Tag: Bengali news

Bengali news

  • Arvind kejriwal: আবগারি মামলায় কেজরির বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চালাতে অনুমতি দিল্লির উপ-রাজ্যপালের

    Arvind kejriwal: আবগারি মামলায় কেজরির বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চালাতে অনুমতি দিল্লির উপ-রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবগারি মামলায় (Excise Case) কেজরিওয়ালের (Arvind kejriwal) বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে পারবে ইডি। এবার এই মর্মে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে অনুমতি দিলেন উপ-রাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনা। উল্লেখ্য আগেই দুর্নীতি মামলায় জেল গিয়েছিলেন এই আপ প্রধান নেতা, বর্তমানে শর্তসাপেক্ষে জামিনে রয়েছেন। এদিকে সামনেই দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন, ফলে আসন্ন নির্বাচনের আগে তাঁর যে আরও অস্বস্তি বাড়ল তা রাজনীতির একাংশের মানুষ মনে করছেন।

    বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে (Arvind kejriwal)

    কেজরিওয়ালের মামলায় গত ৬ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশিকা দিয়েছিল তার ভিত্তিত্বে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় (Excise Case) বিচারের অনুমতি চেয়ে দিল্লির উপ-রাজ্যপালের কাছে আবেদন জানিয়েছিল ইডি। গত ৫ ডিসেম্বর সেই আবেদনের পর শনিবার অনুমোদন দিলেন সাক্সেনা। সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, কোনও জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়া আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা যায় না। যদিও আগে ইডির কোনও মামলায় জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের সম্মতির প্রয়োজন হত না। সিবিআই বা রাজ্য পুলিশের ক্ষেত্রে সেই সম্মতি দরকার হতো। সুপ্রিম-নির্দেশের পর ইডির ক্ষেত্রেও একই নিয়ম কার্যকর হয়।

    আরও পড়ুনঃ মোদি নন, তাঁর ‘প্রতিপক্ষ’ ইন্ডি-নেতারাই! অস্তিত্বের সঙ্কট থেকেই কি আগ্রাসী রাহুল?

    দিল্লি বিধানসভার আগে আরও অস্বস্তিতে কেজরিওয়াল

    আবগারি মামালায় ইডির সপ্তম অতিরিক্ত চার্জশিটের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন কেজরিওয়াল (Arvind kejriwal)। নিম্ন আদালতের নির্দেশ খারিজ করার জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি। তাঁর অবশ্য যুক্তি ছিল, জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য আগে থেকে সরকারের অনুমতি নিতে হয়। যা ইডি নেয়নি বলে তাঁর অভিযোগ ছিল। যদিও আবগারি মামলায় গত জুলাই মাসে ২০০ পাতার চার্জশিটে আদালতে জমা দিয়েছিল ইডি। তাতে কেজরিওয়াল এবং দিল্লির শাসকদল আপকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। নিম্ন আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, কেজরিওয়ালের (Excise Case) বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার মতো যথেষ্ট তথ্য চার্জশিটে আছে। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধেই হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিলেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।

    গত ২১ মার্চ তাঁকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। একই মামলায় সিবিআই তাঁকে ২৬ জুন শোন অ্যারেস্ট করে। এই দুই ক্ষেত্রে জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। এরপর জেল থেকে বের হয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন এবং পদে শপথ নেন আতিশী মার্লেনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 22 december 2024: প্রতিযোগিতামূলক কাজে সাফল্যের যোগ এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 22 december 2024: প্রতিযোগিতামূলক কাজে সাফল্যের যোগ এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) ধর্মালোচনায় মন দিতে পারলে শান্তি পাবেন।

    ২) প্রতিবেশীদের সঙ্গে মনোমালিন্য হতে পারে।

    ৩) পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে।

    বৃষ

    ১) সুবক্তা হিসাবে সুনাম পেতে পারেন।

    ২) প্রেমের ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকতে হবে, প্রতারিত হওয়ার যোগ।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    মিথুন

    ১) পড়াশোনার ব্যাপারে ভালো সুযোগ আসতে পারে।

    ২) মা-বাবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় থাকবে।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    কর্কট

    ১) কোনও ভুল কাজ করার জন্য শান্তি পাবেন না।

    ২) সারা দিন ব্যবসা ভালো চললেও পরে জটিলতা আসতে পারে। 

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    সিংহ

    ১) কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন নিয়ে সমস্যার সম্ভাবনা।

    ২) নিজের চিকিৎসায় বহু অর্থ ব্যয় হতে পারে। 

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কন্যা

    ১) কর্মক্ষেত্রে বৈরী মনোভাব ত্যাগ করাই ভালো।

    ২) মামলায় জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

    ৩) দুশ্চিন্তা বাড়বে।

    তুলা

    ১) সংসারে খুব সংযত থাকতে হবে।

    ২) সন্তানদের নিয়ে একটু চিন্তা থাকবে। 

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    বৃশ্চিক

    ১) বাড়তি ব্যবসায় ভালো লাভ হতে পারে।

    ২) নিজের প্রতিভা দেখানোর সুযোগ পাবেন।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    ধনু

    ১) উচ্চপদস্থ কোনও ব্যক্তির অনুগত থাকলে লাভ হতে পারে।

    ২) প্রতিবেশীর ঝামেলায় বেশি কথা না বলাই শ্রেয়।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    মকর

    ১) প্রতিযোগিতামূলক কাজে সাফল্যের যোগ।

    ২) কুচক্রে পড়ে কোনও ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করুন।

    কুম্ভ

    ১) কোনও যন্ত্র খারাপ হওয়ায় প্রচুর খরচ হতে পারে।

    ২) কর্মে অন্যের সাহায্যের প্রয়োজন হতে পারে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    মীন

    ১) ভালো কোনও সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় ক্ষোভ।

    ২) কারও কাছ থেকে বড় কোনও উপকার পেতে পারেন।

    ৩) ভেবেচিন্তে কথা বলুন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISI: সিআইএর ধাঁচে বাংলাদেশে ইসলামিক রেভল্যুশনারি আর্মি গড়ছে আইএসআই!

    ISI: সিআইএর ধাঁচে বাংলাদেশে ইসলামিক রেভল্যুশনারি আর্মি গড়ছে আইএসআই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন দিন জটিল হয়ে উঠছে বাংলাদেশের (Bangladesh) পরিস্থিতি। কারণ বিভিন্ন পক্ষ এই দেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টায় লিপ্ত। বাংলাদেশকে এই ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা আইএসআইয়ের (ISI) কৌশলের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। কারণ এতে তারা শুধু যে একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি স্থাপন করতে পারবে তা নয়, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে হওয়া অপমানের প্রতিশোধও নিতে পারবে কড়ায় গন্ডায়।

    রাষ্ট্রের রাশ কবজা করাই লক্ষ্য (ISI)

    সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে আন্দোলনের জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের প্রধান হন মহম্মদ ইউনূস। আন্তর্জাতিক মহলের একাংশের মতে, এটি একটি সাজানো ছাত্র আন্দোলন। যে আন্দোলনের লক্ষ্যই ছিল হাসিনাকে গদিচ্যুত করে রাষ্ট্রের রাশ কবজা করা। আইএসআইয়ের এই উদ্দশ্যে একশো শতাংশ সফল (ISI)। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, ইউনূস বর্তমানে আইএসআইয়ের হাতের পুতুল। বাংলাদেশে ছাত্রদের এই আন্দোলন নিয়ে সবসময়ই সন্দেহ ছিল। এটি একটি পুরনো কৌশল, যা সিআইএ বহুবার ব্যবহার করেছে। ছাত্রদের দিয়ে সরকার পতনের জন্য এবং পরে কোনও দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য। এখন সিআইএর ইউক্রেন কৌশল বাংলাদেশের জন্য ব্যবহার করেছে আইএসআই। মস্কোপন্থী সরকার পতনের জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল এই কৌশলই।

    ইসলামিক রেভল্যুশনারি আর্মি

    ইসলামিক রেভল্যুশনারি আর্মি নামে একটি নতুন জঙ্গি গোষ্ঠী তৈরি হচ্ছে, যা ইউনূস-সমর্থিত অ্যান্টি-ডিসক্রিমিনেশন স্টুডেন্ট মুভমেন্টের (এডিএসএম) নেতারা পরিচালনা করছে। নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর কাছে এটি একটি বড় উদ্বেগের কারণ। কেননা, এই গোষ্ঠী সশস্ত্র আন্দোলনের ডাক দেয়। অ্যান্টি-ডিসক্রিমিনেশন স্টুডেন্ট মুভমেন্ট একটি ইসলামি বিপ্লবী আন্দোলন শুরুর পরিকল্পনা করছে। পৃষ্ঠপোষকতা (Bangladesh) করছেন জর্জ সরোস, বারাক ওবামা, বিল এবং হিলারি ক্লিনটনের মতো মানুষ। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ইউনূস এঁদের অনুসারী। তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগ রয়েছে ক্লিনটন, ওবামা এবং সরোসের। বাংলাদেশের এই ছাত্র আন্দোলনটি একটি সশস্ত্র সংগ্রামে রূপান্তরিত হওয়া শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতের পক্ষেও উদ্বেগের। কারণ নয়া এই আন্দোলন পাকিস্তানের আইএসআইয়ের মদতপুষ্ট।

    বাংলাদেশে ঘাঁটি গাড়ার প্রস্তুতি

    ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে ঘাঁটি গাড়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে অ্যান্টি-ডিসক্রিমিনেশন স্টুডেন্ট মুভমেন্ট। নয়া সংগঠনে যোগদানের জন্য বহু যুবককে আহ্বানও জানিয়েছে তারা। নয়া এই গোষ্ঠী তৈরি সশস্ত্র আন্দোলনের মাধ্যমে ইসলামি উগ্রপন্থার দিকে এগিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দেয় বই কি! এই গোষ্ঠী গঠিত হলে, অস্থিরতা সৃষ্টি করার কাজে লিপ্ত হতে পারে। যার জেরে এক বিপজ্জনক যুগের সূচনা হতে পারে ভূ-রাজনীতিতে। ইসলামিক বিপ্লবী সেনাবাহিনীর গঠন শেষ হবে এই মাসের শেষের দিকে। এডিএসএমের তরফে আশিকুর রহমান জিম জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে তিন দিনের একটি মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষণ কর্মসূচি হবে। পরে, সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক বাহিনীকে দিয়ে এক মাসের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালিত হবে।

    সিআইএর স্ট্র্যাটেজি

    জানা গিয়েছে, নয়া দলটি সিআইএর স্ট্র্যাটেজি থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েছে। একই ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছিল রাশিয়া-সমর্থিত ইউক্রেন সরকারের অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য। এখানে বিদ্রোহী ছাত্ররা একটি মিলিশিয়া গঠন করেছিল। পরে তাণ্ডব চালিয়ে রাজ্যের পরিকাঠামো ধ্বংস করেছিল। এটি পুলিশ বাহিনী ধ্বংস করার পাশাপাশি ইউক্রেনের রুশভাষী জনগোষ্ঠীকে বিশেষভাবে টার্গেট করেছিল। বাংলাদেশেও আইএসআই একই কাজ করতে চায়। এবং শেষ পর্যন্ত এটিকে পাকিস্তানের মতো একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। এর মাধ্যমে আইএসআই ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের প্রতিশোধ নিতে চায়। তাছাড়া বাংলাদেশ অস্থিতিশীল হলে তা হবে ভারতের নিরাপত্তার পক্ষে দুঃস্বপ্ন স্বরূপ। এর পাশাপাশি, এই ছাত্র মিলিশিয়া বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের টার্গেট করবে। এরাই অত্যাচার করছে হিন্দুদের ওপর।

    প্রশিক্ষণ দেওয়ার দায়িত্ব

    জানা গিয়েছে, আইএসআই স্পেশাল সার্ভিসেস গ্রুপকে (এসএসজি) এই ছাত্রদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে দুবাই এবং কাতারে বৈঠকও করেছে তারা। এই এসএসজি অতীতে হিজবুল-উত-তাহরিরের মতো জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এই মিলিশিয়া একা কাজ করবে না। আপাতত এর ভূমিকা বাংলাদেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। আর এসএসজি-প্রশিক্ষিত জঙ্গি গোষ্ঠী হিজব-উত-তাহরির ভারতে হামলা চালাবে। এজন্য সম্প্রতি এসএসজি ৩০০ জন জঙ্গিকে প্রশিক্ষণও দিয়েছে (ISI)।

    আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে ধৃত দুই জঙ্গি মণিরুল-আব্বাস কী কাজ করত? চালচলন নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ

    ইউনূস সরকারের কারণে পাকিস্তানের কাজ সহজ হয়ে গিয়েছে। জঙ্গিদের প্রতিটি দাবিই মেনে নিয়েছে ইউনূস সরকার। বাংলাদেশের জলসীমা উন্মুক্ত করার ফলে পাকিস্তান সমুদ্রপথে অবাধ প্রবেশাধিকার পেয়েছে। ইতিমধ্যেই অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং মাদক পাচারে ব্যবহৃতও হচ্ছে। সমুদ্রপথটি ব্যবহৃত হচ্ছে লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গিদের বাংলাদেশে পাঠানোর কাজে। তার জেরেই অশান্তির স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। যা ক্রমেই মাথাব্যথার (ISI) কারণ হয়ে উঠছে ভারতের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
     
  • Robin Uthappa: পিএফের টাকা আত্মসাৎ! প্রাক্তন ক্রিকেটার রবিন উথাপ্পার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

    Robin Uthappa: পিএফের টাকা আত্মসাৎ! প্রাক্তন ক্রিকেটার রবিন উথাপ্পার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন ভারতীয় তথা প্রাক্তন কেকেআর ক্রিকেটার (Former Cricketer) রবিন উথাপ্পার (Robin Uthappa) বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হল। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিজের সংস্থার কর্মীদের বেতন থেকে টাকা কাটলেও কর্মচারী ভবিষ্যনিধি তহবিলে (এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড) জমা দেননি। বিষয়টি জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    কত টাকার প্রতারাণার অভিযোগ? (Robin Uthappa)

    জানা গিয়েছে, উথাপ্পার (Robin Uthappa) একটি পোশাক তৈরির সংস্থা রয়েছে। সেই সংস্থার বিরুদ্ধে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডে তহবিলে টাকা জমা না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বকেয়ার পরিমাণ ২৩ লক্ষ ৩৬ হাজার ৬০২ টাকা। সংস্থার ডিরেক্টর হিসেবে ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে বকেয়া টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উথাপ্পাকে। না হলে তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে। গত ৪ ডিসেম্বর উথাপ্পার বিরুদ্ধে গ্রফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আঞ্চলিক পিএফ কমিশনার সদাক্ষরী গোপাল রেড্ডি। তিনি জানিয়েছেন, উথাপ্পার সংস্থার বিপুল অর্থ বকেয়া থাকায় সংস্থার কর্মীদের তহবিলের হিসেবের কাজ আটকে রয়েছে। যা গ্রাহণযোগ্য নয়।

    আরও পড়ুন: ‘‘ভাষা নিয়ে আরও সংযত হোন’’, মানচিত্র বিতর্কে বাংলাদেশকে সতর্ক করল দিল্লি

    কোথায় রয়েছেন উথাপ্পা?

    পিএফ কমিশনার রেড্ডি কর্নাটকের পুলকেশিনগরের পুলিশকে উথাপ্পার (Robin Uthappa) বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট পদক্ষেপ করার অনুরোধ করেন। তবে, গত ৪ ডিসেম্বরের পরোয়ানাটি পুলিশ পিএফ কমিশনারকে ফেরত দিয়েছেন। কারণ, উথাপ্পাকে পুলকেশিনগরের বাড়িতে পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, প্রাক্তন ভারতীয় তথা প্রাক্তন কেকেআর ক্রিকেটার বর্তমানে সপরিবার দুবাইয়ে বসবাস করেন। বছরের অধিকাংশ সময় তিনি সেখানেই থাকেন। জানা গিয়েছে, দেশের হয়ে ৪৬টি এক দিনের ম্যাচ এবং ১৩টি টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন উথাপ্পা। ২০১৪ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত কলকাত নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলেছেন আইপিএল। রাজস্থান রয়্যালস, চেন্নাই সুপার কিংস, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু এবং পুণে ওয়ারিয়র্স ইন্ডিয়ার হয়েও আইপিএল খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে প্রাক্তন মিডল অর্ডার ব্যাটারের। ৩৯ বছরের প্রাক্তন ক্রিকেটারের কোনও প্রতিক্রিয়া এ ব্যাপারে পাওয়া যায়নি। কর্মীদের বেতন থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ কেটে নেওয়া পরও কেন তা সময় মতো কর্মচারী ভবিষ্যনিধি তহবিলে জমা করা হয়নি, তারও কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি তাঁর সংস্থার তরফে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sambhal: সম্ভলের পাঁচটি মন্দির ও ১৯টি কূপ পরিদর্শন করল এএসআই, তালিকায় রয়েছে শিব-হনুমান মন্দিরও

    Sambhal: সম্ভলের পাঁচটি মন্দির ও ১৯টি কূপ পরিদর্শন করল এএসআই, তালিকায় রয়েছে শিব-হনুমান মন্দিরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে (Sambhal) আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে পাঁচটি মন্দির এবং ১৯টি কূপ পরিদর্শন করা হয়েছে। তার মধ্যে মুসলিম এলাকায় মাটির নিচে পুঁতে রাখা শিব-হনুমান মন্দিরও ছিল। প্রসঙ্গত, এই মন্দির উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছিল এক অদ্ভূত ভাবে। এলাকায় ব্যাপক ভাবে বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগ আসছিল। পুলিশ চুরি ঠেকাতে অভিযানে নামলে উদ্ধার হয় এই শিব-হনুমান (Shiva-Hanuman temple) মূর্তি। মন্দিরের জায়গাকে অবৈধ ভাবে দখল করে নেয় স্থানীয় দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল ফেলে দিয়েছিল দেশজুড়ে।

    লাগাতার ৮-১০ ঘণ্টা ধরে পরিদর্শনের কাজ (Sambhal)

    সম্ভল জেলার জেলা শাসক রাজেন্দর পেনসিয়া বলেন, “আমরা লাগাতার ৮-১০ ঘণ্টা ধরে এক একটি তীর্থস্থান বা মন্দিরে সমীক্ষা করেছি। মোট ২৪টি এলাকায় এই সমীক্ষা এবং জরিপের কাজ চলেছে। এই তালিকায় রয়েছে ভদ্রক আশ্রম, স্বর্গদীপ, চক্রপানি এবং প্রাচীন শ্মশান মন্দির। একইভাবে এএসআই দলটি ১৯টি প্রাচীন কূপের অবস্থান এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব সম্পর্কে বিশদ ভাবে গবেষণা করেছে। যে মন্দিরটিকে খোলা হয়েছে সেই মন্দিরটিকেও জরিপ করা হয়। সমস্ত রিপোর্ট ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের কাছে জমা করা হবে। তবে এই পরিদর্শন বা সমীক্ষায় সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার ছিল না।”

    আরও পড়ুনঃ মুর্শিদাবাদে ধৃত দুই জঙ্গি মণিরুল-আব্বাস কী কাজ করত? চালচলন নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ

    ১৭৭৮ সাল থেকে বন্ধ থাকা মন্দিরটি

    উল্লেখ্য, গত ১৪ ডিসেম্বর সম্ভলের (Sambhal) মুসলিম এলাকা থেকে পুলিশ এবং জেলা প্রশাসন একটি দখলকৃত শিব-হনুমানের (Shiva-Hanuman temple) মন্দির উদ্ধার করে। এরপর গত ২০ ডিসেম্বর সকালে ওই মন্দির চত্বর পরিমার্জন করে পুজো, আরাধনা, আরতি করা হয়। এই মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের তফশিলি জাতি এবং তফশিলি উপজাতি কমিশনের প্রাক্তন সদস্য এবং বিজেপি নেত্রী গীতা প্রধান। তিনি বলেন, “আমরা খুব খুশি। মাননীয় যোগীজির প্রচেষ্টায় প্রশাসনের সহযোগিতায় একটি প্রাচীন মন্দির পুনঃআবিষ্কৃত হয়েছে। মন্দিরের বাইরে অনেক মূর্তি স্থাপন করা হয়েছিল, যার সবগুলি ভেঙে ফেলা হয়েছিল এবং মন্দিরের জমিতে বাড়ি তৈরি করা হয়েছিল। যখন পুলিশ প্রশাসন বিদ্যুৎ চুরির তদন্ত করতে এসেছিল, তারা প্রাচীন মন্দিরটি খুঁজে পেয়েছিল। আজ হিন্দু সম্প্রদায় খুব খুশি।” ১৯৭৮ সাল থেকে বন্ধ থাকা মন্দিরটি প্রশাসনের চেষ্টায় ১৪ ডিসেম্বর পুনরায় খুলে দেওয়া হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi: মোদি নন, তাঁর ‘প্রতিপক্ষ’ ইন্ডি-নেতারাই! অস্তিত্বের সঙ্কট থেকেই কি আগ্রাসী রাহুল?

    Rahul Gandhi: মোদি নন, তাঁর ‘প্রতিপক্ষ’ ইন্ডি-নেতারাই! অস্তিত্বের সঙ্কট থেকেই কি আগ্রাসী রাহুল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অম্বেডকর ইস্যুতে উত্তাল লোকসভা। হইচই যিনি বাঁধাচ্ছেন, তিনি কংগ্রেসের (Congress) প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। সম্প্রতি সংসদে মারামারিকাণ্ডে নাম জড়িয়েছে তাঁর। তাঁরই আঘাতে বিজেপির দুই সাংসদ জখম হয়েছেন বলে অভিযোগ। সংসদে আগ্রাসী ভূমিকায় দেখা গিয়েছে তাঁকে। আপাতত দেশের কোনও অঙ্গরাজ্যে নির্বাচন নেই। লোকসভার নির্বাচন তো হয়েছে এই বছরেই।

    আগ্রাসী আচরণের কারণ (Rahul Gandhi)

    তাই রাহুলের এহেন আগ্রাসী আচরণের কারণ কী? তাঁর লক্ষ্য কী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিকল্প হয়ে ওঠা? সে গুড়ে বালি! কারণ সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায়ই ধরা পড়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তুঙ্গ জনপ্রিয়তার কথা। তাঁর স্লোগান, তাঁরা বাগ্মীতা, তাঁর বাচনভঙ্গী সব মিলিয়ে মোদি একজন আদর্শ মানুষ। ধারে এবং ভারে কোনওভাবেই রাহুল তাঁর তুল্য নন! তাহলে কী কারণে হঠাৎই এত আগ্রাসী হয়ে উঠলেন রাহুল? সদ্য সমাপ্ত মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনেও জয় পায়নি কংগ্রেস কিংবা ইন্ডি জোট। জয় বলতে ওয়েনাড় লোকসভা কেন্দ্রে বোন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার জয়। কিন্তু তাতে তো লাফালাফি করার জন্য যে বাড়তি অক্সিজেনের প্রয়োজন, তা মেলে না! তাহলে হঠাৎই কেন এত আগ্রাসী হয়ে উঠলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি?

    ‘ইন্ডি’ জোটের অন্দরে

    রাজনীতির কারবারিদের মতে, এর উত্তর লুকিয়ে রয়েছে বিরোধী জোটের অন্দরেই। বিজেপিকে রুখতে লোকসভা নির্বাচনের আগে জোট বাঁধে বিজেপি বিরোধী ২৮টি রাজনৈতিক দল। জোটের নাম দেওয়া হয়েছিল ইন্ডি। মোদি ম্যাজিকে সেই জোট বিশেষ ট্যাঁ-ফোঁ করতে পারেনি লোকসভা নির্বাচনে। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির আসন কিছু কমেছে, তবে তার পরেও নিশ্চিন্তে রাজ করছে বিজেপিই এবং নেতৃত্বে সেই মোদিই। ওই নির্বাচনে কংগ্রেস পেয়েছে শ’খানেক আসন। ইন্ডি জোটের অন্য দলগুলি পেয়েছে এর চেয়েও কম আসন। তার মানে এই নয় যে, কংগ্রেসের নেতৃত্ব মানতে হবে। বরং রাহুল ভোট ক্যাচার না হওয়ায় ইন্ডি জোটের অন্দরেই মাথা তুলেছেন একাধিক নেতা। তাঁদের কেউ প্রকাশ্যে, কেউ বা আবডালে প্রশ্ন তুলছেন রাহুলের নেতৃত্ব নিয়েই। সহজ কথায়, বর্তমানে ইন্ডি জোটের মধ্যেই রাহুলের একাধিক ‘প্রতিপক্ষ’ তৈরি। 

    আরও পড়ুন: ‘মোদি ম্যাজিকে ভর করেই মহারাষ্ট্র-হরিয়ানায় বাজিমাত বিজেপির’, বলছে সমীক্ষা

    মমতা-অখিলেশ

    লোকসভা নির্বাচনের আগেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামীরা চেয়েছিলেন মমতাকে প্রধানমন্ত্রী মুখ করে নির্বাচনে লড়ুক ইন্ডি জোট (Rahul Gandhi)। নিতান্তই একটি আঞ্চলিক দলের নেত্রী হওয়ায় পানি পায়নি মমতা দলের নেতানেত্রীদের সেই দাবি। যার জেরে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরুর আগে আগে যে দুটো বৈঠক ডেকেছিল ইন্ডি জোট, তাতে উপস্থিত ছিলেন না তৃণমূলের কোনও প্রতিনিধি। কেবল মমতাই নন, সমাজবাদী পার্টির অখিলেশই বা কীসে কম যান?  তিনি এক সময় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। রাজ্য চালানোর অভিজ্ঞতা তাঁর রয়েছে (রাহুলের সেটাও নেই)। কংগ্রেসের (Congress) সভাপতি পদে বসেও, তিনি কিস্যু করতে পারেননি। বাধ্য হয়ে ব্যর্থতার কলঙ্ক মুছতে সভাপতি পদে ইস্তফা দেন রাহুল।

    লড়াইয়ের ময়দানে কেজরি-পাওয়ারও

    ইন্ডি জোটে রয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টিও। কেজরিওয়ালের শিক্ষাগত যোগ্যতা কিংবা রাজনীতির অভিজ্ঞতা, কোনও দিক থেকেই আপ সুপ্রিমোর সঙ্গে এঁটে উঠতে পারবেন না রাহুল (Rahul Gandhi)। অর্থাৎ, ইন্ডি জোটে প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার তিনিও। কেজরিওয়ালের দল ক্ষমতায় রয়েছে দেশের দুটি অঙ্গরাজ্যে – দিল্লি এবং পঞ্জাবে। সেখানে তৃণমূল রয়েছে কেবল পশ্চিমঙ্গে। সেদিক থেকে দেখলে প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার হিসেবে মমতার চেয়েও এগিয়ে কেজরিওয়াল। অবশ্য একটা সূক্ষ্ম পার্থক্য আছে। সেটা হল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরোদস্তুর রাজনীতির লোক। আর কেজরিওয়াল ছিলেন শিক্ষাবিদদের সারিতে, পরে এসেছেন রাজনীতিতে। তবে রাজনীতিতে তাঁর অভিজ্ঞতাও খুব কম নয়। যে কারণে কেজরিওয়ালও বিশেষ পাত্তা দেন না রাহুলকে, বলা ভালো ইন্ডি জোটকে। ইন্ডি জোটে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দাবি রাখেন এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারও। দীর্ঘদিনের পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ। প্রবীণ। লোকসভা নির্বাচনের আগে তাঁর সমর্থকরাও ধুয়ো তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মুখ করা হোক তাঁকে। তবে তাঁর দাবিও বিশেষ পাত্তা পায়নি ইন্ডি জোটে। 

    মাথা তোলাটা তাঁর দায়!

    রাজনৈতিক মহলের (Congress) মতে, এই প্রধানমন্ত্রীর দাবিদারের ভিড়ে যে কোনও সময়ই হারিয়ে যেতে পারেন রাহুল (Rahul Gandhi)। তিনি ভালো মতোই টের পাচ্ছেন যে, ইন্ডি জোটে তাঁর আধিপত্য শেষ হচ্ছে। পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে। এখন, অস্তিত্বের জানান দিতে তাই মাথা তোলাটা তাঁর দায়। তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যতের সিংহভাগই নির্ভর করছে ইন্ডি জোটের বাকি মাথাদের ছাপিয়ে উঠতে তিনি পারেন কিনা, তার ওপর! সেই কারণেই ইদানিং আগ্রাসী হয়ে উঠছেন রাহুল। এত মরিয়া হয়ে উঠেছেন তিনি। তাঁর লক্ষ্য, মোদি নন, তাঁর প্রধান লক্ষ্য ইন্ডি জোটের বাকিদের ছাপিয়ে নেতা হওয়া। সেই কারণেই লোকসভায় আগ্রাসী হয়েছেন তিনি। সেই কারণেই মারপিট করে ‘হিরো’ হওয়ার চেষ্টা করছেন রাহুল। তিনি কী পারবেন ‘আসলি হিরো’ হতে? কোটি টাকার এই প্রশ্নের (Congress) উত্তর দেবে সময় (Rahul Gandhi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।          

  • Pushpa 2: বক্স অফিসে দাপিয়ে রাজত্ব করছে ‘পুষ্পা ২ – দ্য রুল’, ভারতে আয় পৌঁছল ১০০০ কোটিতে

    Pushpa 2: বক্স অফিসে দাপিয়ে রাজত্ব করছে ‘পুষ্পা ২ – দ্য রুল’, ভারতে আয় পৌঁছল ১০০০ কোটিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যতদিন যাচ্ছে বক্স অফিসে নতুন নতুন রেকর্ড তৈরি করছে ‘পুষ্পা ২ – দ্য় রুল’ (Pushpa-2) সিনেমা। প্রেক্ষাগৃহে ধুন্ধুমার আয় করেই চলেছে অল্লু অর্জুনের ছবি। এই ছবি দেখার জন্য সিনেমা হলে প্রতিদিন দর্শকরা ভিড় করছেন। আর মাত্র দুসপ্তাহের মধ্যেই ভারতে এই ছবি ছুঁয়ে ফেলেছে ১০০০ কোটি টাকার অঙ্ক। বলা যেতে পারে, ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে ‘পুষ্পা ২’ সিনেমা রেকর্ড গড়ার পথে। ‘বাহুবলী-২’, ‘কেজিএফ-২’, ‘স্ত্রী-২’, ‘জওয়ান’, ‘পাঠান’-এর মতোই হল থেকে মুক্তির প্রথম ১৫ দিনে রেকর্ড আয় করেছে এই সিনেমা। বক্স অফিসে পুষ্পা-২ দুসপ্তাহ ধরে দাপিয়ে রাজত্ব করে চলেছে। অন্যান্য হিন্দি সিনেমার একের পর এক রেকর্ড ভেঙে দিচ্ছে।

    হিন্দিতে কিছু শীর্ষ-আয়কারী সিনেমার তালিকা (Pushpa-2)

    জানা গিয়েছে, প্রথম সপ্তাহেই ছবির (Pushpa-2) হিন্দি সংস্করণের নেট আয় পৌঁছয় ৪৩৩.৫০ কোটি টাকায়। দ্বিতীয় সপ্তাহের আয় দাঁড়ায় ১৯৯ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে মোট আয় হয় ৬৩২.৫০ কোটি টাকা। এটা শুধু হিন্দি ভাষায়। সব ভাষার আয় ধরলে, ১৬ দিনে ভারতে ‘পুষ্পা ২ – দ্য় রুল’-এর ঝুলিতে এসে গিয়েছে ১০০৪ কোটি টাকা৷ হিন্দিতে শীর্ষ-আয়কারী সিনেমাগুলির মধ্যে ‘স্ত্রী-২’ – (৫৯৭.৯৯ কোটি টাকা), ‘জওয়ান’- (৫৮২.৩১ কোটি টাকা), ‘পাঠান’ (৫২৪.২৪ কোটি টাকা), ‘বাহুবলী-২ দ্য কনক্লুশন’ – (৫১০ কোটি টাকা), ‘কেজিএফ-২’ – (৪৩৫.৩৩ কোটি টাকা) এবং ‘অ্যানিমেল’ (৫০২.৯৮ কোটি টাকা) অন্যতম।

    আরও পড়ুন: ‘‘ভাষা নিয়ে আরও সংযত হোন’’, মানচিত্র বিতর্কে বাংলাদেশকে সতর্ক করল দিল্লি

    সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্রের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে

    জানা গিয়েছে, ‘পুষ্পা ২ – দ্য় রুল’ সিনেমা (Pushpa-2) বিশ্বব্যাপী ভারতের সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্রের তালিকায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করার লক্ষ্যে রয়েছে। আমির খানের দঙ্গল এখনও প্রথম স্থানে রয়েছে। দঙ্গল সিনেমা বিশ্বব্যাপী ২০০০ কোটি টাকা আয় করেছে। আর পুষ্পা-২ এই কয়েকদিনে ছবিটি ইতিমধ্যেই বিশ্বব্যাপী ১৫০০ কোটি টাকা আয় করেছে। ২০২১ সালের হিট ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’-এর একটি সিক্যুয়াল সিনেমা হচ্ছে ‘পুষ্পা ২ – দ্য় রুল’। পুষ্পা সিনেমার জন্য অল্লু অর্জুন সেরা অভিনেতা হওয়ার জাতীয় পুরস্কার জিতেছেন। এই কৃতিত্ব অর্জনকারী প্রথম তেলুগু অভিনেতা তিনি। ছবিটি দর্শকদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hampi: হাম্পিতে এএসআই খনন কার্যে উদ্ধার পঞ্চদশ শতাব্দীর পান সুপারির বাজারের অবশেষ

    Hampi: হাম্পিতে এএসআই খনন কার্যে উদ্ধার পঞ্চদশ শতাব্দীর পান সুপারির বাজারের অবশেষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাম্পিতে (Hampi) আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে খনন কার্য চালিয়ে বিজয়নগর সাম্রাজ্যের অতি সমৃদ্ধ প্রাচীন পান সুপারির বাজারের নিদর্শন উদ্ধার করা হয়েছে। ফলে দক্ষিণ ভারতীয় এই সাম্রাজ্য যে কতটা সমৃদ্ধশালী ছিল এবং বাণিজ্যকেন্দ্রের অন্যতম পীঠস্থান ছিল, তার কথা আরও সুস্পষ্ট ভাবে জানা গেল বলে মনে করছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। সেখানে উদ্ধার হয়েছে একাধিক বেশ মূল্যবান ধাতুও।

    এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে চলে খনন (Hampi)

    জানা গিয়েছে, ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের আধিকারিকরা কর্নাটকের বর্তমান বিজয়নগর (Vijayanagara) জেলার হাম্পিতে (Hampi) হাজারা রাম মন্দির এবং শ্রুঙ্গারাদা হেব্বাগিলু প্রবেশদ্বারে মধ্যে স্থিত সুপ্রাচীন পান সুপারি বাজারের এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে খনন কার্য চালিয়েছে। প্রত্নতত্ত্ববিদদের মতে, একটি বড় দোকানের রাস্তা ছিল এই জায়গায়। এই রাস্তা বেশ জমজমাট ছিল। নানা ব্যবসায়ীদের যাতায়াত ছিল এই পথে। সেই সঙ্গে আরও মনে করা হচ্ছে যে, এখানে সোনা, রূপা-সহ নানা মূল্যবান ধাতুর কেনাবেচা চলত।

    আনুমানিক ১৫ শতক সময়ের উপাদান

    গত ১০ দিন ধরে খনন কাজের ফলে প্রত্নতাত্ত্বিকরা পোড়া মাটি, চিনা মাটির নানা বাসন-সহ উপাদান উদ্ধার করেছেন। একই সঙ্গে পোড়া মাটির নানা পুঁতি, মুদ্রা, তামা, ব্রোঞ্জের দ্রব্যও পাওয়া গিয়েছে। গবেষকরা মনে করছেন, আনুমানিক পঞ্চদশ শতক সময়ের উপাদান এই সব বস্তুগুলি। হাম্পির (Hampi) এএসআই সার্কেলের কার্যনির্বাহী প্রত্নতত্ত্ববিদ নিখিল দাস বলেন, “বিজয়নগরের (Vijayanagara) বেশির ভাগ খনন কাজ চলছে জেলার দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে। এখানকার স্থাপত্য শিলালিপি এবং বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণ কাহিনীর উপর নির্ভর করে দেখা গিয়েছে এখানে একটি সুপ্রকিল্পিত সুন্দর বাজার ছিল। পেদ্দা অঙ্গদি বিধি এলাকায় মূল্যবান ধাতুর ব্যবসা চলত। এই বাজার পান সুপারির বাজার নামেও পরিচিত ছিল।”

    আরও পড়ুনঃ মমতার জন্যই বছরে ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি কলকাতা মেট্রোয়, থমকে বহু রেল প্রকল্পও, সংসদে অশ্বিনী

    ৬৫০ বর্গ মিটার জায়গায় এই বাজার ছিল

    তবে উল্লেখ্য এই স্থানে (Hampi) এটাই প্রথম খননকার্য নয়। ১৯৮৫ সালে এএসআই হাম্পির রামমন্দিরের সামনে একটি ১৫০ বর্গমিটার জায়গা খনন শুরু করেছিল। এখানে বাদাম জাতীয় পণ্যের বাণিজ্য করার উপাদান পাওয়া গিয়েছে। তবে অর্থের অভাবে সাময়িক ভাবে খনন কার্যবন্ধ রাখা হয়েছিল। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকার খননের জন্য ৭ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ করেছে। এখন ১০ বাই ১০ মিটার একটি গর্ত খনন করা হয়েছে। মোট ৬৫০ বর্গ মিটার জায়গায় এই বাজার বিস্তৃত বলে জানা গিয়েছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদে ধৃত দুই জঙ্গি মণিরুল-আব্বাস কী কাজ করত? চালচলন নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদে ধৃত দুই জঙ্গি মণিরুল-আব্বাস কী কাজ করত? চালচলন নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের অশান্তির আবহেই বাংলায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে এসটিএফ। মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) থেকে গ্রেফতার করা হয় মণিরুল শেখ, মহম্মদ আব্বাস আলি নামে দুই জঙ্গিকে। এই দুজনকে ঘিরেই এখন বাড়ছে সন্দেহ। তাদের চালচলন, কারবার খুব একটা সুবিধের ছিল না বলেই মনে করছেন গোয়েন্দারা। বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লা বাংলা টিমের সঙ্গে তাদের যোগ পাওয়া গিয়েছে। আর এবার একে একে সামনে আসছে তাদের কার্যকলাপের কথা।

    পেঁয়াজের বীজের ব্যবসার আড়ালে জঙ্গি কার্যকলাপ! (Murshidabad)

    তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা (Murshidabad) জানতে পেরেছেন, ধৃত মণিরুল প্রায়ই অসম যেত। সে অসম থেকে পেঁয়াজের বীজ নিয়ে আসত। সেগুলো এলাকার কৃষকদের দিত। কিন্তু সেই ব্যবসার আড়ালেই যে কী চলত, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। অনুমান করা হচ্ছে, সামনে পেঁয়াজের কারবার বলে মনে হলেও আদতে তার পিছনে ছিল অন্য গল্প। অসম থেকে প্রায়ই লোক আসত মণিরুলের বাড়িতে। অসম থেকে ধৃত নূর ইসলাম ও মুজিবুর রহমানের আনাগোনা ছিল মুর্শিদাবাদে। আব্বাসের সহযোগী মণিরুল এলাকায় পাম্প সারাইয়ের কাজের পাশাপাশি পেঁয়াজের বীজের ব্যবসা করত। আরও জানা গিয়েছে, মণিরুল ও আব্বাসের মধ্যে একটা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছিল। সেখানে তাদের বিভিন্ন নির্দেশ দেওয়া হত। মাস দুয়েক আগে বাংলাদেশ থেকে স্লিপার সেলের এক সদস্য মুর্শিদাবাদে এসেছিল বলেও অনুমান করা হচ্ছে। সুতির সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতের প্রবেশ করেছিল তারা। তাদের কাছে বৈধ কোনও নথি ছিল না। সুতি এলাকায় তাদের বৈঠক হয়েছে। তিন দিন ছিল বাংলাদেশের ওই স্লিপার সেল।

    আরও পড়ুন: হিন্দুদের ওপর আক্রমণ চলছেই বাংলাদেশে, ফের তিন মন্দিরে হামলা, ভাঙা হল ৮ মূর্তি

    মাদ্রাসায় ভাষণ-বই বিলি করত আব্বাস

    মণিরুলের (Militant) পাশাপাশি গ্রেফতার হওয়া আব্বাসের (Murshidabad) কার্যকলাপও ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের। সামাজিক মাধ্যম বা মাদ্রাসার মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ভাষণ দিত। বই বিলি করত। প্রশ্ন উঠছে, আব্বাস কি তবে সাধারণ মানুষকে এই জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা করত? এই জেলাতেই কি মডিউল বানানোর ছক কষছিল আব্বাস? ধৃত মণিরুলের সঙ্গে আব্বাসের যোগাযোগ হয় ও মাদ্রাসার শিক্ষার মধ্যে দিয়ে। মণিরুল তার ছেলেকে আব্বাসের মাদ্রাসায় ভর্তি করেছিল। আব্বাস হরিহরপাড়ার পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকায় তার নিজস্ব লিঙ্ক তৈরি করেছিল বলে অনুমান গোয়েন্দাদের। লিঙ্কম্যান হিসেবে জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখা আব্বাসের কার্যকলাপ ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের। যে বইগুলি উদ্ধার হয়েছে সেগুলি জঙ্গির কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত। ফলে মাদ্রাসায় কী শিক্ষা দেওয়া হত? সেটাই এখন ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের। এই আব্বাস আলি এর আগে নারী পাচার চক্রেও জড়িত ছিল। এই এলাকাতেই জাল সিমের একটি চক্র চলছিল বলেও অভিযোগ। এখানকার সিম পাকিস্তানে ব্যবহৃত হত, এমন তথ্যও উঠে এসেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rail Project: মমতার জন্যই বছরে ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি কলকাতা মেট্রোয়, থমকে বহু রেল প্রকল্পও, সংসদে অশ্বিনী

    Rail Project: মমতার জন্যই বছরে ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি কলকাতা মেট্রোয়, থমকে বহু রেল প্রকল্পও, সংসদে অশ্বিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা সরকারের দোষেই প্রতি বছর ৫০০ কোটি টাকার লোকসান হচ্ছে কলকাতা মেট্রোতে (Rail Project)। সরকারের উদাসীনতার কারণেই একাধিক মেট্রো প্রকল্প লোকসানের শিকার হচ্ছে। রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ সমীক ভট্টাচার্যের প্রশ্নের উত্তরে উত্তর দিয়েছেন রেলমন্ত্রী। সেই সঙ্গে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw) জানিয়েছেন, রাজ্যে একাধিক রেল প্রকল্পের কাজও থমকে রয়েছে। জমি অধিগ্রহণ না করার জন্য অনেক প্রজেক্টের কাজ বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। এই পরিসংখ্যান দিয়ে মমতা সরকারের গাফিলতির কথা তুলে ধরেছেন রেল মন্ত্রী। উল্লেখ্য আগেও কেন্দ্রীয় প্রকল্পের একাধিক জনমুখী সুবিধা পৌঁছে দিতে টালবাহানার অভিযোগের কথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন।

    রাজ্য সরকার কোনও ইতিবাচক ভূমিকা নেয়নি (Rail Project)

    রেলের (Rail Project) তরফ থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw) সংসদে লিখিত প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “২০২১ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তথ্যে দেখা গিয়েছে, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে কলকাতা মেট্রোর আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৪৮৭.৩৭ কোটি, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে সেই ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪২৪.২৪ কোটি, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৬৫.১১ কোটি টাকা। ক্ষতির কারণ হল রাজ্য সরকারের কেন্দ্রীয় প্রকল্পের প্রতি উদাসীনতা। অশ্বিনী জানান, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো করিডরে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে তেঘরিয়া পর্যন্ত লাইনে কাজের ক্ষেত্রে হলদিরাম (তেঘরিয়া) পর্যন্ত ব্যয় ৫০:৫০ অনুপাতে রাজ্যের সঙ্গে ভাগ করা হবে বলে প্রস্তাব দিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু তাতে রাজ্য সরকার কোনও সায় দেয়নি।”

    জমি জটে আটকে নোয়াপাড়া-বারাসত মেট্রো

    মেট্রো (Rail Project) প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী আরও বলেন, “নিউ গড়িয়া থেকে দমদম এয়ারপোর্ট লাইনে ৩২ কিমি মোট রাস্তায় ৯.৮ কিমি লাইনের কাজ হলেও ২২.২ কিমি কাজ অত্যন্ত বিলম্বিত হচ্ছে। কাজের গতিতে ধীর, তার কারণ হল ট্র্যাফিক অন্যত্র সরানোর জন্য কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি রাজ্য সরকার। একই চিত্র দেখা গিয়েছে জোকা থেকে বিবাদী বাগ পর্যন্ত ১৪ কিমি রাস্তার কাজেও। সব জায়গায় জমি জট একটি বড় সমস্যা। যেমন-নোয়াপাড়া থেকে বারাসত পর্যন্ত মোট রাস্তা হবে ১৮ কিমি। এখানেও ১৫.১৬ কিমি রাস্তার কাজে দেরি হচ্ছে। এর মধ্যে মাইকেল নগর থেকে বারাসত পর্যন্ত ৮.১২ কিমি রাস্তা জমি জটের জন্য থমকে রয়েছে। অপর দিকে কলকাতা পুরসভা থেকে দেওয়া জলের পাইপলাইন রাজ্য সরকার অন্যত্র সরাতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য বরানগর থেকে বারাকপুর লাইনে কাজে দেরি হচ্ছে। ফলে রাজ্য সরকার কোনও রকম ভাবে কাজের অগ্রগতির জন্য ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। তাতেই লোকসানের পরিমাণ বাড়ছে দিন দিন।”

    মমতার আমল থেকে তিনগুণ বাজেট বৃদ্ধি হয়েছে

    রেল প্রকল্পে (Rail Project) ক্ষতি প্রসঙ্গে অশ্বিনী বৈষ্ণব আরও বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন সেই সময় ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ইউপিএ ২ সরকারের সময়ের তুলনায় ২০২৪-২৫ চলতি বছরে পশ্চিমবঙ্গের জন্য রেলের প্রকল্পে তিনগুণ বাজেটে অর্থ বরাদ্ধ করা হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে রেল প্রকল্পের বাজেট ছিল প্রতিবছর ৪৩৮০ কোটি টাকা। এখন এনডিএ জোট সরকার শুধুমাত্র ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে বাজেট বরাদ্ধ হয়েছে ১৩,৯৪১ কোটি টাকা।”

    আরও পড়ুনঃ ‘চিকেন্স নেক’ কবজা করে ভারতে নাশকতার ছক ছিল বাংলাদেশি জঙ্গিদের! জেরায় মিলল তথ্য

    নবদ্বীপ ঘাট-নবদ্বীপ ধাম নিউ লাইনের কাজ বন্ধ

    নবদ্বীপ ঘাট-নবদ্বীপ ধাম নিউ লাইন (Rail Project) প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী বলেন, “বাংলায় রেল প্রকল্পের জন্য মোট জমির প্রয়োজন ৩০৪০ হেক্টর। তার মধ্যে জমি অধিগৃহীত হয়েছে ৬৪০ হেক্টর। মোট প্রয়োজনের মাত্র ২১ শতাংশ হাতে এসেছে। এখনও ২৪০০ হেক্টর বা ৭৯ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ করতে পারেনি রাজ্য সরকার। নবদ্বীপ ঘাট-নবদ্বীপ ধাম নিউ লাইনের মোট ১০৬.৮৬ হেক্টর জমি দরকার, কিন্তু এখনও প্রায় ১০৬.৬৯ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ বাকি রয়েছে। পাশাপাশি চন্দনেশ্বর-জলেশ্বর নিউ লাইনে মোট জমি প্রয়োজন ১৫৮ হেক্টর। ১ ছটাক জমিও এখনও অধিগ্রহণ করতে পারনি মমতা সরকার।”

    বালুরঘাট-হিলি রেল প্রকল্প আটকে

    বালুরঘাট-হিলি রেল প্রকল্পের (Rail Project) কথা তুলে ধরে অশ্বিনী বৈষ্ণব আরও বলেন, “অপর দিকে নৈহাটি-রানাঘাট থার্ড লাইনে মোট জমির প্রয়োজন ৮৭.৮৩ হেক্টর। অধিগ্রহণ হয়েছে মাত্র ০.০৯ হেক্টর। যার মধ্যে ৮৭.৭৪ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ বাকি রয়েছে। আবার বালুরঘাট-হিলি নিউ লাইনে মোট জমির প্রয়োজন ১৫৬.৩৮ হেক্টর। অধিগ্রহণ হয়েছে ৬৭.৩৮ হেক্টর। এখনও ৮৮ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ প্রয়োজন। একই ভাবে সাঁইথিয়া এবং সীতারামপুরে বাইপাসে মোট জমির প্রয়োজন ২২.২৮ হেক্টর। অধিগ্রহণ হয়েছে ২.২২ হেক্টর। ২২.০৬ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ এখনও বাকি। ফলে রাজ্যের রেল প্রকল্পগুলিও বিরাট মাত্রায় ঝুলে রয়েছে। রাজ্য সরকারের কোনও মাথা ব্যাথা নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share