Tag: Bengali news

Bengali news

  • Parliament Monsoon Session: কেন আগেই মুলতুবি হয়ে গেল সংসদের অধিবেশন? জানুন আসল কারণ

    Parliament Monsoon Session: কেন আগেই মুলতুবি হয়ে গেল সংসদের অধিবেশন? জানুন আসল কারণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদের বাদল অধিবেশন (Monsoon Session) শেষ হওয়ার কথা ছিল ১২ অগাস্ট। যদিও সোমবার বিকেলেই তা মুলতুবি হয়ে যায়। যার অর্থ নির্ধারিত সময়ের চারদিন আগেই মুলতুবি হয়ে যায় সংসদের বাদল অধিবেশন। যা নিয়ে শাসক ও বিরোধী পক্ষে শুরু হয়েছে ট্যুইট যুদ্ধ। এনিয়ে সাতবার নির্ধারিত সময়ের আগেই মুলতুবি হয়ে গেল সংসদের উভয় কক্ষ লোকসভা (Lok Sabha) ও রাজ্যসভার (Rajya Sabha) অধিবেশন। আসুন, জেনে নেওয়া যাক ঠিক কী কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই মুলতুবি করে দেওয়া হল বাদল অধিবেশন।

    সরকারি সূত্রে খবর, চলতি সপ্তাহে দুদিন সরকারি ছুটি। একটি মহরমের জন্য, অন্যটি রাখিবন্ধনের। এই দুই অনুষ্ঠান পালন করতে সিংহভাগ সাংসদ নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে উৎসবে অংশ নিতে চাইছিলেন। তাই বাদল অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়া হয়েছে নির্ধারিত সময়ের চারদিন আগেই। চলতি বাদল অধিবেশেন শুরু হয়েছিল ১৮ জুলাই। চলার কথা ছিল ১২ অগাস্ট পর্যন্ত। চারদিন আগেই সংসদ মুলতুবি হয়ে যাওয়ায় সরকার ও বিরোধী পক্ষে শুরু হয়েছে ট্যুইট যুদ্ধ। 

    আরও পড়ুন :তৃণমূল ‘উদ্ধত’, ডেরেককে তোপ প্রহ্লাদ জোশীর

    অন্য একটি সূত্রে খবর, চলতি অধিবেশনে যেসব পরিষদীয় বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল, তার সিংহভাগই হয়ে গিয়েছিল। তাই উৎসবে যোগ দেওয়ার যে অনুরোধ করেছিলেন সাংসদরা, সেই অনুরোধ রাখতেই নির্ধারিত সময়ের আগেই মুলতুবি করে দেওয়া হয়েছে সংসদ।

    জানা গিয়েছে, চলতি অধিবেশনে মূল্যবৃদ্ধি ইস্যুতে সংসদে বিশৃঙ্খলা এবং তার জেরে ২৩ সাংসদকে সাসপেন্ড করা ও অধীর চৌধুরীর রাষ্ট্রপতিকে ‘রাষ্ট্রপত্নী’ সম্বোধন দুয়ের জেরে বারবার মুলতুবি হয়েছে সংসদের অধিবেশন। সব মিলিয়ে রাজ্যসভার অধিবেশন বন্ধ ছিল ৩৫ ঘণ্টা এবং লোকসভার অধিবেশন স্থগিত ছিল ৪৪ ঘণ্টা ২৯ মিনিট। সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীকে ইডির জেরা নিয়েও হইচই হয়েছে সংসদে। যার জেরে মুলতুবি হয়েছে সংসদ। রাজ্যসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু জানান, হট্টগোলের জেরে ক্ষতি হয়েছে ৪৭ ঘণ্টারও বেশি। জানা গিয়েছে, বাদল অধিবেশনে সংসদের উভয় কক্ষে পাঁচটি বিল পাশ হয়েছে। লোকসভায় পাশ হয়েছে সাতটি বিল। আর রাজ্যসভায় পাশ হয়েছে চারটি বিল।

    আরও পড়ুন :সংসদ চত্বরে প্ল্যাকার্ড বহন ও বিক্ষোভ! বাদল অধিবেশনে সাসপেন্ড চার কংগ্রেস সাংসদ

  • Kerala MLA Controversy: ‘আজাদ কাশ্মীর’ মন্তব্যে বিতর্কে সিপিএম বিধায়ক, পদত্যাগের দাবি বিজেপির

    Kerala MLA Controversy: ‘আজাদ কাশ্মীর’ মন্তব্যে বিতর্কে সিপিএম বিধায়ক, পদত্যাগের দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে (POK) আজাদ কাশ্মীর (Azad Kashmir) বলে বিতর্কে জড়িয়েছেন কেরলের সিপিএম (Kerala CPM) নেতা কেটি জলিল (KT Jaleel)। এবার তাঁকে তীব্র আক্রমণ শানালেন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ভি মুরলিধরণ (V Muraleedharan)। জলিলের ওই মন্তব্য বিশ্বাসঘাতকতার চেয়ে কোনও অংশে কম নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। মুরলিধরণ জলিলের পদত্যাগও দাবি করেন।

    সম্প্রতি নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে কেরলের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিপিএম নেতা জলিল লেখেন, কাশ্মীর মোটেই উজ্জ্বল নয়। উপত্যকার সর্বত্রই ভারতীয় সেনা। পুলিশ কর্মীরাও কাঁধে বন্দুক নিয়ে ঘোরেন। সেনাবাহিনীর পোশাকের রং-ই এখন কাশ্মীরের রং হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রত্যেক একশো মিটারে তাদের দেখতে পাওয়া যায়। কাশ্মীরিদের দেখলে মনে হয় তাঁরা হাসতে ভুলে গিয়েছেন। এর পরেই সংবিধানের ৩৭০ ধারার উল্লেখ করে জলিল বলেন, মোদির এই সিদ্ধান্তে উপত্যকাবাসী মোটেই খুশি নন। তিনি লিখেছেন, পাকিস্তান সংলগ্ন কাশ্মীরের অংশটি আজাদ কাশ্মীর হিসেবেই পরিচিত।

    আরও পড়ুন :ফের রক্তাক্ত কাশ্মীর! জঙ্গিদের গুলিতে খুন বিহারের পরিযায়ী শ্রমিক

    জলিলের এই সোশ্যাল মিডিয়া-মন্তব্যে হইচই শুরু হতেই নড়েচড়ে বসেন বিধায়ক। রাতারাতি ফেসবুক পোস্টটি এডিট করে নেন তিনি। আজাদ কাশ্মীর শব্দটি বদলে লেখেন পাক অধিকৃত কাশ্মীর শব্দটি। ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিজেপি। পদ্ম শিবিরের অভিযোগ, প্রথমে মুসলিম লিগ ও পরে দলবদলে সিপিএমে যোগ দিয়েছেন জলিল। তাই তিনি যে পাকিস্তানের পক্ষেই কথা বলবেন, সেটাই স্বাভাবিক।

    এদিন জলিলকে নিশানা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুরলিধরণ। তাঁর মতে, জলিলের ওই মন্তব্য বিশ্বাসঘাতকতার চেয়ে কোনও অংশে কম নয়। জলিলের পদত্যাগও দাবি করেন মুরলিধরণ। তিনি বলেন, কেরলের একজন বিধায়ক কাশ্মীর, যেটা ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ তার একাংশ যেটা পাকিস্তান দখল করে রেখেছে, তাকে আজাদ কাশ্মীর বলছেন। এটা বিশ্বাসঘাতকতার শামিল। এটা জাতীয়তাবিরোধী মন্তব্য। বিজেপির কেরল রাজ্য সভাপতি কে সুরেনদ্রন বলেন, কেরলের এই সিপিএম নেতা আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে অপমান করেছেন। কাশ্মীর যে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ, উপেক্ষা করেছেন তাও। তিনি বিশ্বাসঘাতক।

    সম্প্রতি আরএসএসের অনুষ্ঠানে গিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন সিপিএম নেত্রী বীণা ফিলিপ। এবার ফের একবার দলের মুখ পোড়ালেন বিধায়ক জলিল। ঘটনার জেরে বেজায় অস্বস্তিতে কেরল সিপিএম।

    আরও পড়ুন : পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই! জানুন কী বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী

  • 5G Services: ভারতে ফাইভ জি পরিষেবা কবে চালু হবে জানেন? কী বললেন মন্ত্রী?

    5G Services: ভারতে ফাইভ জি পরিষেবা কবে চালু হবে জানেন? কী বললেন মন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ হয়ে গিয়েছে নিলাম প্রক্রিয়া। ভারতে ফাইভ জি পরিষেবা (5G Services) লঞ্চ হবে অক্টোবরের মধ্যেই। প্রথম ধাপে দেশের ১৩টি শহরে চালু হবে এই পরিষেবা। তবে কোন শহরে কতটা পরিষেবা মিলবে, তা ঠিক হয়ে যাবে চলতি মাসেই। কেন্দ্রীয় যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwani Vaishnaw) বলেন, নিলাম প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে। ১০ অগাস্টের মধ্যে সমস্ত প্রক্রিয়াও শেষ হয়ে যাবে। স্পেকট্রাম বরাদ্দও হয়ে যাবে।

    ফাইভ জি স্পেকট্রামের (Spectrum) সব চেয়ে বেশি বরাত পেয়েছে মুকেশ আম্বানির সংস্থা রিলায়েন্স জিও। এ খবরও জানিয়েছিলেন বৈষ্ণব। জানা গিয়েছে, ফাইভ জি স্পেকট্রামের ৮৮ হাজার ৭৮ কোটি টাকার বরাত পেয়েছে মুকেশের সংস্থা। এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, অক্টোবরের মধ্যেই বোধহয় দেশে চালু হয়ে যাবে ফাইভ জি পরিষেবা। ফাইভ জি স্পেকট্রাম নিলাম দেশে টেলিকম শিল্পের ফাইভ জির দিকে অগ্রগতিরই ইঙ্গিত দেয়। ফাইভ জি লাগু হলে দেশে টেলিকম পরিষেবার ব্যাপক উন্নতি হবে বলেও জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। জানা গিয়েছে, দেশের যে ১৩টি শহরে ফাইভ জি পরিষেবা প্রথম ধাপে চালু হবে সেগুলি হল আহমেদাবাদ, বেঙ্গালুরু, চণ্ডীগড়, চেন্নাই, দিল্লি, গান্ধীনগর, গুরগাঁও, হায়দরাবাদ, জামনগর, কলকাতা, লক্ষ্ণৌ, মুম্বই এবং পুণে।

    আরও পড়ুন : ৫-জি-এর অপেক্ষা শেষ, আজই শুরু স্পেকট্রাম নিলামের প্রক্রিয়া

    টেলিকম মন্ত্রক জানিয়েছে, নিলামের প্রথম দিনেই নিলামে দর ওঠে ১.৪৫ লক্ষ কোটি টাকা। সোমবার ৪০ রাউন্ড নিলামের পর স্পেকট্রাম বণ্টনের প্রক্রিয়া শেষ হয়। সরকার জানিয়েছে, দেড় লক্ষ কোটি টাকার স্পেকট্রাম বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে মুকেশের সংস্থা কিনেছে বিভিন্ন ব্যান্ডের ৭০০ মেগাহার্টজের স্পেকট্রাম। এই স্পেকট্রামের সাহায্যে ছয় থেকে দশ কিলোমিটার পর্যন্ত সিগন্যাল পাওয়া যাবে। গৌতম আদানির সংস্থা কিনেছে ২৬ গিগাহার্টজ ব্যান্ডের স্পেকট্রাম। প্রসঙ্গত, আগে থ্রি-জিতে কোনও কিছু ডাউনলোড করতে গেলে যেখানে দু ঘণ্টা সময় লাগত, ফোর জি-তে সেখানে সময় লাগে ৪০ মিনিট। ফাইভ জি চালু হয়ে গেলে এই সময়টাই কমে দাঁড়াবে মাত্র ৩৫ সেকেন্ড।

    আরও পড়ুন : স্পেকট্রাম নিলামের অনুমতি মন্ত্রিসভার, ভারতে আসছে ৫জি?

  • SSC Scam: পার্থ-অর্পিতার পর এবার কাকে জেরা করতে চলেছে ইডি, জানেন?

    SSC Scam: পার্থ-অর্পিতার পর এবার কাকে জেরা করতে চলেছে ইডি, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থ-অর্পিতার পর এবার অর্পিতার গাড়ি চালক প্রণব ভট্টাচার্যকে (Pranab Bhattacharya) জেরা করতে চলেছে ইডি (ED)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রেই এ খবর মিলেছে। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) সঙ্গে সঙ্গে ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjees) গাড়ি চালাতেন এই প্রণব। ইডির দাবি, প্রণবকে জেরা করলেই মিলতে পারে বিস্ফোরক তথ্য।

    এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Recruitment Scam) তদন্ত করতে গিয়ে ইডি গ্রেফতার করেছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫০ কোটিরও বেশি টাকা এবং সোনা। ঘটনাটিকে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন পার্থ। টাকা এবং সোনা উদ্ধারের ঘটনার প্রেক্ষিতে মন্ত্রিত্ব খোয়াতে হয়েছে পার্থকে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁকে। অর্পিতার ফ্ল্যাটে পাওয়া টাকা কার, তা জানেন না বলেই দাবি করেছেন পার্থ। অর্পিতারও দাবি, টাকা তাঁর নয়। ইডি সূত্রে খবর, সমস্ত সম্ভাব্য সূত্র থেকে তথ্য জোগাড় করতে চাইছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সেই মতো প্রণবকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে তারা। কারণ ২২ জুলাই অর্পিতার ডায়মন্ড সিটির ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালানোর সময় সেখানে হাজির ছিলেন তাঁর গাড়ি চালক প্রণবও।

    আরও পড়ুন : তৃণমূলের হয়ে প্রচার অর্পিতার, প্রকাশ্যে ছবি, এর পরেও অস্বীকার করবে শাসক দল?

    এদিকে, অর্পিতা ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন প্রণব। তাঁর জুলাই মাসের বেতন এখনও বকেয়া। কবে পাবেন, তা জানেন না। এমতাবস্থায় সংসার চালাতে যেন-তেন প্রকারে তিনি চাইছেন নতুন একটা কাজ জোটাতে। প্রণব স্বীকার করেছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের রেফারেন্সেরই অর্পিতার গাড়ি চালানোর কাজ পেয়েছিলেন তিনি। অর্পিতার গাড়ি চালক এও জানিয়েছেন, স্থানীয় এক নেতাকে ধরে তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে গিয়েছিলেন। তার পরেই মেলে অর্পিতার গাড়ির ড্রাইভারির চাকরি। চলতি বছরের জানুয়ারিতেই ওই চাকরি পান তিনি। প্রণব জানান, অর্পিতার আরও অনেক গাড়িচালক ছিলেন। তবে তিনি যখন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে যেতেন, তখন চালক হিসেবে তাঁকেই সঙ্গে নিতেন। অর্পিতার গাড়ি চালকদের মধ্যে ছিলেন তাঁর বোনের স্বামী কল্যাণ ধরও। তবে বেরনোর সময় তাঁকে সঙ্গে নিতেন না অর্পিতা।

    আরও পড়ুন : মালিক-মালকিন ইডি জালে, সারমেয় বন্দি ‘চিলতে’ ফ্ল্যাটে!

  • Niti Aayog Meet: নীতি আয়োগের বৈঠকে হাজির মমতা, কিছু না বলেই ধরলেন কলকাতার উড়ান

    Niti Aayog Meet: নীতি আয়োগের বৈঠকে হাজির মমতা, কিছু না বলেই ধরলেন কলকাতার উড়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বে হয়ে গেল নীতি আয়োগের সপ্তম গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠক (Niti Aayog Meet)। রবিবার সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি (Rastrahpati) ভবনের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে হয় এই বৈঠক। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে করোনা অতিমারির (Covid-19) পর এই প্রথম সশরীরে বৈঠক হল নীতি আয়োগের পরিচালন সমিতির।

    দেশের আর্থিক যোজনা সমূহের প্রতি লক্ষ্য রেখে ও রাজ্যের আয়ের উপায় খুঁজতে গঠন করা হয় এই আয়োগ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং এই আয়োগ পরিচালনা করেন। ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি নীতি আয়োগ গঠিত হয়। প্রথম বৈঠক হয় ওই বছরেরই ৮ ফেব্রুয়ারি। আয়োগের আধিকারিকরা সর্বজনীনভাবে প্রকাশ করেন নীতি আয়োগের যোজনা সমূহ।

    করোনা অতিমারির পর এই প্রথম সশরীরে বৈঠক হলেও, এদিন হাজির ছিলেন না বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। নীতি আয়োগের এই বৈঠকে যে যোগ দেবেন না, তা আগেই ঘোষণা করেছিলেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বৈষম্যমূলক আচরণের প্রতিবাদেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এ বিষয়ে একটি চিঠিও লিখেছিলেন তিনি। চন্দ্রশেখর রাওয়ের সিদ্ধান্তকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দেয় নীতি আয়োগ। বিবৃতি জারি করে তারা জানায়, ৭ অগাস্ট নীতি আয়োগের গভর্নিং কাউন্সিলরের বৈঠক বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। এই সিদ্ধান্ত দুর্ভাগ্যজনক।

    আরও পড়ুন : কৃষক-পুত্র জগদীপ ধনখড়কে শুভেচ্ছা নরেন্দ্র মোদি সহ অন্যান্য নেতা-নেত্রীদের

    নীতীশ কুমার এবং চন্দ্রশেখর রাও বৈঠকে যোগ না দিলেও, এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান সহ অন্যরা। সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি ভবনের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে আয়োজিত এই বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয়গুলি ছিল শস্য বৈচিত্র্য, তৈলবীজ, ডাল এবং কৃষিক্ষেত্রে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন, জাতীয় শিক্ষানীতির বাস্তবায়ন এবং নগর প্রশাসন। জানা গিয়েছে, বৈঠকে রাজ্যগুলির মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে আর কী কী করা যায়, সে বিষয়েও আলোচনা হয় এদিন।

    এদিকে, এদিন এই বৈঠক নিয়ে কোনও মন্তব্য না করেই কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাজ্যের পাওনা গন্ডা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা। পরের দিন রাষ্ট্রপতি ভবনে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব উদযাপন কমিটির বৈঠকে দেন মমতা। এদিন যোগ দেন নীতি আয়োগের বৈঠকে। তার পরেই ধরেন কলকাতার উড়ান।

  • China US Conflict: ন্যান্সির তাইওয়ান সফরের জের, আমেরিকার সঙ্গে কথা বন্ধ চিনের

    China US Conflict: ন্যান্সির তাইওয়ান সফরের জের, আমেরিকার সঙ্গে কথা বন্ধ চিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাইওয়ান (Taiwan) সফর করেছেন মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি (Nancy Pelosi)। তার পরেই চিনের (China) সঙ্গে আমেরিকার (America) সম্পর্ক দাঁড়িয়েছে আক্ষরিক অর্থেই তলানিতে। ঘটনার জেরে তাইওয়ানের গা ঘেঁষে সামরিক মহড়া (Military Drill ) চালায় চিন। এবার আমেরিকার সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন, মাদক বিরোধী প্রচেষ্টা, সামরিক আলোচনা সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা স্থগিত করার কথা ঘোষণা করল চিন। পেলোসির তাইওয়ান সফর আমেরিকা ও চিন দু দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের ওপরও প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা আন্তর্জাতিক মহলের।   

    মঙ্গলবার রাতে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দলের সদস্যরা আসেন এশিয়া সফরে। সেই সূত্রেই তাঁরা আসেন তাইওয়ানে। ন্যান্সির সফরসূচিতে তাইওয়ানের নাম ছিল না। তবে তিনি যে তাইওয়ান যেতে পারেন, তা একপ্রকার ঠিকই ছিল। তা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনে কথা হয় চিনা প্রেসিডেন্টের। তখনই জিন পিং তাঁকে এই বলে সতর্ক করে দেন যে, যাঁরা আগুন নিয়ে খেলবেন, তাঁরা ধ্বংস হয়ে যাবেন। চুপ করে থাকেননি বাইডেনও। তিনিও জানিয়ে দেন, তাইওয়ান নিয়ে আমেরিকার নীতিতে কোনও পরিবর্তন হয়নি।

    তাইওয়ান সফর সেরে ন্যান্সি যান জাপানে। তার আগেই সামরিক মহড়া শুরু করে দেয় চিন। তাইওয়ান প্রণালী বন্ধ করে সামরির মহড়া চালাতে শুরু করেছে শি জিন পিংয়ের সরকার। চিনের সাবমেরিন তাইওয়ানের জলসীমায় প্রবেশ করেছে বলে জানানো হয়েছে তাইওয়ানের তরফে। চিনের শতাধিক যুদ্ধ বিমান তাইওয়ানের আকাশসীমায় সামরিক মহড়া চালায়। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, সামরিক মহড়ায় চিন মোট নটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। এর মধ্যে চারটি গিয়েছে তাইওয়ানের ওপর দিয়ে। চিন চারদিনের সামরিক মহড়ার কথা ঘোষণা করেছে। এই মহড়াগুলি চলবে তাইওয়ানের নির্দিষ্ট ছটি জোনে। পেলোসির তাইপেই সফরের প্রতিক্রিয়ায় এই মহড়া বলেই জানিয়ে শি জিন পিংয়ের দেশ। চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার দুপুর পর্যন্ত এই সামরিক মহড়া চলবে। প্রসঙ্গত, চিনের দাবি, তাইওয়ান তাদের। যদিও তাইপেই মনে করে তাইওয়ান স্বাধীন রাষ্ট্র। তাইওয়ানকে স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্বের মাত্র ১৩টি দেশ।

    আরও পড়ুন : তাইওয়ানে পা রাখলেন ন্যান্সি, সমরসজ্জা শুরু চিন আমেরিকার?

     

  • Nirmala Sitharamam: ট্যুইটে ডেরেকের জবাব দিলেন অর্থমন্ত্রী, কী বললেন তৃণমূল সংসদকে?

    Nirmala Sitharamam: ট্যুইটে ডেরেকের জবাব দিলেন অর্থমন্ত্রী, কী বললেন তৃণমূল সংসদকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনের (Derek O’ Brien) দাবি রাজ্যসভায় তৃণমূলের তোলা সব প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ (Nirmala Sitharamam)। সরাসরি কিছু না বলে ট্যুইটারে তার জবাব দিলেন অর্থমন্ত্রী।  ট্যুইটবার্তায় তিনি জানিয়ে দেন, জিএসটি (GST) এবং মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে তিনি যখন কথা বলতে গিয়েছিলেন, তখন ওয়াক আউট করেছিলেন তৃণমূল সাংসদরা। ট্যুইট বার্তায় সীতারামণ লেখেন, এমনকী আপনাদের অনুপস্থিতিতে আমি সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। সেস, এলপিজি, জিএসটি এবং বিশেষত ভারতীয় মুদ্রার বিষয়ে। সংসদ টিভির একটি লিংক এমবেড করে অর্থমন্ত্রী লেখেন, দয়া করে এটা দেখে নিন।

    এর আগে মাইক্রোব্লগ সাইটে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ট্যাগ করে তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সেখানে দেখান কীভাবে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ উচ্চ কক্ষে মূল্যবৃদ্ধি ও জিএসটি বিতর্কে উত্তর দিয়েছেন। একটি ভিডিও শেয়ার করে তিনি লেখেন, আমরা নির্দিষ্ট ছটি প্রশ্ন তুলেছিলাম। তিনি সব প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন। সংসদে তাঁর কোনও দায়িত্ব নেই। হতে পারে ট্যুইটারে আমার ভাগ্য সহায় হয়েছে।

    আরও পড়ুন : তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদে রাস্তায় নামল বিজেপি

    সংসদে বাদল অধিবেশন শুরু হয়েছে ১৮ জুলাই। তার পর থেকেই মূল্যবৃদ্ধি, জিএসটি সহ নানা ইস্যুতে বিরোধীদের বিক্ষোভের জেরে বারবার ব্যাহত হয়েছে সংসদের কাজ। সংসদে অসংসদীয় আচরণের কারণে রাজ্যসভার ২০ জন ও লোকসভার চারজন সদস্যকে সাসপেন্ডও করা হয়েছে। যাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে তৃণমূলেরও কয়েকজন ছিলেন। ঘটনার প্রতিবাদে বিরোধীরা সংসদ চত্বরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ৫০ ঘণ্টার জন্য ধর্নায়ও বসেছিলেন।

    আরও পড়ুন : ৫০ ঘণ্টার ধর্নায় সাসপেন্ডেড সাংসদরা, বিরোধী বৈঠকে গরহাজির আপ, তৃণমূল

     

  • Arpita Mukherjee: তৃণমূলের হয়ে প্রচার অর্পিতার, প্রকাশ্যে ছবি, এর পরেও অস্বীকার করবে শাসক দল?

    Arpita Mukherjee: তৃণমূলের হয়ে প্রচার অর্পিতার, প্রকাশ্যে ছবি, এর পরেও অস্বীকার করবে শাসক দল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিপদে পড়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। সংকটে তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ও (Arpita Mukherjee)। পার্থের পাশাপাশি এবার অর্পিতার সঙ্গেও দূরত্ব তৈরি করতে শুরু করল তৃণমূল (TMC)। রাজ্যের শাসক দলের দাবি, অর্পিতার সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্কই নেই। 

    এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Recruitment Scam) কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেউটের সন্ধান পেয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫০ কোটিরও বেশি টাকা। ঘটনাটিকে ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেছিলেন পার্থ। টাকা উদ্ধারের ঘটনার প্রেক্ষিতে মন্ত্রিত্ব খোয়াতে হয়েছে পার্থকে। তদন্ত শেষ না হওয়া ইস্তক তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে তৃণমূল থেকে। যা আদতে বহিষ্কারেরই শামিল। কারণ তদন্ত করে শেষ হবে তা কেউ জানে না। অর্পিতার ফ্ল্যাটে পাওয়া টাকা কার, তা জানেন না বলেই দাবি করেছেন পার্থ। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর দাবি, আমার কোনও টাকা নেই। ইডির বাজেয়াপ্ত করা টাকা যে তাঁর নয়, তাও জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। অর্পিতার জন্য যে জোড়াফুল শিবিরের ভাবমূর্তি কলঙ্কিত হয়েছে, তা বেশ ভালোই বুঝতে পারছেন তৃণমূল নেতারা। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই শুরু হয়েছে অর্পিতার সঙ্গে দূরত্ব রচনার প্রয়াস।

    আরও পড়ুন : এবার ইডি-র নজরে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে থাকা পার্থ-অর্পিতার একাধিক জমি?

    সম্প্রতি তৃণমূলের একটি কর্মসূচির ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া পার্থের সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করেছেন অর্পিতা। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে পার্থ-অর্পিতার সঙ্গে ওই সমাবেশে ভাষণ দিয়েছিলেন তৃণমূলের অন্য নেতানেত্রীরাও। সংবাদ মাধ্যমে এই ছবি প্রকাশ্যে এলেও, অর্পিতার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই বলেই দাবি করেছে তৃণমূল। ২২ জুলাই তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ দাবি করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ষড়যন্ত্রের শিকার। অর্পিতার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্কও অস্বীকার করেন তিনি। ইডি সূত্রের খবর, তাঁর ফ্ল্যাট থেকে টাকা এবং সোনা উদ্ধারের পর অর্পিতা তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের জানিয়েছিলেন ওই টাকা এবং সোনা পার্থের। তবে দল তাঁকে সাসপেন্ড করায় তিনি যে যারপরনাই অখুশি, তা গোপন করেননি তৃণমূলের সাসপেন্ডেড মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন : ঘরে টাকা থাকলেও তা ছোঁয়ার অধিকার ছিল না! জানুন ইডির জেরায় কী বললেন অর্পিতা

  • ED: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইয়ং ইন্ডিয়ার অফিস সিল করল ইডি 

    ED: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইয়ং ইন্ডিয়ার অফিস সিল করল ইডি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case) আরও সক্রিয় হল ইডি (ED)। সিল করে দেওয়া হল ইয়ং ইন্ডিয়ার (Young India) অফিস। বুধবার বিকেল থেকে কংগ্রেসের (Congress) সদর দফতর ২৪ আকবর রোড এবং ১০ নম্বর জনপথে সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) বাড়ির সামনেও মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল বাহিনী।

    বুধবার বিকেলে ইডি আধিকারিকরা ন্যাশনাল হেরাল্ড অফিসে যান। তার পরেই খবর ছড়িয়ে পড়ে বেআইনি অর্থ তছরুপের অভিযোগে ন্যাশনাল হেরাল্ডের পুরো অফিসটাই সিল করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পরে ইডির তরফে জানানো হয়, ন্যাশনাল হেরাল্ডের পুরো দফতর সিল করা হয়নি। ওই বিল্ডিংয়ে ইয়ং ইন্ডিয়ার যে দফতর ছিল সেটা সাময়িকভাবে সিল করা হয়েছে। গত দুদিন ধরে তল্লাশির সময় ইয়ং ইন্ডিয়ার দফতরে সংস্থার পদস্থ কর্তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। সেই কারণেই চালানো হয়নি তল্লাশিও। তাই সিল করা হয়েছে অফিস। ইডি সূত্রে খবর, ইয়ং ইন্ডিয়ার আধিকারিক মল্লিকার্জুন খাড়গেকে তলব করা হয়েছে। তিনি এসে গেলেই তল্লাশি চালানো হবে এবং খুলে দেওয়া হবে সিল। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি পক্ষ হল ইয়ং ইন্ডিয়া। ইডির অভিযোগ, এই ইয়ং ইন্ডিয়ার মাধ্যমেই বেআইনিভাবে ন্যাশনাল হেরাল্ডের সম্পত্তি দখল করেছেন রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধীরা। এই সংস্থার বেশিরভাগের অংশীদার রাহুল।

    আরও পড়ুন : ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ১২ জায়গায় হানা ইডি-র

    এদিকে, অফিস সিল করে দেওয়ার পর ইয়ং ইন্ডিয়ার অফিসের বাইরে লটকে দেওয়া হয় একটি নোটিশ। তাতে লেখা ইডির আগাম অনুমতি ছাড়া এটা খোলা যাবে না। ইডির এক আধিকারিক বলেন, কেবলমাত্র ইয়ং ইন্ডিয়ার অফিস সিল করা হয়েছে। হেরাল্ড হাউসের বাকি অফিসগুলিতে কাজ হবে আগের মতোই। এদিন কেবল ইয়ং ইন্ডিয়ার অফিস সিল করা হয়নি, কংগ্রেসের সদর দফতর ও সোনিয়া গান্ধীর বাড়িতেও মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল বাহিনী। ঘটনার প্রেক্ষিতে বৈঠকে বসেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। পরে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম রমেশ এক ট্যুইটবার্তায় বলেন, দিল্লি পুলিশ এআইসিসির সদর দফতরের পথ রুদ্ধ করেছে। এটা একটা ব্যতিক্রমী ব্যাপার। তারা কেন এটা করেছে, তা রহস্যজনক।

    আরও পড়ুন : সোনিয়া, রাহুলকে সমন ইডি-র! ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বিপাকে কংগ্রেস

  • Data Protection Bill: বাজেট অধিবেশনের মধ্যেই পাশ হবে তথ্য সুরক্ষা বিল, আশা অশ্বিনী বৈষ্ণবের

    Data Protection Bill: বাজেট অধিবেশনের মধ্যেই পাশ হবে তথ্য সুরক্ষা বিল, আশা অশ্বিনী বৈষ্ণবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাজেট অধিবেশনের (Budget Session) মধ্যেই ডেটা প্রোটেকশন বিল (Data Protection Bill ) বা তথ্য সুরক্ষা বিল পাশ হবে। এমনই আশা প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। এদিন লোকসভায় মন্ত্রী বলেন, ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিল ২০১৯ আপাতত প্রত্যাহৃত হল। সরকার আগামী দিনে একটি সংশোধিত নয়া বিল আনবে যা আইন সম্মত এবং যৌথ সংসদীয় কমিটির সুপারিশ সম্মত। মন্ত্রী বলেন, যৌথ সংসদীয় কমিটির তরফে বিলটি খুঁটিয়ে দেখা হয়েছে। বিলটিতে ৮১টি সংশোধনী ও ১২টি সুপারিশের কথা বলা হয়েছে। তার পরেই বিল প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। 

    ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিল নিয়ে ৫৪২ পাতার এখটি রিপোর্ট জমা দেয় সংসদের যৌথ কমিটি। সেখানে সব মিলিয়ে ৯৩টি সুপারিশ ও ৮১টি সংশোধনের কথা বলা হয়েছিল। নয়া প্যানেলের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল, প্রস্তাবিত তথ্য সুরক্ষার বিষয়টি সাংবিধানিক বৈধতা পাবে কিনা এবং রাজ্যগুলির নিজেদের তথ্য সুরক্ষার অধিকার থাকবে কিনা।

    আরও পড়ুন : ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইয়ং ইন্ডিয়ার অফিস সিল করল ইডি

    প্রসঙ্গত, এই বিলের বিষয়টি সামনে আসার পর শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা। এই বিল মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপের শামিল বলেও দাবি করা হয় কোনও কোনও মহল থেকে। অনেকের মতে, এই বিল আইনে পরিণত হলে নাগরিকদের ব্যক্তিগত মতামতের ওপর নেমে আসবে সরকারি হস্তক্ষেপ। সরকার যাকে খুশি এই আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারবে। সরকারের সমালোচনা করা হলে, তাকেও রাষ্ট্রদ্রোহ বলে মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হতে পারে।

    এদিন লোকসভায় মন্ত্রী বলেন, আমরা নয়া বিলের একটি খসড়া প্রস্তুত করেছি। এদিনই পার্লামেন্টের পদ্ধতি শেষ হয়েছে। খুব শীঘ্রই অ্যাপ্রুভাল পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে আমরা নয়া খসড়া নিয়ে আসছি। তিনি বলেন, আশাকরি, বাজেট অধিবেশনের মধ্যেই আমরা নয়া বিলটিকে পাশ করিয়ে নিতে পারব।

    আরও পড়ুন : অক্টোবর থেকে বড়সড় পরিবর্তন আসছে জিএসটি নিয়মে, জেনে নিন

LinkedIn
Share