Tag: Bengali news

Bengali news

  • LIC: এলআইসির কাছে ৮৮০ কোটি টাকা দাবিহীন, কীভাবে গ্রাহকেরা আবেদন করবেন জানেন?

    LIC: এলআইসির কাছে ৮৮০ কোটি টাকা দাবিহীন, কীভাবে গ্রাহকেরা আবেদন করবেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এলআইসির (LIC) হাতে রয়েছে দাবিহীন ৮৮০ কোটি টাকা। মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে জীবন বিমার পলিসির। কিন্তু টাকার কোনও দাবিদার নেই। সম্প্রতি এই তথ্য প্রকাশ হয়েছে সংসদে। তথ্য দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী। এখন দাবি না করা বিমার টাকা কীভাবে (How to Apply) গ্রাহক পেতে পারেন সেই বিষয়েও জানিয়েছেন তিনি। আসুন জেনে নিই কীভাবে আবেদন করবেন। 

    গ্রাহকের কাছে টাকা পৌঁছে দেওয়া বিমা সংস্থার দায়িত্ব (LIC)

    কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী রাষ্ট্রায়ত্ত জীবন বিমা সংস্থা ‘লাইফ ইনস্যুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া’ (LIC)–র মেয়াদ উত্তীর্ণ পলিসির দাবিহীন অর্থের তথ্য প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “মোট ৩.৭২ লক্ষ গ্রাহক পলিসির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে টাকার দাবি করেননি। ফলে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে সেই অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় ৮৮০.৯৩ কোটি টাকা। তবে মেয়াদ উত্তীর্ণ টাকার অঙ্ক কমানোর চেষ্টা করছে এলআইসি। তবে এই টাকা সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়া বিমা সংস্থার প্রধান কর্তব্য।”

    এলআইসির দাবিহীন টাকাকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়

    জানা গিয়েছে, ২০২১-২২ আর্থিক বছরে মেয়াদ উত্তীর্ণ এলআইসি পলিসির দাবিহীন অর্থের পরিমাণ ছিল ৬৫২ কোটি টাকা। ঠিক তার পরের অর্থবর্ষে ২০২২-২৩ সালে সেই অঙ্ক বেড়ে ৮৯৭ কোটি হয়েছে। সেই সঙ্গে গত আর্থিক বছরেই নিম্নমুখী হয়েছে সূচক। ফলে তা ৮৮০.৯৩ কোটিতে নেমেছে। সাধারণত এলআইসি, পলিসির দাবিহীন টাকাকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। প্রথমত, যাঁরা পলিসির (LIC) মেয়াদ শেষে টাকার দাবি করছেন না। দ্বিতীয় শ্রেণিতে রয়েছে মৃত্যু পরবর্তী দাবি বা ডেথ ক্লেম। এর আবেদন প্রয়াত গ্রাহকের আপনজন বা পরিবারের সদস্যদের করতে হয়। তবে পলেসিতে নাম নমিনি হিসাবে থাকতে হবে। আর তিন হল, পেআউট সংগ্রহে ব্যর্থ হওয়া গ্রাহক। তিন বা তার বেশি বছর সময় ধরে মেয়াদ উত্তীর্ণ পলিসির টাকার জন্য আবেদন না করলে, ওই টাকাকে দাবিহীন হিসাবে উল্লেখ করে এলআইসি।

    কীভাবে (How to Apply) আবেদন করবেন?

    টানা ১০ বছর টাকার দাবি না করলে সিনিয়র সিটিজ়েন ওয়েলফেয়ার তহবিলে তা স্থানান্তরিত করে রাষ্ট্রায়ত্ত জীবন বিমা সংস্থা (LIC)। প্রসঙ্গত, এই দাবিহীন টাকার জন্য আবেদন করা যায়।

    ১> প্রথমেই এলআইসির অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে লগ ইন করতে হবে।

    ২> ওয়েবসাইটটির হোমপেজেই মিলবে ‘কাস্টমার সার্ভিস’ নামের অপশন।

    ৩> এর পর তার ভিতরে গেলে ‘অনক্লেইম্ড অ্যাকাউন্ট অফ পলিসিহোল্ডার’ বলে একটি অপশন দেখতে পাবেন গ্রাহক।

    ৪> এবার সেখানে ক্লিক করতে হবে তাঁকে। ওই অপশনে ঢুকে পলিসি নম্বর, নাম, জন্ম তারিখ এবং প্যান কার্ড নম্বর দিয়ে লগ ইন করবেন গ্রাহক। এরপর ডাউনলোড। নিকটবর্তী এলআইসি সেন্টারে জমা দিলে টাকা পাবেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 24 december 2024: হঠাৎ করে কোনও চাকরির যোগ আসতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 24 december 2024: হঠাৎ করে কোনও চাকরির যোগ আসতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) ইচ্ছাপূরণ হওয়ায় আনন্দ লাভ।

    ২) অভিনেতারা খুব ভালো সুযোগ পেতে পারেন।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) বাড়িতে অশান্তির জন্য পাড়ার লোকের কাছে হাসির পাত্র হবেন।

    ২) চাকরির স্থানে সুনাম বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    মিথুন

    ১) প্রেমের ব্যাপারে চিন্তার খবর আসতে পারে।

    ২) বাইরে থেকে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারেন।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    কর্কট

    ১) কোনও কারণে উদ্বেগ বাড়তে পারে।

    ২) সংসারের দায়িত্ব দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না।

    সিংহ

    ১) মনঃকষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) পিতার সঙ্গে মতান্তর হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কন্যা

    ১) অতিরিক্ত উদারতা দেখালে কাজের ক্ষতি হতে পারে।

    ২) হঠাৎ করে কোনও চাকরির যোগ আসতে পারে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    তুলা

    ১) শত্রুর কারণে সকালে মাথাগরম হতে পারে।

    ২) অস্ত্রোপচারের সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) ব্যবসায়ীদের জন্য দিনটি ভালো।

    বৃশ্চিক

    ১) সকালবেলাতেই কিছু দান করার জন্য ইচ্ছা হতে পারে।

    ২) অভিভাবকদের পরামর্শ আপনার জন্য কার্যকর হবে।

    ৩) দিনটি ভালো কাটবে।

    ধনু

    ১) অতিরিক্ত পরিশ্রমের জন্য কাজে অনীহা দেখা দিতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষায় সাফল্য পাবেন।

    ৩) বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান।

    মকর

    ১) সকালে অহেতুক কোনও অশান্তিতে জড়িয়ে পড়তে পারেন।

    ২) প্রতিবেশীদের হিংসার কারণে কাজে বাধা আসতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কুম্ভ

    ১) কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির কাছ থেকে চাপ আসতে পারে।

    ২) কর্মস্থানে মনোমালিন্য সৃষ্টি হতে পারে।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    মীন

    ১) কিছু কেনার জন্য স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হতে পারে।

    ২) শত্রুর সঙ্গে আপস করতে হতে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mini Pakistan: হিন্দুরা চলে যাচ্ছেন, মিনি পাকিস্তানে পরিণত হচ্ছে আলিগড়ের বানিয়াপাড়া!

    Mini Pakistan: হিন্দুরা চলে যাচ্ছেন, মিনি পাকিস্তানে পরিণত হচ্ছে আলিগড়ের বানিয়াপাড়া!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিগড়ের (Aligarh) বানিয়াপাড়া থেকে একে একে করে সরে যাচ্ছে হিন্দু পরিবার। এক সময় এই এলাকাকে বলা হত শহরের বৃন্দাবন। ১২টি প্রাচীন মন্দিরের জন্য এই (Mini Pakistan) এলাকা বিখ্যাত। এখানেই রয়েছে বাঁকে বিহারীর মন্দির। জানা গিয়েছে, নিরাপত্তাহীনতা ও সাম্প্রদায়িক অশান্তির কারণে এলাকা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন হিন্দুরা।   

    মন্দির নগরী বানিয়াপাড়া (Mini Pakistan)

    দিল্লি গেট থানার অন্তর্গত বানিয়াপাড়া ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় দিক থেকে বিশাল গুরুত্ব বহন করে। এখানে রয়েছে বিভিন্ন মন্দির। এর মধ্যে রয়েছে গোবিন্দজির মন্দির, লক্ষ্মণজির মন্দির, সত্যনারায়ণজির মন্দির, শনিদেবের মন্দির এবং তিনটি দেবী মন্দির। বাঁকে বিহারীর মন্দিরও রয়েছে এই এলাকায়। বৃন্দাবনের শ্রদ্ধেয় সন্ন্যাসী হরিদাসজির সঙ্গে সম্পৃক্ত এই মন্দির। এই এলাকাটি হরিদাস নগর নামে পরিচিত। এখানে পাঁচটি প্রাচীন কুয়া রয়েছে, যা এখনও ধর্মীয় কাজে ব্যবহৃত হয়।

    মুসলমানের বাড়বাড়ন্ত

    একসময় এই এলাকায় বাস (Mini Pakistan) ছিল বৈশ্য ও ব্রাহ্মণ পরিবারের। গত কয়েক বছরে এর জনসংখ্যার গঠনে বড় পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। বাড়তে থাকা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ও ইসলামিক বসতি বৃদ্ধির কারণে হিন্দু পরিবারগুলির মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে অনেকেই এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। প্রায় ২৫০টি হিন্দু পরিবারের মধ্যে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে প্রায় এক ডজন পরিবার তাদের বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে। সেগুলো এখন তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

    আরও পড়ুন: ভারত-মায়ানমার সীমান্তে ডেমোগ্রাফিক ডেটা তৈরির আহ্বান অমিত শাহের

    স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বাঁকে বিহারী মন্দির দেখতে এক সময় দূরদূরান্ত থেকে ভক্তরা আসতেন এখানে। সাম্প্রদায়িক হিংসার জেরে ইদানিং কমে গিয়েছে ভক্তদের আনাগোনা। বনিয়াপাড়ার পরিস্থিতি আরও জটিল।  কারণ এলাকার শ্যাম চৌক ও চিরাগ চিয়ানের মতো এলাকায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বেড়ে চলেছে। স্থানীয় হিন্দু পরিবারগুলি নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।বনিয়াপাড়ার জনসংখ্যা হ্রাস শুধু এক স্থানান্তরের গল্প নয়, এটি তার ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় ঐতিহ্য রক্ষার চ্যালেঞ্জগুলির একটি স্মারকও। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে টিকে থাকা প্রাচীন মন্দির ও সাংস্কৃতিক নিদর্শনগুলি এখন অবহেলা ও পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে (Aligarh)। ঐতিহাসিক ঐতিহ্য রক্ষা করতে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয়রা (Mini Pakistan)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Sambhal: সম্ভলে ১৫০ বছরের পুরানো কূপে খনন কাজ চালাচ্ছে এএসআই

    Sambhal: সম্ভলে ১৫০ বছরের পুরানো কূপে খনন কাজ চালাচ্ছে এএসআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে (Sambhal) ৪৬ বছর পর শিব-হনুমান মন্দির পুনরায় খোলার পরে, ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (ASI) বিভাগের খনন কাজের ফলে চান্দৌসি এলাকায় একটি কূপ আবিষ্কার হয়েছে। এই কূপটি অতি প্রাচীন বলে মনে করা হয়েছে। উল্লেখ্য এই এলাকাটি মুসলিম অধ্যুষিত। এখানে ব্যাপকভাবে বিদ্যুৎ চুরি হওয়ার কারণে স্থানীয় প্রশাসন অভিযান চালালে হিন্দু মন্দির এবং কূপের সন্ধান মেলে।

    মার্বেল ও ইট দিয়ে তৈরি তল (Sambhal)

    সম্ভল (Sambhal) জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাজেন্দ্র পেনসিয়া বলেন, “কূপটি প্রায় ৪০০ বর্গ মিটার এলাকা নিয়ে বিস্তৃত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এর মধ্যে চারটি কক্ষ রয়েছে। সেই সঙ্গে স্থাপনাটিতে মার্বেল দিয়ে তৈরি কয়েক তলা নির্মাণ করা অবস্থায় রয়েছে। সমীক্ষায় এটিকে ‘আহ-বাওলি তালাব’-এর নামে নথিভুক্ত করা হয়েছে। বলা হয় যে এই বাওলিটি বিলারির রাজার পিতামহের সময়ে নির্মিত হয়েছিল। মার্বেল এবং উপরের তলা ইট দিয়ে তৈরি হয়েছে কূপটি। বিষয়টি সরকারি নজরে আনা হয়েছে এবং পুরো কাঠামোটি উন্মোচনের (ASI) পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী মোদির ঐতিহাসিক সফর! ভারত কুয়েতের মধ্যে ৪টি মউ চুক্তি স্বাক্ষরিত

    ১৫০ বছরের পুরাতন কূপ

    জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাজেন্দ্র আরও বলেছেন, “কূপের কাঠামোটি সম্পূর্ণ কাদায় আচ্ছাদিত হয়ে রয়েছে, তাই পুরনিগমের কর্মীরা উপরের মাটি অপসারণের কাজ করছে। বর্তমানে মাত্র ২১০ বর্গ মিটার বাইরে রয়েছে এবং বাকি অংশ দখল করা হয়েছে। দ্রুত এলাকায় অবৈধ দখল অপসারণের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এই কূপের কাঠামোটি আনুমানিক ১৫০ বছরেরও বেশি পুরানো হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।”

    পুরনিগমের (Sambhal) নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণ কুমার সোনকার বলেছেন, “এখানে আগে হিন্দুদের বাসস্থান ছিল। মাটির নীচে একটি বড় কূপ রয়েছে। খননের কাজ চলছে। আমরা দ্রুত সেটি উদ্ধার করব। এটি উদ্ধার হলে আরও নানা তথ্য মিলবে। ” জেলার অন্য আর এক জায়গায় এএসআই পাঁচটি মন্দির এবং ১৯টি কূপের সমীক্ষার (ASI) কাজও করছে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • National Farmers Day: কৃষকদের পাশে মোদি সরকার, জাতীয় কৃষক দিবসে অন্নদাতাদের প্রতি শ্রদ্ধা

    National Farmers Day: কৃষকদের পাশে মোদি সরকার, জাতীয় কৃষক দিবসে অন্নদাতাদের প্রতি শ্রদ্ধা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের কৃষকদের (National Farmers Day) শ্রদ্ধা জানাতে প্রতি বছর ২৩ ডিসেম্বর ভারতে জাতীয় কৃষক দিবস পালন করা হয়। এই দিনটি ভারতের পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী চরণ সিংয়ের জন্মবার্ষিকী, যিনি কৃষক সম্প্রদায়ের অধিকার ও কল্যাণের পক্ষে সবসময় ছিলেন। একটি কৃষিনির্ভর অর্থনীতি হিসেবে ভারত তার কৃষকদের ওপর অনেক বেশি নির্ভর করে।

    কৃষকদের পাশে মোদি সরকার (National Farmers Day)

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতের কৃষির ক্ষেত্রে একটি অসাধারণ পরিবর্তন ঘটেছে। জাতির মেরুদণ্ড হিসেবে কৃষকদের (National Farmers Day) গুরুত্ব স্বীকার করে মোদি সরকার প্রগতিশীল নীতিগুলি বাস্তবায়ন করেছে। আধুনিক প্রযুক্তিতে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে মোদি সরকার। প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি (PM-KISAN) এবং প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা (PMFBY) -র মতো প্রকল্পগুলির প্রবর্তন কৃষকদের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা করেছে। কৃষক কল্যাণের প্রতি প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রতিশ্রুতি ভারতের উন্নয়নের মূলে রয়েছে। কৃষিকে দেশের সমৃদ্ধির একটি কেন্দ্রীয় স্তম্ভ বলে নিশ্চিত করা হয়।

    আরও পড়ুন: ভারত থেকে ব্রহ্মোস মিসাইল কিনতে চলেছে ভিয়েতনাম

    জাতীয় কৃষক দিবসের ইতিহাস

    ভারতের পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী চরণ সিংয়ের জীবন ও কৃতিত্বকে সম্মান জানাতে জাতীয় কৃষক (National Farmers Day) দিবস বা কিষাণ দিবস প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তিনি ১৯৭৯ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তাঁর মেয়াদে তিনি কৃষকদের জীবনযাত্রার উন্নতির লক্ষ্যে নীতিগুলিকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন, যার মধ্যে রয়েছে ভূমি সংস্কার এবং কৃষিকে উৎসাহিত করার উদ্যোগ। কৃষক সম্প্রদায়ের কল্যাণে তাঁর উত্সর্গের কারণে, তাঁর জন্মদিন ২৩ ডিসেম্বরকে জাতীয় কৃষক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

    জাতীয় কৃষক দিবসের তাৎপর্য

    দেশের ৩২৮.৭ মিলিয়ন হেক্টরের মধ্যে ৫৪.৮ শতাংশ কৃষি জমি। কৃষকরা তাদের অবিরাম প্রচেষ্টার মাধ্যমে জিডিপি এবং কর্মসংস্থানে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার সঙ্গে সঙ্গে লক্ষ লক্ষ মানুষের ভরণপোষণ নিশ্চিত করেন। ২০২৩-২৪ সালে ৩৩২.২ মিলিয়ন টন রেকর্ড-ব্রেকিং খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়েছে।খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে কৃষকদের অপরিহার্য ভূমিকার ওপর জোর দেয়। কৃষি গ্রামীণ উদ্যোক্তাকে উৎসাহিত করে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে। কৃষকদের (National Farmers Day) প্রচেষ্টার একটি প্রবল প্রভাব রয়েছে। 

    কৃষকদের উদ্যোগ

    আধুনিক ভারতীয় কৃষকরা (National Farmers Day) শুধু চাষিই নয়, উদ্ভাবকও। ফসলের ঘূর্ণন, জৈব চাষ এবং দক্ষ জল ব্যবস্থাপনার মতো টেকসই কৃষি পদ্ধতি গ্রহণ করে, তাঁরা জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশগত অবনতির মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করে। তাদের উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তিকে একীভূত করার জন্য উন্মুক্ততা, যেমন নির্ভুল চাষ এবং ড্রোন-ভিত্তিক পর্যবেক্ষণ, সম্পদ সংরক্ষণের সময় উৎপাদনশীলতা বাড়ায়। এই প্রচেষ্টাগুলি নিশ্চিত করে যে ভারতীয় কৃষি ভবিষ্যতের সঙ্গে আপোস না করেই বর্তমান চাহিদা মেটাতে সবরকমভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

    অন্নদাতা

    কৃষকদের (National Farmers Day) প্রায়ই ‘অন্নদাতা’ বা খাদ্য সরবরাহকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তারা দেশের খাদ্য সরবরাহ বজায় রাখার জন্য অনিশ্চিত আবহাওয়া, বাজারের ওঠানামা এবং আর্থিক অস্থিতিশীলতার মতো চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে কাজ করে। কিষাণ দিবস ভারতের অর্থনীতি, গ্রামীণ উন্নয়ন এবং খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখতে কৃষকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরে। একইসঙ্গে এই দিনটি ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন, টেকসই চাষাবাদ অনুশীলন এবং আধুনিক প্রযুক্তির অ্যাক্সেসের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করার একটি সুযোগ হিসেবে কাজ করে। কৃষকদের জীবন উন্নত করার জন্য সরকারি স্কিম এবং সংস্কার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে।

     কৃষক হল সমাজের মেরুদণ্ড

    ভারত কৃষি ভিত্তিক দেশ। এর গ্রামীণ জনসংখ্যার অধিকাংশই কৃষি বা কৃষি-সম্পর্কিত কাজের ওপর নির্ভরশীল। কৃষকরা হলেন সমাজের মেরুদণ্ড। জাতি যাতে পুষ্ট থাকে তা নিশ্চিত করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেন কৃষকরা। কিষাণ দিবস হল দেশের জন্য কৃষকদের অমূল্য অবদানকে আরও ভালোভাবে বোঝার এবং উপলব্ধি করার একটি দিন। এই দিনে, কৃষিতে বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের সঙ্গে মানুষকে পরিচয় করিয়ে দিতে দেশজুড়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই প্রোগ্রামগুলি কৃষকদের মুখোমুখি হওয়া চ্যালেঞ্জগুলি নিয়ে আলোচনা করার এবং তাদের চাহিদা এবং আকাঙ্ক্ষাগুলি অন্বেষণ করার জন্য কাজ করে। তাই, জাতীয় কৃষক দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয় কৃষির নিরন্তর মূল্য এবং এটি সংরক্ষণের সম্মিলিত দায়িত্ব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttarakhand: ১০ বছরে তিনটে বিয়ে করে ১.২৫ কোটি আয়, ‘লুটেরা স্ত্রী’ গ্রেফতার

    Uttarakhand: ১০ বছরে তিনটে বিয়ে করে ১.২৫ কোটি আয়, ‘লুটেরা স্ত্রী’ গ্রেফতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ পুলিশের জালে উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) কুখ্যাত ‘লুটেরা স্ত্রী’ (Robber Wife)। গত ১০ বছরে তিনটে বিয়ে করেছেন তিনি। রোজগার করেছেন ১.২৫ কোটি টাকা। জানা গিয়েছে, প্রায় ১০ বছর ধরে এই ধরনের জালিয়াতির কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তিনি। রীতি মতো যুবকদের টার্গেট করে প্রথমে বিয়ে, এরপর বিচ্ছেদের মামলা করে খোরপোশের নামে টাকা হাতানোই ছিল তাঁর একমাত্র লক্ষ্য।

    প্রথম বিয়ের ক্ষতিপূরণ বাবদ ৭৫ লক্ষ টাকা হাতিয়েছিলেন (Uttarakhand)

    উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) বাসিন্দা সীমা ওরফে নিক্কি। ২০১৩ সালে প্রথমে তিনি আগ্রার এক ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেছিলেন। পরে শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করেন এবং ক্ষতিপূরণ বাবদ ৭৫ লক্ষ টাকা পান। এখান থেকেই শুরু তাঁর যাত্রা। এরপর আরও একাধিক বিয়ে করেন এবং মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়েছেন সীমা। ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি চালিয়েছেন এই দুষ্কর্ম। এরপর এবার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে। তবে তাঁকে অলিখিতভাবে ‘লুটেরা স্ত্রী’ (Robber Wife) নামেও জানা যায়।

    আরও পড়ুনঃ ভারত-মায়ানমার সীমান্তে ডেমোগ্রাফিক ডেটা তৈরির আহ্বান অমিত শাহের

    দ্বিতীয় বিবাহে ১০ লক্ষ টাকা হাতিয়েছেন

    পুলিশ (Uttarakhand) সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালের পর ২০১৭ সালে গুরুগ্রামের এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়রকে বিয়ে করেছিলেন সীমা। একই ভাবে স্বামীর বিরুদ্ধে বিচ্ছেদ মামলায় খোরপোশ বাবদ ১০ লক্ষ টাকা আদায় করেছিলেন। সম্প্রতি আবার তিনি জয়পুরের এক ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেছিলেন। তবে এবার আর কোনও মামলা করেননি। তিনি বাড়ি থেকে মোটা অঙ্কের টাকা চুরি করেছেন। বিয়ের মাত্র কয়েক সপ্তাহবাদেই সোনার গয়না এবং নগদ মিলিয়ে ৩৬ লক্ষ টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। থানায় তাঁর (Robber Wife) বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে পুলিশ তদন্তে নামে এবং এরপরই গ্রেফতার হন নিক্কি।

    ছলে বলে কৌশলে ফাঁসিয়ে টাকা হাতাতেন

    পুলিশের (Uttarakhand) জেরায় সীমা জানিয়েছেন, একাধিক বিয়ের অ্যাপে নিজের বিয়ের বিজ্ঞাপন দিতেন সীমা। এরপর নিজের টার্গেট অনুযায়ী পাত্র বাছাই করতেন। ডিভোর্স হয়েছে বা স্ত্রী মারা গিয়েছে, এমন পাত্রদের শিকার করতেন। প্রথমে কথা, পরে ছলেবলে কৌশলে ফাঁসিয়ে টাকা হাতাতেন। বিয়ে করে নানা রকম ষড়যন্ত্র করে মামলা দিয়ে টাকা হাতানোর কাজও করতেন। শেষমেশ এই কাজ করে ১.২৫ কোটি টাকা আয় করেছেন বলে স্বীকার করেছেন সীমা ওরফে ‘লুটেরা স্ত্রী’।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: সম্প্রীতি বজায় রাখুন, বাংলাদেশিদের খোলা চিঠি লিখলেন বিশিষ্ট ভারতীয়রা

    Bangladesh Crisis: সম্প্রীতি বজায় রাখুন, বাংলাদেশিদের খোলা চিঠি লিখলেন বিশিষ্ট ভারতীয়রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) জনগণের কাছে খোলা চিঠি লিখলেন ৬৮৫ জন বিশিষ্ট ভারতীয়। তাঁরা যে চিঠি লিখেছেন, সে খবর প্রকাশ করে মাধ্যম। আজ, সোমবার সকালে বাংলাদেশের হাইকমিশনের হাতে তুলে দেওয়া হয় সেই চিঠি।

    সম্প্রীতি বজায় রাখার আবেদন (Bangladesh Crisis)

    চিঠিতে বাংলাদেশের নাগরিকদের শান্তি ও বন্ধুত্বের পথে চলার অনুরোধ জানানো হয়েছে। সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ, তাঁদের সম্পত্তি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং তাঁদের দেশ ছেড়ে (Bangladesh) চলে যেতে বাধ্য করার জন্য অবিলম্বে জবরদস্তি বন্ধ করার আহ্বানও জানানো হয়েছে। চিঠিতে যাঁরা স্বাক্ষর করেছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ১৯ জন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক, ১৩৯ জন অবসরপ্রাপ্ত আমলা (এর মধ্যে রয়েছেন ৩৪ জন রাষ্ট্রদূত), ৩০০ জন উপাচার্য, ১৯২ জন প্রাক্তন সামরিক অফিসার এবং নাগরিক সমাজের ৩৫ জন গণ্যমান্য ব্যক্তি।

    চিঠিতে উদ্বেগ প্রকাশ

    চিঠিতে বলা হয়েছে, ভারতের জনগণ বাংলাদেশের অবনতিশীল পরিস্থিতিকে ক্রমবর্ধমান শঙ্কার সঙ্গে দেখেন এবং উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বাংলাদেশে একটি নৈরাজ্যের পরিবেশ বিরাজ করছে। সরকারি ও বেসরকারিভাবে দেশ জুড়ে জোরপূর্বক পদত্যাগের একটি প্যাটার্ন অনুসরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিচার বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ (পুলিশ সহ), শিক্ষা জগৎ এমনকি সংবাদমাধ্যমও। পুলিশ বাহিনী এখনও পূর্ণ শক্তিতে দায়িত্বে ফিরে আসেনি এবং সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি এবং পুলিশের ক্ষমতা দেওয়া সত্ত্বেও, স্বাভাবিকতা এখনও ফিরে আসেনি। চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ভারতে গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। কারণ বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে।

    আরও পড়ুন: ভারত-মায়ানমার সীমান্তে ডেমোগ্রাফিক ডেটা তৈরির আহ্বান অমিত শাহের

    বাংলাদেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হচ্ছেন সে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। এর (Bangladesh Crisis) মধ্যে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানের পাশাপাশি রয়েছে শিয়া, আহমদিয়া এবং অন্যান্যরাও। চিঠিতে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে এই বলে যে, বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতি সীমান্তের ওপারে ছড়িয়ে পড়তে পারে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে ব্যাহত করতে পারে এবং ভারতে গুরুতর আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। চিঠিতে লেখা হয়েছে, আমরা আশা করি যে এটি বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ের জনগণকে শান্তি, বন্ধুত্ব এবং বোঝাপড়ার পথে এক সঙ্গে চলতে সাহায্য করবে (Bangladesh), যা বাংলাদেশ সৃষ্টির পর থেকে ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমাদের টিকিয়ে রেখেছে (Bangladesh Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 229: “‘সন্তানের উপর মায়ের টান, সতী স্ত্রীর স্বামীর উপর টান, আর বিষয়ীর বিষয়ের উপর টান”

    Ramakrishna 229: “‘সন্তানের উপর মায়ের টান, সতী স্ত্রীর স্বামীর উপর টান, আর বিষয়ীর বিষয়ের উপর টান”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িমধ্যে

    একাদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১০ই জুন

    বেলঘরের ভক্তকে শিক্ষা—ব্যাকুল হয়ে আর্জি কর—ঠিক ভক্তের লক্ষণ

    বেলঘরের ভক্ত—আপনি আমাদের কৃপা করুন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—সকলের ভিতরই তিনি রয়েছেন। তবে গ্যাস কোম্পানিকে আর্জি কর। তোমার ঘরের সঙ্গে যোগ হয়ে যাবে।

    “তবে ব্যাকুল হয়ে আর্জি (Prayer) করতে হয়। এমনি আছে, তিন টান একসঙ্গে হলে ঈশ্বরদর্শন হয়। ‘সন্তানের উপর মায়ের টান, সতী স্ত্রীর স্বামীর উপর টান, আর বিষয়ীর বিষয়ের (Kathamrita) উপর টান।’

    “ঠিক ভক্তের (Ramakrishna) লক্ষণ আছে। গুরুর উপদেশ শুনে স্থির হয়ে থাকে। বেহুলার কাছে জাতসাপ স্থির হয়ে শুনে, কিন্তু কেউটে নয়। আর-একটি লক্ষণ—ঠিক ভক্তের ধারণা শক্তি হয়। শুধু কাচের উপর ছবির দাগ পড়ে না, কিন্তু কালি মাখানো কাচের উপর ছবি উঠে, যেমন ফটোগ্রাফ; ভক্তিরূপ কালি।

    “আর-একটি লক্ষণ। ঠিক ভক্ত জিতেন্দ্রিয় হয়, কামজয়ী হয়। গোপীদের কাম হত না।

    “তা তোমরা সংসারে আছ তাহলেই বা; এতে সাধনের আরও সুবিধা, যেমন কেল্লা থেকে যুদ্ধ করা। যখন শবসাধন করে, মাঝে মাঝে শবটা হাঁ করে ভয় দেখায়। তাই চাল, ছোলাভাজা রাখতে হয়। তার মুখে মাঝে মাঝে দিতে হয়। শবটা ঠাণ্ডা হলে, তবে নিশ্চিন্ত হয়ে জপ করতে পারবে। তাই পরিবারদের ঠাণ্ডা রাখতে হয়। তাদের খাওয়া-দাওয়ার যোগাড় করে দিতে হয়, তবে সাধন-ভজনের (Kathamrita) সুবিধা হয়।

    “যাদের ভোগ একটু বাকী আছে, তারা সংসারে থেকেই তাঁকে ডাকবে। নিতাই-এর ব্যবস্থা ছিল, মাগুর মাছের ঝোল, ঘোর যুবতীর কোল, বোল হরি বোল।

    “ঠিক ঠিক ত্যাগীর আলাদা কথা; মৌমাছি ফুল বই আর কিছুতেই বসবে না। চাতকের কাছে ‘সব জল ধুর’; কোন জল খাবে না কেবল স্বাতী-নক্ষত্রের বৃষ্টির জন্য হাঁ করে আছে। ঠিক ঠিক ত্যাগী অন্য কোন আনন্দ নেবে না, কেবল ঈশ্বরের আনন্দ। মৌমাছি কেবল ফুলে বসে। ঠিক ঠিক ত্যাগী সাধু যেন মৌমাছি। গৃহীভক্ত (Ramakrishna) যেন এই সব মাছি—সন্দেশেও বসে, আবার পচা ঘায়েও বসে।

    আরও পড়ুনঃ “লজ্জা, ঘৃণা, ভয়, জাতি, কুল, শীল, শোক, জুগুপ্সা, ওই অষ্টপাশ-গুরু না খুলে দিলে হয় না”

    আরও পড়ুনঃ “ষড় চক্র ভেদ হলে মায়ার রাজ্য ছাড়িয়ে জীবাত্মা পরমাত্মার সঙ্গে এক হয়ে যায়, এরই নাম ঈশ্বরদর্শন”

    আরও পড়ুনঃ “গোপীদের কি ভালবাসা, কি প্রেম, শ্রীমতী স্বহস্তে শ্রীকৃষ্ণের চিত্র এঁকেছেন”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • 1999 Kargil War: কার্গিল যুদ্ধের প্রথম তথ্যদাতাকে শেষ শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাল ভারতীয় সেনা

    1999 Kargil War: কার্গিল যুদ্ধের প্রথম তথ্যদাতাকে শেষ শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাল ভারতীয় সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সেনাবাহিনী ১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধের (1999 Kargil War) প্রথম তথ্যদাতা তাশি নামগিয়ালকে (Totashi Namgyal) শেষ শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়েছে। তিনিই প্রথম ভারতীয় সেনাবাহিনীকে পাকিস্তান সৈন্যের অনুপ্রবেশের কথা জানিয়েছিলেন। আগাম তথ্য দিয়ে সতর্ক না করলে সমস্যায় পড়ত ভারত। ভারত এই যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত জয়লাভ করেছিল। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে ভারতীয় সেনা বাহিনী। বলা হয়েছে, তাঁর অবদান ভারতের জন্য অবিস্মরণীয়। তাশি নামগিয়াল স্ত্রী এবং দুই ছেলেকে রেখে গিয়েছেন।

    একজন দেশপ্রেমী বীরের শেষ বিদায় (1999 Kargil War)

    জানা গিয়েছে, শনিবার মধ্যরাতে মধ্য লাদাখের আরিয়ান উপত্যকায় মৃত্য হয়েছে তাঁর। তাশি নামগিয়ালের (Totashi Namgyal) মৃত্যুতে পরিবারের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছে ভারতীয় সেনা বাহিনী। এক্স হ্যান্ডেলে ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি কর্পস আধিকারিক লিখেছেন, “ভারতীয় সেনা বাহিনী দেশের জন্য তাঁর কৃতিত্বকে অবিস্মরণীয় করে রাখবে। তিনি নিঃস্বার্থভাবে দেশের জন্য কাজ করে গিয়েছেন। একজন দেশপ্রেমী বীরের শেষ বিদায় হয়েছে। শোকতপ্ত পরিবারের পাশে ভারতীয় সেনা রয়েছে। পরিবারকে সব রকম সহযোগিতা করা হবে। দেশের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।”

    আরও পড়ুনঃ যোগীরাজ্যে এনকাউন্টারে খতম ৩ খালিস্তানি জঙ্গি

    প্রায় ৬০ দিন ধরে চলেছিল যুদ্ধ!

    ভারতে স্বাধীনতা-উত্তর যুগে পাকিস্তানের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ ছিল লাদাখের কার্গিল যুদ্ধ (1999 Kargil War)। ৬০ দিনেরও বেশি সময় ধরে এই লড়াই চলেছিল। এই যুদ্ধে সিয়াচেন গ্লেসিয়ার রক্ষা করাই ভারতের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই উঁচু জায়গাটা থেকে একদিকে পাকিস্তান, অন্য দিকে চিনা সেনার গতিবিধি নজরে রাখা যায়। ২৬ জুলাই, ১৯৯৯ সালে একটি ঐতিহাসিক জয় সুনিশ্চিত করেছিল ভারত। প্রচণ্ড ঠান্ডা এই এলাকায়। সেই ঠান্ডা উপেক্ষা করে এদিনই ভারতীয় বাঙ্কারগুলি পাকসেনার দখল মুক্ত করেছিলেন সেনা-জওয়ানরা। যদি ঠিক সময়ে পাকিস্তানের অনুপ্রবেশের খবর ভারতীয় সেনার কাছে পৌঁছে দেওয়া না যেতো, তাহলে আরও বড়সড় সমস্যায় পড়তে হতো ভারতকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Srirampur:  নিয়মের বেড়াজালে বন্ধ হয়ে গেল শ্রীরামপুর-কলকাতা ৯৮ বছরের পুরানো ৩ নম্বর বাসরুট

    Srirampur: নিয়মের বেড়াজালে বন্ধ হয়ে গেল শ্রীরামপুর-কলকাতা ৯৮ বছরের পুরানো ৩ নম্বর বাসরুট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর দুবছর হলেই হয়তো সেঞ্চুরির সেলিব্রেশন করতে পারতেন বাসরুটের কর্মীরা। অনেক প্রবীণ মানুষের কাছে বহু স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে শ্রীরামপুর (Srirampur) -কলকাতা বাসরুট। কিন্তু, সেঞ্চুরির দরজায় দাঁড়িয়েও সেঞ্চুরি করার স্বপ্ন আর পূরণ হল না এই বাসরুটের। ৯৮ বছর ধরে চলা এই বাসরুটে বন্ধ হয়ে গেল বাস চলাচল।

    কবে শুরু হয়েছিল এই বাসরুট?(Srirampur)

    জানা গিয়েছে, ১৯২৬ সালে হুগলির শ্রীরামপুর (Srirampur) থেকে কলকাতার বাগবাজার পর্যন্ত লম্বা রুটে প্রথম পরিষেবা চালু হয়েছিল ৩ নম্বর রুটের। গত কয়েক বছর ধরেই অবশ্য এই রুটে বাসের সংখ্যা নিয়মিত ভাবে কমতে শুরু করেছিল। রুটে যাঁদের বাস চলত, সেই বাসের (Bus) মালিকরা নতুন করে আর এই রুটে বাস নামিয়ে ব্যবসা চালাতে রাজি হননি। সে জন্যই কয়েক বছর আগেও যাত্রীদের যে বাস পাওয়ার জন্য মাত্র তিন-চার মিনিটের বেশি অপেক্ষা করতে হত না, পরে সেই বাসের দেখা পাওয়াই কঠিন হত। বাসের বয়স ১৫ হলে তা আর রাস্তায় নামানো যাবে না – প্রশাসনের এমন নির্দেশের পর বন্ধ হল ৩ নম্বর রুটের একমাত্র বাসটি। ১০০ বছর পূর্ণ হতে যখন আর মাত্র দু’বছর বাকি, তখনই বন্ধ হয়ে গেল এই রুটে চলা শেষ বাসটির চাকা। কলকাতা, শহরতলি এবং রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার বাস পরিষেবা নিয়ে কাজ করে কলকাতা বাস-ও-পিডিয়া নামে একটি সংগঠন। প্রধানত বাসপ্রেমীরা মিলেই এই সংগঠন তৈরি করেছেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে অনিকেত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “২০০৮-এও ওই রুটে ৬৯টি বাস চলত। সেই সংখ্যা কমতে শুরু করে ২০১৮ সালে ২২-এ এসে দাঁড়ায়। শেষ কয়েক বছর একটি মাত্র বাস চলত। সেই বাসটিও এ বার স্ক্র্যাপ হয়ে যাবে – এত লম্বা একটা রুট পুরো বন্ধ হয়ে গেল।”

    আরও পড়ুন: ভারত থেকে ব্রহ্মোস মিসাইল কিনতে চলেছে ভিয়েতনাম

    বাস মালিকরা কী বললেন?

    ৩ নম্বর রুটের শেষ বাসটির মালিক ছিলেন সুদীপ গোস্বামী। তিনি বলেন, “রুট ছিল শ্রীরামপুর (Srirampur) থেকে কলকাতার বাগবাজার। এত লম্বা রুটে কেউ যেতেন না। আমাদের প্রায় সব যাত্রীই ছিলেন শর্ট রুটের। কিন্তু, গত কয়েক বছরে অটো এবং টোটোর সংখ্যা অত্যন্ত বেড়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, শ্রীরামপুর থেকে বালি পর্যন্ত অংশে জিটি রোড মাঝে মধ্যে এতটাই সরু যে বাস চালানো অত্যন্ত কঠিন। ফলে দীর্ঘ সময়ে যানজটে আটকে থাকতে হত।” বেসরকারি বাসমালিকদের সংগঠন, অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘গত চার বছরে কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকায় ৪০টির কাছাকাছি বাসরুট বন্ধ হয়েছে। প্রশাসনের তরফ থেকে আমরা এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন রুট বাঁচানোর জন্য কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ করতে দেখিনি।’ বাসমালিকদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন, “অটো বা টোটোর হওয়া উচিত ছিল ‘লাস্ট পয়েন্ট অফ কানেকটিভিটি’ অর্থাৎ, অটো-টোটোর বাড়ি থেকে বাস চলার পথ পর্যন্ত চলবে। তবে এখন অটো-টোটোও বাসের প্রতিযোগী হয়ে পড়েছে। তারই প্রভাবে পর পর বাসরুট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share