Tag: Bengali news

Bengali news

  • India Maldives Relation: উন্নতি হচ্ছে ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কের, প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়াতে সাহায্যের আশ্বাস রাজনাথের

    India Maldives Relation: উন্নতি হচ্ছে ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কের, প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়াতে সাহায্যের আশ্বাস রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মলদ্বীপের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা শক্তিশালী করতে প্রয়োজনীয় সাহায্য করতে ভারত প্রস্তুত। দ্বীপরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মহম্মদ ঘাসান মৌমুনকে এই মর্মে আশ্বস্ত (India Maldives Relation) করলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। সম্প্রতি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয় রাজনাথের সঙ্গে মলদ্বীপের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর। সেখানে দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা তাঁদের সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে আলোচনা করেন।

    কী বলছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক? (India Maldives Relation)

    প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, রাজনাথ মলদ্বীপের প্রতিরক্ষা প্রস্তুতির সক্ষমতা বাড়াতে ভারতের প্রস্তুতি ফের নিশ্চিত করেছেন, যা জাতীয় অগ্রাধিকার এবং ভারতের ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতি এবং  ‘সিকিউরিটি অ্যান্ড গ্রোথ ফর অল ইন দ্য রিজিয়ন’ (সংক্ষেপে ‘সাগর’) দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রতিরক্ষা প্ল্যাটফর্ম ও সম্পদের ব্যবস্থা করে। প্রতিরক্ষা সম্পর্ক জোরদার করার সিদ্ধান্তটি গৃহীত হয়েছে প্রায় আট মাস পরে, যখন ভারতের সামরিক কর্মীদের মলদ্বীপ থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল। মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট চিনপন্থী মহম্মদ মুইজ্জুর অনুরোধে প্রত্যাহার করা হয়েছিল সামরিক কর্মীদের। ২০২৩ সালের নভেম্বরে তিনি ক্ষমতায় আসার পর ভারত ও মলদ্বীপের সম্পর্কের অবনতি ঘটে।

    মুইজ্জুর চিন-প্রেম

    মুইজ্জু প্রশাসন মলদ্বীপে অবস্থানরত ৮৫ জনেরও বেশি ভারতীয় সামরিক কর্মীকে অপসারণের দাবি জানায়। এই সামরিক কর্মীরা সে দেশে একটি বিমান এবং দুটি হেলিকপ্টার পরিচালনার জন্য মোতায়েন ছিলেন। এই পদক্ষেপের পরে পরে মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট চিনের দিকে বেশি করে ঝুঁকতে শুরু করেন। মলদ্বীপের ক্ষমতায় এসেই সে দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা প্রথমে ভারত সফরে আসেন। সেই রীতি ভেঙে মুইজ্জু চিন সফরে চলে যান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কটূক্তি করায় ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্ক (India Maldives Relation) আরও তলানিতে ঠেকে। পরে অবশ্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে জোর দেয় মলদ্বীপ প্রশাসন। তার পর এই হল দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বৈঠক। জানা গিয়েছে, দুই দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীরা তাঁদের দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। ভারত-মলদ্বীপ বিস্তৃত অর্থনৈতিক ও সামুদ্রিক নিরাপত্তার অংশীদারিত্বে তাঁদের অভিন্ন প্রতিশ্রুতিও ফের নিশ্চিত করেন।

    আরও পড়ুন: তিরুপতি মন্দিরে হুড়োহুড়ি, পদপিষ্ট হয়ে মৃত অন্তত ৬, শোকপ্রকাশ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর

    রাজনাথের এহেন প্রতিশ্রুতির পর ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মৌমুন। ভারতকে তিনি মলদ্বীপের “প্রথম সাড়া প্রদানকারী” রাষ্ট্রের মর্যাদা দেন। মলদ্বীপের পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা কর্মীদের (Rajnath Singh) প্রশিক্ষণে সাহায্য করতে ভারতের ভূমিকার ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি (India Maldives Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • Tirupati Temple:  তিরুপতি মন্দিরে হুড়োহুড়ি, পদপিষ্ট হয়ে মৃত অন্তত ৬, শোকপ্রকাশ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর

    Tirupati Temple: তিরুপতি মন্দিরে হুড়োহুড়ি, পদপিষ্ট হয়ে মৃত অন্তত ৬, শোকপ্রকাশ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতি মন্দিরে (Tirupati Temple) পদপিষ্ট হয়ে মৃত অন্তত ৬। গুরুতর আহতের সংখ্যা ১৫। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। আহতদের উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু। বৃহস্পতিবার আহতদের সঙ্গে দেখা করতে তিরুপতি যাচ্ছেন তিনি। 

    বৈকুণ্ঠদ্বার দর্শনের সুযোগ (Tirupati Temple)

    বৈকুণ্ঠ একাদশীর দিন বৈকুণ্ঠদ্বার দর্শনের সুযোগ পান ভক্তরা। তিরুপতি মন্দিরের বৈকুণ্ঠদ্বার দর্শনের জন্য আগে থেকে টিকিট কাটতে হয়। বুধবার সকাল থেকে ওই টিকিট জোগাড় করতে ভিড় করেন প্রচুর মানুষ। সন্ধ্যায় বৈরাগী পট্টিতা পার্কে টিকিট বিলির আগে কাউন্টারের সামনে অন্ততপক্ষে সাড়ে চার হাজার মানুষ ভিড় করেছিলেন। কাউন্টার খুলতেই শুরু হয়ে যায় টিকিট পেতে হুড়োহুড়ি। ভিড়ের চোটে মাটিতে পড়ে যান অন্তত ৬০ জন। অনেকে উঠে দাঁড়াতে পারলেও, পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় অন্তত ছজনের। মৃতের সংখ্যা আরও বড়তে পারে বলেই খবর। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় উদ্ধারকাজ। আহতদের উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর রামনারায়ণ রুইয়া হাসপাতালে (Tirupati Temple)।

    আরও পড়ুন: ক্ষমতার চিটে গুড়ে পা আটকে ইউনূসের! তাই কি ক্ষুব্ধ খালেদার বিএনপি?

    শোক প্রকাশ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর

    ঘটনায় শোক জ্ঞাপন করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, তিরুপতিতে পদদলিত হয়ে অনেক ভক্তের প্রাণহানির খবর শুনে আমি মর্মাহত। শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলির প্রতি আমার গভীর সমবেদনা জানাই এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।

    শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার রাতে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রীর অফিসের তরফে লেখা হয়েছে, ‘তিরুপতির (Tirupati Temple) ঘটনায় শোকাহত। নিহতদের পরিবারের পাশে আছি। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার সব রকম সাহায্যের জন্য প্রস্তুত (Andhra Pradesh)।’

    ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “তিরুপতির ঘটনায় গভীরভাবে শোকাহত। নিহতদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই। মৃতদের আত্মা শান্তি পাক। এই ঘটনা কীভাবে ঘটল, তা ভেবেই আমি হতবাক। আহতরা যাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন এই প্রার্থনা করছি।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 09 January 2025: উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শুভ যোগ রয়েছে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 09 January 2025: উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শুভ যোগ রয়েছে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) কোনও নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্য আপনাকে বিপদে পড়তে হতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শুভ যোগ।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) কোনও ভুল কাজের জন্য অনুতাপ হতে পারে।

    ২) অতিরিক্ত দৌড়ঝাঁপ করার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।

    ৩) সতর্ক থাকবেন সব বিষয়ে।

    মিথুন

    ১) কারও কুপ্রভাবে সংসারে অশান্তি হতে পারে।

    ২) সামাজিক সুনাম লাভ বা প্রতিপত্তি বিস্তারের যোগ।

    ৩) বাণীতে সংযম জরুরি।

    কর্কট

    ১) সাংসারিক কারণে মানসিক যন্ত্রণা।

    ২) আজ আপনাকে অবাক করে দেওয়া কোনও সুখবর আসতে পারে।

    ৩) সবাইকে ভালোভাবে কথা বলুন।

    সিংহ

    ১) সম্পত্তি সংক্রান্ত সমস্যা মিটে যেতে পারে।

    ২) অপরের উপকার করতে গেলে বিপদ হতে পারে।

    ৩) প্রতিকূল কাটবে দিনটি।

    কন্যা

    ১) বাতজ রোগে কষ্ট পাওয়ার আশঙ্কা।

    ২) কর্মস্থলে নিজের মতামত প্রকাশ না করাই ভাল হবে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    তুলা

    ১) বাড়িতে সবাই খুব সতর্ক থাকুন, চুরির ভয় রয়েছে।

    ২) আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

    ৩) দিনটি মোটামুটি কাটবে।

    বৃশ্চিক

    ১) জমি বা সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করার শুভ দিন।

    ২) শেয়ারে বাড়তি লগ্নি চিন্তাবৃদ্ধি ঘটাতে পারে।

    ৩) আশাহত।

    ধনু

    ১) বন্ধুদের বিরোধিতা থেকে সাবধান থাকুন।

    ২) সঞ্চয়ের ব্যাপারে বিশেষ নজর দিন।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    মকর

    ১) পেটের সমস্যা বাড়তে পারে।

    ২) ব্যবসায় আমূল পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেন।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কুম্ভ

    ১) ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ না করাই শ্রেয়।

    ২) মাথাগরম করার ফলে হাতে আসা কাজ ভেস্তে যাবে।

    ৩) আশা পূরণ।

    মীন

    ১) ভাই-বোনের কাছ থেকে সাহায্য পেতে পারেন।

    ২) দাম্পত্য সম্পর্কে উন্নতির যোগ।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: “নৈরাজ্যের স্পষ্ট প্রদর্শন”, আম আদমি পার্টিকে নিশানা বিজেপির

    BJP: “নৈরাজ্যের স্পষ্ট প্রদর্শন”, আম আদমি পার্টিকে নিশানা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নৈরাজ্যের স্পষ্ট প্রদর্শন।” ঠিক এই ভাষায়ই আপকে (AAP) আক্রমণ শানাল বিজেপি (BJP)। বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের বাইরে মোতায়েন থাকা দিল্লি পুলিশের কর্মীদের সঙ্গে আপ নেতাদের সংঘাত হয়। সেই সংঘাতকেই নৈরাজ্যের স্পষ্ট প্রদর্শন আখ্যা দিয়েছে বিজেপি।

    পদ্ম সাংসদের বাক্য-বাণ (BJP)

    পদ্ম সাংসদ সুধাংশু ত্রিবেদী বলেন, “দুর্নীতির স্মৃতিস্তম্ভের বাস্তবতা মানুষের সামনে আসছে। আজ যা ঘটছে এবং আপ সংসদ সদস্য সঞ্জয় সিং ও দিল্লির মন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ যেভাবে নিজেদের চরিত্র প্রদর্শন করছেন, তাঁরা যতই চেষ্টা করুন না কেন, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দুর্নীতির জাদুঘর, ‘শিশমহল’, বাঁচাতে পারবে না।” তিনি বলেন, “আজ তাঁরা যা করেছেন, তা সম্পূর্ণ অরাজকতার প্রকাশ।”

    ‘শিশমহল’-এর দাবির বিরোধিতা

    দিল্লির মন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ ও রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং বিজেপির ‘শিশমহল’-এর দাবির বিরোধিতা করতে মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের দিকে মিছিল করেছিলেন এদিন। পুলিশ কর্মীরা তাঁদের বাসভবনে প্রবেশ করতে বাধা দেন। ভরদ্বাজ বলেন, “আমরা এখানে এসেছি ‘তোমার বাড়ি, আমার বাড়ি’ বিতর্কে যবনিকা টানতে। আমরা বলেছিলাম যে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন এবং মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন উভয়ই মানুষকে দেখানো উচিত। তাই, আমরা এখানে এসেছি।” পুলিশ প্রবেশের অনুমতি না দেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের বাইরে ধর্নায় বসেন ভরদ্বাজরা। পরে তাঁরা বাগানবাড়ির বাইরে মোতায়েন করা পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। ত্রিবেদী বলেন, “আজ আপ যা করেছে তা তাদের দায়িত্বজ্ঞানহীন, উন্মাদ এবং অরাজক আচরণের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ।”

    আরও পড়ুন: ক্ষমতার চিটে গুড়ে পা আটকে ইউনূসের! তাই কি ক্ষুব্ধ খালেদার বিএনপি?

    দিল্লি বিজেপির (BJP) প্রধান বীরেন্দ্র সচদেবা সঞ্জয় ও সৌরভকে নিশানা করে বলেন, “আপ নেতারা নাটক করছেন। শিসমহল নির্মাণে হওয়া দুর্নীতি ও অনিয়ম থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা করছেন। কেন তাঁরা আগেই শিসমহল দেখানোর কথা ভাবেননি? এখন প্রশাসন যখন আদর্শ আচরণবিধি লাগু করেছে, তখন সেখানে যাওয়ার জন্য জোর দিচ্ছেন?” প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকার সময় ৪০ কোটি টাকা খরচ করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনটি সংস্কার করিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাকে শিসমহল বলে কটাক্ষ করেছেন (AAP) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ স্বয়ং (BJP)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Passport Scam: ছেলে পুলিশ, জাল পাসপোর্ট চক্রে জড়িত মুহুরি বাবা

    Passport Scam: ছেলে পুলিশ, জাল পাসপোর্ট চক্রে জড়িত মুহুরি বাবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাসপোর্ট জালিয়াতি (Passport Scam) কাণ্ডে এবার গ্রেফতার এক মুহুরি। সমীর দাস নামে বারাসত আদালতের এক মুহুরিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত বারাসতের নবপল্লির বাসিন্দা। পাসপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডের তদন্তে নেমে কারা বাংলাদেশিদের জন্য বিভিন্ন দরকারি ভারতীয় নথি বানাত তার খোঁজ শুরু করেন তদন্তকারীরা। তাতেই উঠে আসে তাঁর নাম। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই সমীর দাসের এক ছেলে পুলিশ। আর এক ছেলে দাঁতের ডাক্তার।

    ভুয়ো কার্ড বানাতে কত রেট ছিল?(Passport Scam)

    অভিযোগ, সমীর বারাসতের নবপল্লি (Passport Scam) থেকেই বাংলাদেশিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। সেখানকার মানুষের নকল ভোটার কার্ড-আধার কার্ড করে দিতেন। বিষয়টি জানতে পারে বারাসত থানার পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার মধ্যরাতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, নকল এই সার্টিফিকেটগুলি বাংলাদেশিদের পাসপোর্ট ইস্যু করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হত। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, বিভিন্ন নথির জন্য আলাদা আলাদা রেট বাঁধা ছিল সমীরের। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, রীতিমতো রেট চার্ট তৈরি করে বাংলাদেশিদের জাল নথি বানিয়ে দিতেন এই ব্যক্তি। জাল নথি বানানোর গোটা একটা চক্র চালাতেন তিনি। আধার কার্ড করতে ১৫ হাজার টাকা, বার্থ সার্টিফিকেটের জন্য ১২ হাজার, প্যান কার্ড করতে ৩ হাজার টাকা নিতেন তিনি। আদালতে কাজ করায় বিভিন্ন লোকের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তাঁর। সেই সুযোগেই রীতিমতো বাংলাদেশিদের ভারতীয় নথি তৈরি করে দেওয়ার চক্র চালাতেন তিনি। ধৃতের ফোন থেকে একাধিক বাংলাদেশির ফোন নম্বর পাওয়া গিয়েছে। যাতে মনে করা হচ্ছে বাংলাদেশে থাকা দালালচক্রের সদস্যদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল তাঁর। এই ব্যক্তি কতজনকে ও কাকে কাকে জাল নথি তৈরি করে দিয়েছেন, তা তদন্ত করে দেখছেন গোয়েন্দারা। ওদিকে অভিযুক্তের দাবি, তিনি কারও নথি তৈরি করে দেননি। নথি তৈরির প্রক্রিয়া জানিয়েছেন মাত্র।

    প্রতিবেশীদের কী বক্তব্য?

    প্রতিবেশী (Passport Scam) আরতি ভদ্র বলেন, “এমনই একটা লোক এসেছিল। দরজা খুলল। বেল মারল। তারপর জানি না। আমরা এইটুকুই জানি। এরা জানতাম সাদাসিধা মানুষ।” অভিযুক্তের পরিবারের এক সদস্য বলেন, “ওঁর কাছে আধার কার্ড পাওয়া গেছে। সেই কারণে গ্রেফতার করেছে। এর বেশি কিছু বলতে পারব না।” আরও এক প্রতিবেশী বলেন, “প্রায় পঁচিশ বছর ধরে থাকে। কারও সঙ্গে সেইভাবে মিশতেন না। ভিতরে ভিতরে এই কাজ করবে কে জানত।”

    পাসপোর্ট জালিয়াতির পিছনে কারা?

    এর আগে পাসপোর্টের কারবারের (Passport Scam) সূত্র ধরে ৯জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে,পাসপোর্ট কাণ্ডের অন্যতম চক্রী সমরেশ বিশ্বাসের সঙ্গে পরিচয় হয় প্রাক্তন পুলিশ কর্মী আবদুল হাইয়ের। কিছুদিন পর আবদুলকে টাকার টোপ দেন সমরেশ। সেই টোপ গিলেও নেন আবদুল। তার পরেই শুরু হয় জালিয়াতির কারবার। পাসপোর্ট কাণ্ডের অন্যতম চক্রী সমরেশ বিশ্বাসের অ্যাকাউন্ট থেকে আবদুল হাইয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে গত কয়েক বছরে গিয়েছে প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা। পাসপোর্ট পিছু ২৫ হাজার টাকা করে নিতেন এই আবদুল হাই। এই আবহে ধৃতকে জেরা করে আর কোন কোন আধিকারিক এই দুর্নীতিতে যুক্ত তা জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, গত কয়েক বছরে ১৫০ জনেরও বেশি অনুপ্রবেশকারীকে ভারতীয় পাসপোর্ট করিয়ে বিদেশে পাঠিয়েছে সমরেশ। তার মধ্যে ৫০টির বেশি পাসপোর্ট তৈরি হয়েছে আবদুল হাইয়ের হাত ধরে। এদিকে পাসপোর্ট জালিয়াতির তদন্তে এই নিয়ে মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে এই চক্রের জাল আরও দূর পর্যন্ত ছড়ানো বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে পাসপোর্টকাণ্ডে ধৃত মূল চার অভিযুক্তের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৫টি মোবাইল ফোন। সেই ফোনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মুছে ফেলা হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। সেই তথ্য ফিরে পেতে ফোনগুলির ফরেন্সিক পরীক্ষা করাতে চান তাঁরা। গোয়েন্দাদের অনুমান, ওই ফোনগুলির তথ্য পাওয়া গেলে ধৃতদের সঙ্গে আর কার কার যোগাযোগ ছিল তা জানা যাবে। পাশাপাশি এবার সমীর দাসকে জিজ্ঞাসা করে গোটা চক্রের আরও তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে তদন্তকারীরা মনে করছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: নির্যাতিতাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দিতে হবে পুলিশি নিরাপত্তা, গণধর্ষণ-কাণ্ডে নির্দেশ কোর্টের

    Sandeshkhali: নির্যাতিতাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দিতে হবে পুলিশি নিরাপত্তা, গণধর্ষণ-কাণ্ডে নির্দেশ কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) এক মহিলাকে গণধর্ষণের (Gang Rape Case) অভিযোগে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হলেও এখনও পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এবার এই মর্মে মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নির্যাতিতা। তাঁর প্রাণহানির আশঙ্কাও করেছিলেন। বুধবার এই মামলার শুনানি ছিল। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্যাতিতার বাড়িতে ২৪ ঘণ্টা পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। পরবর্তী শুনানি সোমবার। এদিন পুলিশ তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার কথা জানিয়েছে। পাল্টা রাজ্য পুলিশের দাবি তদন্ত এগিয়েছে অনেকটা, দ্রুত চার্জশিট দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে হিন্দু বাড়ির বউদের তুলে নিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগে  দেশ জুড়ে ব্যাপক শোরগোল পড়েছিল। সেই মামলার তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।  

    সুরক্ষা চেয়ে দ্বারস্থ কলকাতা হাইকোর্টে (Sandeshkhali)

    জানা গিয়েছে,সন্দেশলখালির (Sandeshkhali) নির্যাতিতা গতকাল অভিযোগ করেছেন, স্থানীয় ব্লক তৃণমূল নেতা দলবল নিয়ে অত্যচার চালিয়েছে তাঁর ওপর। এরপর নির্যাতিতা নিজে সন্দেশখালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তবে মূল অভিযুক্তকে পুলিশ এখনও গ্রেফতার করেনি। এমন কী অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা, নির্যাতিতাকে (Gang Rape Case) থানায় অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য উল্টে হুমকিও দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এরপর নির্যাতিতা ভয়ে কলকাতা হাইকোর্টের কাছে সুরক্ষা চেয়ে দ্বারস্থ হন।

    আরও পড়ুনঃ বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত চিড়িয়াখানার জমি! শুভেন্দুর প্রতিবাদ মিছিলে সায় হাইকোর্টের

    আদালতের কাছে ন্যায় বিচার চাই

    শাসক দলের নেতাদের দৌরাত্ম্য নিয়ে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) নির্যাতিতা (Gang Rape Case) বলেন, “এলাকার তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে আমি সন্দেশখালি পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেছি। আমাকে নানাভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। আমাকে থ্রেট করা হয়েছে। কিন্তু রাজ্যের পুলিশ কোনও ভূমিকা নিচ্ছে না। উল্টে তৃণমূল নেতার হয়ে কাজ করছে। তাই আমি এখন নিরুপায়। অত্যন্ত অসহায়বোধ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি এখন। আমি চাই দোষীরা উপযুক্ত সাজা পাক। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার এখন জেলে থাকার কথা কিন্তু এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রকাশ্যে। আমি মহামান্য আদালতের কাছে ন্যায় বিচার চাই।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh Mela 2025: প্রয়াগরাজে এবার ‘সবুজ মহাকুম্ভ’, ১ হাজারের বেশি পরিবেশবিদদের হবে মহাসঙ্গম

    Mahakumbh Mela 2025: প্রয়াগরাজে এবার ‘সবুজ মহাকুম্ভ’, ১ হাজারের বেশি পরিবেশবিদদের হবে মহাসঙ্গম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ১৪ জানুয়ারি থেকে উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে পূর্ণমহাকুম্ভের (Mahakumbh Mela 2025) স্নান শুরু হতে চলেছে। এবার মেলায় কোনও পরিবেশ দূষণকারী (Environmentalists) জিনিসকে সম্পূর্ণ বর্জন করা হয়েছে। মেলায় প্রকৃতির বাস্তুতান্ত্রিক পরিবেশে ভারসাম্য বজায় রাখার উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। মেলায় এবার ১০০০ জনের বেশি পরিবেশ বান্ধব সমাজকর্মীদের মহাসঙ্গম হবে। সারা দেশ থেকে পরিবেশের সচেতনতা মূলক প্রতিযগিতায় যাঁরা সাফল্য লাভ করেছেন তাঁদের আমন্ত্রণ করা হয়েছে। এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াকে বলা হয়েছে ‘সবুজ মহাকুম্ভ’।

    প্রকৃতি, গাছপালা, পরিবেশ, বাস্তুতন্ত্র, জল নিয়ে আলোচনা হবে (Mahakumbh Mela 2025)

    প্রশাসনের সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ৩১ জানুয়ারি এই মহাকুম্ভ (Mahakumbh Mela 2025) নগরে সারা দেশের প্রায় ১০০০ জনের বেশি পরিবেশবিদ (Environmentalists) এবং জলসংরক্ষণ সচেতন কর্মীদের একটি সম্মেলন করা হবে। এই আয়োজনে বিশেষ ভাবে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ভারতের পরিবেশ সচেতনতা, পরিবেশ বান্ধব ভাবনাকে বড় করে দেখানো হবে। এই কর্মকাণ্ডে বিশেষ ভাবে আয়োজক হিসেবে থাকবে শিক্ষা সংস্কৃতি উত্থান্যাস সংগঠন। একে বলা হয়েছে ‘সবুজ মহাকুম্ভ’। এদিনের এই অনুষ্ঠানে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে প্রকৃতি, গাছপালা, পরিবেশ, বাস্তুতন্ত্র, জল এবং পরিচ্ছন্নতা নিয়ে আলোচনা হবে। জলবায়ু এবং দৈনন্দিন জীবনের নানা সমস্যার বিষয়কেও আলোকপাত করা হবে। সকল বিশেষজ্ঞ দ্বারা গঠনমূলক একটি পদক্ষেপের সূচনা হবে বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ ভারতের বাড়া ভাতে ছাই দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন!

    পৃথিবীকে আরও স্বচ্ছ এবং সুন্দরের ভাবনা থাকবে

    তবে এই ‘সবুজ কুম্ভমেলা’-য় (Mahakumbh Mela 2025) আলোচনা, সচেতনতা এবং পদক্ষেপের সঙ্গে সঙ্গে সুরক্ষা-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে আগত ভক্তদের সচেতনতার কথা তুলে ধরা হবে। একই ভাবে মেলায় নানা প্রদর্শনী এবং মডেলের ব্যবহার করা হবে। পরিবেশকর্মী (Environmentalists) রাম বাবু তিওয়ারি বলেন, “সবুজ মহাকুম্ভের প্রস্তুতি জোর কদমে চলছে। সারা দেশের পরিবেশবিদ এবং বিজ্ঞানীরা এই কর্মযজ্ঞে যোগদান করবেন। পৃথিবীকে কীভাবে আরও স্বচ্ছ এবং সুন্দর করা যায় তা নিয়ে আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে।” উত্তর প্রদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এদিকে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এই বিরাট মেলায় ৪৫ কোটি তীর্থযাত্রী, ভক্ত এবং পুণ্যার্থীদের সমাগম হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 244: “স্ব-স্বরূপ দর্শন, ঈশ্বরদর্শন বা আত্মদর্শনের উপায়—আন্তরিক প্রার্থনা—নিত্যলীলা যোগ”

    Ramakrishna 244: “স্ব-স্বরূপ দর্শন, ঈশ্বরদর্শন বা আত্মদর্শনের উপায়—আন্তরিক প্রার্থনা—নিত্যলীলা যোগ”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২৫শে জুন

    শ্রীরামকৃষ্ণ বলরামের মন্দিরে রাখাল মাস্টার প্রভৃতির সঙ্গে

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) আজ কলিকাতায় বলরামের বাটীতে শুভাগমন করিয়াছেন। মাস্টার কাছে বসিয়া আছেন, রাখালও আছেন। ঠাকুরের ভাবাবেশ হইয়াছে। আজ জ্যৈষ্ঠ কৃষ্ণা পঞ্চমী; সোমবার (১২ই আষাঢ়), ২৫শে জুন, ১৮৮৩ খ্রীষ্টাব্দ; বেলা প্রায় ৫টা হইয়াছে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ভাবাবিষ্ট)—দেখ, আন্তরিক ডাকলে স্ব-স্বরূপকে দেখা যায়। কিন্তু যতটুকু বিষয়ভোগের বাসনা থাকে, ততটুকু কম পড়ে যায়।

    মাস্টার—আজ্ঞা, আপনি যেমন বলেন ঝাঁপ দিতে হয়।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) আনন্দিত হইয়া—ইয়া!

    সকলে চুপ করিয়া আছেন, ঠাকুর আবার কথা কহিতেছেন (Kathamrita)।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি)—দেখ, সকলেরই আত্মদর্শন হতে পারে।

    মাস্টার—আজ্ঞা, তবে ঈশ্বর কর্তা, তিনি যে ঘরে যেমন করাচ্ছেন। কারুকে চৈতন্য করছেন, কারুকে অজ্ঞান করে রেখেছেন।

    স্ব-স্বরূপ দর্শন, ঈশ্বরদর্শন বা আত্মদর্শনের উপায়—আন্তরিক প্রার্থনা—নিত্যলীলা যোগ 

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—না। তাঁকে ব্যাকুল হয়ে প্রার্থনা করতে হয়। আন্তরিক হলে তিনি প্রার্থনা শুনবেই শুনবেন।

    একজন ভক্ত—আজ্ঞা হাঁ—‘আমি’ যে রয়েছে, তাই প্রার্থনা করতে হবে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি)—লীলা ধরে ধরে নিত্যে যেতে হয়; যেমন সিঁড়ি ধরে ধরে ছাদে উঠা। নিত্যদর্শনের পর নিত্য থেকে লীলায় এসে থাকতে হয়। ভক্তি-ভক্ত নিয়ে। এইটি পাকা মত।

    “তাঁর নানারূপ, নানালীলা—ঈশ্বরলীলা, দেবলীলা, নরলীলা, জগৎলীলা; তিনি মানুষ হয়ে অবতার হয়ে যুগে যুগে আসেন, প্রেমভক্তি শিখাবার (Kathamrita) জন্য। দেখ না চৈতন্যদেব। অবতারের ভিতরেই তাঁর প্রেম-ভক্তি আস্বাদন করা যায়। তাঁর অনন্ত লীলা—কিন্তু আমার দরকার প্রেম, ভক্তি। আমার ক্ষীরটুকু দরকার। গাভীর বাঁট দিয়েই ক্ষীর আসে। অবতার গাভীর বাঁট।”

    ঠাকুর (Ramakrishna) কি বলিতেছেন (Kathamrita) যে, আমি অবতীর্ণ হইয়াছি, আমাকে দর্শন করিলেই ঈশ্বরদর্শন করা হয়? চৈতন্যদেবের কথা বলিয়া ঠাকুর কি নিজের কথা ইঙ্গিত করিতেছেন?

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BSF: ত্রিপুরায় বাংলাদেশ সীমান্তে বন্দুক উঁচিয়ে বিএসএফ তাড়া করতেই দে দৌড় অনুপ্রবেশকারীরা

    BSF: ত্রিপুরায় বাংলাদেশ সীমান্তে বন্দুক উঁচিয়ে বিএসএফ তাড়া করতেই দে দৌড় অনুপ্রবেশকারীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি, ত্রিপুরার ভারত-বাংলাদেশ (India Bangladesh Border) সীমান্তেও ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। আহত হয়েছেন একাধিক বিএসএফ (BSF) জওয়ান। ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী পাল্টা বন্দুক উঁচিয়ে তাড়া করে ভাগিয়ে দেয় অনুপ্রবেশকারীদের। ঘটনা ঘটেছে ত্রিপুরার কালীশহর মাগুরোলি পঞ্চায়েত এলাকার পানিসাগরের ৪৭ নম্বর পিলায়। বিএসএফ জানিয়েছে, বাংলাদেশি চোরাকারবারি এবং দুষ্কৃতীরা কয়েকদিন ধরেই সীমান্ত এলাকায় পাচারে সক্রিয় হয়েছে, বাঁধা দিলে ব্যাপক গোলমাল বাঁধে।

    সীমান্তে দুষ্কৃতীদের সঙ্গে সংঘাতে বিএসএফ-এর (BSF)

    বাংলাদেশে মহম্মদ ইউনূস ক্ষমতায় বসার পর থেকেই ওই দেশের কারাগার থেকে বহু জঙ্গি ছাড়া পেয়েছে। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত দিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশ নিয়ে বিরাট উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যে ভারতের গোয়েন্দারা বিএসএফকে সতর্ক থাকতে বলেছে। সীমান্ত (India Bangladesh Border) পেরিয়ে বেশ কিছু জঙ্গি এপার বাংলায় এসে নাশকতামূলক চক্রের কাজে যুক্ত হওয়ার অভিযোগে গ্রফতারও হয়েছে। সম্প্রতি ত্রিপুরা সীমান্তে দুষ্কৃতীদের সঙ্গে সংঘাতের ফলে ব্যাপক চাঞ্চাল্য তৈরি হয়েছে। বিএসএফ (BSF) সূত্রে খবর, মঙ্গলবার পিএমজি বন্দুক নিয়ে অনুপ্রবেশকারী এবং চোরাকারবারিদের তাড়া করেছিল বাহিনী। উল্টে দুষ্কৃতীরা হাতে বাঁশ, লাঠি, নিয়ে জওয়ানদের উপর চড়াও হয়। জওয়ানদের হাতের অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। এরপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে জওয়ানদের আঘাত করার চেষ্টা করে অনুপ্রবেশকারীরা। এরপর ঘটনাস্থলে বিএসএফের অতিরিক্ত ফোর্স এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। জওয়ানরা বন্দুক উঁচিয়ে তাড়া করলে পালিয়ে প্রাণ বাঁচায় অনুপ্রবেশকারীরা। এদিকে, অন্য এক অভিযানে সীমান্ত থেকে ১৯ হাজারের বেশি গগলস্ উদ্ধার করেছে বিএসএফ। এইগুলির আনুমানিক বাজার মূল্যপ্রায় ৩৩ লক্ষ টাকা। বাহিনীর অনুমান, চোরাকারবারীরা এই গগলসগুলি চোরাচালান করছিল।

    আরও পড়ুনঃভারতের জমি দখল নিয়ে বিজিবির মিথ্যাচার, ইউনূস সরকারের মুখোশ টেনে খুলে দিল বিএসএফ

    সীমান্তে অতন্দ্র প্রহরী বিএসএফ

    উল্লেখ্য সীমান্ত এলাকায় পাচারকাজ রুখতে বিএসএফ (BSF) অত্যন্ত সক্রিয়। নানা সময়ে চোরাকারবারিদের কাছ থেকে সোনা, রুপো এবং নানা ধরনের মাদক উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। গত ৫ অগাস্ট থেকে বাংলাদেশে শেখ হাসিনাকে বিতারিত করার পর থেকেই পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতের সীমান্তে অতন্দ্র প্রহরীর মতো কাজ করে চলেছে বিএসএফ। বাংলাদেশ থেকে জঙ্গিরা যে কোনও সময়ে কাঁটাতার টপকে এপারে আসতে পারে। তাই এমতাবস্থায় সীমান্ত নিয়ে বাংলাদেশের চোরাকারবারি (India Bangladesh Border) এবং জঙ্গিদের কড়া বার্তা দিয়েছে বিএসএফ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India China Relation: ভারতের বাড়া ভাতে ছাই দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন!

    India China Relation: ভারতের বাড়া ভাতে ছাই দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন!

    মুখে মিষ্টতা। আর আস্তিনে লুকনো বাঘনখ! এভাবেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে চাইছে চিন! অন্তত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা তেমনই। এভাবেই তারা ক্রমশ কবজা করতে চাইছে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ অরুণাচলপ্রদেশকে। আজ দ্বিতীয় কিস্তি…

     

    অরুণাচলপ্রদেশে ড্রাগনের থাবা-২

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডোক যখন রেস্তোরাঁ চালিয়ে সমাজের মূলস্রোতে ফেরার চেষ্টা করছেন এবং পুলিশও যথন তাঁর ওপর নজরদারি চালানো বন্ধ করে দিয়েছে, তখন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে নাগা গোষ্ঠীকে দায়িত্ব দিল চিন (India China Relation)। ঠিক এক বছর আগে এনএসসিএন-এর দুজন প্রবীণ কর্তা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন বলে অনুমান (Arunachal Pradesh)। এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ) দক্ষিণ-পূর্ব অরুণাচলপ্রদেশের তিরাপ, চাংলাং এবং লংডিং জেলাগুলোতে সক্রিয়। এই জেলাগুলি নাগাল্যান্ড লাগোয়া। আইবির এক প্রবীণ আধিকারিক বলেন, “ডোকের সঙ্গে যোগাযোগকারী এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর দুই কর্তা ছিলেন সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বের দূত। তাঁদের দায়িত্ব ছিল ডোক নতুন একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী গঠন করতে আগ্রহী কিনা তা জেনে নেওয়া।

    চিনের জঙ্গি-যোগ! (India China Relation)

    এনএসসিএন-এর দুটি গোষ্ঠী— এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ) এবং এনএসসিএন (ইসাক-মুইভাহ)। দুই গোষ্ঠীই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে চিনের সঙ্গে। অতীতে চিন নাগা গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয়, প্রশিক্ষণ এবং এমনকি অস্ত্র দিয়েও সাহায্য করেছিল। এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর প্রায় পুরো নেতৃত্ব এবং বেশিরভাগ সদস্য মায়ানমারের উত্তরের সাগাইং এবং পশ্চিমের কাচিন রাজ্যের শিবিরগুলোয় রয়েছে (India China Relation)। এসব এলাকা এখন কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স অর্গানাইজেশন (কেআইও)-এর নিয়ন্ত্রণে, যার সশস্ত্র শাখা কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মি (কেআইএ) মায়ানমারের শাসক সেনাবাহিনীর কাছ থেকে কাচিনের বড় অংশ দখল করেছে। কেআইও-এর সঙ্গে চিনের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। চিন তাদের অর্থায়ন করছে এবং কৌশলগত পরামর্শ দিচ্ছে। কেআইও চেয়ারম্যান জেনারেল এন’বান লা গত (Arunachal Pradesh) ডিসেম্বরের শুরুতে চিনে গিয়ে মায়ানমারের জাতিগত সংঘাত নিয়ে আলোচনা করেছেন বলেও খবর।

    নয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী

    আইবির ধারণা, বেজিংয়ের ইঙ্গিতেই কেআইও এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর নেতৃত্বকে ডোকের সঙ্গে যোগাযোগ করে একটি নয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী গঠন করতে বলা হয়েছিল। ডোক প্রথমে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন। কারণ তাঁর আগের গোষ্ঠী এনএলসিটিতে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল। তিনি জানতেন যে পর্যাপ্ত সম্পদ, অস্ত্র, এবং বাহ্যিক সহায়তা ছাড়া একটি গোষ্ঠী টিকিয়ে রাখা শুধু মুশকিলই নয়, তাকে কার্যকর করাও অসম্ভব।

    ডোককে আশ্বাস চিনের

    ডোককে আশ্বস্ত করা হয়েছিল যে এবার অর্থ, অস্ত্র এবং নিরাপদ আশ্রয়ের অভাব হবে না। এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর কর্তারা তাঁকে এও বলেছিলেন যে, তাঁর কাজ হবে কেবল লোকজন নিয়োগ করা। অর্থ, প্রশিক্ষণ, অস্ত্র এবং নিরাপদ আশ্রয় সরবরাহ করবে তারা (India China Relation)। ডোককে সাহায্য করার জন্য এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর আরও দুই সদস্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

    ভারতের বাঁধ নির্মাণে বাধা দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন! (প্রথম পর্ব)

    চিনের লোভনীয় প্রস্তাবে সাড়া

    চিনের এই লোভনীয় প্রস্তাব পেয়ে আর না করতে পারেননি ডোক। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে নতুন করে উদ্যোগী হন তিনি। এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ) তাকে প্রাথমিকভাবে সাহায্য করে। ডোক কীভাবে সম্ভাব্য নিয়োগপ্রাপ্তদের চিহ্নিত করা, গোপনে যোগাযোগ করা এবং তাদের মনোভাব পরিবর্তন করে নিয়োগ করতে হয়, তা শিখে নেন।

    হাওয়ালা চ্যানেলের মাধ্যমে ফান্ডিং!

    গোয়েন্দারা জেনেছেন, নাগা গোষ্ঠীর সদস্যরা হাওয়ালা চ্যানেলের মাধ্যমে বড় অঙ্কের অর্থ ডোকের কাছে পাঠায়। চার মাস পর ডোক ইটানগর ও আশপাশ এলাকার প্রায় আটজন যুবককে সংগঠনে নিয়োগ করতে সক্ষম হন। দরিদ্র পরিবারের এই আধা-শিক্ষিত বা স্কুলছুট যুবকদের ইটানগরের (Arunachal Pradesh) শহরতলির দুটি বাড়িতে রাখা হয় এবং তাদের মাসিক ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

    ডোকের নয়া দল

    ওই বছরেরই অক্টোবরের গোড়ার দিকে, ডোক ২০ জন সদস্যের একটি দল গড়ে তোলেন। তাঁরা সকলেই লংডিং জেলায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তাঁরা ভারত-মায়ানমারের অরক্ষিত সীমানা পেরিয়ে কাচিনে ঢোকে। কাচিনের একটি শিবিরে ডোক দেখা করেন এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর নেতৃত্বের সঙ্গে। কাচিনের এই শিবিরটি, যা চাংরাং হি এলাকায় অবস্থিত বলে মনে করা হচ্ছে, ইউটিএর অস্থায়ী সদর দফতর হয়ে উঠেছে। এই গোষ্ঠী ডোককে নেতা করে আনুষ্ঠানিকভাবে গঠিত হয়েছে (India China Relation)।

    চলছে প্রশিক্ষণ

    এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর সদস্যরা বর্তমানে ইউটিএ সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। চিন কেআইএ এবং এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর মাধ্যমে ইউটিএ-কে অ্যাসল্ট রাইফেল, গ্রেনেড লঞ্চার এবং অন্যান্য অস্ত্র সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কয়েকদিন আগে ইউটিএ প্রধান ডোক একটি ছোট ভিডিও শেয়ার করেছিলেন। তাতে তিনি দাবি করেছিলেন, যে এটি একটি ইউটিএ ক্যাম্প। ভিডিওতে একটি মাঝারি আকারের মিলিট্যান্ট ক্যাম্প দেখা যাচ্ছে, যা একটি পাতলা জঙ্গলের মধ্যে অবস্থিত। ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, প্রায় দু’ডজন রাইফেল, যেগুলো সবই চিনে তৈরি। ক্যাম্পে কিছু কর্মীকে ছদ্মবেশী পোশাক পরে থাকতেও দেখা গিয়েছে। রয়েছে কয়েকটি অস্থায়ী কাঠামোও। তবে সেনাবাহিনী এবং গোয়েন্দা কর্তারা, যাঁরা ভিডিওটি দেখেছেন, তাঁরা জানান, ভিডিওতে দেখানো ক্যাম্পটি (Arunachal Pradesh) আসলে এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ) এর, যেখানে ইউটিএ-র কর্মীরা সাময়িকভাবে থাকতে পারে (India China Relation)।

    কী বলছে সেনাবাহিনী?

    সেনাবাহিনীর ২ মাউন্টেন ডিভিশনের এক প্রবীণ কর্তা বলেন, “সর্বোচ্চ, ক্যাম্পের একটি-দুটি অস্থায়ী কাঠামো ইউটিএ কর্মীদের থাকার জন্য ব্যবহার করা হতে পারে। এটি একটি সুপ্রতিষ্ঠিত ক্যাম্প, যা অন্তত কয়েক বছর আগে নির্মিত। ভিডিওয় যেসব উন্নতমানের অস্ত্রশস্ত্র দেখা যাচ্ছে, ইউটিএর কাছে তা নেই।” তাঁর মতে, ক্যাম্পটি অসমের ডিব্রুগড়ে অবস্থিত। আইবির এক কর্তা বলেন, “ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে ইউটিএ-কে প্রচারের আলোয় আনতে এবং নিজেদের একটি শক্তিশালী ও উন্নত অস্ত্রে সজ্জিত সশস্ত্র দল হিসেবে তুলে (Arunachal Pradesh) ধরতে। এর উদ্দেশ্য নতুন সদস্যদের আকর্ষণ করা এবং চাঁদা আদায়ের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করা (India China Relation)।

    চলবে…

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share