Tag: Bengali news

Bengali news

  • PM Modi: ‘লড়াই চলবে’, বঙ্গ বিজেপির প্রশংসা করে জানিয়ে দিলেন মোদি

    PM Modi: ‘লড়াই চলবে’, বঙ্গ বিজেপির প্রশংসা করে জানিয়ে দিলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যেভাবে বাংলায় বিজেপি (BJP) কর্মীরা লড়াই করছেন, তা প্রশংসনীয়। সোমবার বঙ্গ বিজেপির কর্মীদের এই ভাষায়ই প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, লড়াই চলবে। দিল্লিতে জাতীয় কর্ম সমিতির বৈঠকে এই বার্তাই দেন প্রধানমন্ত্রী। বিজেপির একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সারা দেশের নেতাদের সামনে এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলার কর্মী-সমর্থকদের যতই প্রশংসা করা হোক সেটা যথেষ্ট হবে না। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বিজেপির বঙ্গ ব্রিগেড যে নিরন্তর লড়াই করে চলেছেন, এদিন সারা দেশের নেতাদের সামনে মূলত সেটাই তুলে ধরতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক…

    সোমবার দিল্লির এনডিএমসি কনভেনশন সেন্টারে দুদিন ব্যাপী দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের প্রথম দিনে অন্যান্য রাজ্যের নেতাদের মতোই বলতে উঠেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে বলতে ওঠেন তিনি। ২০২১ সালে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে বিরোধীদের ওপর হিংসার ঘটনা ঘটেই চলেছে বলে অভিযোগ। আক্রান্তদের সিংহভাগই বিজেপির। ভোটের আগে হামলার ঘটনা অল্পবিস্তর ঘটলেও, ২ মে ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকে বিরোধীদের ওপর আক্রমণ চরমে উঠেছে। এ সবেরই নেপথ্যে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। সূত্রের খবর, এদিন জাতীয় কর্ম সমিতির বৈঠকে পরিসংখ্যান দিয়ে এ সব তথ্য তুলে ধরেছিলেন সুকান্ত।

    আরও পড়ুুন: “পিঠের চামড়া তুলে নেবে…”, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে বেলাগাম বাঁকুড়ার তৃণমূল নেতা, পাল্টা বিজেপি

    জানা গিয়েছে, সুকান্তের বক্তব্য মাঝপথে থামিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তার পরেই তাঁর মুখে শোনা যায় বঙ্গ বিজেপির ভূয়সী প্রশংসা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলায় যেভাবে কার্যকর্তাদের ওপর হামলা হয়েছে, তা নজির বিহীন। বাংলার বর্তমান সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক অবস্থা সেই দৃষ্টিভঙ্গী থেকেই বিচার করতে হবে। এর পরেই তিনি বলেন, ঠিক সেই কারণেই বাংলার কার্যকর্তাদের যতই অভিবাদন দেওয়া হোক না কেন, তা কম হবে। পরে বলেন, লড়াই চলবে। এদিন ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে রোড শো করেন প্রধানমন্ত্রী। রোড শো শুরু হয়েছিল প্যাটেল চক এলাকায়। শেষ হয় কনভেনশন সেন্টারে গিয়ে। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও ওই বৈঠকে যোগ দেন অমিত শাহ, রাজনাথ সিং, নিতিন গড়কড়ি, জেপি নাড্ডা প্রমুখ। বিজেপি শাসিত বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও যোগ দিয়েছিলেন এদিনের বৈঠকে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Nirmala Sitharaman: ‘আমি মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মেছি, তাঁদের সমস্যা বুঝি’, বাজেট প্রসঙ্গে বললেন সীতারামন

    Nirmala Sitharaman: ‘আমি মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মেছি, তাঁদের সমস্যা বুঝি’, বাজেট প্রসঙ্গে বললেন সীতারামন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমি মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মেছি। এখনও নিজেকে মধ্যবিত্ত বলেই মনে করি। তাই তাঁদের আর্থিক সমস্যার কথা বুঝি। বাজেট পেশের আগে সোমবার সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এ কথা বলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। চলতি মাসে শুরু হবে বাজেট অধিবেশন। ১ ফেব্রুয়ারি পেশ হবে কেন্দ্রীয় বাজেট। তার আগে বাজেট নিয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে মোদি সরকারের (PM Modi) এটাই শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট (Budget)। আগামী বছর পেশ হবে ভোট অন অ্যাকাউন্ট। এবারের বাজেট কেমন হতে চলেছে, এদিন অর্থমন্ত্রীর কথায় সেই ইঙ্গিতই মিলল।

    সীতারামন বলেন…

    এদিনের সাক্ষাৎকারে সীতারামন (Nirmala Sitharaman) বলেন, আমি নিজেই মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মেছি। এখনও নিজেকে মধ্যবিত্ত বলেই মনে করি। তাই তাঁদের আর্থিক সমস্যার কথা বুঝি। তিনি বলেন, এটুকু বলতে পারি মোদি সরকার আজ পর্যন্ত কোনও বাজেটেই মধ্যবিত্তদের ওপর কর চাপায়নি। বার্ষিক পাঁচ লক্ষ টাকা আয়ের মানুষদের আয়কর দিতে হয় না। নির্মলা সীতারামন বলেন, মধ্যবিত্তরাই সব চেয়ে বেশি গণপরিবহন ব্যবহার করেন। সেই জন্যই দেশের মোট ২৭টি শহরে মেট্রো পরিষেবা চালু করা হয়েছে। ১০০টি স্মার্ট সিটি বানানো হচ্ছে তাঁদের বসবাসের সুবিধার জন্য। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি মধ্যবিত্ত মানুষের সমস্যা বুঝি। তাঁদের জন্য ইতিমধ্যেই অনেক কাজ করেছে সরকার। আগামী দিনেও তাই করবে।

    আরও পড়ুুন: ‘লড়াই চলবে’, বঙ্গ বিজেপির প্রশংসা করে জানিয়ে দিলেন মোদি

    কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার পরিকল্পনাও যে কেন্দ্রের রয়েছে, এদিন তাও জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Nirmala Sitharaman)। তিনি বলেন, কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। একাধিক কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক অতীতে একাধিক রাজ্য সরকারের খয়রাতির বিরোধিতা করেছে কেন্দ্রের শাসক দল। সে প্রসঙ্গে নির্মলা বলেন, প্রতিটি রাজ্যের উচিত আর্থিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এহেন প্রতিশ্রুতি দেওয়া। তাছাড়া কোন পথে এই খয়রাতির টাকা আসছে, তা নিয়েও স্বচ্ছতা থাকতে হবে। জানা গিয়েছে, যেহেতু মোদি সরকারের এটাই শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট, তাই কর ছাড় দেওয়া হতে পারে। অবসর নেওয়ার আগে রাজস্ব সচিব তরুণ বাজাজও ইঙ্গিত দিয়েছেন, ট্যাক্স স্ল্যাবগুলিতে পরিবর্তন আনা হবে এই বাজেটে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Dharmendra Pradhan: ‘এ রাজ্যের সরকারকে পরাস্ত করে প্রগতিশীল সরকার গড়ে তুলতে হবে’, বললেন ধর্মেন্দ্র প্রধান

    Dharmendra Pradhan: ‘এ রাজ্যের সরকারকে পরাস্ত করে প্রগতিশীল সরকার গড়ে তুলতে হবে’, বললেন ধর্মেন্দ্র প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী নির্বাচনে এ রাজ্যের সরকারকে পরাস্ত করে নতুন প্রগতিশীল সরকার গড়ে তুলতে হবে। সেই লক্ষ্যেই এ রাজ্যের বিজেপি (BJP) দল কার্যকর্তারা সঠিক কাজ করে চলেছেন বলে মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan)। রবিবার তিনি একথা বলেন। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ রাজ্যের সরকারি ব্যবস্থা সঠিকভাবে কাজ করছে না। স্বচ্ছতা বজায় রাখছে না। এ জন্য বাংলায় ভ্রষ্টাচার বেড়েই চলেছে। বাংলার সরকারের ভ্রষ্টাচারী নীতি এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    জীবনের অধিকার সুরক্ষিত নয়…

    বঙ্গবাসীর জীবনের অধিকার সুরক্ষিত নয় বলেও মন্তব্য করেন ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan)। তিনি বলেন, এখানে মানুষের জীবনের অধিকার সুরক্ষিত নয়। ভারতবর্ষের গণতান্ত্রিক কাঠামোয় এ ধরনের ভ্রষ্টাচারি সরকারের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে বিরোধী আওয়াজ তুলতে হবে। আগামী নির্বাচনে এ রাজ্যের সরকারকে পরাস্ত করে নতুন প্রগতিশীল সরকার গড়ে তুলতে হবে। সেই লক্ষ্যেই এরাজ্যের বিজেপির কার্যকর্তারা কাজ করে চলেছেন।

    ভারতীয় জনতা পার্টির দক্ষিণ কলকাতা জেলা লোকসভা প্রভাস কার্যক্রমের জন্য শহরে উপস্থিত হয়েছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী। মন্ডল স্তর থেকে শুরু করে বিভিন্ন শাখা সংগঠনের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে এই বৈঠকে রুপরেখা তৈরি করা হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার যে সব জনকল্যাণমুখী কেন্দ্রীয় প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ হাতে নিয়েছে, সেই কাজের গতি এবং কাজ কতদূর সম্পন্ন হয়েছে, তা নিয়েও পর্যালোচনা করবেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: বিক্ষোভের মুখে ‘দিদির দূত’, জনরোষের ভয়ে গাড়ি থেকে নামলেনই না বিধায়ক

    এদিকে, দেশে প্রধানমন্ত্রী পদের ভ্যাকেন্সি নেই বলে ট্যুইট করেছেন ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan)। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার এমনই মন্তব্য করেছিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অর্মত্য সেন। তবে তৃণমূল নেত্রীর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ নেই বলেই মন্তব্য করেন ধর্মেন্দ্র। ট্যুইটবার্তায় তিনি লেখেন, দেশে প্রধানমন্ত্রী পদের ভ্যাকেন্সি নেই। তৃণমূল নেত্রীর যোগ্যতা রয়েছে কিনা, সরাসরি সে প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে তালিকা অনেক বড় বলেও মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • S Jaishankar: ‘জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে সবই করবে ভারত’, চিনকে ফের হুঁশিয়ারি জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ‘জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে সবই করবে ভারত’, চিনকে ফের হুঁশিয়ারি জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে যা দরকার, ভবিষ্যতে তার সবই করবে ভারত (India)। শনিবার চেন্নাইয়ের তুঘলকের ৫৩তম বার্ষিক অনুষ্ঠানে ফের চিনকে (China) এই হুঁশিয়ারি দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। বিশ্বজুড়ে করোনা অতিমারি চলার সময়ও চিন যে বারংবার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় স্থিতাবস্থা নষ্ট করার চেষ্টা করছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, উত্তর সীমান্তে বিশাল বাহিনী এনে আমাদের চুক্তি ভঙ্গ করে স্থিতাবস্থা নষ্ট করার চেষ্টা করছে চিন। জয়শঙ্কর বলেন, মনে করুন, কোভিড অতিমারির সময় ২০২০ সালের মে মাসেও এ রকমই হয়েছে। আমরাও যোগ্য এবং কঠিন জবাব দিয়েছিলাম। এবং এর কৃতিত্ব বিদেশমন্ত্রী দিলেন সেনাবাহিনীকে। তিনি বলেন, কঠিন ভূখণ্ডে দাঁড়িয়ে চরম আবহাওয়ার মধ্যেও আমাদের বাহিনী সীমান্ত রক্ষা করেছে।

    সংঘর্ষ…

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের মে মাসে পূর্ব লাদাখে সংঘর্ষ হয় চিন ও ভারতীয় সেনার। ২০২২ সালের শেষের দিকেও অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াঙে চিনা ফৌজ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করার চেষ্টা করলে প্রতিরোধ করে ভারতীয় সেনা। তার জেরে দু পক্ষে সংঘর্ষ হয়। দু পক্ষের কেউ নিহত না হলেও, জখম হন বেশ কয়েকজন। পরে ভারতীয় সেনার তাড়া খেয়ে বাঙ্কারে ফিরে যায় লালফৌজ। পরিস্থিতির মোকাবিলায় ২০ ডিসেম্বর চুশুল-মলডো সীমান্তে চিনের দিকে ১৭তম বার বৈঠকে বসেন চিন ও ভারতের সেনা কর্তারা।

    আরও পড়ুুন: ‘দেশ বাঁচাতে আমাদের একমাত্র পথ হল…’, কী বললেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট?

    এদিন জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, ভারত এমন এক দেশ, যে কোনও দেশকে আঘাত করে না। তবে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য যা দরকার, তার সবটাই করে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, ভারতের ক্ষেত্রে ইতিহাসের পাশাপাশি ভৌগোলিক অবস্থানও এই দেশের গুরুত্ব বাড়িয়েছে। ভারতের নামে যে মহাসাগর, তার কেন্দ্রে রয়েছে ভারতীয় উপদ্বীপ। তিনি (S Jaishankar) বলেন, আমাদের অংশগ্রহণ ছাড়া এশিয়ার মধ্যে সংযোগ গড়ে তোলা সম্ভব নয়। ভারত মহাসাগরের ভৌগলিক গুরুত্ব আজ আরও বেশি। সেই কারণে গোটা দুনিয়ার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে ভারত। জয়শঙ্কর বলেন, ভারত যত বেশি অংশগ্রহণ করবে, তত তার গুরুত্ব বাড়বে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Sri Lanka: ‘দেশ বাঁচাতে আমাদের একমাত্র পথ হল…’, কী বললেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট?

    Sri Lanka: ‘দেশ বাঁচাতে আমাদের একমাত্র পথ হল…’, কী বললেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ারে টান। মন্ত্রিসভার মুখপাত্র এবং পরিবহণ মন্ত্রী বন্দুলা গুণবর্ধনে বলেছেন যে প্রেসিডেন্ট (President) বিক্রমসিংহে মন্ত্রিসভাকে জানিয়েছেন রাজকোষের তহবিল উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে দ্বীপরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহে সব মন্ত্রককে নির্দেশ দিয়েছেন তাদের জন্য বরাদ্দ করা আনুমানিক ব্যয় পাঁচ শতাংশ কমাতে। চিনা ঋণের ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে শ্রীলঙ্কা। তার জেরে দেশটিতে তীব্র হয়েছে অর্থনৈতিক সংকট।

    অর্থনীতির হাঁড়ির হাল…

    ১৯৪৮ সালের গ্রেট ব্রিটেনের হাত থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পর থেকে এই প্রথম শ্রীলঙ্কার অর্থনীতির এমন হাঁড়ির হাল হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রা সংকটের কারণে গত বছরের এপ্রিলে নিজেকে আন্তর্জাতিক ঋণ খেলাপি ঘোষণা করেছিল শ্রীলঙ্কা। জনরোষের চাপে পড়ে বদল হয় সরকার। প্রেসিডেন্ট হন বিক্রমসিংহে। তার পরেও দেশের অর্থনীতির স্বাস্থ্যের খুব একটা উন্নতি হয়নি। এমতাবস্থায় দেশকে বাঁচাতে সহায় হতে পারে একমাত্র আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার। সেকথা স্বীকারও করেছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট। শুক্রবার দুপুরে প্রেসিডেন্টের অফিসে ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, আমরা সবাই জানি দেশের অর্থনীতির হাল তলানিতে। আমি জানি দেশবাসী কী চরম অর্থকষ্টে ভুগছেন।

    আরও পড়ুুন: ইউক্রেনে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রুশ বাহিনীর! মৃত অন্তত ১৪

    প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা প্রত্যক্ষ করেছি কীভাবে হাজার হাজার মানুষ চাকরি হারিয়েছেন। জীবনযাত্রার মান এক লপ্তে গিয়েছে অনেকখানি বেড়ে। মূদ্রাস্ফীতির কারণেই এটা হয়েছে। তিনি বলেন, সেই কারণেই বদলে যাচ্ছে দেশবাসীর জীবনযাত্রার ধরন। শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) প্রেসিডেন্ট বলেন, নানা কারণে দেশের অর্থনীতির হাঁড়ির হাল হয়েছে। যা ঘটে গিয়েছে, তা নিয়ে এখন আর আলোচনা করার কোনও প্রয়োজন নেই। এর পরেই প্রেসিডেন্ট বলেন, আমাদের সামনে এখন একমাত্র অপশন খোলা রয়েছে, সেটি হল আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারের সাহায্য। অন্যথায় আমরা দেশের অর্থনীতির হাল ফেরাতে পারব না। তিনি বলেন, নানা কারণে আমাদের এখন প্রচুর ঋণ হয়ে গিয়েছে। আমরা জাপানের সঙ্গে আলোচনা করছি। ঋণদাতা দেশগুলির মধ্যে জাপানও রয়েছে। প্রেসিডেন্ট বলেন, জাপান ছাড়াও চিন এবং ভারত থেকেও আমরা ঋণ নিয়েছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Air Disasters: গত পাঁচ বছরে বিমান দুর্ঘটনার খতিয়ান, জেনে নিন মৃত্যুর পরিসংখ্যানও

    Air Disasters: গত পাঁচ বছরে বিমান দুর্ঘটনার খতিয়ান, জেনে নিন মৃত্যুর পরিসংখ্যানও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবারের বারবেলায় নেপালে (Nepal) ভেঙে পড়েছে আস্ত একটি বিমান। মৃত্যু হয়েছে ৬৮ জনের। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক গত কয়েক বছরে কোথায় কোথায় বিমান দুর্ঘটনা (Air Disasters) ঘটেছে, মৃত্যুই বা হয়েছে কতজনের। 

    বিমান দুর্ঘটনা…

    গত বছর মে মাসে নেপালের মুস্তাং এলাকায় ভেঙে পড়ে তারা এয়ারের একটি বিমান। জীবন্ত দগ্ধ হন বিমানে থাকা ২২ জনই। চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ভেঙে পড়ে ওই বছরেরই মার্চে। গুয়াংশি পাহাড়ের ওপর ভেঙে পড়ে বিমানটি। মৃত্যু হয় ১৩৩ জনের। ২০২১ সালের ৯ জানুয়ারি জাভা সমুদ্রে ভেঙে পড়ে বোয়িং ৭৩৭। জাকার্তা থেকে ওড়ার পরে পরেই সমুদ্রে ভেঙে পড়ে বিমানটি। সাত শিশু, দুই সদ্যোজাত সহ মৃত্যু হয় ৬২ জনের।  

    ২০২০ সালের ৭ অগাস্ট কালিকটে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান (Air Disasters)। দুবাই থেকে আসা বিমানটি টুকরো টুকরো হয়ে যায়। যাত্রী ছিলেন ১৮৬ জন। তার মধ্যে চালক, সহকারি চালক সহ মৃত্যু হয় ২১ জনের। ওই বছরেরই ২২ মে ভেঙে পড়ে পাকিস্তান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান। মৃত্যু হয় ১০৫ জনের। ওই বছরেরই ৮ জানুয়ারি ভেঙে পড়ে ইউক্রেন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান। মৃত্যু হয় ১৭৬ জনের। ২০১৯ সালের ১০ মার্চ ভেঙে পড়ে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান। মৃত্যু হয় ১৫৭ জনের। এর মধ্যে ছিলেন তিরিশটি দেশের যাত্রী।

    আরও পড়ুুন: মোদি সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ পাক সংবাদমাধ্যম

    সাম্প্রতিক অতীতে সব চেয়ে বেশি বিমান দুর্ঘটনা (Air Disasters) ঘটেছে ২০১৮ সালে। ২৯ অক্টোবর লায়ন এয়ারের একটি বিমান ভেঙে পড়ে জাভা সমুদ্রে। মৃত্যু হয় ১৮৯ জনের। ১৮ মে ভেঙে পড়ে বোয়িং ৭৩৭। মৃত্যু হয় ১১২ জনের। বরাত জোরে বেঁচে যান এক যাত্রী। এপ্রিল মাসে আলজিরিয়ায় ভেঙে পড়ে একটি সামরিক বিমান। মৃত্যু হয় ২৫৭ জনের। ১২ মার্চ নেপালে ভেঙে পড়ে একটি বিমান। সব মিলিয়ে বিমানে ছিলেন ৭১ জন। তার মধ্যে মৃত্যু হয় ৫০ জনেরও বেশি মানুষের। ১৮ ফেব্রুয়ারি ইরানের জাগ্রোস পর্বতে ভেঙে পড়ে একটি বিমান। মৃত্যু হয় ৬৬ জনের। ওই মাসেরই ১১ তারিখে ভেঙে পড়ে একটি রাশিয়ান যাত্রিবাহী বিমান। মৃত্যু হয় ৭১ জনের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Mayawati: রাজ্য ও লোকসভা নির্বাচনে একাই লড়বে বহুজন সমাজবাদী পার্টি, সাফ জানালেন মায়াবতী

    Mayawati: রাজ্য ও লোকসভা নির্বাচনে একাই লড়বে বহুজন সমাজবাদী পার্টি, সাফ জানালেন মায়াবতী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভবিষ্যতে রাজ্য এবং লোকসভা নির্বাচনে একাই লড়বে বহুজন সমাজবাদী পার্টি (BSP)। নিজের ৬৭তম জন্মদিনে একথা ঘোষণা করলেন বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতী (Mayawati)। লখনউতে দলের তরফে আয়োজন করা হয়েছিল তাঁর জন্মদিনের অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানেই মায়াবতী জানিয়ে দেন ভবিষ্যতে রাজ্য এবং লোকসভা নির্বাচনে একাই লড়বে বিএসপি। এদিনের অনুষ্ঠানে মায়াবতী ফের একবার ব্যালট পেপারে ভোট গ্রহণের পক্ষে সওয়াল করেন। তিনি বলেন, ভোটারদের মন থেকে সংশয় দূর করতে নির্বাচন কমিশনের (EC) উচিত সমস্ত নির্বাচনে ব্যালট পেপার ব্যবহার করা।

    মায়াবতীর দাবি…

    ইভিএমে ভোট হওয়ায় তাঁর দলের আসন কমেছে বলেও দাবি করেন বহুজন সমাজবাদী পার্টির নেত্রী। মায়াবতী (Mayawati) বলেন, বিএসপির ভোট কমেনি। তবে যেদিন থেকে ইভিএমে ভোট নেওয়া শুরু হল, সেদিন থেকেই আমাদের ভোট এবং আসনের ওপর প্রভাব পড়েছে। তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ফের সাবেকি ব্যালট পেপারে ভোট নেওয়া শুরু করেছে। তারা যদি পারে, তবে ভারত কেন নয়?

    আরও পড়ুুন: ‘জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে সবই করবে ভারত’, চিনকে ফের হুঁশিয়ারি জয়শঙ্করের

    প্রসঙ্গত, ব্যালট পেপারে ভোট চেয়ে বিভিন্ন সময় সরব হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাঁর দলের অনেক প্রার্থীর হারের কারণ হিসেবে তিনি দুষেছিলেন ইভিএমকে। ২০০৪ সাল থেকে চারটি লোকসভা নির্বাচন ও ১২৭টি বিধানসভা নির্বাচনে ব্যবহৃত হয়েছে ইভিএম। যদিও ভারতের রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, রাজ্যসভার সদস্য এবং রাজ্য বিধান পরিষদের সদস্যদের নির্বাচন যখন হয়, তখন ইভিএম ব্যবহার করা হয় না। কারণ যে পদ্ধতিতে অঙ্ক কষে এই নির্বাচন হয়, ইভিএম সেই ফল দিতে পারে না। তাই ওই নির্বাচনগুলি হয় ব্যালট পেপারে।

    ১৯৮২ সালের মে মাসে কেরালার বিধানসভা নির্বাচনে প্রথমে ইভিএম ব্যবহার করা হয়। তবে এটি ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট আইনের অনুপস্থিতির কারণে সুপ্রিম কোর্ট সেই নির্বাচন স্থগিত করে দেয়। পরবর্তীকালে ১৯৮৯ সালে সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের জন্য একটি বিধান তৈরি করতে সংশোধন করা হয় জনপ্রতিনিধিত্ব আইন, ১৯৫১।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Pakistan: পাকিস্তানে খাদ্যসংকট তুঙ্গে, কী লিখলেন সে দেশের অধ্যাপক, জানেন?

    Pakistan: পাকিস্তানে খাদ্যসংকট তুঙ্গে, কী লিখলেন সে দেশের অধ্যাপক, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তীর বেগে ছুটে যাচ্ছে আটা-ময়দা ভর্তি ট্রাক। তার পিছু নিয়েছেন বাইক সওয়ারিরা। ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌড়চ্ছেন তাঁরা। ট্রাক কবজা করতে পারলেই চলছে লুঠতরাজ। গত কয়েক দিন ধরে এমনই ছবি দেখা যাচ্ছে পাকিস্তানে (Pakistan)। এক বস্তা আটা-ময়দা পেতে নিত্যদিন এভাবেই জীবন বাজি রেখে দৌড়চ্ছেন পাকিস্তানবাসীর একাংশ (Food Crisis)।

    অধ্যাপক সাজ্জাদ রাজা…

    সম্প্রতি এরকমই একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন অধ্যাপক সাজ্জাদ রাজা। তিনি ন্যাশনাল ইক্যুয়ালিটি পার্টি জেকেজিবিএলের চেয়ারম্যান। ভিডিও শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, এটা কোনও মোটর সাইকেল শোভাযাত্রা নয়, বরং আটা-ময়দা ভর্তি ট্রাকের পিছু ধাওয়া করছেন পাকিস্তানের বাসিন্দারা। এই আশায় তাঁরা ধাওয়া করছেন, অন্তত এক বস্তা আটা-ময়দা তাঁরা কিনতে পারবেন। এর পরেই একটি প্রশ্ন তুলেছেন পাকিস্তানের এই অধ্যাপক। তিনি লিখেছেন, এর পরেও কি পাকিস্তানে আমাদের কোনও ভবিষ্যৎ রয়েছে? সাজ্জাদ আরও লিখেছেন, এই ভিডিওটি পাকিস্তানে কী ঘটছে, তার একটা ঝলক মাত্র।

    আরও পড়ুুন: ‘জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে সবই করবে ভারত’, চিনকে ফের হুঁশিয়ারি জয়শঙ্করের

    বাজারে আটা-ময়দা অমিল। অথচ এই আটা-ময়দাই পাকিস্তানের (Pakistan) বাসিন্দাদের প্রধান খাদ্য। মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের ওপর রয়েছে পেঁয়াজ সহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। পেঁয়াজের দর বেড়েছে ৫০ শতাংশ। মুরগির মাংসের দাম আকাশ ছোঁয়া। আটা-ময়দার মতো দাম বেড়েছে চাল-ডালেরও। এ সবেরই দাম বেড়েছে ৫০ শতাংশ। বাজারে সব কিছু নিয়মিত মিলছেও না। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য গায়ে ছ্যাঁকা দিচ্ছে। টান পড়ছে পাক নাগরিকদের পকেটেও।

    ২০২২ সালে ভয়ঙ্কর বন্যার জেরে খাদ্যসংকট প্রবল হয়েছে পাকিস্তানে। গত বছর পাকিস্তানে পেঁয়াজের দর ছিল ৩৬.৭০ টাকা। চলতি বছরের জানুয়ারির পাঁচ তারিখে সেটাই বেড়ে হয়েছে ২২০.৪ টাকা। ডিজেলের দর বেড়ছে ৬১ শতাংশ। আর পেট্রোলের দর বেড়েছে ৪৮ শতাংশ। সে দেশের বিভিন্ন বাজারে দশ কেজি গমের বস্তার দর হয়েছে ১৫০০ টাকা। বস্তা কুড়ি কেজি হলেই মূল্য চোকাতে হচ্ছে ২৮০০ টাকা। খাদ্য সংকটের জেরে বাজারগুলিতে কাড়াকাড়ি পড়ে গিয়েছে। পাকিস্তানের বিভিন্ন বাজারে পদদলিত হওয়ার খবর মিলেছে। খাইবার পাখতুনখোয়া, সিন্ধু এবং বালুচিস্তান প্রদেশের বেশ কিছু এলাকায় পদদলিত হওয়ার খবর মিলেছে।

    চিনা ঋণের ফাঁদে পড়ে দেশটির (Pakistan) অর্থনীতির হাল যে হাঁড়ির হয়েছে, তা স্বীকার করেছেন সে দেশের অর্থনীতিবিদদের একাংশও। জানা গিয়েছে, দেশটিতে বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ার এক বছরে হয়েছে অর্ধেক। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে দেশে বৈদেশিক মুদ্রা ছিল ২৩.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে সেটাই হয়েছে ১১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Dharmendra Pradhan: অভিযোগ করেছিলেন শুভেন্দু, মিড-ডে মিলের ‘পর্যালোচনা’ করতে রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় দল

    Dharmendra Pradhan: অভিযোগ করেছিলেন শুভেন্দু, মিড-ডে মিলের ‘পর্যালোচনা’ করতে রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকার ও সরকার পোষিত স্কুলগুলিতে মিড-ডে মিলে নানা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল বাংলায়। তা নিয়ে কেন্দ্রের কাছে নালিশ করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তার জেরে রাজ্যে মিড-ডে মিলের পর্যালোচনা করতে টিম পাঠাচ্ছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। দিন কয়েক আগে আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছিল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। এবার আসছে মিড-ডে মিল কেমন চলছে, তা দেখতে। চলতি মাসেই বৈঠক হবে রাজ্যের সঙ্গে। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan) বলেন, সম্প্রতি জাতীয় স্তরের বেশ কিছু সংবাদপত্রে বাংলার মিড-ডে মিল (Mid-day meal) প্রকল্পে নানা অনিয়ম নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তা ছাড়া বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও বেশ কিছু তথ্য ভারত সরকারের গোচরে এনেছিলেন। তার পরেই কেন্দ্রীয় সরকার এই বিশেষজ্ঞ দল পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    কেন্দ্রের এই দল…

    জানা গিয়েছে, চলতি মাসেই আসছে কেন্দ্রের এই দল। দলে থাকবেন পুষ্টিবিদ, কেন্দ্রীয় আধিকারিক এবং রাজ্যের আধিকারিকরা। রাজ্যের জন্য বরাদ্দ অর্থ স্কুলগুলিতে ঠিক মতো পৌঁছচ্ছে কিনা, প্রধানমন্ত্রী পোষণ শক্তি মিশন প্রকল্পে রাজ্যে পরিকাঠামো কেমন, রান্নাঘরের পরিকাঠামো সহ একাধিক বিষয় খতিয়ে দেখতে এই দলটি আসছে বলে সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুুন: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন ‘ডু অর ডাই ম্যাচ’! প্রতিটি বুথকে দুর্গ বানানোর কথা বললেন শুভেন্দু

    প্রসঙ্গত, গত বছরই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা প্রধানমন্ত্রী পোষণ প্রকল্পের পক্ষে মত দেয়। এই প্রকল্পে দেশের ১১ লক্ষ ২০ হাজারেরও বেশি সরকারি এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের পড়ুয়াদের মিড-ডি মিল দেওয়া হয়। পাঁচ বছরের জন্য এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পের জন্য ১ লক্ষ ৩১ হাজার কোটি টাকা খরচের কথাও জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। সরকারের মিড-ডে নামের যে প্রকল্প রয়েছে, তার সঙ্গে যুক্ত করা হয় এই প্রকল্পকে। রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই প্রকল্পের সিংহভাগ ব্যয় বহন করে কেন্দ্র। সেখানেই দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় আসছে কেন্দ্রীয় দল।

    কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী (Dharmendra Pradhan) বলেন, মিড-ডে মিলের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে স্কুল পড়ুয়াদের দৈহিক বৃদ্ধি। যা সামগ্রিকভাবে বৌদ্ধিক বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করে। তাই বিশেষজ্ঞ দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন শুভেন্দু। এ নিয়ে ট্যুইটও করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Didir Doot: ‘দিদির সুরক্ষা কবচে’ অভিযোগ জানাতে গিয়ে জুটল তৃণমূল নেতার চড়, সঙ্গে হুমকিও  

    Didir Doot: ‘দিদির সুরক্ষা কবচে’ অভিযোগ জানাতে গিয়ে জুটল তৃণমূল নেতার চড়, সঙ্গে হুমকিও  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘দিদির সুরক্ষা কবচে’ অভিযোগ জানাতে গেলে যে তৃণমূল নেতার চড় খেতে হবে, কশ্মিনকালেও তা ভাবেননি উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের সাগর বিশ্বাস। মন্ত্রীর সামনে তৃণমূল নেতার হাতে সজোরে চড় খেয়ে অবশ্য সম্বিত ফিরল। বুঝতে পারলেন, দিদির সুরক্ষা কবচ দিতে যে দিদির দূতেরা (Didir Doot) আসছেন, তাঁরা আসলে ‘ভূত’। সাগরের কাছে হাত জোড় করে ক্ষমা চেয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। তাতে অবশ্য ক্ষোভ প্রশমিত হয়নি সাগরের। তবে সাগর যাতে সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে না পারেন, তাই তৃণমূলের তরফে তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

    পঞ্চায়েত নির্বাচন…

    দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে জনসংযোগ বাড়াতে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের তরফে জানানো হয়, এই কর্মসূচি রক্ষণাবেক্ষণে থাকবেন দিদির দূত। এও ঘোষণা করা হয়, এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হবে বাংলার ১০ কোটি মানুষ ও দু কোটি বাড়ির সমস্যা, অভাব, অভিযোগের কথা দলের শীর্ষ স্তরে, এমনকি নেত্রীর কাছে পৌঁছে দেওয়া। এই কর্মসূচিরই নাম দেওয়া হয়েছে দিদির সুরক্ষা কবচ।

    দলীয় কর্মসূচি পালনের নির্দেশ পেয়ে পথে নেমে পড়েন দিদির দূতেরা (Didir Doot)। বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে যান জন প্রতিনিধিরা। এদিন ইছাপুর নীলগঞ্জ পঞ্চায়েতের সাইবনা এলাকায় এই কর্মসূচিতে যোগ দেন রথীন। সেখানেই বেহাল রাস্তা নিয়ে অভিযোগ জানাতে এসেছিলেন স্থানীয় মন্দির কমিটির সদস্য সাগর। তাঁকেই কষিয়ে থাপ্পড় মারা হয়। ধাক্কা মারতে মারতে সেখান থেকে সরিয়েও দেওয়া হয় তাঁকে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘নিরপেক্ষ থাকুন, না হলে পদপিষ্ট হতে হবে’’! পুলিশকে সতর্কবার্তা সুকান্তর

    এদিকে, এদিন ময়ূরেশ্বরের ষাটপলসা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ঘুরে দেখার সময় বোলপুরের সাংসদের সামনেই স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অভিজিৎ রায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন দলীয় কর্মীরা। উচপুর গ্রামেও স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তৃণমূল সাংসদ অসিত মাল। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, কখনও সখনও এলাকায় বিধায়কের গাড়ি দেখা যায়। তবে তিনি জানালার কাচ তুলে চলে যান। এলাকার কোনও উন্নয়নে শামিল হন না।  এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, মানুষ দু্র্নীতির কথা জানলেও, ভয়ে বলত না। আমরা সাহস জোগানোয় মানুষ মুখ খুলতে শুরু করেছে। হিসেব চাইছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
LinkedIn
Share