Tag: Bengali news

Bengali news

  • CBI: তদন্তকারীর কাছে সূত্র গোপন রাখতে পারবেন না সাংবাদিক, নির্দেশ সিবিআই আদালতের

    CBI: তদন্তকারীর কাছে সূত্র গোপন রাখতে পারবেন না সাংবাদিক, নির্দেশ সিবিআই আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাংবাদিকরা (Reporters) কোন সূত্র থেকে খবর পাচ্ছেন, তা এতদিন গোপন রাখতে পারতেন। তবে এবার থেকে আর তা হবে না। সাংবাদিকরা কোন সূত্র থেকে খবর পাচ্ছেন, তদন্তকারীর কাছে তা আর গোপন রাখা যাবে না। বুধবার নয়াদিল্লিতে (New Delhi) সিবিআইয়ের (CBI) বিশেষ আদালতের তরফে একটি ক্লোজার রিপোর্ট বাতিল করে দেওয়ার পর এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালত এও জানিয়েছে, তদন্তকারী সংস্থা সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের কাছে খবরের সূত্র জানতে চাইতে পারেন। কারণ তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সূত্রের প্রয়োজন এবং সেটাই প্রধান গুরুত্বপূর্ণ। আদালত আরও জানিয়েছে, তদন্তকারী সংস্থা ইন্ডিয়ান পিনাল কোড এবং কোড অফ ক্রিমিনাল প্রসিডিওর দ্বারা সুসজ্জিত। তদন্তের প্রয়োজনে তারা যে কোনও ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। এবং এই সমস্ত মানুষজন তদন্তের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তদন্তের স্বার্থে এ ব্যাপারে সহযোগিতা করা কর্তব্য তাঁদেরও।

    ক্লোজার রিপোর্ট…

    এদিন রাউস অ্যাভিনিউ জেলা আদালতের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অঞ্জলি মহাজন এই মামলা সংক্রান্ত ক্লোজার রিপোর্টটি বাতিল করে দেন। তাঁর বক্তব্য, তদন্ত চলাকালীন কোনও সাংবাদিক কোন সূত্রে খবর পেয়েছেন, তা গোপন রাখতে পারেন না তদন্তকারী সংস্থার কাছে। তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে তাঁকে সব কিছু প্রকাশ করতে হবে। ২০০৯ সালে প্রকাশিত খবরটির মূল সূত্র কী এবং কোন নথিপত্রের ভিত্তিতে তা লেখা হয়েছে, তার সম্পূর্ণ বিবরণ তদন্তকারী সংস্থার হাতে দিতে হবে বলেও জানিয়েছেন অঞ্জলি। বুধবার এই মামলা সংক্রান্ত তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সিবিআইয়ের (CBI) বিশেষ আদালত।

    আরও পড়ুুন: মিড-ডে মিলের টাকায় জেলা সফর মুখ্যমন্ত্রীর! কীভাবে? নথি প্রকাশ শুভেন্দুর

    ২০০৯ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে হওয়ার কথা ছিল মুলায়ম সিংহ যাদব ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তির মামলার শুনানি। তার আগের দিন একটি সংবাদপত্রে মুলায়মকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে জানা যায়, ভুয়ো নথিপত্রের ভিত্তিতে খবরটি প্রকাশ করেছিলেন জনৈক সাংবাদিক। তদন্ত শুরু হলে সোর্স বলতে অস্বীকার করেন ওই সাংবাদিক। তার জেরে তদন্ত থেমে যায় মাঝ পথে। সেই প্রেক্ষিতেই সিবিআই আদালতের এই নির্দেশ। এই বিষয়ে আরও তদন্তের প্রয়োজন বলেও জানায় আদালত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • OXFAM: ভারতের এক শতাংশ মানুষের হাতে রয়েছে ৪০ শতাংশ সম্পদ!

    OXFAM: ভারতের এক শতাংশ মানুষের হাতে রয়েছে ৪০ শতাংশ সম্পদ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (India) মোট সম্পদের ৪০ শতাংশ অধিকারে রয়েছে মাত্র ১ শতাংশ মানুষের হাতে। জনসংখ্যার নীচের অর্ধেকের অধিকারে রয়েছে মাত্র ৩ শতাংশ সম্পদ। সোমবার এক সমীক্ষায় এই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। দাভোসে ওর্য়াল্ড ইকোনোমিক ফোরামের অ্যানুয়াল মিটিংয়ের প্রথম দিনে অক্সফ্যাম (OXFAM) ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, ভারতের ১০ জন ধনীতম ব্যক্তির সম্পদ দিয়ে এ দেশের সমস্ত শিশুকে স্কুলে ফিরিয়ে আনা যেতে পারে।

    রিপোর্ট…

    ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত এই সময়ে গৌতম আদানির কাছ থেকে এককালীন কর আদায় করলে সরকারের কোষাগারে আসতে পারত ১.৭৯ লক্ষ কোটি টাকা। এই পরিমাণ অর্থ দিয়ে এক বছরের জন্য ৫০ লক্ষের বেশি প্রাথমিক শিক্ষকের বেতন দেওয়া যেত। প্রকাশিত রিপোর্টটির শিরোনাম সার্ভাইভাল অফ দ্য রিচেস্ট। রিপোর্টে বলা হয়েছে, যদি ভারতের বিলিয়নিয়ারদের মোট সম্পদের ওপর দুই শতাংশ কর ধার্য করা হত, তাহলে তার পরিমাণ দাঁড়াত ৪০ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা। যে টাকায় আগামী তিন বছর ধরে দেশের অপুষ্টিতে ভোগা মানুষকে পুষ্টিকর খাবার দেওয়া যেত।ওই রিপোর্ট (OXFAM) থেকেই জানা গিয়েছে, দেশের দশজন বিলিয়নিয়ারের এককালীন পাঁচ শতাংশ কর ধার্য হলে তা হত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের বরাদ্দের চেয়ে দেড় গুণ বেশি। এই অর্থবর্ষে আয়ুষ মন্ত্রকের চেয়েও তা ঢের বেশি। প্রসঙ্গত, এই অর্থবর্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের বরাদ্দ ৮৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা। আর আয়ুষের বরাদ্দ ৩ হাজার ৫০ কোটি টাকা।

    ভারতে লিঙ্গ বৈষম্য যে এখনও প্রবল, রিপোর্টে (OXFAM) উল্লেখ করা হয়েছে তাও। বলা হয়েছে, ভারতের পুরুষ কর্মীরা যেখানে এক টাকা রোজগার করেন, সেখানে মহিলাদের আয় ৬৩ পয়সা। তফশিলি জাতির কোনও কর্মীর আয় ৫৫ পয়সা। আর গ্রামীণ কোন কর্মীর আয় শহরের কর্মীদের ২০১৮-’১৯ সালের আয়ের অর্ধেক। অক্সফ্যামের ভারতের সিইও অমিতাভ বেহার বলেন, দেশের দলিত, আদিবাসী, মুসলমান, মহিলা এবং অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকরা এই সিস্টেমে ভুগতেই আছেন, যে সিস্টেমে ধনীতমদের অস্তিত্ব নিশ্চিত করা হয়েছে।

     

  • BJP National Executive: বিজেপির সভাপতি পদে বহাল রইলেন নাড্ডাই, শাহি ঘোষণার কারণ জানেন?  

    BJP National Executive: বিজেপির সভাপতি পদে বহাল রইলেন নাড্ডাই, শাহি ঘোষণার কারণ জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের জেপি নাড্ডার (JP Nadda) ওপরই ভরসা রাখল গেরুয়া শিবির। মঙ্গলবার ভারতীয় জনতা পার্টির জাতীয় সভাপতি হিসেবে বাড়ানো হল নাড্ডার মেয়াদ। আগামী বছর দেশে সাধারণ নির্বাচন। এই সময় পর্যন্ত নাড্ডাই থাকছেন বিজেপির সভাপতি। বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) ঘোষণা, ভারতীয় জনতা পার্টির জাতীয় সভাপতি হিসেবে জেপি নাড্ডার মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এদিন জাতীয় কর্মসমিতির (BJP National Executive) বৈঠকে শাহ বলেন, জেপি নাড্ডার নেতৃত্বে বিহারে আমাদের সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেট ছিল। এনডিএ মহারাষ্ট্রে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে, উত্তর প্রদেশে জিতেছে এবং পশ্চিমবঙ্গে আমাদের সংখ্যা বেড়ছে। তিনি বলেন, আমরা গুজরাটেও জয় পেয়েছি। নাড্ডার নেতৃত্বে ১২০টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপি জয়ী হয়েছে ৭৩টি আসনে।

    মোদিজির নেতৃত্বে…

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি নিশ্চিত যে মোদিজির নেতৃত্বে এবং নাড্ডাজির সঙ্গে আমরা ২০২৪ সালের নির্বাচনে ২০১৯ এর তুলনায় বেশি আসনে জিতব। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি তিন বছরের জন্য সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন নাড্ডা। এর পর এদিন ফের বাড়ানো হল তাঁর কার্যকালের মেয়াদ। এদিকে, চলতি বছর ৯টি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। এই ৯টি রাজ্যেই জিততে হবে বিজেপিকে। সোমবার বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির (BJP National Executive) বৈঠকে এই সুরই বেঁধে দিলেন বিজেপির সভাপতি জেপি নাড্ডা (BJP National Executive)। এদিনের বৈঠকে তিনি বলেন, এখন থেকেই ঝাঁপিয়ে পড়ুন বিধানসভা নির্বাচনের জন্য। ৯টি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনেই আমাদের জয়ী হতে হবে। এদিন পাশ হয়েছে রাজনৈতিক প্রস্তাব। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিশ্ব দরবারে ভারতের মুখ উজ্জ্বল হয়েছে বলে তাতে বলা হয়েছে। যদিও বিরোধীরা সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিরন্তর আক্রমণ করে চলেছেন, তা সত্ত্বেও।

    নাড্ডার নির্দেশ, দলের সব নেতানেত্রীকে কোমর বেঁধে নামতে হবে। যাতে ৯টি রাজ্যেই জয়ী হয় বিজেপি। তাহলে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে হ্যাটট্রিকের রাস্তা আরও মসৃণ হবে। নাড্ডা বলেন, বাইশে গুজরাটে যেভাবে বিপুল আসনে বিজেপি জয়ী হয়েছে, সেই মডেলে বাকি রাজ্যগুলিতে ভোট করাতে হবে কর্মীদের (BJP National Executive)। ঐতিহাসিক জয় চাই। প্রসঙ্গত, যে ৯টি রাজ্যে জয় চাইছেন বিজেপি নেতৃত্ব, সেই রাজ্যগুলির মধ্যে মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটক এবং ত্রিপুরায় বিজেপির সরকারই রয়েছে। নাগাল্যান্ড ও মেঘালয়ে রয়েছে জোট সরকার।

  • Recruitment Scam: নথি জাল করে বাবার স্কুলে চাকরি! ভূগোল শিক্ষকের কাণ্ডে সিআইডি ডাকল হাইকোর্ট

    Recruitment Scam: নথি জাল করে বাবার স্কুলে চাকরি! ভূগোল শিক্ষকের কাণ্ডে সিআইডি ডাকল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাবা একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক। পাশ করা এক শিক্ষকের সুপারিশপত্র জাল (Recruitment Scam) করে সেই স্কুলেই চাকরি করছিলেন ছেলে। এক আধ বছর নয়, টানা তিন বছর। শেষমেশ ফাঁস হল কেলেঙ্কারির পর্দা। বুধবার অনিমেষ তিওয়ারি নামের ওই শিক্ষকের স্কুলে ঢোকা ও বেতন বন্ধের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বেঞ্চে শুনানি ছিল মামলাটির। এই মামলার পরবর্তী শুনানিতে সিআইডির ডিআইজিকে উপস্থিত থাকার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।

    কেলেঙ্কারি…

    বছর তিনেক আগে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সুতির এক নম্বর ব্লকের গোথা এয়ার স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি পান ওই স্কুলেরই প্রধান শিক্ষকের ছেলে অনিমেষ। এতে সন্দেহ হয়ে অনেকেরই। দায়ের হয় মামলা। তথ্য জানার অধিকার আইনেও অনিমেষের নিয়োগ নিয়ে তথ্য জানতে চান অনেকে। তার পরেই জানা যায়, অনিমেষ ওই স্কুলে দীর্ঘ দিন ধরে চাকরি করলেও, জেলার স্কুল পরিদর্শকের কাছে তাঁর নামে কোনও নিয়োগপত্রই নেই। ভূগোলের শিক্ষক অনিমেষ ভূগোল বিষয়ে পরীক্ষাই দেননি (Recruitment Scam) বলে অভিযোগ। এদিন আদালতে মধ্য শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, মেধা তালিকায় নাম ছিল না অনিমেষের, কোনও সুপারিশও হয়নি তাঁর নামে। আসলে আতাউর রহমানের নামে সুপারিশ করা হয়েছিল বলে দাবি পর্ষদের। শুধু তাই নয়, অরবিন্দ মাইতি নামে অন্য এক চাকরি প্রার্থীর নিয়োগপত্র জাল করে অনিমেষ চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ।

    আরও পড়ুুন: পাখির চোখ পঞ্চায়েত নির্বাচন, বেকায়দায় পড়া তৃণমূলকে জব্দ করতে আসরে মিঠুন

    জানা গিয়েছে, প্রত্যেক নিয়োগপত্রের একটি মেমো নম্বর থাকে। অনিমেষের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সেই মেমো নম্বর এক রেখে নিজের নাম বদলে দেন নিয়োগপত্রে (Recruitment Scam)। সেই নকল মেমো নম্বরের নিয়োগপত্রেই ভূগোল শিক্ষক হিসেবে চাকরি পান গোথা এলাকায় স্কুলে। আরটিআইয়ের মাধ্যমে স্কুলের কাছে অনিমেষের ব্যাপারে তথ্য চাওয়া হলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানিয়ে দেন, অনিমেষ কর্মশিক্ষার শিক্ষক। অভিযোগ শুনে বিচারপতি বসু বলেন, দেখে অবাক হচ্ছি। এমন আর কত হয়েছে? হেড মাস্টার জানেন না, যাঁকে নিয়োগ করা হয়েছে, তিনি তথ্য বিকৃত করছেন কি না? তাহলে ছাত্রদের ভবিষ্যৎ কী?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • POK: ‘ভারতীয় ভূখণ্ডে যোগ দিতে প্রস্তুত’, বললেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নেতা

    POK: ‘ভারতীয় ভূখণ্ডে যোগ দিতে প্রস্তুত’, বললেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (POK) বাসিন্দারা ভারতীয় (India) ভূখণ্ডে যোগ দিতে প্রস্তুত। এই  উক্তি যিনি করেছেন, তিনি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নেতা আমজাদ আয়ুব মির্জা। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা। সেই প্রসঙ্গেই মঙ্গলবার একথা বলেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নেতা আমজাদ। বিদেশি ঋণের ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে পাকিস্তান (Pakistan)। দশা হয়েছে শ্রীলঙ্কার মতো। পাকিস্তানে বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার তলানিতে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া। এমতাবস্থায় পাকিস্তান পুড়ছে বাসিন্দাদের ক্ষোভের আগুনে। সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা। শাহবাজ শরিফের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন গিলগিট বাল্টিস্তানের বাসিন্দারা।

    মির্জা বলেন…

    মির্জা বলেন, দেশে খাদ্য সংকট তীব্র। খাবার সংগ্রহ করতে পথে নেমেছেন বাসিন্দারা। বাজারে অমিল আটা-গম-ময়দা। তিনি বলেন, পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে এক দিনে গমের মূল্য বেড়েছে ১২০০ টাকা। দেশবাসী ক্ষোভে ফুঁসছেন। সরকার ময়দার ডিপোগুলো তালা দিয়ে রেখেছে। সেখানে ময়দাও নেই। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের প্রায় প্রতিটি শহরে লোকজন সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন। সেই বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন ছাত্র, আইনজ্ঞ, নাগরিক সমাজ মায় মহিলারাও।

    জানা গিয়েছে, গত বেশ কয়েক দিন ধরে পাক সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন বাল্টিস্তানবাসী (POK)। গম সহ নানা খাদ্যশস্যের ওপর ভর্তুকির দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা। লোডশেডিং ও অবৈধভাবে জমি দখলের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন তাঁরা। পাকিস্তান সেনা অবৈধভাবে ওই এলাকার বিভিন্ন জায়গা দখল করছে বলেও অভিযোগ তাঁদের। পাক সেনা ও সরকারের বিরুদ্ধেই সরব হয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।

    মির্জা বলেন, পাকিস্তানের যুব সমাজ আওয়াজ তুলেছে ভাঙা সম্পর্ক (ভারতের সঙ্গে) জোড়া লাগাও। তাঁরা চাইছেন, ঋণের ফাঁদে পড়ে থাকা দেশ থেকে বেরিয়ে লাদাখ এবং জম্মু-কাশ্মীরের সঙ্গে যোগ দিতে। গিলগিট বাল্টিস্তানে বসানো হয়েছে খালসা সরকার ট্যাক্স। তার জেরেও আন্দোলন হয়েছে আরও তীব্র।

    আরও পড়ুুন: ভারতের আকাশে ফের পাক ড্রোন, গুলি করে নামাল বিএসএফ, উদ্ধার চিনের তৈরি অস্ত্র

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  •  Union Budget 2023: কমবে মধ্যবিত্তের বোঝা! আসন্ন বাজেটে বদল হবে কি কর-কাঠামোর?

     Union Budget 2023: কমবে মধ্যবিত্তের বোঝা! আসন্ন বাজেটে বদল হবে কি কর-কাঠামোর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করের (Tax) কাঠামোর বদল হতে পারে আসন্ন বাজেটে (Union Budget 2023)। আর্থিক বৃদ্ধির গতি ধরে রাখতে কয়েক বছর আগে কর্পোরেট সংস্থাগুলির কর কমিয়েছিল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সরকার। আসন্ন বাজেটেও ব্যক্তিগত আয়করও কিছুটা কমতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। ২০২৪ সালে রয়েছে লোকসভা নির্বাচন। চলতি বছর হওয়ার কথা ১০ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এবারই শেষবারের মতো পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করবে নরেন্দ্র মোদির সরকার। আগামী বছর যেহেতু দেশজুড়ে সাধারণ নির্বাচন, তাই সেবার পেশ হবে ভোট অন অ্যাকাউন্ট। তাই এবার বাড়ানো হতে পারে করমুক্ত আয়ের সীমা। বিভিন্ন ধারার অধীনে করছাড়ের মাত্রা বাড়তে পারে বলে অনেকের ধারণা। তবে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    আয়করের হার…

    এক সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আয়করের হার কমানোর বিষয়ে ভাবছে সরকার। তবে এ ব্যাপারে শেষ কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৪ সালে প্রথমবারের জন্য কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসে নরেন্দ্র মোদির সরকার। সেবারই শেষবারের মতো আয়করের স্ল্যাবে পরিবর্তন আনা হয়েছিল। তখনই আয়কর মকুবের সর্বোচ্চ সীমা ২ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২.৫ লক্ষ টাকা করা হয়েছিল। তাই এবার পুরানো কর কাঠামোয় (Union Budget 2023) পরিবর্তন আনা হতে পারে বলে আশায় বুক বাঁধছেন আয়করদাতারা।

    আরও পড়ুুন: বিদেশি চর! তথ্য পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার অর্থমন্ত্রকের অস্থায়ী কর্মী

    দিন কয়েক আগে এ ব্যাপারে ইঙ্গিত মিলেছিল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণের কথায়ও। তিনি বলেছিলেন, আমি নিজে মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্য। তাই মধ্যবিত্তের সমস্যাগুলি বুঝি। মোদি সরকার নতুন করে এই মধ্যবিত্ত শ্রেণির ওপর কোনও কর আরোপ করেনি। তিনি বলেছিলেন, এখনও ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়করে ছাড় দিয়ে রেখেছে সরকার। মধ্যবিত্তরা গণপরিবহণ সব চেয়ে বেশি ব্যবহার করে। তাই আমরা ২৭টি জায়গায় মেট্রো রেল নেটওয়ার্ক নিয়ে এসেছি। অনেক মধ্যবিত্ত মানুষ চাকরির সন্ধানে শহরে চলে যাচ্ছে। যার জন্য আমরাও স্মার্ট সিটির লক্ষ্যে ফোকাস করছি। মধ্যবিত্তের উন্নয়নে আমরা এই কাজ চালিয়ে যাব। প্রসঙ্গত, পুরানো কর কাঠামোয় কোনও পরিবর্তন করা না হলেও, ২০২০ সালে নয়া কর কাঠামো (Union Budget 2023) চালু করেছিল কেন্দ্র। তাতে বলা হয়েছিল, কোনও ব্যক্তির বার্ষিক আয় ২.৫ লক্ষ টাকার নীচে হলে তাঁকে আয়কর দিতে হবে না। ২.৫ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকার কম পর্যন্ত আয়ে কর দিতে হয় ৫ শতাংশ। আয়কর রিটার্ন দাখিল করলে কর বাবদ নেওয়া টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Burqa: ড্রেস কোড না মেনে বোরখা পরে হিন্দু কলেজে! ঢুকতেই দিলেন না কর্তৃপক্ষ

    Burqa: ড্রেস কোড না মেনে বোরখা পরে হিন্দু কলেজে! ঢুকতেই দিলেন না কর্তৃপক্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলেজে রয়েছে ড্রেস কোড (Dress Code)। তা লঙ্ঘন করেই বোরখা (Burqa) পরে কলেজে এসেছিলেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কয়েকজন ছাত্রী। স্বাভাবিকভাবেই কলেজে ঢুকতে বাধা পান ওই পড়ুয়ারা। কলেজ গেটে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরাই তাঁদের বাধা দেন। উত্তর প্রদেশের মোরদাবাদের (Moradabad) হিন্দু কলেজের ঘটনা। বোরখা পরিহিত ওই ছাত্রীদের অভিযোগ, বোরখা পরে আসার কারণে কলেজে ঢুকতে দেওয়া হয়নি তাঁদের। কলেজের গেটেই বোরখা খুলতে বাধ্য করা হয় তাঁদের। এনিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমাজবাদী ছাত্রসভার কর্মীদের বাদানুবাদ শুরু হয়ে যায়। কলেজ কর্তৃপক্ষ ড্রেস কোড পরে কলেজে আসার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে অনড় থাকেন। ওই কলেজের অধ্যাপক এপি সিং বলেন, কলেজের পড়ুয়াদের জন্য ড্রেস কোড চালু হয়েছে। সেই ড্রেস কোড কেউ না মানলে তাকে কলেজে ঢুকতে দেওয়া হবে না। পরে সমাজবাদী ছাত্র সভার তরফে কলেজ কর্তৃপক্ষকে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়, ড্রেস কোডের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে বোরখাকেও (Burqa)।

    হিজাব বিতর্ক…

    ২০২২ সালের জানুয়ারিতে প্রায় একই ঘটনা ঘটেছিল কর্নাটকে। উদুপির একটি সরকারি মহিলা কলেজে হিজাব (Hijab) পরে এসেছিলেন কয়েকজন ছাত্রী। তাঁদেরও ক্লাসে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এনিয়ে শুরু হয় ব্যাপক বিক্ষোভ। যদিও সেক্ষেত্রেও হিজাব পরিহিত ছাত্রীদের কাছে নতি স্বীকার করেননি কলেজ কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার পরে পরেই বিজয়পুরার একটি কলেজে গেরুয়া উত্তরীয় পরে আসেন কয়েকজন পড়ুয়া। একইভাবে তাঁদেরও কলেজে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পড়ুয়াদের সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, কলেজে আসতে হবে ড্রেস কোড মেনেই। এর পরেই ওই রাজ্যের প্রি-ইউনিভার্সিটি এডুকেশন বোর্ড রীতিমতো সার্কুলার জারি করে জানিয়ে দেয়, নির্দিষ্ট ড্রেস কোড পরেই আসতে হবে স্কুল-কলেজে।

    আরও পড়ুুন: সিএএ লাগু হলে কাউকে দেশছাড়া করা হবে না, আশ্বাস সুকান্ত, মিঠুনের

    শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনও ধর্মীয় আচরণও করা যাবে না। বিতর্কের রেশ গড়ায় কর্নাটক হাইকোর্ট পর্যন্ত। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাবে নিষেধাজ্ঞার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হয় একাধিক পিটিশন। হাইকোর্ট সাফ জানিয়ে দেয়, হিজাব ইসলামে বাধ্যতামূলক নয়। হিজাব কখনও বাধ্যতামূলক নয়। কোরানে উল্লেখ থাকলেই যে সেই প্রথা জরুরি হবে এমন নয়। ইসলামিক দেশগুলিতেই হিজাব পরা নিয়ে প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন মেয়েরা। ইরানের রাজপথে হিজাব না পরার পক্ষে সওয়াল করেছেন সেখানকার স্বাধীনচেতা মেয়েরা। সুপ্রিম কোর্টে কর্নাটক হাইকোর্টের রায়ের পক্ষে সওয়াল করে একথাই জানিয়েছিলেন আইনজীবী তুষার মেহতা। ভারতের সলিসিটর জেনারেল তথা কর্নাটক সরকারের আইনজীবী তুষার মেহতা জানিয়েছিলেন, দেশে হিজাব-বিতর্ক তৈরি করা পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার চক্রান্ত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • Suvendu Adhikari: মিড-ডে মিলের টাকায় জেলা সফর মুখ্যমন্ত্রীর! কীভাবে? নথি প্রকাশ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: মিড-ডে মিলের টাকায় জেলা সফর মুখ্যমন্ত্রীর! কীভাবে? নথি প্রকাশ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিড-ডে মিলের (Mid Day Meal) টাকায় জেলা সফর করে বেড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অন্তত এমনই অভিযোগ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। এক আগে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে খরচ করা হচ্ছে অভিযোগ তুলেছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এবার তাঁর অভিযোগ, মিড-ডে মিলের জন্য কেন্দ্র যে টাকা বরাদ্দ করে, সেই টাকা খরচ হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরে। গত শনিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের উপলক্ষে বারাকপুরে সাংগঠনিক জেলার অঞ্চল সম্মেলন করেন শুভেন্দু অধিকারী। সম্মেলন শেষে তিনি বলেন, দু’বছর করোনা পর্বে সাড়ে ৯ কোটি কেজির চাল ও স্যানিটাইজার, মাস্ক কেনার ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। মিড ডে মিলের অ্যাকাউন্টের টাকা ভারত সরকারের। এই টাকা পড়ে থাকলে সুদ হয়। সেই সুদের টাকায় দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে আরও বিভিন্ন কর্মসূচি চালাচ্ছে রাজ্য সরকার।

    ট্যুইট-বাণ…

    ফের একবার ট্যুইট-বাণে রাজ্য সরকারকে বিদ্ধ করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। একটি ট্যুইটে তিনি লেখেন, স্কুল পড়ুয়াদের খাবারের টাকা খরচ হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরে। গত নভেম্বরে উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ সফরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মিড-ডে মিলের লক্ষ লক্ষ টাকা সেই সফরে খরচ করা হয়েছে। এসসি, এসটি এবং ওবিসি ডেভেলপমেন্টের টাকাও নষ্ট করা হয়েছে ওই সফরে।

    অন্য একটি ট্যুইটে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। প্রশাসনিক ভিজিটের (যা আসলে রাজনৈতিক সফর) নামে যে টাকা খরচ করা হচ্ছে, তা মিড-ডে মিলের, এসসি, এসটি এবং ওবিসি ডেভেলপমেন্ট ফাইনান্স কর্পোরেশন, সিভিল ডিফেন্স মায় এমপি ল্যাডের।

    নন্দীগ্রামের বিধায়কের (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, গত কয়েক বছর ধরে যে রাজনৈতিক ইভেন্টগুলো হচ্ছে, তাতে সঙ্গত করে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। প্রশাসনিক বৈঠকে তাঁরা যে খয়রাতির দ্রব্য হাতে তুলে দিচ্ছেন, তা হচ্ছে মিড-ডে মিলের টাকায়। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার মতে, এটা অর্থনৈতিক অপরাধ, তদন্তের প্রয়োজন।

    শুভেন্দুর দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর দু দিনের ওই সফরে খরচ হয়েছে ১.৩৫ কোটি টাকা। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং তার ওপরতলা থেকে বিডিও পর্যন্ত আধিকারিকরা অনৈতিকভাবে ফান্ড ডাইভার্ট করে চলেছেন। মিড-ডে মিলের টাকা চুরি কল্পনাও করা যাবে না। সেই কারণেই মিড-ডে মিলে মিলছে সাপ, টিকটিকি।

    মধ্য-এপ্রিলে হতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে শুভেন্দুর এই ট্যুইট-বাণ তৃণমূলকে বেকায়দায় ফেলবে বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। 

    আরও পড়ুুন: ড্রেস কোড না মেনে বোরখা পরে হিন্দু কলেজে! ঢুকতেই দিলেন না কর্তৃপক্ষ

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • JP Nadda: দ্বিতীয়বার দায়িত্ব নিয়েই বঙ্গ সফরে নাড্ডা, জেনে নিন কর্মসূচি   

    JP Nadda: দ্বিতীয়বার দায়িত্ব নিয়েই বঙ্গ সফরে নাড্ডা, জেনে নিন কর্মসূচি   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর নেতৃত্বেই আস্থা রেখেছেন  অমিত শাহ (Amit Shah)। তাঁর পারফরমেন্সে খুশি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (PM Modi)। সেই কারণে মঙ্গলবারই সভাপতি পদে মেয়াদ বৃদ্ধি হয়েছে জেপি নাড্ডার (JP Nadda)। দ্বিতীয়বারের জন্য দলের দায়িত্ব পেয়েই বঙ্গ সফরে আসছেন বাংলার জামাই জেপি নাড্ডা। দলের সর্বভারতীয় সভাপতিকে অভ্যর্থনা জানাতে প্রস্তুত বিজেপির বঙ্গ বাহিনী।

    কর্মসূচি…

    বুধবার রাতে কলকাতা বিমানবন্দরে নামছেন জেপি নাড্ডা। তাঁকে স্বাগত জানাতে যাবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। সেখান থেকে তিনি যাবেন নিউটাউনের একটি হোটেলে। বৃহস্পতিবার তাঁকে সংবর্ধনা দেবে বঙ্গ বিজেপি। পরে নাড্ডা (JP Nadda) যাবেন নদিয়ায়। ইসকন মন্দিরে পুজো দেবেন তিনি। এদিন বেলা ১২টায় বেথুয়াডহরি জুনিয়র ইস্টবেঙ্গল ময়দানে প্রকাশ্য জনসভায় অংশ নেবেন তিনি। সেই সভায় বঙ্গ বিজেপির সমস্ত পদাধিকারীকে হাজির থাকতে বলা হয়েছে। বিজেপি সূত্রে খবর, নাকাশিপাড়ায়ই কোথাও দলের পদাধিকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন নাড্ডা। তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদের অনুমোদন সাপেক্ষে সেই বৈঠক হতে পারে নদিয়ারই কোনও দলীয় দফতরে। সেখানেই সংগঠন ও রণকৌশল নিয়ে রাজ্য নেতৃত্বকে বার্তা দেওয়ার কথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির।

    আরও পড়ুুন: ‘‘মোদি এলেই জিতব এটা ভাববেন না, সংগঠনে জোর দিন’’, বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা মোদির

    প্রথমে ঠিক ছিল, ১৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার এ রাজ্যে দুটি সভা করবেন নাড্ডা (JP Nadda)। একটি সভা হওয়ার কথা ছিল হুগলির আরামবাগে, অন্যটি কৃষ্ণনগর লোকসভার কোনও একটি জায়গায়। আবহাওয়ার কারণে সেই কর্মসূচি কেটেছেঁটে করা হয়েছে একটি। পরে জানা যায়, কৃষ্ণনগর লোকসভার অন্তর্গত নাকাশিপাড়ায়ই সভা করবেন নাড্ডা। দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। মধ্য এপ্রিলে হতে পারে এই নির্বাচন। ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজ্যের প্রায় সব রাজনৈতিক দলই। নানা কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোয় ব্যাকফুটে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। অ্যাডভান্টেজ বিজেপি। সেই সুযোগটাই কাজে লাগাতে চাইছে কেন্দ্রের শাসক দল। গেরুয়া শিবিরের লক্ষ্য হল, বুথ স্তরে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি। এটা করতে পারলে একদিকে যেমন লাভ হবে পঞ্চায়েত ভোটে, তেমনি সারা হয়ে থাকবে লোকসভা নির্বাচনের সলতে পাকানোর কাজটিও। এদিনের সভায় বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে সেই বার্তাই নাড্ডা দিতে পারেন বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। এদিকে, বুধবারই কলকাতায় আসার কথা সুনীল বনশলের। আসছেন মঙ্গল পাণ্ডে, আশা লাকড়ারাও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Mithun Chakraborty: পাখির চোখ পঞ্চায়েত নির্বাচন, বেকায়দায় পড়া তৃণমূলকে জব্দ করতে আসরে মিঠুন

    Mithun Chakraborty: পাখির চোখ পঞ্চায়েত নির্বাচন, বেকায়দায় পড়া তৃণমূলকে জব্দ করতে আসরে মিঠুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালির চোখে এখনও তিনি সুপার স্টার। সম্প্রতি প্রজাপতি সিনেমাও নানা কারণে মাইলেজ দিয়েছে তাঁকে। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ তাঁর সমালোচনায় মুখর হয়েছেন। তবে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁর সহ অভিনেতা তথা শাসক দলের নেতা অভিনেতা দেব (Deb)। এহেন মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty) জনপ্রিয়তাকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে অন্যতম হাতিয়ার করতে চাইছে পদ্ম শিবির (BJP)। ইতিমধ্যেই গ্রাম বাংলায় একপ্রস্ত প্রচার করে ফেলেছেন মিঠুন। আজ, বুধবার থেকে দ্বিতীয় দফার প্রচারে নামবেন তিনি। এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে জনসভা করবেন মহাগুরু। মিঠুনের সঙ্গে থাকবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল সহ অন্য নেতৃবৃন্দ। এদিন এলাকায় প্রতিবাদ মিছিলেও অংশ নেবেন ‘অন্যায় অবিচারে’র নায়ক। পরে যোগ দেবেন ওই জেলারই দলের সাংগঠনিক বৈঠকে। কারণ মিঠন দলের ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্যও বটে।

    পঞ্চায়েত নির্বাচন…

    দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষের পরে পরেই হতে পারে এই নির্বাচন। নানা কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ায় এবার রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল বেশ খানিকটা ব্যাকফুটে। তাই এখনই শক্তি বাড়িয়ে নেওয়ার সময়। রাজনৈতিক মহলের মতে, শাসক দল ব্যাকফুটে চলে যাওয়ায় অ্যাডভান্টেজ বিজেপি। এর সঙ্গে ‘মহাগুরু’র ((Mithun Chakraborty)) ইমেজ যোগ হলে বিজেপির জয় হবে অনায়াস। আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে যা পদ্ম শিবিরকে বাড়তি মাইলেজ দেবে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    আরও পড়ুুন: ভোটের আশা না করেই মুসলিমদের সঙ্গেও যোগাযোগ বাড়ান! বিজেপি কর্মীদের বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    এই লক্ষ্যেই গত নভেম্বর মাসের আগেও জনসংযোগের লক্ষ্যে মিঠুনকে প্রচারের কাজে লাগিয়েছে বিজেপি। গত ২৩ নভেম্বর থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত মিঠুন দক্ষিণবঙ্গে একাধিক সভা করেছেন। বিজেপির সেই সভাগুলিতে ভিড় ছিল উপচে পড়ার মতো। বিজেপির সভায় ভিড় দেখে চোখ কপালে ওঠে তৃণমূলের। তার পরেই প্রজাপতি সিনেমা নিয়ে তীব্র আক্রমণ শানান তৃণমূল নেতৃত্ব। যার জবাব দিয়েছেন মিঠুনও। বিজেপি সূত্রের খবর, বুধবার বাসন্তীর পর জেলায় জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারের কাজেও লাগানো হবে মিঠুনকে। দিন দুয়েক আগে বঙ্গ বিজেপির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বাংলায় বিজেপি নেতাকর্মীরা যেভাবে লড়ছেন, তাকে উৎসাহিত করেছেন তিনি। বলেছেন, লড়াই চলবে। সেই লড়াইয়ের লক্ষ্যেই কোমর কষে মাঠে নেমে পড়েছেন বিজেপির বঙ্গ বাহিনী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

LinkedIn
Share