Tag: bangla news

bangla news

  • Pakistan: ফিরছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি, স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে উত্তাল পাকিস্তানের চার প্রদেশ

    Pakistan: ফিরছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি, স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে উত্তাল পাকিস্তানের চার প্রদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তীব্র আর্থিক সংকটে ভুগছে পাকিস্তান (Pakistan)। এই আবহে সেদেশে বিচ্ছিন্নতাবাদও ব্যাপকভাবে মাথাচাড়া দিয়েছে। পাকিস্তানের সেনা এবং সরকারের পক্ষে এই প্রবণতা দমন করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ছে। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশ, বালোচিস্তান, গিলগিট-বালটিস্তান, পশতুন প্রভৃতি এলাকাগুলিতে দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় বাসিন্দারা পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীনতা দাবি করছে। পাকিস্তানি সেনা তাদের ওপর নির্মম অত্য়াচার চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ। পাক সরকার এই অঞ্চলগুলিতে কোনওভাবেই উন্নয়ন করেনি বলে অভিযোগ। এই আন্দোলনগুলি পাকিস্তান সরকারকে কোণঠাসা করে ফেলেছে। পাকিস্তানজুড়ে যেভাবে বিচ্ছিন্নতাবাদ মাথাচাড়া দিচ্ছে তাতে অনেকেই ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ছায়া দেখছে। সেই সময় যেমন স্বাধীন বাংলাদেশ গঠিত হয়েছিল, পাকিস্তানের অন্দরের এমন বিচ্ছিন্নতাবাদ দেখে মনে হচ্ছে সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে।

    ভারত-পাক যুদ্ধের আবহে গতি পেয়েছে এই বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন

    ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক যে যুদ্ধ আবহে তীব্র হয়েছে এই বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন ও বিদ্রোহ। সম্প্রতি, বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি পাকিস্তান সরকার ও তার সেনার ওপরে ব্যাপক আঘাতে হেনেছে। এই আবহে তারা নিজেদের স্বাধীনতাও ঘোষণা করে দিয়েছে। বালোচিস্তান তার স্বাধীনতা ঘোষণার পরেই সিন্ধু প্রদেশ থেকে একইভাবে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন শুরু হয়ে সিন্ধ প্রদেশে। এই সময় সিন্ধু প্রদেশকে পাকিস্তান থেকে মুক্ত করার দাবি ওঠে এবং পৃথক রাষ্ট্র গঠনের জন্য বিভিন্ন সেখানকার রাজনৈতিক দলগুলি আন্দোলন শুরু করে। পাকিস্তান সরকার এই আন্দোলনগুলিকে দমন করতে হিমশিম খেয়ে যায়। অন্যদিকে, খাইবার পাখতুনখোয়া এবং উত্তর বালোচিস্তানের বেশ কিছু অংশ জুড়ে রয়েছে পশতুনদের আবাসভূমি। এই অঞ্চলগুলির বাসিন্দারা নিজেদের জন্য পশতুনস্তানের দাবি জানিয়েছে।এই প্রতিবেদনে আলোচনা করা হল পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন নিয়ে।

    স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবি বালোচিস্তানের (Pakistan)

    ভারত ও পাকিস্তানের (Pakistan News) যুদ্ধ আবহে বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি পাকিস্তান থেকে নিজেদের স্বাধীনতা ঘোষণা করে।রাষ্ট্রসংঘের কাছে তারা আবেদন জানায় তাদেরকে যেন গণতান্ত্রিক একটি দেশের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত প্রাকৃতিক ও খনিজ সম্পদে ভরপুর হল পাকিস্তানের এই প্রদেশ। দীর্ঘদিন ধরেই এই প্রদেশকে বঞ্চিত করেছে পাকিস্তান সরকার, এমনটাই অভিযোগ। বালোচিস্তান একটি স্বাধীন রাজ্য ছিল কিন্তু ১৯৪৮ সালের মার্চ মাসে জোর করে পাকিস্তান এই বালোচিস্তানকে দখল করে বলে অভিযোগ। বালোচিস্তানের শাসক ছিলেন কালাত খান। কালাত খান চাপের মুখে পড়ে এবং বালোচিস্তানের জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে পাকিস্তানে যোগদান করেন। এরপর থেকে এই পাঁচটি বড় বিদ্রোহ দেখা দেয় বালোচিস্তানে। ১৯৪৮, ১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৭৩ থেকে ৭৭, ২০০০ সালের গোড়ার দিকে ব্যাপক সংঘাত শুরু হয় পাকিস্তান ও বালোচিস্তানের মধ্যে। এই সময় বালোচিস্তানের সাধারণ নাগরিকদের ওপরে হামলা শুরু করে পাকিস্তানের (Pakistan) সেনা। অপহরণ , লুট, হত্যা এই সমস্ত কিছুই ঘটতে থাকে।

    সিন্ধু রাজ্যের পৃথক দাবি

    পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশকে, সিন্ধু দেশ নামে একটি পৃথক রাষ্ট্র গঠনের কথা বলে আসছে সেখানকার জনগণ। তাদের দীর্ঘদিনের দাবি, একটি স্বাধীন সিন্ধু রাষ্ট্রের। এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের অভিযোগ, পাকিস্তান ইসলামিক রাষ্ট্র। তারা জোর করে তাদের ওপরে উর্দু ভাষা চাপিয়ে দিয়েছে। শুধুমাত্র তাই নয়, সেখানকার জমি দখল করে সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে পাকিস্তান সরকার। তাদের স্থানীয় সংস্কৃতিকে মুছে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বছরের পর বছর ধরে। পাকিস্তানের সেনা বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেছে বলেও অভিযোগ।

    পশতুন তাহাফুজ আন্দোলন

    প্রসঙ্গত, পাঞ্জাবিদের পরে পাকিস্তানের (Pakistan) দ্বিতীয় বৃহত্তম জনগোষ্ঠী হল পশতুনরা। তারা পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যার ১৫ শতাংশ, তাদেরও নানারকম অভিযোগ রয়েছে যে পাকিস্তান তাদের ওপর বৈষম্য এবং নিপীড়ন চালিয়েছে। এই আবহে তারাও একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবি জানিয়েছে। পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের পশতুনরা ১৮৯৩ সালে যে ডুরান্ড লাইন- এর মাধ্যমে সীমা নির্ধারণ করা হয়, তার বিরোধিতা করে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে পশতুন সম্প্রদায়ের মধ্যে আন্দোলন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। এই আন্দোলনের নাম পশতুন তাহাফুজ আন্দোলন।

    গিলগিট-বালটিস্তানের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন

    একই চিত্র দেখা গিয়েছে গিলগিট-বালটিস্তানেও। সেখানেও পাকিস্তানের সেনা তথা সরকারকে প্রতিরোধের মুখে পড়তে হচ্ছে। এই গিলগিট-বালটিস্তান হল পাক অধিকৃত কাশ্মীরের অংশ। প্রাকৃতিকভাবে অত্যন্ত সৌন্দর্য এবং সমৃদ্ধশালী অঞ্চলটিকে পাকিস্তান সরকার দীর্ঘদিন ধরেই অনুন্নত রেখেছে। উত্তরে রয়েছে আফগানিস্তানের সীমা, উত্তর-পশ্চিমে চীনের সীমা, পূর্বে রয়েছে লাদাখ এবং দক্ষিণ দিকটি কাশ্মীর দ্বারা বেষ্টিত। পাকিস্তান সরকারের দীর্ঘ অবহেলার কারণে এই অঞ্চলের মানুষজন পাকিস্তান (Pakistan News) সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন। এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষের জমি জোর করে দখল করার অভিযোগ উঠেছে পাক সেনার বিরুদ্ধে।

  • India Turkey Relation: ভারত-বিরোধী অবস্থানের খেসারত দিচ্ছে তুরস্ক! ৭৭০ কোটি টাকার লোকসান

    India Turkey Relation: ভারত-বিরোধী অবস্থানের খেসারত দিচ্ছে তুরস্ক! ৭৭০ কোটি টাকার লোকসান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একবার নয়, বিপদের সময় বার-বার তুরস্কের (India Turkey Relation) জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। বন্ধু ভেবে বিপর্যয় মোকাবিলা, মেডিক্যাল (Medical) ছাড়াও দিয়েছে আর্থিক সাহায্য (Finance)। অথচ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সেই ভারতেরই ক্ষতি চাইল তুরস্ক (Turkey)। তাই তুরস্ক বয়কটের ডাক দিল ভারত। তাতেই মাথায় হাত তুরস্ক প্রধান এর্দোগানের। পাকিস্তানকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে যাওয়ার খেসারত দিতে হল তুরস্ককে। ক্ষতির মুখে পড়ল তুরস্কের অর্থনীতি। একই সঙ্গ পাকিস্তানের সেই ‘বন্ধু’কেই এবার কড়া বার্তা দিল বিদেশ মন্ত্রকও। বলা হল, তুরস্ক পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া বন্ধ করতে বলবে, এই আশা রাখে নয়াদিল্লি। একই সঙ্গে ভারতের বিমানবন্দরগুলিতে তুরস্কের সংস্থা সেলেবির অনুমতি বাতিল নিয়েও অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।

    বিদেশমন্ত্রকের বার্তা

    পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনার এক মাসের মাথায় বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জয়সওয়াল বলেন, ‘‘আমাদের আশা, তুরস্ক পাকিস্তানকে অনুরোধ করবে তারা যেন সীমান্তে সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করা এবং মদত দেওয়া বন্ধ করে। যে সন্ত্রাসবাদের রাজত্ব গড়ে উঠেছে গত কয়েক দশক ধরে, তার বিরুদ্ধে যেন পাকিস্তানকে পদক্ষেপ করতে বলে তুরস্ক, এটাই আমাদের আশা।’’ যে কোনও সম্পর্ক গড়ে ওঠে একে অপরের সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে, তুরস্কের প্রসঙ্গে এ কথাও জানান জয়সওয়াল। রণধীর বলেন, “প্রত্যেকের স্পর্শকাতর বিষয় এবং উদ্বেগের বিষয়গুলি উপলব্ধি করার মাধ্যমেই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়।” বিশ্লেষকদের মতে, এইভাবে আঙ্কারাকে বিদেশমন্ত্রকের তরফে বার্তা দেওয়া হল।

    সেলেবির অনুমতি বাতিল

    তুরস্ক নিয়ে ভারতের অবস্থান কী, সেলেবি নিয়েই বা কেন্দ্রীয় সরকার কী ভাবছে, এদিন জানতে চাওয়া হলে রণধীর বলেন, ‘‘সেলেবির ‘সুরক্ষা ছাড়পত্র’ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল অসামরিক বিমান পরিবহণ কর্তৃপক্ষ। ভারতে অবস্থিত তুরস্কের দূতাবাসের সঙ্গে এ বিষয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে।’’ উল্লেখ্য, দিল্লি হাইকোর্টে এই মামলায় সেলেবি কর্তৃপক্ষ দাবি করেছেন, তাঁরা গত ১৭ বছর ধরে ভারতে পরিষেবা দিচ্ছেন। কখনও তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ ওঠেনি। কোনও সমস্যা দেখা দিলে আলোচনার মাধ্যমে তার সমাধান সম্ভব। কেন্দ্রের তরফে আদালতে জানানো হয়, জাতীয় নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই সেলেবির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, মুম্বই, নয়াদিল্লি, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, আমেদাবাদ-সহ দেশের ৯টি বিমানবন্দরে একাধিক উড়ান সংস্থার হয়ে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং-এর একাধিক কাজ করার ভার ছিল সেলেবি-র উপর।

    কেন এই অবস্থান

    ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সময়ে প্রকাশ্যেই পাকিস্তানকে সমর্থন এবং অস্ত্র–সরবরাহ করার অভিযোগ উঠেছিল তুরস্কের বিরুদ্ধে। পাকিস্তানকে অন্তত ৪০০টি ড্রোনও দিয়েছিল তুরস্ক বলে জানা গিয়েছে। ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের হামলার সময়ে সেই ড্রোন ব্যবহার করাও হয়। এর পরেই তুরস্কের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে ভারত। তাদের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করা হয়েছে। এর সঙ্গেই তুরস্কের সঙ্গে থাকা বিভিন্ন চুক্তি বাতিল করার কথা জানিয়েছে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ বার তুরস্ককে কড়া বার্তা দিল ভারত।

    ৭৭০ কোটি টাকা ক্ষতির মুখে তুরস্ক

    সবচেয়ে বেশি ধাক্কা এসেছে তুরস্কের দ্রুত প্রসারমান ‘ডেস্টিনেশন ওয়েডিং’ ইন্ডাস্ট্রিতে। গত কয়েক বছর ধরে ধনী ও প্রভাবশালী ভারতীয়দের বিয়ের জন্য পছন্দের জায়গা ছিল তুরস্ক। তবে সম্প্রতি ভারতীয় পরিবারগুলোর এক বড় অংশ তাদের বিয়ের আয়োজন তুরস্কে না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে আনুমানিক ৭৭০ কোটি টাকার ক্ষতি হতে চলেছে বলে জানিয়েছে এই ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত এক কর্তা। ২০২৪ সালে তুরস্কে প্রায় ৫০টি ভারতীয় অভিজাত পরিবারের বিয়ে হয়। যেগুলোর প্রতিটির বাজেট ছিল ২৫ কোটি থেকে ৬৬ কোটি টাকার মধ্যে। শুধু হোটেল নয়, এই বিয়েগুলো স্থানীয় ফুলের দোকান, ক্যাটারিং, সজ্জা, ট্রাভেল এজেন্ট থেকে শুরু করে সঙ্গীত শিল্পীদেরও কাজ দিত। ভারতীয় ওয়েডিং মার্কেট তুরস্কের ব্যবসার আয়ের অন্যতম উৎসে পরিণত হয়েছিল।

    তুরস্কের পর্যটন খাতে নেতিবাচক প্রভাব

    পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ২০২৫ সালে তুরস্কে নির্ধারিত ৫০টি বিয়ের মধ্যে ৩০টির বুকিং ইতোমধ্যেই বাতিল হয়ে গিয়েছে বা স্থগিত হয়েছে। ভারতীয় পরিবারগুলোর বার্তা স্পষ্ট, যারা দেশের বিরোধিতা করবে, তাদের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নয়। এর ফলে রাজস্থান, গোয়া, কেরল, উদয়পুরের মতো জায়গায় বিয়ের জন্য আগ্রহ বাড়ছে। এতে করে দেশের পর্যটন খাতও চাঙ্গা হচ্ছে, এবং কূটনৈতিক অর্থনৈতিক বার্তা স্পষ্ট হচ্ছে। তথ্য অনুযায়ী, ভারতীয় ওয়েডিং ট্যুরিজম থেকে প্রতি বছর তুরস্কে প্রায় ১,১৭০ কোটি টাকা আয় হত। এই বিপুল রাজস্ব এখন ঝুঁকির মুখে। পাকিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্ব তুরস্কের পর্যটন খাতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। সম্প্রতি ৭০ শতাংশ ভারতীয় তুরস্কে ঘুরতে যাওয়া বাতিল করেছে ৷ বিশ্লেষকদের মতে, এর্দোগান সরকারের কূটনৈতিক কৌশলের এটি বড় ধরনের ব্যর্থতা।

  • Typhoid: ভরা গ্রীষ্মে রাজ্যে টাইফয়েডের দাপট! উপসর্গ কী? কীভাবে করবেন রোগ প্রতিরোধ?

    Typhoid: ভরা গ্রীষ্মে রাজ্যে টাইফয়েডের দাপট! উপসর্গ কী? কীভাবে করবেন রোগ প্রতিরোধ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    গরমে নাজেহাল বঙ্গবাসী। মাঝেমধ্যে স্বস্তির বৃষ্টি হলেও তা ক্ষণিকের। আর আবহাওয়ার এই রকম ফেরে বাড়ছে নানান স্বাস্থ্য সমস্যা। সাধারণ জ্বর-সর্দি-কাশি লেগেই আছে। তার সঙ্গে দাপট বাড়াচ্ছে টাইফয়েড (Typhoid)। রাজ্য জুড়ে টাইফয়েড আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রতি বছর বর্ষায় কমবেশি টাইফয়েড আক্রান্ত দেখা যায়। কিন্তু এ বছর ভরা গরমেই বাড়ছে টাইফয়েড আক্রান্তের সংখ্যা। ফলে, বাড়তি সতর্কতা (Expert Health Tips) জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    গরমে কেন বাড়ছে টাইফয়েড (Typhoid) আক্রান্তের সংখ্যা?

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, টাইফয়েড জলবাহিত রোগ। মূলত দূষিত জল থেকেই এই রোগ ছড়ায়। এবছরেও টাইফয়েডের দাপট বাড়ার অন্যতম কারণ জল। চিকিৎসকদের একাংশের মতে, গরমে সাময়িক আরামের জন্য অনেকেই নানান রঙিন সরবত নিয়মিত খান। আর সেখান থেকেই বিপদ বাড়ে‌। অপরিশ্রুত জল থেকে সহজেই এই ব্যাক্টেরিয়া মানুষের শরীরে সংক্রমণ ছড়ায়। তারপরে আক্রান্ত ব্যক্তির মল থেকে তা আশপাশের অনেকের শরীরে বাসা বাঁধে।

    জলের পাশাপাশি খাবার থেকেও এই রোগ ছড়াতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই রাস্তার অপরিচ্ছন্ন কাটা ফলের স্যালাড খান। এগুলো অনেক সময়েই স্বাস্থ্যবিধি মেনে তৈরি হয় না। ফলে নানান ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি হয়। তাই সেখান থেকেও টাইফয়েডের (Typhoid) মতো রোগ ছাড়তে পারে। নিয়মিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে, অর্থাৎ হাত পরিষ্কার রাখা, পরিষ্কার শৌচালয় ব্যবহারের মতো অভ্যাস না থাকলেও যথেষ্ট বিপদ বাড়ে। টাইফয়েডের মতো রোগের সংক্রমণ বাড়ে।

    কোন উপসর্গ দেখলে বাড়তি সতর্কতা দরকার?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, টাইফয়েড আক্রান্তের প্রথম পর্বেই ঠিকমতো চিকিৎসা শুরু করলে বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব (Expert Health Tips)। তাই এই রোগের উপসর্গ সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, টাইফয়েড আক্রান্ত হলে শরীরের তাপমাত্রা মারাত্মক বেড়ে যাবে। অর্থাৎ রোগীর হাই-ফিভার থাকবে। তার সঙ্গে মারাত্মক পেটে ব্যথা অনুভব হবে। ক্লান্তি বোধ হবে। কোনও কাজেই এনার্জি পাওয়া যাবে না।‌ মানসিক ভাবেও একধরনের আচ্ছন্নতা বোধ হবে। অনেক সময়েই বারবার বমি হতে পারে। তাই চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই ধরনের উপসর্গ দেখা গেলে দেরি করা উচিত নয়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মতো নির্দিষ্ট শারীরিক পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় জরুরি।

    টাইফয়েড রুখতে কী কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, টাইফয়েডের (Typhoid) মতো রোগের দাপট রুখতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত শৌচালয় পরিষ্কার করা জরুরি। গরমের এই আবহাওয়ায় নানান ব্যাক্টেরিয়া ও ভাইরাস সক্রিয় হয়। তাই শৌচালয় থেকে নানান সংক্রমণের ঝুঁকিও তৈরি হয়। শৌচালয়ের পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ নজরদারি প্রয়োজন। বাইরে শৌচালয় ব্যবহারের ক্ষেত্রেও পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দেওয়া দরকার। শৌচালয় ব্যবহারের পরে ভালোভাবে হাত ও মুখ ধোয়া জরুরি বলেও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
    পাশপাশি খাবারের দিকে যত্ন নেওয়া দরকার বলেই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, টাইফয়েডের (Typhoid) মতো রোগের সংক্রমণ খাবার থেকেই হয়। ভালোভাবে রান্না করা খাবার খাওয়া উচিত। তাঁরা জানাচ্ছেন, কাঁচা সব্জি বা ফলের স্যালাড এড়িয়ে চলা দরকার। কম তেলমশলায় তৈরি ভালোভাবে সেদ্ধ করা খাবার খেলে হজমের ঝুঁকি কমে। আবার নানান ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকিও কমে।
    জল খাওয়ার ক্ষেত্রে সচেতনতা জরুরি। পরিশ্রুত জল খাওয়া দরকার। পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খাওয়া উচিত। তবেই শরীর সুস্থ থাকবে। গরম থেকে বাঁচতে ডাবের জল খাওয়ার পরামর্শ (Expert Health Tips) দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তবে রঙিন ঠান্ডা পানীয় একেবারেই খাওয়া উচিত নয় বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Daily Horoscope 23 May 2025: বিবাদে জড়াবেন না এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 23 May 2025: বিবাদে জড়াবেন না এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

     

     

    মেষ

    ১) প্রতিবেশীদের সঙ্গে খুব বুদ্ধি নিয়ে চলতে হবে।

    ২) ঋণের পরিমাণ বাড়তে পারে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    বৃষ

    ১) কোনও আধ্যাত্মিক কাজে যোগ দিতে হতে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে কেউ আপনাকে ঠকাতে পারে।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    মিথুন

    ১) অতিরিক্ত ক্রোধের জন্য হাতে আসা কাজ পণ্ড হতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার পরিকল্পনা সফল হবে।

    ৩) সখপূরণ হবে।

    কর্কট

    ১) প্রেমের বিষয়ে খুব ভেবেচিন্তে এগোনো উচিত।

    ২) শেয়ার বাজারে লাভ দেখা যাচ্ছে, তবে খুব চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন।

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না।

    সিংহ

    ১) স্ত্রীর জন্য বিশেষ কাজের সুযোগ পাবেন।

    ২) কোনও দুঃস্থ ব্যক্তির পাশে দাঁড়াতে হতে পারে।

    ৩) গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কন্যা

    ১) মাতৃস্থানীয়া কারও সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে।

    ২) সঙ্গীতচর্চায় নতুন রাস্তা খুলতে পারে।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    তুলা

    ১) কোনও ভালো জিনিস নষ্ট হওয়ার যোগ।

    ২) বন্ধুদের দিক থেকে ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান।

    বৃশ্চিক

    ১) অভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শে আইনি সুরক্ষা পেতে পারেন।

    ২) প্রতিযোগিতামূলক কাজে জয়ের আশা রাখতে পারেন।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    ধনু

    ১) ধর্মবিষয়ক আলোচনায় সুনাম বৃদ্ধি পাবে।

    ২) মাত্রাছাড়া আবেগ আপনার ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    মকর

    ১) কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন নিয়ে সমস্যা হতে পারে।

    ২) চিকিৎসার ব্যাপারে বহু অর্থ ব্যয় হতে পারে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    কুম্ভ

    ১) সকলের সঙ্গে কথা খুব বুঝে বলবেন।

    ২) সন্তানদের নিয়ে সংসারে কলহ সৃষ্টি হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মীন

    ১) ছাত্রছাত্রীরা বহুমুখী প্রতিভা দেখানোর সুযোগ পাবেন।

    ২) নিঃসঙ্গতা আপনাকে তাড়িয়ে বেড়াবে।

    ৩) ভালোই কাটবে দিনটি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • HAPS Pseudo Satellites: আকাশসীমা প্রতিরক্ষায় বায়ুসেনার হাতে আসছে ‘ছদ্ম উপগ্রহ’! কীভাবে কাজ করে এই সিস্টেম?

    HAPS Pseudo Satellites: আকাশসীমা প্রতিরক্ষায় বায়ুসেনার হাতে আসছে ‘ছদ্ম উপগ্রহ’! কীভাবে কাজ করে এই সিস্টেম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আধুনিক যুদ্ধকৌশলে সামরিক যোগাযোগ ও নজরদারি ব্যবস্থা কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তা ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ (Operation Sindoor) প্রত্যক্ষ করেছে বিশ্ববাসী। ফলে, পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের আবহে এবং ভবিষ্যৎ যুদ্ধের কথা মাথায় রেখে এই দুই ক্ষেত্রকে আরও শক্তিশালী, আরও মজবুত, আরও আধুনিক করতে এবার নতুন ঘরানার সামরিক উপগ্রহ মোতায়েন করতে চলেছে ভারত।

    ভবিষ্যতের প্রস্তুতি শুরু…

    জানা যাচ্ছে, এর ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে আসতে চলেছে এক বিশেষ ধরনের ‘সিউডো স্যাটেলাইট’ বা ছদ্ম উপগ্রহ (HAPS Pseudo Satellites)। নজরদারি চালানোর পাশাপাশি এই বিশেষ উপগ্রহগুলির কাজ হবে যুদ্ধবিমান ও গ্রাউন্ড স্টেশনগুলির মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন ও তথ্য বিনিময় করা। এর পাশাপাশি, দেশের আকাশসীমার নিরাপত্তাকে আরও বলিষ্ঠ করতে বায়ুসেনার হাতে আসতে চলেছে ভেরি শর্ট এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের (VSHORADS) ৪৮টি লঞ্চার। এরই অংশ হিসেবে সেনা কিনতে চলেছে ৮৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ৪৫টি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন নাইট-ভিশন ডিভাইস। ভারত-পাক তীব্র সংঘাতের আবহে এই সরঞ্জামগুলি কেনার সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ হলেও, বর্তমান সামরিক প্রস্তুতির অঙ্গ হিসেবে এগুলির অন্তর্ভুক্তি সম্ভব নয় বলে মনে করছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল। কারণ, বাহিনীর হাতে এগুলি আসতে আরও কয়েকমাস লেগে যাবে। ফলে, ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখেই এগুলিকে কেনা হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    সৌরশক্তিচালিত ছদ্ম উপগ্রহ

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এই বিশেষ ধরনের ছদ্ম উপগ্রহগুলির খোঁজ চালাচ্ছে, যাদেরকে পরিভাষায় হাই-অলটিচিউড প্ল্যাটফর্ম সিস্টেম (হাপ্স) বলা হচ্ছে। এই সিস্টেমগুলি (HAPS Pseudo Satellites) দীর্ঘসময় ধরে নজরদারি চালাতে সক্ষম ইউএভি বা ড্রোন হিসাবে কাজ করে এবং সৌরশক্তিচালিত হওয়ায় এতে জ্বালানি ভরার প্রয়োজন হয় না। প্রচলিত সৌর প্যানেলের জায়গায় এই ছদ্ম-উপগ্রহ বা ড্রোনগুলিতে ব্যবহৃত প্যানেলগুলি অত্যন্ত পাতলা সৌর ফিল্ম দিয়ে তৈরি। সাধারণ ড্রোনের তুলনায় অধিক অথচ লো-আর্থ অরবিটে মোতায়েন কৃত্রিম উপগ্রহের তুলনায় কম উচ্চতায় কাজ করে এই হাপ্স ড্রোনগুলি। সৌরচালিত হওয়ায় টানা বহু মাস ধরে আকাশে চক্কর কাটতে সক্ষম হাপ্স। ফলে, প্রায় মহাকাশ থেকে নজরদারি চালাতে পারে এই সিস্টেম। যে কারণে একে সিউডো-স্যাটেলাইট (HAPS Pseudo Satellites) বলা হয়ে থাকে।

    ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এ জোর

    বায়ুসেনার জন্য এরকম তিনটি প্ল্যাটফর্ম কেনার জন্য রিকোয়েস্ট ফর ইনফরমেশন (আরএফআই) জারি করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। যা টেন্ডার প্রক্রিয়ার একটি ধাপ। কেবলমাত্র দেশীয় সংস্থাগুলি থেকেই তথ্য চাওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, এক্ষেত্রেও ‘আত্মনির্ভর ভারত’-কে তুলে ধরতে চেয়েছে মোদি সরকার। দেশীয় প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের গুণমান কতটা ভালো, তা ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ (Operation Sindoor) প্রমাণিত। ফলে, ফের একবার, দেশীয় প্রযুক্তি ও সরঞ্জামেই আস্থা রাখছে কেন্দ্র। আরএফআই-তে বলা হয়েছে— প্ল্যাটফর্মগুলিতে একদিকে যেমন নিরন্তর গোয়েন্দা তথ্য, নজরদারি ও পর্যবেক্ষণ (সামরিক পরিভাষায় ISR) করা এবং অন্য ড্রোনগুলির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের ক্ষমতা থাকবে। অন্যদিকে, শত্রুযানের সিগন্যালও জ্যাম করার সক্ষমতা থাকতে হবে এই সিস্টেমগুলিতে (HAPS Pseudo Satellites)।

    ১৬ কিমি উচ্চতায় মোতায়েন!

    প্রতিরক্ষামন্ত্রকের আরএফআই-তে বেঁধে দেওয়া শর্ত অনুযায়ী, ১৬ কিমি উচ্চতাতেও সমানভাবে কাজ করার ক্ষমতা থাকতে হবে সিস্টেমগুলিতে। এখানে উল্লেখ্য, পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা ৮৮৪৯ মিটার। দূরপাল্লার আন্তর্জাতিক যাত্রী বিমানগুলি সাধারণত ১০ হাজার মিটার বা ১০ কিমি উচ্চতা দিয়ে যাতায়াত করে। শর্ত অনুযায়ী, হাপ্স সিস্টেমগুলিতে (HAPS Pseudo Satellites) উন্নতমানের যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকতে হবে। লাইন-অফ-সাইট-এর সাপেক্ষে ন্যূনতম ১৫০ কিমি এবং স্যাটেলাইটের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৪০০ কিমি দূরত্বে যোগাযোগ স্থাপনে সক্ষমতা থাকতে হবে এই সিস্টেমে।

    বাকেট-লিস্টে ভিশোরাড…

    হাপ্স সিস্টেমের পাশাপাশি, নতুন প্রজন্মের অতি স্বল্প পাল্লার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম (VSHORADS) কেনার বিষয়েও রিকোয়েস্ট ফর প্রোপোজাল (আরএফপি) আহ্বান করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এগুলি হল ম্যান-পোর্টবেল বা কাঁধে বসিয়ে নিক্ষেপযোগ্য বিমান-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র। মূলত, রেডার সীমার নীচ দিয়ে আকাশপথে হামলা চালানো শত্রুপক্ষের হেলিকপ্টার বা বিমান বা ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্রের মতো যে কোনও উড়ুক্কু যানকে ধ্বংস করার ক্ষমতা থাকবে এই ভিশোরাড-এর। এই সিস্টেমগুলি হবে বহুস্তরীয় এয়ার ডিফেন্সের সবচেয়ে অভ্যন্তরীণ বর্ম। বর্তমানে, রুশ-নির্মিত ইগলা-পি ও আরও উন্নত ইগলা-এস ম্যানপ্যাড ব্যবহার করে ভারত। এবার ভারত দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই সিস্টেম কিনতে চাইছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রকের শর্ত, এগুলির পাল্লা হতে হবে ৬ হাজার মিটার এবং এগুলিকে দিনে ও রাতে সমান কার্যকর হতে হবে।

  • Ramakrishna 359: “গৌর নিতাই তোমরা দুভাই, পরম দয়াল হে প্রভু! আমি তাই শুনে এসেছি হে নাথ”

    Ramakrishna 359: “গৌর নিতাই তোমরা দুভাই, পরম দয়াল হে প্রভু! আমি তাই শুনে এসেছি হে নাথ”

    দক্ষিণেশ্বরে শ্রীরামকৃষ্ণের জন্মমহোৎসব ১৮৮৫ খ্রীঃ

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ২২শে ফেব্রুয়ারি
    নরেন্দ্রাদি ভক্তসঙ্গে কীর্তনানন্দে

    নরেন্দ্র যাই গাইলেন, ‘সমাধিমন্দিরে মা কে তুমি গো একা বসি!’ অমনি ঠাকুর বাহ্যশূন্য, সমাধিস্থ। অনেকক্ষণ পরে সমাধিভঙ্গের পর ভক্তেরা ঠাকুরকে (Ramakrishna)  আহারের জন্য আসনে বসাইলেন (Kathamrita)। এখনও ভাবের আবেশ রহিয়াছে। ভাত খাইতেছেন কিন্তু দুই হাতে। ভবনাথকে বলিতেছেন, “তুই দে খাইয়ে।” ভাবের আবেশ রহিয়াছে তাই নিজে খাইতে পারিতেছেন না। ভবনাথ তাঁহাকে খাওয়াইয়া দিতেছেন।

    ঠাকুর (Ramakrishna) সামান্য আহার করিলেন। আহারান্তে রাম বলিতেছেন, ‘নিত্যগোপাল পাতে খাবে।’

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) —পাতে? পাতে কেন?

    রাম—তা আর আপনি বলছেন! আপনার পাতে খাবে না?

    নিত্যগোপালকে ভাবাবিষ্ট দেখিয়া ঠাকুর তাহাকে দু-একগ্রাস খাওয়াইয়া (Kathamrita) দিলেন।

    কোন্নগরের ভক্তগণ নৌকা করিয়া এইবার আসিয়াছেন। তাঁহারা কীর্তন করিতে করিতে ঠাকুরের ঘরে প্রবেশ করিলেন। কীর্তনান্তে তাঁহারা জলযোগ করিতে বাহিরে গেলেন। নরোত্তম কীর্তনিয়া ঠাকুরের ঘরে বসিয়া আছেন। ঠাকুর (Ramakrishna) নরোত্তম প্রভৃতিকে বলিতেছেন(Kathamrita), “এদের যেন ডোঙ্গা-ঠেলা গান। এমন গান হবে যে সকলে নাচবে!

    “এই সব গান গাইতে হয়:

    নদে টলমল টলমল করে,
    গৌর প্রেমের হিল্লোলে রে।

    (নরোত্তমের প্রতি)—“ওর সঙ্গে এইটা বলতে হয়—

    যাদের হরি বলতে নয়ন ঝরে, তারা, দুভাই এসেছে রে ৷
    যারা মার খেয়ে প্রেম যাচে, তারা, দুভাই এসেছে রে ৷
    যারা আপনি কেঁদে জগৎ কাঁদায়, তারা, দুভাই এসেছে রে ॥
    যারা আপনি মেতে জগৎ মাতায়, তারা, দুভাই এসেছে রে ৷
    যারা আচণ্ডালে কোল দেয়, তারা দুভাই এসেছে রে ॥

    “আর এটাও গাইতে হয়:

    গৌর নিতাই তোমরা দুভাই, পরম দয়াল হে প্রভু!
    আমি তাই শুনে এসেছি হে নাথ;
    তোমরা নাকি আচণ্ডালে দাও কোল,
    কোল দিয়ে বল হরিবোল।”

  • India Pakistan Conflict: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর ৫০ জঙ্গিকে জম্মু-কাশ্মীরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে পাকিস্তান! রুখে দেয় বিএসএফ

    India Pakistan Conflict: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর ৫০ জঙ্গিকে জম্মু-কাশ্মীরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে পাকিস্তান! রুখে দেয় বিএসএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর পরই ভারতে ৫০ জন জঙ্গিকে অনুপ্রবেশ করানোর চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর কাছে এমনই দাবি করেছেন বিএসএফের এক আধিকারিক। প্রতিদিনই সীমান্তে জঙ্গি অনুপ্রবেশ করানোর চেষ্টা করে পাকিস্তান। সীমান্তে গোলাগুলি চালানো আর ভারতীয় ভূখণ্ডে জঙ্গি প্রবেশ করানো পাকিস্তানের অভ্যেস। সেই মতোই ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর পরই জম্মু-কাশ্মীরের সাম্বা সেক্টর দিয়ে ভারতে জঙ্গি ঢোকানোর চেষ্টা করে আইএসআই। যদিও জঙ্গি অনুপ্রবেশের সেই চেষ্টা ভেস্তে দিয়েছে বিএসএফ।

    কীভাবে হয়েছিল অনুপ্রবেশের চেষ্টা

    বিএসএফের ডিআইজি এসএস মাঁদ সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, গোয়েন্দা সূত্রে তাঁদের কাছে খবর এসেছিল, আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে ৪০-৫০ জন জঙ্গির একটি দল অনুপ্রবেশের চেষ্টা করতে পারে। গত ৮ মে সীমান্তে সন্দেহজনক ভাবে বেশ কয়েক জন ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল। তার সঙ্গে সীমান্তের ও পারে পাকিস্তান থেকে ক্রমাগত গোলাগুলি চলছিল। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে জঙ্গিরা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। কিন্তু জওয়ানরা জঙ্গিদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়, বোমাবর্ষণ করে। পাল্টা হামলার মুখে পড়ে জঙ্গিরা পালাতে শুরু করে।

    দ্বিমুখী লড়াইয়ের ছক ছিল পাকিস্তানের

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হামলার জবাব দিতে গত ৭ মে পাকিস্তানের মাটিতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান চালায় ভারত। তার ঠিক পর দিন অর্থাৎ ৮ মে সাম্বা সেক্টর দিয়ে ৪০-৫০ জন জঙ্গিকে ভারতে ঢোকানোর চেষ্টা করে পাকিস্তান। ডিআইজি আরও জানিয়েছেন, দু’দেশের মধ্যে সামরিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে পাকিস্তান জঙ্গি অনুপ্রবেশ করিয়ে বড় নাশকতার চেষ্টা করেছিল, তা বানচাল করে দিয়েছে বিএসএফ। সাম্বায় অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় নিকেশ করা হয় ৭ জঙ্গিকে। পহেলগাঁও কাণ্ডের পর পাকিস্তানের মাটিতে প্রত্যাঘাত করে ভারত। তার পর জম্মু-কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন এলাকায় সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে ক্রমাগত গোলাগুলি চালাতে থাকে পাকিস্তান। ভারতের বিরুদ্ধে দ্বিমুখী লড়াইয়ের ছক ছিল পাকিস্তানের (India-Pakistan)। একদিকে হাতিয়ার সেনা, অন্যদিকে দোসর জঙ্গিরা। তবে বিএসএফ সেই চেষ্টায় জল ঢেলে দেয়।

  • India Pakistan Conflicts: পহেলগাঁওয়ে হামলার নেপথ্যে আসিম মুনিরের ‘চরমপন্থী ধর্মনীতি’! বিস্ফোরক বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর

    India Pakistan Conflicts: পহেলগাঁওয়ে হামলার নেপথ্যে আসিম মুনিরের ‘চরমপন্থী ধর্মনীতি’! বিস্ফোরক বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার জন্য পাক সেনাপ্রধান (India Pakistan Conflicts) আসিম মুনিরের ‘চরমপন্থী ধর্মনীতি’ই দায়ী। বৃহস্পতিবার এমনই দাবি করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। নেদারল্যান্ডসের সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে পাক সেনাপ্রধানের সমালোচনায় জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘আসিম মুনিরের চরমপন্থী ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গিই জঙ্গিদের পহেলগাঁও হামলায় আরও বেশি করে উস্কে দিয়েছে৷’’ এখানেই শেষ নয়, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে যে জঙ্গি হামলা হয়েছে, তাকে ‘বর্বরোচিত কাজ’ হিসাবে উল্লেখ করেছেন বিদেশমন্ত্রী৷ জানিয়েছেন, উপত্যকায় পর্যটন শিল্পে ধাক্কা দিতে এবং ধর্মীয় বিভেদ ছড়াতেই এই হামলা চালানো হয়েছে৷

    ধর্মীয় বিভেদ উস্কে দিয়েছিলেন মুনির

    এদিন জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, ‘‘পহেলগাঁওয়ে বর্বরোচিত ওই হামলার লক্ষ্যই ছিল কাশ্মীরের পর্যটন শিল্পকে পঙ্গু করে দেওয়া এবং ধর্মীয় বিভেদ উস্কে দেওয়া। ধর্ম দেখে বেছে বেছে ২৬ জনকে তাঁদের পরিবারের সামনেই হত্যা করা হয়েছিল। এটি এমন ভাবে করা হয়েছিল যাতে পর্যটন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা কাশ্মীরের অর্থনীতির মূলভিত্তি।’’ উল্লেখ্য, পহেলগাঁও হামলার কয়েক দিন আগেই মুনির দ্বিজাতি তত্ত্বের প্রসঙ্গ তুলে ধর্মীয় বিভেদ ‘উস্কে’ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। কথাপ্রসঙ্গে এসেছিল কাশ্মীর সমস্যার বিষয়টিও। সেই প্রসঙ্গ টেনেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘‘বিষয়টা বুঝতে হলে আপনাকে পাকিস্তানের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখতে হবে, বিশেষ করে তাদের সেনাপ্রধানের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। আসিম মুনিরের দৃষ্টিভঙ্গি চরম ধর্মীয়। পহেলগাঁওয়ে যে ভাবে আক্রমণ করা হয়েছিল, তার সঙ্গে এ হেন মতাদর্শের স্পষ্টতই যোগসূত্র রয়েছে।’’

    মুনিরের মন্তব্যের পরই হামলা টিআরএফ-এর

    পহেলগাঁও হামলার এক সপ্তাহেরও কম সময় আগে, ১৬ এপ্রিল, পাক সেনাপ্রধান জেনারেল মুনির কাশ্মীর ইস্যুতে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছিলেন৷ বলেছিলেন, ‘‘কাশ্মীর হল ভারতের যুগুলার ভেইন৷’’ তিনি দুই দেশ তত্ত্বের সমর্থনেও কথা বলেছিলেন সেদিন, যে তত্ত্ব স্বাধীনতা পরবর্তী দেশভাগের জন্য দায়ী৷ এছাড়াও, পাকিস্তানের নাগরিকদের তিনি পরামর্শ দিয়েছিলেন, যাতে তাঁরা তাঁদের সন্তানকে শেখান যে, ‘‘তারা হিন্দুদের থেকে আলাদা৷’’ এদিন সেই প্রসঙ্গ টেনেই জয়শঙ্কর কথাগুলো বলেন। ডাচ মিডিয়ার সাথে কথা বলার সময়, জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘টিআরএফ অনেক দিন ধরেই আমাদের নজরে ছিল। আমরা ইতিমধ্যেই বিষয়টি রাষ্ট্রপুঞ্জের নজরে এনেছি৷” তিনি জানান, ভারতের কাছে টিআরএফের সাথে হাফিজ সইদের লস্কর-ই-তৈবার সংযোগের স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে এবং ভারত তাদের কম্যান্ড সেন্টার এবং অবস্থান সম্পর্কে অবগত। তিনি বলেন, ‘‘আমরা জানি কম্যান্ড সেন্টারগুলো কোথায় – এবং ৭ মে আমরা সেই জায়গাগুলোকেই লক্ষ্য করেছিলাম।” এই টিআরএফ-ই পহেলগাঁওয়ে হামলার দায় স্বীকার করে।

     

     

     

     

  • Operation Sindoor: “সিঁদুর এখন বারুদে পরিণত,” রাজস্থানের সভায় বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    Operation Sindoor: “সিঁদুর এখন বারুদে পরিণত,” রাজস্থানের সভায় বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমরা যে সিঁদুর ব্যবহার করি, তা এখন বারুদে পরিণত হয়েছে। আমাদের সেনাবাহিনী পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী শিবিরগুলি ধ্বংস করে দিয়েছে।” রাজস্থানের বিকানেরে বৃহস্পতিবার এক জনসমাবেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সেখানে প্রত্যাশিতভাবেই আসে অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) প্রসঙ্গ। তার আগে আসে ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গও। ওই দিন বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করেছিল পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। এর ঠিক পক্ষকাল পরেই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় জঙ্গিদের ঘাঁটি।

    সিঁথির সিঁদুর (Operation Sindoor)

    এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যারা সেদিন সিঁথির সিঁদুর মুছে দিতে এসেছিল, তাদের আমরা মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছি।” তিনি বলেন, “সেদিন জঙ্গিরা পর্যটকদের ধর্ম জিজ্ঞেস করে মেরেছিল, মুছে দিয়েছিল মহিলাদের সিঁথির সিঁদুর। জঙ্গিদের ছোড়া সেই গুলি কেবল পহেলগাঁওয়ের মাটিতেই লাগেনি, লেগেছিল ১৪০ কোটির হৃদয়ে। কিন্তু যারা ভেবেছিল ভারত চুপ করে থাকবে, তারা আজ নিজেদের ঘরে লুকিয়ে আছে, আর যারা অস্ত্রে ভরসা করত, তারা আজ নিজেদের ঘরে লুকিয়ে রয়েছে, তারা আজ তাদেরই ধ্বংসস্তূপের নীচে। প্রতিটি রক্তফোঁটার দাম আদায় করে নিয়েছে ভারত।” তিনি বলেন, “পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পরে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে সঙ্কল্প নিয়েছিলাম যে আমরা সন্ত্রাসবাদীদের নির্মূল করব। আমরা তাদের কল্পনার চেয়েও বড় শাস্তি দেব। সন্ত্রাসবাদীদের মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হবে। আজ, আপনাদের আশীর্বাদ এবং দেশের সেনাবাহিনীর সাহসিকতায় আমরা সকলেই তা পূরণ করতে পেরেছি। আমাদের সরকার তিন সেনাকে ফ্রি হ্যান্ড দিয়েছিল। তিন সেনা মিলে ওদের নাস্তানাবুদ করেছে।” এর পরেই তিনি বলেন, “তিন বাহিনী মিলে এমন একটি চক্রব্যূহ তৈরি করেছে যে পাকিস্তানকে নতজানু হতে বাধ্য করা হয়েছে।”

    এই ভারত আগের ভারত নয়

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই ভারত আগের ভারত নয়। এখনকার ভারত প্রতিশোধ নিতে জানে – তা যেমন কূটনৈতিকভাবে, সেমনই সামরিকভাবেও।” তিনি বলেন, “মাত্র ২২ মিনিটের মাথায় সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিগুলিকে ধ্বংস করে দেয় আমাদের সেনা। যার জেরে মাথা নোয়াতে বাধ্য হয়েছে পাকিস্তান। এটাই নতুন ভারতের জবাব। এটাই অপারেশন সিঁদুর।” জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে মোদি সরকার যে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে, এদিন সে প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সেনাকে সম্পূর্ণ ফ্রি হ্যান্ড দেওয়া হয়েছে। তিন বাহিনী এমন একটা চক্রব্যূহ তৈরি করেছিল যে পাকিস্তান পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছে। যারা আগুন জ্বালাতে এসেছিল, তারাই এখন ছাইয়ের নীচে।”

    ২২ তারিখের হামলার জবাবে ২২ মিনিটে

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২২ তারিখের হামলার জবাবে ২২ মিনিটে আমরা জঙ্গিদের ৯টি ঘাঁটি ধ্বংস করে দিয়েছি (Operation Sindoor)। ২২ তারিখে ধর্ম বেছে বেছে খুন করা হয়েছে। দেশের শত্রুরা দেখে নিয়েছে, সিঁদুর যখন বারুদে পরিণত হয়, তখন ফল কী হয়!” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটা প্রতিশোধ নয়, এটা ন্যায়ের নয়া রূপ (PM Modi)। এটা আক্রোশ নয়, এটা সমগ্র ভারতের প্রত্যয়। এটাই ভারতের নয়া স্বরূপ। আগে ঘরে ঢুকে আঘাত করেছিলাম। এখন সোজা বুকে আঘাত করেছি। এরপর আর ভারতে কোনও হামলা হলে আরও কড়া জবাব দেওয়া হবে। এর পরেও সময় ঠিক করবে সেনা, আঘাতের উপায়ও ঠিক করবে তারাই।” পাকিস্তানের পারমাণবিক বোমার ভয় দেখানো প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পারমাণবিক বোমার এই ভুয়ো ভয়ে ভারত আর ভীত হবে না। আতঙ্কের গুরু এবং সন্ত্রাসকে সাহায্য করা সরকারকে আমরা আলাদা আলাদা করে দেখব না। আমরা তাদের একই হিসেবে দেখব। তাদের এই স্টেট, নন-স্টেটের খেলা আর চলবে না। গোটা বিশ্বে তাদের মুখোশ খোলার জন্য আমরা দল পাঠিয়েছি। আমরা এখন গোটা বিশ্বকে পাকিস্তানের আসল চেহারা দেখাব।”

    বীরভূমি রাজস্থান

    তিনি (PM Modi) বলেন, “পাঁচ বছর আগে যখন বালাকোটে এয়ারস্ট্রাইক হয়েছিল, তখন আমার প্রথম জনসভা হয়েছিল রাজস্থানে। এটা বীরভূমি। অপারেশন সিঁদুরের পরেও আমার প্রথম জনসভা হল বীরভূমি রাজস্থানের বিকানেরে (Operation Sindoor)।” এদিন বিকানের সফরে প্রধানমন্ত্রী গিয়েছিলেন নাল এয়ার ফোর্স স্টেশনে। অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন এখানেই হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। সেই হামলা সফলভাবে প্রতিহত করে ভারতীয় বাহিনী। সেখানে সেনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী, প্রশংসা করেন ভারতীয় বাহিনীর মনোবলের। এদিন, প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেন অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের আওতায় পুনর্নির্মিত দেশনোক স্টেশন। এর পাশাপাশি, তিনি উদ্বোধন ও সূচনা করেন ২৬ হাজার কোটি টাকার একাধিক রেল প্রকল্পের (PM Modi)। এর মধ্যে রয়েছে চুরু-সাদুলপুর নয়া রেললাইন এবং পাঁচটি রেলপথের বিদ্যুদয়নও (Operation Sindoor)।

  • Bangladesh Army: ইউনূসকে নির্বাচনের লক্ষ্ণণরেখা টেনে দিলেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান, সরকারের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে সেনার!

    Bangladesh Army: ইউনূসকে নির্বাচনের লক্ষ্ণণরেখা টেনে দিলেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান, সরকারের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে সেনার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কোনও করিডরের কাজ করা যাবে না।” বাংলাদেশের (Bangladesh Army) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান শান্তিতে নোবেল জয়ী মহম্মদ ইউনূসকে এই বার্তাই দিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। মায়ানমারের জন্য প্রস্তাবিত মানবিক (Myanmar) করিডর নিয়ে তাঁর যে আপত্তি রয়েছে, তা ফের মনে করিয়ে দেন তিনি। তিনি এও বলেন, “ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অনির্বাচিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার করিডর বা কোনও বিদেশি দেশের কাছে বন্দর হস্তান্তরের মতো বড় কোনও সিদ্ধান্তও নিতে পারে না।”

    করিডর চালুর প্রস্তাব (Bangladesh Army)

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সেই সময় তিনি বাংলাদেশকে অনুরোধ করেছিলেন মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছতে দেশটির ভেতর দিয়ে একটি করিডর চালু করার জন্য। মায়ানমারের এই রাজ্য দখল করেছে আরাকান আর্মি। তার পর থেকে রাখাইনে ঘাটতি দেখা দিয়েছে খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্যের। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে এই আরাকান আর্মি বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয়। রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবের প্রস্তাবে সম্মতি জানায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। তবে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল এই উদ্যোগের বিরোধিতা করে জানায়, এ ধরনের সিদ্ধান্ত সব তাদের সঙ্গে আলোচনা করেই নিতে হবে। বিএনপি এই প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করেছে। তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তারা আর একটি গাজা হতে চায় না (Myanmar)।

    কী বললেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান

    বুধবার ঢাকার সেনাবাহিনী সদর দফতরে কর্তাদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। সাধারণত, সেনাপ্রধান ২০ থেকে ২৫ মিনিট বা সর্বোচ্চ আধ ঘণ্টার বক্তব্য দিয়ে থাকেন। তবে বুধবার তিনি প্রায় এক ঘন্টা ২০ মিনিট সময় কথা বলেছেন। সেই সময়ে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, “নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসার আগে পর্যন্ত কোনও মানবিক করিডর অথবা কোনও বিদেশিকে কোনও বন্দর দেওয়া হবে না। তা করতে হবে বৈধ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই। এখানে জাতীয় স্বার্থ দেখতে হবে। জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে করতে হবে।” তিনি বলেন, “বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক স্থিতিশীলতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে—এমন কিছুই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মেনে নেবে না। তাঁর বক্তব্য সমর্থন করেন বাহিনীর কর্তারা। সেনানিবাসে অফিসারদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখার সময় সেনাপ্রধান বলেন, “ইউনূস সরকার দেশের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীকে অন্ধকারে রাখছে।” এর পরেই তিনি বলেন, “কোনও করিডরের কাজ করা যাবে না।”

    বিএনপির বক্তব্য

    প্রবল আন্দোলনের (Bangladesh Army) জেরে গত বছরের ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ নেত্রী শেখ হাসিনা। তার পরেই ক্ষমতার রাশ যায় ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, অন্তর্বর্তী সরকার দীর্ঘ সময় ধরে দেশ চালাতে পারে না। তাদের প্রধান দায়িত্বই ছিল দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করা। কিন্তু ইউনূস সরকার ক্রমাগত নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করে চলেছে। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগির সরাসরি ইউনূস সরকারকে তোপ দেগে বলেছিলেন, “এই নির্বাচন পিছানোর নেপথ্যে বড় কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে (Myanmar)।” এবার ইউনূসকে হুঁশিয়ারি দিলেন সেনাপ্রধানও। জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারকে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।” তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছিল সুষ্ঠভাবে স্বাধীন নির্বাচনের আয়োজন করতে।

    সাফ কথা সেনাপ্রধানের

    সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা এবং উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে আলোচনায় সেনাপ্রধানের উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। আলোচনায় সেনাপ্রধানকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি কেন রাতে সেনা সদস্যদের নিয়ে মিটিং করেন? সেনাপ্রধানকে এ ধরনের প্রশ্ন করার কারণে, তিনি বুধবার অফিসারদের ফোরামে বেশ উষ্মা প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে, ইউনূস সরকারের প্রতি নিজের ক্ষোভও ব্যক্ত করেন। অন্তর্বর্তী সরকার যাতে সেনার কাজে নাক না গলায়, তাও এদিন স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান। তিনি বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারে কিছু বিদেশি রয়েছেন, যাঁরা দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ করছেন এবং বাংলাদেশের পরিস্থিতি খারাপ হলে তাঁরা তাঁদের দেশে ফিরে যাবেন।” তাঁর ইঙ্গিতের অভিমুখ যে বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় উপদেষ্টা খলিলুর রহমানের দিকে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না (Bangladesh Army)। এই খলিলুর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা। গত বছর নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই সেনাপ্রধানের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন তিনি। এই খলিলুরই মায়ানমার করিডরের পক্ষে জোরালো সওয়াল করেছিলেন। সংবিধানে ব্যাপক সংশোধনের ডাক দিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। সে প্রসঙ্গে সেনা প্রধান বলেন, “বড় ধরনের কোনও পরিবর্তন কাম্য নয়।” সেনা প্রধান মনে করিয়ে দেন, আগামীদিনে বাংলাদেশ কোন পথে এগিয়ে যাবে, তা নির্ধারণ করার অধিকার আছে সাধারণ মানুষের দ্বারা নির্বাচিত সরকারের।

    বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত!

    উল্লেখ্য যে, ইউনূস সরকার চট্টগ্রাম বন্দরের নিউ মুরিং কন্টেনার টার্মিনালের কার্যকলাপ একটি বিদেশি পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের হাতে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশের শিপিং উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “প্রশাসন টার্মিনাল পরিচালনার জন্য একজন বিদেশি অপারেটর নিয়ে আসার পক্ষে।” অন্তর্বর্তী সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে, বিএনপি এবং জামাত ইসলামি-সহ একাধিক রাজনৈতিক দল। বাংলাদেশের ১২ দলের জোটও সাফ জানিয়েছে, কোনও অবস্থায়ই নিউ মুরিং কন্টেনার টার্মিনাল (Bangladesh Army) বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া যাবে না। চট্টগ্রাম বন্দর কোনও বিদেশি সংস্থাকে লিজ দিলে, সেটাও মেনে নেওয়া হবে না (Myanmar)।

LinkedIn
Share