Tag: Bengali news

Bengali news

  • Suvendu Adhikari: কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত শুভেন্দুর, কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    Suvendu Adhikari: কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত শুভেন্দুর, কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবারই হিংসা কবলিত মুর্শিদাবাদে (Violence Hit Murshidabad) কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ। সেই কারণেই কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানান শুভেন্দু। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “রাজ্যপাল, মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের জন্য আমরা আবেদন করেছিলাম। আমি মুখ্যমন্ত্রীকেও অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু তিনি শুনলেন না। তাই আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিলাম। কলকাতা হাইকোর্টের প্রতি আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। আদালতের এই সিদ্ধান্তকে আমি স্বাগত জানাই।”

    কী বললেন শুভেন্দুর আইনজীবী

    প্রসঙ্গত, শনিবার (Suvendu Adhikari) হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকায় ঘটা সংঘর্ষ ও তিনজনের প্রাণহানির ঘটনার প্রেক্ষিতে জরুরি ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয়। এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী অনীশ মুখার্জি। তিনি জানান, গত কয়েকদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গজুড়ে, বিশেষত মুর্শিদাবাদে, হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে। অধিকারী একটি জনস্বার্থ মামলার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন এবং এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “রাজ্যজুড়ে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, যা নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ অপরিহার্য ছিল।”

    হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ

    হাইকোর্ট মমতা সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার উভয়কেই পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৭ এপ্রিল। আদালতের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, “মামলাটি শুনানির পর আদালত নির্দেশ দিয়েছে যে মুর্শিদাবাদে কেন্দ্রীয় বাহিনী অবিলম্বে মোতায়েন করতে হবে। রাজ্য প্রশাসন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সহায়তা করবে যাতে প্রাণহানি, আইন লঙ্ঘন বা কোনও ধরনের বিশৃঙ্খলা না ঘটে। এই জনস্বার্থ মামলাটি হাইকোর্ট গ্রহণ করেছে এবং ১৭ এপ্রিল এর আবার শুনানি হবে, যেখানে রাজ্য ও কেন্দ্র উভয়ই তাদের অবস্থান (Violence Hit Murshidabad) স্পষ্ট করে হলফনামা জমা দেবে।” এদিকে, পুলিশ জানিয়েছে, জেলায় ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন বিরোধী উত্তেজনার জেরে শুক্রবার রাতে মুর্শিদাবাদে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। একাধিক যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। বর্তমানে (Suvendu Adhikari) পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

  • Ramakrishna 323: “শুদ্ধাত্মা কিরূপ—যেমন চুম্বক পাথর অনেক দূরে আছে, কিন্তু ছুঁচ নড়ছে, চুম্বক পাথর চুপ করে আছে নিষ্ক্রিয়”

    Ramakrishna 323: “শুদ্ধাত্মা কিরূপ—যেমন চুম্বক পাথর অনেক দূরে আছে, কিন্তু ছুঁচ নড়ছে, চুম্বক পাথর চুপ করে আছে নিষ্ক্রিয়”

    দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ  

    সপ্তম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ২৬শে অক্টোবর
    মাতৃসেবা ও শ্রীরামকৃষ্ণ—হাজরা মহাশয়

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—ওর মা রামলালের কাছে অনেক দুঃখ করেছে; তাই বললুম, তিনদিনের জন্য না হয় যাও, একবার দেখা দিয়ে এসো; মাকে কষ্ট দিয়ে কি ইশ্বরসাধনা হয়? আমি বৃন্দাবনে রয়ে যাচ্ছিলাম, তখন মাকে মনে পড়ল; ভাবলুম—মা যে কাঁদবে; তখন আবার সেজোবাবুর সঙ্গে এখানে চলে এলুম।

    “আর সংসারে যেতে জ্ঞানীর ভয় কি (Kathamrita)?”

    মহিমাচরণ (সহাস্যে)—মহাশয়! জ্ঞান হলে তো।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে)—হাজরার সবই হয়েছে, একটু সংসারে মন আছে—ছেলেরা রয়েছে, কিছু টাকা ধার রয়েছে। মামীর সব অসুখ সেরে গেছে, একটু কসুর আছে! (মহিমাচরণ প্রভৃতি সকলের হাস্য)

    মহিমা—কোথায় জ্ঞান হয়েছে, মহাশয় (Ramakrishna)?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (হাসিয়া)—না— গো তুমি জান না। সব্বাই বলে, হাজরা একটি লোক, রাসমণির ঠাকুরবাড়িতে আছে। হাজরারই নাম করে, এখানকার নাম কেউ করে? (সকলের হাস্য)

    হাজরা—আপনি নিরুপম—আপনার উপমা নাই, তাই কেউ আপনাকে বুঝতে পারে না।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—তবেই নিরুপমের সঙ্গে কোন কাজ হয় না; তা এখানকার নাম কেউ করবে কেন?

    মহিমা—মহাশয়! ও কি জানে? আপনি যেরূপ উপদেশ দেবেন ও তাই করবে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—কেন, তুমি ওকে বরং জিজ্ঞাসা কর; ও আমায় বলেছে, তোমার সঙ্গে আমার লেনা-দেনা নাই।

    মহিমা—ভারী তর্ক করে (Kathamrita)!

    শ্রীরামকৃষ্ণ—ও মাঝে মাঝে আমায় আবার শিক্ষা দেয়। (সকলের হাস্য) তর্ক যখন করে, হয়তো আমি গালাগালি দিয়ে বসলুম। তর্কের পর মশারির ভিতর হয়তো শুয়েছি; আবার কি বলেছি মনে করে বেরিয়ে এসে হাজরাকে প্রণাম করে যাই, তবে হয় (Kathamrita)!

    বেদান্ত ও শুদ্ধাত্মা 

    (হাজরার প্রতি)—“তুমি শুদ্ধাত্মাকে ঈশ্বর বল কেন? শুদ্ধাত্মা নিষ্ক্রিয়, তিন অবস্থার সাক্ষিস্বরূপ। যখন সৃষ্টি, স্থিতি প্রলয় কার্য ভাবি তখন তাঁকে ঈশ্বর বলি। শুদ্ধাত্মা কিরূপ—যেমন চুম্বক পাথর অনেক দূরে আছে, কিন্তু ছুঁচ নড়ছে—চুম্বক পাথর চুপ করে আছে নিষ্ক্রিয়।”

  • BJP: “বাংলায় টার্গেটেড হিংসা চলছে, উসকানি দিচ্ছেন মমতা”, তোপ বিজেপির

    BJP: “বাংলায় টার্গেটেড হিংসা চলছে, উসকানি দিচ্ছেন মমতা”, তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলায় টার্গেটেড হিংসা চলছে এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই হিংসাকে উৎসাহিত, সমর্থন এবং উসকানি দিচ্ছেন। বাংলায় টার্গেটেড হিন্দুবিরোধী হিংসাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুরক্ষা দিচ্ছেন এবং তাকে উৎসাহিত করছেন।” ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদ (Anti Waqf Act Protests) করতে গিয়ে যেসব হিংসার ঘটনা ঘটছে রাজ্যে, সে সম্পর্কে এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপির (BJP) মুখপাত্র প্রদীপ ভাণ্ডারী।

    বিজেপির তোপ (BJP)

    তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বামী বিবেকানন্দের ভূমি, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির ভূমি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভূমিকে তোষণের ল্যাবরেটরিতে পরিণত করেছেন। পাশের রাজ্য অসমে সব শান্তিপূর্ণ, দেশের অন্যান্য অংশে শান্তি থাকলেও, বাংলায় কেন হিংসা হচ্ছে? কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এটাকে সমর্থন করছেন।” বিজেপির মুখপাত্র বলেন, “এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের মুখোশ খুলে গিয়েছে।” তিনি বলেন, “এক দিকে এসএসসি কেলেঙ্কারিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোশ খুলে যাওয়ায় পুলিশ-প্রশাসন লাঠি ও বেতন ব্যবহার করে। অন্যদিকে, মালদা, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ায় যখন সুনির্দিষ্টভাবে হিন্দুদের লক্ষ্য করে উগ্রপন্থী জনতা হামলা চালায়, তখন পুলিশ নিশ্চুপ হয়ে বসে থাকে। যখন তাদের ওপর পাথর ছোড়া হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তখন পুলিশ চুপচাপ বসে থাকে (Anti Waqf Act Protests)।” তিনি বলেন, “আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞেস করতে চাই, বাংলার হিন্দুদের শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা কি আপনার দায়িত্ব নয়? আইন-শৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়, এবং এজন্য সরাসরি দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”

    কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ

    এদিকে, মুর্শিদাবাদের (BJP) ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় অশান্তির অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার সেই মামলার শুনানি হল বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি রাজা বসু চৌধুরীর বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চে। ওই মামলায়ই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

    প্রসঙ্গত, ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে গত (BJP) কয়েক দিন ধরে মুর্শিদাবাদ-সহ বেশ কয়েকটি জেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। মুর্শিদাবাদের কিছু এলাকায় অশান্তিও ছড়িয়েছিল। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধও বাঁধে বিক্ষোভকারীদের। এই হিংসায় এ পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে বেসরকারি সূত্রের খবর (Anti Waqf Act Protests)।

  • Sukanta Majumdar: “এটা আন্দোলন নয়, হিংসাত্মক দাঙ্গা”, মুর্শিদাবাদে হিংসার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “এটা আন্দোলন নয়, হিংসাত্মক দাঙ্গা”, মুর্শিদাবাদে হিংসার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এটা আন্দোলন নয়। এটা হিংসাত্মক দাঙ্গা।” মুর্শিদাবাদে হিংসার (Murshidabad Incidents) ঘটনায় এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। শনিবার হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটিতে শ্রী শ্রী গোদাবাড়িশ্বরী শিব-কালী হনুমান মন্দিরে উপস্থিত হয়েছিলেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত। সেখানেই মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, “এটা আন্দোলন নয়। এটা হিংসাত্মক দাঙ্গা।” তাঁর অভিযোগ, মুর্শিদাবাদের যেখানে তাণ্ডব চলছে, সেখানে ঠিক থানার উল্টোদিকের একটি বড় হলে অস্ত্রশস্ত্র, বোমা ও বারুদ মজুত রেখেছে তাণ্ডবকারীরা। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এভাবে সনাতনীদের দমিয়ে রাখতে পারবেন না। একটা সময় সনাতনীরা আইন নিজের হাতে তুলে নিতে বাধ্য হবেন।” এদিন সুকান্ত মজুমদার কয়েকটি বাস এবং মোটরবাইকে গেরুয়া পতাকা লাগিয়ে দেন। শ্রী শ্রী গোদাবাড়িশ্বরী শিব-কালী হনুমান মন্দিরে হাজির ছিলেন কলকাতা উত্তর শহরতলি জেলার সভাপতি চণ্ডীচরণ রায়, যুব নেতা জয় সাহা প্রমুখ।

    রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তাণ্ডব (Sukanta Majumdar)

    ওয়াকফ আইনের বিরোধিতার নামে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠছে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে। মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। ওয়াকফ সংশোধনী বিরোধীরা জলঙ্গিতে বিডিও অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে সুকান্ত এই নিয়ে লেখেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলায় তথাকথিত ‘শান্তির দূত’রা – তোষণের পতাকাতলে লালিত সংখ্যালঘুরা চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। মুর্শিদাবাদের জলঙ্গিতে তাদের রোষে পুলিশ বাধ্য হয়েছিল পিছু হটতে। যানবাহন পুড়িয়ে দেওয়া হয় সেখানে এবং মুহূর্তের মধ্যে একটি সম্পূর্ণ বিডিও অফিস ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সেই বিডিও অফিসাররা, যাঁরা একসময় নির্বাচনের সময় এবং পরে দলীয় ক্যাডার হিসেবে কাজ করতেন, তাঁরা এখন হতবাক – আইনশৃঙ্খলা ভয়াবহ বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছে। এই আধিকারিকরা যে রাজ্যের সেবা করেন, সেই রাজ্যই তাঁদের নিরাপত্তা বা মর্যাদা দেয় না (Sukanta Majumdar)।”

    কী লিখলেন সুকান্ত?

    সুকান্ত আরও লেখেন, “এটা কেবল প্রশাসনিক ব্যর্থতা নয় – ভোট-ব্যাঙ্কের রাজনীতির বেদিতে যখন শাসনব্যবস্থাকে বলি দেওয়া হয়, তখন এটাই ঘটে। অফিসগুলি অনিরাপদ। সরকারি আধিকারিকদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তবুও শাসকগোষ্ঠী ধর্মনিরপেক্ষতার নামে বিশৃঙ্খলাকে আড়াল করছে। বাংলার রক্ত ​​ঝরছে। আর যারা একসময় এটা সম্ভব করেছিল, এই পরিস্থিতি তৈরি করতে সাহায্য করেছিল, তারাই এখন সেই নৈরাজ্যের শিকার। এটি নির্লজ্জ তুষ্টিকরণের মূল্য। এটাই ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) রাজনীতির ব্র্যান্ডের উত্তরাধিকার।”

    প্রাণ বাঁচাতে মসজিদে ঢুকে পড়ল পুলিশ!

    প্রসঙ্গত, সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদ আন্দোলনের জেরে ফের একবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad Incidents) বিস্তীর্ণ এলাকা। এর আগে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল জঙ্গিপুরে। এবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল সামশেরগঞ্জও। প্রতিবাদ আন্দোলনে পথে নেমে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশের ওপর ব্যাপক হামলা হয় বলে অভিযোগ। প্রাণ বাঁচাতে স্থানীয় মসজিদে আশ্রয় নেন একাধিক পুলিশ কর্মী (Sukanta Majumdar)।

    সড়ক অবরোধ  

    শুক্রবারের এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দুই যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে জঙ্গিপুর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে দাবি স্থানীয়দের একাংশের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় টহল দিচ্ছে বিএসএফ। জানা গিয়েছে, জঙ্গিপুরে উত্তেজনা ছড়ানোর পর থেকেই সতর্ক ছিল মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসন। নয়া আইন অনুসারে, এলাকায় জারি করা হয় ১৬৩ ধারা। যদিও শুক্রবার দুপুরে সামশেরগঞ্জের ডাকবাংলো মোড় থেকে সুতির সাজুর মোড় পর্যন্ত অংশে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। যার জেরে দীর্ঘক্ষণ ব্যাহত হয় যান চলাচল। পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে তাদের লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু হয় বলে অভিযোগ। লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে পুলিশ। এই সময় ব্যাপক বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ।

    ইটের ঘায়ে জখম পুলিশ কর্তা

    বিক্ষোভকারীদের ছোড়া ইটের ঘায়ে জখম হন ফরাক্কার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক-সহ একাধিক পুলিশ কর্মী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাটাতে হয় কাঁদানে (Murshidabad Incidents) গ্যাসের সেল। তাতেও শেষ রক্ষে হয়নি। প্রাণ বাঁচাতে কয়েকজন পুলিশ কর্মী স্থানীয় মসজিদে আশ্রয় নেন। ততক্ষণে বিক্ষোভ ভয়ঙ্কর আকার নিয়ে নিয়েছে। বিক্ষোভকারীদের রোষের আগুনে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে বাস। বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের সড়ক যোগাযোগ। বন্ধ করে দেওয়া হয় ফরাক্কা-আজিমগঞ্জ রুটের ট্রেন চলাচল। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে শেষমেশ নামানো হয় বিএসএফকে (Sukanta Majumdar)।

    কী বললেন শুভেন্দু?

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “আন্দোলনের নামে গুন্ডারা মুর্শিদাবাদ-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এই কাজ করছে। এর জন্য দায়ী মুখ্যমন্ত্রী (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়), যিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও, তিনি। আর পুলিশ (Murshidabad Incidents) দর্শকের মতো আচরণ করছে।”

  • Bangladesh Crisis: মৌলবাদীদের প্রবল চাপ, নাম বদলাল আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ঢাকার ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র

    Bangladesh Crisis: মৌলবাদীদের প্রবল চাপ, নাম বদলাল আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ঢাকার ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘদিনের এক প্রথা। প্রথার নাম ছিল ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ (Mongol Shobhayatra)। ইউনূস জমানায় মৌলবাদীদের হুমকির জেরে বদলে গেল নববর্ষের অনুষ্ঠানের সেই শোভাযাত্রার নাম (Bangladesh Crisis)। ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র বদলে নয়া নাম হল ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের তরফে এই নাম পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করা হয়। অনুষদের ডিন মহম্মদ আজহারুল ইসলাম শেখের দাবি, শুরুতে বর্ষবরণের এই অনুষ্ঠানের নাম ছিল ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’। অন্যান্যবারের চেয়ে এ বছরের শোভাযাত্রা আরও বড় আকারে হবে। তিনি জানান, ‘নববর্ষের ঐক্যতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’-এই বিষয়টিকে সামনে রেখে শোভাযাত্রায় বাংলাদেশের ২৮টি জনগোষ্ঠী অংশ নেবে।

    ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’কে স্বীকৃতি ইউনেস্কোর (Bangladesh Crisis)

    ১৯৮৯ সাল থেকে পয়লা বৈশাখে শোভাযাত্রার আয়োজন করা হচ্ছে বাংলাদেশে। এদিন লাখ লাখ বাঙালি অংশ নেন শোভাযাত্রায়। পেঁচা-সহ অশুভ নাশকারী বিভিন্ন প্রতীক দেখা যায় সেই শোভাযাত্রায়। শোভাযাত্রা শুরুর বেশ কয়েক বছর পরে বাংলাদেশে শুরু হয় স্বৈরাচারী বিরোধী আন্দোলন। তখন এই অনুষ্ঠানের নাম হয় ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’। ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর ইউনেস্কো এই ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’কে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। ফি বার রমনার ছায়ানট থেকে শুরু হয় এই অনুষ্ঠান। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে গিয়ে জাতীয় সঙ্গীতের মধ্যে দিয়ে শোভাযাত্রা শুরু হয়। শাহবাগ থেকে টিএসসিতে গিয়ে শেষ হয় শোভাযাত্রা।

    ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের বক্তব্য

    এবার বাংলাদেশের মৌলবাদীরা আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিল যে বাংলা নববর্ষ উদযাপনে তাদের কোনও আপত্তি না থাকলেও, ইসলাম অসমর্থিত কিছু থাকবে না। ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের অন্যতম মুখ আমির মুফতি সৈয়দ মহম্মদ ফয়জুল করিম বলেন, “কোনও শোভাযাত্রা করলে দেশবাসীর মঙ্গল হবে, এই বিশ্বাস বা ধারণা ইসলামের দিক থেকে গুনাহ্ (পাপ)। মূর্তি-সহ ইসলাম অসমর্থিত সবকিছু বাদ দিতে হবে। জোর করে চাপিয়ে দেওয়া যাবে না।”

    প্রাণহীন উৎসবের প্রস্তুতি

    ডিন সকলকে নিয়ে শোভাযাত্রার কথা বললেও, বাস্তব বলছে অন্য কথা। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এবার পয়লা বৈশাখের আগে আগে চারুকলার (Mongol Shobhayatra) শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং পড়ুয়া ও শিল্পীদের সেই চেনা ব্যস্ততা নেই। অন্যান্যবার মাসখানেক আগে থেকেই শুরু হয়ে যেত বর্ষবরণ উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রার কাজ। এবার তা হয়নি। হাতে গোনা কয়েকজন শিল্পীকে নিয়েই চলছে কাজ (Bangladesh Crisis)। পড়ুয়াদের একাংশের মতে, এবারের শোভাযাত্রার প্রস্তুতিতে মহিলাদের অংশগ্রহণ কার্যত নেই। এরকম প্রাণহীন চারুকলা অনুষদ আগে দেখা যায়নি। মঙ্গল শোভাযাত্রা আদতে হিন্দুদের জন্মাষ্টমীর ধর্মাচার। বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায় প্রতি বছরই তাদের দেবতা শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীতে সাড়ম্বরে মঙ্গল শোভাযাত্রা পালন করে থাকেন। সর্বজনীনতার নামে সেটা সকলের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

    সাজছে বাংলাদেশ

    আয়োজকরা জানান, শোভাযাত্রায় তুলে ধরা হবে আবহমান বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। সেই সঙ্গে গত বছর জুলাই-অগাস্টের অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে যে ফ্যাসিবাদকে বিদায় জানানো হয়েছে, সেই ফ্যাসিবাদের উত্থান যেন এই দেশে আর না হয়, সেই বার্তাও দেওয়া হবে। এবার শোভাযাত্রার মোটিফের মধ্যে থাকছে প্রায় ২০ ফুট উচ্চতার স্বৈরাচারের দৈত্যাকৃতি প্রতিকৃতি, ১৬ ফুট উচ্চতার ইলিশ মাছ, সোনারগাঁওয়ের ঐতিহ্যবাহী কাঠের বাঘ এবং শান্তির দূত পায়রাও। থাকছে হাতি, বাঘ, পেঁচা-সহ অন্যান্য পশুপাখির মুখোশও। চারুকলা প্রাঙ্গণে এখন চলছে সেসব মুখোশ ও প্রতিকৃতি তৈরির কাজ। এ ছাড়া চারুকলার সীমানা প্রাচীর সাজানো হচ্ছে রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী হাঁড়ির নকশা দিয়ে। ফুল-লতাপাতা আর পাখি দিয়ে সাজানো হচ্ছে দেওয়াল (Bangladesh Crisis)।

    কী বলছে ইউনূস প্রশাসনের তরফে জারি করা বিবৃতি

    ইউনূস প্রশাসনের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পয়লা বৈশাখ ঋতু সম্পর্কিত একটি বিষয়। এই অঞ্চলের মানুষের কৃষিকাজ, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিয়ে-শাদি সহ অনেক কিছুই ঋতুর সঙ্গে সম্পর্কিত। সেজন্য বাদশা আকবর ইসলামি বর্ষপঞ্জীকে ভিত্তি করে সৌরবর্ষ গণনার জন্য বাংলা সন প্রবর্তন করেছিলেন। এই সন প্রবর্তনের সঙ্গে মুসলামনদের ইতিহাস ঐতিহ্য জড়িত। একই সঙ্গে এই অঞ্চলের মানুষ হাজার বছর ধরে মুসলমান হওয়ার কারণে তাদের আচার প্রথা সংস্কৃতিতে ইসলাম-বিরোধী কোনও (Mongol Shobhayatra) কিছুর অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না। সেজন্য বাংলা নববর্ষ উদযাপনে কোনও আয়োজনে ইসলাম অসমর্থিত কিছু থাকা যাবে না।

    বাংলাদেশে নববর্ষের এই আয়োজন বরাবরই বর্ণিল। দলে দলে মানুষ বের হন রাস্তায়। আনন্দে-উচ্ছ্বাসে, রূপে-রংয়ে বরণ করা হয় বাংলা নতুন বছরকে। হাসিনা-উত্তর জমানায় তৈরি হয়েছে নয়া বাংলাদেশে। বদলে যাওয়া সেই বাংলাদেশের শোভাযাত্রায় কার্যত ফতোয়া জারি করল ‘ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ’ (Bangladesh Crisis)।

  • Mumbai Attacks: ‘‘নিহত লস্কর জঙ্গিদের বীরত্বের পুরস্কার দিক পাকিস্তান’’, মুম্বই হামলার পর হেডলিকে বলেছিলেন তাহাউর!

    Mumbai Attacks: ‘‘নিহত লস্কর জঙ্গিদের বীরত্বের পুরস্কার দিক পাকিস্তান’’, মুম্বই হামলার পর হেডলিকে বলেছিলেন তাহাউর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার এই জঙ্গিদের বীরত্বের জন্য পুরস্কার দিক পাকিস্তান।” মুম্বই হামলায় (Mumbai Attacks) জঙ্গিদের মৃত্যুর পর বন্ধু ডেভিড কোলম্যান হেডলিকে বলেছিলেন মুম্বই হামলার চক্রী তাহাউর রানা (Tahawwur Rana)। আমেরিকা রানাকে ভারতে প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত নথিতে এমনটাই জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিচার সংক্রান্ত দফতর। রানা ও তাঁর সহ-ষড়যন্ত্রী ডেভিড হেডলির মধ্যে যে কথোপকথন প্রকাশ করা হয়েছে, তাতেই জানা গিয়েছে, মুম্বই হামলার সময় যেসব জঙ্গি নিহত হয়েছিলেন, রানা লস্কর ই-তৈবার সেই জঙ্গিদের প্রশংসা করেছিলেন। তিনি প্রস্তাব দিয়েছিলেন, ওই জঙ্গিদের পাকিস্তানের সর্বোচ্চ বীরত্বের পুরস্কার নিশান–ই-হায়দার দেওয়া উচিত। যুদ্ধক্ষেত্র কিংবা প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলায় নিহত হলে পাকিস্তান সরকার সেনাবাহিনীর সদস্যদের নিশান-এ-হায়দর পুরস্কার দেয়। আমেরিকার দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই পুরস্কার মৃত ৯ জঙ্গিকে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন রানা।

    নিরীহ মানুষের মৃত্যুর পর উল্লাস প্রকাশ! (Mumbai Attacks)

    উল্লেখ্য, মুম্বইয়ে জঙ্গি হামলার পর নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল ৯ জন জঙ্গির। জীবিত অবস্থায় ধরা পড়েন কেবল আজমল কাসভ। পরে ২০১২ সালে তিহাড় জেলে ফাঁসি হয় তার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে, মুম্বইয়ের একাধিক জায়গায় ১০ জন লস্কর-ই-তৈবার সদস্যের হামলার পর রানা হেডলিকে বলেছিলেন, ‘‘ভারতীয়দের এটা পাওনা ছিল।’’ ১৬৬ জন নিরীহ মানুষের মৃত্যুর পর তিনি উল্লাসও প্রকাশ করেছিলেন বলেও জানিয়েছে মার্কিন বিচারবিভাগ।

    এনআইএ হেফাজতে তাহাউর

    প্রসঙ্গত, মুম্বইয়ের ওই হামলায় বিভিন্ন দেশের মোট ১৬৬ জন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছিল (Mumbai Attacks)। পাক বংশোদ্ভূত রানা বর্তমানে কানাডার নাগরিক। বছর চৌষট্টির রানা ১৯৯০ সালে পাকাপাকিভাবে কানাডায় চলে যান। পরে সেখানকার নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি রয়েছেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার(এনআইএ) হেফাজতে। তার আগে রানা বন্দি ছিলেন আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলেসের জেলে। বৃহস্পতিবার সন্ধে সাড়ে ৬টা নাগাদ রানাকে নিয়ে দিল্লি বিমানবন্দরে নামেন এনআইএ আধিকারিকরা। তাঁকে ভারতে ফেরানোর পরে এনআইএর তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০০৮ সালের ওই জঙ্গি হানার মূল ষড়যন্ত্রী ছিলেন রানা। বিবৃতিতে এনআইএ জানিয়েছে, ২৬/১১ মুম্বই জঙ্গি হানার মূলচক্রী তাহাউর হুসেন রানাকে বৃহস্পতিবার ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে (Tahawwur Rana)। ২০০৮ সালের ওই ঘটনায় মূল ষড়যন্ত্রীকে বিচারের আওতায় আনার জন্য বেশ কয়েক বছর ধরে চেষ্টা চলছিল।

    মুম্বই হামলার পরিকল্পনা

    রানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে এনআইএর সদর দফতরে ইতিমধ্যেই বিশেষ কক্ষ তৈরি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে স্থির হয়েছে, ১২ জন আধিকারিক মুম্বই হামলার এই চক্রীকে জেরা করবেন। লস্কর জঙ্গিদের হামলার আগে আলাদা আলাদা সময়ে মুম্বইয়ে রেকি করে গিয়েছিলেন ডেভিড হেডলি ও তাহাউর রানা। কানাডায় বাস করলেও, পাক সেনা ও আইএসআইয়ের সঙ্গে তাহাউর রানার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। হেডলিকে তিনি ভুয়ো ভিসার ব্যবস্থাও করে দিয়েছিলেন। মুম্বই হামলার পরেও তাহাউরের বড় পরিকল্পনা ছিল। তাঁর পরিকল্পনা ছিল, মুম্বইয়ে তাঁর ইমিগ্রেশন ব্যবসার শাখা খোলা। হেডলিকে সেই অফিসের ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগও করতে চেয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, মুম্বই হামলার দুবছর আগে শিকাগোয় একাধিকবার ডেভিড হেডলির সঙ্গে দেখা করেছিলেন তাহাউর। সেই সময়ই মুম্বই হামলার পরিকল্পনা করেছিল তারা।

    হেডলি এখনও আমেরিকায়

    জানা গিয়েছে, তাহাউর রানা ও ডেভিড হেডলি ছোটবেলার বন্ধু। বছরের পর বছর অপেক্ষার পর রানাকে শেষ পর্যন্ত ভারত হাতে পেলেও, হেডলি এখনও আমেরিকায়ই রয়েছে। এই হেডলিই ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী ও সরাসরি ভারতে এসে কমপক্ষে আটবার দফায় দফায় রেকি করে গিয়েছে (Tahawwur Rana)। কিন্তু রানাকে প্রত্যর্পণ করলেও, নানা অজুহাতে হেডলিকে এখনও ভারতের হাতে প্রত্যর্পণ করেনি আমেরিকা। মার্কিন আদালতে দোষী সাব্যস্ত করে সেখানকার গারদে পুরে রাখা হয়েছে। মার্কিন প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে, হেডলিকে প্রত্যর্পণ করা যাবে না। হেডলির আসল নাম দাউদ গিলানি। ভারত তাকে এই মামলায় নয়াদিল্লির হাতে তুলে দেওয়ার বারংবার দাবি জানালেও, আমেরিকা (Mumbai Attacks) প্রতিবারই ভারতের সেই অনুরোধে কান দেয়নি। এর কারণ ব্যাখ্যা করেছিলেন ভারতের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রসচিব জিকে পিল্লাই। তাঁর মতে, জঙ্গি হেডলি ডাবল এজেন্টের কাজ করতেন। তিনি একই সঙ্গে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এবং মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএর হয়ে কাজ করতেন।

    প্রসঙ্গত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতিতে মুম্বই হামলার ভূমিকা ও পৃথক ষড়যন্ত্রের জন্য বর্তমানে আমেরিকায় ৩৫ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন হেডলি। তাঁর সঙ্গে লস্কর-ই-তৈবার মধ্যে যে সরাসরি যোগাযোগ (Tahawwur Rana) ছিল, তাও বলা হয়েছে ওই বিবৃতিতে (Mumbai Attacks)।

  • Ramakrishna 322: “একবার বাড়িতে গিয়ে মার সঙ্গে দেখা করে এস, মাকে কষ্ট দিয়ে কখন ঈশ্বরকে ডাকা হয়?”

    Ramakrishna 322: “একবার বাড়িতে গিয়ে মার সঙ্গে দেখা করে এস, মাকে কষ্ট দিয়ে কখন ঈশ্বরকে ডাকা হয়?”

    দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ  

    সপ্তম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ২৬শে অক্টোবর
    মাতৃসেবা ও শ্রীরামকৃষ্ণ—হাজরা মহাশয়

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের (Ramakrishna) ঘরের পূর্ব বারান্দায় হাজরা মহাশয় বসিয়া জপ করেন। বয়স ৪৬।৪৭ হইবে। ঠাকুরের দেশের লোক। অনেকদিন হইতে বৈরাগ্য হইয়াছে—বাহিরে বাহিরে বেড়ান, কখন কখন বাড়িতে গিয়া থাকেন। বাড়িতে কিছু জমি-টমি আছে, তাতেই স্ত্রী-পুত্রকন্যাদের ভরণপোষণ হয়। তবে প্রায় হাজার টাকা দেনা আছে, তজ্জন্য হাজরা মহাশয় সর্বদা চিন্তিত থাকেন ও কিসে শোধ যায়, সর্বদা চেষ্টা করেন। কলিকাতায় সর্বদা যাতায়াত আছে, সেখানে ঠনঠনে নিবাসী শ্রীযুক্ত ঈশানচন্দ্র মুখোপাধ্যায় মহাশয় তাঁহাকে সাতিশয় যত্ন করেন ও সাধুর ন্যায় সেবা করেন। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁহাকে যত্ন করে রেখেছেন, কাপড় ছিঁড়ে গেলে কাপড় কিনে দেওয়ান, সর্বদা সংবাদ লন ও ঈশ্বরীয় কথা তাঁহার সঙ্গে সর্বদা হয়ে থাকে। হাজরা মহাশয় বড় তার্কিক। প্রায় কথা (Kathamrita) কহিতে কহিতে তর্কের তরঙ্গে ভেসে একদিকে চলে যেতেন। বারান্দায় আসন করে সর্বদা জপের মালা লয়ে জপ করতেন।

    হাজরা মহাশয়ের মাতাঠাকুরানীর (Ramakrishna) অসুখ সংবাদ আসিয়াছে। রামলালকে দেশ থেকে আসবার সময় তিনি হাতে ধরে অনেক করে বলেছিলেন, খুড়ো মহাশয়কে আমার কাকুতি জানিয়ে বলো তিনি যেন প্রতাপকে বলে-কয়ে দেশে পাঠিয়ে দেন; একবার যেন আমার সঙ্গে দেখা হয়। ঠাকুর তাই হাজরাকে বলেছিলেন, “একবার বাড়িতে গিয়ে মার সঙ্গে দেখা করে এসো; তিনি রামলালকে অনেক করে বলে দিয়েছেন। মাকে কষ্ট দিয়ে কখন ঈশ্বরকে ডাকা হয়? একবার দেখা দিয়ে বরং চলে এসো।”

    ভক্তের মজলিস ভাঙিলে পর, মহিমাচরণ হাজরাকে সঙ্গে করিয়া ঠাকুরের কাছে উপস্থিত হইলেন। মাস্টারও আছেন।

    মহিমাচরণ (শ্রীরামকৃষ্ণের প্রতি, সহাস্যে) — মহাশয়! আপনার কাছে দরবার আছে। আপনি কেন হাজরাকে বাড়ি যেতে বলছেন? আবার সংসারে (Kathamrita) যেতে ওর ইচ্ছা নাই।

  • Child Health: গরমে বাড়ছে হজমের গোলমাল! নিয়মিত কোন খাবার খেলে শিশুদের সমস্যা কমবে?

    Child Health: গরমে বাড়ছে হজমের গোলমাল! নিয়মিত কোন খাবার খেলে শিশুদের সমস্যা কমবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এপ্রিলের শুরু থেকেই বাড়ছে অস্বস্তি! গরম আর শুষ্ক আবহাওয়ার জেরেই সমস্যা বাড়ছে। নানান শারীরিক সমস্যাও বাড়ছে। অনেকেই এই আবহাওয়ায় হজমের সমস্যায় ভুগছেন। বিশেষত শিশুদের (Child Health) খাবারে অনীহা দেখা দিচ্ছে। আবার অনেক সময় সামান্য পরিমাণ খাবার খেলেই বমি হচ্ছে। শিশুদের পাশাপাশি বড়দেরও হজমের গোলমাল দেখা দিচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই অস্বস্তিকর আবহাওয়ায় নিয়মিত কয়েকটি খাবার খেলেই হজমের সমস্যা সহজেই মোকাবিলা করা যাবে। শিশু থেকে বয়স্ক, সকলেরই এই আবহাওয়ায় হজম নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই গরম আবহাওয়ায় পেটের সমস্যা এবং হজমের গোলমাল ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। তাই তাঁদের পরামর্শ, নিয়মিত পাতে থাকুক কিছু নির্দিষ্ট খাবার। আবার কয়েকটি খাবার এই সময় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। এবার দেখে নেওয়া যাক, হজমের সমস্যা মেটাতে কোন খাবার বাড়তি সাহায্য করবে?

    আদার রস মেশানো এক গ্লাস জল (Child Health)

    গরমে হজমের গোলমাল কমাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খাওয়ার পরামর্শ বারবার দেন চিকিৎসকদের একাংশ। তবে জলে কয়েক ফোঁটা আদার রস মিশিয়ে খেলে বাড়তি উপকার পাওয়া যাবে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, দিনের যে কোনও সময় এক গ্লাস জলে তিন থেকে চার ফোঁটা আদার রস মিশিয়ে খেলে হজমের সমস্যা কমে। আদা হজম শক্তি বাড়াতে বাড়তি সাহায্য করে। আদায় থাকে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি উপাদান। যা হজমের সমস্যা কমাতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই আদার রস মেশানো জল নিয়মিত খেলে হজমের সমস্যা সহজেই সমাধান করা যায়।

    নিয়মিত একটি আপেল

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সকালের জলখাবারের সঙ্গে থাকুক একটি আপেল। শিশু (Child Health) থেকে বয়স্ক, সকলের জন্য এই ফল বাড়তি উপকার দেবে। আপেলের নানান স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে। তবে আপেল হজম শক্তি বাড়াতেও খুব সাহায্য করে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আপেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। এই উপাদান হজম শক্তি বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই এই আবহাওয়ায় নিয়মিত একটি আপেল খেলে হজমের সমস্যা কমবে।

    শেষ পাতে টক দই

    দুপুরে তাপমাত্রার পারদ মারাত্মক বেড়ে যায়। দিন কয়েক ধরেই দুপুরে অস্বস্তি আরও বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অফিসের লাঞ্চ ব্রেক হোক কিংবা বাড়ির মধ্যাহ্ন ভোজ, শেষ পাতে এই সময় টক দই থাকা জরুরি। শিশুদেরও (Child Health) নিয়মিত টক দই খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, টক দইয়ে থাকে প্রচুর পরিমাণে প্রোবায়োটিক। তাই টক দই অন্ত্রের জন্য বিশেষ উপকারী। নিয়মিত টক দই খেলে হজম শক্তি বাড়ে। পেটের গোলমালের ঝুঁকিও কমে। তবে তাঁরা জানাচ্ছেন, চিনি বা মিষ্টি মিশিয়ে টক দই খেলে চলবে না। এতে পুষ্টিগুণ কমে যায়।

    শিশুদের হজমের সমস্যা কমাতে বাড়তি কোন দিকে নজর দেওয়া জরুরি?

    শিশুরোগ (Child Health) বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, গরম (Summer) বাড়তেই হজমের সমস্যা ও পেটের গোলমালের জেরে অনেক শিশুর ভোগান্তি বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই সময়ে বাড়তি খেয়াল রাখা দরকার। শিশুদের সুস্থ রাখতে চটজলদি খাবার একেবারেই দেওয়া যাবে না‌ বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, বাজারের চটজলদি খাবারে পুষ্টিগুণ একেবারেই থাকে না। এর ফলে হজমের সমস্যা আরও বাড়ে। বিশেষ করে পিৎজা, বার্গারের মতো প্রসেসড খাবারে অতিরিক্ত পরিমাণে রাসায়নিক দেওয়া থাকে। যা অন্ত্রের জন্য বিশেষ ক্ষতি করে।

    সবুজ‌ সবজি নিয়মিত খেতে হবে

    বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, এই আবহাওয়ায় শিশুদের (Child Health) প্রাণীজ প্রোটিন দেওয়ার ক্ষেত্রে পরিমাণের দিকে নজরদারি জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রাণীজ প্রোটিন হজম করতে সময় লাগে। তাই অতিরিক্ত পরিমাণ মাংস কিংবা ডিম খেলে অনেক সময় সমস্যা হতে পারে। তাঁদের পরামর্শ, হজমের সমস্যা কমাতে প্রাণীজ প্রোটিনের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণ সবুজ‌ সবজি নিয়মিত দিতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, পটল, ঝিঙে, উচ্ছের মতো সবজি নিয়মিত খাওয়া জরুরি। এই সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে। তাই এই সবজি হজম শক্তি বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Ramakrishna 322: “নিত্য থেকে লীলা আরম্ভ হল, মহাকারণ থেকে স্থূল, সূক্ষ্ম…স্বপ্ন, সুষুপ্তি সব অবস্থা এসে পড়ল”

    Ramakrishna 322: “নিত্য থেকে লীলা আরম্ভ হল, মহাকারণ থেকে স্থূল, সূক্ষ্ম…স্বপ্ন, সুষুপ্তি সব অবস্থা এসে পড়ল”

    দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ  

    ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ২৬শে অক্টোবর
    বেদান্তবিচারে—মায়াবাদ ও শ্রীরামকৃষ্ণ

    মায়াবাদ ও বিশিষ্টাদ্বৈতবাদ—জ্ঞানযোগ ও ভক্তিযোগ 

    মহিমাচরণ—এ বেশ সামঞ্জস্য,—নিত্য থেকেই লীলা, আবার লীলা থেকেই নিত্য।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—জ্ঞানীরা দেখে সব স্বপ্নবৎ। ভক্তেরা সব অবস্থা লয়। জ্ঞানী দুধ দেয় ছিড়িক ছিড়িক করে। (সকলের হাস্য) এক-একটা গরু আছে—বেছে বেছে খায়; তাই ছিড়িক ছিড়িক দুধ। যারা অত বাছে না আর সব খায়, তারা হুড়হুড় করে দুধ দেয়। উত্তম ভক্ত—নিত্য লীলা দুই লয়। তাই নিত্য থেকে মন নেমে এলেও তাঁকে সম্ভোগ করতে পারে। উত্তম ভক্ত হুড়হুড় করে দুধ (Kathamrita) দেয়। (সকলের হাস্য)

    মহিমা—তবে দুধে একটু গন্ধ হয়। (সকলের হাস্য)

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে)—হয় বটে, তবে একটু আওটাতে হয়। আগুনে আউটে নিতে হয়। জ্ঞানাগ্নির উপর একটু দুধটা চড়িয়ে দিতে হয়, তাহলে আর গন্ধটা থাকবে না। (সকলের হাস্য)

    ওঁকার ও নিত্যলীলাযোগ 

    (মহিমার প্রতি)—“ওঁকারের ব্যাখ্যা তোমরা কেবল বল ‘অকার উকার মকার’।”

    মহিমাচরণ (Ramakrishna)—অকার, উকার, মকার—কিনা সৃষ্টি, স্থিতি, প্রলয়।

    শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—আমি উপমা দিই ঘন্টার টং শব্দ। ট-অ-অ-ম-ম-। লীলা থেকে নিত্যে হয়; স্থূল, সূক্ষ্ম, কারণ থেকে মহাকারণে লয়। জাগ্রত, স্বপ্ন, সুষুপ্তি থেকে তুরীয়ে লয়। আবার ঘণ্টা বাজল, যেম মহাসমুদ্রে একটা গুরু জিনিস পড়ল আর ঢেউ আরম্ভ হল। নিত্য থেকে লীলা আরম্ভ হল, মহাকারণ থেকে স্থূল, সূক্ষ্ম, কারণ শরির দেখা দিল—সেই তুরীয় থেকেই জাগ্রত, স্বপ্ন, সুষুপ্তি সব অবস্থা এসে পড়ল। আবার মহাসমুদ্রের ঢেউ মহাসমুদ্রেই লয় হল। নিত্য ধরে ধরে লীলা, আবার লীলা ধরে নিত্য। আমি টং শব্দ উপমা দিই। আমি ঠিক এই সব দেখেছি। আমায় দেখিয়ে দিয়েছে চিৎ সমুদ্র, অন্ত নাই। তাই থেকে এইসব লীলা উঠল, আর ওইতেই লয় হয়ে গেল। চিদাকাশে কোটি ব্রহ্মাণ্ডের উৎপত্তি, আবার ওইতেই লয় হয়, তোমাদের বইয়ে কি আছে, অত আমি জানি না।

    মহিমা—যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা তো শাস্ত্র লেখেন নাই। তাঁরা নিজের ভাবেই বিভোর, লিখবেন (Kathamrita)  কখন! লিখতে গেলেই একটু হিসাবী বুদ্ধির দরকার। তাঁদের কাছে শুনে অন্য লোকে লিখেছে।

  • Ramakrishna 328: “চাতক চায় কেবল ফটিক জল,  পিপাসায় প্রাণ যায়, উঁচু হয়ে আকাশের জল পান করতে চায়”

    Ramakrishna 328: “চাতক চায় কেবল ফটিক জল,  পিপাসায় প্রাণ যায়, উঁচু হয়ে আকাশের জল পান করতে চায়”

    দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    দশম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ৯ই নভেম্বর

    সঞ্চয় ও তিন শ্রেণীর সাধু 

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) বিজয়াদির প্রতি—সাধুর তিন শ্রেণী। উত্তম, মধ্যম অধম। উত্তম যারা খাবার জন্যে চেষ্টা করেন না। মধ্যম ও অধম যেমন দণ্ডী-ফণ্ডী। মধ্যম, তারা ‘নমো নারায়ণ’! বলে দাঁড়ায়। যারা অধম তারা না দিলে ঝগড়া করে। (সকলের হাস্য)

    “উত্তম শ্রেণীর সাধুর অজগরবৃত্তি। বসে খাওয়া পাবে। অজগর নড়ে না। একটি ছোকরা সাধু —বাল-ব্রহ্মচারী— ভিক্ষা করতে গিছিল, একটি মেয়ে এসে ভিক্ষা দিলে। তার বক্ষে স্তন দেখে সাধু মনে করলে বুকে ফোঁড়া হয়েছে, তাই জিজ্ঞাসা করলে। পরে বাড়ির গিন্নীরা বুঝিয়ে দিলে যে, ওর গর্ভে ছেলে হবে বলে ঈশ্বর স্তনেতে দুগ্ধ দিবেন; তাই ঈশ্বর আগে থাকতে তার বন্দোবস্ত করছেন। এই কথা শুনে ছোকরা সাধুটি অবাক্‌। তখন সে বললে, তবে আমার ভিক্ষা করবার দরকার নেই; আমার জন্যও খাবার আছে।”

    ভক্তেরা কেহ কেহ মনে করিতেছেন, তবে আমাদেরও তো চেষ্টা না করলে হয়।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—যার মনে আছে চেষ্টা দরকার, তার চেষ্টা করতেই হবে।

    বিজয়—ভক্তমালে একটি বেশ গল্প আছে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—তুমি বলো না।

    বিজয়—আপনিই বলুন না।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—না তুমিই বলো! আমার অত মনে নাই। প্রথম প্রথম শুনতে হয়। তাই আগে আগে ও-সব শুনতাম।

    ঠাকুরের অবস্থা—এক রামচিন্তা—পূর্ণজ্ঞান ও প্রেমের লক্ষণ

    শ্রীরামকৃষ্ণ— আমার এখন সে অবস্থা নয়। হনুমান বলেছিল (Kathamrita), আমি তিথি-নক্ষত্র জানি না, এক রামচিন্তা করি।

    “চাতক চায় কেবল ফটিক জল। পিপাসায় প্রাণ যায়, উঁচু হয়ে আকাশের জল পান করতে চায়। গঙ্গা-যমুনা সাত সমুদ্র জলে পূর্ণ। সে কিন্তু পৃথিবীর জল খাবে না।

    “রাম-লক্ষ্মণ পম্পা সরোবরে গিয়েছেন। লক্ষ্মণ দেখিলেন, একটি কাক ব্যাকুল হয়ে বারবার জল খেতে যায়, কিন্তু খায় না। রামকে জিজ্ঞাসা করতে তিনি বললেন, ভাই, এ কাক পরমভক্ত। অহর্নিশি রামনাম জপ করছে! এদিকে জলতৃষ্ণায় ছাতি ফেটে যাচ্ছে, কিন্তু খেতে পারছে না। ভাবছে খেতে গেলে পাছে রামনাম জপ ফাঁক যায়! হলধারীকে পূর্ণিমার দিন বললুম, দাদা! আজ কি অমাবস্যা (Kathamrita)? (সকলের হাস্য)

LinkedIn
Share