Tag: Bengali news

Bengali news

  • Train Cancelled: ৯৫ বছরের পুরনো ব্রিজে কাজ! ডানকুনি লাইনে ১০০ ঘণ্টা বাতিল একগুচ্ছ লোকাল-এক্সপ্রেস ট্রেন

    Train Cancelled: ৯৫ বছরের পুরনো ব্রিজে কাজ! ডানকুনি লাইনে ১০০ ঘণ্টা বাতিল একগুচ্ছ লোকাল-এক্সপ্রেস ট্রেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছরের শুরুতেই ফের ট্রেন বাতিলের খবর। একটানা ১০০ ঘণ্টা চলবে না কোনও ট্রেন। শতাধিক লোকাল ট্রেনের (Train Cancelled) পাশাপাশি বাতিল থাকবে একগুচ্ছ এক্সপ্রেস ট্রেনও। একাধিক দূরপাল্লার ঘুরপথে চালানো হবে বলে পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে। শিয়ালদা ডিভিশনের একটি রুটের জন্য এই ঘোষণা করা হয়েছে। ২৩ থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন শিয়ালদা থেকে ডানকুনির মধ্যে ৪৪টি লোকাল ট্রেন বাতিল থাকবে (অর্থাৎ চারদিন মিলিয়ে ১৭৬টি)। ফলে, জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে বৃহস্পতিবার থেকে পরের সোমবার পর্যন্ত ওই লাইনে চলবে না কোনও লোকাল ট্রেন।

    ৯৫ বছরের পুরনো ব্রিজে কাজ চলবে! (Train Cancelled)

    শিয়ালদা ডিভিশনের (Sealdah Division) শিয়ালদা-ডানকুনি সেকশনে বালিঘাট এবং বালিহল্টের মধ্যে রেল ওভারব্রিজের পুরানো স্টিলের গার্ডার প্রতিস্থাপন করা হবে বলে এই ট্রেন বাতিলের (Train Cancelled) কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এই গুরুত্বপূর্ণ রেলসেতুটি ১৯৩১ সালে ব্রিটিশ শাসনকালে নির্মিত হয়েছিল। ব্রিজ নম্বর ১৫ সিসিআর-এর পুরনো স্টিলের গার্ডারটির অবস্থা খারাপ। জরুরি ভিত্তিতে এটি প্রতিস্থাপন করা দরকার বলে জানিয়েছে রেল। রেলের দাবি, এই সেকশনে মেরামতির কাজ করা হলে রেলের গতিও বাড়বে। এই কাজের জন্য দমদম-ডানকুনি সেকশনে ২২ জানুয়ারি রাত ১২টা (ইংরেজি মতে ২৩ জানুয়ারি) থেকে আগামী ২৭ জানুয়ারি ভোর চারটে পর্যন্ত কাজ চলবে।

    আরও পড়ুন: ‘‘জেলবন্দি পার্থর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন মমতা”, বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    কোন কোন এক্সপ্রেস ট্রেন বাতিল?

    রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ৬ জোড়া এক্সপ্রেস ট্রেন বাতিল (Train Cancelled) থাকবে। সেই তালিকায় রয়েছে, কলকাতা-পাটনা গরিবরথ, তেভাগা এক্সপ্রেস, শিয়ালদা-সিউড়ি এক্সপ্রেস, ডিব্রুগড়-কলকাতা এক্সপ্রেস, শিয়ালদা-জাঙ্গিপুর রোড এক্সপ্রেস এবং শিয়ালদা-আসানসোল ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস। বাতিল হওয়া এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটের ভাড়া স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফেরত দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। কয়েকটি এক্সপ্রেস ট্রেন কামারকুন্ডু স্টেশনের পরিবর্তে নৈহাটি স্টেশনে থামবে। কয়েকটি ট্রেনের ক্ষেত্রে দক্ষিণেশ্বরের পরিবর্তে বেলঘরিয়ায় স্টপেজ দেওয়া হবে।

    স্টেশন পরিবর্তন:

    উত্তরবঙ্গ ও শিয়ালদা-পুরী দুরন্ত এক্সপ্রেস (Train Cancelled) শিয়ালদার পরিবর্তে হাওড়া থেকে ছাড়বে। আর উল্টোদিক থেকে এসে হাওড়াতেই যাত্রা শেষ করবে।

    রুট বদল:

    রেল (Train Cancelled) সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৬ জোড়া মেল/এক্সপ্রেস ট্রেন দমদম-নৈহাটি হয়ে ঘুরে যাবে। সেই তালিকায় রয়েছে- জম্মু-তাওয়াই এক্সপ্রেস, বিকানের দুরন্ত এক্সপ্রেস, অনন্যা এক্সপ্রেস, শব্দভেদী এক্সপ্রেস, নাঙ্গল ড্যাম এক্সপ্রেস, শিয়ালদা রাজধানী এক্সপ্রেস, পদাতিক এক্সপ্রেস, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস, কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস, দার্জিলিং মেল, শিয়ালদা-আজমের এক্সপ্রেস, আনন্দ বিহার সম্পর্কক্রান্তি এক্সপ্রেস, জম্মু-তাওয়াই হামসফর এক্সপ্রেস, প্রতাপ এক্সপ্রেস, জালিওয়ানবাগ এক্সপ্রেস।

    ট্রেনের গতি বাড়বে!

    রেলের (Train Cancelled) তরফে দাবি করা হয়েছে, যে কাজ চলবে, তা যাত্রীদের সুরক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তো বটেই। ওই কাজের পরে ওই অংশে ট্রেনের গতিও বাড়বে। আর সেই পরিস্থিতিতে ওই কাজটা করতেই হত। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, যাত্রীদের যাতে দুর্ভোগ কম হয়, সেজন্য ২৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ জানুয়ারির মধ্যে কাজ করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mohan Bhagwat: দেশে সত্যিকারের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার দিন, বললেন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: দেশে সত্যিকারের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার দিন, বললেন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যেদিন অযোধ্যায় রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়েছিল, সেদিনই সত্যিকারের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে দেশে।” কথাগুলি বললেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ, সংক্ষেপে আরএসএসের (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, “এই দিনটি দেশের উচিত ‘প্রতিষ্ঠা দ্বাদশী’ হিসেবে উদযাপন করা। কারণ এই দেশ বহু শতাব্দী ধরে ‘পরচক্র’ (বহিঃ শত্রুর আক্রমণ)-এর মুখোমুখি হয়েছে।

    কী বললেন ভাগবত? (Mohan Bhagwat)

    গত বছর ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার মন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেদিন ছিল দ্বাদশী তিথি। পঞ্জিকা অনুসারে এ বছর সেই তিথি ছিল ১১ জানুয়ারি। সেদিনই পালিত হয় রামলালার প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। সংঘ প্রধান (Mohan Bhagwat) বলেন, “রাম মন্দির আন্দোলন কারও বিরোধিতা করার জন্য শুরু হয়নি। এই আন্দোলন শুরু হয়েছিল ভারতের ‘স্ব’ কে জাগ্রত করতে, যাতে দেশ নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে এবং বিশ্বকে পথ দেখাতে পারে।”

    জাতীয় দেবী অহল্যা পুরস্কার

    সোমবার ইন্দোরে শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাইকে “জাতীয় দেবী অহল্যা পুরস্কার” প্রদান করেন ভাগবত। তার পরেই দেন বক্তৃতা। সেখানেই তিনি বলেন, “গত বছর অযোধ্যায় রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার সময় দেশে কোনও মতবিরোধ ছিল না।” পুরস্কার নেওয়ার পর রাই ঘোষণা করেন, তিনি তাঁর এই সম্মাননাটি রাম মন্দির আন্দোলনের সমস্ত পরিচিত ও অজ্ঞাত মানুষকে উৎসর্গ করছেন, যাঁরা উত্তরপ্রদেশের এই শহরে মহৎ রাম মন্দির নির্মাণে সহায়তা করেছেন। আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ের সংগ্রামের কথা উল্লেখ করে রাই বলেন, “এই মন্দির জাতীয় গর্বের প্রতীক। তিনি এর নির্মাণে একটি মাধ্যম ছিলেন মাত্র (Mohan Bhagwat)।”

    আরও পড়ুন: নুরুল সেজেছিল নারায়ণ! অটো চালিয়ে বিলাসবহুল জীবন যাপনই ধরিয়ে দিল বাংলাদেশিকে

    প্রতি বছর ‘জাতীয় দেবী অহল্যা পুরস্কার’ দেয় শ্রী অহল্যোৎসব সমিতি। বিভিন্ন সামাজিক ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের এই পুরস্কার দেওয়া হয়। এই সংস্থার সভাপতি লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার সুমিত্রা মহাজন। ভাষণ দিতে গিয়ে মহাজন বলেন, “ইন্দোর শহরে দেবী অহল্যাবাইয়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি বৃহৎ স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হবে, যাতে মানুষ তাঁর জীবন ও চরিত্রের সঙ্গে (RSS) পরিচিত হতে পারেন (Mohan Bhagwat)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

      

  • Makar Sankranti: পৌষ পার্বণে ঘরে ঘরে পিঠে-পুলির উৎসব, কেন মকর সংক্রান্তিতে পিঠে খাওয়া হয়?

    Makar Sankranti: পৌষ পার্বণে ঘরে ঘরে পিঠে-পুলির উৎসব, কেন মকর সংক্রান্তিতে পিঠে খাওয়া হয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ মকর সংক্রান্তি। যা পৌষ পার্বণ নামেও বাংলায় বহুল প্রচলিত। বাংলার, বিশেষ করে গ্রামগঞ্জের ঘরে ঘরে এই দিন পিঠে-পুলির উৎসব হয়। অন্দরে অন্দরে দুধ, ক্ষির, গুড়, নারকেলের গন্ধে ম-ম করে। হাড় কাঁপানো শীতে কম্বলের আরাম ছেড়ে জোরকদমে পিঠে-পুলি বানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন বাড়ির মা-বউরা। পৌষ পার্বণ অথচ পিঠে হবে না তা আবার হয় নাকি? যুগ যুগ ধরে পৌষ সংক্রান্তির (Makar Sankranti) দিনে এই মিষ্টান্নের স্বাদ নিতে ভোলেন না বাংলার মানুষ। 

    কেন সংক্রান্তিতে পিঠে খাওয়া হয় জানেন? (Makar Sankranti)

    পৌষ পার্বণের সঙ্গে পিঠে-পুলির যোগ নিয়ে পৌরাণিক গল্পগাথা রয়েছে। জানা যায়, এই দিনই পিতামহ ভীষ্ম স্বইচ্ছায় মৃত্যু বরণ করেন। মূলত নতুন ফসলের উৎসব (Makar Sankranti) বলেই এই দিনটিকে পৌষ-পার্বণ হিসেবে উদযাপন করেন বাঙালিরা। এই সময়ে ঘরে ঘরে নতুন ফসল থাকে। সেই নতুন ফসল দিয়েই তৈরি করা হয় এই বিশেষ মিষ্টান্ন। এই নতুন ফসলকে স্বাগত জানাতেই ঘরে ঘরে বানানো হয় এই অসাধারণ মিষ্টান্ন। গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে এ দিন চাল গুঁড়ো, নারকেল, গুড়, দুধ, ক্ষির দিয়ে তারি করা হয় রকমারি পিঠে। সবচেয়ে জনপ্রিয় পিঠে হল— ভাপা পিঠে। এ ছাড়াও রয়েছে চিতই পিঠে, দুধচিতই, ছিট পিঠে, দুধপুলি, ক্ষীরপুলি, পাটিসাপটা, ফুলঝুড়ি, ধুপি পিঠা, নকশি পিঠে, মালাই পিঠে, মোলপোয়া, পাকন পিঠে, ঝাল পিঠে ইত্যাদি। ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের ‘পৌষপার্বণ’ নামের কবিতায় রয়েছে, ‘গড়িতেছে পিঠে পুলি অশেষ প্রকার, বাড়ি বাড়ি নিমন্ত্রণ কুটুম্বের মেলা, হায় হায় দেশাচার ধন্যি তোর খেলা।’ এই কবিতাতেই বাঙালির কাছে পিঠের আসল গুরুত্ব ধরা পড়ে।

    আরও পড়ুন: ‘‘জেলবন্দি পার্থর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন মমতা”, বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    হারিয়ে যাচ্ছে বাঙালির এই ঐতিহ্য!

    তবে, এখন শহুরে বাঙালিদের হেঁশেলে পিঠে-পুলি তৈরি করার রেওয়াজ ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু। ফলে, রসিক বাঙালি পিঠে (Makar Sankranti) খেতে আস্তানা গেড়েছে মেলায় বা মিষ্টির দোকানে। তাই আজ আর আগের মতো হেঁশেলে ঢুকলেই হাঁড়ির ভেতরে যবুথবু হয়ে থাকে না ক্ষিরে ভরা পাটিসাপটা। আগে তাও যৌথ পরিবার থাকায় মা, দিদিমারা মিলে বা বাড়ির বড় কোনও সদস্যা পিঠে বানানোর উদ্যোগ নিতেন। কিন্তু, এখন কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছে সেই মা, দিদিমারাও। পরিবার ভেঙেছে। যে যার নিজের কাজে ব্যস্ত। তাই বাড়িতে বাড়িতে কমে এসেছে পিঠে বানানোর হিড়িকও। কর্মব্যস্ততার যুগে কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছে বাঙালির এই ঐতিহ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘জেলবন্দি পার্থর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন মমতা”, বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘জেলবন্দি পার্থর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন মমতা”, বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ‘বোমা ফাটালেন’ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর (Suvendu Adhikari) দাবি, প্রায় আড়াই বছর জেলে থাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ফোনে কথা হয়। সেক্ষেত্রে তাঁর সঙ্গে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের কীভাবে ফোনে কথা হতে পারে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। প্রসঙ্গত, জেলে বসে মোবাইল ব্যবহার করছে অপরাধীরা। বাইরের জগতের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে জঙ্গিরা। নাশকতার ছক পরিকল্পনা হচ্ছে সেখান থেকেই। এই অভিযোগ উঠতেই নড়েচড়ে বসেছে কারা দফতর। আধুনিক প্রযুক্তি বিশিষ্ট জ্যামার লাগানো হচ্ছে রাজ্যের জেলগুলিতে। তার প্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে এ হেন মন্তব্য করেন শুভেন্দু।

    পার্থকে নিয়ে আর কী বললেন শুভেন্দু?(Suvendu Adhikari)

    সোমবার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন। আমি আগের কথা বলব না। সম্প্রতির কথা বলব। পার্থ যেদিন চান, বেলের মোরব্বা খান। যেদিন চান, খাসির মাংস খান। গত অষ্টমীতে লুচি-ছোলার ডাল খেয়েছেন। তাই, এই ধরনের স্পর্শকাতর বিষয়ের মামলা পশ্চিমবঙ্গের বাইরে নিয়ে যাওয়া উচিত। তদন্তকারী সংস্থা চার্জশিট দিয়েছে। কনভিকশন করাতে চায়। তাদের বলব সুপ্রিম কোর্টকে বলে এই মামলাগুলি রাজ্যের বাইরে নিয়ে যান। আমি বরাবরই দাবি করি, পশ্চিমবঙ্গের বাইরে এই মামলাগুলি নিয়ে যাওয়া উচিত।”

    আরও পড়ুন: মহাকুম্ভে শাহি স্নান সারলেন ৬০ লক্ষ ভক্ত, পুণ্যার্থীদের বার্তা মোদি-যোগীর

    জেল কাকে বলে জানেন সুদীপ-অনুব্রত!

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, ‘‘রোজভ্যালির মামলা ওড়িশায় ছিল বলে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন জেল কাকে বলে। আজ শাহজাহান, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এরা জানেন না। জেল কাকে বলে কিছুটা অনুব্রত মণ্ডল জানেন। তিনি রাজনীতি করছেন করুন। জেলে যাওয়ার আগের ভাষা আর তিহাড় জেল থেকে বেরিয়ে আসার পর ভাষা অনেক পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। সুদীপদার ভাষার মধ্যেও আমরা তফাৎ দেখি। কিন্তু, এখানকার জেল থেকে যারা ফিরে আসেন যেমন জীবনকৃষ্ণ সাহা, মানিক ভট্টাচার্য, তাদের আমরা দেখছি নির্লজ্জের মতো, মুখে মাস্ক না লাগিয়ে ঢুকছেন, বের হচ্ছেন। আমার স্ট্যান্ডিং কমিটি কোথায় খোঁজ নিচ্ছেন।”

    উল্লেখ্য, সম্প্রতি পার্থর বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে আসছে। একাধিক প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, অযোগ্যদের তালিকায় থাকা সব অযোগ্যরাই কোনও কোনও না কোনও প্রভাবশালীর সুপারিশ করা নাম। অর্থাৎ প্রভাবশালীরা যে নাম জমা দিতেন তার একটা আলাদা তালিকা করা হত। সেই তালিকায় একদিকে যেমন সংশ্লিষ্ট চাকরিপ্রার্থীর নাম থাকত তেমনই সেই তালিকায় যে প্রভাবশালীরা এই নাম সুপারিশ করেছেন তাঁর নামও থাকত। তবে সেই প্রভাবশালীরা নাম সুপারিশ করলেই যে চাকরি পাকা এমনটা নয়। সেই নামের পাশে কাদের চাকরি একেবারে দিতেই হবে, সেটা ঠিক করতেন খোদ পার্থ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladeshi Arrest: নুরুল সেজেছিল নারায়ণ! অটো চালিয়ে বিলাসবহুল জীবন যাপনই ধরিয়ে দিল বাংলাদেশিকে

    Bangladeshi Arrest: নুরুল সেজেছিল নারায়ণ! অটো চালিয়ে বিলাসবহুল জীবন যাপনই ধরিয়ে দিল বাংলাদেশিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পেশায় সামান্য অটোচালক! অথচ, এদেশে এসে বছর খানেকের মধ্যেই জীবনযাত্রার মান বদলে ফেলেছিলেন বাংলাদেশের নুরুল ইসলাম, যা রীতিমতো অবাক করেছিল স্থানীয়দেরও। থাকছিলেন বারাসতের দক্ষিণ কাজিপাড়ার বাসিন্দা শেখ রফিকুল ইসলামের বাড়িতে। এই রফিকুলের বাড়ি বাংলাদেশের  (Bangladeshi Arrest) মাদারিহাট এলাকায়। দুজনেরই কাজকর্ম ও গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় তাঁদের ওপর নজর রাখতে শুরু করেছিল দত্তপুকুর থানার পুলিশ। রবিবার ভোরে ওই দুই বাংলাদেশিকে পাকড়াও করা হয় বারাসতের (Barasat) বামনগাছি চৌমাথা সংলগ্ন এলাকা থেকে। এর আগেও বাংলাদেশিদের এদেশে ভুয়ো পরিচয়পত্র বানিয়ে দেওয়ার অভিযোগে সমীর দাস-সহ মোট চারজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ফের দুই বাংলাদেশির সন্ধান মিলল বারাসতে।

    নুরুল হক থেকে নারায়ণ অধিকারী! (Bangladeshi Arrest)

    জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের (Bangladeshi Arrest) এই নুরুল হক ভারতে এসে হয়ে গিয়েছিলেন নারায়ণ অধিকারী। তাঁর বাড়ি গাজিপুর। বাবার নাম গিয়াস মিঞার পরিবর্তে এখানে করেছিলেন নগেন অধিকারী। রফিকুল ইসলাম আবার ভারতে ঢুকে বারাসতে পেল্লাই বাড়িও বানিয়ে ফেলেছিলেন। দত্তপুকুর থেকে ধৃত রফিকুল ইসলাম এবং নুরুল হক ওরফে নারায়ণ অধিকারীর নথি তৈরি করে দিয়েছিল নথি-জালকাণ্ডে ধৃত সমীর দাস, দাবি পুলিশের। পেশায় লোক দেখানো অটোচালক হলেও দুজনের জীবনযাত্রা নিয়ে স্থানীয় ও পরিচিতদের মধ্যে সন্দেহ দানা বেঁধেছিল। তারই মধ্যে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের উত্তাল পরিস্থিতিতে অনুপ্রবেশকারীদের ধরপাকড় শুরু হলে এই দুজনের গতিবিধির ওপরও নজর রাখতে শুরু করেছিল পুলিশ। শেষে গ্রেফতার করা হয় তাঁদের।

    নুরুলের ঠাটবাটই ছিল অন্য রকম!

    অনেকেই বলছেন, নুরুলের ঠাটবাটই ছিল অন্য রকম। হাতে তাঁর সব সময় থাকত দামি ঘড়ি। আইফোন (Bangladeshi Arrest) ছাড়া অন্য কোনও ফোন ব্যবহার করতেন না। শুধু তাই নয়, কোনও অনুষ্ঠান হলেই শয়ে শয়ে টাকাও খরচ করতেন নুরুল। এমনই দাবি করছেন স্থানীয় লোকজন। কিন্তু, সামান্য অটোচালক হয়ে কীভাবে সে এত বিলাসবহুল জীবনযাপন করত? এখানেই খটকা লাগছে তদন্তকারীদের। পুলিশের অনুমান, এসবই অসৎ পথে উপার্জনের টাকা। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, বাংলাদেশি দালালের মাধ্যমে নুরুল ওপার বাংলার ক্লায়েন্ট জোগাড় করত। তারপর মোটা টাকার বিনিময়ে রফিকুলের মাধ্যমে সে বাংলাদেশিদের ভুয়ো পরিচয়পত্র বানিয়ে দিত। সেখান থেকেই নুরুল মোটা অঙ্কের টাকা উপার্জন করতেন বলে ধারণা তদন্তকারীদের। তবুও দত্তপুকুর থেকে ধৃত বাংলাদেশি নুরুল ইসলামের আয়ের উৎস খুঁজতে তৎপর পুলিশ।

    ভারতীয় মহিলাকে বিয়ে করেন রফিকুল

    প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ (Bangladeshi Arrest) জানতে পেরেছে, ধৃত নুরুল বিগত তিন-সাড়ে তিন বছর ধরে বারাসতের দক্ষিণ কাজিপাড়ার রফিকুলের বাড়িতে ভাড়া থাকার নামে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এই সময়ই তিনি নারায়ণ নামে জাল আধার কার্ড, প্যান কার্ড ও ড্রাইভিং লাইসেন্স বানিয়ে ফেলেছিলেন। সেগুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। রফিকুল আবার গত প্রায় কুড়ি বছর ধরে থাকছিল এদেশে। প্রথমে সে দত্তপুকুর এলাকায় থাকলেও পরে রফিকুল দক্ষিণ কাজিপাড়ায় বাড়ি তৈরি করে ভারতীয় মহিলাকে বিয়ে করে পাকাপাকিভাবে এদেশে থাকতে শুরু করেছিল। দত্তপুকুর থেকে ধৃত রফিকুল ইসলামের বাড়িতে প্রচুর বাংলাদেশির যাতায়াত ছিল বলে জেনেছে পুলিশ। দত্তপুকুরের কাজিপাড়ায় নিজের নামে বাড়িও বানিয়ে ফেলেছিল রফিকুল। জিজ্ঞেস করলে রফিকুল বলতেন, বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসা করাতে এসেছেন ওই ব্যক্তিরা। নুরুলও প্রথমে নিজের পরিচয়েই এসেছিলেন রফিকুলের বাড়ির দোতলার ভাড়াটে হিসেবে।

    নুরুলকে বাড়ি ছাড়া করতে স্থানীয়রা চাপ দিচ্ছিল

    পরে বদলে যায় সবটা। রফিকুল আবার নিজেকে ডাক্তার বলে পরিচয় দিয়েছিলেন স্থানীয়দের কাছে। রফিকুল ইসলামের বাড়িতে সাড়ে তিন বছর আগে থেকে থাকা শুরু করেন নারায়ণ অধিকারী, ওরফে নুরুল হক। মাছের ব্যবসা করছেন, এই পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু প্রথমে নুরুল হকের নাম-পরিচয়ে রফিকুল ইসলামের বাড়িতে থাকলেও পরে নাম, পরিচয়, ভোল- সবই আমূল বদলে ফেলেন তিনি। তখনই চটে যান প্রতিবেশীরা। ভোল বদলের পর নুরুল ইসলামকে বাড়ি ছাড়া করতে রফিকুলকে চাপ দিচ্ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয়দের কাছ থেকে বেশ কয়েকবার সময়ও চেয়ে নিয়েছিলেন রফিকুল। এরইমধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ থেকে বেআইনি ভাবে এদেশে আসা অনুপ্রবেশকারীদের হাতে দ্রুত নথি তুলে দেওয়ার ব্যাপারে এক্সপার্ট ছিলেন সমীর দাস, এই তথ্য আগেই জানিয়েছে পুলিশ। আর সেই জন্য বাংলাদেশে বেশ নামডাকও ছিল তাঁর। শুধু ভারত নয়, বাংলাদেশেও জাল নথি তৈরির ব্যবসার ফাঁদ বিছিয়ে রেখেছেন বারাসাত থেকে ধৃত সমীর দাস। জালিয়াতিকাণ্ডে আর কারা জড়িত রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CAG Report: দিল্লির মদ কেলেঙ্কারির জেরে ক্ষতি, আপকে আক্রমণ শানাল বিজেপি-কংগ্রেস

    CAG Report: দিল্লির মদ কেলেঙ্কারির জেরে ক্ষতি, আপকে আক্রমণ শানাল বিজেপি-কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির মদ নীতি কেলেঙ্কারির জেরে আপ সরকারের আমলে যে ক্ষতি হয়েছে, তার পরিমাণ ২ হাজার ২৭ কোটি টাকা। সাম্প্রতিক এক অডিট রিপোর্টে এমনই উল্লেখ করা হয়েছে (BJP)। রিপোর্টটি প্রকাশ করেছে কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল, সংক্ষেপে ক্যাগ (CAG Report)। রিপোর্টে আবগারি দফতরের শাসন ও দায়বদ্ধতার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ত্রুটিগুলিরও সমালোচনা করা হয়েছে।

    ক্ষতির পরিমাণ (CAG Report)

    বলা হয়েছে, আবগারি দফতরের কাজের ধরন সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্ন উত্থাপন হয় যে তারা কীভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করে। অডিটের ফল থেকে আর্থিক প্রভাবের মোট পরিমাণ প্রায় ২.০২৬.৯১ কোটি টাকা। প্রসঙ্গত, ওই কেলেঙ্কারির অভিযোগে দিল্লির তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও তাঁর ডেপুটি মণীশ সিসোদিয়াকে গ্রেফতার করেছিল ইডি।

    আপকে নিশানা বিজেপির

    ক্যাগের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর আপকে নিশানা করেছে বিজেপি। পদ্ম-পার্টির জাতীয় সভাপতি আক্রমণ শানিয়েছেন আপ এবং অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “ক্ষমতার নেশায় মত্ত, অপশাসনের ওপরে। আপ দা (‘AAP’DA) মডেল লুটের সম্পূর্ণ প্রদর্শনে এবং তাও মদের মতো কিছুতে। আপ সরকারকে ভোট দেওয়া ও তার অপকর্মের জন্য শাস্তি দেওয়া মাত্র কয়েক সপ্তাহের ব্যাপার।”

    পদ্ম সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর দিল্লির তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে মদ কেলেঙ্কারির ‘মূল হোতা’ বলে অভিহিত করেছেন (CAG Report)। দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছে কংগ্রেসও। হাত শিবিরের প্রবীণ নেতা সন্দীপ দীক্ষিত বলেন, “কেজরিওয়াল ভুল করেছেন। তিনি বলেন, সিএজি বলেছে যে মদের নীতিতে ২ হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারি হয়েছে। এখন এটা পরিষ্কার যে তিনি (কেজরিওয়াল) ভুল করেছেন। তিনি সরকারি কোষাগার খালি করেছেন। যদি মদ নীতির কারণে ছ’মাসে ২ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়, আর যদি সেই স্কিমটি এখনও চালু থাকত, তাহলে আমাদের ক্ষতি হত (BJP) ১০ থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা (CAG Report)।

    আরও পড়ুন: বিশ্বের সাংস্কৃতিক রাজধানী ভারত! মহাকুম্ভে যোগ দিয়ে আবেগে ভাসলেন বিদেশিরা

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Mahakumbha Mela 2025: মহাকুম্ভে শাহি স্নান সারলেন ৬০ লক্ষ ভক্ত, পুণ্যার্থীদের বার্তা মোদি-যোগীর

    Mahakumbha Mela 2025: মহাকুম্ভে শাহি স্নান সারলেন ৬০ লক্ষ ভক্ত, পুণ্যার্থীদের বার্তা মোদি-যোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকুম্ভে প্রথম শাহি স্নান নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড় হয়ে উঠেছে। সোমবার প্রবল শৈত্যপ্রবাহ এবং ঠান্ডা উপেক্ষা করেই মহাকুম্ভে শাহি স্নান সারলেন লক্ষ লক্ষ ভক্ত। দেশ-বিদেশ থেকে আসা বহু পুণ্যার্থী দলে দলে প্রয়াগরাজে (Mahakumbh Mela 2025) পৌঁছেছেন। আজ সোমবার থেকে এই মেলা শুরু হয়েছে। চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। মেলার শুরুর দিন অন্তত ৬০ লক্ষ মানুষ ত্রিবেণী সঙ্গমে শাহি স্নান সেরেছেন বলে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

    ভক্তদের শুভেচ্ছা জানালেন মোদি (Mahakumbh Mela 2025)

    পবিত্র এই সময় (Mahakumbh Mela 2025) পুণ্যার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Prime Minister Narendra Modi)। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তিনি লেখেন, “পৌষ পূর্ণিমায় পবিত্র স্নানের মধ্য দিয়ে প্রয়াগরাজের পবিত্র স্থানে মহাকুম্ভ শুরু হয়েছে। বিশ্বাস এবং সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত এই অনুষ্ঠানে আমি সমস্ত ভক্তকে আন্তরিকভাবে অভিনন্দন জানাই। ভারতীয় আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের সঙ্গে যুক্ত এই উৎসব সকলের জীবনে নতুন শক্তি ও উদ্দীপনা জোগাবে।” শুধু তাই নয়, প্রয়াগরাজে পুণ্যার্থীরা যেভাবে ভিড় জমাচ্ছেন, স্নান সারছেন তা দেখে তিনি যে আপ্লুত এবং আবেগপ্রবণ তাও এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    শুভেচ্ছা বার্তা যোগীর

    শাহি স্নান নিয়ে বার্তা দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। শুভেচ্ছা (Mahakumbh Mela 2025) জানিয়েছেন পৌষ পূর্ণিমার। তিনি লিখছেন, “সোমবার থেকে তীর্থরাজ প্রয়াগরাজে শুরু হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক সমাবেশ ‘মহাকুম্ভ’। মেলায় আসা সমস্ত ভক্ত এবং পুণ্যার্থীদের শুভেচ্ছা জানাই।” এদিকে কুম্ভমেলা উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রয়াগরাজজুড়ে। লক্ষ লক্ষ ভক্তের নিরাপত্তায় কয়েকশো পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে ত্রিবেণী সঙ্গমে। প্রসঙ্গত, সোমবার প্রথম শাহি (Mahakumbh Mela 2025) স্নান। এরপর ধাপে ধাপে আরও কয়েকটি স্নান আছে। ১৪ জানুয়ারি রয়েছে মকর সংক্রান্তির স্নান। সেদিন আরও মানুষ আসবেন বলে মনে করা হচ্ছে। প্রায় এক কোটি মানুষ মকর সংক্রান্তিতে স্নান করবেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। সেই মতো সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Bangladesh Relation: ইটের বদলে পাটকেল! বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনারকে দিল্লিতে তলব বিদেশ মন্ত্রকের

    India Bangladesh Relation: ইটের বদলে পাটকেল! বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনারকে দিল্লিতে তলব বিদেশ মন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইটের বদলে পাটকেল! ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে (India Bangladesh Relation) কাঁটাতার বিতর্কের মধ্যেই রবিবার ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করেছিল মহম্মদ ইউনূস প্রশাসন। এবার পাল্টা চাল দিল ভারতও (India)। দিল্লিতে তলব করা হল বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনার নুরাল ইসলামকে। সোমবার দুপুরে নয়াদিল্লির সাউথ ব্লকে বিদেশ মন্ত্রকের দফতর থেকে বের হতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।

    জসীমউদ্দিনের সঙ্গে কথা (India Bangladesh Relation)

    রবিবারই বাংলাদেশের বিদেশসচিব জসীমউদ্দিনের সঙ্গে কথা বলেন প্রণয়। পরে তিনি জানান, কাঁটাতারের বিষয়ে দুদেশের মধ্যে বোঝাপড়া রয়েছে। সীমান্তে অপরাধ দমনের ক্ষেত্রেও সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ এবং বিজিবি পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করবে বলেও জানান তিনি। প্রণয় বলেছিলেন, “নিরাপত্তার জন্য সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার ব্যাপারে আমাদের মধ্যে বোঝাপড়া রয়েছে। এ ব্যাপারে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ এবং বিজিবির মধ্যে আলোচনা হয়েছে। আমরা আশা করি, সীমান্তে অপরাধ দমনের বিষয়ে সহযোগিতার মাধ্যমে সেই বোঝাপড়ার বাস্তবায়ন হবে।” প্রণয় জানান, অপরাধমুক্ত (India Bangladesh Relation) সীমান্ত নিশ্চিত করতে ভারতের যে লক্ষ্য রয়েছে, সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বাংলাদেশের বিদেশসচিবের সঙ্গে। চোরাচালান, অপরাধীদের আসা-যাওয়া এবং পাচারের চেষ্টা রোখার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

    ঢাকার অভিযোগ

    প্রসঙ্গত, ঢাকার অভিযোগ, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের অন্তত পাঁচ জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে ভারত। ঢাকার অভিযোগ, এই কাজ করে ভারত দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ভাঙছে এবং ওই এলাকায় সমস্যা সৃষ্টি করছে। এই বিষয়ে প্রণয় জানিয়েছিলেন, এই বিষয়টি নিয়ে বিএসএফ-বিজিবির মধ্যে কথা চলছে। আমরা আশা করছি, সমস্যা মিটে যাবে। সীমান্তে অপরাধ কমানো নিয়ে সমন্বয়ের ভিত্তিতে কাজ করা যাবে।

    আরও পড়ুন: মহাকুম্ভে ব্যবসা হবে ২ লাখ কোটি টাকার, বিরোধীদের জবাব যোগীর

    সম্প্রতি ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। মালদায় শুকদেবপুর, কোচবিহারের মেখলিগঞ্জে বিএসএফকে কাঁটাতারের বেড়া দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজিবির বিরুদ্ধে। সেই আবহেই (India) এবার বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনারকে তলব (India Bangladesh Relation) করল বিদেশমন্ত্রক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Gangasagar Mela 2025: গঙ্গাসাগরের স্নানে কেন পুণ্য হয়, পৌরাণিক কাহিনিতে ভগীরথ কেন গঙ্গাকে এনেছিলেন?

    Gangasagar Mela 2025: গঙ্গাসাগরের স্নানে কেন পুণ্য হয়, পৌরাণিক কাহিনিতে ভগীরথ কেন গঙ্গাকে এনেছিলেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪৪ বছর পর উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে পূর্ণ মহাকুম্ভ মেলার শুভ পুণ্যস্নান শুরু হয়েছে। একই ভাবে সারা ভারতে কুম্ভের পরেই বঙ্গের সাগরদ্বীপের গঙ্গাসাগর মেলা (Gangasagar Mela 2025) জগদ্বিখ্যাত। এই মেলা অনুষ্ঠিত হয় পৌষ মাসের সংক্রান্তিতে। বলা হয় দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় মেলা। আবার এই সময় থেকে সূর্যের দক্ষিণায়ন থেকে উত্তরায়ণের পথে ধাবিত হয়। এই তিথিতে বৃহস্পতিও অত্যন্ত শুভ জায়গায় অবস্থান করে। এই মাহেন্দ্রক্ষণকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়। গঙ্গাসাগরে স্নান করে কপিল মুনির আশ্রমে পুজো দিলে মনের সকল বাসনা পূর্ণ বলে মনে করা হয়। গঙ্গাকে কীভাবে সাগরের সঙ্গমে আনা হয়েছিল এবং পুজো করা হয়েছিল সেই পৌরাণিক কাহিনি (Mythological Story) এখনও লোকমুখে প্রচলিত। স্থাননাম এবং আধ্যাত্মিক গুরুত্বের বিচারে গঙ্গাসাগর হিন্দুশাস্ত্রে শ্রেষ্ঠ তীর্থ ধামের মধ্যে অন্যতম।

    কোন তিথিতে গঙ্গা সাগরে পুণ্যস্নান (Gangasagar Mela 2025)?

    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই গঙ্গাসাগর মেলা (Gangasagar Mela 2025) চলবে আগামী ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। মকর সংক্রান্তি লাগবে ১৪ জানুয়ারি দুপুর ২টো ৫৮ মিনিট থেকে এবং পুণ্যস্নান করার সময় লাগবে সকাল ৬টা ৫৮ মিনিটে। ওই মুহূর্ত চলবে সকাল ৬টা ৫৮ মিনিট থেকে ১৫ জানুয়ারি সকাল ৬টা ৫৮ মিনিট পর্যন্ত। প্রত্যেক বছরের মতো লক্ষ লক্ষ ভক্তরা পুণ্যের আশায় সাগরসঙ্গমে স্নান করবেন। গঙ্গায় স্নান করে ভক্তরা কপিলমুনির আশ্রমে দেবেন পুজোও। সমস্ত পাপ ধুয়ে নতুন ভাবে জীবনে পুণ্য সঞ্চয়ের ইচ্ছা প্রকাশ করেন তীর্থযাত্রী এবং ভক্তগণ। জন্ম-মৃত্যুর চক্র থেকে মুক্তি পেয়ে ক্ষুদ্র আত্মা পরমাত্মায় বিলীন হয়ে যেতে চান ভক্তরা। আর এই জন্য ভক্তরা মনে করেন ‘সব তীর্থ বার বার গঙ্গাসাগর একবার’।

    মেলাকে ঘিরে বিশ্বাস করা হয় যে কেউ যদি মাহেন্দ্রক্ষণে গঙ্গাসাগরে ডুব দেন তবে ১০০টি অশ্বমেধ যজ্ঞ করার সমান পুণ্য হয়। এই স্নান একটি বৈদিক আচার স্বরূপ। এই পুণ্যস্নান হিন্দু ধর্মের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ভক্তরা গঙ্গাসাগর মেলায় বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানে অংশ নেন। যেমন- গঙ্গা নদীতে ডুব দেওয়া এবং প্রদীপ জ্বালিয়ে থাকেন। প্রাচীন মহাভারতে এই গঙ্গা-সাগর-ভগীরথ-কপিলমুনির গল্প কথা রয়েছে। আজকের সাগরদ্বীপ বহুপুরাতন হিন্দু সংস্কৃতি বহন করেছে। তাই তো লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি তীর্থযাত্রীদের সমাগম হয়।

    জ্যোতিষশাস্ত্রে মকর সংক্রান্তির বিরাট গুরুত্ব

    মকর সংক্রান্তিতে (Gangasagar Mela 2025) জ্যোতিষশাস্ত্রের বিরাট গুরুত্ব রয়েছে। ভারতীয় জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে সূর্য দেবতা এক রাশি থেকে অন্যরাশিতে চলন শুরু করে। আবার হিন্দুপঞ্জিকা ও পুরাণ  (Mythological Story) মতে সূর্য এদিন থেকে মকর রাশিতে প্রবেশ করে এবং এখানে টানা একমাস অবস্থান করেন। মকর হল শনিঘর। সূর্য এবং শনি একে অপরের ঠিক বিপরীতে অবস্থান করে। শনি হলেন আবার সূর্য দেবের পুত্র। মকর সংক্রান্তি থেকে সূর্য তাঁর ছেলের উপর রাগ কমিয়ে দেয় এবং একে অপরের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক প্রসারিত করে। একেই শুভ সময় বলে ধরা হয়। অপর দিকে মকর সংক্রান্তি হল দীর্ঘ শীতের অবসান, একই সঙ্গে নতুন ফসল কাটার সময়। হিন্দুধর্ম মতে একেই সূর্যের উত্তরায়ণ হিসেবে ভাবা হয়। সকল অশুভ সময়ের অবসান হয় এবং শুভ সময়ের সূচনা হয়। এই সময় থেকে দিন বড় হতে শুরু করে এবং রাত ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। এই বিষয়টি সম্পূর্ণ ভাবে জ্যোতিষ অনুশীলন এবং জ্যোতির্বিদ্যাগত দৃষ্টিভঙ্গিতে গুরুত্বপূর্ণ।

    আরও পড়ুনঃ “প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পরিস্থিতি সংবেদনশীল, কিন্তু স্থিতিশীল”, বললেন সেনাপ্রধান

    ভগীরথের গঙ্গা আনয়ন

    গঙ্গাসাগরের (Gangasagar Mela 2025) এই মেলা এবং তীর্থস্থান সম্পর্কে পৌরাণিক (Mythological Story) গল্পগাঁথা রয়েছে। বলা হয়, যেদিন মহাদেবের কেশ থেকে উৎপন্ন হয়ে গঙ্গা পৃথিবীতে প্রবাহিত হয়ে ঋষি কপিলমুনির আশ্রমে পৌঁছে গিয়েছিল সেই দিনটি ছিল মকর সংক্রান্তি। পৌরাণিক গল্পের আদলে গঙ্গাসাগরে কপিলমুনির মন্দির এখনও লক্ষ্য করা যায়। শোনা যায় মূল মন্দির সাগর গর্ভে অনেক আগেই তলিয়ে গিয়েছে। পরবর্তী সময়ে বর্তমান মন্দির নির্মাণ করা হয়েছে। এই কপিলমুনিকে ভাগবান বিষ্ণুর অবতার বলা হয়।

    কপিলমুনির অভিশাপে ভস্ম হয়ে গিয়েছিল সাগরের ৬০ হাজার পুত্র

    এই কপিলমুনির সময়ে ইক্ষাকু বংশের রাজা সাগর অশ্বমেধ যজ্ঞের আয়োজন করেছিলেন। দেবরাজ ইন্দ্র ৯৯ বার এই রাজার যজ্ঞ দেখে ভয় পেয়ে আটকানোর ফন্দি করেন। রাজা সাগর যজ্ঞের ঘোড়াকে ছেড়ে দিয়েছিলেন এবং ঘোষণা করে ছিলেন এই ঘোড়া যে যে রাজ্যের উপর দিয়ে যাবে তাঁরা সাগরের জয় স্বীকার করতে হবে। একইভাবে ঘোড়াকে রক্ষা করতে ৬০ হাজার পুত্রকে পাঠিয়ে ছিলেন। দেখা গিয়েছে একটি ঘোড়া হারিয়ে যায়, এরপর ওই ঘোড়া পাওয়া যায় কপিলমুনির আশ্রমে। কার্যত ইন্দ্র ঘোড়াকে কপিলমুনির আশ্রমে লুকিয়ে রাখেন কৌশল করে। তারপর রাজার ছেলেরা কুপিলমুনিকে কুকথা বলে সম্বোধন করেন। ফলে মুনি ক্ষিপ্ত হয়ে চোখের তীক্ষ্ণ ক্ষোভের আগুনে ৬০ হাজার ছেলেকে ভস্ম করে দেন। এরপর বহু বছর ধরে অভিশাপ থেকে মুক্তি পাননি রাজা সাগর। পরে সূর্যবংশের পরবর্তী বংশধর রাজা ভগীরথ কপিল মুনির আশ্রমে পৌঁছে গিয়ে ক্ষমা চান। তিনি পিতৃপুরুষের মুক্তির জন্য আশীর্বাদ কামনা করেন। তখন গঙ্গাকে (Gangasagar Mela 2025) কঠিন তপস্যার মাধ্যমে গঙ্গাকে নিয়ে আসার কথা বলে ভগীরথকে মুক্তির পথ দেখান কপিলমুনি।

    শ্রাদ্ধ, প্রদীপ প্রজ্বলন, পিন্ডদান হয়

    রাজা ভগীরথ তপস্যা করে গঙ্গাকে হিমালয় থেকে সমুদ্রে নিয়ে আসেন। ফলে গঙ্গার প্রবহমান জলধারায় মুক্তি লাভ করেন সাগরের ৬০ হাজার পুত্র। আত্মমুক্তির তাই পীঠস্থান হল গঙ্গাসাগর। সমস্ত পাপের স্খলন হয় গঙ্গাস্নানে। সাগর রাজার নামে দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই জায়গার সাগর নামকরণ করা হয়েছে। একই ভাবে রাজা ভগীরথের নামে নদীর নাম হয় ভাগীরথী। সমুদ্র এবং দ্বীপের নামে নামকরণ হয়েছে সাগরদ্বীপ। হিন্দুদের কাছে অত্যন্ত পবিত্রধাম। এখানে স্নানের সঙ্গে সঙ্গে শ্রাদ্ধ, প্রদীপ প্রজ্বলন, পিন্ডদান এবং পূজা আচার সব করা হয়। এককথায় হিন্দুদের কাছে মোক্ষধাম গঙ্গাসাগর (Gangasagar Mela 2025)।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: স্যালাইনকাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টে জোড়া জনস্বার্থ মামলার অনুমতি প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের

    Calcutta High Court: স্যালাইনকাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টে জোড়া জনস্বার্থ মামলার অনুমতি প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্যালাইন নিয়েই জোড়া জনস্বার্থ মামলা হল কলকাতা হাইকোর্টে। তার মধ্যে একটি জনস্বার্থ মামলা করতে চেয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। দ্বিতীয়টির জন্য আদালতের (Calcutta High Court) দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী। স্যালাইন নিষিদ্ধ করার পরও এরাজ্যে কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে ‘বিষাক্ত’ স্যালাইন? সেই প্রশ্ন তুলে মামলা দায়ের হয়েছে। দু’টি জনস্বার্থ মামলাই দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। এডুলজির মামলাটি আগামী বৃহস্পতিবার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Calcutta High Court)

    ২০২৪-এর মার্চ মাসেই কর্নাটক সরকার এই স্যালাইন (Calcutta High Court) প্রস্তুতকারী সংস্থাকে নিষিদ্ধ বলে উল্লেখ করেছিলেন। ওই রাজ্যে চার প্রসূতির মৃত্যু হয়েছিল। তারপরই নিষিদ্ধ করার দাবি ওঠে। ডিসিজিআই-কে চিঠিও দিয়েছিলেন ওই রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। কর্নাটক যে স্যালাইনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছিল, সেই স্যালাইন কেন রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে রমরমিয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে, তা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু হয় এক প্রসূতির। এসএসকেএম-এ লড়াই চলছে আরও তিন প্রসূতির। জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে গ্রিন করিডর করে ওই তিন প্রসূতিকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল থেকে নিয়ে আসা হয়েছে কলকাতায় এসএসকেএম হাসপাতালে। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাঁরা। এই ঘটনার পর থেকে হাসপাতালের স্যালাইন (রিঙ্গার্স ল্যাকটেট) নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বস্তুত ‘রিঙ্গার্স ল্যাকটেট’ স্যালাইনের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় গত ১০ ডিসেম্বর ওই স্যালাইনের উৎপাদন ও সরবরাহ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোল। স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমও মেনেছেন, গত নভেম্বরে স্যালাইন উৎপাদক ওই সংস্থাটিকে কর্নাটক সরকার কালো তালিকাভুক্ত করার পরে রাজ্যও ওই নির্দেশ দেয়। তবে এডুলজির দাবি, আরজি কর হাসপাতালে চলতি মাসেও স্যালাইন ব্যবহার করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সকলে যায় সিঙ্গাপুর-আমেরিকা’, স্যালাইনকাণ্ডে মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    মেদিনীপুরের ঘটনার পর হুঁশ ফিরেছে তৃণমূল সরকারের!

    এডুলজি সোমবার হাইকোর্টে জানান, এ রাজ্যের এক সংস্থার (Calcutta High Court) খারাপ মানের স্যালাইন ব্যবহার করে কর্নাটকে কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছিল। তখন রাজ্যের ওই সংস্থাকে কালো তালিকায় পাঠিয়ে দেয় কর্নাটক সরকার। ওই সংস্থার থেকে বরাত নেওয়াও বন্ধ রাখা হয়েছে। সম্প্রতি এ রাজ্যেও খারাপ স্যালাইন ব্যবহারের পর মৃত্যুর অভিযোগ উঠে এসেছে। এমন অবস্থায় বিষয়টি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়েরের আর্জি জানান তিনি। প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম বলেন, “সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি দেখেছি। রাজ্য সরকার সম্ভবত কোনও পদক্ষেপও করছে।” উল্লেখ্য, মেদিনীপুরের ঘটনার পর হুঁশ ফিরেছে তৃণমূল সরকারের। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে হাসপাতালগুলিতে নির্দেশিকা পাঠানো হয়। তারপর একে একে ওয়ার্ড থেকে স্যালাইন সরানো শুরু হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share