ২৩৬০ জনেরও বেশি অবৈধ বাংলাদেশি নাগরিকের তালিকা রয়েছে। যাদের ফেরত পাঠানো প্রয়োজন। জানা গিয়েছে এই বিপুল সংখ্যার মধ্যে অনেকেই বর্তমানে জেলেও রয়েছে।

    অবৈধ বাংলাদেশিরা গোপনে এবং সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করে

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, অবৈধ বাংলাদেশিরা (Illegal Bangladeshi) গোপনে এবং সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। কোনও রকমের বৈধ নথি ছাড়া। যার ফলে এ দেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের চিহ্নিত করা খুব কঠিন কাজ হয়ে পড়ে। মঙ্গলবার, ১২১ অবৈধ বাংলাদেশিকে আটক করে দিল্লি পুলিশ। তাদেরকে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, এরা সকলে ৮৩১ জনের একটি গোষ্ঠীর অংশ, যারা সাম্প্রতিককালে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছে। এদেরকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এবার ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।  এর আগে,  মে মাসে শুরুতেই উত্তর-পূর্ব ভারতের অসমের দক্ষিণ সালমারা জেলায় অবৈধ অনুপ্রবেশের কারণে কমপক্ষে পাঁচ জন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়। পরে পুলিশ প্রশাসন তাদেরকে আবার বাংলাদেশ ফেরত পাঠায়।

    দেশজুড়ে অবৈধ বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে অভিযান

    এপ্রসঙ্গে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘প্রতিবেশী দেশে তাঁত শিল্পের পতনের কারণে বিগত কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ ভারতে প্রচুর পরিমাণে বেড়ে গিয়েছে। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সাংবাদিকদের আরও বলেন, ‘‘বিগত কয়েক মাসে আমরা এক হাজার বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছি। অসমে গ্রেফতার করার পরেই তাদেরকে আবার পুনরায় দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।’’ তিনি জানিয়েছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণেই বাংলাদেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। অন্যদিকে অবৈধভাবে ভারতে থাকার অভিযোগে দিল্লিতে ও পুলিশ প্রশাসন অভিযানে নামে এবং রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে ছয় জন বাংলাদেশি (Illegal Bangladeshi) মহিলাকে আটক করা হয়। এছাড়া গুজরাটেও একই ধরনের অভিযান চালানো হয় এবং সেখানে ১০০০ জনেরও বেশি বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করে পুলিশ।

  • India Shreds Pakistan: ‘জঙ্গি আর সাধারণ মানুষের তফাৎ বোঝে না পাকিস্তান’, রাষ্ট্রপুঞ্জে ফের সরব ভারত

    India Shreds Pakistan: ‘জঙ্গি আর সাধারণ মানুষের তফাৎ বোঝে না পাকিস্তান’, রাষ্ট্রপুঞ্জে ফের সরব ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে দেশ জঙ্গি এবং সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে না, তাদের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলার কোনও অধিকার নেই। রাষ্ট্রপুঞ্জে ফের শুক্রবার পাকিস্তানকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করল ভারত (India Shreds Pakistan)। এদিন রাষ্ট্রপুঞ্জে (India at UN) অসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনায় পাকিস্তানের অংশগ্রহণকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি ‘‘একটি অপমানজনক আচরণ’’ বলে আখ্যা দিল নয়াদিল্লি। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি পার্বথানেনী হরিশ পুরি বলেন, “যে দেশ সন্ত্রাসী ও অসামরিক নাগরিকদের মধ্যে কোনো পার্থক্য করে না, তাদের এই বিষয়ে কথা বলা ন্যায়সম্মত নয়। বিশ্বকে বুঝতে হবে পাকিস্তানের প্রকৃত সত্য।”

    পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গি হামলার শিকার ভারত

    অপারেশন সিঁদুরেই ভারত বুঝিয়ে দিয়েছে, পাকিস্তানের (India Shreds Pakistan) ভূখণ্ডে কীভাবে জঙ্গিদের লালন-পালন চলে। এদিন ফের একবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানের আসল চেহারা তুলে ধরল ভারত। রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি পার্বথানেনী হরিশ বলেন যে, ‘‘পাকিস্তানি প্রতিনিধির বিভিন্ন বিষয়ে ভিত্তিহীন অভিযোগের জবাব আমি দেব।’’ এর আগে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত অসীম ইফতিখার আহমেদ তাঁর বক্তব্যে কাশ্মীর সমস্যা তুলে ধরেন। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘাতের কথাও বলেন তিনি। এরপরই প্রতিক্রিয়ায় ভারতের প্রতিনিধি হরিশ বলেন, “ভারত কয়েক দশক ধরে সীমান্তে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গি হামলার শিকার হচ্ছে। ৬৫ বছর আগে সৎ বিশ্বাসে সিন্ধু জল চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল ভারত। ভারতের উপর তিনটি যুদ্ধ এবং হাজার হাজার সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে তার চেতনা লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান। গত কয়েক দশকে ২০ হাজারেরও বেশি ভারতীয় প্রাণ হারিয়েছেন, যার মধ্যে সবচেয়ে সাম্প্রতিকতমটি হল পহেলগাঁওয়ের সন্ত্রাসী হামলা। ভারত সর্বত্র অসাধারণ ধৈর্য এবং উদারতা দেখিয়েছে। পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সীমান্তবর্তী সন্ত্রাসবাদ অসামরিক নাগরিকদের জীবন এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিকে পণবন্দি করতে চায়।”

    কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদীরা সকলে পাকিস্তানে

    পাকিস্তানের (India Shreds Pakistan) মাটিতে জঙ্গিদের কার্যকলাপ সে দেশের সরকারের অজানা নয়। হরিশ বলেন, ‘‘রাষ্ট্রপুঞ্জের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদীরা সকলে পাকিস্তানেই রয়েছে। দিনের আলোয় তারা বড় শহরগুলিতে সক্রিয়। তাদের ঠিকানা সকলেই জানেন। তাদের কাজকর্মও সকলেই জানেন। ওদের সঙ্গে কাদের যোগ রয়েছে, তা-ও সকলের জানা। তাই পাকিস্তান জড়িত নয়, এটা মনে করার কোনও কারণ নেই। এই রাষ্ট্রও জড়িত। তাদের সেনাও জড়িত।’’ রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারত এও উল্লেখ করেছে যে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী চলতি মাসের শুরুতে ইচ্ছাকৃতভাবে ভারতের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে গোলাবর্ষণ করেছে, সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে। এর ফলে ২০ জনেরও বেশি সাধারণ নাগরিক নিহত এবং ৮০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে। এমনকী ধর্মীয় স্থান এবং চিকিৎসা কেন্দ্রগুলিকে নিশানা করা হয়েছিল বলেও জানিয়েছে ভারত।

    পাকিস্তানের সন্ত্রাসের শিকার সাধারণ মানুষ

    ২৬/১১-এর ভয়াবহ হামলার কথাও এদিন বলা হয় ভারতের তরফে। হরিশ বলেন,“ কয়েক দশক ধরে পাকিস্তানের মদতে বেড়ে ওঠা জঙ্গিরা ভারতের সীমান্ত পেরিয়ে হামলা চালিয়ে আসছে । এর মধ্যে মুম্বই শহরে ২৬/১১-এর ভয়াবহ হামলা থেকে শুরু করে ২০২৫ সালের এপ্রিলে পহেলগাঁওয়ে নিরীহ পর্যটকদের বর্বর গণহত্যাও রয়েছে। সব ঘটনার পিছনে পাকযোগের প্রমাণ বার বার প্রকাশ্যে এসেছে। মূলত পাকিস্তানের সন্ত্রাসের শিকার হয়েছে নিরীহ সাধারণ মানুষ। কারণ ওদের লক্ষ্য হল আমাদের সমৃদ্ধি, অগ্রগতি এবং মনোবলের উপর আক্রমণ করা। এমন একটি দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য অপমানজনক।” সংঘাতের মাঝে সাধারণ নাগরিকদের লক্ষ্য করে শেলিং থেকে অসামরিক যাত্রিবাহী বিমানকে ঢাল হিসেবে ব্যবহারের সমস্ত কীর্তি নিরাপত্তা পরিষদের সামনে এদিন তুলে ধরে ভারত। একইসঙ্গে ভারতীয় প্রতিনিধি পার্বথানেনি হরিশ জানান, কী ভাবে বার বার সন্ত্রাসবাদীদের সমর্থন করেছে ইসলামাবাদ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা সম্প্রতি পাক উর্ধ্বতন সরকার, পুলিশ এবং সামরিক কর্মকর্তাদের বিখ্যাত জঙ্গিদের শেষকৃত্যে শ্রদ্ধা জানাতে দেখেছি।”

    বিশ্ববাসীর কাছে আর্জি

    একদিকে গোটা বিশ্বে সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল অপারেশন সিঁদুর-এর প্রয়োজনীতা, তার সাফল্য ব্যাখ্যার সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তানের শয়তানি তুলে ধরছেন তো অপর দিকে রাষ্ট্রপুঞ্জে (India at UN) ইসলামাবাদকে তুলোধনা করছে ভারত। সম্প্রতি নেদারল্যান্ডসে একটি বিদেশি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়ে পাকিস্তানের জঙ্গি-যোগ নিয়ে সরব হয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও। পাকিস্তানের শহরে দিনের আলোয় সন্ত্রাসবাদীরা ঘুরে বেড়ায়। সে দেশে সন্ত্রাসবাদীদের ঠিকানা সকলে জানেন। পাকিস্তান সরকারের অজান্তে এটা কি সম্ভব, প্রশ্ন তোলেন বিদেশমন্ত্রী। তিনি স্পষ্ট জানান, পাকিস্তানের মাটিতে জঙ্গিদের কার্যকলাপ সে দেশের সরকারের অজানা নয়। ভারতীয় সেনার ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘‘পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্র। আমি এই নিয়ে পরামর্শ দিচ্ছি না, বিবৃতি দিচ্ছি।’’ আর পাকিস্তানের প্রশাসনও যে এই বিষয়ে অবহিত, তা-ও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘ধরা যাক, আমস্টারডামের মতো শহরের মধ্যভাগে সেনাকেন্দ্র রয়েছে। সেখানে হাজার হাজার মানুষ সেনার প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। আপনার সরকার কিছুই জানে না, এটা কি বলতে পারেন? অবশ্যই নয়।’’ জয়শঙ্করের হুঁশিয়ারি, পাকিস্তান এই সন্ত্রাস হামলা বন্ধ না করলে ‘ফল ভুগতে হবে’। শুক্রবার বিদেশমন্ত্রীর সুরে সুর মিলিয়েই পাকিস্তানকে বার্তা দেন হরিশ। পাকিস্তানকে দু-মুখো সাপের সঙ্গে তুলনা করে একইসঙ্গে বিশ্বের কাছে সন্ত্রাসবাদকে সমূলে বিনষ্ট করারও আর্জি জানান তিনি।

  • Schizophrenia: ভারতে বেড়ে চলেছে সিজোফ্রেনিয়ার সমস্যা, বলছে কেন্দ্রের রিপোর্ট, সচেতনতার অভাবেই কি?

    Schizophrenia: ভারতে বেড়ে চলেছে সিজোফ্রেনিয়ার সমস্যা, বলছে কেন্দ্রের রিপোর্ট, সচেতনতার অভাবেই কি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    হঠাৎ কেউ ছায়াসঙ্গী হয়ে পিছু নিয়েছে, কিংবা সব সময়েই কেউ ক্ষতি করবে বলে ষড়যন্ত্র কষে চলেছে! এমন নানান ভয়ে শিউরে থাকেন অনেকে। বিশেষত বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের মধ্যে অনেকেই নানান কারণে উদ্বেগে থাকে। পরিবার কিংবা প্রতিবেশীদের সঙ্গে মেলামেশা করতে স্বচ্ছন্দ বোধ করে না। বরং নিজের মতো থাকতেই পছন্দ করে। অনেক সময়েই তারা নানা রকম আশঙ্কায় ভোগে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া উচিত নয়। বরং পরিবারের কেউ এমন সমস্যায় ভুগলে, তাঁর দিকে বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন। কারণ এগুলোই সিজোফ্রেনিয়ার (Schizophrenia) লক্ষণ হতে পারে।

    ভারতে বাড়ছে সমস্যা, বলছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক

    সম্প্রতি, ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে এক সমীক্ষার রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, দেশ জুড়ে সিজোফ্রেনিয়ার সমস্যা বাড়ছে। মানসিক এই রোগ নিয়ে সচেতনতাও তলানিতে। তার জেরে পরিস্থিতি সামলানো আরও কঠিন হয়ে যাচ্ছে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। বিশ্ব সিজোফ্রেনিয়া সচেতনতা দিবসে (World Schizophrenia Awareness Day) তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, এই রোগ নিয়ে আরও বেশি সচেতনতা কর্মসূচি জরুরি। যাতে সহজেই রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা সম্ভব হয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, সিজোফ্রেনিয়ার মূল সমস্যা এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতার অভাব। রোগীর অধিকাংশ সময়েই সম্পূর্ণ চিকিৎসা হয় না।‌ যার জেরেই বিপদ বাড়ে‌।

    কীভাবে রোগীকে সনাক্ত করবেন?

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতোই সিজোফ্রেনিয়া (Schizophrenia) আক্রান্ত থাকেন। ফলে, বাইরের মানুষের পক্ষে খুব আলাদা ভাবে তাদের চিহ্নিত করা কঠিন। কিন্তু পরিবারের সদস্যেরা, সব সময় একসঙ্গে থাকলে রোগ সহজেই চিহ্নিত করা যেতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, বয়ঃসন্ধিকাল থেকেই সাধারণত এই সমস্যার সূত্রপাত হয়। তবে জীবনের যেকোনও পর্বেই মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই রোগে আক্রান্ত (World Schizophrenia Awareness Day) হলে মেলামেশা বা সামাজিক যোগাযোগের চাহিদা কমে যায়। রোগী কখনোই পরিবারের সকলের সঙ্গে একসঙ্গে বসে গল্প করা কিংবা কোনও আত্মীয়ের বাড়ি যাওয়া বা প্রতিবেশীদের সঙ্গে সময় কাটানো পছন্দ করবেন না। অতিরিক্ত নির্জনতা তাঁর পছন্দ হবে। তাই কম বয়সি ছেলেমেয়েদের মধ্যে মারাত্মক একা থাকার প্রবণতা লক্ষ্য করলে, তা নিয়ে সতর্ক থাকা জরুরি বলেই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    অকারণ নানান আশঙ্কায় ভুগলে কিংবা মনগড়া ভয় (Delusion) তৈরি হলে, তা সিজোফ্রেনিয়ার (Schizophrenia) অন্যতম কারণ বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই রোগে আক্রান্ত হলে, রোগী অনেক সময়েই নানান ভয়ের কল্পনা করেন। যাকে হ্যালোসিনেশন (Hallucination) বলা হয়। তাই পরিবারের কেউ যদি সব সময় নানান আশঙ্কার কথা জানান এবং তার সঙ্গে যদি বাস্তবের বিশেষ মিল না থাকে, তাহলে সে ব্যাপারে সতর্ক হওয়া জরুরি। দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া দরকার।

    কেন বাড়ছে এই রোগ?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আধুনিক জীবনে বদলে যাচ্ছে সমাজ ব্যবস্থা। সম্পর্কের সমীকরণও বদলে যাচ্ছে। আর এর ফলেই সিজোফ্রেনিয়ার (Schizophrenia) মতো রোগের প্রকোপ বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, পরিবারের মধ্যেও সম্পর্কের সমীকরণ বদলে যাচ্ছে। অনেক সময়েই দেখা যাচ্ছে, বাবা-মায়ের সম্পর্ক স্বাস্থ্যকর নয়। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সুসম্পর্ক নেই। এগুলো ছেলেমেয়েদের মধ্যে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। মানসিক চাপ তৈরি করছে। যার জন্য সিজোফ্রেনিয়ার মতো রোগের প্রকোপ বাড়ছে।

    এর পাশাপাশি, চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সামাজিক প্রত্যাশা গত কয়েক বছরে মারাত্মক ভাবে বেড়েছে। সাফল্য কিংবা সামাজিক স্বীকৃতি নিয়ে খুব কম বয়স থেকেই মানুষের উপরে অসম্ভব চাপ তৈরি হচ্ছে। যার ফলে মানসিক স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ছে‌। সিজোফ্রেনিয়া (Schizophrenia) আক্রান্ত বৃদ্ধির এটাও অন্যতম কারণ বলেই তাঁরা মনে করছেন। তবে অনেক সময়েই বংশানুক্রমিক রোগ হিসাবেও অনেকে সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই পরিবারের কেউ এই রোগে আক্রান্ত থাকলে, জিনগত ভাবে এই রোগ পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে হচ্ছে।

    কীভাবে এই রোগের মোকাবিলা সম্ভব?

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, সচেতনতাই এই রোগ মোকাবিলার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভারতে সিজোফ্রেনিয়ার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, মানুষ এই রোগ সম্পর্কে সচেতন নন। তাই রোগীর ঠিকমতো চিকিৎসা হয় না। অনেক সময়েই আক্রান্তের এই মনগড়া উদ্বেগ অবহেলা হয়। ফলে নানান জটিলতা তৈরি হয়। আক্রান্তের আত্মহত্যার মতো ঘটনাও ঘটে। তাই চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এই রোগের উপসর্গ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা (World Schizophrenia Awareness Day) গড়ে তোলা জরুরি। পাশপাশি, রোগ চিহ্নিত হওয়ার পরে, রোগীর যাতে ঠিকমতো চিকিৎসা হয়, তা নিশ্চিত করা জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে রোগীর ঠিকমতো চিকিৎসা হয় না। চিকিৎসার মাঝপথে রোগী ওষুধ নিয়মিত খাওয়া বন্ধ করে দেন। থেরাপিও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। তাই মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, নিয়মিত যাতে আক্রান্ত ওষুধ খান, প্রয়োজনীয় থেরাপি নেন, সেটা নিশ্চিত করাই পরিবারের দায়িত্ব।

    রোগীকে কখনোই সামাজিক অনুষ্ঠান থেকে আলাদা করা যাবে না বলেই বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, বিয়ে কিংবা পুজো, যেকোনও আনন্দ অনুষ্ঠান, যেখানে সমাজের বহু মানুষের মেলামেশা করার সুযোগ থাকবে, সেখানে সিজোফ্রেনিয়া (Schizophrenia) আক্রান্তকে অবশ্যই নিয়ে যেতে হবে। পরিবারের দায়িত্ব, তাঁর সামাজিক যোগাযোগের ব্যবস্থা করে দেওয়া। এতে রোগ মোকাবিলা সহজ হবে‌।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Daily Horoscope 24 May 2025: কেনাকাটার জন্য খরচ বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 24 May 2025: কেনাকাটার জন্য খরচ বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) বুদ্ধির ভুলের জন্য ক্ষতি হতে পারে।

    ২) ব্যবসায় কর্মচারীদের সঙ্গে বিবাদ।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) মিথ্যা বদনাম থেকে সাবধান।

    ২) প্রেমে আনন্দ লাভ।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    মিথুন

    ১) দাম্পত্য কলহের সম্ভাবনা রয়েছে।

    ২) ব্যবসায় লাভের পরিমাণ বৃদ্ধির ব্যাপারে আলোচনা।

    ৩) সখপূরণ হবে।

    কর্কট

    ১) পারিবারিক ভ্রমণে বাধা পড়তে পারে।

    ২) প্রেমের ক্ষেত্রে সুখের দিন।

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না।

    সিংহ

    ১) ব্যবসায় বিবাদের যোগ থাকলেও লাভ বাড়তে পারে।

    ২) কৃষিকাজে সাফল্য পাবেন।

    ৩) গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কন্যা

    ১) ব্যবসায় অর্থাভাব ও শত্রুর দ্বারা ক্ষতির সম্ভাবনা।

    ২) স্ত্রীর কারণে প্রচুর খরচ হওয়ার সম্ভাবনা।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    তুলা

    ১) আর্থিক সুবিধা পেতে পারেন।

    ২) কোনও প্রতিবেশীর জন্য সম্মানহানি।

    ৩) পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান।

    বৃশ্চিক

    ১) সকালের দিকে কোনও দুশ্চিন্তা মাথা খারাপ করবে।

    ২) শিক্ষকদের জন্য ভালো খবর।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    ধনু

    ১) বিষয়-সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে গুরুজনের সঙ্গে মনোমালিন্য।

    ২) কোনও মহিলার জন্য আনন্দ লাভ।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    মকর

    ১) সকালের দিকে পেটের ব্যথায় কষ্ট পেতে পারেন।

    ২) কেনাকাটার জন্য খরচ বাড়তে পারে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    কুম্ভ

    ১) সম্মানহানির সম্ভাবনা রয়েছে।

    ২) কোনও কাজে সময় নষ্ট হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মীন

    ১) মা-বাবার সঙ্গে জরুরি বিষয়ে আলোচনা।

    ২) ব্যবসায় লাভের যোগ।

    ৩) ভালোই কাটবে দিনটি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Spy Satellites: মহাকাশে ভারতের ৫২টি গোয়েন্দা উপগ্রহ! ২২,৫০০ কোটি টাকার বাজেট, বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের

    Spy Satellites: মহাকাশে ভারতের ৫২টি গোয়েন্দা উপগ্রহ! ২২,৫০০ কোটি টাকার বাজেট, বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের সুরক্ষায় আসছে আরও গতি। ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের পর কেন্দ্রের মোদি সরকার দেশের গোয়েন্দা সক্ষমতা জোরদার করতে একটি বৃহৎ স্যাটেলাইট প্রকল্প (Spy Satellites) শুরু করেছে। ‘স্পেস বেসড সার্ভেইল্যান্স (SBS-3)’ নামের এই প্রকল্পটির জন্য ২২,৫০০ কোটি টাকা (প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার) বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে। ২০২৪ সালের অক্টোবরে ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি (CCS) প্রকল্পটির অনুমোদন দিয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এই কৃত্রিম উপগ্রহপুঞ্জের (Satellite Constellation) মাধ্যমে নজরদারির ক্ষেত্রে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে ভারত।

    কেন এই পদক্ষেপ

    এই প্রকল্পে সরকারকে পথ দেখাতে চলেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)। এমন ৫২টি স্যাটেলাইট (Spy Satellites)  লঞ্চ করতে চলেছে ইসরো, যারা মেঘ ভেদ করেও স্পষ্ট দেখতে পারবে। রাতের আকাশও বাধা হবে না। বর্তমান পরিস্থিতিতে পাকিস্তান সীমান্ত কড়া নজরে রাখতেই এমন পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এখন অন্তত ১০টি স্যাটেলাইট সারাক্ষণ দেশের সুরক্ষার জন্য কাজ করে চলেছে।

    নয়া প্রকল্পের হালচাল

    ‘স্পেস বেসড সার্ভেইল্যান্স (SBS-3)’ প্রকল্পের আওতায় ৫২টি গোয়েন্দা স্যাটেলাইটের একটি কনস্টিলেশন (Satellite Constellation) বা নেটওয়ার্ক তৈরি হবে। এর মধ্যে ৩১টি তৈরি করবে তিনটি বেসরকারি সংস্থা — অনন্ত টেকনোলজিস, সেন্টাম ইলেক্ট্রনিক্স, এবং আলফা ডিজাইন টেকনোলজিস, বাকি ২১টি তৈরি করবে ইসরো (ISRO)। আগে এই প্রকল্প শেষ করতে চার বছর সময় নির্ধারিত ছিল, কিন্তু এখন সেই সময়সীমা কমিয়ে ১২ থেকে ১৮ মাস করা হয়েছে। ইলন মাস্কের স্পেসএক্স (SpaceX) এই প্রকল্পে আন্তর্জাতিক সহযোগী হিসেবে যুক্ত হয়েছে। স্যাটেলাইটগুলো (Spy Satellites) ধাপে ধাপে তৈরি ও উৎক্ষেপণ করা হবে। অনন্ত টেকনোলজিসের মতো কোম্পানিগুলো নিজস্বভাবে কিছু স্যাটেলাইটের ডিজাইন ও নির্মাণ করবে, যার জন্য তারা আগেই প্রযুক্তিবিদদের আকৃষ্ট করার প্রচেষ্টা চালিয়েছে। স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য ইসরোর সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টার ব্যবহৃত হবে। উৎক্ষেপণের জন্য দুটি বিকল্প রয়েছে — ইসরোর ভারী রকেট এলভিএম৩ অথবা স্পেসএক্সের রকেট। প্রতিটি উৎক্ষেপণের আগে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অনুমোদন আবশ্যক।

    কী কাজে ব্যবহৃত হবে স্যাটেলাইটগুলি

    স্যাটেলাইটগুলি মূলত ভারতের সীমান্ত নজরদারিতে (Spy Satellites) ব্যবহার হবে, বিশেষ করে পাকিস্তানের গতিবিধি পর্যবেক্ষণের জন্য। পাশাপাশি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ — যেমন বন্যা ও ভূমিকম্পের সময় — জরুরি সহায়তা প্রদানেও এই স্যাটেলাইটগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে। একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, এই প্রকল্প ভারতের জন্য এক বিশাল অগ্রগতি। এটি শুধুমাত্র সীমান্ত নিরাপত্তা উন্নত করবে না, বরং দেশের পরিকাঠামোগত উন্নয়নেও সহায়তা করবে। একইসঙ্গে ভারতের বেসরকারি মহাকাশ সংস্থাগুলোর জন্য এটি এক সুবর্ণ সুযোগ। প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ও আন্তর্জাতিক মানের প্রকল্পে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ভারতীয় মহাকাশ খাত আরও এগিয়ে যাবে।

    সীমান্ত সতর্কতায় ছদ্ম উপগ্রহ

    এখন পাক সীমান্ত এলাকায় নজরদারি চালাতে ব্যবহৃত হয় রিস্যাট টু বি। অনুপ্রবেশকারীদের ওপর সদা সজাগ দৃষ্টি রাখে এই উপগ্রহ। দীর্ঘ দিন ধরেই জাতীয় নিরাপত্তা এবং নজরদারি বৃদ্ধির জন্য ছদ্ম-উপগ্রহ তৈরিরও চেষ্টা চালাচ্ছেন এ দেশের প্রতিরক্ষা গবেষকেরা। অবশেষে সাফল্যও পেয়েছেন তাঁরা। স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারিক এয়ারশিপের প্রথম সফল পরীক্ষা চালিয়েছে ‘ডিফেন্স রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন’ বা ডিআরডিও। বিশ্বের গুটিকতক দেশের হাতে রয়েছে এই প্রযুক্তি। সেই তালিকায় এ বার নাম উঠল ভারতের। অত্যাধুনিক এই এয়ারশিপ শত্রুর উপর নজরদারি এবং গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে ‘গেম চেঞ্জার’ হতে যাচ্ছে, বলছেন বিশ্লেষকেরা।

    অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের পিছনে ইসরোর উপগ্রহ

    ইসরোর চেয়ারম‌্যান ড. ভি নারায়ণান সম্প্রতি বলেন, “পাকিস্তান-সহ দেশের ১১ হাজার ৫০০ কিলোমিটার সীমান্ত ইসরো মনিটর করছে অনবরত (Spy Satellites) । দেশের সবাই নিরাপদ।” ত্রিস্তরীয় সেনা দেশের নিরাপত্তার মূল পাহারাদার হলে তার সহচর হয়ে ‘অপারেশন সিঁদুর’-কে যারা চূড়ান্ত সাফল‌্য এনে দিয়েছে তারা ইসরো। কারণ জঙ্গিদের ঘরে ঢুকে সাফল্যের সঙ্গে মিসাইল হানা সম্ভব হওয়ার অন‌্যতম নেপথ‌্য কারিগর ছিল দেশের এই মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। কারণ জঙ্গিদের সঠিক অবস্থান জেনে দিয়েছিল বিগত দু-তিন বছরে মহাকাশে পাঠানো তাদেরই অন্তত ১০০টি উপগ্রহ (Satellite Constellation), যার মধ্যে ৫৬টি এই মুহূর্তে ঠিক উপর থেকে দেশের কোণায় কোণায় দৃষ্টি রেখে চলেছে।

  • SwaRail: রেল আনছে ‘স্বরেল’! টিকিট বুকিং থেকে ট্রেনের তালিকা এক অ্যাপেই মিলবে সব পরিষেবা

    SwaRail: রেল আনছে ‘স্বরেল’! টিকিট বুকিং থেকে ট্রেনের তালিকা এক অ্যাপেই মিলবে সব পরিষেবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন রেলওয়ে (Indian Railways) অ্যাপ চালু করল ভারতীয় রেলওয়ে। যাত্রী পরিষেবাকে আধুনিক এবং সহজতর করে তুলতেই এই অ্যাপ চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রেল। অ্যাপের নাম দেওয়া হয়েছে স্বরেল (SwaRail App)। ভারতীয় রেলওয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আগে বেশ কিছু পরিষেবা আইআরসিটিসি রেল কানেক্ট, ইউটিএস ইত্যাদি অ্যাপে পাওয়া যেত। এবার থেকে স্বরেল অ্যাপে এই সমস্ত পরিষেবা একজায়গাতেই পাওয়া যাবে। খুব শীঘ্রই এই অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করা যাবে বলে জানিয়েছে রেল।

    স্বরেল অ্যাপের (SwaRail App)-এর গুরুত্বপূর্ণ ফিচার্স

    ১. সেন্টার ফর রেলওয়ে ইনফরমেশন সেন্টার (CRIS) এই অ্যাপ ডেভেলপ করেছে। সমস্ত ধরনের রেল যাত্রীরাই এই অ্যাপের সহায়তা পাবেন।

    ২. ট্রেনের তালিকা, সংরক্ষিত ও অসংরক্ষিত টিকিট কাটা যাবে এই অ্যাপেই। SwaRail অ্যাপের My Bookings সেকশনে গিয়ে পূর্বের ভ্রমণের ইতিহাসও দেখা যাবে।

    ৩. অ্যাপে রয়েছে একটি সিঙ্গল-অন-সিস্টেম। একসঙ্গে অজস্র ফিচার্সের সুবিধে রয়েছে অ্যাপটিতে। আইআরসিটিসির লগ ইন তথ্য দিয়ে এই অ্যাপে লগ ইন করা যাবে।

    ৪. ট্রেনের সমস্ত তথ্যই এই অ্যাপে দেওয়া হবে বলেই জানিয়েছে রেল। ট্রেন যদি দেরি করে তাহলে সেই তথ্যও মিলবে এখানে।

    ৫. ট্রেনে ওঠার সময় যাত্রীর কোচ কোনদিকে তাও দেখিয়ে দেবে এই অ্যাপ। এর ফলে যাত্রীদের অনেকটাই সুবিধে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    ৬. এর পাশাপাশি ট্রেন (Indian Railways) সফরে থাকাকালীন নির্দিষ্ট ভেন্ডরের থেকে খাবার অর্ডার করা যাবে এই অ্যাপ থেকেই।

    ৭. অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফিচার্স হিসেবে এই অ্যাপে রয়েছে রেল মদদ এর সাহায্যে রেল সফরকালীন যে কোনও অভিযোগ জানানো যাবে।

    ৮. অ্যাপে দেওয়া হয়েছে ডিজিটাল আর-ওয়ালেটের সুবিধাও। বাতিল যাত্রা, বাতিল টিকিটের রিফান্ড চাইলে এখান থেকেই মিলবে টাকা। এই ওয়ালেট দিয়ে টিকিটও বুক করা যাবে।

    ৯. জানানো হয়েছে, বিভিন্ন ভাষায় দেখা যাবে এই অ্যাপের ইন্টারফেস। ফলে ভাষাজনিত সমস্যাও দূর হবে।

  • Ramakrishna 360: ঠাকুর সহাস্যে রাখালকে ইঙ্গিত করিতেছেন, “হাতটা দেখিয়ে নে”

    Ramakrishna 360: ঠাকুর সহাস্যে রাখালকে ইঙ্গিত করিতেছেন, “হাতটা দেখিয়ে নে”

    ২২ ফেব্রুয়ারি ১৮৮৫
    জন্মোৎসবে ভক্ত সম্ভাষণে

    এইবার ভক্তরা প্রসাদ (Kathamrita) পাইতেছেন! চিঁড়ে মিষ্টান্নাদি অনেকবার না দিয়ে অনেক প্রকার প্রসাদ পাইয়া তৃপ্তি লাভ করিলেন ঠাকুর (Ramakrishna) মাস্টারমশাইকে বলিতেছেন ‘‘মুখুজ্জেদের বল নাই! সুরেন্দ্রকে বল বাউলদের খেতে বলতে।’’

    শ্রীযুক্ত বিপিন সরকার আসিয়াছেন। ভক্তেরা বলিলেন, এর নাম বিপিন সরকার। ঠাকুর উঠিয়া বসিলেন ও বিনীত ভাবে বলিলেন, এঁকে আসন দাও, আর পান দাও। তাঁহাকে বলিতেছেন আপনার সঙ্গে কথা কইতে পেলাম না অনেক ভিড়।

    কেন্দ্রকে দেখিয়ে ঠাকুর বাবুরামকে বলিলেন, ‘‘এঁকে একখানা আসন দাও।’’ নিত্য গোপাল মাটিতে বসেছিলেন, দেখিয়া ঠাকুর বলিলেন ওঁকেও একখানা আসন দাও।

    সিঁথির মহেন্দ্র কবিরাজ আসিয়াছেন। ঠাকুর (Ramakrishna) সহাস্যে রাখালকে ইঙ্গিত করিতেছেন, ‘‘হাতটা দেখিয়ে নে।’’

    শ্রীযুক্ত রামলালকে বলিতেছেন, গিরিশ ঘোষের সঙ্গে ভাগ কর, তাহলে থিয়েটার দেখতে পাবি। (হাস্য)

    নরেন্দ্র, হাজরা মহাশয়ের সঙ্গে বাহিরের বারান্দায় অনেকক্ষণ গল্প করিতেছিলেন।
    নরেন্দ্রর পিতৃ বিয়োগের পর বাড়িতে বড়ই কষ্ট হইয়াছে। এইবার নরেন্দ্র ঘরের ভিতর আসিয়া বসিলেন।

    (নরেন্দ্রর প্রতি ঠাকুরের নানা উপদেশ)

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) (নরেন্দ্রের প্রতি) তুই কি হাজরার কাছে বসে ছিলি? তুই বিদেশিনী, সে বিরহিণী! হাজরারও দেড় হাজার টাকার দরকার। (হাস্য)

    হাজরা বলে, নরেন্দ্র ষোল আনা সত্ত্বগুণ হয়েছে। একটু লালচে রজোগুণ আছে আমার বিশুদ্ধ সত্ত্ব সতের আনা। (সকলের হাস্য)

    আমি যখন বলি তুমি কেবল বিচার করো। তাই শুষ্ক। সে বলে, আমি সৌর সুধা পান করি, তাই শুষ্ক।

    আমি যখন শুদ্ধ ভক্তির কথা বলি, যখন বলি শুদ্ধ ভক্ত টাকা কড়ি ঐশ্বর্য কিছু চায় না। তখন সে বলে, তাঁর কৃপাবন্যা এলে নদী তো উপচে যাবে আবার খাল ডোবাও জলে পূর্ণ হবে (Kathamrita)।

     

     

  • National Herald Case: সোনিয়া-রাহুলের অনুরোধে তাঁদের সংস্থায় মোটা অঙ্কের অনুদান কংগ্রেস নেতাদের!

    National Herald Case: সোনিয়া-রাহুলের অনুরোধে তাঁদের সংস্থায় মোটা অঙ্কের অনুদান কংগ্রেস নেতাদের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলার তদন্ত (National Herald Case) করতে গিয়ে বিস্ফোরক তথ্য উঠে এল ইডির (ED) হাতে। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার দাবি, সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীর অনুরোধে তাঁদের সংস্থা ইয়ং ইন্ডিয়ান্সে মোটা অঙ্কের অনুদান দিয়েছেন কংগ্রেস নেতারা।

    লাখ লাখ টাকা অনুদান (National Herald Case)

    ইডির দাবি, রাহুল গান্ধীর সংস্থা ইয়ং ইন্ডিয়ান্সে গান্ধীদের অনুরোধেই লাখ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে বিভিন্ন রাজ্যের কংগ্রেস নেতারা। এই ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড নামের সংস্থাটিই বর্তমানে ন্যাশনাল হেরাল্ড চালায়। এই সংস্থার ৭৬ শতাংশ শেয়ারের মালিক রাহুল ও সোনিয়া। বাকি দুই শেয়ার হোল্ডার হলেন প্রয়াত কংগ্রেস নেতা অস্কার ফার্নান্ডেজ এবং মতিলাল ভোরা। এই সংস্থাই ২০১১ সালে ন্যাশনাল হেরাল্ড, কোয়াম-ই-আওয়াজ এবং নবজীবন – এই তিনটি সংবাদপত্র অধিগ্রহণ করে অ্যাসোসিয়েট জার্নালস লিমিটেডের কাছ থেকে। ইডির দাবি, ঘুরপথে মাত্র ৫০ লাখ টাকার বিনিময়ে অ্যাসোসিয়েট জার্নালস লিমিটেডের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হয়ে গিয়েছে গান্ধীদের পরিচালিত ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড।

    ন্যাশনাল হেরাল্ড কেলেঙ্কারি

    আদালতে ইডির অভিযোগ, সোনিয়া ও রাহুল গান্ধী ন্যাশনাল হেরাল্ড কেলেঙ্কারির মাধ্যমে ১৪২ কোটি টাকা পেয়েছিলেন। ২০২৩ সালে ন্যাশনাল হেরাল্ডের সঙ্গে সম্পর্কিত ৭৫১.৯ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়। তার আগে পর্যন্ত এই বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করেছিলেন সোনিয়া, রাহুল। ইডির দাবি, সংস্থাটি (National Herald Case) যাতে আড়ে-বহরে বেড়ে ওঠে, তা নিশ্চিত করতে রাহুল ও সোনিয়া বিভিন্ন রাজ্যের কংগ্রেস নেতাদের ওই সংস্থায় অনুদান দেওয়ার অনুরোধ জানান। গান্ধী পরিবারকে খুশি করতে বিভিন্ন রাজ্যের কংগ্রেস নেতারা লাখ লাখ টাকা অনুদান দেন। এই তালিকায় রয়েছেন কর্নাটকের বর্তমান উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার, তেলঙ্গনার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি-সহ বিভিন্ন রাজ্যের নেতা। ছোটবড় বহু কংগ্রেস নেতা গান্ধী পরিবারের ওই সংস্থায় মোটা টাকা অনুদান দেন। ২০২২ সালেও ওই সংস্থা বিপুল পরিমাণ অনুদান পেয়েছিল। ইডি (ED) এমনতর দাবি করলেও, এ ব্যাপারে অবশ্য কংগ্রেসের কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি (National Herald Case)।

  • IMF: চলতি বছরেই জাপানকে টপকে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হবে ভারত!

    IMF: চলতি বছরেই জাপানকে টপকে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হবে ভারত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নরেন্দ্র মোদির জমানায় তরতরিয়ে চড়ছে ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পারা। ব্রিটেনকে ষষ্ঠস্থানে ঠেলে দিয়ে বছর দুয়েক আগেই ভারত (India) দখল করেছিল বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির পঞ্চম স্থানটি। এই স্থানটিতে দীর্ঘদিন ধরে ছিল রাজার দেশ। ২০১৪ সালে (IMF) প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেন বিজেপির নরেন্দ্র মোদি। তার পরেই ব্রিটেনকে সরিয়ে পঞ্চম স্থানে চলে আসে মোদির ভারত। তারপরেই চতুর্থ স্থানে থাকা জাপানের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে  ভারত। আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডারের (আইএমএফ) দাবি, চলতি বছরই জাপানকে টপকে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির তালিকায় চতুর্থ স্থানে চলে আসবে ভারত।

    আইএমএফের প্রতিবেদন (IMF)

    আইএমএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামী বছর ভারতের নমিনাল জিডিপি পৌঁছবে ৪,১৮৭.০২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। এটি থাকবে জাপানের নমিনাল জিডিপি ৪,১৮৬.৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সামান্য ওপরে। আন্তর্জাতিক মুদ্রাভান্ডারের (IMF) পূর্বাভাস, ভারত আগামী দু’বছর ধরে ৬ শতাংশের ওপরে প্রবৃদ্ধি বজায় রেখে বিশ্বের প্রধান অর্থনীতিগুলির মধ্যে সব চেয়ে দ্রুতগতিতে বিকাশমান দেশ হিসেবে থাকবে। উল্টে দিকে, জাপানে ২০২৫ ও ২০২৬ – এই দুই বছরেই মাত্র ০.৬ শতাংশ হারে মন্দার প্রবৃদ্ধি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ বৈশ্বিক বাণিজ্যের মন্দা তাদের রফতানি নির্ভর অর্থনীতিতে চাপ ফেলছে। ভারতের শক্তিশালী অর্থনৈতিক গতি সম্ভবত তাকে গ্লোবাল র‌্যাঙ্কিংয়ে আরও ওপরে তুলে নিয়ে যাবে।

    বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ

    ২০২৮ সালের মধ্যে ভারতের জিডিপি ৫,৫৮৪.৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছবে বলে অনুমান করা হয়েছে, যা তাকে জার্মানিকে ছাড়িয়ে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ করে তুলবে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, বর্তমানে চতুর্থ স্থানে থাকা জার্মানি বর্তমানে চলা বাণিজ্য উত্তেজনার কারণে ইউরোপের সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্তগুলির একটি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আইএমএফের পূর্বাভাস, ২০২৫ সালে জার্মানির প্রবৃদ্ধি শূন্য থাকবে এবং ২০২৬ সালে সামান্য উন্নতি করে ০.৯ শতাংশ হবে। ২০২৮ সালের মধ্যে জার্মানির জিডিপি ৫,২৫১.৯৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছবে বলে অনুমান।

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০২৫ সালে ৩০,৫০৭.২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের আনুমানিক জিডিপি নিয়ে (IMF) বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে তার অবস্থান ধরে রাখবে। চিন থাকবে দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। তার জিডিপি অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে ১৯,২৩১.৭১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের। আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডার জানিয়েছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেহেতু বৈশ্বিক শুল্ক আরোপের এক তরঙ্গ শুরু করেছে। তাই তাদের অর্থনীতিতে মন্দার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। ২০২৫ সালে প্রবৃদ্ধির হার ১.৮ শতাংশে এবং ২০২৬ সালে ১.৭ শতাংশে নেমে আসবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে (India)।

    মন্থর প্রবৃদ্ধি!

    ইউরোজোন এলাকায়ও মন্থর প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। ২০২৫ সালে প্রবৃদ্ধি মাত্র ০.৮ শতাংশে সীমাবদ্ধ থাকবে এবং ২০২৬ সালে তা সামান্য বেড়ে ১.২ শতাংশে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ফ্রান্সের প্রবৃদ্ধি আগামী দুবছরে যথাক্রমে ০.৬ শতাংশ এবং ১ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস (IMF)। স্পেন তার অন্যান্য ইউরোপীয় অংশীদারদের চেয়ে ভালো পারফর্ম করবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০২৫ সালে তার প্রবৃদ্ধির হার হবে ২.৫ শতাংশ। তবে ২০২৬ সালে এটি হ্রাস পেয়ে ১.৮ শতাংশে নেমে আসতে পারে। একই সময়ে প্রবৃদ্ধির হার ১.১ শতাংশ এবং ১.৪ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

    আইএমএফের রিপোর্টে আর্থিক বৃদ্ধির হার 

    আইএমএফের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল ২.১ লাখ কোটি মার্কিন ডলার। চলতি বছরে তা বেড়ে হয়েছে ৪.৩ লাখ কোটি ডলার। গত ১০ বছরে জিডিপি বৃদ্ধি পেয়েছে ১০৫ শতাংশ। কিন্তু জাপানের ক্ষেত্রে তা হয়নি। বর্তমানে বিশ্বে অর্থনীতিতে পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভারত (IMF)। শীর্ষে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তারপরেই রয়েছে চিন, জার্মানি এবং জাপান। এই বৃদ্ধির হার বজায় থাকলে ২০২৫ সালেই জাপানকে পিছনে ফেলে দেবে নরেন্দ্র মোদির ভারত। শুধু তাই নয়, ২০২৭ সালে জার্মানির অর্থনীতিকে টপকে যাওয়ারও সমূহ সম্ভাবনা (India)। ডব্লিউইও-এর এপ্রিল ২০২৫ সংস্ককরণ বলছে, জানুয়ারি ২০২৫ সালের আপডেটের তুলনায় একটি নিম্নমুখী সংশোধন দেখানো হয়েছে। এটি বর্ধিত বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য উত্তেজনা ও ক্রমবর্ধমান অনিশ্চয়তার প্রভাব প্রতিফলিত করে। এদিকে, আইএমএফ বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অনেক কম হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে।

    শুল্কযুদ্ধের মধ্যে ২০২৫ সালের জন্য জাপানের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়ে দিয়েছে আইএমএফ। আন্তর্জাতিক এই সংস্থা জাপানের জন্য তার পূর্বাভাস সংশোধন করেছে। ২০২৫ সালের পূর্বাভাস জানুয়ারিতে ১.১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০.৬ শতাংশ করেছে। এই হ্রাস অর্থনৈতিক (India) কর্মদক্ষতার ওপর মার্কিন শুল্কের প্রত্যাশিত নেতিবাচক প্রভাবকে প্রতিফলিত করে (IMF)।

LinkedIn
Share