Tag: Bengali news

Bengali news

  • Sri Aurobindo: শ্রী অরবিন্দ প্রকৃত অর্থেই ছিলেন এক বিপ্লবী ও দূরদর্শী চিন্তাবিদ

    Sri Aurobindo: শ্রী অরবিন্দ প্রকৃত অর্থেই ছিলেন এক বিপ্লবী ও দূরদর্শী চিন্তাবিদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রী অরবিন্দ ঘোষ (Sri Aurobindo) কেবল কবি, দার্শনিক এবং যোগীর গুণাবলীই ধারণ করেননি, বরং তিনি প্রকৃত অর্থেই ছিলেন এক বিপ্লবী ও দূরদর্শী চিন্তাবিদ। তিনি ছিলেন ভারতের (Bharat) পূর্ণ স্বরাজ দাবি করা প্রথম দিকের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের অন্যতম। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী শাসনের বিরুদ্ধে এক বিপ্লবী সংগ্রামের নেতৃত্বও দেন। যদিও তিনি ইংরেজি বিদ্যালয়ে শিক্ষালাভ করেছিলেন, তবুও সেই শিক্ষাকে মানবকল্যাণে এবং ভারতের জনগণকে বোঝাতে ব্যবহার করেন যে, ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্তির একমাত্র পথ হল বিপ্লব। তবে তাঁর বিপ্লবের ধারণা ছিল ‘দিব্যত্ব’ ও মাতৃভূমির ঐক্যের ধারণার ওপর ভিত্তি করে।

    ‘সমন্বিত যোগে’র পথপ্রদর্শক (Sri Aurobindo)

    আধ্যাত্মিক ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন ‘সমন্বিত যোগে’র পথপ্রদর্শক এবং এই নীতির এক সমসাময়িক ব্যাখ্যাতা, যা মানব চেতনাকে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে নিরাকার আলোর সঙ্গে সাকার আলোর সংযুক্তি ঘটায়। অরবিন্দ যোগাভ্যাসকে অভ্যন্তরীণ জাগরণ ও সচেতন মনের বিকাশের সর্বোত্তম উপায় হিসেবে গুরুত্ব দেন। মহান এই দেশপ্রেমিকের ভাবনা একই সঙ্গে অতীতের এক জীবন্ত দলিল ও সংরক্ষিত নথি, যা ভারতের বর্তমান অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত দ্বিধাবিভক্ত পরিস্থিতিতে অনুপ্রেরণাদায়ক দিকনির্দেশনা দেয়। সর্বোপরি, তাঁর ভারত-ভাবনা ছিল সভ্যতাকে একতার রূপে দেখা, যা সংস্কৃতির দ্বারা পুষ্ট এবং গভীরতর চেতনার দ্বারা প্রণোদিত। তিনি ভারতের উপলব্ধি ও দেশের মানুষের ঐক্যের পথে একাধিক ধারণা দিয়েছেন। কারাবাস পর্বে যখন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ তাঁকে নির্মমভাবে শোষণ করেছিল, তখন তিনি যোগ, ভগবদ্গীতা পাঠ এবং মন ও আত্মার জাগরণকে দিব্যত্ব লাভের একমাত্র (Bharat) পথ হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন (Sri Aurobindo)।

    ভারতীয় ঐক্যের কথা

    অরবিন্দ যখন ভারতীয় ঐক্যের কথা বলেছিলেন, তখন তিনি কখনওই জোরজবরদস্তি বা অভিন্নতার মাধ্যমে ঐক্য বোঝাননি, বরং বৈচিত্র্যের অন্তরে নিহিত আধ্যাত্মিক ঐক্যের প্রতি জাগরণের কথা বলেছেন। ভারতীয় প্রতিভা সবসময়ই অগণিত বৈচিত্র্যকে কঠোর অভিন্নতা বা যান্ত্রিক কেন্দ্রীকরণ ছাড়াই এক জীবন্ত সত্তায় ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। দ্য আইডিয়াল অফ হিউম্যান ইউনিটি গ্রন্থে তিনি লিখেছেন, ভারত একটি জৈবিক ঐক্য, যা সহস্রাব্দ ধরে অভিন্ন আধ্যাত্মিক আদর্শ, দার্শনিক অনুসন্ধান এবং সাংস্কৃতিক স্মৃতির দ্বারা লালিত হয়েছে—ইতিহাসের দ্বারা চাপিয়ে দেওয়া কৃত্রিম কোনও কাঠামো নয় (Sri Aurobindo)। একজন জাতীয় নেতার কাজ এবং একটি জাতির ভূমিকা হল জাতির সমষ্টিগত চেতনাকে তার প্রকৃত সত্তার প্রতি জাগ্রত করা, কেবল প্রশাসনিক সংহতি প্রতিষ্ঠা করা নয়।

    অরবিন্দের দর্শন

    অরবিন্দের দর্শন স্পষ্টভাবে মনে করিয়ে দেয় যে, ঐক্য কেবলমাত্র ভৌতিক বন্ধনে রক্ষা করা যায় না, বরং তা হতে হবে একটি গভীর ভিত্তির ওপর, যা অভিন্ন সাংস্কৃতিক চেতনায় স্থাপিত। এটি বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক আমাদের সময়ে, যখন মতাদর্শগত ও সাম্প্রদায়িক বিভাজন জাতির ঐক্যের বুনোটকে হুমকির মুখে ফেলছে। অরবিন্দর মতে, একজন জাতীয় নেতার কাজ হল জনগণের অন্তর্লোককে জাগিয়ে তোলা। এই জাগরণ আসবে মানবতার মূল ভিত্তিকে পুনরায় গুরুত্ব দেওয়ার মাধ্যমে, যার মূল রয়েছে বিশ্বাসে এবং প্রতিকূল সময়েও ঐক্যবদ্ধভাবেই থাকবে (Bharat)। অরবিন্দর মতে, একটি জাতির সংস্কৃতি হল তার সাহিত্য, শিল্প, নীতি ও চিন্তায় গভীর আত্মপ্রকাশ। ভারতীয় সংস্কৃতি নিয়ে তাঁর প্রভাবশালী প্রবন্ধসমূহে তিনি যুক্তি দেন যে ভারতের আসল শক্তি তার সেই ক্ষমতায়, যেখানে সে নতুন প্রভাবকে গ্রহণ করতে পারে নিজের মৌলিক পরিচয় হারানো ছাড়াই। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে পরিবর্তনের মধ্যে দিয়েও ভারত টিকে থাকতে ও নিজেকে পুনর্জীবিত করতে পেরেছে এই গতিশীলতার কারণে, কঠোর নিয়মানুবর্তিতার কারণে নয় (Sri Aurobindo)।

    মনের কল্পনার ফসল

    তাঁর ভবানু মন্দির বইটি দিনের আলো দেখেছিল ১৯০৫ সালে। তাতে তিনি লিখেছিলেন, “একটি জাতি কেবল একটি ভূখণ্ড নয়, নয় কেবল একটি বাক্যের অলঙ্কার, নয় মনের কল্পনার ফসল। এটি এক মহাশক্তি, যা গঠিত হয় সেই কোটি কোটি মানুষের শক্তি দিয়ে, যারা মিলে জাতিকে নির্মাণ করে।” তিনি বলেন, এই শক্তি টিকে থাকে সংস্কৃতির অন্তর্নিহিত আধ্যাত্মিক মূল্যবোধের দ্বারা। যখন সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণ ও সংরক্ষণ নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে আলোচনা শীর্ষে, তখন অরবিন্দের কৌশল একটি ভারসাম্য রক্ষা করে। তাঁর বক্তব্য, সভ্যতার ঐতিহ্যকে মর্যাদা দাও, কিন্তু তাকে এমনভাবে বিকশিত ও পরিবর্তিত হতে দাও যাতে আধুনিক বিশ্বের চাহিদা পূরণ করে, ফলে এটি একটি জীবন্ত সত্তা হিসেবে থাকে, জাদুঘরের নিদর্শন না হয়ে যায় (Sri Aurobindo)।

    যখন আমরা বলি সংস্কৃতি একটি জীবন্ত সত্তা, তখন তার মানে হল আমরা আমাদের সাংস্কৃতিক নিয়ম, বিধি ও প্রথাগুলি পালন করি এবং এমন নতুন পথ খুঁজি যা সমগ্র সভ্যতার ঐক্যের পথে দিশা দেখাতে পারে। সভ্যতা একদিনে তৈরি হয় না। যখন আমরা হিন্দু সভ্যতার কথা বলি, তখন আমরা সেই সভ্যতার কথা বলি যা বেদ (Bharat) ও উপনিষদের আদর্শ ও নীতির উপর নির্মিত, নীতি শাস্ত্র এবং আমাদের পুরাণকথার ওপর প্রতিষ্ঠিত, যা এই সামষ্টিক চেতনার ভিত্তি (Sri Aurobindo)।

  • Pakistan: “এটি নতুন ভারত, যা কোনও আপস করে না”, লালকেল্লা থেকেই পাকিস্তানকে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    Pakistan: “এটি নতুন ভারত, যা কোনও আপস করে না”, লালকেল্লা থেকেই পাকিস্তানকে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানকে (Pakistan) সতর্ক করে বলেন যে ভারত আর পারমাণবিক হুমকির কাছে নতি স্বীকার করবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটি নতুন ভারত, যা কোনও আপস করে না। ভারত সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে আর কোনওভাবেই পরমাণু হুমকি সহ্য করবে না। আমরা কোনও ধরনের ব্ল্যাকমেলের ফাঁদে পা দেব না।” শুক্রবার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। পাকিস্তানকে সতর্ক করে তিনি জানান, ভারত এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে রক্ত ও জল একই সঙ্গে প্রবাহিত হবে না।

    রক্ত ও জল এক সঙ্গে প্রবাহিত হবে না (Pakistan)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে রক্ত ও জল এক সঙ্গে প্রবাহিত হবে না। মানুষ এখন বুঝতে পেরেছে যে সিন্ধু জল চুক্তি অন্যায্য। সিন্ধু নদী ব্যবস্থা থেকে প্রবাহিত জল শত্রুর জমি সেচের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে, অথচ আমাদের দেশের কৃষকরা ভুগছেন। কেমন ধরনের চুক্তি এটি, যা গত সাত দশক ধরে আমাদের কৃষকদের এত বড় ক্ষতির কারণ হয়েছে?” প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সিন্ধু জল চুক্তি নিয়ে ভারতকে হুমকি দিয়েছিলেন। এদিন লালকেল্লার অনুষ্ঠান থেকে তাকে কার্যত ফুৎকারে উড়িয়ে দিলেন (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী।

    ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীকে ব্ল্যাক চেক!

    শাহবাজ শরিফ মঙ্গলবার বলেন, “দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের প্রাপ্য এক ফোঁটা জলও ভারতকে ছিনিয়ে নিতে দেওয়া হবে না।” প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার একদিন পর ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেয়, যার মধ্যে ১৯৬০ সালের সিন্ধু জল চুক্তি (IWT) স্থগিত রাখাও অন্তর্ভুক্ত। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “ভারত জঙ্গি ও যারা তাদের সমর্থন করে, তাদের মধ্যে কোনও পার্থক্য করবে না এবং প্রতিবেশী দেশ থেকে ভবিষ্যতে কোনও ধরনের দুঃসাহসিক কর্মকাণ্ড ঘটলে তার শাস্তি কী হবে, তা ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীই ঠিক করবে (Pakistan)।”

  • Tariff War: “দাম কম, দম বেশি মন্ত্র অনুসরণ করতে হবে ভারতকে,” লালকেল্লায় বললেন মোদি

    Tariff War: “দাম কম, দম বেশি মন্ত্র অনুসরণ করতে হবে ভারতকে,” লালকেল্লায় বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারতকে উচ্চমানের ও সাশ্রয়ী পণ্যের ওপর জোর দিতে হবে “দাম কম, দম (গুণমান) বেশি” মন্ত্র অনুসরণ করে, যাতে একটি সমৃদ্ধশালী,  স্বনির্ভর দেশ হিসেবে গড়ে তোলা যায়, যা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ত্যাগকে সম্মান জানায়।”  শুক্রবার ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে দিল্লির লালকেল্লায় ভাষণ দিতে (Tariff War) গিয়ে কথাগুলি বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। শুধু তাই নয়, দেশবাসীকে সতর্ক করে তিনি বলেন, “অন্যদের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্থিতিশীলতাকে দুর্বল করতে পারে”। ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শুল্ক নিয়ে দড়ি টানাটানির আবহে তিনি বলেন, “যারা অন্যের ওপর অতিরিক্ত নির্ভর করে, তারা নিজের স্বাধীনতার ওপর বড় প্রশ্নচিহ্ন ডেকে আনে।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (Tariff War)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আসল দুর্ভাগ্য শুরু হয় তখন, যখন নির্ভরতা অভ্যাসে পরিণত হয়। আর বুঝতেই না পেরে আমরা আত্মনির্ভর হওয়া বন্ধ করে দিই এবং অন্য কারও ওপর নির্ভর করতে শুরু করি। এই অভ্যাস ঝুঁকিমুক্ত নয়, তাই আত্মনির্ভর থাকতে হলে আমাদের সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আত্মনির্ভরতা কেবলমাত্র আমদানি, রফতানি বা মুদ্রা বিনিময়ের সীমার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি আমাদের সক্ষমতার সঙ্গেও যুক্ত। যখন আত্মনির্ভরতা ক্ষয় হতে শুরু করে, তখন আমাদের শক্তিও ক্ষয় হয়। আমাদের সক্ষমতা রক্ষা, বজায় রাখা এবং উন্নত করার জন্য আত্মনির্ভরতা অপরিহার্য।”

    বিশ্বে সম্মান অর্জনের জন্য ভারতীয়দের করণীয়

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক স্বার্থপরতার এই (Tariff War) সময়ে (PM Modi), বিশ্বে সম্মান অর্জনের জন্য ভারতকে অন্যদের সীমিত করার বদলে নিজেকে শক্তিশালী করায় মনোযোগ দিতে হবে। আমাদের উচিত নয় অন্য কারও লাইন ছোট করার চেষ্টা করে নিজের শক্তি নষ্ট করা। বরং আমাদের নিজের লাইনকে সর্বশক্তি দিয়ে দীর্ঘায়িত করতে হবে। বিশ্ব আমাদের শক্তিকেই সম্মান দেবে। বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে, যেখানে অর্থনৈতিক স্বার্থপরতা দিন দিন বেড়েই চলেছে, সেখানে প্রয়োজন কাঁদতে বসে থাকা নয়, বরং সাহসের সঙ্গে নিজের লাইন দীর্ঘ করা।” এর পরেই তিনি বলেন, “আমাদের কাজ করা উচিত এই মন্ত্র (PM Modi) নিয়ে—‘দাম কম, দম বেশি’, অর্থাৎ খরচ কম, গুণমান বেশি। মনে রাখতে হবে, আমাদের স্বাধীনতা এসেছে অসীম ত্যাগের মাধ্যমে (Tariff War)।”

  • PM Modi: “সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশের জনসংখ্যার গঠন বদলানো হচ্ছে”, লালকেল্লা থেকে তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: “সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশের জনসংখ্যার গঠন বদলানো হচ্ছে”, লালকেল্লা থেকে তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আজ আমি জাতিকে একটি উদ্বেগ, একটি চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে সতর্ক করতে চাই। একটি সুচিন্তিত ও সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশের জনসংখ্যার গঠন বদলানো হচ্ছে, এবং একটি নতুন সংকটের বীজ বপন করা হচ্ছে।” শুক্রবার দেশের ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দেশের কিছু অঞ্চলে জনসংখ্যাগত পরিবর্তন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন জনসংখ্যা মিশনের সূচনা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘‘এই অনুপ্রবেশকারীরা আমার দেশের যুবকদের জীবিকা কেড়ে নিচ্ছে (Indias Demography)। এই অনুপ্রবেশকারীরা আমাদের বোন ও কন্যাদের লক্ষ্য করছে – এটি বরদাস্ত করা হবে না। এই অনুপ্রবেশকারীরা নিরীহ আদিবাসী মানুষদের ভুল পথে চালিত করছে এবং তাদের জমি দখল করছে – জাতি এটি মেনে নেবে না।’’

    সামাজিক উত্তেজনার বীজ (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘এই কারণেই প্রিয় দেশবাসী যখন জনসংখ্যাগত পরিবর্তন ঘটে বিশেষ করে সীমান্ত অঞ্চলে, তখন তা জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। এটি দেশের ঐক্য, অখণ্ডতা এবং অগ্রগতির জন্য বিপদ ডেকে আনে এবং সামাজিক উত্তেজনার বীজ বপন করে। তিনি বলেন, কোনও দেশ নিজেকে অনুপ্রবেশকারীদের হাতে তুলে দেয় না। পৃথিবীর কোনও দেশ এটি করে না। তাহলে আমরা কেন ভারতের ক্ষেত্রে এটি মেনে নেব?’’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমাদের পূর্বপুরুষরা ত্যাগ ও সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলেন এবং আমাদের একটি স্বাধীন ভারত দিয়েছিলেন। সেই মহান মানুষদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব হল দেশের ভেতরে এমন কার্যকলাপ মেনে না নেওয়া। এটাই হবে তাঁদের প্রতি সত্যিকারের শ্রদ্ধাঞ্জলি।’’

    প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা

    তিনি (PM Modi) বলেন, ‘‘লালকেল্লার প্রাচীর থেকে আমি ঘোষণা করতে চাই যে আমরা একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন জনসংখ্যা মিশন শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই মিশনের মাধ্যমে যে ভয়াবহ সংকট আমরা ভারতের ওপর ঘনিয়ে আসতে দেখছি (Indias Demography), সেটির মোকাবিলা পরিকল্পিত ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞভাবে, একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে করা হবে। আমরা সেই দিকেই এগিয়ে যাচ্ছি (PM Modi)।’’

  • PM Modi: “সরলীকৃত জিএসটি ব্যবস্থা নয়া প্রজন্মের জন্য উপহার হতে চলেছে,” লালকেল্লা থেকে বললেন মোদি

    PM Modi: “সরলীকৃত জিএসটি ব্যবস্থা নয়া প্রজন্মের জন্য উপহার হতে চলেছে,” লালকেল্লা থেকে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সরলীকৃত জিএসটি (GST) ব্যবস্থা নয়া প্রজন্মের জন্য এক উপহার হতে চলেছে।” এর ফলে দেশব্যাপী করের বোঝা কমবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসের সকালে লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে এই ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    জিএসটি পরিকাঠামোয় বদল (PM Modi)

    প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছিলেন ১১বার। আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এখান থেকে ভাষণ দিলেন ১২বার। ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট ধরে বক্তৃতা দিয়েছেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে এটাই তাঁর দীর্ঘতম ভাষণ। গত বছর ৯৮ মিনিট ভাষণ দিয়েছিলেন তিনি। এবছর ১০৫ মিনিট ধরে একাধিক ইস্যুতে বক্তব্য রেখেছেন মোদি। সেখানেই তিনি জানান, জিএসটি ব্যবস্থায় সরলীকরণ আনার জন্য ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে কেন্দ্র। জিএসটি পরিকাঠামোয় যে বদল আসতে পারে, সেই আভাস মিলেছিল গত জুলাইয়েই। এ বার লালকেল্লা থেকে প্রায় পৌনে দু’ঘণ্টার ভাষণে মোদি ঘোষণা করলেন, দীপাবলিতে জিএসটি পরিকাঠামোয় বদল আসছে। তিনি বলেন, “এ বারের দীপাবলি আমি আপনাদের জন্য দ্বিগুণ আনন্দের করে দিচ্ছি। এই দীপাবলিতে দেশবাসী একটি বড় উপহার পাবেন। আমরা নয়া প্রজন্মের জিএসটি সংস্কার আনছি। এর ফলে সারা দেশে করের বোঝা কমবে। দীপাবলির আগে এটিই হবে উপহার।” তিনি জানান, এই সংস্কারগুলির উদ্দেশ্য দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর করের বোঝা কমানো, যাতে নাগরিকদের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস আরও সাশ্রয়ী হয়।

    “ডাবল দীপাবলি” উপহার

    একই সঙ্গে শিল্পক্ষেত্রের জন্যও উল্লেখযোগ্য সুবিধা দেওয়া যায়। জিএসটি কার্যকর হওয়ার আট বছরের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী এই পরিবর্তনগুলিকে জাতির জন্য “ডাবল দীপাবলি” উপহার হিসেবে বর্ণনা করেন। এক্স হ্যান্ডেলে সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, এটি একদিকে ভোক্তাদের জন্য স্বস্তি, অন্যদিকে ব্যবসার জন্য প্রবৃদ্ধির ইঙ্গিত করে (PM Modi)।  কর সংস্কারের (GST) পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ‘বিকশিত ভারত রোজগার যোজনা’ নামে যুবশক্তির ক্ষমতায়নে একটি জাতীয় কর্মসংস্থান কর্মসূচি চালু করেন। ১ লাখ কোটি টাকার বরাদ্দ নিয়ে এই কর্মসূচি যোগ্য তরুণ উপকারভোগীদের প্রতি মাসে ১৫,০০০ টাকা আর্থিক সহায়তা দান করবে।

    এর উদ্দেশ্য হল, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক সুযোগের বিস্তার এবং দেশের ক্রমবর্ধমান কর্মশক্তির জন্য দক্ষতা উন্নয়নে সাহায্য করা। এই ঘোষণাগুলি সরকারের দ্বিমুখী মনোযোগ – অর্থনৈতিক অগ্রগতি বজায় রাখা এবং কর্মসংস্থানের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা স্পষ্ট করে। প্রধানমন্ত্রী জানান, কর ছাড়ের সঙ্গে সরাসরি কর্মসংস্থান সহায়তা যুক্ত করে, এই উদ্যোগগুলোকে একটি সমৃদ্ধ এবং আত্মনির্ভর (GST) ভারতের পথে পরিপূরক পদক্ষেপ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে (PM Modi)।

  • Ramakrishna 441: আত্মীয় হতে যিনি পরম আত্মীয়, তাঁর উপর অভিমান না করলে আর কাদের উপর করবেন?

    Ramakrishna 441: আত্মীয় হতে যিনি পরম আত্মীয়, তাঁর উপর অভিমান না করলে আর কাদের উপর করবেন?

    লোকের খোসামোদ করে বেড়ান কলকাতা থেকে। তাদের গাড়ি করে আনতে গৃহস্থ ভক্তদের সর্বদা বলেন— ‘ওদের নিমন্ত্রণ করে খাওয়াও, তাহলে তোমাদের ভালো হবে।’ একে মায়া নয়, স্নেহ নয়— বিশুদ্ধ ঈশ্বরপ্রেম। মাটির প্রতিমাতে যতভাবে ষোড়শ উপাচারে ঈশ্বরের পূজা ও সেবা হয়, আর শুদ্ধ নরদেহে কি হতে পারে না? তাছাড়া এরাই ভগবানের প্রত্যেক লীলার সহায়, জন্মে জন্মে সাঙ্গোপাঙ্গ।
    নরেন্দ্রকে দেখতে দেখতে বাহ্যজগৎ ভুলে গেলেন, ক্রমে ‘দেহী’ নরেন্দ্রকে ভুলে গেলেন। বাহ্যিক মানুষকে ভুলে, ‘প্রকৃত মানুষ’-কে দর্শন করিতে লাগলেন।
    অখণ্ড সচ্চিদানন্দে মন লীন হইলো। যাকে দর্শন করে কখনো অবাক, স্পন্দনহীন হয়ে চুপ করে থাকেন, কখনো বা ‘ওম ওম’ বলেন, কখনো বা ‘মা মা’ করে পালকের মতো ডাকেন।
    নরেন্দ্রর ভিতর তাঁকে (ঈশ্বরকে) বেশি প্রকাশ পেতে দেখেন। ‘নরেন্দ্র নরেন্দ্র’ করে পাগল!
    নরেন্দ্র অবতার মানেন নাই— তাঁর আর কী হয়েছে? ঠাকুরের দিব্য চক্ষু! তিনি দেখলেন যে এ অভিমান হতে পারে, তিনি যে বড় আপনার লোক! তিনি যে আপনার মা পাতানো, মাথানত— তিনি কেন বুঝিয়ে দেন না? তিনি দপ করে আলো জ্বেলে দেন না!

    তাই বুঝি ঠাকুর বলেছিলেন—
    “মান কয়েলই তো কয়েলি, আমরাও তোর মানে আছি।”
    আত্মীয় হতে যিনি পরম আত্মীয়, তাঁর উপর অভিমান না করলে আর কাদের উপর করবেন?

    ধন্য নরেন্দ্রনাথ!
    তোমার উপর এই পুরুষোত্তমের (ঠাকুরের) এত ভালোবাসা!
    তোমাকে দেখেই এত সহজে ঈশ্বরচিন্তার উদ্দীপনা জাগে।

    এইরূপ ভাবনাচিন্তা করতে করতে গভীর রাত্রে, শ্রীরামকৃষ্ণকে স্মরণ করতে করতে ভক্তেরা গৃহে প্রত্যাবর্তন করছিলেন।

    ১৮৮৫ সালের ৬ এপ্রিল।
    স্থান: বলরাম মন্দির। সময়: দুপুর তিনটে।
    চৈত্র মাসের তীব্র রৌদ্র।

    শ্রীরামকৃষ্ণ বলরামের বৈঠকখানায় কয়েকজন অন্তরঙ্গ ভক্তের সঙ্গে বসিয়া আছেন।
    মাস্টারমশাই উপস্থিত। কথোপকথন চলছে। ভক্তির কথা ঘিরে। এই দিনটি—সোমবার, ১৮৮৫ সালের ৬ এপ্রিল, বাংলা ১২৯১ সালের চৈত্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের সপ্তমী তিথি।
    ঠাকুর তখন কলকাতার ভক্তমন্দিরে এসেছেন।
    সেখান থেকে পরে যাবেন ফণি গোস্বামীর গলির দেবেন্দ্রর বাড়িতে।

  • PM Modi: নয়া তিন মেট্রো রুটের উদ্বোধন করতে ফের রাজ্য আসছেন প্রধানমন্ত্রী, কবে জানেন?

    PM Modi: নয়া তিন মেট্রো রুটের উদ্বোধন করতে ফের রাজ্য আসছেন প্রধানমন্ত্রী, কবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গবাসীকে দুর্গাপুজোর বড় উপহার দিতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। যেমন তেমন কোনও উপহার নয়, ঐতিহাসিক উপহার। নয়া তিন মেট্রো রুটের উদ্বোধন করতেই চলতি মাসেই কলকাতায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী ২২ অগাস্ট দমদমে প্রশাসনিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। সেখান থেকেই নয়া তিন মেট্রো রুটের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী (New Metro Routes)।

    সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য (PM Modi)

    খবরটি সংবাদ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ইতিমধ্যেই রেলের তরফে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণপত্র পাঠানোও শুরু হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের তরফ থেকে সেই আমন্ত্রণপত্র পাওয়ার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি ফাঁস করেন সুকান্ত। তিনি একে দুর্গাপুজোর আগে পশ্চিমবঙ্গের জন্য এক ঐতিহাসিক উপহার বলেও উল্লেখ করেছেন। জানা গিয়েছে, ওই দিন প্রধানমন্ত্রী যে তিনটি নয়া রুটের মেট্রোর উদ্বোধন করবেন, সেগুলি হল, শিয়ালদা-এসপ্ল্যানেড, বেলেঘাটা-হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (রুবি) এবং নোয়াপাড়া-জয়হিন্দ (বিমানবন্দর) স্টেশন।

    উদ্বোধন মেট্রো স্টেশনের সাবওয়েরও

    তিনটি নয়া মেট্রো রুটের পাশাপাশি আগামী ২২ তারিখে হাওড়া মেট্রো স্টেশনের সাবওয়েরও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, রেল সংক্রান্ত নানা উন্নয়নমূলক কাজের জন্য শুধুমাত্র চলতি বছরের বাজেটেই ১৩ হাজার ৯৫৫ কোটি টাকা পেয়েছে বাংলা। এই মুহূর্তে রেল পরিষেবা এবং পরিকাঠামোর উন্নতির জন্য সব মিলিয়ে ৮৩ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকার কাজ চলছে পশ্চিমবঙ্গে। ১০১টি স্টেশনকে বিশ্বমানের রেলস্টেশন হিসেবে পুনর্নির্মাণ করার কাজ চলছে (PM Modi)। ইতিমধ্যেই ৯টি বন্দে ভারত ও ২টি অমৃত ভারত ট্রেনের যাত্রাও শুরু হয়েছে। এহেন আবহে এবার মেট্রো পরিষেবার পরিসর আরও বাড়ানোর পথে হাঁটল রেল।

    কোন লাইনে কোন কোন স্টেশন

    জানা গিয়েছে, ইয়োলো লাইনে নোয়াপাড়া থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত মেট্রোর সম্প্রসারণের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে (New Metro Routes)। ১৬ অগাস্ট শনিবার এই রুট পরিদর্শনে আসবেন কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি। তার পরেই প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে সূচনা হবে মেট্রোর নিত্য যাত্রা। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতেই প্রধানমন্ত্রীর সফরের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার প্রস্তুতি করতে মেট্রো রেলের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট সবাইকে। নিউ গড়িয়া বিমানবন্দর মেট্রো করিডরের (ভায়া রাজারহাট) রুবি থেকে বেলেঘাটা পর্যন্ত অংশ দীর্ঘদিন ধরেই তৈরি হয়ে পড়ে রয়েছে। সিআরএস অনুমোদনও হয়ে গিয়েছে। তার পরেও চালু হয়নি। এদিন সেই অংশও চালু হবে। হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (রুবি) থেকে বেলেঘাটা পর্যন্ত মোট মেট্রো স্টেশনের সংখ্যা পাঁচটি। ট্রেন রুবি ছাড়লেই প্রথম স্টেশন ভিআইপি বাজার, তারপর ঋত্বিক ঘটক, তারপর বরুণ সেনগুপ্ত (এটি সায়েন্স সিটি এলাকায়), এর পরেই সটান বেলেঘাটা স্টেশন (PM Modi)।

    নিউ গড়িয়া রুবি রুট

    এদিকে নিউ গড়িয়া থেকে রুবি রুটের মধ্যেও রয়েছে পাঁচটি স্টেশন। এগুলি হল, কবি সুভাষ (নিউ গড়িয়া), সত্যজিৎ রায় (এসআরএফটিআই সংলগ্ন এলাকা), জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী (অজয়নগর এলাকা), কবি সুভাষ (কালিকাপুর) এবং হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (রুবি)। রেল সূত্রে খবর, নিউ গড়িয়া থেকে বেলেঘাটা পর্যন্ত রুটটি চালু হয়ে গেলে এই লাইনেও যাত্রিসংখ্যা এক ধাক্কায় বেড়ে যাবে অনেকখানিই। এদিনই সূচনা হবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর এসপ্ল্যানেড-শিয়ালদা অংশের পরিষেবা (New Metro Routes)। এই অংশের পরিষেবা শুরু হলে মেট্রো পথে জুড়ে যাবে সল্টলেক-হাওড়া। বৃহস্পতিবার সকালে নিজের অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার খবরটি শেয়ার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, কলকাতার মেট্রো পরিষেবায় এক নতুন যুগের সূচনা হতে চলেছে। ২২ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উদ্বোধন করবেন তিনটি নতুন মেট্রো রুটের। এর মধ্যে রয়েছে গ্রিন লাইন ১ ও ২ এর সংযোগ, যা বহুদিনের দাবি পূরণ করবে (PM Modi)।

    গুরুত্বপূর্ণ মেট্রো করিডর

    গ্রিন লাইন ১ বর্তমানে শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ মেট্রো করিডর, যা বহু অফিসপাড়া, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়িক কেন্দ্রকে যুক্ত করে। গ্রিন লাইন ২ যুক্ত হলে যাত্রীদের সময় ও খরচ – দুই বাঁচবে। একসঙ্গে জুড়ে যাবে হাওড়া ও শিয়ালদা স্টেশন। হাওড়া ময়দান থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত ১৬.৬ কিমি পূর্ণ করিডরেই যাত্রী চলাচল সম্ভব হবে। সব চেয়ে বেশি উপকৃত হবেন কর্মজীবীরা। কারণ এখন থেকে তাঁরা মাত্র একটি ট্রেনে করেই হাওড়া থেকে শিয়ালদা পৌঁছে যেতে পারবেন (New Metro Routes)। হাওড়া–শিয়ালদার মধ্যে সময় লাগবে মাত্র ১২ মিনিট। ব্যস্ত সময়ে প্রতি ৮ মিনিট অন্তর এবং অন্য সময়ে প্রতি ১০ মিনিট অন্তর ট্রেন চলবে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি লোকসভায় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, ১৯৭২ সালে চালু হওয়ার পর থেকে কলকাতা মেট্রোর যাত্রাপথ বাড়তে বাড়তে এখন দাঁড়িয়েছে ৬৯ কিলোমিটারে। ১৯৭২ থেকে ২০১৪ এই ৪২ বছরে কলকাতা মেট্রোর ২৮ কিলোমিটার ট্র্যাক তৈরিতে রেলের তরফে বরাদ্দ করা হয় ৫ হাজার ৯৮১ কোটি টাকা। ২০১৪ থেকে ২০২৫ – এই ১১ বছরে কলকাতা মেট্রোর ৪১ কিলোমিটার ট্র্যাক তৈরিতে বরাদ্দ করা হয়েছে ২৫ হাজার ৫৯৩ কোটি টাকা (PM Modi)।

  • India: বাংলাদেশ থেকে পাটভিত্তিক পণ্য আমদানিতে বিধিনিষেধ আরোপ ভারতের

    India: বাংলাদেশ থেকে পাটভিত্তিক পণ্য আমদানিতে বিধিনিষেধ আরোপ ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত (India) সরকার বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে নির্দিষ্ট কিছু পাটভিত্তিক পণ্য আমদানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রক এবং বৈদেশিক বাণিজ্যের ডিরেক্টর জেনারেল ২০২৫ সালের ১১ অগাস্ট জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানিয়েছে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে আইটিসি (এইচএস), ২০২২ সালের শিডিউল ১ অনুযায়ী বর্তমানে যে আমদানি নীতিতে সংশোধন করা হয়েছে এবং তা সঙ্গে সঙ্গেই কার্যকর করা হয়েছে।

    নিষেধাজ্ঞার বিজ্ঞপ্তি (India)

    বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ব্লিচ করা এবং আনব্লিচ করা বোনা পাটের কাপড়, সুতো, দড়ি, রশি, পাটের কেবল এবং পাটের বস্তা ও ব্যাগ এসব পণ্য আর ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কোনও স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে ঢুকতে পারবে না। এই সামগ্রীগুলি এখন থেকে কেবলমাত্র মহারাষ্ট্রের নাভা শেভা সমুদ্র বন্দর দিয়েই প্রবেশের অনুমতি পাবে। জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্য কোনও স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করতে পারবে না। এগুলি কেবলমাত্র নাভা শেভা সমুদ্রবন্দর দিয়েই প্রবেশ করতে পারবে।

    কী বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে

    ডিজিএফটির বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করা হয়েছে যে, এই বিধিনিষেধগুলি ১৯৯২ সালের বৈদেশিক বাণিজ্য (উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ) আইনের অধীনে কার্যকর করা হচ্ছে এবং এগুলি ২০২৫ সালের মে ও জুন মাসে চালু হওয়া আগের (Bangladesh) পদক্ষেপগুলির ধারাবাহিকতা। যদিও (India) এই সর্বশেষ সিদ্ধান্তের সুনির্দিষ্ট কারণ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি। সাধারণত এই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয় গুণমান নিয়ন্ত্রণ, বাণিজ্য ঘাটতি মোকাবিলা, অথবা দেশীয় শিল্পকে মূল্যচাপ ও অন্যায্য প্রতিযোগিতা থেকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের ২৭ জুনের বিজ্ঞপ্তি নম্বর ২১/২০২৫-২৬ -এ বর্ণিত অন্যান্য সমস্ত শর্ত ও বিধান অপরিবর্তিত থাকবে। ভারত সরকারের অতিরিক্ত সচিব এবং ডিরেক্টর (বিদেশি বাণিজ্য) অজয় ভাদু স্বাক্ষরিত এই নির্দেশটি অবিলম্বে কার্যকর হয়েছে। ফলে উল্লিখিত পণ্যের যে কোনও চালানকে এখন থেকেই নতুন বন্দর–সংক্রান্ত বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে (India)।

  • Independence Day 2025: এবারের থিম “নয়া ভারত”, স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

    Independence Day 2025: এবারের থিম “নয়া ভারত”, স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day 2025) ৭৯তম উদযাপনের এবারের থিম হবে “নয়া ভারত”। ১৩ অগাস্ট জারি করা সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই থিম ভারতের এক সমৃদ্ধ, সুরক্ষিত ও আত্মনির্ভরশীল জাতি হিসেবে গড়ে ওঠার আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিফলিত করে, যা ২০৪৭ সালের মধ্যে “বিকশিত ভারত” গঠনের সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

    ‘অপারেশন সিন্দুর’ (Independence Day 2025)

    এ বছরের এই উদযাপন সফল ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর প্রতিও শ্রদ্ধা নিবেদন করবে, যা ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা শক্তিশালী করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। ১৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঐতিহাসিক লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন এবং দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। লালকেল্লায় পৌঁছলে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে স্বাগত জানাবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী সঞ্জয় শেঠ এবং প্রতিরক্ষা সচিব রাজেশ কুমার সিং। এরপর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে দিল্লি অঞ্চলের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) লেফটেন্যান্ট জেনারেল ভবনীশ কুমারের, যিনি তাঁকে মঞ্চে নিয়ে যাবেন গার্ড অব অনার পরিদর্শনের জন্য।

    গার্ড অফ অনার

    ভারতে এই গার্ড অফ অনারের নেতৃত্ব দেবেন উইং কমান্ডার এএস সেখোঁ। এতে থাকবেন মোট ৯৬ জন সদস্য। একজন আধিকারিক ও ভারতীয় সেনা, ভারতীয় নৌবাহিনী, ভারতীয় বায়ুসেনা ও দিল্লি পুলিশের ২৪ জন করে সদস্য। গার্ড অব অনার পরিদর্শন করার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লালকেল্লার প্রাচীরের দিকে অগ্রসর হবেন, যেখানে তিন বাহিনীর প্রধান এবং প্রতিরক্ষা প্রধান তাঁকে স্বাগত জানাবেন। ফ্লাইং অফিসার রাশিকা শর্মা প্রধানমন্ত্রীকে জাতীয় পতাকা উত্তোলনে সহায়তা করবেন, যা দেশীয় ১০৫ মিমি লাইট ফিল্ড গান ব্যবহার করে ১৭২১ ফিল্ড ব্যাটারি কর্তৃক ২১ বার তোপধ্বনির সঙ্গে সম্পন্ন হবে (Independence Day 2025)।

    ‘রাষ্ট্রীয় স্যালুট’

    পতাকা উত্তোলনের পর তিরঙ্গা পাবে ‘রাষ্ট্রীয় স্যালুট’, এবং সেই সময় ভারতীয় বিমানবাহিনীর ব্যান্ড জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করবে। আনুষ্ঠানিকভাবে ফুলের পাপড়ির বর্ষণ করার পর প্রধানমন্ত্রী মোদি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। ভাষণ শেষে ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের ক্যাডেট এবং ‘মাই ভারত’ স্বেচ্ছাসেবীরা এক সঙ্গে জাতীয় সঙ্গীত গাইবেন। সব মিলিয়ে মোট ২,৫০০ ছেলে ও মেয়ে, যাঁরা সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর এনসিসি শাখা থেকে আসবেন, তাঁরা উৎসবে অংশ নেবেন ‘মাই ভারত’ স্বেচ্ছাসেবীদের সঙ্গে। তাঁরা লালকেল্লার প্রাচীরের উল্টোদিকে জ্ঞানপথে বসে ‘নয়া ভারত’ লোগো তৈরি করবেন।

    দেশপ্রেমমূলক ব্যান্ড

    এই প্রথমবারের মতো স্বাধীনতা দিবসের সন্ধ্যায় সারা দেশে দেশপ্রেমমূলক ব্যান্ড পরিবেশনের আয়োজন করা হবে, যা জাতীয়তাবাদের চেতনা ও ‘অপারেশন সিঁদুর’ সাফল্য উদ্‌যাপনের জন্য অনুষ্ঠিত হবে। এতে অংশ নেবে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, ভারতীয় কোস্ট গার্ড, এনসিসি, সিআরপিএফ, আইটিবিপি, সিআইএসএফ, এসএসবি, বিএসএফ, আইডিএস, আরপিএফ এবং অসম রাইফেলসের ব্যান্ড। এটি দেশের ১৪০টিরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় অনুষ্ঠিত হবে (Independence Day 2025)। এ বছর লালকেল্লায় স্বাধীনতা দিবসের উদ্‌যাপনে প্রায় ৫,০০০ বিশেষ অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, যারা বিভিন্ন পটভূমি থেকে আসবেন। এছাড়াও, বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে আসা ১,৫০০-রও বেশি ব্যক্তি, যারা ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিধান করবেন, তাঁরা এই বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের সাক্ষী থাকবেন।

    গ্যালান্ট্রি পুরস্কার ঘোষণা

    এদিকে, স্বাধীনতা দিবসে অসাধারণ সাহসিকতা প্রদর্শনের জন্য স্বীকৃত প্রতিরক্ষা কর্মীদের গ্যালান্ট্রি পুরস্কার ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন এক প্রবীণ আধিকারিক। অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যকে এ বছরের স্বাধীনতা দিবসের উৎসবে বিশেষভাবে উদযাপন করা হবে। এর লোগো জ্ঞানপথে রাখা ভিউ কাটারে প্রদর্শিত হবে এবং থিমভিত্তিক ফুলের সাজসজ্জায়ও ব্যবহার করা হবে। যেসব প্রতিরক্ষা কর্মী সাহসিকতা পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হবেন, তাঁরা লালকেল্লার প্রাচীরে আসন পাবেন, যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। তাঁর ভাষণে অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য এবং সশস্ত্র বাহিনীর বীরত্ব বিশেষভাবে তুলে ধরা হবে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের (Independence Day 2025)।

    জানা গিয়েছে, এ বছরের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন হবে “সমৃদ্ধ, সুরক্ষিত ও সাহসী ‘নয়া ভারতে’র অব্যাহত জয়যাত্রা”-কে স্মরণ করার জন্য, যা ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকশিত ভারত’ গড়ার সরকারের দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রতিফলিত করবে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে। মন্ত্রকের তরফে আরও জানানো হয়েছে, এই উদযাপনের লক্ষ্য হল “অগ্রগতির পথে আরও দূর এগিয়ে যাওয়ার জন্য নতুন করে শক্তি জোগানো।” বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকবে লালকেল্লার ওপর দিয়ে ভারতীয় বিমানবাহিনীর উড়ান প্রদর্শনী, যেখানে তিনটি হেলিকপ্টার সারিবদ্ধভাবে উড়বে, বহন করবে জাতীয় পতাকা এবং অপারেশন সিঁদুরের পতাকা। সমবেত দর্শকদের ওপর ছড়ানো হবে ফুলের পাপড়ি (Independence Day 2025)।

  • India: ‘এদের এক্তিয়ারই নেই’, সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে স্থায়ী সালিশি আদালতের রায় প্রত্যাখ্যান ভারতের

    India: ‘এদের এক্তিয়ারই নেই’, সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে স্থায়ী সালিশি আদালতের রায় প্রত্যাখ্যান ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫ সালের ৮ অগাস্ট সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তির (Indus Waters Treaty) বিষয়ে হেগের স্থায়ী সালিশি আদালতের (PCA) রায়কে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত (India)। সাফ জানিয়ে দিয়েছে, কিষানগঙ্গা ও রাটলে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ক্ষেত্রে তারা কখনওই এই আদালতের এক্তিয়ার স্বীকার করে না। ভারত স্পষ্ট করে জানিয়েও দিয়েছে, নয়াদিল্লি আদালতের এক্তিয়ার স্বীকার করে না এবং পাকিস্তান সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যাচাইযোগ্য পদক্ষেপ না করা পর্যন্ত চুক্তির বাস্তবায়নও ফের শুরু করা হবে না। ভারতের এই দৃঢ় অবস্থান এমন একটা সময়ে এসেছে, যখন ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাশিয়া থেকে তেল আমদানি কমানোর হুমকিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে এবং তার জেরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফের একপ্রস্ত শুল্ক আরোপ করেছে ভারতীয় পণ্যের ওপর। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বহিঃচাপের মুখে নয়াদিল্লির এই অবস্থান ক্রমবর্ধমান কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনের ইঙ্গিত দেয়।

    সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তির বিরোধ নিষ্পত্তি (India)

    নয়াদিল্লি সাফ জানিয়ে দিয়েছে, পাকিস্তান একতরফাভাবে সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তির বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া লঙ্ঘন করে এই সালিশি প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এই ঘটনা দ্বিপাক্ষিক সমাধানের সুযোগকে ক্ষুণ্ণ করেছে। সরকার জানিয়ে দিয়েছে, পাকিস্তানের জোরাজুরিতে বিশ্বব্যাংক ২০২২ সালে একইসঙ্গে একজন নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞ এবং সালিশি আদালত সক্রিয় করার পদক্ষেপ নিয়েছিল, যা বাস্তব ও আইনি চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে এবং চুক্তির কাঠামোর অধীনে সেটি গ্রহণযোগ্যও নয়। ভারত সরকারের তরফে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ২০২৫ সালের ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগতি রাখা হয়েছে। পাকিস্তান সীমান্তপারের সন্ত্রাস নেটওয়ার্ক ভাঙতে বিশ্বাসযোগ্য ও যাচাইযোগ্য পদক্ষেপ না করা পর্যন্ত এটি ফের কার্যকর হবে না (India)।

    স্থায়ী সালিশি আদালতের রায়

    স্থায়ী সালিশি আদালতের রায় পাকিস্তানের ব্যাখ্যার পক্ষে গিয়েছে। রায়ে বলা হয়েছে, সিন্ধু, ঝিলাম এবং চেনাবের মতো (Indus Waters Treaty) পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীগুলিকে ‘রান-অফ-দ্য-রিভার’ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নকশায় ভারতকে চুক্তির ধারা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে এবং নিজস্ব কোন মানদণ্ড চাপিয়ে দেওয়া চলবে না। আদালতের নির্দেশ, ভারতকে জলের প্রবাহ এমনভাবে রাখতে হবে (Indus Waters Treaty) যাতে পাকিস্তান অবাধে তা ব্যবহার করতে পারে। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের দাবি, ভারতীয় প্রকল্পগুলি নিম্নপ্রবাহের জলের প্রবাহ কমিয়ে দিচ্ছে। শাহবাজ শরিফের দেশের এই অভিযোগ ভারত ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে বারংবার উড়িয়ে দিয়েছে (India)।

LinkedIn
Share