Tag: Bengali news

Bengali news

  • Project Vartak: চিনকে চাপে রাখতে অরুণাচল সীমান্তে পরিকাঠামো গড়ছে ভারত!

    Project Vartak: চিনকে চাপে রাখতে অরুণাচল সীমান্তে পরিকাঠামো গড়ছে ভারত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্তে চোখ রাঙাচ্ছে লাল ফৌজ। মাঝে মধ্যেই চেষ্টা চালাচ্ছে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ার। অরুণাচল প্রদেশে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছেই চিন(China) পরিকাঠামোও গড়ে তুলেছে বলে খবর। এসবেরই জবাব দিতে ফের একবার আস্তিন গোটাচ্ছে ভারতীয় সেনা। লাল ফৌজকে যোগ্য জবাব দিতে অরুণাচল প্রদেশে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পরিকাঠামো গড়ছে ভারতও (India)। তাওয়াংয়ের ঘটনার পর এবার এ ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে প্রজেক্ট ভারটক (Project Vartak)। এই প্রজেক্টের চিফ ইঞ্জিনিয়র ব্রিগেডিয়ার রামন কুমার সংবাদ মাধ্যমকে জানান বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন রাস্তার উন্নয়ন করছে, সংস্কার করা হচ্ছে রাস্তাঘাট। পশ্চিম অসম এবং পশ্চিম অরুণাচল প্রদেশে ইতিমধ্যেই এ কাজ শুরু হয়েছে।

    রামন কুমার বলেন…

    প্রজেক্টের চিফ ইঞ্জিনিয়র ব্রিগেডিয়ার রামন কুমার বলেন, আমাদের ন্যাশনাল হাইওয়ে রয়েছে, সিঙ্গল লেন রোডস, ডাবল লেন রোডস এবং অন্যান্য ধরনের রাস্তা আছে। আমরা তাওয়াং জেলার প্রত্যন্ত এলাকার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে চাই। এলাকার আর্থ-সামাজিক পরিকাঠামোর উন্নয়নও করতে চাই আমরা। তিনি জানান, দুটি টানেলের কাজও চলছে। একটি হল সেলা টানেল, অন্যটি নেচিপু টানেল। শীতকালে বরফ পড়ে। তখন যাতায়াতে সমস্যা হয়। সেই সমস্যার সমাধান করতেই তৈরি করা হচ্ছে দুটি টানেল। তিনি বলেন, সেলা টানেলের কাজ চলছে। এটি সেলা পাসের চারশো মিটার নীচে। টানেলের কাজ শেষ হয়ে গেলে এই এলাকার লোকজন শীতকালে বরফ পড়ার সময়ও অনায়াসে একস্থান থেকে অন্যত্র যাতায়াত করতে পারবেন টানেলের মাধ্যমে।

    আরও পড়ুন: ফের একবার প্রধানমন্ত্রীর মুখোমুখি হতে পারেন মমতা, কেন জানেন?

    চিফ ইঞ্জিনিয়র ব্রিগেডিয়ার রামন কুমার বলেন, আমরা নেচিপু টানেলেও কাজ করছি। এটা নেচিপু পাসের কাছেই। টানেল দুটির নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে সেনার পাশাপাশি সাধারণ যানবাহনও চলাচল করতে পারবে। টানেলের মাধ্যমে যাতায়াত হবে অনায়াস। তিন বলেন, এটা যে কেবল সেনা এবং এলাকাবাসীর উপকারে লাগবে তা নয়, উন্নত হবে এলাকার পর্যটন শিল্পও। রাস্তার পরিকাঠোমা উন্নয়নের পাশাপাশি প্রত্যন্ত এলাকায়ও যাতে মোবাইল কানেকটিভিটি মেলে, সেজন্য তাওয়াং এবং সীমান্তের অন্যত্র বসানো হচ্ছে মোবাইল টাওয়ারও। প্রসঙ্গত, ডিসেম্বরের ৯ তারিখে তাওয়াংয়ে হাতাহাতি হয় ভারতীয় সেনা ও লাল ফৌজের।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Sushil Modi: ‘সমলিঙ্গে বিয়ে সামাজিক বন্ধন ছিন্ন করবে’, সুশীল মোদি

    Sushil Modi: ‘সমলিঙ্গে বিয়ে সামাজিক বন্ধন ছিন্ন করবে’, সুশীল মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমলিঙ্গে বিয়ে (Same Sex Marriage) সামাজিক বন্ধন ছিন্ন করবে। সোমবার জিরো আওয়ারে এ কথা বলেন বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি (BJP) নেতা সুশীল মোদি (Sushil Modi)। তাঁর মতে, তথাকথিত কিছু উদারপন্থী এ বিষয়ে অন্ধভাবে পশ্চিমী সংস্কৃতি অনুকরণ করতে চাইছে। এদিন সংসদে সমলিঙ্গে বিয়ের আইনি স্বীকৃতির বিরোধিতা করেন তিনি। তাঁর দাবি, ভারতীয় সামাজিক মূল্যবোধ সমলিঙ্গ বিয়ে অনুমোদন করে না। এদিন বিচার বিভাগের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, মাত্র দুজন বিচারপতি মিলে এমন গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না।

    সুশীল মোদি বলেন…

    সুশীল মোদি বলেন, যদিও দেশে এই ধরনের সম্পর্ক স্থাপন হচ্ছে, তবে বিয়ে এখনও একটি পবিত্র প্রতিষ্ঠান। তাই সমলিঙ্গের নারী-পুরুষ এক সঙ্গে বসবাস করছেন সেটা এক জিনিস, আর তাঁদের বিয়েকে আইনি স্বকৃতি দেওয়া অন্য জিনিস। ওই বিয়েকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া যায় না।

    সম্প্রতি সমলিঙ্গে বিয়ের আইনি অধিকার প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের মত জানতে চেয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। তারই প্রেক্ষিতে সোমবার সংসদে এই মন্তব্য করেন বিজেপির সুশীল মোদি (Sushil Modi)। প্রসঙ্গত, বছর দুয়েক আগে একটি জনস্বার্থ মামলার জেরে সমলিঙ্গের বিয়েকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া নিয়ে কেন্দ্রের মত জানতে চেয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট। সেই সময় সলিসটির জেনারেল তুষার মেহতা আদালতকে জানিয়েছিলেন, ১৯৫৬ সালের হিন্দু বিবাহ আইনের আওতায় সমলিঙ্গের বিয়েকে নথিবদ্ধকররণের আইনি অনুমোদন দেওয়ার প্রস্তাবে কেন্দ্রের সম্মতি নেই।

    আরও পড়ুন: ফের একবার প্রধানমন্ত্রীর মুখোমুখি হতে পারেন মমতা, কেন জানেন?

    ২০১৮ সালে সমকামিতাকে আইনি অপরাধের তালিকা থেকে বাদ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। দেশের শীর্ষ আদালতের ঐতিহাসিক সেই রায়কে  স্বাগত জানিয়েছিল কংগ্রেস সহ বিভিন্ন দল। সেই সময় চুপ করেছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। ব্রিটিশ আমলে তৈরি ১৮৬১ সালের ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ নম্বর ধারায় সমকামী যৌন সম্পর্ককে অপরাধের তকমা দেওয়া হয়েছিল।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter 

  • Anubrata Mondal: সাত দিনের পুলিশি হেফাজত অনুব্রতর, আটকে গেল দিল্লি যাত্রা, বৈঠকে ইডি

    Anubrata Mondal: সাত দিনের পুলিশি হেফাজত অনুব্রতর, আটকে গেল দিল্লি যাত্রা, বৈঠকে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাত দিনের পুলিশি হেফাজত তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)। আপাতত তাঁর ঠাঁই হয়েছে দুবরাজপুর থানায়। তার জেরে এখনই দিল্লি নিয়ে যাওয়া সম্ভব হল না অনুব্রতকে। হাই প্রোফাইল বন্দি অনুব্রতকে রাখার জন্য কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে থানা চত্বরে। অনুব্রতর নিরাপত্তায় যাতে কোনও খামতি না হয়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য মঙ্গলবার আদালতে আর্জি জানান সরকারি আইনজীবী। ইতিমধ্যেই অনুব্রতকে আদালত থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে দুবরাজপুর থানায়।

    গরু পাচার মামলা…

    গরু পাচার মামলায় তদন্ত করছে ইডি (ED)। সোমবারই ওই মামলায় অনুব্রতকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করার অনুমতি পেয়েছে ইডি। এ বিষয়ে শনিবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে শুনানি হয়েছিল। অনুব্রতকে দিল্লিতে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আদালতের কাছে অনুমতি চেয়েছিল ইডি। সোমবার আদালত সেই রায় ঘোষণা করে জানায়, প্রয়োজনে অনুব্রতকে দিল্লিতে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি।

    আরও পড়ুন: ফের একবার প্রধানমন্ত্রীর মুখোমুখি হতে পারেন মমতা, কেন জানেন?

    দিল্লির আদালতের সেই নির্দেশের কপি ইডির হাতে আসার আগে মঙ্গলবার সকালে আসানসোল জেল থেকে বের করে অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) দুবরাজপুর আদালতে পেশ করে পুলিশ। তৃণমূল কর্মী শিবঠাকুর মণ্ডল তাঁর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল পার্টি অফিসে তাঁকে গলা টিপে মারার চেষ্টা করা হয়। তিনি অন্য দলে যোগ দিতে চেয়েছিলেন বলেই এটা করা হয়েছিল। অনুব্রতর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় খুনের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়। পুলিশ ১৪ দিনের জন্য অনুব্রতকে হেফাজতে চাইলেও, সাত দিনের জন্য তাঁকে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। দুবরাজপুর আদালতের বিচারক অনুব্রতকে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়ায় তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধার মুখে পড়ল ইডি। সূত্রের খবর, এমতাবস্থায় কী করা যায়, তা নিয়ে বৈঠকে বসছে ইডি।

    অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দিল্লি যাত্রা রুখতেই পুলিশের এই তৎপরতা বলে অভিযোগ বিরোধীদের। এদিন আদালতের তোলা হলে অনুব্রতর জামিনের জন্য কেউ আবেদন করেননি। আইনজীবীদের একাংশও মনে করছেন, পুলিশের এই অতি সক্রিয়তার বিষয়টি উচ্চ আদালতও ভবিষ্যতে ভালভাবে নেবে না। আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমরা সবাই জানি যে রাউস অ্যাভেনিউ কোর্ট অনুব্রত মণ্ডলকে নির্দেশ দিয়েছে। হয়তো সাতদিন পুলিশ হেফাজত পাওয়ার জন্য ইডি ওঁকে দিল্লি নিয়ে যেতে পারল না। কিন্তু পরে এই বিষয়টিই না ওঁর কাল হয়ে দাঁড়ায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Hanskhali Rape Compensation: কাজ হল হাইকোর্টের ভর্ৎসনায়, হাঁসখালিকাণ্ডে মিলল ক্ষতিপূরণ

    Hanskhali Rape Compensation: কাজ হল হাইকোর্টের ভর্ৎসনায়, হাঁসখালিকাণ্ডে মিলল ক্ষতিপূরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাজ হল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ভর্ৎসনায়। নদিয়ার হাঁসখালিকাণ্ডে (Hanskhali Rape Compensation) নির্যাতিতার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হল ৫ লক্ষ টাকা। মঙ্গলবার আদালতকে এ কথা জানিয়েছে লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটি। এদিন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির এজলাসে তারা জানিয়েছে, সোমবারই ক্ষতিপূরণ বাবদ হাঁসখালির ওই পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা দিয়েছে তারা। প্রসঙ্গত, ক্ষতিপূরণের টাকা না দেওয়ায় সোমবার লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটিকে ভর্ৎসনা করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই মিলল ক্ষতিপূরণ।

    হাঁসখালি…

    হাঁসখালিতে এক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের মামলায় পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের (Hanskhali Rape Compensation) নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। কিন্তু ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিয়ে টালবাহানা করায় বিরক্ত হন প্রধান বিচারপতি। নির্দেশ দেওয়ার পরেও কেন নূন্যতম ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। মামলা পিছিয়ে দিতে সময় নেওয়ায় লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটির ভূমিকায় বিরক্তি প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন প্রধান বিচারপতি লিল্যাল সার্ভিসেস অথরিটির আইনজীবীকে বলেন, লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটিকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। কিছু অস্পষ্ট শব্দ বলে ব্যাপারটা আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে। তিনি বলেন, আপনাদের জন্য কত মানুষ ভুগছে। এত গুরুত্বপূর্ণ মামলায় কেন আপনারা ইনস্ট্রাকশন না নিয়ে আসেন? দায়সারাভাবে কাজ হয় না। তাঁর প্রশ্ন, যেখানে নির্দিষ্ট স্কিম রয়েছে, সেখানে আবার আলাদা ইনস্ট্রাকশনের দরকার কী আছে?

    আরও পড়ুন: ‘সমলিঙ্গে বিয়ে সামাজিক বন্ধন ছিন্ন করবে’, সুশীল মোদি

    প্রসঙ্গত, হাঁসখালিতে তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে মৃতের পরিবারকে এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট প্রকল্পের আওতায় ক্ষতিপূরণ (Hanskhali Rape Compensation) দেয়নি রাজ্য সরকার। এই ইস্যুতে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে। অথচ ন্যূনতম ক্ষতিপূরণ দেওয়া দূরে থাক, শুনানির দিন দীর্ঘায়িত করার আবেদন করে লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটি। তাই বিরক্তি প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এদিকে, অন্য একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে, যেখানে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছিল। সেই মামলার শুনানি হবে নতুন বছরের ৩০ জানুয়ারি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter 

  • PM Modi: ফের একবার প্রধানমন্ত্রীর মুখোমুখি হতে পারেন মমতা, কেন জানেন?

    PM Modi: ফের একবার প্রধানমন্ত্রীর মুখোমুখি হতে পারেন মমতা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি দীর্ঘদিন সচেতনভাবে এড়িয়ে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi)। তবে সম্প্রতি জি ২০ (G20) প্রস্তুতি বৈঠকে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। তারপর এবার বছর শেষে ফের একবার প্রধানমন্ত্রীর মুখোমুখি হতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। চলতি বছরের ৩০ ডিসেম্বর কলকাতায় হতে চলেছে জাতীয় গঙ্গা পরিষদের বৈঠক। ওই বৈঠকে যোগ দিতে কলকাতায় আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি ওই পরিষদের সভাপতি। সেখানেই ফের একবার মুখোমুখি হতে পারেন মোদি-মমতা। জাতীয় গঙ্গা পরিষদের সদস্য হিসেবে ওই বৈঠকে থাকতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

    গঙ্গা পরিষদ…

    গঙ্গা পরিষদের সদস্য কেন্দ্রের প্রায় ১০টি মন্ত্রক। এছাড়া যে রাজ্যগুলির ওপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে গঙ্গা, তারাও ওই পরিষদের সদস্য। রাজ্যগুলির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও রয়েছে উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, ঝাড়খণ্ড ও বিহার। ৩০ তারিখে উচ্চ পর্যায়ের ওই বৈঠকের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে নবান্ন। ওই দিন সারাদিন ধরে নানা কর্মসূচি পালিত হওয়ার কথা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) উপস্থিতিতে আলোচনা যেমন হবে, তেমনি হতে পারে গঙ্গাবক্ষে ক্রুজভ্রমণও। প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৯ সালে শেষবার গঙ্গা পরিষদের বৈঠক হয়েছিল উত্তর প্রদেশের কানপুরে। ওই বৈঠকে যোগ দেননি মমতা। অনুপস্থিত ছিল ঝাড়খণ্ডও। তবে এবার সম্ভবত ফের একবার মুখোমুখি হতে চলেছেন মোদি-মমতা।

    আরও পড়ুন: আজ শাহী দরবারে শুভেন্দু, সুকান্তরা! দেখা হতে পারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গেও

    দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে রাজ্যকে টাকা দেওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ওই টাকা পেতে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন মমতা। তার পরে জট কাটে। কিছু প্রকল্পের বরাদ্দ রাজ্যকে দেয় কেন্দ্র। এর পর দিল্লিতে হয় জি ২০-র প্রস্তুতি বৈঠক। সেই বৈঠকেও হাজির হন মমতা। সেখানেও মোদির সঙ্গে মুখোমুখি হন তিনি। সম্প্রতি কলকাতায় এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পূ্র্বাঞ্চলীয় পরিষদের বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। দীর্ঘ দিন পরে এই বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে নবান্নের চোদ্দতলায় হয় একান্তে বৈঠক। তখনও বকেয়া বরাদ্দের প্রসঙ্গ তোলেন মমতা। এবার ফের প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) মুখোমুখি হচ্ছেন তিনি। এখন দেখার, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মমতার একান্তে বৈঠক হয় কিনা!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Nuclear Threat: ভারতের বিরুদ্ধে পরমাণু যুদ্ধের হুমকি পাক মন্ত্রীর, জানুন কারণ

    Nuclear Threat: ভারতের বিরুদ্ধে পরমাণু যুদ্ধের হুমকি পাক মন্ত্রীর, জানুন কারণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের বিরুদ্ধে পরমাণু যুদ্ধের হুমকি (Nuclear Threat) পাকিস্তানের মন্ত্রীর! দিন কয়েক আগে ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে(PM Modi) নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (PPP) নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তিনি ওই মন্তব্য করেছিলেন। এবার তাঁরই দলের এক নেত্রী শাজিয়া মারি দিলেন পরমাণু যুদ্ধের (Nuclear Threat) হুমকি। বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির মন্তব্যের সমর্থনে আয়োজিত এক সভায় পাকিস্তানের মন্ত্রী শাজিয়া মারি বলেন, ভারতের ভুলে গেলে চলবে না যে পাকিস্তানের কাছেও পরমাণু বোমা আছে। চুপ করে বসে থাকার জন্য আমরা পরমাণু বোমা বানাইনি। প্রয়োজনে আমরা পিছপা হব না। 

    নেপথ্য কাহিনি…

    রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আলোচনায় যোগ দেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেই সময় তিনি পাকিস্তানকে সন্ত্রাসের এপিসেন্টার বলে অভিহিত করেন। আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, যে দেশ ওসামা বিন লাদেন ও পড়শি দেশের সংসদে হামলাকারীদের আশ্রয় দেয়, অন্যদের উপদেশ দেওয়ার বিশ্বাসযোগ্যতাই তাদের নেই। এর পরেই বক্তৃতা দিতে উঠে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি নিশানা করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। তিনি বলেন, ওসামা বিন লাদেন মারা গিয়েছেন। কিন্তু গুজরাটের কসাই বেঁচে আছেন। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: অগ্নি-৫ এর পাল্লা বাড়িয়ে করা যেতে পারে ৭ হাজার কিমি!

    বিলাওয়ালের এহেন মন্তব্যের জেরে কড়া প্রতিক্রিয়া দেয় ভারত। পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর এই মন্তব্য পাকিস্তানের হীনমন্যতার পরিচায়ক বলে মন্তব্য করে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। বিলাওয়ালের মন্তব্যের প্রতিবাদে শুক্রবার দিল্লিতে পাক দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। শনিবার দেশের সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন পদ্ম নেতৃত্ব। পাকিস্তান ও বিলাওয়ালের কুশপুতুলও দাহ করে বিজেপি। পাক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, বিলাবল ভুট্টো জারদারির মন্তব্যের সমর্থনে বলতে গিয়েই পরমাণু যুদ্ধের প্রসঙ্গ টানেন তাঁরই দল পিপিপির নেত্রী শাজিয়া। শাজিয়া কিংবা তাঁর দলের নেতা বিলাওয়ালের ‘অভব্য’ মন্তব্য তাঁদের দেশের মানসিকতারই পরিচায়ক বলে মনে করেন সিংহভাগ ভারতবাসী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Rajasthan Crime: রাজস্থানে শ্রদ্ধা কাণ্ডের ছায়া! কাকিমাকে খুন করে ১০ টুকরো করলেন যুবক

    Rajasthan Crime: রাজস্থানে শ্রদ্ধা কাণ্ডের ছায়া! কাকিমাকে খুন করে ১০ টুকরো করলেন যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের শ্রদ্ধা ওয়াকারকাণ্ডের ছায়া! ঘটনাস্থল এবার দিল্লি (Delhi) নয়, রাজস্থান (Rajasthan Crime)। অভিযোগ, কাকিমাকে কেটে ১০ টুকরো করলেন এক যুবক। পরে দেহাংশগুলিকে ছুড়ে দেন হাইওয়ের (Highway) পাশে। তদন্তে নেমে বছর বত্রিশের অভিযুক্ত যুবক অনুজ শর্মাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    ঘটনার নেপথ্যে…

    পুলিশ সূত্রে খবর, বাবা ও বোনের সঙ্গে জয়পুরের বিদ্যাধর নগরে থাকতেন অনুজ। করোনার সময় স্বামী মারা যাওয়ায় তাঁর কাকিমাও অনুজদের সঙ্গে  থাকতে শুরু করেন। ১১ ডিসেম্বর বাড়িতে ছিলেন অনুজ এবং তাঁর কাকিমা। সেই সময় দিল্লিতে এক বন্ধুর বাড়িতে যাবেন বলে কাকিমাকে বলেন অনুজ। কাকিমা তাঁকে যেতে নিষেধ করেন। এনিয়ে কাকিমার সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন অনুজ। এর পর রান্নাঘরে চা করতে চলে যান বছর চৌষট্টির ওই প্রৌঢ়া। অভিযোগ, সেই সময় আচমকাই রান্না ঘরে গিয়ে হাতুড়ি দিয়ে অনুজ সজোরে তাঁর মাথায় আঘাত করেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। এর পর দেহ লোপাট করতে মার্বেল পাথর কাটার মেশিন দিয়ে দেহটিকে ১০ টুকরো করেন অনুজ। পরে দেহাংশগুলি সুটকেসে ভরে জয়পুর-শিখর হাইওয়ের পাশে ফাঁকা জায়গায় ফেলে আসেন।

    আরও পড়ুন: “অনার কিলিং- এর নামে প্রতিবছর এ দেশে শয়ে শয়ে মানুষ খুন হয়”, উদ্বেগ প্রকাশ প্রধান বিচারপতির

    জানা গিয়েছে, বাড়ি ফিরে অনুজ জানান কাকিমা কোথায় তা তিনি জানেন না। বাবা ও বোনের সঙ্গে গিয়ে থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করেন তিনি। তদন্তে নেমে সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। দেখা যায়, ১১ ডিসেম্বর একটি বড় সুটকেস ও কম্বল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন অনুজ। শুরু হয় পুলিশি জেরা। টানা জেরায় ভেঙে পড়েন অনুজ। কবুল করেন খুনের কথা। অনুজ অত্যন্ত শিক্ষিত ও বুদ্ধিমান বলেই দাবি পুলিশের। তবে তাঁর মানসিক সমস্যা রয়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে। কাকিমাকে খুনের কথা স্বীকার করলেও, তাঁকে অনুশোচনা করতে দেখা যায়নি। অনুজের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে খুন ও প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ। প্রসঙ্গত, দিল্লিতে প্রেমিকা তথা লিভ ইন পার্টনার শ্রদ্ধা ওয়ালকারকে খুন করে দেহ ৩৫ টুকরো করে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দিয়েছিল তাঁর প্রেমিক আফতাব পুনাওয়ালা। ওই ঘটনার বেশ কয়েক মাস পরে গ্রেফতার করা হয় আফতাবকে। পুলিশি জেরায় খুনের কথা কবুল করে সে-ও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Amit Shah Mamata Banerjee: নবান্নে বৈঠকে মমতা-শাহ, কারণ কি জানেন?

    Amit Shah Mamata Banerjee: নবান্নে বৈঠকে মমতা-শাহ, কারণ কি জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত বিজেপি (BJP)। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে একশো দিনের কাজের মতো কয়েকটি কেন্দ্রীয় প্রকল্প নিয়েও চলছে কেন্দ্র-রাজ্য চাপান-উতোর। পঞ্চায়েত নির্বাচনও দোরগোড়ায়। বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের সিবিআই হেফজতে রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য। এহেন আবহে আজ, শনিবার নবান্নে (Nabanna) বৈঠকে বসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Amit Shah Mamata Banerjee)। উপলক্ষ, পূর্বাঞ্চলীয় কাউন্সিলের বৈঠক। তবে মমতা-শাহ বৈঠক নিয়ে কৌতূহল তুঙ্গে রাজনৈতিক মহলে।

    কৌতূহল তুঙ্গে…

    যদিও প্রশাসনের একাংশের মতে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর এই বৈঠক একান্তভাবেই প্রশাসনিক। শাহের সঙ্গে এই বৈঠকে মমতা ছাড়াও থাকার কথা ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবেরও। ওড়িশা থেকেও থাকবেন সে রাজ্যের কোনও প্রতিনিধি। শাহের সঙ্গে সঙ্গে এই বৈঠকে থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা এবং অন্য আধিকারিকরা। ৫ নভেম্বর এই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবের ব্যস্ততা থাকায় সেদিন বৈঠক হয়নি। সেই বৈঠকই হচ্ছে শনিবার। বৈঠক হবে সকাল ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত, নবান্ন সভাঘরে।

    এর আগে বিভিন্ন সময় কেন্দ্রের ডাকা বৈঠক সচেতনভাবেই এড়িয়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কখনও ব্যস্ততার কারণে, কখনও অন্য কোনও অছিলায়। শেষমেশ এবার মুখোমুখি হচ্ছে দুই ভিন্ন মেরুর রাজনৈতিক দলের দুই শীর্ষ নেতা (Amit Shah Mamata Banerjee)। তাই মমতা-শাহ একান্ত বৈঠকের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

    আরও পড়ুন: ২০২৪-লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য থেকে অনেক বেশি আসন চান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    সূত্রের খবর, সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলি নিয়ে রাজ্যের কী অবস্থান, তা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে বেশ কিছু দাবিপত্র তুলে দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। আন্তর্জাতিক সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিতে জমি অধিগ্রহণের কাজ মার্চের মধ্যেই শেষ করতে রাজ্যকে বলেছে কেন্দ্র। সোমবার ভার্চুয়াল বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদীকে এই আর্জি জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব। প্রসঙ্গত, জমি না পাওয়ায় আন্তর্জাতিক সীমান্তে ৭০ কিলোমিটার এলাকায় বেড়া দেওয়া যাচ্ছে না। রাজ্যকে এই জমি অধিগ্রহণ করে দিতে হবে।

    এদিকে, শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মুখোমুখি হওয়ার আগেই শুক্রবার শাহ বৈঠকে বসেছিলেন বিজেপির রাজ্য নেতাদের সঙ্গে। বিজেপির রাজ্য দফতরে ওই বৈঠক হয়। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ সহ শীর্ষ নেতারা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে যা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Asansol tragedy: আসানসোলের দুর্ঘটনায় জিতেন্দ্র, তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের, নাম নেই শুভেন্দুর

    Asansol tragedy: আসানসোলের দুর্ঘটনায় জিতেন্দ্র, তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের, নাম নেই শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কম্বলদান কর্মসূচিতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। বুধবার আসানসোলের (Asansol) ওই দুর্ঘটনায় বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tiwari) ও তাঁর স্ত্রী চৈতালি সহ বেশ কয়েকজনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে আসানসোল উত্তর থানায়। জিতেন্দ্রর বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা করা হয়েছে। ই অভিযোগের ভিত্তিতে কম্বলদান কর্মসূচির অন্যতম আয়োজক আসানসোল পুরসভার বিরোধী নেত্রী চৈতালি সহ বিজেপির কয়েকজন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধেও রুজু হয়েছে মামলা। এদিকে, কম্বলদানের কর্মসূচিতে বিপর্যয়ের ঘটনায় ইতিমধ্যেই পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসানসোল দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার সুধীরকুমার নীলকণ্ঠম বলেন, কীভাবে ঘটনাটি ঘটল, তার তদন্ত শুরু হয়েছে। ডিসি ওয়েস্ট অভিষেক মোদির তত্ত্বাবধানে তদন্ত চলছে।

    অভিযোগ…

    পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালি সহ একাধিক নেতার নামে আসানসোল উত্তর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বুধবারের দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো ঝালি বাউরির ছেলে সুখেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪, ৩০৮ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। তবে অভিযোগপত্রের কোথাও নাম নেই শুভেন্দু অধিকারীর। জিতেন্দ্র, চৈতালি ও বিজেপি কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। জিতেন্দ্রও বলেন, তৃণমূল তাড়াহুড়ো করে আমার বিরুদ্ধে মামলা করিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘আপনার মন্ত্রীকে প্রশ্ন করুন সন্ত্রাস কবে বন্ধ হবে?’’, পাক সাংবাদিককে জবাব জয়শঙ্করের

    আসানসোলের ওই দুর্ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা। কেন দশ দিন আগে অনুমতির আবেদনের চিঠি পেয়েও তারা কোনও উত্তর দেয়নি, সে প্রশ্ন তুলেছেন আয়োজকরা। দুর্ঘটনার পর রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন, তিনি ঘটনাস্থল ছাড়ার পর সেখান থেকে তুলে নেওয়া হয় নিরাপত্তা। তার পরেই ঘটেছে মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনা। এত জমায়েত নজরে আসা সত্ত্বেও কেন নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হল, কেনই বা সরিয়ে নেওয়া হল সিভিক ভলান্টিয়ারদের, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়দের অনেকেই। প্রসঙ্গত, আসানসোলের ওই অনুষ্ঠানে পাঁচ হাজার মানুষকে কম্বল দান করার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ছোট জায়গায় প্রচুর লোক জড়ো হয়ে যাওয়ার বিপর্যয় ঘটে বলে অনুমান। ওই ঘটনায় বিজেপির নাম জড়িয়ে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • DA Case: “কর্মীদের মধ্যে অতি-উৎসাহ তৈরি হয়েছে’’, ডিএ মামলা ছাড়লেন বিচারপতিরা! পিছল শুনানি

    DA Case: “কর্মীদের মধ্যে অতি-উৎসাহ তৈরি হয়েছে’’, ডিএ মামলা ছাড়লেন বিচারপতিরা! পিছল শুনানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল ডিএ মামলার শুনানি। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের দুই বাঙালি বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি হৃষিকেশ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। তার পরেই বিচারপতি দত্ত বলেন, আমি আসায় কর্মীদের মধ্যে অতি-উৎসাহ তৈরি হয়েছে, তাই এই মামলা আমি শুনব না। বিচারপতি দত্তের সঙ্গে সহমত পোষণ করেন বিচারপতি হৃষিকেশ রায়। জানুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে নতুন বেঞ্চে হবে এই মামলার শুনানি।

    বিচারপতি দত্ত…

    এদিন মামলাটি ডিভিশন বেঞ্চে ওঠা মাত্র বিচারপতি দত্ত জানিয়ে দেন, তিনি এই মামলা শুনবেন এ খবর প্রকাশ্যে আসতেই সরকারি কর্মীদের একাংশ অতি উৎসাহিত হয়ে এই মামলার রায় নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করতে শুরু করেছেন। সুপ্রিম কোর্টকে নিয়ে এই ধরনের মন্তব্যে রুষ্ট হন বিচারপতি দত্ত। সহমত পোষণ করেন বিচারপতি রায়ও। তার পরেই পিছিয়ে যায় শুনানি। সরকারি কর্মীদের কেউ কোনও বিরূপ মন্তব্য করে থাকলে তার জন্য দুই বিচারপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন রাজ্য সরকারি কর্মী সংগঠনের দুই আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং মীনাক্ষী অরোরা। তার পরেও নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল থাকেন বিচারপতি দত্ত ও বিচারপতি রায়।  

    আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে দুই বাঙালি বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি ডিএ মামলার, জয়ের আশায় সরকারি কর্মীরা

    প্রসঙ্গত, গত সোমবারই সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের ডিএ মামলার (DA Case) শুনানি হওয়ার কথা ছিল। পরে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ১৪ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। এর মধ্যে এই মামলায় সব পক্ষকে নিজেদের সংক্ষিপ্ত যুক্তি লিখিত আকারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এদিন দেশের শীর্ষ আদালতের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী আদালতে থাকছেন না। তাই সুপ্রিম কোর্টের সাত নম্বর কোর্টে বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি হৃষিকেশ রায়ের বেঞ্চ বসবে না। এই বেঞ্চে যে মামলাগুলির শুনানি হওয়ার কথা ছিল, তা হবে বিচারপতি হৃষিকেশ রায় ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চে। সেই এই ডিভিশন বেঞ্চেই শুনানি হয়নি ওই মামলার।  

    এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর ডিএ মামলার (DA Case) শুনানি হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সেদিন রাজ্যের হয়ে সওয়াল করেছিলেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। তিনি বলেছিলেন, কলকাতা হাইকোর্ট যে হারে ডিএ দেওয়ার কথা বলছে, তা দেওয়ার সঙ্গতি নেই রাজ্যের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share