Tag: Bengali news

Bengali news

  • Suvendu Adhikari: ‘‘বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর আক্রমণ কিছুতেই মেনে নেওয়া হবে না’’, মিছিলে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর আক্রমণ কিছুতেই মেনে নেওয়া হবে না’’, মিছিলে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দুদের ওপর লাগাতার আক্রমণ চলছে। সে দেশে মঠ-মন্দিরগুলিকেও ভাঙচুর করা হচ্ছে, এই আবহে গত ২৮ নভেম্বর বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণ মঞ্চ নামের একটি সংগঠন বিক্ষোভ দেখায় কলকাতায়। গতকাল শনিবার বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর আক্রমণ বন্ধের দাবি ও সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে কলকাতায় মিছিল করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবার সন্ধ্যায় এই মিছিল শুরু হয় বাঘাযতীন মোড় থেকে। শেষ হয় যাদবপুর বাস ৮বি বাসস্ট্যান্ডে। শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) পাশাপাশি এই মিছিলে দেখা যায় সন্দেশখালি বিজেপি নেত্রী রেখা পাত্রকেও।

    কী বললেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)?

    বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর আক্রমণ কিছুতেই মেনে নেওয়া হবে না। ভারতীয় জনতা পার্টি ও আরএসএস সবসময় তাঁদের পাশে আছে।’’ পাশাপাশি চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের জন্য ইউনূস সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে শুভেন্দুর দাবি, ‘‘এভাবে বেশিদিন ওঁকে আটকে রাখা যাবে না। হিন্দুদের ওপর আক্রমণ কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না।’’

    ইউনূস সরকারের সঙ্গে তুলনা মমতার শাসনকে

    মহম্মদ ইউনূস সরকারের সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনের তুলনা করেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন,‘‘বাংলাদেশের (Bangladesh) মতো একই হাল পশ্চিমবঙ্গের। সেখানেও হিন্দুদের ওপর লাগাতার অত্যাচার চালানো হচ্ছে। হিন্দুদের উপর অত্যাচার কিছুতেই মেনে নেওয়া হবে না। হিন্দুদের একজোট হয়ে এর প্রতিবাদ করতে হবে।’’

    বুধবার বাংলাদেশের ডেপুটি হাই-কমিশনারের দফতরে গিয়েছিলেন শুভেন্দু 

    প্রসঙ্গত, গত বুধবারই বিধানসভা থেকে বিজেপি বিধায়করা গিয়েছিলেন কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাই-কমিশনারের দফতরে। সেখানে দাবিপত্র জমা দিয়ে বের হন শুভেন্দু। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘‘চিন্ময় প্রভু কোনও অপরাধ করেননি। কোনও অপরাধ আদালতে প্রমাণ হয়নি। তার পরেও তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অবিলম্বে তাঁকে মুক্তি দিতে হবে। ডেপুটি হাই-কমিশনার আমাদের বক্তব্য শুনেছেন। আমাদের পরামর্শ নিয়েছেন। আমরা উদ্বেগ ব্যক্ত করেছি। ওঁরা দিল্লির দূতাবাসের সঙ্গে কথা বলে ওঁদের দেশের বিদেশ দফতরে জানাবেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • ISKCON: চিন্ময়কৃষ্ণের পরে শ্যামদাস প্রভু, আরও এক ইসকন সন্ন্যাসী গ্রেফতার বাংলাদেশে

    ISKCON: চিন্ময়কৃষ্ণের পরে শ্যামদাস প্রভু, আরও এক ইসকন সন্ন্যাসী গ্রেফতার বাংলাদেশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে হিন্দু সন্ন্যাসীদের ওপর হয়রানি চলছেই। ইসকনের (ISKCON) সন্ন্যাসী চিন্মযকৃষ্ণ দাসের পরে তাদেরই আরও এক সন্ন্যাসী শ্যামদাস প্রভুকে গ্রেফতার করল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। একই সঙ্গে ইসকনের একটি কেন্দ্রে ভাঙচুরেরও অভিযোগ আনা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ইসকনের ওই তরুণ সন্ন্যাসী (Hindu Priest) জেলে চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন এবং তখনই কোনও রকমের গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়াই ইউনূস পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। গোটা ঘটনা কলকাতায় ইসকনের অন্যতম মুখপাত্র রাধারমণ দাস নিজের সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন এবং লিখেছেন, ‘‘চট্টগ্রাম পুলিশ আর এক ব্রহ্মচারী শ্যামদাসকে গ্রেফতার করেছে। তিনি কি সন্ত্রাসী? নির্দোষদের গ্রেফতারে ইসকন গভীর ভাবে মর্মাহত।’’ একের পর এক হিন্দু সন্ন্যাসী গ্রেফতার হচ্ছে বাংলাদেশে। এই আবহে ফের একবার হিন্দু বিক্ষোভে উত্তাল হতে পারে বাংলাদেশ, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    আজ ১৫০টির বেশি দেশে প্রার্থনার মাধ্যমে প্রতিবাদ জানাবে ইসকন (ISKCON)

    অন্যদিকে, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার ও ইসকনের (ISKCON) সন্ন্যাসীদের হয়রানি করার প্রতিবাদে আজ রবিবার ১ ডিসেম্বর, বিশ্বজুড়ে দেড়শোর বেশি দেশে লক্ষ লক্ষ ইসকন ভক্ত প্রার্থনা শুরু করবেন, এ কথা জানিয়েছেন ইসকনের অন্যতম রাধারমণ দাস। তিনি ভক্তদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রার্থনা-কীর্তন-ধর্মসভায় যোগদানের জন্য।

    ২৫ নভেম্বর গ্রেফতার হন চিন্ময়কৃষ্ণ

    প্রসঙ্গত গত মাসের ২৫ নভেম্বর ঢাকা বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয় ইসকনের (ISKCON) সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে। সন্ন্যাসীর মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রাম এবং রংপুরে প্রবল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন সংখ্যালঘু হিন্দুরা। গত সপ্তাহের মঙ্গলবার চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে চট্টগ্রাম আদালতে তোলা হয়। সেই সময় বাংলাদেশ পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এক আইনজীবীর মৃত্যু হয়।

    শুক্রবারও হামলা চলেছে চট্টগ্রামে

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ও হিন্দুদের ওপরে হামলা চলছেই। শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, মৌলবাদীদের একটি দল হামলা চালায় বাংলাদেশের চট্টগ্রামের তিনটি হিন্দু মন্দিরে। প্রত্যেকটি মন্দিরকেই ভাঙচুর করা হয়েছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, শুক্রবার চট্টগ্রামের হরিশচন্দ্র মুন্সি লেনে দুপুর আড়াইটে নাগাদ এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। শান্তনেশ্বরী মাতৃমন্দির ও তার নিকটবর্তী একটি শনি মন্দির এবং শান্তনেশ্বরী কালীবাড়িতে হামলা করা হয়। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমেও এই খবর প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, একটি ভিড় থেকে স্লোগান দিতে দিতে ইট নিয়ে হামলা চালানো হয় মন্দিরগুলিতে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 01 december 2024: কল্যাণকর কাজে কিছু অর্থ ব্যয় হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 01 december 2024: কল্যাণকর কাজে কিছু অর্থ ব্যয় হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) গাড়ি একটু সাবধানে চালান।

    ২) অর্শ-জাতীয় রোগ বাড়তে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) কুসঙ্গ থেকে দূরে থাকুন।

    ২) লোকে দুর্বলতার সুযোগ নিতে পারে।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    মিথুন

    ১) বাতের যন্ত্রণা বাড়তে পারে।

    ২) কাজের ব্যাপারে ভালো যোগাযোগ হতে পারে।

    ৩) সখপূরণ হবে।

    কর্কট

    ১) ভ্রমণের জন্য খরচ বাড়তে পারে।

    ২) কোনও উঁচু স্থান থেকে পড়ে যেতে পারেন।

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না।

    সিংহ

    ১) বাড়িতে চুরির সম্ভাবনা, সাবধান থাকুন।

    ২) দাম্পত্য কলহ নিয়ে যন্ত্রণা।

    ৩) গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কন্যা

    ১) চাকরির স্থানে উন্নতির সুযোগ আসতে পারে।

    ২) ব্যবসায় মহাজনের সঙ্গে তর্ক।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    তুলা

    ১) কাজের চাপ বাড়তে পারে।

    ২) শারীরিক কষ্টের কারণে কাজের সময় নষ্ট।

    ৩) পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান।

    বৃশ্চিক

    ১) ব্যয় বাড়তে পারে।

    ২) দুর্ঘটনা থেকে সাবধান থাকা দরকার।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    ধনু

    ১) কাজের ব্যাপারে উদ্যোগী হতে হবে।

    ২) সামাজিক সম্মান পাবেন।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    মকর

    ১) গানবাজনার প্রতি আগ্রহ বাড়তে পারে।

    ২) কোনও আত্মীয়কে নিয়ে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    কুম্ভ

    ১) রক্তচাপের ব্যাপারে একটু সাবধান থাকুন।

    ২) অশান্তি থেকে দূরে থাকুন।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    মীন

    ১) মহিলাদের জন্য নতুন কিছু শুরু করার ভালো সময়।

    ২) কল্যাণকর কাজে কিছু অর্থ ব্যয় হতে পারে।

    ৩) ভালোই কাটবে দিনটি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arvind Kejriwal: কেজরিকে লক্ষ্য করে ছোড়া হল তরল, ‘ক্ষোভের জের’, বলছে বিজেপি

    Arvind Kejriwal: কেজরিকে লক্ষ্য করে ছোড়া হল তরল, ‘ক্ষোভের জের’, বলছে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের আক্রান্ত দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। এবার তাঁকে লক্ষ্য করে তরল পদার্থ ছুড়ে মারলেন এক ব্যক্তি। দক্ষিণ দিল্লির ঘটনায় চাঞ্চল্য (Viral Video)। শনিবার বিকেলে আম আদমি পার্টির তরফে আয়োজন করা হয়েছিল পদযাত্রার। তাতে শামিল হয়েছিলেন কেজরিওয়াল স্বয়ং।

    কী বলছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা (Arvind Kejriwal)

    প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ভিড়ের মধ্যেই এক যুবক চলে আসেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর একেবারে কাছে। তাঁকে লক্ষ্য করে তরল পদার্থ ছোড়ার চেষ্টা করেন। দলীয় কর্মীদের তৎপরতায় বড়সড় বিপত্তির হাত থেকে বেঁচে যান আপ সুপ্রিমো। জানা গিয়েছে, হামলাকারীর নাম অশোক ঝাঁ। মারধর করে তাকে তুলে দেওয়া হয় দিল্লি পুলিশের হাতে।

    কেজরির ওপর হামলা হয়েছে আগেও

    কেজরিওয়ালের ওপর হামলার ঘটনা অবশ্য এই প্রথম নয়। ২০১৬ সালের শুরুর দিকে দিল্লির ছত্রশাল স্টেডিয়ামে দিল্লির তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীর মুখে কালি ছিটিয়ে দিয়েছিলেন এক যুবতী। তার আগে নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন তাঁকে কষিয়ে থাপ্পড়ও মেরেছিলেন এক ব্যক্তি। ওই বছরই দিল্লি সচিবালয়ের মধ্যেই সাংবাদিক বৈঠক চলাকালীন কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal) লক্ষ্য করে জুতো ছুড়েছিলেন বেদ প্রকাশ নামের এক যুবক।

    দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে ইদানিং প্রায় প্রতিদিনই দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় পদযাত্রা-সহ নানা কর্মসূচি পালন করছেন কেজরিওয়াল। এদিন তিনি পদযাত্রা করছিলেন গ্রেটার কৈলাশ এলাকায়। সেই সময়ই ঘটে বিপত্তি।

    আরও পড়ুন: ব্যাপক অত্যাচার, বাংলাদেশ কি হিন্দু শূন্য হয়ে যাবে?

    ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সাংসদ বিজেপির কমলজিৎ সেহরাওয়াত বলেন, “দিল্লির সরকার মানুষকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হয়েছে।” তিনি বলেন, “মানুষ ক্ষুব্ধ, কারণ রাস্তা ভাঙা, নর্দমা উপচে পড়ছে এবং দূষণের মাত্রাও অত্যন্ত বেশি। তাই জনগণ ধৈর্য হারাচ্ছে।” সেহরাওয়াত বলেন, “তবে আমি জনগণকে অনুরোধ করছি, তারা যেন ভোটের মাধ্যমে তাদের মত প্রকাশ করে। পুলিশের উচিত সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।

    বিজেপির একটা অংশ একে কেজরিওয়ালের ‘গিমিক’ বলেই মনে করছে। তাদের মতে, রাজনৈতিকভাবে সফল হতে পারছেন না কেজরিওয়াল (Viral Video)। তাই লোক দিয়ে এই ধরনের কাজ করাচ্ছেন (Arvind Kejriwal)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Pankaj Dutta: প্রয়াত প্রাক্তন আইজি পঙ্কজ দত্ত, স্তব্ধ হয়ে গেল আপোষহীন কণ্ঠস্বর

    Pankaj Dutta: প্রয়াত প্রাক্তন আইজি পঙ্কজ দত্ত, স্তব্ধ হয়ে গেল আপোষহীন কণ্ঠস্বর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত হলেন রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন আইজি পঙ্কজ দত্ত (Pankaj Dutta)। শনিবার বারাণসীর একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। জানা গিয়েছে, বারাণসীর থিওসফিক্যাল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার একটা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়েছিলেন পঙ্কজ দত্ত। সেই অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময়ই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। এরপর তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল বারাণসীর একটা হাসপাতালে। একমাসেরও বেশি সময় ধরে ওই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। শনিবার প্রয়াত হন তিনি।

    স্পষ্টবক্তা হিসেবে অত্যন্ত পরিচিত ছিলেন

    জানা গিয়েছে, ২০১১ সালে রাজ্য পুলিশের (Pankaj Dutta) আইজি পদে থাকাকালীন অবসরগ্রহণ করেন পঙ্কজ দত্ত। স্পষ্টবক্তা হিসেবে অত্যন্ত পরিচিত ছিলেন তিনি। এদিকে পঙ্কজ দত্ত প্রতি সন্ধ্যায় টেলিভিশনের টকশোয়ে অংশ নিতেন। সেখানে আপোশহীন বক্তব্য রাখতেন তিনি। এজন্য তাঁকে নানা সময়ে নানা সমালোচনা সহ্য করতে হয়েছে, চাপের মুখেও পড়তে হয়েছে। শাসকদলের নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় সোচ্চার হয়েছিলেন তিনি। আরজি করকাণ্ডের পর তাঁর একটি মন্তব্য ঘিরে চাপানউতোর শুরু হয়েছিল। একাধিক থানায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের হয়। তেমনই একটি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বড়তলা থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল প্রাক্তন এই আইপিএস অফিসারকে। অভিযোগ, বেশ কয়েক ঘণ্টা থানায় বসিয়ে রাখা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু, চা-বিস্কুট তো দূরের কথা, জলও দেওয়া হয়নি। ওই ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ওই ঘটনার পর তিনি কিছুটা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। পরে, বারাণসীর একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে অসু্স্থ হয়ে পড়েন। সেখানকার হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীনই তাঁর মৃত্যু হয়।

    আরও পড়ুন: দক্ষিণ ভারতে ধেয়ে আসছে ‘ফেনজল’, ল্যান্ডফল বিকেলেই, কলকাতায় মেঘলা আকাশ

    বিভিন্ন মহলে শোকের ছায়া

    এদিকে পঙ্কজ দত্তের (Pankaj Dutta) প্রয়াণে বিভিন্ন মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমে বলেন, পঙ্কজ দত্ত চলে গেলেন এই খবরে আমরা অত্যন্ত বিষণ্ণ হয়ে পড়েছি। আগাগোড়া তিনি গঠনমূলক সমালোচনা করে গিয়েছেন। তিনি বার বার মুখ খুলেছেন। বটতলা থানায় ডেকে নিয়ে গিয়ে তাঁকে হেনস্থা করা হয়েছিল।আমি বার বার অনুরোধ করেছিলাম ওঁকে ছেড়ে দিন। এরপর তিনি বারাণসীতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পঙ্কজদার মতো মানুষ বার বার ফিরে আসুন। বাঙালি পরে বুঝতে পারবে কী ক্ষতি হয়ে গেল। চিত্রশিল্পী সমীর আইচ বলেন, যেভাবে শাসকদল তাঁর কণ্ঠস্বরকে রোধ করলেন, তা ভাবতে পারছি না। শাসকদল তাদের কুচক্রে থাকা কিছু মানুষকে দিয়ে যেভাবে অভব্যতা করেছিল তা ভাবতে পারছি না। আজ বাঙালির অত্যন্ত বেদনাময় দিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladeshi National Arrested: জাল নথির চক্র ফাঁস! পার্ক স্ট্রিটের হোটেল থেকে গ্রেফতার বাংলাদেশি

    Bangladeshi National Arrested: জাল নথির চক্র ফাঁস! পার্ক স্ট্রিটের হোটেল থেকে গ্রেফতার বাংলাদেশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্ক স্ট্রিট (Park Street) এলাকার হোটেল থেকে গ্রেফতার বাংলাদেশি নাগরিক (Bangladeshi National Arrested)। নাম ভাঁড়িয়ে ভারতীয় পাসপোর্ট বানিয়ে দিব্যি কাজ করছিলেন পার্ক স্ট্রিটের ওই হোটেলে।

    সেলিম মাতব্বর (Bangladeshi National Arrested)

    পুলিশ জানিয়েছে, বছর বিয়াল্লিশের ওই বাংলাদেশির নাম সেলিম মাতব্বর। বছর দুয়েক আগে বেআইনিভাবে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে এ দেশে এসেছিলেন তিনি। তারপর মিশে গিয়েছিলেন কলকাতার জনস্রোতে। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি ভারতীয় পাসপোর্ট, আধার কার্ডের জেরক্স। এই সব নথিপত্রে তাঁর নাম হিসেবে লেখা হয়েছে রবি শর্মা। জন্মস্থান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে রাজস্থান। দিল্লির একটি ঠিকানাও রয়েছে। বাংলাদেশি ওই নাগরিকের ভারতীয় ওই পাসপোর্টটি জাল, না কি নাম ভাঁড়িয়ে বানানো, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

    বাড়ি বাংলাদেশে

    জানা গিয়েছে, পুলিশের টানা জেরায় সেলিম নামের ওই বাংলাদেশি জানিয়েছেন, তাঁর বাড়ি বাংলাদেশের মাদারিপুরে। তিনি সেই দেশের একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। রাজনৈতিক ঝামেলার কারণে বাড়ি ছেড়ে সীমান্ত পেরিয়ে নদিয়া জেলায় ঢোকেন। এরপর দালালের সাহায্যে কিছুদিন গা ঢাকা দিয়ে সেখানে ছিলেন। পরে ভুয়ো তথ্য দিয়ে পাসপোর্টও বানিয়েছিলেন। তার পরেই চলে আসেন কলকাতায়। হোটেলে কাজও জুটিয়ে নেন। ১৪ ফরেনার্স অ্যাক্ট ও জালিয়াতির ধারায় মামলা রুজু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর (Bangladeshi National Arrested)।

    আরও পড়ুন: “মোদি অনেক ভালো কাজ করেছেন”, বললেন আন্তর্জাতিক লগ্নিকারী জিম রজার্স

    সেলিম গ্রেফতার হওয়ায় বাংলায় যে ক্রমেই অনুপ্রবেশ বাড়ছে, তা আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের। তাদের দাবি, ভোট ব্যাঙ্কের স্বার্থে এ রাজ্যের শাসক দল তত্ত্বতালাশ করে দেখে না বাংলাদেশ থেকে কারা আসছে। উল্টে তাঁদের দলেরই এক শ্রেণির নেতানেত্রী ভুয়ো নথিপত্র তৈরিতে সাহায্য করেন অনুপ্রবেশকারীদের। সেই জাল কাগজপত্র নিয়েই অনুপ্রবেশকারীরা ছড়িয়ে পড়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। পরে আস্তে আস্তে মিশে যায় ভারতের জনস্রোতে। এদের একটা বড় অংশ বাংলায় থেকে গেলেও, অনেকেই চলে যায় ঝাড়খণ্ডে। সেখানে আদিবাসীদের বিয়ে করে জমি হাতিয়ে নেয় বলেও অভিযোগ। বিরোধীদের সেই সব অভিযোগ যে নিছক কল্পনা প্রসূত নয়, জাল নথি বানিয়ে খাস কলকাতায় দুবছর ধরে চাকরি করে তা প্রমাণ করে দিলেন (Park Street) অনুপ্রবেশকারী সেলিম (Bangladeshi National Arrested)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
     
  • Ramakrishna 206: “কত শবদেহ জ্বলিতেছে, কত ভস্মাবশেষ…সেই অন্ধকার রজনীতে শ্মশান কি ভয়ঙ্কর হইয়াছে”

    Ramakrishna 206: “কত শবদেহ জ্বলিতেছে, কত ভস্মাবশেষ…সেই অন্ধকার রজনীতে শ্মশান কি ভয়ঙ্কর হইয়াছে”

    ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    দশম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২রা জুন

    রাজা হরিশ্চন্দ্রের কথা ও ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Kathamrita) 

    রাজা হরিশ্চন্দ্রের কথা (Kathamrita) চলিতে লাগিল। বিশ্বামিত্র বলিলেন, “মহারাজ! আমাকে সসাগরা পৃথিবী দান করিয়াছ, অতএব ইহার ভিতর তোমার স্থান নাই। তবে ৺কাশীধামে তুমি থাকিতে পার। সে মহাদেবের স্থান। চল, তোমাকে, তোমার সহধর্মিণী শৈব্যা ও তোমার পুত্র সহিত সেখানে পৌঁছাইয়া দিই। সেইখানে গিয়া তুমি দক্ষিণা যোগাড় করিয়া দিবে।” এই বলিয়া রাজাকে লইয়া ভগবান (Ramakrishna) বিশ্বামিত্র ৺কাশীধাম অভিমুখে যাত্রা করিলেন। কাশীতে পৌঁছিয়া সকলে ৺বিশ্বেশ্বর-দর্শন করিলেন।

    ৺বিশ্বেশ্বর-দর্শন কথা হইবামাত্র, ঠাকুর একেবারে ভাবাবিষ্ট; ‘শিব’ ‘শিব’ এই কথা অস্পষ্ট উচ্চারণ করিতেছেন।

    রাজা হরিশ্চন্দ্র দক্ষিণা দিতে পারিলেন না—কাজে কাজেই শৈব্যাকে বিক্রয় করিলেন। পুত্র রোহিতাশ্ব শৈব্যার সঙ্গে রহিলেন। কথকঠাকুর শৈব্যার প্রভু ব্রাহ্মণের বাড়ি রোহিতাশ্বের পুষ্পচয়ন কথা ও সর্পদংশন কথাও বলিলেন। সেই তমসাচ্ছন্ন কালরাত্রে সন্তানের মৃত্যু হইল। সৎকার করিবার কেহ নাই। বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ প্রভু শয্যা ত্যাগ করিয়া উঠিলেন না—শৈব্যা একাকী পুত্রের শবদেহ ক্রোড়ে করিয়া শ্মশানাভিমুখে আসিতে (Kathamrita) লাগিলেন। মাঝে মাঝে মেঘগর্জন ও অশনিপাত—নিবিড় অন্ধকার যেন বিদীর্ণ করিয়া এক-একবার বিদ্যুৎ খেলেতেছিল। শৈব্যা ভয়াকুলা শোকাকুলা,—রোদন করিতে করিতে আসিতেছেন।

    হরিশ্চন্দ্র দক্ষিণার টাকা সমস্ত হয় নাই বলিয়া চণ্ডালের কাছে নিজেকে বিক্রয় করিয়াছেন। তিনি শ্মশানে চণ্ডাল হইয়া বসিয়া আছেন। কড়ি লইয়া সৎকার কার্য সম্পাদন করিবেন। কত শবদেহ জ্বলিতেছে, কত ভস্মাবশেষ হইয়াছে। সেই অন্ধকার রজনীতে শ্মশান কি ভয়ঙ্কর হইয়াছে। শৈব্যা সেই স্থানে আসিয়া রোদন করিতেছেন—সে ক্রন্দন-বর্ণনা শুনিলে কাহার না হৃদয় বিদীর্ণ হয়, কোন্‌ দেহধারী জীবের হৃদয় বিগলিত না হয়? সমবেত শ্রোতাগণ হাহাকার করিয়া কাঁদিতেছেন।

    ঠাকুর (Kathamrita) কি করিতেছেন? স্থির হইয়া শুনিতেছেন—একেবারে স্থির—একবার মাত্র চক্ষের কোণে একটি বারিবিন্দু উদ্‌গত হইল, সেইটি মুছিয়া ফেলিলেন। অস্থির হইয়া হাহাকার করিলেন না কেন?

    শেষে বিশ্বামিত্রের আগমন, রোহিতাশ্বের জীবনদান, সকলে ৺বিশ্বেশ্বর-দর্শন ও হরিশ্চন্দ্রের পুনরায় রাজ্যপ্রাপ্তি বর্ণনা করিয়া, কথকঠাকুর কথা সাঙ্গ করিলেন। ঠাকুর বেদীর সম্মুখে বসিয়া অনেকক্ষণ হরিকথা শ্রবণ করিলেন। কথা সাঙ্গ হইলে তিনি বাহিরের ঘরে গিয়া বসিলেন। চতুর্দিকে ভক্তমণ্ডলী, কথকঠাকুরও (Ramakrishna) কাছে আসিয়া বসিলেন। ঠাকুর কথককে বলিতেছেন, “কিছু উদ্ধব-সংবাদ বল।”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chhattisgarh Odisha: ছত্তিশগড়ে গ্রেফতার ১৩ মাওবাদী, ওড়িশায় আটক কুখ্যাত নেত্রী অ্যান্টি মাদভি

    Chhattisgarh Odisha: ছত্তিশগড়ে গ্রেফতার ১৩ মাওবাদী, ওড়িশায় আটক কুখ্যাত নেত্রী অ্যান্টি মাদভি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh Odisha) কেন্দ্রীয় বাহিনীর উদ্যোগে বিশেষ অভিযান। গ্রেফতার ১৩ মাওবাদী (Maoists)। ধৃত এই মাওবাদীদের মধ্যে রয়েছেন কুখ্যাত কোসা পুনমে ওরফে হাডমা। তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ২ লাখ টাকা। এদিকে, ওড়িশার মালকানগিরি থেকে কুখ্যাত মাওবাদী ক্যাডার অ্যান্টি মাদভিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর মাথার দামও ঘোষণা করা হয়েছিল ২ লক্ষ টাকা। দুই রাজ্যের বিজেপি সরকার যে মাওবাদী দমনে আরও কড়া মনোভাব পোষণ করেছে, এই দুটি ঘটনাই তার প্রমাণ। 

    মাও দমনে অভিযান (Chhattisgarh-Odisha)

    গত ২৯ নভেম্বর ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh Odisha) বীজাপুর এলাকায় গোপন সূত্র মারফত খবর পেয়ে অভিযানে নামে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এখনেই লুকিয়ে ছিল নিষিদ্ধ সংগঠন কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়ার (মাওবাদী Maoists) জাগারগুণ্ডা এলাকার নেত্রী হাডমা। গত কয়েক বছর ধরে ফেরার ছিলেন তিনি। অভিযানে বীজাপুরের তারেম থানা থেকে ৩ জন, আওয়াপল্লি থেকে ৫ জন এবং জংলা থানা এলাকা থেকে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। এই অভিযানে অংশ নিয়েছেন ডিআরজি, স্পেশাল টাস্ক ফোর্স, সিআরপিএফ, কোবরা বাহিনী। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া অধিকাংশ মাওবাদীর বয়স ১৯ থেকে ৪০-এর মধ্যে। তাঁরা প্রত্যেকে সক্রিয় ভাবে নাশকতামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। গ্রেফতারির সঙ্গে সঙ্গে তাদের কাছ থেকে টিফিন বোমা, বিস্ফোরক যন্ত্র, বিস্ফোরক দড়ি, গুলি, অস্ত্র ইত্যাদি উদ্ধার হয়েছে।

    হাডমা কে?

    হাডমা (Maoists) হলেন বস্তার (Chhattisgarh Odisha) এলাকার একজন ভয়ঙ্কর মাওবাদী নেতা। বেশ কিছু নাশকতামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। জাগারগুন্ডা এলাকায় তিনিই নেতৃত্ব দিয়ে নাশকতামূলক কাজকর্ম চালাতেন। একাধিকবার নিরাপত্তা বাহিনী এবং সামরিক বাহিনীর উপর হামলার পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নের কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

    আরও পড়ুন: ‘পরিবারের যত্ন নিন’, ওড়িশায় দলীয় বৈঠকে কর্মীদের ‘পরামর্শ’ প্রধানমন্ত্রীর

    অ্যান্টি মাদভি কে?

    অন্যদিকে, পুলিশ অ্যান্টি মাদভিকে (Maoists) জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তাতে জানা গিয়েছে, তিনি ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, ছত্তিশগড়ে মাওবাদী কার্যকলাপের নেতৃত্ব দিতেন। তিনি লেকি নামেও পরিচিত। তাঁর বাড়ি পুলহার গ্রামে। ছত্তিগড়ের বীজাপুর জেলা জংলা সীমান্তে সক্রিয় ভাবে কাজ করতেন তিনি। পশ্চিম বাস্তারের ১২ নম্বর প্লাটুনের ডেপুটি কমান্ডার সুক্রমের নেতৃত্বে ২০১৭ সালে মাওবাদী দলে যোগদান করে ছিলেন তিনি।

    উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh Odisha) মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই বলেছিলেন, “গত ১১ মাসে ২১০জনেরও বেশি মাওবাদীকে নিকেশ করা গিয়েছে। নাগরিক জীবনকে নিরাপদ এবং সুরক্ষিত করাই বিজেপি সরকারের প্রাথমিক লক্ষ্য। ২০২৬ সালের মধ্যেই রাজ্যে লাল সন্ত্রাসকে সমূলে উৎখাত করা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: রাস্তায় আইসিসের পতাকা নিয়ে উল্লাস মিছিল! বাংলাদেশ কি ইসলামিক স্টেটে পরিণত হচ্ছে?

    Bangladesh: রাস্তায় আইসিসের পতাকা নিয়ে উল্লাস মিছিল! বাংলাদেশ কি ইসলামিক স্টেটে পরিণত হচ্ছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা সরকার পতনের পর থেকেই বাংলাদেশে (Bangladesh) আক্রমণের মুখে হিন্দুরা। লাগাতার চলছে অত্যাচার। বাড়িঘর, দোকান পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, ভাঙা হচ্ছে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। এমনটাই অভিযোগ। এরইমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুকে। এখানেই শেষ নয়। এবার অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে হুমকি মৌলবাদীদের। ইসকনের নাম নিলে গলা নামিয়ে দেওয়া হবে— এমনটাই হুমকি দেওয়া হচ্ছে। উড়ল আইসিসের (ISIS) পতাকা। যা নিয়ে বাংলার দুই পারে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ, এই ধরনের ঘটনা প্রমাণ করছে বাংলাদেশ ক্রমশও ইসলামিক স্টেটে পরিণত হতে যাচ্ছে। এই ঘটনা তা প্রমাণ করে দিল।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bangladesh)

    এতদিন ইউনূস সরকারের (Bangladesh) পিছন থেকে কলকাঠি নাড়ছিল জামাতে-ইসলামি মতো মৌলবাদী শক্তিরা। এবার যতদিন দিন যাচ্ছে সরকারের আসল চেহারা সামনে আসতে শুরু করেছে। এতদিন মুখোশের আড়ালে সবকিছু করলেও এখন ধীরে ধীরে দাঁত, নখ বের হতে শুরু করেছে। হাসিনার আমলে নিষিদ্ধ থাকা জঙ্গি সংগঠনই এখন নতুন করে মাথা চাড়া দেওয়া শুরু করেছে। যা বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের কাছে চরম আতঙ্কের। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে উড়ল আইসিসের পতাকা। নামাজের পরে এক হিন্দু ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেই মুহূর্তে আইসিস (ISIS)-র পতাকা নিয়ে মিছিল করে মৌলবাদীরা। প্রকাশ্যে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) পতাকা নিয়ে উল্লাস করতে দেখা গেল তাদের। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে হুমকি, রাস্তায় উড়ল ইসলামিক স্টেটের পতাকা। নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের পতাকা নিয়ে উল্লাস করতে দেখা গেল বাংলাদেশি মৌলবাদীদের।

    আরও পড়ুন: দক্ষিণ ভারতে ধেয়ে আসছে ‘ফেনজল’, ল্যান্ডফল বিকেলেই, কলকাতায় মেঘলা আকাশ

    কারা করল এই মিছিল?

    বাংলাদেশের (Bangladesh) রাস্তায় কালেমা সহ আইসিসের পতাকা ওড়ানোর ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, এই মিছিল করেছিল নিষিদ্ধ হওয়া জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহেরি। শেখ হাসিনার সরকারের সময়কালে এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। হাসিনা সরকারের পতনের পরই ফের সক্রিয় তারা। আইসিসের পতাকা নিয়ে মিছিল করতে দেখা গেল তাদের। তহবিল জোগাড় করতেও দেখা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, আওয়ামি লিগ সরকারের পতনের পরই, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এই নিষিদ্ধ সংগঠনের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। এই হিজবুত তাহেরির নেতা মাহফুজ আলম বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের একজন উপদেষ্টাও বটে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: ব্যাপক অত্যাচার, বাংলাদেশ কি হিন্দু শূন্য হয়ে যাবে?

    Bangladesh Crisis: ব্যাপক অত্যাচার, বাংলাদেশ কি হিন্দু শূন্য হয়ে যাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) কি হিন্দ শূন্য হয়ে যাবে? সম্প্রতি দেশটিতে যেভাবে (ISKCON) হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে, যেভাবে হিন্দু সন্ন্যাসীদের (ISKCON) মিথ্যে অভিযোগে গ্রেফতার করা হচ্ছে, তার পরে স্বভাবিকভাবেই উঠছে এই প্রশ্ন। দিন কয়েক আগে গ্রেফতার করা হয়েছে বিশিষ্ট হিন্দু নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস মহারাজকে। রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। ন্যায় বিচারের দাবিতে হিন্দু সম্প্রদায় সমাবেশ করছে। তবে তারাও নির্মম দমন-পীড়ন ও হামলার মুখোমুখি হচ্ছে।

    চিন্ময় মহারাজ (Bangladesh Crisis)

    জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল পর্যন্তও চিন্ময় মহারাজকে আটকে রাখা হয়েছে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে। সেখানে তাঁকে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও সনাতনী খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে না। তাঁর আইনজীবীরা উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করতে গিয়েও বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছে বিভিন্ন ইসলামী জঙ্গি সংগঠন যেমন হিজবুত তাহরির, জামাআতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ, হরকা তুল জিহাদ (হুজি), আনসার আল ইসলাম এবং হেফাজতে ইসলাম (হেই)-এর মতো উগ্রপন্থী ইসলামী গোষ্ঠীর সাজাপ্রাপ্ত জিহাদিরা। এই পরিস্থিতিতে চিন্ময় মহারাজের প্রাণ সংশয় হতে পারে বলে আশঙ্কা সনাতনীদের। চিন্ময় মহারাজ সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোটের নেতা। তাঁর বিরুদ্ধে যিনি রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ করেছেন, তিনি বিএনপির নেতা। ২৫ নভেম্বর গ্রেফতার করার পর পরের দিনই তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কারাগারে।

    হিন্দু আন্দোলনের মেরুদণ্ড ভেঙে ফেলার চেষ্টা

    চিন্ময় মহারাজ ছিলেন বাংলাদেশে নিপীড়িত হিন্দুদের মুখ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তাঁকে গ্রেফতার করে হিন্দু আন্দোলনের মেরুদণ্ডটাই ভেঙে দিতে চেয়েছে বাংলাদেশের মৌলবাদীরা। সোশ্যাল মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসলামপন্থী ও হিন্দু-বিরোধী এলিমেন্টরা চট্টগ্রাম ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে হিন্দুদের বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মন্দিরে হামলা চালাচ্ছে। ২৭ নভেম্বর ভোরের দিকে চট্টগ্রাম শহরের মেথরপট্টি এলাকায় মনসা মায়ের মন্দিরে দুষ্কৃতীরা আগুন লাগিয়ে দেয়। হজারিগলিতে কালী মন্দিরেও আগুন লাগিয়ে দেয় ইসলামপন্থী জনতা। হরিজন সম্প্রদায়ের মালিকানাধীন বহু হিন্দু বাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, উগ্রপন্থীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় মুসলমানদের “ছুরি ধারালো করার” আহ্বান (ISKCON) জানাচ্ছে। তারা যাতে ইসকনের সদস্যদের হত্যা করতে পারে, তাই ছুরি ধারালো করার আহ্বান। চট্টগ্রাম শহরের হিন্দুরা এক অসহনীয় অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন বলে খবর (Bangladesh Crisis)। এবারের অত্যাচার ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীদের দ্বারা সংঘটিত নির্যাতনের কথা মনে করিয়ে দেয়।

    আরও পড়ুন: “মোদি অনেক ভালো কাজ করেছেন”, বললেন আন্তর্জাতিক লগ্নিকারী জিম রজার্স

    চরমে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মহম্মদ ইউনূসের তদারকি সরকার যদি এই হিংসা বন্ধ করতে না পারে, তাহলে বহু হিন্দু খুন হতে পারেন। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে পারেন হিন্দু মহিলারা। চলতি বছরের অগাস্ট মাস থেকে (পড়ুন প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর) বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার তুঙ্গে। নির্বিচারে ভাঙচুর করা হচ্ছে হিন্দুদের বাড়ি এবং মন্দির। লুটতরাজ চালানো হচ্ছে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে। হামলা চালনো হচ্ছে হিন্দুদের বাড়িতে। রাতের অন্ধকারে লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে আগুনও। স্থানীয় মিডিয়াকে এই ঘটনাগুলো প্রচার করতে বাধা দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক মিডিয়ার বেশিরভাগই কোনও এক অজানা কারণে নৃশংসতার এই ছবি তুলে ধরা থেকে বিরত থেকেছে।

    বিহারিদের অত্যাচার!

    ‘স্ট্র্যান্ডেড পাকিস্তানিজ’ কমিউনিটির সদস্যরা, যারা বিহারি নামেও পরিচিত, তারাও হিন্দুদের বিরুদ্ধে এই হিংসাত্মক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। এই অপরাধগুলো গুরুতর হওয়া সত্ত্বেও, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো মানবাধিকার সংগঠনগুলি অদ্ভুতভাবে নীরব রয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এর কারণ সম্ভবত ইউনূসের প্রভাব এবং বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে তাঁর কানেকশনের কারণে (ISKCON)।

    ক্লিন্টনের কারবার

    দেশে লাগাতার হিন্দু নিধন যজ্ঞ চললেও, চলতি বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার জন্য আমেরিকা সফরের সময় ইউনূসকে ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ দ্বারা সম্মানিত করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে, বিল ক্লিনটন নিষিদ্ধ ইসলামপন্থী সংগঠন হিজব-উত-তাহরির-এর নেতা মাহফুজ আলমের প্রশংসা করেন। এই সংগঠন খিলাফত প্রতিষ্ঠার পক্ষে কাজ করে। সেই সংগঠনেরই হয়ে সাফাই গাইতে দেখা যায় বিল ক্লিনটনকে। হিন্দুদের (Bangladesh Crisis) পীড়ন করার পাশাপাশি বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করাও শুরু করে দিয়েছে ইউনূস সরকার। অক্টোবরে আওয়ামি লিগের ছাত্র সংগঠনের গায়ে জঙ্গি সংগঠনের তকমা সেঁটে দিয়ে তাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। রিপোর্টে বলা হচ্ছে যে, সরকার আওয়ামি লিগকে রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছে।

    এতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে প্রতিষ্ঠিত হবে ইসলামি শক্তির আধিপত্য। হিন্দু ও খ্রিষ্টান-সহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য তেমন কোনও প্রতিনিধিত্ব থাকবে না। তাই সমালোচনাও হবে না। মৌলবাদীদের পাশাপাশি করেকম্মে (ISKCON) খাবে জঙ্গিরাও (Bangladesh Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share