Tag: Bengali news

Bengali news

  • Nirmala Sitharamam: ট্যুইটে ডেরেকের জবাব দিলেন অর্থমন্ত্রী, কী বললেন তৃণমূল সংসদকে?

    Nirmala Sitharamam: ট্যুইটে ডেরেকের জবাব দিলেন অর্থমন্ত্রী, কী বললেন তৃণমূল সংসদকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনের (Derek O’ Brien) দাবি রাজ্যসভায় তৃণমূলের তোলা সব প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ (Nirmala Sitharamam)। সরাসরি কিছু না বলে ট্যুইটারে তার জবাব দিলেন অর্থমন্ত্রী।  ট্যুইটবার্তায় তিনি জানিয়ে দেন, জিএসটি (GST) এবং মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে তিনি যখন কথা বলতে গিয়েছিলেন, তখন ওয়াক আউট করেছিলেন তৃণমূল সাংসদরা। ট্যুইট বার্তায় সীতারামণ লেখেন, এমনকী আপনাদের অনুপস্থিতিতে আমি সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। সেস, এলপিজি, জিএসটি এবং বিশেষত ভারতীয় মুদ্রার বিষয়ে। সংসদ টিভির একটি লিংক এমবেড করে অর্থমন্ত্রী লেখেন, দয়া করে এটা দেখে নিন।

    এর আগে মাইক্রোব্লগ সাইটে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ট্যাগ করে তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সেখানে দেখান কীভাবে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ উচ্চ কক্ষে মূল্যবৃদ্ধি ও জিএসটি বিতর্কে উত্তর দিয়েছেন। একটি ভিডিও শেয়ার করে তিনি লেখেন, আমরা নির্দিষ্ট ছটি প্রশ্ন তুলেছিলাম। তিনি সব প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন। সংসদে তাঁর কোনও দায়িত্ব নেই। হতে পারে ট্যুইটারে আমার ভাগ্য সহায় হয়েছে।

    আরও পড়ুন : তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদে রাস্তায় নামল বিজেপি

    সংসদে বাদল অধিবেশন শুরু হয়েছে ১৮ জুলাই। তার পর থেকেই মূল্যবৃদ্ধি, জিএসটি সহ নানা ইস্যুতে বিরোধীদের বিক্ষোভের জেরে বারবার ব্যাহত হয়েছে সংসদের কাজ। সংসদে অসংসদীয় আচরণের কারণে রাজ্যসভার ২০ জন ও লোকসভার চারজন সদস্যকে সাসপেন্ডও করা হয়েছে। যাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে তৃণমূলেরও কয়েকজন ছিলেন। ঘটনার প্রতিবাদে বিরোধীরা সংসদ চত্বরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ৫০ ঘণ্টার জন্য ধর্নায়ও বসেছিলেন।

    আরও পড়ুন : ৫০ ঘণ্টার ধর্নায় সাসপেন্ডেড সাংসদরা, বিরোধী বৈঠকে গরহাজির আপ, তৃণমূল

     

  • Arpita Mukherjee: তৃণমূলের হয়ে প্রচার অর্পিতার, প্রকাশ্যে ছবি, এর পরেও অস্বীকার করবে শাসক দল?

    Arpita Mukherjee: তৃণমূলের হয়ে প্রচার অর্পিতার, প্রকাশ্যে ছবি, এর পরেও অস্বীকার করবে শাসক দল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিপদে পড়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। সংকটে তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ও (Arpita Mukherjee)। পার্থের পাশাপাশি এবার অর্পিতার সঙ্গেও দূরত্ব তৈরি করতে শুরু করল তৃণমূল (TMC)। রাজ্যের শাসক দলের দাবি, অর্পিতার সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্কই নেই। 

    এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Recruitment Scam) কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেউটের সন্ধান পেয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫০ কোটিরও বেশি টাকা। ঘটনাটিকে ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেছিলেন পার্থ। টাকা উদ্ধারের ঘটনার প্রেক্ষিতে মন্ত্রিত্ব খোয়াতে হয়েছে পার্থকে। তদন্ত শেষ না হওয়া ইস্তক তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে তৃণমূল থেকে। যা আদতে বহিষ্কারেরই শামিল। কারণ তদন্ত করে শেষ হবে তা কেউ জানে না। অর্পিতার ফ্ল্যাটে পাওয়া টাকা কার, তা জানেন না বলেই দাবি করেছেন পার্থ। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর দাবি, আমার কোনও টাকা নেই। ইডির বাজেয়াপ্ত করা টাকা যে তাঁর নয়, তাও জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। অর্পিতার জন্য যে জোড়াফুল শিবিরের ভাবমূর্তি কলঙ্কিত হয়েছে, তা বেশ ভালোই বুঝতে পারছেন তৃণমূল নেতারা। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই শুরু হয়েছে অর্পিতার সঙ্গে দূরত্ব রচনার প্রয়াস।

    আরও পড়ুন : এবার ইডি-র নজরে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে থাকা পার্থ-অর্পিতার একাধিক জমি?

    সম্প্রতি তৃণমূলের একটি কর্মসূচির ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া পার্থের সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করেছেন অর্পিতা। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে পার্থ-অর্পিতার সঙ্গে ওই সমাবেশে ভাষণ দিয়েছিলেন তৃণমূলের অন্য নেতানেত্রীরাও। সংবাদ মাধ্যমে এই ছবি প্রকাশ্যে এলেও, অর্পিতার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই বলেই দাবি করেছে তৃণমূল। ২২ জুলাই তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ দাবি করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ষড়যন্ত্রের শিকার। অর্পিতার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্কও অস্বীকার করেন তিনি। ইডি সূত্রের খবর, তাঁর ফ্ল্যাট থেকে টাকা এবং সোনা উদ্ধারের পর অর্পিতা তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের জানিয়েছিলেন ওই টাকা এবং সোনা পার্থের। তবে দল তাঁকে সাসপেন্ড করায় তিনি যে যারপরনাই অখুশি, তা গোপন করেননি তৃণমূলের সাসপেন্ডেড মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন : ঘরে টাকা থাকলেও তা ছোঁয়ার অধিকার ছিল না! জানুন ইডির জেরায় কী বললেন অর্পিতা

  • ED: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইয়ং ইন্ডিয়ার অফিস সিল করল ইডি 

    ED: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইয়ং ইন্ডিয়ার অফিস সিল করল ইডি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case) আরও সক্রিয় হল ইডি (ED)। সিল করে দেওয়া হল ইয়ং ইন্ডিয়ার (Young India) অফিস। বুধবার বিকেল থেকে কংগ্রেসের (Congress) সদর দফতর ২৪ আকবর রোড এবং ১০ নম্বর জনপথে সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) বাড়ির সামনেও মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল বাহিনী।

    বুধবার বিকেলে ইডি আধিকারিকরা ন্যাশনাল হেরাল্ড অফিসে যান। তার পরেই খবর ছড়িয়ে পড়ে বেআইনি অর্থ তছরুপের অভিযোগে ন্যাশনাল হেরাল্ডের পুরো অফিসটাই সিল করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পরে ইডির তরফে জানানো হয়, ন্যাশনাল হেরাল্ডের পুরো দফতর সিল করা হয়নি। ওই বিল্ডিংয়ে ইয়ং ইন্ডিয়ার যে দফতর ছিল সেটা সাময়িকভাবে সিল করা হয়েছে। গত দুদিন ধরে তল্লাশির সময় ইয়ং ইন্ডিয়ার দফতরে সংস্থার পদস্থ কর্তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। সেই কারণেই চালানো হয়নি তল্লাশিও। তাই সিল করা হয়েছে অফিস। ইডি সূত্রে খবর, ইয়ং ইন্ডিয়ার আধিকারিক মল্লিকার্জুন খাড়গেকে তলব করা হয়েছে। তিনি এসে গেলেই তল্লাশি চালানো হবে এবং খুলে দেওয়া হবে সিল। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি পক্ষ হল ইয়ং ইন্ডিয়া। ইডির অভিযোগ, এই ইয়ং ইন্ডিয়ার মাধ্যমেই বেআইনিভাবে ন্যাশনাল হেরাল্ডের সম্পত্তি দখল করেছেন রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধীরা। এই সংস্থার বেশিরভাগের অংশীদার রাহুল।

    আরও পড়ুন : ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ১২ জায়গায় হানা ইডি-র

    এদিকে, অফিস সিল করে দেওয়ার পর ইয়ং ইন্ডিয়ার অফিসের বাইরে লটকে দেওয়া হয় একটি নোটিশ। তাতে লেখা ইডির আগাম অনুমতি ছাড়া এটা খোলা যাবে না। ইডির এক আধিকারিক বলেন, কেবলমাত্র ইয়ং ইন্ডিয়ার অফিস সিল করা হয়েছে। হেরাল্ড হাউসের বাকি অফিসগুলিতে কাজ হবে আগের মতোই। এদিন কেবল ইয়ং ইন্ডিয়ার অফিস সিল করা হয়নি, কংগ্রেসের সদর দফতর ও সোনিয়া গান্ধীর বাড়িতেও মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল বাহিনী। ঘটনার প্রেক্ষিতে বৈঠকে বসেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। পরে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম রমেশ এক ট্যুইটবার্তায় বলেন, দিল্লি পুলিশ এআইসিসির সদর দফতরের পথ রুদ্ধ করেছে। এটা একটা ব্যতিক্রমী ব্যাপার। তারা কেন এটা করেছে, তা রহস্যজনক।

    আরও পড়ুন : সোনিয়া, রাহুলকে সমন ইডি-র! ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বিপাকে কংগ্রেস

  • Data Protection Bill: বাজেট অধিবেশনের মধ্যেই পাশ হবে তথ্য সুরক্ষা বিল, আশা অশ্বিনী বৈষ্ণবের

    Data Protection Bill: বাজেট অধিবেশনের মধ্যেই পাশ হবে তথ্য সুরক্ষা বিল, আশা অশ্বিনী বৈষ্ণবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাজেট অধিবেশনের (Budget Session) মধ্যেই ডেটা প্রোটেকশন বিল (Data Protection Bill ) বা তথ্য সুরক্ষা বিল পাশ হবে। এমনই আশা প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। এদিন লোকসভায় মন্ত্রী বলেন, ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিল ২০১৯ আপাতত প্রত্যাহৃত হল। সরকার আগামী দিনে একটি সংশোধিত নয়া বিল আনবে যা আইন সম্মত এবং যৌথ সংসদীয় কমিটির সুপারিশ সম্মত। মন্ত্রী বলেন, যৌথ সংসদীয় কমিটির তরফে বিলটি খুঁটিয়ে দেখা হয়েছে। বিলটিতে ৮১টি সংশোধনী ও ১২টি সুপারিশের কথা বলা হয়েছে। তার পরেই বিল প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। 

    ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিল নিয়ে ৫৪২ পাতার এখটি রিপোর্ট জমা দেয় সংসদের যৌথ কমিটি। সেখানে সব মিলিয়ে ৯৩টি সুপারিশ ও ৮১টি সংশোধনের কথা বলা হয়েছিল। নয়া প্যানেলের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল, প্রস্তাবিত তথ্য সুরক্ষার বিষয়টি সাংবিধানিক বৈধতা পাবে কিনা এবং রাজ্যগুলির নিজেদের তথ্য সুরক্ষার অধিকার থাকবে কিনা।

    আরও পড়ুন : ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইয়ং ইন্ডিয়ার অফিস সিল করল ইডি

    প্রসঙ্গত, এই বিলের বিষয়টি সামনে আসার পর শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা। এই বিল মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপের শামিল বলেও দাবি করা হয় কোনও কোনও মহল থেকে। অনেকের মতে, এই বিল আইনে পরিণত হলে নাগরিকদের ব্যক্তিগত মতামতের ওপর নেমে আসবে সরকারি হস্তক্ষেপ। সরকার যাকে খুশি এই আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারবে। সরকারের সমালোচনা করা হলে, তাকেও রাষ্ট্রদ্রোহ বলে মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হতে পারে।

    এদিন লোকসভায় মন্ত্রী বলেন, আমরা নয়া বিলের একটি খসড়া প্রস্তুত করেছি। এদিনই পার্লামেন্টের পদ্ধতি শেষ হয়েছে। খুব শীঘ্রই অ্যাপ্রুভাল পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে আমরা নয়া খসড়া নিয়ে আসছি। তিনি বলেন, আশাকরি, বাজেট অধিবেশনের মধ্যেই আমরা নয়া বিলটিকে পাশ করিয়ে নিতে পারব।

    আরও পড়ুন : অক্টোবর থেকে বড়সড় পরিবর্তন আসছে জিএসটি নিয়মে, জেনে নিন

  • China Taiwan Conflict: তাইওয়ানকে শাস্তি দিতেই কি হুঁশিয়ারি চিনের?  

    China Taiwan Conflict: তাইওয়ানকে শাস্তি দিতেই কি হুঁশিয়ারি চিনের?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার তাইওয়ানকে (Taiwan) উচিত শিক্ষা দিতে পারে চিন (China)। মঙ্গলবার রাতে তাইওয়ানে পা রাখেন মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পোলেসির (Nancy Pelosi) নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। তার পরেই কুড়িটিওর বেশি যুদ্ধ বিমান (Fighter Jet) উড়ে যায় তাইওয়ান (Taiwan) এয়ার ডিফেন্স জোনের দিকে।

    মার্কিন সরকারের তরফে ন্যান্সির যে সফরসূচি প্রকাশ করা হয়, তাতে তাইওয়ানের নাম ছিল না। তবে তিনি যে তাইওয়ান যেতে পারেন, তা একপ্রকার নিশ্চিতই ছিল। তা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনে কথা হয় চিনা প্রেসিডেন্টের। তখনই জিন পিং তাঁকে কার্যত হুঁশিয়ারি দেন এই বলে যে, যাঁরা আগুন নিয়ে খেলবেন, তাঁরা ধ্বংস হয়ে যাবেন। পাল্টা বাইডেনও জানিয়ে দেন, তাইওয়ান নিয়ে আমেরিকার নীতিতে কোনও পরিবর্তন হয়নি। এহেন আবহে তাওয়ানে পা রাখেন ন্যান্সি। তার পরেই উড়ে যায় চিনা যুদ্ধ বিমান।

    এদিকে, পেলোসির সফরের তীব্র বিরোধিতা করেছে শি জিনপিংয়ের সরকার। বেজিংয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে চিনের বিদেশ দফতর। তাদের সতর্ক করে জানিয়েছে, এজন্য মূল্য চোকাতে হবে ওয়াশিংটনকে। তাইওয়ানকে ব্যবহার করে চিনের সার্বভৌমত্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আঘাত করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ বেজিংয়ের। চিনের বিদেশ মন্ত্রক বেজিংয়ের মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে সাফ জানিয়ে দিয়েছে, পেলোসির তাইওয়ান সফর আমেরিকা ও চিনের মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলেছে। কারণ তাইওয়ান চিনকে তাদের ভূখণ্ড বলে মনে করে।

    আরও পড়ুন : তাইওয়ানে পা রাখলেন ন্যান্সি, সমরসজ্জা শুরু চিন আমেরিকার?

    এদিকে, চিনের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে সামরিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা তাইওয়ানকে হুঁশিয়ারি দিতেই। অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই বিকল্প আকাশপথের সন্ধানে ইতিমধ্যেই তাইওয়ান জাপান এবং ফিলিপিন্সের কথা বলতে শুরু করেছে। চিনের তরফে তাইওয়ান থেকে ফল এবং মৎস্যজাত খাদ্যসামগ্রী আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে। কূটনৈতিক ব্যবস্থা নেওয়ার শপথও নিয়েছে ড্রাগনের দেশ।

    প্রসঙ্গত, গত ২৫ বছরে এই প্রথম আমেরিকার কোনও পদস্থ আধিকারিক পা রাখলেন তাইওয়ানে। পেলোসি বলেন, তারা অযথা হইচই করছে, এর কারণ সম্ভবত আমি স্পিকার। আমি জানি না এটি কারণ না অজুহাত। যখন আমাদের দেশ থেকে কোনও পুরুষ প্রতিনিধি আসেন তখন তাঁরা কিছুই বলেন না।

    আরও পড়ুন : চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরে তৃতীয় দেশের অন্তর্ভুক্তি! কড়া সমালোচনা ভারতের

  • Nirmala Mishra: প্রয়াত নির্মলা মিশ্র, থেমে গেল আরও এক সুরেলা কণ্ঠ

    Nirmala Mishra: প্রয়াত নির্মলা মিশ্র, থেমে গেল আরও এক সুরেলা কণ্ঠ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী নির্মলা মিশ্র । বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। শনিবার রাত বারোটা পাঁচ মিনিটে চেতলার নিজের বাড়িতে মৃত্যু হয় তাঁর। বার্ধক্যজনিত কারণে দীর্ঘদিন ভুগছিলেন শিল্পী। গত এক মাস প্রায় কথাই বলতে পারছিলেন না। খাওয়ানো হচ্ছিল টিউবের সাহায্যে। হাসপাতালে ভর্তিও হতে চাননি। তাই চিকিৎসা চলছিল বাড়িতেই। শনিবার রাতে অবস্থার অবনতি হলে বাড়িতে চলে আসেন ব্যক্তিগত চিকিৎসক। প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। চিকিৎসক জানিয়েছেন, হৃদযন্ত্র বিকল হয়েই মৃত্যু হয়েছে বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পীর।  

    ২০১৫ সালে ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন নির্মলা মিশ্র। একাধিকবার হাসপাতালে ভর্তি হন। সব মিলিয়ে মোট তিন বার স্ট্রোক হয়েছিল শিল্পীর। হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল দু বার। গত ডিসেম্বর মাসেও নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছিলেন। এরপর সুস্থ হয়েই বাড়ি ফিরে এসেছিলেন। এভাবেই চলছিল লড়াই। কিন্তু সব লড়াই থেমে গেল শনিবার মধ্যরাতে। রবিবার শিল্পীর দেহ শায়িত থাকবে রবীন্দ্রসদনে। সেখানেই তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন তাঁর গুণমুগ্ধ শ্রোতারা। এরপর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে ক্যাওড়াতলা মহাশ্মশানে। 

    বাংলা আধুনিক গানের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে নির্মলা মিশ্রের নাম। এমন একটি ঝিনুক খুঁজে পেলাম না, ও তোতা পাখি রে, বলো তো আরশি তুমি মুখটি দেখে, আমি তো তোমার হাসি কান্নার চিরদিনের সাথী, কাগজের ফুল বলে –  থেকে একের পর এক হিট গান উপহার দিয়েছেন তিনি। যা মুগ্ধ করেছে প্রজন্মের পর প্রজন্মকে। বাংলা সিনেমাতেও গান গেয়েছেন তিনি। নির্মলা মিশ্রের স্বামী প্রদীপ দাশগুপ্তও ছিলেন একজন শিল্পী এবং গীতিকার।

    নির্মলা মিশ্রর জন্ম ১৯৩৮ সালে।  তাঁর বাবা পণ্ডিত মোহিনীমোহন মিশ্র এবং মা ভবানীদেবী। চাকরিসূত্রেই দক্ষিণ ২৪ পরগণা থেকে কলকাতায় চলে আসেন মোহিনীবাবু। গ্রামের মেয়ের মধুঝরা কন্ঠ  শুরু করে অনুশীলন।  ষাটের দশকের একেবারে শুরুতে সঙ্গীত জগতে প্রবেশ করেন নির্মলা। বাকিটা ইতিহাস। দশকের পর দশক তাঁর স্বর্ণঝরা কন্ঠ বাঙালি শ্রোতাকে বুঁদ করে রাখে। কয়েক মাস আগেই বাঙালি হারিয়েছিল আর এক প্রাণের শিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে। এবার চলে গেলেন নির্মলা মিশ্র। সঙ্গীত জগতে তাই শোকের ছায়া। 

    শিল্পীর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শোকবার্তায় তিনি লেখেন, ‘বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী নির্মলা মিশ্রের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি গভীর রাতে কলকাতায়  শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে কণ্ঠের জাদুতে তিনি শ্রোতাদের মুগ্ধ করে রেখেছিলেন। তাঁর গাওয়া  এই বাংলার মাটিতে, এমন একটি ঝিনুক খুঁজে পেলাম না, ও তোতা পাখি রে-র মতো অজস্র কালজয়ী  গান আজও  শ্রোতাদের স্মৃতিতে উজ্জ্বল হয়ে আছে।  আধুনিক, নজরুলগীতি, শ্যামাসঙ্গীত, দেশাত্মবোধক, লোকগীতি ছাড়াও বহু ছায়াছবিতে তিনি গান গেয়েছেন’। আজ তাঁর শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন ফিরহাদ হাকিম।

    তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন গায়িকা ইমন চক্রবর্তী ।

    [tw]


    [/tw]

    গায়ক শিলাজিৎ মজুমদার ফেসবুকে তাঁর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করে লিখেছেন…

    [fb]https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=pfbid0DMxGv2igtH7gAhHmVC9QtDEQPMfVgmkqvytfpfw7uRfesVfyhJgqS7ARVMzijB34l&id=100044223424496[/fb]

     

     

     

     

  • Modi Mann Ki Baat: হর ঘর তিরঙ্গা আন্দোলনে অংশ নিন, মন কি বাতে অনুরোধ মোদির

    Modi Mann Ki Baat: হর ঘর তিরঙ্গা আন্দোলনে অংশ নিন, মন কি বাতে অনুরোধ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হর ঘর তিরঙ্গা আন্দোলনে অংশ নিন। রবিবার মন কি বাত (Mann Ki Baat) অনুষ্ঠানে দেশবাসীকে এই আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ৭৫ বছরের  স্বাধীনতা দিবসকে (Independence Day) ঐতিহাসিকও আখ্যা দেন তিনি।

    এদিন মন কি বাত অনুষ্ঠানের প্রথম দিকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজাদির অমৃত মহোৎসবের অধীনে আগামী ১৩ থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত আমরা হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচি পালন করব। আপনারাও সকলে এই কর্মসূচির অংশ হোন। এবং নিজের বাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করুন। ২ থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল পিকচারে তিরঙ্গা (Tricolor) ব্যবহারের অনুরোধও জানান তিনি।.

    ৩১ জুলাই বিপ্লবী উধম সিংয়ের মৃত্যুদিন। এদিন শুরুতেই পাঞ্জাবের এই স্বাধীনতা সংগ্রামীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী। উধম সিংয়ের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচির প্রসঙ্গও টানেন তিনি। মোদি বলেন, স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব ইতিমধ্যেই একটি গণ আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছর উপলক্ষে দেশের পঁচাত্তরটি রেল স্টেশনকে সাজানো হচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন :বিশ্বের বড় বড় অর্থনীতির সঙ্গে পাল্লা দেবে ভারত, বললেন মোদি

    দেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের সঙ্গে ভারতীয় রেল যে গভীরভাবে জড়িয়ে রয়েছে, এদিন সে প্রসঙ্গও টানেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এমন অনেক রেলস্টেশন রয়েছে, যা স্বাধীনতা সংগ্রামে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। তিনি জানান, এই জুলাই মাসে কেন্দ্র ও ভারতীয় রেলওয়ের তরফে অত্যন্ত মনোগ্রাহী একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যেখানে আজাদির অমৃত মহোৎসবের অধীনে বিশেষ ট্রেন চলবে। যাত্রীদের স্বাধীনতা সংগ্রামে রেলওয়ের ভূমিকা সম্পর্কে অবগত করাই এর লক্ষ্য।

    করোনা যুদ্ধে আয়ুষ যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, এদিন তারও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আয়ুষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আয়ুর্বেদ ও ভারতীয় চিকিৎসার প্রতি বিশ্ববাসীর আগ্রহ বাড়ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। তাঁর দাবি, এই কারণেই আয়ুষ পণ্যের রফতানি বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন নতুন স্টার্ট-আপ শুরু হচ্ছে।

    পিভি সিন্ধু, নীরজ চোপড়া সহ ভারতীয় খেলোয়াড়দের সাম্প্রতিক সাফল্যের কথাও এদিন তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। খেলোয়াড়দের অভিনন্দনও জানান। সাফল্য কামনা করেন চলতি কমনওয়েল্থ গেমসে অংশ নেওয়া খেলোয়াড়দেরও। বক্তব্যের শেষের দিকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশবাসীকে অনুরোধ করছি এবারের স্বাধীনতা দিবস কীভাবে পালন করেছেন, তা আমাকে লিখে জানান।

    আরও পড়ুন : ফের গড়লেন ইতিহাস, বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো জয় নীরজের, উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী

  • Uddhav vs Shinde: শিন্ডে বনাম উদ্ধবের লড়াই পৌঁছল সাংবিধানিক বেঞ্চে

    Uddhav vs Shinde: শিন্ডে বনাম উদ্ধবের লড়াই পৌঁছল সাংবিধানিক বেঞ্চে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলবিরোধী কার্যকলাপ, বহিষ্কার, একত্রীকরণ এবং আসল শিবসেনা (Shiv Sena) কে — নানা সাংবিধানিক প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের (Maharasthra) মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde)। সেই মামলাই এদিন পাঠানো হল পাঁচ বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত সাংবিধানিক বেঞ্চে। বৃহস্পতিবার ওই বেঞ্চেই হবে এই মামলার শুনানি।   
    আসল শিবসেনার রাশ কার দখলে থাকবে, তা নিয়ে বিবাদ গড়িয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত অবধি। মহারাষ্ট্রের নয়া মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের দাবি, তাঁরাই আসল শিবসেনা। আর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের (Uddhav Thackeray) দাবি তাঁরাই আসল।

    বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে সরকার চালাতে আগ্রহী ছিলেন শিন্ডে। সেকথা তিনি জানিয়েওছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে। তবে তাতে রাজি হননি উদ্ধব। এর পরেই অনুগত বিধায়কদের নিয়ে শিন্ডে উড়ে যান বিজেপি শাসিত গুজরাটে। পরে সেখান থেকে রাতের অন্ধকারে তাঁদের নিয়ে শিন্ডে উড়ে যান বিজেপি শাসিত আর এক রাজ্য  অসমে। পরে বিজেপির সঙ্গে শিন্ডে হাত মেলানোয় পতন হয় উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের। মহারাষ্ট্রের তখতে বসেন একনাথ। পরে নিজেদের আসল শিবসেনা দাবি করে শিন্ডে শিবির দ্বারস্থ হয় সুপ্রিম কোর্টের। পরে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় উদ্ধব ঠাকরে শিবিরও।  

    আরও পড়ুন : আসল শিবসেনা প্রমাণ করতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছেন শিন্ডে?
    প্রধান বিচারপতি এনভি রামানার বেঞ্চের নির্দেশ, বৃহস্পতিবার সাংবিধানিক বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি হবে। তার আগে পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন যেন শিন্ডে শিবিরের আবেদনের ওপর ভিত্তি করে তাদের আসল শিবসেনা ঘোষণা না করে। প্রতীকও যেন না দেওয়া হয়।  বৃহত্তর বেঞ্চে বিষয়টি পাঠানোর ব্যাপারে বলতে গিয়ে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ উল্লেখ করেন, ডিসকোয়ালিফিকেশন সংক্রান্ত বিষয়ে স্পিকার, ডেপুটি স্পিকারের ক্ষমতা কী হবে, তা আগে স্থির করতে হবে। সেই কারণেই মামলাটি পাঠানো হয়েছে বৃহত্তর বেঞ্চে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     

  • SSC Scam: ব্যাঙ্কশালে আনতেই জিজ্ঞাসা ‘টাকা কার?’ নিরুত্তর পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা

    SSC Scam: ব্যাঙ্কশালে আনতেই জিজ্ঞাসা ‘টাকা কার?’ নিরুত্তর পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও এক “ঘনিষ্ঠের” খোঁজ? রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষ্মমন্ত্রীকে ঘিরে জোর জল্পনা দানা বাঁধছে? তিনিও অধ্যাপিকা। সোস্যাল সাইটে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে নিয়ে হাজারো মিম-মস্করার মাঝেই উঠে এসেছে তাঁর ছবি আর নাম। শিমুরালি বিএস কলেজের এক অধ্যাপিকাকে ঘিরে জোর শোরগোল। অধ্যাপিকা শ্রীমতী চক্রবর্তীকে পেশাগত জীবনের শীর্ষে তুলতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর বিশেষ অবদান আছে।

    এর আগেও কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোনালিসা দাসের সঙ্গেও পার্থবাবুর বিশেষ যোগাযোগের কথা শোনা যায়। যদিও মোনালিসা দাস সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, একজন বিভাগীয় প্রধানের সঙ্গে একজন মন্ত্রীর যা সম্পর্ক থাকার কথা ততটাই সম্পর্ক পার্থবাবুর সঙ্গে।

    গত শনিবার তল্লাশি চালানোর পর ‘মন্ত্রী-ঘনিষ্ঠ’ এক অভিনেত্রী-মডেল অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের আবাসন থেকে সাড়ে ২২ কোটি টাকা, দেড় কেজি সোনার গয়না,সম্পত্তির দলিল-সহ লক্ষাধিক ডলার মূল্যের বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করে ইডি।

    অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের কাছে এত টাকা এল কি করে? কী করতেন অর্পিতা? পার্থের সঙ্গেই বা তাঁর সম্পর্ক কেমন? এ নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। সোস্যাল সাইটে অর্পিতার দাবি তিনি অভিনেত্রী। ২০০৫-এ কিছু মডেলিং-এর কাজ করতে করতেই অভিনয়ের জগতে পা। ২০১১ সালে একটি সিরিয়ালে কাজ করতে গিয়েই মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে পরিচয়। গত এগারো বছরে দুজনের ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে। বাংলা ছাড়াও ওড়িশা তামিল ছবিতেও অভিনয় করতেন তিনি। নাকতলা উদয়নের পুজোর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার বা মূল মুখ ছিলেন তিনি। পার্থ অর্পিতা দুজনকে একসঙ্গে একাধিক জায়গায় দেখা যেত। সে সব ছবি এখন প্রকাশ্যে ঘুরছে সোস্যাল সাইটে। 

    রবিবারে অর্পিতাকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হল। শনিবার সন্ধ্যায় অর্পিতাকে বাড়ি থেকে বার করে জোকার ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যায় ইডি। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় অর্পিতা দাবি করেন, ‘‘আমি কোনও অন্যায় করিনি। বিজেপির চাল। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।’’ রবিবার সকালে আবারও তাঁকে জোকার ওই হাসপাতালে নিয়ে যায় ইডি। তিনটের সময় তাঁকে নিয়ে আসা হয় ব্যাঙ্কশাল কোর্টে। সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসা ‘টাকা কার?’ যদিও সে প্রশ্নের উত্তর দেননি অর্পিতা। অর্পিতার মন্তব্য “আইনের প্রতি তাঁর আস্থা রয়েছে” গতকাল সাংবাদিক বৈঠকে যে কথা বলেছিল তৃণমূল মুখপাত্র। তবে অর্পিতা জানিয়েছেন তিনি কোন দল করেন না। প্রায় চারটের সময় শুনানি শেষ হয়। ইডির পক্ষ থেকে সওয়ালে বলা হয়, ‘‘যা পাওয়া গিয়েছে, তা পেঁয়াজের মতো। খোসা ছাড়ালেই পাওয়া যাবে নতুন তথ্য।’’ তাঁর অর্থ আরও বেশি সম্পত্তির সন্ধান থাকতে পারে পার্থ চট্টোপাধ্যায় অর্পিতা মুখোপাধ্যায় যোগ সাজসে।

    মডেলিং জীবনে অর্পিতা কিছু বি়জ্ঞাপনেও কাজ করেছেন। পাশাপাশি, নেল আর্ট (নখের উপর নেলপালিশ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের নকশা করার কলা) করার বিশেষ প্রশিক্ষণও নিয়েছেন অর্পিতা। তবে ইডি সূত্রে দাবি, এই সমস্ত কাজ করে এই টাকা উপার্জন সম্ভব নয়। কিভাবে কোথা থেকে এল এত  টাকা? কত তিনি উপার্জন করেছেন, তার কোন সদুত্তর দিতে পারেননি অর্পিতা।

    সব মিলিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা তদন্তকারীরা উদ্ধার করলেও তাঁদের দাবি, যে পরিমাণ টাকা ও সম্পত্তি উদ্ধার করা হয়েছে, তা সামান্য। মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠদের বাড়ি তল্লাশি করলে আরও টাকার খোঁজ মিলতে পারে বলেই ইডির দাবি।

  • Amit Shah: লক্ষ্য সন্ত্রাসমুক্ত উপত্যকা, কাশ্মীরের নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করার নির্দেশ অমিত শাহের

    Amit Shah: লক্ষ্য সন্ত্রাসমুক্ত উপত্যকা, কাশ্মীরের নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করার নির্দেশ অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ভারত-পাক সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটোসাঁটো করতে কী করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বৃহস্পতিবারের ওই বৈঠকে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহা, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল (Ajit Doval), কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রধান এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীর কর্তারা।     

    জানা গিয়েছে, আগের চেয়ে ভূস্বর্গ এখন অনেক শান্ত। উপত্যকা থেকে ৩৭০ ধারা রদ হওয়ার পর বিক্ষিপ্ত কিছু অশান্তি হয়েছে ইতিউতি। পরে কড়া হাতে তার মোকাবিলা করে উপত্যকার প্রশাসন। সম্প্রতি শুরু হয়েছিলে টার্গেট কিলিং। বেছে বেছে হত্যা করা হচ্ছিল হিন্দু এবং শিখদের। বাদ যাননি এই দুই ধর্মের পরিযায়ী শ্রমিকরাও। প্রশাসন কড়া হাতে রাশ ধরতেই ভূস্বর্গে ফিরেছে কাঙ্খিত শান্তি। তবে এই সব হত্যা কীভাবে চিরতরে নির্মূল করা যায়, তা নিশ্চিত করার ওপর জোর দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন : গুজরাট, হিমাচল প্রদেশের সঙ্গেই নভেম্বরে ভোট হবে জম্মু-কাশ্মীরেও?

    ভারত-পাক সীমান্তে কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্তের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি এদিন শাহ বলেন, সীমান্ত পারাপারের ভয় দূর হয়েছে। বন্ধ হয়েছে অস্ত্র এবং গোলাবারুদ পাচার। জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ প্রশাসনের সহযোগিতায় এসব বন্ধ করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতেই এদিন বৈঠকে বসেছেন শাহ। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলতি বছর অমরনাথ যাত্রা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার জন্য তিনি বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থা ও প্রশাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে গত দু বছর সম্পন্ন হয়নি অমরনাথ যাত্রা।

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য উদ্ধৃত করে ওই বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে, পরিকল্পনা মাফিক কাজ ও পুলিশ এবং নিরাপত্তা রক্ষীদের যৌথ প্রচেষ্টায় সন্ত্রাস বিরোধী অপারেশন জারি রাখতে হবে। যাতে করে উপত্যকা থেকে সন্ত্রাসবাদ চিরতরে নির্মূল হতে পারে। ইউএপিএ ধারায় যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, সেই মামলাগুলিও খতিয়ে দেখা হয়েছে। সামনেই শীতকাল। প্রতি বছরের মতো এবারও জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা শুরু করেছে পাকিস্তান। সূত্রের খবর, অনুপ্রবেশ বন্ধের প্রশ্নে কোনও ধরনের গাফিলতি যাতে না হয়, সেদিকে বিশেষভাবে নজর দিতেও বলেছেন শাহ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share