Tag: Bengali news

Bengali news

  • Swami Vivekananda: আজ স্বামী বিবেকানন্দের ১৬২তম জন্মজয়ন্তী, ফিরে দেখা স্বামীজির অমর বাণী

    Swami Vivekananda: আজ স্বামী বিবেকানন্দের ১৬২তম জন্মজয়ন্তী, ফিরে দেখা স্বামীজির অমর বাণী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিবছর ১২ জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দের (Swami Vivekand) জন্মজয়ন্তীতে (National Youth Day 2025) পালিত হয় ‘জাতীয় যুব দিবস’। ভারতবর্ষে সমগ্র যুব সমাজের কাছে আদর্শের প্রাণ কেন্দ্র হল স্বামীজি। তিনি হলেন ‘আইকন’। তাঁর উজ্জ্বলদীপ্ত দৃষ্টিকোণ, অগ্নিপ্রজ্বলিত লেখা এবং প্রখর বুদ্ধিদীপ্ত কর্মনিষ্ঠা, এক কথায় ভারতবর্ষের পুনঃজাগরণের অনুপ্রেরণস্থল হলেন তিনি। তিনি ভারতীয় সনাতন হিন্দু ধর্মের প্রতিনিধি হয়ে আমেরিকার শিকাগো শহরে ভাষণ দিয়ে গোটা বিশ্বের কাছে হিন্দু ধর্মের জয়জয় করেছেন। ভারত পৃথিবীকে যে আধ্যাত্মিক জ্ঞান এবং প্রজ্ঞা দিয়েছেন তা সভ্যতা ধ্বংসের আগের মুহূর্ত পর্যন্ত চির শাশ্বত, অক্ষয় ও অমর-অজয় হয়ে থাকবে। আজ বিবেকানন্দের ১৬২ তম জন্মজয়ন্তী। দেশজুড়ে পালিত হবে বিবেক উৎসব, মেলা, আলোচনা চক্র, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, খেলা-সহ নানা কর্মকাণ্ড।

    আধ্যাত্মিক জাগরণেরই স্বাধীনতার ‘স্ব’(National Youth Day 2025)

    বিবেকানন্দ (Swami Vivekand) উনিশতকের একজন আধ্যাত্মিক এবং সমাজ সংস্কারক। তাঁর গুরু ছিলেন ঠাকুর শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ। শাক্ত মায়ের সাধনা এবং মূর্তিপুজোর অন্যতম পুরধা ছিলেন তিনি। নিজের জীবনের জ্ঞান-বিদ্যাবুদ্ধি দিয়ে নরেন্দ্রনাথকে বিবেকানন্দ গড়তে বিশেষ ভাবে সচেষ্ট হয়েছিলেন। একই ভাবে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ এবং ঔপনিবেশিকবাদের বিরুদ্ধে প্রবল ভাবে সরব হয়েছিলেন বিবেকানন্দ। দেশের বৃহত্তর মানুষের জাগরণের জন্য কাজ করেছেন। কীভাবে পাঠান-মুঘল-ইংরেজরা দেশের সম্পদ লুট করে দেশের সংস্কৃতিকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিয়েছিল সেই কথাই সমাজের সামনে তুলে ধরেছিলেন। তাই পরাধীন ভারতকে পুনরায় স্বমহিমায় নিয়ে যেতে ব্রাহ্মণ, চর্মকার, চণ্ডাল এবং শূদ্রের একসঙ্গে জাগরণের কথা বলেছিলেন। সকলকে একত্রিত হতে হবে। ভারতের আধ্যাত্মিক জাগরণের মধ্যেই স্বাধীনতার ‘স্ব’-কে দেখেছিলেন বিবেকানন্দ (National Youth Day 2025)।

    আরও পড়ুনঃ মহাকুম্ভে হাজির মহিলা নাগা সাধুরাও, জানুন তাঁদের জীবনের ৭টি দিক

    শিকাগোতে বিশ্বজয়

    ১৮৯৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বরে স্বামীজি (National Youth Day 2025) ভারতের হয়ে বিশ্ববাসীকে হিন্দুধর্মের গূঢ়অর্থকে তুলে ধরেছিলেন। ধর্মসভায় তাঁকে সকলের শেষে মাত্র সামান্য কয়েক মিনিটের জন্য বলতে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁর সেই সময়ের বক্তৃতায় প্রিয় ‘ভাই ও বোনেরা’ সম্বোধনে গোটা আমেরিকাবাসী চমকে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, আমি সেই দেশ থেকে এসেছি যে দেশে হাজার হাজার বছরের পুরাতন সন্ন্যাসীরা বসবাস করছেন। তাঁদের আবহমান কালের ধর্ম পরম্পরার পক্ষ থেকে বিশ্ববাসীকে আমি শ্রদ্ধা এবং অভিনন্দন জানাই। ভারতীয় ব্রাহ্মণের মহাজ্ঞান, পাণ্ডিত্য এবং বুদ্ধের বিনয় বিশ্বকে শান্তির বাণী উপহার দিয়েছে। পাশ্চাত্য এবং মধ্য-প্রাচ্য থেকে কেবল হিংসা এবং ধ্বংসের কথাই বার বার বার এসেছে। এরপর গোটা ইউরোপ, আমেরিকা সহ একাধিক দেশে ভারতীয় ধর্ম কথাকে প্রচার করে বিশ্বকে জয় করেছেন স্বামীজি। তাঁর দ্বারা আরও প্রভাবিত হয়েছিল আইরিশ বিদেশী নারী ভগ্নী নিবেদিতা। তিনি বিবেকানন্দর (Swami Vivekand) শিষ্যত্ব গ্রহণ করেছিলেন। তিনিও অনুপ্রাণিত হয়ে ভারত মুক্তির লড়াইতে বিপ্লবীদের সঙ্গে ব্রিটিশ বিরোধী কাজে যোগদান করেছিলেন।

    স্বামীজির বাণী

    তাঁর লেখা উল্লেখ যোগ্য গ্রন্থগুলির মধ্যে হল, ‘সঙ্গীতকল্পতরু’ ১৮৮৭, ‘কর্মযোগ’ ১৮৯৬, ‘রাজযোগ’ ১৮৯৬, ‘বেদনান্ত ফিলোজফি’ ১৮৯৬, ‘বর্তমান ভারত’ ১৮৯৯, ‘মাই মাস্টার’ ১৯০১, ‘পরিব্রাজক’। ১৮৯৭ সালে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন রামকৃষ্ণ মিশন। তাঁর বাণী রামকৃষ্ণ মিশন থেকে প্রকাশিত হয়েছে। স্বামীজি (National Youth Day 2025) বলতেন—

    ১> “জেগে ওঠো, সর্বদা সচেতন থাকো, যতক্ষণ না লক্ষ্যে পৌঁছাবে ততক্ষণ পর্যন্ত থেমে যেও না।”

    ২> “যাঁরা তোমাকে সাহায্য করেন, তাঁদের কখনও ভুলেও যেও না। যাঁরা তোমাকে ভালোবাসেন, তাঁদের কখনও ঘৃণা করো না। আর যাঁরা তোমাকে সব সময় বিশ্বাস করেন, তাঁদের কখনও ঠকিও না।”

    ৩> “প্রতিদিন একবার হলেও নিজের সঙ্গে কথা বলো। নাহলে পৃথিবীতে বুদ্ধিমান ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হবে না তোমার।”

    ৪> “যতক্ষণ না আপনি নিজেকে বিশ্বাস করতে পারবেন, ততক্ষণ আপনি ভগবানকেও বিশ্বাস করতে পারবেন না।”

    ৫> “নিত্যদিনের চলার পথে যদি আপনি কোনও সমস্যায় না পড়েন, তাহলে বুঝবেন আপনি ভুল পথে যাচ্ছেন।”

    ৬> “সবচেয়ে পাপ হল নিজেকে দুর্বল ভাবা’। তাই নিজেকে দুর্বল ভাববেন না।… নিজের দোষ থাকা সত্ত্বেও যদি আমরা নিজেকে ভালোবাসি। তবে অন্যদের দোষের কারণে কীভাবে তাঁদের ঘৃণা করব, কি করে?”

    ৭> “প্রতিটি মানুষের ধর্ম হল, নিজেকে সৎ রাখা, নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখুন’। তাহলে জীবনে এগিয়ে যেতে পারবেন। মহাবিশ্বের সমস্ত শক্তি সকলের মধ্যে রয়েছে। আমরাই চোখের সামনে হাত রেখে কেঁদেছি, যে কি অন্ধকার! যে কাজের জন্য আপনি প্রতিশ্রুতি দেন, তা সঠিক সময়ে করা উচিত, অন্যথায় মানুষ তাদের বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। নিজের মনের মতো কাজ পেলে অতি মূর্খও করতে পারে। যে সকল কাজকেই মনের মতো করে নিতে পারে, সেই বুদ্ধিমান। কোনও কাজকেই আপনি ছোট মনে করবেন না।”

    ৮> “ধ্যান মূর্খদের ঋষিতে পরিণত করতে পারে, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, বোকারা কখনই ধ্যান করে না।”

    ৯> “অন্যদের কাছ থেকে যা ভালো তা শিখুন, ভুল জিনিস জীবন থেকে সরিয়ে ফেলুন। তবেই জীবনে এগোতে পারবেন।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Yogi Adityanath: ১৯৭৮ সালের সম্ভল হিংসা মামলা পুনরায় খোলার নির্দেশ যোগী আদিত্যনাথের

    Yogi Adityanath: ১৯৭৮ সালের সম্ভল হিংসা মামলা পুনরায় খোলার নির্দেশ যোগী আদিত্যনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ৪৭ বছরের পুরানো একটি হিংসার (Sambhal Riot) রিপোর্ট চাইল উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) সরকার। উত্তরপ্রদেশেরই সম্ভল এলাকায় সেই হিংসার ঘটনা শুরু হয়েছিল ১৯৭৮ সালের ২৯ মার্চ। দুই গোষ্ঠীর হিংসার জেরে প্রাণ গিয়েছিল বহু মানুষের।

    মৃত্যুর দীর্ঘ তালিকা

    সরকারি রিপোর্ট বলছে, হিংসায় মৃত্যু হয়েছিল ২৪ জনের। যদিও সেই হিংসার হাত থেকে যাঁরা বেঁচে গিয়েছিলেন, তাঁদের বিবৃতি ও মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সাম্প্রতিক বক্তব্য থেকে জানা গিয়েছে, ১৮৪ জন হিন্দুকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। দখল করে নেওয়া হয়েছিল ঘরবাড়ি, দোকানদানি। হিংসার জেরে গৃহহীন হয়েছিলেন বহু মানুষ। এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারে নামে প্রশাসন। দু’মাসের জন্য জারি করা হয়েছিল কারফিউ। দায়ের হয়েছিল ১৬৯টি মামলা। যদিও সিংহভাগ অভিযুক্তকেই চিহ্নিত করা যায়নি।   

    আরও পড়ুন: গোধরাকাণ্ডের পর কীভাবে নিজের আবেগ সামলেছিলেন, পডকাস্টে খোলসা করলেন মোদি

    নথি হস্তান্তরের নির্দেশ

    ২০২৫ সালের ৮ জানুয়ারি মোরাদাবাদ কমিশনার অঞ্জনেয় সিং সম্ভলের জেলাশাসক রাজেন্দ্র পেনসিয়াকে ওই হিংসার সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্ত নথি হস্তান্তরের নির্দেশ দেন। এই নির্দেশ দেওয়া হয় ৭ জানুয়ারি সম্ভল পুলিশ সুপার (এসপি) কেকে বিষ্ণোইয়ের একটি চিঠির প্রেক্ষিতে। এই চিঠিতে তিনি উত্তরপ্রদেশের আইন পরিষদের সদস্য শ্রীচন্দ্র শর্মার পুনঃতদন্তের দাবির কথা জানান। শর্মার চিঠিতে হিংসায় হতাহতের সংখ্যা এবং এর পরিণতি নিয়ে বিশদ তদন্ত দাবি করা হয়। পুলিশের এক আধিকারিক জানান, এই বিষয়টি নিয়ে সম্ভল পুলিশের কাছে দুটি চিঠি এসেছে। এর একটি পাঠানো হয়েছে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের সহ-সচিবের কার্যালয়ের তরফে। অন্য চিঠিটি পাঠানো হয়েছে পুলিশ সুপার (মানবাধিকার) এর পক্ষ থেকে। এর পরেই পুলিশ সুপার ও জেলাশাসকের মধ্যে এ নিয়ে চিঠি চালাচালি হয়। পরে স্থির করা হয়, একটি সম্পূর্ণ রিপোর্ট তৈরি করে রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হবে। পুলিশের দাবি, আঠাত্তরের হিংসা নিয়ে আরও গভীর তদন্ত করতেই এই রিপোর্ট (Sambhal Riot) চাওয়া হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তা জমা করা হবে।

    কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী

    বিধানসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) সম্ভলের সাম্প্রদায়িক হিংসার একটি ঐতিহাসিক ধারার কথা তুলে ধরেন। যা শুরু হয়েছিল সেই ১৯৪৭ সালে, স্বাধীনতার সময়। তিনি জানান, সম্ভলে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটেছিল ১৯৪৭, ১৯৪৮ এবং ১৯৫৮ থেকে ১৯৬২ সালের মধ্যে। ১৯৭৮ সালের হিংসা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “১৯৭৮ সালে ১৮৪ জন হিন্দুকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। কয়েক মাস ধরে কারফিউ জারি ছিল। এরপর ১৯৮০-১৯৮২, ১৯৮৬ এবং ১৯৯০ সালেও আবারও হিংসার ঘটনা ঘটে। যেখানে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। ক্ষতিগ্রস্তও হয়েছিলেন বহু মানুষ।”

    বিরোধীদের তুলোধনা

    বছরের পর বছর নীরব থাকায় এদিন বিরোধীদের তুলোধনা করেন যোগী আদিত্যনাথ। তিনি বলেন, “সম্ভলের বজরংবলী মন্দির, যা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতীক, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বন্ধ রাখা হয়েছে সেই ১৯৭৮ সাল থেকে।” ১৯৭৮ সালের ওই মর্মান্তিক ঘটনা অসংখ্য বেঁচে থাকা মানুষকে ঠেলে দিয়েছিল এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে। অনেকের অভিযোগ, সাম্প্রদায়িক ওই হিংসার সময় তাদের সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করা হয়েছিল (Sambhal Riot)। তাদের প্রয়োজনীয় আইনি সুরক্ষাও দেওয়া হয়নি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি ভিটেছাড়া হওয়ার মানসিক যন্ত্রণা এবং তাদের ক্ষতির প্রতি উপেক্ষার অভিযোগও করেছেন।

    স্থানীয়দের বক্তব্য

    স্থানীয় (Yogi Adityanath) বাসিন্দারা জানান, আনুষ্ঠানিক মৃত্যুর সংখ্যা প্রকৃত ট্র্যাজেডির মাত্রার চেয়ে যথেষ্ট কম করে দেখানো হয়েছে। বেঁচে থাকা ব্যক্তিরা দাবি করেছেন যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অপরাধীদের রক্ষা করা হয়েছিল এবং প্রমাণ লোপাট করা হয়েছিল, তার ফলে কয়েক দশক ধরে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সাম্প্রতিক ঘটনাগুলি আবারও সাম্প্রদায়িক সংবেদনশীলতাকে উদ্দীপিত করেছে। গত ডিসেম্বর মাসে প্রশাসন শহরের একটি “প্রাচীন মন্দিরের দ্বার ফের খুলে দেয় পুণ্যার্থীদের জন্য। তা নিয়েও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। এছাড়াও, ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে শাহী জামা মসজিদের একটি আদালত নির্দেশিত সমীক্ষায় বাধা দেওয়া হয়। সেখানে মুসলিম জনতার বিরোধিতার মুখে পড়েন কর্তৃপক্ষ। মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ এই ঘটনাগুলিকে সম্ভলের শান্তি বিঘ্নিত করার এবং ন্যায়বিচারের প্রচেষ্টা নষ্ট করার চেষ্টার উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন।

    এসপি কেকে বিষ্ণোই বলেন, “একটি সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করার জন্য সবরকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে।” তিনি বলেন, “আমরা আদালত ও পুলিশের রেকর্ড থেকে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করছি, যাতে মামলাগুলি এবং মৃত্যুর কারণ পুনর্মূল্যায়ন করা যায়।” কমিশনার বলেন, “বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের উত্থাপিত জমিজমা-সম্পর্কিত যে কোনও বিরোধ আইনি উপায়ে সমাধান করা হবে। যদি সম্পত্তি অন্যায়ভাবে অধিগ্রহণ করা (Sambhal Riot) হয়, তাহলে সেগুলি প্রকৃত মালিকদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে (Yogi Adityanath)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 12 January 2025: ব্যবসায় মন্দা দেখা দিতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 12 January 2025: ব্যবসায় মন্দা দেখা দিতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) ব্যবসায় অশান্তি বাধার আশঙ্কা।

    ২) বুকের সমস্যা বৃদ্ধি।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) বুদ্ধির ভুলে কোনও ক্ষতি হতে পারে, একটু সাবধান থাকা দরকার।

    ২) ভালো কাজে নিরাশ হয়ে ফিরে আসতে হবে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    মিথুন

    ১) প্রেমের ব্যাপারে অবসাদগ্রস্ত হতে পারেন।

    ২) ব্যবসায় লাভ বৃদ্ধি, তবে খরচও বাড়বে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    কর্কট

    ১) কোনও সন্দেহজনক ব্যক্তি থেকে সাবধান।

    ২) নতুন কাজের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) সতর্ক থাকতে হবে।

    সিংহ

    ১) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    ২) বাড়ির কাছে ভ্রমণের ব্যাপারে আলোচনা।

    ৩) কারও সঙ্গে বিবাদে জড়াবেন না।

    কন্যা

    ১) পুরনো রোগ থেকে মুক্তিলাভ।

    ২) ব্যবসায় মন্দা দেখা দিতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    তুলা

    ১) শিক্ষাগত যোগ্যতার কারণে ভাল কাজ হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে।

    ২) সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়ে সমস্যা হতে পারে।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    বৃশ্চিক

    ১) সন্দেহজনক কোনও ব্যক্তির পাল্লায় পড়ে অর্থক্ষতি। 

    ২) মধুর কথাবার্তা দ্বারা শ্রোতাদের মন জয় করতে পারবেন।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    ধনু

    ১) সকালের দিকে কাজের ব্যাপারে শুভ যোগাযোগ আসতে পারে।

    ২) কর্মস্থানে গুপ্তশত্রু হতে পারে।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    মকর

    ১) কোনও উচ্চপদস্থ ব্যক্তির সঙ্গে বিবাদ।

    ২) স্বামীর সঙ্গে তর্ক না করাই ভালো হবে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কুম্ভ

    ১) বাড়িতে গুরুজনদের স্বাস্থ্যের উন্নতি হতে পারে।

    ২) অতিরিক্ত বিশ্বাসের খেসারত দিতে হতে পারে। 

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মীন

    ১) কর্মক্ষেত্রে বিরোধী ব্যক্তির সঙ্গে মিত্রতা হয়ে যেতে পারে।

    ২) প্রতিবেশীদের চিকিৎসার জন্য সময় ব্যয়।

    ৩) সমাজে খ্যাতি বাড়বে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: ফের টার্গেট হিন্দু! বাংলাদেশের তিনটি মন্দিরে ভাঙচুর, লুট চালাল মৌলবাদীরা

    Bangladesh: ফের টার্গেট হিন্দু! বাংলাদেশের তিনটি মন্দিরে ভাঙচুর, লুট চালাল মৌলবাদীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পালাবদলের পর থেকে উত্তপ্ত বাংলাদেশ। ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার (Bangladesh) গঠনের পর থেকেই সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন ও অত্যাচারের যেন ক্রমেই বেড়ে চলেছে, দাবি একাংশের। ধর্মান্তকরণের চাপ জাঁকিয়ে বসেছে সেদেশের সংখ্যালঘুদের মাথায়। ঢাকা-সহ দেশের একাধিক জায়গায় চলেছে মন্দির ভাঙচুর। আর নতুন বছরের শুরুতে ফের বাংলাদেশে মৌলবাদী তাণ্ডব। চট্টগ্রামের হাটহাজারিতে ৩টি মন্দিরে হামলা। দেদারে চলল লুট। খোয়া গেল মন্দিরের প্রণামী বাক্সে থাকা হাজার পঞ্চাশেক টাকা, গয়না, নিত্য পুজোর জিনিসপত্রও। ফলে, হিন্দুদের ওপর অত্যাচার নিয়মিত হয়ে চলেছে, এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

    ঠিক কী  ঘটনা ঘটেছে? (Bangladesh)

    চট্টগ্রামের (Bangladesh) হাটহাজারি এলাকায় শ্রী বিশ্বেশ্বরী মন্দির, শ্রী সত্যনারায়ণ সেবাশ্রম-সহ একাধিক মন্দিরে হামলা ও লুট চালায় দুষ্কৃতীরা। এর আগেও একই প্রকার সন্ত্রাসের সাক্ষী থেকেছে বাংলাদেশ। গত বছরের শেষ মাসেই নাটোরের শ্বশানকালী মন্দিরে হামলা চালিয়েছিল এক দল দুষ্কৃতী। চলে লুটপাট। তবে সেখানেই থেমে থাকেনি তারা। হাত-পা বেঁধে খুন করা হয় মন্দিরের পুরোহিতকেও। এমনকি নতুন বছর থেকে মৌলবাদী কোপ পড়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতেও। অভিযোগ তিতুমির কলেজের অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবি ঘিরে সরব হয়েছে শিক্ষার্থীরা। ধর্মকে আধার করেই সংখ্যালঘু অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে চলছে হুমকি, হুঁশিয়ারি।

    আরও পড়ুন: দার্জিলিং থেকে পুরুলিয়ার ফারাক মাত্র দেড় ডিগ্রি! ১২ ডিগ্রিতে নামল কলকাতার তাপমাত্রা

    হামলা নিয়ে সরব কলকাতা ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট

    লালমোহন হাটে (Bangladesh) স্থানীয় জমিদার তুষভাণ্ডার জমিদার বাড়ির ভবতারিণী কালী মন্দির চুরি করেছে দুষ্কৃতীরা। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস। এর আগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মৌলবাদের উত্থান ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছিলেন তিনি। মন্দিরের হামলা নিয়ে রাধারমণের পোস্টে দাবি, শুক্রবার পুজো করতে যখন পুরোহিত আসেন, তখনই তিনি দেখতে পান যে, মন্দিরের দরজা ভাঙা। বিগ্রহ উধাও। নেই কোনও সোনার অলংকার, ঠাকুরের মূর্তি বা পুজোর সামগ্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Varanasi: এক শতাব্দী বন্ধ থাকার পর ফের খুলেছে বারাণসীর এই মহাদেব মন্দির, হবে বিশেষ পুজো

    Varanasi: এক শতাব্দী বন্ধ থাকার পর ফের খুলেছে বারাণসীর এই মহাদেব মন্দির, হবে বিশেষ পুজো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর (Varanasi) সিদ্ধেশ্বর মহাদেব মন্দির এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে তালাবন্ধ অবস্থায় পড়ে ছিল। স্থানীয় ও প্রশাসনিক সহায়তায় পুনরায় তা খুলেছে সনাতন রক্ষা দল। কিন্তু এবার নতুন করে মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়ায় মন্দিরের ভিতরে পুরাতন তিনটি শিবলিঙ্গ পাওয়া গিয়েছে। পুরোহিতদের সঙ্গে পরামর্শ করে আগামী ১৪ জানুয়ারি শুভমুহূর্তে পুজো শুরু করা হবে বলে জানা গিয়েছে। শিবভক্তদের মধ্যে এখন বিরাট উচ্ছ্বাস।

    কাশী বিদ্যা পরিষদ, অন্নপূর্ণা মন্দিরের তরফে অংশ গ্রহণ থাকবে

    উত্তরপ্রদেশের (Varanasi) এই পুরাতন শিব মন্দিরটি রয়েছে একটি মুসলিম জনবহুল এলাকায়। আনুমানিক এক শতাব্দী সময় ধরে তালবন্ধ অবস্থায় থাকার পর এবার হিন্দু সমাজের দাবিতে প্রশাসন মন্দির খুলে দেওয়ার কাজ করেছে। এরপর এখন এই মন্দিরে পুজোর উদ্বোধন মুহূর্ত হিসেবে আগামী ১৪ জানুয়ারিকে ঠিক করা হয়েছে। ইতিমধ্যে একই কর্মকাণ্ডে কাশী বিদ্যা পরিষদ, অন্নপূর্ণা মন্দির, এবং অন্যান্য পণ্ডিতেরা অংশ গ্রহণ করবেন।

    আরও পড়ুনঃ আজ প্রাণপ্রতিষ্ঠার প্রথম বর্ষপূর্তি, পঞ্চামৃত অভিষেক সম্পন্ন হল রামলালার

    তিনটি ক্ষয়িষ্ণু শিবলিঙ্গের পুজো হবে

    কাশীর (Varanasi) ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ গৌরব বনসাল বলেন, “মন্দিরটি শতাব্দীর বেশি সময় ধরে তালাবন্দি অবস্থায় পড়ে ছিল। এখন উদ্ধার কাজ চলছে। প্রাচীন বেশকিছু প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান উদ্ধার করা হয়েছে। তিনটি ক্ষয়িষ্ণু শিবলিঙ্গেরও সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এখন সকল ধ্বংসস্তূপগুলিকে পরিষ্কার করা হচ্ছে।” অতিরিক্ত জেলা শাসক আলোক ভার্মা বলেন, “মন্দিরটিকে উদ্ধারকাজে এবং পুনরায় খুলে দেওয়ার সময় কোনও প্রকার বিবাদ হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দারা বেশ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। দেওয়াল এবং ভূ-মণ্ডলের উপরে জমে থাকা ২ ফুটের বেশি মাটির শক্ত আবরণের স্তরকে পরিষ্কারের কাজ করা হচ্ছে। মন্দিরে পুজো যত দ্রুত সম্ভব এখন চালু করা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Economy Growth 2025: ২০২৫ সালেও বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল বৃহৎ অর্থনীতি হবে ভারত, বলছে রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট

    Economy Growth 2025: ২০২৫ সালেও বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল বৃহৎ অর্থনীতি হবে ভারত, বলছে রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি জমানায় দ্রুত উন্নতির পথে দেশ। অর্থনীতির ভিত ক্রমেই হচ্ছে মজবুত। ২০২৫ সালেও যে অব্যাহত থাকবে ভারতীয় অর্থনীতির লেখচিত্র, তা জানিয়ে দিল রাষ্ট্রসংঘ (Economy Growth 2025)। রাষ্ট্রসংঘের অনুমান, বিগত বছরের মতো, এ বছরও বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল বৃহৎ অর্থনীতি হিসেবে ভারত তার অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হবে। হামিদ রাশিদের নেতৃত্বাধীন রাষ্ট্রসংঘের বিশ্ব অর্থনৈতিক পর্যবেক্ষণ ইউনিটের প্রকাশিত রিপোর্টের মতে, এ বছর ভারতের অর্থনীতি বৃদ্ধি পাবে ৬.৬ শতাংশ হারে। বুধবার রাষ্ট্রসংঘের (UN Report) এক রিপোর্টেই এমনতর দাবি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ভারতের অর্থনৈতিক শক্তিবৃদ্ধি দক্ষিণ এশিয়ার আর্থিক অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করবে।

    রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট (Economy Growth 2025)

    রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনীতি হল ভারত। তাই ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। তবে এই অঞ্চলের আর্থিক অগ্রগতিতে অবদান থাকবে নেপাল, ভুটান ও শ্রীলঙ্কার মতো দেশগুলিরও। কীভাবে হবে ভারতের অর্থনৈতিক ‘শ্রীবৃদ্ধি’? সেই ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রসংঘের ওই রিপোর্টে। বলা হয়েছে, মূলত শক্তিশালী বেসরকারি খরচ ও বিনিয়োগের জন্যই ২০২৫ সালে ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ৬.৬ শতাংশ হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

    ভারতের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড

    পরিষেবা এবং নির্দিষ্ট পণ্য, বিশেষ করে ওষুধ ও বৈদ্যুতিন সরঞ্জামের ক্ষেত্রে রফতানি বৃদ্ধি পাবে বলেও দাবি করা হয়েছে ওই রিপোর্টে (Economy Growth 2025)। এর জেরে শক্তিশালী হবে ভারতের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। উৎপাদন ও পরিষেবা খাতের সম্প্রসারণও চালিত করবে ভারতীয় অর্থনীতির চাকাকে। গত বছর ভালো বর্ষা হয়েছে। তাই কৃষিক্ষেত্রেও বৃদ্ধি ভালো হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: “হিন্দুরা জোটবদ্ধ না হলে এখানেও বাংলাদেশের মতো সংখ্যালঘু হয়ে পড়বেন”, বার্তা শুভেন্দুর

    ২০২৪ সালে ভারতীয় অর্থনীতি বৃদ্ধি পেয়েছে ৬.৮ শতাংশ। এ বছর ৬.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। আগামী বছর ভারতীয় অর্থনীতি ফের ৬.৮ শতাংশ বৃদ্ধিতে ফিরে আসবে বলে অনুমান। রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে আশা করা হয়েছে, পরিকাঠামো উন্নয়নে মূলধন ব্যয় আগামী বছরগুলিতে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির ওপর শক্তিশালী বহুমুখী প্রভাব ফেলবে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ভারতে লেবার ইন্ডিকেটর ২০২৪ সালে ভালো ছিল। আগামী বছরও (UN Report) ভালো থাকবে। এ বছর বেকারত্বের হার থাকবে ৬.৬ শতাংশ (Economy Growth 2025)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

      

     

  • Mahakumbh Mela 2025: মহাকুম্ভের নাগা সন্ন্যাসীদের জীবন দর্শন কেমন? কীভাবে পিন্ডদান করে পুণ্যলাভ হয় জানেন?

    Mahakumbh Mela 2025: মহাকুম্ভের নাগা সন্ন্যাসীদের জীবন দর্শন কেমন? কীভাবে পিন্ডদান করে পুণ্যলাভ হয় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকুম্ভের (Mahakumbh Mela 2025) আধ্যাত্মিক সাধনার ভরকেন্দ্রে রয়েছেন নাগা সন্ন্যাসীরা (Naga)। ভারতীয় আধ্যাত্মিক সাধনায় নাগাদের জীবন দর্শন কেমন তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে একটা কৌতূহল রয়েছে। সাধুদের জীবন অভিপ্রায় কেমন? তাঁদের সাধ্য-সাধনতত্ত্বের বিষয়বস্তু কেমন? কীভাবে সাধনা করেন? সারা বছর কীভাবে জীবন অতিবাহিত করেন? লোক সমাজের অন্তরালে কীভাবে সাধনায় অবিচল থাকেন?— ইত্যাদি এই রকম নানা জানা-অজানা প্রশ্নে রহস্য জড়িয়ে রয়েছে কুম্ভমেলার সাধুদের জীবন। সাধারণত কুম্ভে সকল আগত দর্শনার্থী বা তীর্থযাত্রীদের কাছে আকর্ষণীয় দর্শনীয় বিষয় থাকে নাগা সাধুদের শোভাযাত্রা এবং প্রদর্শনী। আসুন এবার নাগা সাধুদের সম্পর্কে কিছু অজানা কথা জেনে নিই।

    শঙ্কারাচার্যের অদ্বৈতবাদের দ্বারা প্রভাবিত (Mahakumbh Mela 2025)

    বলা হয়ে থাকে, নাগারা আদিগুরু শঙ্করাচার্য, অদ্বৈত বেদান্তের মতবাদ দ্বারা অনুপ্রাণিত এবং দীক্ষিত। নাগাদের একটি বিশেষ আখড়া বা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় উত্থান, মন্দির ও আধ্যাত্মিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রক্ষা তথা সর্বোপরি ধর্মরক্ষা-ধর্মসংরক্ষণের জন্য নাগা সাধুর বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকেন। সাধারণত ১২ বছর অন্তর অন্তর মহাকুম্ভ পালিত হয় উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বার, উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ, মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িন এবং মহারাষ্ট্রের নাসিকে। এই বছর পূর্ণ মহাকুম্ভ হবে প্রয়াগরাজে। কুম্ভে কোটি কোটি ভক্ত, সাধু এবং সন্ন্যাসীদের মধ্যে নাগারা বিশেষ রূপ বহন করে থাকেন। তাঁদের ছাই ভস্ম মাখা উলঙ্গ দেহে চলাচল এবং তাঁদের হাতে অস্ত্র কিংবা ত্রিশূল অনন্যরূপে কুম্ভমেলার (Mahakumbh Mela 2025) মূল আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। তাঁদের শোভাযাত্রা এবং অস্ত্র প্রশিক্ষণ শিবিরগুলিতে আগত পুণ্যার্থিদের ভিড় চোখে পড়ার মতো থাকে।

    নাগাদের উৎপত্তি

    ভারতের ইতিহাস এক বৈচিত্র্যপূর্ণ জীবন দর্শন। সনাতন হিন্দু ধর্মের নানা রূপে ভগবান বিরাজিত হন। পথ অনেক হলেও শেষ পর্যন্ত সমুদ্রেই নিমজ্জিত হয় নদী। প্রধান পাঁচটি ধর্মীয় শাখা হল— শৈব, শাক্ত, বৈষ্ণব, সৌর এবং গাণপত্য। এই পাঁচ শাখার মধ্যে নাগারা (Naga) হলেন পরম শৈব। তাঁরা শিবের উপাসক। বলা হয়ে থাকে ভারতীয় প্রাচীন ধর্মীয় রূপগুলির মধ্যে শৈব প্রধান মত। পণ্ডিতদের মতে, সংস্কৃতে ‘নাগা’ শব্দের অর্থ ‘পর্ব’, পাহাড়ী অঞ্চলে বসবাসকারী লোকদের বোঝায়, যাঁদের ‘পাহাড়ি’ বা ‘নাগা’ বলা হয়ে থাকে। এই সন্ন্যাসী সম্প্রদায়ের ভৌগলিক এবং সাংস্কৃতিক শিকড় অনেক গভীরে। অনেকটা দিগম্বর জৈনদের মতো। পোশাক না পরিধান করে নগ্ন অবস্থায় থাকেন তাঁরা। শৈব দর্শন হল তাঁদের মূল সাধন মার্গ। কুম্ভে (Mahakumbh Mela 2025) সাধুরা সনাতনী ভাবনাকেই বার বার ফুটিয়ে তুলতে সচেষ্ট থাকেন।

    পিন্ডদানের আচার পালন করতে হয়

    নাগা (Naga) সাধু হওয়া কোনও সহজ সাধনা নয়। নিজেকে জাগতিক সকল সুখ-ভোগ বিষয় ঐশ্বর্যকে ত্যাগ করতে জয়। সাধুদের প্রথমে ব্রহ্মচর্য এবং আধ্যাত্মিক অনুশাসন পালন করতে হয়। প্রতিশ্রুতি বদ্ধ হয়ে ১২ বছর ধরে কঠোর সাধনায়রত থাকেন সাধকরা। পার্থিব আনন্দ থেকে মুক্ত হয়ে ব্রহ্মচর্য পালন করতে হয়। পঞ্চগুরু, পিন্ডদানের আচার পালন করতে হয়। পিন্ডদানের মাধ্যমে পূর্ব পুরুষদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া করা হয়ে থাকে। সনাতন ধর্মের পাঁচটি মার্গের দর্শনকে গভীরভাবে আত্মস্থ করতে হয়। এরপর গুরুরা দীক্ষা দিয়ে নির্দেশিকা দিয়ে থাকেন। তবে এই মতে দীক্ষা নিলে নতুন করে আবার পুনর্জন্মও হয়। এটাই নাগাদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য, করা হয় সেই সঙ্গে নামকরণও। মেলায় (Mahakumbh Mela 2025) তাঁদের ধর্মীয় লৌকিক এবং অলৌকিক বাস্তবতার প্রয়োগও চোখে পড়ে।

    আরও পড়ুনঃ জমি মাফিয়াদের বোর্ড হল ওয়াকফ, তীব্র আক্রমণ যোগী আদিত্যনাথের  

    ভিক্ষাকরে জীবন অতিবাহিত করতে হয়

    অঙ্গকে কঠোর সংযম এবং সাধনার বলে আসক্তিকে মুক্ত করতে হয়। আখড়ার পতাকার নিচে দাঁড়িয়ে ২৪ ঘণ্টা উপবাসে নিমগ্ন হয়ে থাকতে হয় নাগাদের। তাঁদের মাথার চুল কামানো যায় না, মাথায় জটাধারী চুল হল শিবের প্রতীক। স্বয়ং ভোলানাথের কেশ ছিল জটাবৃত। তীব্রভাবে শারীরিক এবং মানসিক দিক থেকে যে কোনও কামনা-বাসনাকে ত্যাগ করতে হয়। তাঁদের কাছে আধ্যাত্মিক জ্ঞান এবং পরম ঈশ্বর প্রাপ্তি হল প্রধান লক্ষ্য। মূলত তাঁদের ভিক্ষা করে জীবন অতিবাহিত করতে হয়। এক দিনে ৭ বাড়ির বেশি ভিক্ষা করা যায় না, আর যদি ওই দিন ভিক্ষা না পেয়ে থাকেন তাহলে ক্ষুদাকে আলিঙ্গন করতে হয়। তাঁদের মাটিতে বিছানা করে ঘুমাতে হয়। বিলাসিতা এবং সকল স্বাচ্ছন্দ্যকে বর্জন করতে হয়। নাগারা একই ভাবে মনের অহং ভাবনাকে সম্পূর্ণভাবে ত্যাগ করে পরমশক্তিমান শিবের আরাধনা করে থাকেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Bangladesh Border: চোরাচালান, অনুপ্রবেশে মদত করতেই কি সীমান্তে বিএসএফকে বেড়া দিতে বাধা বিজিবি-র?

    India Bangladesh Border: চোরাচালান, অনুপ্রবেশে মদত করতেই কি সীমান্তে বিএসএফকে বেড়া দিতে বাধা বিজিবি-র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্তে উড়ছে কোটি কোটি টাকা। কাঁটাতারের বাইরে ফাঁকা অংশে নজর বাংলাদেশের (India Bangladesh Border) চোরাচালানকারীদের। হু হু করে ঢুকছে রোহিঙ্গারা। মদত রয়েছে ইউনূস সরকারের। দোসর বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বা বিজিবি। বাংলাদেশের অশান্ত পরিস্থিতির মধ্যে এবার ফাঁকা অংশে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বিএসএফ। রাজ্যের একাধিক জেলার সীমান্ত এলাকায় এখন কাঁটাতার দেওয়ার কাজ চলছে। আর সেখানে বার বার বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজিবি। আর তাতে মদত রয়েছে ইউনূস সরকারের। তবে, বিএসএফের কড়া হুঁশিয়ারিতে বার বার পিছু হটছে বিজিবি।

    রোহিঙ্গাদের অনুপ্রেবেশের স্বার্থেই কি বিজিবির এই বিরোধিতা? (India Bangladesh Border)

    মালদা, কোচবিহার, দক্ষিণ দিনাজপুর, নদিয়া সহ একাধিক জায়গায় বিজিবি সীমান্তে (India Bangladesh Border) বিএসএফকে কাঁটাতারের বেড়া দিতে বাধা দিচ্ছে। মূলত, সীমান্তে চোরাচালান, অনুপ্রবেশে ইউনূস সরকারের মদত রয়েছে। সরকারের নির্দেশ পেয়ে সীমান্তে সক্রিয় হয়ে উঠেছে বিজিবি। নানা অছিলায় বিএসএফকে কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে। মূলত, সীমান্তে যাতে বেড়া দিতে না পারে তার উদ্যোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু, প্রতিবারই বিএসএফের চাপে পিছু হটছে বিজিবি। জানা গিয়েছে, মালদার ভারত-বাংলা সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া স্থাপনে আবারও বিজিবির পক্ষ থেকে ভারতের কেন্দ্রীয় পূর্ত সড়ক বিভাগকে বাধা দেয়। তাদের দাবি, বেড়া নির্মাণের জন্য খুঁটির গর্ত খোঁড়া যাবে না। যেখানে গর্ত খোঁড়া হচ্ছে, সেই জায়গা নাকি বাংলাদেশের। তাদের বাধায় বৃহস্পতিবার সকালে বন্ধ হয়ে যায় বেড়া দেওয়ার কাজ। বিকেলে ইংরেজবাজারের মহদিপুরে দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে ফ্ল্যাগ মিটিং হয়। সেই বৈঠকে বাংলাদেশি সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে ম্যাপ খুলে সবকিছু দেখানোর পর, তারা নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসে। শুক্রবার সকাল থেকে ফের শুরু হয়েছে বেড়া দেওয়ার কাজ, বলে জানিয়েছেন মালদার জেলাশাসক। তবে সীমান্ত লাগোয়া এলাকার ভারতীয়রা বলছেন, এর পিছনে রয়েছে বাংলাদেশের অভিসন্ধি। যেখানে তারা এই ঘটনা ঘটাচ্ছে, সেখানে সীমান্তের ওপারে রোহিঙ্গারাও জড়ো হয়েছে বলে তাঁরা জানতে পেরেছেন। তবে কি বাংলাদেশি রোহিঙ্গাদের অনুপ্রেবেশের স্বার্থেই কি বিজিবির এই বিরোধিতা? প্রশ্ন তুলছেন এপারের মানুষ।

    আরও পড়ুন: দার্জিলিং থেকে পুরুলিয়ার ফারাক মাত্র দেড় ডিগ্রি! ১২ ডিগ্রিতে নামল কলকাতার তাপমাত্রা

    বেড়া দিতে বার বার বাধা দিচ্ছে বিজিবি!

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সম্প্রতি ইন্দো-বাংলা সীমান্তের (India Bangladesh Border) অরক্ষিত সীমান্তে ত্রিস্তর কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি থেকে সেই কাজ শুরু হয়েছে। কালিয়াচক ৩ নম্বর ব্লকের বাখরাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের সুকদেবপুরেও চলতি সপ্তাহে সেই কাজ শুরু হয়। কিন্তু গত সোমবার সেখান প্রথমবার কাজে বাধা দেন বেশকিছু বাংলাদেশি। তাঁদের সমর্থনে এগিয়ে আসে বিজিবিও। তারা দাবি করে, যেখানে বেড়া দেওয়া হচ্ছে সেই জায়গা বাংলাদেশ ভূখণ্ডের মধ্যে পড়ে। যদিও কালিয়াচক ৩ নম্বর ব্লক প্রশাসনের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে ম্যাপ খুলে বিজিবিকে প্রমাণ দেন, যে তাদের দাবি সঠিক নয়। মঙ্গলবার কাজ ফের শুরু হয়। একদিন কাজ হতে না হতে ফের বাধা আসে। নকশা অনুযায়ী, কাঁটাতারের বেড়া দিতে ওই এলাকায় মরাগঙ্গা নদীর ধারে মোট ৪০০টি খুঁটি পুঁততে হবে। তার জন্য ইতিমধ্যে শতাধিক গর্ত করা হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার বিজিবির তরফে দাবি করা হয়, যে জায়গায় গর্ত খোঁড়া হচ্ছে, সেটা বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার মধ্যে পড়ে।

    স্থানীয় প্রধান কী বললেন?

    বাখরাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আবদুর রহিম জানাচ্ছেন, “বিজিবি ও অল্প কিছু সংখ্যক বাংলাদেশির (India Bangladesh Border) বাধায় বারবার এই কাজ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। আমরা চাই, দ্রুত এই বেড়া দেওয়া হোক। এতে এলাকার নিরাপত্তা যেমন বাড়বে, তেমনই চোরা কারবার আর অনুপ্রবেশের উপরেও নিয়ন্ত্রণ রাখা সহজ হবে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে অস্থির অবস্থা চলছে। বিনা কারণে বাংলাদেশিরা কাঁটাতারের ওপারে ভারতীয় জমিতে চাষ করতে যাওয়া চাষিদের গালাগালি করছে। তবে বিএসএফ সক্রিয় রয়েছে। সীমান্তে নিরাপত্তা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।”

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    সুকদেবপুরের বাসিন্দা (India Bangladesh Border) মহম্মদ ফইজুদ্দিন, বাবলু শেখরা বলেন, “এমনিতেই এই এলাকা দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। মাঝেমধ্যেই জাল নোট কিংবা নেশার কফ সিরাপ উদ্ধার হয়। বিএসএফ জওয়ানদের ওপর বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের হামলার ঘটনাও ঘটেছে। নিজেদের নিরাপত্তায় আমরা দীর্ঘদিন ধরেই সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলাম। অবশেষে কেন্দ্রীয় সরকার সেই কাজ শুরু করেছে। যে কোনও মূল্যে কাঁটাতারের বেড়া দিতে হবে।” স্থানীয় রমজান আলির বক্তব্য, “আমরা খবর পেয়েছি, এই অরক্ষিত সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশি আর রোহিঙ্গাদের এদেশে অনুপ্রবেশ করানোর চেষ্টা করছে বিজিবি। সেই কারণেই তারা বারবার ঝামেলা পাকাচ্ছে। বিএসএফ আমাদের একবার সুযোগ দিক, আমরা সব ঠান্ডা করে দেব।”

    বিএসএফের কর্তা কী বললেন?

    বিএসএফের (BSF) এক আধিকারিক (India Bangladesh Border) হনুমান প্রসাদ জানাচ্ছেন, “বিজিবির বাধায় গতকাল সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সমস্যা মেটাতে মহদিপুরে দু’দেশের ফ্ল্যাগ মিটিং হয়েছে।  ফের কাজ শুরু হয়েছে। সীমান্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সুকদেবপুর বিওপি থেকে শবদলপুর বিওপি পর্যন্ত জওয়ানদের মোতায়েন করা হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: গোধরাকাণ্ডের পর কীভাবে নিজের আবেগ সামলেছিলেন, পডকাস্টে খোলসা করলেন মোদি

    PM Modi: গোধরাকাণ্ডের পর কীভাবে নিজের আবেগ সামলেছিলেন, পডকাস্টে খোলসা করলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সেখানে যন্ত্রণাদায়ক দৃশ্যের সম্মুখীন হই।” গোধরাকাণ্ডে এমনই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। জেরোধার সহ-প্রতিষ্ঠাতা নিখিল কামাথের সঙ্গে প্রথম পডকাস্ট সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২৪ ফেব্রুয়ারি প্রথমবার বিধায়ক নির্বাচিত হই। ২৭ ফেব্রুয়ারি বিধানসভায় ছিলাম। সেই সময় ট্রেনে আগুন লাগার খবর পাই, মৃত্যুর খবর পাই। সঙ্গে সঙ্গে গোধরা (Godhra) উড়ে গিয়েছিলাম আমি।” তিনি বলেন, “সেখানে যন্ত্রণাদায়ক দৃশ্যের সম্মুখীন হই। সব অনুভূতিই ছিল ভিতরে, কিন্তু যে পদে অধিষ্ঠিত ছিলাম, তার গুরুত্ব বিবেচনা করে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছিল।”

    গোধরা পৌঁছনোর অভিজ্ঞতা (PM Modi)

    অকুস্থলে পৌঁছতে যে তাঁকে হিমশিম খেতে হয়, তাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “একটাই মাত্র হেলিকপ্টার ছিল। ওএনজিসির সিঙ্গল ইঞ্জিনের হেলিকপ্টার। বলা হয়, ভিআইপি ওই হেলিকপ্টারে উঠতে পারবেন না।” তিনি বলেন, “আমি তর্ক করি। জানাই, আমি ভিআইপি নই। যা ঘটেছে, তার দায় আমার। তার পরেই গোধরা উড়ে যাই।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সামনে তখন যন্ত্রণাদায়ক দৃশ্য, ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে মৃতদেহ। কিন্তু স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া দমন করতে হয়েছিল, সরিয়ে রাখতে হয়েছিল ব্যক্তিগত আবেগ।”

    কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা কীভাবে

    মোদি (PM Modi) গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন পাঁচটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছিল। সেই সময়ও তাঁকে কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হয়েছিল। তিনি বলেন, “পুলিশকে বলেছিলাম, কন্ট্রোল রুমে থাকতে চাই। কিন্তু নিরাপত্তাজনিত কারণে তা করা যায়নি। পরে হাসপাতালে আহতদের সঙ্গে দেখা করতে যাই। ভিতরে অসম্ভব অস্থিরতা ছিল, উৎকণ্ঠায় ছিলাম। আমার অন্যরকম অভিজ্ঞতা হয়েছিল।”

    আরও পড়ুন: পর্নস্টারকে ঘুষ মামলায় নিঃশর্ত রেহাই ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্টের, কী বলল আদালত?

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “আমি কখনও জীবন-মৃত্যুর কথা ভাবিনি। যারা হিসেবি জীবন যাপন করেন, তাঁদের এমনটা মনে হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর অবাক হয়েছিলাম, কী করে মুখ্যমন্ত্রী হলাম, এই ভেবে।” তিনি বলেন, “আমার ব্যাকগ্রাউন্ডটাই এমন যে আমি যদি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকও হতাম, তাহলে আমার (Godhra) মা পাড়ায় গুড় বিলি করতেন (PM Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Hush Money Case: পর্নস্টারকে ঘুষ মামলায় নিঃশর্ত রেহাই ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্টের, কী বলল আদালত?

    Hush Money Case: পর্নস্টারকে ঘুষ মামলায় নিঃশর্ত রেহাই ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্টের, কী বলল আদালত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মসনদে বসার দিন দশেক আগে বড় স্বস্তি পেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পর্নস্টারকে ঘুষ দিয়ে মুখ বন্ধ করার চেষ্টার মামলায় (Hush Money Case) নিঃশর্ত রেহাই পেলেন আমেরিকার হবু প্রেসিডেন্ট। পর্নস্টার স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন তিনি (Donald Trump)। তার পরেই শুরু হয়েছিল আদালত কী সাজা দেয় ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্টকে, তা নিয়ে জল্পনা। শেষমেশ স্বস্তির শ্বাস ফেললেন রিপাবলিকান পার্টির এই নেতা।

    কী বলল আদালত? (Hush Money Case)

    আদালত জানিয়ে দিয়েছে, জেল কিংবা জরিমানা, কিছুই হচ্ছে না তাঁর। ট্রাম্পকে যে জেলে যেতে হবে না, এক একপ্রকার জানাই ছিল। কারণ মার্কিন আইন অনুয়ায়ী, ট্রাম্পের কারাদণ্ডের সম্ভাবনা প্রায় ছিলই না। তবে আর্থিক জরিমানা হওয়ার আশঙ্কা করছিলেন ট্রাম্পের অনুগামীদের একাংশ। শেষ পর্যন্ত নিঃশর্ত রেহাই মেলায় স্বস্তির শ্বাস ফেললেন ট্রাম্প ও তাঁর অনুগামীরা। শুক্রবার ফ্লোরিডা থেকে ভার্চুয়ালি আদালতে হাজিরা দেন ট্রাম্প। জানান, তিনি নির্দোষ (Hush Money Case)। এর পরেই বিচারক জুয়ান মার্চান বলেন, “এই আদালত নির্ধারণ করেছে যে, দেশের সর্বোচ্চ পদের ওপর হস্তক্ষেপ না করেই রায় বা দোষী সাব্যস্ত হওয়ার একমাত্র আইনসঙ্গত শাস্তি হল নিঃশর্ত অব্যাহতি।”

    স্টর্মিকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ

    ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে স্টর্মিকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। গত মে মাসে নিউ ইয়র্কের আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তাতে অবশ্য ট্রাম্পের রাজনৈতিক কেরিয়ারের কোনও ক্ষতি হয়নি। কারণ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য সাজা ঘোষণা স্থগিত রেখেছিল আদালত (Hush Money Case)। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের দলের প্রার্থীকে কার্যত ধরাশায়ী করে জয়ী হন ট্রাম্প।

    আরও পড়ুন: “হিন্দুরা জোটবদ্ধ না হলে এখানেও বাংলাদেশের মতো সংখ্যালঘু হয়ে পড়বেন”, বার্তা শুভেন্দুর

    এর পরেই মামলার (Hush Money Case) শাস্তি থেকে অব্যাহতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। ভাবী প্রেসিডেন্টের সেই আর্জি খারিজ করে আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, প্রেসিডেন্ট পদে বসলেও, রক্ষাকবচের কোনও প্রশ্নই নেই। তার পরেই গুঞ্জন ছড়ায়, তাহলে কি দ্বিতীয়বারের জন্য প্রেসিডেন্ট পদে বসার আগেই অস্বস্তিতে পড়তে চলেছেন ট্রাম্প। শুক্রবার সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিল আদালত। স্বস্তি পেলেন ট্রাম্প। প্রসঙ্গত, আগামী ২০ জানুয়ারি ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেবেন ট্রাম্প (Donald Trump)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share