Tag: Bengali news

Bengali news

  • Calcutta High Court: ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনকারীদের গ্রেফতারি দুর্ভাগ্যজনক, বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    Calcutta High Court: ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনকারীদের গ্রেফতারি দুর্ভাগ্যজনক, বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) তোপের মুখে রাজ্য সরকার। এবারও তোপ দাগলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhya)। ডিএ-র (DA) দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে গ্রেফতারির ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। হাইকোর্টের ওই কর্মীকে গ্রেফতারির পরেও ছাড়া হয়নি। প্রসঙ্গত, এসএসসি মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলা চলাকালীনই স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এই মন্তব্য করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    ডিএর দাবিতে…

    বকেয়া ডিএর দাবিতে বুধবার লেনিন মূর্তির পাদদেশ থেকে বিধানসভা পর্যন্ত অভিযানের ডাক দিয়েছিল সরকারি কর্মীদের তিরিশটি সংগঠন। তিরিশটি সংগঠনের যৌথমঞ্চের বিধানসভা অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমারকাণ্ড বাঁধে। পূর্ব কর্মসূচি অনুযায়ী মিছিল ডোরিনা ক্রসিং হয়ে রানি রাসমণি রোডে আন্দোলনকারীদের মিছিল পৌঁছতেই পথ আটকায় পুলিশ। ডিএর দাবিতে আন্দোলনকারীদের রুখতে তৈরি করা হয় ত্রিস্তরীয় ব্যারিকেড। এর মধ্যে দুটি ভেঙে এগিয়ে যান আন্দোলনকারীরা। ধর্মতলা থেকে মিছিল বিধানসভার দিকে এগোতেই রুখে দেয় পুলিশ। বকেয়া ডিএ চাওয়ায় পুলিশ কয়েকজনকে ঘুষিও মারে বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত হন কয়েকজন। টেনে হিঁচড়ে চ্যাংদোলা করে আন্দোলনকারীদের তোলা হয় গাড়িতে। পুলিশের ধাক্কাধাক্কি থেকে রেহাই পাননি অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীরাও। এঁদের মধ্যে অনেকের দাবি, ডিএ বকেয়া থাকায় তাঁরা পেনশনে অনেক টাকা কম পাচ্ছেন। ওই ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়।

    আরও পড়ুন: মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে হস্তক্ষেপ অনভিপ্রেত, সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র

    কেবল একবার নয়, নানা সময়ে হাইকোর্ট জানিয়েছে যে ডিএ হল সরকারি কর্মীদের আইনি অধিকার। এটি প্রাপ্য। ডিএ দিতেই হবে। তা নিয়ে মামলা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। রাজ্যের করা পুনর্বিবেচনার আর্জি ইতিমধ্যেই খারিজ করে দিয়েছে আদালত। হাইকোর্ট যখন নির্দেশ দিচ্ছে সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা দিতে হবে, তখন সেই কথা কার্যত শুনছে না রাজ্য সরকার। এর পর গতকাল একে একে গ্রেফতার করা হয় আন্দোলনকারীদের। আইনজীবী মহলের একাংশের মতে, সেই কারণেই এদিন এহেন মন্তব্য করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    এদিকে, ডিএ নিয়ে এখনও অবস্থান বদলায়নি রাজ্য সরকার। কলকাতা হাইকোর্ট তিন মাসের বকেয়া ডিএ মেটানোর যে নির্দেশ দিয়েছে, তা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই মামলার শুনানি এখনও শুরু হয়নি। দেশের শীর্ষ আদালত কী রায় দেয়, আপাতত সেদিকেই তাকিয়ে ডিএর দাবিদাররা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Dhulagarh: ‘হিজাব বিতর্কে’ ভাঙচুর ধূলাগড়ের স্কুলে, বন্ধ হয়ে গেল পরীক্ষা  

    Dhulagarh: ‘হিজাব বিতর্কে’ ভাঙচুর ধূলাগড়ের স্কুলে, বন্ধ হয়ে গেল পরীক্ষা  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার হিজাব বির্তক (Hijab Controversy) হাওড়ার (Howrah) স্কুলে। মঙ্গলবার ঘটনার জেরে পরীক্ষা বাতিল করতে হয় হাওড়ার সাঁকরাইলের ধূলাগড়ি আদর্শ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। হিজাব বিতর্কে অশান্ত হয়েছিল কর্নাটক (Karnataka)। এবার সেই একই বিতর্ক দেখা গেল এ রাজ্যেও।

    ঠিক কী হয়েছিল?

    ঘটনার সূত্রপাত সোমবার। প্রতিদিনের মতো এদিনও সাঁকরাইলের ধূলাগড়ের (Dhulagarh) ওই স্কুলে দশম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীরা হিজাব পরে স্কুলে আসে। হিজাব পরে স্কুলে প্রবেশ করা যাবে না বলে আপত্তি তোলে দ্বাদশ শ্রেণির একদল ছাত্র। তাদের দাবি, যদি হিজাব পরে স্কুলে আসা যায়, তাহলে তারাও নামাবলী গায়ে দিয়ে স্কুলে আসবে। নামাবলী গায়ে দিয়ে স্কুলে এলে তাদের প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে। সেই মতো মঙ্গলবার দ্বাদশ শ্রেণির পাঁচ ছাত্র নামাবলী গায়ে দিয়ে স্কুলে আসে। এবার প্রতিবাদ জানায় ওই স্কুলের দশম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির হিজাব পরা ছাত্রীরা।

    কেবল ওই ছাত্রীরাই নয়, নামাবলী গায়ে দিয়ে আসা পড়ুয়াদের নামাবলী খুলতে বলেন ধূলাগড়ের (Dhulagarh) ওই  স্কুল কর্তৃপক্ষও। স্কুলে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা চলছে। পরীক্ষা শেষে বৈঠকে বসে ম্যানেজিং কমিটি। সেখানেও সিদ্ধান্ত হয়, ইউনিফর্ম পরেই স্কুলে আসতে হবে ছাত্রছাত্রীদের। অন্য কোনও ধর্মীয় পোশাক পরে স্কুলে আসতে বারণ করা হয় পড়ুয়াদের। তার পরেও মঙ্গলবার থেকে তিন চারজন পড়ুয়া নামাবলী গায়ে দিয়ে স্কুলে আসে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতি শুরু হয় পড়ুয়াদের মধ্যে। উত্তেজিত কয়েকজন ছাত্রছাত্রী স্কুলের চেয়ার টেবিল উল্টে দেয়। স্কুলের মধ্যে ভাঙচুরও চালায় তারা।

    আরও পড়ুন: হিজাব-আইনের বিরোধিতা, জ্বলছে ইরান! পুলিশের গুলিতে নিহত অন্তত ৫০জন প্রতিবাদী

    ধূলাগড়ের (Dhulagarh) ওই স্কুলের টিটার ইনচার্জ অরিন্দম মান্না বলেন, স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কোনও ধর্মীয় পোশাক পরে স্কুলে আসতে পারবে না পড়ুয়ারা। কিন্তু কয়েকজন ছাত্র গায়ে নামাবলী জড়িয়ে এলে ঝামেলা শুরু হয়। প্রশাসনের নির্দেশে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে দু পক্ষের অভিভাবকদের ডাকা হবে এবং ফের ম্যানেজিং কমিটির বৈঠক ডাকা হবে। কর্নাটকে হিজাব বিতর্কের রেশ এখনও মেলায়নি। হাইকোর্ট হয়ে মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। হাইকোর্ট পরে জানিয়ে দেয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির কাছে সারেন্ডার করেছেন’, বললেন সুকান্তও

    Sukanta Majumdar: ‘মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির কাছে সারেন্ডার করেছেন’, বললেন সুকান্তও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী (CM) বিজেপির (BJP) কাছে সারেন্ডার করেছেন। রবিবার এ কথা বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) মন কি বাত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বোলপুরের কাছারিপট্টিতে গিয়েছিলেন সুকান্ত। ওই অনুষ্ঠানে হাজির থাকার কথা ছিল বিজেপির তারকা নেতা মিঠুন চক্রবর্তীরও। তবে অসুবিধা থাকায় মিঠুন হাজির হতে পারেননি। যোগ দিয়েছিলেন সুকান্ত। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    সংবিধান দিবস…

    শনিবার দেশজুড়ে পালিত হয় সংবিধান দিবস। তার আগের দিন বিধানসভায় এই উপলক্ষে হয় অনুষ্ঠান। বক্তৃতা দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। পরে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে চায়ের নেমতন্ন করেন। তিন বিধায়ককে নিয়ে শুভেন্দু মুখ্যমন্ত্রীর ঘরেও যান। মমতা-শুভেন্দুর এই সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির কাছে সারেন্ডার করেছেন। বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে দিল্লি যাবেন বলেছিলেন মমতা। সে প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, কোনও সরকারি অনুষ্ঠানে বিজেপি বিধায়কদের ডাকা হয় না। এখন মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে দিল্লি যাব। সুকান্ত বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকে খত দিয়েছেন!

    আরও পড়ুন: বিজেপি ক্ষমতায় এলে শিল্পের জোয়ার আসবে রাজ্যে! আশ্বাস মহাগুরুর

    শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি যাওয়ার কথা তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তা নিয়ে রাজ্যে শুরু হয়েছে নয়া জল্পনা। এদিন সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, শুভেন্দু অধিকারীর ভাই তৃণমূলের সাংসদ। তিনি তাঁর দলের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ করেছেন। সুকান্ত বলেন, আমরা থার্ড পার্টি। আমরা কী বলব এতে? তিনি বলেন, এটা দলের বিষয় নয়।

    এদিন পৌষমেলা নিয়েও দলের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, দু বছর পৌষমেলা বন্ধ ছিল। বিজেপির ঘোষিত স্ট্যান্ড পৌষমেলা আগের মতোই হোক। আমরা বোলপুরের মানুষের সঙ্গে আছি। তিনি বলেন, প্রয়োজনে তাঁদের সঙ্গে রাস্তায় নেমে লড়াই করব।

    রবিবার সুকান্ত (Sukanta Majumdar) যা বললেন, শনিবার তার নান্দীমুখের কাজটি করে রেখেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। মুখ্যমন্ত্রীর সৌজন্যের রাজনীতি এক পাশে সরিয়ে রেখে ঠাকুরবাড়ির জনসভায় শুভেন্দু বলেন, নন্দীগ্রামে ওঁকে হারিয়েছি। গণতান্ত্রিক উপায়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বানাব। রবিবার মন কি বাতের সময় শুভেন্দু উপস্থিত ছিলেন নন্দীগ্রামে। ওই অনুষ্ঠানে শুভেন্দু বলেন, রাজ্যে উত্তর কোরিয়ার মতো শাসন চলছে। প্রসঙ্গত, এর আগে তৃণমূল নেত্রীকে ‘লেডি কিম’ বলে উল্লেখ করেছিলেন শুভেন্দু। শুভেন্দুর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে একের পর এক মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন। সেগুলি তিনি পুস্তিকাকারে প্রকাশ করবেন বলেও জানান বিরোধী দলনেতা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     

     

     

  • China: ‘শি জিনপিংকে টেনে নামাও’, এবার দাবি উঠল খোদ চিনেই

    China: ‘শি জিনপিংকে টেনে নামাও’, এবার দাবি উঠল খোদ চিনেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শি জিনপিংকে (Xi Jinping) টেনে নামাও! চিনা কমিউনিস্ট পার্টিকে (China Communist Party) টেনে নামাও। রবিবার সকালে এমনই স্লোগান শোনা গেল চিনের (China) একটি শহরে বিক্ষোভকারীদের গলায়। করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় ফের লকডাউন (Lockdown) করা হয়েছে চিনের বিভিন্ন অংশে। এহেন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার উরুমকি শহরের এক আবাসনে আগুন লাগে। এই উরুমকি হল শিংজিয়াং এলাকার রাজধানী। এই বহুতলের একাংশ তালাবন্দি করে রাখায় আবাসনের বাইরে বেরতে পারেননি বাসিন্দারা। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ১০ জনের। সে খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিক্ষোভ শুরু হয়েছে চিনের বিভিন্ন অংশে। তার পরেই লকডাউন তুলে নেওয়ার দাবিতেও শুরু হয় বিক্ষোভ।

    বাড়ছে সংক্রমণ…

    গোটা বিশ্বে করোনা অতিমারির বাড়বাড়ন্ত কমলেও, চিনে তা ধারণ করেছে ভয়াবহ আকার। চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, দৈনিক সংক্রমণ এখন সর্বোচ্চ। বুধবার ৩১ হাজার ৪৫৪ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। জানা গিয়েছে, অতিমারি পর্বে চিনে এটিই সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমণ।

    সম্প্রতি চিনের শাসক দল কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, এবার দেশে কড়াকড়ি কমানো হবে। করোনা পরিস্থিতি চলায় এতদিন জিরো কোভিড পলিসি থেকে এতটুকুও সরেনি বেজিং। নিয়ম ভাঙলে কপালে জুটত শাস্তি। দিন কয়েক আগেও সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, এবার কিছুটা লঘু করা হবে করোনা নীতি। কিন্তু সম্প্রতি ফের সংক্রমণ বাড়ায় ফের হয়েছে কড়া লকডাউন। বৃহস্পতিবার এক সঙ্গে দশজনের জীবন্ত দগ্ধ হওয়ার খবরে খেপে যান চিনাদের একাংশ।

    আরও পড়ুন: পার্টি কংগ্রেসে হংকং, তাইওয়ান তাস খেললেন শি জিনপিং, কেন জানেন?

    চিনের সব চেয়ে জনবহুল শহর সাংহাই। এটি দেশের ফাইনান্সিয়াল হাবও। শনিবার রাতে এই শহরের বাসিন্দারা এলাকায় বিভোক্ষ দেখান। বিক্ষোভ দেখানো হয় রবিবার সাত সকালেও। সম্প্রতি সেই বিক্ষোভের একটি ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে বিক্ষোভকারীদের সমস্বরে বলতে শোনা যায়, উরুমকি থেকে লকডাউন তোল। শিনজিয়াং থেকে লকডাউন তোল। গোটা চিন থেকে লকডাউন তোল। এর পরেই উত্তেজিত জনতার একাংশকে বলতে শোনা যায়, টেনে নামাও শি জিনপিংকে (Xi Jinping)। টেনে নামাও চিনা কমিউনিস্ট পার্টিকে। উরুমকিকে মুক্ত কর। প্রসঙ্গত, এর আগে পার্টি কংগ্রেসের সময়ও শি জিনপিংকে একনায়ক বিশ্বাসঘাতক বলে দেগে দিয়ে পোস্টার সাঁটিয়েছিলেন চিনের বাসিন্দাদের একাংশ। এবার দাবি উঠল টেনে নামানোর।

    গদি কি ক্রমেই নড়বড়ে হচ্ছে জিনপিংয়ের (Xi Jinping)?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: ‘বাংলায় আল্ট্রা ইমার্জেন্সি পরিস্থিতি’, রাজ্য সরকারকে ট্যুইট-বাণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘বাংলায় আল্ট্রা ইমার্জেন্সি পরিস্থিতি’, রাজ্য সরকারকে ট্যুইট-বাণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল (TMC) সরকারের হাতে রাজ্য পচছে। বাংলায় আল্ট্রা ইমার্জেন্সি পরিস্থিতি। শনিবার এই ভাষায়ই রাজ্য সরকারকে বিঁধলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন একটি ট্যুইট করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। সেখানেই রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্ট ‘অপমানজনক’ হওয়ায় নয়া রাজ্যপালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়ে তৃণমূলে যাওয়া দুই দলবদলু বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস এবং কৃষ্ণকল্যাণীর সঙ্গে একাসনে বসতে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এর পর শুক্রবার সংবিধান দিবস উপলক্ষে বিধানসভায় ভাষণ দেন শুভেন্দু। পরে মমতাই চায়ের নেমতন্ন করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। এদিন শুভেন্দুর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে গিয়েছিলেন বিধায়ক বিজেপির অশোক লাহিড়ি, অগ্নিমিত্রা পল ও মনোজ টিগ্গা। তার পরেই রাজনৈতিক মহলের একাংশ ভেবেছিলেন, যে শুভেন্দুকে চায়ের নেমতন্ন এবং স্নেহের ভাই সম্বোধন করে ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়, এই ডিসেম্বরেই পড়ে যাবে তৃণমূল সরকার। তিনি এও জানিয়েছিলেন, জোর করে সরকার ফেলবেন না তাঁরা। সরকার পড়ে যাবে আপনা থেকেই। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই ‘ডিসেম্বর সিনড্রোম’-এর কারণেই শুভেন্দুকে চায়ের নেমতন্ন করেন মমতা।

    ট্যুইট-বাণ

    তবে চায়ের নেমতন্ন করে যে শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari) বাগে আনা যাবে না, তা বোধহয় কল্পনাও করতে পারেননি তৃণমূল নেত্রী। মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সাক্ষাৎকার পর্ব চব্বিশ ঘণ্টার চৌকাঠ পেরনোর আগেই রাজ্য সরকারকে ট্যুইট-বাণে বিদ্ধ করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তিনি লেখেন, দুর্নীতি করে কেনা অবৈধ নিয়োগকে যেভাবে মন্ত্রিসভা বাঁচানোর চেষ্টা করছে, তা সত্যিই বিস্ময়কর। এটা যদি সাংবিধানিক সঙ্কট না হয়, তাহলে আর কী হবে? এর পরেই তিনি লেখেন, তৃণমূল সরকারের হাতে বাংলা পচছে। বাংলায় এক আল্ট্রা ইমার্জেন্সির পরিস্থিতি।

    এ নিয়ে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরের লেটারহেডে মে মাসের একটি লেখাও নিজের ট্যুইটারে তুলে ধরেছেন তিনি। প্রতিলিপিগুলির একটি পাতায় লেখা রয়েছে, ৫ হাজার ২৬১টি সুপার নিউমেরারি পোস্ট তৈরির প্রস্তাব। এর মধ্যে নবম দশমের জন্য ১ হাজার ৯৩২টি পদ, একাদশ-দ্বাদশের জন্য ২৪৭টি পদ।

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল নেত্রীকে নন্দীগ্রামে ১৯৫৬ ভোটে হারিয়েছিলেন বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তার পর দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল দুজনের মুখ দেখাদেখি। শুক্রবার সংবিধান দিবসের অনুষ্ঠানে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা করতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। কিন্তু শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর সেই চেষ্টায় জল ঢেলে দিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক স্বয়ং!

    আরও পড়ুন: আবাস যোজনার বরাদ্দ পেতে রাজ্যকে মানতে হচ্ছে কোন কোন শর্ত?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Egypt Tejas: ভারতীয় ‘তেজস’-এর ভক্ত, আগামী প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি মিশরের প্রেসিডেন্ট

    Egypt Tejas: ভারতীয় ‘তেজস’-এর ভক্ত, আগামী প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি মিশরের প্রেসিডেন্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৩ সালে ২৬ জানুয়ারি, সাধারণতন্ত্র দিবসের (Republic Day) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভূমিকা পালন করবেন মিশরের (Egypt) প্রেসিডেন্ট আবদেল ফতেহ এল সিসি। এই অনুষ্ঠানে আসার জন্য ইতিমধ্যেই তাঁকে আমন্ত্রণও জানানো হয়েছে ভারতের (India) তরফে। এই ঘটনা থেকেই প্রমাণ হয় আরব দুনিয়ার সঙ্গে নয়া দিল্লির নিবিড় সম্পর্ক। তবে কেবল ভারতই নয়, এই সম্পর্ক আরও মজবুত হলে লাভ হবে মিশরেরও। কারণ তারাও চাইছে ভারতের সঙ্গে মিলিটারি বন্ধন (Egypt Tejas) আরও পোক্ত করতে। জানা গিয়েছে, অক্টোবরের ১৬ তারিখে সরকারি সফরে মিশর গিয়েছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস কে জয়শঙ্কর। কায়রোয় তিনি সাক্ষাৎ করেন মিশরের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে। তখনই তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় আমন্ত্রণপত্র।

    জি-২০ সম্মেলন…

    ২০২৩ সালে জি-২০ সম্মেলন হবে ভারতে। এই সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ন’ টি অতিথি দেশকে। এই দেশগুলির মধ্যে একটি হল মিশর। সাধারণতন্ত্র দিবসে যে সব দেশকে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়, সেগুলি তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের প্রতীক। এবার সেই কারণেই ডাকা হয়েছে মিশরকে। করোনা অতিমারি পরিস্থিতির জেরে ২০২১ ও ‘২২ সালে ২৬শে জানুয়ারির অনুষ্ঠান হয়েছে সাদামাটাভাবে। তাই ওই দু বছর প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি কোনও দেশকেই। ২০২০ সালে ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জেয়ার বোলসোনারোকে।

    আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি জাকির নায়েককে, ভারতকে জানিয়ে দিল কাতার

    তবে ২৬শে জানুয়ারির অনুষ্ঠানে মিশরের প্রেসিডেন্টকে আমন্ত্রণ জানানোটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মিশর ভারতের সঙ্গে মিলিটারি সম্পর্ক (Egypt Tejas) আরও উন্নত করার সুযোগ পাবে। গত বছর দুই দেশ অংশ নিয়েছিল যৌথ মহড়ায়। মহড়া হয়েছিল আকাশে। তার পর থেকেই মিশরের নজর ভারতের লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্ট তেজসের (Egypt Tejas) দিকে। তারা এ দেশ থেকে ৭০টি ফাইটার জেট কিনতে চায়। জানা গিয়েছে, মিশরের এয়ার ফোর্স চিফ মহম্মদ ফাহাদ আবেদ আল গাওয়াদ এই সূত্রেই জুলাই মাসে ভারতে এসেছিলেন। ২০২১ সালের অক্টোবরে প্রথমবার দুই দেশের মধ্যে যৌথ মহড়া হয় আকাশে। প্রসঙ্গত, আফ্রিকা মহাদেশে মিশরই ভারতের সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক অংশীদার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Vizhinjam Port: ভিজিঞ্জাম বন্দরে যাওয়ার রাস্তা আটকানো যাবে না, নির্দেশ কেরল হাইকোর্টের

    Vizhinjam Port: ভিজিঞ্জাম বন্দরে যাওয়ার রাস্তা আটকানো যাবে না, নির্দেশ কেরল হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভিজিঞ্জাম বন্দরে (Vizhinjam Port) যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে কষ্ট দেওয়া যাবে না রাজ্য এবং রাজ্যবাসীকে। সম্প্রতি এই মর্মে রায় দিয়েছে কেরল হাইকোর্ট (Kerala High Court)। দ্রুত এই রায় কার্যকর করার নির্দেশও দিয়েছে কেরলের এই আদালত। বিচারপতি অনু শিবরামণ এও বলেন, এই আন্দোলন নিয়ে কাউকেই রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না। প্রসঙ্গত, কেরল (Kerala) থিরুভানানথাপুরম জেলার মুল্লুরে একটি মাল্টি-পারপাস সমুদ্র বন্দর নির্মাণের কাজ চলছে। তার জেরেই অশান্তির সূত্রপাত। বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি গৌতম আদানিই এই বন্দরটি গড়ছেন। কিন্তু অতিকায় এই মাল্টি পারপাস সমুদ্র বন্দরের প্রবেশপথই আটকে দিয়েছেন স্থানীয় খ্রিস্টান মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের মানুষ। যার জেরে মাঝপথে থমকে গিয়েছে বন্দর নির্মাণের কাজ।

    কারা বাধা দিচ্ছে?

    জানা গিয়েছে, ৯০০ মিলিয়ন ডলারের এই প্রকল্পটি গৌতম আদানির স্বপ্নের প্রকল্প। দেশের প্রথম কন্টেনার ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর হতে চলেছে ভিজিঞ্জামের এই বন্দরটিই (Vizhinjam Port)। আদানির সেই স্বপ্ন পূরণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের আন্দোলন। চলতি বছরের অগাস্ট মাসে এখানে তৈরি হয়েছে ১২০০ বর্গফুটের একটি শেল্টার। শেল্টারের ছাদ লোহার তৈরি। সেখানেই ঝোলানো হয়েছে ব্যানার। চলছে অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রতিবাদ আন্দোলন। লোহার এই শেডের নীচে পাতা রয়েছে শ’ খানেক প্লাস্টিকের চেয়ার। এই চেয়ারেই বসে রয়েছেন প্রতিবাদীরা। অশান্তি এড়াতে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।

    আরও পড়ুন: ‘‘প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই দুর্নীতির ফল ভুগবে’’, গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য বিচারপতির

    কেরল হাইকোর্ট বারবার নির্মাণকাজ শুরু করতে দেওয়ার নির্দেশ দিলেও, এখনও পর্যন্ত পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরানোর কোনও চেষ্টা করেনি। এদিকে, আগামী শুক্রবারই বন্দরে (Vizhinjam Port) ভারী যান পাঠানোর তোড়জোড় শুরু করেছে গৌতম আদানির সংস্থা। চলতি সপ্তাহেই আদালত নির্দেশ দিয়েছে, কোনওভাবেই ওই এলাকায় যান চলাচলে বাধা দেওয়া যাবে না। তার পরেই বন্দর এলাকায় যান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আদানি গ্রুপ।

    আদানি গ্রুপের তরফে জানানো হয়েছে, আদালতের  একাধিক নির্দেশ সত্ত্বেও বন্দরে (Vizhinjam Port) যাওয়ার রাস্তা অবরোধমুক্ত হয়নি। পরিস্থিতিরও কোনও পরিবর্তন হয়নি। সরানো হয়নি শেল্টার শেডও। যদিও প্রতিবাদীদের দাবি, আলোচনা চলছে, পরিস্থিতিরও উন্নতি হচ্ছে। আদালত জানিয়েছে, আলোচনা চলছে ভাল কথা। তবে এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। এর পরেই আদালত বলে, বন্দরে যাওয়ার রাস্তায় অবরোধ অনুমোদন করা যায় না। রাজ্য এবং রাজ্যবাসীকে কোনওভাবেই আটকানো যায় না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mangaluru: বিস্ফোরণের দায় হিন্দুদের ঘাড়ে চাপাতে অরুণ কুমার নাম ব্যবহার করত শারিক?

    Mangaluru: বিস্ফোরণের দায় হিন্দুদের ঘাড়ে চাপাতে অরুণ কুমার নাম ব্যবহার করত শারিক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে অপরাধ করেছিল, সে ধর্মে মুসলমান (Muslim)। অথচ ধরা পড়লে বিস্ফোরণের দায় যাতে হিন্দুদের (Hindu) ঘাড়ে চাপানো যায়, তার চেষ্টা করেছিল মেঙ্গালুরু (Mangaluru) বিস্ফরণের মূল চক্রী মহম্মদ শারিক। তদন্তাকারীরা জেনেছেন, সেই কারণেই শারিক লোকেদের কাছে নিজেকে হিন্দু হিসেবে পরিচয় দিত। দেশে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার (PFI) এই অবস্থার জন্য শারিক কর্নাটকের প্রাক্তন কংগ্রেস সরকারকেও দায়ি করেছে। পুলিশি রিপোর্টে জানা গিয়েছে, আধার কার্ড ও ভোটার কার্ডে শারিকের নামের বদলে লেখা রয়েছে অরুণ কুমার। এই অরুণ কুমার নামে সিমকার্ডও কিনেছে সে। সেজন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র জালও করেছিল শারিক।

    জালিয়াতির জাল… 

    জানা গিয়েছে, যে অরুণ কুমারের নথিপত্র হাতিয়ে নিয়েছে শারিক, তিনি বেল্লারির বাসিন্দা, কর্মসূত্রে থাকেন বেঙ্গালুরুর বাইরে। গত বছর বেঙ্গালুরুতে এসে তিনি কোনওভাবে হারিয়ে ফেলেন তাঁর নথিপত্র। পুলিশ জানিয়েছে, হারিয়ে যাওয়ার পরের দিনই তিনি তাঁর ওয়ালেটটি ফিরে পান। তবে তার আগেই জাল করে ফেলা হয়েছে তাঁর যাবতীয় নথিপত্র। সেই নথিপত্র জমা দিয়েই শারিক সিমকার্ড কেনে। পুলিশ এই আসল অরুণ কুমারকে জেরাও করে। তবে মেঙ্গালুরুতে (Mangaluru) অটোরিক্সা বিস্ফোরণে তাঁর কোনও যোগসূত্র খুঁজে পায়নি।

    শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ মেঙ্গালুরুতে (Mangaluru) বিস্ফোরণের জেরে একটি অটোরিক্সায় আগুন ধরে যায়। অটোর যাত্রী ও চালককে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জখম অটোচালক দাবি করেন, অটোর এক যাত্রীর ব্যাগে আগুন ধরে যায়। সেখান থেকেই বিস্ফোরণ ঘটে। দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফরেনসিক টিম। নমুনা সংগ্রহ করে তারা। পরে জানা যায়, ওই ব্যাগের ভিতরে ছিল একটি প্রেশার কুকার। যেটি ব্যাটারি ও বিস্ফোরকে ঠাসা ছিল। 

    আরও পড়ুন: তামিলনাড়ুতে কোয়েম্বাতুর বিস্ফোরণের চক্রীর সঙ্গে দেখা করেছিল মহম্মদ শারিক?

    মেঙ্গালুরুর (Mangaluru) বিজেপি (BJP) বিধায়ক বলেন, শারিক হিন্দু নাম, ছবি এবং ডিপি ব্যবহার করত। বিস্ফোরণের সময় তাকে গেরুয়া শাল গায়ে দিয়ে দেখা গিয়েছে। তিনি বলেন, ঘটনার দায় যাতে হিন্দুদের ঘাড়ে চাপানো যায়, তাই সে এটা করেছিল। তাছাড়া, অবৈধ কোনও কাজে সে যে জড়িত, তাও যাতে কেউ সন্দেহ না করে তাই এসব ছল করেছিল শারিক। অরুণ কুমার নাম ব্যবহার করলেও, শেষ রক্ষে হয়নি। পুলিশ তাকে শারিক বলেই চিহ্নিত করেছে। বিস্ফোরণের পোড়া ক্ষত নিয়ে আপাতত সে রয়েছে ফাদার মুলার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Pakistan Army Chief: পাকিস্তানের পরবর্তী সেনাপ্রধান কে? কার কার নাম গেল প্রধানমন্ত্রীর কাছে?

    Pakistan Army Chief: পাকিস্তানের পরবর্তী সেনাপ্রধান কে? কার কার নাম গেল প্রধানমন্ত্রীর কাছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) বর্তমান সেনা প্রধান কমার জাভেদ বাজওয়ারের মেয়াদ শেষ হচ্ছে এ মাসেই। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কে বসবেন পাকিস্তানের পরবর্তী সেনা প্রধানের পদে (Pakistan Army Chief)?  জানা গিয়েছে, সেনা হেডকোয়ার্টার্সের তরফে ছ’ জনের একটি নামের তালিকা প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের (Shehbaz Sharif) অফিসে পাঠানো হয়েছে। যাঁদের নাম পাঠানো হয়েছে, তাঁরা সবাই সিনিয়র মোস্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল। প্রধানমন্ত্রীর অফিস যে নামে সিলমোহর দেবে, তিনিই বসবেন বাজওয়ারের চেয়ারে।

    যাঁদের নাম পাঠানো হয়েছে…

    সেনা হেডকোয়ার্টার্সের তরফে যাঁদের নাম পাঠানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য, তাঁরা হলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসীম মুনীর, কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল, লেফটেন্যান্ট জেনারেল শাহিদ সামসাদ মির্জা, কোর কমান্ডার রাওয়ালপিন্ডি, লেফটেন্যান্ট জেনারেল আজাহার আব্বাস, চিফ অফ জেনারেল স্টাফ, লেফটেন্যান্ট জেনারেল নুমান মাহমুদ, প্রেসিডেন্ট ন্যাশনাল ডিফেন্স বিশ্ববিদ্যালয়, লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফৈয়জ হামিদ, কোর কমান্ডার বাহাওয়ালপুর এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল মহম্মদ আমের, কোর কমান্ডার গুজরানওয়ালা।

    তালিকায় ছ’ জনের নাম থাকলেও, সূত্রের খবর, আপাতত সেনা প্রধানের (Pakistan Army Chief) দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন তিনজন। এঁরা হলেন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল আজাহার আব্বাস, লেফটেন্যান্ট জেনারেল শাহিদ সামসাদ মির্জা এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসীম মুনির। মির্জা এবং আব্বাসকে ভারত সংক্রান্ত পুরানো ঘোড়া হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আর ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার সময় পাক গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের প্রধান ছিলেন মুনির। এই মুনির সেই সময় পাকিস্তানের নিরাপত্তা সংক্রান্ত নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

    আরও পড়ুন: এফএটিএফ-এর ধূসর তালিকা থেকে মুক্ত পাকিস্তান! ক্ষুব্ধ ভারত, জানেন তার কারণ?

    জানা গিয়েছে, সেনা প্রধান (Pakistan Army Chief) পদে নাম চূড়ান্ত করতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ মঙ্গলবার বর্তমান সেনা প্রধান বাজওয়ারের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডি জি আএসআই-ও। পরে এদিনই আরও একটি বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে উপস্থিত ছিলেন খাওয়াজা আসিফ, প্রধানমন্ত্রীর স্পেশাল অ্যাসিস্টেন্ট মালিক আহমেদ খান এবং অর্থমন্ত্রী ইশাক দারের সঙ্গে। পরে শরিফ আরও একটি বৈঠক করেন পিপিপি সহকারি চেয়ারম্যান আসিফ আলি জারদারির সঙ্গে। বৈঠকটি হয় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে। জানা গিয়েছে, শরিফ চাইছেন আসীম মুনিরই হোন পরবর্তী সেনা প্রাধান। আর জারদারি চাইছেন বাজওয়ারের মেয়াদ বাড়ানো হোক আরও ছ মাস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • West Bengal Government: আরও জোরদার ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন, গণছুটির পথে রাজ্য সরকারি কর্মীরা!

    West Bengal Government: আরও জোরদার ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন, গণছুটির পথে রাজ্য সরকারি কর্মীরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে রাজ্য সরকারের (West Bengal Government) বিরুদ্ধে আরও জোরদার আন্দোলনে নামতে চলেছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। নয়া বছরের প্রথমেই কোমর বেঁধে আন্দোলনে নামছেন তাঁরা। ২৭ জানুয়ারি গণ ছুটির (Mass Holiday) ডাক দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে। কলকাতায় ডাক দেওয়া হয়েছে গণ অবস্থানের। এদিকে, বৃহস্পতিবার দিনভর সওয়াল জবাব শেষে ডিএ (DA) আন্দোলনে অংশ নেওয়া ধৃত ৪৭ জনের জামিন মিলল। ব্যাঙ্কশাল কোর্টে এদিন তাঁদের হয়ে সওয়াল করেন দুঁদে আইনজীবী তথা সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।  

    বকেয়া ডিএ-র দাবিতে বুধবার লেনিন মূর্তির পাদদেশ থেকে বিধানসভা পর্যন্ত অভিযানের ডাক দিয়েছিল সরকারি কর্মীদের তিরিশটি সংগঠন। তিরিশটি সংগঠনের যৌথমঞ্চের বিধানসভা অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমারকাণ্ড বাঁধে। বকেয়া ডিএ চাওয়ায় পুলিশ কয়েকজনকে ঘুষিও মারে বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত হন কয়েকজন। টেনে হিঁচড়ে চ্যাংদোলা করে আন্দোলনকারীদের তোলা হয় গাড়িতে। পুলিশের ধাক্কাধাক্কি থেকে রেহাই পাননি অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীরাও। ওই ঘটনায় ৪৭জনকে গ্রেফতারও করা হয়। এদিন তাঁদেরই জামিন মেলে।

    আন্দোলনে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ…

    তবে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে (West Bengal Government) এই আন্দোলনে যে এখানেই দাঁড়ি পড়ছে, তা নয়। নতুন বছরের শেষের দিকে জোরদার আন্দোলনে নামছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। মঞ্চের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাজ্য সরকার যদি দ্রুত বকেয়া ডিএ মেটানোর দাবি না মেনে নেয়, তাহলে আন্দোলন আরও তীব্র করা হবে। বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিতে হবে এবং যাবতীয় শূন্যপদে স্বচ্ছভাবে নিয়োগের দাবিতে ১৯ ডিসেম্বর উত্তরকন্যা অভিযান করা হবে। ২৭ জানুয়ারি দেওয়া হয়েছে গণছুটির ডাক। কলকাতায় হবে লাগাতার অবস্থান।

    আরও পড়ুন: ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনকারীদের গ্রেফতারি দুর্ভাগ্যজনক, বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    বুধবার আন্দোলন চলাকালীন যে ৪৭জনকে গ্রেফতার করা হয়, তাঁদের হয়ে এদিন আদালতে সওয়াল করেন বিকাশরঞ্জন। সওয়াল করতে গিয়ে তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশের ভূমিকা অভাবনীয়। পুলিশ ছেড়ে দেবে বলেও, ছাড়েনি। আন্দোলনকারীরা কি বোমা ছুড়েছে, নাকি অন্য কিছু করেছে? কলকাতায় ১৪৪ ধারা হামেশাই ভাঙে। কী দোষ এদের? হেফাজতে রাখার যুক্তি কী? ডিএ দেবে না আবার আন্দোলনও করতে দেবে না?  এর পরে পরে এদিন সন্ধের দিকে জামিন দেওয়া হয় ধৃতদের। এদিকে, ডিসেম্বরের ২ তারিখে সুপ্রিম কোর্টে হবে ডিএ সংক্রান্ত মামলার শুনানি। কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করেছে রাজ্য সরকার (West Bengal Government)। তারই শুনানি হবে ওই দিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share