Tag: Bengali news

Bengali news

  • Ramakrishna 216: “পরমধন এই পরশমণি, যা চাবি তাই দিতে পারে, কত মণি পড়ে আছে আমার চিন্তামণির নাচ দুয়ারে”

    Ramakrishna 216: “পরমধন এই পরশমণি, যা চাবি তাই দিতে পারে, কত মণি পড়ে আছে আমার চিন্তামণির নাচ দুয়ারে”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িমধ্যে

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ৪ঠা জুন

    মণিলাল প্রভৃতি সঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ ও নিরাকারবাদ

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—বলিস কি রে?

    ভগবতী—হাঁ, নাম লেখা আছে, “শ্রীমতী ভগবতী দাসী।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ঈষৎ হাসিয়া)—বেশ বেশ।

    এই সময়ে ভগবতী সাহস পাইয়া ঠাকুরকে পায়ে হাত দিয়া প্রণাম করিল।

    বৃশ্চিক দংশন করিলে যেমন লোক চমকিয়া উঠে ও অস্থির হইয়া দাঁড়াইয়া পড়ে, শ্রীরামকৃষ্ণ সেইরূপ অস্থির হইয়া ‘গোবিন্দ’ ‘গোবিন্দ’(Ramakrishna) এই নাম উচ্চারণ করিতে করিতে দাঁড়াইয়া পড়িলেন। ঘরের কোণে গঙ্গাজলের একটি জালা ছিল—এখনও আছে। হাঁপাইতে হাঁপাইতে যেন ত্রস্ত (Kathamrita) হইয়া সেই জালার কাছে গেলেন। পায়ের যেখানে দাসী স্পর্শ করিয়াছিল গঙ্গাজল লইয়া সে-স্থান ধুইতে লাগিলেন।

    দু-একটি ভক্ত যাঁহারা ঘরে ছিলেন তাঁহারা অবাক্‌ ও স্তব্ধ হইয়া একদৃষ্টে এই ব্যাপার দেখিতেছেন। দাসী জীবন্মৃতা হইয়া বসিয়া আছে। দয়াসিন্ধু পতিতপাবন ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দাসীকে সম্বোধন (Kathamrita) করিয়া করুণামাখা স্বরে বলিতেছেন, “তোরা অমনি প্রণাম করবি।” এই বলিয়া আবার আসন গ্রহণ করিয়া দাসীকে ভুলাইবার চেষ্টা করিতেছেন। বলিলেন, “একটু গান শোন।”

    তাহাকে গান শুনাইতেছেন(Kathamrita) :

    (১) — মজলো আমার মন-ভ্রমরা শ্যামাপদ-নীলকমলে।
    (শ্যামাপদ-নীলকমলে,— কালীপদ-নীলকমলে।)

    (২) — শ্যামাপদ আকাশেতে ম ঘুড়িখান উড়তেছিল।
    কুলুষের কুবাতাস পেয়ে গোপ্তা খেয়ে পড়ে গেল।

    (৩)—আপনাতে আপনি থেকো মন যেও নাকো কারু ঘরে।
    যা চাবি তাই  বসে পাবি, খোঁজ নিজ অন্তঃপুরে ॥
    পরমধন এই পরশমণি, যা চাবি তাই দিতে পারে ৷
    কত মণি পড়ে আছে আমার চিন্তামণির নাচ দুয়ারে ॥

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Protest: বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার দাবিতে ভুবনেশ্বরে প্রতিবাদ হিন্দু সুরক্ষা মঞ্চের

    Bangladesh Protest: বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার দাবিতে ভুবনেশ্বরে প্রতিবাদ হিন্দু সুরক্ষা মঞ্চের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভু গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর লাগাতার অত্যাচার হচ্ছে। মৌলবাদীদের হামলার প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গে একাধিক বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে।  এখনও বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছে। এবার বাংলাদেশ (Bangladesh Protest) ইস্যুতে প্রতিবাদের ঝড় আছড়ে পড়ল ওড়িশায়। হিন্দু সুরক্ষা মঞ্চের ব্যানারে ভুবনেশ্বরের রাজপথে বিক্ষোভ দেখানো হয়।

    বাংলাদেশকাণ্ড নিয়ে সমাবেশ (Bangladesh Protest)

    ভুবনেশ্বরের প্রদর্শনী ময়দানে প্রতিবাদ সভার (Bangladesh Protest) আয়োজন করা হয়। সেখানে গায়ত্রী পরিবার, ইসকন, অনুকুল চন্দ্র সৎসঙ্গ, রামকৃষ্ণ মিশন, আর্য সমাজ, সত্য সাই ট্রাস্ট, ডিভাইন লাইফ সোসাইটি, পতঞ্জলি যোগ ইনস্টিটিউশন, প্রজ্ঞা মিশন এবং ভারত যোগ সংস্থা সহ বিভিন্ন সংস্থার ধর্মীয় নেতারা সুরক্ষার দাবিতে বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন। প্রতিবাদ সভা থেকে বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের কর্তারা বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে সরব হন।

    তাঁরা বলেন, ‘‘বাংলাদেশে হিন্দুদের হত্যা করা হচ্ছে, নারীদের যৌন নিপীড়ন করা হচ্ছে, হিন্দু মন্দিরে আগুন দেওয়া হচ্ছে এবং মঠ ও আশ্রম ধ্বংস করা হচ্ছে। সাধু ও সন্ন্যাসীদের কারারুদ্ধ করা হচ্ছে, তাঁদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ ও হত্যার অভিযোগ মিথ্যাভাবে দাঁড় করানো হচ্ছে। বাংলাদেশি প্রশাসন জামাতের মতো চরমপন্থী গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগসাজশে এই নৃশংস কর্মকাণ্ড ঘটাচ্ছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের পুলিশ এবং সামরিক বাহিনীও এই হামলার সঙ্গে জড়িত। বাংলাদেশ সরকার নিজেই এই নিপীড়নের চক্রটিকে চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ একসময় ভারত বাংলাদেশকে পাকিস্তানি নিপীড়ন থেকে মুক্ত করেছিল। কিন্তু, আজ সেই বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুরা চরম নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। এই কট্টর  ইসলামি এবং বাংলাদেশ সরকারের কর্মকাণ্ড দেশের হিন্দুদের অস্তিত্বকে বিপন্ন করে তুলেছে।’’ এই নৃশংসতার মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী হিন্দু ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন তাঁরা। একইসঙ্গে ভারতে বসবাসকারী অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে নির্বাসনের আহ্বান জানান তাঁরা।

    রাজপথে প্রতিবাদ মিছিল

    সমাবেশের (Bangladesh Protest) পর বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নেতা, সন্ন্যাসী এবং হিন্দু সংগঠনের সদস্য সহ হাজার হাজার অংশগ্রহণকারী একটি বিশাল মিছিলে বের করে। সেই মিছিল মাস্টার ক্যান্টিন স্কোয়ারে গিয়ে শেষ হয়। স্বামী শঙ্করানন্দ গিরি মহারাজ, স্বামী শ্রদ্ধানন্দ সরস্বতী, মহন্ত রামকৃষ্ণ দাশ, ব্রহ্মচারী বিশ্বচৈতন্য, বাবা রমেশ চন্দ্র দাস, স্বামী নির্ভয়ানন্দ গিরি, মহন্ত তেলোক্যশ্বর ভারতী, মহন্ত বৈষ্ণবপুরী, মহন্ত স্বামী লিঙ্গপুরী, স্বামী লিংগপুরী, স্বামী রামকৃষ্ণ দাশ প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা মিছিলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। চৈতন্য মহারাজের নেতৃত্বে ওড়িশার সাধুদের একটি প্রতিনিধি দল রাজভবনে যায়। সেখানে তাঁরা রাজ্যপালের মাধ্যমে ভারতের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিবের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেন। বাংলাদেশে হিন্দুদের সুরক্ষার জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার এবং লাগাতার অত্যাচার বন্ধ করার জানান তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bima Sakhi Yojana: চালু করেছেন মোদি, এলআইসি বিমা সখী যোজনায় কীভাবে আবেদন করবেন?

    Bima Sakhi Yojana: চালু করেছেন মোদি, এলআইসি বিমা সখী যোজনায় কীভাবে আবেদন করবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এলআইসি (LIC) বিমা সখী যোজনা (Bima Sakhi Yojana) চালু হয়েছে। মহিলারা মাসিক ৭০০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা পেবেন। এই বিমা যোজনায় মহিলারা বিমা এজেন্ট হওয়ার সুযোগ পাবেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের নারী সমাজকে আরও সশক্ত করতে এই বিমা যোজনার পরিকল্পনা করেছেন। বিমাতে কীভাবে আবেদন করতে পারবেন জেনে নিন।

    কন্যাদের ক্ষমতায়নের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ (Bima Sakhi Yojana)

    বিমা সম্পর্কে নিজের এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “আমরা সারা দেশে মা, বোন এবং কন্যাদের ক্ষমতায়নের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই কর্মসূচির অংশ হিসাবে, মহিলারা বিমা এজেন্ট (বিমা সখী) হওয়ার সুযোগ পাবেন এবং প্রতি মাসে ৭০০০ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা পাবেন। বিমা সখী যোজনার (LIC) প্রধান উদ্দেশ্য হল গ্রামীণ মহিলাদের কাজের সুযোগ এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান করা।’’

    আরও পড়ুনঃ “নীতীশ তো চোখের আরাম করতে যাচ্ছেন”, লালুর মন্তব্যে তুঙ্গে বিতর্ক

    বীমা সখী যোজনায় কী রয়েছে?

    এই বিমা সখী যোজনা হল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন-এর একটি প্রধান প্রকল্প (Bima Sakhi Yojana)। এই প্রকল্প ১৮ থেকে ৭০ বছর বয়সি মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তবে তাঁদের ন্যূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা দশম শ্রেণি উত্তীর্ণ হতে হবে। মহিলাদের প্রশিক্ষণ দিতে তাঁদের আর্থিক বোঝাপড়াকে বাড়ানো হবে। সেই সঙ্গে কীভাবে বিমার গুরুত্ব বুঝতে হবে তাও বলা হবে। তিন বছর কাজ করার পর এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ করা হবে।

    আবেদনকারীদের মানতে হবে এই শর্ত। যথা-

    ১>শুধুমাত্র মহিলা প্রার্থীরা বিমা সখী প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারেন।

    ২>মহিলা প্রার্থীদের কমপক্ষে দশম শ্রেণি পাস করতে হবে।

    ৩>তাঁদের বয়স ১৮ এবং ৭০ হতে হবে।

    ৪>তিন বছরের প্রশিক্ষণ পাওয়ার পর, তারা এলআইসি এজেন্ট হয়ে যাবেন এবং এলআইসির নিয়মিত কর্মচারী হবেন।

    ৫>স্কিমের সাফল্য নিশ্চিত করতে নির্বাচিত প্রার্থীদের বার্ষিক কর্মক্ষমতা লক্ষ্য পূরণ করতে হবে।

    বিমা সখী স্কিমে (LIC) অংশগ্রহণকারী মহিলারা তিন বছরের প্রশিক্ষণের সময় মোট ২ লাখ টাকার আর্থিক সুবিধা পাবেন। প্রথম বছর প্রতি মাসে ৭০০০ টাকা, দ্বিতীয় বছর প্রতি মাসে ৬০০০ টাকা এবং তৃতীয় বছর প্রতি মাসে ৫০০০ টাকা করে পাবেন।

    বীমার জন্য কীভাবে আবেদন করবেন (Bima Sakhi Yojana)?

    ১>প্রথমে আপনাকে এলআইসি ইন্ডিয়ার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে।

    ২>হোম পেজের নীচে ‘বিমা সখীর জন্য এখানে ক্লিক করুন’ বিকল্পে ক্লিক করতে হবে।

    ৩>এই পাতায় আপনাকে নাম, জন্ম তারিখ, মোবাইল নম্বর, ইমেল আইডি এবং ঠিকানা সহ আপনার বিবরণ পূরণ করতে হবে।

    ৪>কোনও এলআইসি এজেন্ট, ডেভেলপমেন্ট অফিসার, কর্মচারী, বা মেডিক্যাল পরীক্ষক যুক্ত হলে তাঁদের বিশদ বিবরণ দিতে হবে।

    ৫>তারপর, ক্যাপচা কোড লিখে এবং ‘জমা’ বোতামে ক্লিক করতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Skills Report: মোদি জমানায় ভারতের স্নাতকদের মধ্যে বেড়েছে কর্মসংস্থানের উপযোগিতা, বলছে রিপোর্ট

    India Skills Report: মোদি জমানায় ভারতের স্নাতকদের মধ্যে বেড়েছে কর্মসংস্থানের উপযোগিতা, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি জমানায় আরও এক সাফল্যের খবর। ভারতের স্নাতকদের মধ্যে কর্মসংস্থানের উপযোগিতা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেয়েছে। জানিয়েছে ‘ইন্ডিয়া স্কিলস রিপোর্ট’ (India Skills Report)। এই রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৫  সালে কর্মসংস্থানের উপযোগিতা পৌঁছেছে ৫৪.৮১ শতাংশে। গত বছর এই হার ছিল ৫১.২৫ শতাংশ। এই তথ্য মিলেছে ২০২৪ সালে পরিচালিত গ্লোবাল এমপ্লয়েবিলিটি টেস্ট থেকে।

    ইন্ডিয়া স্কিলস রিপোর্ট (India Skills Report)

    ইন্ডিয়া স্কিলস রিপোর্টের প্রধান আহ্বায়ক এবং হুইবক্স-এর সিইও নির্মল সিং বলেন, ‘‘এই দশকটি আন্তর্জাতিক দক্ষতা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে ভারতের জন্য একটি নেতৃত্বের যুগ। এই দশকে গুণগত দক্ষতা প্রশিক্ষণে মনোযোগ দেওয়া উচিত। এটাই আন্তর্জাতিক কর্মসংস্থানের জন্য বিশাল পার্থক্য গড়ে তুলবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘দীর্ঘমেয়াদি ও আন্তর্জাতিকভাবে সার্টিফায়েড দক্ষতা প্রোগ্রাম, যেখানে ভাষা প্রশিক্ষণ অন্তর্ভুক্ত থাকবে, প্রাথমিক কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রদান করার ক্ষেত্রে একটি সফল পন্থা হবে। দক্ষ এবং সার্টিফায়েড ভারতীয় কর্মশক্তি দেশের জন্য একটি অনন্য সুবিধা ও প্রভাব বিস্তার করে।’’

    কর্মসংস্থানযোগ্যতা ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে

    জানা গিয়েছে, রিপোর্টটি তৈরি করা হয়েছে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ৬.৫ লাখেরও বেশি প্রার্থীর কাছ থেকে সংগৃহীত গেট পরীক্ষার ডেটা এবং ১৫টি শিল্প খাত জুড়ে এক হাজারের বেশি পুরসভার তথ্যের ওপর ভিত্তি করে (India Skills Report)। গত এক দশকে, ভারতীয় স্নাতকদের কর্মসংস্থান-যোগ্যতা ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে এই হার ছিল ৩৩ শতাংশ। সেটাই বেড়ে হয়েছে ৫০ শতাংশেরও বেশি।

    আরও পড়ুন: ‘‘ইউনূস সরকার আইএস, তালিবান এবং হামাসের একটি সংস্করণ’’, উৎখাতের ডাক শুভেন্দুর

    ওই রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, উদীয়মান বিভিন্ন প্রযুক্তি যেমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), ক্লাউড কম্পিউটিং এবং অটোমেশন ঠিক কীভাবে চাকরির ভূমিকা পুনর্গঠন করছে এবং নতুন সুযোগ সৃষ্টি করছে, তাও। ডিজিটাল নোমাডিজম এবং হাইব্রিড ওয়ার্ক মডেল ভারতীয় দক্ষতাকে ভৌগোলিক সীমাবদ্ধতা ছাড়াই বৈশ্বিক কর্মশক্তিতে অবদান রাখতে সাহায্য করেছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এই ট্রেন্ড ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অবদান রাখতে পারে, যার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ভারত।

    ভারতের বৈচিত্র্যময় প্রতিভার ভান্ডার তথ্য প্রযুক্তি এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে একে একটি বৈশ্বিক নেতা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। যখন পুনর্বব্যহারযোগ্য শক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং রোবোটিক্সে দক্ষতা ক্রমাগত বাড়ছে, তখনই ভারত প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে বৈশ্বিক নেতা হিসেবে (India Skills Report)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • VVPAT EVM Mismatch Row: মহারাষ্ট্রে প্রদত্ত ভোটের সঙ্গে ভিভিপ্যাট স্লিপের গণনায় কোনও অমিল নেই, জানাল কমিশন

    VVPAT EVM Mismatch Row: মহারাষ্ট্রে প্রদত্ত ভোটের সঙ্গে ভিভিপ্যাট স্লিপের গণনায় কোনও অমিল নেই, জানাল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মুখ পুড়ল বিরোধীদের! মঙ্গলবার জাতীয় নির্বাচন কমিশন সাফ জানিয়ে দিল, গত মাসে মহারাষ্ট্র (Maharashtra) বিধানসভা নির্বাচনে প্রদত্ত ভোট ও ভিভিপ্যাট স্লিপের (VVPAT EVM Mismatch Row) র‍্যান্ডম গণনার মধ্যে কোনও অমিল পাওয়া যায়নি।

    কী বলল নির্বাচন কমিশন (VVPAT EVM Mismatch Row)

    এক বিবৃতিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে র‍্যান্ডমভাবে নির্বাচিত পাঁচটি ভোট কেন্দ্রের ভিভিপ্যাট স্লিপের গণনা শেষ হয়েছে সফলভাবে। গত ২০ নভেম্বর হয় মহারাষ্ট্র বিধানসভার নির্বাচন। এই নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয় বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট (মহারাষ্ট্রে যা মহাযুতি নামে পরিচিত)। তার পরেই নির্বাচন কমিশনের কাছে শাসক বিজেপি-নেতৃত্বাধীন মহাযুতি জোটের বিরুদ্ধে ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ তোলে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি।

    ভিভিপ্যাট স্লিপ গণনা

    ভিভিপ্যাট স্লিপের গণনার উদ্দেশ্য হল ইভিএমে রেকর্ড হওয়া ভোটের সংখ্যা এবং সংশ্লিষ্ট ভিভিপ্যাট স্লিপগুলির সংখ্যা যাচাই করা (VVPAT EVM Mismatch Row)। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, গণনার সময় পুরো পর্বটা জুড়ে উপস্থিত ছিলেন প্রার্থীরা। মহারাষ্ট্র বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৮৮টি। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এবার যাচাই করা হয়েছে মোট ১ হাজার ৪৪০টি ভিভিপ্যাট মেশিন। প্রার্থীর প্রতিনিধিরা এবং নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষকরা এলোমেলোভাবে নির্বাচনী কেন্দ্রগুলির ভিভিপ্যাট মেশিন বেছে নিয়েছিলেন। কমিশন জানিয়েছে, প্রার্থীর ভিত্তিতে ইভিএমে রেকর্ড হওয়া ভোটের সংখ্যা এবং সংশ্লিষ্ট ভিভিপ্যাট স্লিপের গণনার মধ্যে কোনও অমিল পাওয়া যায়নি।

    আরও পড়ুন: ‘‘ইউনূস সরকার আইএস, তালিবান এবং হামাসের একটি সংস্করণ’’, উৎখাতের ডাক শুভেন্দুর

    কমিশনের তরফে এও জানানো হয়েছে, প্রতিটি গণনা কেন্দ্রেই বিশেষ ঘেরা জায়গা তৈরি করা হয়েছিল। পুরো প্রক্রিয়াটি সিসিটিভিতে রেকর্ড করা হয়েছিল। এই সিসিটিভির ফুটেজও সংরক্ষিত করা হয়েছে।কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রের পাঁচটি ভোটকেন্দ্রের ভিভিপ্যাট স্লিপ গণনা বাধ্যতামূলক। কমিশন জানিয়েছে, এই যাচাইকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত গণনা প্রক্রিয়া অসম্পূর্ণ বলে গণ্য হবে। কাউকেই বিজয়ী ঘোষণা করা যাবে না। প্রসঙ্গত, ২৮৮টি আসনের (Maharashtra) মধ্যে ২৩০টিতে জয়ী হয়েছেন মহাযুতির প্রার্থীরা (VVPAT EVM Mismatch Row)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • ISRO: বড় খবর! ইসরো গগনযানের মানবহীন ফ্লাইট চলতি বছরের শেষেই, জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    ISRO: বড় খবর! ইসরো গগনযানের মানবহীন ফ্লাইট চলতি বছরের শেষেই, জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের উচ্চাভিলাষী গণনযান (Gaganyaan) মিশন নিয়ে বড় খবর সামনে এল। চলতি বছরের শেষ নাগাদ প্রথম আনক্রুড বা মানববিহীন ফ্লাইট মহাকাশে পাঠাবে ইসরো ইসরো (ISRO)। ২০২৬ সালের মধ্যে মানুষ পাঠিয়ে নিরাপদে মহাকাশ ভ্রমণের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। একই ভাবে গগনযান মিশনের অধীনে প্রোপালশন সিস্টেম, ক্রু এস্কেপ মেকানিজম এবং অরবিটাল মডিউল ইন্টিগ্রেশনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির কথা জানা গিয়েছে।

    প্রশিক্ষণের তিনটি স্তরের মধ্যে দুটি পর্ব সম্পন্ন (ISRO)

    কেন্দ্রীয়মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং সংসদে একটি প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছেন, প্রথম ক্রুড বা মানব মিশন (Gaganyaan) ২০২৬-এর চতুর্থ মাসে সম্পন্ন হবে (ISRO)। তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রথম আনক্রুড মিশনটি ২০২৪ সালের শেষে সম্পন্ন করার লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। পরবর্তী মিশনগুলি ২০২৫ সালের তৃতীয় মাসে এবং ২০২৬ সালের প্রথম মাসে লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেছেন, “মানব যাত্রার লঞ্চ ভেহিকলের সমস্ত প্রোপালশন সিস্টেম শ্রীহরিকোটায় পৌঁছেছে। একই ভাবে মিশনের জন্য ক্রু এস্কেপ সিস্টেম লঞ্চ কমপ্লেক্সে পৌঁছেছে। এই মহাকাশচারীদের প্রশিক্ষণের তিনটি স্তরের মধ্যে দুটি পর্ব সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ ধরা পড়বে না শত্রু-রেডারে, ভারতীয় সেনার অস্ত্রাগারে যুক্ত হল ‘খড়্গ’ আত্মঘাতী ড্রোন

    মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনার পরীক্ষণের কাজ শেষ

    ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো (ISRO) তার এলভিএম-৩ লঞ্চ ভেহিকলে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনার পরীক্ষণের কাজ শেষ করেছে। এই পরীক্ষা এবং পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য ছিল নিরাপদে মানুষের যাত্রাকে নিশ্চিত করা। এই কাজে মূলত তিনটি ধাপ রয়েছে। কঠিন, তরল এবং ক্রায়োজেনিক জ্বালানি ব্যবহার করে। ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিনের ফ্লাইট মক-আপ ফিলিং ট্রায়ালও সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

    আবার ক্রু এস্কেপ সিস্টেম হল জরুরি পরিস্থিতিতে মডিউল থেকে মহাকাশচারীদের (Gaganyaan) বের হওয়ার বিশেষ পদ্ধতি। এর আগে, এককভাবে ১৭ কিমি উচ্চতায় পরীক্ষা করা হয়েছিল। প্রথম মানববিহীন রকেট প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া, মানব অভিযানের আরবিট মডিউল, ক্রু-মডিউল, সার্ভিস মডিউলের কাজ এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। একই ভাবে স্থলভাগের সহায়তার জন্য ইসরো ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা (ইএসএ)-এর সঙ্গেও যৌথ ভাবে কাজ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “দিঘায় ছুটি উপভোগ করুন”, কোটি টাকার খোঁচা দিয়ে মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “দিঘায় ছুটি উপভোগ করুন”, কোটি টাকার খোঁচা দিয়ে মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার দিঘা সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জগন্নাথ মন্দিরের কাজ পরিদর্শনে করে তিনদিনের সফরের সিংহভাগ সময় কাটানোর কথা তাঁর। আর মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরকে তীব্র কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দু মনে করিয়ে দিলেন, অতীতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে অধিকারীদের উৎখাতের যে ডাক দিয়েছিলেন মমতা। তা জেলার মানুষ মেনে নেননি। ফলে, মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর নিয়ে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    কোটি কোটি খরচ! (Suvendu Adhikari)

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “প্রতি বছরের মতো এবারও মুখ্যমন্ত্রী শীতকালীন ছুটি উপভোগ করতে দিঘায় এসে গিয়েছেন। ভালো কথা, উনি সমুদ্র সৈকতে ঘুরুন, জগন্নাথ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কাজের অগ্রগতির তদারকি করুন এবং আনন্দের সঙ্গে তিন দিনের ছুটি উপভোগ করুন। নচেৎ ওনার নিরাপত্তায় ৩২৮০ জন পুলিশ কর্মী মোতায়েনের জন্য বরাদ্দ কোটি কোটি টাকা বৃথা যাবে।” জানা গিয়েছে, দিঘা সফরে জগন্নাথ মন্দির পরিদর্শনের পাশাপাশি জেলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও জেলার নেতাদের সঙ্গে কথা বলরা কথা রয়েছে তাঁর। এমনকী, দিঘার সমাগ্রিক উন্নয়নমূলক কাজের খতিয়ানও নেওয়ার কথা প্রশাসনের কর্তাদের থেকে।

    দিঘায় ছুটি উপভোগ করুন, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “এত কিছু করেও চিঁড়ে বিশেষ ভিজবে না। পূর্ব মেদিনীপুরের জাতীয়তাবাদী, রাষ্ট্রবাদী মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রত্যাখান করেছেন। লোকসভা ভোটে অধিকারী মুক্ত করার ডাক দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কিন্তু মানুষ পিসি-ভাইপো (মমতা-অভিষেক) মুক্ত করেছে। বিজেপি শুধু তমলুক এবং কাঁথির দুটি লোকসভা কেন্দ্রেই জয়ী হয়নি, জেলার ১৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ১৫টিতেও এগিয়ে রয়েছে। তাই, দিঘায় ছুটি উপভোগ করুন। রাজনীতি থেকে বিরত থাকুন। আপনার দল (তৃণমূল) পুলিশ-প্রশাসনের দৌলতে টিকে আছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘ইউনূস সরকার আইএস, তালিবান এবং হামাসের একটি সংস্করণ’’, উৎখাতের ডাক শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘ইউনূস সরকার আইএস, তালিবান এবং হামাসের একটি সংস্করণ’’, উৎখাতের ডাক শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনূস সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে হিন্দুদের ওপর লাগামছাড়া অত্যাচার চলছে। প্রকাশ্যে মিছিল করছে জঙ্গি সংগঠন। এমনকী, মহিলাদের বাজারে যাওয়া বন্ধ করার ফতোয়া জারি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ইউনূস সরকার আইএস, তালিবান এবং হামাসের একটি সংস্করণ। এই সরকার আসলে জঙ্গিদের দ্বারা পরিচালিত। এই ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে বাংলাদেশের তদারকি সরকারকে উৎখাত করার ডাক দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    ইউনূস সরকারকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    বাংলাদেশের অন্তবর্তী ইউনূস সরকারকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘পরিকল্পিতভাবে ওপার বাংলায় সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ চালানো হচ্ছে। ওদের উদ্দেশ্যই হল সংখ্যালঘুদের সে দেশ থেকে উৎখাত করা। কী সাহস ইউনূস সরকারের। বলছে চার ঘণ্টায় কলকাতা দখল করে নেবে। আমাদের দু’টো রাফাল বাংলাদেশে ফেললেই কাজ হয়ে যাবে। তাই, এত বড় বড় আওয়াজ দেবেন না। সেই আওয়াজ বন্ধ করার ওষুধ আছে আমাদের কাছে।’’

    আরও পড়ুন: “নীতীশ তো চোখের আরাম করতে যাচ্ছেন”, লালুর মন্তব্যে তুঙ্গে বিতর্ক

    মৌলবাদী সরকারকে উৎখাতের ডাক

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, ‘‘সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক বাংলাদেশের সরকার। এই সরকারটা (Yunus Government) মৌলবাদীদের দ্বারা পরিচালিত। শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে। পৃথিবীর কোথাও এমন ঘটনা ঘটে না। কেবল একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের অধ্যুষিত দেশগুলোতেই এই ধরনের গা-জোয়ারি দেখা যায়। আমি বিশ্বাস করি, আমেরিকা ও ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশগুলি সম্মিলিতভাবে জঙ্গি পরিচালিত বাংলাদেশ সরকারকে উৎখাত করবে। জঙ্গিবাদকে নিকেশ করবে।’’ তারপর শুভেন্দুর সংযোজন, ‘‘বাংলাদেশের ইউনূস সরকার আইএস, তালিবান ও হামাসের একটা সংস্করণ। দ্রুত এই জঙ্গি মৌলবাদী সরকারকে উৎখাত করা দরকার।’’

    ভারতের অবদান স্মরণ করালেন শুভেন্দু

    ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ তুলে ধরে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ বাঙালি শহিদ হয়েছেন। ১৭ হাজার ভারতীয় সৈন্য শহিদ হয়েছেন। আর আজ তারা মুখে বড় বড় কথা বলছে। করোনার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশকে বিনামূল্যে প্রতিষেধক টিকা দিয়েছিলেন। ওদের বড় বড় কথা সব বন্ধ হয়ে যাবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Gita Jayanti: ভগবদ গীতা হল মানব সভ্যতার জীবন্ত দলিল,  এক ঐতিহাসিক আদর্শ মানবজীবন দর্শন

    Gita Jayanti: ভগবদ গীতা হল মানব সভ্যতার জীবন্ত দলিল, এক ঐতিহাসিক আদর্শ মানবজীবন দর্শন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গীতা জয়ন্তীর (Gita Jayanti) মূল উদ্দেশ্য হল ভগবদ গীতাকে সম্মান জানানো। একটি পরিপূর্ণ এবং নৈতিক সুমার্জিত মানব জীবনের জন্য গীতার দর্শন ও আধ্যাত্মবোধের একান্ত ভাবে প্রয়োজনীয়। গীতায় মূলত ভগবান শ্রীকৃষ্ণ পরম মিত্র অর্জুনের উদ্দেশে বাণী দিয়েছেন। কুরুক্ষেত্রের ধর্ম যুদ্ধে অর্জুনের মনে তৈরি হওয়া দ্বিধাকে দূর করে, ফলের আশা না করে কর্মকেই প্রাধান্য দেওয়ার কথা বলেছেন। ফলে তাতে গভীরভাবে মানব জীবনের কর্তব্যবোধ, বিশ্বদর্শন এবং মানবতাবাদকে প্রতিফলিত হয়েছে। তবে এই গীতার তত্ত্ব এবং দর্শন (Human Life Philosophy) ভারতীয় জীবন পরম্পরা এবং মূল্যবোধকে গভীর অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে।

    জীবনের সুখ কীভাবে পরিমাপ হবে (Gita Jayanti)?

    গীতায় সুখের সাধনা কীভাবে করতে হয় এবং যথার্থ মানবজীবনের তৃপ্তি কীভাবে অর্জন করতে হয় এই তত্ত্বকথা রয়েছে। মানব জীবনের নানা অভিজ্ঞতা এবং অন্তর্ভাব থেকে উদ্ভূত হয়। আত্মসচেতনতা থেকে জীবনের উচ্চ পর্যায়ে উত্তরণ করে গীতার বাণী। পরিবর্তিত সময়ে জীবনকে নানা মাত্রায় প্রবাহিত করার মাধ্যমে এই সুখের সত্যতা অনুভব হয়। তাই ভগবদ গীতার ভগবৎ তত্ত্ব হল সম্পূর্ণ মানব জীবনের প্রকাশ মাত্র। তাই গীতা স্থান, পাত্র, কাল, বর্ণ, ধর্ম, জাতি নির্বিশেষে সকলের জন্য প্রযোজ্য।

    কেবল মাত্র ধর্মশাস্ত্র নয় গীতা

    গীতা কেবল মাত্র ধর্মশাস্ত্র নয়, এটি এমন একটি দার্শনিক গ্রন্থ যে সর্বজনীন ভাবে প্রযুক্ত। গীতা, রক্ত মাংসে গড়া মানব জীবনের নীতি কথা। কোনটা ভুল, কোনটা ঠিক, কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যা এই সব বিষয়ে জানতে সাহায্য করে। মানুষের আবেগ, চ্যালেঞ্জ এবং নানা আকাঙ্খাগুলিকে পথ দেখায়। তাই একে কেবল মাত্র ধর্মীয় ভাবনায় ভাবলে হবে না। মানব জীবনের রাগ, লোভ, দ্বেষ, ক্ষোভ, প্রেম, তৃপ্তি এবং জ্ঞান বিষয়েও নৈতিকতার পাঠ দেয়। কাকে দমন করে কাকে সম্প্রসারণ করতে হবে সেই শিক্ষাও দেয় গীতা। তাই শুধু মাত্র হিন্দুশাস্ত্র হিসেবে বিচার করলে গীতাকে একটি সামান্য সীমায় বেঁধে রাখা হবে। গীতার ব্যাপ্তি বিশ্বচরাচর।

    জগতের নানা প্রকার জীবের মধ্যে মানবজাতি তুলনায় অনেক বেশি জটিল জীব। মানুষের শরীর, মন, বুদ্ধি, চেতনা, অহংকার থাকে। সেই জন্য আর বাকি দশটা জীবের তুলনায় মানুষের চলন অন্যরকম। মানুষের অভিপ্রায়গুলি যদি ত্রুটি যুক্ত হয় তাহলে জীবনকে দুঃখ বা নেগেটিভ শক্তির দিকে নিয়ে যায়। তাই জীবনকে সঠিক ভাবে পরিচালনার জন্য গীতার দেখানো পথকে অবলম্বন করতে হবে। গীতা সবসময় রাগ, ক্রোধ, ভয়, বিস্ময়-সহ রিপুগুলিকে নিয়ন্ত্রণ এবং দমনের উপদেশ দেয়। গীতা শান্ত, ধৈর্য, উদার, বিনয়ের কথা বলে। মানুষকে পূর্ণমানব তথা ঈশ্বরজ্ঞানের দর্শন করাতে চায়। প্রেম, করুণা, প্রজ্ঞা এবং ত্যাগ ভাব দিয়ে জীবনকে (Human Life Philosophy) সিদ্ধান্ত নিতে শেখায় গীতা।

    সভ্যতার জীবন্ত দলিল গীতা

    গীতাকে (Gita Jayanti) বলা হয়েছে, গীতা হল সভ্যতার জীবন্ত প্রতিচ্ছবি। গীতায় তোলা অর্জুনের প্রশ্ন এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের উপদেশ বিশ্বমানব সভ্যতার (Human Life Philosophy) একটা দলিল। শুধুমাত্র মুখ নিঃসৃত বাণী নয়। সভ্যতার বিকাশে রাজরাজাদের গল্প, রাজত্ব-সাম্রাজ্য, যুদ্ধ, আধিপত্য, প্রজাদের প্রতি কর্তব্য, অধিকার, নীতি-নৈতিকতার পাঠ, দুর্বলকে কীভাবে সবল করতে হবে সেই দিকের ইঙ্গিত স্পষ্ট ভাবে রয়েছে। তাই গীতাকে কোনও সময়েই অপ্রাসঙ্গিক বলা যায় না। অন্যায়কে পরাজয় করতে শেষ শক্তি দিয়ে কীভাবে বিজয় প্রাপ্ত হতে হয় এই কথা কৌরব-পাণ্ডবের যুদ্ধে স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ ‘‘আরও দৃঢ় পদক্ষেপ করুক ভারত সরকার’’, বাংলাদেশে হিন্দু-নির্যাতন রোধে বার্তা আরএসএসের

    গীতা জয়ন্তীর উদ্দেশ্য

    গীতা জয়ন্তীর (Gita Jayanti) মূল উদ্দেশ্য হল বিশ্ববাসীর সামনে গীতার মাহাত্মকে আরও বেশি করে প্রচার প্রসার করা। এখানে দেওয়া উপদেশগুলির সূক্ষ্ম বিচার বিবেচনা করে জীবনের প্রতি পদে পদে ব্যবহারিক প্রয়োগ করা। গীতার জ্ঞানকে মন্থন করে ব্যক্তিগত জীবনে প্রতিফলন ঘটানোই একমাত্র উদ্দেশ্য। সুখ দুঃখের সঙ্গে ক্ষণস্থায়ী আনন্দকে চিরন্তন করতে কর্ম এবং ত্যাগের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। মানবজীবনের উন্নত পথ প্রদর্শক। এটি হল ভারতের একটি জ্বলন্ত প্রদীপের শিখা। যার আলোতে বিশ্বকে আলোকিত করে যাচ্ছে। মানবজীবনে (Human Life Philosophy) মূল উদ্দেশ্যকে প্রতিফলিত করছে।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Donald Trump: জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব আইন বাতিল করে অবৈধ অভিবাসীদের বহিষ্কার চান ট্রাম্প

    Donald Trump: জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব আইন বাতিল করে অবৈধ অভিবাসীদের বহিষ্কার চান ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব (Birthright Citizenship) প্রদান বন্ধ করতে চান হবু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। একইসঙ্গে চান আমেরিকায় (US) থাকা অবৈধ অভিবাসীদের বহিষ্কার করতে। তবে তথাকথিত ড্রিমার অভিবাসীদের সুরক্ষিত রাখতে চান রিপাবলিকান পার্টির এই শীর্ষ নেতা।

    কী বললেন ট্রাম্প?

    ‘মিট দ্য প্রেস উইথ ক্রিস্টেন ওয়েলকার’ অনুষ্ঠানে ট্রাম্প জানান, তিনি অফিসে প্রথম দিনেই একটি এক্সিকিউটিভ অ্যাকশনের মাধ্যমে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব (Birthright Citizenship) প্রদান বন্ধ করার পরিকল্পনা করছেন। প্রসঙ্গত, আমেরিকায় জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব সেই সকল ব্যক্তিদের দেওয়া হয়, যারা সে দেশে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁদের বাবা-মা অভিবাসী কিনা, তা বিবেচনা করা হয় না। ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেবেন ট্রাম্প। তাঁর আশা, সেদিনই দায়িত্ব নেওয়ার পরে অবৈধ অভিবাসনকে জাতীয় জরুরি অবস্থা হিসেবে ঘোষণা করবেন। সারা দেশে কঠোর অভিযান পরিচালনা করবেন বলেও জানান তিনি। জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত আমেরিকায় রয়েছেন প্রায় ১ কোটি ১০ লক্ষ অবৈধ অভিবাসী। ট্রাম্প (Donald Trump) চান যাঁদের বৈধ স্ট্যাটাস নেই, তাঁদের প্রত্যেককেই বহিষ্কার করা হোক। তিনি বলেন, “আমার মনে হয় আপনাকে এটি করতে হবে। এটি একটি খুব কঠিন কাজ। আপনি জানেন, এখানে নিয়ম, বিধি, আইন রয়েছে।” 

    আরও পড়ুন: “নীতীশ তো চোখের আরাম করতে যাচ্ছেন”, লালুর মন্তব্যে তুঙ্গে বিতর্ক

    ড্রিমারদের সুরক্ষা

    তবে ড্রিমার অভিবাসীদের সুরক্ষার বিষয়টি বিবেচনা করতে প্রস্তুত হবু মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প  বলেন, “রিপাবলিকানরা ‘ড্রিমার’ অভিবাসীদের সুরক্ষার ধারণাটি বিবেচনা করতে প্রস্তুত। যাদের শৈশবে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে আনা হয়েছিল, তাদের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।” তিনি বলেন, “যাঁদের সঙ্গে অন্যায় আচরণ করা হয়েছে তাঁরা হলেন সেই ব্যক্তিরা যাঁরা ১০ বছর ধরে অনলাইনে কিংবা লাইনে দাঁড়িয়ে দেশটিতে বৈধ উপায়ে আসার চেষ্টা করছেন। আমরা মানুষদের জন্য আসার প্রক্রিয়াকে খুব সহজ করব। তবে তাঁদের অবশ্যই পরীক্ষায় পাস করতে হবে। তাঁদের অবশ্যই বলতে হবে যে স্ট্যাচু অব লিবার্টি কী। তাঁদের আমাদের দেশ সম্পর্কে কিছুটা ধারণা থাকতে হবে। তাঁদের অবশ্যই আমাদের দেশকে ভালোবাসতে হবে।”

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ট্রাম্পের (Donald Trump) জন্মগত নাগরিকত্বে (Birthright Citizenship) ইতি টানার পরিকল্পনা সহজে বাস্তবায়িত হবে না। এতে তাঁকে আইনি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। কারণ এই অধিকারটি মার্কিন (US) সংবিধান স্বীকৃত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share