Tag: Bengali news

Bengali news

  • Donald Trump: যুক্তরাষ্ট্রে মিশবে কানাডা, গ্রিনল্যান্ড! আমেরিকার সীমানা বাড়াতে চান ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প

    Donald Trump: যুক্তরাষ্ট্রে মিশবে কানাডা, গ্রিনল্যান্ড! আমেরিকার সীমানা বাড়াতে চান ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত বাড়ানোর অ্যাজেন্ডা শুরু করে দিলেন আমেরিকার হবু প্রেসিন্ডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। ২০ জানুয়ারি ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ট্রাম্প। তার আগেই তিনি শুরু করে দিলেন ‘কাজ’! তাঁর দাবি, কানাডা (Canada) হতে চলেছে আমেরিকার ৫১তম স্টেট (প্রদেশ)। কেবল মুখের কথাই নয়, এ সংক্রান্ত ম্যাপও শেয়ার করে দিয়েছেন ট্রাম্প।

    কানাডা আমেরিকারই! (Donald Trump)

    সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে দুটি ম্যাপ শেয়ার করেছেন ট্রাম্প। একটিতে তিনি দেখিয়েছেন, কানাডা আমেরিকারই অন্তর্গত আর একটি স্টেট। প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেওয়ার পর কানাডা দখলে তিনি অর্থনৈতিক বাহিনী পাঠাবেন বলেও দাবি করেছেন সাংবাদিক সম্মেলনে। তাঁর প্রতিশ্রুতি, তিনি মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন করে ‘আমেরিকার উপসাগর’ রাখবেন এবং নেটো মিত্রদের কাছ থেকে অনেক বেশি প্রতিরক্ষা ব্যয় দাবি করবেন। তিনি বলেন, “কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র এক সঙ্গে হলে, সেটা সত্যিই অসাধারণ কিছু হবে।” হবু মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “আপনি যদি সেই কৃত্রিমভাবে আঁকা লাইনটি (মার্কিন-কানাডা সীমান্ত) সরিয়ে দেন এবং দেখেন এটি কেমন দেখায়, তবে এটি জাতীয় নিরাপত্তার জন্যও অনেক ভালো হবে।” ট্রাম্প কানাডিয়ান পণ্য ও দেশের সামরিক সাহায্যের জন্য আমেরিকার ব্যয়ের তীব্র সমালোচনা করেছেন। বলেন, “ওয়াশিংটন তার থেকে কোনও উপকার পায় না।” এই প্রথম নয়। গতমাসেও কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্ত করার জোর সওয়াল করেছিলেন ট্রাম্প। এমনকি, তিনি সেই সময়ে ট্রুডোকে ‘কানাডার গভর্নর’ বলেও অভিহিত করেছিলেন।

    পানামা খাল পুনরুদ্ধার!

    প্রেস কনফারেন্সে ট্রাম্প পানামা খাল পুনরুদ্ধার ও ডেনমার্ক থেকে গ্রিনল্যান্ড অধিকার করার কথাও (Canada) বলেন। সীমান্ত বাড়ানোর অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়টিও উড়িয়ে দেননি তিনি। হবু মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “অর্থনৈতিক নিরাপত্তার জন্যই আমাদের প্রয়োজন মধ্য আমেরিকার বাণিজ্য পথ এবং ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল অধিকার করা। পানামা খাল আমাদের সামরিক উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছিল।” প্রসঙ্গত, নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরেই ট্রাম্প (Donald Trump) পানামা খাল সংযুক্ত করার ইচ্ছে পুনর্ব্যক্ত করেছিলেন। পানামা খাল দিয়ে যাওয়া মার্কিন জাহাজগুলি থেকে অন্যায়ভাবে ফি আদায় করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন তিনি। ট্রাম্প জানান, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার মাঝখান দিয়ে প্রশান্ত ও আটলান্টিক মহাসাগরকে যুক্ত করা এই গুরুত্বপূর্ণ খালটি পরিচালনার কাজে চিনের কোনও খবরদারি তিনি বরদাস্ত করবেন না। পানামা প্রশাসন এই খালটির পরিচালন ব্যবস্থা সুরক্ষিত করতে না পারলে আমেরিকা সেটির নিয়ন্ত্রণভার নিজের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানাবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প।

    পানামা খালের গুরুত্ব

    সমুদ্রপথে সারা বিশ্বের মোট পণ্য পরিবহণের প্রায় ৫ শতাংশ ক্ষেত্রে পানামা খাল ব্যবহার করা হয়। আমেরিকা ছাড়াও পানামা খাল মূলত ব্যবহার করে চিন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। এই খাল ব্যবহার করলে দক্ষিণ আমেরিকার দক্ষিণ উপকূল ঘুরে যেতে হয় না বলে সাশ্রয় হয় সময় ও জ্বালানি। নিজের সমাজমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছিলেন, আমাদের নৌবাহিনী এবং বাণিজ্যের প্রতি অত্যন্ত অন্যায় ও অবিবেচক আচরণ করা হচ্ছে। পানামা যে ফি নিচ্ছে, তা হাস্যকর (Canada)। আমাদের দেশকে নিয়ে এভাবে ছিনিমিনি খেলা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া দরকার। ট্রাম্প বলেছিলেন, এই চ্যানেলটি চালাবে শুধুমাত্র পানামা, চিন বা অন্য কেউ নয়। পানামা যদি কাজটা সুরক্ষিত, দক্ষ ও নির্ভরযোগ্যভাবে করতে না পারে, তাহলে আমরা দাবি করব, বিনা প্রশ্নে পানামা খাল সম্পূর্ণভাবে আমাদের হাতে তুলে দেওয়া হোক।   

    মেক্সিকো উপসাগরের নাম বদল!

    এদিন ট্রাম্প বলেন, “আমরা মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন করে আমেরিকার উপসাগর রাখব, যা একটি সুন্দর নাম। এটি অনেক অঞ্চলের ধারণা দেয়। আমেরিকার উপসাগর। কী সুন্দর একটি নাম এবং এটি যথার্থও।” নেটো সদস্যদের তাদের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের পাঁচ শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করা উচিত বলেও মনে করেন ট্রাম্প। বলেন, “আমি মনে করি, নেটোর ৫ শতাংশ থাকা উচিত। তারা সবাই এটা করতে পারে (Canada)। ২ শতাংশ না হয়ে তাদের উচিত ৫ শতাংশে পৌঁছানো (Donald Trump)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pranab Mukherjee: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রণব-কন্যার, ঘোর বিপাকে কংগ্রেস

    Pranab Mukherjee: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রণব-কন্যার, ঘোর বিপাকে কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়ালেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রয়াত প্রণব মুখোপাধ্যায়ের (Pranab Mukherjee) কন্যা শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়। অস্বস্তির কারণ দিন কয়েক আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) ধন্যবাদ জানাতে গিয়েছিলেন প্রণব-কন্যা। সেই ছবি তিনি পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।

    অস্বস্তিতে কংগ্রেস (Pranab Mukherjee)

    সেই ছবিই অস্বস্তিতে ফেলেছে সোনিয়া গান্ধীর দলকে। দিন কয়েক আগে মনমোহনের প্রতি বিজেপি সরকার সম্মান প্রদর্শন করছে না বলে তোপ দেগেছিল কংগ্রেস। সেই সময় বোমা ফাটিয়েছিলেন প্রণব-পুত্রী। শর্মিষ্ঠা বলেছিলেন, স্মৃতিসৌধের দাবি তোলা দূরের কথা, তাঁর বাবার মৃত্যুর পর কংগ্রেস কর্মসমিতি একটা শোকসভা পর্যন্ত করেনি। এ কথা মনে করিয়ে দিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্বের অস্বস্তি বাড়িয়েছিলেন শর্মিষ্ঠা। এবার আরও একবার গান্ধী পরিবারকে বিপাকে ফেললেন প্রণব-কন্যা।

    স্মৃতিসৌধের জন্য জমি

    ফেরা যাক খবরে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের প্রয়াণের পর তাঁর স্মৃতিসৌধের জন্য জমি দেওয়ার দাবি তুলেছিল কংগ্রেস। তা নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরে চাপানউতোর চলেছিল সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে। শেষমেশ ভারত সরকার স্মৃতিসৌধের জন্য জমি চিহ্নিত করার কথা ঘোষণা করে। তবে সেই জমি মনমোহনের জন্য নয়, প্রণবের (Pranab Mukherjee) স্মৃতিসৌধের জন্য। ১ জানুয়ারি শর্মিষ্ঠাকে চিঠি লিখে এ কথা জানিয়ে দেয় ভারত সরকারের আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রক। প্রণব-কন্যাকে জানিয়ে দেওয়া হয়, প্রণবের জন্য রাষ্ট্রীয় স্মৃতি কমপ্লেক্সের মধ্যেই স্মৃতিসৌধ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার ছবি শর্মিষ্ঠা পোস্ট করেছেন এক্স হ্যান্ডেলে। জানিয়েছেন, ভারত সরকার তাঁর বাবার স্মৃতিসৌধ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাঁকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাতে গিয়েছিলেন।

    আরও পড়ুন: “আমি যার দিকে তাকাই, ধ্বংস হয়ে যায়,” কাকে বার্তা দিলেন শুভেন্দু?

    এক্স হ্যান্ডেলে শর্মিষ্ঠা লিখেছেন, “আমরা কোনও আর্জি না জানানো সত্ত্বেও বাবার জন্য স্মৃতিসৌধ তৈরি করা হচ্ছে। এটা আরও বেশি করে ভালো লেগেছে। প্রধানমন্ত্রীর এই অপ্রত্যাশিত কিন্তু প্রকৃতই সহৃদয় আরচণ আমাকে খুবই স্পর্শ করেছে।” শর্মিষ্ঠা লিখেছেন, “বাবা বলতেন, রাষ্ট্রীয় সম্মান চাইতে নেই। আপনা থেকেই পেতে হয়। বাবার স্মৃতিকে সম্মান জানানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ আমি। বাবা এখন যেখানে, তিনি প্রশংসা ও সমালোচনার বাইরে। এর কোনও প্রভাবই তাঁর ওপর পড়বে না। কিন্তু ওঁর মেয়ে হিসেবে আনন্দ প্রকাশের ভাষা নেই আমার কাছে (PM Modi)।” প্রণব-কন্যার এই পোস্টেই বেকায়দায় কংগ্রেস (Pranab Mukherjee)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • HMPV: শিশুরাই কি ‘চিনা ভাইরাস’-এর সহজ টার্গেট? সন্তান আক্রান্ত হলে কী করবেন?

    HMPV: শিশুরাই কি ‘চিনা ভাইরাস’-এর সহজ টার্গেট? সন্তান আক্রান্ত হলে কী করবেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দেশ জুড়ে বাড়ছে চিনা ভাইরাসের দাপট। যার পোশাকি নাম হিউম্যান মেটাপনিউমো ভাইরাস (HMPV)। যদিও স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পরিস্থিতি উদ্বেগজনক নয়। সচেতন থাকলেই হবে। অযথা আতঙ্কের দরকার নেই। তবুও কর্ণাটক থেকে পশ্চিমবঙ্গ চিনা ভাইরাসের কবলে। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে শিশুরাই এই রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। তাই উদ্বেগ আরও বাড়ছে। যদিও চিকিৎসকদের একাংশ আশ্বস্ত করছেন, বাড়তি আতঙ্ক অপ্রয়োজনীয়!

    কেন শিশুরাই এই ভাইরাসের সহজ টার্গেট? (HMPV)

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, চিনা ভাইরাসের দাপট শিশুদের দেহেই বেশি। ভারতের পাশপাশি চিনেও শিশুরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। শিশুরা সহজেই এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তার প্রধান কারণ রোগ প্রতিরোধ শক্তিতে ঘাটতি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের দেহে রোগ প্রতিরোধ‌ শক্তি তুলনামূলকভাবে কম থাকে। তাই যে কোনও ভাইরাস শিশুদের দেহে সহজেই সংক্রমণ ছড়াতে পারে। হিউম্যান মেটাপনিউমো ভাইরাস তাই সহজেই শিশুদের শরীরে বাসা বাঁধতে পেরেছে। ভারতেও যেসব শিশুরা এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে, তারা অধিকাংশ সদ্যোজাত। জন্মের পরেই শিশুর দেহে রোগ প্রতিরোধ শক্তি তেমন কিছুই থাকে না। ফলে এই ভাইরাস শিশুর দেহে সহজেই আক্রমণ করে।

    অধিকাংশ শিশু নিয়মিত স্কুল যায়। আবার মাঠে বা বিভিন্ন জায়গায় একসঙ্গে অনেকে বিভিন্ন কাজে অংশগ্রহণ করে। এর ফলে সংক্রমণ রোগ ছড়ানোর ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই শিশুদের জন্য এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি থাকছে।

    তাছাড়া, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতের এই আবহাওয়ায় শিশুদের প্রত্যেক বছরই সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এবছরে সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এই চিনা ভাইরাস। তাই বাড়তি ভোগান্তির ঝুঁকি থাকছে।

    তবে, শুধুমাত্র শিশুরাই নয়। প্রাপ্তবয়স্ক বিশেষত প্রবীণদেরও ভোগাতে পারে এই চিনা ভাইরাস (HMPV)। রোগ প্রতিরোধ শক্তি কম থাকলেই আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়বে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, এখন‌ অধিকাংশ প্রবীণ নাগরিক কিডনির সমস্যা, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপের মতো নানান সমস্যায় ভোগেন। তাদের কো-মরবিটি রয়েছে। তাই যে কোনও ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি থাকে।

    সন্তান আক্রান্ত হলে কী করবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই ভাইরাসের উপসর্গ সর্দি-কাশি এবং জ্বর। এই সময়ে আবহাওয়ার তারতম্যের জেরে অনেকেই সর্দি-কাশিতে ভোগেন। কিন্তু শিশু বেশ কয়েকদিন সর্দি-কাশি কিংবা জ্বরে আক্রান্ত হলে দ্রুত শিশু রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। তাঁর পরামর্শ মতোই নির্দিষ্ট শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে শিশু (HMPV) ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা, তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। আক্রান্ত হলে শিশুকে আলাদা ভাবে রাখাই উচিত বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাতে পরিবারের অন্যদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমবে। পাশপাশি শিশুও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে। সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হলে স্কুল পাঠানো উচিত নয় বলেও‌ জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাছাড়া, যদি শিশুর শ্বাসকষ্ট হয়, তাহলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা উচিত। না হলে বাড়িতে থেকেই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কেন এখনই উদ্বেগ নয়? (HMPV)

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, হিউম্যান মেটাপনিউমো ভাইরাস নিয়ে এখনও উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ভাইরাস নতুন নয়। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে কীভাবে রোগ মোকাবিলা করা যাবে, সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রয়েছে। এই ভাইরাস এখনও নতুন প্রজাতি তৈরি করেনি। তাই এই নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার দরকার নেই। বরং সচেতনতা জরুরি। রোগ যাতে বেশি না ছড়ায়, সে দিকে সতর্কতা থাকা দরকার। হাঁচি-কাশি হলে হাত দিয়ে নাক ও মুখ ঢাকা দেওয়া উচিত। তাছাড়া বাইরে থেকে ফিরে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করা, পরিচ্ছন্ন জামা-কাপড় পরা, বাড়ির পরিবেশ‌ পরিষ্কার রাখার দিকে নজরদারি জরুরি। তাহলে সহজেই এই ধরনের ভাইরাসের মোকাবিলা করা যাবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BSF: ভারতের জমি দখল নিয়ে বিজিবির মিথ্যাচার, ইউনূস সরকারের মুখোশ টেনে খুলে দিল বিএসএফ

    BSF: ভারতের জমি দখল নিয়ে বিজিবির মিথ্যাচার, ইউনূস সরকারের মুখোশ টেনে খুলে দিল বিএসএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা সরকারের পতনের পর ক্ষমতায় এখন ইউনূস সরকার। যতদিন যাচ্ছে ইউনূস প্রশাসনের কদর্য রূপ বিশ্ববাসীর কাছে দিনের আলোর মতো স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। আর কত মিথ্যা বলবে বাংলাদেশ? এবার ইউনূসের সেনার মিথ্যার মুখোশ টেনে খুলে দিল বিএসএফ (BSF)। ঝিনাইদহে বিতর্কিত ৫ কিলোমিটার ভূখণ্ডকে ‘ভারতের দখলমুক্ত’ করা হয়েছে বলেই দাবি করে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি। এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলেই বিবৃতি দিয়ে জানাল বিএসএফ।

    ঠিক কী নিয়ে বিতর্ক? (BSF)

    উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মাটিলা সীমান্ত (India-Bangladesh Border) ঘেঁষে বয়ে গিয়েছে কোদলা বা কোদালিয়া নদী। এই নদীর পাঁচ কিলোমিটার অংশ নিয়েই বিতর্ক। বিএসএফ (BSF) এবং বিজিবি— উভয়েই তাদের কোদালিয়া নদীর পাশে দায়িত্ব পালন করে। ওই এলাকাটি কাঁটাতার বিহীন হওয়ায়, চোরাচালান এবং সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতীয় ভূখণ্ডে বাংলাদেশি নাগরিকদের অনুপ্রবেশের ঝুঁকি থাকে সর্বদাই। বিএসএফ এই এলাকা থেকে আন্তঃসীমান্ত অনুপ্রবেশ ঠেকাতে অনেক ব্যবস্থা নিয়েছে এবং এখন এই এলাকা থেকে অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টা নগণ্য পর্যায়ে নামিয়ে আনা হয়েছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ দাবি করেছে, এই ভূখণ্ড নাকি তাদের। কিন্তু, সেখানে কোনও বাংলাদেশি মাছ ধরতেও যেতে পারত না। দুই দেশেরই টহল চলে এই এলাকায়। ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে একটি সংবাদমাধ্যম দাবি করে, ওই এলাকাকে নাকি দখলমুক্ত করেছে বিজিবি। সেখানে বাংলাদেশের দখল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: সীমান্তে বেড়া দিতে বাধা! বিএসএফের রণমূর্তির দেখে পগার পার বাংলাদেশিরা

    নদীতে না নামার হঁশিয়ারি

    নদীতে কেউ নামবেন না, কারণ কোদালিয়া নদীটি পুরোপুরি বাংলাদেশের মধ্যে। বাংলাদেশের বিজিবি-র পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দেওয়ার ঘটনায় নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ভারতীয়দের দাবি, ওই নদী ভারতের সীমান্তের মধ্যে। নদিয়ার কৃষ্ণনগর বিএসএফ (BSF) রেঞ্জের অধীনঘাট রংঘাট, কৃষ্ণ প্রতাপপুর সহ একাধিক সীমান্তবর্তী এলাকা রয়েছে। সেই সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই দেশের মাঝে একটি কোদালিয়া নদী রয়েছে। এই নদীটি উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়ার সীমান্ত এলাকা দিয়ে বয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে,  দীর্ঘদিন ধরেই সেটা ভারত সীমান্তের মধ্যে রয়েছে। কিন্তু, কিছুদিন ধরে বাংলাদেশ সেনা মাইক প্রচার করছে সেই নদী নাকি তাদের দখলে। সেই কারণে কোনও ভারতীয় যাতে সেই নদীতে না নামেন, কিংবা না ব্যবহার করেন। যা নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। ভারতীয়দের দাবি, ওই নদী দীর্ঘদিন ধরেই ভারত সীমান্তর মধ্যে রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ওই নদী বিভিন্ন স্নানের কাজে অথবা মাছ ধরার কাজে ব্যবহার করে আসছেন। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তরফে কিছু সিমেন্টের পিলার ছিল সীমানা নির্ধারিত করার জন্য, সেই পিলারগুলিও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তুলে দিয়েছে। ভারতীয়রা মনে করছেন, বাংলাদেশ ইচ্ছাকৃতভাবে ভারতের সঙ্গে একটি ঝামেলা তৈরি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। সীমান্তের বাসিন্দাদের বক্তব্য, ভারতের যে অংশ সে অংশ যাতে বাংলাদেশ সরকার কখনও দখল করতে না পারে। সেই কারণেই পাকাপোক্তভাবে সেখানে কাঁটাতারের বেড়া দিতে হবে।

    বিএসএফ কী বলল?

    বিষয়টি নিয়ে চর্চা শুরু হতেই নজরে আসে বিএসএফেরও। তারা সাফ জানিয়ে দেয়, বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমের ওই প্রতিবেদন সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। বিএসএফ (BSF) জানিয়েছে, ওই এলাকাটি ভারতের দিকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাগদা ব্লকের রাংঘাট গ্রামের অন্তর্গত, যেখানে আন্তর্জাতিক সীমান্ত কোদালিয়া নদীর পাশ দিয়ে চলছে। নদীপথের কারণে আন্তর্জাতিক সীমান্তের দুই পাশে রেফারেন্স পিলার ভালভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যুগ যুগ ধরে আন্তর্জাতিক সীমান্তে বিএসএফের ডিউটি প্যাটার্নের কোনও পরিবর্তন হয়নি।

    ভারতীয় ভূমির এক ইঞ্চিও দখল করা হয়নি, জানাল বিসিএফ

    ‘ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত নির্দেশিকা ১৯৭৫’-এর বোঝাপড়া অনুযায়ী, প্রকৃত স্থল পরিস্থিতি অক্ষুণ্ণ এবং উভয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর শান্তিপূর্ণ আধিপত্যের অধীন— এ কথা মনে করিয়ে দিয়েছে বিএসএফ। বিএসএফ (BSF) জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক সীমান্তের অখণ্ডতা রক্ষা করে তারা আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে সীমান্ত পাহারা দিচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশি নিবন্ধে দাবি করা হয়েছে যে, গত ১৯ ডিসেম্বর বিজিবি সদস্যরা নদীর ওপর নিয়ন্ত্রণ পেতে মোটর চালিত নৌকা এবং এটিভি ব্যবহার করে ২৪ ঘণ্টা  টহল শুরু করেছিল। এটি একটি মনগড়া গল্প ছাড়া কিছুই নয়। ৫৮ বিজিবির নবনিযুক্ত কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিক ইসলামের করা মিথ্যা, মন গড়া দাবিগুলি অস্বীকার করা হয়েছে। এই ধরনের নিবন্ধ এবং মিডিয়া রিপোর্ট দুই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে সদ্ভাবকে নষ্ট করবে বলেই সতর্ক করেছে বিএসএফ। পাশাপাশি বিএসএফ আশ্বস্ত করেছে যে ভারতীয় ভূমির এক ইঞ্চিও দখল করা হয়নি বা ভবিষ্যতেও প্রতিপক্ষের দ্বারা দখল করা হবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • HMPV in Kolkata: কলকাতায়ও এইচএমপি ভাইরাস! পাঁচ মাসের শিশুর শরীরে মিলল হদিশ

    HMPV in Kolkata: কলকাতায়ও এইচএমপি ভাইরাস! পাঁচ মাসের শিশুর শরীরে মিলল হদিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্নাটক, গুজরাটের পর এবার কলকাতায় (HMPV in Kolkata) পাঁচ মাসের এক শিশুর দেহে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি)-এর হদিশ মিলল। ওই শিশুকে বাইপাসের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, চিকিৎসার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সে আপাতত সুস্থ রয়েছে।

    কী কী উপসর্গ ছিল শিশুর শরীরে? (HMPV in Kolkata)

    প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ডিসেম্বরের শেষে মুম্বই থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে কলকাতায় (HMPV in Kolkata) এসেছিল শিশুটি। এখানে এসে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ভর্তি করানো হয় বাইপাসের ধারের একটি হাসপাতালে। সেখানে কয়েক দিন পর্যবেক্ষণে রাখার পর ছেড়ে দেওয়া হয় তাকে। সোমবারই কর্নাটকের বেঙ্গালুরুর দুই শিশুর শরীরে ওই ভাইরাসের হদিশ পাওয়ার খবর জানা গিয়েছে। গুজরাটের আহমেদাবাদের এক শিশুও সংক্রমিত হয়েছে বলে খবর মিলেছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, জ্বর এবং কাশির মতো সাধারণ কিছু উপসর্গ ছিল ওই শিশুর। পরীক্ষার পর ধরা পড়ে সে এইচএমপিভি-তে আক্রান্ত। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আতঙ্কিত হওয়ার মতো কোনও শারীরিক পরিস্থিতি ওই শিশুটির ছিল না। তবে সব রকম সাবধানতা অবলম্বন করেই চিকিৎসা করা হয়েছে। সম্প্রতি চিনে এইচএমপিভি-র একটি রূপের সংক্রমণ বেড়েছে। তার পর থেকেই উদ্বেগ দানা বেঁধেছে ভারত-সহ অন্যান্য দেশে। অনেকেই বছর চারেক আগের করোনা-আবহের কথা ভেবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তবে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে,পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে।

    বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?

    বিশেষজ্ঞরা (HMPV in Kolkata) বলছেন, ইনফ্লুয়েঞ্জা, কোভিডের মতো ভাইরাস যেভাবে ছড়ায়, এই ভাইরাসের সংক্রমণও একইভাবে ঘটে। কাশি বা হাঁচির জীবাণু থেকে হোক কিংবা, রোগীর কাছাকাছি আসা, হাত মেলানো, সংক্রমিত জায়গা ছোঁয়া ইত্যাদি। কর্নাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, HMPV-র অস্তিত্ব আগে থেকেই রয়েছে। এটি কোনও নতুন ভাইরাস নয়। তাই অকারণে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু হয়নি। ২০০১ সালে প্রথম এই ভাইরাসকে চিহ্নিত করা গিয়েছিল। এই ভাইরাস মূলত শ্বাসযন্ত্রের ক্ষতি করে এবং প্রবলভাবে শ্বাসকষ্টের সমস্যা তৈরি করতে পারে। বাচ্চা এবং বয়স্ক তো বটেই, যে কোনও বয়সের মানুষকে অল্প সময়ের মধ্যেই কাবু করার ক্ষমতা রয়েছে এর। বিশেষ করে যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের জন্য এই ভাইরাস মারাত্মক হতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maoists Attack: ছত্তিশগড়ে মাওবাদী হামলা! আইইডি বিস্ফোরণে উড়ে গেল পুলিশের গাড়ি

    Maoists Attack: ছত্তিশগড়ে মাওবাদী হামলা! আইইডি বিস্ফোরণে উড়ে গেল পুলিশের গাড়ি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় আধাসেনা এবং পুলিশের যৌথবাহিনীর ধারাবাহিক অভিযানের মধ্যেই ছত্তিশগড়ে প্রত্যাঘাত করল মাওবাদীরা। সোমবার বস্তার ডিভিশনের বীজাপুর জেলার কুটরু রোডে নিরাপত্তা বাহিনীর একটি গাড়ি উড়িয়ে দিল নিষিদ্ধ সিপিআই (মাওবাদী)- র (Maoists Attack) সশস্ত্র শাখা পিএলজিএ (পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি)। প্রাথমিক খবরে জানা গিয়েছে, ওই হামলায় অন্তত ন’জন জওয়ান শহিদ হয়েছেন। গুরুতর জখম বেশ কয়েক জন। জানা গিয়েছে, আইইডি বিস্ফোরণের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। যাঁরা শহিদ হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৮ জন ডিআরজি জওয়ান, অন্যজন গাড়িটির চালক। 

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Maoists Attack)

    জানা গিয়েছে, এদিন সকালে জওয়ানরা (Maoists Attack) একটি যৌথ অভিযান থেকে ফিরছিলেন। মাওবাদীদের খোঁজেই চালানো হয়েছিল যৌথ অভিযান। নারায়ণপুর, বীজাপুর, দান্তেওয়াডার পুলিশের সঙ্গে একযোগে তাঁরা এই যৌথ অভিযান চালাচ্ছিলেন। অভিযান থেকে ফেরার সময়ই কুটরু রোডে এই আইইডি বিস্ফোরণ হয়। বস্তারের পুলিশের আইজি জানিয়েছেন, বিস্ফোরকের সঙ্গে ধাক্কা লাগতেই গাড়িটি বিস্ফোরণের শিকার হয়েছে। জানা গিয়েছে, এদিকে, মাওবাদী অধ্যুষিত আবুজমাইয়ের জঙ্গলে চলছে ফোর্স বনাম মাওবাদীদের লড়াই। নারায়ণপুর, দান্তেওয়াড়ার সীমান্তে ওই সংঘাত চলছে। জানা গিয়েছে, এই মাওবাদী হামলায় একটি গাড়ি উড়িয়ে দেওয়া হয়। এর আগে, ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে ৪ মাওবাদীকে নিকেশ করা হয়। সেই ঘটনার বদলা নিতেই মাওবাদীরা বীজাপুরের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। 

    আরও পড়ুন: বন্দি বিনিময় দুই দেশের, ভারতের ৯৫ জন, বাংলাদেশের ৯০ মৎস্যজীবী ফিরছেন ঘরে

    গত সপ্তাহে বীজাপুর জেলারই ফরসেগঢ়ে ‘পুলিশের চর’ ঘোষণা করে স্থানীয় বিজেপি নেতা কুদিয়াম মাঢ়ো (৩৫)-কে খুন করেছিল মাওবাদীরা। ঘটনাচক্রে শনিবার থেকেই বীজাপুর লাগোয়া নারায়ণপুর-দান্তেওয়াড়া সীমানায় দক্ষিণ আবুজমাইয়ের জঙ্গলে মাওবাদী (Maoists Attack) দমন অভিযান শুরু করেছে যৌথবাহিনী। দু’তরফের গুলির লড়াইয়ে ‘ডিস্ট্রিক্ট রিজ়ার্ভ গার্ড’ বাহিনীর এক জওয়ান এবং পাঁচ মাওবাদী গত দু’দিনের লড়াইয়ে নিহত হয়েছেন। তার পরেই সোমবার ল্যান্ডমাইন হামলা চালাল মাওবাদীরা। উল্লেখ্য, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, দেশকে মাওবাদী শূন্য করতে ডেডলাইন বেঁধে দেন। সেই মতো ছত্তিশগড় থেকে শুরু করে একাধিক জায়গায় অভিযানে নামে ফোর্স। নিরাপত্তা বাহিনীর এই ক্রমাগত অভিযানের মাঝেই সোমবার কুটরু রোডে ডিআরজির গাড়িতে মাওবাদী হামলার ঘটনা ঘটল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Fishermen: ভারতীয় মৎস্যজীবীদের ওপর অকথ্য অত্যাচার বাংলাদেশে, ইউনূসদের আসল চেহারা বের হচ্ছে

    Indian Fishermen: ভারতীয় মৎস্যজীবীদের ওপর অকথ্য অত্যাচার বাংলাদেশে, ইউনূসদের আসল চেহারা বের হচ্ছে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনূস সরকার ক্ষমতায় আসার পর হিন্দুদের ওপর লাগামছাড়া অত্যাচার চলছে। এই আবহে ৯৫ জন ভারতীয় মৎস্যজীবী (Indian Fishermen) বাংলাদেশে ধরা পড়েছিলেন। সম্প্রতি, বাংলাদেশ থেকে ওই ৯৫ জন মৎস্যজীবী ভারতে ফিরেছেন। বাংলাদেশি নৌসেনারা যে কী অত্যাচার চালিয়েছেন, তার জলজ্যান্ত প্রমাণ তাঁদের শরীরে অবস্থা দেখলেই টের পাওয়া যাবে। তাঁরা দু’পায়ে দাঁড়াতে পারছেন না। কীভাবে হয়েছে অত্যাচার? শুনলে আঁতকে উঠতে হয়। মুখে গামছা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়, লাঠি মুখে ঢুকিয়ে গুঁজে দেওয়া হয় গামছা, এরপর এক পায়ে দাঁড় করিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। বাথরুম যেতে দেওয়া হত না, দু’দিন খেতে দেওয়া হয়নি, ভয়ঙ্কর বক্তব্য উঠে আসছে তাঁদের মুখে। অথচ বাংলাদেশের মৎস্যজীবীরা যখন কেউ ধরা পড়েন ভারতের জলসীমায় তখন তাদের কীভাবে যত্নে রাখা হয়। চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। আর তার বিনিময়ে উল্টো ব্যবহার পেলেন ভারতের মৎস্যজীবীরা। নিজের আসল পরিচয় দেখিয়ে দিল ইউনূস প্রশাসন।

    আতঙ্কে মৎস্যজীবীরা (Indian Fishermen)

    বাংলাদেশ থেকে ৯৫ জন বন্দি মৎস্যজীবী (Indian Fishermen) দেশে ফিরলেও এখনও ভয়ে শিঁটিয়ে তিলোকচন্দ্রপুর গ্রামের ফেরত আসা মৎস্যজীবীরা। এই গ্রামের ৮০ শতাংশ মানুষই মৎস্যজীবী। প্রায় প্রত্যেক বাড়ি থেকে কেউ না কেউ ট্রলার নিয়ে সমুদ্রে যান। এই গ্রামের ৯৬ জন মৎস্যজীবী বাংলাদেশে আটকে পড়েছিলেন। গত অক্টোবর-নভেম্বর মাসে ভারতীয় মৎস্যজীবী ভারতের জলসীমানা লঙ্ঘন করে বাংলাদেশের জলসীমানায় ঢুকে পড়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। তারপরে বাংলাদেশের (Bangladesh) পটুয়াখালি এবং মঙ্গলায় আটক ছিলেন তাঁরা। দুই দেশের তরফে মৎস্যজীবীদের আন্তর্জাতিক জল সীমানা লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এরই মধ্যে বাংলাদেশ জুড়ে শুরু হয় হিংসা। তার মধ্যে তাঁদের ওপরেও চলেছে অকথ্য অত্যাচার।

    আরও পড়ুন: সীমান্তে বেড়া দিতে বাধা! বিএসএফের রণমূর্তির দেখে পগার পার বাংলাদেশিরা

    এখনও ফেরেননি এক মৎস্যজীবী!

    জানা গিয়েছে, এখনও একজন মৎস্যজীবী (Indian Fishermen) ফেরেননি। বদলে ফিরেছে তাঁর জামাকাপড়। তাঁরই স্ত্রী গুরুমণি। তাঁর স্বামী ভয়ে ট্রলার থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। আর খোঁজ মেলেনি তাঁর। বাংলাদেশি নৌসেনাদের অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে সমুদ্রে ঝাঁপ দেন। গুরুমণি বলেন, “আমার স্বামী তো ভয়ে ঝাঁপ দিয়েছেন। ওই যে নেভি ধরছে, কোস্ট গার্ড ধরছে, মারছে, খুব মারছে, সেই দেখেই ভয়ে ঝাঁপ দিয়েছে। ওরা যদি এভাবে মারধর না করত, তাহলে তো বেঁচে ফিরত আমার স্বামী।”

    ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা বললেন মৎস্যজীবীরা

    বাংলাদেশে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন একাধিক মৎস্যজীবী। অত্যাচারের বর্ণনা করতে গিয়ে অনেকে কেঁদেও ফেলছেন রণজিৎ দাস নামে এক মৎস্যজীবী। তাঁকেও আটক করে রাখা হয়েছিল। এখনও সে দিনগুলোর কথা বলতে গিয়ে ভয়ে কেঁপে ওঠে তাঁর গলা। বলেন, “আমাদের সামনেই (Indian Fishermen) অফিসাররা বলছিল, পেটে ছুরি মেরে জলে ফেলে দে ওদের। এমন মারত, কত যে লাঠি ভেঙেছে। এক পায়ে দাঁড় করিয়ে পায়ের পাতায় মারত। চোখ বেঁধে রেখে নিতম্বে লাঠি দিয়ে মেরে দগদগে ঘা করে দেওয়া হয়।” অপর এক মৎস্যজীবী বলেন, আমাদের কাছে জিপিএস ছিল। কিন্তু সেটা ঠিকঠাক কাজ করছিল না। আমরা বাংলাদেশের জলসীমায় চলে যাই। মাঝি জানে না ঠিক করে। আমরা আত্মসমর্পণ করেছিলাম। তারপরেও আমাদের প্রচুর মারধর করল। মাঝি আর ইঞ্জিন মিস্ত্রি দুজনকে ট্রলারে রাখল। বাকিদের সারা রাত হাত বেঁধে রাখল। মারল। এরপর হাতকড়া পরিয়ে থানায় নিয়ে গেল। সেখানে উল্টো-পাল্টা কথা বলছিল।

    ‘‘ইন্ডিয়ান, তোকে জল দেওয়া যাবে না’’

    বাংলাদেশ ফেরত অত্যাচারিত মৎস্যজীবী (Indian Fishermen) সুভাষ দাস বলেন, “আমার সীমান্তে এসে কেন আমাকে নিয়ে যাবে? এইজন্য ওদের সঙ্গে একটু তর্কাতর্কি করি। ওরা আমাকে মারে। এরপর আমার ৫ জন লোক জলে পড়ে যান। যখন বোটটা কাত হয়ে যায়, তখন পড়ে যায়। তুলতে দিচ্ছিল না, তাও অনেক কষ্টে চেষ্টা করে ৪ জনকে তুলেছি। আর একজনকে খুঁজতে দেয়নি। অক্টোবরের ১৬ তারিখ রাত তখন ৩টে বাজে। আমার একটা লোক তখনও আছে। বলে, এখানে থাকা যাবে না। ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী আসতে পারে। দড়ি দিয়ে সবাইকে বেঁধে ফেলেছে। মারধর আরম্ভ করছে সবাইকে। আমার ছেলে কান্নাকাটি করল। লোকজন কান্নাকাটি করল। আমার গলায় পা রাখে। পায়ের তলায় মারে। আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। ছেলে বলে, আমার বাবার বুকে অসুবিধা। বাবাকে ছেড়ে দেন। নাহলে, আমার বাবা বাঁচবে না। বললাম, একটু জল দেন। বলে, ইন্ডিয়ান। তোকে জল দেওয়া যাবে না।” 

    মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক কী বললেন?

    সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী (Indian Fishermen) শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র বলেন, ‘‘অতীতেও অনেকবার এ দেশের মৎস্যজীবীরা বাংলাদেশ জল সীমানায় ঢুকে পড়েছে। কিন্তু কোনও বার এত অত্যাচার করা হয়নি। এবার বাংলাদেশের অশান্তির প্রেক্ষিতে অত্যাচার সীমা ছাড়িয়েছে। ৯৫ জনের মধ্যে ২২ জনের অবস্থা গুরুতর। তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।” প্রশ্ন উঠছে, কেন মারধর করা হল ভারতীয় মৎস্যজীবীদের? তাঁরা তো জলদস্যু নন, তারপরেও কেন এই ব্যবহার পেলেন তাঁরা? তবে কি ভারতীয় বলেই পেটানো হল?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 07 January 2025: বিলাসিতার কারণে খরচ বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 07 January 2025: বিলাসিতার কারণে খরচ বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) অতিরিক্ত কাজের চাপে ক্লান্তিবোধ।

    ২) সন্তানের জন্য সম্মান নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা।

    ৩) পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে।

    বৃষ

    ১) ধর্ম সংক্রান্ত ব্যাপারে তর্কে জড়াতে পারেন।

    ২) মা-বাবার সঙ্গে সামান্য কারণে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    মিথুন

    ১) কর্মস্থানে বন্ধুদের বিরোধিতা আপনাকে চিন্তায় ফেলবে।

    ২) বুদ্ধির ভুলের জন্য মানসিক চাপ বৃদ্ধি।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    কর্কট

    ১) ব্যবসায় মুনাফা বৃদ্ধি পাবে।

    ২) ঋণমুক্তির সুযোগ পাবেন।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    সিংহ

    ১) প্রেমে নৈরাশ্য থেকে মানসিক চাপ বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) প্রতিবেশীর অশান্তির দায় আপনার কাঁধে চাপতে পারে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কন্যা

    ১) সকালের দিকে বন্ধুদের দ্বারা বিব্রত হতে পারেন।

    ২) শরীরে ব্যথাবেদনা বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) দুশ্চিন্তা বাড়বে।

    তুলা

    ১) ভ্রমণে গিয়ে শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা।

    ২) প্রেমের প্রতি ঘৃণাবোধ হতে পারে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    বৃশ্চিক

    ১) প্রেমের ব্যাপারে অতিরিক্ত আবেগ থেকে সংযত থাকুন।

    ২) শরীরে ক্ষয় বৃদ্ধি।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    ধনু

    ১) বাড়তি কিছু খরচ হতে পারে।

    ২) বৈরী মনোভাবের জন্য ব্যবসায় শত্রু বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    মকর

    ১) আপনার বিষয়ে সমালোচনা বৃদ্ধি পাবে।

    ২) সকালের দিকে একই খরচ বার বার হবে।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করুন।

    কুম্ভ

    ১) রক্তহীনতা বাড়তে পারে।

    ২) কোনও মহিলার জন্য স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    মীন

    ১) বিলাসিতার কারণে খরচ বাড়তে পারে।

    ২) বাড়িতে বিবাদের জন্য মনঃকষ্ট।

    ৩) ভেবেচিন্তে কথা বলুন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BSF-BGB Conflict: সীমান্তে বেড়া দিতে বাধা! বিএসএফের রণমূর্তির দেখে পগার পার বাংলাদেশিরা

    BSF-BGB Conflict: সীমান্তে বেড়া দিতে বাধা! বিএসএফের রণমূর্তির দেখে পগার পার বাংলাদেশিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে ইউনূস সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশজুড়ে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। হিন্দুদের ওপর লাগামছাড়া অত্যাচার চলছে। সঙ্গে চলছে ভারত বিদ্বেষী হুঁশিয়ারি। কার্যত ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এখন একেবারে তলানিতে। কয়েকদিন আগেই আবার যুদ্ধ মহড়া করতে দেখা গিয়েছিল বাংলাদেশের (BSF-BGB Conflict) সেনাকে। দিনে দিনে উত্তজেনা ক্রমশ বেড়েই চলেছে সীমান্তে। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এপার বাংলায় তৎপরতা বাড়িয়েছে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী। কিন্তু, ওপারের বিজিবির রোষ যেন বেড়েই চলেছে। এই আবহে মালদা সীমান্তে ফেন্সিং করা নিয়ে বিজিবি-র সঙ্গে ঝামেলা হয়ে গেল বিএসএফের। সীমান্তে ক্ষমতা দেখাতে গিয়ে বিএসএফের দাপটে ভয়ে লেজ গুটিয়ে পালিয়ে গেল বিজিবি।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?(BSF-BGB Conflict)

    এমনিতেই রাজ্যের একাধিক জেলায় বহু এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নেই। মালদা জেলার বেশ কিছুটা অংশ এখনও ফাঁকা রয়েছে। সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেই বেনজির ছবি সামনে এল। মালদার বৈষ্ণবনগরে সীমান্তরক্ষী বাহিনী (BSF)-কে কাঁটাতারের বেড়া তুলতে বাধা দেওয়া হল। জানা গিয়েছে, সীমান্তে বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়া তুলতে গেলে  ভারতীয় ভূখণ্ডকেও বিতর্কিত এলাকা, সেটি বাংলাদেশের এলাকা বলে দাবি করে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি। কাঁটাতারের বেড়া তোলা নিয়ে BSF-এর সঙ্গে সংঘাত দেখা দিল বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির। উত্তেজনার আবহেও এপারের শুকদেবপুর গ্রামের লোকজনও বর্ডারে ছুটে যান। বিএসএফ-কে সাহায্যের হাত বাড়ান এলাকার বাসিন্দারা। যদিও বেশ কিছুক্ষণের বচসার শেষে পিছু হটে বাংলাদেশিরা। বিএসএফের রণমূর্তির সামনে ধোপে টেকেনি বিজিবিও। ভয় পালিয়ে যায় বাংলাদেশিরা।

    আরও পড়ুন: শীতের সকালে তিব্বতে জোরালো ভূমিকম্প! তীব্রতা ৭.১, কেঁপে উঠল কাঠমান্ডু থেকে কলকাতা

    সীমান্তে ভারতীয়দের হুঙ্কার

    সীমান্তের দু’দিকে জমায়েত হন স্থানীয়রাও। স্লোগান, পাল্টা স্লোগান উঠল সেখানে। (India-Bangladesh Border) মঙ্গলবার মালদার বৈষ্ণবনগরে সীমান্ত থেকে এই ঘটনা সামনে এল। বৈষ্ণবনগরের শুকদেবপুর এলাকায় প্রায় ১০০ মিটারে এখনও কাঁটাতারের বেড়া নেই। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সেখানে উন্মুক্তই। এমন পরিস্থিতিতে সম্প্রতি কাঁটাতারের বেড়া তুলতে শুরু করে বিএসএফ। কিন্তু বেড়া (BSF-BGB Conflict) দেওয়া নিয়ে আপত্তি জানায় বিজিবি। কাঁটাতারের কাজ বন্ধ করে দিতে হয়। সেই নিয়ে সীমান্ত সংলগ্ন এলাকাতেও উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনাস্থল থেকে যে ছবি সামনে এসেছে, তাতে ভারতের দিক থেকে ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’, ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান ওঠে। পাল্টা স্লোগান ভেসে আসে ওপার থেকেও। এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। যদিও বিএসএফের তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বিশেষ করে ভারতীয়দের হুঙ্কারে ওপার বাংলার লোকজন কার্যত পিছু হটে। শেষ পর্যন্ত প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে ফ্ল্যাগ মিটিং করা হয়। মানচিত্র তুলে ধরে বিএসএফ জানায়, ওই এলাকা ভারতের ভূখণ্ডের অংশ। শেষ পর্যন্ত বিজিবি ফিরে যায়। মঙ্গলবার সকাল থেকে কাঁটাতারের বেড়া তোলার কাজ ফের শুরু হয়েছে।

    মালদার জেলাশাসক কী বললেন?

    এই ঘটনার কথা মেনে নিয়েছেন মালদার জেলাশাসক নিতিন সিংঘানিয়া। তিনি বলেন, “এদিন সকাল থেকে কাঁটাতার দেওয়া শুরু হয়েছে। আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিক।” একদিকে, বিএসএফ সীমান্ত এলাকায় নজরদারি চালাচ্ছে। অন্যদিকে, জেলা পুলিশও পরিস্থিতির তদারকি করছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

    কেন্দ্রকে জানাল বিএসএফ

    প্রসঙ্গত, হাসিনার দেশত্যাগ, চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির পর থেকে বাংলাদেশ থেকে লাগাতার সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ আসতে থাকে। ভারতের কড়া (BSF-BGB Conflict) বার্তার পরেও টনক বিশেষ নড়েনি ইউনূস প্রশাসনের। পাল্টা যুদ্ধের হুঙ্কার আসে বিএনপি-র তরফে। বঙ্গ বিজেপির নেতারাও আবার পাল্টা আক্রমণ শানান। এদিকে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বড় অংশের সীমানা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ওপর দিয়েই। এমনিতেই বাংলাদেশের তরফে লাগাতার যুদ্ধের জিগির চোখে পড়ছে। সম্প্রতি যুদ্ধের মহড়াও হয় সেখানে। যুদ্ধের প্রস্তুতি সেরে রাখতেই মহড়া বলে জানান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। সেই আবহেই ভারতের এলাকাকে নিজেদের বলে দাবি এবং কাঁটাতারের বেড়া তুলতে বাধা দেওয়া হল। শেষ পর্যন্ত কাঁটাতারের বেড়া তুলতে সফল হয় বিএসএফ। সমস্ত বিষয়টি বিএসএফের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে জানানো হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Donald Trump: প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেবেন ট্রাম্প, আমন্ত্রিতের তালিকায় নাম নেই মোদির!

    Donald Trump: প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেবেন ট্রাম্প, আমন্ত্রিতের তালিকায় নাম নেই মোদির!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২০ জানুয়ারি পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। ওই দিন দুপুর ১২টায় ওয়াশিংটন ডিসিতে হবে শপথ গ্রহণ (PM Modi) অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রের প্রধানরা। এই অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উপস্থিত থাকবেন কিনা, তা নিয়ে চলছে জোর জল্পনা। ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র ডে-র দিন। এদিন আমেরিকায় ছুটি। এটি দ্বিতীয়বার হবে যখন অভিষেক দিবস এমএলকে ডে-র সঙ্গে একই দিনে পড়বে। ১৯৯৭ সালেও এমন ঘটনা ঘটেছিল। সেবার এই দিনে দ্বিতীয়বারের জন্য শপথ নিয়েছিলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন।

    ট্রাম্পের শপথ (Donald Trump)

    ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে দুপুরে। তার কিছুক্ষণ পরেই তিনি শপথ নেবেন। তিনি হবেন আমেরিকার র ৪৭তম প্রেসিডেন্ট। অভিষেক অনুষ্ঠানের জন্য ট্রাম্প ব্যক্তিগতভাবে কিছু বিদেশি নেতাকে বিশেষ করে সাম্প্রতিক অতীতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরোধে জড়িত রাষ্ট্রপ্রধানদের, আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। যদিও নিশ্চিত তালিকা এখনও পাওয়া যায়নি, তবে ট্রাম্প সমর্থক ও বিশ্ব নেতাদের অনুষ্ঠানটিতে যোগদানের পরিকল্পনা নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। তা থেকেই জানা গিয়েছে ২০ তারিখের মেগা ইভেন্টে কারা যোগ দেবেন (Donald Trump)।

    কারা রয়েছেন আমন্ত্রিতের তালিকায়

    ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, “আমি অবশ্যই যাচ্ছি।” তিনি বলেন, “শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান এড়িয়ে যাওয়া একমাত্র প্রেসিডেন্ট হলেন সেই ব্যক্তি, যিনি শপথ গ্রহণ করতে চলেছেন।” প্রসঙ্গত, বাইডেন যখন শপথ নিয়েছিলেন, সেই অনুষ্ঠান এড়িয়ে গিয়েছিলেন ট্রাম্প। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে। সূত্রের খবর, ওই অনুষ্ঠানে শি স্বয়ং যাবেন না। তবে চিনের প্রবীণ কর্তাদের একটি প্রতিনিধি দল উপস্থিত থাকবেন ওই অনুষ্ঠানে।

    আরও পড়ুন: ভারতের বাঁধ নির্মাণে বাধা দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন!

    আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মিলে, ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভালোদিমির জেলেনস্কিকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে উল্লেখযোগ্যভাবে ওই তালিকায় নাম নেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। ট্রাম্পের আমন্ত্রিত অতিথিদের যে তালিকা ফাঁস হয়েছে, তাতে মোদির নামই নেই। তবে সোমবার দিল্লিতে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মোদি। পরে তিনি বলেন, “ভারত-মার্কিন (PM Modi) বিস্তৃত বৈশ্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব প্রযুক্তি ও প্রতিরক্ষা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নয়া উচ্চতায় পৌঁছেছে (Donald Trump)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share