Tag: Bengali news

Bengali news

  • Cattle Smuggling Case: গরু পাচারের টাকার খোঁজ পেতে সায়গলকে হেফাজতে নিতে চায় ইডি!

    Cattle Smuggling Case: গরু পাচারের টাকার খোঁজ পেতে সায়গলকে হেফাজতে নিতে চায় ইডি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) হাত বদল হয়েছে কোটি কোটি টাকা। এতদিন এই মামলায় তদন্ত করছিল সিবিআই (CBI)। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতারও হয়েছে তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal) এবং তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন (Saigal Hossain)। সিবিআইয়ের পাশাপাশি এবার গরু পাচার মামলায় অনুব্রত ও সায়গলের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করল ইডি (ED)। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই সায়গলকে হেফাজতে নিতে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে আবেদন করেছে ইডি। আসানসোল জেল থেকে তাঁকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চান ইডির আধিকারিকরা। গরু পাচারের টাকা কোথায় গেল, তারই খোঁজ পেতে চাইছেন তাঁরা।

    তৃণমূল জমানায় রাজ্যে নানা ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি, গরু এবং কয়লা পাচারকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটেছে জোড়াফুল জমানায়। ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমে ইডি গ্রেফতার করেছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, তাঁর ঘনিষ্ঠ সহ বেশ কয়েকজনকে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৫০ কোটির কাছাকাছি টাকা। নামে বেনামে প্রচুর সম্পত্তির হদিশও মিলেছে। উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ সোনাও। রাজ্যে আগাছার মতো বেড়ে ওঠা এই সব কেলেঙ্কারির শেকড়ে পৌঁছতে তদন্ত গতি আনছে ইডি। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই কলকাতায় এসে পৌঁছেছেন ইডির ২০ জন আধিকারিক। চলতি সপ্তাহেই আরও কয়েকজন আধিকারিক এসে পৌঁছবেন বলে ইডি সূত্রে খবর। নানা ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেন ও আর্থিক তছরুপের যে অভিযোগ উঠেছে, সেই সব তদন্ত প্রক্রিয়ায় গতি আনতে বড় টিম তৈরি করতে চাইছে ইডি। তাই দিল্লি থেকে আসছেন আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুন : দুধের গাড়ি উল্টে যেতেই বেরলো পাল-পাল গরু! ‘পাচারের নয়া পন্থা’, আক্রমণ শুভেন্দুর

    জানা গিয়েছে, ইডির আধিকারিকদের এই টিম একসঙ্গে একাধিক জায়গায় হানা দেবে। পার্থ–অর্পিতা মামলার তদন্তের পাশাপাশি কয়লা পাচার ও গরুপাচারে আর্থিক বিষয়ে কেলেঙ্কারির দিকটি খতিয়ে দেখবে ১০টি টিম। ইডি সূত্রে খবর, অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি এখনও রয়েছেন যাঁদের এখনও ছোঁয়া হয়নি। তাঁদের ধরতে গেলে এক জায়গায় হানা দিলে হবে না। একসঙ্গে বেশ কয়েকটি জায়গায় হানা দিতে হবে। সেই কারণেই কলেবর বাড়ছে ইডির। 

    প্রসঙ্গত, কোনও মামলার দুর্নীতির দিকটি খতিয়ে দেখে সিবিআই। আর আর্থিক তছরুপের দিকটি নিয়ে তদন্ত করে ইডি। রাজ্যে একাধিক দুর্নীতির ক্ষেত্রে সত্য উদ্ঘাটন করতে আসরে নেমেছে এই দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিকে গরু পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত এনামূল হককে আগেই গ্রেফতার করেছিল ইডি। একটি সূত্রের খবর, এবার ওই মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলকেও হেফাজতে নিতে চাইতে পারে ইডি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
  • Rajnath Singh at Tashkent: এসসিও-র বৈঠকে যোগ দিতে তাসখন্দে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং

    Rajnath Singh at Tashkent: এসসিও-র বৈঠকে যোগ দিতে তাসখন্দে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসসিও-র (SCO) প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Defence Minister) পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেবেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। উজবেকিস্তানের তাসখন্দে ওই বৈঠক হবে ২৪ অগাস্ট। সরকারের তরফে জারি করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজনাথ সিং উজবেকিস্তানের তাসখন্দে (Tashkent) যাচ্ছেন এসসিওর বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে।

    সেপ্টেম্বর মাসে উজবেকিস্তানের সমরখন্দে অনুষ্ঠিত হবে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন, সংক্ষেপে এসসিও-র (SCO) বার্ষিক সম্মেলন। এই সম্মেলনে মুখোমুখি হবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ও চিনের (China) প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping)। চিন, পাকিস্তান, রাশিয়া, ভারত, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, কিরগিজস্তান এবং কাজাখস্তান এই আটটি দেশ সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের পূর্ণ সদস্য। চলতি বছরের প্রথম দিনে তিন বছরের মেয়াদে এই আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর নয়া সেক্রেটারি নির্বাচিত হয়েছেন ঝাং মিং। তিনি জানান, সংগঠনের সম্ভাবনা ও কর্তৃত্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি আঞ্চলিক শান্তি স্থিতিশীলতা সুনিশ্চিত করা, দারিদ্র হ্রাস এবং খাদ্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করাও তাঁর উদ্দেশ্য।

    আরও পড়ুন : এসসিও-র সম্মেলনে মুখোমুখি হবেন মোদি-শি জিনপিং, আলোচনা হবে সীমান্ত নিয়ে?

    জানা গিয়েছে, সমরখন্দে এসসিও-র বার্ষিক সম্মেলনে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে এবার আমন্ত্রণ জানানো হবে। চলতি বছরের ১৫ ও ১৬ সেপ্টেম্বর বার্ষিক এই সম্মেলন হওয়ার কথা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এই সম্মেলনে যোগ দেবেন। সেখানেই মুখোমুখি হবেন মোদি এবং জিনপিং। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের এই বার্ষিক সম্মেলনে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে সদস্য দেশগুলির মধ্যে। সম্মলেন রাজনাথের ভাষণ দেওয়ার কথা ২৪ তারিখে। তাসখন্দ সফরে রাজনাথ আয়োজক দেশ উজবেকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লেফটেন্যান্ট জেনারেল বাখোদির কুরবানভের (Bakhodir Kurbanov) সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। পরে রাজনাথ সেখানে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন। সাক্ষাৎ করবেন প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গেও। এসসিও-র স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হয়ে গিয়েছে আগেই। ওই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। সন্ত্রাসবাদ ও মাদক পাচারের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুন : বিশ্বের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে ভারতকে আরও শক্তিশালী হতেই হবে, বললেন রাজনাথ

     

  • Suvendu Adhikari: দুধের গাড়ি উল্টে যেতেই বেরলো পাল-পাল গরু! ‘পাচারের নয়া পন্থা’, আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: দুধের গাড়ি উল্টে যেতেই বেরলো পাল-পাল গরু! ‘পাচারের নয়া পন্থা’, আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে এখনও সক্রিয় গরু পাচার (Cow Smuggling) চক্র। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশে নতুন পথ খুঁজে বার করছেন পুলিশ (Police) আধিকারিকরা। পুরুলিয়ায় (Purulia) দুধের কন্টেনার (Milk Container) উল্টে উদ্ধার হয়েছে বেশ কয়েকটি গরু (Cattle)। তার পরেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মঙ্গলবার পর পর দুটি ভিডিও ট্যুইট করে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    এদিন সাত সকালে পুরুলিয়া-বাঁকুড়া ৬০ এ জাতীয় সড়কে আচমকাই উল্টে যায় একটি দুধের কন্টেনার। কন্টেনারের বাইরে আমূল লেখা দেখে অন্তত তাই ভেবেছিলেন স্থানীয়রা। দুর্ঘটনাগ্রস্ত কন্টেনারটির দরজা খুলতেই সিং দুলিয়ে বের হতে থাকে একের পর এক গরু। উদ্ধার হয় ১৭টি গরু। দেহ উদ্ধার হয় পাঁচটির। উত্তর প্রদেশের নম্বর প্লেট থাকা ওই দুধের গাড়ির চালক ও খালাসিকে আটক করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, গরুগুলি বিহারের ঔরঙ্গাবাদের একটি হাট থেকে কলকাতায় নিয়ে আসা হচ্ছিল। পাচার নয়, কৃষি কাজে ব্যবহারের উদ্দেশ্যেই সেগুলি নিয়ে আসা হচ্ছিল বলে দাবি চালক ও খালাসির। তাদের দাবি সত্যি কিনা, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চালক ও খালাসি স্বীকার করেছে, গরু পাচার নিয়ে পুলিশি কড়াকড়ির জেরে এভাবে দুধের কন্টেনারে করে গরু নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।

    আরও পড়ুন : অনুব্রত একজন মাফিয়া, মমতার প্রশ্রয়ে ওর বাড়বাড়ন্ত, বললেন শুভেন্দু

    দুধের কন্টেনার থেকে গরু উদ্ধার হতেই হইচই পড়ে যায় রাজ্যজুড়ে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যুইটবাণে বিদ্ধ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কটাক্ষ, গরু পাচার বন্ধে কড়াকড়ি শুরু হতেই নয়া কৌশল অবলম্বন করেছে পাচারকারীরা। একটি ট্যুইট বার্তায় শুভেন্দু লেখেন, পশ্চিমবঙ্গে এখনও কোটি কোটি টাকার গরু পাচার চক্র সক্রিয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশ বিএসএফ স্ক্রু টাইট দিয়েছে। তাই গরু পাচারের পরীক্ষিত পদ্ধতিগুলো আর কাজ করছে না। পুরানো পদ্ধতিতে গরু পাচার কঠিন হয়ে পড়েছে।

    দ্বিতীয় ট্যুইটবাণে শুভেন্দু লেখেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে গরু পাচারের আদর্শ উপায় আবিষ্কার করতে বলেছেন। পুষ্পা চলচ্চিত্র থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে পুরুলিয়ায় আমুলের দুধের গাড়িতে করে গরু পাচার হচ্ছিল। গাড়িটি রাস্তা থেকে পিছলে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হওয়ায় বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    [tw]<blo


    ckquote class=”twitter-tweet”>

    The multi-crore cattle smuggling syndicate is still active in WB. @BSF_India has tightened the screws under Hon’ble Home Minister Shri @AmitShah Ji’s able supervision. The tried & tested formulas have now failed. It has become extremely difficult to smuggle cattle using old ways: pic.twitter.com/K85NsjlaBT

    — Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) August 23, 2022

    [

    প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। ওই মামলায় তদন্ত করতে গিয়ে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় তদন্তকারীদের। এমনই আবহে দুধের কন্টেনার উল্টে গরু উদ্ধারের ঘটনায় পাচারকারীদের হাতই দেখছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি।

     

  • Cattle Smuggling Threat Letter: ‘অনুব্রতকে জামিন দিন, না হলে…’ হুমকি-চিঠি সিবিআইয়ের বিচারককে!

    Cattle Smuggling Threat Letter: ‘অনুব্রতকে জামিন দিন, না হলে…’ হুমকি-চিঠি সিবিআইয়ের বিচারককে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই (CBI) হেফাজতে রয়েছেন তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। তবে সক্রিয় তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গোরা। ওয়াকিবহাল মহলের এহেন ধারণার কারণ একটি হুমকি চিঠি। আসানসোলের (Asansole) সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারকের কাছে আসা ওই চিঠিতে লেখা, অনুব্রত মণ্ডলকে গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) জামিন দিতে হবে। না হলে খোদ বিচারককেই ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে মাদক মামলায়।

    গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত। আপাতত তিনি রয়েছে সিবিআই হেফাজতে। চলছে আইনি প্রক্রিয়াও। খুব শীঘ্রই হয়তো তাঁর জামিনের আবেদন জমা পড়বে আদালতে। এমতাবস্থায় অনুব্রতর জামিন চেয়ে হুমকি চিঠি  পাঠানো হয়েছে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারকের কাছে। কেন্দ্রীয় ওই তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে জামিন দিন, নয়তো সপরিবার মাদক মামলায় ফাঁসানো হবে বলে লেখা হয়েছে ওই চিঠিতে।

    আরও পড়ুন : আরও ৪ দিন সিবিআই হেফাজতে কেষ্ট মণ্ডল, আবার শুনতে হল ‘গরু চোর’ স্লোগানও!

    আসানসোলের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী ২০ অগাস্ট এই হুমকি চিঠি পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। যিনি চিঠি পাঠিয়েছেন, তিনি জনৈক বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়। চিঠিতে তাঁর নাম লেখা থাকলেও, পরিচয় নেই। সোমবার জেলা জজকে চিঠি পাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছিলেন তিনি। ঘটনাটি জানিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকেও।

    ওই বিচারক চিঠি লিখে জানিয়েছেন, তাঁকে লেখা হুমকি চিঠিতে তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেওয়া হয়েছে। তিনি লিখেছেন, কিছুটা আশঙ্কার সঙ্গে জানাচ্ছি, জনৈক বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় এই আদালতের অফিসার ইন-চার্জকে চিঠি দিয়ে হুমকি দিয়েছেন। তাঁর দাবি, অনুব্রত মণ্ডলকে জামিন না দেওয়া হলে আমার পরিবারকে মাদক মামলায় ফাঁসানো হবে।

    আরও পড়ুন : বোলপুরে ফের সিবিআই হানা, এবার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ পুরকর্মীর বাড়িতে তদন্তকারীরা

    দিন কয়েক আগে অনুব্রত মণ্ডল প্রসঙ্গে খোদ মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, একজন অনুব্রত গ্রেফতার হলে হাজার হাজার অনুব্রত রাস্তায় নামবে। তার পরেই এই হুমকি চিঠির ঘটনায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Prophet Remarks Row: রাজা সিংয়ের জামিনের প্রতিবাদে তপ্ত তেলঙ্গানা, পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর   

    Prophet Remarks Row: রাজা সিংয়ের জামিনের প্রতিবাদে তপ্ত তেলঙ্গানা, পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হজরত মহম্মদ সম্পর্কে বিতর্কিত (Prophet Remarks Row) মন্তব্য করে গ্রেফতার হয়েছেন তেলঙ্গানার (Telangana) বিধায়ক বিজেপিটি রাজা সিং (T Raja Singh)। পরে তাঁর জামিনও হয়েছে। দল থেকে তাঁকে সাসপেন্ডও করেছে বিজেপি (BJP)। বুধবার তাঁর জামিনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে জনতা। এদিন হায়দরাবাদের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করে জনতা। ঘটনার জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা।

    বিজেপির সাসপেন্ডেড নেত্রী নূপুর শর্মার বক্তব্যকে সমর্থন করে সম্প্রতি একটি ভিডিও প্রকাশ করেন গোশামহল কেন্দ্রের দু বারের বিধায়ক বিজেপির টি রাজা সিং। ভিডিওটি ঘিরে এলাকায় ছড়ায় ব্যাপক উত্তেজনা। ঘটনার পরে পরেই দল থেকে তাঁকে সাসপেন্ড করে বিজেপি। পরে গ্রেফতার করা হয় রাজাকে। বিজেপির এই বিধায়কের দাবি, স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান মুনাওয়ার ফারুকিকে কটাক্ষ করেই ভিডিওটি তৈরি করেছিলেন তিনি। কাউকে আঘাত করার উদ্দেশ্য ছিল না তাঁর। রাজা বলেন, কোনও সম্প্রদায়ের নাম উল্লেখ করে ভিডিও তৈরি করিনি আমি। ভিডিওতে কেবল ফারুকিকে কটাক্ষ করা হয়েছিল। বিধায়কের সাফাই, আমি কারও ভাবাবেগে আঘাত করিনি। আদালতে তোলা হলে জামিনও পেয়ে যান রাজা।

    আরও পড়ুন : গ্রেফতারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জামিন পেলেন টি রাজা! বিজেপি সাসপেন্ড করল তেলঙ্গানার বিধায়ককে

    এরই প্রতিবাদে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয় বিক্ষোভ প্রদর্শন। তালাবকাট্টা, চারমিনার, মুখলপুরা, চঞ্চলগুড়া, বাহাদুরপুর এবং আম্বেরপেট এলাকায় সারারাত রাস্তা অবরোধ করে বসে থাকে বিক্ষোভকারীরা। পরে পুলিশি আশ্বাসে অবরোধ ওঠে। মুখলপুরায় পুলিশের ভ্রাম্যমাণ গাড়ির ওপর পাথর ছোঁড়ে জনতা। যদিও কেউই জখম হননি। এদিন সকালে শাহ আলি বান্দা এলাকায় লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের হঠিয়ে দেয় পুলিশ। আম্বেদকর স্ট্যাচুর সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভে অংশ নেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মহিলারা। বিক্ষোভকারী খালিদা পারভিন বলেন, রাজা সিংকে গ্রেফতার করা হল, পরে জামিনও দিয়ে দেওয়া হল। এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে ওঁর প্রতি রাজ্য সরকারের দুর্বলতা রয়েছে।

    মিম বিধায়ক তথা দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আহমেদ পাশা কোয়াদ্রি রাজার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠি লিখেছেন বিধানসভার স্পিকার পচারাম শ্রীনিবাস রেড্ডিকে। এদিকে রাজা জানান, শীঘ্রই তিনি বিজেপির কেন্দ্রীয় শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির কাছে তাঁর ব্যাখ্যা সম্বলিত পত্র পাঠাবেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Congress President Election 2022: রাহুল গান্ধী রাজি না হলে কংগ্রেস সভাপতি পদে কে জানেন? 

    Congress President Election 2022: রাহুল গান্ধী রাজি না হলে কংগ্রেস সভাপতি পদে কে জানেন? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির (Congress Working Committee) সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় দলের সেন্ট্রাল ইলেকশন অথরিটি। ওই কমিটির সবুজ সংকেত পেলেই শুরু হয়ে যাবে দলের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের (President Polls) নির্ঘণ্ট তৈরির কাজ। তবে রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) ওই পদে বসতে না চাইলে কী হবে, তা ভেবে ইতিমধ্যেই যোগ্য প্রার্থীর খোঁজ করতেও শুরু করেছে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি।   

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে পরাস্ত হয় কংগ্রেস। বিপুল শক্তি নিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফেরে পদ্ম শিবির। ফের প্রধানমন্ত্রীর তখতে বসেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। লোকসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবির দায় ঘাড়ে নিয়ে সভাপতির পদে ইস্তফা দেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। তার পর থেকে পদটি ফাঁকাই পড়ে রয়েছে। বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। বয়সজনিত কারণে তিনি সভাপতির পদে বসতে চান না। এর পরেও দলের একটা অংশ রাহুলকেই ওই পদে বসাতে উদ্যোগী হয়। তবে তিনি যে ওই পদে বসতে চান না তাও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। সেই কারণেই চলছে নির্বাচনের তোড়জোড়। পুরো প্রক্রিয়াটি শেষ হবে ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে।

    আরও পড়ুন : কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন পর্যন্ত ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’ নীতি নিচ্ছে জি-২৩!

    কংগ্রেসের একটি সূত্রে খবর, রাহুল নিতান্তই রাজি না হলে ওই পদে বসানো হতে পারে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকে (Ashok Gehlot)। যদিও গেহলট নিজেই জানান,  রাহুলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার প্রয়োজন। তিনি সভাপতি পদে না বসলে দলীয় কর্মীদের মনোবল ভেঙে যাবে। গেহলট বাদেও আরও কয়েকজনের নাম শোনা যাচ্ছে সভাপতি পদের জন্য। এঁদের মধ্যে রয়েছেন সুশীল কুমার শিন্ডে, মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং মীরা কুমার। এঁদের মধ্যে আবার খাড়গে রাহুলের খুব কাছের। এদিকে, পুরো পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছে কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ অংশ। দলে যারা জি-২৩ নামে পরিচিত। সূত্রের খবর, তারা আপাতত ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’ নীতির ওপরই ভরসা করছে।

    অন্যদিকে, স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিদেশ যাচ্ছেন সোনিয়া। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশই এ খবর জানান। তাঁর সঙ্গে যাবেন রাহুল এবং প্রিয়ঙ্কাও। তবে তাঁরা ঠিক কবে যাবেন, যাবেনই বা কোথায়, তা জানানো হয়নি কংগ্রেসের তরফে। সেক্ষেত্রে ভোটের দিন এগিয়ে আনা হতে পারে বলেও কংগ্রেসের একটি সূত্রের খবর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Anubrata Mandal: এবার সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন স্বয়ং অনুব্রত মণ্ডল, কেন জানেন?

    Anubrata Mandal: এবার সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন স্বয়ং অনুব্রত মণ্ডল, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি নিজেই রয়েছেন সিবিআই (CBI) হেফাজতে। গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) একের পর এক নামে-বেনামে থাকা সম্পত্তির হদিশও পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। এই আবহে সেই অনুব্রতই কিনা চেয়ে বসলেন সিবিআই তদন্ত! সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে হাজিরা দিতে আসানসোল (Asansole) যাওয়ার পথে তিনি বলেন, জজ সাহেবকে বলব সিবিআই তদন্ত হোক।

    দিন দুই আগেই অনুব্রতর জামিন চেয়ে হুমকি চিঠি পাঠানো হয়েছে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারকের কাছে। কেন্দ্রীয় ওই তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে জামিন দিন, নয়তো সপরিবার মাদক মামলায় ফাঁসানো হবে বলে লেখা হয়েছে ওই চিঠিতে। আসানসোলের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী ২০ অগাস্ট এই হুমকি চিঠি পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। যিনি চিঠি পাঠিয়েছেন, তিনি জনৈক বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়। সোমবার জেলা জজকে চিঠি পাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছিলেন সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। ঘটনাটি জানিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকেও। সেই প্রসঙ্গেই এদিন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি বলেন, আমি জোড় হাত করে জজ সাহেবকে বলব যেন এর সিবিআই তদন্ত করানো হয়। এর আগে এই চিঠি পাঠানোর দায় অনুব্রত চাপিয়েছিলেন বিজেপির ঘাড়ে। তিনি বলেছিলেন, এটা বিজেপি করেছে। তবে সত্যিই কে চিঠিটি পাঠিয়েছে, তা জানতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন সিবিআই হেফাজতে থাকা অনুব্রত।

    আরও পড়ুন : অনুব্রত-কন্যার নামে জমির হদিশ! বোলপুরের বিএলআরও অফিসে কী পেল সিবিআই?

    এদিকে, গরু পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল হক বন্দি রয়েছেন দিল্লির তিহার জেলে। ‘প্রভাবশালী’ হওয়ায় অনুব্রতকেও সেখানে নিয়ে যাওয়া হতে পারে বলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে। সে প্রসঙ্গে প্রশ্ন করতেই তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি বলেন, এটা নিয়ম আছে না কি? বললেই হয়ে যাবে! তিনি যে প্রভাবশালী নন, এদিন তাও জানান অনুব্রত। তিনি বলেন, ওটা সিবিআইয়ের বক্তব্য। দলনেত্রী সম্পর্কে অনুব্রতর মূল্যায়ন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা করেছেন, অনেক করেছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Prophet Row: হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, গ্রেফতার তেলঙ্গানার বিধায়ক

    Prophet Row: হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, গ্রেফতার তেলঙ্গানার বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের (Prophet Row) জেরে সাসপেন্ড করা হয়েছে বিজেপির (BJP) মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে (Nupur Sharma)। সেই বিতর্কের আঁচ পুরোপুরি নেভানোর আগেই ফের হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বিপাকে তেলঙ্গানার বিধায়ক বিজেপির টি রাজা সিং (T Raja Singh)। মঙ্গলবার সকালে তাঁর বাসভবন থেকে গ্রেফতার করা হয় রাজাকে। এর আগেই অবশ্য রাজাকে সাসপেন্ড করে বিজেপি। তাঁকে কেন দল থেকে বহিষ্কার করা হবে না তা জানতে চেয়ে পাঠানো হয়েছে শোকজের নোটিশও।  উত্তর দিতে বলা হয়েছে ১০ দিনের মধ্যে।  

    নূপুরের বক্তব্যকে সমর্থন করে সম্প্রতি একটি ভিডিও প্রকাশ করেন গোশামহল কেন্দ্রের দু বারের বিধায়ক রাজা। ভিডিওটি ঘিরে এলাকায় ছড়ায় ব্যাপক উত্তেজনা। এর পরেই গ্রেফতার করা হয় রাজাকে। বিজেপির এই বিধায়কের দাবি, স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান মুনাওয়ার ফারুকিকে কটাক্ষ করেই ভিডিওটি তৈরি করেছিলেন তিনি। কাউকে আঘাত করার উদ্দেশ্য ছিল না তাঁর। রাজা বলেন, আমি বুঝতে পারছি না, কীসের ভিত্তিতে অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। কোনও সম্প্রদায়ের নাম উল্লেখ করে ভিডিও তৈরি করিনি আমি। ভিডিওতে কেবল ফারুকিকে কটাক্ষ করা হয়েছিল। এর পরেই বিধায়কের সাফাই, আমি কারও ভাবাবেগে আঘাত করিনি।

    আরও পড়ুন : বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সাসপেন্ড নূপুর শর্মা, নবীন জিন্দালকে বহিষ্কার বিজেপি-র

    জানা গিয়েছে, কিছু দিন আগে নূপুর যে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন, তাঁর তৈরি ভিডিওতে তারই পুনরাবৃত্তি করেছেন রাজা। ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় বিক্ষোভ প্রদর্শন। বিধায়কের গ্রেফতারির দাবিতে সোচ্চার হয় জনতা। এর পরেই গ্রেফতার করা হয় রাজাকে। প্রসঙ্গত, রাজার বিরুদ্ধে আগেও অশান্তিতে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবারও কমেডিয়ান মুনাওয়ার ফারুকির শোয়ে জনা পঞ্চাশেক সমর্থককে নিয়ে গিয়ে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন রাজা। রাজা বলেন, ইউটিউব থেকে তারা (পুলিশ) আমার ভিডিও সরিয়ে দিয়েছে। আমি জানি না পুলিশ ঠিক করতে চলেছে। আমি একবার ছাড়া পেলেই ভিডিওর দ্বিতীয় পার্ট আপলোড করব। আমি এটা করছি ধর্মের জন্য। ধর্মের জন্য আমি মরতেও প্রস্তুত। নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে অশান্ত হয়ে ওঠে গোটা দেশ। তাঁর বক্তব্য যে দলের নয়, তাও সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। নূপুরকে সাসপেন্ডও করা হয়। তার পরেও দেশজুড়ে শুরু হয় তাণ্ডব। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বিজেপির পার্টি অফিসেও। পরে অবশ্য প্রশাসনিক তৎপরতায় প্রশমিত হয় ক্ষোভের আগুন।

    আরও পড়ুন : হজরত মহম্মদ মন্তব্য বিতর্কে পাকিস্তানকে পাল্টা তোপ ভারতের

     

  • Loan Apps: ঋণের টোপ দিয়ে টাকা-তথ্য হাতিয়ে চিনে পাচার, দেশজুড়ে গ্রেফতার ২২

    Loan Apps: ঋণের টোপ দিয়ে টাকা-তথ্য হাতিয়ে চিনে পাচার, দেশজুড়ে গ্রেফতার ২২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঋণ (loan) দেওয়ার টোপ দিয়ে ফাঁদে ফেলা হত শিকার। এক বার ফাঁদে পড়লেই কেল্লাফতে। ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিয়ে শুরু হত ব্ল্যাকমেইলিং। ঋণ নেওয়া ব্যক্তির ছবি বিকৃত করে পর্ন সাইটে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে হাতানো হত মোটা অঙ্কের টাকা। সেই তথ্য এবং টাকা পাচার হত ড্রাগনের দেশ চিনে। এভাবে ৫০০ কোটি টাকা তোলাবাজির অভিযোগে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ২২ জনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। একশোটিরও বেশি লোন অ্যাপের (Loan App) মাধ্যমে উত্তর প্রদেশের লক্ষ্ণৌ থেকে দুষ্কৃতীরা কারবার চালাচ্ছিল বলে জেনেছে পুলিশ। প্রতারণা চক্রের নেপথ্যে কয়েকজন চিনা (China) নাগরিক রয়েছে। চক্রের শেকড় কত গভীরে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    সম্প্রতি একে একে প্রতারণার শ খানেক অভিযোগ পায় দিল্লি পুলিশ। তার পরেই শুরু হয় তদন্ত। চক্রের পর্দাফাঁস করেন তদন্তকারীরা। তাঁরা জেনেছেন, মূলত লোন অ্যাপের মাধ্যমেই ফাঁসানো হত গ্রাহকদের। এই অ্যাপের মাধ্যমে চড়া সুদে ঋণ মিলত। তবে অনায়াসে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ঋণ মিলত। ঋণ দেওয়ার সময় গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিত প্রতারকরা। সুদ সমেত আসল ফিরিয়ে দেওয়ার পরেই তারা ধারণ করত স্বমূর্তি। ছবি বিকৃত করে সোশ্যাল সাইটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে হাতানো হত কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। এভাবেই জালিয়াতি করা হয় ৫০০ কোটি টাকা। হাওয়ালা ও ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে সেই টাকা পাঠানো হয় চিনে।

    আরও পড়ুন : প্রতারণা রুখতে বিশেষ অ্যানালেটিক উইং রাখার পথে রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংকগুলি

    পুলিশ জানিয়েছে, দিল্লি, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ সহ নানা রাজ্যে জাল বিছিয়েছিল প্রতারকরা। প্রতারকরা মূলত যে লোন অ্যাপগুলি ব্যবহার করত সেগুলি হল ক্যাশ পোর্ট, রুপি ওয়ে, লোন কিউব, ওয়াও রুপি, স্মার্ট ওয়ালেট, জায়ান্ট ওয়ালেট, হাই রুপি, সুইফট রুপি, ওয়ালেটউইন, ফিশক্লাব, ইয়েহক্যাশ, ইম লোন, গ্রোটি, ম্যাজিক ব্যালেন্স, ইয়োক্যাশ, ফরচুন ট্রি, সুপারকয়েন এবং রেড ম্যাজিক। অভিযানে বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৫১টি মোবাইল, ২৫টি হার্ড ডিস্ক, ৯টি ল্যাপটপ, ১৯টি ডেবিট কার্ড, ৩টি গাড়ি এবং নগদ ৪ লক্ষ টাকা। এদিন যে বাইশজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের জেরা করে চিনা চক্রের নাগাল পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুন : আন্তর্জাতিক জঙ্গির ঢাল চিন! আব্দুল রউফ আজহারকে নিষিদ্ধ করতে বাধ সাধল বেজিং

     

  • Sushil Modi: ’২৪ সালে মানুষ নরেন্দ্র মোদির পক্ষেই ভোট দেবেন, দাবি সুশীল মোদির  

    Sushil Modi: ’২৪ সালে মানুষ নরেন্দ্র মোদির পক্ষেই ভোট দেবেন, দাবি সুশীল মোদির  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) সঙ্গ ছেড়ে জেডিইউ (JDU) সুপ্রিমো নীতীশ কুমার (Nitish Kumar) কংগ্রেস (Congress) এবং আরজেডিকে (RJD) নিয়ে গড়েছেন মহাজোট। নীতিশের নেতৃত্বে শপথও নিয়েছে নয়া মন্ত্রিসভা। তার পরেই নীতীশকে তোপ বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীলকুমার মোদির (Sushil Kumar Modi)। সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, নীতীশের লক্ষ্য প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    অষ্টমবারের জন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন নীতীশ। তার পরেই তাঁকে নিশানা করেন সুশীল মোদি। তিনি বলেন, নীতীশকুমার দীর্ঘদিন ধরে মনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন লালন করছিলেন। কিন্তু বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধেও সেরকম কোনও সুযোগ মেলেনি তাঁর। কারণ বিজেপিতে উঁচু দরের অনেক নেতা রয়েছেন। নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ সহ অন্যরা রয়েছেন। আঠারো বছর ধরে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদ সামলানোর পরে তিনি চাইছিলেন একটি ঝাঁপ দিতে। তিনি বলেন, নীতীশ কুমারের লক্ষ্য, লালন সিংয়ের লোভ এবং লালু যাদবের ক্ষমতায় ফিরতে বেপরোয়া হওয়া এই তিন কারণের জেরে বিহারের এই পট পরিবর্তন।

    আরও পড়ুন : বিজেপি-সঙ্গ ত্যাগ নিছক উপলক্ষ, নীতীশের লক্ষ্য কি প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি?

    বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, নীতীশকে উপরাষ্ট্রপতি পদে বসানোর একটা ভাবনা জেডিইউয়ের তরফে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল বিজেপি নেতৃত্বের কানে। তবে বিজেপি সেটা গ্রহণ করেনি। কিছু বিষয় ছিল। তার পরেও তাঁর লাগাম পরানো যায়নি তাঁর লক্ষ্যে। সুশীল মোদি বলেন, নীতীশের জনপ্রিয়তা প্রশ্নের মুখে পড়েছিল। ২০১০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি পেয়েছিলেন ১১৫টি আসন। ২০১৫তে কমে তা দাঁড়ায় ৭১এ। আর ২০২০ সালের নির্বাচনে তাঁর দল পায় মাত্রই ৪৩টি আসন। যেটা বেড়ে এখন ৪৫ হয়েছে। তিনি বলেন, নীতীশ যে ক্রমেই তেজস্বী যাদব শিবিরের দিকে ঝুঁকছেন, তা আমরা জানতাম। কিন্তু আমরা ভাবতে পারিনি তিনি তাঁর পুরানো শত্রু লালুর দলের সঙ্গে হাত মেলাবেন। ১৯৯৪ সালে নিজে দল গড়বেন বলে লালুকে প্রত্যাখান করেছিলেন নীতীশ। সেই থেকে ’১৫ সাল পর্যন্ত তিনি বিজেপির সঙ্গেই ছিলেন। প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, একটা জিনিস পরিষ্কার। বিহার বিধানসভার পরবর্তী নির্বাচনে আমরা নরেন্দ্র মোদির নামেই ভোট চাইব। তিনি বলেন, বিহার বিধানসভার পরবর্তী নির্বাচনে কী হবে তা বলতে পারব না। তবে ’২৪ সালে মানুষ মোদির পক্ষেই ভোট দেবেন। সুশীল মোদি বলেন, বিহারে বিজেপির বুথ স্তর পর্যন্ত শক্তপোক্ত নেটওয়ার্ক রয়েছে এবং আমরা সব শ্রেণিকে নিয়ে কাজ করছি। বিহারে নরেন্দ্র মোদি পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধির প্রতীক। তাই বলতেই পারি, মণ্ডলও (মণ্ডল কমিশন) আমাদের সঙ্গে রয়েছে, রয়েছে কমন্ডলুও (হিন্দু ভোট ব্যাংক)।

    আরও পড়ুন : বিজেপি ছেড়ে আরজেডি! মুখ্যমন্ত্রী নীতীশই, জানুন কী বলছে বিহারের নয়া সমীকরণ

LinkedIn
Share