Tag: Bengali news

Bengali news

  • TET Exam: ‘আইন না মানলে বন্ধ টেট’, পর্ষদকে কড়া হুঁশিয়ারি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    TET Exam: ‘আইন না মানলে বন্ধ টেট’, পর্ষদকে কড়া হুঁশিয়ারি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার টেট পরীক্ষা (TET Exam) বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। আইন মেনে পরীক্ষা না হলে বন্ধ করে দেওয়া হবে পরীক্ষা, সাফ জানিয়ে দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পর্ষদ বন্ধুর মতো আচরণ করছে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

    কবে টেট পরীক্ষা?

    টেট কেলেঙ্কারির জেরে বিব্রত রাজ্য সরকার (State Govt.)। শেষমেশ শিক্ষক সমস্যার সমাধান করতে চলতি বছরের ১১ ডিসেম্বর নতুন করে শিক্ষক নিয়োগের জন্য টেট পরীক্ষা (TET Exam) নেওয়ার কথা। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে শুনানি ছিল টেট সংক্রান্ত একটি মামলার। ২০১৭ সালে টেটের মেধাতালিকা প্রকাশ করা হলেও, ২০১৪র ফল বের করেনি পর্ষদ। তা নিয়েই মামলা হয়। চলছিল শুনানিও। কেবল এটিই নয়, টেট নিয়ে বুধবার একাধিক মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেখানে পর্ষদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠতে থাকে। তার জেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: গুজরাটে বিজেপির প্রার্থী তালিকায় চমক, কে কে লড়ছেন জানেন?

    এদিন টেট নিয়ে মামলার শুনানি চলাকালীনই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ভূমিকা নিয়ে আরও একবার অসন্তোষ প্রকাশ করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন আদালতে তিনি বলেন, পর্ষদ বন্ধুর মতো আচরণ করছে না। আমি আমার আগের মন্তব্য প্রত্যাহার করছি, যেখানে বলেছি নিয়োগে বাধা দেব না। এখন যদি দেখি আইন মানা হচ্ছে না, তাহলে পরীক্ষা (TET Exam) বন্ধ করে দেব। নভেম্বর মাসের তিন তারিখে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, ২০১৪ এবং ২০১৭র টেটে সংরক্ষিত বিভাগের যে প্রার্থীরা ৮২ পেয়েছেন, তাঁদের টেট উত্তীর্ণ বলে গণ্য করতে হবে। ২০২২ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাঁদের অংশ নেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। এর জেরে পর্ষদ কর্তৃক ঘোষিত লক্ষাধিক টেট অনুত্তীর্ণ প্রার্থী ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। এদিকে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী জানান, শুক্রবারের মধ্যে ২০১৪ সালের সংরক্ষিত বিভাগের ৮২ নম্বর পাওয়া প্রার্থীদের টেট উত্তীর্ণ বলে ঘোষণা করা হবে। প্রকাশ করা হবে মেধা তালিকাও। আপাতত তারই প্রতীক্ষায় কর্মপ্রার্থীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • CJI of India: ‘১০ হাজার মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে…’, শেষ দিনে আর কী বললেন প্রধান বিচারপতি  

    CJI of India: ‘১০ হাজার মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে…’, শেষ দিনে আর কী বললেন প্রধান বিচারপতি  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার অবসর নিলেন দেশের ৪৯তম প্রধান বিচারপতি (CJI of India) ইউইউ ললিত (UU Lalit)। আগামিকাল অফিস ছেড়ে দেবেন তিনি। এদিন ললিতের অবসর গ্রহণ উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে আয়োজন করা হয় ফেয়ারওয়েল অনুষ্ঠানের। এই অনুষ্ঠানে বিদায়ী ভাষণ দেন ললিত। জানান, প্রধান বিচারপতি পদে শপথ নেওয়ার দিন যে শপথ নিয়েছিলেন, তার অনেকটাই পূরণ করতে পেরেছেন।

    চলতি বছরের ২৭ অগাস্ট সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদে শপথ নিয়েছিলেন ললিত। এই পদে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ মাত্র ৭৪ দিনের। এদিন তাই বিদায়ী ভাষণ দিতে গিয়ে খানিকটা আবেগ প্রবণ হয়ে পড়েন ললিত। বলেন, আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম রোজকার বিষয়গুলির দ্রুত শুনানি ও নিয়ম মাফিক করার। আমার ধারণা, আমি আমার দেওয়া প্রতিশ্রুতির কিছুটা পূরণ করতে পেরেছি। আমরা ১০ হাজার মামলার নিষ্পত্তি করেছি। ক্লিয়ার করেছি আরও ১৩ হাজার মামলা, যেগুলিতে ডিফেক্ট ছিল।

    সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি (CJI of India)  জানান, তিনি সুপ্রিম কোর্টে কাটিয়েছেন ৩৭ বছর। আইনজীবী হিসেবে প্র্যাকটিস করেছিলেন ২৯ বছর। শেষ আট বছর সুপ্রিম কোর্টের জাজ ছিলেন। এদিন তিনি প্রবীণ আইনজীবী প্রয়াত সোলি সোরাবজিকেও ধন্যবাদ জানান। পাঁচ বছরেরও বেশি সময় তিনি তাঁর অধীনে কাজ করেছিলেন, তাই। ললিত বলেন, আমি এই আদালতে প্রায় ৩৭ বছর কাটিয়েছি। এই আদালত থেকে আমার যাত্রা শুরু হয়েছিল। আমি মুম্বইয়ে আইন প্র্যাকটিস করছিলাম। এখানে এসেছিলাম তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওয়াইভি চন্দ্রচূড়ের সামনে একটি মামলা উপস্থাপন করতে। ললিত বলেন, আমার যাত্রা এই আদালত থেকে শুরু হয়ে আজ এই আদালতেই শেষ হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষা ও চাকরিক্ষেত্রে আর্থিক অনগ্রসরদের ১০ শতাংশ সংরক্ষণ বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট

    ললিতের পরে দেশের প্রধান বিচারপতির পদ অলঙ্কৃত করবেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। তিনি প্রাক্তন বিচারপতি ওয়াইভি চন্দ্রচূড়ের ছেলে। এদিনের অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি হিসেবে আপনার কার্যকালে বিচারবিভাগে বেশ কিছু সংস্কার হয়েছে। এবং আমি আপনাকে এই বলে আশ্বস্ত করতে পারি যে এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। তিনি বলেন, আমি প্রধান বিচারপতিকে বহু বছর ধরে চিনি। একটি বিষয়ে মাত্র একবারই তাঁর বিরোধিতা করেছিলাম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Himachal Pradesh Polls: ভোটের মুখে রামধাক্কা, কুপোকাত কংগ্রেস! হিমাচলে ‘হাত’ ছেড়ে ‘পদ্মে’ ২৬ নেতা

    Himachal Pradesh Polls: ভোটের মুখে রামধাক্কা, কুপোকাত কংগ্রেস! হিমাচলে ‘হাত’ ছেড়ে ‘পদ্মে’ ২৬ নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম রাউন্ডেই কুপোকাত কংগ্রেস (Congress)! অ্যাডভান্টেজ বিজেপি (BJP)। ভোটের মুখে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে গিয়ে ভিড়লেন ২৬ জন নেতা। ঘটনায় হিমাচল প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের (Himachal Pradesh Polls) আগে বেজায় বিপাকে পড়ল কংগ্রেস। এক সঙ্গে বিপক্ষের ২৬ জন নেতাকে পেয়ে যারপরনাই খুশি পদ্ম শিবির। প্রত্যাশিতভাবেই মুষড়ে পড়েছে কংগ্রেস।

    হিমাচল প্রদেশ বিধানসভার নির্বাচন (Himachal Pradesh Polls) হবে নভেম্বরের ১২ তারিখে। ৬৮ আসনের ওই বিধানসভার রশি রয়েছে বিজেপির হাতে। রাজনৈতিক মহলের মতে, এবারও ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপি। এমতাবস্থায় নিজেদের শিবিরে এই ভাঙনে বিব্রত কংগ্রেস। সোমবার যে ২৬ জন কংগ্রেস নেতা হাতে তুলে নিয়েছেন গেরুয়া ঝান্ডা, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক ধরমপাল ঠাকুর খাণ্দও।

    এদিনের দলবদলের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর এবং বিজেপির রাজ্য নির্বাচনের ইনচার্জ সুধান সিং। উপস্থিত ছিলেন সিমলার বিজেপি প্রার্থী সঞ্জয় সুদও। ধরমপাল ছাড়াও এদিন যাঁরা বিজেপির ঝান্ডা হাতে তুলে নিয়েছেন, তাঁরা হলেন, প্রাক্তন সম্পাদক আকাশ সাইনি, প্রাক্তন কাউন্সিলর রাজন ঠাকুর, প্রাক্তন জেলা সভাপতি অমিত মেহতা, মেহের সিং কানওয়ার, যুব কংগ্রেসের রাহুল নেগি, জয় মা শক্তি সোশ্যাল সংস্থান সভাপতি যোগিন্দর ঠাকুর, নরেশ ভার্মা, ছাম্বায়ানা ওয়ার্ড সদস্য যোগেন্দ্র সিং, ট্যাক্সি ইউনিয়ন সদস্য রাকেশ চৌহান, ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ট্রাস্ট ফর আর্ট অ্যান্ড কালচারাল হেরিটেজের সিমলা প্রেসিডেন্ট ধর্মেন্দ্র কুমার, বীরেন্দ্র শর্মা, রাহুল রাওয়াত, সোনু শর্মা, অরুণ কুমার, শিবম কুমার এবং গোপাল ঠাকুর।

    আরও পড়ুন: ‘হিন্দু’ পার্সিয়ান শব্দ! কংগ্রেস নেতার ‘বিতর্কিত’ মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া বিজেপির

    এঁরা ছাড়াও এদিন পদ্ম শিবিরে যোগ দিয়েছেন চমন লাল, জেলা কংগ্রেস কমিটির সম্পাদক দেবেন্দ্র সিং, মহেন্দ্র সিং, যুব কংগ্রেসের প্রাক্তন সম্পাদক মুনিশ মান্দলা, বালকৃষ্ণণ ববি, সুনীল শর্মা, সুরেন্দ্র ঠাকুর, সন্দীপ সামতা এবং রবি। হিমাচল প্রদেশের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর তাঁদের স্বাগত জানান। বলেন, দলের ঐতিহাসিক জয়ের লক্ষ্যে এবার জোট বেঁধে কাজ করা যাক। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Fighting Nazism: ফের মস্কোর পাশে নয়াদিল্লি, নাৎসিবাদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার প্রস্তাবে সায় ভারতের

    Fighting Nazism: ফের মস্কোর পাশে নয়াদিল্লি, নাৎসিবাদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার প্রস্তাবে সায় ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘে (UN) ফের রাশিয়ার (Russia) পাশে দাঁড়াল ভারত (India)। মস্কোর আনা প্রস্তাবে সায় দিল নয়াদিল্লি। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের ‘নাৎসিবাদ (Nazism) মহিমান্বিত করার বিরুদ্ধে লড়াই’ শীর্ষক ওই প্রস্তাবের খসড়ার পক্ষে ভোট দিয়েছে ভারত। এই খসড়া প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছে ১০৫টি। বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ৫২টি দেশের প্রতিনিধিরা। ভোটদানে বিরত থেকেছেন ১৫টি দেশের প্রতিনিধি। এদিন ভারতের প্রতিনিধি বলেন, আদিবাসী জনগণের ধারণাটি দেশের প্রেক্ষাপটে প্রযোজ্য নয়। কমিটি আটটি খসড়া প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে আদিবাসীদের অধিকার, ডিজিটাল যুগে গোপনীয়তা রক্ষা, নাৎসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই। এই খসডা প্রস্তাবে মানবাধিকার সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যুও রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে স্বাক্ষরতার অধিকার, যৌন হেনস্থা থেকে শিশুদের রক্ষা এবং ক্রিমিনাল জাস্টিসও। এর সঙ্গেই রয়েছে নাৎসিবাদ মহিমান্বিত করার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রচেষ্টাও।   

    খসড়া প্রস্তাবে নাৎসি আন্দোলন (Fighting Nazism), নব্য নাৎসিবাদ, নাৎসিদের অতীত মহিমাকীর্তন করতে গণ প্রদর্শনীর মতো বিষয়গুলি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বর্ণবাদী এবং জেনোফোবিক রেটোরিক, ইসলামফোবিয়া, অ্যাফ্রোফোবিয়া এবং ইহুদি বিদ্বেষের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাশিয়ান ফেডারেশনের প্রতিনিধি।

    এদিন অধিবেশনে উপস্থিত বেশ কয়েকজন প্রতিনিধির দাবি, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার হামলার যৌক্তিকতা বোঝাতে মরিয়া মস্কো। তাই তোলা হচ্ছে নব্য নাৎসিবাদের ঢেঁকুর। আবার ইউক্রেনের প্রতিনিধির দাবি, এই খড়সা প্রস্তাবের সঙ্গে নাৎসিবাদ ও নব্য নাৎসিবাদের প্রকৃত লড়াইয়ের কোনও সম্পর্কই নেই। একই সুর শোনা গিয়েছে ব্রিটেন, আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের গলায়ও। খসড়া প্রস্তাবটিকে মস্কোর ‘সিনিক্যাল অ্যাটেম্পট’ বলে দেগে দিয়েছেন আমেরিকার প্রতিনিধি।

    আরও পড়ুন: রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে কেউ নিষেধ করেনি, সাফ জানালেন হরদীপ সিং পুরী

    এই প্রথম নয়, এর আগেও বিভিন্ন সময় রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছিল ভারত। অক্টোবর মাসে গণভোটের মাধ্যমে ইউক্রেনের চারটি এলাকা দখল করার রাশিয়ার প্রক্রিয়াকে বেআইনি ঘোষণা করে একটি খসড়া প্রস্তাব পেশ করা হয়েছিল রাষ্ট্রসংঘে। সেবার ভোটদানে বিরত ছিল ভারত। ভোট দেয়নি আরও ৩৪টি দেশও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Gujarat Election: গুজরাটে বিজেপির প্রার্থী তালিকায় চমক, কে কে লড়ছেন জানেন?

    Gujarat Election: গুজরাটে বিজেপির প্রার্থী তালিকায় চমক, কে কে লড়ছেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের (Gujarat Election) প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল বিজেপি (BJP)। তালিকা থেকেই স্পষ্ট, প্রথম রাউন্ডেই বিরোধীদের মাত দিয়েছে নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)- অমিত শাহের দল। প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন ক্রিকেটার রবীন্দ্র জাদেজার স্ত্রী রিভাবা। জামনগর উত্তরের পদ্ম-প্রার্থী তিনিই। বছর তিনেক আগে রাজনীতির ময়দানে আসেন জাদেজার স্ত্রী। যোগ দেন বিজেপিতে। তার পর এবার সরাসরি ভোটের ময়দানে। বৃহস্পতিবারই প্রথম প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে গেরুয়া শিবির। এই দফায় ১৬০টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

    ক’টি আসনে ভোট হবে? 

    ডিসেম্বরে দু দফায় ভোট হবে গুজরাটে (Gujarat Election)। ভোট হবে রাজ্যের ১৮২টি আসনে। এদিন তার মধ্যে ১৬০ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল গুজরাট বিজেপি। এর মধ্যে যেমন রয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজার স্ত্রী, তেমনি এবারও ফের প্রার্থী হচ্ছেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল। তাঁর নামও রয়েছে তালিকায়। ঘাটলোদিয়া কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি।  

    চমক রয়েছে আরও। ওই তালিকায় নাম রয়েছে কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া পতিদার আন্দোলনের নেতা হার্দিক প্যাটেলের। ভিরামগান কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি। এছাড়াও লড়াইয়ের ময়দানে থাকছেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাংভি। তিনি মাজুরা কেন্দ্র থেকে পদ্ম চিহ্ন লড়বেন। ভাদগাম কেন্দ্র থেকে লড়বেন মণি ভাগেলা। পালানপুরে প্রার্থী হচ্ছেন অনিকেত ঠাকুর। দিসা কেন্দ্র থেকে লড়ছেন প্রবীণ মালি। দেওধরে বিজেপির বাজি কেশব চৌহান। এদিন যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তাতে গত বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী ৬৯ বিধায়কের নামও রয়েছে। তবে এদিনের তালিকায় নাম নেই বিদায়ী বিধায়কদের মধ্যে ৩৮ জনের। দ্বিতীয় দফায় যে প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হবে, তাতে এঁদের সকলের নাম যে থাকবে না, তা স্পষ্ট।  

    আরও পড়ুন:কেজরির ‘গুজরাট ডিলে’র অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যা, সাফ জানাল বিজেপি

    এদিকে, এবার গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে (Gujarat Election) লড়ছেন না বলে ঘোষণা করেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি এবং প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী নীতিন প্যাটেল। লড়াইয়ের ময়দানে থাকছেন না রূপানি মন্ত্রিসভার সদস্য ভূপেন্দ্র সিং চুদাসামা ও প্রদীপ সিং জাদেজাও। এদিন যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তাতে প্রথম দফায় যে ৮৯ আসনে ভোট হবে, তার মধ্যে ৮৪টি কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। আর দ্বিতীয় দফায় যে ৯৩টি আসনে ভোট হবে, তার মধ্যে রয়েছে ৭৬টি কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Supreme Court: উচ্চশিক্ষা ও চাকরিক্ষেত্রে আর্থিক অনগ্রসরদের ১০ শতাংশ সংরক্ষণ বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: উচ্চশিক্ষা ও চাকরিক্ষেত্রে আর্থিক অনগ্রসরদের ১০ শতাংশ সংরক্ষণ বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উচ্চশিক্ষা এবং চাকরিক্ষেত্রে আর্থিক অনগ্রসরদের জন্য ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ (Quota) বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। গত সেপ্টেম্বরে শুনানির পর রায়দান স্থগিত রেখেছিল দেশের শীর্ষ আদালত। আর্থিক অনগ্রসরদের (EWS) জন্য ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ সংবিধানের মূল কাঠামোর পরিপন্থী নয়। সুপ্রিম কোর্টের আগের শুনানিতে সরকারের হয়ে সওয়াল করতে উঠে এ কথা জানিয়েছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল। যদিও আবেদনকারীদের তরফে দাবি করা হয়েছিল, আর্থিক অনগ্রসরদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ সংবিধানের সাম্যের অধিকারকে ক্ষুণ্ণ করবে। আবেদনকারীদের দাবি খারিজ করে উচ্চশিক্ষা এবং চাকরিক্ষেত্রে আর্থিক অনগ্রসরদের ১০ শতাংশ সংরক্ষণ বহাল রাখল দেশের শীর্ষ আদালত।

    মঙ্গলবার অবসর নেবেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত। তার ঠিক একদিন আগে রায়দান হয় এই মামলার। এদিন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতি। এঁরা হলেন, ইউ ইউ ললিত, দীনেশ মহেশ্বরী, এস রবীন্দ্র ভাট, বেলা এম ত্রিবেদী এবং জেবি পার্দিওয়ালা। আদালত জানায়, উচ্চশিক্ষা এবং চাকরিক্ষেত্রে আর্থিক অনগ্রসরদের জন্য ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ কোনওভাবেই সাম্যের অধিকারের মূল কাঠামোর পরিপন্থী নয়।

    জানা গিয়েছে, যে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে এই মামলার রায়দান হল, সেই বেঞ্চের তিন বিচারপতি সংরক্ষণের পক্ষে রায় দিয়েছেন। সংরক্ষণের পক্ষে রায় দিয়েছেন বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী, বেলা এ ত্রিবেদী এবং জে বি পার্দিওয়ালা। সংরক্ষণের বিরুদ্ধে মত দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত। সংরক্ষণের বিপক্ষে মত দিয়েছেন বিচারপতি এস রবীন্দ্রও। তিনি এই আইনকে বৈষম্যমূলক বলে অভিহিত করেন। তাঁর মতে, এই আইন সাম্যের মূল কাঠামোরও পরিপন্থী।

    আরও পড়ুন: ‘সুপ্রিম’ নির্দেশে ইপিএফও পেনশন প্রকল্পের সময়সীমা বাড়ল আরও চার মাস

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর তখতে বসেন নরেন্দ্র মোদি। এর পরেই চাকরি, শিক্ষা সহ বিভন্ন ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে অনগ্রসরদের জন্য ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণের ঘোষণা করে মোদি সরকার। সংসদে বিল পাশ করে তা আইনেও পরিণত করা হয়। ২০১৯ সালে এর বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে দাখিল হয় ৪০টি পিটিশন। ওই পিটিশনগুলিতে বলা হয়েছিল, সংবিধানের ৪৬ নম্বর ধারায় শিক্ষাগতভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির কথা বলা হয়েছে, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির কথা বলা হয়নি। প্রসঙ্গত, এতদিন এসসি, এসটি এবং ওবিসিদের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা ছিল। এবার এই সুযোগ পাবেন অনগ্রসররাও। এদিন রায় দিতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, উচ্চশিক্ষা এবং চাকরিক্ষেত্রে আর্থিক অনগ্রসরদের জন্য ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ কোনওভাবেই অবৈধ নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘পশ্চিমবঙ্গে কেউ নিরাপদ নন’, নিশীথের কনভয়ে হামলা প্রসঙ্গে বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘পশ্চিমবঙ্গে কেউ নিরাপদ নন’, নিশীথের কনভয়ে হামলা প্রসঙ্গে বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে কেউ নিরাপদ নন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের (Nisith Pramanik) কনভয়ে হামলার পর এই মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপিশুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কয়লা ও গরু পাচার কেলেঙ্কারিতে (Cattle Smuggling Case) তৃণমূলের (TMC) একাধিক নেতার নাম জড়িয়ে যাওয়ায়ও রাজ্যকে একহাত নিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

    নভেম্বরের তিন তারিখে কোচবিহারে হামলা হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের সিতাইয়ে। নিশীথের কনভয় যখন এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল, তখন একদল লোককে আচমকাই লাঠিসোঁটা নিয়ে ওই এলাকায় জড়ো হতে দেখা যায়। ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

    এই ঘটনায়ই কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বিজেপি (BJP)। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা  শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, পশ্চিমবঙ্গে কেউই নিরাপদ নন। এমন কী জনপ্রতিনিধিরাও। পুলিশ তৃণমূলের হয়ে কাজ করে। টাকা তোলে। পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, দিল্লিতে গরু পাচার মামলা দায়ের করেছে ইডি। এতে অনেকে জড়িত। যদি প্রমাণিত হয়, তাঁদের তিহাড় জেলে পাঠানো হবে। বাংলায় যেসব সুযোগ-সুবিধা তাঁরা পান, তিহাড় জেলে তা মিলবে না। শুভেন্দুর তোপ, তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত সরকার  চোরেদের সরকার। এঁদের অনেকেই কয়লা ও গরু পাচার মামলা, পঞ্জি স্কিম এবং নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জড়িত।

    আরও পড়ুন: ‘‘যে হাত দিয়ে চড় মেরেছেন, সেই হাত দিয়েই…’’ কাকে হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু?

    রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথও। তিনি বলেন, যদি বাংলার সরকার কঠোর হত, তাহলে এই ঘটনা ঘটত না। তাঁর প্রশ্ন, কেন আমার কনভয় যাওয়ার রাস্তায় অত লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে? তিনি বলেন, আমরা (মন্ত্রীরা) পুলিশের বেঁধে দেওয়া রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করি। সেই রাস্তায় যেতে গিয়ে কেন আমাকে হুমকির মুখে পড়তে হবে? বিশেষত, যখন রাজ্য সরকারের পুলিশ আমার কনভয় যাওয়ার রাস্তা ছকে দিয়েছে!

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ওই জনতার হাতে লাঠির পাশাপাশি পাথরও ছিল। পুলিশের উপস্থিতিতেই তারা এগুলি নিয়ে জমায়েত হয়েছিল। তিনি বলেন, কোনও মন্ত্রী তাঁদের সামনে আক্রান্ত হবেন, আর বিজেপির কর্মীরা তা বসে বসে দেখবেন, তা হবে না। এলাকার পরিবেশ কেন বিষিয়ে তোলা হচ্ছে? প্রশ্ন নিশীথের।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • S Jaishankar: রাশিয়ায় পৌঁছলেন জয়শঙ্কর, কী নিয়ে আলোচনা করতে জানেন?

    S Jaishankar: রাশিয়ায় পৌঁছলেন জয়শঙ্কর, কী নিয়ে আলোচনা করতে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু দিনের সফরে রাশিয়া (Russia) পৌঁছলেন ভারতের (India) বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। মঙ্গলবার তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে। এই বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পরিবহণ, লজিস্টিক, এনার্জি সেক্টর, বিশেষত আর্কটিক সেল্ফ এবং রাশিয়ান ফার ইস্ট (Russian Far East) নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা।

    জয়শঙ্করের (S Jaishankar) সফর নিয়ে বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা হয়েছে একটি বিবৃতি। তাতে বলা হয়েছে, ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার সহযোগিতার মূল বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হবে। অর্থনীতির উন্নতি, অর্থনৈতিক, এনার্জি, মিলিটারি-টেকনিক্যাল, হিউম্যানিটেরিয়ান, সায়েন্টিফিক এবং টেকনিক্যাল কোঅপারেশন নিয়ে আলোচনা হবে। মূল বিষয়গুলিতে কীভাবে দুই দেশ যৌথভাবে কাজ করতে পারে, তা নিয়েও আলোচনা হবে। রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানা গিয়েছে, জাতীয় মুদ্রা বিনিময় নিয়েও আলোচনা হতে পারে দুই দেশের মধ্যে। দুই দেশের দুই বিদেশমন্ত্রী রাষ্ট্রসংঘ, এসসিও, জি-২০ এবং আরআইসি নিয়েও মত বিনিময় করবে।

    জয়শঙ্কর (S Jaishankar) এবং লাভরভের মধ্যে আলোচনায় উঠে আসতে পারে এসসিও, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মতো আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয়ও। ইরানিয়ান নিউক্লিয়ার প্রবলেম সহ অন্যান্য কয়েকটি বিষয় নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা দুই দেশের দুই বিদেশমন্ত্রীর মধ্যে। রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, দুই দেশই বহন করে প্রিভিলেজড ও স্ট্র্যাটেজিক অংশীদারিত্ব। দুই দেশের সম্পর্কও বেশ কয়েক দশকের পুরানো।

    আরও পড়ুন: টাকার জোগান হচ্ছে, তাই বাড়ছে সন্ত্রাসবাদ, রাষ্ট্রসংঘের বৈঠকে এস জয়শঙ্কর

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে এখনও। এমতাবস্থায় রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক মসৃণ হলেও, ইউক্রেনের সঙ্গে নয়াদিল্লর সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়। কারণ যুদ্ধ চলাকালীনও ভারত জ্বালানি কিনেছে রাশিয়ার কাছ থেকে। রাষ্ট্রসংঘেও ভারতকে থাকতে দেখা গিয়েছে রাশিয়ার পাশেই। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ থামাতে ভারত মধ্যস্থতা করবে বলে যে খবর ছড়িয়েছে, সে প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রক বলেছে, আমরা তখনই সফল হব, যখন দু পক্ষই আমাদের কূটনৈতিক সততা সম্পর্ক নিঃসন্দেহ হবে। এ ক্ষেত্রে আস্থার অভাব রয়েছে। আর পুতিনকে বাদ দিয়ে কোনও মধ্যস্থতা কার্যকর হবে না। প্রসঙ্গত, এর আগে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) রাশিয়া গিয়েছিলেন ২০২১ সালের জুলাই মাসে। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে নয়াদিল্লিতে এসেছিলেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Congress: ‘হিন্দু’ পার্সিয়ান শব্দ! কংগ্রেস নেতার ‘বিতর্কিত’ মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া বিজেপির

    Congress: ‘হিন্দু’ পার্সিয়ান শব্দ! কংগ্রেস নেতার ‘বিতর্কিত’ মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘হিন্দু’ (Hindu) শব্দের উৎপত্তি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করলেন কর্নাটকের কংগ্রেস (Congress) নেতা সতীশ জার্কিহলি। সোমবার বেলাগাভির নিপান্নি এলাকায় এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে ওই বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন তিনি। ঘটনায় কংগ্রেস নেতাকে একহাত নিয়েছেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। সতীশ বলেন, ‘হিন্দু’ শব্দটি এসেছে পার্সিয়া থেকে। পার্সিয়ান হল ইরাক, ইরান এবং কাজাখাস্থান। তাঁর প্রশ্ন, তাহলে ‘হিন্দু’ শব্দটির সঙ্গে ভারতের কী সম্পর্ক? হিন্দু তোমাদের কী করে হল? তাহলে সেটা কেন চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে? ওই কংগ্রেস (Congress) নেতা বলেন, ‘হিন্দু’ শব্দের অর্থ খুব নোংরা। আপনারা জানলে লজ্জা পাবেন। এনিয়ে চর্চা হওয়া উচিত। তাঁর এই মন্তব্যের ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।

    ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে বিজেপি। বিজেপির কর্নাটক ইনচার্জ অরুণ সিং বলেন, কংগ্রেস (Congress) দেশের সুপ্রাচীন সংস্কৃতিকে কলঙ্কিত করেছে। তিনি বলেন, আমাদের সুপ্রাচীন সংস্কৃতি সম্পর্কে কংগ্রেস সব সময় বাজে কথা বলে। সতীশ জার্কিহলি আমাদের সংস্কৃতিকে কলঙ্কিত করেছেন। সাধারণ মানুষই এর মোক্ষম জবাব দেবেন। এখানেই থেমে থাকেননি অরুণ। তিনি কংগ্রেসের নয়া প্রেসিডেন্ট মল্লিকার্জুন খাড়গেকে অনুরোধ করেছেন যথাযথ ব্যবস্থা নিতে। অরুণ বলেন, কংগ্রেস যদি এই বক্তব্যের (সতীশ জার্কিহলির বক্তব্য) সঙ্গে সহমত পোষণ না করেন, তাহলে তাদের উচিত ওঁকে (সতীশকে) এখনই দল থেকে বের করে দেওয়া।

    আরও পড়ুন: বিধানসভা উপনির্বাচনে ৪ আসনে জয়ী বিজেপি, কংগ্রেসের অবস্থান জানেন?

    ঘটনার জেরে যারপরনাই বেকায়দায় কংগ্রেস (Congress) নেতৃত্ব। সতীশের মন্তব্যকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা। তিনি বলেন, কংগ্রেস দ্বর্থ্যহীন ভাষায় এর নিন্দা করছে। সতীশের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কংগ্রেসকে (Congress) ট্যুইট-বাণে বিদ্ধ করেছেন বিজেপির মুখপাত্র শেহজাদ পুন্নাওয়ালাও। তাঁর মতে, সতীশের মন্তব্য অপমানজনক। শেহজাদ লেখেন, এটা ভোটব্যাংক ধরার উদ্যোগ। (ওরা) রাম মন্দিরের বিরোধিতা করেছে। গীতার সঙ্গে জিহাদের লিংক করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Leicester: ব্রিটেনের লেস্টারে সংঘর্ষের ঘটনায় আরএসএসের কোনও যোগ নেই, বলছে রিপোর্ট

    Leicester: ব্রিটেনের লেস্টারে সংঘর্ষের ঘটনায় আরএসএসের কোনও যোগ নেই, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লেস্টার (Leicester) শহরে সংঘর্ষের ঘটনায় আরএসএসের কোনও হাত নেই। কেবল আরএসএস (RSS) নয়, ওই ঘটনায় হিন্দুত্ববাদী কোনও সংগঠনেরই যোগ নেই। ঘটনার তদন্ত করে এমনটাই জানাল ব্রিটেনের (UK) একটি বিশেষজ্ঞ দল। এই দলের একজন সদস্য হলেন শার্লোট লিটিলউড। হেনরি জ্যাকসন সোসাইটির রিসার্চ ফেলো তিনি। স্থানীয় হিন্দু (Hindu) এবং মুসলমান বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে এবং সোশ্যাল মিডিয়া এভিডেন্স, ভিডিও এভিডেন্স, পুলিশ রিপোর্ট এবং বিবৃতি দেখে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন তিনি। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত সংবাদের বিরুদ্ধে গিয়ে লিটিলউড বলেন, তদন্ত করে দেখা গিয়েছে লাইসেস্টারের ওই ঘটনায় হিন্দুত্ববাদী কোনও গোষ্ঠীর যোগের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাঁর দাবি, বরং হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীর সংহতিকেই মিথ্যাভাবে উপস্থাপিত করা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, খেলার মাঠে দ্বৈরথে নেমেছিল ভারত-পাকিস্তান। খেলাটি ছিল এশিয়া কাপ টি-২০ ম্যাচ। ব্রিটেনের লেস্টারে (Leicester) ওই ম্যাচ হয়েছিল ২৮ অগাস্ট। ম্যাচটি জিতে যায় ভারত। এর দিন কয়েক পরে একদল উত্তেজিত জনতা ব্রিটেনের বার্মিংহামের স্মিথউইকে থাকা একটি দুর্গা ভবনের বাইরে বিক্ষোভ দেখায়। পরে এলাকায় সংর্ঘষ বাঁধে। ঘটনায় নাম জড়ায় হিন্দুত্ববাদী সংগঠন আরএসএসের। তবে বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ওই ঘটনায় আরএসএস কিংবা হিন্দুত্ববাদী কোনও সম্প্রদায়েরই হাত নেই। তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। ঘৃণা ছড়ানো, ভাঙচুর এবং হেনস্থার মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে।

    আরও পড়ুন: সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু বিভাজনে বিশ্বাস করে না আরএসএস, সাফ জানালেন প্রচার প্রমুখ

    বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ঘটনার জেরে লেস্টারে (Leicester) বসবাসকারী হিন্দুরা বেজায় ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। তাঁদের কেউ কেউ দূরে কোনও বন্ধু কিংবা আত্মীয়ের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন। কেউ কেউ ঘরে স্বেচ্ছাবন্দি হয়েছিলেন। ভয় কাটা না পর্যন্ত তাঁরা এভাবেই ছিলেন। রিপোর্টে আরও জানা গিয়েছে, ঘটনার জেরে লেস্টার অশান্ত হয়ে ওঠে। ৪ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া অশান্তির রেশ ছিল ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এই সময়েই হয় সম্পত্তি নষ্ট, শারীরিক নিগ্রহ, ছুরিকাঘাত এবং প্রার্থনা স্থলে আক্রমণ। রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, ১৭ সেপ্টেম্বর হিন্দু ও মুসলিম মিছিল করে দু-পক্ষই। একদল জয় শ্রীরাম স্লোগান দেয়, অন্য পক্ষ বলে আল্লা হু আকবর। লিটিলউডের মতে, এটি সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হয়ে যাওয়ার নিদর্শন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share