Tag: Bengali news

Bengali news

  • Citizenship Ammendment Act: পশ্চিমবঙ্গেও সিএএ প্রয়োগ হবে, সুবিধা পাবেন মতুয়ারাও, ঘোষণা শুভেন্দুর

    Citizenship Ammendment Act: পশ্চিমবঙ্গেও সিএএ প্রয়োগ হবে, সুবিধা পাবেন মতুয়ারাও, ঘোষণা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক যাত্রায় পৃথক ফল হবে না। গুজরাটের পর পশ্চিমবঙ্গেও সিএএ (Citizenship Ammendment Act) প্রয়োগ হবে। এতে নমঃশুদ্রদের সুবিধা হবে। মঙ্গলবার এ কথা বলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    গুজরাটের (Gujarat) মেহসানা ও আনন্দ জেলায় বসবাসকারী পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্শি ও খ্রিস্টানদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। জেলা আধিকারিকদের এই মর্মে শংসাপত্র দেওয়ার অনুমতিও দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে এ দেশে অন্তত পাঁচ বছর বসবাস করতে হয়। এ ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হবে না। গুজরাটের এই খবরেই যারপরনাই উচ্ছ্বসিত রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (Citizenship Ammendment Act) নিয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, এটা তো সিএএ-র অংশ। সিএএ-র বাস্তবায়ন শুরু হয়ে গেল। ভারতবর্ষের অংশ পশ্চিমবঙ্গ। পশ্চিমবঙ্গেও হয়ে যাবে। সিএএ আইন দুটো সংসদেই পাশ করা আছে। আমরা অপেক্ষা করছিলাম। নিশ্চয় রুল হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, এই একই রুলে পশ্চিমবঙ্গে মতুয়া সমাজ, নমঃশুদ্র সমাজ তাঁরা ভিসা করতে গেলে, পারমিট করতে গেলে, চাকরির ক্লিয়ারেন্স নিতে গেলে বলা হয়, ৭১এর আগের দলিল আনো, সেই সমস্যা আর থাকল না। শুভেন্দু বলেন, এক যাত্রায় পৃথক ফল হয় না। গুজরাটে যখন বাস্তবায়ন হয়ে গিয়েছে, নিশ্চয় রুল ফ্রেম করে ফেলেছে ভারত সরকার।

    আরও পড়ুন: তিন প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সংখ্যালঘু শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব, বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের

    সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (Citizenship Ammendment Act) প্রয়োগ করা হবে বলে বারংবার বলেছে কেন্দ্র। উনিশের ভোটের আগে সিএএ প্রয়োগের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল বিজেপি। তার পুরস্কারও পেয়েছিল পদ্ম শিবির। মতুয়াদের একটা বিরাট অংশের সমর্থন গিয়ে পড়েছিল গেরুয়া ঝুলিতে। ভোট পর্ব চুকে যাওয়ার পরেও সিএএ কেন লাগু হয়নি, সে প্রশ্নও ওঠে। এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বনগাঁর সাংসদ বিজেপির শান্তনু ঠাকুর। শান্তনু কেন্দ্রের মন্ত্রীও। পরে সিএএ প্রয়োগ করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয় কেন্দ্রের তরফে। শান্ত হন শান্তনু। প্রসঙ্গত, ৬ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টে শুরু হবে সিএএ শুনানি।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Coimbatore Blast: কোয়েম্বাতুর গাড়ি বিস্ফোরণকাণ্ডে কেরল লিংক?

    Coimbatore Blast: কোয়েম্বাতুর গাড়ি বিস্ফোরণকাণ্ডে কেরল লিংক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) কোয়েম্বাতুরে মন্দিরের সামনে গাড়ি বিস্ফোরণকাণ্ডের (Coimbatore Blast) তদন্ত শুরু করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এএনআই (NIA)। তারা ওই বিস্ফোরণের সঙ্গে কেরালা লিংকের দিকে ইঙ্গিত করেছে। তার পরেই গাড়িগুলিতে নাকাচেকিং শুরু করেছে রাজ্য পুলিশ। কোয়েম্বাতুরে যে ধরনের বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে অন্যান্য রাজ্যেও। এই মর্মে রাজ্যগুলিকে সতর্কও করে দিয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    রবিবার সকালে কোয়েম্বাতুরের কোট্টাই ঈশ্বরান মন্দিরের কাছে একটি গাড়িতে বিস্ফোরণ (Coimbatore Blast) হয়। মৃত্যু হয় গাড়িতে থাকা বছর পঁচিশের যুবক জামেজা মুবিনের। ওই ঘটনার পরে পরেই তাঁর বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। বাজেয়াপ্ত হয় প্রচুর বিস্ফোরক। তদন্তকারীদের অনুমান, ভবিষ্যতে বড় ধরনের নাশকতার ছক ছিল। বছর কয়েক আগেও একবার মুবিনকে জেরা করেছিল এনআইএ। ওই ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এঁরা হলেন মহম্মদ তালকা, মহম্মদ আজহারউদ্দিন, মহম্মদ রিয়াজ, ফিরোজ ইসমাইল এবং মহম্মদ নওয়াজ ইসমাইল। প্রত্যেকেরই বয়স কুড়ির কোঠায়। জানা গিয়েছে, এঁদের মধ্যে কয়েকজনকে ২০১৯ সালে একবার জেরা করেছিল এনআইএ। গাড়ি বিস্ফোরণকাণ্ডেরও তদন্তে নেমেছে এনআইএ।  

    এক প্রবীণ তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, এনআইএ নিশ্চিত করেছে কোয়েম্বাতুর বিস্ফোরণ (Coimbatore Blast) কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। অন্যান্য রাজ্যেও জনবহুল এলাকাগুলিতে এরকম হামলা হতে পারে। এনআইএর তরফে এ ব্যাপারে রাজ্যগুলিকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। বাড়াতে বলা হয়েছে পুলিশি নজরদারি। ওই আধিকারিক বলেন, রাজ্যের সন্দেহভাজন বিভিন্ন গোষ্ঠীর ওপর নজর রাখছি আমরা। তার মধ্যে কয়েকটি গোষ্ঠীর ওপর আমরা কড়া নজরদারি চালাচ্ছি।

    আরও পড়ুন: কোয়েম্বাতুর বিস্ফোরণ কাণ্ডে এবার ইউএপিএ ধারায় মামলা পুলিশের

    কোয়েম্বাতুর বিস্ফোরণকাণ্ডের (Coimbatore Blast) পর রাজ্যের গাড়িগুলিতে ব্যাপক তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। তামিলনাড়ুর এক প্রবীণ পুলিশ আধিকারিক বলেন, গত কয়েকদিন ধরে গাড়িগুলিতে চেকিং চালানো হচ্ছে। হঠাৎ করে গাড়ি পরীক্ষার জন্যও স্পেশাল টিম মোতায়েন করা হয়েছে। নজরদারি চালাতে আরও কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তবে সেগুলি এই মুহূর্তে প্রকাশ করা যাবে না।

    কোয়েম্বাতুর বিস্ফোরণকাণ্ডে (Coimbatore Blast) গ্রেফতার করা হয়েছে ফিরোজ ইসমাইল নামে একজনকে। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে বিতাড়িত হয়ে এসেছেন। এক আধিকারিক বলেন, কেরালার কয়েকজন যুবককে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে তাড়ানো হয়েছে। আইএস কাজের সঙ্গে তারা জড়িত বলে সন্দেহ। ঘটনা প্রবাহের ওপর আমরা কড়া নজর রাখছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Kiren Rijiju: ‘বাংলায় গণতন্ত্র রক্তাক্ত, কাঁদছে’, মুখ্যমন্ত্রীর ‘আবেদনে’র প্রেক্ষিতে পাল্টা দিলেন রিজিজু

    Kiren Rijiju: ‘বাংলায় গণতন্ত্র রক্তাক্ত, কাঁদছে’, মুখ্যমন্ত্রীর ‘আবেদনে’র প্রেক্ষিতে পাল্টা দিলেন রিজিজু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচার ব্যবস্থার কাছে গণতন্ত্র বাঁচানোর আবেদন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সে প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে একহাত নিয়েছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju)। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস আইনের শাসনকে হরণ করেছে। বিচার ব্যবস্থার প্রতি তাদের আস্থা সামান্যই। ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari)। তাঁর মতে, বিচারব্যবস্থাকে প্রভাবিত করতেই এই কথাগুলো বলছেন মুখ্যমন্ত্রী।

    রবিবার নিউটাউনের বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে পশ্চিমবঙ্গ ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ জুরিডিক্যাল সায়েন্সসের ১৪তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে নাম না করে বিজেপিকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, আমি বলছি না যে মানুষ বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। কিন্তু আজকাল দেখা যাচ্ছে এটি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। বিচার বিভাগ মানুষকে বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জনগণের কান্না শুনতে হবে। মানুষ দরজার আড়ালে কাঁদছে। আজকাল অনেক কিছুই চলছে। রায়ের আগে মিডিয়া ট্রায়াল চলছে। তারা যে কাউকে অভিযুক্ত করতে পারে? আমাদের সম্মান না থাকলে কিছু থাকে না। আমি সকলের কাছে অনুরোধ করছি, যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোকে বাঁচান। অহেতুক হয়রানি চলছে, প্লিজ গণতন্ত্র বাঁচান।

    এর পরেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে একহাত নিয়েছেন রিজিজু (Kiren Rijiju)। ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, মমতা দিদি পশ্চিমবঙ্গ সম্পর্কে সত্য বলছেন। কারণ বিচারব্যবস্থার প্রতি তৃণমূলের (TMC) আস্থা সামান্যই। বিচারকদের প্রতি কোনও শ্রদ্ধাও নেই। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যে আইনের শাসনের বদলে তৃণমূলের শাসন চলছে। রিজিজু বলেন, বাংলায় গণতন্ত্র রক্তাক্ত, কাঁদছে।

    আরও পড়ুন: ডিসেম্বরেই পতন হচ্ছে তৃণমূল সরকারের? কী বললেন শুভেন্দু?

    মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন শুভেন্দুও। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, বিচারব্যবস্থাকে প্রভাবিত করতেই মুখ্যমন্ত্রী এই কথাগুলো বলছেন। এর আগেও তিনি বিচারপতিরা কীভাবে বিচার করবেন, সে পরামর্শ দিয়েছেন। এ রাজ্যে বিভিন্ন দুর্নীতির ইস্যু নিয়ে যেভাবে বিচার ব্যবস্থা অগ্রসর হয়েছে, তাতে তিনি ভীত এবং আতঙ্কিত। শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী নন, গোটা তৃণমূল কংগ্রেস আতঙ্কিত। মিডিয়া ট্রায়াল প্রসঙ্গে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, চাকরি বিক্রি সহ যেভাবে সংবাদ মাধ্যম বিভিন্ন দুর্নীতি জনসমক্ষে তুলে ধরছে, সেই কারণেই সংবাদমাধ্যমকে ভয় দেখাচ্ছেন উনি। সংবাদ মাধ্যম একের পর এক দুর্নীতি ফাঁস করাতেই মুখ্যমন্ত্রী আতঙ্কিত ও ভীত হয়েই এমন বক্তব্য পেশ করছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sukumar Ray: ‘হ য ব র ল’ এর রচয়িতার জন্মদিন আজ, জানুন তাঁর জীবন কথা

    Sukumar Ray: ‘হ য ব র ল’ এর রচয়িতার জন্মদিন আজ, জানুন তাঁর জীবন কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানের শৈশব আটকে রয়েছে স্মার্টফোনের (Smart Phone) গেম এবং ইউটিউবের (Youtube) কার্টুনে। কিন্তু যখন স্মার্টফোন ছিল না, ইউটিউবের এত চল ছিল না, তখনকার শৈশবে বেশ কিছু বন্ধু ছিল। কিছু বন্ধু আমাদের সঙ্গে স্কুলে যেত, কিছু বন্ধু একসঙ্গে ডাংগুলি, লুকোচুরি, ক্রিকেট খেলতো। আর কিছু বন্ধু ছিল কাল্পনিক। শৈশবের এক বন্ধু ৪১ নম্বর গেছোবাজার কাগেয়াপট্টি-র বাসিন্দা।

    শ্রী কাকেশ্বর কুচকুচের কথা আমাদের নিশ্চয়ই এখনও মনে আছে। আমরা ভুলিনি সেই চন্দ্রবিন্দু নামের অদ্ভুত মোটাসোটা লাল টকটকে বিড়ালটাকে। যে কথায় কথায় এক চোখ বন্ধ করে বিশ্রী রকমের হাসি হাসতো ফ্যাচফ্যাচ করে। কিংবা ধরুন ওই হিজিবিজবিজ-এর কথা।  বিদঘুটে দেখতে এই জন্তুটি যা খুশি কল্পনা করে আর সেগুলো ভেবে ভেবে হেসে গড়িয়ে পড়ে। পাগলা দাশুর কথা শুনতে শুনতে তো হেসে লুটিয়ে পড়ে না এমন মানুষ খুব কম আছেন। বিশেষত নাটকের স্ক্রিপ্টের বাইরে গিয়ে যখন দাশু বলে ‘আবার সে আসিয়াছে ফিরে’। নন্দলাল কে তো আজও ভুলিনি আমরা। বেচারার কপালটা সত্যিই মন্দ। এদের নিয়েই অনেকের শৈশব কেটেছে। স্রষ্টার নাম নিশ্চয়ই আলাদা ভাবে মনে করাতে হবে না। আজ তাঁর জন্মদিন। আবোলতাবোল, হযবরল-র রচয়িতা বিখ্যাত শিশু সাহিত্যিক সুকুমার রায় (Sukumar Ray) ছিলেন উপেন্দ্রকিশোর রায় ও বিধুমুখী দেবীর পুত্র। তাঁরা ছিলেন পাঁচ ভাই-বোন। সুখলতা, পুণ্যলতা ও শান্তিলতা নামের তিন বোন এবং সুবিনয় রায় ও সুবিমল রায় নামের দুই ভাই।

    সুকুমার রায়ের (Sukumar Ray) জন্ম ১৮৮৭ সালের ৩০শে অক্টোবর কলকাতার এক দক্ষিণ রাঢ়ীয় কায়স্থ বংশীয় ব্রাহ্ম পরিবারে। পিতা উপেন্দ্রকিশোর রায় ছিলেন বিখ্যাত শিশু সাহিত্যিক‌। এই অসামান্য প্রতিভার যোগ্য উত্তরাধিকারী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন ‘পাগলা দাশু’ চরিত্রের স্রষ্টা। সুকুমার রায়ের মা বিধুমুখী দেবী ছিলেন ব্রাহ্মসমাজের দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের কন্যা। সুকুমার রায়ের আদিনিবাস বর্তমান বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার কিশোরগঞ্জ মহকুমার (বর্তমান কিশোরগঞ্জ জেলা) কটিয়াদি উপজেলার মসূয়া গ্রামে। মসূয়াতে বসবাসের আগে তাঁর পূর্বপুরুষের আদিনিবাস ছিল অধুনা পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার অন্তর্গত চাকদহে৷ চিত্রশিল্পী হিসেবেও তিনি অসাধারণ মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন। শিশু সাহিত্যের বইগুলির চিত্র তিনি নিজেই আঁকতেন। ছাত্রাবস্থায় অসাধারণ মেধাবী এই ছাত্র কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ১৯০৬ সালে রসায়ন ও পদার্থবিদ্যায় বি.এস.সি. (অনার্স) করার পর মুদ্রণবিদ্যায় উচ্চতর শিক্ষার জন্য ১৯১১ সালে বিলেতে যান। সেখানে তিনি আলোকচিত্র ও মুদ্রণ প্রযুক্তির ওপর পড়াশোনা করেন এবং ভারতের অগ্রগামী আলোকচিত্রী ও লিথোগ্রাফার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ভারতে ফিরে আসেন ১৯১৩ সালে। উপেন্দ্রকিশোর রায় ছোটদের মাসিক পত্রিকা ‘সন্দেশ’ চালাতেন। সুকুমার রায় দেশে ফেরার কিছুদিনের মধ্যে উপেন্দ্রকিশোর রায় প্রয়াত হলে, ‘সন্দেশ’ পত্রিকার দায়িত্বভার নিজের কাঁধে তুলে নেন সুকুমার রায়। প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়াকালীন তিনি ‘ননসেন্স সংঘ’ নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যার মুখপত্রের নাম ছিল ‘সাড়ে বত্রিশ ভাজা’।

    সুকুমার রায় (Sukumar Ray) ‘অতীতের কথা’ নামক একটি কাব্য রচনা করেছিলেন, যা ব্রাহ্ম সমাজের ইতিহাসকে সরল ভাষায় উপস্থাপন করেছিল – ছোটদের মধ্যে ব্রাহ্ম সমাজের মতাদর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে এই কাব্যটি একটি পুস্তিকার আকারে প্রকাশ করা হয়। ১৯২৩ সালে মাত্র ৩৫ বছর বয়সে এই বিখ্যাত শিশু সাহিত্যিক পরলোক গমন করেন। কালাজ্বর রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। দুঃখের কথা তখনও অবধি কালাজ্বর রোগের টিকা আবিষ্কৃত হয়নি। পিতা সুকুমার রায়ের মৃত্যুর ঠিক দু বছর আগে ১৯২১ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন সুযোগ্য সন্তান সত্যজিৎ রায় যিনি পরবর্তীকালে একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতনামা বাঙালি হয়েছিলেন এবং জিতেছিলেন অস্কার।

    আরও পড়ুন: কার্তিক মাসে গ্রাম বাংলায় পালিত হয় ‘যমপুকুর ব্রত’! জানেন এর নেপথ্য গল্প?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • RSS: সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু বিভাজনে বিশ্বাস করে না আরএসএস, সাফ জানালেন প্রচার প্রমুখ  

    RSS: সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু বিভাজনে বিশ্বাস করে না আরএসএস, সাফ জানালেন প্রচার প্রমুখ  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমাজে বিভাজনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না আরএসএস (RSS)। এ কথা আরও একবার স্পষ্ট করে দিলেন সংঘের অখিল ভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর (Sunil Ambekar)। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু (Minority-Majority) এই বিভাজনে বিশ্বাস করে না সংঘ। এই দেশের নাগরিকরা সবাই সমান। আমাদের পূর্বপুরুষরা যে এক সেকথা সরসংঘচালকজি (মোহন ভাগবত) বহু বার বলেছেন। তিনি এও বলেছেন, আমাদের ডিএনএ এক, ইতিহাসও এক। সুনীল বলেন, সেই কারণে আমরা প্রত্যেককেই নিজের বলে মনে করি। তাই আমরা প্রত্যেকের জন্য এবং প্রত্যেকের সঙ্গে কথাবার্তা বলতে প্রস্তুত।

    সন্ত্রাসবাদ যে দেশের পক্ষে বড় বিপদ, এদিন তাও জানিয়ে দেন সংঘের (RSS) অখিল ভারতীয় প্রচার প্রমুখ। তিনি বলেন, যারা সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে তারা আমাদের দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করছে। আমাদের দেশকে এদের সঙ্গেই যুদ্ধ করতে হচ্ছে। এই শক্তিকে পরাস্ত করতে আমাদের পুলিশ ও সশস্ত্র নেতা প্রতিটি পদক্ষেপ নিচ্ছে। এটা সন্ত্রাসবাদ এবং আইনশৃঙ্খলার ব্যাপার। আমাদের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সেনা এদের সঙ্গে লড়ছে।

    আরএসএসের (RSS) এই নেতা বলেন, সংঘ সমতা ও ঐক্যের জন্য কাজ করে। এজন্য আমরা অবিরাম কাজ করে চলেছি। সমাজের সর্বস্তরের মানুষই স্বয়ংসেবক হচ্ছেন। আর এই স্বয়ংসেবকরা পৌঁছে যাচ্ছেন সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে। তিনি বলেন, সর্ব প্রথম তাঁদের সমান সুযোগ দিতে হবে। এটা করতে আমরা বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছি। প্রত্যেকে যাতে পরস্পরকে চেনেন, জানেন, সেজন্যও আমরা অনেক কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। তিনি বলেন, আমরা প্রতিটি জেলায় সামাজিক সদ্ভাব বৈঠকের আয়োজন করে চলেছি। আমাদের স্বয়ংসেবকরা সমাজের সঙ্গে কাজ করছে। অনেক প্রকল্প হাতে নিয়েছে, যাতে কেউ নিজেকে অসহায় মনে না করেন অথবা কারও কোনও অভাব না থাকে। তিনি বলেন, স্বয়ংসেবকরা বহুমুখী কাজ করছেন যাতে করে সাম্যের পরিবেশ গড়ে ওঠে, সবাই সমান সুযোগ পান।  

    আরও পড়ুন: বর্ণ ও জাতিভেদ প্রথা লুপ্ত হোক, চান আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত

    ২০২৫ সালে শতবর্ষপূ্র্তি পালন করবে সংঘ (RSS)। সে প্রসঙ্গে সুনীল আম্বেকর বলেন, সবার কল্যাণার্থে সংঘ যেসব কাজ করছে, তার সুফল যাতে সবাই ভোগ করতে পারেন, সেজন্য দেশের সর্বত্র আমাদের উপস্থিতি প্রয়োজন। ২০২৪ সালের মধ্যে তা করাই আমাদের লক্ষ্য। তার আগে পর্যন্ত আমাদের স্বয়ংসেবকরা দ্রুত সেই সব জায়গায় পৌঁছে যাবেন, যেখানে আমাদের উপস্থিতি নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • SSC Scam: দুর্নীতি হচ্ছে জেনেও চুপ ছিলেন পার্থ-মানিক, আদালতে জানাল ইডি  

    SSC Scam: দুর্নীতি হচ্ছে জেনেও চুপ ছিলেন পার্থ-মানিক, আদালতে জানাল ইডি  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই ইডির জালে জড়িয়ে পড়ছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। শুক্রবার তাঁর বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযোগ করল ইডি (ED)। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, অনলাইন ক্লাস পরিচালনার জন্য মানিকের ছেলে শৌভিকের সংস্থা এডুক্লাসেস অনলাইনকে ২ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। অনলাইন ক্লাসের নামে যে দুর্নীতি হচ্ছে, সে সম্পর্কে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) সব জানতেন। মানিককে তিনি তা জানিয়েওছিলেন। তার পরেও দুর্নীতি রুখতে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ ইডির।

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থার দাবি, এডুক্লাসেসের মাধ্যমে পড়ুয়াপিছু নেওয়া হয় ৫০০ করে টাকা। ওই টাকা দিলেই মিলত অনলাইনে ক্লাসের ছাড়পত্র। পলাশিপাড়ার বিধায়কের এসব কাজকর্ম সম্পর্কে সবই জানতেন পার্থ। তার পরেও চোখ বুজে ছিলেন। এদিন, আদালতে নথি জমা দিয়ে ইডির আধিকারিকরা বলেন, ২০২০ সালের পয়লা এপ্রিল থেকে ২০২১ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত অল বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং অ্যাচিভার্স অ্যাসোসিয়েশনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে এডুক্লাসেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দফায় দফায় মোট ২ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা পাঠানো হয়েছে অনলাইন ক্লাসের জন্য। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, সব জেনেশুনেও মানিককে নিরস্ত করেননি পার্থ। অনলাইন ক্লাসের নামে পড়ুয়াদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া বন্ধেও কোনও পদক্ষেপ করেননি তিনি। মানিকও দিব্যিই ছিলেন।

    আরও পড়ুন: মৃত ব্যক্তির সঙ্গে জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা মানিকের স্ত্রীর! বিস্ফোরক ইডি

    ইডির আরও দাবি, পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়কের পরিবারের একাধিক সদস্যের সন্দেহজনক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। মানিকের স্ত্রীর সঙ্গে জনৈক মৃত্যঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। ২০১৬ সালে প্রয়াত হন মৃত্যুঞ্জয়। কিন্তু তাঁর সঙ্গে এখনও জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট রয়েছে তৃণমূল বিধায়কের স্ত্রীর। এ থেকে এটাও স্পষ্ট, মৃত্যুঞ্জয়ের প্রয়াণের পরেও তাঁর কেওয়াইসি আপডেট এবং প্যানকার্ড ব্যবহার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই মামলায় চার্জশিট দিয়ে পার্থ ও মানিকের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের বিষয়টি আগেই প্রকাশ্যে এনেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Akash Pradip: “আকাশ প্রদীপ জ্বলে…”, জানেন কার্তিক মাসে কেন জ্বালানো হয় এই প্রদীপ?

    Akash Pradip: “আকাশ প্রদীপ জ্বলে…”, জানেন কার্তিক মাসে কেন জ্বালানো হয় এই প্রদীপ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  লতা মঙ্গেশকরের কণ্ঠে গাওয়া, ‘আকাশ প্রদীপ জ্বলে দূরের তারার পানে চেয়ে’ গানটি বাঙালির এক নস্টালজিয়া। এই ‘আকাশ প্রদীপ’ (akash Pradip) কয়েক বছর  আগেও কার্তিক মাসে বাংলার ঘরে ঘরে জ্বলে উঠত। এখন অবশ্য আধুনিকতার ছোঁয়ায় লোকাচার যেন হারিয়ে যাচ্ছে। তবুও গ্রাম বাংলায় কার্তিক মাসের হালকা শীতের চাদর মোড়ানো সন্ধ্যায় সন্ধান পাওয়া যায় ‘আকাশ প্রদীপ’ এর। পুরাণ মতে , দীর্ঘ চার মাসের যোগনিদ্রা শেষে, কার্তিক (Kartik) মাসে জেগে ওঠেন ভগবান বিষ্ণু। তাঁকে প্রসন্ন রাখতে, ভক্তরা কার্তিক মাসের প্রথম দিন থেকে সংক্রান্তির দিন পর্যন্ত, প্রতিদিন সন্ধ্যাবেলায় মাটির প্রদীপ ঘি বা তেল দিয়ে জ্বালিয়ে রাখেন। বাড়ির সব থেকে উঁচু স্থানে উত্তর অথবা পূর্ব দিকে মুখ করে রেখে এই প্রদীপ জ্বালানো হয়। লাঠির ডগায় ছাদের উপরেও এই প্রদীপ দিতে দেখা যায়। বর্তমান সময়ে প্রদীপের বদলে বৈদ্যুতিক বাতিও দেন অনেকে। বিশ্বাস, ভক্তদের আকাশ প্রদীপ অর্পণে সন্তুষ্ট হয়ে ভগবান বিষ্ণু তাঁদের মনস্কামনা পূরণ করেন। সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে ভক্তদের জীবন। আরোগ্য ও আশীর্বাদ প্রদান করেন ভগবান বিষ্ণু।

    অন্য একটি কিংবদন্তি মতে, আশ্বিন মাসের মহালয়ার দিন পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করা হয়। তার পরের একটি মাস তাঁরা আনন্দ উৎসবে সামিল হন এবং পরলোকের উদ্দেশ্যে গমন করেন কালী পূজার অমাবস্যায়। এই প্রদীপ (akash Pradip) জ্বেলে আবাহন করা হয় পিতৃলোকে, প্রেতলোকে অবস্থান করা পূর্বপুরুষদেরও। যাতে তাঁরা আকাশ প্রদীপের আলোয় পথ চিনে আশীর্বাদ দিতে আসতে পারেন উত্তরসূরীদের।

    প্রদীপ হিন্দু ধর্মের যে কোনও অনুষ্ঠানের সব থেকে অপরিহার্য এবং গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ধর্মীয় আচার, রীতি সবকিছুই সম্পন্ন হয় প্রদীপের দ্বারা। ভগবান বিষ্ণুর বন্দনা করতে তাই বেছে নেওয়া হয়েছে ‘আকাশ প্রদীপ’ (akash Pradip)। ভগবান বিষ্ণুর উদ্দেশ্যে সমর্পিত এই প্রদীপের ধরন আলাদা আলাদা হয় এবং তা ভক্তদের নানা মনোবাসনা পূরণের লক্ষ্যে জ্বালানো হয়। একনজরে আমরা দেখে নিই আকাশ প্রদীপের ধরন গুলি।

    ১. দ্বিমুখী প্রদীপ: ভগবানের অসীম কৃপা লাভ, আশীর্বাদ লাভ এবং দীর্ঘজীবনের অধিকারী হওয়া যায় দ্বিমুখী প্রদীপ জ্বালালে। এটাই ভক্তদের বিশ্বাস।

    ২. ত্রিমুখী প্রদীপ: লোকবিশ্বাস, এই প্রদীপ জ্বালালে শত্রুর কু-নজর থেকে ভগবান বিষ্ণু ভক্তদের রক্ষা করেন।

    ৩. চতুর্মুখী প্রদীপ: সন্তানের দীর্ঘজীবন কামনা করে মা-বাবারা এই প্রদীপ জ্বালেন।

    আরও পড়ুন: কার্তিক মাসে গ্রাম বাংলায় পালিত হয় ‘যমপুকুর ব্রত’! জানেন এর নেপথ্য গল্প?

    কার্তিক মাসব্যাপী সন্ধ্যার সময় অনেক গৃহে তুলসীতলায় প্রদীপ জ্বালানোর রীতি রয়েছে‌।পুকুরে বা নদীতেও অনেক সময় প্রদীপ ভাসানো হয় ভগবানের আশীর্বাদ এবং কৃপা লাভের উদ্দেশ্যে। আকাশপ্রদীপ দেওয়ার মন্ত্রটি হলো- “আকাশে সলক্ষ্মীক বিষ্ণোস্তোষার্থং দীয়মানে প্রদীপঃ শাকব তৎ।”আকাশে লক্ষ্মীর সঙ্গে অবস্থান করছেন যে বিষ্ণু, তাঁর উদ্দেশে দেওয়া হল এই প্রদীপ। ঘটের মতো প্রদীপকেও অনেক পণ্ডিত দেহেরই প্রতীক বলে মনে করেন। আকাশ-প্রদীপও (akash Pradip) নশ্বর শরীরের মতো ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুৎ ও ব্যোম- এই পঞ্চভূতে তৈরি।

    ক্ষিতি অর্থাৎ মাটি, কায়া তৈরি করে। অপ অর্থাৎ জলে আকার পায়। তেজ অর্থাৎ আগুন, আত্মার মতোই স্থিত হয় তার অন্তরে। মরুৎ অর্থাৎ হাওয়া আগুনকে জ্বলতে সাহায্য করে। আর ব্যোম অর্থাৎ অনন্ত শূন্য জেগে থাকে প্রদীপের গর্ভে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Malaria Outbreak: ডেঙ্গির পাশাপাশি রাজ্যে বাড়ছে ম্যালেরিয়ার প্রকোপও, আক্রান্ত কত জানেন?

    Malaria Outbreak: ডেঙ্গির পাশাপাশি রাজ্যে বাড়ছে ম্যালেরিয়ার প্রকোপও, আক্রান্ত কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক ডেঙ্গিতে রক্ষে নেই, ম্যালেরিয়া দোসর! রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের হার বাড়ছে দিনের পর দিন। এরই মধ্যে আলোড়ন পড়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পাঠানো একটি রিপোর্টে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি বছর এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ম্যালেরিয়ায় (Malaria Outbreak) আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৮৪৮ জন। মাস দুয়েক আগেও এই সংখ্যাটা ছিল ২ হাজার ৭০০। জানা গিয়েছে, যাঁরা ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের সিংহভাগই হচ্ছেন ফ্যালসিপেরাম ম্যালেরিয়ায়।

    রাজ্যে মশাবাহিত রোগের হাল হকিকৎ কী এবং প্রতিরোধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তার রিপোর্ট কেন্দ্রকে পাঠানো বাধ্যতামূলক। সেই মতো তথ্য পাঠিয়েছে রাজ্য সরকারও। সেই তথ্যের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পাঠানো রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে ম্যালেরিয়ার (Malaria Outbreak) কথা। জানা গিয়েছে, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গির বলি হয়েছেন ৬৩ জন। আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫ হাজার। কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, মুর্শিদাবাদ ও দার্জিলিং এই ছটি জেলা ডেঙ্গিপ্রবণ।

    ডেঙ্গির এই বাড়বাড়ন্তের মধ্যেই থাবা বসিয়েছে ম্যালেরিয়া (Malaria Outbreak)। রাজ্য সরকারের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই ও আগস্ট মাসে রাজ্যে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৭৪৪ জন। আর কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অগাস্ট মাসের শেষ দিন পর্যন্ত এ রাজ্যে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ হাজার ৮১২। এর মধ্যে ফ্যালসিফেরাম ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৯০২। মৃত্যু হয়েছে একজনের। কেন্দ্রের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ম্যালেরিয়া আক্রান্তের নিরিখে দেশের মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।

    আরও পড়ুন: দুয়ারে সরকার নিয়ে কী খবর প্রকাশ পাচ্ছে, নজর রাখার নির্দেশ নবান্নর, কিন্তু কেন?

    কেন্দ্রের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছে বিজেপি (BJP)। পদ্ম শিবিরের অভিযোগ, কেন্দ্রের কাছে ডেঙ্গি নিয়ে সঠিক তথ্য পাঠাচ্ছে না রাজ্য। শনিবারও ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন এক তরুণী। মৃত্যু হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার বছর পঁচিশের ওই বধূর। রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে সরকারকে কটাক্ষ করেছেন বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি বলেন, ভয়ঙ্কর অবস্থা। সরকার নেই। সরকার ছুটি কাটাচ্ছে। দুর্গাপুজোয় ১১ দিন, কালীপুজোয় ৮দিন, ছুটি আর ছুটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • National Unity Day: যারা ভারতের ঐক্য ভাঙার চেষ্টা করছে, তাদের থেকে সাবধান, বললেন মোদি

    National Unity Day: যারা ভারতের ঐক্য ভাঙার চেষ্টা করছে, তাদের থেকে সাবধান, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শত্রুরা ভারতের (India) ঐক্য ভাঙার চেষ্টা করে চলেছে। এরকম চেষ্টার বিরুদ্ধে গোটা দেশের রুখে দাঁড়ানো উচিত। সোমবার একতা দিবসের (National Unity Day) অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্মবার্ষিকী। এই দিনটিকেই একতা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এদিন গুজরাটের (Gujrat) কেভাদিয়ায় সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানান মোদি। ওই সভায়ই শত্রুদের সম্পর্কে দেশবাসীকে সতর্ক করে দেন প্রধানমন্ত্রী।

    জাতীয় একতা দিবসের এই অনুষ্ঠানে (National Unity Day) মোরবি ব্রিজ দুর্ঘটনার প্রসঙ্গও তোলেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে খানিকটা আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি কেবাদিয়ায় রয়েছি। কিন্তু আমার হৃদয় পড়ে রয়েছে মোরবিতে। যেখানে রবিবার সন্ধ্যায় ব্রিজ দুর্ঘটনায় ১৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

    আবেগ বিহ্বল দশা কাটিয়ে ফের ছন্দে ফেরেন মোদি। বলেন, ভারতে কোনও দিনই ঐক্যের প্রয়োজন ছিল না। এটা ছিলই। এটাই এর স্বাতন্ত্র্য। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের এই ঐক্যটাই শত্রুদের চক্ষুশূল। না না, আজ নয়, হাজার হাজার বছর ধরে। এমনকী আমরা যখন দাসত্বের শৃঙ্খলে বাঁধা ছিলাম, তখনও। সব বিদেশি ভারত আক্রমণকারীর দল আমাদের দেশের এই ঐক্য ভাঙতে সমস্ত ধরনের চেষ্টা করেছে।

    আরও পড়ুন: সশস্ত্র ও কলমধারী দুই ধরনের নকশালকেই নির্মূল করতে হবে, জানালেন মোদি

    বহিঃশত্রুদের এই ঐক্য ভাঙার চেষ্টা যে ক্রমেই বিষবৃক্ষে পরিণত হয়েছে, এদিনের অনুষ্ঠানে তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, দীর্ঘকাল ধরে যে বিষ ছড়ানো হয়েছিল, তার ফল আজও ভুগছে দেশ। আমরা দেখেছিলাম দেশ ভাগ। এবং এর থেকে সুযোগ নিচ্ছে শত্রুরা। প্রধানমন্ত্রীর মতে, শত্রুরা এখনও রয়েছে। তারা জাতপাত, অঞ্চল, ভাষা ইত্যাদির ভিত্তিতে মানুষকে লড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, ইতিহাসও এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যার জেরে মানুষ একে অপরের পাশে দাঁড়ান না। মোদি বলেন, এই শক্তি যে কেবল বাইরে থেকে আসছে তা নয়, আমাদের দাসত্বের মানসিকতাও ঐক্যে পথে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এদের জবাব দিতে হবে। তাদের বলতে হবে, আমরা এই দেশের সন্তান। আমাদের এক থাকতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Metro Rail: চলতি বছরেই মেট্রো ছুটবে দুই পথে, জেনে নিন রুট

    Metro Rail: চলতি বছরেই মেট্রো ছুটবে দুই পথে, জেনে নিন রুট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে জোকা-তারাতলা (Joka-Taratala) রুটের বাসিন্দাদের। স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে নিউ গড়িয়া-রুবি (New Garia Ruby) রুটের বাসিন্দাদেরও। এতদিন এই দুই এলাকার বাসিন্দাদের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম ছিল বাস। এবার ব্যবস্থা হতে চলেছে তাঁদের যাতায়াতের আরও একটি মাধ্যমের। সেটি হল, মেট্রো রেল (Metro Rail)। সূত্রের খবর, আগামী বছর নয়, চলতি বছরেই জোকা-তারাতলা এবং নিউ গড়িয়া-রুবি রুটে ছুটবে মেট্রো। উপকৃত হবেন ওই দুই রুটের কয়েক হাজার নিত্যযাত্রী। জানা গিয়েছে, মেট্রো রেল (Metro Rail) কর্তৃপক্ষ কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির কাছে ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন করেছেন। জোকা তারাতলা এবং নিউ গড়িয়া রুবি রুটে কমর্সিয়াল মেট্রো চালু করার ছাড়পত্র চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। ছাড়পত্র মিললে চলতি বছরেই শুরু হয়ে যাবে ওই দুই রুটে মেট্রো পরিষেবা।

    রেলের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও পথে ট্রেন চালাতে গেলে বেশ কিছুদিন ট্রায়াল রান দিতে হয়। ট্রায়াল রান সফল হলেই আবেদন করতে হয় ট্রেন চলাচলে ছাড়পত্রের জন্য। জানা গিয়েছে, জোকা-তারাতলা এবং নিউ গড়িয়া-রুবি দুই রুটেই বর্তমানে চলছে ট্রায়াল রান। আধিকারিকদের মতে, যেহেতু এই মুহূর্তে সিগন্যাল পরীক্ষার কোনও প্রয়োজন নেই, তাই বিশেষজ্ঞদের লাইন পরীক্ষার পর ট্রেন চলাচলে ছাড়পত্র পেতে খুব বেশি সমস্যা হবে না। প্রসঙ্গত, একটি লাইনে একটি মাত্র ট্রেন চললে সিগন্যাল টেস্টের প্রয়োজন হয় না। আপাতত এই দুই রুটে  একটি লাইনে একটি করেই ট্রেন চলবে বলে জানা গিয়েছে। জোকা-তারাতলা মেট্রো লাইনে চারটি স্টেশন রয়েছে। এগুলি হল, ঠাকুরপুকুর, শখেরবাজার, বেহালা চৌরাস্তা এবং বেহালা বাজার। এখনই ওই রুটে একটিই মাত্র ট্রেন চলবে। পুরো দূরত্ব অতিক্রম করতে মেট্রোর সময় লাগবে মাত্র ১৮ মিনিট।

    আরও পড়ুন: জম্মু এবং কাশ্মীরকে নয়া উচ্চতায় নিয়ে যাব, রোজগার মেলায় ঘোষণা মোদির

    এর আগে মেট্রোরেলের (Metro Rail) জেনারেল ম্যানেজার অরুণ অরোরা বলেছিলেন, ২৪ অক্টোবর কালীপুজোর দিন চালু হতে পারে মেট্রো পরিষেবা। তবে তা হয়নি। তাই চলতি বছরেই যাতে ওই দুই রুটে মেট্রো পরিষেবা চালু করা যায়, জোরকদমে তার চেষ্টা চলছে বলে সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত, জোকা-তারাতলা রুটের মোট দৈর্ঘ ৬ কিলোমিটার। আর নিউ গড়িয়া-রুবি স্টেশনের দূরত্ব ৫ কিলোমিটার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share