Tag: Bengali news

Bengali news

  • Raghubar Das: ‘মিশন’ ওড়িশার পর এবার ঝাড়খণ্ড! রঘুবর দাসের বিজেপির রাজনীতিতে ফেরা নিয়ে জোর জল্পনা

    Raghubar Das: ‘মিশন’ ওড়িশার পর এবার ঝাড়খণ্ড! রঘুবর দাসের বিজেপির রাজনীতিতে ফেরা নিয়ে জোর জল্পনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশার রাজ্যপাল রঘুবর দাস (Raghubar Das) পদত্যাগ করলেন। এরপর থেকে ঝাড়খন্ডে সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরে আসার বিষয়ে বিজেপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে  নতুন করে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। রাজভবন থেকে একটি সরকারি বিবৃতিতে রঘুবর দাসের পদত্যাগের বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। মিজোরামের গভর্নর কামহামপতি হরি বাবুকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

    ওড়িশার রাজ্যপাল হিসেবে মাত্র ১৪  মাস দায়িত্ব পালন (Raghubar Das)

    ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস (Raghubar Das) ওড়িশার রাজ্যপাল হিসেবে মাত্র ১৪ মাস দায়িত্ব পালন করার পরে পদত্যাগ করেছেন। সক্রিয় রাজনীতিতে তার প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে আলোচনাটি সাম্প্রতিক ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্তু বিজেপি তার পুত্রবধূ পূর্ণিমা সাহুকে শক্ত ঘাঁটি জামশেদপুর পূর্ব থেকে প্রার্থী করার পর বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে। সেই আসনে পূর্ণিমা সাহু জিতেছিলেন। দাস ছিলেন ঝাড়খণ্ডের একমাত্র অ-উপজাতি মুখ্যমন্ত্রী, যিনি একটি পূর্ণ মেয়াদ শেষ করেছেন। তাঁর সক্রিয় রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

    রঘুবর দাস কী বললেন?

    পুরী জগন্নাথ মন্দিরে প্রার্থনা করার পর রঘুবর দাস (Raghubar Das) সাংবাদিকদের বলেন, “আমি একটি শ্রমজীবী পরিবার থেকে উঠে এসেছি। ১৯৮০ সালে আমি দলে (বিজেপি) যোগদানের পর আমাকে বুথ, মণ্ডলে অনেক কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। রাজ্য এবং জাতীয় স্তরেও আমি ঝাড়খণ্ডের মানুষের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি (মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে)। দল এবার নতুন ভূমিকা নির্ধারণ করবে।”

    ওড়়িশার বিজেপি নেতা কী বললেন?

    ওড়িশার এক বিজেপি (BJP) নেতা বলেন, ঝাড়খণ্ডের রাজনীতিতে দাসের (Raghubar Das) “দৃঢ় প্রভাব” রয়েছে। তাই কেন্দ্রীয় দলের নেতৃত্বের “তার জন্য একটি পরিকল্পনা” থাকতে পারে।” ওড়িশা বিজেপি প্রধান মনমোহন সামল বলেন, “দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে পরামর্শ করার পরে দাস হয়তো পদত্যাগ করেছেন। দাস গত বছরের ১৮ অক্টোবর ওড়িশার রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। গত তিন দশকে তার পাঁচজন পূর্বসূরি তাদের সম্পূর্ণ পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করেছিলেন বলে রাজভবনে তাঁর সবচেয়ে সংক্ষিপ্ততম কার্যকাল ছিল।” ওড়িশায় দাসের ভূমিকাকে “গুরুত্বপূর্ণ” হিসেবে দেখা হয়েছিল। কারণ বিজেপি শক্তিশালী সাংগঠনিক ভিত্তি না থাকা সত্ত্বেও, নবীন পট্টনায়কের নেতৃত্বাধীন বিজু জনতা দলকে (বিজেডি) ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়ে রাজ্যে প্রথম সরকার গঠন করেছিল। 

    বিজেডি নেতা কী বললেন?

    বিজেডির অভ্যন্তরীণ ব্যক্তিরা দাবি করেছেন যে একই সঙ্গে বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচনে দলের পরাজয়ের পিছনে দাসের (Raghubar Das) “ভুমিকা” ছিল। জুলাই মাসে বার্ষিক রথযাত্রার সময় পুরীতে তার ছেলে ললিত কুমারের দ্বারা রাজভবনের এক কর্মচারীর হামলার জন্যও বিজেডি দাসকে নিন্দা করেছিল। বিজেডি দাসকে তার পদত্যাগের পরেও এই ইস্যুতে টার্গেট করা অব্যাহত রেখেছিল। দলের মুখপাত্র লেলিন মোহান্তি উল্লেখ করেছেন যে সেই হামলার শিকার ব্যক্তি এখনও বিচারের অপেক্ষায় রয়েছে। তিনি আরও বলেন, “কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয় বলে বিজেপির দাবি একটি প্রহসন”। বিজেডি আরও অভিযোগ করেছিল যে গত মাসে ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের সময় “রাজনৈতিক কৌশলের” জন্য রাজভবনকে “যুদ্ধ কক্ষে” পরিণত করা হয়েছিল। একজন বিজেডি নেতা বলেছিলেন, “দাসই বিজেপি নেতৃত্বকে দলের মধ্যে পান্ডিয়ানের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়ে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ সম্পর্কে অবহিত করেছিলেন। “

    ওড়িশায় মিশনে বিজেপি তার লক্ষ্য অর্জন করেছে

    আরেক বিজেডি নেতা বলেছিলেন, দাসকে (Raghubar Das) বিজেপি নেতৃত্ব “দলকে ক্ষমতায় আসতে সহায়তা করার জন্য ওড়িশায় মিশনে” প্রেরণ করেছিলেন। “যেহেতু বিজেপি তার লক্ষ্য অর্জন করেছে, তাদের এখন তার জন্য আলাদা পরিকল্পনা থাকতে পারে”। রঘুবর দাস অবশ্য বলেছিলেন যে রাজ্যে বিজেপির জয়ে তাঁর কোনও অবদান নেই। এটি মহাপ্রভু জগন্নাথের আশীর্বাদের কারণে হয়েছে। জানা গিয়েছে, রাজ্যপাল হিসেবে তার মেয়াদকালে রাজ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত একটি বিল নিয়ে নতুন বিজেপি সরকারের সঙ্গে তাঁর মতভেদ দেখা যায়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: বাংলাদেশের নড়াইলে হিন্দু ইউপি সদস্যাকে গণধর্ষণের পর মুখে বিষ ঢেলে খুন

    Bangladesh: বাংলাদেশের নড়াইলে হিন্দু ইউপি সদস্যাকে গণধর্ষণের পর মুখে বিষ ঢেলে খুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) নড়াইল সদরে বাসনা মল্লিক (৫০) নামের এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যাকে গণধর্ষণের পর মুখে বিষ ঢেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ২৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে তার বাড়িতে নেওয়া হয়। নিহত বাসনা মল্লিক নড়াইল সদরের মাইজপাড়া ইউনিয়নের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য (মেম্বার) এবং ওই ইউনিয়নের পোড়াডাঙ্গা গ্রামের নেপাল মল্লিকের স্ত্রী। নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম ইউপি সদস্য বাসনার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?(Bangladesh)

    নিহতের পরিবারের দাবি, মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল থেকে টিসিবির মালামাল বিতরণ শেষে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় যুবক রাজিবুলের ফোন পেয়ে পাওনা টাকা আনতে যান। মাইজপাড়া (Bangladesh) ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের মোক্তার মোল্লার বাড়িতে রাজিবুলসহ ফারুক, চঞ্চল, শফিকুল মিলে তাঁকে গণধর্ষণ করে। সেইসঙ্গে তার ভিডিওগ্রাফি করে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। নির্যাতিতা বাসনা মল্লিক বিষয়টি জানিয়ে দেবে বলে হুমকি-ধমকি দিলে তার মুখে বিষ ঢেলে দেওয়া হয়। বাড়িতে ফিরে এ ঘটনা ভয়ে তিনি কাউকে কিছু বলেননি। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে ২৫ ডিসেম্বর সকালে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় তিনি ছেলে রিংকু মল্লিকের কাছে তার ওপর নির্যাতনের বর্ণনা ও জড়িতদের নাম বলেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ২৬ ডিসেম্বর রাতে তার মৃত্যু হয়।

    ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কী বললেন?

    ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মোক্তার মোল্লার স্ত্রী সাহিদা ও পুত্রবধূ সোনিয়া বলেন,”মেম্বার বাসনা আসছিল। তারে ডেকে আমাদের ঘরে নিয়ে যায় ওরা (অভিযুক্ত রাজিবুল, শফিকুল, চঞ্চল, ফারুক)। তারপর তিনি চলে যেতে চাইছিলেন। কিন্তু জোর করে তাঁকে আটকে (Bangladesh) রাখা হয়েছিল। আমাদের ঘর থেকে বের করে দিয়ে দরজা আটকে জোর করছিল।” জনপ্রিয় এমন জনপ্রতিনিধি বাসনার অস্বাভাবিক মৃত্যুতে ক্ষোভ জানিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও তার সহকর্মীরা। তবে এ বিষয়ে অভিযুক্তদের এ ঘটনার সত্যতা জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

    নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কী বললেন?

    নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজেদুল ইসলাম বলেন, “যশোর কোতোয়ালি থানা (Bangladesh) পুলিশ আমাদের অবহিত করেন। ইউপি সদস্য বাসনা মল্লিকের পেটে বিষের ট্রেস রয়েছে এবং তার সঙ্গে একাধিক ব্যক্তির জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্কের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এ তথ্য পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। বিষয়টি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের পাশাপাশি দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।                                                       

  • Suvendu Adhikari: জ্যোতিপ্রিয় জেলে থাকলেও রেশন বণ্টনে চলছে তৃণমূল নেতাদের চোরাকারবার! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: জ্যোতিপ্রিয় জেলে থাকলেও রেশন বণ্টনে চলছে তৃণমূল নেতাদের চোরাকারবার! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল (TMC) একাধিক দুর্নীতিতে ব্যাপক ভাবে জেরবার। স্কুল শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে একশ দিনের কাজ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, মিড ডে মিল, রেশন বণ্টন, সমবায়, পুর নিয়োগ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং নারী নির্যাতনের ঘটনা সহ একাধিক ইস্যুতে বিজেপির নিশানায় মমতার সরকার। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এদিন নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে আক্রমণ করে বলেন, “রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং তাঁর সহযোগীরা গ্রেফতার হওয়ার পরও পশ্চিমবঙ্গে কোটি কোটি টাকার রেশন কেলেঙ্কারি চলছে।”

    চাল মিলগুলিতে পাচার করছে রেশন সামগ্রী (Suvendu Adhikari)

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এদিন রাজ্যে তৃণমূলের (TMC) দুর্নীতি প্রশ্নে একহাত নিয়ে বলেন, “রাজ্যের রেশন বিতরণ জন বণ্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। কিন্তু রাজ্যের তৃণমূল সরকার এই রেশনের চাল ব্যক্তিগত মালিকানাধীন চাল কলের মিলগুলিতে পাচার করছে। পরবর্তী সময়ে এই চাল পালিশ করে খোলা বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।” একই ভাবে একটি ভিডিও সামজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন তিনি। তাতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে রেশনের চাল কীভাবে পাচার করা হচ্ছে। এই ব্যবস্থায় সরকার পক্ষের লোক অত্যন্ত প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত। শাসক দলের নেতারা এই দুর্নীতির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবে যুক্ত বলে অভিযোগ তোলেন তিনি।

    ইডিকে তদন্তের আর্জি

    বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) মমতাকে তোপ দেগে আরও বলেন, “সরকারের নাকের ডগায় বসে তৃণমূল (TMC) নেতারা প্রকাশ্যে চুরি করছে। মমতা সরকার বেসরকারি রাইস মিলের কাছে জনগণের প্রাপ্য রেশন চোরা চালান করছে। এই চোরাকারবারকে আটকাতে আমি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে আনুরোধ জানাবো। কেন্দ্র সরকারের সম্পত্তি কীভাবে লুট করছে রাজ্যের তৃণমূলের নেতারা, সেই দিকে দৃষ্টিপাত করতে বলব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 233: “ব্যাসদেব তীরে বললেন, হে যমুনে, যদি আজ কিছু খেয়ে না থাকি, তোমার জল দুভাগ হয়ে যাবে”

    Ramakrishna 233: “ব্যাসদেব তীরে বললেন, হে যমুনে, যদি আজ কিছু খেয়ে না থাকি, তোমার জল দুভাগ হয়ে যাবে”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িমধ্যে

    ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১৫ই জুন

    সাধনার প্রয়োজন—গুরুবাক্যে বিশ্বাস—ব্যাসের বিশ্বাস

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—সাধন বড় দরকার। তবে হবে না কেন? ঠিক বিশ্বাস যদি হয়, তাহলে আর বেশি খাটতে হয় না। গুরুবাক্যে বিশ্বাস!

    “ব্যাসদেব যমুনা পার হবেন, গোপীরা এসে উপস্থিত। গোপীরাও পার হবে কিন্তু খেয়া মিলছে না। গোপীরা বললে, ঠাকুর! এখন কি হবে? ব্যাসদেব বললেন (Kathamrita), আচ্ছা তোদের পার করে দিচ্ছি, কিন্তু আমার বড় খিদে পেয়েছে, কিছু আছে? গোপীদের কাছে দুধ, ক্ষীর, নবনী অনেক ছিল, সমস্ত ভক্ষণ করলেন। গোপীরা বললে, ঠাকুর পারের কি হল। ব্যাসদেব তখন তীরে গিয়ে দাঁড়ালেন; বললেন, হে যমুনে, যদি আজ কিছু খেয়ে না থাকি, তোমার জল দুভাগ হয়ে যাবে, আর আমরা সব সেই পথ দিয়ে পার হয়ে যাব। বলতে বলতে জল দুধারে সরে গেল। গোপীরা অবাক্‌; ভাবতে লাগল—উনি এইমাত্র এত খেলেন, আবার বলছেন, ‘যদি আমি কিছু খেয়ে না থাকি?’

    “এই দৃঢ় বিশ্বাস। আমি না, হৃদয় মধ্যে নারায়ণ (Ramakrishna)—তিনি খেয়েছেন।

    “শঙ্করাচার্য এদিকে ব্রহ্মজ্ঞানী; আবার প্রথম প্রথম ভেদবুদ্ধিও ছিল (Kathamrita)। তেমন বিশ্বাস ছিল না। চণ্ডাল মাংসের ভার লয়ে আসছে, উনি গঙ্গাস্নান করে উঠেছেন। চণ্ডালের গায়ে গা লেগে গেছে। বলে উঠলেন, ‘এই তুই আমায় ছুঁলি!’ চণ্ডাল বললে, ‘ঠাকুর, তুমিও আমায় ছোঁও নাই, আমিও তোমায় ছুঁই নাই।’ যিনি শুদ্ধ আত্মা, তিনি শরীর নন, পঞ্চভূত নন, চতুর্বিংশতি তত্ত্ব নন। তখন শঙ্করের জ্ঞান হয়ে গেল।

    “জড়ভরত রাজা রহুগণের পালকি বহিতে বহিতে যখন আত্মজ্ঞানের কথা বলতে (Kathamrita) লাগল, রাজা (Ramakrishna) পালকি থেকে নিচে এসে বললে, তুমি কে গো! জড়ভরত বললেন, আমি নেতি, নেতি, শুদ্ধ আত্মা। একেবারে ঠিক বিশ্বাস, আমি শুদ্ধ আত্মা।”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Abhaya Crossing: ডোরিনা ক্রসিংয়ের নাম বদলে গুগল ম্যাপে হল অভয়া ক্রসিং, শোরগোল

    Abhaya Crossing: ডোরিনা ক্রসিংয়ের নাম বদলে গুগল ম্যাপে হল অভয়া ক্রসিং, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে নৃশংস নারকীয় হত্যাকাণ্ডতেই বদলে গেল শহর কলকাতার ইতিহাস। সরকারের অনুমতি ছাড়াই বদলে গলে গুগল ম্যাপে রাস্তার নাম। শহর কলকাতায় রাতারাতি বদলে গেল ডোরিনা ক্রসিং-এর নাম। নতুন নামকরণ করা হল অভয়া ক্রসিং (Abhaya Crossing)। আর এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    ডাক্তারদের আবেদনে সাড়া গুগলের (Abhaya Crossing)

    আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar) পর কয়েক মাস ধরে রাজপথে লাগাতার চলেছিল বিক্ষোভ। দীর্ঘদিন খবরের শিরোনামে ছিল শুধুই আরজি কর। এর মাঝে সবেমাত্র যখন বড়দিনে আনন্দের উৎসবে মেতেছিল কলকাতা, ঠিক তখনই আবারও পুরনো ঘটনার স্মরণ। আরও একবার এই কাণ্ড স্মরণ করিয়ে দিল কয়েক মাস আগের কলকাতার সেই রূপ। যখন মশাল হাতে রাস্তায় নেমে রাত দখল করেন মহিলারা। জনবহুল এসপ্লানেডের এই ক্রসিং (Abhaya Crossing) পেরিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করেন বহু মানুষ। অনেক আন্দোলন, মিছিলেরও সাক্ষী এই ডোরিনা ক্রসিং। সম্প্রতি, আরজি কর মামলায় জামিন পেয়েছেন সন্দীপ ঘোষ। এরই মধ্যে বদলে গেল ডোরিনা ক্রসিং-এর নাম। ব্রিটিশ সময় থেকে চলে আসা শহর কলকাতার প্রাণকেন্দ্রে ডোরিনা ক্রসিংয়ের নাম বদল করার জন্য ডাক্তারদের তরফ থেকে গুগলের কাছে আবেদন করা হয়। গুগল তাতে সম্মতি জানায়। ডোরিনা ক্রসিং-এর নাম বদলে করা হল অভয়া ক্রসিং।

    ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরামে’র কী বক্তব্য?

    গুগল ডাক্তারদের অনুরোধ গ্রহণ করার পর ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরামে’র তরফে মুখ্যসচিব-মেয়রকে ইমেল করে জানানো হয়েছে বিষয়টি। সংগঠনের সদস্য চিকিৎসক (Abhaya Crossing) প্রমোদরঞ্জন দাস বলেন, “চিকিৎসকদের অনুরোধ মেনে নতুন নাম দেওয়া হয়েছে ‘অভয়া ক্রসিং’। রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়াই বদল গুগলের। কিন্তু রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়াই ডাক্তারদের অনুরোধ কীভাবে মেলে নিল গুগল? যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। তবুও ঘটনাকে ঘিরে উঠছে প্রশ্ন।”

    বিশিষ্ট চলচ্চিত্রকার কী বললেন?

    এরইমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে বিশিষ্ট চলচ্চিত্রকার অঞ্জন দত্ত ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, “ছোটবেলা থেকে আমরা যে নাম শুনে বড়ো হয়েছি আজ হঠাৎ করে আমার ছেলে অন্য নাম শুনছে। এভাবে কি কোনও শহরের ইতিহাস বদলে দেওয়া যায়?” তিনি উদাহরণ হিসেবে ডেকারস লেনের নাম বদলের প্রসঙ্গ এনেছেন। তিনি পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেন, “এভাবে কলকাতার নাম বদল করে ইতিহাসকে বদলে দেওয়ার যে অপচেষ্টা চলছে তা কাম্য নয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RBI: নতুন বছরের জানুয়ারি থেকে এই তিন অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাবে, আরবিআই কেন জানালো জানেন?

    RBI: নতুন বছরের জানুয়ারি থেকে এই তিন অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাবে, আরবিআই কেন জানালো জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI) নতুন নির্দেশিকা জারি করল। আগামী ১ জানুয়ারি, ২০২৫ থেকে তিন ধরনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার কথা জানানো হয়েছে। এই ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভাবে ব্যাঙ্ক ব্যবস্থার শিল্পকে বদলে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। ব্যাঙ্ক ব্যবস্থাকে আরও নিরাপদ, স্বচ্ছ এবং দক্ষ করার জন্য এই ধরনের প্রগ্রতিশীল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আসুন এবার জেনে নিই নতুন কি নিয়ম (New Guidelines 2025) আনছে আরবিআই।

    গ্রাহকদের স্বার্থ এবং উন্নত ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা প্রয়োজন (RBI)

    ব্যাঙ্কিং (RBI) জগতে নতুন আধুনিক ব্যাঙ্কিংয়ে ডিজিটাল সংস্করণে এটি একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন বলে জানিয়েছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। আরবিআই-এর মতে, তিন ধরনের অ্যাকাউন্ট বাতিল করার এই ধরনের পদক্ষেপ শুধুমাত্র ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার অনেক ঘাটতিকেই সমাধান করবে না বরং তাদের সাথে সম্পর্কিত ঝুঁকিগুলিও দূর করবে। গ্রাহকদের স্বার্থ এবং উন্নত ব্যাঙ্কিং পরিষেবাগুলিতে ভালভাবে অন্তর্ভুক্ত হবে।

    আরবিআই-এর দেওয়া যে নির্দেশিকা (New Guidelines 2025) দেওয়া হয়েছে তাতে নিম্নলিখিত ব্যাঙ্ক খাতাগুলি বন্ধ হয়ে যাবে। 

    ১ – নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্ট; যে অ্যাকাউন্টগুলিতে দীর্ঘ সময় ধরে কোনও লেনদেন করা হয় না। যে কোনও অ্যাকাউন্ট যা দুই বছরে কোনও লেনদেন করে না, সাধারণভাবে, তাকে সুপ্ত বা নিস্ক্রিয় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বলা হয়।

    ২ – নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্ট; এই ধরনের অ্যাকাউন্টগুলিকে এমন অ্যাকাউন্ট, যেখানে কোনও কার্যকলাপের নির্দিষ্ট সময়কাল ধরে নেই (বেশিরভাগ সময় ১ বছর ধরে নেওয়া হয়)। 

    ৩ – জিরো ব্যালেন্স অ্যাকাউন্ট; এটি এমন একটি অ্যাকাউন্ট, যেখানে দীর্ঘদিন ধরে কোনও টাকা জমা হয়নি এবং শূন্য ব্যালেন্স রয়েছে। 

    আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক শক্তিই ধর্ম এবং সামাজিক উন্নতির ভিত্তি, দাবি বিশ্ব হিন্দু অর্থনৈতিক মঞ্চের

    জালিয়াতি এবং এর অপব্যবহারের ঝুঁকি হ্রাস

    একইসঙ্গে অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখতে নিম্নলিখিত নিয়মগুলি জারি করেছে আরবিআই (RBI)। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মতে (New Guidelines 2025), বেশ কয়েকটি উদ্দেশ্য রয়েছে, যার জন্য এই ধরনের নিয়মগুলির প্রয়োজন: 

    ১ – আর্থিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি: নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্টগুলি বন্ধ করাতে জালিয়াতি এবং এর অপব্যবহারের ঝুঁকি হ্রাস পাবে।

    ২ – ব্যাঙ্কিং সিস্টেমের দক্ষতার উন্নতি: ব্যাঙ্কগুলি অব্যবহৃত অ্যাকাউন্টগুলি বন্ধ করে কার্যকরভাবে তাদের সংস্থানগুলিকে কাজে লাগাতে পারে৷ 

    ৩ – ডিজিটাল ব্যাঙ্কিংকে উৎসাহিত করুন: এটি কার্যত গ্রাহকদের ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং পরিষেবাগুলির জন্য এই ধরনের ব্যবহারে সুইচ করতে সাহায্য করবে৷

    ৪ – কেওয়াইসি নিয়মগুলির সাথে বর্ধিত সম্মতি: নতুন নিয়মগুলি নিয়মিতভাবে গ্রাহকদের কেওয়াইসি আপডেট করতে সহায়তা করবে৷

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: দার্জিলিংয়ে তুষারপাতের সম্ভাবনা, বৃষ্টির আশঙ্কা কোন কোন জেলায়?

    Weather Update: দার্জিলিংয়ে তুষারপাতের সম্ভাবনা, বৃষ্টির আশঙ্কা কোন কোন জেলায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর শেষে দার্জিলিং-সহ উত্তরবঙ্গে পাহাড়ের সর্বত্র পর্যটকের ঢল। তারই মধ্যে পাহাড়ে তুষারপাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। পশ্চিমি ঝঞ্ঝার কারণে শনি এবং রবিবার কালিম্পংয়ে শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস (Weather Update)। তার জেরেই দার্জিলিংয়ে তুষারপাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এমনকী, দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) উঁচু পাহাড়ি এলাকা সান্দাকফু, ফালুটেও তুষারপাতের সম্ভাবনা জোরালো। শুক্রবার দার্জিলিংয়ের তাপমাত্রা ০.৮ ডিগ্রিতে নেমে যাওয়ায় সেই সম্ভাবনা আরও জোরদার হয়েছে। এর আগে ২০ নভেম্বর বরফে ঢেকেছিল সান্দাকফু। এ বার কি তাহলে দার্জিলিং শহরে স্নো-ফল হবে? তবে, পাহাড়ে শীত ফিরলেও শিলিগুড়ি-সহ সমতলে কিন্তু তেমন শীতই নেই।

    স্নো-ফল দেখতে পর্যটকরা ভিড় করছেন?(Weather Update)

    ২০২২ সালে রেকর্ড তুষারপাত হয়েছিল দার্জিলিং-কার্শিয়াংয়ের বিভিন্ন জায়গায়। সে বার দু’দশক পরে ঘুম এবং টাইগার হিল ঢেকেছিল বরফে। সেই ছবি এ বারও দেখা যাবে বলে আশায় বুক বাঁধছেন পর্যটকের দল। বিশেষজ্ঞেরা (Weather Update) বলছেন, শনিবার দার্জিলিংয়ের টাইগার হিল, ঘুম, সিকিমের লাচুং, লাচেন, ছাঙ্গু, নাথুলা এবং জুলুকে তুষারপাত শনিবার শুরু হয়ে যেতে পারে। রবিবার পর্যন্ত এই পরিস্থিতি চলতে পারে। ‘হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্ক’-এর সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, “ইংরেজি নতুন বছরের আগে দার্জিলিংয়ে স্নো-ফল হোক, এটাই মনে প্রাণে চাইছি। অনেক পর্যটক ভিড় করেছেন স্নো-ফল দেখার জন্য।”

    আরও পড়ুন: ‘‘বাবার প্রয়াণে শোক জ্ঞাপনের জন্য বসেনি ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক’’, কংগ্রেসকে তোপ প্রণব কন্যার

    আবহাওয়া দফতরের গ্যাংটক শাখার অধিকর্তা কী বললেন?

    আবহাওয়া (Weather Update) দফতরের গ্যাংটক শাখার অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা বলেন, “দার্জিলিংয়ে স্নো-ফল হবে কি না, এখনই বলা যাচ্ছে না। কালিম্পংয়ে শিলাবৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। সেই কারণে স্নো-ফলের সম্ভাবনা উড়িয়েও দিতে পারছি না। কালিম্পংয়ে শিলাবৃষ্টি হলে দার্জিলিংয়ে স্নো-ফল হতেই পারে। কারণ, এ বার পশ্চিমি ঝঞ্ঝা বেশ শক্তিশালী।”

    কোথায় কোথায় বৃষ্টি?

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update) জানিয়েছে, শনিবার ও রবিবার পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদের কিছু কিছু জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। কলকাতায় বৃষ্টির পূর্বাভাস না থাকলেও আকাশ মোটের ওপর মেঘলা থাকবে। তবে দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলায় আগামী ৫ দিন তাপমাত্রা মোটের ওপর শুষ্কই থাকবে। আগামী দু’দিন দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলাতেও হালকা বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে কলকাতা এবং লাগোয়া এলাকায় বছর শেষে তাপমাত্রা আর কমার সম্ভাবনা নেই। নতুন বছরের শুরুতে কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি নামতে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bhopal: জাহাঙ্গিরাবাদে মুসলমান-শিখদের মধ্যে পাথর-ইট-তলোয়ার নিয়ে ব্যাপক সংঘর্ষ! তীব্র উত্তেজনা

    Bhopal: জাহাঙ্গিরাবাদে মুসলমান-শিখদের মধ্যে পাথর-ইট-তলোয়ার নিয়ে ব্যাপক সংঘর্ষ! তীব্র উত্তেজনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ২৪ শে ডিসেম্বর মধ্যপ্রদেশের ভোপালের (Bhopal) জাহাঙ্গিরাবাদের পুরাতন গাল্লা মান্ডিতে মুসলমান এবং শিখ সম্প্রদায়ের (Muslims and Sikh clashe) মধ্যে একটি হিংসাত্মাক ঘটনা ঘটেছে। দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। একে অপরের বিরুদ্ধে তুমুল পাথর-ইট বর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে। সেই সঙ্গে জানা গিয়েছে, ধরালো তরবারির আঘাতে নারীসহ একাধিক মানুষ ঘটনাস্থলে আহত হয়েছেন। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে বিরাট পরিমাণে পুলিশ পাঠানো হয়। ইতিমধ্যে গ্রেফতার ৩। 

    ঘটনার সূত্রপাত ২ দিন আগেই (Bhopal)!

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই দিন আগে ভোপালের (Bhopal) ওই এলাকায় শিখ ও মুসলমানদের (Muslims and Sikh clashe) মধ্যে একটি গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। এরপর তা বিতর্কিত ইস্যুতে পরিণত হয়। পরে ঢিল ছোড়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে পুনরায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে দ্রুত উপস্থিত হন এবং পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে নিতে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। ডিসিপি পুলিশ কমিশনার প্রিয়াঙ্কা শুক্লা বলেন, “পাঁচ অপরাধীকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তলোয়ার বহনকারীরা ক্যামেরায় যারা ধরা পড়েছে, তাদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।”

    গ্রেফতার ৩

    ঘটনা ঘটেছিল গত ২২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায়। সূত্রপাত হয়েছিল, ফয়েজ নামে একজন মুসলিম যুবকের প্রধানত শিখ (Muslims and Sikh clashe) অধ্যুষিত এলাকায় (Bhopal) উচ্চ গতিতে একটি বাইক চালানোর ঘটনাকে ঘিরে। এরপর সেই যুবকটিকে বাইকের গতি নিয়ে সতর্ক করতে গেলে বচসা বাঁধে। এর ফলেই শুরু হয় সংঘর্ষ। প্রথমে ওই যুবক একটি সবজির গাড়ি থেকে একটি ছুরি বের করে এবং সামনের অপর একজন শিখকে আক্রমণ করে। ঘটনায় ৫ জন আসামীর বিরুদ্ধে একটি প্রাথমিক মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে ফয়েজ-সহ আরও তিনজনকে গ্রেফতার করাও হয়েছে। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের মধ্যে বাকি দুজন বর্তমানে পলাতক।

    তালোয়ার, ছুরি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ

    এই ঘটনার পর ফের ২৪ ডিসেম্বর সকালে, শিখ (Muslims and Sikh clashe) সম্প্রদায়ের সদস্যরা একত্রিত হয় এবং মাইকেল নামে এক মুসলিম দুষ্কৃতীকে পাকড়াও করে। তারপর সকলে গুরুদোয়ারায় (Bhopal) জড়ো হয়। অনেকেই বলেন, আক্রমণকারীরা হাতে তালোয়ার, ছুরি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করেছিল। ধারালো অস্ত্রে আঘাতে অনেকই জখম হয়ে পড়েছিল। পরিস্থিতি দেখতে দেখতেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এবং উত্তেজিত দুই পক্ষের বিশাল জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে। ইতিমধ্যে চারজন পুলিশ কর্মী আহত হন গুরুতর আঘাতে। পরবর্তীতে পুলিশ সিসিটিভির সাহায্যে তলোয়ার নিয়ে আক্রমণকারী এবং পাথর নিয়ে হামলার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের তল্লাশি শুরু করে।

    মুসলমানরা আমাদের পাগড়িকে অসম্মান করেছে

    এলাকার এক বাসিন্দা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “এই জাহাঙ্গিরাবাদ এলাকা হল একটি বৃহত্তর মুসলিম পাড়া (Bhopal), এখানে শিখ (Muslims and Sikh clashe) এবং হিন্দুরা দোকান ভাড়া দিয়ে থাকেন। অপর দিকে ভাড়াটেদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ হল মুসলমান সম্প্রদায়। কয়েকদিন আগেও একটি দোকানে ভাড়ার টাকা নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল।” আবার শিখ পক্ষের তরফে অপর এক ব্যক্তি বলেন, “আমরা দাবি করি যে মুসলমানরা আমাদের পাগড়িকে অসম্মান করেছে, যার ফলে হাতাহাতি হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: আরজি করের নির্যাতিতার ময়নাতদন্তে তাড়াহুড়ো! কারণ খুঁজছে সিবিআই

    CBI: আরজি করের নির্যাতিতার ময়নাতদন্তে তাড়াহুড়ো! কারণ খুঁজছে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে (RG Kar) খুন-ধর্ষণের তরুণী চিকিৎসকের ময়নাতদন্ত ঘিরে নানা অনিয়ম ও অসামঞ্জস্য নজরে এসেছে সিবিআইয়ের (CBI)। এর নেপথ্যে কি শুধুমাত্র প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের প্রভাব খাটানোর ব্যাপার আছে, নাকি রয়েছে তড়িঘড়ি ময়নাতদন্ত সেরে ফেলে দেহ সৎকারের চেষ্টা, সে সব সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা অবশ্য বরাবরই সরব যে আরজি করের নির্যাতিতার ময়নাতদন্তে গুচ্ছ গণ্ডগোল রয়েছে। সেগুলো আরও আগেই খতিয়ে দেখা উচিত ছিল সিবিআইয়ের।

    কী কী অনিয়ম নজরে এসেছে সিবিআইয়ের?(CBI)

    ময়নাতদন্ত ঘিরে বেশ কিছু অনিয়ম ও অসামঞ্জস্য নজরে এসেছে সিবিআইয়ের (CBI)। প্রথমত, আরজি করের ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান চিকিৎসক প্রবীর চক্রবর্তীকে বাদ দিয়ে ওই বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয় ওই বিভাগেরই অধ্যাপক, এক সন্দীপ ঘনিষ্ঠ চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাসকে। অথচ প্রথা অনুযায়ী, এই ধরনের সংবেদনশীল ঘটনায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের চেয়ারম্যান বিভাগীয় প্রধানকেই করার কথা। আর দ্বিতীয়ত, এই মেডিক্যাল বোর্ডে এনআরএসের ফরেন্সিক মেডিসিন বিশেষজ্ঞ মলি বন্দ্যোপাধ্যায়কে অন্তর্ভুক্ত করার এক্তিয়ারই ছিল না আরজি করের উপাধ্যক্ষ সঞ্জয় বশিষ্ঠের। অন্য হাসপাতালের কাউকে বোর্ডে রাখতে গেলে আদেশনামা জারি করার কথা স্বাস্থ্য অধিকর্তা কিংবা স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তার। এছাড়া ৯ অগাস্ট সকালে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয় আরজি করের ক্যাজুয়াল্টি বিল্ডিংয়ের চারতলার সেমিনার রুম থেকে। আর তাঁর দেহের ময়নাতদন্তের জন্য বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ মেডিক্যাল বোর্ড গড়েন আরজি করের তৎকালীন উপাধ্যক্ষ তথা সুপার সন্দীপ ঘনিষ্ঠ সঞ্জয় বশিষ্ঠ। এই বোর্ডের সদস্য ও চেয়ারম্যান নির্বাচন নিয়েও সিবিআই আধিকারিকরা অবাক! কারণ মূলত দু’টি। এবং সেই দু’টি বিষয়কেই নিয়ম বহির্ভূত বলে উল্লেখ করে ইতিমধ্যেই সিবিআই-কে চিঠিও দিয়েছে চিকিৎসকদের যৌথ মঞ্চের সদস্যরা।

    আরও পড়ুন: ‘‘বাবার প্রয়াণে শোক জ্ঞাপনের জন্য বসেনি ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক’’, কংগ্রেসকে তোপ প্রণব কন্যার

    ময়না তদন্ত নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    সিবিআইয়ের (CBI) একটি সূত্র জানাচ্ছে, সাধারণ নিয়মে বিকেল চারটের পর ময়নাতদন্ত হয় না, যদি না আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা থাকে কিংবা মরণোত্তর অঙ্গদানের ব্যাপার থাকে। বিশেষ করে যদি খুন, ধর্ষণ ইত্যাদির মতো ঘটনার সন্দেহ থাকে, তা হলেও আরও তড়িঘড়ি ময়নাতদন্ত করার কথা নয়। অথচ সেই নিয়ম মানা হয়নি। যদিও এ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের স্পষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে। ২০২১-এর ১৫ নভেম্বর কেন্দ্রের ইস্যু করা সেই নির্দেশিকার (ফাইল নং এইচ-১১০২১/০৭/২০২১-এইচ-১) বিষয়টি নিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরও একটি আদেশনামা (মেমো নং এম/ ২৪৮৫-৪) জারি করেছিল ওই বছর ২৩ ডিসেম্বরে। সেখানে উল্লেখিত শর্ত পুরোপুরি মানা হয়নি বলেই মনে করছে সিবিআই। চারটের পরে ময়নাতদন্ত করার ক্ষেত্রে পুলিশের লিখিত অর্ডার চেয়েছিলেন মেডিক্যাল বোর্ডের আর এক সদস্য, আরজি করেরই ফরেন্সিক মেডিসিন বিশেষজ্ঞ রিনা দাস। তখন টালা থানার সাব-ইনস্পেক্টর লিখিত ভাবে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। সিবিআইয়ের একটি সূত্রের বক্তব্য, “এমন ক্ষেত্রে একজন সাব-ইনস্পেক্টর কখনই ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিতে পারেন না। ন্যূনতম একজন আইপিএস অফিসারের নির্দেশ জরুরি। কিন্তু সে নিয়মও মানা হয়নি।” ফলে বারবার ফিরে আসছে সেই প্রশ্ন – কেন এত তাড়াহুড়ো!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Osamu Suzuki: ৯৪ বছর বয়সে প্রয়াত সুজুকি মোটরের প্রতিষ্ঠাতা ওসামু সুজুকি

    Osamu Suzuki: ৯৪ বছর বয়সে প্রয়াত সুজুকি মোটরের প্রতিষ্ঠাতা ওসামু সুজুকি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত হলেন সুজুকি মোটর কর্পোরেশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ওসামু সুজুকি (Osamu Suzuki)। বয়স হয়েছিল ৯৪। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে ২৫ ডিসেম্বর তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তাঁর মৃত্যুর কারণ লিম্ফোমা। প্রসঙ্গত, সুজুকি কর্পোরেশনকে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ছোট গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থায় রূপান্তরিত করার কৃতিত্ব দেওয়া হয় তাঁকেই।

    কৃষক পরিবারে জন্ম (Osamu Suzuki)

    ১৯৩০ সালের ৩০ জানুয়ারি জাপানের গেরোয় জন্ম ওসামুর। সুজুকি (Osamu Suzuki) একটি কৃষক পরিবারে বেড়ে ওঠেন। তিনি তাঁর ভাইবোনদের মধ্যে চতুর্থ সন্তান ছিলেন। তিনি মিচিও সুজুকির নাতনি শোকো সুজুকিকে বিয়ে করেছিলেন, যার প্রতিষ্ঠাতা ভিজ্যুয়াল রিসাবট্রেডেসসর কোম্পানি। ১৯৫৮ সালে সুজুকি মোটর কর্পোরেশনে যোগ দেন তিনি। তখন তাঁর পদবি ছিল মাৎসুদা। কিন্তু তাঁর স্ত্রীর শোকো সুজুকির পরিবারের সংস্থায় যোগ দেওয়ার পরে সেই পদবি তিনি গ্রহণ করেন। এরপর মাত্র পাঁচ বছরেই দ্রুত উন্নতি করেন। ১৯৬৩ সালে পরিচালক পদে উন্নীত হন তিনি। পরবর্তী দেড় দশকে হয়ে ওঠেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। ততদিনে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে সুজুকি মোটরের নাম। ২০০০ সালে অবসর নেওয়ার আগে দুবার সংস্থার প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন ওসামু সুজুকি। তাঁর আমলেই জেনারেল মোটরস ও ভক্সওয়াগেনের মতো সংস্থার সঙ্গে জোট বেঁধে সাফল্যের নতুন মাত্রা অর্জন করে সুজুকি মোটর।

    আশির দশকে ভারতের সঙ্গে ব্যবসা

    সুজুকির (Osamu Suzuki) নেতৃত্ব শুরু হয় ১৯৭৮ সালে, যখন তিনি সুজুকি মোটর কর্পোরেশনের সভাপতি হন। তাঁর নির্দেশনায় কোম্পানিটি তার কার্যক্রম প্রসারিত করে নতুন বাজারে পৌঁছেছে। বিশেষ করে ভারত, উত্তর আমেরিকা এবং ইউরোপের বাজার দখল করে। ছোট গাড়ি উৎপাদনের দিকে মনোনিবেশ করেছিলেন তিনি। সাশ্রয়ী মূল্যের এবং জ্বালানী সাশ্রয়ী গাড়ি তৈরি করেছিলেন, যা উন্নয়নশীল দেশগুলির চাহিদা পূরণ করেছিল। সুজুকি সম্প্রসারণের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত ১৯৮০ এর দশকের গোড়ার দিকে এসেছিল, যখন ভারত সরকার একটি দেশীয় গাড়ি শিল্প প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করার জন্য একজন অংশীদার খুঁজছিল। ১৯৮২ সালে সুজুকি একটি দীর্ঘ এবং সফল অংশীদারিত্বের সূচনা করেছিল। একটি ভারতীয় অটোমোবাইল প্রস্তুতকারক মারুতি শিল্পের ২৬ শতাংশ অংশীদারিত্ব অর্জন করে। ১৯৮৩ সালে চালু হওয়া Maruti 800, ভারতীয় মোটরগাড়ি বাজারে একটি গেম-চেঞ্জার হয়ে ওঠে। Maruti Suzuki এখন দেশের শীর্ষস্থানীয় গাড়ি নির্মাতাদের মধ্যে একটি।

    বাজারে আধিপত্য বিস্তারের কৌশল

    ওসামুর দর্শন ছিল সহজ: উন্নয়নশীল দেশগুলির লোকেদের যে ক্রয়ক্ষমতা এবং ব্যবহারিকতার প্রয়োজন তার ওপর ফোকাস করা। এই কৌশলটি সুজুকিকে বাজারে আধিপত্য বিস্তার করতে দেয় যা বড় গাড়ি নির্মাতারা প্রায়ই উপেক্ষা করে। ভারতীয় বাজার ছাড়াও, সুজুকির প্রচেষ্টা এশিয়ার অন্যান্য অংশে এবং তার বাইরেও কোম্পানির উপস্থিতি প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করেছিল। ততক্ষণে সুজুকি তার ভূমিকা থেকে অবসর নিয়েছে।

    “কখনও থামবেন না, অন্যথায় আপনি হেরে যাবেন”

    জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে সুজুকি (Osamu Suzuki) টয়োটার সঙ্গে জোট গঠন করে। বিশ্বব্যাপী শিল্পে তার স্থানকে আরও শক্তিশালী করে। ওসামু সুজুকি নেতৃত্বের ক্ষেত্রে তার সিদ্ধান্তমূলক, হাতে-কলমে পদ্ধতির জন্য পরিচিত ছিলেন। তিনি বলতেন,”আমি একটি ছোট-ব্যবসায়িক বস,”  “কখনও থামবেন না, অন্যথায় আপনি হেরে যাবেন।” চ্যালেঞ্জিং সময়ে সুজুকি মোটরকে উন্নতি করতে সাহায্য করেছিল। সুজুকি আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২১ সালে প্রতিদিনের কার্যক্রম থেকে অবসর নিয়েছিলেন। তবুও তিনি কোম্পানির কৌশলগত দিকনির্দেশনার একটি মূল ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তার উত্তরাধিকার সুজুকি মোটর কর্পোরেশনের একটি ছোট জাপানি কোম্পানি থেকে স্বয়ংচালিত শিল্পে, বিশেষ করে ছোট গাড়ির বাজারে বিশ্বব্যাপী নেতা হওয়ার মধ্যে নিহিত  রয়েছে। তাঁর নেতৃত্বে সুজুকি ২০২৪ সালের মার্চে শেষ হওয়া অর্থবছরে বিশ্বব্যাপী ৩.২ মিলিয়নেরও বেশি গাড়ি বিক্রি করেছে। এই বিক্রির অর্ধেকেরও বেশি ভারত থেকে এসেছে, যা কোম্পানির বৃহত্তম বাজার হিসেবে রয়ে গিয়েছে।

    ছোট গাড়ির ক্ষেত্রে বিপ্লব এনেছে সুজুকি

     সুজুকি (Osamu Suzuki) ছোট গাড়ির ক্ষেত্রে বিপ্লব এনেছে। বিশেষ করে যেসব দেশে ছোট গাড়ির চাহিদা বেশি। তার পুরো কর্মজীবনে ওসামু সুজুকির পরিবার কোম্পানির সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত ছিল। তাঁর পুত্র, তোশিহিরো সুজুকি ২০১৫ সালে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন। পরে সিইও হন। তোশিহিরো তাঁর পিতার উত্তরাধিকার অব্যাহত রেখেছেন। নিশ্চিত করেছেন যে সুজুকি মোটর বিশ্ব বাজার লম্বা রেসের ঘোড়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share