Tag: Bengali news

Bengali news

  • Wayanad: “রাহুল-প্রিয়াঙ্কার ভোটের জয়ের পিছনে ছিল সাম্প্রদায়িক মুসলিম জোট”, বিস্ফোরক বাম নেতা বিজয়রাঘবন

    Wayanad: “রাহুল-প্রিয়াঙ্কার ভোটের জয়ের পিছনে ছিল সাম্প্রদায়িক মুসলিম জোট”, বিস্ফোরক বাম নেতা বিজয়রাঘবন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়ানাড় (Wayanad) লোকসভার উপনির্বাচনে রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর ভোটের জয়ের পিছনে ছিল সাম্প্রদায়িক মুসলিম জোট (Communal Muslim Alliance), ঠিক এই ভাবেই বিস্ফোরক হয়েছেন সিপিআই(এম) নেতা বিজয়রাঘবন। কংগ্রেস যে মুসলিম ভোটকে রাজনীতির ভোট ব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করে, সেই কথা আরও একবার প্রকাশ্যে এসেছে। অবশ্য লোকসভায় একাধিকবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তোপ দেগেছিলেন এই বলে যে কংগ্রেস কেরলে মুসলিম লীগের সঙ্গে জোটের শরীক হয়ে থাকে। এবার বাম নেতার মন্তব্যে আরও একবার ‘তোষণনীতি’ প্রকাশ্যে এসেছে।

    খারাপ চরমপন্থী মুসলিম জোটের সমর্থন পেয়ছেন (Wayanad)!

    ২১ ডিসেম্বর কেরলের (Wayanad) সুলতান বাথেরিতে বাম দলের জেলা সম্মেলন ছিল। সেখানে মার্কসবাদী নেতা এ বিজয়রাঘবন কংগ্রেসের মুসলিম সাম্প্রদায়িকতার (Communal Muslim Alliance) প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, “দুই ব্যক্তি (রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী) ওয়ানাড় (Wayanad) থেকে সংসদে গিয়েছেন। কার সমর্থনে? সাম্প্রদায়িক মুসলিম জোটের শক্ত সমর্থন নিয়ে। মুসলমানদের সমর্থন ছাড়া কী রাহুল গান্ধীর পক্ষে দিল্লি পৌঁছানো সম্ভব ছিল? তিনি বিরোধী দলীয় নেতা। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর মিছিলের সামনে ও পিছনের সারিতে কারা ছিলেন? সংখ্যালঘুদের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ চরমপন্থী উপাদান সেখানে ছিল। মুসলিমরা কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে ছিলেন। সাম্প্রদায়িক মুসলিম জোটের সমর্থন ছাড়া কি রাহুল গান্ধীর পক্ষে দিল্লি পৌঁছানো সম্ভব ছিল?”

    আরও পড়ুনঃ ‘ওয়ান নেশন ওয়ান সাবস্ক্রিপশন’ স্কিমে ভারতীয় গবেষকদের হবে বিশেষ সুবিধা

    বিজয়রাঘবন নিজের দলের ব্যর্থতার কথা বলে আরও বলেন, “কেরলে বিরোধী ইন্ডিজোট সম্পর্কে কেন্দ্রীয় কমিটি সঠিক অবস্থান নেয়নি। কংগ্রেসের প্রধান শত্রু বামেরা। রাজ্য ধ্বংস হয়ে গেলেও কংগ্রেসের কিছুই যায় আসে না। মুসলিম সংগঠনের (Communal Muslim Alliance) সরাসরি সমর্থন পেয়েছে কংগ্রেস। অপর দিকে সিপিআই (এম) হিন্দু ভোটব্যাঙ্ক হারিয়েছে।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য পালাক্কাদ, চেলাক্কাদ বিধানসভা এবং ওয়ানাড়ে (Wayanad) সিপিআই(এম) হিন্দু ভোটারদের ভোট জয়ের চেষ্টা চালিয়েছিল। কংগ্রেসকেও এই নির্বাচনে বাম দলের বিরুদ্ধে আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছিল।

    বাম এবং কংগ্রেস দুই পক্ষই মুসলিম চায়

    অপরদিকে ওয়ানাড় (Wayanad) উপনির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন একটি বক্তব্যে বলেছিলেন, “আইইউএমএল-এর রাজ্য সভাপতি সাদিক আলী শিহাব থাঙ্গালকে ‘জামায়াত-ই-ইসলামির কর্মী’। তাঁরা ইসলামী শাসনের (Communal Muslim Alliance) পক্ষে দাঁড়িয়েছেন।” উল্লেখ্য এই দল ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের অংশ। এটি আবার জাতীয় পর্যায়ে ইন্ডি জোটেরও শরীক। নির্বাচনের এক মাস আগে বিজয়ন এই দলকে নিজেদের সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। ফলে রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহলের মতে বাম এবং কংগ্রেস দুই পক্ষই মুসলিম ভোটের জন্য মরিয়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • 2025: ২০২৫ সালের ১২ মাসে ৯টি লম্বা সপ্তাহান্তে ছুটি, নতুন বছরের কেমন হবে ক্যালেন্ডার

    2025: ২০২৫ সালের ১২ মাসে ৯টি লম্বা সপ্তাহান্তে ছুটি, নতুন বছরের কেমন হবে ক্যালেন্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যায় বছরের থেকে যেন আসছে নতুন বছরটা আরও ভালো কাটে সেই কামনা করেন সকলেই। আসছে বছর, নতুন বছর যেন আনন্দ এবং খুশিতে কাটে, এই ভাবনা নিয়ে করা হয় উচ্ছ্বাসের বর্ষবরণ। আর মাত্র হাতে কয়েকটা দিন, এরপর আসবে ২০২৫ (2025) সালের ইংরেজি বর্ষ। ১২ মাসের মধ্যে বর্ষার মরসুম বাদ দিলে কীভাবে কখন ঘুরতে যাবেন একবার জেনে নেওয়া প্রয়োজন। ওই বছরে ছুটি (Weekend Holiday) কেমন থাকবে এবং আনন্দ কীভাবে করবেন একবার ক্যালেন্ডার দেখে নিতে পারেন।

    সপ্তাহান্তে থাকছে তিন দিনের ছুটি (2025)

    ২০২৫ সালের নতুন বছরে বর্ষার মাস জুন-জুলাইকে বাদ দিলে বাকি ১০ মাসের মধ্যে ৯ মাসেই থাকছে সপ্তাহান্তে তিন দিনের ছুটি। এই সময়ের মধ্যে ঘুরতে যেতে পারেন যে কোনও জায়গায়। একই ভাবে থাকবে বোনাস ৫ দিনের দুর্গাপুজোর ছুটি (Weekend Holiday)। ষষ্ঠী পড়েছে রবিবার। কাজের ব্যস্ততা এবং অবসরের সুযোগ পেতে নতুন বছরের ক্যালেন্ডারদের দিকে আসুন একবার নজর দিই।

    জানুয়ারি

    জানুয়ারিতে চার দিনের ছুটি নিতে পারেন। ১৪ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তি। কিন্তু একদিন আগেই ১১ এবং ১২ তারিখ হল শনিবার, রবিবার। আপনার জন্য ১৩ তারিখ ছুটি নিলে একটা ভালো ছুটি (Weekend Holiday) কাটাতে পারবেন।

    ফেব্রুয়ারি

    এই মাসে মোট ৫ দিন ছুটি পেতে পারেন। ২২-২৩ ফেব্রুয়ারি তারিখ হল শনি, রবি এবং ২৬ তারিখ শিবরাত্রি। মাঝে ২৪-২৫ ফেব্রুয়ারি ছুটি নিলেই লম্বা ছুটি হয়ে যাবে।

    মার্চ

    মার্চ মাসে ৩ দিনের ছুটি। দোল ১৪ মার্চ শুক্রবার। ফলে তারপর শনি, রবি ১৫, ১৬ ছুটি। বসন্ত উৎসব ভালোই কাটবে।

    এপ্রিল

    ১৮ এপ্রিল শুক্রবার গুড ফ্রাইডে। এরপর শনি-রবি ছুটি।

    মে

    ১ মে, বৃহস্পতিবার শ্রমিক দিবস। এরপর শুক্রবার ছুটি নিলে পরপর চারদিন ছুটি হয়ে যাবে।

    অগাস্ট

    এই মাসে ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবস। ক্যালেন্ডারে শুক্রবার, শনি-রবি মিলিয়ে দেখলে তিন দিনের ছুটি (Weekend Holiday) মিলে যাবে।

    সেপ্টেম্বর-অক্টোবর

    পুজোর ছুটি ৪ দিন সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী এবং দশমী থাকে। এবার ২৮সেপ্টেম্বর ষষ্ঠী পড়ছে রবিবার। ১ অক্টোবর নবমী, ২ অক্টোবর দশমী। এরপর ৩ অক্টোবর শুক্রবার ছুটি নিতে পারলে শনি-রবি ছুটি পাওয়া যাবে। তারপর আবার সোমবার ৬ অক্টোবর লক্ষ্মী পুজো। সব মিলিয়ে পুজোতে হবে ৯ দিন ছুটি।

    আরও পড়ুনঃ‘জ্যোতিপ্রিয় রেশন কেলেঙ্কারির রিং মাস্টার, দুর্নীতির গঙ্গাসাগার’, আদালতে দাবি ইডির

    নভেম্বর

    গুরুনানকের জন্মজয়ন্তী ৫ নভেম্বর, বুধবার। সোম ও মঙ্গলবার ছুটি নিলে ৪ দিনের ছুটি পাওয়া যাবে।

    ডিসেম্বর

    ২৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার। চার দিনের ছুটি (Weekend Holiday) পাওয়া যেতে পারে। কারণ ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন পড়েছে বৃহস্পতি বার। মাঝে ২৬ ডিসেম্বর ছুটি পেলে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বছরের শেষ ছুটি পাওয়া যাবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • One Nation One Subscription: ‘ওয়ান নেশন ওয়ান সাবস্ক্রিপশন’ স্কিমে ভারতীয় গবেষকদের হবে বিশেষ সুবিধা

    One Nation One Subscription: ‘ওয়ান নেশন ওয়ান সাবস্ক্রিপশন’ স্কিমে ভারতীয় গবেষকদের হবে বিশেষ সুবিধা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতা ছিল জ্ঞানচর্চা এবং গবেষণার (Indian Research) বিশেষ কেন্দ্রস্থল। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, চিকিৎসা, দর্শন, ধাতুবিদ্যা এবং মানবিক বিষয়ে যুগান্তকারী অবদান রেখেছিলেন প্রাচীন ভারতীয় মুনি ঋষিরা। কিন্তু বহির্দেশীয় মুসলমান এবং ব্রিটিশরা আক্রমণ করে এবং নিজেদের শাসন কায়েম করে প্রাচীন সৃষ্টি-সংস্কৃতিকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। তারা শুধু ভারতীয় সম্পত্তি লুট করেনি, সেই সঙ্গে বিদ্যাচর্চা ও গবেষণার পরম্পরার উপর ব্যাপক আঘাত করেছিল। এবার সেই গবেষণার ব্যবস্থাকে সমৃদ্ধ করতে কেন্দ্র আনছে ‘ওয়ান নেশন ওয়ান সাবস্ক্রিপশন’ স্কিম (One Nation One Subscription)।

    জার্নালগুলিকে আরও সহজভাবে পৌঁছে দেওয়া হবে (One Nation One Subscription)

    সম্প্রতি ন্যাশনাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এনএসটি) সহ বিভিন্ন প্রতিবেদনে গবেষণার পরিকাঠামোর উপর জোর দেওয়া হয়েছে। ২০২২ সালের আর্থিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে গবেষণার (Indian Research) কাজে যে ব্যয় ধার্য করা হয়, তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। এবার থেকে তাই ‘ওয়ান নেশন ওয়ান সাবস্ক্রিপশন’ ((One Nation One Subscription)) স্কিমের মতো সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এটি একটি এমন ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে অ্যাকাডেমিক জার্নালগুলিকে আরও সহজভাবে পাঠকের কাছে পৌঁছে দেওয়া যাবে। এর ফলে দেশের সমস্ত গবেষকদের একটি বিশেষ ছাতার নিচে আনা যাবে। সেইসঙ্গে গবেষণা কাজেও আমূল পরিবর্তন এবং উন্নতি ঘটবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    কেন্দ্রীয় সরকার ৬০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে

    ‘ওয়ান নেশন ওয়ান সাবস্ক্রিপশন’ (One Nation One Subscription) ব্যবস্থায় সমস্ত গ্রন্থাগারগুলিকে একই পোর্টালে একত্রিত করা হবে। এই বিরাট ব্যবস্থাটি ছাত্র-ছাত্রী, গবেষক, অধ্যাপক সকলেই ব্যবহার করতে পারবেন। কেন্দ্রীয় ভাবে ২৩৬০৬টি প্রতিষ্ঠান থেকে ৬৩৮০টি ই-জার্নাল উপলব্ধ করা হবে। স্বতন্ত্র ভাবে ব্যবহারকারীদের সংখ্যা ৫০.৬ লক্ষ থেকে ১ কোটি ৭৮ লক্ষের মাত্রা স্থির করা হয়েছে। আগামী তিন বছরে কেন্দ্রীয় সরকার ৬০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের কথা জানিয়েছে। এখানে বিষয় হিসেবে সমাজবিজ্ঞান, আইন, মানবিক বিষয় সহ নানাণ বিষয় যেমন প্রযুক্তি, প্রকৌশল, গণিত, মেডিসিন (Indian Research) ইত্যাদি বিষয়গুলিও থাকবে।

    আরও পড়ুনঃ মহারাষ্ট্রে মন্ত্রীপরিষদের দফতর ঘোষাণায় শপথ নিলেন আরও ৩৯ জন মন্ত্রী, কে কোন দফতর পেলেন?

    ভারত বিশ্বগুরু হবে

    ‘ওয়ান নেশন ওয়ান সাবস্ক্রিপশন’-এর (One Nation One Subscription) মাধ্যমে প্রাচীন যুগের নানা বিষয়কে গবেষণার বিষয় হিসেবে তুলে ধরা হবে। একাডেমিক ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশনকে এর মধ্যে রেখে বহু বিষয়ক শিক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। সারা দেশে জ্ঞানের ভাণ্ডার (Indian Research) খুলতে এই ব্যবস্থা বিশেষ ভাবে কার্যকর হবে। ভারতকে বিশ্বগুরু করার বৃহৎ সঙ্কল্প এই ব্যবস্থার মাধ্যমে অনেকটাই স্বার্থক হবে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।

    এই ব্যবস্থা একটি বড় পদক্ষেপ। কেননা সমস্ত বিষয়ে গবেষণা সংক্রান্ত জার্নাল এক সঙ্গে পাওয়া যাবে। একসঙ্গে এক জায়গায় সকল তথ্য পাওয়া যাবার জন্য খরচের বোঝা অনেক কমে যাবে গবেষকদের। ধীরে ধীরে ভারত কীভাবে বিশ্বজুড়ে গবেষণার প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হবে, তারও ভাবনা এই স্কিমে রয়েছে। তাই এই ব্যবস্থার ব্যবহার এবং কার্যকারিতা ভীষণভাবে প্রয়োজন।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Phula Soren: শৈশবে মাকে হারিয়েছেন জন্মান্ধ ফুলা সোরেন, এখন ক্রিকেটের অধিনায়িকা, জানুন সাফল্যের কথা

    Phula Soren: শৈশবে মাকে হারিয়েছেন জন্মান্ধ ফুলা সোরেন, এখন ক্রিকেটের অধিনায়িকা, জানুন সাফল্যের কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্মান্ধ তরুণী, ছোট্ট বেলা থেকেই মাকে হারিয়েছেন। সকল প্রতিবন্ধকতাকে (Blind Cricketer) উপেক্ষা করে ক্রিকেট খেলাই ফুলা সরেনকে জীবনের সাফল্যের দিকে নিয়ে গিয়েছে। শারীরিক বাধা মনের জোরকে কোনও দিন থামিয়ে রাখতে পারেনি। আজ তিনি ভারতের অন্ধ ক্রিকেট দলের সহ-অধিনায়িকা। একজন নারী হয়ে কীভাবে জীবনকে সাফল্যের দিকে নিয়ে গিয়েছেন, আসুন জেনে নিই সেই ফুলা সোরেনের (Phula Soren) গল্প কথা।

    খুব অল্প বয়সেই নিজের মাকে হারিয়েছিলেন (Phula Soren)!

    ফুলা সোরেনের (Phula Soren) দৃষ্টিশক্তি ছোট বেলা থেকেই হারিয়ে গিয়েছিল। তাঁর বয়স তখন মাত্র ১৭। ওড়িশার সালাবানি শান্ত গ্রামে একটি অল্পবয়সী মেয়ে ধূলাময় মাঠে দাঁড়িয়ে প্রথমবারের জন্য ক্রিকেট ব্যাট (Blind Cricketer) ধরেছিলেন। বলের ভিতরের শব্দে তাঁর গতিবিধি পরিচালিত হচ্ছিল। নিজের ইন্দ্রিয় দিয়ে সেই সজাগ দৃষ্টিকে নিরীক্ষণ করে খেলাকে করায়ত্ত করেছিলেন তিনি। তাঁর শৈশব জীবন কেটেছিল আরও কষ্টে, খুব অল্প বয়সেই নিজের মাকে হারিয়েছিলেন। কিন্তু তবুই ক্রিকেটের আনন্দ এবং সাফল্য তাঁকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। একটি খেলা যে তাঁকে এত বড় সাফল্যের দিকে নিয়ে যাবে তা কল্পনাতীত ছিল। জীবনের চেহারা একে বারে বদলে দিয়েছে।

     
     
     
     
     
    View this post on Instagram
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     

    A post shared by The Better India (@thebetterindia)

    মাঠে ঘন্টার পর ঘন্টা অনুশীলন করতেন

    ক্রিকেট খেলা দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের (Blind Cricketer) জন্য এক প্রকার চ্যালেঞ্জ স্বরূপ হয়ে থাকে। এই খেলাকে নিজের উচ্চাকাঙ্ক্ষা হিসেবে গ্রহণ করেন ফুলা (Phula Soren)। এই ক্রিকেট খেলা ব্যাটের সুইং, বলের শব্দ, স্পর্শ ইত্যাদি নানা মাত্রার উপর নির্ভর করে খেলা হয়ে থাকে। তবে দৃষ্টিহীনরা এই খেলাকে বেশ কয়েকটি ধাপে ধাপে শিক্ষণ করে থাকেন। মাঠে ঘন্টার পর ঘন্টা অনুশীলন করে পারদর্শী হয়ে উঠেছিলেন ফুলা। এরপর সর্ব ভারতীয় অন্ধ মহিলা টিমে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছিলেন।

    আরও পড়ুন: ‘‘ভাষা নিয়ে আরও সংযত হোন’’, মানচিত্র বিতর্কে বাংলাদেশকে সতর্ক করল দিল্লি

    দেশের জন্য স্বর্ণপদক নিয়ে এসে ছিলেন

    ফুলা (Blind Cricketer) গৌরবের সঙ্গে দলের সহ-অধিনায়িকার দায়িত্ব পালন করছেন। ২০২৩ সালে, তিনি বার্মিংহামে আইবিএসএ ওয়ার্ল্ড গেমসে ঐতিহাসিক স্বর্ণপদক নিয়ে এসেছিলেন। যেখানে তাঁরা ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে পরাজিত করেছিলেন। এটি ছিল অত্যন্ত গর্বের একটি মুহূর্ত, কারণ ভারত এই ইভেন্টে প্রথমবারের মতো মহিলাদের অন্ধ ক্রিকেটে সোনা জিতেছিল৷ ফুলার অবদান ছিল মুখ্য, তাঁর দক্ষতা এবং নেতৃত্ব ছিল অসামান্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maharashtra Government: মহারাষ্ট্রে মন্ত্রীপরিষদের দফতর ঘোষাণায় শপথ নিলেন আরও ৩৯ জন মন্ত্রী, কে কোন দফতর পেলেন?

    Maharashtra Government: মহারাষ্ট্রে মন্ত্রীপরিষদের দফতর ঘোষাণায় শপথ নিলেন আরও ৩৯ জন মন্ত্রী, কে কোন দফতর পেলেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে (Maharashtra Government) নতুন সরকার গঠনের প্রায় দুই সপ্তাহ পর শনিবার মন্ত্রীপরিষদের (Cabinet) দফতর ঘোষাণা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র দফতরের দায়িত্ব রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস নিজের হাতেই। অপর দিকে উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে নগর উন্নয়ন, আবাস এবং পূর্ত তিনটি দফতরের দায়িত্ব পেয়েছেন। সেইসঙ্গে রাজ্যের আরও এক উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার অর্থ দফতর এবং আবগারি দফতরের দায়িত্ব পেয়েছেন।

    মোট ৩৯ জন মন্ত্রী হয়েছেন (Maharashtra Government)

    মন্ত্রীপরিষদের (Maharashtra) দায়িত্ব বণ্টনে মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিসের কাছে আরও যে দফতরগুলি (Cabinet) রয়েছে তার মধ্যে হল, নবায়নযোগ্য শক্তি মন্ত্রক, আইন ও বিচার মন্ত্রক, তথ্য এবং সম্প্রচার মন্ত্রক। এই রাজ্যের শীতকালীন বিধানসভা অধিবেশন দ্রুত শুরু হবে, ঠিক তার আগেই দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে। রাজ্যের মন্ত্রী গিরিশ মহাজন বলেন মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে আলোচনা করে সর্ব সম্মতিতে দফতর বণ্টন করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট ৩৯ জন মন্ত্রীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

    বিজেপির পক্ষ থেকে কারা কার মন্ত্রী?

    বিজেপির পক্ষ থেকে রাজ্যের (Maharashtra Government) মন্ত্রী হয়েছেন, চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলে রাজস্ব দফতর, রাধাকৃষ্ণ ভিখে পাতিল জল সম্পদ-কৃষ্ণ ও গোদাবরী উপত্যকা উন্নয়ন নিগম দফতর, চন্দ্রকান্ত পাতিল উচ্চ ও কারিগরি শিক্ষা, সংসদীয় বিষয় দফতর, গিরিশ মহাজন জলসম্পদ-বিদর্ভ, তাপি, কোঙ্কন উন্নয়ন নিগম এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রক। অশোক উইকে আদিবাসী উন্নয়ন, আশিস শেলার সাংস্কৃতিক বিষয়ক ও তথ্য প্রযুক্তি, শিবেন্দ্রসিংহ ভোসলেকে গণপূর্ত দেওয়া হয়েছে। জয়কুমার গোরকে গ্রামীণ উন্নয়ন ও পঞ্চায়েতি রাজ, সঞ্জয় সাভকারে টেক্সটাইল, নীতেশ রানে মৎস্য ও বন্দর, আকাশ ফান্ডকারকে শ্রম দফতর দেওয়া হয়েছে।

    শিন্ডের গোষ্ঠী থেকে মন্ত্রী কারা?

    শিবসেনা শিন্ডের গোষ্ঠী থেকে মন্ত্রী (Maharashtra Government) হয়েছেন, গুলাবরাও পাতিল জল সরবরাহ ও স্যানিটেশন, দাদাজি ভুসে স্কুল শিক্ষা, সঞ্জয় রাঠোড় মৃত্তিকা ও জল সংরক্ষণ, উদয় সামন্ত ইন্ডাস্ট্রিজ এবং মারাঠি ভাষা, শম্ভুরাজ দেশাই পর্যটন, খনি, প্রাক্তন সেনা কল্যাণ, সঞ্জয় শিরসাট সামাজিক ন্যায়বিচার, প্রতাপ সারনাইক পরিবহন, ভারত গোগাওয়ালে কর্মসংস্থান গ্যারান্টি, হর্টিকালচার, সল্ট প্যান ল্যান্ডস ডেভেলপমেন্ট; প্রকাশ আবিটকার জনস্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণের দায়িত্ব (Cabinet) দেওয়া হয়েছে।

    অজিত পাওয়ারের এনসিপি গোষ্ঠী থেকে মন্ত্রী কারা?

    অজিত পাওয়ারের এনসিপি গোষ্ঠী থেকে মন্ত্রী (Maharashtra Government) হয়েছেন, সান মুশরিফ চিকিৎসা শিক্ষা, ধনঞ্জয় মুন্ডে খাদ্য ও নাগরিক সরবরাহ এবং ভোক্তা সুরক্ষা, দত্তাত্রে ভরনে স্পোর্টস, যুব কল্যাণ ও সংখ্যালঘু উন্নয়ন এবং ওয়াকফ, অদিতি তাটকরে মহিলা ও শিশু উন্নয়ন, মানিকরাও কোকাটে কৃষি। নরহরি জিরওয়ালকে খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন, বিশেষ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। মকরন্দ পাটিলকে ত্রাণ ও পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে, বাবাসাহেব পাটিলকে সহযোগিতা বরাদ্দ করা হয়েছে। মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) মোট বিধানসভার আসন ২৮৮টি। মহাযুতি জোট জিতেছে ২৩০টি আসনে। অপরে কংগ্রেস ইন্ডিজোট জয়ী হয়েছে মাত্র ৪৬টি আসনে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ED: ‘জ্যোতিপ্রিয় রেশন কেলেঙ্কারির রিং মাস্টার, দুর্নীতির গঙ্গাসাগার’, আদালতে দাবি ইডির

    ED: ‘জ্যোতিপ্রিয় রেশন কেলেঙ্কারির রিং মাস্টার, দুর্নীতির গঙ্গাসাগার’, আদালতে দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একের পর এক নেতা জামিন পেয়েছেন। তিহাড় থেকে ছাড়া পেয়ে নিজের বাড়িতে ফিরেছেন অনুব্রত মণ্ডল। মানিক ভট্টাচার্য, শান্তনু-কুন্তল, জীবনকৃষ্ণ সাহা, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় এখন খোলা আকাশের নীচে। রেশন দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া বাকিবুর রহমানেরও জামিন হয়ে গিয়েছে। তবে অনেক চেষ্টা করেও জেলের বাইরে আসতে পারেননি প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। উলটে শনিবার ছিল জামিন বিষয়ক মামলার শুনানি। সেখানে আদালতে ইডি (ED) অফিসাররা জামিনের বিরোধিতা করে জ্যোতিপ্রিয়কে দুর্নীতির গঙ্গাসাগর বলে উল্লেখ করলেন।

    ইডির আইনজীবী কী বললেন?(ED)

    এদিন ইডির (ED) আইনজীবী আদালতে সওয়াল করে বলেন, “জ্যোতিপ্রিয় (Jyotipriyo Mallick) হলেন দুর্নীতির গঙ্গাসাগর। এই দুর্নীতিকে যদি পাখির মতো ওপর থেকে দেখা যায়, তাহলে দেখা যাবে, গঙ্গাসাগরে যেমন নদীর বিভিন্ন শাখা প্রশাখা এসে মেশে, তেমনই দুর্নীতির একাধিক শাখা গিয়ে মিশেছে মন্ত্রীর কাছে। তদন্ত করতে গিয়ে এই সব দেখা গিয়েছে। এই দুর্নীতি চালনা করেছিলেন জ্যোতিপ্রিয়ই। জামিনএই দুর্নীতি চালনা করেছিলেন জ্যোতিপ্রিয়ই। জামিন পেলে পুরো মামলাটিকে প্রভাবিত করতে পারেন।” এখানেই শেষ নয়, আদালতে ইডির আইনজীবী এও বলেছেন, “বালুই এই রেশন কেলেঙ্কারির রিং মাস্টার। রেশন দুর্নীতি পরিচালনা করছেন তিনি।” কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, তদন্ত করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে যে সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং ভুয়ো সংস্থায় দুর্নীতির টাকা গিয়েছে সব কিছু গিয়েই সেই জ্যোতিপ্রিয়র দিকে ইঙ্গিত করছে। আদালতে বালুকে মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে চিহ্নিত করে ইডির দাবি, সামনে না এসে পিছন থেকে দুর্নীতির সব টাকা নিজের পকেটে পুরেছেন জ্যোতিপ্রিয়।

    আরও পড়ুন: ‘‘ভাষা নিয়ে আরও সংযত হোন’’, মানচিত্র বিতর্কে বাংলাদেশকে সতর্ক করল দিল্লি

    উল্লেখ্য, আদালতে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দর্শিয়ে একাধিকবার রেশন দুর্নীতির জামিনের আবেদন করেছিলেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী। কিন্তু প্রতিবারই বালুর আবেদনে আপত্তি জানিয়ে আদালতে রিপোর্ট পেশ করেছে ইডি (ED)। এর আগে অসুস্থ অবস্থায় দীর্ঘ সময় এসএসকেএম হাসপাতালে কাটিয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর সেই অসুস্থতা নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। পরে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানে আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। তবে এদিন ফের বালুর জামিন মামলা আদালতে উঠতেই ফের বিরোধিতা করলেন ইডি আধিকারিকরা। এতে কি প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর জামিন পাওয়া আরও চাপ হয়ে গেল? তা বলবে সময়ই। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “রামায়ণ-মহাভারত অনুবাদ করতে কত সময় লাগল?” কুয়েতে প্রশ্ন মোদির

    PM Modi: “রামায়ণ-মহাভারত অনুবাদ করতে কত সময় লাগল?” কুয়েতে প্রশ্ন মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামায়ণ-মহাভারতের আরবি অনুবাদকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। শনিবার বিশ্বশ্রুত এই দুই মহাকাব্যের আরবি সংস্করণের প্রকাশকের সঙ্গেও সাক্ষাৎ (Kuwait) করেন তিনি। পরে দুটি বইয়ে স্বাক্ষরও করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের পর উচ্ছ্বসিত কুয়েতের প্রশাসক এবং অনুবাদকও।

    প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন (PM Modi)

    দু’দিনের সফরে কুয়েত গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কুয়েত প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি। দেখা করবেন সে দেশের প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গেও। শনিবার কুয়েতে পা রাখার পর প্রধানমন্ত্রী দেখা করেন রামায়ণ-মহাভারতের আরবি অনুবাদক আবদুল্লা বারন ও প্রকাশক আবদুল্লাতিফ আলনেসেফের সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী তাঁদের জিজ্ঞেস করেন, “রামায়ণ-মহাভারত অনুবাদ করতে কত সময় লেগেছে?” তাঁরা জানান, দু’বছর আট মাস। প্রকাশক বলেন, “আমি খুব খুশি। এটা আমার কাছে সম্মানের। এই দুটো বই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উনি (মোদি) দুটি বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন।” অনুবাদক বলেন, “এই দুটি গ্রন্থের মাধ্যমে আমরা ভারতীয় সংস্কৃতিকে উপলব্ধি করেছি।”

    শতায়ু প্রাক্তন ফরেন সার্ভিসেস অফিসারের সঙ্গে সাক্ষাৎ

    প্রসঙ্গত, রামায়ণ ও মহাভারত আরবি ভাষায় অনুবাদ হওয়ার খবর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) স্বয়ং। এদিকে, এদিন প্রধানমন্ত্রী দেখা করলেন ১০১ বছর বয়সী প্রাক্তন ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিসেস অফিসার মঙ্গল সাঁই হান্ডার সঙ্গে। হান্ডার নাতনি শ্রেয়া জুনেজা সোশ্যাল মিডিয়ায় মোদিকে তাঁর ঠাকুর্দার সঙ্গে দেখা করার অনুরোধ জানান। প্রধানমন্ত্রী তাঁকে কথা দিয়েছিলেন, তিনি কুয়েত পৌঁছেই দেখা করবেন। সেই কথা রাখতেই তিনি গিয়েছিলেন হান্ডার বাড়িতে।

    আরও পড়ুন: সিআইএর ধাঁচে বাংলাদেশে ইসলামিক রেভল্যুশনারি আর্মি গড়ছে আইএসআই!

    এদিন রওনা দেওয়ার আগে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছিলেন, “আজ ও আগামিকাল আমি কুয়েতে থাকব। এই সফর কুয়েতের সঙ্গে ভারতের ঐতিহাসিক সম্পর্ক আরও মজবুত করবে। আমি কুয়েতের আমির, যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের অপেক্ষায় রয়েছি। আজ সন্ধ্যায় আমি ভারতীয়দের সঙ্গে দেখা করব এবং আরবিয়ান গালফ কাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও (Kuwait) যোগ দেব (PM Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Passport: খামে তেহট্টের ঠিকানায় একসঙ্গে ৫৫টি পাসপোর্ট! পোস্ট অফিসের জল গড়াল থানায়

    Passport: খামে তেহট্টের ঠিকানায় একসঙ্গে ৫৫টি পাসপোর্ট! পোস্ট অফিসের জল গড়াল থানায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাল পাসপোর্ট (Passport) নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় চলছে। সীমান্ত এলাকায় পোস্ট অফিসের মাধ্যমে জাল পাসপোর্ট চক্রের হদিশ মিলেছে। ইতিমধ্যেই সমরেশ বিশ্বাস সহ কয়েকজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এই আবহে এবার টিটাগড় পোস্ট অফিসের বাক্সে মিলল খাম খোলা অবস্থায় ৫৫টি পাসপোর্ট। পোস্ট অফিসের কর্মীদের নজরে আসতেই চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জোগাড়।

     ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?(Passport)

    জানা গিয়েছে, টিটাগড় (Titagar) পোস্ট অফিসের বাইরে থাকা বাক্সে কে বা কারা ওই পাসপোর্টগুলি (Passport) একটি খামের মধ্যে রেখে চলে গিয়েছে। পোস্ট অফিসের কর্মীরা সেই খাম নিয়ে এসে দেখেন খামের মুখটি ঠিক মতো করে সিল করা নেই। এরপর সিল করতে গিয়ে একটি পাসপোর্ট বেরিয়ে আসে। খাম খুলতেই বাকি ৫৪টি পাসপোর্ট বেরিয়ে আসে। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পাসপোর্টগুলি জাল না আসল তা তদন্ত সাপেক্ষ। তবে, সব পাসপোর্ট প্রাপকের ঠিকানা নদিয়ার তেহট্ট এলাকা। সেখানকার বিভিন্ন গ্রামের ঠিকানা দেওয়া রয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, পাসপোর্টগুলি সবই পুরানো। ফলে, একসঙ্গে এত পাসপোর্ট কেন পাঠানো হচ্ছিল, এর পিছনে কী উদ্দেশ্য রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিশেষ করে তেহট্ট এলাকায় যাদের নামে পাসপোর্টগুলি রয়েছে, তাদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। কারণ, যেভাবে জাল পাসপোর্ট চক্র রাজ্যজুড়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছে, সেই চক্রের সঙ্গে টিটাগড়ের ঘটনার কোনও যোগ রয়েছে কি না তা পুলিশ খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে। তবে, এই ঘটনার বিষয়ে পোস্ট অফিসের কর্মীরা কেউ মুখ খুলতে চাননি। তাঁরা শুধু জানিয়েছেন, সমস্ত কিছু পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি ওপর মহলে জানানো হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ‘‘ভাষা নিয়ে আরও সংযত হোন’’, মানচিত্র বিতর্কে বাংলাদেশকে সতর্ক করল দিল্লি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 227: “ষড় চক্র ভেদ হলে মায়ার রাজ্য ছাড়িয়ে জীবাত্মা পরমাত্মার সঙ্গে এক হয়ে যায়, এরই নাম ঈশ্বরদর্শন”

    Ramakrishna 227: “ষড় চক্র ভেদ হলে মায়ার রাজ্য ছাড়িয়ে জীবাত্মা পরমাত্মার সঙ্গে এক হয়ে যায়, এরই নাম ঈশ্বরদর্শন”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িমধ্যে

    দশম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১০ই জুন

    বেলঘরের ভক্তসঙ্গে

    বেলঘরে হইতে গোবিন্দ মুখোপাধ্যায় প্রমুখ ভক্তেরা আসিয়াছেন। ঠাকুর (Ramakrishna) যেদিন তাঁহার বাটীতে শুভাগমন করিয়াছিলেন, সেদিন গায়কের “জাগ জাগ জননি” এই গান শুনিয়া সমাধিস্থ হইয়াছিলেন। গোবিন্দ সেই গায়কটিকেও আনিয়াছেন। ঠাকুর গায়ককে দেখিয়া আনন্দিত হইয়াছেন ও বলিতেছেন (Kathamrita), তুমি কিছু গান কর। গায়ক গাইতেছেন:

    ১। দোষ কারু নয় গো মা,
    আমি স্বখাত-সলিলে ডুবে মরি শ্যামা।

    ২। ছুঁসনা রে শমন আমার জাত গিয়েছে।
    যদি বলিস ওরে শমন জাত গেল কিসে,
    কেলে সর্বনাশী আমায় সন্ন্যাসী করেছে।

    রাগিণী-মূলতান 

    ৩। জাগ জাগ জননী
    মূলাধারে নিদ্রাগত কতদিন গত হল কুলকুণ্ডলিনী।
    স্বকার্য সাধনে চল মা শির মধ্যে,
    পরম শিব যথা সহস্রদল পদ্মে,
    করি ষড়চক্র ভেদ ঘুচাও মনের খেদ, চৈতন্যরূপিণি।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—এই গানে ষড় চক্র ভেদের কথা আছে। ঈশ্বর বাহিরেও আছেন, অন্তরেও আছেন। তিনি ভিতরে থেকে মনের নানা অবস্থা করছেন। ষড় চক্র ভেদ হলে মায়ার রাজ্য ছাড়িয়ে জীবাত্মা পরমাত্মার সঙ্গে এক হয়ে যায়। এরই নাম ঈশ্বরদর্শন।

    “মায়া দ্বার ছেড়ে না দিলে ঈশ্বরদর্শন হয় না। রাম, লক্ষ্মণ আর সীতা একসঙ্গে যাচ্ছেন; সকলের আগে রাম, মধ্যে সীতা, পশ্চাতে লক্ষ্মণ। যেমন সীতা মাঝে মাঝে থাকাতে — লক্ষ্মণ রামকে দেখতে পাচ্ছেন না, তেমনি মাঝে মায়া থাকাতে জীব ঈশ্বরকে দর্শন করতে পাচ্ছে না। (মণি মল্লিকের প্রতি) তবে ঈশ্বরের কৃপা হলে মায়া দ্বার ছেড়ে দেন। যেমন দ্বারওয়ানরা বলে, বাবু হুকুম করে দিন—ওকে দ্বার ছেড়ে দিচ্ছি।

    “বেদান্ত মত আর পুরাণ মত। বেদান্তমতে বলে, ‘এই সংসার ধোঁকার টাটি’ অর্থাৎ জগৎ সব ভুল, স্বপ্নবৎ। কিন্তু পুরাণমত বা ভক্তিশাস্ত্রে বলে যে, ঈশ্বরই (Ramakrishna) চতুর্বিংশতি তত্ত্ব হয়ে রয়েছেন। তাঁকে অন্তরে বাহিরে পূজা কর।

    “যতক্ষণ ‘আমি’ বোধ তিনি রেখেছেন ততক্ষণ সবই আছে। আর স্বপ্নবৎ বলবার (Kathamrita) জো নাই। নিচে আগুন জ্বালা আছে, তাই হাঁড়ির ভিতরে ডাল, ভাত, আলু, পটোল সব টগ্‌বগ্‌ করছে। লাফাচ্ছে, আর যেন বলছে, ‘আমি আছি, আমি লাফাচ্ছি।’ শরীরটা যেন হাঁড়ি; মন বুদ্ধি—জল ইন্দ্রিয়ের বিষয়গুলি যেন—ডাল, ভাত, আলু পটোল। অহং যেন তাদের অভিমান, আমি টগ্‌বগ্‌ করছি! আর সচ্চিদানন্দ অগ্নি।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: ‘বিবাহ পবিত্র বন্ধন, টাকা রোজগারের মাধ্যম নয়’, খোরপোশ মামলায় ‘সুপ্রিম’ বার্তা

    Supreme Court: ‘বিবাহ পবিত্র বন্ধন, টাকা রোজগারের মাধ্যম নয়’, খোরপোশ মামলায় ‘সুপ্রিম’ বার্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খোরপোশ মামলায় কড়া বার্তা দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। দেশে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলার ঘটনা বেড়েই চলেছে। বিবাহ বিচ্ছেদের মামলায় খোরপোশ দেওয়া নিয়ে আদালত স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে। সম্প্রতি, বেঙ্গালুরুর আইটি কর্মী অতুল সুভাষের আত্মহত্যার ঘটনায় সুপ্রিম কোর্ট বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য পেশ করেছে বিবাহ বিচ্ছেদকে ঘিরে এবং বিচ্ছেদ-পরবর্তী পর্বে প্রাক্তন স্ত্রীর খোরপোশ দাবিকে কেন্দ্র করে। এমনই একটি বিচ্ছেদের মামলা চলাকালীন শীর্ষ আদালত মন্তব্য করে যে নারী কল্যাণের জন্য নির্মিত আইনের সুযোগ নিয়ে স্বামীর কাছ থেকে তোলাবাজি করা যাবে না। আইন কখনই টাকা লুট, তোলাবাজি কিংবা হেনস্থা করার জন্য তৈরি করা হয়নি।

    কী নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট ?(Supreme Court)

    মূলত একটি বিশেষ মামলার সাপেক্ষে এই পর্যবেক্ষণ জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। সেই মামলায় (Supreme Court) এক মহিলা বিবাহ বিচ্ছেদের পরে তাঁর প্রাক্তন স্বামীর কাছ থেকে ৫০০ কোটি টাকার খোরপোশ দাবি করেন। মহিলা জানিয়েছেন যে তাঁর স্বামীর মার্কিন মুলুকে এবং ভারতে ব্যবসায়িক মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা। আর তিনি নাকি তাঁর আগের স্ত্রীকেও খোরপোশ হিসেবে ৫০০ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। তাই তাঁকে খোরপোশ হিসেবে সমপরিমাণ অর্থ দিতে হবে। কিন্তু শীর্ষ আদালত এই মামলা বিচার বিবেচনা করে জানিয়েছেন যে সেই ব্যক্তিকে মোট ১২ কোটি টাকা খোরপোশ হিসেবে দিতে হবে তাঁর প্রাক্তন স্ত্রীকে। এই প্রসঙ্গেই শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বিভি নাগারত্ন এবং পঙ্কজ মিত্তলের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, বিবাহ হল হিন্দু মতে একটি পবিত্র বন্ধন। এটি কোনও টাকা রোজগারের মাধ্যম নয়। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, খোরপোশের দাবি বিচারের সময় স্বামীর সঙ্গে সঙ্গে স্ত্রীর আয়, তাঁর প্রয়োজনীয়তা, বসবাসের অধিকারের মতো বিষয়গুলিও একইভাবে দেখতে হবে। অনেকে স্বামীর আয়, সম্পত্তি উল্লেখ করে তাঁর সম্পদের সমতুল সম্পদ লাভের জন্য খোরপোশের অঙ্ক স্থির করেন। তা নিয়ে আদালতের গুরুতর আপত্তি আছে। বাড়তি টাকার দাবি মেটাতে স্বামী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করাও গ্রহণযোগ্য হবে না।

    আরও পড়ুন: ‘‘ভাষা নিয়ে আরও সংযত হোন’’, মানচিত্র বিতর্কে বাংলাদেশকে সতর্ক করল দিল্লি

    আদালতের দ্বারস্থ হন মৃত আইটি কর্মীর মা

    কিছুদিন আগেই বেঙ্গালুরুতে নিজের বাড়িতেই আত্মহত্যা করেছেন আইটি কর্মী অতুল সুভাষ। মৃত্যুর আগে ভিডিও বার্তায় এবং সুইসাইড নোটে লিখে গিয়েছিলেন স্ত্রী নিকিতা সিঙ্ঘানিয়া এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের অত্যাচারের কথা, হেনস্থার কথা। ৩ কোটি টাকা বাড়তি চেয়েছিল নিকিতার পরিবার। এছাড়া বিচ্ছেদের পর থেকে মাসে ৪০ হাজার টাকা করে খোরপোশ দিয়ে আসছিলেন অতুল। কিন্তু তারপরেও চলতে থাকে হেনস্থা। বিচার চেয়ে সম্প্রতি অতুল সুভাষের মা শীর্ষ আদালতে (Supreme Court)আবেদন করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share