Tag: Bengali news

Bengali news

  • Daily Horoscope 03 december 2024: দাম্পত্য জীবনে উদ্বেগ দেখা দিতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 03 december 2024: দাম্পত্য জীবনে উদ্বেগ দেখা দিতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) শত্রুভয় কাটিয়ে উঠতে পারবেন।

    ২) ব্যবসায় লাভ-ক্ষতি নিয়ে চিন্তা থাকবে।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    বৃষ

    ১) কাজের ক্ষেত্রে প্রচুর চিন্তা থাকবে।

    ২) ব্যবসার ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকুন, বুদ্ধিভ্রংশ হতে পারে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    মিথুন

    ১) বাড়িতে অশান্তির কারণে আপনার সম্মানহানি হতে পারে।

    ২) আপনার বক্তব্য সকলের মন জয় করতে সক্ষম হবে।

    ৩) প্রতিকূল কাটবে দিনটি।

    কর্কট

    ১) আর্থিক টানাপড়েন থাকতে পারে।

    ২) নম্র স্বভাবের জন্য কর্মস্থলে সুনাম বৃদ্ধি।

    ৩) নিজেকে সময় দিন।

    সিংহ

    ১) কোনও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ না করাই ভাল হবে।

    ২) ভ্রমণে সমস্যা বাড়তে পারে, একটু সাবধান থাকুন। 

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    কন্যা

    ১) অতিরিক্ত বিলাসিতার জন্য খরচ বাড়তে পারে।

    ২) গুরুজনদের সদুপদেশে কর্মে উন্নতি। 

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    তুলা

    ১) নিজের ভুল সংশোধন করার ফলে ব্যবসায় উন্নতি ও দারুণ অর্থপ্রাপ্তির যোগ রয়েছে।

    ২) গুরুজনের শরীর নিয়ে চিন্তা থাকবে।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করবেন।

    বৃশ্চিক

    ১) রক্তাল্পতায় ভুগতে পারেন।

    ২) কোনও ব্যক্তির জন্য দাম্পত্য কলহ।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    ধনু

    ১) সহকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করায় মানসিক চাপ বাড়বে।

    ২) প্রেমে কষ্ট বাড়তে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    মকর

    ১) সব কাজেই সুনাম পেতে পারেন।

    ২) ব্যবসায় ক্ষতির সম্ভাবনা।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কুম্ভ

    ১) দাম্পত্য জীবনে উদ্বেগ দেখা দিতে পারে।

    ২) কোনও ঝুঁকিপ্রবণ কাজ  করতে হতে পরে। 

    ৩) বন্ধুদের পাশে পাবেন।

    মীন

    ১) প্রিয়জনের সঙ্গে বিবাদ নিয়ে চিন্তা হতে পারে।

    ২) গরিব মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা করুন।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করলেন মমতা

    Mamata Banerjee: বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করলেন মমতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশে নিপীড়িত হচ্ছেন হিন্দুরা। রাজনৈতিক মহলের মতে, যেহেতু একটি মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্রের ঘটনা, তাই মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক অটুট রাখতে এতদিন মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

    বিধানসভা নির্বাচন (Mamata Banerjee)

    তবে ‘২৬ সালে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তাই বাংলাদেশে যারা সংখ্যালঘু, বাংলায় তারাই সংখ্যাগুরু, এবং তাদের ভোট প্রয়োজন, তাই শেষমেশ মুখ খুললেন তিনি। এবং দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ। বাংলাদেশে রাষ্ট্রসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনী মোতায়েনের আহ্বানও জানান তিনি। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপও দাবি করেন তিনি।

    মৌনব্রত ভঙ্গ

    গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তার পর থেকে সে দেশে হিন্দু নির্যাতন উঠেছে তুঙ্গে। সম্প্রতি ইসকনের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে বাংলাদেশে। তার পরেই মৌনব্রত ভঙ্গ করেছেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, “আমাদের পরিবার…সম্পত্তি… এবং প্রিয়জনেরা বাংলাদেশে রয়েছে। এই বিষয়ে ভারত সরকারের যে কোনও অবস্থান আমরা মেনে নিই… কিন্তু আমরা পৃথিবীর যে কোনও জায়গায় ধর্মীয় ভিত্তিতে হওয়া নির্যাতনের নিন্দা করি এবং কেন্দ্রীয় সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তক্ষেপ করার আবেদন জানাই।”

    আরও পড়ুন: “আমরা জামিন দিই, আর আপনি মন্ত্রী হয়ে যান” মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের

    এদিন বিধানসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বলেন, “আমি ইসকনের কলকাতা ইউনিটের প্রধানের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁকে সহানুভূতি ও সমর্থন জানিয়েছি।” তিনি বলেন, “যদি বাংলাদেশে ভারতীয়দের ওপর আক্রমণ করা হয়, তাহলে আমরা তা সহ্য করব না। আমরা আমাদের মানুষদের ফিরিয়ে আনতে পারি… ভারত সরকার এই বিষয়টি জাতিসংঘের কাছে তুলে ধরতে পারে… যাতে একটি শান্তিরক্ষা বাহিনী পাঠানো যায়।”

    মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) বলেন, “আমি অন্য একটি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চাই না।” তিনি বলেন, “যখন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীরা ভুলবশতঃ ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশ করেছেন, বা যখন একটি বাংলাদেশি ট্রলার ডুবে গিয়েছিল, তখন আমার সরকার তাঁদের উদ্ধার করেছে এবং ভালোভাবে তাঁদের যত্ন নিয়েছে (Mamata Banerjee)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
     
  • Supreme Court: “আমরা জামিন দিই, আর আপনি মন্ত্রী হয়ে যান” মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: “আমরা জামিন দিই, আর আপনি মন্ত্রী হয়ে যান” মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমরা জামিন দিই এবং পরদিন আপনি মন্ত্রী হয়ে যান!” তামিলনাড়ু মন্ত্রিসভায় সেন্টিল বালাজির (Senthil Balaji)  নিয়োগ নিয়ে এমনই মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ক্যাশ-ফর-জবস কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত অর্থপাচারের মামলায় জামিন পাওয়ার পরপরই মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দেওয়া হয়েছে সেন্টিলকে। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতেই এমনতর মন্তব্য শীর্ষ আদালতের।

    কী বললেন বিচারপতি? (Supreme Court)

    ২ ডিসেম্বর, সোমবার, বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হচ্ছিল বালাজিকে জামিন দেওয়ার রায় পুনর্বিবেচনার জন্য করা একটি আবেদনের। আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল যে বালাজির মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ সাক্ষীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। শুনানির সময় বিচারপতি ওকা বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, “আমরা জামিন দিই এবং পরদিন আপনি মন্ত্রী হয়ে যান! যে কেউ মনে করবে যে, একজন সিনিয়র মন্ত্রিসভার মন্ত্রী হিসেবে এখন আপনার পদমর্যাদার কারণে সাক্ষীরা চাপে থাকবে। এটা কী চলছে?”

    কী বলছে বেঞ্চ?

    তবে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও বেঞ্চ ইঙ্গিত দিয়েছে যে তারা পূর্বের জামিন সংক্রান্ত রায়ে হস্তক্ষেপ করবে না। ২৬ সেপ্টেম্বর ওই রায় দেওয়া হয়েছিল। আদালত স্বীকার করে যে বালাজির নতুন পদমর্যাদা সাক্ষীদের ওপর অযথা প্রভাব ফেলতে পারে। তবে এটি পূর্ববর্তী রায়ের সারমর্ম পুনর্বিবেচনা করবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে। এর আগে বালাজির জামিন মঞ্জুর করেছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। যদিও অর্থপাচার মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল। কোর্ট তাঁর দীর্ঘ কারাবাস এবং দ্রুত বিচার শুরু হওয়ার সম্ভাবনা নেই দেখে জামিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

    আরও পড়ুন: ‘‘কলকাতার এক দিনের ময়লা ফেলে এলেই চাপা পড়ে যাবেন’’, ইউনূসকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মামলাটি বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে বালাজির দ্রুত রাজনৈতিক নিয়োগের কারণে। জামিনে মুক্তি পাওয়ার মাত্র তিন দিন পর, ২৯ সেপ্টেম্বর, তিনি তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিনের প্রশাসনে মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শপথ নেন। তিনি বিদ্যুৎ, অপ্রচলিত জ্বালানি উন্নয়ন, এবং মদ্যনিষেধ ও আবগারি বিভাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। এই দ্রুত উন্নতি বালাজির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও এমন নিয়োগ কতটা যুক্তিযুক্ত, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

    বেঞ্চ স্পষ্ট করে দিয়েছে যে তারা আপাতত মামলায় কোনও নোটিশ জারি করছে না। তবে বালাজির আইনজীবীদের নির্দেশ পাওয়ার জন্য (Senthil Balaji) সময় চেয়েছে। মামলাটি পরবর্তী শুনানি ১৩ ডিসেম্বর (Supreme Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর যে  নির্যাতন চলছে, তা মানবতাবিরোধী’’, বললেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ‘‘বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর যে নির্যাতন চলছে, তা মানবতাবিরোধী’’, বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘স্থলবন্দর পরিদর্শন করে বিএসএফের কাছ থেকে খবর নিয়েছি, ওপারের অবস্থা ভালো নয়। ভারত সরকার শুধুমাত্র মেডিক্যাল ভিসা দিচ্ছে। যে কারণে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৫০০ জন যাত্রীর জায়গায় ১৫০ জন পারাপার করছেন। ভারত সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে যে পরামর্শ বিএসএফকে দেওয়ার, সেটাই দেওয়া হয়েছে।’’ হিলি স্থলবন্দর ঘুরে দেখার পর এমনই মন্তব্য করলেন উত্তর- পূর্ব উন্নয়ন মন্ত্রকের মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    স্থলবন্দর পরিদর্শনে বালুরঘাটের সাংসদ (Sukanta Majumdar)

    বাংলাদেশ সমস্যা নিয়ে সীমান্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। হিলি স্থলবন্দর পরিদর্শন করেন বালুরঘাটের সাংসদ (Sukanta Majumdar)। পরিদর্শনের সময় স্থলবন্দরে কর্তব্যরত বিএসএফ আধিকারিকদের থেকে সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজখবর করেন। জিরো পয়েন্টে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে সৌহার্দ্য বিনিময় করেন তিনি। বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে সীমান্ত সমস্যা ও দুই দেশের সম্পর্কে অবনতির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য নিয়ে সীমান্তে চলছে অনিশ্চয়তা। এহেন অবস্থায় সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য হিলি স্থলবন্দর পরিদর্শন করেন সুকান্ত মজুমদার। স্থলবন্দরে পৌঁছে সীমান্ত প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি নিয়ে বিএসএফ আধিকারিককে সতর্ক করেন উত্তর-পূর্ব উন্নয়ন মন্ত্রকের মন্ত্রী। এরপরেই তিনি হিলির চোদ্দো হাত কালীর মেলায় পৌঁছান। সেখানে মন্দিরে পুজো দিয়ে ভক্তদের সঙ্গে কথা বলেন বালুরঘাটের সাংসদ।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবিতে পেট্রাপোল সীমান্তে আজ প্রতিবাদ-সভা শুভেন্দুর

    কী বললেন সুকান্ত?

    পরে, এই প্রসঙ্গে উত্তর-পূর্ব উন্নয়ন মন্ত্রকের মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘‘বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে এপারের বাঙালিরা দুঃখিত। সেদেশে যেভাবে হিন্দুদের ওপর নির্যাতন চলছে, তা মানবতাবিরোধী। প্রতিবেশী রাষ্ট্রে সংখ্যালঘুদের ওপর অবিলম্বে আক্রমণ বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।” উত্তরবঙ্গে আট জেলার অধীনে থাকা প্রায় ১৯৩৭ কিলোমিটার ইন্দো বাংলাদেশ সীমান্তের নিরাপত্তার দায়িত্বে মোতায়েন রয়েছে বিএসএফ। কিন্তু সম্প্রতি বাংলাদেশে তৈরি হওয়া অস্থিরতার কারণে ইন্দো বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে বিএসএফের তরফে। অতিরিক্ত জওয়ান মোতায়েনের পাশাপাশি থার্মাল ক্যামেরা, নাইট ভিশন ক্যামেরা, সিসি ক্যামেরা ও ড্রোনে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। সীমান্তে পারাপারে বসানো হয়েছে বায়োমেট্রিক মেশিন। তবে চলতি বছরে জলপাইগুড়ি জেলার অধীনে মিলন মেলা নিয়ে ধন্দ প্রকাশ করেছেন আইজি। মিলন মেলা আয়োজিত হলে যেন সরকারিভাবে নিয়ম মেনে ও সরকারি অনুমোদনে আয়োজিত হয় সেই কথা জানিয়েছেন আইজি।

    কী বললেন বিএসএফের আইজি?

    অস্থিরতার জেরে ইন্দো-বাংলাদেশ (Bangladesh) সীমান্ত দিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে অনুপ্রবেশ। গত চার মাসে শুধু মাত্র উত্তরবঙ্গে মোতায়েন থাকা বিএসএফের শিলিগুড়ি ফ্রন্টিয়ারের অধীনে অনুপ্রবেশের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে অনুপ্রবেশকারীদের কড়া হাতে প্রতিরোধ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিলিগুড়ি ফ্রন্টিয়ারের বিএসএফ আধিকারিকরা। বিএসএফের আইজি সূর্যকান্ত শর্মা বলেন, ‘‘সীমান্তে টানা ও নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা রাখা হয়েছে। তবে অগাস্ট মাসের পরে ওপার থেকে সংখ্যালঘুদের এপারে আসার একটা চাপ ও প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিজিবির সঙ্গে আলোচনা করে খুব দক্ষতার সঙ্গে সেইসব সমস্যা মেটানো হচ্ছে। পাশাপাশি ফেন্সিংয়ের জন্য জমি অধিগ্রহণে রাজ্য সরকারের ভালো সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে। ফ্রন্টিয়ারের অধীনে থাকা মোট সীমান্তের ১০ শতাংশে ফেন্সিং নেই। খুব তাড়াতাড়ি সেই জায়গায়ও ফেন্সিং করা হবে।’’

    কত বাংলাদেশিদের গ্রেফতার?

    বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালে বিএসএফের নর্থ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার ইন্দো বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী ১২৭ জন বাংলাদেশি ও ১৭৩ জন ভারতীয়কে গ্রেফতার করে। কিন্তু চলতি বছরে সেই সংখ্যা বেড়ে ১৯৪ জন বাংলাদেশি, ১৯৭ জন ভারতীয়, তিন জন রোহিঙ্গা ও তিন জন অন্য অনুপ্রবেশকারী মিলিয়ে মোট ৩৯৭ জন অনুপ্রবেশকারীদের পাকড়াও করে। সব থেকে আশ্চর্যের বিষয় হল, চলতি বছরের অগাস্ট মাস থেকে নভেম্বর পর্যন্ত গত চার মাসেই ১৪৯ জন অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করেছে বিএসএফ। যার মধ্যে ৩৫ জন ভারতীয় ও ১১৪ জন বাংলাদেশি রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “বাংলাদেশিদের শেল্টার দেওয়ার কথা বলার সময় কেন্দ্রকে মনে ছিল না?” মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “বাংলাদেশিদের শেল্টার দেওয়ার কথা বলার সময় কেন্দ্রকে মনে ছিল না?” মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অবস্থান এবং তাঁর মন্তব্যকে দ্বিচারিতা বলে কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বাংলাদেশ ইস্যুতে বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরে তাঁর সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিরোধী দলনেতা। কার্যত তাঁর বক্তব্য সামনে নিয়ে তাঁকে তুলোধনা করলেন।

    ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী?

    সোমবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, “আমি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করছি, যাতে তারা রাষ্ট্রপুঞ্জকে বলে, যে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে ওখানে একটা পিসকিপিং ফোর্স পাঠানো হোক।” তাঁর কথায়, “এটা কেন্দ্রের ব্যাপার। পররাষ্ট্রের ব্যাপার। তবে এও ঠিক যে, আমাদের অনেক বন্ধু আত্মীয়স্বজন বাংলাদেশে রয়েছে। ধর্ম, বর্ণ, জাতি যেখানেই আক্রান্ত হোক আমরা নিন্দা করি। আমরা চাই শান্তি ফিরুক। তা নিশ্চিত করা হোক। এই সভা থেকে প্রস্তাব নেওয়া হোক যে আমাদের বন্ধুদের ওপর যেন অত্যাচার না হয়।” 

    দ্বিচারিতা বলে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মুখ্যমন্ত্রীর পররাষ্ট্রের দিকে বল ঠেলে দেওয়ার ব্যাপারটাকে হাতিয়ার করেই দ্বিচারিতা বলে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, “যখন বাংলাদেশে কোটা বিরোধী আন্দোলন চলছিল, যখন হাসিনা সরকার দমনপীড়ন চালাচ্ছিল তখন মমতা আহ্বান করেছিলেন যে ‘যাঁরা আক্রান্ত হবেন আসুন আমি শেল্টার দেব। তখন ওঁর পররাষ্ট্রের কথা মনে পড়েনি?” শুভেন্দুর কথায়, “এখন যখন হিন্দুরা আক্রান্ত হচ্ছেন, শুধু বাংলাদেশ কেন গোটা পৃথিবী জুড়ে যখন হিন্দুরা আক্রান্ত হচ্ছেন তখন হিন্দু সনাতনীরা রাস্তায় নেমেছেন। জনবিস্ফোরণ হচ্ছে। ওঁর দলের হিন্দুদের মধ্যেও ব্যাপক জনরোষ তৈরি হয়েছে, তখন তিনি প্রধানমন্ত্রীর দিকে দায়িত্ব ঠেলছেন। দায়িত্ব ওঁকেও নিতে হবে। একই অঙ্গে বিভিন্ন রূপ না দেখিয়ে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে করুক।”

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবিতে পেট্রাপোল সীমান্তে আজ প্রতিবাদ-সভা শুভেন্দুর

    বাংলাদেশে রফতানির বন্ধের হুঙ্কার দেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    সনাতনী হিন্দু সংগঠনের ডাকে সোমবার দুপুরে পেট্রাপোল সীমান্তের মঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। অরাজনৈতিক সংগঠনের ব্যানারে বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। সেখান থেকে হিন্দুদের জোট বাঁধার ডাক দেন তিনি। এর পর হাতে জাতীয় পতাকা নিয়ে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিয়ে জিরো পয়েন্টের দিকে পদযাত্রা করেন। সেখানে কালো বেলুন উড়িয়ে প্রতিবাদ দেখান। তার পর প্যাসেঞ্জার টার্মিনাস ধরে অভিবাসন কেন্দ্রের দিকে রওনা দেন। সকাল থেকেই এই চত্বরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন প্রচুর মানুষ। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন শুভেন্দু। হাতও মেলান। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার কথায়, “হাজার হাজার মানুষ জমায়েত করেছে। এরা কোনও বিজেপি নয়। হিন্দুরা জোট বাঁধছে।’’

    শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি, ‘‘এটা আমরা ট্রেলার দেখিয়ে গেলাম। অত্যাচার বন্ধ না হলে এর পরের সপ্তাহে, প্রভু মুক্তি না পেলে আমরা ৫ দিন বন্ধ করব। তারপরে আমরা ২০২৫ সালে লাগাতার বন্ধ করে ওদের আলু-পেঁয়াজ কী করে খায় আমরা সেটা দেখিয়ে দেব। ভারতের পতাকা যারা পদদলিত করেছে, ‘৭১-এর রাজাকারের মতো, যেমন পাকিস্তানে আমি চিফ আত্মসমর্পণ করেছিলেন, এই রাজাকারের নতুন বাচ্চাদের ভারত আত্মসমর্পণ করাবে। ভারত আজ একটা দেশ নয়, পৃথিবীর একটা শক্তিশালী রাষ্ট্র নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Digital Terrorism: ৩ বছরে ১০ হাজারেরও বেশি খালিস্তানপন্থী ইউআরএল ব্লক করেছে মোদি সরকার

    Digital Terrorism: ৩ বছরে ১০ হাজারেরও বেশি খালিস্তানপন্থী ইউআরএল ব্লক করেছে মোদি সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজেদের প্রচার চালাতে সমাজ মাধ্যম এখন বড় ভরসা হয়ে উঠেছে বিচ্ছিন্নতাবাদী ও সন্ত্রাসবাদীদের (Digital Terrorism)। সমাজ মাধ্যমেই প্রচার চালিয়ে আর্থিক ফান্ডিংও জোগাড় করে সন্ত্রাসবাদীরা। এবার সেই ডিজিটাল সন্ত্রাসেই বড় আঘাত হানল মোদি সরকার। খালিস্থানপন্থীরা (Khalistan) সমাজ মাধ্যমকে ব্যবহার করে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ চালায়, জাতি দাঙ্গায় উসকানি দেয়, এমন অভিযোগ অনেকদিনের। এর পাশাপাশি ইদানিং খালিস্তানের দাবিতে গণভোটেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছিল সমাজ মাধ্যমে। তবে খালিস্তানপন্থীদের এমন অপচেষ্টা রুখে দিয়েছে মোদি সরকার। তথ্য বলছে, গত তিন বছরে এরকমই ১০ হাজার ৫০০ খালিস্তানপন্থী ইউআরএল ব্লক করতে সমর্থ হয়েছে মোদি সরকার। 

    তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০০০-এর ৬৯(এ) ধারা অনুযায়ী এমন পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার

    জানা গিয়েছে, তথ্যপ্রযুক্তি আইন-২০০০-এর ৬৯ (এ) ধারা অনুযায়ী এমন পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই পদক্ষেপ জাতীয় অখণ্ডতাকে রক্ষা করা ও বিচ্ছিন্নতাবাদী মতাদর্শের প্রচার বন্ধ করার উদ্দেশ্যেই করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, এর মাধ্যমে আরও একটি বিষয় সামনে আসছে যে মোদি জমানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার হয়েছে দেশে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তির মন্ত্রক ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মধ্যে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। সেখানেই এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তথ্য উঠে এসেছে, গত তিন বছরে ১০,৫০০ খালিস্তানপন্থী ইউআরএল ব্লক (Digital Terrorism) করতে সমর্থ হয়েছে মোদি সরকার।

    তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের প্রেস বিবৃতি

    ইতিমধ্যেই তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক থেকে একটি প্রেস বিবৃতি সামনে এসেছে। সেখানে তারা বলছে, ‘‘খালিস্তানের (Khalistan) দাবিতে গণভোটের ব্যবস্থা করা হয়েছিল এমন দশ হাজার পাঁচশো ইউআরএল ব্লক করা হয়েছে। গণভোটের প্রচার করার জন্য অনেক মোবাইল অ্যাপও চালু করেছিল বিচ্ছিন্নতাবাদীরা, সেগুলির অধিকাংশই ব্লক করা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশেই এমন কাজ করা হয়েছে।’’

    পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার ২,১০০টি ইউআরএল ব্লক করা হয়েছে 

    প্রসঙ্গত, শুধুমাত্র খালিস্তানপন্থীদেরই নয়, একইসঙ্গে ২০২২ সালে নিষিদ্ধ হওয়া কেরলের সন্ত্রাসবাদী সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার ২,১০০টি ইউআরএল ব্লক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। একইসঙ্গে দক্ষিণ ভারতের জঙ্গি সংগঠন বলে পরিচিত এলটিটিই আবার জম্মু-কাশ্মীরের জঙ্গি সংগঠনগুলি, পাঞ্জাবের ওয়ারিস পাঞ্জাব ডি, প্রভৃতি সংগঠনের অজস্র অ্যাকাউন্টগুলিকে ব্লক করা হয়েছে।  কেন্দ্রীয় সরকার যে তথ্য দিয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ভারতবর্ষে সন্ত্রাসবাদী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ চালায় এমন সংগঠনগুলির মোট ২৮ হাজার ৭৯টি ইউআরএল ব্লক করা হয়েছে। এরমধ্যে দেখা যাচ্ছে যে ফেসবুকেই ব্লক করা হয়েছে ১০,৯৭৬টি অ্যাকাউন্ট এবং এক্স হ্যান্ডেল বা সাবেক ট্যুইটারে ব্লক করা হয়েছে ১০,১৩৯টি অ্যাকাউন্ট (Digital Terrorism)।

    কেন্দ্রীয় সরকার যে তথ্য দিয়েছে বিগত তিন বছরে সমাজমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট ব্লক করা নিয়ে তা নিম্নলিখিত-

    ফেসবুক: ২০২২ সালে ১,৭৪৩টি ইউআরএল, ২০২৩ সালে ৬,০৭৪টি ইউআরএল এবং ২০২৪ সালের (সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) ৩,১৫৯টি ইউআরএল ব্লক করা হয়েছে।

    এক্স হ্যান্ডেল: ২০২২ সালে ৩,৪১৭ অ্যাকাউন্ট ব্লক, ২০২৩ সালে ৩,৭৭২ অ্যাকাউন্ট ব্লক এবং ২০২৪ সালে ২,৯৫০ অ্যাকাউন্ট ব্লক করা হয়েছে।

    ইউটিউব: গত তিন বছরে মোট ২,২১১টি অ্যাকাউন্ট সামগ্রিকভাবে ব্লক করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০২২ সালে ৮০৯টি, ২০২৩ সালে ৮৬২টি এবং ২০২৪ সালে সালে ৫৪০টি।

    ইনস্টাগ্রাম: মোট ২,১৯৮ টি ইউআরএল ব্লক করা হয়েছে গত তিন বছরে। 

    হোয়াটসঅ্যাপ: ২০২২ সালে ৬৬টি এবং ২০২৪ সালে ৫৬টি সহ মোট ১৩৮টি অ্যাকাউন্ট ব্লক করা হয়েছে৷

    টেলিগ্রাম: গত তিন বছরে ২২৫টি ইউআরএল ব্লক করা হয়েছে।

    নজরদারি চালিয়েছিলেন গোয়েন্দারা

    এ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, এই সমস্ত ইউআরএলগুলিকে (Digital Terrorism) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশেই ব্লক করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি দীর্ঘদিন ধরে এই অ্যাকাউন্ট গলির ওপরে নজরদারি চালিয়েছিলেন বলেও জানা গিয়েছে। গোয়েন্দারা নির্দিষ্ট প্রমাণ পেয়েছিলেন, কিছু সাইট এবং অ্যাপে এমন কিছু কার্যকলাপ চলছে যা ভারতের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। এই অ্যাকাউন্টগুলিকে সরাসরি নামেও চালানো হয়নি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আবার কিছু অ্যাকাউন্ট চালানো হত, যেগুলিতে ঘরে বসে কাজের অফার দেওয়া হত অথবা নানা ইনভেস্টমেন্ট করতে বলা হত। প্রসঙ্গত সরকার যে এমন পদক্ষেপ করতে পারে তা আইটি অ্যাক্টের ৬৯ (এ) ধারাতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা রয়েছে। কেন্দ্র সরকার বা রাজ্য সরকার চাইলেই তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে, যদি তারা দেখে, কোনও রকমের কম্পিউটার ভিত্তিক তথ্য অপরাধমূলক কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Waqf Land: ‘‘যেখানে নমাজ পড়া হবে, সেটাই ওয়াকফ সম্পত্তি’’! বিতর্কিত মন্তব্য কল্যাণের, তুলোধনা বিজেপির

    Waqf Land: ‘‘যেখানে নমাজ পড়া হবে, সেটাই ওয়াকফ সম্পত্তি’’! বিতর্কিত মন্তব্য কল্যাণের, তুলোধনা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ বিলের (Waqf Land) সংশোধনের বিরোধিতায় কলকাতার রানি রাসমণি রোডে তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের পক্ষ থেকে সমাবেশ করা হয়। সেখান থেকে ওয়াকফ বিল সংশোধনের প্রসঙ্গে বিজেপিকে নিশানা করতে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বিজেপি নেতৃত্ব বেজায় ক্ষুব্ধ। কল্যাণের কড়া সমালোচনা করেন বিজেপি নেতারা।

    যেখানে নমাজ পড়া হবে, সেটাই ওয়াকফ সম্পত্তি হয়ে যাবে (Waqf Land)

    দলীয় সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আপনি যেখানে নমাজ পড়বেন বা যাঁরাই নমাজ পড়বেন কোনও এক জায়গায়, সেটাই ওয়াকফ সম্পত্তি (Waqf Land) হিসেবে বিবেচিত হবে। যে কোনও একটা জায়গায় যদি ২০ জন বা ২৫ জন বা ১৫ জন বা পাঁচজন নিয়মিত নমাজ পড়েন, সেটাকে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হবে। আর নমাজ যে মসজিদে পড়তে হয়, সেটার কোনও বাধ্যবাধকতা নেই।’’

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবিতে পেট্রাপোল সীমান্তে আজ প্রতিবাদ-সভা শুভেন্দুর

    তীব্র কটাক্ষ করলেন সুকান্ত

    কল্যাণের এই বিতর্কিত বক্তব্য নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ বিজেপি নেতৃত্ব। বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দাবি করেছেন, শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ যে মন্তব্য করেছেন, তাতে কলকাতার একটা বড় অংশই ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হবে। কল্যাণের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, বিমানবন্দর, পার্ক, রেললাইনের মতো জায়গাকেও ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হতে পারে। তাঁর দাবি, ‘‘পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের মতো বাংলায় হিন্দুদের সম্পূর্ণ নির্মূল নিশ্চিত করার বিষয়টি নিশ্চিত করে ছাড়বেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেস। ’’বিষয়টি আরও ব্যাখ্যা করে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি বলেন, ‘‘এটার (কল্যাণের মন্তব্য) অর্থ হল, যে কোনও অজুহাতে রাস্তা, রেললাইন, বিমানবন্দর, পার্ক-সহ অন্যান্য জায়গায় নমাজ পড়া হলে সেটাকে ওয়াকফ জমি (Waqf Land) হিসেবে দাবি করা যেতে পারে। এই ব্যাখ্যা অনুযায়ী, কলকাতার একটা বড় অংশ মুসলিম সম্প্রদায়ের হাতে চলে যাবে।’’ তিনি তৃণমূল সাংসদের বক্তব্যটি পোস্টও করেছেন।

    কল্যাণকে খোঁচা যুব মোর্চার

    সত্যিটা বলার জন্য ধন্যবাদ, কল্যাণকে খোঁচা দেন বঙ্গ বিজেপির যুব মোর্চার সহ-সভাপতি তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। তিনি বলেন, ‘‘সত্যিটা এত সোজাভাবে বলে দেওয়ার জন্য তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়কে ধন্যবাদ। তাঁর কথা শুনলে বোঝা যায়, কীভাবে ওয়াকফের মাধ্যমে জমি দখল হয়।’’ সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘এখন এরা দাবি করছে যে ভারতবর্ষের বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ স্থান তাদের। পুরো দক্ষিণ কলকাতা, ধর্মতলা-সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা নাকি এদের। ওয়াকফ আইনের মাধ্যমে এরা ভারতবর্ষ দখল করার একটা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ভারতবর্ষ দখলের এদের এই পরিকল্পনায় সম্পূর্ণ সাহায্য করছে তৃণমূল, কংগ্রেস এবং বামপন্থী দলগুলো। ওয়াকফ কতটা ভয়ংকর, সেটা আপনারা একটু খোঁজ নিলেই বুঝতে পারবেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maha Kumbh Mela: কুম্ভের আগে যোগীর বড় ঘোষণা, প্রয়াগরাজ ভেঙে তৈরি হল নতুন জেলা ‘মহাকুম্ভ মেলা’

    Maha Kumbh Mela: কুম্ভের আগে যোগীর বড় ঘোষণা, প্রয়াগরাজ ভেঙে তৈরি হল নতুন জেলা ‘মহাকুম্ভ মেলা’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকুম্ভ মেলার (Maha Kumbh Mela) আগে যোগী প্রশাসনের বড় ঘোষণা। প্রয়াগরাজ (Prayagraj) ভেঙে তার অধীনে থাকা ৬৭টি গ্রাম নিয়ে উত্তরপ্রদেশের নতুন জেলা ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী বছর ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে মহাকুম্ভ মেলা শুরু হতে চলেছে। এবার মেলায় ৪০ কোটি ভক্তদের সমাগম হবে বলে যোগী সরকার আগেই ইঙ্গিত দিয়েছে। ফলে মেলার স্নানকে সুশৃঙ্খল, শান্তিপূর্ণ এবং ঝঞ্ঝাট মুক্ত করতে প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।

    মেলা আধিকারিকই এগজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (Maha Kumbh Mela)

    রবিবার উত্তরপ্রদেশ সরকার একটি সরকারি নির্দেশিকা জারি করে এই নতুন জেলা ঘোষণার কথা জানিয়েছে। নতুন জেলার নাম রাখা হয়েছে ‘মহাকুম্ভ মেলা’। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, “২০২৫ সালের মহাকুম্ভ মেলা (Prayagraj) আয়োজনের জন্য মেলা অঞ্চলকে নিয়ে নতুন জেলা গঠন করা হয়েছে। সুষ্ঠ ভাবে মেলার আয়োজনের জন্য এই নতুন জেলা গঠন করা হয়েছে। নতুন জেলায় জেলা শাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক এবং কার্যনির্বাহী জেলাশাসক (এগজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট) হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন মেলা আধিকারিক। উত্তরপ্রদেশ প্রয়াগরাজ মেলা পর্ষদ আইন, ২০১৭ অনুসারে মেলা আধিকারিক হলেন রাজ্য সরকার নিযুক্ত কোনও আধিকারিক। প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে তিনি মেলার সমস্ত কাজকর্ম পরিচালনা করেন।”

    জেলার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৬

    রবিবার প্রয়াগরাজের (Prayagraj) জেলা শাসক রবীন্দ্রকুমার মন্দড় এক নির্দেশিকা জারি করে বলেন, “মহাকুম্ভ মেলা জেলা (Maha Kumbh Mela) গঠনের পর উত্তরপ্রদেশে জেলার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৭৬। প্রয়াগরাজের চারটি মহকুমার মোট ৬৭টি গ্রাম নিয়ে এই জেলা গঠিত হয়েছে। সরকারের নির্দেশিকায় দেখা গিয়েছে, সদর মহকুমার ২৫টি গ্রাম, সোঁরাও মহকুমার তিনটি গ্রাম, ফলপুর মহকুমার ২০টি গ্রাম এবং করছনা মহাকুমার ১৯টি গ্রাম থাকছে নতুন জেলার মধ্যে।”

    আরও পড়ুনঃ “ভারতের ইতিহাস বিকৃত করে আসল নায়কদের প্রতি অবিচার করা হয়েছে”, দাবি ধনখড়ের

    ডিসেম্বরে পরিদর্শনে আসবেন মোদি

    প্রতি ৬ বছর অন্তর কুম্ভ মেলার আয়োজন করা হয়। ২০১৯ সালে ছিল অর্ধকুম্ভ মেলা। অবশ্য ২০১৩ সালে ছিল পূর্ণকুম্ভ মেলা। এবার ১২ বছর পর ফের পূর্ণ মহাকুম্ভ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। অন্যদিকে, প্রতি ১২টি পূর্ণকুম্ভের পর আসে মহাকুম্ভ মেলা (Maha Kumbh Mela)। আগামী বছরের কুম্ভমেলা পূর্ণকম্ভের সঙ্গেই হতে চলেছে মহাকুম্ভ মেলাও।  আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই মেলা। মেলার প্রস্তুতি ঘিরে এখন থেকেই উত্তর প্রদেশ পুলিশের ব্যস্ততা ব্যপক তুঙ্গে। নিরাপত্তা আরও ব্যাপক জোরদার করা হয়েছে। ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চলছে সব জায়গায়। মেলার প্রস্তুতি (Prayagraj) দেখতে ডিসেম্বরে পরিদর্শন করতে যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Guinea: প্রেসিডেন্টের সম্মানে ফুটবল ম্যাচ ঘিরে গিনিতে ভয়াবহ সংঘর্ষ, মৃত্যু শতাধিক মানুষের

    Guinea: প্রেসিডেন্টের সম্মানে ফুটবল ম্যাচ ঘিরে গিনিতে ভয়াবহ সংঘর্ষ, মৃত্যু শতাধিক মানুষের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গিনিতে (Guinea) এক ফুটবল ম্যাচকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আর তাতেই মৃত্যু হল শতাধিক জনের। আশঙ্কা করা হচ্ছে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে। প্রসঙ্গত, ঘটনাটি ঘটেছে রবিবারই। গিনির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর নজেরেকরে ঘটে এই ঘটনা। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, পুরো ঘটনার সূত্রপাত হয় রেফারির এক বিতর্কিত সিদ্ধান্তে।

    গিনির (Guinea) সামরিক নেতা তথা প্রেসিডেন্ট মামাদি দোম্বুয়ার সম্মানে ছিল ম্যাচ

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গিনির (Guinea) সামরিক নেতা তথা প্রেসিডেন্ট মামাদি দোম্বুয়ার সম্মানে একটি ফুটবল (Football) টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়েছিল। সেই ম্যাচ দেখার জন্যই স্টেডিয়ামে উপস্থিত হয়েছিলেন ফুটবল ভক্তরা। ম্যাচ চলাকালীন রেফারির এক সিদ্ধান্ত ঘিরে অশান্তির সূত্রপাত হয়। দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে শুরু হয় হাতাহাতি। এরপর একটা সময় ভয়াবহ রূপ নেয় সেই অশান্তি। মাঠের দখল নিয়ে নেন দুই দলের সমর্থকরা।

    স্থানীয় থানাতেও ধরানো হয় আগুন

    পরিস্থিতি একেবারে হাতের বাইরে বেরিয়ে যায়। জানা গিয়েছে, শুধু ঝামেলা মাঠেই সীমাবদ্ধ ছিল না। একটা সময়ে সেই উন্মত্ত সমর্থকরা স্থানীয় থানাতেও আগুন ধরিয়ে দেন। ঘটনার (Football) পর থেকেই একের পর এক দেহ উদ্ধার হতে থাকে স্টেডিয়াম চত্বর থেকে।

    কী বলছেন হাসপাতালের ডাক্তার 

    সেদেশের এক ডাক্তার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘যতদূর চোখ যাচ্ছে হাসপাতালে শুধুই মৃতদেহ। এখন এমন পর্যায় যে দেহ মেঝেতে ফেলে রাখতে হচ্ছে। মর্গে কোনও জায়গা নেই। প্রায় ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে।’’ যদিও এখনও সে দেশের সরকারের তরফে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি জারি করা হয়নি মৃতের সংখ্যা নিয়ে। ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন গিনির (Guinea) প্রধানমন্ত্রী।

    এমন খুনোখুনির নজির নেই

    ফুটবল মাঠে সংঘর্ষের ঘটনা বিশ্বের মানচিত্রে নতুন নয়। সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এরকম সংঘর্ষ ঘটেই থাকে। কলকাতা ফুটবলেও ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের ডার্বিকেও ঘিরেও একাধিকবার উত্তেজনা ছড়িয়েছে স্টেডিয়ামে। কিন্তু ফুটবল ম্যাচকে কেন্দ্র করে এরকম খুনোখুনির নজির একেবারেই নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sanjauli Mosque Row: শিমলার সঞ্জৌলি মসজিদের তিনটি অবৈধ তলা ভেঙে ফেলার নির্দেশ আদালতের

    Sanjauli Mosque Row: শিমলার সঞ্জৌলি মসজিদের তিনটি অবৈধ তলা ভেঙে ফেলার নির্দেশ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিমলার সঞ্জৌলি মসজিদের তিনটি অবৈধ তলা ভেঙে ফেলার (Sanjauli Mosque Row) নির্দেশ দিল জেলা আদালত (Shimla District Court)। এই বিতর্কের সূত্রপাত কিছুদিন আগে। জানা গিয়েছে, সঞ্জৌলি মসজিদ কমিটি অবৈধভাবে তিনটি অতিরিক্ত তলা নির্মাণ করেছে। পুরসভার আইন ভঙ্গ করেই এটা করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

    জনসাধারণের মধ্যে অসন্তোষ (Sanjauli Mosque Row)

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বারংবার অভিযোগের পরেও রাজ্য প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ। যার জেরে অবৈধ এই কাঠামো দাঁড়িয়ে রয়েছে। প্রশাসনের এই উদাসীনতা জনসাধারণের মধ্যে অসন্তোষ বৃদ্ধি করে। বিশেষ করে হিন্দুদের মধ্যে, যারা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে যে তারা আইনের শাসনের চেয়ে আপোসের রাজনীতিকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। বিতর্কের জল গড়ায় শিমলা জেলা আদালত পর্যন্ত (Shimla District Court)। আদালত সাফ জানিয়ে দেয় পুরসভার নির্দেশ মেনে অবৈধ কাঠামো ভেঙে ফেলতে হবে। মসজিদ কমিটির সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের আবেদনও খারিজ করে দেয় আদালত। আদালত জানিয়ে দেয়, ধর্মীয় পরিচয় নির্বিশেষে, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আদালত এও বলেছে, আইনের শাসন সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। কোনও অবস্থায়ই অবৈধ নির্মাণকাজ মেনে নেওয়া হবে না।

    মসজিদের অবৈধ অংশ ভেঙে ফেলার দাবি

    সঞ্জৌলি মসজিদের (Sanjauli Mosque Row) তিনটি তলা আইন না মেনে নির্মিত হয়েছে বলে অভিযোগ। মসজিদের অবৈধ ওই অংশ ভেঙে ফেলার দাবি তোলেন স্থানীয় হিন্দুরা। সেপ্টেম্বর মাসে এ নিয়ে শিমলা আদালতে একটি আবেদন জমা দেয় ওয়াকফ বোর্ড। তারা জানায়, সঞ্জৌলি মসজিদের ওই জমির মালিক মসজিদ কমিটি। মুসলিম পক্ষ মসজিদের অনুমোদনহীন অংশ ভেঙে ফেলতে রাজি হয়েছিল আগেই। তারা নিজেরাই সেই অংশ ভেঙে ফেলতে চেয়েছিল। হিন্দুদের দাবি ছিল, বুলডোজার নিয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। দুপক্ষের এই দাবি-পাল্টা দাবির প্রেক্ষিতে এলাকায় ছড়ায় উত্তেজনা।

    আরও পড়ুন: “ভারতের ইতিহাস বিকৃত করে আসল নায়কদের প্রতি অবিচার করা হয়েছে”, দাবি ধনখড়ের

    তার পরে পরেই মসজিদের ইমাম ও ওয়াকফ বোর্ড এবং ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্যদের নিয়ে গঠিত কমিটি পুরসভার কমিশনার ভূপেন্দ্র আত্রির কাছে একটি প্রস্তাব জমা দেন। সেই সময় কমিটির সদস্য মুফতি মহম্মদ শফি কাসামি বলেছিলেন, “আমরা শিমলা মিউনিসিপ্যাল কমিশনারের কাছে সঞ্জৌলিতে অবস্থিত মসজিদের অননুমোদিত অংশ ভেঙে ফেলার অনুমতি চেয়েছি।” পরে আদালতে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের আবেদন করে (Sanjauli Mosque Row) মসজিদ কমিটি। সেই আবেদন খারিজ করে দিল আদালত (Shimla District Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share