Tag: Bengali news

Bengali news

  • Ramakrishna 254: “এক-একটি ধর্মের মত এক-একটি পথ,—ঈশ্বরের দিকে লয়ে যায়। যেমন নদী সাগরসঙ্গমে মিলিত হয়”

    Ramakrishna 254: “এক-একটি ধর্মের মত এক-একটি পথ,—ঈশ্বরের দিকে লয়ে যায়। যেমন নদী সাগরসঙ্গমে মিলিত হয়”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২১শে জুলাই

    ৺খেলাৎ ঘোষের বাটীতে শুভাগমন — বৈষ্ণবকে শিক্ষা

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) ৺খেলাৎ ঘোষের বাড়িতে প্রবেশ করিতেছেন। রাত্রি ১০টা হইবে। বাটী ও বাটীর বৃহৎ প্রাঙ্গণ চাঁদের আলোতে আলোকময় হইয়াছে। বাটীতে প্রবেশ করিতে করিতে ঠাকুর ভাবাবিষ্ট হইয়াছেন। সঙ্গে রামলাল, মাস্টার, আর দু-একটি ভক্ত। বৃহৎ চকমিলান বৈঠকখানাবাড়ি, দ্বিতলায় উঠিয়া বারান্দা দিয়া একবার দক্ষিণে অনেকটা গিয়া, তারপর পূর্বদিকে আবার উত্তরাস্য হইয়া অনেকটা আসিয়া অন্তঃপুরের (Kathamrita) দিকে যাইতে হয়।

    ওইদিকে আসিতে বোধ হইল যেন বাটীতে কেহ নাই, কেবল কতকগুলি বড় বড় ঘর ও সম্মুখে দীর্ঘ বারান্দা পড়িয়া আছে।

    ঠাকুরকে (Ramakrishna) উত্তর-পূর্বের একটি ঘরে বসানো হইল, এখনও ভাবস্থ। বাটীর যে ভক্তটি তাঁহাকে আহ্বান করিয়া আনিয়াছেন, তিনি আসিয়া অভ্যর্থনা করিলেন। তিনি বৈষ্ণব, অঙ্গে তিলকাদি ছাপ ও হাতে হরিনামের ঝুলি। লোকটি প্রাচীণ। তিনি খেলাৎ ঘোষের সম্বন্ধী। তিনি দক্ষিণেশ্বরে ঠাকুরকে মাঝে মাঝে গিয়া দর্শন করিতেন। কিন্তু কোন কোন বৈষ্ণবের ভাব অতি সঙ্কীর্ণ। তাঁহারা শাক্ত বা জ্ঞানীদিগের বড় নিন্দা করিয়া থাকেন (Kathamrita)। ঠাকুর এবার কথা কহিতেছেন।

    ঠাকুরের সর্বধর্ম-সমন্বয়—The Religion of Love

    শ্রীরামকৃষ্ণ (বৈষ্ণবভক্ত ও অন্যান্য ভক্তদের প্রতি)—আমার ধর্ম ঠিক, আর অপরের ধর্ম ভুল—এ মত ভাল না। ঈশ্বর এক বই দুই নাই। তাঁকে ভিন্ন ভিন্ন নাম দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন লোকে ডাকে। কেউ বলে গড, কেউ বলে আল্লা, কেউ বলে কৃষ্ণ, কেউ বলে শিব, কেউ বলে ব্রহ্ম। যেমন পুকুরে জল আছে—একঘাটের লোক বলছে জল, আর-একঘাটের লোক বলছে ওয়াটার, আর-একঘাটের লোক বলছে পানি—হিন্দু বলছে (Kathamrita) জল, খ্রীষ্টান বলছে ওয়াটার, মুসলমান বলছে পানি, —কিন্তু বস্তু এক। মত—পথ। এক-একটি ধর্মের মত এক-একটি পথ,—ঈশ্বরের দিকে লয়ে যায়। যেমন নদী নানাদিক থেকে এসে সাগরসঙ্গমে মিলিত হয়।

    “বেদ-পুরাণ-তন্ত্রে, প্রতিপাদ্য একই সচ্চিদানন্দ। বেদে সচ্চিদানন্দ (ব্রহ্ম)। পুরাণেও সচ্চিদানন্দ (কৃষ্ণ, রাম প্রভৃতি)। তন্ত্রেও সচ্চিদানন্দ (শিব)। সচ্চিদানন্দ ব্রহ্ম, সচ্চিদানন্দ কৃষ্ণ, সচ্চিদানন্দ শিব।”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maruti Suzuki: নিজেদের প্রথম ব্যাটারি-চালিত গাড়ি আনল মারুতি সুজুকি, তৈরি হবে ভারতে, যাবে বিদেশেও

    Maruti Suzuki: নিজেদের প্রথম ব্যাটারি-চালিত গাড়ি আনল মারুতি সুজুকি, তৈরি হবে ভারতে, যাবে বিদেশেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি ভারত মোবিলিটি শো-তে নিজেদের প্রথম বৈদ্যুতিন বা ব্যাটারি-চালিত গাড়ি ইভিটারা (eVITARA) প্রকাশ করল মারুতি সুজুকি (Maruti Suzuki) সংস্থা। আগামীদিনে ভারতের বাইরে আরও ১০০টি দেশে এই গাড়ি রফতানি করার লক্ষ্যমাত্রাও নির্ধারণ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ইভিটারা উৎপাদনের জন্য ভারতকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। এর জন্য গুজরাটে কারখানা গড়তে মোট ২১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে সংস্থার পক্ষ থেকে। উল্লেখ্য, করোনার পর থেকে আত্মনির্ভর ভারত এবং মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্প বাস্তবায়নে ভীষণভাবে উৎসাহী হয়েছে মোদি সরকার। ভারতকে বিশ্বের বাজারে উৎপাদনকারী দেশ এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ভরকেন্দ্র হিসেবে মেলে ধরতে এই উৎপাদন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    উৎপাদনে ভারত কেন্দ্রীক মনোনিবেশের উপর জোর (Maruti Suzuki)

    বিশ্বের বাজারে ভারত এখন অটোমোবাইল শিল্পের জন্য বিশেষ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। মারুতি সুজুকি ইন্ডিয়া ভারত মোবিলিটি শো-র অটো এক্সপোতে তাদের প্রথম ব্যাটারি চালিত বৈদ্যুতিক যান ইভিটারা (eVITARA) উদ্বোধন করেছে। এই কোম্পানির নির্দেশক এবং সভাপতি তোশিহিরো সুজুকি (Maruti Suzuki) বলেন, “ভারতকে এখন ইভিটারার উৎপাদনের জন্য বিশ্বব্যাপী কেন্দ্র হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। আগামী মাস থেকে মারুতি সুজুকি গুজরাটের উৎপাদন কেন্দ্রে কাজ শুরু করা হবে। পরিষেবার সর্বোত্তম ব্যবস্থা, নির্দিষ্ট একটি চাহিদার বাজার এবং উৎপাদনে ভারত কেন্দ্রিক মনোনিবেশের উপর জোর দেওয়াই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। ভারতে নির্মিত এই গাড়ি জাপান এবং ইউরোপে রফতানি করা হবে।”

    আরও পড়ুনঃ একদিনে ৬৫ লাখের বেশি সম্পত্তি কার্ড বিলি, অভিনব রেকর্ড গড়লেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    ১০০টির বেশি শহরে দ্রুত চার্জিং স্টেশন গড়া হবে

    আবার মারুতি সুজুকির (Maruti Suzuki) ভারতের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সইও হিসাশি তাকুচি বলেন, “আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হল, কোম্পানির পরিকাঠামোর উপর জোর দেওয়া। আমরা ভারতে ইভিটারা (eVITARA) তৈরির জন্য ২১০০ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করেছি। গ্রাহকদের জন্য টেকসই এবং দ্রুতগতি সম্পন্ন বৈদ্যুতিক গাড়ির ভাবনা রয়েছে। প্রথমে ১০০টির বেশি শহরে দ্রুত চার্জিং স্টেশন গড়ে তোলার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। প্রতি ৫ থেকে ১০ কিমির মধ্যে একটি করে এই ধরনের স্টেশন নির্মাণ করা হবে। একই ভাবে ১০০০টির বেশি শহরে আরও ১৫০০টির বেশি বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদন কারখানা নির্মাণ করা হবে। কর্মীদের প্রশিক্ষণ এবং প্রযুক্তির উন্নত ব্যবহার শিখিয়ে আরও দক্ষ করা হবে। এই ইভিটারা দুটি ব্যাটারির সঙ্গে ৪৯ কিলোওয়াট আওয়ার এবং ৬১ কিলোওয়াট আওয়ার চার্জ করার ব্যবস্থা দেয়া হবে। ফলে গ্রাহক একবার চার্জ করে ৫০০ কিমি পর্যন্ত ভ্রমণ করতে পারবেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: একদিনে ৬৫ লাখের বেশি সম্পত্তি কার্ড বিলি, অভিনব রেকর্ড গড়লেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    PM Modi: একদিনে ৬৫ লাখের বেশি সম্পত্তি কার্ড বিলি, অভিনব রেকর্ড গড়লেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিনে ৬৫ লাখের বেশি সম্পত্তি কার্ড (SVAMITVA Scheme) বিলি করে রেকর্ড গড়লেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দেশের দশটি রাজ্য ও দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এই কার্ড বিলি করা হল। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সম্পত্তি কার্ড বা জমির পাট্টা দেওয়া হল যে প্রকল্পে, তার নাম ‘স্বমিত্ব’।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী? (PM Modi)

    এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজকের দিনটা গ্রামীণ নাগরিকদের জন্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন রাজ্যে এই সম্পত্তি কার্ডের বিভিন্ন নাম, তবে কাজ একটাই। গত এক বছরে ১ কোটি সম্পত্তি কার্ড বিলি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে।” তিনি বলেন, “আজ দেশের গ্রামগুলি এবং দেশের গ্রামীণ অর্থনীতির জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। এই অনুষ্ঠানে অনেক রাজ্যের রাজ্যপাল যোগদান করেছেন। ওডিশা, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীরাও আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। স্বত্ব প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হাজার হাজার গ্রাম পঞ্চায়েতের সহকর্মী এবং লক্ষ লক্ষ উপভোক্তা এই উদ্যোগের শরিক হয়েছেন। এটি নিজের মধ্যেই একটি বিশাল এবং বিস্তৃত প্রকল্প এবং আপনারা সবাই এতে বড় উৎসাহের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। আমি আপনাদের সবাইকে অভিনন্দন জানাই।”

    জাতীয় পঞ্চায়েত দিবসে সূচনা

    ২০২০ সালে জাতীয় পঞ্চায়েত দিবসে গ্রামীণ নাগরিকদের জন্য এই প্রকল্পের সূচনা করে কেন্দ্রের মোদি সরকার (PM Modi)।লপ্রথম দফায় মহারাষ্ট্রের পুণে জেলায় সোনারি গ্রামে পাইলট প্রকল্প হিসেবে সূচনা হয়েছিল এই প্রকল্পের। পরে তা ছড়িয়ে দেওয়া হয় গোটা দেশে।

    আরও পড়ুন: সীমান্তের নিরাপত্তা নিয়ে আপস নয়, ইউনূস প্রশাসনকে সাফ জানিয়ে দিল ভারত

    এই প্রকল্পের আওতায় ড্রোনের মাধ্যমে গ্রামীণ নাগরিকদের জমি-জিরেতের সম্পূর্ণ মানচিত্র তৈরি করা হয়। সেই মানচিত্রের ভিত্তিতেই দেওয়া হয় সম্পত্তি কার্ড। জমি-বাড়ি বিক্রি কিংবা কার্ড (SVAMITVA Scheme) বন্ধক রেখে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে এই কার্ড খুবই গুরুত্বপূর্ণ (PM Modi)।

       

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: বইমেলায় স্টল দেওয়া হল না কেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদকে! গিল্ডকে তীব্র ভৎর্সনা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: বইমেলায় স্টল দেওয়া হল না কেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদকে! গিল্ডকে তীব্র ভৎর্সনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা বইমেলায় স্টল দেওয়া হচ্ছে না বিশ্বহিন্দু পরিষদকে (Vishwa Hindu Parishad)। এই ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হা তীব্র ভৎর্সনা করলেন আয়োজক সংস্থা পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডকে। রাজ্য প্রশাসন এবং আয়োজকদের উদ্দেশে বিচারপতি বললেন, “আগের বছর মনে হয়নি স্পর্শকাতর, তাই অনুমতি দিয়েছিলেন, এইবারে বিতর্কিত মনে হয়েছে? কিন্তু কেন?”

    মামলা যায় বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হার বেঞ্চে (Calcutta High Court)

    হাতে মাত্র আর কটাদিন বাকি, সামনেই কলকাতা আন্তর্জাতিক পুস্তক মেলায়। বই মেলার আয়োজক সংস্থা পাবলিশার্স এন্ড বুকসেলার্স গিল্ড বুক স্টল দেয়নি হিন্দু সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদকে (Vishwa Hindu Parishad)। তাই অভিযোগ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে এই হিন্দু সংগঠন। এরপর মামলা যায় বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হার বেঞ্চে। শুনানিতে বিশ্বহিন্দু পরিষদের (Vishwa Hindu Parishad) আইনজীবী (Calcutta High Court) বলেন, “গিল্ডের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একাধিক শর্ত আরোপ করেছে। বিভিন্ন শর্ত মেনে ৬০০ স্কোয়ার ফুট জায়গার কথা বলে সংগঠনের তরফে আবেদন করা হয়েছে। এরপর ১০ জানুয়ারি ইমেল করে জানতে চাওয়া হয় কিন্তু গিল্ডের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত কিছুই জানানো হয়নি। আর সেই জন্য তারা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।”

    কী বললেন বিচারপতি?

    অপর দিকে গিল্ডের আইনজীবী বলেন, “বিশ্ব হিন্দু পরিষদের লেখা ভীষণ ভাবে স্পর্শকাতর।” এটা শুনে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি সিন্‌হা। রাজ্যের যুক্তির প্রেক্ষিতে বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হা (Calcutta High Court) তখন রাজ্যকে পাল্টা প্রশ্ন করেন, “এত বছর ধরে স্টলের অনুমতি দিয়ে আসা হচ্ছে। তাহলে তখন এই সংগঠনের (Vishwa Hindu Parishad) লেখা স্পর্শকাতর মনে হয়নি কেন? তখন তাহলে কেন অনুমতি দেওয়া হয়েছিল? আর সেক্ষেত্রে এবছরই বা কেন অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না?” 

    তখন গিল্ডের আইনজীবী বলেন, “বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নামে আবেদন করা হয়েছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (Vishwa Hindu Parishad) কোনও পাবলিশার্স নয়, কোনও বুকসেলার্সও নয়। এদের পত্রিকা রয়েছে। যার নাম হল বিশ্ব হিন্দু বার্তা।” তখন (Calcutta High Court) বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘‘আপনারা কি জানতেন যে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নিজস্ব পাবলিকেশন হাউস আছে?’’ এর পর আপাতত মৌখিক ভাবে স্টলের জায়গা দেওয়ার কথা বলেন বিচারপতি। পরবর্তী মামলার শুনানি ২০ জানুয়ারি।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Russia Ukraine conflict: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে হত ১২ ভারতীয়, জীবিতদের ফেরানোর উদ্যোগ কেন্দ্রের

    Russia Ukraine conflict: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে হত ১২ ভারতীয়, জীবিতদের ফেরানোর উদ্যোগ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে (Russia Ukraine conflict) হত ১২ ভারতীয়। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ১৬ জন। শুক্রবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এমনই জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, মোটা মাইনের চাকরির টোপ দিয়ে (Ukraine) ভারতীয়দের নিয়ে যাচ্ছে রাশিয়ার সংস্থা। পরে তাঁদেরই ট্রেনিং দিয়ে লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে।

    বিদেশমন্ত্রকের বক্তব্য (Russia Ukraine conflict)

    বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা রুশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। এই মুহূর্তে রাশিয়ায় অবরুদ্ধ ও বাধ্য হয়ে যুদ্ধে অংশ নেওয়া সব ভারতীয়কে অবিলম্বে মুক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।” জানা গিয়েছে, ভারত থেকে রাশিয়ায় যুদ্ধ করতে গিয়েছিলেন ১২৬ জন। এঁদের মধ্যে ৯৬ জনই ফিরে এসেছেন। বাকি ৩০ জনের মধ্যে ১২ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। অবশিষ্ট ১৬ জনকে রাশিয়া নিখোঁজ ঘোষণা করেছে।

    বিনিল বাবুর মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক

    রাশিয়ান এক এজেন্টের দেওয়া চাকরির টোপ গিলে সে দেশে গিয়েছিলেন কেরলের বছর একত্রিশের বিনিল বাবু। ড্রোন হামলায় মৃত্যু হয় তাঁর। সে প্রসঙ্গে জয়সওয়াল বলেন, “বিনিল বাবুর মৃত্যু অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আমরা ওঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছি। যত দ্রুত বিনিলের দেহ এদেশে আনা যায়, তা নিশ্চিত করতে রুশ প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি আমরা।” তিনি জানান, মস্কোয় চিকিৎসাধীন (Russia Ukraine conflict) আর এক ভারতীয়কেও দ্রুত দেশে ফেরানো হবে। তিনি বলেন, “মস্কোর দূতাবাস এই দুই ভারতীয় পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে এবং সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। আমরা কেরলের এক ভারতীয় নাগরিকের দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যুর বিষয়ে জানতে পেরেছি, যাঁকে স্পষ্টতই রুশ সেনাবাহিনীতে চাকরি করার জন্য নিয়োগ করা হয়েছিল।”

    আরও পড়ুন: সীমান্তের নিরাপত্তা নিয়ে আপস নয়, ইউনূস প্রশাসনকে সাফ জানিয়ে দিল ভারত

    প্রসঙ্গত, গত জুলাইয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা হয়েছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। ওই সময় তিনি পুতিনকে ভারতীয়দের ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান। অক্টোবরে কাজান ব্রিকস সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ফের একপ্রস্ত কথা বলেন রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে (Ukraine)। সেই সময়ও মোদিকে পুতিন আশ্বস্ত করেছিলেন এই বলে যে, যেসব ভারতীয়কে রাশিয়ান সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল এবং পরবর্তী সময়ে ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল রাশিয়া তাঁদের সবাইকে অব্যাহতি দেবে (Russia Ukraine conflict)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Hasina: ‘‘আমাকে হত্যার চক্রান্ত করা হয়, অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছি”, অডিও বার্তায় বিস্ফোরক হাসিনা

    Sheikh Hasina: ‘‘আমাকে হত্যার চক্রান্ত করা হয়, অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছি”, অডিও বার্তায় বিস্ফোরক হাসিনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং তার পরবর্তী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে আওয়ামি লিগের সরকারের পতন হয় গত বছরের অগাস্টে। গত ৫ অগাস্ট বোন রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। চলে আসেন ভারতে। সাময়িক আশ্রয় নেন এ দেশে। সেদিনের ঘটনা নিয়ে আওয়ামি লিগের সমর্থকদের উদ্দেশে এক অডিও বার্তায় কেঁদে ফেললেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)।

    হত্যার চক্রান্ত করা হয়েছিল (Sheikh Hasina)

    হাসিনা (Sheikh Hasina) বলেন, ‘‘আমাকে হত্যার চক্রান্ত করা হয়েছিল। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছি।” শুক্রবার রাতে আওয়ামি লিগের ভেরিফায়েড সমাজমাধ্যম হ্যান্ডল থেকে হাসিনার একটি ছোট অডিও ক্লিপ পোস্ট করা হয়। ৪৯ সেকেন্ডের ওই অডিও ক্লিপে ৫ অগাস্ট দেশ ছাড়ার সময়ের কথা বর্ণনা করছিলেন তিনি। সেখানে হাসিনা জানান, ২০-২৫ মিনিটের ব্যবধানে তিনি এবং তাঁর বোন শেখ রেহানা মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘মাত্র ২০-২৫ মিনিটের ব্যবধানে আমরা (হাসিনা এবং রেহানা) মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি।” সেখানে হাসিনা আরও জানিয়েছেন, এ বারে তাঁর ‘বেঁচে যাওয়ার’ কথা ছিল না এবং তাঁকে ‘হত্যার পরিকল্পনা’ করা হয়েছিল। এর পরেই দেশছাড়া হওয়ার দুঃখের কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন হাসিনা। তিনি বলেন, ‘‘আমার কষ্ট হচ্ছে, আমি আমার দেশছাড়া, ঘরছাড়া। সব কিছু জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দিয়েছে।”

    আরও পড়ুন: মহাকুম্ভ নাকি অন্ধবিশ্বাস! মেলা প্রাঙ্গণে হিন্দু-বিরোধী পোস্টার ছিঁড়ে জ্বালিয়ে দিলেন নাগা সাধুরা

    হাসিনাকে প্রত্যর্পণ নিয়ে দিল্লির অবস্থান

    এ দিকে আওয়ামি লিগের সরকারের (Sheikh Hasina) পতনের পর দেশজুড়ে হিন্দুদের ওপর লাগামছাড়া অত্যাচার চলছে। ভারত দখলের হুঁশিয়ারি দিচ্ছে মৌলবাদীরা। একইসঙ্গে আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মীদের ওপর নৃশংস অত্যাচার করা হয়েছে। দেশে হাসিনা-সহ অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। এই অবস্থায় হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে বিচার সম্পন্ন করতে চাইছে অন্তর্বর্তী সরকার। হাসিনাকে প্রত্যর্পণের জন্য নয়াদিল্লিতে কূটনৈতিক বার্তা (নোট ভার্বাল)-ও পাঠিয়েছে ঢাকা। কূটনৈতিক বার্তার প্রাপ্তিস্বীকার করলেও, হাসিনাকে প্রত্যর্পণের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত এখনও দিল্লির তরফে জানানো হয়নি। 

    হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার আগে কেমন ছিল গণভবন?

    হাসিনা (Sheikh Hasina) বাংলাদেশ ছাড়ার আগের কয়েক ঘণ্টা কেমন ছিল গণভবনের (বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন) পরিস্থিতি, তা নিয়ে গত বছরের অগাস্টে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল সে দেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’। ওই প্রতিবেদন অনুসারে, হাসিনা চেয়েছিলেন দেশ ছাড়ার আগে জাতির উদ্দেশে একটি ভাষণ সম্প্রচার করতে। কিন্তু, ততক্ষণে আন্দোলনকারীরা বাংলাদেশ ‘গণভবন’-এর দিকে এগোতে শুরু করে দিয়েছিলেন। শাহবাগ, উত্তরা থেকে কাতারে কাতারে ছাত্র-যুব আন্দোলনকারীর ভিড় এগিয়ে আসছিল। গোয়েন্দা সূত্রে সে খবর যায় গণভবনে থাকা বাহিনীর শীর্ষকর্তাদের কাছে। ওই প্রতিবেদন অনুসারে, উন্মত্ত জনতার দূরত্ব যা ছিল, তাতে আনুমানিক ৪৫ মিনিটের মধ্যেই ওই ভিড় গণভবনে পৌঁছে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তাই সম্প্রচার করার জন্য হাসিনার ভাষণ রেকর্ডের আর ঝুঁকি নিতে চাননি বাহিনীর শীর্ষকর্তারা। তাঁদের সংশয় ছিল, হাসিনাকে ভাষণ রেকর্ড করার সময় দেওয়া হলে, পালানোর জন্য পর্যাপ্ত সময় তিনি পেতেন না। তাই ৪৫ মিনিটের মধ্যেই হাসিনাকে দেশ ছাড়ার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল বলে ‘প্রথম আলো’-য় প্রকাশ। হাসিনা রাজি হওয়ার পর যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তাঁদের প্রথমে হেলিকপ্টার ও পরে বিমানে করে ভারতে পাঠানো হয়।

    হাসিনার রেসিডেন্ট পারমিটের মেয়াদ বৃদ্ধি

    এদিকে সম্প্রতি বাংলাদেশ (Bangladesh) সকারের তরফ থেকে জানানো হয়, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) সহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়। আর এরই মাঝে রিপোর্টে দাবি করা হয়, সম্প্রতি নাকি ভারতে থাকার জন্যে শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে ভারত সরকার। জানা গিয়েছে, শেখ হাসিনার রেসিডেন্ট পারমিটের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এরই মাঝে হাসিনাকে সরকারি ভাবে ভারতে ‘রাজনৈতিক আশ্রয়’ দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে। কারণ, এই সংক্রান্ত কোনও নির্দিষ্ট আইন নেই ভারতে। তবে, হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করে বৈধভাবে তাঁকে ভারতে থাকতে দিতে সম্মত মোদি সরকার। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নাকি ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধিতে সবুজ সংকেত দেয়। এরপরই স্থানীয় ফরেন রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসের মাধ্যমে হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Bangladesh Relation: সীমান্তের নিরাপত্তা নিয়ে আপস নয়, ইউনূস প্রশাসনকে সাফ জানিয়ে দিল ভারত

    India Bangladesh Relation: সীমান্তের নিরাপত্তা নিয়ে আপস নয়, ইউনূস প্রশাসনকে সাফ জানিয়ে দিল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্তের (Border Issue) নিরাপত্তা নিয়ে বাংলাদেশের ইউনূস প্রশাসনকে ফের একবার কড়া বার্তা দিল নয়াদিল্লি (India Bangladesh Relation)। এ নিয়ে ছ’দিনের মধ্যে দু’বার।

    বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্রের বক্তব্য (India Bangladesh Relation)

    পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগ প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছি। বিশদে জানতে আমরা নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের কার্যনির্বাহী হাইকমিশনারকে তলব করেছিলাম। আজ সেই অবস্থানেরই পুনরাবৃত্তি করছি।” তিনি বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে অপরাধমুক্ত সীমান্ত তৈরি করতে আমরা দায়বদ্ধ। সে ক্ষেত্রে আন্তঃসীমান্ত অপরাধমূলক কার্যকলাপ, চোরাচালান, মানব পাচারের মতো বিষয় যাতে বন্ধ করা যায়, তার চেষ্টা করতে হবে। সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়া, পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা, প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।”

    ভারতের আশা

    জয়সওয়াল বলেন, “ভারত আশা করে, প্রতিটি বিষয়কে বাংলাদেশ বাস্তবায়িত করবে।” বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, “কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া, সীমান্তে আলোর ব্যবস্থা করা, প্রযুক্তিগত যন্ত্রপাতি স্থাপন এবং গবাদি পশু প্রতিরোধক বেড়া তৈরি – এসব ব্যবস্থাগুলো সীমান্ত সুরক্ষিত করতে গ্রহণ করা হয়েছে। আমাদের আশা, এই বিষয়ে আগের মতো সব সমঝোতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটা সহযোগিতামূলক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করে এই ধরনের অপরাধ মোকাবিলার ব্যবস্থা করবে (India Bangladesh Relation)।”

    আরও পড়ুন: প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন ছত্তিশগড়ের বাইগারা, কী বলছেন ‘পিছিয়ে পড়া’রা?

    প্রসঙ্গত, এই সপ্তাহ শুরুর দিকে ভারতের সাউথ ব্লকে তলব করা হয়েছিল বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নুরুল ইসলামকে। সীমান্ত নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতেই ডাকা হয়েছিল তাঁকে। বৈঠকের সময়, ভারতীয় সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য পূর্বে সমঝোতা হওয়া সমস্ত পদক্ষেপ বাস্তবায়নের গুরুত্বের ওপর জোর দেওয়া হয়। ভারতও সীমান্তে বেড়া এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত প্রোটোকল ও চুক্তিগুলো মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দেয়। এই চুক্তি দুই দেশের সরকার (Border Issue) এবং বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে হয়েছিল (India Bangladesh Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ। 

  • Chhattisgarh: প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন ছত্তিশগড়ের বাইগারা, কী বলছেন ‘পিছিয়ে পড়া’রা?

    Chhattisgarh: প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন ছত্তিশগড়ের বাইগারা, কী বলছেন ‘পিছিয়ে পড়া’রা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৬ জানুয়ারি নয়াদিল্লির কর্তব্য পথে প্রজাতন্ত্র দিবস (Republic Day) উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রস্তুত বাইগা সম্প্রদায়ের ৬ প্রতিনিধি। এঁরা ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বিশেষভাবে দুর্বল আদিবাসী গোষ্ঠীগুলির একটি। যে ছ’জন, এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন, তাঁরা প্রত্যেকেই কবিরধাম জেলার বাসিন্দা।

    রাষ্ট্রপতির সঙ্গে নৈশভোজ (Chhattisgarh)

    প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছেন জগতিন বাই বাইগা ও তাঁর স্বামী ফুল সিং বাইগা। এঁরা পানডারিয়া ব্লকের কাডওয়ানি পঞ্চায়েতের পাটপারি গ্রামের বাসিন্দা। আমন্ত্রণ পেয়েছেন বালি বাই বাইগা ও তাঁর স্বামী সোনু রাম বাইগা, তিতরি বাই বাইগা ও তাঁর স্বামী বুধ সিং বাইগা। এঁরা টেলিয়াপানি গ্রামের বাসিন্দা। এই প্রথম তাঁরা দেশের রাজধানীতে যাবেন। সেখানে এঁরা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু আয়োজিত নৈশভোজেও যোগ দেবেন। তাঁরা রাষ্ট্রপতি ভবন, সংসদ ভবন, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন এবং অন্যান্য ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শন করবেন।

    গ্রামে এসেছে আলো

    কবীরধামের দুর্গম অঞ্চলে বসবাসকারী এই গ্রামবাসীরা (Chhattisgarh) ২০২৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত বিদ্যুতের সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলেন। তবে, জেলা কালেক্টর গোপাল ভার্মা ছত্তিসগড় রাজ্য নবীকরণযোগ্য শক্তি উন্নয়ন সংস্থার কর্তাদের নির্দেশ দেন, পাটপারি গ্রামের ২৫টি বাড়িতে দ্রুত বৈদ্যুতিকীকরণের কাজ সম্পন্ন করতে। তার পরেই শুরু হয় কাজ। তড়িঘড়ি প্রতিটি বাড়িতে ৩০০ মেগাওয়াট সোলার হোম লাইটিং সিস্টেম ইনস্টল করা হয়। গ্রামবাসীরা প্রথমবারের মতো বিদ্যুতের সুবিধা পান। এই বিদ্যুত ব্যবহারের জন্য তাঁদের পয়সা দিতে হয় না।

    আরও পড়ুন: গোধরা হত্যাকাণ্ড মামলার আপিলের শুনানি ১৩ ফেব্রুয়ারি, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    গ্রামে উন্নয়ন ও রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণ পেয়ে যারপরনাই উচ্ছ্বসিত গ্রামবাসীরা। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর আমন্ত্রণ পেয়েছেন জগতিন বাই। তিনি বলেন, ‘‘রাষ্ট্রপতিকে দেখার কথা আমরা কখনও স্বপ্নেও ভাবিনি। আমাদের গ্রাম ছিল অন্ধকারে ঢাকা। এখন তা আলোকিত হয়ে উঠেছে। এ সবই সরকার ও কালেক্টর স্যারের কারণে।’’ রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ডাক পেয়েছেন তিতরি বাইও। তিনি বলেন, ‘‘এটি আমাদের জীবনের (Republic Day) সবচেয়ে বড় সুযোগ। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করা এবং প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে অংশ নেওয়া আমাদের এবং আমাদের গ্রামের জন্য গর্বের (Chhattisgarh)।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BSF: অনুপ্রবেশ রুখতে বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারে কাচের বোতল লাগাল বিএসএফ

    BSF: অনুপ্রবেশ রুখতে বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারে কাচের বোতল লাগাল বিএসএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত বাংলাদেশের আবহে সীমান্ত পেরিয়ে লাগাতার ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে বাংলাদেশিরা। এই আবহে সীমান্তে কড়া নজর বিএসএফের (BSF)। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এবার নতুন কৌশল নিল ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। কাঁটাতারের বেড়ায় লাগানো হল কাচের বোতল।। কোচবিহারের মেখলিগঞ্জে কাঁটাতারে লাগানো হল কাচের বোতল। ফুলকাডা বুড়ি ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে কিছুদিন আগেই লাগানো হয় কাঁটাতার। বিএসএফ-এর সাহায্যে সেখানে কাচের বোতল লাগালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দুষ্কৃতীরা ওই তার কেটে নিলে সশব্দে ভাঙবে কাচের বোতল। তাতে সতর্ক হবে বিএসএফ, দাবি স্থানীয়দের।

    কেন এমন ব্যবস্থা? (BSF)

    জানা গিয়েছে, কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে অনুপ্রবেশকারীরা (BSF) এপারে ঢুকতে গেলেই বিএসএফের লাগানো সেই বোতলে ধাক্কা লেগে আওয়াজ হবে। আর সেই শব্দই ‘বিপদ ঘণ্টা’ বা ‘ওয়ার্নিং অ্যালার্ম’-এর মতো কাজ করবে। সঙ্গে সঙ্গে সতর্ক হয়ে যাবে বিএসএফ। তথ্য বলছে, শীতের এই সময়টায় কোচবিহারের এই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত রাত নামতে না নামতেই জমাট কুয়াশায় কার্যত ঢাকা পড়ে যায়। এমনকী, দু’হাত দূরের জিনিসও ঠিক মতো দেখা যায় না। দৃশ্যমানতা এই মারাত্মক হারে কমে যাওয়ায় সীমান্ত পাহারা দিতে গিয়ে ঝামেলায় পড়েন বিএসএফ জওয়ানরা। সেই কারণেই কাঁটাতারের বেড়ায় কোথাও কাচের বোতল, আবার কোথাও টিনের কৌটো বেঁধে রেখেছেন তাঁরা। যাতে সামান্য এদিক-ওদিক কিছু হলেই বিপদের শব্দ সঙ্কেত পাওয়া যায়।

    আরও পড়ুন: মহাকুম্ভ নাকি অন্ধবিশ্বাস! মেলা প্রাঙ্গণে হিন্দু-বিরোধী পোস্টার ছিঁড়ে জ্বালিয়ে দিলেন নাগা সাধুরা

    প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের (BSF) বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই নিরাপত্তার অভাব বোধ করতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা ওই গোটা এলাকা কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে ফেলার দাবি করেছিলেন। শেষমেশ গত ১০ জানুয়ারি, ভারতের দিকে থাকা গ্রামের বাসিন্দারাই জিরো পয়েন্ট ঘেঁষে লোহার খুঁটি পুঁতে দেন। তারপর সেই খুঁটির সঙ্গে কাঁটাতার লাগিয়ে বেড়া দেন তাঁরা। সেই সময় তেড়ে আসে বিজিবি। এমনকী, সীমান্ত (India Bangladesh Border) লাগোয়া গ্রামের বাসিন্দা, সাধারণ বাংলাদেশিরাও কাঁটাতারের বেড়া দিতে আপত্তি করেন। পরবর্তীতে সেই কাজ বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে এই এলাকার প্রায় আড়াই কিলোমিটার অংশে কাঁটাতারের বেড়া লাগানো হলেও বাকি প্রায় ৩ কিলোমিটার সীমান্ত এখনও উন্মুক্তই রয়ে গিয়েছে। তার মধ্যেই সীমান্ত এলাকার যেটুকু অংশে অস্থায়ী কাঁটাতারের বেড়া লাগানো হয়েছে, সেই অংশটুকুর সুরক্ষা আরও কিছুটা বাড়াতে কাঁটাতারের মধ্যেই কাচের বোতল ও টিনের কৌটো লাগিয়ে দিয়েছে বিএসএফ।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, সীমান্তে (BSF) কাঁটাতারের বেড়া না থাকায় সবথেকে বেশি আতঙ্কে থাকি। কারণ, বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা রাতের অন্ধকারে তাঁদের গবাদি পশু, ক্ষেতের ফসল চুরি করে নিয়ে যায়। শীতের সময় এইসব অত্যাচার আরও বাড়ে। তাই, বিএসএফের এই পদক্ষেপে আমরা খুশি। উল্লেখ্য, গত রবিবার, ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে পাঠিয়েছিল ইউনূস সরকার। তারই পাল্টা, দিল্লিতে বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনারকে ডেকে কড়া বার্তা দিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। ইতিমধ্যেই এই ইস্যুতে প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে এসেছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে খবর, কাঁটাতারের ইস্যু-সহ নিরাপত্তাজনিত দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মধ্যে যে চুক্তি রয়েছে, সেই প্রোটোকল মেনে চলছে ভারত সরকার। এদিন এই বিষয়ে বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনারকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে দিল্লি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Godhra Carnage: গোধরা হত্যাকাণ্ড মামলার আপিলের শুনানি ১৩ ফেব্রুয়ারি, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    Godhra Carnage: গোধরা হত্যাকাণ্ড মামলার আপিলের শুনানি ১৩ ফেব্রুয়ারি, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০২ সালের গোধরা হত্যাকাণ্ড (Godhra Carnage) মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত আপিলগুলো নিয়ে শুনানির তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ধার্য করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এই ঘটনার জেরে গুজরাটে ব্যাপক সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জেকে মহেশ্বরী এবং বিচারপতি অরবিন্দ কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, শুনানির সময় কোনও স্থগিতাদেশ অনুমোদন করা হবে না।

    জীবন্ত দগ্ধ ৫৯

    ২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি গুজরাটের গোধরা রেলস্টেশনে সবরমতী এক্সপ্রেসের এস-৬ কোচে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ৫৯ জন যাত্রীর। এঁদের অনেকেই ছিলেন করসেবক। ফিরছিলেন অযোধ্যা থেকে। এই নৃশংস ঘটনার জেরে গুজরাটজুড়ে শুরু হয়ে যায় সাম্প্রদায়িক হিংসা। ঘটনার ন’বছর পরে, ২০১১ সালে বিশেষ তদন্তকারী দলের রিপোর্টের ভিত্তিতে আদালত ৩১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে। এর মধ্যে ১১ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় ২০ জনকে। ২০১৭ সালের অক্টোবরে গুজরাট হাইকোর্ট ১১ জন দোষীর মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে। বহাল রাখে বাকি ২০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ।

    মৃত্যুদণ্ডই চায় গুজরাট সরকার

    যে ১১ জনের শাস্তি কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তাদের মৃত্যুদণ্ড যাতে পুনর্বহাল হয়, তাই সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে গুজরাট সরকার। ওই মামলায় গুজরাট সরকারের তরফে সুপ্রিম কোর্টে হাজির ছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। শীর্ষ আদালতে তিনি বলেছিলেন (Godhra Carnage), “সবরমতী এক্সপ্রেসে শিশু, মহিলা-সহ ৫৯ জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছিল। এই ধরনের অপরাধ বিরলের মধ্যে বিরলতম। তাই আমরা চাই, গুজরাট হাইকোর্ট যাদের মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে, তাদের মৃত্যুদণ্ডই দেওয়া হোক। তাঁর দাবি, সবরমতী এক্সপ্রেসের যে কামরায় আগুন লাগানো হয়েছিল, সেটি বাইরে থেকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: যোগী-মডেলকেই অনুসরণ মমতার, ইউপি-স্টাইল এনকাউন্টারে খতম দুষ্কৃতী সাজ্জাক আলম

    প্রসঙ্গত, গুজরাটে গোধরা হত্যাকাণ্ডের পর ব্যাপক সাম্প্রদায়িক হিংসা শুরু হয়। সরকারি রেকর্ড অনুযায়ী, ওই ঘটনায় ১,০০০-এর বেশি মানুষ নিহত হয়েছিলেন। এই সময়ের অন্যতম কুখ্যাত ঘটনাটি ঘটেছিল ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০০২ সালে। ওই দিন আহমেদাবাদের গুলবার্গ হাউজিং সোসাইটিতেও ঘটেছিল গণহত্যার ঘটনা। সেখানে (Supreme Court) উন্মত্ত জনতার হাতে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৬৯ জন (Godhra Carnage)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share