Tag: Bengali news

Bengali news

  • Bangladesh: বাংলাদেশে জোর করে বন্ধ করা হল ইসকন মন্দির, তুলে নিয়ে যাওয়া হল ভক্তদের

    Bangladesh: বাংলাদেশে জোর করে বন্ধ করা হল ইসকন মন্দির, তুলে নিয়ে যাওয়া হল ভক্তদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে হিন্দুদের ওপর লাগাতার অত্যাচার শুরু হয়েছে। সরকারের মাথায় লোকদেখানো করে মহম্মদ ইউনূসকে বসানো হয়েছে। কিন্তু, সরকার কার্যত পরিচালনা করছে জামাতে ইসলামি এবং হেফাজতে ইসলামের মতো বাংলাদেশের মৌলবাদী সংগঠনগুলি। তাদের নির্দেশেই সব কিছু হচ্ছে। চিন্ময় প্রভু গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে সেখানকার সরকারের আচরণ এবং কট্টরপন্থিদের ভূমিকা আরও বেশি করে তা প্রমাণ করে দিয়েছে। এই আবহে ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে উঠেপড়ে লেগেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। বুধবার বাংলাদেশের হাইকোর্টে ইসকনকে নিষিদ্ধ সংগঠন ঘোষণা করার আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যেই বাংলাদেশে ইসকনের মন্দির-অফিসে হুমকি আসতে শুরু করেছে।

    বন্ধ করা হল ইসকন মন্দির (Bangladesh)

    জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে (Bangladesh) ইসকনের (ISKCON) ৬৫টি মন্দির রয়েছে। ৫০ হাজারেরও বেশি অনুগামী রয়েছে। ঢাকায় ১৩টি ইসকন মন্দির রয়েছে। চট্টগ্রামে ১৪টি, সিলেটে ৯টি, খুলনায় ৮টি এবং রংপুরে ৭টি ইসকন মন্দির রয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের শিবচরে ইসকনের মন্দিরগুলিকে নিশানা করছে মৌলবাদী জামাতরা। মন্দির বন্ধের হুঁশিয়ারি দিচ্ছে। বাংলাদেশের সোনালি মার্কেটে অবস্থিত ইসকন মন্দির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মন্দির বন্ধ না করলে, ভয়ঙ্কর পরিণতি হবে বলেই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। এর আগে ইসকনের এই মন্দির থেকেই বোর্ড খুলে নেওয়া হয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, মৌলবাদী নেতারা আধ ঘণ্টার মধ্যে মন্দির বন্ধ করার এবং ইসকনের সদস্যদের গ্রেফতার করার হুমকি দিচ্ছে। পুলিশ ও সেনারাও সেখানে উপস্থিত ছিল। ইসকনের সমর্থকদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। বেছে বেছে হিন্দুদেরই পুলিশ ধরছে বলে অভিযোগ। হিন্দুদের ওপরে মৌলবাদীদের নেতৃত্বে হামলার লাগাতার অভিযোগ আসছে। বাড়ি-ঘর, দোকানে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ভয়ঙ্কর চিত্রও সামনে এসেছে।

    আরও পড়ুন: সাগরে ঘনিভূত নিম্নচাপ, রাজ্যে শীতের আমেজে বাধা, বাড়বে রাতের তাপমাত্রা

    কী বললেন ইসকন কলকাতার ভাইস প্রেসেডেন্ট?

    ইসকন কলকাতার ভাইস প্রেসেডেন্ট এবং মুখপাত্র রাধারমণ দাস বলেন, ‘‘বাংলাদেশের শিবচরের ইসকন (Bangladesh) নামহাট্টা সেন্টারটি মুসলিমরা এসে জোর করে বন্ধ করে দিয়ে যায়। এরপর সেখানে সেনারা যান। ইসকনের ভক্তদের সেখান থেকে একটি গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।’’ একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন রাধারমণ দাস। সেই ভিডিওতে দেখা যায়, ইসকন মন্দিরের একটি হোর্ডিং খুলে ফেলা হচ্ছে লোহার রড দিয়ে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: সাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপ, রাজ্যে শীতের আমেজে বাধা, বাড়বে রাতের তাপমাত্রা

    Weather Update: সাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপ, রাজ্যে শীতের আমেজে বাধা, বাড়বে রাতের তাপমাত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে একটি নিম্নচাপ। এরই প্রভাবে সপ্তাহ শেষে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী চার জেলায় হতে পারে বৃষ্টি। এই জেলাগুলি হল পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা। অন্যদিকে, উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে মেঘলা আকাশ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। হাওয়া অফিস মনে করছে, এর ফলে আপাতত শীতের আমেজে কিছুটা বাধা পড়বে। নিম্নচাপের কারণে প্রভাব পড়বে পারদ পতনেও। পুদুচেরি থেকে ৬৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্বে এবং চেন্নাই উপকূল থেকে ৭০০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্বদিকে এই নিম্নচাপটি (Weather Update) অবস্থান করছে বলে জানা যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, এর অভিমুখ বর্তমানে তামিলনাড়ুর দিকেই রয়েছে। শনিবারই ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে। এর প্রভাবে ইতিমধ্যে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে তামিলনাড়ু, পুদুচেরি প্রভৃতি এলাকায়।

    তামিলনাড়ুতে হবে অতিভারী বৃষ্টি (Weather Update)

    ইতিমধ্যে হাওয়া অফিস জানিয়েছে, তামিলনাড়ুতে এর প্রভাবে ২০০ মিলিমিটার বা তার বেশি বৃষ্টি (Rain Forecast) হতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় সে রাজ্যের মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। গভীর সমুদ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের। শুক্রবার থেকে হালকা বৃষ্টির (Weather Update) সম্ভাবনা রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতে। ৩০ নভেম্বর শনিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। ১ ডিসেম্বর রবিবার হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়।

    নভেম্বরের শেষে রাতের তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছতে পারে

    হাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গে (Weather Update) ঠান্ডার আমেজ তুলনায় বেশি থাকবে। সকালের দিকে কুয়াশার হালকা চাদর দেখা যাবে দার্জিলিং এবং উত্তর দিনাজপুর জেলাতে। অন্যদিকে, জলপাইগুড়ি ও মালদা জেলাতেও কুয়াশার (Rain Forecast) সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবারই কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে ছিল। আগামী শনিবার পর্যন্ত তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। নভেম্বরের শেষে রাতের তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chinmoy Krishna Das: ইউনূস সরকারের বুকে ভয় ধরিয়ে দিয়েছেন ঊনচল্লিশের সন্ন্যাসী চিন্ময়, তাই কি গ্রেফতার?

    Chinmoy Krishna Das: ইউনূস সরকারের বুকে ভয় ধরিয়ে দিয়েছেন ঊনচল্লিশের সন্ন্যাসী চিন্ময়, তাই কি গ্রেফতার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বয়স মাত্রই ঊনচল্লিশ। পরিচয় সনাতনী, বাংলাদেশের এক ইসকন মন্দিরের দায়িত্বে। তাঁর প্রতিপক্ষ যিনি, তিনি বয়সে প্রবীণ। বাংলাদেশের তদারকি সরকারের প্রধান। দুজনের ধর্ম পরিচয়ও আলাদা। প্রথম জন হিন্দু, অন্যজন ধর্মে মুসলমান (Muhammad Yunus)। ঊনচল্লিশ বছরের এই সনাতনিই ভয় ধরিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বুকে। তাঁর একটা ডাকে জমায়েত হন বাংলাদেশের লাখো হিন্দু। মন দিয়ে শোনেন তাঁর কথা। এহেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ওরফে চিন্ময় প্রভুকে (Chinmoy Krishna Das) গ্রেফতার করে সাপের ছুঁচো গেলার দশা হয়েছে মহম্মদ ইউনূস সরকারের। তাঁরা না পারছেন চিন্ময়কে ছেড়ে দিতে, না পারছেন যাদের ‘বুদ্ধি’তে গ্রেফতার করা হল তাঁকে, তাদের চটাতে।

    ক্ষোভে ফুঁসছেন সনাতনীরা

    ফেরা যাক খবরে। দিন কয়েক আগে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় ইসকনের চিন্ময়কে। তাঁর মুক্তির দাবিতে কয়েক ঘণ্টার জন্য ঢাকা অচল করে দেন সে দেশের সনাতনীরা। কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে, লাঠিচার্জ করে চিন্ময়কে কোনওরকমে নিয়ে যাওয়া হয় জেলে। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়। যারে জেরে বাংলাদেশ তো বটেই, ক্ষোভে ফুঁসছেন ভারত তথা তামাম বিশ্বের সনাতনীরা।

    নির্ভীক চিন্ময় (Chinmoy Krishna Das) 

    চিন্ময় প্রভুর নির্ভীকতাকে কুর্নিশ করতে হয়। পুলিশ যথন তাঁকে প্রিজন ভ্যানে করে জেলের কুঠুরিতে নিয়ে যাচ্ছেন, তখনও অকুতোভয় চিন্ময় ভিক্ট্রি সাইন দেখাচ্ছেন। সনাতনীদের উদ্দেশে বলছেন, “ঐক্যবদ্ধ থাকুন।” চট্টগ্রামের জনসমাবেশে সংখ্যালঘুদের জন্য যে আট দফা দাবি তিনি জানিয়েছিলেন, সেই কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা বলে মনে করেন তিনি। চিন্ময় বলেন, “বিদ্রোহ মামলাটি আমাদের সংখ্যালঘুদের জন্য আট দফা দাবির বিরুদ্ধে। এটি আন্দোলনের নেতৃত্বকে শেষ করে দেওয়ার একটি প্রচেষ্টা।” যে চিন্ময়কে নিয়ে এত হইচই, মাস কয়েক আগেও তাঁকে বিশেষ চিনতেন না বাংলাদেশের সিংহভাগ মানুষ। হাসিনা সরকারের পতনের পর হিন্দুদের এক ছাতার তলায় নিয়ে আসার মহান কাজটি করে তিনি চলে আসেন খবরের শিরোনামে, নজরে পড়ে যান ইউনূস সরকারের (Muhammad Yunus)। এখন চিন্ময়ের নামে বাংলাদেশের যে কোনও জায়গায় নিমেষেই জড়ো করা যায় কয়েক হাজার হিন্দুকে।

    সুর চড়িয়েছেন চিন্ময় (Chinmoy Krishna Das) 

    হাসিনা সরকারের পতনের পর সবাই যখন মুখে কুলুপ এঁটেছেন, তখন গলা চড়িয়েছেন চিন্ময়। ঢাকার এক কমেন্টেটর বলেন, “যখন সবাই ভয়ে চুপ করে গিয়েছিলেন, তখন সুর চড়িয়েছিলেন চিন্ময়। সঙ্কটের সেই সময়ে তিনি আত্মপ্রকাশ করেন নেতা হিসেবে। সময়টা তাঁর অনুকূলে ছিল। সে-ই চিন্ময়কে মাইলেজ দিয়েছে।” সেই কারণেই যে তিনি মুসলমানদের রোষের মুখে পড়েছেন, তা মনে করছেন সে দেশের সনাতনীরা। পূর্বাশ্রমে তাঁর নাম ছিল চন্দন কুমার ধর। সন্ন্যাস দীক্ষা নেওয়ার পর তাঁর নাম হয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস (Chinmoy Krishna Das)। বাংলাদেশের নিপীড়িত সংখ্যালঘুদের মুখ হয়ে ওঠেন তিনিই। তার জেরে চিন্ময়ের সঙ্গে হাত মেলান বাংলাদেশের ইস্কনের সন্ন্যাসীরা। তাঁরা চিন্ময়ের মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হন।

    কী বলছেন কমেন্টেটর

    ঢাকার ওই কমেন্টেটর বলেন, “তিনি তাঁর বয়সের তুলনায় জ্ঞানী এবং পরিণত। আর এটি পরিস্থিতিরই একটি ফসল।” চট্টগ্রামের এক সন্ন্যাসী বলেন, “চিন্ময় ১৯৮৫ সালের মে মাসে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার কারিয়ানগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি শিশু বয়স থেকেই ধর্মীয় ক্ষেত্রে একজন জনপ্রিয় বক্তা ছিলেন (Chinmoy Krishna Das)। তিনি ১৯৯৭ সালে, মাত্র ১২ বছর বয়সে দীক্ষা গ্রহণ করেন এবং ইসকনের ব্রহ্মচারী হন।” বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট ৮ দফা দাবি আদায়ের জন্য ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে একটি বিশাল সমাবেশের আয়োজন করেছিল। হিন্দুদের এই শক্তি প্রদর্শন বাংলাদেশের জনসংখ্যার একটি অংশের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি। চিন্ময়-সহ ১৭ জন হিন্দু নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের করে তারাই। সেই মামলার ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয় চিন্ময়কে।

    চিন্ময়কে রোখার চেষ্টা (Chinmoy Krishna Das)

    ২২ নভেম্বর রংপুরে জনসমাবেশের ডাক দেন চিন্ময়। সেই সমাবেশ আটকাতে চেষ্টার কসুর করেনি বাংলাদেশ সরকার। আগাম বুকিং করা থাকলেও, পরে কোনও কারণ ছাড়াই বাতিল করে দেওয়া হয় বুকিং। চিন্ময় বলেন, “বাংলাদেশে সনাতনীদের দুর্দশার কথা আপনি এই ঘটনাটি থেকেই অনুমান করতে পারেন। তাঁদের ওপর চলা দমন-পীড়নের প্রমাণের জন্য আর কিছুর প্রয়োজন নেই।” খুলনা এবং সিলেটেও দুটি বড় সমাবেশের আয়োজন করার পরিকল্পনা করেছিলেন চিন্ময় (Chinmoy Krishna Das)। তার আগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয় ঢাকা থেকে।

    আরও পড়ুন: আজমের শরিফ দরগা আদতে একটি শিব মন্দির, হিন্দু সেনার আর্জি গ্রহণ করল আদালত

    বিপাকে ইউনূস সরকার

    বাংলাদেশের ওই কমেন্টেটর বলেন, “বাংলাদেশের হিন্দু জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ তরুণ এবং প্রযুক্তি-সচেতন। এই তরুণরা দেখেছে যে সারা বিশ্বে সংখ্যালঘুদের নিজেদের জন্মভূমিতে টিকে থাকার জন্য লড়াই করতে হয়।” জানা গিয়েছে, ১৯৬৪ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে বাংলাদেশ ছেড়ে গিয়েছেন ১ কোটির বেশি হিন্দু ধর্মাবলম্বী। এই নিপীড়িতদেরই মুখ হয়ে উঠেছিলেন চিন্ময় (Chinmoy Krishna Das)। তাঁকে গ্রেফতার করেই বিপাকে বাংলাদেশ সরকার। কারণ এই মুহূর্তে চিন্ময়ের সঙ্গে রয়েছে তামাম বিশ্বের সহানুভূতির ঝড়। যার বড় মূল্য চোকাতে হতে পারে ইউনূসের (Muhammad Yunus) অন্তর্বর্তী সরকারকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramayana: ৪১৯টি তালপাতায় লেখা রামায়ণ, ২৫০ বছরের পুরনো পাণ্ডুলিপি আবিষ্কৃত তামিলনাড়ুতে

    Ramayana: ৪১৯টি তালপাতায় লেখা রামায়ণ, ২৫০ বছরের পুরনো পাণ্ডুলিপি আবিষ্কৃত তামিলনাড়ুতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আড়াইশো বছরেরও বেশি পুরনো রামায়ণের (Ramayana) তালপাতার পাণ্ডুলিপি আবিষ্কৃত হল তামিলনাড়ুতে। তামিলনাড়ুর বানিয়ামবাদীতে তালপাতার এই পাণ্ডুলিপিগুলি আবিষ্কারের কাজে সবচেয়ে বেশি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছেন ডক্টর কে মোহন গান্ধী। তিনি আসলে একজন তামিল অধ্যাপক। সে রাজ্যের ভেলোর জেলার তিরুপাথরের একটি কলেজে অধ্যাপনা করেন তিনি। তাঁর সহযোগী হিসেবে ছিলেন কানিনিলাম মুনুসামি এবং ডঃ কামিনী। এই পাণ্ডুলিপিগুলি আবিষ্কার হয় সে রাজ্যের এজিহিল আমমাইয়ারের বাড়ি থেকে। এজিহিল আমমাইয়ার হলেন একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা। ৪১৯টি তালপাতা দিয়ে তৈরি ওই পাণ্ডুলিপিতে পদ্যের আকারে রামায়ণ লেখা ছিল।

    অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা এজিহিল আমমাইয়ার বাড়িতে মেলে এই পাণ্ডুলিপি

    প্রসঙ্গত, ওই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা এজিহিল আমমাইয়ার বাড়িতে এই পাণ্ডুলিপি থাকার কথা প্রথম জানেন ১৯ নামের এক ছাত্র মনীশ। যিনি বর্তমানে কম্পিউটার সায়েন্সের তৃতীয় বর্ষে পড়াশোনা করছেন। তিনিই অধ্যাপক গান্ধীকে প্রাচীন এই পাণ্ডুলিপি সম্পর্কে খবর দেন। জানা গিয়েছে, মনীশ হলেন ওই অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষিকার (এজিহিল আমমাইয়ার) আত্মীয়।

    পাণ্ডুলিপির বর্ণনা

    এরপরেই অধ্যাপক গান্ধী দল বেঁধে শিক্ষিকার (এজিহিল আমমাইয়ার)  বাড়িতে যান এবং সেখানে তাঁরা দেখেন যে পাঁচটি বান্ডিলে করে তালপাতা পাণ্ডুলিপি রাখা রয়েছে। জানা যায়, তাঁর পূর্বসূরিদের কাছ থেকে এগুলিকে সবটাই সংগ্রহ করেছিলেন অবসরপ্রাপ্ত ওই স্কুল শিক্ষিকা। পাণ্ডুলিপিটির (Tamil Nadu) দৈর্ঘ্য ১.৩৬ ফুট এবং প্রস্থ ০.১৩ ফুট। প্রতিটা পাতায় ৭ থেকে ৮ লাইন করে লেখা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রতি লাইনে বর্ণ সংখ্যা রয়েছে ৪৯ থেকে ৫২টি। প্রথম পাতাটিতে লেখা রয়েছে, ‘‘থুম্ব-নিথুম্বের মৃত্যুর পরে রাবণের বিরুদ্ধে রাম-লক্ষণের যুদ্ধের কাহিনি’’। জানা গিয়েছে, ওই গ্রন্থে আরও লেখা রয়েছে, যাঁরা এই পাণ্ডুলিপি পড়বেন, তাঁদের জীবন অনেক দীর্ঘ হবে এব সমৃদ্ধিতে ভরে যাবে। ভগবান রামচন্দ্রের (Ramayana) আশীর্বাদ সর্বদাই তাঁদের উপরে বর্ষিত হবে।

    সংরক্ষণের দাবি হিন্দু সংগঠনের (Ramayana)

    হিন্দু-মুন্ডাই নামের একটি একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন এ বিষয়ে জানিয়েছে, পুরনো ওই পাণ্ডুলিপিটি (Ramayana) আড়াইশো বছরের পুরনো। এখানে লিপিবদ্ধ রয়েছে ভগবান রামচন্দ্রের কাহিনি এবং পুরোটাই লেখা হয়েছে তাল পাতার ওপরে। এরপরে এই পাণ্ডুলিপি এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঐতিহ্য প্রমাণ করে যে রামায়ণের গুরুত্ব সারা ভারতব্যাপী রয়েছে। হিন্দু-মুন্ডাই (Tamil Nadu) নামের ওই সংগঠন তামিলনাড়ু সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে যে অবিলম্বে ওই ৪১৯ পাতার তালপাতার পাণ্ডুলিপিকে সংরক্ষণ করা হোক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ajmer Sharif Dargah: আজমের শরিফ দরগা আদতে একটি শিব মন্দির, হিন্দু সেনার আর্জি গ্রহণ করল আদালত

    Ajmer Sharif Dargah: আজমের শরিফ দরগা আদতে একটি শিব মন্দির, হিন্দু সেনার আর্জি গ্রহণ করল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজমের শরিফ দরগা (Ajmer Sharif Dargah) আদতে একটি হিন্দু মন্দির ছিল। এই মর্মে আবেদনপত্র জমা পড়েছিল রাজস্থানের আদালতে (Rajasthan Court)। সেই আবেদনের শুনানিতে সম্মতি দিয়েছে আদালত। হিন্দু সেনার দায়ের করা আবেদনে দাবি করা হয়েছে, সুফি সাধক খাজা মইনুদ্দিন চিশতির মাজার আসলে একটি শিব মন্দির। এই আবেদন গ্রহণ করেছে আজমেরের নিম্ন আদালত।

    তলব নোটিশ জারি করার নির্দেশ (Ajmer Sharif Dargah)

    আজমের পশ্চিম সিভিল জজ (সিনিয়র ডিভিশন) মনমোহন চন্ডেল হিন্দু সেনার সভাপতি বিষ্ণু গুপ্তের দ্বারা দায়ের করা আবেদনের শুনানি গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই মামলার শুনানি হবে ২০ ডিসেম্বর। আজমের শরিফ দরগা কমিটি, সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক এবং ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (ASI)-কে তলব নোটিশ জারি করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    হিন্দু সেনার দাবি

    গত সেপ্টেম্বরে হিন্দু সেনা আজমের সিভিল কোর্টে একটি আবেদন দায়ের করে। তাতে দাবি করা হয়, খোয়াজা মইনউদ্দিন চিশতির দরগাকে ‘ভগবান শ্রী সঙ্কটমোচন মহাদেব বিরাজমান মন্দির’ ঘোষণা করা হোক। আবেদনে দাবি করা হয়েছে, দরগাটি একটি শিব মন্দিরের ওপর নির্মিত হয়েছে। প্রামাণিক উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই দাবি করা হয়েছে। সুফি দরগাটি (Ajmer Sharif Dargah) ওই জায়গা থেকে অপসারণের দাবিও জানানো হয়েছে। হিন্দু সেনার দাবি, ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণকে নির্দেশ দেওয়া হোক যাতে জ্ঞানবাপি মামলার মতোই এই জায়গায় সমীক্ষা করা হয় এবং তারপর সেখানে শিব মন্দির পুননির্মাণ করা হয়।

    আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে ‘বিহার মডেল’ নয়, সাফ জানাল বিজেপি

    পিটিশনে বলা হয়েছে (Ajmer Sharif Dargah), খোয়াজা মইনউদ্দিন চিশতি মহম্মদ ঘোরির সঙ্গে আজমেরে এসেছিলেন। ঘোরি বহু হিন্দু মন্দির ধ্বংস করেছিলেন। এর মধ্যে রয়েছে আজমেরের সঙ্কট মোচন মহাদেব মন্দিরও। হিন্দু সেনার দাবি, আজমের শরিফ দরগার প্রধান প্রবেশদ্বারের নকশা হিন্দু স্থাপত্যের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। ঐতিহাসিক নথিতে সেই জায়গায় একটি শিব মন্দিরের অস্তিত্বের উল্লেখ রয়েছে।

    প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে আদালতের নির্দেশে শাহি জামা মসজিদে সমীক্ষা করতে গেলে শুরু হয় অশান্তি। সেখানেও (Rajasthan Court) স্থানীয়দের একাংশ দাবি করেন, হিন্দু মন্দির ভেঙে গড়ে উঠেছে মসজিদ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Devendra Fadnavis: মহারাষ্ট্রে ‘বিহার মডেল’ নয়, সাফ জানাল বিজেপি

    Devendra Fadnavis: মহারাষ্ট্রে ‘বিহার মডেল’ নয়, সাফ জানাল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) ‘বিহার মডেল’ নয়। শিন্ডেসেনাকে সাফ জানিয়ে দিয়েছে বিজেপি। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র প্রেম শুক্ল সংবাদমধ্যমকে জানান, বিহারের মতো পরিস্থিতি নেই মহারাষ্ট্রে। তিনি বলেন (Devendra Fadnavis), “ভোটের আগেই নীতিশ কুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করার প্রস্তাব দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু মহারাষ্ট্রে আমরা এমন কোনও কথা দিইনি।” শুক্ল বলেন, “তাছাড়া মহারাষ্ট্রে আমাদের সাংগঠনিক ক্ষমতা বেশি।”

    শিন্ডেসেনার বক্তব্য (Devendra Fadnavis)

    সোমবারই ‘বিহার মডেলে’র প্রসঙ্গ টেনে শিন্ডেসেনার মুখপাত্র নরেশ মাশকে বলেছিলেন, “বিহারে যেমন বিজেপি আসন সংখ্যার দিকে না তাকিয়ে নীতীশ কুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করেছিল, তেমনই মহারাষ্ট্রেও শিন্ডেকে মুখ্যমন্ত্রী করা উচিত।” শিবসেনার এক নেতার দাবি, বিজেপি শিন্ডেকে জানিয়েছে যে, তিনিই মুখ্যমন্ত্রী থাকছেন।

    ফর্মুলা ওয়ান

    আজ, বুধবার দিল্লি গিয়েছেন উপ মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। শোনা যাচ্ছে, ফড়নবীশকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করা হবে শিন্ডেকে। এই সূত্রে শিন্ডেসেনা রাজি হবে কিনা, তা স্পষ্ট নয় (Devendra Fadnavis)। বিজেপির একটি সূত্রের খবর, পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে ধীরে চলো নীতি নিয়ে এগোতে চাইছে পদ্ম পার্টি। সে ক্ষেত্রে প্রথমে সম্ভাব্য মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে, বণ্টন করা হবে দফতর। একেবারে শেষে বেছে নেওয়া হবে মুখ্যমন্ত্রী।

    কী বলছেন শিন্ডে

    বুধবার শিন্ডে বলেন, “আমি প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। বলেছি সরকার গঠনে আমাদের পক্ষ থেকে কোনও বাধা থাকবে না। মোদিজি এনডিএ-র নেতা। আমি বলেছি যে তাদের যা সিদ্ধান্ত হবে এবং যাকে তারা মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী মনোনীত করবেন, শিবসেনা তাকে সম্পূর্ণ সমর্থন করবে।”

    আরও পড়ুন: ফাটল হচ্ছে চওড়া! ফের ‘ইন্ডি’ জোটের বৈঠক এড়াল তৃণমূল, কেন জানেন?

    প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্র বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৮৮। এর মধ্যে বিজেপি একাই পেয়েছে ১৩২টি আসন। একনাথ শিন্ডের শিবসেনা পেয়েছে ৫৭টি আসন। অজিত পাওয়ারের এনসিপি জয়ী হয়েছে ৪১টি আসনে। ২০টি আসন গিয়েছে শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরের ঝুলিতে। কংগ্রেস জয়ী হয়েছে মাত্রই ১৬টি আসনে। আর ১০টি আসনে (Maharashtra) জয় পেয়েছে শরদ পাওয়ারের এনসিপি (Devendra Fadnavis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

      

  • Maharashtra: “মোদি পরিবারের প্রধান, তাঁর সিদ্ধান্তই শেষ কথা”, বললেন শিন্ডে

    Maharashtra: “মোদি পরিবারের প্রধান, তাঁর সিদ্ধান্তই শেষ কথা”, বললেন শিন্ডে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরর উপরেই ছাড়লেন শিবসেনা প্রধান একনাথ শিন্ডে। মোদিকে ‘পরিবারের প্রধান’ বলে সম্বোধন করে তিনি জানালেন, প্রধানমন্ত্রী যা সিদ্ধান্ত নেবেন, তাতেই সমর্থন জানাবে শিবসেনা।

    কী বললেন শিন্ডে? (Maharashtra)

    মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) বিধানসভা নির্বাচনের ফল আসার পর থেকেই নতুন মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। একনাথ শিন্ডে, দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ বা অজিত পাওয়ার, তিনজনেরই সমর্থকরা তাদের নেতাকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়। এই আবহে বুধবার ঠাণেতে সাংবাদিক বৈঠক করেন শিন্ডে। সেখানেই তিনি বলেন, “মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের জন্য বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব যে সিদ্ধান্তই নিক, তাকে সমর্থন করবে শিবসেনা।” প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে তাঁর এই বিষয়ে কথা হয়েছে বলে জানিয়ে শিন্ডে বলেন, “আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি, আপনি আমাদের পরিবারের প্রধান। যে ভাবে বিজেপি আপনার সিদ্ধান্তকে গ্রহণ করে, সে ভাবেই আমরা আপনার সিদ্ধান্তকে গ্রহণ করব।” শিন্ডে জানান, মঙ্গলবার তাঁর সঙ্গে মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ফোনে কথা হয়েছে। সেখানে সরকার গঠনের আলোচনায় তাঁকে যাতে ‘বাধা’ হিসেবে দেখা না-হয়, তার আর্জি জানান শিন্ডে। শিন্ডে আরও বলেন, “আমি নিজেকে কখনই মুখ্যমন্ত্রী ভাবিনি। আমি সবসময় একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে কাজ করেছি। আমি সব সময় দেশের উন্নয়নে কাজ করেছি। আমি মহারাষ্ট্রের প্রিয় বোনদের প্রিয় ভাই। অমিত শাহ এবং প্রধানমন্ত্রী মোদি আমাকে সর্বদা সমর্থন করেছেন। তাঁরা আমাকে মুখ্যমন্ত্রী বানিয়েছেন। আমি তাঁদের কাছেও কৃতজ্ঞ।”

    আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত ইজরায়েল-হিজবুল্লার! কেন এই সিদ্ধান্ত, কী ভাবছেন নেতানিয়াহু?

    দিল্লিতে বৈঠক

    বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট ২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র (Maharashtra) বিধানসভা নির্বাচনে ২৩০টি আসন জিতেছে। তবে, পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে ভোটের ফল বেরনোর পর থেকেই জারি রয়েছে অনিশ্চয়তা ও জটিলতা। এই অবস্থায় শিবসেনা, এনসিপি-র শীর্ষ নেতা ও দেবেন্দ্র ফড়ণবীশকে দিল্লিতে ডাকা হয়েছে। বিজেপি হাইকমান্ড প্রফুল্ল প্যাটেল, অজিত পাওয়ার, দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ এবং একনাথ শিন্ডের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের সময় নির্ধারণ করেছে। এই বৈঠকে মহারাষ্ট্রের রাজনীতি নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই বৈঠকে রাজ্যের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যৎ কৌশল নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: চিন্ময় প্রভুকে নিঃশর্ত মুক্তি না দিলে বাংলাদেশের ভিসা বাতিলের হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু

    BJP: চিন্ময় প্রভুকে নিঃশর্ত মুক্তি না দিলে বাংলাদেশের ভিসা বাতিলের হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে সনাতন জাগরণ মঞ্চের অন্যতম মুখ সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুর জামিন খারিজ হতেই কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনারের অফিস ঘেরাও করার ডাক দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী বুধবার শুভেন্দুর নেতৃত্বে বিজেপি (BJP) বিধায়করা বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনারের অফিস ঘেরাও করেন। সেখানেই বাংলাদেশ সরকারকে কড়া বার্তা দিলেন বিরোধী দলনেতা। জানিয়ে দিলেন, চিন্ময় প্রভুকে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। না হলে এবার বাংলাদেশের ভিসা বাতিলের দাবিতে কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানাবে বঙ্গ বিজেপি। একই সঙ্গে সোমবার থেকে সীমান্ত অবরোধের ডাকও দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    কী বললেন বিরোধী দলনেতা?(BJP)

    শুভেন্দু বলেন, “এর আগেও বাংলাদেশের অনেক সরকার দেখেছি। তবে এই রকম ভারত বিরোধী আচরণ, হিন্দুদের ওপর নির্যাতন আগের কোনও সরকারকে করতে দেখিনি।” বাংলাদেশে সনাতন জাগরণ মঞ্চের অন্যতম মুখ সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর পাশে দাঁড়িয়ে বিরোধী দলনেতা (BJP) বলেন, “উনি কোনও অন্যায় করেননি। মিথ্যা কেসে ফাঁসিয়েছে ইউনূসের তালিবান সরকার। তারই প্রতিবাদে বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনারের অফিসে দাবি জানিয়ে গেলাম।” তিনি আরও বলেন, “প্রয়োজনে ১ দিন অপেক্ষা করে ভিসা দফতরে যাব। কেন্দ্রকে বলব, এরকম চলতে থাকলে বাংলাদেশের ভিসা বন্ধ করে নিন। বাকিটা আমরা সীমান্তে বুঝে নেব।”

    আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত ইজরায়েল-হিজবুল্লার! কেন এই সিদ্ধান্ত, কী ভাবছেন নেতানিয়াহু?

    প্রসঙ্গত, কোটা বিরোধী আন্দোলনের (BJP) জেরে গত অগাস্টে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই বাংলাদেশে গঠিত হয় ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের বিরুদ্ধে বার বার সেদেশের হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের সনাতন জাগরণ মঞ্চের অন্যতম মুখ সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতার করেছে ইউনূসের সরকার। তার প্রতিবাদে উত্তাল হয়েছে বাংলাদেশ। সেই আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়েছে ভারতেও। মঙ্গলবার থেকে পথে নেমেছে বিজেপি। লাগাতার কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: “দেশকে পিছনের দিকে নিয়ে যেতে চান?’’ বাংলাদেশকাণ্ডে ইউনূসকে কড়া বার্তা শ্রী রবিশঙ্করের

    Bangladesh: “দেশকে পিছনের দিকে নিয়ে যেতে চান?’’ বাংলাদেশকাণ্ডে ইউনূসকে কড়া বার্তা শ্রী রবিশঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারের ঘটনায় ভারতের একের পর এক ধর্মগুরু নিন্দায় সরব হয়েছেন। ইতিমধ্যেই রাম জন্মভূমি মন্দিরের প্রধান পুরোহিত সত্যেন্দ্র দাস বাংলাদেশের এই আচরণের জন্য পাকিস্তানের সঙ্গে তুলনা করেছেন। এবার আধ্যাত্মিক নেতা শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর বাংলাদেশের এই আচরণের তীব্র নিন্দা করেছেন।

    ঠিক কী বললেন শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর? (Bangladesh)

    বাংলাদেশের (Bangladesh) ঘটনা প্রসঙ্গে আধ্যাত্মিক নেতা রবিশঙ্কর বলেন, “ওই সন্ন্যাসী বন্দুক ব্যবহার করেননি, কাউকে আঘাত করেননি। তিনি ভীত ও অসহায় মানুষকে সাহস দিয়েছেন। এটা যে কোনও ধর্মীয় নেতার কর্তব্য। তিনি শুধু তাঁর কাজ করছেন। তিনি শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করছেন, যা তাঁর অধিকার। একজন আধ্যাত্মিক নেতাকে গ্রেফতার করা প্রতিবেশী দেশের একজন প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে অযাচিত। তাঁকে মুক্তি দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের কাছে আবেদন করছি।’’ রবিশঙ্কর বাংলাদেশের নেতৃত্বের ক্রিয়াকলাপে হতাশা প্রকাশ করে বলেছেন, “চিন্ময় প্রভুকে গ্রেফতার করা তাদের জনগণের বা বাংলাদেশের ভাবমূর্তির জন্য কোনও উপকার হবে না। ইউনূসের কাছ থেকে আমরা আরও বেশি আশা করি। যিনি শান্তি ও নিরাপত্তা আনার জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন এবং এজন্যই তাঁকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাখা হয়েছে। আমরা আশা করব না যে, তিনি এমন পদক্ষেপ নেবেন, যা সম্প্রদায়ের মধ্যে আরও উত্তেজনা এবং ভয় তৈরি করবে।’’

    আরও পড়ুন: কথার মাঝেই বন্ধ করা হল বিধায়কের মাইক! প্রতিবাদে ওয়াকআউট বিজেপির, উত্তাল বিধানসভা

    দেশকে পিছনের দিকে নিয়ে যেতে চান?

    তিনি আরও বলেন, “আমরা বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকারকে অনুরোধ করছি দয়া করে সংখ্যালঘুদের যত্ন নিন। দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে এমন মৌলবাদীদের নিয়ন্ত্রণ করুন। বাংলাদেশ একটি উদার ও প্রগতিশীল দেশ হিসেবে পরিচিত। দেশকে পিছনের দিকে নিয়ে যেতে চান? এটা খুবই দুঃখজনক পরিস্থিতি। আশা করি ভারত সরকারও চাপ দেবে এবং আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আহ্বান জানাই যে এটি যেভাবে চলছে সেভাবে চলতে না দেওয়া এবং সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও নিরাপত্তা আনতে এবং সেখানে মানুষকে নিরাপদের রাখার জন্য চাপ সৃষ্টি করা।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC: ফাটল হচ্ছে চওড়া! ফের ‘ইন্ডি’ জোটের বৈঠক এড়াল তৃণমূল, কেন জানেন?

    TMC: ফাটল হচ্ছে চওড়া! ফের ‘ইন্ডি’ জোটের বৈঠক এড়াল তৃণমূল, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে হয়ে গেল ‘ইন্ডি’ জোটের বৈঠক। কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ওই জোটে যোগ দিয়েছিলেন জোটের শরিক বিভিন্ন দলের নেতারা। এই বৈঠকে যোগ দেয়নি তৃণমূল (TMC)। ছাব্বিশে এ রাজ্যে বিধানসভার নির্বাচন। বাম এবং বিজেপির পাশাপাশি এ রাজ্যে কংগ্রেসও তৃণমূলের ঘোষিত শত্রু।

    দূরত্ব তৈরি করতে চাইছে তৃণমূল!

    রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই এখন থেকে কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করতে শুরু করে দিল তৃণমূল। তাছাড়া, সদ্য সমাপ্ত মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়েছে মহা বিকাশ অঘাড়ী জোট। এই জোটে রয়েছে কংগ্রেসও। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এ রাজ্যে কংগ্রেস কোনও ক্যারিশ্মা দেখাতে না পারায় রাহুল গান্ধীর দলকে আর ধর্তব্যের মধ্যেই আনছে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। সেই কারণেই ইন্ডি জোটের বৈঠকে যোগ দেননি ঘাসফুল শিবিরের ছোট কোনও নেতাও।

    ইন্ডির বৈঠকে গরহাজির তৃণমূল

    সোমবার শুরু হয়েছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। তার আগে ইন্ডি জোটের নেতাদের নিজের বাসভবনে বৈঠকে ডেকেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। বিভিন্ন ইস্যুতে কীভাবে সংসদে মোদি সরকারকে চেপে ধরা হবে, সেই কৌশল স্থির করতেই ডাকা হয়েছিল বৈঠক। বৈঠকে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ, শরদ পাওয়ারের দল এনসিপি, উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা, সিপিএম, সিপিআই এবং ডিএমকে-সহ ১৩টি দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুপস্থিত কেবল তৃণমূল।

    সোমের পর আজ, বুধবারও ইন্ডি জোটের বৈঠকে যোগ দেয়নি তৃণমূল। এদিন দুপুর ১টায় নিজেদের সংসদীয় দলের আলাদা বৈঠক ডেকেছিল তৃণমূল। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং।  মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব-সহ বিভিন্ন ইস্যুতে সংসদের দুই কক্ষে সরব হবে ঘাসফুল শিবির।  এ নিয়ে রণকৌশল চূড়ান্ত করতে এদিন (TMC) সংসদ ভবনে বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূলের লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদরা।

    আরও পড়ুন: ট্রাম্প প্রশাসনে গুরু দায়িত্বে বাঙালি, মার্কিন স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মাথায় কলকাতার জয়ন্ত

    কংগ্রেসের মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায় বলেন, “বিজেপি, আদানির বিরুদ্ধে বিরোধীদের মধ্যে যে ঐক্য রয়েছে, সেই ঐক্যের বিরোধিতা করতে হবে। ঐক্যের বিরোধিতার যে দাদন, সেটা তৃণমূল নিয়েছে। তাই বিরোধীদের মধ্যে বিভাজন ঘটাতে চাইছে।” 

    ইন্ডি জোটের বৈঠকে গরহাজির রইলেও, ঝাড়খণ্ডে হেমন্ত সোরেনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন মমতা। হেমন্তর দল ইন্ডি জোটের শরিক। রাজনৈতিক মহলের মতে, ইন্ডি জোটের বৈঠকে হাজির না হয়ে হেমন্তের শপথ অনুষ্ঠানে গিয়ে মমতা বোঝাতে চাইছেন, তিনি ইন্ডি জোটেই আছেন। তবে তাঁকে বসানো হোক চালকের আসনে।

    একটা আঞ্চলিক দলের হাতে কি ইন্ডি জোটের স্টিয়ারিং তুলে দেবে কংগ্রেস? উঠছে প্রশ্ন (TMC)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share