Tag: Bengali news

Bengali news

  • Manmohan Singh: মনমোহন সিংয়ের প্রয়াণ, সাতদিনের জাতীয় শোক ঘোষণা কেন্দ্রের

    Manmohan Singh: মনমোহন সিংয়ের প্রয়াণ, সাতদিনের জাতীয় শোক ঘোষণা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং (Manmohan Singh)। তাঁর প্রয়াণে সাত দিনের জাতীয় শোক (National Mourning) ঘোষণা করল কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার রাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের যুগ্মসচিব জি পার্থসারথি দেশের সব মুখ্যসচিব ও অন্যান্য পদস্থ আমলাদের এই মর্মে চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে বলা হয়েছে, মনমোহনকে শ্রদ্ধা জানাতে বৃহস্পতিবার থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে জাতীয় শোক চলবে। প্রসঙ্গত, জাতীয় শোক ঘোষণা হওয়ার অর্থ, এই সময় দেশের সর্বত্র জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। সরকারি স্তরেও কোনও বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান হবে না।

    জাতীয় শোক (Manmohan Singh)

    শুক্রবার সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক বসে। তার পরেই আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় শোক ঘোষণা করা হতে পারে। সূত্রের খবর, আজ, শুক্রবার সমস্ত সরকারি কর্মসূচিও বাতিল করতে চলেছে কেন্দ্র। মনমোহনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাত দিনের জন্য দলীয় সব কর্মসূচি বাতিল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই সাত দিনের জন্য জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে কর্নাটক সরকার। শুক্রবার ছুটি ঘোষণা করেছে কর্নাটক সরকার। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন রাজ্যের সব জেলাশসককে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

    শনিবার শেষকৃত্য

    এদিকে, কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার মনমোহনের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। বৃহস্পতিবার রাতে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কেসি বেণুগোপাল জানান, শনিবার নয়াদিল্লিতে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহনের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মরদেহ শুক্রবার তাঁর মতিলাল নেহরু মার্গের বাসভবনে থাকবে। এই সময় (National Mourning) সাধারণ মানুষও শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন মনমোহনকে (Manmohan Singh)।

    আরও পড়ুন: বাঙালি রাজা বিক্রমজিৎ ঘোষের অমিত বিক্রম গাথা জানেন?

    এক্স হ্যান্ডেলে বেণুগোপাল লিখেছেন, “ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিংজির প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শনস্বরূপ, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সমস্ত সরকারি কর্মসূচি, যার মধ্যে প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপনও অন্তর্ভুক্ত, আগামী সাতদিনের জন্য বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে সমস্ত প্রতিবাদ এবং জনসংযোগ কর্মসূচিও অন্তর্ভুক্ত। দলীয় কর্মসূচিগুলি ৩ জানুয়ারি, ২০২৫ থেকে পুনরায় শুরু হবে। শোকের এই সময়ে দলের পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Raja Bikramjit Ghosh: বাঙালি রাজা বিক্রমজিৎ ঘোষের অমিত বিক্রম গাথা জানেন?

    Raja Bikramjit Ghosh: বাঙালি রাজা বিক্রমজিৎ ঘোষের অমিত বিক্রম গাথা জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির সুলতানকে (Delhi sultanate) প্রতিহত করেছিলেন বাঙালি রাজা বিক্রমজিৎ ঘোষ (Raja Bikramjit Ghosh)। বাংলার মঙ্গলকোটের সদগোপ শাসক বিক্রমজিৎ। তাঁর সাহস ও দৃঢ় সঙ্কল্পের গল্প আজও ফেরে লোকের মুখে মুখে। চতুর্দশ শতাব্দীর এই শাসক পরিচিত ছিলেন বিক্রম কেশরী নামে। দিল্লির সুলতানদের একাধিক আক্রমণ তিনি রুখে দিয়েছিলেন অমিত বিক্রমে। 

    মঙ্গলকোট গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্র (Raja Bikramjit Ghosh)

    সেন ও দেব বংশের পতনের পর, উত্তর দিক থেকে বারবার আক্রমণের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলা। শেষ সেন রাজা মধু সেন এবং দেব রাজা দনুজ রায়ের মৃত্যুর ফলে এই অঞ্চলে নেতৃত্বের শূন্যতা সৃষ্টি হয়। সেই সময়ই একজন শক্তিশালী নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন রাজা বিক্রমজিৎ ঘোষ। মঙ্গলকোট ছিল বাংলার গোপভূম অঞ্চলে অবস্থিত। রাজা বিক্রমজিতের শাসন কালে এটি একটি সমৃদ্ধশালী এবং কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর ছিল। ঐতিহাসিকভাবে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্র ছিল। এখান থেকেই লঙ্কা (বর্তমানে শ্রীলঙ্কা), বার্মা (অধুনা মায়ানমার), থাইল্যান্ড-সহ দূরবর্তী অঞ্চলের সঙ্গে বাণিজ্যিক লেনদেন পরিচালনা হত।

    কুলদেবী ছিলেন মা অভয়া চণ্ডী

    ঐতিহাসিকভাবে বাংলায় উল্লেখযোগ্য প্রভাব ছিল সদগোপদের। মেদিনীপুর রাজ, নারায়ণগড় রাজ, বলরামপুর রাজ, নাড়াজোল রাজ এস্টেটের মতো বিশিষ্ট এস্টেট ও সমগ্র অঞ্চলের অন্যান্য জমিদারি নিয়ন্ত্রণ করতেন এই সদগোপরা। মঙ্গলকোটের সদগোপ শাসক পরিবার গৌড়িয় বৈষ্ণব ঐতিহ্যের গভীরে প্রোথিত ছিল। এঁদের কুলদেবী ছিলেন মা অভয়া চণ্ডী। ত্রয়োদশ (Raja Bikramjit Ghosh) শতাব্দীর শেষ ভাগ ও চতুর্দশ শতাব্দীর শুরুর দিকে বাংলায় প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করেছিল দিল্লির সুলতানরা। বাংলায় তারা বারংবার হানা দিয়েছিল। এই সময়ই রুখে দাঁড়ান মঙ্গলকোটের রাজা বিক্রমজিৎ ঘোষ। সদগোপ সম্প্রদায়ের এই রাজার বাধায় পিছু হটে দিল্লির  মুসলমান শাসকরা। মঙ্গলকোটের ওপর প্রথম বড় ধরনের আক্রমণ হয় ১৩০৩ সালে। নেতৃত্ব দেন উজবেক গাজি। এই বাহিনী মঙ্গলকোটের পশ্চিমাঞ্চলের জঙ্গলে শিবির গড়ে আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছিল।মা অভয়া চণ্ডীর একনিষ্ঠ ভক্ত রাজা বিক্রমজিৎ তাঁর সদগোপ যোদ্ধাদের সংগঠিত করে পাল্টা আক্রমণ করেন। প্রবল যুদ্ধে পরাস্ত হয় হানাদারেরা। বহু সৈন্যের মৃত্যু হয়। রাজা বিক্রমজিতের আদেশে তাদের মৃতদেহ ভাসিয়ে দেওয়া হয় অজয়ের জলে।

    আরও পড়ুন: ক্রিসমাসে পালিত হয় বীর বাল দিবস, কী কারণে জানেন?

    বিক্রমজিতের বিক্রম

    ১৩০৩ থেকে ১৩২৭ সালের মধ্যে দিল্লির সুলতানরা অন্তত ১৭ বার মঙ্গলকোট আক্রমণ করেছিল। এই ১৭ বারই বুক চিতিয়ে লড়াই করে শত্রুদের মুখের মতো জবাব দিয়ে মঙ্গলকোট রক্ষা করেছিলেন বিক্রমজিৎ। আক্রমণকারীদের মধ্যে বিশিষ্ট সাত হানাদার হল মহম্মদ, হাজি ফিরোজ, গুলাম পাঠান, মহম্মদ ইসমাইল গাজি, আব্দুন্নাহ গুজরাটি, মকচুম বিলায়ে এবং গজনাভি। বিক্রমজিতের নেতৃত্বে এই যুদ্ধগুলি কেবল সদগোপ যোদ্ধাদের সামরিক দক্ষতাই প্রদর্শন করেনি, রাজা বিক্রমজিতের কৌশলগত প্রজ্ঞাও প্রতিপন্ন করেছে। অমিত বীরত্বের কারণে তাঁকে “বিক্রম কেশরী” উপাধিতে ভূষিত করা হয় (Raja Bikramjit Ghosh)। দিল্লির সুলতানদের বিশাল সম্পদ এবং নিরলস প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, রাজা বিক্রমজিতের শাসনকালে তারা মঙ্গলকোটকে বশীভূত করতে ব্যর্থ হয়।

    সনাতন ধর্ম রক্ষায় ছিলেন একনিষ্ঠ

    রাজা বিক্রমজিৎ কেবল একজন যোদ্ধাই ছিলেন না, তিনি ছিলেন সংস্কৃতি ও সনাতন ধর্মের একজন পৃষ্ঠপোষকও। তাঁর দরবারে উদযাপিত হত গৌড়ীয় বৈষ্ণব ঐতিহ্য। গীতগোবিন্দ ছিল ভক্তির কেন্দ্রীয় গ্রন্থ। তিনি বাংলার সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় ঐতিহ্য বজায় রাখতে জানও বাজি রেখেছিলেন। মুসলমান শাসকদের আধিপত্যের মধ্যেও মাথা উঁচু করে সনাতন ধর্ম রক্ষায় অটল ছিলেন বিক্রমজিৎ। রাজা বিক্রমজিতের (Raja Bikramjit Ghosh) মৃত্যুর পর নতুন করে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয় মঙ্গলকোট। অস্থায়ীভাবে এই অঞ্চল দখল করে অটোমান হানাদারেরা। তারা এখানে নিহত জেনারেলদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে সমাধি নির্মাণ করে। যা তাদের বিজয়গাথা ঘোষণা করে। তাদের জয় ছাপিয়ে গিয়েছিল বিক্রমজিতের জয়। কারণ যতদিন তিনি বেঁচেছিলেন, ততদিন মঙ্গলকোটে দাঁত ফোটাতে পারেননি দিল্লির সুলতানরা। মুসলমাদের (Delhi sultanate) ওই সমাধি কি বিক্রমজিতের বিজয়গাথাও ঘোষণা করে না (Raja Bikramjit Ghosh)?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Daily Horoscope 27 december 2024: জমি বা সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করার জন্য শুভ দিন এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 27 december 2024: জমি বা সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করার জন্য শুভ দিন এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) আপনার রূঢ় আচরণে বাড়িতে বিবাদ বাধতে পারে।

    ২) ব্যবসায় বিশেষ লাভের শুভ যোগ দেখা যাচ্ছে।

    ৩) পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে।

    বৃষ

    ১) আপনার কর্মদক্ষতার কারণে জীবিকার স্থানে শত্রু বাড়তে পারে।

    ২) বাড়িতে বদনাম থেকে সবাই খুব সতর্ক থাকুন।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    মিথুন

    ১) জমি বা সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করার শুভ দিন।

    ২) শেয়ারে বাড়তি লগ্নি চিন্তাবৃদ্ধি ঘটাতে পারে।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    কর্কট

    ১) সঞ্চয়ের ব্যাপারে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত।

    ২) ভিটামিনের অভাবে শরীরে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি হতে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    সিংহ

    ১) সন্তানের ব্যবহারে আমূল পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেন।

    ২) শরীরে কোথাও আঘাত লাগার আশঙ্কা রয়েছে। 

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কন্যা

    ১) ব্যবসা বা অন্য কোনও কাজে বাড়তি বিনিয়োগ না করাই শ্রেয়।

    ২) মাথাগরম করার ফলে হাতে আসা কাজ ভেস্তে যাবে।

    ৩) দুশ্চিন্তা বাড়বে।

    তুলা

    ১) ব্যবসা গতানুগতিক ভাবেই চলবে।

    ২) ভাই-বোনের কাছ থেকে ভাল সাহায্য পেতে পারেন।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    বৃশ্চিক

    ১) উচ্চশিক্ষার্থীদের সামনে ভাল যোগ রয়েছে।

    ২) পারিবারিক ভ্রমণে আনন্দ লাভ।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    ধনু

    ১) অতিরিক্ত দৌড়ঝাঁপ করার ফলে শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিতে পারে।

    ২) কোনও অসৎ লোকের জন্য আপনার বদনাম হতে পারে।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    মকর

    ১) কারও কুপ্রভাবে সংসারে অশান্তি হতে পারে।

    ২) সামাজিক সুনাম বৃদ্ধি বা প্রতিপত্তি বিস্তারের যোগ।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করুন।

    কুম্ভ

    ১) অবাক করে দেওয়া কোনও সুখবর পেতে পারেন।

    ২) কাউকে টাকা ধার দিলে বিপদ ঘটতে পারে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    মীন

    ১) ব্যয় বাড়তে পারে।

    ২) সম্পত্তি নিয়ে সমস্যা মিটে যাওয়ায় আনন্দ লাভ।

    ৩) ভেবেচিন্তে কথা বলুন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: ক্রিসমাস ইভে পুড়ল ঘর, গৃহহীন অন্তত ১৭ খ্রিস্টান পরিবার, কাঠগড়ায় মুসলিমরা

    Bangladesh Crisis: ক্রিসমাস ইভে পুড়ল ঘর, গৃহহীন অন্তত ১৭ খ্রিস্টান পরিবার, কাঠগড়ায় মুসলিমরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁরা গিয়েছিলেন ক্রিসমাসের প্রার্থনায় যোগ দিতে। সেই সময় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের অন্তত ১৭টি বাড়িতে (Christian Homes) আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) চট্টগ্রাম পাহাড়ি অঞ্চলের বান্দরবান এলাকার ঘটনায় কাঠগড়ায় স্থানীয় মুসলমানরা। অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন ওই খ্রিস্টান পরিবারগুলি।

    ইউনূসের দক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন

    গৃহহীনদের দাবি, অগ্নিকান্ডের জেরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১৫ লাখ বাংলাদেশি টাকারও বেশি। বড়দিনের সকালে দেশের খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বিশিষ্ট কয়েকজনের সঙ্গে দেখা করেন অন্তবর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। সেই সময় তিনি দিয়েছিলেন শান্তির বার্তা। তার ঠিক আগের দিন রাতের ঘটনায় ইউনূসের দক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের একাংশ। জানা গিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। তারা বান্দরবানের লামা সারাই অঞ্চলের একটি এলাকায়, যা এসপি গার্ডেন নামে পরিচিত, বসবাস করছিল। আগে এই জমিটি টংঝিরি পাড়া নামে পরিচিত ছিল, যা হাসিনা সরকারের একজন উচ্চপদস্থ কর্তা বেনজির আহমেদ দখল করেছিলেন। আহমেদের পরিবার এই জমির নাম পরিবর্তন করে রাখে এসপি গার্ডেন।

    ক্রিসমাস ইভে বাড়িতে আগুন

    ৫ আগস্টের পর বেনজির আহমেদ এবং তার পরিবার ওই এলাকা ছেড়ে চলে গেলে, ত্রিপুরা পরিবারগুলো বসতিতে ফিরে আসে। অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি ঘটেছে ক্রিসমাস ইভে, যখন ওই পরিবারগুলির সদস্যরা চার্চে গিয়েছিলেন প্রার্থনা করতে। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সদস্যদের দাবি জমিটি তাদের ন্যায্য অধিকারভুক্ত। তাদের অভিযোগ, এই জমিতে তাঁদের বসতি ছিল, যা আহমেদের লোকজন দখল করেছিল। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে রয়েছেন গঙ্গামণি ত্রিপুরা (Bangladesh Crisis)।

    আরও পড়ুন: বাজয়েপীর জন্মবার্ষিকীতে গুচ্ছ প্রকল্পের শিলান্যাস-উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

    তিনি জানান, ১৭ নভেম্বর থেকে লাগাতার হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাঁদের। তিনি বলেন, “কয়েকজন লোক আমাদের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেছিল। আমরা বারবার এলাকা ছেড়ে যাওয়ার হুমকি পেয়েছি, কিন্তু যাওয়ার কোনও জায়গা নেই। আমাদের বাড়িঘর পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে, আমরা খোলা আকাশের নীচে বসবাস করতে বাধ্য হয়েছি। আমাদের যা কিছু ছিল, সব হারিয়েছি।” লামা থানায় স্টিফেন ত্রিপুরা-সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেও, কোনো পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা চরমে উঠেছে। হিন্দুদের পাশাপাশি অত্যাচার চালানো হচ্ছে খ্রিস্টান এবং বৌদ্ধদের ওপরও (Christian Homes)। তার পরেও ইউনূস প্রশাসন নির্বিকার বলে অভিযোগ (Bangladesh Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Secretariat Fire: মধ্যরাতে আগুন বাংলাদেশ সচিবালয়ে, পুড়ে ছাই বহু নথি, দুর্ঘটনা না অন্তর্ঘাত?

    Bangladesh Secretariat Fire: মধ্যরাতে আগুন বাংলাদেশ সচিবালয়ে, পুড়ে ছাই বহু নথি, দুর্ঘটনা না অন্তর্ঘাত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার যে আগুন (Bangladesh Secretariat Fire) লেগেছিল, তা কোনও ষড়যন্ত্রের অংশ না কি অন্তর্ঘাত, তা খুব তাড়াতাড়িই জানা যাবে। এমনই জানাল সে দেশের মহম্মদ ইউনূসের (Md Yunus) নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার।

    ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড (Bangladesh Secretariat Fire)

    বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ছ’ঘণ্টারও বেশি সময় লেগেছে। জানা গিয়েছে, আগুনের বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসকে রাত ১টা ৫২ মিনিটে জানানো হয়। ১টা ৫৪ মিনিটেই শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে সকাল ৮টা ৫ মিনিট নাগাদ। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মহম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১টা ৫০ মিনিটে পঞ্চম তলায় প্রথমে আগুন দেখা যায়।

    আগুন ছড়িয়ে পড়ে দ্রুত

    পরে ধীরে ধীরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে ওপরতলায়। সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার পরপরই দমকলের প্রায় আটটি ইঞ্জিন দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসে। পরে আরও ১১টি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নেভায়। আগুন নেভানোর কাজে ব্যস্ত ছিলেন সোহানুজ্জামান নয়ন নামে এক দমকলকর্মী। রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হয় তাঁর। যে বিল্ডিংটিতে আগুন লাগে, সেখানেই রয়েছে অর্থমন্ত্রক, সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রকের অফিস, যুব ও ক্রীড়া, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি, স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায়, শ্রম ও কর্মসংস্থানের অফিস। দমকল সূত্রে খবর, সচিবালয়ের ওই ভবনে আগুন লাগায় সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আট ও নয় তলা। সেখানে থাকা বিভিন্ন নথিপত্র পুড়ে গিয়েছে বলে অনুমান।

    আরও পড়ুন: ক্রিসমাসে পালিত হয় বীর বাল দিবস, কী কারণে জানেন?

    স্থানীয় সরকার (Bangladesh Secretariat Fire), পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রকের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ভুঁইয়ার অভিযোগ, ঘটনাটি নাশকতার। ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তিনি লিখেছেন, “আমাদের ব্যর্থ করার এই ষড়যন্ত্রে যে বা যারাই জড়িত থাকবে, তাদের বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।” তিনি আরও লিখেছেন, “স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের বিগত সময়ে হওয়া অর্থ লোপাট, দুর্নীতি নিয়ে আমরা কাজ করছিলাম। কয়েক হাজার কোটি টাকা লুটপাটের প্রমা্ণও পাওয়া গিয়েছিল। আগুনে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে (Md Yunus), তা এখনও জানা যায়নি (Bangladesh Secretariat Fire)।”

     

      দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Conjunctivitis: শীতে বাড়ছে ভোগান্তি! কনজাংটিভাইটিসের আক্রমণ থেকে কীভাবে সুস্থ থাকবেন? 

    Conjunctivitis: শীতে বাড়ছে ভোগান্তি! কনজাংটিভাইটিসের আক্রমণ থেকে কীভাবে সুস্থ থাকবেন? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    উৎসবের মরশুমে সেজেছে শহর থেকে জেলা! বছর শেষের উদযাপনে মেতেছেন আট থেকে আশি, সব বয়সের মানুষ! কিন্তু তার মধ্যেই ভোগান্তি বাড়াচ্ছে নানান রোগ। সর্দি-কাশি কিংবা নানান ভাইরাস ঘটিত জ্বরের পাশপাশি ভোগান্তি বাড়াচ্ছে কনজাংটিভাইটিসের (Conjunctivitis) মতো সমস্যা। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শেষ এক সপ্তাহে কনজাংটিভাইটিসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। ফলে ভোগান্তি বাড়ছে।

    কনজাংটিভাইটিস কী? শীতে কেন এই রোগ বাড়ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কনজাংটিভাইটিস হল এক ধরনের চোখের সংক্রমণ (Eye infections)। এর ফলে চোখ ফুলে যায়। লাল হয়ে যায়। আবার চোখ থেকে লাগাতার জল পড়ে। অনেক সময় দেখতেও কষ্ট‌ হয়। চক্ষু রোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতে এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে। তার অন্যতম কারণ, এই আবহাওয়ায় বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে, চোখের সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়ে। তাছাড়া এই আবহাওয়ায় বাতাসে একাধিক ভাইরাস সক্রিয় হয়। তার ফলেও সংক্রমণের ঝুঁকি এই সময়ে অনেকটাই বেড়ে যায়। এখন জেনে নিন, কীভাবে এই সমস্যার মোকাবিলা করবেন?

    নিয়মিত রোদচশমার ব্যবহার জরুরি (Conjunctivitis)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রোদচশমার ব্যবহার জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, বাইরে গেলেই রোদচশমা বা সানগ্লাস ব্যবহার করতে হবে। এমন সানগ্লাস পরতে হবে, যাতে চোখ ভালোভাবে ঢেকে থাকে। ধূলো না লাগে। হাওয়া লাগার ঝুঁকিও কম হয়। তবেই চোখের সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে।

    বাইরে থেকে ফিরেই চোখ ধুয়ে ফেলুন

    চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, চোখ নিয়মিত পরিশ্রুত জলে পরিষ্কার করা দরকার। নিয়মিত চোখ পরিষ্কার করলে যে কোনও জীবাণু সংক্রমণের (Conjunctivitis) ঝুঁকি কমে। বিশেষ করে বাইরে থেকে বাড়িতে ফেরার পরে চোখ পরিষ্কার করা জরুরি।

    চোখে হাত একদম নয় (Conjunctivitis)

    চোখে হাত দিয়ে চুলকানো একদম অস্বাস্থ্যকর বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই হাত থেকে নানান সংক্রমণ ছড়ায়। তাই হাত দিয়ে চোখ চুলকানো একেবারেই উচিত নয়। চোখে অস্বস্তি হলে বারবার জল দিয়ে পরিষ্কার করা দরকার। এছাড়া পরিষ্কার তুলো এবং গরম জল দিয়ে চোখ পরিষ্কার করা দরকার। এতে সংক্রমণ হলেও প্রকোপ বেশি হবে না।

    ভিড় এড়িয়ে চলুন

    চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, ভিড় এড়িয়ে চলুন। তাঁরা জানাচ্ছেন, যে কোনও সংক্রামক রোগ (Conjunctivitis) ভিড়ে বেশি ছড়ায়। কনজাংটিভাইটিস একটি সংক্রামক রোগ। এই জীবাণু ভিড়ে আরও নিজের ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। সংক্রমণ বাড়ায়‌। তাই চোখ লাল হয়ে গেলে, বারবার অস্বস্তি হলে কিংবা চোখ থেকে লাগাতার জল পড়ার মতো উপসর্গ দেখা দিলে ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এতে নিজের ভোগান্তি কমবে। আবার অন্যের সংক্রমণের (Eye infections) ঝুঁকিও কমবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: বাজপেয়ীর জন্মবার্ষিকীতে গুচ্ছ প্রকল্পের শিলান্যাস-উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: বাজপেয়ীর জন্মবার্ষিকীতে গুচ্ছ প্রকল্পের শিলান্যাস-উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী ভারত ও সারা বিশ্বের খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানান। মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদবের নেতৃত্বে গঠিত সরকার এক বছর পূর্ণ করেছে। সেই উপলক্ষে মধ্যপ্রদেশের (Ken Betwa River) জনগণকে অভিনন্দন জানান তিনি।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী? (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত এক বছরে উন্নয়নমূলক কাজের গতি বেড়েছে এবং কয়েক হাজার কোটি টাকার নতুন পরিকাঠামো প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। তিনি বলেন, “আজ ঐতিহাসিক কেন-বেতোয়া নদী সংযোগ প্রকল্প, দাউধান বাঁধ এবং ওঙ্কারেশ্বর ভাসমান সৌর প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী এই দিনটিকে অত্যন্ত অনুপ্রেরণামূলক বলে অভিহিত করেন। কারণ এটি ভারতরত্ন অটল বিহারী বাজপেয়ীর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের একটি উৎসব। বাজপেয়ীর স্মরণে স্মারক এদিন ডাকটিকিট ও মুদ্রা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

    অটল গ্রাম সুশাসন সদনের কাজ শুরু

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জাতির উন্নয়নে অটলজির অবদান আমাদের স্মৃতিতে চিরকাল অমলিন থাকবে। আজ থেকে ১,১০০টিরও বেশি অটল গ্রাম সুশাসন সদনের কাজ শুরু হবে এবং প্রথম কিস্তি ইতিমধ্যেই এ কাজের জন্য ছাড়া হয়েছে।” তিনি বলেন, “অটল গ্রাম সুশাসন সদন গ্রামীণ এলাকার উন্নয়নে চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করবে।” প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “সুশাসন দিবস এক দিনের ঘটনা নয়। সুশাসন আমাদের সরকারের পরিচয়।” কেন্দ্রে তৃতীয়বারের মতো টানা ক্ষমতায় থাকার সুযোগ দেওয়ার জন্য এবং মধ্যপ্রদেশেও ধারাবাহিকভাবে সুযোগ দেওয়ার জন্য জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই সাফল্যের মূল চাবিকাঠি সুশাসন।”

    আরও পড়ুন: ১৪০০ বছর আগেও কুম্ভমেলায় এসেছিলেন চিনা পর্যটক!

    তিনি বুদ্ধিজীবী, রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং শিক্ষাবিদদের আহ্বান জানান এই বলে যে, স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর দেশের মূল্যায়ন করুন। নিক্তি করুন উন্নয়ন, জনকল্যাণ ও সুশাসনের মতো বিষয়গুলিকে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যদি আমাদের নির্দিষ্ট মানদণ্ডে মূল্যায়ন করা হয়, দেশ দেখতে পাবে আমরা সাধারণ মানুষের প্রতি কতটা নিবেদিত।” তিনি (PM Modi) বলেন, “আগের বিভিন্ন সরকার বিভিন্ন ঘোষণা করলেও সেগুলোর কার্যকর বাস্তবায়নের অভাব ও আন্তরিকতার ঘাটতির কারণে মানুষের কাছে তার সুবিধা (Ken Betwa River) পৌঁছায়নি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Veer Bal Diwas: ক্রিসমাসে পালিত হয় বীর বাল দিবস, কী কারণে জানেন?

    Veer Bal Diwas: ক্রিসমাসে পালিত হয় বীর বাল দিবস, কী কারণে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন পালন করেন খ্রিস্টানরা। এই সময় বীর শহিদদের স্মরণ করেন পঞ্জাবিয়াত ও শিখ পন্থ অনুসরণকারীরা (Veer Bal Diwas)। ১৭০৪ সালের ২১ থেকে ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে শহিদ হন চার সাহিবজাদে অজিত সিংজি, জুজহার সিংজি, জোরাওয়ার সিংজি এবং ফতেহ সিংজি। এই চারজন হলেন দশম শিখ গুরু গুরু গোবিন্দ সিংহের চার ছেলে (The Unforgettable Sacrifice)। স্নেহভরে তাঁদের সাহিবজাদে বলে ডাকা হয়।

    অসীম বীরত্ব গাথা (Veer Bal Diwas)

    এই সপ্তাহটা শিখেরা সাহিবজাদের অসীম বীরত্বের কথা স্মরণ করেন। সাহিবজাদে বলতে বোঝায় ভদ্র ও উজ্জ্বল বংশোদ্ভূত তরুণদের। ১৭০৪ সালের ২০ ডিসেম্বরের শীতের রাতে, গুরু গোবিন্দ সিংজি, তাঁর স্ত্রী মাতাজিতোজি, তাঁদের চার পুত্র, পঞ্চ পিয়ারে এবং পন্থ অনুসরণকারী বেশ কয়েকজন যোদ্ধা আনন্দপুর সাহিব দুর্গ ত্যাগ করেন। মুঘল ও পাহাড়ি রাজা তাদের নিজ নিজ ধর্মে পবিত্র কোরআন এবং গরুকে সাক্ষী রেখে শপথ করেছিল যে তারা দুর্গ আক্রমণ করবে না। তবে ২০-২১ ডিসেম্বরের রাতে, মুঘলরা তাদের প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করে। আনন্দপুর সাহিব থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে সরসা নদীর তীরের একটি জায়গায় মুঘলরা গুরু গোবিন্দ সিংজি ও তাঁর দলের ওপর আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণের জায়গাটি “পরিবার বিচোরা” নামে পরিচিত। এর স্মরণে নির্মিত গুরুদ্বারকে “গুরুদ্বার পরিবার বিচোরা সাহিব” বলা হয়। এই আক্রমণের ফলে গুরুর পরিবার বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। গুরু গোবিন্দি সিংজির ভাই মণি সিং দিল্লির দিকে যাত্রা করেন।

    শহিদ দুই সাহিবজাদে

    ডিসেম্বর ২১ তারিখ বিকেলে, গুরু গোবিন্দ সিংজি দুই জ্যেষ্ঠ সাহিবজাদে, পাঁচজন পাঞ্জ পিয়ারা এবং চল্লিশজন যোদ্ধাকে নিয়ে শিখ পন্থ অনুসরণ করে চমকৌর যাত্রা করেন। ডিসেম্বর ২২ তারিখে, খালসা ও জ্যেষ্ঠ সাহিবজাদারা, যারা বড় সাহিবজাদে নামে পরিচিত – মাত্র ১৮ এবং ১৪ বছর বয়সে বিশাল মুঘল সেনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে শহিদ হন। এই যুদ্ধ ইতিহাসে চমকৌরের যুদ্ধ বা চমকৌর সাহিবের যুদ্ধ নামে পরিচিত (The Unforgettable Sacrifice)। পন্থ অনুসরণকারী ৪০ জন যোদ্ধা এবং তিনজন পাঞ্জ পিয়ারা দশ হাজার মুঘল সৈন্যের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে জীবন দেন (Veer Bal Diwas)। গুরু গোবিন্দ সিংয়ের মতো আর এক সদস্য সংঘত সিং, গুরুর মতো পোশাক পরেন ও সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। আলোচনার চেষ্টা ব্যর্থ হলে, যোদ্ধারা বিপুল মুঘল সৈন্যদের সঙ্গে যুদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন, যা গুরুকে সরে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়। পরদিন সকালে শেষ যোদ্ধারা মুঘল সৈন্যদের হাতে নিহত হন। সংঘর্ষ চলাকালীন গুরু গোবিন্দ সিংয়ের দুই কনিষ্ঠ পুত্র বাবা জোরাওয়ার সিং ও ফতেহ সিং এবং তাঁদের ঠাকুরমা, মাতাজি গুজরি, অন্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন।

    আরও পড়ুন: ভারতে আসতে মুখিয়ে ওলি, ‘পাত্তা’ই দিচ্ছে না দিল্লি, কেন জানেন?

    ইসলাম ধর্ম গ্রহণ না করার পরিণাম

    বাবা জোরাওয়ার সিং, বাবা ফতেহ সিং এবং তাদের ঠাকুমা ১৭০৪ সালের ২১ ডিসেম্বর সকালে মরিন্দার কর্মচারী জনি খান এবং মণি খান রঙ্গরের দ্বারা আটক হন। পরের দিন তাদের সিরহিন্দে পাঠানো হয়, যেখানে তাদের দুর্গের ঠান্ডা টাওয়ারে রাখা হয়। এই স্থানের স্মৃতিতে বিখ্যাত গুরুদ্বার ফতেহগড় সাহিব গড়ে উঠেছে। ১৭০৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর, চমকৌর থেকে ফিরে আসা ফৌজদার নবাব ওয়াজির খান ও তার সামন্ত মিত্র মালেরকোটলার নবাব শের মুহাম্মদ খান, বাবা জোরাওয়ার সিংজি এবং বাবা ফতেহ সিংজিকে তাদের সামনে হাজির করেন। ওয়াজির খান তাঁদের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে রাজি (Veer Bal Diwas) করানোর জন্য সম্পদ ও সম্মানের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু সাহিবজাদারা এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।

    প্রাণনাশের হুমকিতেও অটল

    তিনি তাঁদের প্রাণনাশের হুমকি দেন। তবুও তাঁরা তাদের অবস্থান থেকে সরে আসেননি। শেষমেশ এই দুজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। শের মুহাম্মদ নিরপরাধ শিশুদের জীবন রক্ষা করার জন্য অনুরোধ করার পর, সাহিবজাদাদের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার প্রস্তাব পুনর্বিবেচনার জন্য অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়। তীব্র শীতের (The Unforgettable Sacrifice) মধ্যে, সাহিবজাদা জোরাওয়ার সিং এবং তার ভাই তাদের বৃদ্ধ ঠাকুমার কোলে ঠান্ডা টাওয়ারে অতিরিক্ত দুদিন কাটান। তা সত্ত্বেও দুই সাহিবজাদা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন। খালসা পন্থের প্রতি অটল ও বিশ্বস্ত থেকে যান। এরপর ওয়াজির খান তাঁদের চারপাশে ইটের প্রাচীর নির্মাণের নির্দেশ দেন। জীবন্ত সমাধিস্থ হয়ে শহিদ হন দুই সাহিবজাদা।

    মারা যান মাতাজি গুজর কৌরও

    পরে যখন মাতাজি গুজর কৌর জানতে পারেন যে তাঁর ছোট দুই নাতি শহিদ হয়েছেন, শোক সহ্য করতে না পেরে সেদিনই তিনি মারা যান। ১৭০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর, সিরহিন্দের মাটিতে এই ভয়াবহ অপরাধ সংঘটিত হয়। “ছোটে সাহিবজাদে”, যাদের বয়স ছিল মাত্র ৬ এবং ৯ বছর, সিরহিন্দে মুঘলদের দ্বারা নিহত হন। ফতেহগড় সাহিব, পঞ্জাব, ভারতের এই স্থানের নাম দেওয়া হয়েছে জ্যোতি স্বরূপ গুরুদ্বার সাহিব। প্রতি বছর ২১ থেকে ২৭ ডিসেম্বর, ফতেহগড় সাহিব গুরুদ্বারে এই শহিদদের স্মরণে শাহিদি জোড় মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এই দিনটি তরুণ সাহিবজাদাদের (Veer Bal Diwas) সাহস, বীরত্ব এবং আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। তার পর থেকে এই দিনটি পালিত হয় বীর বাল দিবস হিসেবে। সপ্তাহব্যাপী স্মরণ করা হয় এই তরুণ বীরদের (The Unforgettable Sacrifice)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Nepals PM Oli: ভারতে আসতে মুখিয়ে ওলি, ‘পাত্তা’ই দিচ্ছে না দিল্লি, কেন জানেন?

    Nepals PM Oli: ভারতে আসতে মুখিয়ে ওলি, ‘পাত্তা’ই দিচ্ছে না দিল্লি, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই ভারতে আসার জন্য মুখিয়ে ছিলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি (Nepals PM Oli)। প্রথাগতভাবে নেপালের প্রধানমন্ত্রীরা প্রথম ভারত সফর করেন (India)। আগস্ট-সেপ্টেম্বরে ভারত সফরের বিষয়ে ওলি আগ্রহী ছিলেন। তাঁর অফিস ও নেপালের বিদেশ মন্ত্রক নয়াদিল্লির কাছে আমন্ত্রণ চেয়ে যোগাযোগও করেছিল। তবে নিউ দিল্লি ওলিকে গ্রহণে তেমন আগ্রহ দেখায়নি।

    ওলিকে এড়াচ্ছে ভারত! (Nepals PM Oli) 

    বেশ কয়েকবার অনুরোধের কোনও উত্তর না পাওয়ায়, ওলি বেজিংয়ের আমন্ত্রণ গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেন এবং এই মাসের শুরুর দিকে চিন সফর করেন। আশ্চর্যজনকভাবে, ওলির প্রথম সরকারি বিদেশ সফর চিনে নয়, বরং নিউ ইয়র্কে ৭৯তম রাষ্ট্রসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ছিল। ওলির চিন সফরের জেরে নেপালে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়। ওলির ভারত সফরের আমন্ত্রণ পেতে আর একটি চেষ্টা করেছিল নেপাল। ওলি যাতে ভারতের আমন্ত্রণ পান, তাই নেপালের বিদেশমন্ত্রী আর্জু রানা দেবুবার গত সপ্তাহে নয়াদিল্লিতে চিকিৎসা করাতে আসেন। সেই সময় তিনি বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে সময় চান (Nepals PM Oli)। জয়শঙ্করের ব্যস্ততার কারণে সেই সাক্ষাৎও হয়নি। তিনি অন্য কোনও প্রবীণ মন্ত্রী বা বিদেশমন্ত্রকের কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেননি।

    প্রশ্ন

    প্রশ্ন হল, কেন ওলিকে স্বাগত জানাচ্ছে না ভারত? জানা গিয়েছে, ওলি কয়েকটি শর্ত আরোপ করেছিলেন, যা পূরণ করা অসম্ভব বলে মনে করেছিল ভারত। ওলির অফিস জানিয়েছিল, তাঁর সফরের সময় ভারতকে লিম্পিয়াধুরা-কালাপানি-লিপুলেখ ত্রিজংশের বিষয়ে ‘বিবাদ’ সমাধানের প্রক্রিয়া ঘোষণা করতে হবে। নয়াদিল্লির মনে হয়েছিল, ওলি এই বিতর্কটি উত্থাপন করেছিলেন তার নিজের দলের মধ্যেই বাড়তে থাকা অভ্যন্তরীণ বিরোধের মোকাবিলা করতে। তারপর থেকে, ভারতীয় রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে ওলির প্রতি গভীর বিরক্তি এবং সন্দেহ জন্মেছে। ভারতের ধারণা, ওলি বারবার ভারতকে চিনের বিপরীতে দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছেন। ওলি বেজিংয়ের প্রতি অনুগত। তিনি সব সময় চিনের পক্ষে কাজ করবেন। সেই কারণেই ওলির ডাকে (Nepals PM Oli) ভারত সাড়া দেয়নি বলে ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের (India)।

    আরও পড়ুন: ঝুড়ি ঝুড়ি মিথ্যের প্রতিশ্রুতি কেজরি সরকারের, দেখে নিন এক নজরে

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • AAPs Rule: ঝুড়ি ঝুড়ি মিথ্যের প্রতিশ্রুতি কেজরি সরকারের, দেখে নিন এক নজরে

    AAPs Rule: ঝুড়ি ঝুড়ি মিথ্যের প্রতিশ্রুতি কেজরি সরকারের, দেখে নিন এক নজরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড়দিনের সকালে দিল্লির মহিলা ও শিশু উন্নয়ন দফতর থেকে দিল্লিবাসীর (Delhi) উদ্দেশে জারি করা হয় বিজ্ঞপ্তি। এই বিজ্ঞপ্তিতে বর্তমানে ঘটে যাওয়া প্রতারণা সম্পর্কে সতর্ক করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে মহিলা সম্মান যোজনা ও সঞ্জীবনী প্রকল্পের উল্লেখ করা হয়েছে (AAPs Rule)। এই প্রকল্পই ঘোষণা করেছিলেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মহিলা সম্মান যোজনা প্রকল্পে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে প্রতিটি মহিলাকে মাসে ২,১০০ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। আর সঞ্জীবনী প্রকল্পে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য স্বাস্থ্যসেবার সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।

    কী বলছে সরকারি বিবৃতি

    বিজ্ঞপ্তিতে ডাব্লুসিডি দফতর স্পষ্টভাবে জানায়, “এমন কোনও প্রকল্প ঘোষণা করা হয়নি। নাগরিকদের অনুরোধ করা হচ্ছে, এই ধরনের মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতে বিভ্রান্ত হবেন না।” এই প্রকল্পগুলির মতোই, আপ সরকারের অন্যান্য অনেক বড় প্রতিশ্রুতিও মিথ্যা বলে সমালোচিত হয়েছে। উল্লেখযোগ্য যে, গত দশ বছর ধরে অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও তার আম আদমি পার্টি নিজেদের দিল্লিতে পরিবর্তন ও স্বচ্ছতার পথিকৃত হিসেবে উপস্থাপন করে এসেছে। তবে, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও জনসেবার ক্ষেত্রে রাজধানীকে এক স্বপ্নপুরীতে রূপান্তরের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও, বাস্তবতা সেই প্রচারের কাছাকাছি নয়। কেজরিওয়ালের শাসনকাল একাধিক প্রতিশ্রুতি, ব্যর্থ প্রকল্প এবং শহরবাসীর মধ্যে ক্রমবর্ধমান অসন্তোষের কারণে চিহ্নিত হয়েছে। এখানে আপ সরকারের বিভিন্ন মিথ্যার ‘উদাহরণ’ তুলে ধরা হল।

    মিথ্যের বেসাতি

    ফ্রি হেল্থ কেয়ার রেভ্যুলিশন(AAPs Rule): কেজরিওয়ালের মহল্লা ক্লিনিক চালুর মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবায় বিপ্লব ঘটানোর দাবি দ্রুত ভেঙে পড়েছে। প্রাথমিকভাবে দিল্লির স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানের উপায় হিসেবে প্রচারিত এই ক্লিনিকগুলো এখন জনসাধারণের উপহাসের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুর্বল পরিকাঠামো, যথাযথ চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব এবং প্রশিক্ষিত চিকিৎসকের অনুপস্থিতি এই ক্লিনিকগুলোকে অকার্যকর করে তুলেছে।

    শিক্ষা সংস্কার : কেজরিওয়ালের দিল্লিতে শিক্ষা বিপ্লবের প্রতিশ্রুতি তার সরকারের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ হিসেবে প্রচার করা হয়েছিল। সরকারি স্কুলগুলোকে বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করার দাবি তুলে, কেজরিওয়ালের লক্ষ্য ছিল সবার জন্য উচ্চ মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা। কিন্তু বাস্তব অন্য কথা বলছে। গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় দেড় লক্ষ ছাত্রকে ফেল করানো হয়েছে। ৭০০টিরও বেশি স্কুলে বিজ্ঞান শিক্ষার কোনও সুযোগ নেই। দিল্লির শিক্ষা ব্যবস্থা এখন চরম সংকটে।

    আরও পড়ুন: হিন্দুত্বের রাষ্ট্রনায়ক, ভারতবর্ষের গর্ব অটল বিহারী বাজপেয়ী

    ফ্রি রেশন : দিল্লির গরিবদের বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও আপের জন্য দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। ১০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা রেশন কার্ড ছাড়াই রয়েছেন, যার ফলে তাঁরা সরকার প্রদত্ত প্রয়োজনীয় খাদ্য পাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। রেশন সরবরাহে দুর্নীতি ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি এখনও এক মরীচিকা হয়ে রয়ে গেছে।

    বিদ্যুতের দাম কমানোর প্রতিশ্রুতি : অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বিদ্যুতের দাম কমিয়ে সকলের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করবেন। কিন্তু তাঁর শাসনকালে বিদ্যুৎ বিল আকাশচুম্বী হয়ে গেছে। ত্রুটিপূর্ণ মিটার ও অতিরিক্ত চার্জের কারণে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও প্রতিবাদ দেখা দিয়েছে (AAPs Rule)।

    গণপরিবহণ: গণপরিবহণ আর একটি ক্ষেত্র যেখানে কেজরিওয়াল বিপ্লব আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তাঁর সরকারের আমলে বাসের বহর চালু করা, মেট্রো সংযোগ উন্নত করা এবং একটি টেকসই পরিবহণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়নি। দিল্লি ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে, এবং কর্মীরা বেতন না পাওয়ায় ধর্মঘট করেছেন।

    ন্নত স্বাস্থ্যসেবার প্রতিশ্রুতি: কেজরিওয়াল বেশ কয়েকটি নতুন হাসপাতাল এবং উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে বাস্তব সেই প্রতিশ্রুতি থেকে অনেক দূরে। প্রচুর পরিমাণে তহবিল পাওয়া সত্ত্বেও, নতুন হাসপাতাল নির্মাণ অনির্দিষ্টকালের জন্য বিলম্বিত হয়েছে। রোগীদের এখনও প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য হা-পিত্যেশ করে থাকতে হয়।

    চাকরির প্রতিশ্রুতি: নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে কেজরিওয়াল চাকরি সৃষ্টির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বিশেষ করে দলিত সম্প্রদায়ের জন্য। তবে, তাঁর শাসনকালে দিল্লিতে সরকারি খাতে তেমন কোনও চাকরির বৃদ্ধি দেখা যায়নি। দলিতদের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি কার্যত পরিত্যক্ত হয়েছে।

    মহিলাদের নিরাপত্তা: কেজরিওয়ালের সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল দিল্লিকে মহিলাদের জন্য আরও নিরাপদ করে তোলা হবে। নারীদের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য নির্ভয়া ফান্ড বরাদ্দ করা হলেও, তা অপব্যবহার করা হয়েছে, এবং মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের হার বেড়েছে।

    বেকারত্ব বৃদ্ধি: বেকারত্ব বৃদ্ধি দিল্লির একটি বড় সমস্যা। কেজরিওয়ালের কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রতিশ্রুতির ফানুস গিয়েছে চুপসে। দিল্লির (Delhi) তরুণরা চাকরির জন্য হা-পিত্যেশ করছে। কেজরিওয়ালের অস্থায়ী শ্রমিক ও চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের ওপর নির্ভরশীলতা দিল্লির চাকরির বাজারে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করেছে (AAPs Rule)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share