Tag: Bengali news

Bengali news

  • RSS: এবার আরএসএসের দিল্লির দফতরের নিরাপত্তায় সিআইএসএফ

    RSS: এবার আরএসএসের দিল্লির দফতরের নিরাপত্তায় সিআইএসএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমাজ গঠনে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে আরএসএস (RSS)। নিরন্তর নানা কর্মসূচির মাধ্যমে করে চলেছে সমাজ গঠনের কাজ। ভারতকে (India) বিশ্বে আদর্শ সমাজ হিসেবে তুলে ধরতে প্রাণপাত করে চলেছেন স্বয়ংসেবকরা। এই আরএসএসের একটি দফতর রয়েছে দিল্লিতে। এই সংগঠনের নিরাপত্তায় এবার নিয়োগ করা হচ্ছে সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স, সংক্ষেপে সিআইএসএফ (CISF)। সোমবার আরএসএসের এক আধিকারিক বলেন, এবার থেকে সিআইএসএফের নিরাপত্তার বলয়ে থাকবে দিল্লিতে সংগঠনের সদর দফতর।
    খবরটি যে ঠিক, তা নিশ্চিত করেছেন সিআইএসএফের এক প্রবীণ আধিকারিক। তিনি জানান, জেড প্লাস সিকিউরিটির নিয়ম মেনে দিল্লির কেশব কুঞ্জে সংগঠনের সদর দফতরে মোতায়েন করা হয়েছে  বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত সিআইএসএফ জওয়ানদের। তিনি জানান, নাগপুরে আরএসএসের সদর দফতর এবং আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত ইতিমধ্যেই সিআইএসএফের নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে রয়েছেন। ভাগবতকে জেড প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। 
    জানা গিয়েছে, দিল্লিতে আরএসএসের অফিস ১ সেপ্টেম্বর থেকে নিরাপত্তার মোড়কে ঢেকে ফেলা হয়েছে। আরএসএসের এক আধিকারিক জানান, অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে সিআইএসএফের জওয়ানরা পাহারা দিচ্ছেন দিল্লির অফিস। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে হামলার খবর পাওয়ার পর আঁটোসাঁটো করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নিয়ম অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি কিংবা সংস্থাকে তখনই সেন্ট্রাল সিকিউরিটি দেওয়া হয়, যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে হুমকি সংক্রান্ত রিপোর্ট খতিয়ে দেখা হয়। এই হুমকি সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রস্তুত করে বিভিন্ন সেন্ট্রাল সিকিউরিটি এজেন্সি। তার প্রেক্ষিতেই বিবেচনা করে ব্যবস্থা করা হয় নিরাপত্তার। 

    আরও পড়ুন : আদর্শ সমাজের লক্ষ্যে রায়পুরে বসতে চলেছে আরএসএস-এর বার্ষিক সমন্বয় বৈঠক
    প্রসঙ্গত, আরএসএস যে ভারতকে বিশ্বে একটি মডেল সোসাইটি বা আদর্শ সমাজ হিসেবে তুলে ধরতে চায়, গত রবিবার দিল্লি ইউনিটের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে সেকথা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। তিনি বলেছিলেন, সংগঠন (আরএসএস) কাজ করছে সমাজকে জাগ্রত করতে এবং সমাজকে একত্রিত করতে। যাতে গোটা বিশ্বে সেটা একটা মডেল সোসাইটি হয়ে দাঁড়ায়। ওই অনুষ্ঠানে তিনি ‘আমি’ এবং ‘আমার’ চেয়ে বেশি জোর দিয়েছিলেন ‘আমাদের’ ওপর। 
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Arpita Mukherjee: মালিক-মালকিন ইডি জালে, সারমেয় বন্দি ‘চিলতে’ ফ্ল্যাটে!

    Arpita Mukherjee: মালিক-মালকিন ইডি জালে, সারমেয় বন্দি ‘চিলতে’ ফ্ল্যাটে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৬০০ বর্গফুট জায়গা। সেখানেই মিলেমিশে রয়েছে ভিন্ন প্রজাতির ন’টি সারমেয় (Dogs)। এদের মালিক ও মালকিন এখন ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার। তাই প্রশিক্ষকরাও (Trainer) আসেন না। বাইরে বেরনো হয় না। কেবল একজন এসে নিয়মিত খাবার দিয়ে যান। অগত্যা চিলতে ঘরেই আপাতত দিন কাটছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chaterjee) ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) সাধের কুকুরকুলের।

    টালিগঞ্জের ডায়মন্ড সিটি সাউথ আবাসনের ১৮ তলার একটি ঘরেই বাস অ-পার কুকুরগুলির। যে ন’টি কুকুর রয়েছে সেগুলির সবই উন্নত প্রজাতির। স্থানীয়দের বক্তব্য, কুকুরগুলির একটি রটওয়েলার, একটি ইংলিশ বুলডগ, একটি ফ্রেঞ্চ বুলডগ। রয়েছে একটি করে পাগ এবং বিগল প্রজাতির কুকুর। দুটি করে ল্যাব্রাডর ও গোল্ডেন রিট্রিভারও রয়েছে।উন্নত প্রজাতির এই কুকুরগুলির মূল্য চার লক্ষ টাকারও বেশি।

    আরও পড়ুন : টাকা আমার নয়, আমার নয়, আমার নয়, তিন সত্যি পার্থর!

    স্থানীয়রাই জানাচ্ছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায় যখন ইডির হাতে গ্রেফতার হননি, যখন অর্পিতার ফ্ল্যাটে হদিশ মেলেনি সোনা-টাকার খনির, তখন সুদিন ছিল এই সারমেয়কুলের। প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে আসতেন প্রশিক্ষকরা। বিভিন্ন কুকুরের আলাদা আলাদা প্রশিক্ষক। রাস্তায় বের হলে হাঁ করে দেখতেন স্থানীয়রা। কুকুর প্রেমীরা এগিয়ে আসতেন দামী কুকুর একবার ছুঁয়ে দেখতে। নানা রঙের ও দামের এই কুকুরগুলি লিফ্টে করে নামত ফি বিকেলে। ট্রেনিং শেষে ফিরত এসি ফ্ল্যাটে। তার পরেই একপ্রস্ত ভূরিভোজ। লেজ নাড়িয়ে মালিক-মালকিনের আদর খাওয়া।

    মালিক-মালকিন গ্রেফতার হওয়ার পরেই বেমালুম হাওয়া সেসব আদর যত্ন। বদলেছে সারমেয়কুলের দৈনন্দিন রুটিনও। এখন আর প্রশিক্ষকরা আসেন না। তবে খাবার আসে। কুকুরগুলি বর্জ্য কে পরিষ্কার করে, ফ্ল্যাটে এসি চলে কিনা, তা জানেন না স্থানীয়রাও। 

    পার্থ-অর্পিতা গ্রেফতার হওয়ার পরেই একটি এনজিও সংস্থার তরফে ইডিকে অনুরোধ করা হয়েছিল, আপাতত কুকুরগুলিকে তাদের জিম্মায় দেওয়া হোক। এনজিওর এক কর্তা জানান, তারা আমাদের দেবে বলে আশ্বস্ত করেছিল। কিন্তু এখনও কিছুই করা হয়নি।

    আরও পড়ুন : বেনামি ফ্ল্যাটের ‘মালকিন’ অর্পিতা, ভিজিটরদের নাম-ধাম জানতে কেন নিষেধ ছিল নিরাপত্তাকর্মীদের?

    অতএব, ১৬০০ বর্গফুটের চিলতে ঘরেই মালিক-মালকিনের জন্য হা-পিত্যেশ করে বসে রয়েছে তাঁদের সাধের সারমেয়রা। মাঝে মধ্যে অবশ্য চিৎকার করে। হয়তো মালিক কিংবা মালকিনের খোঁজ করে। অবোলা পশুরা তো আর জানে না মালিক-মালকিন এখন ইডির জালে। যে জাল ছিঁড়ে বেরনো সহজ নয়, বাবা!

     

  • Siuri Sealdah New Train: চালু হয়ে গেল সিউড়ি-শিয়ালদহ এক্সপ্রেস, জনতার মুখে জগন্নাথ-স্তুতি

    Siuri Sealdah New Train: চালু হয়ে গেল সিউড়ি-শিয়ালদহ এক্সপ্রেস, জনতার মুখে জগন্নাথ-স্তুতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতীক্ষার প্রহর গোণা শেষ হল সিউড়িবাসীর (Inhabitants of Siuri)। রবিবারের শুভক্ষণে চালু হয়ে গেল সিউড়ি-শিয়ালদহ এক্সপ্রেসের (Siuri Sealdah Express)। এই ট্রেনে চড়েই খুব কম সময়ে সিউড়ি (Siuri) থেকে পৌঁছে যাওয়া যাবে কলকাতার (Kolkata) প্রাণকেন্দ্রে। তাই ট্রেনযাত্রার সূচনা হতেই সিউড়িতে শুরু হয়ে গেল উৎসব।

    এই উৎসবের নান্দীমুখ হয়েছিল আগেই। কিছুদিন আগেই রেলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল ৩১ জুলাই উদ্বোধন হবে সিউড়ি-শিয়ালদহ এক্সপ্রেসের। তার পরেই একটু একটু করে ডানা মেলতে শুরু করেছিল সিউড়িবাসীর স্বপ্ন। সেই স্বপ্নই পূরণ হল রবিবার।

    সিউড়ি থেকে কলকাতা যাত্রার একটা দুরন্ত গতির ট্রেনের দাবি সিউড়িবাসীর দীর্ঘদিনের। সেই দাবি পূরণে ব্যর্থ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। উদাসীনতার অভিযোগও উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে সিউড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হন প্রাক্তন সাংবাদিক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। ভোটের প্রচারে বেরিয়ে জনতার নাড়ি বোঝেন। ভোটে অবশ্য হেরে যান সিউড়ির ভূমিপুত্র জগন্নাথ। জনতা তাঁকে চাইলে কী হবে, শাসক দলের ভোট মেশিনারির কাছে পরাস্ত হন তিনি। তা সত্ত্বেও সিউড়িবাসীর স্বপ্ন পূরণে উদ্যোগী হন জগন্নাথ। কথা বলেন রেলমন্ত্রীর সঙ্গে। আশ্বাস নিয়ে তবেই ফেরেন দিল্লি থেকে। সেই খবর আগেই মাধ্যম জানিয়ে দিয়েছে পাঠকদের। সিউড়িবাসীর দীর্ঘদিনের লালিত সেই স্বপ্নই পূরণ হল এদিন।

    আরও পড়ুন : রবিবার থেকেই সিউড়ি-শিয়ালদহ নতুন ট্রেন

    রবিরার দুপুরে সিউড়ি ছিল আক্ষরিক অর্থেই উৎসবের মেজাজে। রঙিন বেলুন, ঢাক ও ব্যান্ড পার্টি সহযোগে বিজেপি কর্মীরা তরুণ তুর্কি নেতা জগন্নাথকে সঙ্গে নিয়ে যান সিউড়ি স্টেশনে। সেখানে তার পরে পরেই চলে আসেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। এদিন মেমু এক্সপ্রেসের ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু, জগন্নাথ। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, বীরভূম এগোবে জগন্নাথের মতো তরুণ নেতার হাত ধরে। প্রকৃত শান্তিনিকেতন তৈরি হবে এখানে। ট্রেন চালু হওয়ায় যারপরনাই খুশি জগন্নাথ। বলেন, যা করার কথা ছিল বিধায়ক, সাংসদের, তাঁরা তা করেননি। আমি হেরে গিয়েও সিড়ড়িবাসীর দাবি পূরণ করার স্বপ্ন দেখা ছাড়িনি। সেই স্বপ্নই পূরণ হল এদিন। সিউড়িবাসীর স্বপ্ন পূরণ হতে সময় লাগল ৭৫ বছর!    

    পয়লা আগস্ট থেকে প্রতিদিন ভোর ৫টা ২০-তে এই মেমু এক্সপ্রেস ছাড়বে সিউড়ি থেকে। পথে ট্রেনটি দাঁড়াবে পাণ্ডবেশ্বর, অন্ডাল, দুর্গাপুর, পানাগড়, বর্ধমান, ব্যান্ডেল এবং নৈহাটিতে। শিয়ালদহ পৌঁছবে সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে। স্বাভাবিকভাবেই বিরাট সুবিধা হবে অফিস যাত্রীদের। বিকেলে ফের শিয়ালদহ থেকে ট্রেনটি ছাড়বে ৫টা ২৫ মিনিটে। সিউড়ি পৌঁছবে রাত ৯টা ৩২এ। ফলে ভোরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে দিনের দিন কলকাতায় কাজ সেরে ফের ঘরে ফেরার সুযোগ এবার সিউড়িবাসীর হাতের মুঠোয়। তাই সিউড়িবাসীর মুখে এখন কেবলই জগন্নাথ-স্তুতি।

    আরও পড়ুন : টাকা আমার নয়, আমার নয়, আমার নয়, তিন সত্যি পার্থর!

  • Direct Tax Collection: ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতি, বাড়ল প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের পরিমাণ 

    Direct Tax Collection: ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতি, বাড়ল প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের পরিমাণ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়ল প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের (Direct Tax Collection) পরিমাণ। শতাংশের হিসেবে প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫.৪৬। ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এর পরিমাণ টাকার অঙ্কে ৬.৪৮ লক্ষ কোটি। বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রকের (Finance Ministry) তরফে জানানো হয়েছে একথা। প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের এই যে পরিমাণ, এর মধ্যে রয়েছে পার্সোনাল ইনকাম ট্যাক্সও। প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের এই পরিমাণ ভারতীয় অর্থনীতির সুদিনের প্রতিফলন। প্রসঙ্গত, চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে ভারতে জিডিপি বৃদ্ধির হার ১৩.৫ শতাংশ।

    প্রত্যক্ষ কর হল দেশের নাগরিকের আয় ও সম্পদের ওপর নির্দিষ্ট হারে আদায়কৃত সরকারি রাজস্ব। এর উল্টো পিঠে রয়েছে পরোক্ষ কর বা মূল্য সংযোজন কর। এটি পণ্য ও সেবা উৎপাদন ও বিক্রয়, আমদানি, রফতানি ও অভ্যন্তরণী ব্যবসা বাণিজ্যের ওপর আরোপ করা হয়।

    জানা গিয়েছে, গত বছর এই সময় সীমায় প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের পরিমাণ যা ছিল এবার তার চেয়ে বেড়েছে ৩০.১৭ শতাংশ। আয়কর দফতর যে ডেটা প্রকাশ করেছে, তা থেকেই জানা গিয়েছে এই তথ্য। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের পরিমাণ টোটাল বাজেট এস্টিমেটের ৩৭.২৪ শতাংশ।

    আরও পড়ুন : অক্টোবর থেকে বড়সড় পরিবর্তন আসছে জিএসটি নিয়মে, জেনে নিন

    অর্থমন্ত্রকের জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ৮ সেপ্টম্বর পর্যন্ত প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের পরিমাণ  এটা দেখায় যে মোট আদায়ের পরিমাণ ৬.৪৮ লক্ষ কোটি টাকা। গত বছর এই সময় সীমায় যা সংগৃহীত হয়েছিল তার চেয়ে ৩৫.৪৬ শতাংশ বেশি। কর্পোরেট ইনকাম ট্যাক্সের বৃদ্ধির হার ২৫.৯৫ শতাংশ। আর পার্সোনাল ইনকাম ট্যাক্সের বৃদ্ধির হার ৪৪.৩৭ শতাংশ। প্রসঙ্গত, গত আর্থিক বর্ষ যা শেষ হয়েছে ৩১ মার্চ, সেখানে ভারতের প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের পরিমাণ ৪৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১৪.১০ লক্ষ টাকা। অগাস্টে মোট জিএসটি (gst) রাজস্ব সংগ্রহ হয়েছে ১ লক্ষ ৪৩ হাজার ৬১২ কোটি টাকা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     
  • Russia: নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়া প্রয়োজন ভারতের, ফের সওয়াল রাশিয়ার  

    Russia: নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়া প্রয়োজন ভারতের, ফের সওয়াল রাশিয়ার  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (UNSC) স্থায়ী সদস্য দেশ নয় ভারত (India)। তবে ভারতের মতো একটি ‘মূল্যবান প্রার্থী’র (Worthy Candidate) জন্য  জোরালো সওয়াল করল রাশিয়া (Russia)। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভাষণ দিতে গিয়ে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, ভারত গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক কর্মকর্তা। মূল্যবান প্রার্থী। তাই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়া প্রয়োজন তার।

    পনের সদস্য দেশ নিয়ে গঠিত রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। বিশ্বের পাঁচ শক্তিশালী দেশ চিন, ফ্রান্স, রাশিয়া, আমেরিকা এবং ব্রিটেন নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলেশন, নতুন দেশের অন্তর্ভুক্তি বা মহাসচিব প্রার্থীর নিয়োগে ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এই স্থায়ী সদস্যদের। নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান অস্থায়ী সদস্য দেশগুলি হল ব্রাজিল, আলবানিয়া, ঘানা, কলম্বো, আয়ারল্যান্ড, কেনিয়া, মেক্সিকো এবং নরওয়ে। ভারতও নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম অস্থায়ী সদস্য। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়ার সব যোগ্যতাই রয়েছে ভারতের। ভারতের স্থায়ী সদস্য হওয়ার পক্ষে একাধিকবার সওয়াল করেছে আমেরিকাও। তবে প্রতিবারই চিনের ভেটো প্রয়োগের জেরে ভারতকে থেকে যেতে হয়েছে অস্থায়ী সদস্য হয়েই। উল্লেখ্য যে, অস্থায়ী সদস্যরা নির্বাচিত হন দু বছরের জন্য। এদিন রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে ভাষণ দিচ্ছিলেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভারত ও ব্রাজিল গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক কর্মকর্তা। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়ার জন্য উপযুক্ত।

    আরও পড়ুন : ‘‘নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য নয় ভারত, এটা গোটা বিশ্বের জন্য…’’, বার্তা জয়শঙ্করের

    নিরাপত্তা পরিষদের সাধারণ সভার অধিবেশনে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে এর আগে বক্তৃতা করেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেছিলেন, নিরাপত্তা পরিষদকে কীভাবে আরও বেশি করেন গণতান্ত্রিক করা যায়, মস্কো সে ব্যাপারে সচেষ্ট। তারা চাইছে, এর সদস্য হোক আফ্রিকা, এশিয়া এবং লাতিন আমেরিকার দেশ থেকেও। এর আগে নিরাপত্তা পরিষদের সাধারণ সভার অধিবেশনে জয়শঙ্কর শান্তির জন্য সুর চড়িয়েছিলেন। কূটনৈতিক পথে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটানো প্রয়োজন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেছিলেন, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে ভারত শান্তির পক্ষে। এবং ভারতের অবস্থান তাই থাকবে। প্রসঙ্গত, চিনের ভেটো প্রয়োগের জেরে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হতে পারছে না ভারত। যদিও পরিষদের বাকি চার দেশ চায় অস্থায়ী নয়, ভারত হোক স্থায়ী সদস্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • UNSC Meet in India: দিল্লিতে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক, কবে জানেন?

    UNSC Meet in India: দিল্লিতে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক, কবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোটা বিশ্বেই শিরঃপীড়ার কারণ হয়ে উঠেছে সন্ত্রাসবাদ (Terrorism)। এহেন আবহে চলতি বছরের অক্টোবরে ভারতে (India) অনুষ্ঠিত হতে চলেছে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক (UNSC Meet)। এই বিশেষ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে দিল্লিতে (Delhi)। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে আয়োজনের যাবতীয় প্রস্তুতি।

    পনের সদস্য দেশ নিয়ে গঠিত রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। বিশ্বের পাঁচ শক্তিশালী দেশ চিন, ফ্রান্স, রাশিয়া, আমেরিকা এবং ব্রিটেন এই সংঘের স্থায়ী সদস্য। এই স্থায়ী সদস্যরা নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলেশন, নতুন দেশের অন্তর্ভুক্তি বা মহাসচিব প্রার্থীর নিয়োগে ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। এই নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান সদস্য দেশগুলি হল ব্রাজিল, আলবানিয়া, ঘানা, কলম্বো, আয়ারল্যান্ড, কেনিয়া, মেক্সিকো এবং নরওয়ে। আয়োজক দেশ ভারতও নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম সদস্য।

    আরও পড়ুন : তাইওয়ানের চারপাশে ১১টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল চিন, কেন জানেন?

    নিরাপত্তা পরিষদের সন্ত্রাসদমন শাখার ওয়েবসাইটে এই বৈঠকের খবর দিতে গিয়ে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদ একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সন্ত্রাসবাদের কম বেশি শিকার বিশ্বের সব দেশই। নিরাপত্তা পরিষদ মনে করছে, বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ দমনে একযোগে কাজ করতে হবে প্রতিটি দেশকে। এবার কমিটির বৈঠক বসবে ভারতে, ২৯ অক্টোবর। নিরাপত্তা পরিষদের এটি বিশেষ বৈঠক।

    নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক সচরাচর হয় আমেরিকায়ই। অন্যান্য দেশেও হয় মাঝে মধ্যে। তবে ভারতে এই প্রথম নয়, এনিয়ে সাতবার নিরাপত্তা পরিষদের সন্ত্রাসদমন শাখার বৈঠক বসতে চলেছে ভারতে। এর আগে সন্ত্রাসদমনের বিশেষ বৈঠক হয়েছিল স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে, ২০১৫ সালের জুলাইয়ে। তার পর এবার ভারতে বসতে চলেছে এই বিশেষ বৈঠক। আয়োজক দেশ ভারতের কাছে নিরাপত্তা পরিষদের এই বিশেষ বৈঠক নিঃসন্দেহে বড় প্রাপ্তি। আলোচনার বিষয় যেহেতু সন্ত্রাসবাদ, তাই দিল্লির সুর যে সপ্তমে চড়বে, তা বলাই বাহুল্য।

    আরও পড়ুন : মালদ্বীপে ‘ইন্ডিয়া আউট’ ক্যাম্পেন আদতে মিথ্যে প্রচারের ফল, মত ভারতের বিদেশমন্ত্রকের

    এদিকে, পরিষদের তরফে জারি করা এক ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, এই বিশেষ বৈঠকে বিশেষত তিনটি বিষয়ের ওপর আলোকপাত করা হবে। এগুলি হল, সদস্য দেশগুলি যেভাবে প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে দ্রুত উন্নতি করছে এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সেই প্রযুক্তিকে ব্যবহার করছে। একই সঙ্গে আলোচনা হবে ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়াকে কীভাবে সন্ত্রাসবাদের হাতিয়ার করা হচ্ছে, তা নিয়েও। প্রসঙ্গত, এবার ভারতে হচ্ছে স্বাধীনতার পঁচাত্তর বর্ষপূর্তি উৎসব। সেই আবহেই হতে চলেছে নিরাপত্তা পরিষদের এই বৈঠক।

     

  • Immunity: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চান? জানুন কী কী খাবেন

    Immunity: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চান? জানুন কী কী খাবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শরীর বাঁচাতে চাই নিয়মিত পুষ্টিকর খাবারের জোগান। একমাত্র স্বাস্থ্যসম্মত একটি ডায়েট চার্টই পারে শরীরে প্রয়োজনীয় পরিমাণ পুষ্টির (Nutrients) জোগান দিতে। পুষ্টিকর খাবার খেলে বাড়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (Immunity Power)। তখন আর ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়তে হয় না নানান সংক্রমক রোগ ব্যাধিতে। পুষ্টিবিদদের মতে, এমন কিছু খাবার আছে, যা খেলে আমরা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাটা বাড়িয়ে নিতে পারি। প্রশ্ন হল, কী খাব? আসুন জেনে নেওয়া যাক, নিয়মিত কোন কোন খাবার পেলে বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।

    ইমিউনিটি চা: গ্রিন টি, লেবু, আদা, হলুদ ইত্যাদি দিয়ে বানিয়ে নিন ইমিউনিটি চা। ব্ল্যাক টি কিংবা কফির পরিবর্তে গ্রিন খেলে উপকার হবে।

    ওয়েলনেস মিল্ক: গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেলেও বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। গরম দুধে দারুচিনি মেশিয়ে খেলেও বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। তবে গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেলে উপকার হবে বেশি।

    ইমিউনিটি স্মুদি: শরীর ভালো রখাতে ইমিউনিটি স্মুদির জুড়ি মেলা ভার। বিভিন্ন প্রকার বেরি, স্পিনাচ, হলুদ ইত্যাদি দিয়ে বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে ইমিউনিটি স্মুদি। এটি নিয়মিত খেলে বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।

    আরও পড়ুন : পেয়ারা পাতার চা কমাবে ওজন! এর গুণাগুণ জানলে চমকে যাবেন আপনিও

    হেলদি ডেজার্ট হেলদি ডেজার্টও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় আমাদের শরীরে। ডার্ক চকোলেটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এই অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শরীরের কোষগুলির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই শরীর সুস্থ রাখতে পরিমিত ডার্ক চকোলেট খাওয়াই যেতে পারে।

    হেলদি গার্নিস: ধনেপাতা, পুদিনা পাতা, বাদাম এবং বিভিন্ন প্রকার বীজ দিয়ে বানিয়ে নিন হেলদি গার্নিস। বীজে থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ই। এই ভিটামিন ই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই নিয়মিত একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ হেলদি গার্নিস খেলে আদতে শরীর থাকবে সুস্থ।

    সাইট্রাস ওয়েক-আপ জুস: যাঁদের একটুতে ঠান্ডা লেগে যায় তাঁরা নিয়মিত সাইট্রাস ওয়েক-আপ জুস খেতে পারেন। সাইট্রাসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। যে কোনও লেবু জাতীয় ফলেই মেলে ভিটামিন সি। ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই যে কোনও লেবুর রস নিয়মিত খেলে উপকার হবে।

    ইয়োগার্ট স্ন্যাক কাপ: শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত খাওয়া যেতে পারে ইয়োগার্ট। মধু এবং ফলের টুকরো দিয়ে ইয়োগার্ট খেলে শরীর হবে চাঙা। বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Panchayat Election: শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন ২৬ জুন, শুরু মনোনয়ন জমা নেওয়া

    Panchayat Election: শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন ২৬ জুন, শুরু মনোনয়ন জমা নেওয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নোটিশ জারি হয়ে গেল শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের। ভোট হবে ২৬ জুন। আজ, শুক্রবার থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে মনোনয়ন পর্ব। বৃহস্পতিবার নির্বাচনের দিন ঘোষণার পরেই সর্বদলীয় বৈঠক করেন জেলাশাসক এস পুন্নমবালম। তিনি জানান, নির্বাচন পর্ব নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বুথ রয়েছে ৬৫৭টি। জেলাশাসক জানান, সব দলের সঙ্গে আলোচনা করে বুথের সংখ্যা চূড়ান্ত করা হবে।

    আরও পড়ুন : লক্ষ্য ২০২৪ নির্বাচন, “এক পরিবার এক টিকিট” নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কংগ্রেসের

    জানা গিয়েছে, গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির জন্য মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হবে ব্লক অফিসে। এসডিও অফিসে জমা নেওয়া হবে মহকুমা পরিষদের মনোনয়নপত্র। মোট ভোটারের সংখ্যা ৫ লক্ষ ২৭ হাজার ৯৩৮। জেলাশাসক জানান, মহকুমা পরিষদের আসন সংখ্যা ৯। চারটি পঞ্চায়েত সমিতির আসন সংখ্যা ৬৬। ২২টি গ্রাম পঞ্চায়েতে রয়েছে ৪৬২টি আসন। পোলিং স্টেশন রয়েছে ৬৫৭টি। শুক্রবার থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার কাজ। মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার শেষ তারিখ ২ জুন। মনোনয়নপত্র পরীক্ষা করা হবে ৪ জুন। ওই মাসেরই ৭ তারিখ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সুযোগ থাকছে। ফল গণনার দিন জানানো হবে পরে। ভোটগ্রহণ পর্ব চলবে সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ভোট কর্মীদের প্রথম পর্যায়ের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে ২, ৩ ও ৪ তারিখে। ৬ হাজার কেন্দ্রের জন্য নিযুক্ত হবেন ভোটকর্মীরা। যে কেন্দ্রে ভোট হবে, সেই কেন্দ্রের বাসিন্দারা সেই কেন্দ্রের ভোটকর্মী হতে পারবেন না। দার্জিলিং জেলা ছাড়াও লাগোয়া জলপাইগুড়ি ও উত্তর দিনাজপুর থেকেও কিছু ভোটকর্মী নেওয়া হবে। রবিবার বা অন্য কোনও সরকারি ছুটির দিন মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হবে না। ডিসিআরসি ও ভোট গণনা কেন্দ্রের মধ্যে মাটিগাড়ার ক্ষেত্রে নরসিংহ বিদ্যাপীঠ, নকশালবাড়ির ক্ষেত্রে হাতিঘিষা হাইস্কুল, ফাঁসি দেওয়ার জন্য ফাঁসিদেওয়া হাইস্কুল, খড়িবাড়ির জন্য খড়িবাড়ি হাইস্কুলকে বেছে নেওয়া হয়েছে। ব্যালট নয়, এবারও ভোট হবে ইভিএমে।

    আরও পড়ুন : আসন্ন রাজ্যসভা নির্বাচনে অ্যাডভান্টেজ বিজেপি, শক্তি খোয়াবে কংগ্রেস?     

    প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরে ব্যালটে ভোটের দাবিতে জোরালো সওয়াল করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি যে ধোপে টিকল না, শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন ইভিএমে করার সিদ্ধান্তই তার বড় প্রমাণ।

     

  • Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপী মসজিদের ওজুখানার জলাধার সুরক্ষিত করার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপী মসজিদের ওজুখানার জলাধার সুরক্ষিত করার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশীর জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Mosque) ওজুখানার জলাধারে  নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে জেলাশাসককে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (supreme court)। ওই জলাধারে শিবলিঙ্গ (Shivling) মিলেছে বলে দাবি। সেই কারণেই জলাধারে নিরাপত্তার ব্যবস্থার নির্দেশ।

    উত্তর প্রদেশ (Uttar Pradesh)  সরকারের পক্ষে এদিন সুপ্রিম কোর্টে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবি জেনারেল তুষার মেহতা (Tushar Mehta)। তিনি বলেন, বেঞ্চ উজুখানা এলাকাটি সিল করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেখানে শিবলিঙ্গ রয়েছে। তুষার বলেন, যদি ওই জলাধারে মুসলমানদের অজু করার অনুমতি দেওয়া হয়, তাহলে হাত-পা-মুখ ধোয়া হবে। কেউ শিবলিঙ্গে পা রাখতেই পারেন। তাতে আইন-শৃঙ্খলার গুরুতর সমস্যা হবে। মসজিদের অন্য কোনও এলাকায় অবশ্য অজু করা যেতে পারে।

    কাশী বিশ্বনাথ মন্দির (Kasi Viswanath Temple) লাগোয়া জমিতেই রয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদ। হিন্দুদের কয়েকটি গোষ্ঠীর দাবি, বিশ্বনাথের মন্দির ভেঙেই ঔরঙ্গজেবের রাজত্বে গড়ে তোলা হয়েছিল মসজিদ। মসজিদের দেওয়ালে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তিও রয়েছে বলে দাবি একটি সম্প্রদায়ের। হিন্দুদের একাংশের দাবি, পরে রানি অহল্যাবাই বর্তমান মন্দিরটি স্থাপন করেন। হিন্দু সংগঠনের এও দাবি, যেখানে এখন মসজিদ রয়েছে, সেখানে এক সময় ছিল শৃঙ্গার গৌরীর মন্দির। এর পরেই আদালতের দ্বারস্থ হয় হিন্দুদের কয়েকটি সংগঠন।

    মন্দির-মসজিদ বিবাদের(mosque temple controvercy) নিষ্পত্তি করতে মসজিদে ভিডিওগ্রাফি করার নির্দেশ দেওয়া হয় আদালত নিযুক্ত বিশেষ কমিশনকে। ভিডিওগ্রাফি চলাকালীন একটি পক্ষের দাবি, ওজুখানার জলাধারে শিবলিঙ্গ মিলেছে। হিন্দুদের একটি সংগঠনের দাবি, ওই ওজুখানা ও সংলগ্ন এলাকা আদতে শৃঙ্গার গৌরীর মন্দির। এর পরেই ওজুখানার কড়া নিরাপত্তার নির্দেশ দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। বারাণসীর জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনারের পাশাপাশি সিআরপিএফের একজন কমান্ডান্ট(সুপার) স্তরের আধিকারিককে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। কাউকেই প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না।

    আরও পড়ুন : অ্যাডভোকেট কমিশনারকে সরাল সুপ্রিম কোর্ট, রিপোর্ট জমা করতে দু’দিন সময় কমিশনকে

    তবে বিচারক চন্দ্রচূড় ও নরসিমার বেঞ্চ জানায়, ওজুখানার জলাধার ব্যবহার করা না গেলেও, নমাজ পড়ায় কোনও বাধা নেই। মুসলমান ধর্মাবলম্বীরা নির্দিষ্ট সময়েই গিয়ে নমাজ পড়তে পারবেন। অন্যান্য ধর্মীয় রীতিও পালন করতে পারবেন তাঁরা।

    হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি ওজুখানার জলাধারে শিবলিঙ্গ রয়েছে বলে দাবি করলেও, মসজিদ কমিটির দাবি, জলাধারে(pond) রয়েছে পুরানো একটি ফোয়ারা। তবে যাই হোক না কেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ওই ওজুখানার ওই জলাধারে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনকে।

     

  • Kaliachak: কালিয়াচকে জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করাচ্ছে পুলিশ! সিবিআই, এনআইএ-কে যৌথ তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Kaliachak: কালিয়াচকে জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করাচ্ছে পুলিশ! সিবিআই, এনআইএ-কে যৌথ তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  মালদার (Malda) কালিয়াচকের (Kaliachak) ধর্মান্তরনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার ঐতিহাসিক রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta high court)। এই মামলায় সিবিআই (CBI) এবং এনআইএ-কে (NIA) যৌথভাবে তদন্ত করবে এবং আদালতকে স্ট্যাটাস রিপোর্ট দেবে।

    সম্প্রতি, কালিয়াচকে কয়েকটি গরিব হিন্দু পরিবারকে ধর্ম পরিবর্তনের (forceful conversion) জন্য ক্রমাগত চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। বলপূর্বক ধর্মান্তরণের প্রতিবাদে ধর্নায় বসেন ওই হিন্দু পরিবারগুলির মহিলা ও শিশুরা। পরিবারগুলির অভিযোগ, তাদের পরিবারের পুরুষ সদস্যদের গ্রেফতার করে ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। ওই এলাকায় আগেও দুই হিন্দু পরিবারকে জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁদের অভিযোগ, কালিয়াচক থানার আইসি-ই তাঁদের ধর্ম পরিবর্তন করতে চাপ দিচ্ছেন।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সংক্রান্ত একটি পোস্ট করে ধর্মান্তরণের বিরুদ্ধে সরব হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি জানান, কালিয়াচক থানার পুলিশ জোর করে ধর্মান্তকরণের চেষ্টা চালাচ্ছে। অভিযোগের নিশানায় ছিলেন কালিয়াচক থানার আইসি। অভিযোগ, ধর্ম পরিবর্তন না করলে পুরুষদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। আরও অভিযোগ, এর আগেও ২ জনকে চাপ দিয়ে ধর্মান্তকরণ করা হয়েছে।

    একজন সরকারি আধিকারিকের এহেন আচরণে যারপরনাই বিস্মিত বিজেপি নেতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সুকান্ত লেখেন, গণতান্ত্রিক দেশ ভারতবর্ষ সংবিধান অনুসারে চলে। সংবিধানের ২৫ নম্বর অনুচ্ছেদ ভারতের প্রত্যেকটি নাগরিককে তাঁর ধর্ম পালনের স্বাধীনতা দিয়েছে। সেই স্বাধীনতা রক্ষা করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের অর্থাৎ ক্ষমতায় বসে থাকা সরকারের। সেখানে একজন সরকারি পুলিশ অফিসার যিনি থানার ইন্সপেক্টর তিনি কীভাবে ধর্মান্তরিত হওয়ার জন্য কোনও মানুষকে চাপ দিতে পারেন? এটা পুরোপুরি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

    পশ্চিম বাংলায় ধর্মীয় স্বাধীনতাও বিপন্ন হওয়ায় ক্ষুব্ধ বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি লেখেন,  পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে চাকরি নেই, শিল্প নেই, সুশাসন নেই, বাক্ স্বাধীনতাও নেই। এছাড়াও নানা সমস্যা রয়েছে। এর পরেই তাঁর প্রশ্ন, তাই বলে সাধারণ মানুষের ধর্ম পালনের স্বাধীনতাটুকুও থাকবে না? তাঁর আশঙ্কা, তৃতীয়বার ক্ষমতালাভের পর কিছু নিষিদ্ধ গোষ্ঠী ক্ষমতার অলিন্দে থেকে মুখোশের আড়ালে তাদের স্বার্থ কায়েম করতে চাইছে না তো?

    হিন্দু সম্প্রদায়ের সুরক্ষাও দাবি করেন সুকান্ত। তিনি লেখেন, সরকারকে পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু সম্প্রদায়ের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে হবে। এই পরিবারগুলোর অভিযোগ প্রশাসনকে যথাযথ গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে। দোষী প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে। তার পরেও সরকার কোনও পদক্ষেপ না করলে ভবিষ্যতে পথে নেমে এর প্রতিবাদ করবে বিজেপি।

    থানার আইসি-র নেতৃত্বে জোর করে ধর্মান্তরণের ঘটনায় আলোড়ন পড়ে যায়। জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই বিচারপতি নির্দেশ দেন, সিবিআই ও এনআইএ যৌথ তদন্ত করবে অভিযোগের ভিত্তিতে। আগামী ২১ জুনের মধ্যে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকেই তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। 

     

LinkedIn
Share