Tag: Bengali news

Bengali news

  • Waqf Amendment Act 2025: ‘হিংসার ঘটনা উদ্বেগজনক’, ওয়াকফ আইন শুনানি প্রসঙ্গে পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির

    Waqf Amendment Act 2025: ‘হিংসার ঘটনা উদ্বেগজনক’, ওয়াকফ আইন শুনানি প্রসঙ্গে পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংশোধিত ওয়াকফ আইন (Waqf Amendment Act 2025) নিয়ে অশান্তির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করলেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। বুধবার তাঁর বেঞ্চেই হয়েছে এই আইন সংক্রান্ত মামলার শুনানি। সেই সময়ই ওয়াকফ আইন সংশোধনকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদী বিক্ষোভে অশান্তির প্রসঙ্গ ওঠে। দেশের নানা প্রান্তেই এই আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয়েছে, একাধিক রাজ্যে অশান্তিও হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে অশান্তি হয়েছে মুর্শিদাবাদে। এদিন শুনানি চলাকালীন সে বিষয়ে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবীরা। তখনই উদ্বেগ প্রকাশ করেন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি। এই ধরনের ঘটনাগুলিকে তিনি উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেন।

    প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ (Waqf Amendment Act 2025)

    ওয়াকফ আইকে ঘিরে অশান্তির প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। এই ধরনের হিংসা বা অশান্তির ঘটনা বাঞ্ছনীয় নয়। এমন ঘটনা উদ্বেগজনক।” পরবর্তী শুনানিতে অশান্তির প্রসঙ্গ শুনবেন বলেও জানান প্রধান বিচারপতি। প্রসঙ্গত, ওয়াকফ আইন সংক্রান্ত এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বৃহস্পতিবারই। সংশোধিত ওয়াকফ আইন কার্যকর করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ করে বেশ কয়েকটি পিটিশন জমা পড়েছে সুপ্রিম কোর্টে। বুধবার সব মামলাকে এক সঙ্গে জুড়ে শুরু হয় শুনানি। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চে চলছে এই মামলার শুনানি। প্রধান বিচারপতি ছাড়াও বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ও বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথন। এদিন এ সংক্রান্ত শুনানির পর নয়া আইন নিয়ে অন্তর্বর্তী কোনও স্থগিতাদেশ জারি করেনি সুপ্রিম কোর্ট।

    আদালতের অন্তর্বর্তী প্রস্তাব

    তবে এদিন, (Waqf Amendment Act 2025) আদালত তিনটি অন্তর্বর্তী প্রস্তাব রাখে। এগুলি হল, আদালতে যদি কোনও সম্পত্তি ওয়াকফ বলে চিহ্নিত হয়ে থাকে, সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে শুনানি চলাকালীন কোনও মতেই সেটিতে রদবদল ঘটানো যাবে না। কোনও সম্পত্তি ওয়াকফ না কি সরকারি সম্পত্তি, জেলাশাসকের নির্দেশে তদন্ত চলাকালীন সেই সম্পত্তিকে ওয়াকফ বলে গণ্য করা হবে না বলেও উল্লেখ করা হয়েছে আইনে। কিন্তু এখনই সেই নির্দেশ কার্যকর হবে না বলে জানিয়েছে আদালত। ওয়াকফ বোর্ড ও কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কমিটির সব সদস্যকে মুসলিম হতে হবে। একমাত্র ব্যতিক্রম সরকারি আধিকারিক কিংবা কোনও পক্ষের প্রতিনিধি হওয়ার দরুণ যাঁরা আপনাআপনিই (Supreme Court) বোর্ডের সদস্যপদ পান, তাঁদের ক্ষেত্রে ধর্ম পরিচয় বাধ্যতামূলক নয় (Waqf Amendment Act 2025)।

  • China Visa: পাশে চাই ভারতকে! তাই কি ৮৫ হাজার ভারতীয়কে ভিসা চিনের?

    China Visa: পাশে চাই ভারতকে! তাই কি ৮৫ হাজার ভারতীয়কে ভিসা চিনের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুল্ক যুদ্ধে আমেরিকার সঙ্গে লড়াইতে ভারতকে পাশে পেতে চাইছে চিন (China Visa)। তার জেরে আপাতত ভারত-চিন সম্পর্কে উন্নতি হয়েছে (Trump Tariff Threats)। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা আগের চেয়ে এখন ঢের বেশি শান্ত। এহেন আবহে বেজিং বারবার ভারতের দিকে বাড়িয়ে দিচ্ছে বন্ধুত্বের হাত। ভারত-চিন সম্পর্কের কী উন্নতি হয়েছে তা জানাতে গিয়ে চিনা রাষ্ট্রদূত জু ফেইহং জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত ৮৫ হাজার ভারতীয়কে ভিসা দিয়েছে শি জিনপিংয়ের দেশ। তিনি জানান, ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ভারতে অবস্থিত চিনা দূতাবাস ও উপদূতাবাস চিনে যাওয়ার জন্য ৮৫ হাজারেরও বেশি ভারতীয়কে ভিসা দিয়েছে। শুধু তাই নয়, ভারতীয়রা যাতে আরও বেশি করে চিন ভ্রমণ করেন, সেই আহ্বানও জানানো হয়েছে।

    ভিসা নিয়ম শিথিল (China Visa)

    ভারত ও চিনের মধ্যে সফর অনায়াস করতে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ করেছে বেজিং। শিথিল করা হয়েছে বেশ কয়েকটি নিয়মও। আগে চিনে যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন করতে গেলে আগে থেকে অনলাইনে সময় নিতে হত। এখন আর তা করতে হয় না। সরাসরি ভিসা কেন্দ্রে গিয়ে আবেদন করতে পারেন ভারতীয় নাগরিকরা। ভিসা দ্রুত মঞ্জুর করার বিষয়টির ওপরও জোর দিয়েছে শি জিনপিংয়ের দেশ।

    দিল্লিকে পাশে চাইছে বেজিং

    মূলত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগেই বদলাতে শুরু করেছে ভারত ও চিনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক (China Visa)। তিক্ততা ভুলে দুই দেশই ক্রমশ কাছাকাছি আসতে চাইছে। সম্প্রতি ট্রাম্প বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর শুল্কহার বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। চিনের ক্ষেত্রে এই হার ছিল অত্যধিক চড়া। এ নিয়ে শুরু হয় চিন আমেরিকা শুল্ক যুদ্ধ। শুল্ক হার নিয়ে তামাম বিশ্ব তোলপাড় হওয়ায় তিন মাসের জন্য শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এই তালিকায় নেই চিন। উল্টে চিনা পণ্যের ওপর চাপানো হয়েছে আরও চড়া শুল্ক হার। চিন-মার্কিন শুল্ক যুদ্ধ যখন তুঙ্গে, তখন ক্রমশই চিন বেশি করে ঝুঁকছে ভারতের দিকে। চিনের একাধিক কর্তার মতে, ক্ষমতার রাজনীতি ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দিতে হবে চিন ও ভারতকেই (Trump Tariff Threats)।

    দুঃসময়ে যে ‘হাতি’কে বড্ড বেশি প্রয়োজন ‘ড্রাগনে’র (China Visa)!

  • Murshidabad Unrest: মুর্শিদাবাদকাণ্ডের নেপথ্যে বাংলাদেশিদের হাত! চাঞ্চল্যকর তথ্য কেন্দ্রের রিপোর্টে

    Murshidabad Unrest: মুর্শিদাবাদকাণ্ডের নেপথ্যে বাংলাদেশিদের হাত! চাঞ্চল্যকর তথ্য কেন্দ্রের রিপোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে অশান্তির আগুনে জ্বলছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad Unrest) বিস্তীর্ণ অংশ। এই হিংসার নেপথ্যে রয়েছে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা। বিস্ফোরক এই তথ্য উঠে এল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রাথমিক তদন্তে। সূত্রের খবর, ওই রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, হিংসা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি বাংলার পুলিশ। যদিও সরকারিভাবে এই রিপোর্ট নিয়ে কেন্দ্রের তরফে কিছু বলা হয়নি।

    উসকানিমূলক বক্তব্য (Murshidabad Unrest)

    এর আগে ৯ এপ্রিল সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গিয়েছিল, মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ আইন বিরোধী সমাবেশে বেশ কিছু উসকানিমূলক বক্তব্য রাখা হয়। তার কিছু ভিডিও এসে পৌঁছায় ওই সংবাদ মাধ্যমের কাছে। জঙ্গিপুরের পিডব্লুডি মাঠে এই সমাবেশ হয়েছিল। আয়োজক ছিল ইমাম মোয়াজ্জিন অ্যাসোসিয়েশন। তাকে সমর্থন করেছিল অ্যাসোসিয়েশন ফর প্রোটেকশন অফ ডেমোক্রেটিক রাইটস এবং সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্ট অফ ইন্ডিয়া-সহ বেশ কয়েকটি সংগঠন।

    এসডিপিআইয়ের জড়িত থাকার ইঙ্গিত

    সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তদন্তকারীরা বেশ কিছু তথ্য হাতে পেয়েছেন। তাতে মুর্শিদাবাদের হিংসায় এসডিপিআইয়ের জড়িত থাকার ইঙ্গিত মিলেছে। পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, এসডিপিআইয়ের সদস্যরা গত বেশ কয়েকদিন ধরে ওয়াকফের নামে এলাকার মুসলিম যুবকদের উসকানি দিচ্ছিল। এসডিপিআইয়ের সদস্যরা প্রত্যন্ত এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে যুবক ও কিশোরদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে বলছিলেন। মুসলিম সম্প্রদায়ের যুবক ও কিশোরদের বলা হয় যে, সরকার ওয়াকফের নামে মুসলমানদের কাছ থেকে সব কিছু কেড়ে নেবে। ফলে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করতে হবে। শনিবার মুর্শিদাবাদের এক হাসপাতালে মৃত্যু হয় ইজাজ আহমেদের। বিক্ষোভ চলাকালীন গুলিবিদ্ধ হন তিনি। তাঁর পরিবারেরও দাবি, মুর্শিদাবাদে উসকানিমূলক প্রচার চালাচ্ছে এসডিপিআই।

    পিএফআইয়ের প্রভাব!

    পুলিশের মতে, এক সময় পশ্চিমবাংলায় সিমির ঘাঁটি ছিল এই মুর্শিদাবাদই। সিমির যোগ ছিল জঙ্গি সংগঠন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সঙ্গে। সিমির লোকজন অবশ্য পরে কট্টরপন্থী সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ায় যোগ দেয়। তার পর বদলে যায় মুর্শিদাবাদের ছবি। বস্তুত, পিএফআইয়ের ঘাঁটিতে পরণিত হয় মুর্শিদাবাদ। ২০২২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ইউএপিএর অধীনে পাঁচ বছরের জন্য পিএফআইকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। সূত্রের খবর, এই সিমি ও পিএফআইয়ের এই লোকজনও এসডিপিআইয়ের সঙ্গে জড়িত। মুর্শিদাবাদে এসডিপিআই বেশ শক্তিশালী। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, স্থানীয় নেতাদের কাছ থেকে দুস্কৃতীরা প্রাথমিকভাবে সহায়তা পেয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তারা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এদিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (MHA) পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ (Murshidabad Unrest) ও অন্যান্য সংবেদনশীল জেলার কার্যকলাপের ওপর কড়া নজর রাখছে।

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবের বক্তব্য

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব গোবিন্দ মোহন ১২ এপ্রিল রাজ্যের মুখ্যসচিব ও পুলিশের ডিজির সঙ্গে কথা বলেন। সেই সময় সম্ভাব্য সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়। তিনি রাজ্য প্রশাসনকে অন্যান্য সংবেদনশীল জেলাগুলোয়ও কঠোর নজরদারি বজায় রাখার এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শও দেন। তার পর থেকে তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিব ও পুলিশের ডিজির সঙ্গে নিরবচ্ছিন্নভাবে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। এছাড়াও, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক মুর্শিদাবাদে বিএসএফের প্রায় ন’কোম্পানি, অর্থাৎ কমপক্ষে ৯০০ জন সদস্য মোতায়েন করেছে। এই ন’টি কোম্পানির মধ্যে ৩০০ বিএসএফ সদস্য স্থানীয়ভাবে উপস্থিত ছিলেন। রাজ্য সরকারের অনুরোধে পরে অতিরিক্ত কোম্পানিগুলিও পাঠানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের ডিজিপি আগেই জানিয়েছিলেন, মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ, তবে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। ডিজিপি আরও উল্লেখ করেন, স্থানীয়ভাবে মোতায়েন থাকা বিএসএফের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে এবং এ পর্যন্ত ১৫০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    উত্তেজনা অব্যাহত

    প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে মুর্শিদাবাদের মুসলিম-অধ্যুষিত এলাকায় ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভের সময় হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। এই বিক্ষোভের জেরে মালদা, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হুগলি জেলায় অগ্নিসংযোগ, পাথর ছোড়া এবং সড়ক অবরোধের মতো ঘটনাও ঘটে। আধিকারিকদের বক্তব্য, হিংসাকবলিত এলাকাগুলিতে উত্তেজনা অব্যাহত থাকলেও, নতুন করে কোনও ঘটনা ঘটেনি। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মুর্শিদাবাদ জেলায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা (Murshidabad Unrest)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক মুর্শিদাবাদের তিনটি সীমান্তবর্তী এলাকায় সাম্প্রতিক হিংসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং সতর্কতামূলকভাবে অতিরিক্ত আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করেছে। প্রাথমিক রিপোর্টে ইঙ্গিত মিলেছে, স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের সহায়তায় বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের জড়িত থাকার বিষয়টি, পরে যাদের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারায় ঘাসফুল নেতৃত্ব।

    এদিকে, কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারের কাছ থেকে জীবন ও সম্পত্তি রক্ষায় ব্যর্থতা, রেলওয়ে সম্পত্তিতে হামলা এবং হিংসার প্রাথমিক পর্যায়ে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা চেয়েছে (Murshidabad Unrest)।

  • Anti Waqf Protests: ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতেই কি বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে জ্বালানো হয়েছে অশান্তির আগুন?

    Anti Waqf Protests: ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতেই কি বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে জ্বালানো হয়েছে অশান্তির আগুন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে (Anti Waqf Protests) কার্যত জ্বলছে বাংলার (West Bengal) একটা অংশ। বিশেষ করে মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে হিন্দুদের ওপর বেনজির আক্রমণ চালানো হচ্ছে। অভিযোগ, এতে ইন্ধন জুগিয়েছে রাজ্যের এক মন্ত্রীর বক্তব্য এবং খোদ তৃণমূল সুপ্রিমোর প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয়! তার জেরেই অশান্ত হয়ে উঠেছে মুসলিম অধ্যুষিত ওই এলাকাগুলি। অথচ, মুসলিম অধ্যুষিত কেরল, তেলঙ্গানা কিংবা বিহারের বিভিন্ন অংশে কিন্তু এভাবে প্রতিবাদের নামে আগুন জ্বালানো হয়নি। বিক্ষিপ্তভাবে কয়েকটি মিটিং-মিছিল হয়েছে, কিন্তু এভাবে বাংলাদেশি কায়দায় হিন্দুদের খুন করা হয়নি, ঘরছাড়াও করা হয়নি। রাজনৈতিক মহলের মতে, এভাবে হিংসার আগুন ছড়িয়ে দিয়ে জনতা-জনার্দনের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। নিয়োগ কেলেঙ্কারির কারণে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি খুইয়েছেন এ রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার মানুষ। ওই একই কারণে চাকরি খোয়াতে পারেন আরও প্রায় ৬০ হাজার জন। আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে যখন বিরোধীরা হাতে অস্ত্র পেয়ে গেলেন, চাকরিহারারা যখন পথে নামলেন তখনই ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে রাজ্যের একাংশে জ্বালিয়ে দেওয়া হল অশান্তির আগুন! ব্যস, জনতার দৃষ্টি গেল ঘুরে! ওয়াকিবহাল মহলের মতে, আগামী নির্বাচন পর্যন্ত এটা চলতেই থাকবে। কারণ ক্ষমতার চিটে গুড়ে যে পা আটকে গিয়েছে শাসকের!

    হিংসায় মদত শাসকের! (Anti Waqf Protests)

    ফেরা যাক খবরে। জানা গিয়েছে, (সু)পরিকল্পিত এই হিংসায় মদত জুগিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ। রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী দিন কয়েক আগে বলেছিলেন, “জেলাগুলি ফিক্স করার পর মুসলিমরা কলকাতার প্রধান সড়কগুলি অবরোধ করে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঘেরাও করবে।” জমিয়ত উলেমা-ই হিন্দের রাজ্য সভাপতি সিদ্দিকুল্লার এই বক্তব্যের পরেই হিন্দুদের ওপর হিংসার ঘটনা শুরু হয় বলে অভিযোগ। অন্যান্য কয়েকজন মুসলিম ধর্মীয় নেতাও উস্কানিমূলক বক্তব্য পেশ করেন, যা মুসলিমদের হিন্দুদের ওপর নৃশংস হামলা চালাতে উদ্বুদ্ধ করে। অভিযোগ, তার পরেই জ্বালিয়ে দেওয়া হয় হিন্দুদের বাড়িঘর, মন্দির-বিগ্রহ। হিংসা কবলিত এলাকাগুলির স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, হিন্দু মহিলাদের ওপর যৌন হয়রানির ঘটনাও ঘটেছে। প্রাণ ভয়ে রাতের অন্ধকারে জেলা ছেড়ে ভিন জেলায় আশ্রয় নিয়েছেন হিন্দুরা। আক্ষরিক অর্থেই, নিজভূমে পরবাসী হয়েছেন তাঁরা।

    ইসলামিস্টদের তাণ্ডব

    মুর্শিদাবাদের শামসেরগঞ্জের জাফরাবাদে শুক্রবার সন্ধে (West Bengal) থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত তাণ্ডব চালায় ইসলামিস্টরা। কুপিয়ে খুন করা হয় (Anti Waqf Protests) প্রতিমাশিল্পী হরগোবিন্দ দাস ও তাঁর পুত্র চন্দনকে। মুর্শিদাবাদেরই ধুলিয়ানেও ছড়িয়ে পড়ে হিংসার আগুন। শতাধিক হিন্দু বাড়ি ও দোকান আক্রমণ ও ধ্বংস করা হয়। শতাধিক হিন্দু পরিবার নৌকায় করে গঙ্গা পার হয়ে পড়শি জেলা মালদায় আশ্রয় নেয়। রাজ্যের অন্যান্য অংশেও হিন্দুদের ওপর হামলার খবর পাওয়া যাচ্ছে। পূর্বপরিকল্পিত ও সমন্বিতভাবে, ইসলামিস্ট জনতা অন্যান্য কিছু জেলার মুসলিম-অধ্যুষিত অঞ্চলেও হিন্দুদের লক্ষ্য করে আক্রমণ চালিয়েছে বলে খবর। পুলিশ প্রথমে দর্শকের ভূমিকা পালন করেছিল। তারপর বোধহয় ওপরতলার নির্দেশে নড়েচড়ে বসে। এর পর ইসলামিস্টরা রেয়াত করেনি পুলিশকেও। পুলিশ কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়, তাঁদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। প্রাণ বাঁচাতে কয়েকজন পুলিশকর্মীকে মসজিদেও আশ্রয় নিতে হয়েছে বলে খবর।

    কাঠগড়ায় তোষণের রাজনীতি

    যে পুলিশ সুপরিকল্পিত হিংসা হচ্ছে দেখেও, ঢাল-তরোয়াল নিয়ে বসেছিল, সেই পুলিশই চাকরিহারাদের মিছিলে লাঠি চালিয়েছিল। সদ্য চাকরি খোয়ানো এক শিক্ষককে লাথিও মারতে দেখা গিয়েছে এক পুলিশ কর্মীকে (West Bengal)। এর পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ধেয়ে আসে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুষ্টিকরণের রাজনীতির বিরুদ্ধে একের পর এক ট্যুইট-বাণ। নেটিজেনদের সিংহভাগের বক্তব্যের নির্যাস, এই সব ঘটনার জন্য দায়ী মমতার তোষণমূলক রাজনীতি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তো বলেই দিয়েছেন, “এই শক্তি প্রদর্শন তাদের ধর্মীয় পরিচয়ের জোরদারকরণ এবং মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতাবাদের ঘোষণা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুসলিম তোষণের ফলে মুসলিমরা আইনের কব্জা থেকে রেহাই পেয়েছে বলে মনে করছে (Anti Waqf Protests), আর হিন্দুরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।”

    কী বলছেন দিলীপ ঘোষ

    বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আবার বলেন, “মুসলিম গোষ্ঠীর হিংসা, হিন্দু ও পুলিশের ওপর তাদের হামলা, এবং মুসলিমদের দ্বারা উস্কানি মূলক স্লোগান—এই সবকিছু পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশের থেকে আলাদা করা কঠিন করে তুলেছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মুসলিম আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা উৎসাহিত হয়েছে, যার ফলস্বরূপ হিন্দুরা বাংলায় নিরাপদ নয়। এটি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জেলাগুলি থেকে হিন্দুদের তাড়ানোর পরিকল্পনারই অংশ।” তিনি আরও বলেন, “গত সপ্তাহান্তে মুসলিমদের দ্বারা হিন্দুদের ওপর হামলা হিন্দুদের জন্য একটি সতর্কবার্তা। যদি বাংলার হিন্দুরা ঐক্যবদ্ধ না হয়, তবে যে কোনও দিন বাংলা বাংলাদেশের অংশ হয়ে যাবে। সেই দিন আর খুব বেশি দূরে নেই। তখন হিন্দুদের আর বাংলায় কোনও জায়গাই থাকবে না (Anti Waqf Protests)।”

    রাহুল সিনহার বক্তব্য

    বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “এই ধরনের ঘটনা এই প্রথম নয়। মুসলিমরা দায়মুক্তি নিয়ে হিন্দুদের আক্রমণ ও হত্যা করছে। তারা পুলিশকে আক্রমণ করছে, থানা ও যানবাহনে আগুন দিচ্ছে, সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করছে এবং আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুসলিম ভোটারদের হারাতে চান না বলে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এর ফলে মুসলিম সমাজের অপরাধী ও মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলি সাহস পেয়েছে (West Bengal)।”

    দিলীপের কটাক্ষ

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি “শান্তি বজায় রাখার” নরম আবেদনকে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, “রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় হিন্দু ও পুলিশের ওপর হামলা, সম্পত্তি ধ্বংস এবং দাঙ্গা চালানো মুসলিমদের বিরুদ্ধে কঠোর ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিলে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে এবং বাংলা হিন্দুদের জন্য মরণফাঁদে পরিণত হবে।” তিনি বলেন, “কিন্তু এটাও ঠিক, এবারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কঠোর ব্যবস্থা নেবেন না। কারণ তিনি জানেন, তা করলে তাঁর সরকার পড়ে যাবে। তিনি তো প্রকাশ্যেই স্বীকার করেছেন যে মুসলিম সমর্থনের জোরেই তিনি ক্ষমতায় আছেন। তিনি মুসলিমদের কাছে ঋণী (Anti Waqf Protests)।”

    সেলিমের ধরি মাছ না ছুঁই পানি!

    কংগ্রেস হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনায় কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। সিপিআই(এম)-এর রাজ্য সম্পাদক মহাম্মদ সেলিম বিতর্কের মুখে পড়েছেন এই অভিযোগে যে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি উভয়েই দাঙ্গার জন্য দায়ী। তাঁর দাবি, বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতারের, যাঁকে তিনি “দাঙ্গার মস্তিষ্ক” বলে উল্লেখ করেছেন। শুভেন্দুকে গ্রেফতারের দাবি জানালেও, সেলিম সাহেব সিদ্দিকুল্লার মন্তব্য নিয়ে অদ্ভুতভাবে নীরব! হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনায় সরব হয়েছেন কংগ্রেসের অধীর রঞ্জন চৌধুরী। হিংসার জন্য তিনি দায়ী করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে, সুপ্রিম কোর্টের ২৬,০০০ সরকারি স্কুল কর্মী বরখাস্তের আদেশ সৃষ্ট সঙ্কট থেকে মনোযোগ সরাতে হামলা উস্কে দেওয়ার জন্য। তবে তিনি একবারও হিন্দুদের আক্রমণকারী মুসলিমদের নাম নেননি।

    শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য

    এহেন আবহে হিন্দুদের আশ্বস্ত করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “আমরা হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ করতে এবং হিন্দুদের রাজনৈতিকভাবে সংহত করতে আমাদের প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করব। বাংলার হিন্দুদের এটা বোঝাতে হবে যে সম্প্রদায়টি একটি গুরুতর অস্তিত্ব সংকটের মুখোমুখি হয়েছে, এবং হিন্দুরা ঐক্যবদ্ধ না হলে বাংলা আর একটি বাংলাদেশে পরিণত হবে। বাঙালি হিন্দুরা পড়ে থাকবে (West Bengal) কোনও স্বদেশ ছাড়াই! তাই হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভোট বিভাজন রুখতে হবে (Anti Waqf Protests)।”

  • Ramakrishna 325: “কেশব সেন হরিনাম করেন, ঈশ্বরচিন্তা করেন, অমনি তাঁকে দেখতে ছুটেছেন”

    Ramakrishna 325: “কেশব সেন হরিনাম করেন, ঈশ্বরচিন্তা করেন, অমনি তাঁকে দেখতে ছুটেছেন”

    দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    নবম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ২৬শে অক্টোবর
    সেবক হৃদয়ে

    সন্ধ্যার পূর্বে মণি বেড়াইতেছেন ও ভাবিতেছেন—“রামের ইচ্ছা” এটি তো বেশ কথা! এতে তো Predestination আর Free will, Liberty আর—Necessity এ-সব ঝগড়া মিটে যাচ্ছে। আমায় ডাকাতে ধরে নিলে “রামের ইচ্ছায়”; আবার আমি তামাক খাচ্ছি “রামের ইচ্ছায়”, আমি ডাকাতি করছি “রামের ইচ্ছায়। আমায় পুলিসে ধরলে “রামের ইচ্ছায় (Ramakrishna)”, আমি সাধু হয়েছি “রামের ইচ্ছায়”, আমি প্রার্থনা করছি, “হে প্রভু আমায় অসদ্বুদ্ধি দিও না—আমাকে দিয়ে ডাকাতি করিয়ো না”—এও “রামের ইচ্ছা”। সৎ ইচ্ছা, অসৎ ইচ্ছা তিনি দিচ্ছেন। তবে একটা কথা আছে, অসৎ ইচ্ছা তিনি কেন দিবেন—ডাকাতি করবার ইচ্ছা তিনি কেন দিবেন? তার উত্তরে ঠাকুর বলেন এই,—তিনি জানোয়ারের ভিতর যেমন বাঘ, সিংহ, সাপ করেছেন; গাছের ভিতর যেমন বিষগাছও করেছেন, সেইরূপ মানুষের ভিতর চোর, ডাকাতও করেছেন। কেন করেছেন? কেন করেছেন, তা কে বলবে (Kathamrita)? ঈশ্বরকে কে বুঝবে?

    “কিন্তু তিনি যদি সব করেছেন, Sense of responsibility তো যায়; তা কেন যাবে? ঈশ্বরকে না জানলে, তাঁর দর্শন হলে “রামের ইচ্ছা (Ramakrishna)”, এটি ষোল আনা বোধই হবে না। তাঁকে লাভ না করলে এটি এক-একবার বোধ হয়; আবার ভূল হয়ে যাবে। যতক্ষণ না পূর্ণ বিশ্বাস হয়, ততক্ষণ পাপ-পুণ্য বোধ, responsibility বোধ, থাকবেই থাকবে। ঠাকুর বুঝালেন, “রামের ইচ্ছা”। তোতা পাখির মতো “রামের ইচ্ছা” মুখে বললে হয় না। যতক্ষণ ঈশ্বরকে জানা না হয়, তাঁর ইচ্ছায় আমার ইচ্ছায় এক না হয়, যতক্ষণ না “আমি যন্ত্র” ঠিক বোধ হয়, ততক্ষণ তিনি পাপ-পুণ্য বোধ, সুখ-দুঃখ বোধ, শুচি-অশুচি বোধ, ভাল-মন্দ বোধ রেখে দেন; Sense of responsibility রেখে দেন; তা না হলে তাঁর মায়ার সংসার কেমন করে চলবে?

    “ঠাকুরের ভক্তির কথা (Kathamrita) যত ভাবিতেছি, ততই অবাক্‌ হইতেছি। কেশব সেন হরিনাম করেন, ঈশ্বরচিন্তা করেন, অমনি তাঁকে দেখতে ছুটেছেন,—অমনি কেশব আপনার লোক হলেন। তখন কাপ্তেনের কথা আর শুনলেন না। তিনি বিলাতে গিয়াছিলেন, সাহেবদের সঙ্গে খেয়েছেন, কন্যাকে ভিন্ন জাতিতে বিবাহ দিয়াছেন—এ-সব কথা ভেসে গেল! কুলটি খাই, কাঁটায় আমার কি কাজ?

  • National Herald Case: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সোনিয়া-রাহুলের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট ইডির

    National Herald Case: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সোনিয়া-রাহুলের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case) সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দিল ইডি (ED)। এই প্রথম তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও মামলায় চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। বিশেষ আদালতে এই মামলার শুনানি হবে ২৫ এপ্রিল। চার্জশিটে নাম রয়েছে কংগ্রেসের ওভারসিজ নেতা স্যাম পিত্রোদা এবং সুমন দুবের। শনিবার এই মামলায় সোনিয়া ও রাহুলের ৬৬১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে ইডি। মঙ্গলবারই টাকা তছরুপের মামলায় জেরা করা হয় সোনিয়ার জামাই রবার্ট বঢরাকে। তার পরেই সোনিয়া-রাহুলের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে ইডি।

    ইডির চার্জশিট (National Herald Case)

    চলতি মাসের শুরুর দিকে ন্যাশলান হেরাল্ড মামলায় আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছিল ইডি। সেটি পর্যালোচনা করেন বিশেষ বিচারক বিশাল গগনে। সেটি গৃহীত হওয়ার পরে স্থির হয় এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৫ এপ্রিল। বিশেষ বিচারক জানান, ওই দিন কেস ডায়েরি দাখিল করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে ইডির তদন্তকারী অফিসার ও ইডির আইনজীবীকে।প্রসঙ্গত, ১১ এপ্রিল থেকে ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্রের প্রকাশনা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড এবং মালিক সংস্থা ইয়ং ইন্ডিয়ানের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে ইডি। দিল্লি, মুম্বইয়ের বান্দ্রার বেশ কিছু জায়গা, লখনউয়ের বিশেশ্বর নাথ রোডের এজেএল বিল্ডিং খালি করার জন্য বিজ্ঞপ্তিও সেঁটে দেওয়া হয়েছে।

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলার সূত্রপাত

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলার (National Herald Case) সূত্রপাত বিজেপির সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর করা মামলা থেকে। তাঁর অভিযোগ, ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্রের প্রকাশনা সংস্থা এজেএলের বাজারে কোটি কোটি টাকার দেনা ছিল তাদের। এর সিংহভাগ টাকাটাই কংগ্রেসের কাছ থেকে নেওয়া। ২০০৮ সালে প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায় সংবাদপত্রটির। সেই অবস্থায় সংস্থাটি অধিগ্রহণ করেন সোনিয়া, রাহুল এবং শীর্ষস্থানীয় কংগ্রেস নেতাদের ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি সংস্থা। এরপর ন্যাশনাল হেরাল্ডের কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি ইয়ং ইন্ডিয়ানের দখলে চলে আসে। কোটি কোটি টাকা দেনার দায়ও চাপে তাদের ঘাড়ে। এর কিছুদিন পরে দেনার টাকা উদ্ধার করা সম্ভব নয় বলে কারণ দেখিয়ে কংগ্রেসের তরফে ঋণের টাকা (ED) মকুব করে দেওয়া হয়। ২০২১ সালে এই টাকা নয়ছয়ের তদন্ত শুরু করে ইডি (National Herald Case)।

  • Baewar Rape Case: “রাজস্থানের বিজয়নগরে ধর্ষণের ঘটনা সুপরিকল্পিত অপরাধ”, বলছেন আইনজীবী

    Baewar Rape Case: “রাজস্থানের বিজয়নগরে ধর্ষণের ঘটনা সুপরিকল্পিত অপরাধ”, বলছেন আইনজীবী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাজস্থানের বেয়ারের বিজয়নগর এলাকার ধর্ষণের ঘটনা (Baewar Rape Case) একটি সুপরিকল্পিত অপরাধ।” অন্তত এমনই দাবি ওই মামলার এক আইনজীবীর। সম্প্রতি ওই এলাকার একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে (Organised Crime)। ঘটনাটি হল দশম শ্রেণীর অপ্রাপ্তবয়স্ক কয়েকজন হিন্দু মেয়েকে ফাঁসিয়ে কয়েকজন মুসলিম ছেলে ধর্ষণ করেছে। অশ্লীল ছবি দিয়ে তাকে ব্ল্যাকমেলও করা হয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল, হিন্দু এই মেয়েদের ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হতে বাধ্য করা ও পরে বিয়ে করা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ৪ নাবালক-সহ গ্রেফতার করা হয়েছে ১৪ জন অভিযুক্তকে।

    নির্যাতিতাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন আইনজীবী (Baewar Rape Case)

    নির্যাতিতাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন আইনজীবী গোপাল নারায়ণ শর্মা। তিনি বলেন, “সমাজের সর্বস্তরের মানুষদের নিয়ে একটি সমাবেশ হয়। এই সমাবেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ১,০০০ থেকে ১,৫০০ মানুষ অংশ নেন। সেখানে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা ও তাদের পক্ষে ন্যায়বিচার আদায়ের জন্য সর্ব সমাজ সংগ্রাম সমিতি নামে একটি কমিটি গঠন করা হয়। আমিও এই কমিটির সদস্য হই। বর্তমানে এই মেয়েদের আইনি সহায়তা দেওয়া, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং মামলাগুলির তদন্তে সহায়তায় এই কমিটি সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।” ওই আইনজীবী বলেন, “অভিযুক্তরা (মুসলিম) সব মেয়েকে এক সঙ্গে ফাঁদে ফেলেনি। প্রথমে তাদের এক একজন এক একটি মেয়েকে স্কুলে যাওয়ার পথে বাইকে চড়ে পিছু নিত। এই সময় কাগজের চিরকুট ফেলতে ফেলতে যেত। বন্ধুত্বের জন্য বারবার তাদের আবেদন নিবেদন করত। কিশোরীরা একবার তাদের জালে আটকা পড়লে, তাদের ক্যাফেতে নিয়ে গিয়ে খাবার খাওয়ানো হত। তাতে মেশানো হত মাদক। তোলা হত ছবি। সেই সব ছবি দেখিয়ে অন্য মেয়েদেরও ফাঁদে ফেলা হত। এভাবেই এই চক্র চলানো হত।”

    মহিলাদের আকর্ষণ করতে দাঁড়কাকের ময়ূর সাজা!

    এই মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত (Baewar Rape Case) পাঁচ কিশোরী এগিয়ে এসেছে। আরও অনেক মেয়েই রয়েছে যারা মান-সম্মান খোয়ানোর ভয়ে কথা বলতে চাইছে না। তাদের (Organised Crime) পরিবারও ভীত-সন্ত্রস্ত্র। অপরাধীরা প্রত্যেকেই শ্রমিক শ্রেণির। আর মেয়েরা সম্ভ্রান্ত পরিবারের সদস্য, পড়াশোনায়ও বেশ ভালো। শর্মা বলেন, “অভিযুক্তরা সাধারণ পারিবারিক পটভূমি থেকে উঠে আসা সত্ত্বেও, তারা বিলাসবহুল জীবনযাপন করে — দামি পোশাক, হাই-এন্ড জুতো, ডিজাইনার সানগ্লাস ও বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহার করে। মেয়েদের আকর্ষণ করতে তারা এগুলো করে। একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের সংগঠন সিস্টেমেটিকভাবে হিন্দু মেয়ে ও মহিলাদের টার্গেট করে এবং এই যুবকদের মাধ্যমে তাদের প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করে।” তিনি জানান, ওই মেয়েদের জোরপূর্বক হিজাব পরতে বাধ্য করা হয়েছিল, রমজানে রোজা রাখতেও চাপ দেওয়া হয়েছিল। বিয়ে করার অজুহাতে তাদের ধর্মান্তরিত হতে বাধ্য করা হয়েছিল। কোনও মেয়ে প্রতিবাদ করলে অভিযুক্তরা তাদের হাতে থাকা ছুরি দিয়ে টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলার হুমকি দিত। তাদের পরিবারেরও একই পরিণতি হবে বলেও ভয় দেখাত।

    পায়ে কালো সুতো বাঁধা

    শর্মা বলেন, “ওই মেয়েদের মোবাইল ফোন ছিল না। তারা তাদের বাবা-মায়ের ফোন ব্যবহার করত। তবে মুসলিম যুবকেরা তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ছোট চিনা মোবাইল ফোন কিনে দিত। এই ফোন এতই ছোট যে সহজে চোখে পড়ে না। সব মেয়েকে একই ব্র্যান্ড ও মডেলের ফোন দেওয়া হয়েছিল, যাতে তারা একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারে। মেয়েদের হাত ও পায়ে কালো সুতো বাঁধা থাকত। এই সুতো তাদের মানসিক অবস্থাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করত। সুতো খুলে নেওয়ার পর তারা স্বাভাবিক হয়ে যেত (Baewar Rape Case)।”

    ক্যাফেতে যৌন নির্যাতন

    শর্মা জানান, যে মেয়েদের ক্যাফেতে ডাকা হয়েছিল, তাদের যৌন নির্যাতন করা হয়েছিল। তিনি বলেন, “আমরা আরও কয়েকজন নির্যাতিতার মা-বাবার কাছ থেকে তথ্য পেয়েছি। আমাদের কমিটির সদস্যরা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তাঁরা সবাই অত্যন্ত ভীত। মুসলিম ছেলেদের পিছনে একটি গোষ্ঠী আছে, যারা তাদের বিলাসবহুল জীবনযাত্রায় অর্থায়ন করছে। তারা এই মেয়েদের বলত যে একজন ব্রাহ্মণ মেয়েকে হিন্দু ধর্ম থেকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করলে ২০ লাখ টাকা পাওয়া যাবে, আর এসসি-এসটি বা ওবিসি পরিবারের মেয়েকে ধর্মান্তরিত করলে ১০ লাখ টাকা দেওয়া হবে। সংগঠনটি এই অর্থকে পুরস্কার হিসেবে টোপ দিয়ে তাদের উৎসাহিত করত।” তিনি ঘটনাটিকে সংঘবদ্ধ অপরাধ বলে উল্লেখ করে জানান, এ বিষয়ে কোনও তদন্ত হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না। কারা অর্থায়ন করছে তা নিয়েও অনুসন্ধানের অভাব রয়েছে। তিনি বলেন, “তদন্তে ওয়াসিমের ছেলে রেহানের নাম উঠে আসে। পরে পুলিশ তাকে আটক করে। তবে যেসব মেয়ের সঙ্গে সে কথা বলছিল, তারা সাহস করে এগিয়ে না আসায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এই সুযোগে সে অন্য নির্যাতিতাদের পরিবারকেও ভয় দেখাচ্ছে।”

    মামলা প্রত্যাহারে চাপ!

    শর্মা জানান, নির্যাতিতাদের পাশে দাঁড়ানো এবং মামলায় জড়িত ব্যক্তিরা প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে পারেন এমন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। মেয়েদের পরিবারকেও মামলা প্রত্যাহারে চাপ দেওয়া হচ্ছে (Organised Crime)। তিনি বলেন, “আমাদের দাবি হল তদন্তকে সংঘবদ্ধ অপরাধের দিকে নিয়ে যাওয়া (Baewar Rape Case)। যেসব যুবককে আটক করা হয়েছে, তারা একটি বৃহত্তর অপারেশনের কয়েকটি গুটি মাত্র। আশ্চর্যের বিষয়, কর্তৃপক্ষ সংগঠন চালানো মূল হোতাদের বা অর্থায়নকারীদের প্রকাশ্যে আনছেন না।”  নির্যাতিতাদের আইনজীবী বলেন, “কাফেতে যাতে হঠাৎ করে কেউ ঢুকে পড়তে না পারে, তাই ফুটপাথে বাঁশের লাঠি ও অন্যান্য জিনিসপত্র ডাঁই করে রাখা হয়েছিল। রাস্তায় রাখা হয়েছিল একটি বিরাট বুলডোজার। এলাকাটি বুলডোজার দিয়ে পরিষ্কার করা হয়েছিল, যদিও সেটি হাতে করেই পরিষ্কার করা যেত। এটি করা হয়েছিল সাধারণ মানুষের চোখে ধুলো দিতে।” মামলাটিকে তিনি সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানান। তাঁর মতে, এতে করে মূল ফোকাস থাকবে সংগঠিত অপরাধের ওপর।

    লাভ জিহাদ” ও “গ্রুমিং জিহাদ”!

    শর্মা বলেন, এই মামলাটির সঙ্গে ১৯৯২ সালের আজমেঢ় ধর্ষণ মামলার লক্ষণীয় মিল রয়েছে। দুটিরই প্যাটার্ন একই। এই ঘটনায় মেয়েরা অসাধারণ সাহস দেখিয়েছ। যার জন্য ভিলওয়াড়ার এক মহিলাও এগিয়ে আসতে উৎসাহিত হয়েছিলেন। তাঁকেও আটজন মুসলিম যুবক একই রকমভাবে নির্যাতন করেছিল। তাঁকেও মাদক সেবন করানো হয়েছিল। তাঁরও ছবি তোলা হয়েছিল এবং তারপর তাঁকে ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছিল। এই পুনরাবৃত্ত প্যাটার্নটি ইঙ্গিত করে যে আমরা সংগঠিত অপরাধের মুখোমুখি হয়েছি, যার পেছনে একটি সংগঠন কাজ করছে।” শর্মা এই ঘটনাকে (Organised Crime) “লাভ জিহাদ” ও “গ্রুমিং জিহাদ” হিসাবে বর্ণনা করেন। তাঁর দাবি, অভিযুক্ত যুবকরা মেয়েদের মিথ্যা পরিচয় দিয়ে প্রলুব্ধ করেছিল এবং তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল মেয়েদের ধর্মান্তরিত করে জোরপূর্বক বিয়ে করতে বাধ্য করা (Baewar Rape Case)।

  • Hanuman Jayanti: হনুমান জয়ন্তীতে অভূতপূর্ব কর্মযজ্ঞ! বর্ণাঢ্য আয়োজনে উৎসবের আমেজ

    Hanuman Jayanti: হনুমান জয়ন্তীতে অভূতপূর্ব কর্মযজ্ঞ! বর্ণাঢ্য আয়োজনে উৎসবের আমেজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হনুমান জয়ন্তী (Hanuman Jayanti) উপলক্ষে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে। বারইপুরের সদাব্রত ঘাটের কাছেই রয়েছে হনুমানজির এই মন্দির। হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। টানা দু’দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে এলাকায় উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো।

    বিশেষ পুজো (Hanuman Jayanti)

    শনিবার হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছিল বিশেষ পুজোর। স্থানীয়দের বিশ্বাস, এই মন্দিরের হনুমানজি ভক্তদের মনস্কামনা পূরণ করেন। তাঁদের কাছে এই মন্দিরের বিগ্রহ অত্যন্ত জাগ্রত। তাই এদিন সকাল থেকেই মন্দিরে কার্যত ভক্তদের ঢল নেমেছিল (West Bengal)। মন্দির কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে ছোটদের জন্য বসে আঁকো প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। স্থানীয় ছেলেমেয়েরা সেই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় (Hanuman Jayanti)।

    হনুমানজির মহা-অভিষেক

    হনুমান জয়ন্তীর ঠিক আগের দিন মন্দিরে হনুমানজির মহা-অভিষেক হয়। এদিন বিগ্রহকে ডাবের জল, ঘি, মধু ও অন্যান্য ফলের রস দিয়ে মহাস্নান করানো হয়। বিকেলে মন্দির চত্বরে বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের সাহায্য করা হয়। ভক্তিমূলক নানা অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছিল। ১২ এপ্রিল ছিল হনুমান জয়ন্তী। এদিন সকাল থেকে মন্দিরে হয়েছে বিশেষ পুজোপাঠ। হয়েছে নাম সংকীর্তনও। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইসকনের সাধু- সন্ন্যাসীরা। সব মিলিয়ে হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে বারইপুরের পুরাতন বাজারের এই এলাকা রীতিমতো উৎসবের আকার নিয়েছিল (Hanuman Jayanti)।

    উদ্যোক্তারা জানান, হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে তাঁদের এই বিশেষ কার্যক্রমের পাশাপাশি বছরভর নানা সামাজিক কর্মসূচিও পালন করেন তাঁরা। বছরের বিভিন্ন সময় গরিব ও দুঃস্থ মানুষদের পাশে দাঁড়ান তাঁরা। শীতকালে দুঃস্থদের শীতবস্ত্র বিলি করা হয়। এবার হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে এলাকার গরিব মানুষদের পাশে থাকতে বেশ কিছু কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। এলাকার বহু দুঃস্থ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে মশারি। স্থানীয়দের বিশ্বাস, অপার ভক্তি এবং অসীম শ্রদ্ধায় হনুমানজির কাছে যা চাওয়া যায়, দেবতা তা পূরণ করেন। সেই কারণেই এবারও ব্যাপক ভিড় হয়েছিল (West Bengal) অনুষ্ঠানের দিনগুলোয় (Hanuman Jayanti)।

  • Rongali Bihu: অসমে শুরু ঐতিহ্যবাহী রঙ্গোলি বিহুর, জানেন এই উৎসব সম্পর্কে?

    Rongali Bihu: অসমে শুরু ঐতিহ্যবাহী রঙ্গোলি বিহুর, জানেন এই উৎসব সম্পর্কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ১৪ এপ্রিল। ফের একবার বিহু উৎসবে মেতেছেন অসমিয়ারা (Assam)। উত্তর-পূর্বের রাজ্য অসমে বছরে একাধিকবার বিহু (Rongali Bihu) উৎসব পালিত হয়। প্রতিটি বিহুর আলাদা নাম, উদ্দেশ্যও পৃথক। ১৪ এপ্রিল যে বিহু শুরু হয় তার নাম রঙ্গোলি বিহু বা বোহাগ বিহু। বাঙালির নববর্ষ পালিত হয় ১৫ এপ্রিল। তার ঠিক একদিন আগেই সূচনা হয় রঙ্গোলি বিহু উৎসবের। এই উৎসবের মাধ্যমে কৃষকরা ভালো ফসল কামনা করেন। ভালো ফসলের জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদও জানান। ঐতিহ্যগতভাবে এই সময় কৃষকরা তাঁদের নতুন ফসল অগ্নিদেবের উদ্দেশে উৎসর্গ করেন। উল্লেখ্য যে, রঙ্গোলি বিহু কেবল একটি ঋতুগত উৎসব নয় – এটি অসমের কৃষিভিত্তিক ঐতিহ্য, আধ্যাত্মিক রীতিনীতি এবং শিল্পসমৃদ্ধ উত্তরাধিকারের প্রাণবন্ত একটি অভিব্যক্তি।

    বিহুর ব্যাপ্তি (Rongali Bihu)

    বর্তমানে বিহুর ব্যাপ্তি ছড়িয়ে পড়েছে দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও। অসমের পাশাপাশি দিল্লি, গুরগাঁও, বেঙ্গালুরুর মতো দেশীয় শহরগুলো যেমন রয়েছে, তেমনি আমেরিকা এবং ব্রিটেনের মতো বিদেশেও প্রবাসী অসমিয়ারা বিহু উপলক্ষে আয়োজন করে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা, বিহু নৃত্য পরিবেশন এবং ঐতিহ্যবাহী ভোজের। উৎসবের রঙে সেখানেও মাতোয়ারা হয়েছে অসমের সংস্কৃতি। রঙ্গোলি বিহু ১৪ এপ্রিল শুরু হয়ে শেষ হয় ২০ এপ্রিল। এই ক’দিন অসমবাসী নাচ-গান-খাওয়া-দাওয়ায় ব্যস্ত থাকে। সাতদিন ব্যাপী এই উৎসবে কেবল পরিবারের সদস্যরাই নন, গৃহপালিত পশুরও পুজো করা হয়।

    গরু বিহু

    রঙ্গোলি বিহু উৎসবের সূচনা হয় গরু বিহু দিয়ে। এপ্রিল মাসের বিহুর এটিই প্রথম দিন। এদিন গবাদি পশুকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। কারণ এই গরুই গ্রামীণ অর্থনীতির মেরুদণ্ড। তাই গবাদি পশুর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয় এই বিহুর প্রথম দিন। ডিব্রুগড়ের মতো জেলাগুলিত, নগাঁও, জোরহাট এবং লখিমপুরে কৃষকরা তাঁদের গরুকে স্নান করিয়ে প্রাচীন রীতিনীতি পালন করেন। এদিন কালো ছোলা বাটা এবং হলুদ মেশানো জলে স্নান করানো হয় গরুকে। ধুবড়ি থেকে সাদিয়া অসমজুড়ে, বিশেষ (Rongali Bihu) করে গ্রামীণ এলাকায়, গরুগুলিকে নিয়ে যাওয়া হয় নিকটবর্তী নদী এবং পুকুরগুলিতে। সেখানেই হাতে তৈরি ওষধি মিশ্রিত জলে পবিত্র স্নান করানো হয় গবাদি পশুগুলিকে। বছরভর (Assam) গরুরা যাতে সুস্থ থাকে, সেই কামনাও করা হয়।

    ভিড়ে ভিড়াক্কার বাজার

    রঙ্গোলি বিহু উপলক্ষে জমে উঠেছে অসমের বিভিন্ন বাজার। গুয়াহাটিতে বাজারে বিক্রি হচ্ছে দই, চিড়া (চ্যাপ্টা করে ভাজা) এর মতো উৎসবের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। পিঠে, গুড় এবং আইকনিক গামছাও বিক্রি হচ্ছে দেদার। অসমে আতিথেয়তা ও পরিচয়ের প্রতীক এই হস্তনির্মিত গামছা। খানাপাড়ার স্থানীয় বিক্রেতা জ্যোতি কলিতা বলেন, “বিহু এমন একটি উৎসব যা মানুষকে একত্রিত করে। বাজার থেকে মণ্ডপ পর্যন্ত, সর্বত্র ভিড়ে ভিড়াক্কার। সবাই খুব খুশি।” এ বছর ১৪ এপ্রিল পালিত হচ্ছে রঙ্গোলি বিহু। এবার মেষ সংক্রান্তির সঙ্গে মিলে গিয়েছে। এই বিহু নতুন কৃষি চক্রের সূচনা করে। অসমিয়াদের বিশ্বাস, এই দিনে ভগবান বিষ্ণু একজন সাধারণ কৃষকের বেশে পৃথিবীতে এসে জমি ও মানুষের ওপর আশীর্বাদ বর্ষণ করেন।

    রঙ্গোলি বিহুর তিনটি পর্যায়

    রঙ্গোলি বিহু তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত। প্রথমে হয় রঙ্গোলি বিহু। এতে ঘর সাজানো, কৃষি উপকরণ কেনা এবং চালের গুঁড়ো দিয়ে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ আলপনা অঙ্কন করা হয়। প্রথম দিন পালিত হয় গরু বিহু। এদিন গবাদি পশুর পরিচর্যা ও শুদ্ধিকরণ অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। এই অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে থাকে মানুহ বিহু। উৎসবের এই পর্যায়টি মানুষকে উৎসর্গীকৃত। পরিবারের সদস্যরা ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে, শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। ছোটরা বড়দের আশীর্বাদ নেন। ভালোমন্দ ভোজের আয়োজন করা হয় এই পর্বে। এই পর্বেই পালিত হয় হুসোরিএই সময় যুবকরা দল বেঁধে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিহু গান গেয়ে (Rongali Bihu) বৃদ্ধদের কাছ থেকে আশীর্বাদ প্রার্থনা করেন।

    বিহু কেবল একটি উৎসব নয়

    রঙ্গোলি বিহু কেবল একটি উৎসব নয়, তার চেয়েও বেশি কিছু। এটি এমন একটি আবেগময় সূত্র, যা প্রতিটি অসমিয়ার হৃদয়কে তাঁদের শিকড়ের সঙ্গে বেঁধে রাখে, তা সে ধেমাজির একটি দুর্গম গ্রামেই হোক (Assam) বা গুড়গাঁওয়ের একটি সুউচ্চ অভিজাত অ্যাপার্টমেন্টেই হোক। মধুর বিহু গীত, তালবদ্ধ ঢোলের আওয়াজ এবং মর্যাদাপূর্ণ নৃত্য পরিবেশনার মাধ্যমে অসমিয়ারা এই উৎসব পালন করেন। বস্তুত, উৎসবে দিনগুলি অসমিয়া লোককাহিনি, শিল্পকলা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির একটি জীবন্ত আর্কাইভে পরিণত হয় (Rongali Bihu)। অসম যখন হাসি, সঙ্গীত এবং পবিত্র ঐতিহ্য নিয়ে নতুন বছরে প্রবেশ করে, তখন রঙ্গোলি বিহুর চেতনা অবিরাম তার মানুষের সাংস্কৃতিক ঐক্য ও সহনশীলতাকে ফের নিশ্চিত করে। সবুজ ধানের ক্ষেত থেকে শুরু করে বিদেশের ডিজিটাল মঞ্চ পর্যন্ত সর্বত্রই প্রতিধ্বনিত হয় “বিহু নাম”টি। যা আদতে একটি (Assam) একক বার্তা নিয়ে অনুরণিত হয়: জীবন, ভূমি এবং ঐতিহ্যের এক উৎসব (Rongali Bihu)।

  • Hindus Under Attack: ভারত ও বিদেশে চলছে হিন্দুদের ওপর নিদারুণ আক্রমণ, এক সপ্তাহের খতিয়ান দেখলে চমকে যাবেন

    Hindus Under Attack: ভারত ও বিদেশে চলছে হিন্দুদের ওপর নিদারুণ আক্রমণ, এক সপ্তাহের খতিয়ান দেখলে চমকে যাবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও বিদেশে হিন্দু ও হিন্দু ধর্মের ওপর ক্রমাগত নিদারুণ আক্রমণ (Hindus Under Attack) চলছে। বিশ্বের বহু অঞ্চলে এই নির্যাতন ধীরগতিতে সংঘটিত একটি গণহত্যার মতোই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে (Roundup Week)। হিন্দুবিদ্বেষী সংকীর্ণ মানসিকতার কারণে দশকের পর দশক ধরে বিশ্ব এই আক্রমণের প্রকৃত গভীরতা ও ব্যাপ্তিকে উপেক্ষা করে এসেছে। হত্যা, জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ, জমি দখল, উৎসব-অনুষ্ঠানে হস্তক্ষেপ, মন্দির ও মূর্তি অপবিত্রকরণ, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, যৌন হিংসা থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি বৈষম্য পর্যন্ত – হিন্দুরা তাঁদের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান আক্রমণের পাশাপাশি অভূতপূর্ব হিন্দুবিদ্বেষের মুখোমুখি হচ্ছেন। চলতি বছরের ৬ এপ্রিল থেকে ১২ এপ্রিল এই সাতদিনে বিশ্বজুড়ে হিন্দুদের ওপর সংঘটিত অপরাধগুলির দিকে আমরা একবার চোখ বুলিয়ে নিই।

    ভারত (Hindus Under Attack)

    উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙার বারগুম কাচারি বাড়ি এলাকায় অগ্রদূত ক্লাব আয়োজিত বাসন্তী পুজোর প্যান্ডেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। আগুনে পুড়ে যায় প্রতিমাগুলি। ‘প্রার্থনা সভা’ বা ‘স্বাস্থ্য উদ্ধার সভা’র অছিলায় স্থানীয় হিন্দুদের জবরদস্তিমূলক খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগে এক পাদ্রি-সহ ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সরকান্ডা থানার বাহাতরাই অঞ্চলের ঘটনা। দাগী আসামি ওয়াজিদ শাহেনশা রামনবমী উদযাপনে বিঘ্ন ঘটাতে বিজেপির পতাকা ছিঁড়ে ফেলে। গালিগালাজও করে। আহমেদাবাদের দানিলিমদার ঘটনা। পুনের কোঠরুডে একটি ইউনিসেক্স সেলুনের বিরুদ্ধে ইসলামিক ধর্মান্তর ও লাভ জিহাদে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। একটি ভিডিওয় সত্য সনাতন ধর্ম নামক সংগঠনের সদস্যদের জাভেদ ও আরমান নামে দুই মুসলমানকে এক হিন্দু মেয়েকে কালমা পড়তে বাধ্য করা হতে দেখা গিয়েছে।

    হিংসাত্মক বিক্ষোভ

    ওয়াকফ আইন ২০২৫ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ইসলামিস্টদের দ্বারা হিংসাত্মক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। মালদার নিমতিতা স্টেশন ছিল এই অশান্তির ভরকেন্দ্র। এখানে ইসলামিস্টরা “আল্লাহু আকবর” ধ্বনি দিয়ে রেল ট্র্যাক দখল করে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দয়ে বলে অভিযোগ। উত্তরপ্রদেশের উননাওয়ে ওয়াকফ বিল নিয়ে তর্কে জড়িয়ে এক ক্যাব ড্রাইভার ওয়াসিম ও তার সহযোগীরা এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসারকে আক্রমণ করে। অবসরপ্রাপ্ত ওই কর্নেলের নাম সূর্য প্রতাপ সিং। জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় আম আদমি পার্টির বিধায়ক মেহরাজ মালিকের হিন্দুদের লক্ষ্য করে আপত্তিজনক মন্তব্য করার পর হাতাহাতি হয়। বিজেপি বিধায়কদের প্রতিবাদে সভা স্থগিত করতে বাধ্য হয়। ঠাকুরগাঁও জেলায় ইসলামিস্টরা একটি শ্মশানের জমি দখলের চেষ্টা করে। অভিযোগ, শ্মশানে প্রিয়জনের দেহ সৎকার করতে যাওয়া হিন্দুদের ওপর হামলা চালায় ইসলামিস্টরা (Hindus Under Attack)।

    নাবালিকাকে ধর্ষণ

    পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মন্তাজ হোসেন নামে এক যুবক হিন্দু নাবালিকাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। কলকাতার নিউ টাউন এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বারাণসীতে এক ছাত্রীকে টানা ছ’দিন ধরে যৌন নির্যাতন করা হয়। ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই ইসলামিস্ট। বিহারের সারণের রেওয়েলগঞ্জ এলাকায় একটি নির্মীয়মাণ গির্জা ভেঙে ফেলেন স্থানীয়রা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, খ্রিস্টান মিশনারিরা লোভ দেখিয়ে তাঁদের জোরপূর্বক খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করছিল (Roundup Week)।

    ইউটিউবারকে হুমকি

    হিমাচলের উনা জেলার ইউটিউবার রোহিত কাটওয়ালকে খালিস্তানপন্থী গোষ্ঠীগুলি হুমকি দেয়। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ আজমগড়ের আহিরৌলা থানা এলাকার আরুশা গ্রামে একটি বাড়ির ভিতরে বড় ধরনের খ্রিস্টান ধর্মান্তরের পর্দা ফাঁস করেছে। গুজরাটের আহমেদাবাদে ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে মুসলিম জনতা রাস্তায় নমাজ আদায় করে। তারা ‘মসজিদ কেড়ে নেওয়া হবে’ এই স্লোগান দিয়ে উত্তেজনা বাড়ায়। ওয়াকফ সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের নামে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে হিন্দুদের ওপর হিংসার ঘটনা ঘটছে। জাফরাবাদ এলাকায় দুজন হিন্দু নিহত হন। ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের নামে মুসলিম জনতা সামশেরগঞ্জেই এক হিন্দু দম্পতির দোকানে হামলা চালায় (Hindus Under Attack)।

    পাকিস্তান

    পাকিস্তানের হিন্দু নাবালিকাদের অপহরণ, ধর্ষণ, জোর করে ধর্মান্তরকরণ ও বিয়ের ঘটনা সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। কেবল সিন্ধ প্রদেশেই প্রতি বছর কমপক্ষে ১০০০ সংখ্যালঘু মেয়ে এই ধরনের যৌন দাসত্বের শিকার হয়। হিন্দু মন্দিরে নিয়মিত হামলাও হয়। সিন্ধের উমরকোট জেলার ২০ বছরের যুবক সুরজ কুমার রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়ার পর হঠাৎই মুহাম্মদ আলি নামে একজন নতুন ইসলামিক পরিচয় নিয়ে আবির্ভূত হন। সরকারি বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, নিখোঁজ থাকাকালে গুলজার খলিলে তিনি স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করেছেন (Roundup Week)।

    বাংলাদেশ

    বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নিরবচ্ছিন্ন হামলা হয়েই চলেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল বারাকাতের গবেষণা অনুযায়ী, প্রাতিষ্ঠানিক ও পদ্ধতিগত নিপীড়নের কারণে ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে একজনও হিন্দু অবশিষ্ট থাকবে না। মন্দির অপবিত্রকরণ, জমি দখল, মিথ্যা মামলার পর জনতার দ্বারা হামলা, ধর্ষণ, জবরদস্তি ধর্মান্তরকরণ এবং ঘৃণামূলক বক্তব্য হিন্দুদের বাংলাদেশ ছাড়তে বাধ্য করছে। টাঙ্গাইল জেলায় উন্মত্ত মুসলিম জনতা জনৈক অখিল চন্দ্র মন্ডলের বিরুদ্ধে ইসলাম অবমাননার অভিযোগ এনে তাঁকে পিটিয়ে (Hindus Under Attack) হত্যা করার চেষ্টা করে।

    কানাডা

    কানাডার অটোয়ায় ভারতীয় নাগরিক ধর্মেশ কাথিরিয়াকে খুন করেন এক শ্বেতাঙ্গ। আক্রমণকারী ধর্মেশের স্ত্রীকেও ছুরিকাঘাত করার চেষ্টা করেন। জানা গিয়েছে, আক্রমণকারী গিলস মার্টেল আগে ধর্মেশ ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে (Roundup Week) জাতিগত বিদ্বেষমূলক ও ভারত-বিরোধী মন্তব্য করেছিলেন (Hindus Under Attack)।

LinkedIn
Share