Tag: Bengali news

Bengali news

  • Temple Vandalised: ফলছে তুষ্টিকরণের রাজনীতির ফল! রাজ্যের দুই মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর, তোপ বিজেপির

    Temple Vandalised: ফলছে তুষ্টিকরণের রাজনীতির ফল! রাজ্যের দুই মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর, তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফলতে শুরু করেছে তুষ্টিকরণের রাজনীতির বিষময় ফল (Temple Vandalised)! এতদিন বাংলাদেশে হামলা চালানো হচ্ছিল হিন্দুদের মন্দিরে। ভাঙচুর করা হচ্ছিল, প্রতিমা, বিগ্রহ। এবার (West Bengal) সেই একই ঘটনা ঘটল এপার বাংলায়ও। এর আগেও যে এ রাজ্যে এমনতর ঘটনা ঘটেনি, তা নয়। তবে তা ছিল কখনও সখনও। বাংলাদেশে হিন্দু নিধন যজ্ঞের পর বস্তুত এ রাজ্যে আছড়ে পড়েছে মন্দির ধ্বংসের ঢেউ। সম্প্রতি রাজ্যের দুটি মন্দিরে ভাঙচুর করা হয়েছে প্রতিমা। একটি উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটে, আর একটি ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে। বিজেপির অভিযোগ, ঘটনা দুটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। বিজেপির অভিযোগ, এই ধরনের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা সদর্থক নয়। যেহেতু সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনার আশঙ্কায় ঘটনা দুটি ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করেছিল রাজ্যের শাসক দল, তাই সংবাদ মাধ্যমেও তা প্রকাশ পায়নি বলে অভিযোগ। বসিরহাট ও তমলুকের ঘটনার ছবি এবং ভিডিও এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে সরব হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।

    সুকান্তর পোস্ট (Temple Vandalised)

    সোশ্যাল মিডিয়ায় সুকান্তর পোস্ট করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, মা কালীর মূর্তিটি ভেঙে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। ছবিটি দেখে মনে হচ্ছে, মূর্তি ভাঙার আগে মন্দিরে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছে তারা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি জানান, একটি ঘটনা ঘটেছে বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত নিন্দারিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের শঙ্খচূড়া বাজার এলাকায়। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, ওই এলাকায় একটি মন্দিরে জোর করে ঢুকে কালী মাতার মূর্তি ভাঙচুর করা হয়। মূর্তির হাত, পা এবং মাথা ভেঙে দেওয়া হয়। তাঁর আরও অভিযোগ, ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে তৃণমূলের জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষের কট্টর মৌলবাদী গোষ্ঠী শাহানুর মণ্ডল স্থানীয় হিন্দুদেরও খুন করার হুমকি দিচ্ছেন। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকে পুলিশও নীরব দর্শক হয়ে রয়েছে বলে (Temple Vandalised) পোস্টে লিখেছেন সুকান্ত।

    হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    ঘটনার প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীকেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “যথেষ্ট হয়েছে। আপনি অথবা আপনার সরাসরি সমর্থিত মৌলবাদী দানব গোষ্ঠী যদি পশ্চিমবঙ্গকে বৃহত্তর বাংলাদেশ বলে মনে করেন, তাহলে আপনি একটি মিথ্যার স্বর্গে বাস করছেন। যতদিন আমরা বেঁচে থাকব, আমরা আপনাকে সনাতন হিন্দু ভক্তদের অনুভূতিতে আঘাত করতে দেব না। যদি রাজ্যের হিন্দুদের ওপর বা তাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে কোনও আক্রমণ হয়, তাহলে ভারতীয় জনতা পার্টি উপযুক্ত জবাব দেবে – প্রস্তুত থাকো।”

    পোস্ট শুভেন্দুরও

    এদিকে, আগুন লাগিয়ে দিয়ে প্রতিমা পোড়ানো হয়েছে তমলুকের শ্রীরামপুরের একটি ক্লাব সংলগ্ন একটি মন্দিরে। এই মন্দিরে দেব-দেবীর মূর্তিতে দুর্বৃত্তরা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বলে উল্লেখ করে পোস্ট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক জায়ান্ট কিলার (মমতাকে হারানোয় এখন এই নামেই সবাই ডাকছেন শুভেন্দুকে) শুভেন্দু অধিকারী। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ফুটেজ পোস্ট করেছেন তিনি। তাতে দেখা যাচ্ছে, অন্ধকারে একটা মূর্তি পুড়ে যাচ্ছে। এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গেও মন্দির পুড়িয়ে দেওয়া ও হিন্দু দেবদেবীর অবমাননার মতো জঘন্য ও ঘৃণ্য কার্যকলাপ হচ্ছে। এর মাধ্যমে উগ্র ও সাম্প্রদায়িক পরাধীনতার ওপার বাংলার সংস্কৃতি এখানেও অব্যাহত। তাঁর আরও অভিযোগ, আশপাশের এলাকার হিন্দুদের এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। সাংবাদিকদেরও যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তিনি ডিজিকে অনুরোধ করেছেন, রাজ্যের পুলিশ ও মুখ্যমন্ত্রী অবিলম্বে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করুক এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

    কী বললেন দিলীপ ঘোষ

    মন্দিরে হামলার ঘটনার নিন্দা করেছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি জানিয়েছেন, একটি কালী মন্দিরে আক্রমণ ও হিন্দু দেবী কালীর মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লিখেছেন, “এক চাঞ্চল্যকর ঘটনায়, বসিরহাট থানার অধীনে শঙ্খচূড়া বাজারের কালী মন্দিরে দেবী কালীর মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে।” তাঁর দাবি (Temple Vandalised), মন্দিরে হামলার ঘটনা স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শাহানুর মণ্ডলের নেতৃত্বে ঘটেছে। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র অমিত মালব্যও নিশানা করেন রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে। তিনি বলেন, “যাদবপুরের ঘটনার পর আর একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে– বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত শঙ্খচূড়া বাজারে দেবী কালীর একটি মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে।” তিনি বলেন, “স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক হয়তো আবারও এটাকে বিজেপির ষড়যন্ত্র বলে উড়িয়ে দেবেন বা এমনও দাবি করতে পারেন যে, এটা হিন্দুদেরই একটা চক্রান্তের অংশ।” তাঁর প্রশ্ন, গত পাঁচ দিনে হিন্দুদের বিরুদ্ধে অত্যাচারের উদ্বেগজনক বৃদ্ধির বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি শেষ পর্যন্ত কোনও বক্তব্য রাখবেন?

    মন্দিরে হামলা হয়েছে আগেও

    বিজেপির অভিযোগ, এ রাজ্যে ক্রমেই বাড়ছে হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনা। গত বছরও হাওড়ায় ভাঙচুর করা হয়েছিল ৫টি মন্দিরে। ছবি ও সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করে এমনই দাবি করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। ঘটনার প্রতিবাদে সেবার রেল অবরোধও হয়েছিল। সেবারও অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারির দাবি জানিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সেবার তিনি সাফ বলেছিলেন (Temple Vandalised), দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ না করায় সনাতনীদের ওপর বারবার হামলা হচ্ছে।

    শুভেন্দুর তোপ

    সেবার সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেন্দু লিখেছিলেন, “গত রাতে হাওড়ার বাঁকড়ায় ৫টি সনাতনী মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে। স্থানীয়রা রেল অবরোধ করে সেই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। আমি হাওড়া সিটি পুলিশের কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠী ও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে অনুরোধ করছি দোষীদের যত দ্রুত সম্ভব গ্রেফতার করুন। সঙ্গে শান্তি ফেরাতে দ্রুত শান্তি ফেরান। যারা ঘটনার প্রতিবাদ করছেন, গণপরিবহণকে প্রভাবিত না করে তাদের প্রতিবাদ করতে দিন।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, সনাতনী মন্দিরে ভাঙচুরকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের গা ছাড়া ভাবের জন্যই তারা সনাতনীদের ওপর বারবার হামলা করার সাহস পাচ্ছে।

    তুষ্টিকরণের রাজনীতির বিষময় ফল!

    রাজনৈতিক মহলের অভিযোগ, তুষ্টিকরণের রাজনীতি করতে গিয়ে দেশের সর্বনাশ করেছে কংগ্রেস। এই কংগ্রেসেরই ডিএনএ রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের শরীরে। তাদেরও হাতিয়ার সেই তুষ্টিকরণের রাজনীতি। ক্ষমতায় টিকে থাকতে তৃণমূলের প্রয়োজন একটি বিশেষ(Temple Vandalised) সম্প্রদায়ের ভোট। এ রাজ্যের ওই সম্প্রদায়ের ৩০ শতাংশ ভোটারের ভোটই পড়ে ঘাসফুল আঁকা ঝুলিতে। তৃণমূল তাদের তুষ্ট করতে গিয়েই নানাভাবে তোল্লাই দিয়ে চলেছে বলে অভিযোগ। তার জেরেই বিশেষ ওই সম্প্রদায়ের লোকজনের এহেন বাড়বাড়ন্ত!

    শুধু তাই নয়, এই ভোটের স্বার্থেই রাজ্যের তৃণমূল সরকার দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলেও অভিযোগ। যারা বিভিন্ন মন্দিরে বিগ্রহ ভাঙচুর করছে কিংবা মন্দির অপবিত্র করছে, তাদের বিরুদ্ধে জোরালো কোনও ব্যবস্থা নিতেও শোনা যায়নি বলেও দাবি সনাতনীদের একাংশের। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তার জেরেই বাড়বাড়ন্ত তৃণমূলের এই বিশেষ ভোটারদের (West Bengal)। যে ভোটারদের ‘দাক্ষিণ্যে’ বছরের পর বছর ক্ষমতায় টিকে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল (Temple Vandalised)।

  • Mark Carney: ‘‘যদি প্রধানমন্ত্রী হই…’’, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে বড় বার্তা ট্রুডোর উত্তরসূরি মার্ক কার্নির

    Mark Carney: ‘‘যদি প্রধানমন্ত্রী হই…’’, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে বড় বার্তা ট্রুডোর উত্তরসূরি মার্ক কার্নির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কার মার্ক কার্নি (Mark Carney) বসছেন কানাডার মসনদে (Canada PM)। সে দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন তিনি। চলতি বছরের শুরুতেই অর্থাৎ জানুয়ারিতে জাস্টিন ট্রুডো প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর থেকেই শুরু হয় জল্পনা। কে হবেন কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী! সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটল রবিবার। এদিন লিবারেল পার্টির নেতা হিসাবে মার্ক কার্নিকে (Canada PM) বেছে নেওয়া হয়েছে। ট্রুডোর উত্তরসূরী হিসেবে তাঁর নাম মনোনীত হওয়ার পর প্রথম ভাষণে কার্নি জানান, আগামী ভোটে জিতে তিনি ক্ষমতায় এলে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতি করবেন তিনি। প্রসঙ্গত, কানাডার আগামী সাধারণ নির্বাচনে লিবারেল পার্টিকে তিনিই নেতৃত্ব দেবেন। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই কানাডার সাধারণ নির্বাচন ঘোষণা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

    ভারতকে পাশে টানার বার্তা কার্নির

    ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হওয়ার আগে কার্নির মুখে শোনা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা। সম্প্রতি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরেই শুল্ক সংক্রান্ত মার্কিন নীতির পরিবর্তন করেন তিনি। ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের হুমকির বিষয়ে কার্নি বলেন, ‘‘আমরা তাঁকে (ট্রাম্প) সফল হতে দিতে পারি না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যতক্ষণ না মুক্ত ও ন্যায্য বাণিজ্যের বিশ্বাসযোগ্য ও নির্ভরযোগ্য প্রতিশ্রুতি দিতে পারছে, যতক্ষণ না তারা কানাডার সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত পাল্টা ব্যবস্থা (শুল্ক) বহাল থাকবে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘আমেরিকা কানাডা নয়। কানাডা কোনওভাবেই আমেরিকার অংশ হবে না।’’  অন্যদিকে, এক প্রশ্নের ভারতকে কাছে টানার বার্তা দিয়ে কার্নি বলেন, “কানাডার লক্ষ্য হল সমমনস্ক দেশগুলির সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে উন্নত করা।” এই আবহে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামত করার সুযোগও রয়েছে বলে জানান তিনি। কার্নি বলেন, ‘‘যদি প্রধানমন্ত্রী হই, তাহলে (ভারত-কানাডা সম্পর্ক) নতুন করে গঠন করার সুযোগের অপেক্ষায় থাকব।’’

    দলের মধ্যেই ৮৬ শতাংশ ভোট পান কার্নি (Mark Carney)

    যদিও এর আগে কার্নিকে অনেক কঠিন পরীক্ষার মধ্য দিয়েই যেতে হয়। লিবারেল পার্টির নেতা কে হবেন সেই সংক্রান্ত ভোটাভুটি হয়। লিবারেল পার্টির নেতা হিসেবে প্রাক্তন উপ-প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের নাম ভাসছিল। কিন্তু ভোটাভুটিতে মাত্র আট শতাংশই ভোট পেয়েছেন তিনি। অন্যদিকে ৫৯ বছর বয়সি, প্রাক্তন এই ব্যাঙ্কার মার্ক কার্নি প্রায় ৮৬ শতাংশ ভোট পেয়ে হারিয়ে দিয়েছেন ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডকে।জানা গিয়েছে, লিবারেল পার্টির নেতা হওয়ার দৌড়ে মার্ক কার্নির ঝুলিতে এসেছে ১ লাখ ৩১ হাজার ৬৭৪ ভোট। এই পরিমাণ ভোট মোট ভোটের প্রায় ৮৫.৯ শতাংশ বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড পেয়েছেন মাত্র ১১ হাজার ১৩৪ ভোট। এছাড়া কারিনা গোল্ড পেয়েছেন ৪ হাজার ৭৮৫ ভোট এবং ফ্রাঙ্ক বেলিস পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৮ ভোট। ব্যবধানেই বোঝা যাচ্ছে পার্টির অন্দরে বিপুল জনপ্রিয়তা রয়েছে তাঁর।

    কার্নির সংক্ষিপ্ত পরিচয় (Mark Carney)

    কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর ছিলেন কার্নি (Mark Carney)। জানা যায়, এর আগে কখনও কোনও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি তিনি। ১৯৬৫ সালে তিনি ফোর্ট স্মিথে জন্মগ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে পড়াশোনা করেন হার্ভার্ডে। ২০০৩ সালে তিনি ব্যাঙ্ক অফ কানাডায় ডেপুটি গভর্নর হিসেবে কাজে যোগদান করেন। ২০০৮ সালে গভর্নর হিসেবে পদোন্নতি হয়। ২০০৮-২০০৯ সালে কানাডা যখন আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল, সেসময় তিনি কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের নেতৃত্ব দেন। ২০১৩ সালে, কার্নি ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ডের গর্ভনর হন। প্রায় ৩০০ বছর এমন ঘটনা ঘটে, যখন কোনও ব্রিটিশ নাগরিক নন, এমন ব্যক্তি গভর্নর হন। ২০২০ সালে ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ড থেকে অবসর নেওয়ার পরে অর্থ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক রাষ্ট্রসংঘের দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জানা যায়, মার্ক কার্নির বাবা ১৯৮০-এর দশকে আলবার্টায় লিবারেল প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। নিজের ভাষণে একথাও উল্লেখ করেন কার্নি।

    ট্রুডোর গ্রহণযোগ্যতা তলানিতে ঠেকেছিল

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত প্রায় ৯ বছর ধরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদে ছিলেন জাস্টিন ট্রুডো। সম্প্রতি একাধিক ইস্যুতে দেশেই তাঁর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। ট্রুডোর জনপ্রিয়তাও একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছিল। খালিস্তান ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে সংঘাতের পথে হেঁটে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলেন। ট্রুডোকে নিয়ে লিবেরাল পার্টির অন্দরের নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এখন দায়িত্ব পেলেন কার্নি (Mark Carney)। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন মার্ক কার্নির সামনে বর্তমানে অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জ রয়েছে।

  • Daily Horoscope 10 March 2025: সন্তানের কাজে আনন্দ পাবেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 10 March 2025: সন্তানের কাজে আনন্দ পাবেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) পরিবারের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবেন আপনি।

    ২) সমাজে খ্যাতি বৃদ্ধি হবে।

    ৩) আজকের দিনে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবেন।

    বৃষ

    ১) আজকের দিনটি প্রতিকূল।

    ২) ভাগ্য আপনার সঙ্গে থাকবে না।

    ৩) বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিন।

    মিথুন

    ১) ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে ব্যাপক লাভবান হবেন।

    ২) সন্তানের কাজে আনন্দ পাবেন।

    ৩) মনোবল বাড়বে অনেকটাই।

    কর্কট

    ১) বিবাহে আগত বাধা কাটবে।

    ২) মানসিক শান্তি থাকবে আজ সারাদিন।

    ৩) ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায় মনোনিবেশ করতে হবে।

    সিংহ

    ১) আপনার বিরুদ্ধে ব্যাপক ষড়যন্ত্র হতে পারে।

    ২) পারিবারিক বিবাদ মিটবে।

    ৩) রোজগারের ভালো সুযোগ পাবেন।

    কন্যা

    ১) দাম্পত্য জীবন সুখে কাটবে আজ।

    ২) মনের মধ্যে আনন্দ অনুভূতি তৈরি হবে।

    ৩) ছাত্রছাত্রীদের অধিক পরিশ্রম করতে হবে আজ।

    তুলা

    ১) মানসিক অবসাদ বাড়বে।

    ২) গোপন শত্রু আপনাকে সমস্যায় ফেলার চেষ্টা করবে।

    ৩) সন্ধ্যাবেলা স্বস্তি পাবেন।

    বৃশ্চিক

    ১) কর্মক্ষেত্রে বাবার পরামর্শের প্রয়োজন হবে।

    ২) ভাই-বোনের সঙ্গে সম্পর্ক মধুর হবে।

    ৩) গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেবেন।

    ধনু

    ১) ধন বৃদ্ধি হবে।

    ২) পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শুভ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।

    ৩) জীবনসঙ্গীর জন্য কোনও উপহার কিনতে পারেন।

    মকর

    ১) জমি-সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলার সমাধান হবে আজ।

    ২) আপনার আটকে থাকা কাজ সম্পন্ন হবে।

    ৩) বাড়িতে কোনও অতিথি আগমন হতে পারে।

    কুম্ভ

    ১) ভাইদের মধ্যে বিবাদ হবে।

    ২) নিজের বাণী নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

    ৩) ধনলাভের বিশেষ যোগ রয়েছে।

    মীন

    ১) বিরোধীরা বিপাকে ফেলতে চাইবে।

    ২) নতুন কাজ শুরুর জন্য আজকের দিনটি ভালো।

    ৩) ভাগ্যের সঙ্গ পাবেন আজ।
    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Rajasthan: মুঘলদের পরাস্ত করার আনন্দ! রঙের নয়, রাজস্থানের এই গ্রামে হয় ‘বারুদের হোলি’

    Rajasthan: মুঘলদের পরাস্ত করার আনন্দ! রঙের নয়, রাজস্থানের এই গ্রামে হয় ‘বারুদের হোলি’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রঙের বদলে বারুদ দিয়ে হোলি খেলার রীতি রয়েছে রাজস্থানের (Rajasthan) এই গ্রামে। ৫০০ বছর ধরে এমন ঐতিহ্য চলে আসছে রাজস্থানের উদয়পুর জেলার মেনার গ্রামে। রঙ দিয়ে নয় বরং আতশবাজি, কামানের গোলা এবং আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে উদযাপন করা হয় হোলি। এই হোলি বারুদ হোলি (Gunpowder Holi) নামে পরিচিত। স্থানীয়দের বিশ্বাস, মুঘলদের পরাজিত করার পর গ্রামের মানুষজন এভাবেই তাঁদের জয়ের আনন্দে মেতেছিলেন।

    কী বলছেন গবেষক?

    এনিয়ে গবেষক চন্দ্রশেখর শর্মা বলেন, ‘‘মহারাণা প্রতাপ মুঘল বাহিনীর বিরুদ্ধে হলদিঘাটির যুদ্ধ শুরু করেন। সেইসময় তিনি মেওয়ারের প্রতিটি মানুষকে আত্মসম্মান ও সাহসিকতা শিক্ষা দিয়েছিলেন। এর পরে, মহারাণা প্রতাপের পুত্র অমর সিংহের নেতৃত্বে চলে মুঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই। সেসময় মেনারের কাছে একটি মুঘল শিবির (Rajasthan) ছিল। গ্রামবাসীরা সেখানে আক্রমণ করে এবং মুঘল সেনাবাহিনীকে পরাজিত করে। তারপর থেকেই এভাবেই পালিত হয়ে আসছে হোলি। রঙ নয় বারুদের হোলি।’’

    বীরত্বের গানের মধ্য দিয়েই পালিত হয় এই উৎসব (Rajasthan)

    হোলির (Rajasthan) এক সপ্তাহ আগে থেকেই এই গ্রামে শুরু হয়ে যায় উৎসব। হোলির আর কয়েকদিন বাকি। এখন থেকেই সারারাত গ্রামে কামান, আতশবাজি এবং আগ্নেয়াস্ত্রের শব্দ শোনা যাচ্ছে।এনিয়ে গবেষক চন্দ্রশেখর শর্মা বলেন, ‘‘মেনার গ্রামের মানুষ এই উৎসবের জন্য সারাবছর অপেক্ষা করে থাকে। আশেপাশের প্রচুর মানুষজন এখানে হোলির উদযাপন দেখতে আসেন।’’ সংবাদমাধ্যমকে তিনি আরও জানান, বীরত্বের গানের মধ্য দিয়েই পালিত হয় এই উৎসব।

    উদয়পুর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হল এই গ্রাম

    উদয়পুর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হল এই মেনার গ্রাম। হোলির সাতদিন আগে থেকেই রাত ৯টার পর, সমস্ত গ্রামবাসী প্রাচীন ভারতীয় সৈন্যদের পোশাক এবং ঐতিহ্যবাহী রাজস্থানী পোশাক পরেন। এরপরেই শুরু হয় শোভা যাত্রা (Rajasthan)। প্রথা অনুযায়ী থাকে সঙ্গে থাকে বন্দুক এবং তরোয়ারি।

  • Ramakrishna 292: “কাঁহা মেরা বৃন্দাবন, কাঁহা যশোদা মাই, কাঁহা মেরি ধবলী শ্যামলী, কাঁহা মেরি মোহন মুরলী”

    Ramakrishna 292: “কাঁহা মেরা বৃন্দাবন, কাঁহা যশোদা মাই, কাঁহা মেরি ধবলী শ্যামলী, কাঁহা মেরি মোহন মুরলী”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ভক্তসঙ্গে ও কলিকাতায় চৈতন্যলীলা-দর্শন

    ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ২১শে সেপ্টেম্বর

    চৈতন্যলীলাদর্শন—গৌরপ্রেমে মাতোয়ারা শ্রীরামকৃষ্ণ

    জগন্নাথ মিশ্রের (Ramakrishna) ঘরে অতিথি আসিয়াছেন। বালক নিমাই সদানন্দে সমবয়স্যদের সহিত গান গাহিয়া বেড়াইতেছেন:

    কাঁহা মেরা বৃন্দাবন, কাঁহা যশোদা মাই।
    কাঁহা মেরা নন্দ পিতা, কাঁহা বলাই ভাই ॥
    কাঁহা মেরি ধবলী শ্যামলী, কাঁহা মেরি মোহন মুরলী।
    শ্রীদাম সুদাম রাখালগণ কাঁহা মে পাই ॥
    কাঁহা মেরি যমুনাতট, কাঁহা মেরি বংশীবট।
    কাঁহা গোপনারী মেরি, কাঁহা হামারা রাই ॥

    অতিথি চক্ষু বুজিয়া ভগবানকে অন্ন নিবেদন করিতেছেন। নিমাই দৌড়িয়া গিয়া সেই অন্ন ভক্ষণ করিতেছেন। অতিথি ভগবান বলিয়া তাঁহাকে জানিতে পারিলেন ও দশাবতারের স্তব করিয়া প্রসন্ন করিতেছেন। মিশ্র ও শচীর কাছে বিদায় লইবার সময় তিনি আবার গান (Kathamrita) করিয়া স্তব করিতেছেন—

    জয় নিত্যানন্দ গৌরচন্দ্র জয় ভবতারণ।
    অনাথত্রাণ জীবপ্রাণ ভীতভয়বারণ ॥
    যুগে যুগে রঙ্গ, নব লীলা নব রঙ্গ,
    নব তরঙ্গ নব প্রসঙ্গ ধরাভার ধারণ।
    তাপহারী প্রেমবারি, বিতর রাসরসবিহারী,
    দীনআশ-কলুষনাশ দুষ্ট-ত্রাসকারণ।

    স্তব শুনিতে শুনিতে ঠাকুর (Ramakrishna) আবার ভাবে বিভোর হইতেছেন।

    নবদ্বীপের গঙ্গাতীর—গঙ্গাস্নানের পর ব্রাহ্মণেরা, মেয়ে পুরুষ ঘাটে বসিয়া পূজা করিতেছেন। নিমাই নৈবেদ্য কাড়িয়া খাইতেছেন। একজন ব্রাহ্মণ ভারী রেগে গেলেন, আর বললেন, আরে বেল্লিক! বিষ্ণুপূজার নৈবিদ্যি কেড়ে নিচ্ছিস—সর্বনাশ হবে তোর! নিমাই তবুও কেড়ে নিলেন, আর পলায়ন করিতে উদ্যত হইলেন। অনেক মেয়েরা ছেলেটিকে বড় ভালবাসে। নিমাই চলে যাচ্ছে দেখে তাদের প্রাণে সইল না। তারা উচ্চৈঃস্বরে ডাকিতে (Kathamrita) লাগিল, নিমাই, ফিরে আয়; নিমাই ফিরে আয়। নিমাই শুনিলেন না।

    একজন নিমাইকে ফিরাইবার মহামন্ত্র জানিতেন। তিনি “হরিবোল হরিবোল” বলিতে লাগিলেন। অমনি নিমাই ‘হরিবোল’ ‘হরিবোল’ বলিতে বলিতে ফিরিলেন।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

  • India: দুবাইয়ে কিউয়ি বধ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ভারতের

    India: দুবাইয়ে কিউয়ি বধ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুবাইয়ের নিউজিল্যান্ডকে হারাল ভারত। ৪ উইকেটে জয় পেল টিম ইন্ডিয়া। ২০১৩ সালের পর ফের একবার ভারতের ঘরে এল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ২৫২ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে মারকাটারি ইনিংস খেললেন রোহিত। ১ ওভার বাকি থাকতেই এই রান তুলে নেয় ভারত।

    ২৫ বছর পরে বদলা (India)

    অপরাজিত থেকেই চ্যাম্পিয়ন হলেন রোহিত শর্মারা (India) । প্রসঙ্গত, ২৫ বছর আগে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হারতে হয়েছিল ভারতকে। সেসময় অধিনায়ক ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই হারের বদলা নিল রোহিত ব্রিগেড (Champions Trophy 2025)। প্রসঙ্গত, গত বছর জুন মাসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও জিতেছিল ভারত। মাত্র ৯ মাসের মধ্যে অধিনায়ক হিসেবে আরও একটি আইসিসি ট্রফি জিতল ভারত। কোচ হিসেবেও সফল হলেন গৌতম গম্ভীর। নিজের প্রথম আইসিসি ট্রফিতেই দলকে চ্যাম্পিয়ন করলেন তিনি।

    ভেল্কি দেখালেন স্পিনাররা (India)

    তবে ভারতের ফিল্ডিং একেবারেই ভালো হয়নি। বোলার হিসেবে তবে ভেল্কি দেখালেন ভারতীয় স্পিনাররা। স্পিনের ফাঁদে জব্দ হল নিউজিল্যান্ড। বরুণ, কুলদীপ যাদব, অক্ষর পটেল ও রবীন্দ্র জাডেজা এই চার স্পিনার ৩৮ ওভার বলে করে খরচ করলেন মাত্র ১৪৪ রান। একইসঙ্গে তুলে নিলেন ৫ উইকেট। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করে নিউজল্যান্ড তোলে ২৫১/৭। যা ৬ বল বাকি থাকতেই তুলে নিল ভারত।

    নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার শুরুটা ভালোই করেন

    এদিনও টসে হারেন রোহিত শর্মা (India) । টস জিতে ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করে নেওয়ার বিকল্প বেছে নেন কিউয়ি অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার। নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার – উইল ইয়ং ও রাচিন রবীন্দ্র শুরুটা ভালোই করেন। বিশেষ করে রাচিন ঝোড়ো ব্যাটিং করেন। তাঁর ২৮ রানের মাথায় তাঁর ক্যাচ ফেলেন শামি। এরপর ২৯ রানের মাথায় ফের তাঁর ক্যাচ ফেলেন শ্রেয়স। এত ক্যাচ না পড়লে হয়ত আরও কম রানে আটকে রাখা যেত কিউয়িদের, এমনটাই জানাচ্ছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।

  • Yogi Adityanath: আশি-বিশের লড়াই, উত্তরপ্রদেশে বিপুলভাবে জিতবে বিজেপি, দাবি যোগীর

    Yogi Adityanath: আশি-বিশের লড়াই, উত্তরপ্রদেশে বিপুলভাবে জিতবে বিজেপি, দাবি যোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২ বছর পরেই ভোট উত্তরপ্রদেশে। এই আবহে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের দাবি, বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি (BJP) ৮০ শতাংশেরও বেশি আসন পাবে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) বলেন, ২০২৭ সালের নির্বাচন হতে চলেছে আশি-বিশের লড়াই। তিনি বলেন, “২০২৭ সালের নির্বাচন আশি-বিশের যুদ্ধ। আশি শতাংশ বিজেপি এবং ২০ শতাংশে অন্যরা পাবে।”

    ২০২২ সালের নির্বাচনে বিপুল জয় পায় বিজেপি (BJP)

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন। সে সময়ও যোগী আদিত্যনাথকে (Yogi Adityanath) এ কথাই বলতে শোনা গিয়েছিল। অর্থাৎ আশি-বিশের লড়াই। ওই নির্বাচনে বিপুল জয় পায় বিজেপি। ৪০৩টি বিধানসভার আসনের মধ্যে ২৯১টি আসনে জিতেছিল গেরুয়া শিবির। অর্থাৎ মোট আসনের ৭২ শতাংশ এসেছিল বিজেপির দখলে। সমাজবাদী পার্টির নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট আটকে যায় মাত্র ১০৯টি আসনে।

    এই মুহূর্তে ভোট হলে জিতবে বিজেপি, বলছে সমীক্ষা

    প্রসঙ্গত এই অনুষ্ঠানেই তাঁকে প্রশ্ন করা হয় যে আগামী দিনে তিনি এই বিজেপির ব্যাটন সামলাবেন কিনা! এর উত্তরে যোগী (Yogi Adityanath) জানান, তিনি একজন যোগী এবং দেশ ও জনগণের কল্যাণের জন্য তিনি সংকল্পবদ্ধ। যোগী আদিত্যনাথের নিজের ভাষায়, “দেখুন, আমি কারও উত্তরাধিকারী নই। আমি একজন যোগী। ভারত মাতার একজন সেবক হিসেবে এইভাবেই কাজ করতে চাই। আমাকে উত্তর প্রদেশের জনগণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমি সেই দায়িত্ব পালন করছি।” প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশে আশানুরূপ ফল হয়নি বিজেপির। গেরুয়া শিবির আটকে যায় ৩৩ আসনে। অন্যদিকে, সমাজবাদী পার্টি জেতে ৩৭ আসনে। তবে তারপর থেকে হওয়া উপনির্বাচনগুলিতে বিপুল জয় পায় বিজেপি। এই আবহে ইন্ডিয়া টুডে সম্প্রতি একটি সমীক্ষা চালিয়েছে। সেখানে উঠে এসেছে এই মুহূর্তে ভোট হলে বিজেপি বিপুলভাবে জিতবে উত্তরপ্রদেশে। অর্থাৎ ২০২৭ সালে টানা তিনবারের জন্য উত্তরপ্রদেশে জিততে চলেছে বিজেপি। এমনটাই বলছে বর্তমান সমীক্ষা।

  • PM Modi: উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়কে দেখতে এইমসে গেলেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়কে দেখতে এইমসে গেলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়কে (Jagdeep Dhankhar) দেখতে এইমসে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। শনিবার মধ্য রাতে আচমকাই বুকে ব্যথা অনুভব করেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা অধুনা উপরাষ্ট্রপতি ধনখড়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ভর্তি করা হয় দিল্লির এইমসে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে।

    হাসপাতালে উপরাষ্ট্রপতি (PM Modi)

    রবিবার দুপুরে তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যান প্রধানমন্ত্রী। হাসপাতালে তিনি উপরাষ্ট্রপতির শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন। কথা বলেন চিকিৎসকদের সঙ্গেও। পরে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের স্বাস্থ্য সম্পর্কে খবর নিতে দিল্লি এইমস হাসপাতালে গিয়েছিলাম। ওঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।” উপরাষ্ট্রপতি চিকিৎসাধীন রয়েছেন এইমসের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান রাজীব নারাঙের তত্ত্বাবধানে। ইতিমধ্যেই তাঁর শরীরে নানাবিধ পরীক্ষা হয়েছে। তাঁকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মেডিক্যাল টেস্টের রিপোর্ট এলে পরবর্তী চিকিৎসা পদ্ধতি ঠিক করা হবে (PM Modi)। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলেই হাসপাতাল সূত্রে খবর।

    আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু ধনখড়ের

    এর আগেও একবার ধনখড়কে দিল্লির এইমসে ভর্তি করা হয়েছিল। ম্যালেরিয়া হওয়ায় ২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। সেই সময় তিনি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল। ১৯৭৮-৭৯ সালে রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন নিয়ে স্নাতক হন ধনখড়। কর্মজীবন শুরু করেন আইনজীবী হিসেবে। দীর্ঘ দিন ধরে রাজস্থানের হাইকোর্টে এবং সুপ্রিম কোর্টে ওকালতি করেছেন ধনখড়।

    ধনখড় ভারতের ১৪তম উপরাষ্ট্রপতি। তাঁর আগে তিনি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল। ১৯৮৯ সালে রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হয় ধনখড়ের। ঝুনঝুনু লোকসভা আসন থেকে নির্বাচনে জয়লাভ করে রাজনীতিতে চলে আসেন তিনি। পরের বছরই সংসদীয় প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ১৯৯৩ সালে রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনে আজমের জেলার কিষানগড় অসনে জয়ী হন তিনি। পিভি নরসিংহের আমলে যোগ দেন কংগ্রেসে। পরে যোগ দেন বিজেপিতে। তার পরেই হন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল। এই সময় বাংলার শাসক দল তৃণমূলের সঙ্গে প্রায়ই নানা কারণে সংঘাত বাঁধে তাঁর। ধনখড়ের (Jagdeep Dhankhar) আমলেই রাজভবন ও নবান্ন সংঘাত চরমে উঠেছিল (PM Modi)।

  • Haryana Village: ঋষির অভিশাপে হরিয়ানার গ্রামে ৩০০ বছর ধরে পালিত হয় না হোলি

    Haryana Village: ঋষির অভিশাপে হরিয়ানার গ্রামে ৩০০ বছর ধরে পালিত হয় না হোলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রঙের উৎসবের আর কয়েকটা দিনই বাকি। বিশ্বজুড়ে পালিত হবে হোলি (Holi)। ঠিক এই সময়ই পুরনো রীতি অনুযায়ী হোলি পালিত হবে না হরিয়ানার একটি গ্রামে (Haryana Village)। হরিয়ানার কৈথাল জেলার দুসেরপুর গ্রাম। গত ৩০০ বছর ধরে হোলি উৎসব পালিত হচ্ছে না এই গ্রামে। কেন জানেন? গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, এর পিছনে রয়েছে এক ঋষির অভিশাপ। যে কারণে গ্রামে আজও পালিত হয়না হোলি। সারাদেশ রঙের খেলায় মেতে উঠলেও কৈথাল একেবারেই রঙহীন থাকে। বাচ্চা থেকে বৃদ্ধ কেউই মেতে ওঠেন না হোলিতে। হোলিকা দহনের দিনে এক ঋষির অভিশাপই গ্রামবাসীদের বিরত রেখেছে উৎসবের আনন্দ থেকে।

    কী বলছে জনশ্রুতি (Haryana Village)

    জনশ্রুতি আছে যে প্রায় ৩০০ বছর আগে গ্রামবাসীরা হোলিকা দহনের জন্য কাঠ, ঘুঁটে এবং অন্যান্য জিনিসপত্র সংগ্রহ করছিল। অনুষ্ঠান শুরুর অনেক আগেই গ্রামের কিছু যুবক তাতে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। যুবকদের এহেন আচরণ দেখে প্রতিবাদ জানান গ্রামের রাম সাধু নামে এক ঋষি। তিনি যুবকদের থামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা ঋষির কথা শুনতে চায়না। উপরন্তু ঋষির ছোটখাটো (Haryana Village) আকার নিয়ে মজাও করে। অপমানিত ঋষি এরপরেই আগুনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তখনই গ্রামবাসীদের অভিশাপ দেন যে দুসেরপুরে আর কখনও হোলি উৎসব পালিত হবে না। যে ব্যক্তি হোলি উদযাপন করবে সে অভিশপ্ত হবে।

    কীভাবে মিলবে অভিশাপ থেকে মুক্তি?

    জানা যায়, তারপর থেকেই দুসেরপুরে আর কখনও হোলি (Holi) উৎসব পালিত হয়নি। আরও বলা হয় যে, ওই ঋষি অভিশাপের প্রতিকারেরও ব্যবস্থা করেছিলেন। তিনি সেসময় হোলির দিন যদি গ্রামে কোনও গরু একটি বাছুর জন্ম দেয় অথবা কোনও শিশু জন্মায় তবেই গ্রামবাসীরা অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবে (Haryana Village)। আজ ৩০০ বছর পেরিয়ে গেলেও কিন্তু হোলির দিন দুসেরপুরে কোনও বাছুর বা কোনও শিশু জন্মগ্রহণ করেনি।

  • Hizbul Terrorist: কাশ্মীরে বিস্ফোরক-সহ গ্রেফতার মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি, ছক কষেছিল নাশকতার?

    Hizbul Terrorist: কাশ্মীরে বিস্ফোরক-সহ গ্রেফতার মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি, ছক কষেছিল নাশকতার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৮ বছর ধরে পালিয়ে বেড়ানোর পরেও শেষ রক্ষা হল না। জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) পুঞ্চ থেকে গ্রেফতার হিজবুল জঙ্গি (Hizbul Terrorist)। উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক। দীর্ঘদিন পালিয়ে বেড়ানো এই জঙ্গিকে শেষমেশ গ্রেফতার করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখা এবং জম্মু-কাশ্মীরের কাঠগড় থানার পুলিশ। শনিবার উলফত হুসেন নামের ওই জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায় ছিল হুসেনের নাম। তার মাথার দাম ছিল ২৫ হাজার টাকা।

    পুঞ্চে ঘোরাফেরা জঙ্গির (Hizbul Terrorist)

    জানা গিয়েছে, সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের সাহারনপুরের সন্ত্রাসদমন শাখার কাছে খবর আসে জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চে ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছে হুসেনকে। খবর পেয়েই পুঞ্চে পৌঁছে যান সন্ত্রাসদমন শাখার কর্তারা। তাঁরা যোগাযোগ করেন কাঠগড় থানার সঙ্গে। তার পরেই মোস্ট ওয়ান্টেড এই জঙ্গিকে ধরতে অভিযানে নামে সন্ত্রাসদমন শাখা ও কাঠগড় থানার পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় হুসেনকে। তার কাছ থেকে একটি একে ৪৭, একে ৫৬, দুটি পিস্তল, ১২টি হ্যান্ড গ্রেনেড, ৩৯টি টাইমার, ৫০টি ডিটোনেটর, ৩৭টি ব্যাটারি, ২৯ কেজি বিস্ফোরক, ৫৬০টি তাজা কার্তুজ এবং ৮টি ম্যাগাজিন উদ্ধার হয়েছে। ২০০২ সালে চার সঙ্গী-সহ গ্রেফতার করা হয়েছিল হুসেনকে।

    পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল হুসেন

    ২০০৮ সালে জেল থেকে ছাড়া পায়। তার পর থেকেই পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল হুসেন। আদালতে হাজিরার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল হুসেনকে। তবে বারবারই হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছে সে (Hizbul Terrorist)। এর পরেই হুসেনের বিরুদ্ধে জারি করা হয় গ্রেফতারি পরোয়ানা। ঘোষণা করা হয় পুরস্কারও। হুসেনের খোঁজে চলতে থাকে তল্লাশি। অবশেষে পুঞ্চ থেকে গ্রেফতার করা হয় হুসেনকে। জানা গিয়েছে, পলাতক এই জঙ্গির কাছ থেকে যে পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে, তাতে মনে করা হচ্ছে দেশে বড়সড় হামলার পরিকল্পনা করেছিল মোস্ট ওয়ান্টেড এই জঙ্গি। এক বছর ধরে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে প্রশিক্ষণও নিয়েছিল হুসেন।

    ১৯৯১ সালে জম্মু-কাশ্মীর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েই হুসেন ধর্মীয় শিক্ষার পাঠ নিতে কাশ্মীর থেকে উত্তরপ্রদেশের বারেলিতে আসে হুসেন। পরে রামপুরে এবং তারও (Jammu And Kashmir) পরে মোরাদাবাদে যায় সে। সেখানেই সে মৌলবী ‘সেজে’ ছিল (Hizbul Terrorist)।

LinkedIn
Share