Tag: Bengali news

Bengali news

  • Daily Horoscope 05 december 2024: কোনও নামী ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয়ে লাভবান হতে পারেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 05 december 2024: কোনও নামী ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয়ে লাভবান হতে পারেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) সকালের দিকে দাম্পত্য কলহের কারণে মানসিক চাপ বাড়তে পারে।

    ২) কোনও আধ্যাত্মিক কাজে যোগ দিতে হতে পারে। 

    ৩) পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে।

    বৃষ

    ১) বিদেশযাত্রার জন্য আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ২) অতিরিক্ত ক্রোধের জন্য হাতে আসা কাজ নষ্ট হতে পারে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    মিথুন

    ১) অভিনেতাদের জন্য ভালো সুযোগ আসতে পারে।

    ২) প্রেমের বিষয়ে খুব ভেবেচিন্তে পা বাড়ানো উচিত। 

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    কর্কট

    ১) সারা দিন কোনও ভয় আপনাকে চিন্তায় ফেলতে পারে।

    ২) স্ত্রীর সুবাদে কোনও বিশেষ কাজের সুযোগ পাবেন।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    সিংহ

    ১) বেকারদের নতুন কিছু করার চেষ্টা বাড়তে পারে।

    ২) মাতৃস্থানীয়া কারও সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কন্যা

    ১) মানসিক কষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) কোনও ভালো জিনিস নষ্ট হওয়ার যোগ।

    ৩) দুশ্চিন্তা বাড়বে।

    তুলা

    ১) অপরকে সুখী করতে গেলে স্বার্থত্যাগ করতে হবে।

    ২) অভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শে আইনি সুরক্ষা পেতে পারেন।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    বৃশ্চিক

    ১) কোনও নামী ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয়ে লাভবান হতে পারেন।

    ২) ধর্ম বিষয়ক আলোচনায় সুনাম বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    ধনু

    ১) সম্মান নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন নিয়ে ঝামেলা বাধতে পারে।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    মকর

    ১) সঞ্চয়ের ইচ্ছা খুব বাড়তে পারে।

    ২) সকলের সঙ্গে কথা খুব বুঝে বলবেন।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করুন।

    কুম্ভ

    ১) ব্যবসায় তেমন লাভ হবে না।

    ২) অর্থক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    মীন

    ১) চাকরির ক্ষেত্রে দিনটি খুব ভালো।

    ২) সন্তানদের বিষয়ে উদ্বেগ থাকবে।

    ৩) ভেবেচিন্তে কথা বলুন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Baranagar: দক্ষিণেশ্বরে মা  ভবতারিণীর আগে তৈরি হয়েছিল কৃপাময়ী কালী মন্দির, জানুন ইতিহাস

    Baranagar: দক্ষিণেশ্বরে মা ভবতারিণীর আগে তৈরি হয়েছিল কৃপাময়ী কালী মন্দির, জানুন ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বরানগর-মালপাড়ার (Baranagar) কুঠিঘাট অঞ্চলের কৃপাময়ী কালীবাড়ি দেবী দর্শনে আসেন বহু ভক্ত। এই মন্দিরও দেখার মতো। তবে, এই মন্দির কে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তা এখনকার প্রজন্মের কাছে অজানা। এই প্রতিবেদনে কালীবাড়ি তৈরির ইতিহাস তুলে ধরা হল।

    মন্দির কে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন? (Baranagar)

    শোভাবাজার (Baranagar) অঞ্চলের বাসিন্দা জয়নারায়ণ মিত্র (Joy Mitra Kalibari) ছিলেন সে যুগের এক স্বনামধন্য বিত্তবান বাবু মানুষ। বাড়িতে দোল- দুর্গোৎসবের মতো অনুষ্ঠান হত মহা সমারোহে। তাঁর অর্থ-বিত্ত নিয়ে অনেক গল্প আছে। নাম উহ্য রেখে হুতোম পেঁচার নকশাতেও জয় মিত্রের দুর্গাপুজোর এই বর্ণনা আছে। যাইহোক, ১৮৫৫ সালে দক্ষিণেশ্বরে রানি রাসমণির ভবতারিণী কালীমন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তারও আগে ১৮৪৮  সালে বরানগর কুঠিঘাট (Kuthi Ghat) এলাকায় এই কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি কালী ভক্ত ছিলেন। তাই, গঙ্গার ধারে মন্দির স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন। কৃপাময়ী কালীর বিগ্রহ যুক্ত একটা নবরত্ন মন্দির ও বারোটা আটচালা শিবমন্দির নিয়ে এই মন্দির-চত্বর নির্মাণ করা হয়। প্রতিষ্ঠাতার নাম অনুসারে এই কৃপাময়ী কালীর মন্দিরটি ‘জয় মিত্রের মন্দির’ নামেই পরিচিত। খুবই প্রাচীন এই মন্দিরে আগে বিভিন্ন পুজোয় খুব সমারোহ হত। এখনও বারোমাস নিত্যপুজো এবং কালীপুজো হলেও আগের সে রমরমা আর নেই। বস্তুত মূল কোনও কালী মন্দিরের সঙ্গে চার-ছয়-আট-বারো বা তারও বেশি আটচালা শিবমন্দির যুক্ত যে সমস্ত ‘টেম্পল-কমপ্লেক্স’ সমগ্র দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে দেখা যায়, এটাও তার ব্যাতিক্রম নয়। কিন্তু প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ায় এক সময়ে জীর্ণতার ছাপ লেগেছিল এই মন্দিরগুলোর গায়ে। তবে কয়েক বছর আগে বিপুল অর্থব্যয় করে সংস্কার করার ফলে সৌন্দর্য অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে কৃপাময়ী কালী মন্দিরের।

    ঠাকুর রামকৃষ্ণ আসতেন এই মন্দিরে!

    স্থাপত্যশৈলীর বিচারে কৃপাময়ী মন্দির ‘নবরত্ন’ শ্রেণির। রত্ন’ শব্দটি মন্দির নির্মাণ শিল্পে কথাটি চূড়ার সমার্থক। ঢালু ছাদ ও বাঁকানো কার্নিসযুক্ত মন্দির শীর্যের ওপর চুড়া বসিয়ে এই রীতির মন্দির নির্মিত হয়। কৃপাময়ী কালীর নবরত্ন শৈলীর মন্দির (Baranagar)  হলেও এর স্থাপত্য অন্যান্য নবরত্ন মন্দিরের থেকে কিছুটা অন্য রকম। এখানে চিরাচরিত বাঁকানো চালের শৈলী লঙ্ঘন করে দোতলা দালান মন্দিরের প্রতি তলে চারটে করে মোট আটটা রত্ন বা চূড়া বসিয়ে এবং একেবারে শীর্ষদেশে আকারে বড় আরও একটা রত্ন বসিয়ে নবরত্ন মন্দিরের চেহারা দেওয়া হয়েছে। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ, স্বামী বিবেকানন্দ এই মন্দিরে একাধিকবার এসেছেন বলে জানা যায়।

    মন্দিরের শিবলিঙ্গগুলির কী নাম?

    মন্দিরের (Baranagar) ঠিক সামনে একটা বড় নাটমন্দির ছিল। কিন্তু তার ছাদ ভেঙে পড়েছে বহুকাল আগে। টিকে ছিল শুধু গোলাকার থামগুলি। সম্প্রতি অবশ্য নতুন করে নির্মিত হয়েছে নাটমন্দির। কিন্তু তা পুরনো স্থাপত্যের সঙ্গে একেবারেই বেমানান। নবরত্ন মন্দিরের পাশে প্রতি সারিতে ছটা করে, মুখোমুখি দুসারি মোট বারোটা আটচালা শিবমন্দির রয়েছে। গর্ভগৃহে রক্ষিত শিবলিঙ্গগুলি ‘অমরনাথ’, ‘বৈদ্যনাথ’, ‘পশুপতিনাথ’, ‘চন্দ্রনাথ’, ‘ভুবনেশ্বর’ প্রভৃতি বিভিন্ন নামে পরিচিত। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: “মুসলিম তোষণ করতেই সাম্ভালে যাওয়ার চেষ্টা রাহুলের”, তোপ বিজেপির

    BJP: “মুসলিম তোষণ করতেই সাম্ভালে যাওয়ার চেষ্টা রাহুলের”, তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুসলিম তোষণ করতেই সাম্ভালে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। বুধবার এমনই অভিযোগ করল বিজেপি (BJP)। এদিন সাম্ভালে যাওয়ার চেষ্টা করেন কংগ্রেস সাংসদ। দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমান্তে দিল্লি পুলিশ আটকে দেয় তাঁকে।

    রাহুলকে নিশানা মৌর্যের (BJP)

    রাহুলের এই সফরকে নাটক বলেও কটাক্ষ করেছে পদ্ম-পার্টি। উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য এ নিয়ে নিশানা করেন রাহুলকে। উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, “অখিলেশ ও রাহুল দুজনেই মুসলিম ভোট পাওয়ার জন্য রাজনীতি করার চেষ্টা করছেন। তাঁরা একটি নাটক মঞ্চস্থ করছেন। সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেসের পতন নিশ্চিত। এসপি ‘সমাপ্তবাদী পার্টি’ হয়ে যাবে এবং ভারত কংগ্রেস-মুক্ত হবে।” তিনি বলেন, “২৪ নভেম্বর সংঘটিত সাম্ভাল হিংসা – যেখানে চারজনের মৃত্যু হয়েছে – তা সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক এবং সাংসদের দ্বন্দ্বের ফল।”

    কী বলছেন বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র

    বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সুধাংশু ত্রিবেদী বলেন, “রাহুল গান্ধী প্রাশসনকে আগে থেকে না জানিয়েই সাম্ভাল দেখতে যেতে চেয়েছিলেন।” তিনিও বলেন, “কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টি মুসলিম ভোটের জন্য লড়াই করছে। রাহুল গান্ধী ইন্ডি জোটে তার অংশীদারকে তাঁর সঙ্গে না নিয়েই সেখানে গিয়েছিলেন শুধুমাত্র মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য। দুই দলের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব চলছে, সেটাও স্পষ্ট।”

    বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র বলেন, “রাহুল গান্ধী কোনও সহানুভূতির কারণে সাম্ভাল পরিদর্শনের চেষ্টা করেননি। তিনি বরং সংবাদমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এবং তাঁর (BJP) দলের সহযোগী সমাজবাদী পার্টির নেতাদের তুলনায় ভালো ছবি তোলার সুযোগ পেতে চেয়েছিলেন।” তিনি বলেন, “রাহুল গান্ধী লোকসভায় বিরোধী দলের নেতা। তাঁর এই সফরের বিষয়ে প্রশাসনকে আগে থেকেই জানানো প্রয়োজন ছিল। কারণ প্রধানমন্ত্রীর পরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পান তিনিই।”

    আরও পড়ুন: ফড়ণবীশেই সিলমোহর, বৃহস্পতিতে জমকালো অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ দেবেন্দ্রর

    সুধাংশু বলেন, “রাহুল গান্ধীর কাছে জেড-প্লাস এএসএল  সুরক্ষা রয়েছে। এএসএল মানে অ্যাডভান্সড সিকিউরিটি লিয়াজ়ন। এটি প্রধানমন্ত্রীর পর সবচেয়ে উচ্চতর স্তরের সুরক্ষা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছাড়া অন্য কেউ এই সুরক্ষা পান না।” তিনি বলেন, “যদি আপনি সত্যিই সেখানে (সাম্ভালে) যেতে চাইতেন এবং তার প্রতি কিছু সহানুভূতি থাকত, তাহলে আপনি আগেই প্রশাসনকে একটি তথ্য দিতেন… আপনি সেখানে যাওয়ার কোনও ইচ্ছে দেখাননি। আপনি শুধু একটি আনুষ্ঠানিকতা (Rahul Gandhi) পালন করলেন এবং তারপর ফিরে এলেন (BJP)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: অশান্ত বাংলাদেশ! গেদে সীমান্তে রেল লাইনে বাঁশের ব্যারিকেড বিএসএফের

    Bangladesh: অশান্ত বাংলাদেশ! গেদে সীমান্তে রেল লাইনে বাঁশের ব্যারিকেড বিএসএফের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্ধ রয়েছে ভারত এবং বাংলাদেশের রেলপথে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা মৈত্রী এক্সপ্রেস। বাংলাদেশের (Bangladesh) বর্তমান পরিস্থিতিতে আবার কবে চালু হবে মৈত্রী এক্সপ্রেস, তা স্পষ্ট নয়। চরম সমস্যায় দুই দেশের নাগরিকরা। রেল পথে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এবং ভারত থেকে বাংলাদেশ যাওয়ার জন্য দুই দেশের তত্ত্বাবধানে চালু হয়েছিল মৈত্রী এক্সপ্রেস। মূলত কলকাতা থেকে রওনা দিত এই ট্রেন। নদিয়ার গেদে সীমান্ত হয়ে পৌঁছত বাংলাদেশে।

    রেল লাইনে বাঁশের ব্যারিকেড, কড়া নজরদারি বিএসএফের (Bangladesh)

    দিন কয়েক আগে বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুকে গ্রেফতার করা হয়। এরপরেই উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা বাংলাদেশ। সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর অরাজনৈতিকভাবে নির্মম অত্যাচার করা হয়। মন্দির এবং বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যায় ভারতের জাতীয় পতাকা অবমাননা করার ছবি। যার আঁচ এসে পৌঁছায় ভারতে। বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে রীতিমতো নিন্দার ঝড় ওঠে ভারতে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন সংগঠনকে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতেও দেখা যায়। ভারতীয়দের দাবি, যারা ভারতের জাতীয় পতাকার অবমাননা করে সেই সমস্ত ভারতবিদ্বেষী বাংলাদেশিরা কীভাবে ভারতে এসে বিনা মূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা পেতে পারে। ভারত সরকারকে আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান সকলে। বিএসএফ সূত্রে খবর, বহুদিন ধরে রয়েছে এই মৈত্রী এক্সপ্রেস। বর্তমানে বাংলাদেশে যে পরিস্থিতি চলছে, যাতে তার মধ্যে নিরাপত্তা বজায় থাকে সেই কারণে রেললাইনের ওপর বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশ থেকে রেল লাইন ধরে যাতে কেউ না আসতে পারে, তারজন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর সীমান্তে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে বিএসএফ।

    আরও পড়ুন: ভীত বাংলাদেশ! ত্রিপুরার উপ-দূতাবাস বন্ধ করল ঢাকা, অমিল ভিসা পরিষেবা

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    গেদে সীমান্তবর্তী এলাকার (Bangladesh) বাসিন্দা সাধন মণ্ডল, কার্তিক চন্দ্র ঘোষদের দাবি, মৈত্রী এক্সপ্রেস বন্ধ হওয়ার কারণে অনেকটাই সমস্যায় পড়েছেন সীমান্তবর্তী এলাকার নাগরিকরাও। তারা বৈধ পাসপোর্ট এবং ভিসা নিয়ে বিভিন্ন কাজে অনায়াসে রেলপথে যাতায়াত করতেন বাংলাদেশ থেকে ভারতে। কিন্তু মৈত্রী এক্সপ্রেস বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে সেই সমস্যা অনেকটাই বেড়েছে তাদের। তারাও চাইছেন বাংলাদেশের এই পরিস্থিতির যত দ্রুত সম্ভব সামাল দিক বাংলাদেশ প্রশাসন। তবে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি মিটে গিয়ে দুই দেশের আভ্যন্তরীণ আলোচনার মধ্য দিয়ে আবার কবে শুরু হয় ট্রেন পরিষেবা, তা নিয়েই দিন গুনছে সাধারণ মানুষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 210: “সমাধিস্থ লোকের মন যখন নিচে আসে, সত্ত্বগুণী লোকের সঙ্গে বিলাস করে”

    Ramakrishna 210: “সমাধিস্থ লোকের মন যখন নিচে আসে, সত্ত্বগুণী লোকের সঙ্গে বিলাস করে”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িমধ্যে

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ৪ঠা জুন

    দক্ষিণেশ্বরে ফলহারিণী—পূজাদিবসে ভক্তসঙ্গে

    মণিলাল, ত্রৈলোক্য বিশ্বাস, রাম চাটুজ্যে, বলরাম, রাখাল 

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—তা এইবার যা হয়েছে। দেখো যেন অন্যবার এরূপ না হয়! যেমন নিয়ম আছে, সেইরকমই বরাবর হওয়া ভাল।

    ত্রৈলোক্য যথোচিত উত্তর দিয়া চলিয়া গেলেন। কিয়ৎক্ষণ পরে বিষ্ণুঘরের পুরোহিত শ্রীযুক্ত রাম চাটুজ্যে আসিলেন।

    ঠাকুর(Ramakrishna)—রাম! ত্রৈলোক্যকে বললুম, যাত্রা হয় নাই, দেখো যেন এরূপ আর না হয় তা এ-কথাটা (Kathamrita) বলা কি ভাল হয়েছে?

    রাম চাটুজ্যে—মহাশয়, তা আর কি হয়েছে! বেশই বলেছেন। যেমন নিয়ম আছে, সেইরকমই তো বরাবর হওয়া উচিত।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (বলরামের প্রতি)—ওগো, আজ তুমি এখানে খেও।

    আহারের কিঞ্চিৎ পূর্বে ঠাকুর নিজের অবস্থার বিষয় ভক্তদের অনেক বলিতে লাগিলেন। রাখাল, বলরাম, মাস্টার, রামলাল, এবং আরও দু-একটি ভক্ত বসিয়াছিলেন।

    হাজরার উপর রাগ—ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ও মানুষে ইশ্বরদর্শন 

    শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—হাজরা আবার শিক্ষা দেয়, তুমি কেন ছোকরাদের জন্য অত ভাব? গাড়ি করে বলরামের বাড়ি যাচ্ছি, এমন সময় পথে মহা ভাবনা হল। বললুম “মা, হাজরা বলে, নরেন্দ্র আর সব ছোকরাদের জন্য আমি অত ভাবি কেন; সে বলে, ঈশ্বরচিন্তা ছেড়ে এ-সব ছোকরাদের জন্য চিন্তা করছ কেন?” এই কথা বলতে বলতে একেবারে দেখালে যে, তিনিই মানুষ হয়েছেন। শুদ্ধ আধারে স্পষ্ট প্রকাশ হন। সেইরূপ দর্শন করে যখন সমাধি একটু ভাঙল, হাজরার উপর রাগ করতে লাগলুম। বললুম(Kathamrita), শালা আমার মন খারাপ করে দিছল। আবার ভাবলুম, সে বেচারীরই বা দোষ কি, সে জানবে কেমন করে?

    নরেন্দ্রের সহিত শ্রীরামকৃষ্ণের প্রথম দেখা 

    “আমি এদের জানি, সাক্ষাৎ নারায়ণ (Ramakrishna)। নরেন্দ্রের সঙ্গে প্রথম দেখা হল। দেখলুম, দেহবুদ্ধি নাই। একটু বুকে হাত দিতেই বাহ্যশূন্য হয়ে গেল। হুঁশ হয়ে বলে উঠল, ‘ওগো, তুমি আমার কি করলে? আমার যে মা-বাপ আছে!’ যদু মল্লিকের বাড়িতেও ঠিক ওইরকম হয়েছিল। ক্রমে তাকে দেখবার জন্য ব্যাকুলতা বাড়তে লাগল, প্রাণ আটু-পাটু করতে লাগল। তখন ভোলানাথকে বললুম, হ্যাঁগা, আমার মন এমন হচ্ছে কেন? নরেন্দ্র বলে একটি কায়েতের ছেলে, তার জন্য এমন হচ্ছে কেন? ভোলানাথ বললে(Kathamrita), ‘এর মানে ভারতে আছে। সমাধিস্থ লোকের মন যখন নিচে আসে, সত্ত্বগুণী লোকের সঙ্গে বিলাস করে। সত্ত্বগুণী লোক দেখলে তবে তার মন ঠাণ্ডা হয়।’ এই কথা শুনে তবে আমার মনের শান্তি হল। মাঝে মাঝে নরেন্দ্রকে দেখব বলে বসে বসে কাঁদতুম।”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 209: “তুমি স্বর্গ, তুমি মর্ত মা, তুমি সে পাতাল, তোমা হতে হরি ব্রহ্মা, দ্বাদশ গোপাল”

    Ramakrishna 209: “তুমি স্বর্গ, তুমি মর্ত মা, তুমি সে পাতাল, তোমা হতে হরি ব্রহ্মা, দ্বাদশ গোপাল”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িমধ্যে

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ৪ঠা জুন

    দক্ষিণেশ্বরে ফলহারিণী—পূজাদিবসে ভক্তসঙ্গে

    মণিলাল, ত্রৈলোক্য বিশ্বাস, রাম চাটুজ্যে, বলরাম, রাখাল 

    আজ জৈষ্ঠ কৃষ্ণা চতুর্দশী। সাবিত্রী চতুর্দশী। আবার অমাবস্যা ও ফলহারিণী-পূজা। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) দক্ষিণেশ্বর-কালীবাড়িতে নিজ মন্দিরে বসিয়া আছেন। ভক্তেরা তাঁহাকে দর্শন করিতে আসিতেছেন। সোমবার, ইংরেজী ৪ঠা জুন, ১৮৮৩ খ্রীষ্টাব্দ।

    মাস্টার পূর্বদিন রবিবারে আসিয়াছেন। ওই রাত্রে কাত্যায়নীপূজা। ঠাকুর প্রেমাবিষ্ট হইয়া নাটমন্দিরে মার সম্মুখে দাঁড়াইয়া, বলিতেছেন(Kathamrita), “মা, তুমিই ব্রজের কাত্যায়নী:

    তুমি স্বর্গ, তুমি মর্ত মা, তুমি সে পাতাল।
    তোমা হতে হরি ব্রহ্মা, দ্বাদশ গোপাল।
    দশ মহাবিদ্যা মাতা দশ অবতার।
    এবার কোনরূপে আমায় করিতে হবে পার।”

    ঠাকুর গান করিতেছেন ও মার সঙ্গে কথা কহিতেছেন। প্রেমে একেবারে মাতোয়ারা! নিজের ঘরে আসিয়া চৌকির উপর বসিলেন।

    রাত্রি দ্বিপ্রহর পর্যন্ত ওই রাত্রে মার নাম হইতে লাগিল।

    সোমবার সকালে বলরাম এবং আরও কয়েকটি ভক্ত আসিলেন। ফলহারিনী-পূজা উপলক্ষে ত্রৈলোক্য প্রভৃতি বাগানের বাবুরা সপরিবারে আসিয়াছেন।

    বেলা নয়টা। ঠাকুর সহাস্যবদন—গঙ্গার উপর গোল বারান্দাটিতে বসিয়া আছেন। কাছে মাস্টার। ক্রীড়াচ্ছলে ঠাকুর রাখালের মাথাটি কোলে লইয়াছেন! রাখাল শুইয়া। ঠাকুর কয়েকদিন রাখালকে সাক্ষাৎ গোপাল দেখিতেছেন।

    ত্রৈলোক্য সম্মুখ দিয়া মা-কালীকে দর্শন করিতে যাইতেছেন। সঙ্গে অনুচর ছাতি ধরিয়া যাইতেছে। ঠাকুর (Ramakrishna) রাখালকে বললেন(Kathamrita), “ওরে, ওঠ্‌ ওঠ্‌।”

    ঠাকুর বসিয়া আছেন। ত্রৈলোক্য নমস্কার করিলেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ত্রৈলোক্যের প্রতি)— হ্যাঁগা, কাল যাত্রা হয় নাই?

    ত্রৈলোক্যে—হাঁ, যাত্রার তেমন সুবিধা হয় নাই।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kavach 5.0: ভারতে উচ্চ-গতি সম্পন্ন ট্রেন হবে কবচ ৫.০, প্রতি ঘণ্টায় ছুটবে ২৮০ কিমি বেগে

    Kavach 5.0: ভারতে উচ্চ-গতি সম্পন্ন ট্রেন হবে কবচ ৫.০, প্রতি ঘণ্টায় ছুটবে ২৮০ কিমি বেগে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কবচ ৫.০ ট্রেন (Kavach 5.0) ভারতে ২৮০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে ছুটবে। ভারতীয় রেলের আরও এক হাই—স্পিড ট্রেন (Train) চালু হবে। উল্লেখ্য ভারতের রেল ব্যবস্থায় মোদির আমালে বিরাট পরিবর্তন এসেছে বলে মনে করছেন যাত্রীদের একাংশ। এক দিকে বুলেট ট্রেন, বন্দে ভারত ট্রেন এবং অপর দিকে অত্যাধুনিক উন্নত সিগন্যালিং সিস্টেম, যা রেল যোগাযোগে এক আমূল পরিবর্তনের সাক্ষী হয়েছে দেশ।

    ৩২০ কিমির বেশি রেলপথে কাজ সম্পন্ন প্রায় (Kavach 5.0)

    কবচ ৫.০ ট্রেন (Kavach 5.0) একটি দেশীয় উচ্চ-গতি সম্পন্ন ট্রেন। এই ট্রেনের (Train) বিশেষত্ব হল উচ্চ গতি সম্পন্ন। অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় সুরক্ষা ব্যবস্থাও রয়েছে ট্রেনে। আপাতত মুম্বই-আমেদাবাদ রুটে এই ট্রেন চালানো হবে। ইতিমধ্যে ৩২০ কিমির বেশি রেলপথের জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়েছে এবং কাজ চলছে জোর কদমে। খুব দ্রুত এই রেলপথে এই ট্রেন ছুটবে। উল্লেখ্য মহারাষ্ট্রে এনডিএ সরকার গঠনের পর থেকে রেলের প্রকল্পে ব্যাপক প্রচার প্রসার লাভ করেছে।

    রেলের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, “এমএএইচএসআর প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হল, ভারতে উচ্চগতি সম্পন্ন রেল পথের বিস্তার করা। ভারত দ্রুত বুলেট ট্রেন করিডোরে সজ্জিত হবে। ২৫০ কিমি রেলপথ এবার ঘন্টায় ২৮০ কিমি গতিবেগে চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে বুলেট ট্রেনের মাধ্যমে। এই ট্রেন উন্নত বগি এবং পাওয়ার ট্রেন যুক্ত রেলের বডি থাকবে। এই প্রকল্প শেষ হতে আরও ৩ বছর সময় লাগবে।”

    আরও পড়ুনঃ এক অ্যাকাউন্টে চার নমিনি! ব্যাঙ্কিং আইন সংশোধনী বিল পাশ লোকসভায়

    জাপানের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ভারত

    কবচ ৫.০ (Kavach 5.0) ট্রেন প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি (ICF) এবং ভারত আর্থ মুভার্স লিমিটেড (BEML) এই হাই-স্পিড ট্রেনগুলি তৈরি করার জন্য চালু করা হয়েছে। ডিজাইন, ডেভেলপমেন্ট, টুলিং এবং টেস্টিং সুবিধা সহ বিইএমএল (BEML) প্রতি ইউনিট ২৭.৮৬ কোটি টাকায় কোচ তৈরি করবে, যার মোট খরচ হবে ৮৬৬.৮৭ কোটি টাকা। জাপানের শিনকানসেন সিস্টেমের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ভারতের কোম্পানিগুলি একত্রে কাজ করবে। এমএএইচএসআর (MAHSR) করিডোরের জন্য লাইনের কাজ ইতিমধ্যেই ৫০ শতাংশ সম্পূর্ণ হয়েছে। এই ভাবনা একটি শক্তিশালী অগ্রগতির ইঙ্গিত। ৩২০ কিমি ঘণ্টা গতিতে চলা এই হাই-স্পিড ট্রেনটি (Train) মুম্বই এবং আমেদাবাদের মধ্যে ৫০৮.১৭ কিমি দূরত্ব মাত্র দুই ঘন্টায় অতিক্রম করবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘প্রিন্স অফ ক্যামাক স্ট্রিটের” সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বলেই কি পুলিশের রদবদল? বিস্ফোরক সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ‘‘প্রিন্স অফ ক্যামাক স্ট্রিটের” সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বলেই কি পুলিশের রদবদল? বিস্ফোরক সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য পুলিশে বড় রদবদল। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে গোয়েন্দা প্রধান রাজাশেখরনকে। কলকাতা পুলিশে একাধিক রদবদল হচ্ছে। হাওড়া পুলিশেও এই বদলির ইস্যু বাদ পড়েনি। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বড় দাবি করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। শাসক দলের অন্দরে কোন্দল কতটা রয়েছে তা তিনি এই বদলি ঘটনাতেই স্পষ্ট বলে জানিয়ে দিলেন।

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার? (Sukanta Majumdar)

    বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুদার (Sukanta Majumdar) নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করলেন, আর তুলে ধরলেন রাজনৈতিক তত্ত্ব। রাজ্য পুলিশের রদবদলের নির্দেশিকার পরই সুকান্ত লিখলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শেষ কয়েকটি সিদ্ধান্তে বোঝা যাচ্ছে তৃণমূল অন্দরে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুর পরিবর্তন হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, ‘‘আরজি করের ঘটনার তদন্তে নেমে সরকারের পুলিশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আনুগত্য দেখানোর সীমা লঙ্ঘন করেছিল। তারপরও তৃণমূল কংগ্রেস নিয়ন্ত্রিত পুলিশ একাধিক সমালোচনার মুখে পড়ে। কারণ তারা দলের নেতা এবং কাউন্সিলরদের সুরক্ষা দিতে পারেনি। তাই অজানা কিছু শক্তির চাপেই রদবদল হল।”

    ‘‘প্রিন্স অফ ক্যামাক স্ট্রিটের” সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বলেই পুলিশের রদবদল

    সম্প্রতি, নবান্ন সভাঘরের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য পুলিশ ও সিআইডি-র একাংশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন। সেদিনই ডিজি-কে বলে দিয়েছিলেন, শীঘ্রই তিনি সিআইডি-তে বদল আনবেন। তারপরই এদিন রাজ্য পুলিশে বদলের নির্দেশিকা। সব থেকে উল্লেখ্যযোগ্য চারটে পদে বদল। সরিয়ে দেওয়া হল গোয়েন্দা প্রধানকেই। আর এই ইস্যুতে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে  বলেন, ‘‘প্রিন্স অফ ক্যামাক স্ট্রিটের প্রভাবে পুলিশ ফোর্স এতদিন বিরোধীদের কণ্ঠস্বর দাবিয়ে রাখত। প্রিন্সের ঘনিষ্ঠ পুলিশ আধিকারিকের বদলি এটা বুঝিয়ে দিল মুখ্যমন্ত্রী এখন গোটাটাই একা হাতে নিয়ন্ত্রণ করবেন। প্রশাসন ও দল দুটোই।’’ সুকান্ত খোঁচা দিয়ে লিখলেন, ‘‘এরপরও বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের অন্তর্দ্বন্দ্ব আর কতটা প্রতীয়মান হবে?’’

    মমতাকে তোপ

    বেলডাঙ্গা, শ্যামপুর, রাজাবাজারের অশান্তির ঘটনা নিয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে আক্রমণ করেছেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) । তাঁর অভিযোগ, তোষণের রাজনীতি করতে গিয়ে সীমা ছাড়িয়ে ফেলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই এইসব জায়গার অশান্তির ঘটনা তাঁর চোখে পড়ে না। শাসক দলের হয়ে কু-কাজ করা নেতাদের সুরক্ষা না দিতে পারায় পুলিশের বদলি হচ্ছে। সাধারণ মানুষ আক্রান্ত হলে সরকার চুপ। সুকান্ত মজুমদারের প্রশ্ন, এটাই কি গণতন্ত্রের ছবি?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • West Bengal: গত পাঁচ বছরে রাজ্য থেকে বিদায় নিয়েছে ২,২৭৭টি কোম্পানি! শমীকের প্রশ্নে বলল কেন্দ্র

    West Bengal: গত পাঁচ বছরে রাজ্য থেকে বিদায় নিয়েছে ২,২৭৭টি কোম্পানি! শমীকের প্রশ্নে বলল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফি বছর ঘটা করে শিল্প সম্মেলন হচ্ছে বাংলায় (West Bengal)। ছোট-বড়-মাঝারি শিল্পপতিরাও আসছেন। সরকারি পয়সায় মোচ্ছবও হচ্ছে। তবে ক’টা শিল্প হয়েছে তৃণমূলের জমানায়, তা জানা যায়নি (Companies Left)। দু’-একটা স্পঞ্জ আয়রন কারখানা হওয়ার কথা থাকলেও, সেগুলির কী হাল, তাও জানা যায়নি। রাজ্যের এহেন ‘শিল্পছবি’র গায়ে লাগল কেলেঙ্কারির কালো রং।

    পাততাড়ি গুটিয়েছে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান 

    জানা গিয়েছে, মমতা জমানার (Mamata Banerjee) শেষ পাঁচ বছরে পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) থেকে ব্যবসা গুটিয়ে ভিন রাজ্যে চলে গিয়েছে ২ হাজার ২৭৭টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ৩৯টি শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিও রয়েছে। রাজ্যসভার একটি প্রশ্নের উত্তরে এ খবর জানানো হয়েছে কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের পক্ষ থেকে। বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যের (Shamik Bhattacharya) এক প্রশ্নের উত্তরে এ খবর জানায় কর্পোরেট বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রক। শমীকের প্রশ্ন ছিল, তৃণমূল কংগ্রেস সরকার কি এই কোম্পানিগুলির স্থানান্তরের কারণ নির্ধারণ করেছে এবং ব্যবসা আকৃষ্ট ও ধরে রাখার জন্য কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করছে? উত্তরে, কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়— প্রশাসনিক, কার্যকরী সুবিধা, খরচ-সাশ্রয় এবং উন্নত নিয়ন্ত্রণ-সহ আরও কিছু কারণে এই স্থানান্তর ঘটেছে।

    শমীকের প্রশ্ন

    শমীকের (Shamik Bhattacharya) প্রশ্ন, (ক) কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী কি অনুগ্রহ করে ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) থেকে অন্যান্য রাজ্যে তাদের রেজিস্টার্ড কার্যালয় স্থানান্তরিত করা কোম্পানিগুলির মোট সংখ্যা, (খ) সেই কোম্পানিগুলির মধ্যে কতগুলি শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত এবং তারা মূলত কোন খাতে অন্তর্ভুক্ত, (গ) সরকার কর্তৃক চিহ্নিত স্থানান্তরের কারণ, যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ থেকে কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে যে কোনও অসুবিধা বা চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করা হয়েছে এবং (ঘ) এই সমস্যাগুলির সমাধান ও পশ্চিমবঙ্গে ব্যবসা ধরে রাখা এবং আকৃষ্ট করার জন্য সরকার গ্রহণ করা পদক্ষেপগুলি জানানোর জন্য সম্মতি প্রকাশ করবেন (Mamata Banerjee)?

    মন্ত্রকের জবাব

    মন্ত্রক জানিয়েছে, ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য থেকে অন্যান্য রাজ্যে তাদের রেজিস্টার্ড অফিস স্থানান্তরিত করেছে ২২২৭টি কোম্পানি। (খ) উপরে উল্লিখিত ২২২৭টি কোম্পানির মধ্যে ৩৯টি তালিকাভুক্ত কোম্পানি। এই কোম্পানিগুলি উৎপাদন, অর্থায়ন, কমিশন এজেন্ট, বাণিজ্যিক কার্যক্রম ইত্যাদির সঙ্গে জড়িত। (গ) ও (ঘ) কোম্পানিগুলিকে তাদের রেজিস্টার্ড অফিস এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে স্থানান্তর করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে কোম্পানি আইন, ২০১৩-এর ধারা ১৩(৪) এবং কোম্পানি (ইনকর্পোরেশন) বিধি, ২০১৪-এর রুল ৩০ অনুসারে। কোম্পানিগুলি তাদের আবেদনপত্রে রেজিস্টার্ড অফিস স্থানান্তরের কারণ হিসেবে প্রশাসনিক, কার্যকরী সুবিধা, ব্যয় সাশ্রয়, ভালো নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি উল্লেখ করেছে।

    আরও পড়ুন: ফড়ণবীশেই সিলমোহর, বৃহস্পতিতে জমকালো অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ দেবেন্দ্রর

    সরকারের নীতিগুলির উল্লেখ নেই

    উল্লেখ্য যে, ভবিষ্যতে এমন কোম্পানিগুলির স্থানান্তর প্রতিরোধে সরকারের নীতিগুলির উল্লেখ করা হয়নি। এদিকে, বিজেপির জাতীয় তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্বে থাকা এবং পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) কো-ইনচার্জ অমিত মালব্যও এই তথ্য তুলে ধরে তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমোকে আক্রমণ শানিয়েছেন। তিনি বলেন, এটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্পোরেট স্থানান্তরের রিপোর্ট কার্ড এবং একজন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি কতটা বিশাল বিপর্যয়, তার উদাহরণ। তিনি বলেন, এটি একটি উদ্বেগজনক প্রবণতা, যা পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) চাকরি, ব্যবসা এবং শিল্প বৃদ্ধির অভাবের করুণ ছবি তুলে ধরে। এই তথ্যটি রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যের প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রক দিয়েছে। বিজেপির দাবি, রাজ্যের বর্তমান সরকার শিল্পবিরোধী এবং এই উন্নয়ন তৃণমূল কংগ্রেস প্রশাসনের জন্য বড় অস্বস্তির কারণ হতে পারে।

    আরও পড়ুন: স্বর্ণমন্দিরে অকালি প্রধান সুখবীর সিং বাদলকে লক্ষ্য করে চলল গুলি, ধৃত হামলাকারী

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Shamsi Shahi Masjid: বদায়ুঁর শামসি শাহী মসজিদ আসলে নীলকণ্ঠ মহাদেবের মন্দির, কীভাবে ভাঙা হয়েছিল জানেন?

    Shamsi Shahi Masjid: বদায়ুঁর শামসি শাহী মসজিদ আসলে নীলকণ্ঠ মহাদেবের মন্দির, কীভাবে ভাঙা হয়েছিল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁর শামসি শাহী মসজিদ (Shamsi Shahi Masjid) হল হিন্দু নীলকণ্ঠ মহাদেবের মন্দির (Nilkanth Mahadev Mandir)। ঐতিহাসিক তথ্য এবং প্রমাণ তুলে ধরে হিন্দুরা মসজিদ থেকে মন্দির উদ্ধারের জন্য দাবি তুলেছেন। ইতিমধ্যে মামলা আদালতে গড়ালে আইনি লড়াইকে দ্রুত নিস্পত্তি করতে ফাস্ট-ট্র্যাক কোর্ট গঠন করা হয়। ৩ ডিসেম্বর মামলার শুনানি ছিল আদালতে কিন্তু মুসলিম পক্ষ উপস্থিত না থাকায় আগামী ১০ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়। সম্ভলের মসজিদ যেমন হরিহর মন্দির ঠিক, একই ভাবে শামসিও শৈব মন্দির। আসুন জেনে নিই এই মন্দিরের ইতিহাস।

    প্রত্নতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণের তরফ থেকে সংরক্ষণ করা হয়েছে (Shamsi Shahi Masjid) 

    হিন্দু পক্ষ থেকে মুকেশ প্যাটেল দাবি তুলে বলেন, “বদায়ুঁর শামসি শাহী মসজিদের (Shamsi Shahi Masjid) বিতর্কিত কাঠামোটি আদতে শিবের মন্দির। প্রথমে সিভিল জজ সিনিয়র ডিভিশন ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে বাদী-বিবাদী পক্ষ নিজেদের বিষয় রাখবেন। মুসলিম পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখার কথা ছিল। কিন্তু তাঁরা উপস্থিত ছিলেন না। মন্দিরের (Nilkanth Mahadev Mandir) সম্পূর্ণ এলাকা প্রত্নতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণের তরফ থেকে সংরক্ষণ করা হয়েছে। মামলার বিষয় যেহেতু ধর্মীয় সংবেদনশীলতায় পূর্ণ তাই নিরাপত্তার বিষয়ে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে।” আবার হিন্দুপক্ষের আইনজীবী বেদ প্রকাশ সাহু বলেন, “মুসলিমপক্ষের আইনজীবীদের উদ্দেশ্য মামলাটি দীর্ঘায়িত করা। একই ভাবে তাঁরা মামলায় যুক্তির নামে আমাদের সময় এবং আদালতের সময় নষ্ট করতে চাইছে।”

    আরও পড়ুনঃ স্বর্ণমন্দিরে অকালি প্রধান সুখবীর সিং বাদলকে লক্ষ্য করে চলল গুলি, ধৃত হামলাকারী

    হিন্দু-মুসলিম পক্ষের বক্তব্য

    প্রসঙ্গত স্থানীয় হিন্দু পরম্পররা ইতিহাস সূত্রে জানা গিয়েছে, এই জামে মসজিদ শামসি (Shamsi Shahi Masjid) তৈরি হয়েছে হিন্দু দেবতা নীলকণ্ঠ মহাদেবের মন্দিরটিকে (Nilkanth Mahadev Mandir) ভেঙে ফেলার মাধ্যমে। এক সময় এই মসজিদ কাঠামোর উপর শৈব মন্দির দাঁড়িয়ে ছিল। আবার পাল্টা মুসলিম পক্ষের দাবি, মসজিদ যে মন্দির ভেঙে নির্মাণ করা হয়েছে তার কোনও উল্লেখ নেই। এই শামসি মসজিদটি সুফি সাধক বাদশা শামসুদ্দিন আলতামাশ নির্মাণ করেছিলেন। এই এলাকায় আল্লার ইবাদত করতে এই মসজিদ স্থাপন হয়েছিল।

    মসজিদের ছোট খোদাই করা স্তম্ভ মন্দিরের অংশ

    উত্তরপ্রদেশে বদায়ুঁ জেলার গেজেটিয়ারের মতো ঐতিহাসিক নথি এই মন্দির বিতর্কটিকে ব্যাপকভাবে চাঞ্চাল্য তৈরি করেছে। গেজেটিয়ার থেকে জানা গিয়েছে, শামসি শাহী মসজিদটি (Shamsi Shahi Masjid) মন্দিরের (Nilkanth Mahadev Mandir) ভাঙা পাথরের উপর নির্ভর করে গড়া হয়েছে। শহরের মৌলভি টোলা এলাকার উচু জায়গায় রয়েছে। আগে এই এলাকায় প্রচুর হিন্দু বসবাস করত। এখানেই উঁচু স্থানে মন্দির প্রথমে ছিল, যা পরে মসজিদের জন্য জায়গা নির্ধারিত করা হয়। এখানকার প্রথম গভর্নর শামস-উদ্দিন ইলতুৎমিশ ১২০২ থেকে ১২১০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তাঁর শাসনামলে মসজিদের নির্মাণ হয়। মসজিদের মিহরাবের পাশে ছোট খোদাই করা স্তম্ভ, যা পুরানো হিন্দু মন্দিরের অংশ। উত্তর থেকে দক্ষিণে মোট বিস্তৃতি হল আনুমানিক ৮৫.৩ মিটার।

    মহিপাল দ্বারা নির্মিত হরমান্দর মন্দিরকে ভাঙা হয়

    ভারতীয় পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণের সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, প্রাচীন মন্দিরের বেলে পাথরের ব্লকগুলি মসজিদ (Shamsi Shahi Masjid) নির্মাণের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। একই ভাবে দুই পাশে দণ্ডায়মান স্তম্ভগুলি হিন্দু ভবন থেকে নেওয়া হয়েছে। তবে মসজিদের জন্য কিছুটা ছোট করা হয়েছে। একইভাবে গাঙ্গেয় প্রদেশ ভ্রমণের রিপোর্ট (১৮৫৭-৭৬ এবং ১৮৭৭-৭৮) সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মসজিদ হল আদতে পালরাজা মহিপাল দ্বারা নির্মিত হরমান্দর নামে একটি মন্দির। খুব পরিকল্পনার সঙ্গে ইসলামি আক্রমণের সময় মন্দিরটিকে ভেঙে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছিল। একই ভাবে মসজিদের গাত্রে হিন্দু শৈলী, শিল্পকলা, নকশা এবং নানাবিধ উপকরণ লক্ষ্য করা গিয়েছে। এত সব প্রমাণের উপর নির্ভর করে হিন্দু পক্ষের দাবি এই মসজিদ আগে হিন্দু মন্দিরই (Nilkanth Mahadev Mandir) ছিল।

    হিন্দু সংস্কৃতির পুনঃজাগরণ

    উল্লেখ্য এই মামলায় ভারতীয় পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণ এবং কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক মন্ত্রককে পক্ষ করা হয়েছে। এই মসজিদ (Shamsi Shahi Masjid) কাঠামো বিতর্কে ২০২২ সালে প্রথম মামলা দায়ের করা হয়েছিল। একই ভাবে গত ২৪ নভেম্বর সম্ভলে মসজিদ জরিপ করতে গেলে সরকারি কাজে বাধা দিয়ে উস্কানি ছড়ায় উন্মত্ত মুসলমানরা। তদন্তে দুষ্কৃতীরা যে অস্ত্র ব্যবহার করেছেন তাতে পাকিস্তান-আমেরিকার নাম এসেছে। ফলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছেন মসজিদের কবল থেকে মন্দিরকে (Nilkanth Mahadev Mandir) পুনঃপ্রতিষ্ঠা যথার্থ ভাবে হিন্দু সংস্কৃতির পুনঃজাগরণ বটে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share