Tag: Bengali news

Bengali news

  • PM Modi: ‘মন কি বাতে’ অপারেশন সিঁদুর, মোদির গলায় ‘মেড ইন্ডিয়া’র প্রশস্তি

    PM Modi: ‘মন কি বাতে’ অপারেশন সিঁদুর, মোদির গলায় ‘মেড ইন্ডিয়া’র প্রশস্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন সিঁদুরে’র পর এই প্রথম হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ‘মন কি বাতে’র (Mann Ki Baat) অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানেও প্রধানমন্ত্রীর গলায় শোনা গেল দেশীয় প্রযুক্তির প্রশস্তি। প্রত্যয়ী প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারতের তৈরি অস্ত্র, কৌশল এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করেই এসেছে সাফল্য।” রবিবার ছিল ‘মন কি বাতে’র ১২২তম পর্বের সম্প্রচার। এদিন দেশবাসীর উদ্দেশে দেওয়া ‘মনের কথা’য় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ সমগ্র দেশ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ, ক্রুদ্ধ এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”

    অপারেশন সিঁদুর (PM Modi)

    তিনি বলেন, “অপারেশন সিঁদুর কেবল একটি সামরিক অভিযান নয়, এটি ভারতের সংকল্প, সাহস এবং নবজাগরণের প্রতীক। এই অভিযানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অসামান্য বীরত্ব গোটা দেশবাসীকে গর্বিত করেছে এবং দেশজুড়ে তেরঙ্গা যাত্রা ও জনসমাবেশের মাধ্যমে এক অনন্য দেশাত্মবোধের আবহ তৈরি হয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশীয় অস্ত্রে সাফল্য এসেছে, যা আমাদের সকলকে গর্বিত করেছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করেছে সমগ্র দেশকে। অপারেশন সিঁদুর পাল্টে যাওয়া ভারতের ছবি (Mann Ki Baat)।” তিনি বলেন, “এই অপারেশন বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের এক নয়া আত্মবিশ্বাসের সঞ্চার করেছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের বাহিনী নির্ভুলভাবে সীমান্তের ও পারে থাকা জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করেছে। এই অভিযান শুধু একটি সামরিক অভিযান নয়, বরং আমাদের সংকল্প, সাহস এবং পরিবর্তনশীল ভারতের একটি ছবি। এই ছবিই সমগ্র ভারতবাসীর দেশপ্রেমের অনুভূতিকে তেরঙ্গার রঙে রাঙিয়েছে।”

    ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’

    অপারেশন সিঁদুর যে আদতে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’র শক্তির পরিচায়ক, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “অপারেশন সিঁদুরে ব্যবহৃত বেশিরভাগ অস্ত্রশস্ত্র এই দেশের মাটিতেই তৈরি। আমাদের সেনার, ইঞ্জিনিয়রদের, টেকনিশিয়ানদের, এই দেশের রক্ত-ঘামের পরিচায়ক এই (PM Modi) সাফল্য।” প্রসঙ্গত, দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা বেছে বেছে হত্যা করে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। তার পরেই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। ওই দুই এলাকায় অন্তত ৯টি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে ভারতীয় সেনা। ঘটনার জেরে সীমান্তে বাড়ে উত্তেজনা। শুরু হয় গোলাবর্ষণ। পরে (Mann Ki Baat) পাকিস্তানের অনুরোধে যুদ্ধবিরতিতে সায় দেয় ভারত (PM Modi)।

  • Rising Northeast: ‘রাইজিং নর্থ ইস্ট ইনভেস্টরস সামিটে স্বাক্ষরিত ৪.৩ লাখ কোটি টাকার মউ

    Rising Northeast: ‘রাইজিং নর্থ ইস্ট ইনভেস্টরস সামিটে স্বাক্ষরিত ৪.৩ লাখ কোটি টাকার মউ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘রাইজিং নর্থ ইস্ট (Rising Northeast) ইনভেস্টরস সামিট ২০২৫’-এর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার নয়াদিল্লির ভারত মণ্ডপে এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন তিনি। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সামগ্রিক উন্নয়নের দিকে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ২৩-২৪ মে অনুষ্ঠিত দু’দিনের এই শীর্ষ সম্মেলনে পর্যটন, বস্ত্র, কৃষি-খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং জ্বালানির মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিতে বিনিয়োগের সুযোগগুলি অন্বেষণ করার জন্য শিল্পপতি, সরকারি কর্তা এবং পার্টনারদের একত্রিত করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী উত্তর-পূর্বের কৌশলগত ও সাংস্কৃতিক গুরুত্বের ওপর জোর দেন। এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক পরিবর্তন এবং ভারতের পূর্ব করিডরের জন্য একটি প্রবৃদ্ধির ইঞ্জিন হিসেবে এই সামিটের সম্ভাবনার কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

    সরকারি বিবৃতি (Rising Northeast)

    শনিবার শেষ হয় এই সম্মেলন। সরকারি বিবৃতি থেকে জানা গিয়েছে, এই সম্মেলনে ৪.৩ লাখ কোটি টাকার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি মিলেছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন (Rising Northeast) মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত এই দু’দিনের সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন বিশ্বের নানা প্রান্তের বিনিয়োগকারীরা। এটি ফের একবার প্রমাণ করল যে উত্তর-পূর্ব কেবল একটি অঞ্চল নয়, বরং বিকশিত ভারতের (Viksit Bharat) জন্য একটি কৌশলগত বৃদ্ধির করিডর। উত্তর-পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া সমাপ্তি অনুষ্ঠানে বলেন, “আজ, ‘এনইআর’ শব্দটির অর্থ নতুন অর্থনৈতিক বিপ্লব এবং ভারতের নতুন অর্থনৈতিক পুনর্জাগরণ।” তিনি বলেন, “আমাদের সামিট কোনও সমাপ্তি নয় — এটি একটি সূচনা। এটি পূর্ণ বিরাম নয়, প্রস্তাবনা।”

    স্বাক্ষরিত একাধিক মউ

    জানা গিয়েছে, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রধান বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে একাধিক মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। সম্মেলনে সিকিম সরকার এসএম হোটেলস অ্যান্ড রিসর্টসের সঙ্গে একটি মউ স্বাক্ষর করেছে, যার বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ২৫০-৩০০ কোটি টাকা। অরুণাচল প্রদেশ সরকার ফার্ম নেটিভ গ্রুপের সঙ্গে একটি ১৫০ কোটি টাকার মউ স্বাক্ষর করেছে। মেঘালয় সরকার এগ্রি-বায়ো ফুয়েলস গ্লোবাল লিমিটেডের সঙ্গে ৪ হাজার কোটি টাকার একটি মউ স্বাক্ষর করেছে। মেঘালয় সরকার এবং ইনল্যাম্বি প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে ১,০০০ কোটি টাকার একটি মউ স্বাক্ষর করেছে। মণিপুর সরকারও ওই সংস্থার সঙ্গে ১,০০০ কোটি টাকার একটি মউ স্বাক্ষর করেছে। ত্রিপুরা সরকার শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর বিদ্যা মন্দির ট্রাস্টের শ্রী শ্রী ইউনিভার্সিটি এবং একটি আয়ুর্বেদ কলেজ ও হাসপাতালের জন্য ৫০০ কোটি টাকার একটি মউ স্বাক্ষর করেছে।

    মোট ৮০৩টি বিনিয়োগের আগ্রহ

    মার্কি মউ স্বাক্ষরের বাইরে শীর্ষ সম্মেলনে মোট ৮০৩টি বিনিয়োগের আগ্রহ রেজিস্টার্ড হয়েছে। এগুলি সংগৃহীত হয়েছে রোডশো, বিটুজি বৈঠক এবং সরকারি/সরকারি-বেসরকারি প্রস্তাবনার মাধ্যমে। বিভিন্ন রাজ্যে আয়োজিত রোডশোগুলির মাধ্যমে ₹৯৯,৫৩৩ কোটি টাকার বিনিয়োগে আগ্রহও প্রকাশিত হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির পক্ষ থেকে এসেছে ₹১.২৭ লক্ষ কোটি টাকা। শিল্প গোষ্ঠীগুলি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ₹১.৫৮ লাখ কোটি টাকা এবং শীর্ষ সম্মেলন চলাকালীন অনুষ্ঠিত বিটুজি বৈঠকগুলির মাধ্যমে ₹১৮,৬০০ কোটিরও বেশি মূল্যের লগ্নির প্রতিশ্রুতি মিলেছে বলেও প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে (Rising Northeast)। সিন্ধিয়া বলেন, “বাজপেয়ীজির বপন করা বীজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে একটি বটবৃক্ষে পরিণত হয়েছে। গত ১১ বছরে আমাদের মন্ত্রিসভা উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ৭৩০ বার সফর করেছে, যা কেন্দ্রের আবেগগত ও কৌশলগত অঙ্গীকার প্রতিফলিত করে।”

    ৮০টিরও বেশি দেশের প্রতিনিধিদলের অংশগ্রহণ

    বিশ্বের ৮০টিরও বেশি দেশের প্রতিনিধিদলের অংশগ্রহণে এই শীর্ষ সম্মেলন উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও তার বাইরের সঙ্গে একটি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সেতুবন্ধন হিসেবে তুলে ধরেছে। তিনি বলেন, “এটি শুধুমাত্র রুপি বা ডলারে বিনিয়োগ নয় — এটি বিশ্বাস, সম্পর্ক এবং ভারতের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক ভূগোলের ওপরও বিনিয়োগ।” সিন্ধিয়া আরও একটি নতুন প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর কথাও ঘোষণা করেন। তিনি জানান, আটটি ক্ষেত্রভিত্তিক দায়িত্বপ্রাপ্ত স্তম্ভ, যার নেতৃত্ব দেবেন মুখ্যমন্ত্রীরা, এবং অন্য রাজ্যগুলির সহায়তায় স্বাক্ষরিত মউ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হবে। তিনি বলেন, “এখানে কোনও মূল ভূখণ্ড ও উত্তর-পূর্ব নেই — এখানে শুধুই অখণ্ড ভারত রয়েছে, যেখানে প্রতিটি ভারতীয়ের হৃদয়, হাত ও দিগন্ত এক সঙ্গে দাঁড়িয়ে রয়েছে (Rising Northeast)।”

    প্রসঙ্গত, উত্তর-পূর্ব অঞ্চলটি ভারতের “অ্যাক্ট ইস্ট নীতি”-এর কেন্দ্রবিন্দু, যার লক্ষ্য আসিয়ান দেশ এবং অন্যান্য পূর্ব প্রতিবেশীদের সঙ্গে সংযোগ এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। ঐতিহাসিকভাবে অনুন্নত, এই অঞ্চলে গত এক দশক ধরে (মোদি জমানা) পরিকাঠামো, শিক্ষা এবং দক্ষতা উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য সরকারি বিনিয়োগ দেখা গিয়েছে (Rising Northeast)।

  • Ramakrishna 361: শাস্ত্রের সার গুরুমুখে মুখে জেনে নিতে হয়, তারপর সাধন ভজন

    Ramakrishna 361: শাস্ত্রের সার গুরুমুখে মুখে জেনে নিতে হয়, তারপর সাধন ভজন

    ঠাকুরের ঘরের মেঝেতে নরেন্দ্রদাদি অনেক ভক্ত বসিয়াছেন। গিরিশও আসিয়া বসিলেন।
    শ্রীরামকৃষ্ণ (গিরিশের প্রতি)- আমি নরেন্দ্রকে আত্মার স্বরূপ জ্ঞান করি। আর আমি ওর অনুগত।

    গিরিশ- আপনি কারও অনুগত নন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (হাস্য)- ওর মদ্দে ভাব (পুরুষ ভাব) আর আমার মেদি ভাব (প্রকৃতি ভাব)। নরেন্দ্র উঁচু ঘর অখণ্ডের ঘর (Ramakrishna)।

    গিরিশ বাহিরে তামাক খাইতে লাগিলেন।

    নরেন্দ্র (শ্রীরামকৃষ্ণের প্রতি)- গিরিশ ঘোষের সঙ্গে আলাপ হল। খুব বড়লোক। মাস্টারের প্রতি আপনারই কথা হচ্ছিল।

    শ্রী রামকৃষ্ণ- কী কথা?

    নরেন্দ্র- আপনি লেখাপড়া জানেন না, আমরা সব পণ্ডিত। এইসব কথা হচ্ছিল (হাস্য)।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) নরেন্দ্র (পাণ্ডিত্য ও শাস্ত্র)

    মণি মল্লিক (ঠাকুরের প্রতি)- আপনি না পড়ে পণ্ডিত।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (নরেন্দ্রদাদির প্রতি)- সত্য বলছি আমি বেদান্ত আদি শাস্ত্র পড়ি নাই বলে একটু দুঃখ হয় না। আমি জানি বেদান্তে সার। ব্রহ্ম সত্য় জগত মিথ্যা। আবার গীতার সার কী। গীতা ১০ বার বললে যা হয় ত্যাগী ত্যাগী।

    শাস্ত্রের সার গুরুমুখে মুখে জেনে নিতে হয়। তারপর সাধন ভজন। একজন চিঠি লিখেছিল চিঠিখানি পড়া হয়নি। হারিয়ে গেল। তখন সকলে মিলে খুঁজতে লাগল। যখন চিঠিখানা পাওয়া গেল পড়ে দেখলে পাঁচ সের সন্দেশ পাঠাবে আর একখানা কাপড় পাঠাবে। তখন চিঠিটা ফেলে দিলে। আর সন্দেশ আর একখানা কাপড় জোগাড় করতে লাগল। তেমনি শাস্ত্রের সার জেনে নিলে আর বই পড়বার কী দরকার। এখন সাধন ভজন।

    এইবার গিরিশ ঘরে আসিয়াছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (গিরিশের প্রতি) হ্যাঁগা, আমার কথা সব তোমরা কি করছিলে? আমি খাই দাই থাকি। গিরিশ আপনার কথা আর কি বলব। আপনি কি সাধু?

    শ্রীরামকৃষ্ণ- সাধু সাধু নয়, আমার সত্যিই তো সাধু বোধ নাই।

    গিরিশ- ফচকিমিতেও আপনাকে পারলুম না।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)- আমি লাল পেড়ে কাপড় পড়ে জয় গোপাল সেনের বাগানে গিয়েছিলাম। কেশব সেন সেখানে ছিল। কেশব লাল পেড়ে কাপড় দেখে বলল আজ বড় যে রং লাল পাড়ের বাহার। আমি বললুম কেশবের মন ভোলাতে হবে (Kathamrita) তাই বাহার দিয়ে এসেছি।

  • Gujarat Man Arrested: পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে গুজরাটে গ্রেফতার স্বাস্থ্যকর্মী

    Gujarat Man Arrested: পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে গুজরাটে গ্রেফতার স্বাস্থ্যকর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির (Gujarat Man Arrested) অভিযোগে গ্রেফতার আরও এক। পড়শি দেশে পাকিস্তানের চরের জাল যে সর্বত্র বিছানো, তার প্রমাণ মিলল ফের। শনিবার গুজরাটের কচ্ছ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে (Pakistan) স্থানীয় যুবক সহদেব সিং গিলকে। এটিএসের (সন্ত্রাস দমন) হাতে ধৃত সহদেব পেশায় স্বাস্থ্যকর্মী। পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে বলে অভিযোগ।

    মহিলাকে তথ্য পাচার করত ওই স্বাস্থ্যকর্মী! (Gujarat Man Arrested)

    আরও অভিযোগ, এক তরুণী চরকে বিএসএফ এবং ভারতীয় নৌসেনার গোপন তথ্য পাচার করত সে। গুজরাট এটিএসের এসপি কে সিদ্ধার্থ জানান, পাক চরকে বিএসএফ এবং ভারতীয় নৌসেনার বিষয়ে সংবেদনশীল তথ্য পাচারের জন্য ওই স্বাস্থ্যকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১ মে সহদেবকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদের সময় সে জানিয়েছিল ২০২৩ সালের জুন-জুলাই মাস নাগাদ হোয়াটসঅ্যাপে অদিতি ভরদ্বাজ নামে এক মহিলার সঙ্গে পরিচয় হয় তার। পরে সে জানতে পেরেছিল ওই মহিলা আদতে পাকিস্তানি গুপ্তচর। তার পরেও তার সঙ্গে সে যোগাযোগ রেখে চলেছিল বলে অভিযোগ।

    ৪০ হাজার টাকাও পেয়েছিল

    জেরায় সহদেব দাবি করেছে, বিএসএফ এবং নৌসেনার ঘাঁটি, অন্যান্য নির্মাণের ছবি, ভিডিও তুলে তাকে পাঠাতে বলেছিল অদিতি, বিশেষত নতুন তৈরি হওয়া বা নির্মীয়মাণ ঘাঁটির ছবি। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সে অদিতিকে ওই সব ছবি, ভিডিও পাঠাত। তদন্তকারীরা জেনেছেন, ২০২৫ সালের শুরুতে নিজের আধার কার্ডের নথি দিয়ে মোবাইলের একটি সিমকার্ড কিনেছিল সহদেব। পরে হোয়াটসঅ্যাপও চালু করেছিল (Gujarat Man Arrested)। সেই হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেই সে অদিতির সঙ্গে যোগাযোগ রাখত বলে অভিযোগ। পাঠাত ছবি, ভিডিও-ও। অপরিচিত একজনের কাছ থেকে এজন্য সে ৪০ হাজার টাকাও পেয়েছিল। সহদেবকে কে টাকা দিয়েছিল, তার খোঁজে তদন্ত শুরু করেছেন গোয়েন্দারা। ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে সহদেবের মোবাইল।

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে ১১ জনকে (Pakistan)। এদের বেশিরভাগই হরিয়ানা, পাঞ্জাব এবং উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। এবার সেই তালিকায় জুড়ে গেল গুজরাটের নামও (Gujarat Man Arrested)।

  • Niti Aayog Meet: “কেন্দ্র-রাজ্য টিম ইন্ডিয়ার মতো কাজ করলে কোনও লক্ষ্যই অসম্ভব নয়,” বললেন প্রধানমন্ত্রী

    Niti Aayog Meet: “কেন্দ্র-রাজ্য টিম ইন্ডিয়ার মতো কাজ করলে কোনও লক্ষ্যই অসম্ভব নয়,” বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “উন্নয়নের গতি বাড়াতে হবে। কেন্দ্র ও সব রাজ্য এক সঙ্গে টিম ইন্ডিয়ার মতো কাজ করলে কোনও লক্ষ্যই অসম্ভব নয়।” নীতি আয়োগের (Niti Aayog Meet) দশম গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, “প্রত্যেক ভারতীয়রই লক্ষ্য উন্নত ভারত। প্রত্যেক রাজ্য উন্নত হলে ভারত উন্নত হবে। এটাই ১৪০ কোটি ভারতবাসীর আশা।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রাজ্য সরকারদের উচিত, তাদের রাজ্যের অন্তত একটা পর্যটনস্থল যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা-সহ আন্তর্জাতিক মানের করা।” তিনি বলেন, “এক রাজ্য : এক বিশ্বব্যাপী গন্তব্য।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটি প্রতিবেশী শহরগুলিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবেও আরও ত্বরান্বিত করবে।”

    উন্নয়নের গতি বাড়ানোর ওপর জোর (Niti Aayog Meet)

    শনিবারের এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে উন্নয়নের গতি বাড়ানোর ওপর জোর দেন তিনি। এক্স হ্যান্ডেলে নীতি আয়োগের তরফে করা পোস্টে বলা হয়েছে, “বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের উন্নয়নের গতি বাড়াতে হবে। যদি কেন্দ্র এবং সমস্ত রাজ্য একজোট হয় এবং টিম ইন্ডিয়ার মতো এক সঙ্গে কাজ করে, তাহলে কোনও লক্ষ্য পূরণই অসম্ভব নয়।” এবার নীতি আয়োগের পরিচালন পরিষদের বৈঠকের থিম ছিল ‘বিকশিত রাজ্য, বিকশিত ভারত @২০৪৭’। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিকশিত ভারত প্রতিটি ভারতীয়ের লক্ষ্য। যখন প্রতিটি রাজ্য বিকশিত হবে, তখন ভারতও বিকশিত হবে। এটাই ১৪০ কোটি নাগরিকের আকাঙ্খা।”

    অনুপস্থিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

    নীতি আয়োগের এই শীর্ষ বৈঠকে (Niti Aayog Meet) উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির লেফটেন্যান্ট গভর্নর এবং বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এবং কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। সূত্রের খবর, এর আগেরবার তাঁর বক্তব্যের মাঝপথে মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এই অভিযোগ তুলে সেবার নীতি আয়োগের বৈঠক ছেড়ে মাঝপথে বেরিয়ে এসেছিলেন মমতা। সেই কারণেই এবার তিনি যাননি। যদিও তৃণমূলের দাবি, কেন্দ্রের মোদি (PM Modi) সরকার একাধিক প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে। তাই এই বৈঠকে যোগ দেওয়া আর না দেওয়া একই ব্যাপার (Niti Aayog Meet)।

  • Nishikant Dubey: “১৯৯১ সালে করা ভারত-পাক চুক্তি মনে আছে?” রাষ্ট্রদ্রোহিতা কী, রাহুলকে মনে করালেন নিশিকান্ত

    Nishikant Dubey: “১৯৯১ সালে করা ভারত-পাক চুক্তি মনে আছে?” রাষ্ট্রদ্রোহিতা কী, রাহুলকে মনে করালেন নিশিকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানকে অপারেশন সিঁদুর সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করার অভিযোগ তুলে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে প্রশ্ন করেছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী (Indo Pak Military Pact)। তার পরেই শুক্রবার সোনিয়া গান্ধীর দলকে একেবারে ধুয়ে দিলেন সাংসদ বিজেপির নিশিকান্ত দুবে (Nishikant Dubey)। এদিন এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে এই পদ্ম সাংসদ লিখেছেন, “রাহুল গান্ধীজি, এটি আপনার সরকারের সময় করা একটি চুক্তি। ১৯৯১ সালে আপনার দল সমর্থিত সরকার একটি চুক্তি করেছিল যে ভারত ও পাকিস্তান যে কোনও আক্রমণ বা সেনা আন্দোলন সম্পর্কে তথ্য বিনিময় করবে। এই চুক্তি কি রাষ্ট্রদ্রোহিতা?” তিনি লিখেছেন, “কংগ্রেস পাকিস্তানি ভোটব্যাঙ্কের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করজি সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করা কি আপনার পক্ষে শোভা পাচ্ছে?”

    নিশিকান্তর নিশানায় কংগ্রেস (Nishikant Dubey)

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে নিশিকান্ত দুবে বলেন, “আমরা ১৯৪৭ সাল থেকে পাকিস্তানকে সন্ত্রাসী জাতি হিসেবে বিবেচনা করি। ৭৮ বছর ধরে কাশ্মীর ইস্যুতে আমরা তাদের সঙ্গে লড়াই করছি এবং আমাদের কাশ্মীরের অংশ পাকিস্তান দখল করে রেখেছে। তার পরেও আপনারা (কংগ্রেস) পাকিস্তানকে ছাড় দিয়ে আসছেন। সেটা ১৯৫০ সালে নেহরু-লিয়াকত চুক্তি হোক, সিন্ধু জল চুক্তি হোক কিংবা ১৯৭৫ সালের শিমলা চুক্তিই হোক। আমরা সংসদেও কোনও জাতির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কীভাবে কাজ করে, তা নিয়ে কথা বলি না।” পদ্ম সাংসদ বলেন, “কিন্তু ১৯৯১ সালে যখন ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছিল। তখন কেন্দ্রে চন্দ্রশেখরের নেতৃত্বাধীন সরকারকে সমর্থন করছিল কংগ্রেস এবং ১৯৯৪ সালে যখন পিভি নরসিমহা রাওয়ের সরকার ছিল, তখন এই চুক্তি (চুক্তি) বাস্তবায়িত হয়েছিল। সেই চুক্তি অনুযায়ী, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী কোথায় মোতায়েন করা হবে এবং বিমান বাহিনী কীভাবে কাজ করবে তা পাকিস্তানকে ১৫ দিন আগে থেকে জানাতে হবে…এসব কি রাষ্ট্রদ্রোহিতার সমান নয়?” তিনি বলেন, “কংগ্রেস কেবল ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছে…ভারতের উচিত রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা শুরু করা এবং যারা এই চুক্তি করেছে এবং কংগ্রেস পার্টি…তাদের বিরুদ্ধেও এফআইআর করা উচিত।” এখানেই থেমে থাকেননি নিশিকান্ত। তিনি তুলে ধরেন, কীভাবে ১৯৬৮ সালে ইন্দিরা গান্ধীর সরকার কচ্ছ এলাকায় ৮২৮ বর্গিকিমি পাকিস্তানকে দিয়ে দিয়েছিল।  বিজেপি সাসংদ বলেন, ‘‘গোটা সংসদ বিরুদ্ধে ছিল। কিন্তু, আন্তর্জাতিক সালিশিসভার কাছে মাথা নত করে ভারতের ‘আয়রন লেডি’ পাকিস্তানকে গুজরাটের কচ্ছ প্রণালীর থেকে ৮২৮ বর্গ কিমি ভূমি পাকিস্তানের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। এটা পরিষ্কার যে, কংগ্রেস সর্বদা পাকিস্তানের পক্ষে।’’

    ভারত-পাক চুক্তি

    প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালের ৬ এপ্রিল নয়াদিল্লিতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে স্বাক্ষরিত (Nishikant Dubey) হয়েছিল সামরিক মহড়া, কৌশল এবং সৈন্য চলাচলের অগ্রিম নোটিশ সম্পর্কিত চুক্তিটি। এই চুক্তির (Indo Pak Military Pact) লক্ষ্য ছিল স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করা এবং দুই দেশের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি বা অনিচ্ছাকৃত উত্তেজনার ঝুঁকি হ্রাস করা। চুক্তিটির মূল বিধান ছিল, উভয় দেশ সীমান্তের কাছে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক মহড়া, কৌশল এবং সৈন্য চলাচল সম্পর্কে একে অপরকে পূর্বাভাস দেবে। পরিকল্পিত কার্যকলাপ শুরু হওয়ার আগে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি আদান-প্রদান করতে হবে। চুক্তি অনুযায়ী, আগ্রাসনের কোনও ধারণা রোধ করার জন্য আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বের মধ্যে এই ধরনের সামরিক কার্যকলাপ পরিচালনা করা উচিত নয়। দুই দেশই সম্মত হয়েছিল যে প্রধান সামরিক মহড়ার কৌশলগত দিকটি অন্য দিকে পরিচালিত হবে না এবং সীমান্তের কাছাকাছি কোনও লজিস্টিক নির্মাণ করা হবে না।

    বিদেশমন্ত্রকের বক্তব্য

    অপারেশন সিঁদুরের অধীনে জয়শঙ্কর পাকিস্তানকে তাদের জঙ্গি পরিকাঠামোর ওপর হামলার বিষয়ে ‘অবহিত’ করেছিলেন বলে রাহুল গান্ধী যে অভিযোগ তুলেছেন, তা প্রত্যাখ্যান করেছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। মন্ত্রকের তরফে রাহুলের অভিযোগকে তথ্যের সম্পূর্ণ ভুল উপস্থাপনা বলে বর্ণনা করা হয়েছে। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, “আমরা শুরুতেই পাকিস্তানকে সতর্ক করেছিলাম – এটা স্পষ্টতই অপারেশন সিঁদুর শুরু হওয়ার পর প্রাথমিক পর্যায়ে ছিল। একে অভিযান শুরুর আগে বলে মিথ্যেভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। তথ্যের এই সম্পূর্ণ ভুল উপস্থাপনাকে চ্যালেঞ্জ জানানো হচ্ছে।” পাকিস্তানের গভীরে ঢুকে (Nishikant Dubey) জঙ্গি ঘাঁটিতে সফল হামলার পর ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানি প্রতিপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের কথা উল্লেখ করেছে বিদেশমন্ত্রক।

    পিআইবির ফ্যাক্ট চেক ইউনিটের দাবি

    প্রেস ইনফর্মেশন ব্যুরোর (পিআইবি) ফ্যাক্ট চেক (Indo Pak Military Pact) ইউনিটও দাবি করেছে যে, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মন্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। তারা বলেছে যে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত ভিডিওটি দর্শকদের বিভ্রান্ত করার জন্য বেছে বেছে সম্পাদনা করা হয়েছে। এক্স হ্যান্ডেলে করা পোস্টে জানানো হয়েছে, “সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টগুলিতে ইএএম অ্যাট দ্য রেট ডঃ জয়শঙ্করের উদ্ধৃতি দিয়ে বোঝা যাচ্ছে যে ভারত অপারেশন সিঁদুর সম্পর্কে পাকিস্তানকে আগাম তথ্য দিয়েছিল। এটি মিথ্যে।”

    পিআইবির কর্তাদের বক্তব্য, বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্য অভিযানের সময় একটি পরিকল্পিত বার্তার অংশ ছিল। এর উদ্দেশ্য ছিল এটি তুলে ধরা যে ভারতীয় সেনাবাহিনী কেবল জঙ্গি শিবিরগুলিকে টার্গেট করবে এবং পাকিস্তানি সামরিক কাঠামোগুলিতে হামলা এড়িয়ে চলবে (Indo Pak Military Pact), যতক্ষণ না পাকিস্তান পরিস্থিতি আরও খারাপ করে (Nishikant Dubey)।

  • India Bangladesh Relation: বাংলাদেশের ক্ষমতায় থাকুন ইউনূস, চাইছে চিন-পাকিস্তান! নেপথ্যে কি শুধু ভারত-বিরোধিতা?

    India Bangladesh Relation: বাংলাদেশের ক্ষমতায় থাকুন ইউনূস, চাইছে চিন-পাকিস্তান! নেপথ্যে কি শুধু ভারত-বিরোধিতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষমতার চিটে গুড়ে পা আটকে গিয়েছে বাংলাদেশের (India Bangladesh Relation) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের (Md Yunus)। আন্দোলনের জেরে গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ নেত্রী শেখ হাসিনা। তারপর ক্ষমতার রাশ যায় ইউনূসের হাতে। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, ইউনূসের মূল দায়িত্ব হল বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করা, যাতে একটি গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসতে পারে। কিন্তু নির্বাচন করাতে ইউনূসের কোনও হেলদোল দেখা যাচ্ছে না। তাই স্বয়ং সেনাপ্রধান ইউনূসকে আল্টিমেটাম দিয়ে দিয়েছেন।

    তুরুপের তাস ইউনূসই! (India Bangladesh Relation)

    তবে ইউনূসের বক্তব্য থেকে একটা জিনিস পরিষ্কার, সেটা হল ২০২৬ সালের কোনও এক সময় সাধারণ নির্বাচন হতে পারে বাংলাদেশে। এই যে লম্বা সময়, সেটাকে তিনি পাকিস্তান ও চিনের মতো দুটি গুরুত্বপূর্ণ দেশের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করার কাজে লাগাতে চাইছেন। ভারতকে চাপে রাখতে চিন এবং পাকিস্তানও বাংলাদেশের সঙ্গে স্থায়ী সম্পর্ক গড়ে তুলতে আগ্রহী। হাসিনা জমানায় বিশেষ পাত্তা পায়নি চিন ও পাকিস্তান। তারাই এখন ইউনূসের কট্টর সমর্থক। এর প্রধান কারণ এই দুই দেশই গণতান্ত্রিক পরিচয়ের জন্য বিশ্বে পরিচিত নয়। ইউনূসকে সমর্থনের নেপথ্যে রয়েছে তাদের কৌশলগত ও আদর্শগত দুই প্রকার কারণই। এই দুই দেশই চায়, বাংলাদেশের ক্ষমতায় থাকুন ইউনূস। কারণ বিশ্বমঞ্চে নরেন্দ্র মোদির ভারতের উত্থান ঠেকাতে, স্বৈরচারীশাসনকে উৎসাহিত করতে এবং বাংলাদেশে ইসালামপন্থী শক্তিগুলিকে শক্তিশালী করতে ইউনূসই হতে পারেন তাঁদের তুরুপের তাস।

    চিনের উদ্দেশ্য

    চিনের কাছে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়া কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু। ইতিমধ্যেই শি জিনপিংয়ের দেশ বাংলাদেশের পরিকাঠামো উন্নয়নে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ প্রকল্পে মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করেছে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশে কোনও নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় এলে এই সব প্রকল্প নিয়ে ফের আলোচনার পথে যেতে পারে। ইউনূস ক্ষমতায় থাকলে সে প্রশ্নই নেই। তাছাড়া চিনের দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত প্রকল্পে ইউনূস কোনও প্রতিরোধও গড়ে তুলবেন না। তাই চিনা বিনিয়োগ যে আপাতত জলে যাবে না, সে ব্যাপারে নিশ্চিন্তে ড্রাগনের দেশের কমিউনিস্ট সরকার। চিন বরাবরই তার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে গণতান্ত্রিক সক্রিয়তা বিস্তারের বিরোধিতা করে এসেছে। সেদিক থেকেও ইউনূস তাঁদের কাছে ঢের বেশি নিরাপদ বাংলাদেশের অন্যান্য নেতা-নেত্রীর চেয়ে।

    পাকিস্তানের লক্ষ্য

    চিন যেমন লগ্নি বাঁচাতে সমর্থন করছে ইউনূসকে (Md Yunus), পাকিস্তানের ক্ষেত্রে তেমনটা নয়। তাদের মূল উদ্দেশ্য ভারতের বিরুদ্ধে মৌলবাদী শক্তিকে লালন-পালনের কৌশলগত গভীরতা অর্জন। হাসিনা জমানায় বাংলাদেশে মাথাচাড়া দিতে পারেনি ইসলামপন্থীরা। জঙ্গিদের বিরুদ্ধেও কঠোর অবস্থান নিয়েছিল তাঁর সরকার। নিয়ন্ত্রণ করেছিল পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের কার্যকলাপও। ইউনূসের আমলে এসব কিছুই নেই। তাই তারা চাইছে, ভারতের সঙ্গে দূরত্ব রচনা করুক বাংলাদেশ, ঘনিষ্ঠ হোক শাহবাজ শরিফের দেশের সঙ্গে। পাকিস্তান চায় বাংলাদেশের ক্ষমতায় থাকুক ইউনূসের মতো এমন একজন নেতা, যিনি একই সঙ্গে নমনীয় এবং ভারত-বান্ধব নন। গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের হামলার পর পাকিস্তানে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করতে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। নয়াদিল্লির এই গুঁতোয় সিঁদুরে মেঘ দেখছে ইসলামাবাদ। ভারত ঘোষণা করে দিয়েছে পাকিস্তান কিংবা তার পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত যে কোনও জঙ্গি হামলাকে যুদ্ধ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এবং সেক্ষেত্রে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে। মোদি সরকারের এহেন ঘোষণায় অশনি সঙ্কেত দেখছে শাহবাজ শরিফের দেশ (India Bangladesh Relation)। তাই তারাও চাইছে, এই ঘোর বিপদের দিনে ইউনূসের মতো কাউকে একজনকে পাশে পেতে। সেই কারণেই বাংলাদেশে নির্বাচন হোক, চাইছে না পাকিস্তানও।

    কী বলছেন পর্যবেক্ষকরা?

    পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদ নীতির মূল কথাই হল, হাজারো ক্ষতের মাধ্যমে রক্তাক্ত করো ভারতকে। বাংলাদেশে মৌলবাদ মাথাচাড়া দেওয়ায় সেই কাজটিই আরও অনায়াস হয়েছে পাক জঙ্গিদের কাছে। বাংলাদেশের পর্যবেক্ষকদের মতে, ইউনূস সরকারের আমলে সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হল ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলি বিশেষ করে জামাত-ই-ইসলামির (জেইআই) রাজনীতিতে ফিরে আসা। হাসিনার আমলে জামাতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। অন্তর্বর্তী সরকার এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। তারপরেই (Md Yunus) রমরমা জামাতের। এটি একটি বিপজ্জনক আদর্শগত পরিবর্তনের ইঙ্গিত। হাসিনার অনুপস্থিতির সুযোগে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন যেমন হিজবুত তাহরির ফের প্রকাশ্যে কাজকর্ম শুরু করেছে। আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (আল-কায়দা দ্বারা প্রাণিত একটি সংগঠন)-এর সঙ্গে সম্পৃক্ত চরমপন্থী আলেম মুফতি জসিমউদ্দিন রহমানিকেও মুক্তি দেওয়া হয়েছে ইউনূস জমানায়। এসব ঘটনা থেকেই প্রমাণ হয় যে, ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার হয় এই উগ্র শক্তিগুলিকে দমন করতে অনিচ্ছুক, নয়তো সম্পূর্ণভাবে অক্ষম (India Bangladesh Relation)।

    জামাতের প্রভাব

    জামাতের প্রভাব কেবল রাস্তার উগ্রপন্থার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, ইউনূস প্রশাসনের অধীনে এটি রাষ্ট্রের বিভিন্ন স্তরেও ঢুকে পড়েছে। ফার্স্টপোস্টের এক প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে যে, জামাতের ছাত্র সংগঠন ইসলামি ছাত্র শিবির (আইসিএস) হাসিনার অপসারণের নেপথ্যে ছাত্র আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়তেই সংখ্যালঘুদের ওপর হামলায়ও তারা জড়িত ছিল বলে অভিযোগ। জেইআইয়ের ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক প্রভাবকে অনেকেই বাংলাদেশের সংসদীয় গণতন্ত্র ভেঙে একটি ইসলামি ধর্মতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথে একটি ধাপ হিসেবে দেখছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ইউনূসের অধীনে প্রস্তাবিত সংবিধান সংশোধন এই লক্ষ্যেই পরিচালিত হতে পারে। নির্বাচিত জনমতের কোনও ভিত্তি ছাড়াই ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার বাংলাদেশের আইন ও শাসন কাঠামো পুনর্লিখনের জন্য বিভিন্ন কমিটি গঠন করেছে। সমালোচকদের মতে, এটি ধর্মীয় রক্ষণশীলতাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার একটি পরিকল্পিত পদক্ষেপ (India Bangladesh Relation)।

    সিঁদুরে মেঘ

    ইউনূস সরকার ক্রমশ জঙ্গি সংগঠনগুলির হাতের পুতুলে পরিণত হওয়ায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও। বিএনপির প্রবীণ নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির বলেন, “একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও সমন্বিত চক্রান্ত জাতীয় নির্বাচন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে নাগরিকদের মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।” তিনি বলেন, “গণতন্ত্রের জন্য অসংখ্য ছাত্র ও সাধারণ মানুষ যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তা একটি ইতিবাচক পরিবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি করেছিল। কিন্তু বর্তমানে রাজনৈতিক পরিবেশ অশনি সংকেতপূর্ণ ও অনিশ্চিত (Md Yunus)।”

    গণতান্ত্রিক গতি-প্রবাহকে দমন করা!

    মনে রাখতে হবে, বেজিং এবং ইসলামাবাদ উভয়েই গণতান্ত্রিক কার্যকলাপ ও নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে তাদের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হিসেবে দেখে। সংস্কার এবং জাতীয় ঐকমত্যের অজুহাতে ইউনূসের নির্বাচন বিলম্বিত করার কৌশলটি ক্ষমতা সংহত করার লক্ষ্যে অন্যান্য স্বৈরাচারী শাসকদের ব্যবহৃত পদ্ধতির অনুরূপ। চিন ও পাকিস্তানের ইউনূসকে ক্ষমতায় দেখতে চাওয়ার কারণ হয়তো এক নয়। কিন্তু একটি বিষয়ে দুই দেশই একমত, সেটি হল এই অঞ্চলে গণতান্ত্রিক গতি-প্রবাহকে দমন করা যেখানে ভারতের গণতান্ত্রিক মডেলের প্রভাব দিন দিন বাড়ছে বিশ্বের দরবারে (India Bangladesh Relation)।

    ভারত হল বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রতিবেশী, দীর্ঘদিনের মিত্রও। তবে নির্বাচিত সরকার উৎখাত হওয়ার পর ভারত অপেক্ষায় রয়েছে সে দেশে একটি নির্বাচিত সরকার আসার। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, যদি পাকিস্তান ও চিনের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলে বাংলাদেশ, তাহলে এটি দক্ষিণ এশিয়ায় কৌশলগত ভারসাম্য বদলে দিতে পারে। বাংলাদেশ পরিণত হতে পারে ভারতের বিরুদ্ধে কার্যকলাপ (Md Yunus) চালানোর একটি ঘাঁটিতে। বঙ্গোপসাগরে চিনের প্রভাব বিস্তার করার একটি করিডর হিসেবেও কাজ করতে পারে ইউনূসের দেশ (India Bangladesh Relation)।

  • Ramakrishna 360: ঠাকুর সহাস্যে রাখালকে ইঙ্গিত করিতেছেন, “হাতটা দেখিয়ে নে”

    Ramakrishna 360: ঠাকুর সহাস্যে রাখালকে ইঙ্গিত করিতেছেন, “হাতটা দেখিয়ে নে”

    ২২ ফেব্রুয়ারি ১৮৮৫
    জন্মোৎসবে ভক্ত সম্ভাষণে

    এইবার ভক্তরা প্রসাদ (Kathamrita) পাইতেছেন! চিঁড়ে মিষ্টান্নাদি অনেকবার না দিয়ে অনেক প্রকার প্রসাদ পাইয়া তৃপ্তি লাভ করিলেন ঠাকুর (Ramakrishna) মাস্টারমশাইকে বলিতেছেন ‘‘মুখুজ্জেদের বল নাই! সুরেন্দ্রকে বল বাউলদের খেতে বলতে।’’

    শ্রীযুক্ত বিপিন সরকার আসিয়াছেন। ভক্তেরা বলিলেন, এর নাম বিপিন সরকার। ঠাকুর উঠিয়া বসিলেন ও বিনীত ভাবে বলিলেন, এঁকে আসন দাও, আর পান দাও। তাঁহাকে বলিতেছেন আপনার সঙ্গে কথা কইতে পেলাম না অনেক ভিড়।

    কেন্দ্রকে দেখিয়ে ঠাকুর বাবুরামকে বলিলেন, ‘‘এঁকে একখানা আসন দাও।’’ নিত্য গোপাল মাটিতে বসেছিলেন, দেখিয়া ঠাকুর বলিলেন ওঁকেও একখানা আসন দাও।

    সিঁথির মহেন্দ্র কবিরাজ আসিয়াছেন। ঠাকুর (Ramakrishna) সহাস্যে রাখালকে ইঙ্গিত করিতেছেন, ‘‘হাতটা দেখিয়ে নে।’’

    শ্রীযুক্ত রামলালকে বলিতেছেন, গিরিশ ঘোষের সঙ্গে ভাগ কর, তাহলে থিয়েটার দেখতে পাবি। (হাস্য)

    নরেন্দ্র, হাজরা মহাশয়ের সঙ্গে বাহিরের বারান্দায় অনেকক্ষণ গল্প করিতেছিলেন।
    নরেন্দ্রর পিতৃ বিয়োগের পর বাড়িতে বড়ই কষ্ট হইয়াছে। এইবার নরেন্দ্র ঘরের ভিতর আসিয়া বসিলেন।

    (নরেন্দ্রর প্রতি ঠাকুরের নানা উপদেশ)

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) (নরেন্দ্রের প্রতি) তুই কি হাজরার কাছে বসে ছিলি? তুই বিদেশিনী, সে বিরহিণী! হাজরারও দেড় হাজার টাকার দরকার। (হাস্য)

    হাজরা বলে, নরেন্দ্র ষোল আনা সত্ত্বগুণ হয়েছে। একটু লালচে রজোগুণ আছে আমার বিশুদ্ধ সত্ত্ব সতের আনা। (সকলের হাস্য)

    আমি যখন বলি তুমি কেবল বিচার করো। তাই শুষ্ক। সে বলে, আমি সৌর সুধা পান করি, তাই শুষ্ক।

    আমি যখন শুদ্ধ ভক্তির কথা বলি, যখন বলি শুদ্ধ ভক্ত টাকা কড়ি ঐশ্বর্য কিছু চায় না। তখন সে বলে, তাঁর কৃপাবন্যা এলে নদী তো উপচে যাবে আবার খাল ডোবাও জলে পূর্ণ হবে (Kathamrita)।

     

     

  • National Herald Case: সোনিয়া-রাহুলের অনুরোধে তাঁদের সংস্থায় মোটা অঙ্কের অনুদান কংগ্রেস নেতাদের!

    National Herald Case: সোনিয়া-রাহুলের অনুরোধে তাঁদের সংস্থায় মোটা অঙ্কের অনুদান কংগ্রেস নেতাদের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলার তদন্ত (National Herald Case) করতে গিয়ে বিস্ফোরক তথ্য উঠে এল ইডির (ED) হাতে। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার দাবি, সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীর অনুরোধে তাঁদের সংস্থা ইয়ং ইন্ডিয়ান্সে মোটা অঙ্কের অনুদান দিয়েছেন কংগ্রেস নেতারা।

    লাখ লাখ টাকা অনুদান (National Herald Case)

    ইডির দাবি, রাহুল গান্ধীর সংস্থা ইয়ং ইন্ডিয়ান্সে গান্ধীদের অনুরোধেই লাখ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে বিভিন্ন রাজ্যের কংগ্রেস নেতারা। এই ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড নামের সংস্থাটিই বর্তমানে ন্যাশনাল হেরাল্ড চালায়। এই সংস্থার ৭৬ শতাংশ শেয়ারের মালিক রাহুল ও সোনিয়া। বাকি দুই শেয়ার হোল্ডার হলেন প্রয়াত কংগ্রেস নেতা অস্কার ফার্নান্ডেজ এবং মতিলাল ভোরা। এই সংস্থাই ২০১১ সালে ন্যাশনাল হেরাল্ড, কোয়াম-ই-আওয়াজ এবং নবজীবন – এই তিনটি সংবাদপত্র অধিগ্রহণ করে অ্যাসোসিয়েট জার্নালস লিমিটেডের কাছ থেকে। ইডির দাবি, ঘুরপথে মাত্র ৫০ লাখ টাকার বিনিময়ে অ্যাসোসিয়েট জার্নালস লিমিটেডের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হয়ে গিয়েছে গান্ধীদের পরিচালিত ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড।

    ন্যাশনাল হেরাল্ড কেলেঙ্কারি

    আদালতে ইডির অভিযোগ, সোনিয়া ও রাহুল গান্ধী ন্যাশনাল হেরাল্ড কেলেঙ্কারির মাধ্যমে ১৪২ কোটি টাকা পেয়েছিলেন। ২০২৩ সালে ন্যাশনাল হেরাল্ডের সঙ্গে সম্পর্কিত ৭৫১.৯ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়। তার আগে পর্যন্ত এই বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করেছিলেন সোনিয়া, রাহুল। ইডির দাবি, সংস্থাটি (National Herald Case) যাতে আড়ে-বহরে বেড়ে ওঠে, তা নিশ্চিত করতে রাহুল ও সোনিয়া বিভিন্ন রাজ্যের কংগ্রেস নেতাদের ওই সংস্থায় অনুদান দেওয়ার অনুরোধ জানান। গান্ধী পরিবারকে খুশি করতে বিভিন্ন রাজ্যের কংগ্রেস নেতারা লাখ লাখ টাকা অনুদান দেন। এই তালিকায় রয়েছেন কর্নাটকের বর্তমান উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার, তেলঙ্গনার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি-সহ বিভিন্ন রাজ্যের নেতা। ছোটবড় বহু কংগ্রেস নেতা গান্ধী পরিবারের ওই সংস্থায় মোটা টাকা অনুদান দেন। ২০২২ সালেও ওই সংস্থা বিপুল পরিমাণ অনুদান পেয়েছিল। ইডি (ED) এমনতর দাবি করলেও, এ ব্যাপারে অবশ্য কংগ্রেসের কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি (National Herald Case)।

  • IMF: চলতি বছরেই জাপানকে টপকে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হবে ভারত!

    IMF: চলতি বছরেই জাপানকে টপকে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হবে ভারত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নরেন্দ্র মোদির জমানায় তরতরিয়ে চড়ছে ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পারা। ব্রিটেনকে ষষ্ঠস্থানে ঠেলে দিয়ে বছর দুয়েক আগেই ভারত (India) দখল করেছিল বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির পঞ্চম স্থানটি। এই স্থানটিতে দীর্ঘদিন ধরে ছিল রাজার দেশ। ২০১৪ সালে (IMF) প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেন বিজেপির নরেন্দ্র মোদি। তার পরেই ব্রিটেনকে সরিয়ে পঞ্চম স্থানে চলে আসে মোদির ভারত। তারপরেই চতুর্থ স্থানে থাকা জাপানের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে  ভারত। আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডারের (আইএমএফ) দাবি, চলতি বছরই জাপানকে টপকে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির তালিকায় চতুর্থ স্থানে চলে আসবে ভারত।

    আইএমএফের প্রতিবেদন (IMF)

    আইএমএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামী বছর ভারতের নমিনাল জিডিপি পৌঁছবে ৪,১৮৭.০২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। এটি থাকবে জাপানের নমিনাল জিডিপি ৪,১৮৬.৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সামান্য ওপরে। আন্তর্জাতিক মুদ্রাভান্ডারের (IMF) পূর্বাভাস, ভারত আগামী দু’বছর ধরে ৬ শতাংশের ওপরে প্রবৃদ্ধি বজায় রেখে বিশ্বের প্রধান অর্থনীতিগুলির মধ্যে সব চেয়ে দ্রুতগতিতে বিকাশমান দেশ হিসেবে থাকবে। উল্টে দিকে, জাপানে ২০২৫ ও ২০২৬ – এই দুই বছরেই মাত্র ০.৬ শতাংশ হারে মন্দার প্রবৃদ্ধি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ বৈশ্বিক বাণিজ্যের মন্দা তাদের রফতানি নির্ভর অর্থনীতিতে চাপ ফেলছে। ভারতের শক্তিশালী অর্থনৈতিক গতি সম্ভবত তাকে গ্লোবাল র‌্যাঙ্কিংয়ে আরও ওপরে তুলে নিয়ে যাবে।

    বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ

    ২০২৮ সালের মধ্যে ভারতের জিডিপি ৫,৫৮৪.৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছবে বলে অনুমান করা হয়েছে, যা তাকে জার্মানিকে ছাড়িয়ে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ করে তুলবে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, বর্তমানে চতুর্থ স্থানে থাকা জার্মানি বর্তমানে চলা বাণিজ্য উত্তেজনার কারণে ইউরোপের সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্তগুলির একটি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আইএমএফের পূর্বাভাস, ২০২৫ সালে জার্মানির প্রবৃদ্ধি শূন্য থাকবে এবং ২০২৬ সালে সামান্য উন্নতি করে ০.৯ শতাংশ হবে। ২০২৮ সালের মধ্যে জার্মানির জিডিপি ৫,২৫১.৯৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছবে বলে অনুমান।

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০২৫ সালে ৩০,৫০৭.২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের আনুমানিক জিডিপি নিয়ে (IMF) বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে তার অবস্থান ধরে রাখবে। চিন থাকবে দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। তার জিডিপি অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে ১৯,২৩১.৭১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের। আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডার জানিয়েছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেহেতু বৈশ্বিক শুল্ক আরোপের এক তরঙ্গ শুরু করেছে। তাই তাদের অর্থনীতিতে মন্দার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। ২০২৫ সালে প্রবৃদ্ধির হার ১.৮ শতাংশে এবং ২০২৬ সালে ১.৭ শতাংশে নেমে আসবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে (India)।

    মন্থর প্রবৃদ্ধি!

    ইউরোজোন এলাকায়ও মন্থর প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। ২০২৫ সালে প্রবৃদ্ধি মাত্র ০.৮ শতাংশে সীমাবদ্ধ থাকবে এবং ২০২৬ সালে তা সামান্য বেড়ে ১.২ শতাংশে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ফ্রান্সের প্রবৃদ্ধি আগামী দুবছরে যথাক্রমে ০.৬ শতাংশ এবং ১ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস (IMF)। স্পেন তার অন্যান্য ইউরোপীয় অংশীদারদের চেয়ে ভালো পারফর্ম করবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০২৫ সালে তার প্রবৃদ্ধির হার হবে ২.৫ শতাংশ। তবে ২০২৬ সালে এটি হ্রাস পেয়ে ১.৮ শতাংশে নেমে আসতে পারে। একই সময়ে প্রবৃদ্ধির হার ১.১ শতাংশ এবং ১.৪ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

    আইএমএফের রিপোর্টে আর্থিক বৃদ্ধির হার 

    আইএমএফের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল ২.১ লাখ কোটি মার্কিন ডলার। চলতি বছরে তা বেড়ে হয়েছে ৪.৩ লাখ কোটি ডলার। গত ১০ বছরে জিডিপি বৃদ্ধি পেয়েছে ১০৫ শতাংশ। কিন্তু জাপানের ক্ষেত্রে তা হয়নি। বর্তমানে বিশ্বে অর্থনীতিতে পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভারত (IMF)। শীর্ষে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তারপরেই রয়েছে চিন, জার্মানি এবং জাপান। এই বৃদ্ধির হার বজায় থাকলে ২০২৫ সালেই জাপানকে পিছনে ফেলে দেবে নরেন্দ্র মোদির ভারত। শুধু তাই নয়, ২০২৭ সালে জার্মানির অর্থনীতিকে টপকে যাওয়ারও সমূহ সম্ভাবনা (India)। ডব্লিউইও-এর এপ্রিল ২০২৫ সংস্ককরণ বলছে, জানুয়ারি ২০২৫ সালের আপডেটের তুলনায় একটি নিম্নমুখী সংশোধন দেখানো হয়েছে। এটি বর্ধিত বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য উত্তেজনা ও ক্রমবর্ধমান অনিশ্চয়তার প্রভাব প্রতিফলিত করে। এদিকে, আইএমএফ বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অনেক কম হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে।

    শুল্কযুদ্ধের মধ্যে ২০২৫ সালের জন্য জাপানের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়ে দিয়েছে আইএমএফ। আন্তর্জাতিক এই সংস্থা জাপানের জন্য তার পূর্বাভাস সংশোধন করেছে। ২০২৫ সালের পূর্বাভাস জানুয়ারিতে ১.১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০.৬ শতাংশ করেছে। এই হ্রাস অর্থনৈতিক (India) কর্মদক্ষতার ওপর মার্কিন শুল্কের প্রত্যাশিত নেতিবাচক প্রভাবকে প্রতিফলিত করে (IMF)।

LinkedIn
Share