Tag: Bengali news

Bengali news

  • Joe Biden: পাকিস্তান বিশ্বের বিপজ্জনক দেশগুলির একটি, মার্কিন তোপে বেকায়দায় ইসলামাবাদ

    Joe Biden: পাকিস্তান বিশ্বের বিপজ্জনক দেশগুলির একটি, মার্কিন তোপে বেকায়দায় ইসলামাবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন বিনা মেঘে বজ্রপাত! পাকিস্তানকে (Pkistan) বিশ্বের বিপজ্জনক দেশগুলির একটি বলে দেগে দিল আমেরিকা (America)। শনিবার লস অ্যাঞ্জেলেসে ডেমক্রেটিক কংগ্রেসনার ক্যাম্পেন কমিটির রিসেপশনে ভাষণ দিচ্ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। তখন তিনি বলেন, পাকিস্তান বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক দেশ। উপযুক্ত সুরক্ষা ছাড়াই পরমাণু অস্ত্র রেখেছে।

    এদিন বাইডেন (Joe Biden) বলেন, এই লোকটি (শি জিনপিং) যিনি বোঝেন তিনি কী চান, কিন্তু তাঁর সামনে রয়েছে সমস্যার পাহাড়। আমরা কীভাবে সেটা হ্যান্ডেল করব? রাশিয়ায় বর্তমানে যা চলছে, তাই বা হ্যান্ডেল করব কীভাবে? এর পরেই পাকিস্তানকে নিশানা করেন তিনি। বলেন, আমি মনে করি, বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক একটি দেশ হল পাকিস্তান। যারা সুরক্ষা ছাড়াই রেখেছে পারমাণবিক অস্ত্র। সম্প্রতি পাকিস্তানকে এফ-১৬ যুদ্ধ বিমানের সরঞ্জাম সরবরাহের আশ্বাস দিয়েছিল আমেরিকা। তখন পাকিস্তানের হয়ে সাফাই দিতে গিয়ে মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছিলেন, খুব স্পষ্ট করে বলতে গেলে পাকিস্তানের কাছে দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে এফ-১৬ যুদ্ধ বিমান। এগুলি পুরানো প্লেন এবং সিস্টেম, যা ইতিমধ্যেই তাদের কাছে রয়েছে। আমরা এই বহরের রক্ষণাবেক্ষণ ও টিকিয়ে রাখার জন্য সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করি। তাদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব ও বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

    মার্কিন বিদেশ সচিবের এহেন মন্তব্যের ছাপ পড়েছিল ভারত-মার্কিন সম্পর্কে। মার্কিন ওই সিদ্ধান্তের জেরে প্রকাশ্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল নয়াদিল্লি। সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে আমেরিকায় গিয়ে বাইডেন সরকারকে কটাক্ষ করে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেছিলেন, আপনারা আমাদের বোকা বানাতে পারবেন না। ভারতের বিদেশমন্ত্রীর ওই মন্তব্যের পর বিবৃতি জারি করে শেহবাজ শরিফের দেশ বলেছিল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তানের দীর্ঘস্থায়ী এবং বিস্তৃত সম্পর্ক রয়েছে। এই সম্পর্কের মৌলিক নিয়মগুলিকে সম্মান করার এবং আমেরিকা ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হচ্ছে ভারতকে। ভারত তার কূটনৈতিক আচরণ খতিয়ে দেখুক।

    আরও পড়ুন: আগ্রহী খোদ আমেরিকা, ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে মোদির দেশ?

    এর পর এদিন মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক কূটনীতিকদের। সন্ত্রাসে আর্থিক মদত দেওয়ার অভিযোগে চার বছর ধরে ধূসর তালিকায় রয়েছে পাকিস্তান। সেই কলঙ্ক মোছার কথা ছিল খুব শীঘ্রই। বাইডেনের এই মন্তব্যের জেরে শাহবাজ শরিফের দেশ যে বেশ বেকায়দায় পড়ল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Chhattisgarh Government: ছত্তিশগড়ে ব্যাপক দুর্নীতি, ইডির হাতে গ্রেফতার ৩ আইএএস আধিকারিক

    Chhattisgarh Government: ছত্তিশগড়ে ব্যাপক দুর্নীতি, ইডির হাতে গ্রেফতার ৩ আইএএস আধিকারিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: থিকথিকে ভিড় ছত্তিশগড়ের স্পেশাল কোর্ট হল রুমে। সাংবাদিক, আইনজীবী এবং তিন আইএএস অফিসারের পরিবারের ভিড়ে ঠাসা ওই রুম। বৃহস্পতিবার এখানেই শুনানি চলেছে আইএএস অফিসার সমীর বিষ্ণৈ, সুনীল আগরওয়াল এবং লক্ষ্মীকান্ত তিওয়ারির। আর্থিক তছরুপ মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন এই তিন আইএএস অফিসার। এদিনের শুনানি শেষে তিনজনকেই আট দিনের রিমান্ডে নিয়েছে ইডি।

    প্রশ্ন হল, কবে শুরু হয়েছিল ছত্তিশগড় সরকারে (Chhattisgarh Government) এই দুর্নীতির? দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতই বা কারা? কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি সূত্রে খবর, কয়লা পরিবহণ করতে গিয়ে ওই টাকা তছরুপ করা হয়েছে। ২০০৯ ব্যাচের আইএএস অফিসার সমীর বিষ্ণৈ যখন জিওলজি ও মাইনিং ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর ছিলেন, তখনই শুরু হয়েছিল দুর্নীতির। যে কোনও খনিজ পদার্থ পরিবহণের ক্ষেত্রে ক্রেতাদের ম্যানুয়াল অ্যাপ্রুভাল বাধ্যতামূলক করেছিলেন তিনি। এই আদেশ বলে, স্বচ্ছ অনলাইন ব্যবস্থার বদলে খনিজ পদার্থ পরিবহণের ক্ষেত্রে ম্যানুয়াল নো অবজেকশন সার্টিফিকেট নিতে হবে ডিএমের দফতরের মাইনিং সেকশন (Mining Secction) থেকে। এখান থেকেই শুরু দুর্নীতির। জনৈক সূর্যকান্ত তিওয়ারি ক্যাশ কালেক্টরদের নেটওয়ার্ক তৈরি করেছিলেন। এই নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে পড়েছিল রাজ্যের আটটি এলাকায়। কয়লার পরিবহণ পারমিট কিংবা নো অবজেকশন সার্টিফিকেট সংগ্রহের জন্য যে লেভি আদায় করা হত, তার সঙ্গে সরাসরি জড়িয়ে পড়েছিল ডিএম অফিসও (DM Office)।

    আরও পড়ুন: মানিক ঘনিষ্ঠের টিচার্স ট্রেনিং সেন্টারে ইডি! ভাঙা হল তালা, জানেন কী মিলল?

    জানা গিয়েছে, ঘুষের টাকা না দেওয়া পর্যন্ত ডিএম অফিস থেকে দেওয়া হত না নো অবজেকশন সার্টিফিকেট। ফলশ্রুতি হিসেবে, ছত্তিশগড়ের মধ্যে প্রতি টন কয়লা পরিবহণের জন্য দিতে হত ২৫ টাকা করে। আয়কর দফতর সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, মাত্র ১৬ মাসে লেভি বাবদ আদায় হয়েছে ৫০০ কোটিরও বেশি টাকা। অবৈধভাবে আদায় করা এই টাকা ভাগ বাঁটোয়ারা হয়েছে ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক নেতা, আইএএস এবং অন্য কয়েকজন রাজ্যস্তরের আধিকারিকের মধ্যে। সমীরের বাড়ি থেকে নগদ ৪৭ লক্ষ টাকা এবং ২১ লক্ষ টাকার অন্যান্য সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বেশ কিছু নথিও। ধৃতদের ফের আদালতে তোলা হবে ২১ অক্টোবর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • PM Kisan: দেওয়ালির আগাম উপহার! পিএম কিষানের ১২তম কিস্তির টাকা পেলেন কৃষকরা

    PM Kisan: দেওয়ালির আগাম উপহার! পিএম কিষানের ১২তম কিস্তির টাকা পেলেন কৃষকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেওয়ালির আগাম উপহার পেয়ে গেলেন দেশের কৃষকরা! পিএম কিষানের (PM Kisan) ১২তম কিস্তির টাকা পেলেন তাঁরা। সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) এই কিস্তিতে বরাদ্দ করলেন ১৬ হাজার কোটি টাকা। এতে উপকৃত হবেন ১১ কোটি যোগ্য কৃষক (Farmer)। রবি মরশুমের মুখে এই উপহারে যারপরনাই খুশি কৃষকরা। এদিনের মঞ্চ থেকেই যোগ্য কৃষকদের জন্য দু হাজার করে টাকা পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী। ওই টাকা সরাসরি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে।

    জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী কিষান (PM Kisan) সম্মান নিধি প্রকল্পের অধীনে যোগ্য কৃষকদের দেওয়া হবে মোট ৬ হাজার করে টাকা। এই টাকা দেওয়া হবে তিনটি কিস্তিতে। প্রতি চার মাস অন্তর কৃষকরা পাবেন ২ হাজার করে টাকা। এদিন সেই টাকাই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। প্রসঙ্গত, এই স্কিমের সূচনা হয়েছে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। যদিও তা লাগু হয়েছে তারও তিন মাস আগে থেকে।

    আরও পড়ুন: ‘সত্যি বিস্ময়’, মোদি সরকারের সরাসরি ব্যাংকে নগদ হস্তান্তর প্রকল্পের প্রশংসা আইএমএফের

    দিল্লিতে পুষা ক্যাম্পাসে শুরু হয়েছে দু দিনের পিএম কিষান (PM Kisan) সম্মান সম্মেলন ২০২২। এদিন ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বরাদ্দ করেন দ্বাদশতম কিস্তির টাকা। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর এবং কেন্দ্রীয় রসায়ন ও সারমন্ত্রী মনশুখ মাণ্ডব্য। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাড়ে ১৩ হাজারেরও বেশি কৃষক যোগ দিয়েছেন অনুষ্ঠানে। উপস্থিত হয়েছেন দেড় হাজার কৃষি-উদ্যোগপতিও। গবেষক, পলিসি মেকার এবং অন্যান্য অংশীদারেরাও যোগ দিয়েছেন দু দিনের এই সম্মেলনে। প্রসঙ্গত, পিএম কিষান (PM Kisan) একটি সেন্ট্রাল সেক্টর স্কিম। ফান্ডের একশো শতাংশ টাকাই দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের নির্দেশিকা মেনে রাজ্য সরকার যোগ্য কৃষকদের খুঁজে বের করে। তার পরেই টাকা পাঠানো হয় কৃষকদের অ্যাকাউন্টে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Manish Sisodia: সোমবারই কি গ্রেফতার হচ্ছেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া?

    Manish Sisodia: সোমবারই কি গ্রেফতার হচ্ছেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়াকে (Manish Sisodia) তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সোমবার সকাল ১১টায় তাঁকে সিবিআই দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছে। বিতর্কিত দিল্লি আবগারি নীতি মামলায় তলব করা হয়েছে তাঁকে। এই ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন আম আদমি পার্টির প্রবীণ নেতা সৌরভ ভরদ্বাজ। তিনি বলেন, আগামিকালই গ্রেফতার হবেন সিসোদিয়া। সৌরভ বলেন, সিসোদিয়াকে সিবিআই (CBI) তলবের সঙ্গে গুজরাট নির্বাচনের সম্পর্ক রয়েছে। এই নির্বাচনে বিজেপির (BJP) সরাসরি লড়াই হবে আপের (AAP) সঙ্গে। তিনি বলেন, বিজেপির কোনও দোষ নেই, পবিত্র। সিসোদিয়া বলেন, এর আগে যে রেইড হয়েছিল, তাতে কিছুই পায়নি সিবিআই। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, সিবিআই ১৪ ঘণ্টা ধরে আমার বাড়িতে তল্লাশি চালাল। কিছুই পায়নি। তারা আমার ব্যাঙ্কের লকার খুঁজেছে, সেখানেও কিছুই পায়নি। বস্তুত, আমার গ্রামেও কিছু খুঁজে পায়নি তারা। ট্যুইট-বার্তায় তিনি বলেন, আগামীকাল বেলা ১১টায় তারা আমাকে সিবিআইয়ের সদর দফতরে ডেকেছে। আমি যাব এবং পূর্ণ সহযোগিতা করব।

    আরও পড়ুন: ভোট বাক্সের রাজনীতি! মোমিনপুরের ঘটনায় চুপ কেন অভিষেক? প্রশ্ন অমিত মালব্যর

    মনীশ সিসোদিয়ার (Manish Sisodia) পাশে দাঁড়িয়েছেন দিল্লির (Delhi) মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ পার্টি প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ট্যুইটবার্তায় তিনি সিসোদিয়াকে স্বাধীনতা যোদ্ধা ভগৎ সিংয়ের সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি লেখেন, জেলের গারদ এবং ফাঁসির দড়ি কোনওটাই ভগৎ সিংকে তাঁর দৃঢ় প্রতিজ্ঞা থেকে সরাতে পারেনি। এটা দ্বিতীয় স্বাধীনতার যুদ্ধ। মনীশ আর সত্যেন্দ্র (জৈন) আজকের ভগৎ সিং।

    গত বছর নয়া আবগারি নীতি আনে দিল্লির আপ সরকার। নয়া ওই আবগারি নীতির মাধ্যমে আপ ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর তদন্তের নির্দেশ দিতেই প্রত্যাহার করা হয় নয়া আবগারি নীতি। ফের চালু হয় পুরানো আবগারি নীতি। পরে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। গত মাসে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা গ্রেফতার করে আপ কমিউনিকেশন চিফ তথা সিসোদিয়ার (Manish Sisodia) ঘনিষ্ঠ নেতা বিজয় নায়ারকে। এবার তলব করা হল স্বয়ং সিসোদিয়াকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • India China: ‘আড়াই বছর অত্যন্ত কঠিন ছিল…’ ভারত-চিন সম্পর্কের হাল হকিকত জানালেন জয়শঙ্কর

    India China: ‘আড়াই বছর অত্যন্ত কঠিন ছিল…’ ভারত-চিন সম্পর্কের হাল হকিকত জানালেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই প্রতিবেশীর সম্পর্ক যেমন হওয়া উচিত, ভারত-চিন (India China) সম্পর্ক কখনওই তেমন ছিল না। তবে গত কয়েক বছরে এই সম্পর্কের আরও অবনতি হয়েছে। ভারত-চিন সম্পর্ক নিয়ে বলতে গিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, কঠিন সময় ছিল আড়াই বছর। মঙ্গলবার সিডনিতে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে একথা বলেন তিনি। তবে প্রতিবেশীদের যেহেতু মিলেমিশে থাকতেই হয়, তাই চিনের সঙ্গে আলোচনার পথ খোলা রাখা হয়েছে বলেও জানান জয়শঙ্কর। ভারত (India) অস্ট্রেলিয়ার সম্পর্ক ও কোয়াড সদস্য হিসেবে সদস্য দেশগুলির সুরক্ষা প্রসঙ্গে শি জিনপিংয়ের দেশের প্রসঙ্গ টানেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, গত আড়াই বছরে ভারত-চিন (India China) সম্পর্ক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে ঝরেছে রক্তও। চল্লিশ বছর পর সীমান্তে রক্ত ঝরেছে। আমাদের ২০ জন সৈন্যকে হারাতে হয়েছে।

    প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে গত প্রায় আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে বিরোধ চলছে ভারত-চিনের (India China)। সেই সূত্র ধরেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, তার পরেও আমাদের দেশের তরফে চিনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয়েছে। সংঘর্ষের পরের দিন সকালেও আমি চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইকে ফোন করি। চিনের দিক থেকে আর যেন কোনও সামরিক পদক্ষেপ না করা হয়, তা নিশ্চিত করতে আবেদনও করি। ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, কূটনীতি হচ্ছে দুই দেশের কথা চালাচালি। এটা কেবল চিনের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রেই নয়, অন্য দেশের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তাঁর প্রশ্ন, যদি কূটনীতিকরা পরস্পরের মধ্যে কথাবার্তা না বলেন, তা কী ধরণের কূটনীতি তাঁরা করবেন? তাঁর মতে, দিনের শেষে প্রতিবেশী দেশগুলির মিলেমিশে থাকাই শ্রেয়।

    আরও পড়ুন : মৌলবাদী শক্তিগুলি স্বাধীনতার অপব্যবহার করছে, কানাডার খালিস্থান সমর্থকদের প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর

    গত কয়েক বছর ধরে ভারত-চিন (India China) সম্পর্ক যে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তা আগেও একবার বলেছিলেন জয়শঙ্কর। অগাস্টে ব্যাংককে একটি অনুষ্ঠনে যোগ দিতে গিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেছিলেন, ভারত-চিন সম্পর্ক খুবই কঠিন পর্যায়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। বিশেষত, বেজিং সীমান্তে যা করেছে, তার পর। তিনি এও বলেছিলেন, যদি দুটি প্রতিবেশী দেশ হাত না মেলায় তাহলে এশিয়ান সেঞ্চুরি হবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Cartoon Network:আমাদের শৈশবের দিন শেষ! কার্টুন নেটওয়ার্ক নিয়ে কেন বলছেন নেটিজেনরা?

    Cartoon Network:আমাদের শৈশবের দিন শেষ! কার্টুন নেটওয়ার্ক নিয়ে কেন বলছেন নেটিজেনরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়ের দশকের ছেলেমেয়েদের জন্য দুঃসংবাদ। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ৩০ বছরের পুরনো কার্টুন নেটওয়ার্ক (Cartoon Network)। ৯০’- স এর ছেলেমেয়েদের কাছে কার্টুন নেটওয়ার্ক মানে একটা নস্টালজিয়া। ড্রইং রুমে ধারাবাহিকের কচকচানি শোনার ফ্যান্টাসি ছিল না তাঁদের। অমোঘ আকর্ষণ ছিল কার্টুন নেটওয়ার্কের প্রতি। মা-বাবার হাজার বকুনি খেয়েও নয়ের দশকের ছেলেমেয়েরা কার্টুন নেটওয়ার্ক দেখেই বেড়ে উঠেছে। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়েছিল মঙ্গলবার। ৩০ বছর পর কার্টুন নেটওয়ার্ক বন্ধ হচ্ছে। ওয়ার্নার ব্রাদার্স কিনে নিচ্ছে চ্যানেল। এই খবর জানাজানি হতেই নেটদুনিয়া ছেয়ে গিয়েছিল হৃদয়বিদারক পোস্টে। যেন প্রিয় বন্ধুকে সমাধিস্থ করা হচ্ছে, এমন ভাবেই একটি চ্যানেলকে বিদায় জানিয়েছেন বিশ্ববাসী। তাঁরা বেশির ভাগই নব্বইয়ের দশকের শিশু। যাঁরা আজও কোন সময় কোন কার্টুন হত, মুখস্থ বলে দিতে পারবেন, গল্পসমেত।এত দিনের নস্টালজিয়া, ছোটবেলা জড়িয়ে যেখানে, তার হারিয়ে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না কেউ।

    [tw]


    [/tw]

    সেই পরিস্থতিতে কার্টুন নেটওয়ার্ক-এর তরফে টুইট করা হল শনিবার, “তোমাদের সবাইকে বলছি, আমরা মরিনি। আমরা শুধু ৩০ বছর পূর্ণ করলাম। অনুরাগীদের বলছি, আমরা কোথাও যাচ্ছি না। যেমন ছিলাম তেমনই তোমাদের বাড়িতে থাকব। তোমাদের ভালবাসায় আরও কিছু উদ্ভাবনী কার্টুন নিয়ে আসব।”

    [tw]


    [/tw]

    অন্য দিকে, ওয়ার্নার ব্রাদার্স (Warner Bros) কার্টুন নেটওয়ার্ক চ্যানেলটি অধিগ্রহণ করার পরই  ২৬ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করেছে। অধিগ্রহণ করার  বিশদ বিবরণ কিংবা, এটি কী ভাবে আগামী দিনে কার্টুন নেটওয়ার্ক-এর কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করবে, তা এখনও জানা যায়নি।

    কার্টুন নেটওয়ার্কের (Cartoon Network)  তরফ থেকে ট্যুইট আসার পর ভক্তদের মনে কিছুটা স্বস্তি এনেছে। একজন সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী লিখেছেন দয়া করে পুরোনো কার্টুন শো গুলি রাখবেন বাচ্চাদের ক্লাসিক শো গুলির দেখার সুযোগ করে দেবেন। আবার আরেকজন লিখেছেন, ক্লাসিকের দোহাই দিয়ে বাচ্চাদের নতুন শো থেকে বঞ্চিত করা উচিত নয়।

    [tw]


    [/tw]

    প্রসঙ্গত ১৯৯২ সালে টেড টার্নার কার্টুন নেটওয়ার্ক (Cartoon Network) চ্যানেলটির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই চ্যানেলটির সবচেয়ে পুরনো কার্টুন শোয়ের নাম ছিল দ্যা মস্কি শো (The Moxy Show)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     
  • Pakistan Threat: লোন না দিলে উড়িয়ে দেওয়া হবে এসবিআই, হুমকি পাকিস্তানির!

    Pakistan Threat: লোন না দিলে উড়িয়ে দেওয়া হবে এসবিআই, হুমকি পাকিস্তানির!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (SBI) উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি! স্টেট ব্যাংকের মুম্বইয়ের নরিম্যান পয়েন্ট শাখায় ওই হুমকি দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকের চেয়ারম্যানকে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার এ খবর জানিয়েছে মুম্বই পুলিশ। জানা গিয়েছে, যে ফোনে হুমকি দিয়েছে, সে তার পরিচয় দিয়েছে মহঃ জিয়াউল আলিম বলে। তার দাবি, সে পাকিস্তান (Pakistan) থেকে ফোনে কথা বলছে। সে ব্যাংকের ওই শাখা থেকে লোন চেয়েছিল। লোন দেওয়া না হলে ব্যাংকের চেয়ারম্যানকে অপহরণ করার হুমকি দিয়েছিল। দিয়েছিল খুনের হুমকিও। ওই ব্যক্তির হুমকি, লোন দেওয়া না হলে উড়িয়ে দেওয়া হবে ব্যাংকও।

    মুম্বই পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি স্টেট ব্যাংকের নরিম্যান পয়েন্ট শাখার ল্যান্ড লাইনে ফোন করে। ১৩ অক্টোবর বেলা এগারোটা নাগাদ ফোনটি আসে। ওই ফোনেই সে হুমকি (Pakistan Threat) দেয়। নিজেকে সে মহঃ জিয়াউল আলিম বলে পরিচয় দেয়। সে বলে, সে পাকিস্তান থেকে কথা বলছে। তাকে লোন দেওয়া না হলে ব্যাংকের চেয়ারম্যানকে অপহরণ করা হবে। করা হবে খুনও। এসবিআইয়ের ওই শাখা উড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেয় সে। অজ্ঞাত পরিচয় ওই ব্যক্তির হুমকি ফোন (Pakistan Threat) পাওয়ার পরেই মেরিন ড্রাইভ থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তির নামে দায়ের হয়েছে অভিযোগ। অভিযোগ দায়ের করেছেন স্টেট ব্যাংকের সহকারী নিরাপত্তা ম্যানেজার অজয়কুমার শ্রীবাস্তব। ৫০৬/২ ধারায় দায়ের হয়েছে অভিযোগ। অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিটি আদপে কে, সে কোনও জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: ভারতে বন্ধ পাকিস্তান সরকারের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট

    তদন্তে নেমে পুলিশ ফোন নম্বরের কল ডিটেল রেকর্ড খতিয়ে দেখে জানতে পারে, ফোনটি এসেছিল পশ্চিমবঙ্গ থেকে। অভিযুক্তের খোঁজে ইতিমধ্যেই বাংলার দিকে রওনা দিয়েছে মুম্বই পুলিশ। পশ্চিমবঙ্গে নানা সময় জঙ্গি ধরা পড়েছে। ধরা পড়েছে জঙ্গি গোষ্ঠীর এজেন্টও। এই ব্যক্তি নিতান্তই সাধারণ মানুষ নাকি কোনও জঙ্গি গোষ্ঠীর প্রতিনিধি, তাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • China: বেজিংয়ের রাজপথ ছয়লাপ ‘বিশ্বাসঘাতক একনায়ক’ লেখা ব্যানারে, নিশানায় কে?   

    China: বেজিংয়ের রাজপথ ছয়লাপ ‘বিশ্বাসঘাতক একনায়ক’ লেখা ব্যানারে, নিশানায় কে?   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেজিংয়ের রাজপথ ছয়লাপ ‘বিশ্বাসঘাতক একনায়ক’ লেখা ব্যানারে। ঘটনায় এটা স্পষ্ট যে ২০তম কংগ্রেসে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে পুননির্মাণের আগে চিনের (China) প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping) যথেষ্ঠ চাপে রয়েছেন। দিন কয়েক আগে শি জিনপিংকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল বলে খবর ছড়িয়েছিল। পরে অবশ্য তাঁকে প্রকাশ্যে দেখা যায়। চিনের সর্বাধিনায়কের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতক একনায়ক লেখা ব্যানার পড়ায় অস্বস্তিতে পার্টি। যদিও ব্যানারের ছবি প্রকাশ্যে আসতেই তড়িঘড়ি সরিয়ে নেওয়া সেগুলি।

    চিনের রাজধানী বেজিংয়ের এক সাংবাদিকের করা ট্যুইট থেকে জানা গিয়েছে, কোনও কোনও ব্যানারে চিনের জিরো কোভিড পলিসির বিরোধিতা করা হয়েছে। লেখা হয়েছে, আমরা কোভিড পরীক্ষা চাই না, খাবার চাই। লকডাউন চাই না, স্বাধীনতা চাই। আবার কোনও কোনও ব্যানারে লেখা হয়েছে, বিশ্বাসঘাতক একনায়ক (Dictatorial Traitor)। জানা গিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ব্যানারের ছবি ছড়িয়ে পড়তেই দ্রুত খুলে নেওয়া হয় সেগুলি। হেইডিয়ান জেলায় ব্যানারের নীচে রাস্তার ওপর থেকে ধোঁয়া উঠতেও দেখা গিয়েছে। সেখানে জনতা স্লোগান দিতে দেখা গিয়েছে এই বলে যে স্কুলে ধর্মঘট করা যাক, ধর্মঘট করা যাক কাজেও, বিশ্বাসঘাতক একনায়ক শি জিনপিংকে সরানো যাক।

    আরও পড়ুন: ‘আড়াই বছর অত্যন্ত কঠিন ছিল…’ ভারত-চিন সম্পর্কের হাল হকিকত জানালেন জয়শঙ্কর

    প্রসঙ্গত, বেজিংয়ের জিরো কোভিড পলিসির কারণে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, কোয়ারেন্টাইন এবং পরপর লকডাউনের ওপর ব্যাংক করে সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে জিন পিং সরকার। যদিও চিনা সরকারের দাবি, কোভিড প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে এটি দারুণ কার্যকর হয়েছে। প্রসঙ্গত, চিনা নাগরিকরা আশা করেছিলেন যে ২০ তম কংগ্রেসের পরে জিরো কোভিড নীতি শেষ হবে। প্রসঙ্গত, চিনের রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার একটি সম্পাদকীয়তে ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে একটি লেখা প্রকাশিত হতেই  তাঁদের নিরাশ হতে হয়। চিনের কড়া কোভিড নীতির কারণে থমকে গিয়েছে অর্থনৈতিক উন্নতি। জিনপিংয়ের আমলে মার খেয়েছে রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা। এই ব্যানার-আন্দোলনের পর জিন পিংয়ের পদ থাকে কিনা, এখন সেটাই দেখার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Naihati: নৈহাটি স্টেশনে উদ্ধার ৬০ লক্ষ টাকা, যুবক গ্রেফতার, সঙ্গে ছেঁড়া নোট কেন?

    Naihati: নৈহাটি স্টেশনে উদ্ধার ৬০ লক্ষ টাকা, যুবক গ্রেফতার, সঙ্গে ছেঁড়া নোট কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ফের মিলল বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা (Cash Recovery)। উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটি (Naihati) রেল স্টেশনে এক যুবকের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ ৬০ লক্ষ টাকা। তার সঙ্গে মিলেছে একটি ছেঁড়া ১০ টাকার নোট। ওই বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে যুবকটি কোথায় যাচ্ছিল, তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি সে।টাকার উৎস সন্ধানে ওই যুবককে জেরা করছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে ওই যুবককে।

    সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দুপুরে নৈহাটি (Naihati) রেল স্টেশনে রুটিন তল্লাশি চালাচ্ছিল জিআরপি থানার পুলিশ। ওই সময় আপ কল্যাণী লোকাল থেকে ব্যাগ হাতে নামে দেখা যায় এক যুবককে। ব্যাগে তল্লাশি চালাতেই সন্ধান মেলে রাশি রাশি টাকার। রেল পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। নিয়ে আসা হয় টাকা গোণার মেশিন। দেখা যায়, ওই যুবকের ব্যাগে রয়েছে ৬০ লক্ষ টাকা। ১০ টাকার একটি ছেঁড়া নোটও ছিল ওই যুবকের সঙ্গে। ওই যুবকের নাম অভিষেক সোনকর।বছর চব্বিশের অভিষেকের দাবি, তার বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড়ে। তবে বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে সে কোথায় যাচ্ছিল, তার কোনও যথাযথ উত্তর সে দিতে পারেনি। পুলিশের অনুমান, লেনদেনের সংকেতের জন্য ওই ছেঁড়া দশ টাকার নোট ব্যবহার করা হচ্ছিল। সম্ভবত, যাকে টাকা দেওয়ার কথা ছিল তার কাছে ওই ১০ টাকার নোটের বাকি অংশটি রয়েছে। এদিন রাতে জেরা করা হলেও ওই যুবক মুখ খোলেনি। সে সত্যিই টিটাগড়ের বাসিন্দা কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন : পার্থ-অর্পিতার ১০৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত! এসএসসি মামলায় চার্জশিট পেশ ইডি-র

    দিন কয়েক আগেও একবার বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার হয়েছিল। হাওড়া (Howrah) স্টেশনের ওল্ড কমপ্লেক্সের চার ও পাঁচ নম্বর গেটের কাছে দুই যুবককে কালো ব্যাগ নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে দেখে সন্দেহ হয় কর্তব্যরত আরপিএফ জওয়ানদের। ব্যাগ পরীক্ষা করতেই বেরিয়ে আসে নগদ ৩৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। এরই কিছু দিন আগে হাওড়া স্টেশনেই রাজকুমার সোনি নামে এক ব্যক্তির ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৩৫ লক্ষ টাকা। তার আগে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। উদ্ধার হয়েছিল কোটি কোটি টাকা। তার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে হানা দিয়েও কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Dharam Sansad: ঘৃণাভাষণ বন্ধ হওয়া প্রয়োজন, পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের

    Dharam Sansad: ঘৃণাভাষণ বন্ধ হওয়া প্রয়োজন, পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘৃণাভাষণ (Hate Speech) বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। এক পর্যবেক্ষণে সোমবার এমনই জানাল সুপ্রিম কোর্ট। দেশে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ঘণাভাষণ চলছে বলে আবেদন জমা পড়েছে শীর্ষ আদালতে। এরই শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) পর্যবেক্ষণ, প্রকাশ্যে ঘৃণাভাষণের জেরে পরিবেশ বিষিয়ে উঠছে। তাই ঘৃণাভাষণ বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। এদিকে, পৃথক একটি মামলায় গত বছর ধর্ম সংসদ (Dharam Sansad) এবং দিল্লিতে ঘৃণা ভাষণের জেরে পুলিশ কী ব্যবস্থা নিয়েছে উত্তরাখণ্ড ও দিল্লির সরকারের কাছে তাও জানতে চাইল দেশের শীর্ষ আদালত।

    জানা গিয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট এমন সময় এই পর্যবেক্ষণের কথা জানাল যখন দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে যে দিল্লির ঘটনায়  তারা বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও অন্য উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে। দিল্লির এক অনুষ্ঠানে কয়েকজন বক্তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ঘৃণাভাষণ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, যেদিন দিল্লি পুলিশ ঘৃণাভাষণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানাল, সেদিনই সুপ্রিম কোর্টের এই পর্যবেক্ষণ যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূ্র্ণ।

    দেশের প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত ও বিচারপতি এসআর ভাট মামলাকারী এইচ মনসুখানিকে ঘৃণাভাষণ এবং তদন্ত করার পর কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তার পুঙ্খানুপুঙ্খ জানানোর নির্দেশ দেয়। ইউইউ ললিত এবং ভাটের বেঞ্চ বলে, আবেদনে বলা হয়েছে, প্রকাশ্যে ঘৃণাভাষণের জেরে বিষিয়ে উঠছে সামাজিক পরিমণ্ডল। এবং আপনি যথার্থভাবেই বলতে পারেন ঘৃণাভাষণ বন্ধ হোক। অতিরিক্ত হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য মামলাকারীকে সময় দিয়েছে বেঞ্চ। এবং তদন্ত চলাকালীন সময়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হল, মামলাকারীকে তাও জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলাকারীকেও জানাতে হবে অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে কিনা। সন্দেহভাজন দোষী কারা, তাও জানাতে হবে। বেঞ্চ এও জানিয়েছে, ৩১ অক্টোবরের মধ্যে দাখিল করতে হবে তথ্য সম্বলিত হলফনামা। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১ নভেম্বর।

    আরও পড়ুন : কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নন সোনালি চক্রবর্তী! তাঁর অপসারণেই মান্যতা দিল সুপ্রিম কোর্ট

    এদিন শুনানি চলাকালীন মামলাকারী ঘৃণামূলক কাজকর্ম এবং ঘৃণাভাষণে যে সংখ্যালঘুদের টার্গেট করা হচ্ছে, তা তুলে ধরেন। তাঁর মতে, ইদানিং ঘৃণাভাষণ ‘লাভজনক ব্যবসা’ হয়ে উঠছে। মামলাকারী এদিন ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলসে’র প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ঘৃণাভাষণ জ্যা-মুক্ত তিরের মতো, যা কখনও ফেরানো যায় না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share