Tag: bengal coal scam

bengal coal scam

  • Coal Smuggling scam: কয়লা পাচারকাণ্ডে মলয় ঘনিষ্ঠ আরও এক তৃণমূল নেতাকে তলব ইডির

    Coal Smuggling scam: কয়লা পাচারকাণ্ডে মলয় ঘনিষ্ঠ আরও এক তৃণমূল নেতাকে তলব ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে কয়লা পাচারকাণ্ডে (Coal Smuggling scam) শাসক দলের মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ আরেক তৃণমূল নেতাকে তলব করল ইডি। শাসক দলের রাঘব বোয়ালদের ধরতেই কি এবার রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা শঙ্কর চক্রবর্তীকে তলব? এই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। পরিচয়ের যাবতীয় নথি নিয়ে ইডির দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছে তাঁকে। শঙ্কর চক্রবর্তীকে আগামী সপ্তাহে কয়লা পাচার কাণ্ডে (Coal Smuggling scam) তলব করেছে ইডি। শঙ্করবাবুকে ইডি দফতরে তাঁর আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, আই টি রিটার্ন, পাসপোর্ট এবং ফটো নিয়ে আসতে হবে বলে জানা গেছে। সোমবার ইডি দফতর থেকে নোটিশ বাড়িতে পৌঁছালে তা গ্রহণ করেন স্ত্রী দীপা চক্রবর্ত্তী।

    শঙ্কর চক্রবর্তীর স্ত্রীর বক্তব্য

    স্ত্রী দীপা চক্রবর্তী বলেন, ইডির নোটিশ (Coal Smuggling scam) আমরা পেয়েছি। বর্তমানে আমার স্বামী খুব অসুস্থ। কিন্তু তবুও ইডি দফতরে দেখা করতে যাবেন উনি। আর যা যা ডকুমেন্ট নিয়ে দেখা করতে বলা হয়েছে, তা ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে।

    কয়লা পাচারে অভিযুক্ত তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী

    কয়লা পাচারকাণ্ডে (Coal Smuggling scam) তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রীকে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার ইডি দিল্লিতে তলব করেছিল। কয়লা-গরু পাচারকাণ্ডে বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে সিবিআই-ইডি গ্রেফতার করে হেফাজতে নিয়েছে। বর্তমানে তাঁর ঠিকানা তিহার জেল। এই কয়লা পাচারকাণ্ডেই তৃণমূলের প্রাক্তন যুব নেতা বিনয় মিশ্রকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা পলাতক ঘোষণা করেছে। বিরোধীদের বক্তব্য, অভিযুক্ত বিনয় মিশ্র অভিষেক ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিল। রাজ্যের এক পুলিশ অফিসারকেও ইডি গ্রেফতার করেছিল বলে জানা গিয়েছে। বর্তমানে আরও এক তৃণমূল নেতা বিকাশ মিশ্র আসানসোল স্পেশাল কোর্ট থেকে জামিনে বাইরে রয়েছেন। কয়লা পাচারে রাজ্যের শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীদের কপালে ইডি চিন্তার ভাঁজ ফেলছে, মনে করছে রাজনীতির একাংশ মানুষ। বিরোধী দলের বক্তব্য, যারা কয়লা পাচার করে লক্ষ লক্ষ টাকা চুরি করেছে, তাদের শাস্তি অবশ্যই হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Moloy Ghatak: কয়লাকাণ্ডে ফের হাজিরা এড়ালেন মলয় ঘটক, এবার কি গ্রেফতার করবে ইডি?

    Moloy Ghatak: কয়লাকাণ্ডে ফের হাজিরা এড়ালেন মলয় ঘটক, এবার কি গ্রেফতার করবে ইডি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচার মামলায় (Bengal Coal Scam) ফের একবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাজিরা এড়ালেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক (Moloy Ghatak)। যা জানা যাচ্ছে, এই নিয়ে ১৩ বার নাকি হাজিরা এড়ালেন মন্ত্রীমশায়। গত ১২ জুলাই তাঁকে হাজিরার নোটিশ পাঠিয়েছিল ইডি। চলতি সপ্তাহেই তাঁর দিল্লিতে গিয়ে ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ইডি সূত্রে খবর, মন্ত্রীমশাই চিঠি দিয়ে তদন্তকারী আধিকারিকদের জানিয়েছেন, পূর্ব নির্ধারিত কিছু কর্মসূচি থাকার কারণে তিনি দিল্লি যেতে পারছেন না।

    বার বার এড়াচ্ছেন হাজিরা

    ইডি সূত্রে দাবি, আদালতের নির্দেশ মেনে, প্রতিবার ১৫ দিন সময় দিয়ে মলয়কে (Moloy Ghatak) ডাকা হচ্ছে। কিন্তু বারেবারে নানা কারণ দেখিয়ে তিনি হাজিরা এড়াচ্ছেন। পঞ্চায়েত ভোটের আগে ২০ ও ২৬ জুন তাঁকে হাজিরা দিতে বলেছিল ইডি। সেইসময় রাজ্যের মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। তাই তিনি হাজিরা দিতে পারবেন না। ভোটপর্ব মিটলে তিনি হাজিরা দেবেন। সেই মতো, ভোট মিটে যাওয়ার পর, এবার গত ১২ তারিখ তাঁকে তলবের নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু, এবারও, তিনি হাজিরা এড়িয়ে গেলেন। 

    কেন তলব মন্ত্রী মলয়কে?

    মলয় ঘটক, একাধারে আইন ও শ্রম মন্ত্রী, অন্যদিকে, খনি এলাকা আসানসোলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল বিধায়ক। ইডি সূত্রে দাবি, কয়লা পাচার মামলায় (Bengal Coal Scam) আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য সামনে রেখে মলয় ঘটককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত তৃণমূল নেতা শঙ্কর চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। আসানসোল পুরসভার ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দীপা চক্রবর্তীর স্বামী শঙ্করের কাছ থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে বলে ইডি-র দাবি।

    আগে জেরা করেছে সিবিআই-ও

    এই মামলায় ইডির আগে, সিবিআইও জেরা করেছিল মন্ত্রীকে। মামলা তদন্তে সিবিআই বিরাট অভিযান চালিয়েছিল। তারা পৌঁছে গিয়েছিল মলয়ের আসানসোলের বর্তমান বাড়ি, পৈতৃক বাড়িতে। এমনকী রাজভবনের মন্ত্রী আবাসনের যে ফ্লোরে মলয় (Moloy Ghatak) থাকেন সেখানেও হানা দিয়েছিল সিবিআই। পরে, এই মামলায় ইডি-ও সামন্তরাল তদন্ত শুরু করলে, ডাক পড়ে মলয় ঘটকের। যে প্রেক্ষিতে, মন্ত্রীমশাই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেয়, অন্তত ১৫ দিন সময় নিয়ে মন্ত্রীকে ডাকতে হবে। সেই মতো, ১২ তারিখ নোটিশ পাঠানো হয়েছিল।

    কী পদক্ষেপ করতে পারে ইডি?

    এদিকে, বার বার ডাকা সত্ত্বেও মলয় ঘটক (Moloy Ghatak) যেভাবে হাজিরা এড়াচ্ছেন, তা আদালত অবমাননার সামিল বলে মনে করছে ইডি। এ নিয়ে আইনজীবীর পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে বলেও কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে খবর। নিয়ম অনুযায়ী, তদন্তকারী সংস্থা যাকে হাজিরার জন্য ডাকবে তাকে যেতে হবে। না গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে ইডি-র। এক্ষেত্রে, তদন্তকারী সংস্থা আদালতের কাছে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যুর জন্য আবেদন করতে পারেন। যদি তারা মনে করেন যে তিনি শুধুমাত্র জিজ্ঞাসাবাদ এড়ানোর জন্যই এই কাজ করছেন তবে তাকে গ্রেফতারির জন্য আদালতের কাছে ওয়ারেন্ট ইস্যুর আবেদনও করতে পারেন। কারণ ইডির গ্রেফতার করার ক্ষমতা রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Moloy Ghatak: কয়লা পাচারকাণ্ডে ফের মন্ত্রী মলয় ঘটককে দিল্লিতে তলব ইডি-র, এবার যাবেন কি?

    Moloy Ghatak: কয়লা পাচারকাণ্ডে ফের মন্ত্রী মলয় ঘটককে দিল্লিতে তলব ইডি-র, এবার যাবেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি জানিয়েছিলেন, পঞ্চায়েত ভোট থাকায় তিনি হাজিরা দিতে পারছেন না। ভোট মিটলে যাবেন। এবার তাই পঞ্চায়েত ভোট মিটতেই ফের একবার রাজ্যের আইন ও শ্রমমন্ত্রী তথা তৃণমূল বিধায়ক মলয় ঘটককে (Moloy Ghatak) দিল্লিতে ডেকে পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। কয়লা পাচার মামলায় (Coal Smuggling Scam) জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহে তাঁকে দিল্লিতে হাজির হতে বলা হয়েছে। 

    ১২ বার ইডির হাজিরা এড়িয়েছেন মলয়?

    শেষবার ২০ ও ২৬ জুন তলব করা হয়েছিল মলয় ঘটককে (Moloy Ghatak)। সেই সময় তিনি চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেন যে, পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে ব্যস্ত আছেন। ভোট মিটলে তিনি হাজিরা দেবেন। সেইমতো ফের তাঁকে তলব করা হয়েছে। আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য সামনে রেখে মলয় ঘটককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে ইডি সূত্রে খবর। উল্লেখ্য, কয়লা পাচার মামলায় এর আগে একাধিকবার আইনমন্ত্রীকে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু, কোনওবারই তিনি হাজিরা দেননি। জানা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত ১২ বার হাজিরা এড়িয়ে গেছেন তিনি। এবার তিনি কী করবেন, সেই দিকে নজর রয়েছে সকলের। 

    সিবিআইয়ের নজরেও মলয়

    এই মামলায় ইডির আগে, সিবিআইও জেরা করেছিল মন্ত্রীকে। মামলা তদন্তে সিবিআই বিরাট অভিযান চালিয়েছিল। তারা পৌঁছে গিয়েছিল মলয়ের আসানসোলের বর্তমান বাড়ি, পৈতৃক বাড়িতে। এমনকী রাজভবনের মন্ত্রী কোয়ার্টারের যে ফ্লোরে মলয় (Moloy Ghatak) থাকেন সেখানেও হানা দিয়েছিল সিবিআই। পরে, এই মামলায় ইডি-ও সামন্তরাল তদন্ত শুরু করলে, ডাক পড়ে মলয় ঘটকের। যে প্রেক্ষিতে, মন্ত্রীমশাই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। 

    এবার হাজিরা না দিলে কী পদক্ষেপ?

    শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেয়, অন্তত ১৫ দিন সময় নিয়ে মন্ত্রীকে ডাকতে হবে। সেই মতো, ৫ জুন কয়লা পাচার কাণ্ডে (Coal Smuggling Scam) মলয় ঘটককে হাজিরার নোটিশ পাঠিয়েছিল ইডি। তবে সেই ডাকে সাড়া দেননি রাজ্যের আইনমন্ত্রী। ১৯ জুন দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি যাননি। এরপর ২৬ জুনও হাজিরা দেননি তিনি। এই পরিস্থিতিতে মলয় ঘটক (Moloy Ghatak) এবারও যদি হাজিরা না দেন, তাহলে কী আইনি পদক্ষেপ করা যায়, সেই বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে বলে ইডি সূত্রে দাবি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Moloy Ghatak: কয়লাকাণ্ডে ফের মলয় ঘটককে দিল্লিতে তলব ইডি-র, এবার সঙ্গী লালা-ও

    Moloy Ghatak: কয়লাকাণ্ডে ফের মলয় ঘটককে দিল্লিতে তলব ইডি-র, এবার সঙ্গী লালা-ও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচার মামলায় (Coal Smuggling Case) ফের রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে (Moloy Ghatak) দিল্লিতে ডেকে পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। জানা গিয়েছে, ২৬ জুন কয়লাকাণ্ডে তাঁকে দিল্লিতে ডাকা হয়েছে। মন্ত্রীর পাশাপাশি দিল্লিতে তলব করা হয়েছে কয়লা পাচারকাণ্ডে অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালাকেও। তাঁকে ২৯ জুন তলব করা হয়েছে।

     বারবার হাজিরা এড়িয়েছেন রাজ্যের আইন মন্ত্রী!

    এর আগে একাধিকবার দিল্লিতে তলব করা হয়েছিল মন্ত্রীমশাইকে (Moloy Ghatak)। কিন্তু, প্রতিবারই তিনি তা এড়িয়ে গিয়েছেন। চলতি মাসে মলয় ঘটককে দুবার তলব করেছিল ইডি। গত ৫ জুন কয়লা পাচার কাণ্ডে মলয় ঘটককে হাজিরার নোটিশ পাঠিয়েছিল ইডি। তবে সেই ডাকে সাড়া দেননি রাজ্যের আইনমন্ত্রী। ১৯ তারিখ তাঁকে ডাকা হয়েছিল। সেটা তিনি এড়িয়ে যান। সূত্রের খবর, আইনজীবীর চিঠি মারফৎ মলয় জানিয়ে দেন, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিভিন্ন জেলায় প্রচারে ব্যস্ত থাকায় তিনি তদন্তকারীদের মুখোমুখি হতে পারছেন না। 

    এবার হাজিরা না দিলে কী পদক্ষেপ ইডি-র?

    এমনকি, ইডি যে তাঁকে দিল্লির বদলে কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদ করুক, এই আবেদন নিয়ে এর আগে দিল্লি হাইকোর্টেও আবেদন করেছিলেন মলয় ঘটক (Moloy Ghatak)। যদিও তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়ে দেয় যে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দিল্লি সদর দফতরেই হাজিরা দিতে হবে মলয়কে। তবে, কমপক্ষে ১৫ দিন আগে তাঁকে নোটিশ পাঠাতে হবে বলেও জানিয়ে দেয় আদালত। ইডি সূত্রের দাবি, এবারও মলয় ঘটক তদন্তকারী অফিসারের সামনে হাজির না হন এবং এই সমনও এড়িয়ে যান, তাহলে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা রাজ্যের আইন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বিষয়টি আদালতের নজরেও আনতে পারে।  সূত্রের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে এবার কড়া অবস্থান নিতে চলেছে ইডি। 

    মলয়ের দোসর অনুপ মাজি ওরফে লালা

    কয়লা পাচারকাণ্ডে মলয়ের (Moloy Ghatak) পাশাপাশি এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালাকেও এবার দিল্লিতে তলব করেছে ইডি। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, কয়লা পাচার কাণ্ডে সরাসরি জড়িত লালা। এর আগে, অনুপের কলকাতা এবং পুরুলিয়ার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল তদন্তকারী সংস্থা। পাশাপাশি, সিবিআই সূত্রের দাবি, অনুপের কিছু নথি থেকেই তাঁর সঙ্গে মলয়ের যোগাযোগের সূত্র মিলেছে। তার পরেই কয়লা পাচারকাণ্ডে নাম জড়ায় মলয়ের। এর পরই, গত বছরের সেপ্টেম্বরে মলয় ঘটকের আসানসোল ও কলকাতার বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। মন্ত্রীর কলকাতার ডালহৌসির সরকারি আবাসনেও তাঁকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁর ফোনও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: কয়লা পাচারকাণ্ডে মলয় ঘনিষ্ঠ আরও এক তৃণমূল নেতাকে তলব ইডির

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rujira Banerjee: প্রশ্নপত্র নিয়ে তৈরি ইডি! সিজিও পৌঁছলেন রুজিরা, উত্তর মিলবে কি?

    Rujira Banerjee: প্রশ্নপত্র নিয়ে তৈরি ইডি! সিজিও পৌঁছলেন রুজিরা, উত্তর মিলবে কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাজিরার সময় ছিল সকাল ১১টা। তবে, দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি-র দফতরে পৌঁছলেন রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rujira Banerjee)। কয়লা পাচার মামলায় আজ অভিষেক-পত্নীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এদিন দুপুর ১২টা নাগাদ হরিশ মুখার্জি রোডের বাড়ি থেকে বের হয় রুজিরার গাড়ি। তিনি বাড়ি থেকে বেরনোর আগে তাঁর বাড়িতে আসতে দেখা যায় দুই আইনজীবীকে। আইনজীবী সঞ্জয় বসুর সঙ্গে ছিলেন এক সহকারী। এর প্রায় আধ ঘণ্টা পর, রুজিরা পৌঁছন সিজিও-তে। 

    প্রশ্নমালা নিয়ে প্রস্তুত ইডি

    ইডি সূত্রে খবর, রুজিরার (Rujira Banerjee) জন্য আগে থেকেই তৈরি করে রাখা হয়েছে তিন-পাতার প্রশ্নমালা। অভিষেক-জায়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আগেই দিল্লি থেকে কলকাতায় চলে এসেছেন তিন সদস্যের তদন্তকারী দল। দলে রয়েছেন ইডির ডেপুটি ডিরেক্টর পঙ্কজ কুমার ও দু’জন অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিক। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা ২০মিনিট নাগাদ তাঁরা কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছন। সেখান থেকে সোজা চলে যান সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে।

    আরও পড়ুন: কয়লা পাচার মামলায় মলয় ঘটককে দিল্লিতে হাজিরার নির্দেশ ইডি-র

    সিজিও-তে নিরাপত্তার কড়াকড়ি

    এদিকে, রুজিরার হাজিরাকে (Rujira Banerjee) ঘিরে এখন আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে সিজিও কমপ্লেক্স। যে কোনও প্রকার অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে সেখানে। মোতায়েন করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীও। ইডির দফতরে প্রবেশ নিয়েও কড়াকড়ি করছে পুলিশ। ইডির দফতরের বাইরে বিধাননগর থানার পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ব্যারিকেড দিয়েও ঘিরে রাখা হয়েছে।

    বিমানবন্দরে আটকে দেওয়ার পরই তলবের চিঠি

    প্রসঙ্গত, গত সোমবার, অর্থাৎ ৫ জুন, দুবাই যাওয়ার পথে কলকাতা বিমানবন্দরে আটকানো হয় রুজিরাকে (Rujira Banerjee)। অভিবাসন দফতরের আধিকারিকরা তাঁকে জানান, ইডি-র মামলায় লুক আউট সার্কুলার জারি থাকায় বিদেশ যেতে পারবেন না রুজিরা। এরপর বিমানবন্দরেই অভিষেক-পত্নীকে হাজিরার নোটিস ধরায় ইডি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rujira Banerjee: কয়লা পাচার মামলায় আজ ইডি দফতরে রুজিরার হাজিরা! যাচ্ছেন কি?

    Rujira Banerjee: কয়লা পাচার মামলায় আজ ইডি দফতরে রুজিরার হাজিরা! যাচ্ছেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচার মামলায় আজ, বৃহস্পতিবার ইডি দফতরে তলব করা হয়েছে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Rujira Banerjee)। কলকাতার সিজিও কমপ্লেক্সে সকাল ১১টায় হাজিরা দেওয়ার কথা অভিষেক-পত্নীর।

    বিমানবন্দরে আটকে দেওয়ার পরই তলবের চিঠি

    সোমবার, বিদেশ যাওয়ার পথে কলকাতা বিমানবন্দরে আটকানো হয়েছিল রুজিরাকে (Rujira Banerjee)। অভিবাসন দফতরের আধিকারিকরা তাঁকে জানান, ইডি-র মামলায় লুক আউট সার্কুলার জারি থাকায় বিদেশ যেতে পারবেন না রুজিরা। এরপর বিমানবন্দরেই অভিষেক-পত্নীকে হাজিরার নোটিস ধরায় ইডি। সেই প্রেক্ষিতেই আজ হাজিরা দেওয়ার কথা অভিষেক-জায়ার। 

    আগেও ইডি-র প্রশ্নের সামনে পড়েছিলেন রুজিরা

    আজ হাজিরা দিলে এই নিয়ে দু’বার ইডি-র মুখোমুখি হবেন রুজিরা (Rujira Banerjee)। গত বছর ২৩ জুন কয়লা পাচার মামলায় প্রথম বার ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছিলেন অভিষেকের স্ত্রী। সেবারও সিজিও কমপ্লেক্সেই নথিভুক্ত হয়েছিল রুজিরার বয়ান। তার আগে এই একই মামলায় দু’বার সিবিআই জেরার মুখেও পড়তে হয়েছিল তাঁকে। প্রথমবার ২০২১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি এবং ফের ২০২২ সালের ১৪ জুন অভিষেকের বাসভবন ‘শান্তিনিকেতন’-এ গিয়ে রুজিরাকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই কর্তারা।

    আরও পড়ুন: কয়লা পাচার মামলায় মলয় ঘটককে দিল্লিতে হাজিরার নির্দেশ ইডি-র

    তলব করা হয়েছিল অভিষেককেও

    শুধু রুজিরা (Rujira Banerjee) নন, কয়লা পাচার মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছিল রুজিরার বোন মেনকা গম্ভীরকে।  সিজিও কমপ্লেক্সে দীর্ঘ সাত ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল তাঁকেও। গত বছর সেপ্টেম্বরে বিমানবন্দরেই ব্যাংকক যাওয়ার পথে আটকানো হয় মেনকাকে। তার আগে দিল্লিতেও তলব করা হয়েছিল তাঁকে।  

    এমনকি, জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে খোদ তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেককেও। তাঁকেও দু’বার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর, দিল্লিতে ইডি-র দফতরে প্রথম বার কেন্দ্রীয় এজেন্সির মুখোমুখি হন অভিষেক। সেদিন তাঁকে প্রায় ন’ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এর ৬ মাস পর ২০২২ সালের ২১ মার্চ, কয়লাকাণ্ডের তদন্তে ফের অভিষেককে আট ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malay Ghatak: কয়লা পাচার মামলায় মলয় ঘটককে দিল্লিতে হাজিরার নির্দেশ ইডি-র

    Malay Ghatak: কয়লা পাচার মামলায় মলয় ঘটককে দিল্লিতে হাজিরার নির্দেশ ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর মলয় ঘটক (Malay Ghatak)। কয়লা পাচার কাণ্ডে এবার রাজ্যের আইন মন্ত্রী মলয় ঘটককে দিল্লিতে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এই মর্মে তাঁকে নোটিশ পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, চিঠি পাঠিয়ে আগামী ১৯ জুন দিল্লির সদর দফতরে মলয় ঘটককে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে ইডি। এই একই মামলায় বৃহস্পতিবারই ডেকে পাঠানো হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। 

    এই নিয়ে তৃতীয়বার তলব

    এর আগে, কয়লা পাচার মামলায় দু-বার মলয় ঘটককে (Malay Ghatak) তলব করেছিল ইডি। গত ২৯ মার্চ মলয়কে দিল্লির প্রত্যাবর্তন ভবনে ডাকা হয়। এর পর এপ্রিল মাসে কয়লা পাচার কাণ্ডে মলয় ঘটককে দিল্লিতে তলব করেছিল ইডি। কিন্তু কোনওবারই হাজিরা দেননি রাজ্যের আইনমন্ত্রী। উল্টে তিনি দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। প্রথম দফায় ১২ এপ্রিল পর্যন্ত মলয়কে মৌখিক রক্ষাকবচ দেয় আদালত। দ্বিতীয় দফায় সেই রক্ষাকবচের মেয়াদ বাড়ানো হয় ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত। তারপর আরও ১৪ দিনের জন্য স্বস্তি পান তিনি। আগামী ১০ মে পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না, এমনটাই জানিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ ছিল, মলয়কে ১৫ দিনের সময় দেওয়ার কথা জানায় দিল্লি হাইকোর্ট। সেই সময় শেষ হওয়ার পরই এবার ১৫ দিনের সময় দিয়ে আগামী ১৯ জুন মলয়কে ডেকে পাঠাল ইডি। এবার মন্ত্রীমশাই হাজিরা দেবেন, না ফের তিনি আদালতের দ্বারস্থ হবেন, সেটাই দেখার। 

    আরও পড়ুন: ‘দুবাই যাওয়ার পথে রুজিরাকে আটকানো হল বিমানবন্দরে! কেন জানেন?

    মন্ত্রীর বাড়ি-দফতরে হয়েছিল তল্লাশি

    প্রসঙ্গত, কয়লা পাচার মামলায় গত বছর ২২ সেপ্টেম্বর মলয়ের (Malay Ghatak) বাড়ি সহ তাঁর অফিসে তল্লাশি চালান ইডি আধিকারিকরা। আসানসোলে মলয়ের দু’টি বাড়িতে তল্লাশি অভিযান শুরু করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। একটি বাড়িতে তালাবন্ধ দেখে অন্য আর একটি বাড়িতে যান তারা। মন্ত্রীর কলকাতার সরকারি আবাসনেও টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • IPS Koteswar Rao: জ্ঞানবন্ত না গেলেও দিল্লির ইডি দফতরে আজ যাচ্ছেন আর এক আইপিএস কোটেশ্বর রাও

    IPS Koteswar Rao: জ্ঞানবন্ত না গেলেও দিল্লির ইডি দফতরে আজ যাচ্ছেন আর এক আইপিএস কোটেশ্বর রাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  জ্ঞানবন্ত সিংহ (IPS Gyanwant Singh) হাজির হননি, কিন্তু মঙ্গলবার দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দিতে গেলেন আইপিএস অফিসার কোটেশ্বর রাও (IPS Koteswar Rao)। কয়লা পাচার কাণ্ডে (Coal smuggling case) আয়কর তল্লাশিতে (Income Tax raid) মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি (Anoop Majhi) ওরফে লালার বাড়ি থেকে এমন কিছু নথিপত্র পাওয়া গিয়েছে, যেখানে কোটেশ্বরের যোগসূত্র মিলেছে। লালার ডায়েরিতেও কোটেশ্বরের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের তথ্য মিলেছে বলে ইডি দাবি করেছে। সেই প্রেক্ষিতেই আগেও একদফা ডেকে পাঠানো হয়েছিল পশ্চিমাঞ্চলে কাজ করা আট জন আইপিএসকে (ED summons 8 IPS) । এবারও সেই সূত্রেই ফের ডাক দিয়েছে ইডি (ED)।

     জ্ঞানবন্ত না গেলেও এদিন অবশ্য কোটেশ্বর হাজির হচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। বাকি অফিসাররা এখনও লিখিতভাবে কিছু জানাননি। ফলে তাঁরাও হাজির হতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। জ্ঞানবন্ত ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে গত সোমবার ইডির হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন। তাঁকে ফের ডাকা হতে পারে বলে তদন্তকারী সংস্থাসূ্ত্রের দাবি। 

    আরও পড়ুন: বালি-পাথরের ‘নবগ্রহ’ ইডি-সিবিআইয়ের নজরে, কেষ্টর পর কে কে? 

    এছাড়াও তালিকায় রয়েছেন, রাজীব মিশ্র , সুকেশ জৈন, শ্যাম সিং, এস সেলভামুরগান, তথাগত বসু, ভাস্কর মুখোপাধ্যায়। জ্ঞানবন্ত সিংকে ডাকা হয়েছিল ২২ অগাস্ট, কোটেশ্বর রাওকে ডাকা হয়েছে ২৩ অগাস্ট, শ্যাম সিংকে ডাকা হয়েছে ২৪ অগাস্ট। এছাড়াও এস সেলভামুরুগান, রাজীব মিশ্র, সুকেশ জৈন, তথাগত বসু এবং ভাস্কর মুখোপাধ্যায়কে যথাক্রমে ২৫, ২৬, ২৯, ৩০, ৩১ অগাস্ট তলব করেছে ইডি। দিল্লির ইডি দফতরে তলব করা হয়েছে তাঁদের ৷ কয়লাপাচার কাণ্ডে ইতিমধ্যেই আইপিএস জ্ঞানবন্ত সিংকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন ইডি আধিকারিকরা ৷ দিল্লিতে দুবার ও কলকাতায় একবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে ৷ রেকর্ড করা হয়েছে তাঁর বয়ানও৷ এস সিলভা মুরুগানকেও এর আগে একবার তলব করেছে কেন্দ্রীয় এই গোয়েন্দা সংস্থা।

    আরও পড়ুন: জুলাই মাসে রাশিয়া ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম কয়লা সরবরাহকারী, বলছে রিপোর্ট 

    ইডি আধিকারিকদের দাবি, কয়লাপাচার কাণ্ডে অন্যান্যদের জেরা করে এই ৮ আইপিএস অফিসারদের নাম উঠে এসেছে ৷ আসানসোল-রানিগঞ্জ, পুরুলিয়া, বাঁকুড়াসহ একাধিক জায়গায় কর্মরত থাকা কালীন এই পুলিশ আধিকারিকদের কাছে কয়লাপাচার সংক্রান্ত কোনও তথ্য ছিল কিনা তা জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে চাইবেন ইডি আধিকারিকরা। যদি জানা থাকে তাহলে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল ? কোনও প্রভাবশালীর নাম তাঁরা জানতেন কি না? ইডির আরও প্রশ্ন থাকবে, জানা থাকলে এবিষয়ে তাঁরা কোনও ব্যবস্থা নিয়েছিলেন কি না? এবিষয়ে কোনও ব্যক্তিকে আজ অবধি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কি না সে বিষয়েও এই আট আধিকারিকের কাছে জানতে চাইবে ইডি। 

    আগেও এই পুলিশ কর্তাদের তলব করা হয়েছিল। তাঁদের বিরুদ্ধে যে শুধু নিষ্ক্রিয় থাকার অভিযোগ রয়েছে তাই নয়, সরাসরি পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগও উঠেছে। অভিযোগ, পুলিশের চোখের সামনে দিয়ে লরি করে কয়লা পাচার করা হত। তারপরও পুলিশের মুখ বন্ধ ছিল। মূলত আসানসোল, পুরুলিয়া এলাকাতেই চলত পাচার। 

    এঁদের মধ্যে কেউ তখন ছিলেন জেলার পুলিশ সুপার, কেউ ছিলেন আইসি। তদন্তকারী আধিকারিকদের দাবি, এই পুলিশ কর্তারা ইচ্ছে করেই আটকাননি পাচার। ইডি সূত্রের খবর, ওই পুলিশ আধিকারিকদের কাছে থাকত বিশেষ টোকেন নম্বর, যা দেখে কয়লার গাড়ি ছেড়ে দেওয়া হত। কার্যত পাচারে সুবিধা করে দেওয়া হত। এমনকি আর্থিক দিক থেকে লাভবানও হতেন এই পুলিশকর্তারা বলে অভিযোগ করেছে ইডি। আগেও একাধিক অফিসারকে এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।

    উল্লেখ্য, কয়লাপাচার কাণ্ডে এর আগে দিল্লিতে তলব করা হয় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। 

    এসএসসি দুর্নীতিতে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। পার্থ ঘনিষ্ঠের বাড়ি থেকে ৫০ কোটিরও বেশি টাকা উদ্ধার হয়েছে। ওই টাকা এল কোথা থেকে তার তদন্তে নেমেছে ইডি। দশ বার নোটিস এড়ানোর পর আজ গরুপাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলকে তার বোলপুরের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এবার ইডির নজরে রাজ্যের ৮ আইপিএস অফিসার। ফলে রাজ্য সরকার যে যথেষ্ট বিপাকে রয়েছে তা বলাই বাহুল্য। 
        

  • Anubrata Mondal: কোথায় কেষ্ট? পার্থর পর এবার কি অনুব্রতর পালা? জোর জল্পনা!

    Anubrata Mondal: কোথায় কেষ্ট? পার্থর পর এবার কি অনুব্রতর পালা? জোর জল্পনা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বলেছিলেন একুশের (TMC Shahid Diwas) সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন। একেবারে দলনেত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই মঞ্চে থাকবেন। এও জানিয়েছিলেন, তাঁর জেলা থেকে ২ লক্ষ মানুষ সমাবেশে যোগ দেবে। বাকিটা ইতিহাস। কোনও কথাই রাখতে পারেননি কেষ্ট। 

    কিন্তু, একুশের সভায় না থেকে কোথায় ছিলেন অনুব্রত (Anubrata) মণ্ডল? জানা গিয়েছে, বাড়িতেই ছিলেন কেষ্ট। ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন, তাঁর শরীর ভালো নেই। তাই তিনি যেতে পারেননি। এই প্রথম নয়। বেশ কিছুদিন যাবৎ কেষ্টকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। দলীয় কার্যালয়ে নেতা-কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করলেও প্রকাশ্য কোনও সভায় দেখা যায়নি অনুব্রতকে। সূত্রের খবর, এখন নাকি অনুব্রত বোলপুরের বাড়ি থেকে আর বেরোতে চাইছেন না। কারও সঙ্গে দেখা করছেন না। 

    কিন্তু, কীসের জন্য দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমাবেশে হাজির থাকতে পারলেন না দলনেত্রীর প্রিয় কেষ্ট? এমন কী হয়েছে তাঁর? সূত্রের দাবি, গত কয়েকদিনে বারবার শিরোনামে উঠে এসেছেন বীরভূমের এই নেতা ৷ বর্তমানে পাঁচটি মামলায় কেষ্টর মাথার ওপর কেন্দ্রীয় তদন্তের খাঁড়া ঝুলছে। গরু পাচার, গৌরব সরকার খুনের মামলা, জোড়া বোমা বিস্ফোরণ, বগটুই ও ভাদু শেখের খুনের ঘটনা। এরমধ্যে, বোমা বিস্ফোরণের তদন্ত করছে এনআইএ। বাকিগুলি খতিয়ে দেখছে সিবিআই (CBI)।

    আরও পড়ুন: গরু পাচার মামলায় বিপুল সম্পত্তির হদিশ অনুব্রতর? আদালতে তথ্য দিল সিবিআই

    সূত্রের খবর, এছাড়াও গরুপাচারকয়লা পাচারের ঘটনায় শোনা যাচ্ছে, খুব শীঘ্রেই আসরে নামতে চলেছে ইডি-ও (Enforcement Directorate)। দিল্লির ইডি দফতর থেকে কলকাতার সিবিআই দফতরে চিঠি পাঠানো হয়েছে এবং বিভিন্ন তথ্য চাওয়া হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এর পর কেষ্ট মণ্ডল ও তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের দিকে ঘুরতে পারে ইডি তদন্তের ভার। শোনা যাচ্ছে, মেয়ে ও মৃত স্ত্রীর নামে বিপুল সম্পত্তি রয়েছে কেষ্টর। তার হদিশ মিলেছে। এর পাশাপাশি, রাজ্যের এক মন্ত্রীর সঙ্গে বহু পার্টনারশিপে বেনামি সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে ইডি।

    সবমিলিয়ে, এখন চরম সংকটের মুখে অনুব্রত। একুশের মঞ্চ থেকে দলনেত্রীর মুখ দিয়ে ১৩০ বার ইডি-সিবিআই-ভয় শব্দগুলি বেরিয়েছে। তা শুনেই কি আরও ভয় পাচ্ছেন কেষ্ট?

  • Coal Scam: কোটি কোটি টাকার লেনদেন! ৫ দিনের সিবিআই হেফাজতে  ৭ ইসিএল আধিকারিক

    Coal Scam: কোটি কোটি টাকার লেনদেন! ৫ দিনের সিবিআই হেফাজতে  ৭ ইসিএল আধিকারিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচার-কাণ্ডে ধৃত ইস্টার্ন কোল্ডফিল্ড লিমিটেড (ECL)-এর সাত জন বর্তমান ও প্রাক্তন কর্তাকে পাঁচ দিনের সিবিআই হেফাজতে পাঠাল আদালত। বৃহস্পতিবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী এই নির্দেশ দিয়েছেন। বুধবার সকাল থেকে দফায় দফায় জেরা শেষে গ্রেফতার করা হয় সাত কর্তাকে। যাদের মধ্যে বর্তমান জেনারেল ম্যানেজার পদমর্যাদা’র বেশ কয়েকজন রয়েছেন আবার রয়েছেন দুইজন সিকিউরিটি ম্যানেজারও। বৃহস্পতিবার ধৃতদের আসানসোল আদালতে তোলা হয়। সেখানে ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার দাবি জানান তদন্তকারীরা। 

    আরও পড়ুন: কয়লা-পাচার কাণ্ডে আজ সিবিআই আদালতে সাত ইসিএল কর্তা

    সিবিআইয়ের দাবি, কয়লা-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে এই অভিযুক্তদের। পাশাপাশি, তাঁদের অর্থ লেনদেনের বিভিন্ন তথ্য সিবিআই এর হাতে এসেছে। সরকারি আধিকারিকও হয়েও অভিযুক্তেরা সরকারি সম্পত্তি রক্ষা করার যথেষ্ট চেষ্টা করেননি বলে সিবিআইয়ের দাবি। বরং নিজেদের পদে থেকে বিভিন্ন ভাবে ব্যক্তিগত লাভের বিনিময়ে কয়লা-কাণ্ডের মূল অভিযুক্তদের সাহায্য করেছেন তাঁরা। তদন্তকারীদের কথায়, ২০১৮ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ধৃতদের মদতেই কয়লা কেলেঙ্কারি ঘটে। এমনকি মোটা অঙ্কের টাকাও লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ। 

    আরও পড়ুন: এবার কয়লা পাচারকাণ্ডে তৃণমূল বিধায়ক সওকত মোল্লাকে তলব সিবিআইয়ের

    উল্লেখ্য, ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন বর্তমান ইসিএল আধিকারিক এসসি মৈত্র। রয়েছেন, ইসিএলের তিন প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজার সুশান্ত ব্যানার্জি, অভিজিৎ মল্লিক এবং তন্ময় দাস। তন্ময় দাস আগে ইসিএলের প্রধান নিরাপত্তা আধিকারিক ছিলেন। এ ছাড়াও গ্রেফতার করা হয়েছে নিরাপত্তা আধিকারিক ম্যানেজার মুকেশ কুমার, নিরাপত্তা আধিকারিক রিঙ্কু বেহেরা ও দেবাশিস মুখোপাধ্যায়কে। অভিযুক্তদের আইনজীবীরা দাবি করেন, তাঁদের মক্কেলদের হিসাব বহির্ভূত কোনো সম্পত্তি বা অর্থের হদিস সিবিআই পায়নি। ধৃত তন্ময় দাসের আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেল রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরে এমনকি মুখ্যমন্ত্রীকে পর্যন্ত চিঠি দিয়েছেন। সিআইএসএফ আধিকারিকদেরও বিষয়টি জানিয়েছেন। অর্থাৎ যা যা করণীয় সবই করেছেন। সব অভিযোগ মিথ্যা। তবে সিবিআইয়ের দাবি, তাঁরা প্রমাণ হাতে নিয়েই সব কাজ করছেন।

LinkedIn
Share