Tag: bangla news

bangla news

  • Murshidabad violence: মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ হিংসা, ‘রাষ্ট্রপতি শাসন’ জারির সুপারিশ রাজ্যপালের

    Murshidabad violence: মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ হিংসা, ‘রাষ্ট্রপতি শাসন’ জারির সুপারিশ রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদে (Murshidabad violence) ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদের চলে তাণ্ডব। ঘরছাড়া হন বহু হিন্দু পরিবার। সামশেরগঞ্জে খুন হন বাব-ছেলে। এই আবহে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্যপাল। রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি একটি বিস্তারিত রিপোর্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে পাঠিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। এই রিপোর্টেই রাজ্যপাল পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানিয়েছেন। মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) হিংসা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে রাজ্যপাল স্পষ্ট ভাষায় লিখেছেন—মুর্শিদাবাদের ঘটনা (Murshidabad violence) ‘পূর্বপরিকল্পিত’ এবং ‘স্থানীয় প্রশাসনের চূড়ান্ত ব্যর্থতা’ তার পেছনে দায়ী। রাজ্যপালের অভিযোগ, ধর্মীয় পরিচয়কে কেন্দ্র করে রাজনৈতিকভাবে শোষণের চিত্র এই অশান্তিতে উঠে এসেছে।

    হিংসা বিধ্বস্ত এলাকায় অতিরিক্ত বিএসএফ ক্যাম্প করার সুপারিশ

    রাজ্যপালের পর্যবেক্ষণ (Murshidabad violence) অনুযায়ী, “রাজ্যে যদি প্রশাসনিক ব্যর্থতা এভাবেই চলতে থাকে, তাহলে কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত সংবিধান অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা।” তাঁর আরও দাবি, ধারাবাহিক ব্যর্থতা চললে সংবিধানের ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের কথাও বিবেচনা করতে হবে কেন্দ্রকে। একইসঙ্গে রাজ্যের মুর্শিদাবাদ ও মালদা—দুই সীমান্তবর্তী জেলার অশান্ত অঞ্চলগুলিতে স্থায়ীভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্যপাল। রাজ্যপালের , “এই মুহূর্তে সীমান্ত সংলগ্ন অঞ্চলে বিশেষ নজরদারি প্রয়োজন।” ঠিক এই কারণে হিংসা বিধ্বস্ত এলাকায় অতিরিক্ত বিএসএফ ক্যাম্প করার কথাও তিনি সুপারিশ করেছেন।

    আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা ক্রমাগত বাড়ছে

    কেন্দ্রকে পাঠানো ওই রিপোর্টে রাজ্যপাল একাধিকবার সীমান্ত-সংলগ্ন এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন (Murshidabad violence)। তিনি উল্লেখ করেছেন, “বাংলার আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা ক্রমাগত বাড়ছে। মুর্শিদাবাদে সাম্প্রতিক হিংসার পর পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত। সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্কের বাতাবরণ কাটছে না।” এই অবস্থায় রাজ্যপাল কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, সংবিধান মেনে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার।প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই হিংসাদীর্ণ মুর্শিদাবাদে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সরজমিনে ঘুরে দেখেন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা। কথা বলেন দুর্গতদের সঙ্গে। এবার সোজা রিপোর্ট পাঠালেন অমিত শাহরের দফতরে।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদে খুন হওয়া বাবা-ছেলের পরিবারের ওপর সল্টলেকে পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদে খুন হওয়া বাবা-ছেলের পরিবারের ওপর সল্টলেকে পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ অশান্তিতে জাফরাবাদে (Murshidabad) খুন হন হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাস। এবার এই খুন হওয়া বাবা-ছেলের পরিবারের উপর পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ উঠল। বিজেপির অভিযোগ, মুর্শিদাবাদ থেকে কলকাতার সল্টলেকে এসে পুলিশ এই পরিবারকে হেনস্থা করেছে। শুধু তাই নয়, দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকার অভিযোগও উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান রাজ্য বিজেপির নেতারা। পুলিশ এসে জানায়, ওই পরিবারকে নাকি অপহরণ করা হয়েছে। এতেই শুরু হয় বিতর্ক। নিহত পিতা-পুত্রের পরিবার পুলিশকে সাফ জানায়, তাঁরা স্বেচ্ছায় এখানে এসেছেন। এদিকে, পুলিশি হেনস্থার অভিযোগ তুলে সল্টলেকের ওই আশ্রয়স্থল (Murshidabad) ছেড়েছেন নিহত বাবা-ছেলের পরিবার। জানা যাচ্ছে, বর্তমানে তাঁরা পৌঁছেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাসভবনে।

    পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হয়নি নিহত পিতা-পুত্রের পরিবার

    বিজেপি সূত্রে খবর, এক সপ্তাহ আগেই জাফরাবাদে (Murshidabad) খুন হওয়া বাবা-ছেলের পরিবার এসে উপস্থিত হন সল্টলেকে। সেখানেই তাঁরা থাকছিলেন এই কয়েকদিন। এরপর রবিবার সকালেই মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) থেকে একদল পুলিশ আসেন, তাঁদের সঙ্গে কলকাতা পুলিশও ছিল। পুলিশের দল পৌঁছে যায় সল্টলেকের সেই আশ্রয়স্থলে। তারপর তাঁরা নিহত বাবা-ছেলের পরিবারের সঙ্গে সঙ্গে কথা বলতে চান। কিন্তু নিহতের পরিবার কোনওভাবেই তাতে রাজি হয়নি। বিজেপির অভিযোগ, এরপর পুলিশ জোর পূর্বক বাড়ির দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছান বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা, তরুণজ্যোতি তিওয়ারি ও সজল ঘোষ। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন অন্যান্য বিজেপির নেতারও। এরপরেই বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে প্রবল বচসা শুরু হয় পুলিশের।

    কী বলছেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ?

    নিহত পিতা-পুত্রের পরিবার যে বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন, ওই বাড়ির মালিক বলেন, “মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) বাবা-ছেলে খুন হওয়া পরিবারের সদস্যরা আশ্রয় নিয়েছিল। কিন্তু আজ পুলিশের যে আচরণ দেখলাম, তাতে তারা তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনীকেও হার মানাবে। দরজায় লাথি মেরে ভিতরে ঢুকেছে। ওদের কাছে কোনও কাগজ নেই।” বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ বলেন, “যে সময় খুন হয়েছিলেন সেই সময় পুলিশ আসেনি। আর এখন ১৫০ কিমি অতিক্রম করে ঠিক চলে এল? আমরা তো দেখব কোন অভিযোগ দায়ের হয়েছে।”

  • Baloch Rebels: ভারত-পাক সংঘাতের আবহে পাকিস্তানের আস্ত শহর দখল বালোচ বিদ্রোহীদের!

    Baloch Rebels: ভারত-পাক সংঘাতের আবহে পাকিস্তানের আস্ত শহর দখল বালোচ বিদ্রোহীদের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার জেরে ভারতের প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় কাঁটা পাকিস্তান (Pakistan)। এই আবহে ভারতের পড়শি এই দেশে গৃহযুদ্ধের অশনি সঙ্কেত (Baloch Rebels)। মাস দুয়েক আগে জাফর এক্সপ্রেসে হামলা চালিয়েছিল বালোচ বিদ্রোহীরা। এবার পাকিস্তানের আস্ত একটা শহরেরই দখল নিয়ে নিয়েছে তারা। সূত্রের খবর, বালুচিস্তানের কালাত জেলার মঙ্গোচের শহরের দখল নিয়েছে বালোচ লিবারেশন আর্মি। পাকিস্তানের পতাকা খুলে সেখানে ওড়ানো হয়েছে বালোচ লিবারেশন আর্মির ঝান্ডা। শুধু তাই নয়, পণবন্দি করা হয়েছে পাক সেনার কয়েকজন সদস্যকে।

    পাক সেনার অস্ত্র লুট (Baloch Rebels)

    সেনার অস্ত্রও লুট করে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। বেশ কয়েক ঘণ্টার জন্য বিদ্রোহীরা দখল করে নিয়েছিল কোয়েটা-করাচি হাইওয়ে। শহরের দখল নিয়েছে বালোচ লিবারেশন আর্মির ডেথ স্কোয়াড। কোয়েটা-করাচি হাইওয়েতে সমস্ত গাড়ি দাঁড় করিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। চালকদের সঙ্গে পাক সরকার বা সেনার কোনও যোগ পাওয়া গেলেই তাঁদের আটক করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বালুচিস্তানের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জিয়া লাঙ্গোভের চার নিরাপত্তা রক্ষীর প্রাণ গিয়েছে বালোচ আর্মির গুলিতে। বিদ্রোহীদের অভিযোগ, পাক সেনা ও গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের মধ্যে সংযোগের কাজ করছিলেন জিয়া। এদিন বিদ্রোহীরা আবদুল কুদ্দুসকেও গ্রেফতার করে। পাক সেনার হয়ে আলোচনা চালাতেন তিনি। বালোচ লিবারেশন আর্মি বহুদিন ধরে ওয়ান্টেড বলে ঘোষণা করেছিলেন তাঁকে।

    পোস্ট ভাইরাল

    এই আবহে অজয় কল নামে এক ব্যক্তির পোস্ট ভাইরাল হয়েছে (Baloch Rebels) সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বালোচ আর্মির লোকজন গাড়ি দাঁড় করিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে। ওই ভিডিও পোস্ট করে তিনি লেখেন, “এটি বালুচিস্তানের কলাট জেলার মাঙ্গোচর শহর। যেখানে বালুচিস্তানের মুক্তিযোদ্ধারা কয়েক ঘণ্টা আগে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর প্রধান ক্যাম্পে আক্রমণ করেছিল। প্রধান সড়কগুলির নিয়ন্ত্রণ দখল করেছে, একটি ব্যাঙ্ক ও আদালতের নিয়ন্ত্রণও নিয়েছে। আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভবন দখল করে। পাকিস্তানি বাহিনীর অস্ত্রও বাজেয়াপ্ত করেছে।”

    গত ২৮ এপ্রিল পাসনি এলাকায় মহম্মদ নওয়াজ নামে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের এক এজেন্টকে খুন করে বিএলএ। পরিচয় লুকিয়ে বিদ্রোহীদের ডেথ স্কোয়াডের হয়ে কাজ করতেন নওয়াজ। তারপর (Pakistan) থেকেই নতুন করে বিএলএর সঙ্গে সংঘাতে জড়ায় ইসলামাবাদ (Baloch Rebels)।

     

  • CRPF Jawan Sacked: পাকিস্তানি তরুণীর সঙ্গে বিয়ে গোপন, চাকরি খোয়ালেন সিআরপিএফের জওয়ান

    CRPF Jawan Sacked: পাকিস্তানি তরুণীর সঙ্গে বিয়ে গোপন, চাকরি খোয়ালেন সিআরপিএফের জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানি তরুণীর সঙ্গে বিয়ে গোপন করা এবং ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও স্ত্রীকে ভারতে থাকতে সাহায্য করার অভিযোগে সিআরপিএফের এক জওয়ানকে বরখাস্ত (CRPF Jawan Sacked) করা হল। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, অভিযুক্ত জওয়ান মুনির আহমেদ শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। তাঁর কার্যকলাপে (Pakistani Woman) দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। তাই তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

    পাকিস্তানে বিয়ে (CRPF Jawan Sacked)

    জানা গিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরে কর্তব্যরত সিআরপিএফ জওয়ানের সঙ্গে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বাসিন্দা মিনাল খানের আলাপ হয় অনলাইনে। গত বছর মে মাসে বিয়ে করেন তাঁরা। অনলাইনে ভার্চুয়াল বিয়ে করেন মুনির ও মিনাল। গত মার্চে ভারতে আসেন মিনাল। ওই মাসেরই ২২ তারিখে শেষ হয়ে যায় তাঁর ভিসার মেয়াদ। গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। তার পরেই পাকিস্তানি নাগরিকদের ভারত ছাড়তে বলা হয়। বাধ্য হয়ে অটারি-ওয়াঘা সীমান্ত হয়ে পাকিস্তানে ফিরছিলেন মিনাল। তবে শেষ মুহূর্তে আদালতের নির্দেশে ভারতে থাকার অনুমতি পান তিনি।

    বরখাস্ত করার কারণ

    সিআরপিএফের তরফে জানানো হয়েছে, পাক তরুণীর সঙ্গে বিয়ের বিষয়টা চেপে গিয়েছিলেন ওই জওয়ান। চেপে গিয়েছিলেন ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও তাঁর ভারতে থেকে যাওয়ার বিষয়টি। এই ধরনের কার্যকলাপ সন্দেহজনক। তাই বরখাস্ত করা হয়েছে তাঁকে (CRPF Jawan Sacked)। এদিকে মুনিরের দাবি, সদর দফতর থেকেই অনুমতি দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। সেই অনুমতি পাওয়ার পরেই তিনি বিয়ে করেন পাক তরুণীকে। চাকরি থেকে বরখাস্ত করার এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হবেন তিনি।

    মুনির বলেন, “আমি ন্যায়বিচার পাবই।” মুনির আরও বলেন, “তাঁকে যে চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে, তা তিনি প্রথম জানতে পারেন সংবাদ মাধ্যম থেকে। তার কিছু পরেই চিঠি এসে পৌঁছয় সিআরপিএফের সদর দফতর থেকে।” তিনি বলেন, “ভাবতে পারছি না, আমার বিরুদ্ধে এত বড় একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। চাকরি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হল।” জম্মুর ঘরোটা এলাকার বাসিন্দা মুনির। ২০১৭ সালে যোগ দেন সিআরপিএফে। মুনিরের পাকিস্তানি স্ত্রীর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যায় ২২ মার্চ। তার পরেও তিনি ছিলেন ভারতেই। পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার আগেই আদালত থেকে অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ মেলে (Pakistani Woman)। আগামী ১৪ মে ওই মামলার পরবর্তী শুনানি (CRPF Jawan Sacked)।

  • WB Govt: শিল্পে সব ধরনের ইনসেন্টিভ দেওয়ার সুবিধা প্রত্যাহার করল মমতার সরকার, কেন জানেন?

    WB Govt: শিল্পে সব ধরনের ইনসেন্টিভ দেওয়ার সুবিধা প্রত্যাহার করল মমতার সরকার, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিল্পে সব ধরনের ইনসেন্টিভ দেওয়ার সুবিধা প্রত্যাহার করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার (WB Govt)। রীতিমতো গ্যাজেট জারি করে এই সুবিধা প্রত্যাহারের কথা (Industries) ঘোষণা করা হয়েছে। বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। সেজন্য লক্ষ্মীর ভান্ডারের মতো জনমোহিনী প্রকল্প চালু রাখতেই হবে। কারণ না হলে জনগণ খেপে গিয়ে ঘাসফুলের বদলে পদ্মফুলে ছাপ দেবেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই শিল্পে সব ধরনের ইনসেন্টিভ দেওয়ার সুবিধা প্রত্যাহার করা হল। ভোট কিনতে সেই টাকা ব্যয় করা হবে বিভিন্ন খয়রাতি মূলক প্রকল্পে। তাতে রাজ্যে শিল্পের হাঁড়ির হাল হবে ঠিকই, তবে আগামী পাঁচ বছরের জন্য রাজ্যের রশি রইবে সেই তৃণমূলের হাতেই।

    ঘটা করে শিল্প সম্মেলন! (WB Govt)

    শিল্প টানতে ফি বছর ঘটা করে এ রাজ্যে শিল্প সম্মেলন হয়। শিল্প টানতে মুখ্যমন্ত্রী সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে মাঝে মধ্যেই বিদেশ ছোটেন। তাতে শিল্প কতটা আসে, সেই বিতর্কে না গিয়েও বলা যায়, রাজ কোষাগারের বিপুল অর্থে বস্তুত ‘মোচ্ছব’ হয়। বিশেষজ্ঞদের প্রশ্ন, শিল্পে সব ধরনের ইনসেন্টিভ দেওয়ার সুবিধা প্রত্যাহার করা হলে, এ রাজ্যে আদৌ শিল্প হবে তো? গ্যাজেটে সরকার যে কারণগুলির কথা উল্লেখ করেছে, সেগুলি হল, এই  সুবিধাগুচ্ছের ফলে (WB Govt) যে অর্থ খরচ হয়, তাতে কোষাগারে চাপ পড়ছে। সামলানো যাচ্ছে না। তাছাড়া মুষ্টিমেয় কিছু শিল্পপতি এসবের সুবিধা পান। শিল্পায়নে এর কোনও প্রভাব পড়ে না।

    কোষাগারের হাঁড়ির হাল

    রাজ্যের আর্থিক (Industries) হাল খারাপ। শিল্পে সুবিধা দিতে খুবই নাজেহাল অবস্থা। সরকার এই খরচ প্রত্যাহার করে নিয়ে সামাজিক প্রকল্প বিশেষ করে স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং পরিকাঠামো নির্মাণে খরচ করতে চায়। কারণ শিল্পের টাকা বন্ধ না করলে ওখানে টাকা জোগানো যাচ্ছে না।  লক্ষ্য করা গিয়েছে, শিল্পে উৎসাহ প্রকল্পের সুবিধা নিয়ে বহু লগ্নিকারী তাঁদের কারবার বন্ধ করে দিয়েছেন বা ঝাঁপ ফেলে পালিয়েছেন। সরকার মনে করে শিল্প স্থাপনে উৎসাহ দিতে টাকা খরচের চেয়ে পিছিয়ে পড়া মানুষের কাছে সরাসরি টাকা পৌঁছে দেওয়া জরুরি। তাই সরকার শিল্পে উৎসাহ প্রদানকারী সব স্কিম তুলে নিচ্ছে। এ নিয়ে কোনও ভবিষ্যতের দায় আর সরকার নেবে না। কঠিন আর্থিক পরিস্থিতির ভারসাম্য রক্ষার্থে এমন করা হল।

    প্রশ্ন যেখানে

    সরকারের এহেন সিদ্ধান্তে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। প্রথমত, সারা পৃথিবী জুড়ে লগ্নিকারীরা সেখানেই যান, যেখানে শিল্প স্থাপনে সুবিধা বেশি পাওয়া যায়। এখন যেমন আই ফোন নির্মাতা অ্যাপল চিন ছেড়ে ভারতে ফোন তৈরি করছে। পূর্ব ভারতের শিল্পপতিরা ওড়িশা ছুটছে (WB Govt)। ফলে উৎসাহ প্রকল্পটিই তুলে দিলে কোনও লগ্নিকারী কি বাংলামুখো হবে? দ্বিতীয়ত, লক্ষ্মীর ভান্ডারের ২ কোটি প্রাপকের তুলনায় শিল্পপতির সংখ্যা মুষ্টিমেয়ই হবে। কিন্তু একটি কারখানা হলে যত মানুষের হাতে কাজ জোটে তাতে ওই পরিবার আর ল্ক্ষ্মীর ভান্ডারের ওপর নির্ভরশীল থাকে না। সরকার কি চাইছে বাঙালি শুধু ভাতাজীবী হয়েই থাকুন (Industries)? ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পশ্চিমবঙ্গে জমি নীতি নেই, শিল্পনীতি নেই কিন্তু সিন্ডিকেট-কাটমানি আছে। তোলামূলী গুন্ডাতন্ত্র আছে।ছিল উৎসাহ প্রকল্প, সেটাও তুলে নেওয়া হল। এর পর তো কাশ ফুলের বালিশ বা চপ শিল্প সেটাও আর হবে না! সর্বোপরি, পূর্ব ভারতের পশ্চিমবঙ্গ যেখানে উন্নয়নের পাওয়ার হাউস হতে পারত, সেখানে শুধুমাত্র ভাতা দেওয়ার টাকা জোগাড় করতে গিয়ে সরকার কীভাবে শিল্প তাড়াচ্ছে, তার নয়া নমুনা সরকারের এই বিজ্ঞপ্তি। বাম জমানায় ট্রেড ইউনিয়নের কারণে বহু শিল্পপতি পাততাড়ি গুটিয়ে রাজ্য ছেড়েছিল (Industries)। এবার তোলামূলী জমানায় ‘হীরক রানি’ সরকারি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলে দিলেন পশ্চিমবঙ্গ লগ্নি চায় না, নিজের মেয়েকেই চায় (WB Govt)!

  • Baloch Rebellion: গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি পাকিস্তানে, বালোচ বিদ্রোহীদের দখলে আস্ত শহর, পণ বন্দি একাধিক পাক সেনা

    Baloch Rebellion: গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি পাকিস্তানে, বালোচ বিদ্রোহীদের দখলে আস্ত শহর, পণ বন্দি একাধিক পাক সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই দেশের যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভারতের প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় কাঁপছে পাকিস্তান। এই আবহে সেদেশে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছে। জাফর এক্সপ্রেসে হামলার দু’মাসও পার হয়নি। এমনই সময় ফের হামলা চালাল বালোচ বিদ্রোহীরা (Baloch Rebellion)। বিদ্রোহীরা বালুচিস্তান প্রদেশের পুরো একটি শহরই দখল করে নিয়েছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, বালুচিস্তানের কালাত জেলার মঙ্গোচের শহরে হামলা চালায় বালোচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)। এই শহরের একাধিক সরকারি অফিসে আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে খবর মিলেছে। শুধু তাই নয়, পণবন্দি করা হয়েছে পাক সেনার সদস্যদের। একাধিক রিপোর্টে দাকি করা হয়েছে, সেনার অস্ত্রও লুট করে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। বিদ্রোহীদের তাণ্ডবে কয়েক ঘণ্টা দখলে চলে যায় কোয়েটা-করাচি হাইওয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ সড়ক।

    শুক্রবার সন্ধ্যাতেই হামলা (Baloch Rebellion)

    কোয়েটা থেকে প্রায় ১০০ কিমি দূরে অবস্থিত হল মঙ্গোচের শহর (Mangocher city)। শুক্রবার সন্ধ্যাতেই সেখানে হামলা চালায় বালোচ লিবারেশন আর্মি। প্রথমেই তারা হাইওয়ে অবরোধ করে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয় বলে জানা গিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, একদল বিদ্রোহী(Baloch Rebellion) রাস্তার গাড়ি পরীক্ষা করতে শুরু করে। অন্য আরেকটি দল মঙ্গোচের বাজারে ঢুকে পড়ে সরকারি কার্যালয়গুলিতে আগুন ধরিয়ে বলে অভিযোগ।

    প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জিয়া লাঙ্গোভের চারজন নিরাপত্তা রক্ষীকে হত্যা করেছে বিদ্রোহীরা

    জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই বালুচিস্তানের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জিয়া লাঙ্গোভের চারজন নিরাপত্তা রক্ষীকে হত্যা করেছে বিদ্রোহীরা। বালোচ লিবারেশন আর্মির দাবি, পাকিস্তানি সেনা ও গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের মধ্যে সংযোগের কাজ করছিলেন জিয়া। এদিন বিদ্রোহীরা (Baloch Rebellion) আব্দুল কুদ্দুসকেও গ্রেফতার করে (Mangocher city)। তাঁর বিরুদ্ধে পাক সেনার হয়ে নানা বিষয়ে আলোচনা চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।প্রসঙ্গত, গত ২৮ এপ্রিলই মহম্মদ নওয়াজ নামের এক আইএসআইয়ের এক এজেন্টকে হত্যা করে বিদ্রোহীরা। পরিচয় লুকিয়ে ওই গুপ্তচর মিশেছিল বিদ্রোহীদের সঙ্গেই। এরপর থেকেই নতুন করেবালোচ লিবারেশন আর্মির সঙ্গে সংঘাতে জড়ায় ইসলামাবাদ।

  • Swami Sivananda: ১২৯ বছর বয়সে প্রয়াত যোগগুরু স্বামী শিবানন্দ বাবা

    Swami Sivananda: ১২৯ বছর বয়সে প্রয়াত যোগগুরু স্বামী শিবানন্দ বাবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত যোগগুরু স্বামী শিবানন্দ বাবা (Swami Sivananda)। শনিবার রাতে ১২৯ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ (Yoga Guru) করেন তিনি। ভুগছিলেন নিউমোনিয়ায়। শ্বাসকষ্টের সমস্যাও ছিল। গত কয়েকদিন ধরে ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। সেখানেই রাতে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে তিনি মারা যান বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। সোমবার হতে পারে তাঁর শেষকৃত্য।

    ব্যাপক জনপ্রিয় ছিলেন স্বামী শিবানন্দ (Swami Sivananda)

    দেশে তো বটেই, বিদেশেও ব্যাপক জনপ্রিয় ছিলেন স্বামী শিবানন্দ। সূত্রের খবর, তাঁর পার্থিব শরীর রেখে দেওয়া হবে দুর্গাকুণ্ডের আশ্রমে। ভক্তরা যাতে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারেন, তাই এই ব্যবস্থা। বয়স ১২৯ হলেও, শেষ জীবনেও যথেষ্ট সক্ষম ছিলেন স্বামী শিবানন্দ। প্রতিদিন ভোরে কয়েক ঘণ্টা ধরে যোগব্যায়াম করতেন তিনি। এটাই তাঁর সুদীর্ঘ জীবনের চাবিকাঠি।

    শিবানন্দের জীবনকথা

    সরকারি নথি অনুযায়ী, ১৮৯৬ সালের ৮ অগাস্ট জন্ম হয় শিবানন্দের। অবিভক্ত ভারতের সিলেটে এক দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। সংসার চালাতে তাঁর মা-বাবা ভিক্ষে করতেন। মাত্র ছ’বছর বয়সে একই মাসে মা-বাবা এবং বোনকে হারান শিবানন্দ। বেড়ে ওঠেন আত্মীয়-স্বজনের কাছে। পশ্চিমবঙ্গের নবদ্বীপেও কাটিয়েছেন বেশ কয়েক বছর। ছিলেন বৃন্দাবনেও। ১৯৭৯ সালে চলে আসেন বারাণসীতে। যোগ শিক্ষা লাভ করেন গুরু ওঁকারনন্দের কাছে। সেখানকার দুর্গাকুণ্ডেই আশ্রম রয়েছে শিবানন্দের। গত একশো বছর ধরে প্রয়াগরাজ, নাসিক, উজ্জ্বয়ন এবং হরিদ্বারের কুম্ভমেলায় অংশ নিতেন তিনি। ২০২২ সালে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হন তিনি। তাঁর হাতে সম্মননা তুলে দেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। যোগরত্ন, বসুন্ধরারত্ন পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি।

    স্বামী শিবানন্দের (Swami Sivananda) শিষ্য সঞ্জয় সর্বজ্ঞ জানান, শনিবার রাত ৯টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন যোগগুরু। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। সঙ্গে অন্যান্য সমস্যাও ছিল। ৩০ এপ্রিল বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। গত তিন দিন ধরে সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। শনিবার রাতে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। তার পরেই আর ফেরানো যায়নি শিবানন্দকে।

    দারিদ্রের মধ্যে বেড়ে ওঠা শিবানন্দ নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন দরিদ্রদের সেবায়। কুষ্ঠরোগীদের সেবায়ও নিজেকে উৎসর্গ (Yoga Guru) করেছিলেন তিনি। পুরীর প্রায় ৫০০ কুষ্ঠরোগীর সেবা করতেন স্বামী শিবানন্দ (Swami Sivananda)।

  • Pak Troops: টানা দশ রাত সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন পাকিস্তানের, শনিবার রাতেও চলল গুলি, পাল্টা জবাব ভারতের

    Pak Troops: টানা দশ রাত সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন পাকিস্তানের, শনিবার রাতেও চলল গুলি, পাল্টা জবাব ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওকাণ্ডের আবহে জম্মু ও কাশ্মীরে ভারত-পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। শনিবার রাতেও নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানের (Pak Troops) বিরুদ্ধে। জানা যাচ্ছে, এই নিয়ে টানা দশ রাত সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করল পাকিস্তান। এভাবেই গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল পাক সেনার বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত, শনিবারই রাজস্থানে বিএসএফের হাতে আটক হয়েছেন পাক রেঞ্জার্সের এক জওয়ান। ওই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরেই জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) পাঁচটি জেলার মোট আটটি অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণরেখার গুলি চালিয়েছে পাক সেনা। মনে করা হচ্ছে, গত ১০ দিনে এটিই সবচেয়ে বড় মাপের সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন।

    কোন কোন  জায়গায় চলল গুলি?

    জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারা, বারামুলা, পুঞ্চ, রাজৌরি, মেন্ধর, নওশেরা, সুন্দরবনি এবং আখনুর অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণরেখায় বিনা প্ররোচনায় গুলিবর্ষণ করেছে পাকিস্তানের সেনা (Pak Troops)। তবে প্রতিক্ষেত্রেই পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনাও। রবিবার সকালেই ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছে, পাক সেনার গুলি চালানোর পরে পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি পুনর্নবীকরণের পর থেকে এই ধরনের ঘটনা কমে গেলেও পহেলগাঁওকাণ্ডের পরে উত্তেজনা ফের বৃদ্ধি পেয়েছে।

    পহেলগাঁওয়ের ঘটনায় বদলে গিয়েছে পরিস্থিতি (Pak Troops)

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিদের (Pak Troops) হত্যালীলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। এই নিহতদের মধ্যে ২৫ জনই ছিলেন হিন্দু পর্যটক। তাঁদের ধর্ম বেছে বেছে হত্য়া করা হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় পাকিস্তানি যোগও সামনে আসে। ভারতের তরফে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিল করা হয়। এরপরে, গত ২৪ এপ্রিল থেকে প্রতি রাতেই বিনা প্ররোচনায় কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা (Jammu And Kashmir) বরাবর সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠে আসছে পাকিস্তানি সেনার বিরুদ্ধে।

  • Pakistan Ranger: সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ, রাজস্থানে আটক পাকিস্তানি সেনা

    Pakistan Ranger: সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ, রাজস্থানে আটক পাকিস্তানি সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজস্থানে ভারতীয় জওয়ানদের হাতে আটক একজন পাকিস্তানি রেঞ্জার (Pakistan Ranger)। আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করার জন্যই ওই পাক রেঞ্জারকে আটক করেছে বিএসএফ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমানে পাক বাহনীর হাতে আটক রয়েছেন সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বিএসএফের ২৪ নম্বর ব্যাটালিয়নের কনস্টেবল পূর্ণম। গত ২৩ এপ্রিল অসাবধানতাবশত আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরতেই তাঁকে আটক করে পাক রেঞ্জাররা। এক সপ্তাহের বেশি হয়ে গেলেও পূর্ণমকে এখনও ছাড়েনি পাক বাহিনী। এবার পূর্ণমের পাল্টা হিসেবেই বিএসএফ আটক করল এক পাক রেঞ্জারকে (Pakistan Ranger)।

    ফোর্ট আব্বাস এলাকা থেকে গ্রেফতার (Pakistan Ranger)

    জানা গিয়েছে, রাজস্থানের সীমান্তবর্তী এলাকা ফোর্ট আব্বাস থেকে ওই পাকিস্তান রেঞ্জার্সের জওয়ানকে ধরা হয়েছে। বিএসফের অভিযোগ, এ দিন ইচ্ছা করেই ভারতীয় সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন ওই পাক রেঞ্জার্স জওয়ান। ওই পাক জওয়ানের কোনও কুমতলব ছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এমন খবর প্রকাশ্যে আসতেই দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে ফ্ল্যাগ মিটিং হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।

    সীমান্তে উত্তেজনা

    সেনা বা সাধারণ নাগরিকরা অনেক সময়ই অসাবধানতায় সীমান্ত অতিক্রম করে ফেলেন। এই ঘটনাগুলি সাধারণত আলোচনা করেই মেটানো হয়। জড়িত ব্যক্তিদের সাধারণত আনুষ্ঠানিক বৈঠকের পরে ফেরত পাঠানো হয়। কিন্তু পহেলগাঁও হামলার পরে উত্তেজনা চলছে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে। যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সীমান্তে (Pakistan Ranger)।

    গত সোমবারই পাঠানকোটে যান পূর্ণমের স্ত্রী

    প্রসঙ্গত, কনস্টেবল পূর্ণমের স্ত্রী রজনী গত সোমবারই পশ্চিমবঙ্গের রিষরার তাঁর বাড়ি থেকে পাঠানকোটে গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। পূর্ণমের বিষয়ে খোঁজখবর করতেই গিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। জানা গিয়েছে, বিএসএফ অফিসাররা তাঁকে আশ্বস্ত করেন যে, পূর্ণমের নিরাপদ মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য ভারতীয় সেনা যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। সেনার তরফ থেকে এমন আশ্বাসের পরই, পূর্ণমের স্ত্রী অমৃতসর থেকে কলকাতায় ফিরে আসেন বলে জানা গিয়েছে। বিএসএফ-ই (BSF) তাঁর ফিরোজপুর থেকে অমৃতসর যাওয়ার ব্যবস্থা করে।

  • UK: “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের জনগণের পাশে রয়েছে ব্রিটেন,” বললেন ব্রিটেনের সচিব

    UK: “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের জনগণের পাশে রয়েছে ব্রিটেন,” বললেন ব্রিটেনের সচিব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের জনগণের পাশে রয়েছে ব্রিটেন।” শনিবার এ কথা জানালেন ব্রিটেনের (UK) সচিব লিসা নন্দী। বর্তমানে তিনি রয়েছেন ভারত সফরে (Terrorism)। তিনি মনে করিয়ে দেন, ব্রিটেনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক অত্যন্ত দীর্ঘ ও অত্যন্ত গভীর। সংবাদ মাধ্যম সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ব্রিটেনের সংস্কৃতি, মিডিয়া, ক্রীড়া বিষয়ক রাষ্ট্রীয় সচিব লিসা নন্দী।

    কী বললেন লিসা নন্দী (UK)

    তিনি বলেন, “আমাদের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে সরাসরি সমবেদনা জানাতে পেরে সম্মানিত বোধ করেছেন। এই মর্মান্তিক হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির প্রতিও আমরা সমবেদনা জানাচ্ছি। ব্রিটেন যে কোনও ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের পাশে থাকবে। আমরা জানি, এই হামলার কারণে সমগ্র ভারতবাসী ব্যথিত। আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক বহুদিনের ও গভীর। আপনাদের ব্যথায় আমরাও ব্যথিত। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইয়ে সমর্থন ও সম্মান জানাতে মৌনতা মেনে নীরবতা পালন করতে পেরে আমি গর্বিত।” তিনি আরও বলেন, “ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক শুধু কূটনৈতিক নয়, হৃদয়ের। এই কঠিন সময়ে আমরা ভারতীয় ভাইবোনদের সঙ্গে আছি।” তিনি জানান, তাঁর এই সফরটি ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে একটি নতুন সাংস্কৃতিক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার প্রতীকও।

    ব্রিটেন ও ভারত সত্যিই অসাধারণ

    নন্দী বলেন (UK), “সৃজনশীল শিল্পের সর্বক্ষেত্রেই, ব্রিটেন ও ভারত সত্যিই অসাধারণ, তা সিনেমা হোক, ফ্যাশন, টিভি, সঙ্গীত কিংবা গেমিং (Terrorism)। আমরা এসব ক্ষেত্রে সত্যিই দক্ষ, এবং বিশ্বজুড়ে এই পণ্যগুলো রফতানি করি। কিন্তু আমরা জানি, সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা আরও বেশি অর্জন করতে পারি এবং এক সঙ্গে আরও বড় সাফল্য পেতে পারি। আমাদের সায়েন্স মিউজিয়াম গ্রুপ এখানকার ন্যাশনাল মিউজিয়াম সায়েন্স মিউজিয়াম গ্রুপের সঙ্গে যৌথ সহযোগিতা, যৌথ প্রদর্শনী আয়োজন, বিভিন্ন নিদর্শন প্রদর্শনের জন্য সফর করানো-সহ নানা কাজ করছে, যাতে ভারত ও ব্রিটেনের মানুষ প্রকৃত এর সুফল পেতে পারে। আমরা মনে করি, অন্যান্য সকল সৃজনশীল শিল্পেও এই মডেলের মাধ্যমে আমরা আরও ঘনিষ্ঠভাবে এক সঙ্গে কাজ করতে পারব।”

    ভারতের প্রতি তাঁর উৎসাহ প্রকাশ করে তিনি বলেন (UK), “এই গ্রীষ্মে ভারতীয় মহিলা দল পুরুষ দলের সঙ্গে যুক্তরাজ্য সফর করবে।” তাঁর আশা, ভারতীয় খেলোয়াড়রা ব্রিটেনের তরুণীদের অনুপ্রেরণা জোগাবে, ঠিক যেমন ইংল্যান্ড লায়নসেস ফুটবল দল তাদের দেশে মহিলাদের অনুপ্রাণিত করেছে (Terrorism)।

LinkedIn
Share